সোমবার, জানুয়ারী ১৩, ২০২০
পঞ্চাশজন পড়ুয়াদের ব্যাগ দেবে সুসম্পর্ক
আগামী ২৩ শে জানুয়ারি নেতাজীর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে কলকাতায় ৫০ জন দুস্থ পড়ুয়াদের ব্যাগ তুলে দেবে 'সুসম্পর্ক' নামে এক সমাজসেবী সংগঠন। ওইদিন এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে বলে জানান সংগঠনের কর্মকর্তা অরবিন্দ সিংহ।
হাইকোর্টের নির্দেশে ব্যাংকশাল আদালতে মুকুলের গলার স্বর রেকর্ড হল
মোল্লা জসিমউদ্দিন
গত শুক্রবার দুপুরে কলকাতার ব্যাংকশাল আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট মৌমিতা রায়ের এজলাসে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়ের গলার স্বর নথিভুক্তিকরণ হল। উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে বড়বাজার আর্থিক দুর্নীতির মামলায় মুকুল রায়ের গলার স্বর নথিভুক্তিকরণের নির্দেশিকাজারী হয়েছিল। সেজন্য ১০ জানুয়ারি সংশ্লিষ্ট আদালতে অর্থাৎ ব্যাংকশাল আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এই গলার স্বর নথিভুক্তিকরণ ( ফরেন্সিক) টি হয়। তবে এই গলার স্বর রেকর্ড টি মুখবন্ধ খামে থাকবে। তা মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসারও দেখতে পাবেন না হাইকোর্টের নির্দেশ ছাড়া। যদিও এই মামলার পরবর্তী শুনানি টি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। প্রধান বিচারপতিই ঠিক করবেন পরবর্তী শুনানি কোন বেঞ্চে হবে তা নিয়ে । কেননা মুকুল রায়ের আইনজীবী শুভাশিস দাশগুপ্ত এজলাসে প্রশ্ন তুলেছিলেন - "বড়বাজার আর্থিক দুর্নীতি মামলায় মুকুল রায় একজন সাক্ষী মাত্র, অভিযুক্ত নন। তাই একজন সাক্ষী কিভাবে নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যদান করবেন? " উল্লেখ্য, ব্যাংকশাল আদালতে আডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুকুল রায়ের গলার স্বর নথিভুক্তিকরণ এর নির্দেশ দিয়েছিল। এই নির্দেশ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দাখিল করেন। এই মামলার শুনানিতে নিম্ন আদালতের নির্দেশ কে বহাল রাখলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। তবে সেইসাথে মামলাটি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ৩১ জুলাই কলকাতা পুলিশ বড়বাজার এলাকায় কল্যাণ রায় বর্মন নামে এক সরকারি কর্মীর কাছে নগদ ৮০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে থাকে। ধৃত কে জেরা করে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের নাম পায় বলে কলকাতা পুলিশের দাবি। এই টাকা উদ্ধারের আগে নাকি মুকুল রায়ের সাথে কথপোকথন হয় ধৃতের। ২০১৮ সালে ডিসেম্বর মাসে ১৬০ ধারায় মুকুল রায় কে সাক্ষী হিসাবে তলব করেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসার। এরপর বেশ কয়েকটি নোটিশ অগ্রাহ্য করায় মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারী হয় ব্যাংকশাল আদালতে। এমনকি ব্যাংকশাল আদালতের সংশ্লিষ্ট এজলাসের বিচারক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য একমাস সময়সীমাও বেঁধে দেন। মুকুলের আইনজীবী দিল্লীর ভোটার কার্ড কে সামনে রেখে ওয়ারেন্ট এর বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলা দাখিল করেন দিল্লির হাইকোর্টে।দিল্লি হাইকোর্ট ব্যাংকশাল আদালতের ওয়ারেন্ট খারিজ করে দশদিনের মধ্যে মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার কে দিল্লীর ঠিকানায় জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দেয়। পরবর্তী ক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশের এক প্রতিনিধিদল দিল্লিতে মুকুল রায়ের বাসভবনে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। এরপর গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকশাল আদালতে 'সাক্ষী' মুকুল রায়ের গলার স্বর নথিভুক্তিকরণ এর আদেশনামা জারী করে থাকে। এই আদেশনামার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন বঙ্গ বিজেপির হেভিওয়েট নেতা মুকুল রায়। এই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নিম্ন আদালতের রায় কে বহাল রেখে ১০ জানুয়ারী মুকুল রায়ের গলার স্বর ফরেনসিক টিমের উপস্থিতিতে রেকর্ড সংগ্রহ করার নির্দেশ দেন। তবে এই গলার স্বর রেকর্ডটি মুখবন্ধ খামে আদালতের হেফাজতে থাকবে। তা দেখার এক্তিয়ার তদন্তকারী পুলিশ অফিসারেরও থাকবেনা বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই গলার স্বর অন্য কোন মামলায় ব্যবহার করা যাবেনা সে নির্দেশনা আছে এই আদেশনামায়।আইনী জটিলতার কারণে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে পাঠিয়েদেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। এরেই মধ্যে মুকুল রায়ের গলার স্বর নথিভুক্তিকরণ হল ব্যাংকশাল আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট মৌমিতা রায়ের এজলাসে।
রবিবার, জানুয়ারী ১২, ২০২০
রাজ্যের রুটেই বিজেপির মিছিল, কলকাতা হাইকোর্ট
মোল্লা জসিমউদ্দিন
শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে বিজেপির আজকের প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশি অনুমতি বিষয়ক মামলাটি উঠে। বিজেপির নির্ধারিত পথে নয়, রাজ্যের দেখানো সড়কপথেই বিকেল তিনটে থেকে সাড়ে চারটের মধ্যে মিছিল শেষ করতে হবে বলে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়। রাজ্যের দেখানো পথেই মিছিল করতে হবে বিজেপি কে। রবীন্দ্রসদনের নন্দন সিনেমার সামনে দিয়ে মিছিল যাবে বিড়লা প্যালেটরিয়াম অবধি। তারপর ঘুরে সেই মিছিল ফের নন্দন সিনেমার সামনে আসবে বলে নির্দেশিকা জারী হয় হাইকোর্টের তরফে ।গত সপ্তাহে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ গ্রামের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় কলকাতায় মহাজাতি সদন থেকে হাজরা পর্যন্ত হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় নেতৃত্বে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মিছিল করার কথা ছিল। এই মিছিলের জন্য আগাম ভবানীপুর থানা এবং জয়েন্ট সিপি হেডকোয়ার্টার কে অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য বিজেপি।তবেে আইন-শৃঙ্খলা দোহাই দেখিয়ে রাজ্য সরকার বিজেপির প্রস্তাবিত মিছিলের অনুমতি না দেওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি।শুুুক্রবার অর্থাৎ আজ বেলা এগারোটার সময় বিজেপির পক্ষের আইনজীবীরা উচ্চআদালতে জানান - 'মিছিলের বেশ কয়েকদিন আগেই পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়ে তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছিল তবে প্রশাসন সেই মিছিলের অনুমতি না দেওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন'। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় - 'এ বিষয়ে তাদের কাছে কোন নির্দেশিকা নেই। তাই সরকারি আইনজীবীদের কিছুটা সময় দেওয়া হোক'। সেই মোতাবেক বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য দুপুর একটার সময় মামলার পুুুনরায় শুনানি শুনবেন বলে জানিয়ে দেন।বেলা একটার সময় রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে আইনজীবীরা জানান- 'তারা পূর্বনির্ধারিত রুপ বদল করতে চায় অর্থাৎ মহাজাতি সদন থেকে হাজরা পর্যন্ত যে মিছিল হওয়ার কথা ছিল, সেই মিছিল তারা নন্দন সিনেমা হলের সামনে থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত সেই মিছিল তারা করতে চান'। তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারপক্ষের আইনজীবীরা জানান - 'তাদের প্রশাসনের কাছ থেকে এ বিষয়ে জানার প্রয়োজনীয়তা আছে যে, আদৌ শহরে এই সময় অন্য কোনো মিছিল রয়েছে কিনা'? রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতে এসে জানান - 'ইতিমধ্যেই এসইউসিআই এর একটি মিছিল রয়েছে, তাই তারা নন্দন থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত বিজেপিকে মিছিলের কোনরকম অনুমতি দিতে পারবেন না'। বিজেপি পক্ষের আইনজীবীরা জানান - 'তাদের এই মিছিলে প্রায় পাঁচশো কর্মী-সমর্থকরা থাকবেন, তাহলে পুলিশের নিরাপত্তা দিতে অসুবিধা কোথায়'? এই প্রসঙ্গে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত ফের জানান - 'তারা মিছিলের অনুমতি দিতে পারেন তবে সেটা নন্দন সিনেমা হলের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে বিড়লা তারামন্ডল এর সামনে দিয়ে ঘুরে ফের মিছিল নন্দন সিনেমার সামনে শেষ করতে হবে, তবেই তারা এই মিছিলের অনুমতি দিতে পারেন'।উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য - ' এদিন বিকেল তিনটা থেকে সাড়ে চারটের মধ্যে বিজেপির এই মিছিল নন্দন সিনেমাহল থেকে বিড়লা তারামণ্ডল ঘুরে ফের নন্দন সিনেমা সামনে শেষ করার পক্ষে অনুমতি দেন'।
মঙ্গলকোট পুলিশের পিকনিকে আদিবাসী বাচ্চারা
মোল্লা জসিমউদ্দিন
জানুয়ারি মাস টি পিকনিক করবার মাস হিসাবেই বিবেচিত সর্বসাধারণের কাছে। শনিবার সকালে মঙ্গলকোট থানার উদ্যোগে এলাকার ৬০ জন আদিবাসী বাচ্ছাদের নিয়ে অজয় নদের চরে চললো পিকনিক। টিফিনে ঘুগনি মুড়ি কিংবা লুচি আলুর দম। এরপর দু-তিনরকমের সবজি দিয়ে মুরগির মাংস কিংবা মাছ ভাত খেলো এরা। এই আদিবাসী পরিবারের বাচ্ছাদের পাশাপাশি মঙ্গলকোট থানায় কর্মরত পুলিশ কর্মীদের বাচ্ছারাও ছিল এই পিকনিকে।দফায় দফায় অজয় নদের চরে চললো ক্ষুদেদের ফুটবল খেলা। পড়াশোনা বিশেষত কে কোন স্কুলে ভর্তি হয়েছে তা নিয়ে চললো গল্পগুজব। মঙ্গলকোট থানার এহেন উদ্যোগে খুশি মঙ্গলকোটের আদিবাসী মহল্লা। তাদের বক্তব্য - "সাধারণত পুলিশ কোন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় পুরস্কার বিতরণীতে উপস্থিত থাকে, এতো দেখছি পরিবারের সদস্যদের মত সম্পর্কের গভীরে ঢুকে যাওয়া "। মঙ্গলকোট ওসি মিঠুন ঘোষ জানিয়েছেন - " বছরের একটা দিন এদের কে নিয়ে আনন্দ উপভোগ করলাম "। জানা গেছে, গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই মঙ্গলকোটে বিশেষত পশ্চিম মঙ্গলকোটের পালিগ্রাম - চাণক অঞ্চলে আদিবাসীদের মধ্যে পুলিশ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল। বেশকিছু হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে সেসময়।কাটমানি কান্ডের জেরে দশের কাছাকাছি ফৌজদারি মামলা রুজু হয়। স্থানীয় পুলিশ নিয়ে বিক্ষোভ এমনকি তীর-ধনুক নিয়ে নুতনহাট - আউশগ্রাম সড়ক অবরোধ চলেছে সেসময় । পুলিশের কাছ থেকে মুচলেকাও আদায় করেছিল বিক্ষোভকারীরা। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে মঙ্গলকোট থানার ওসি পদে আসেন সাব ইনস্পেকটর মিঠুন ঘোষ। দায়িত্বভার নেওয়ার দুমাসের মধ্যেই একাধারে ইমাম মোয়াজ্জেনদের নিয়ে থানায় এনআরসির হিংসাত্মক ঘটনা রুখতে শান্তি সভা করেন। পাশাপাশি আজ অর্থাৎ শনিবার বিক্ষুদ্ধ আদিবাসী মহল্লায় ৬০ জন ক্ষুদেদের নিয়ে পিকনিক আয়োজন করে পুলিশ যে 'সামজিক বন্ধু' সেই বার্তা দিলেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
শুক্রবার, জানুয়ারী ১০, ২০২০
ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থার ভোটে জেলাশাসকের রিপোর্টে সিলমোহর হাইকোর্টের
বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা মামলাটি উঠে। এদিন ডিভিশন বেঞ্চে ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা ভোট নিয়ে রিপোর্ট পেশ করেন উত্তর ২৪ পরগণার ডিএম। ডিএম রিপোর্ট কে মান্যতা দিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয় - 'পুর আইনী প্রক্রিয়া মেনেই ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা ভোট হয়েছে। পুরসভা পরিচালনায় কোন অসুবিধা নেই '। তবে বেশকিছু আইনী প্রশ্নের জন্য এই মামলাটি বিবেচনাধীন পর্যায়ে রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ। দু সপ্তাহ পরেই পুনরায় এই মামলার শুনানি রয়েছে। অপরদিকে বিজেপি সুত্রে প্রকাশ, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এহেন রায়ের বিরুদ্ধে তারা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করছে। ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের প্রতিলিপি নিয়ে তারা আগামী সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করতে চলেছে। গত ৬ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে ভাটপাড়া পুরসভার দ্বিতীয়বারর জন্য অনাস্থা ভোট করানোর নির্দেশিকা জারী হয়েছিল। প্রথমবারের মত দ্বিতীয়বারেরও ১৯-০ ব্যবধানে ভাটপাড়া পুরসভার পুন দখল নেয় তৃণমূল। সেদিন ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ছিল - অনাস্থা ভোট পর্ব নিয়ে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট পেশ করবেন ডিএম। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরে সেই রিপোর্ট জমা দেন উত্তর ২৪ পরগণা ডিএম। এই রিপোর্ট দেখে ডিভিশন বেঞ্চ শুনানিতে পর্যবেক্ষণে জানায় - 'পুরআইন মেনে ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা ভোট হয়েছে। পুরসভা পরিচালনায় কোন অসুবিধা নেই'। গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিনহার সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় কে খারিজ করে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল - 'মঙ্গলবার বেলা একটা নাগাদ নির্বাচন কমিশনের উপস্থিতিতে ডিএম - এসপির পরিচালনায় অনাস্থা ভোট হবে। পুরো অনাস্থা ভোট প্রক্রিয়াটি ভিডিও রেকর্ডিং চলবে। বৃহস্পতিবার ডিএম মুখবন্ধ খামে এই অনাস্থা ভোট নিয়ে রিপোর্ট দেবেন '। সেইসাথে এই পুরসভার সমস্ত কাউন্সিলারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আদেশনামা জারী হয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চের তরফে। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিনহার এজলাসে এই মামলার রায়দানে সেদিনকার অনাস্থা ভোট বাতিল হয়েছিল। তড়িঘড়ি গত শুক্রবারেই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এই সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে ভাটপাড়া পুরসভার তিন তৃনমূল কাউন্সিলার। তবে রায়ের প্রত্যায়িত কপি পিটিশনে না থাকায় গত শুক্রবার দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ হয়।গত সোমবার দুপুরে পুনরায় এই মামলাটি উঠে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানে সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় খারিজ করে মঙ্গলবার বেলা একটার মধ্যে নির্বাচন কমিশনের উপস্থিতিতে ডিএম - এসপির পরিচালনায় অনাস্থা ভোট করার নির্দেশ জারী হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ডিএম অনাস্থা ভোটপর্ব নিয়ে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ ছিল কলকাতা হাইকোর্ট এর ডিভিশন বেঞ্চের । ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল তাতে - 'গত ২ জানুয়ারি পুর চেয়ারম্যানের অনাস্থাপ্রস্তাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না '। প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া পুরসভার ৩৫ টি ওয়ার্ড রয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে একদা ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অর্জুন সিং সাংসদ হওয়ায় এই আসন টি খালি হয়। এছাড়া একজন কাউন্সিলার মারা গেছেন। অর্থাৎ ৩৩ জন কাউন্সিলার রয়েছেন।সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ১৭ জন কাউন্সিলার। গত বৃহস্পতিবার অনাস্থা ভোটে তৃণমূলের পক্ষে ১৯ টি ভোট পড়েছিল। এই পুরসভায় একজন বামেদের কাউন্সিলার রয়েছেন। যিনি বরাবরই ভোটদানে বিরত থাকেন। লোকসভা নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণা পরবর্তী ২৯ জন কাউন্সিলার তৃনমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। এদের মধ্যে অনেকেই ফিরেছেন পুরাতন দলে (তৃণমূল) । প্রথমবারের মত দ্বিতীয়বারেরও ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা ভোটে ১৯-০ ব্যবধানে দখল নিল তৃনমূল। এখন দেখার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিলে আদৌও যায় কিনা বিজেপি। গেলেও সুপ্রিম কোর্ট ভাটপাড়া নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ নিয়ে কি অবস্থান নেয়?
বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ০৯, ২০২০
ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেল সম্প্রসারণ নিয়ে কেন্দ্রের রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
গত মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মেট্রোরেল সম্প্রসারণে বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট পেশের সময়সীমা ছিল রাজ্যের। তবে এদিন রাজ্যের তরফে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জানানো হয়েছে - 'রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরে মেট্রোরেল সম্প্রসারণ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা নেই'। জানা গেছে, একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের রয়েছে এই ধরণের পাতাল রেললাইন গড়তে বিশেষজ্ঞ কমিটি। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষজ্ঞ কমিটি কলকাতা ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেল সম্প্রসারণে বর্তমানে কোন সমস্যা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখুক বলে বিভিন্ন মহলে দাবি উঠেছে । জানা গেছে, এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট তলব করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৭ ফেব্রুয়ারিতে। এর আগের শুনানিতে মেট্রোরেল অধীনস্থ কেএমআরসিএলের পক্ষে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেল সম্প্রসারণ করতে অনুমতি চাওয়া হয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। উক্ত সংস্থা কে মেট্রোরেল সম্প্রসারণ করার রিপোর্ট টি রাজ্য কে জানাবার নির্দেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য সেটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে জানাবে পুনরায় মেট্রোরেল সম্প্রসারণ করা যাবে কিনা। রাজ্যের আওতাধীন বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটি কেএমআরসিএলের রিপোর্ট টি পর্যবেক্ষণ করবে বলে নির্দেশিকা ছিল। রাজ্যের অনুমতি নিয়েই মেট্রোরেল সম্প্রসারণ করতে হবে, তা পরিস্কার করে জানিয়ে ছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য জানিয়ে দেয় - 'মেট্রোরেল সম্প্রসারণ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ নেই তাদের হাতে'। গত বছরের নভেম্বর মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজে ৫ মিটার বোরিং করার ছাড়পত্র দিয়েছিল মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কে। বোরিং করার দ্বিতীয় মেশিন টি এই ৫ মিটার বোরিং করার ছাড়পত্র পায়। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ইতিপূর্বে মৌখিকভাবে জানিয়েছিল - 'গত ৩১ আগস্ট কলকাতার ৪৮ নং ওয়ার্ডে যে ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়েছিল।সেখানে ওই এলাকা থেকে ৭৮ টি পরিবারেরর ৬৮২ জন কে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। আর্থিক ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৮৩ টি পরিবার কে গড়ে ৫ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে '। উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্ট মাসের শেষের দিকে মেট্রোরেলের ইস্ট ওয়েস্ট রেললাইন নির্মাণে বড়বাজার এলাকায় বেশ কিছু বাড়ী ভেঙ্গে পড়ার ঘটনায় তোলপাড় হয় মহানগর। বড়বাজারের দূর্গা পিতুরি লেনের তিনতলা এক বাড়ী ভেঙ্গে পড়ে, আরও বেশ কয়েকটি বাড়ি ধসে যায় ।কোন প্রাণহানি না ঘটলেও প্রথম পয্যায়ে স্থানীয় ৩২৩ জন কে ঘটনাস্থলের বাড়ী গুলি থেকে সরিয়ে নেয় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। নিজ বাড়ী ঢুকতে না পারা এবং বিশেষজ্ঞ মহলের রিপোর্ট নিয়ে যৌক্তিকতা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জরুরি কালীন শুনানির পিটিশন দাখিল করে এক সমাজসেবী সংস্থা।কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল নায়ার রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এর এজলাসে মামলাটি উঠে । প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মেট্রোরেলের এই কাজ বন্ধে স্থগিতাদেশ জারী করে ছিলেন। প্রথম পয্যায়ে ১৬ সেপ্টেম্বর অবধি কোন কাজ করতে পারবেনা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বলে নির্দেশজারী হয় এবং দ্বিতীয় পয্যায়ে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ জারী ছিল। এরেই মধ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট এবং মেট্রোরেলের রিপোর্ট জমা দেওয়ার আদেশনামা থাকে । মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কে এও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল - যেসব বাড়ী মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কাজের জন্য সিল করে রেখেছে, সেই বাড়ীগুলিতে মালিকপক্ষ একজন করে ঢুকতে পারবেন জিনিসপত্র নেওয়ার জন্য। এই মামলায় আবেদনকারীর আইনজীবী ঋজু ঘোষাল রয়েছেন। শুনানিতে মেট্রোরেলের আইনজীবী জানিয়েছিলেন - "ইস্ট ওয়েস্ট পাতাল রেলপথের ১০.৮ কিমি রেলপথের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৯.৮ কিমি রেলপথের কাজ শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র ১ কিমির পথ বাকি রয়েছে। যার কাজ চলছিল"। মূলত বিবাগী মোড় থেকে ভায়া বড়বাজার হয়ে হাওড়া স্টেশন যাওয়ার পথটি। টানা বর্ষণে ভূ-গর্ভস্থ ট্যানেলে জল ঢোকে যাওয়াতেই এই বিপত্তি বলে কেউ কেউ দাবি করছেন। ইতিমধ্যেই প্রস্তাবিত ভূ-গর্ভস্থ রেলপথের উপরে থাকা বাড়ী গুলিতে প্রথম পয্যায়ে ৩২৩ জন কে সরিয়ে রাখে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। গতমাসে বড়বাজারে বেশ কিছু বাড়ী ভেঙ্গে পড়েছিল। সেইসাথে ওই এলাকায় সিংহভাগ বাড়ীগুলিতে ফাটল দেখা যায়। যদিও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ এইসব বাড়ীর মেরামতির পুরো দায়িত্ব নিয়েছে। তবে যখনতখন বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। সেইসাথে হতে পারে প্রাণহানি। তাই বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জরুরি কালীন শুনানির জন্য পিটিশন দাখিল হয়েছিল। এই মামলার প্রথম শুনানিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল - ১৬ সেপ্টেম্বর অবধি মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কে কাজ বন্ধ রাখতে হবে ।এর পর ৭ নভেম্বর পর্যন্ত নির্মাণকাজে স্থগিতাদেশ জারী ছিল। নভেম্বর মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহে মামলাটি পুনরায় উঠেছিল। তখন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন রাখে দ্বিতীয় বোরিং মেশিন টি যাতে ৫ মিটার খনন করার অনুমতি পায়। এই আবেদন মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।৫ মিটার বোরিং করার পর পুনরায় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয় ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেল সম্প্রসারণ করতে। গত শুনানিতে এই মামলায় শুনানিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশনবেঞ্চ জানিয়েছিল - কেএমআরসিলের রিপোর্ট টি দেখবে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। দুপক্ষের আলোচনায় অনুমতি নিয়ে পর্য্যালোচনা চলবে। রাজ্য সম্মতি দিলেই বোরিং করার ছাড়পত্র মিলবে। ৭ জানুয়ারি অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি র ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানিতে রাজ্য জানায় - 'বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের অধীনে পাতাল রেললাইন সম্প্রসারণ নিয়ে বিশেষজ্ঞ নেই তাদের হাতে'। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৭ ফেব্রুয়ারিতে।
বুধবার, জানুয়ারী ০৮, ২০২০
মনন আগামী ২৩ জানুয়ারি শিয়ালদহে অষ্টম সংখ্যা প্রকাশ করছে
আগামী ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০, বিকেল সাড়ে তিনটের সময় কৃষ্ণপদ মেমোরিয়াল হলে আমাদের 'মনন' অষ্টম সংখ্যা প্রকাশের যে আয়োজন করা হয়েছে সেখানে আপনাদের সকলকে সাদর আমন্ত্রণ ।
এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাহিত্য একেডেমী পুরস্কারপ্রাপ্ত সাহিত্যিক শ্রী ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়, আনন্দ পুরস্কারপ্রাপ্ত সাহিত্যিক শ্রী নলিনী বেরা বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও কবি শ্রী জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়, বিশিষ্ট কবি শ্রী আরণ্যক বসু, শ্রীমতী সোনালী কাজী, অল্প সময়ের জন্য আসবেন বিশিষ্ট কবি শ্রীমতী মন্দাক্রান্তা সেন এছাড়াও আকাশবানী ও দূরদর্শনের বিশিষ্ট কিছু ব্যক্তিত্ব ।
আমাদের এই সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হবে 'মনন সাংস্কৃতিক দলে'র পরিচালনায় । সমগ্র অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনার কাজ করবেন প্রখ্যাত বাচিক শিল্পী শ্রীমতী সোমা আইচ ।
আমাদের এই অনুষ্ঠানে যে আমন্ত্রিত কয়েকটি দল তাদের শ্রুতিপাঠ অনুষ্ঠান উপস্থাপন করবেন তারা হল -
১) অনুস্টুপ ২) আবাসা ৩) পেখম ৪) হৃদমাঝারে ৫ ) কথার তরী ৬) মনন সাংস্কৃতিক দল ৭) পটমঞ্জরী । ( দলের আগে আসার ভিত্তিতে তারা সময় পাবেন )
আপনারাও আগে এসে নাম লেখানোর ভিত্তিতে স্বল্প সময়কাল অবশ্যই আপনাদের পাঠ আবৃত্তি করতে পারেন, কিন্তু এসেই নাম লেখাবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির কাছে ।
সমগ্র অনুষ্ঠানটির প্রচারের দায়িত্ব আমাদের মিডিয়া পার্টনার 'বাংলার খবরাখবর গোষ্ঠী'র । বেশ কয়েকটি প্রিন্ট মিডিয়া, অন লাইন প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া হাজির থাকবেন ।
আপনাদের সকলের উপস্থিতি অবশ্যই অনুষ্ঠানকে সফল করে তুলবে সেই প্রত্যাশা আমাদের আছেই । চলে আসুন সকলে, আমরা অপেক্ষায় ।
স্নেহাশীষ চক্রবর্তী
প্রতিষ্ঠাতা
বনধে রাজ্য কে সচল রাখতে নির্দেশ হাইকোর্টের
আজ অর্থাৎ ৮ জানুয়ারি দেশব্যাপী বাম এবং কংগ্রেসের শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে ধর্মঘট রয়েছে। এই ধর্মঘট কে আবার প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব সমর্থন করায় বামেরা কিছুটা উজ্জীবিত। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করণ নায়ার রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে বনধ বিষয়ক মামলা উঠে। যেখানে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য কে নির্দেশ দেয় - গোটা রাজ্যে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পরিবহন থেকে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে যা যা করণীয় তা পালনে তৎপরতা দেখাতে হবে'। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার তার অধীনস্থ সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে। মাতৃত্বকালীন এবং জরুরিকালীন ছুটি কে এই নির্দেশের বাইরে রাখা হয়েছে। সরকারি কর্মীদের অফিস হাজিরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যারা আগে ছুটির আবেদন জানিয়েছিলেন, তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। অর্থমন্ত্রকের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে - কেউ গড়হাজিরা হলে তার বেতন কাটা যাবে। সেইসাথে শো কজ করা হতে পারে। রাজ্য সরকারের পরিবহন দপ্তর বুধবারের বামেদের বনধ প্রতিরোধে অতিরিক্ত সরকারি বাস চালাবে বিভিন্ন সড়কপথে। পুলিশের তৎপরতাও থাকবে বিভিন্ন প্রান্তে। তবে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে - ব্যাংক গুলিতে এর প্রভাব পড়তে পারে। গ্রাহকেরা হয়রানির শিকার হতে পারেন। উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব আইন, বেসরকারিকরণ সহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে গোটা দেশ ব্যাপি বাম এবং কংগ্রেস সমর্থিত শ্রমিক ইউনিয়ন গুলি বুধবার বনধ ডেকেছে। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব আবার এই বনধে সমর্থন জানিয়েছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে, রমাপ্রসাদ সরকার নামে এক আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দাখিল করেন। মূলত জয়েন্ট এন্ট্রাসের পরীক্ষায় যাতে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারে। তাছাড়া রাজ্য যেন বনধের প্রতিরোধে কড়া অবস্থান নেয়। গত ৭ জানুয়ারি থেকে তিনদিনের জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বুধবার দিনও পড়ছে এই পরীক্ষা। তাই দ্রুত হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলাটি দাখিল হয়। মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য কে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেয়।
মঙ্গলবার, জানুয়ারী ০৭, ২০২০
নদীয়ার বিধায়ক খুনে মুকুল কে এপ্রিল অবধি রক্ষাকবচ হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)
সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চে নদীয়ার তৃণমূল বিধায়ক খুনের আগাম জামিনের মামলাটি উঠে। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে - ' নদীয়ার বিধায়ক খুনে অভিযুক্ত মুকুল রায় কে আগামী এপ্রিল মাস অবধি গ্রেপ্তার করা যাবেনা। সেইসাথে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি মার্চ মাসের মধ্যেই এই মামলার অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট পেশ করবে'। এই মামলার পরবর্তী শুনানি এপ্রিল মাসে রয়েছে। সম্প্রতি সিআইডি এই খুনের মামলায় তদন্তে অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের সাথে মুকুল রায়ের মোবাইলে কথপোকথন পেয়েছে বলে দাবি। সেই সুত্র ধরেই নুতন করে তদন্তের নির্দেশ দেয় নদীয়ার নিম্ন আদালত। নিহত বিধায়কের স্ত্রীর নিম্ন আদালতে পুনরায় তদন্তের আবেদন মঞ্জুর হওয়ায় মুকুল রায় তড়িঘড়ি কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন বলে প্রকাশ। ২০১৭ সালে নভেম্বর মাসের পর একদা তৃনমূলের 'চাণক্য' মুকুল রায় দলবদলের পর রাজনৈতিক আক্রোশে ২৫ টি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই ১২ টি মামলা আদালতের তরফে খারিজ হয়েছে। এইমুহূর্তে সরশুনায় রেলবোর্ড প্রতারণা মামলা, বড়বাজারে তোলাবাজির মামলার পাশাপাশি বীরভূমের লাভপুরের তিনভাই খুনের মামলার সাথে নদীয়ার তৃনমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে নাম জড়িয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়ের। প্রায় মামলায় আইনী রক্ষাকবচ মিললেও নদীয়ার বিধায়ক খুনে আইনী রক্ষাকবচ ছিল না। উল্লেখ্য, এই খুনের মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি নিম্ন আদালতে দ্বিতীয় পয্যায়ে পুনরায় তদন্তের আবেদন করলেও তা মঞ্জুর হয়নি। সেসময় অভিযুক্ত মুকুল রায় কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হলেও তা খারিজ হয়। কেননা নিম্ন আদালতে সিআইডির আবেদন টি খারিজ হয় বলে। তবে সম্প্রতি নিহত বিধায়কের স্ত্রী দিপালী বিশ্বাস নিম্ন আদালতে সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে পুনরায় তদন্তের আর্জি রাখেন। তাতে সংশ্লিষ্ট এজলাসের বিচারক সেই আর্জি মঞ্জুর করায়, মুকুল রায়ের গ্রেপ্তারির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই তড়িঘড়ি কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন রাখেন টি মুকুল রায়। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ৯ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজার দিন সন্ধেবেলায় নদীয়ার হাঁসখালি এলাকায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। এই খুনে সুজিত মন্ডল এবং কার্তিক মন্ডল নামে দুজন এলাকাবাসী গ্রেপ্তার হয়। এই দুজন ছাড়াও নদীয়ার বিজেপির জেলা সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়ের নাম জড়ায় মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে। এই খুনে পুলিশি নিস্ক্রিয়তার জন্য তৎকালীন ওসি অনিন্দ বসু সাময়িক বরখাস্ত হন। সেইসাথে নিহত বিধায়কের দেহরক্ষীও বরখাস্ত হন। বর্তমানে এই দুই পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে।খুনের দিন নিহতের বিধায়কের সাথে দেহরক্ষী ছিলেন না। কেননা সেসময় ছুটিতে ছিলেন দেহরক্ষী। কেন দেহরক্ষীর ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছিল। তাও পুলিশের বিভাগীয় তদন্তে বারবার উঠে এসেছে। এই খুনের মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি নিম্ন আদালতে চার্জশিট দাখিল করে থাকে। এরপর দ্বিতীয় পয্যায়ে পুনরায় তদন্তের পিটিশন জানায় সংশ্লিষ্ট এজলাসে। সেসময় সেই পিটিশন খারিজ হয়। সম্প্রতি নিহতের স্ত্রী নিম্ন আদালতে পুনরায় তদন্তের আবেদন রাখেন। তাতে সেই আবেদন মঞ্জুর হয়। আর এতেই সিঁদুরে কালো মেঘ দেখে মুকুল শিবির। সেজন্য আগাম জামিন পেতে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন মুকুলের আইনজীবী। সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার সমস্ত রিপোর্ট দেখে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি কে আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেয়। সেইসাথে আগামী এপ্রিল মাস অবধি মুকুল রায় কে আইনী রক্ষাকবচ দেয় বেশকিছু শর্ত আরোপ করে।
কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে আজ অনাস্থা ভাটপাড়ায়
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা মামলাটি উঠে। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি অরিন্দম সিনহার সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় কে খারিজ করে জানিয়ে দেয় - 'মঙ্গলবার বেলা একটা নাগাদ নির্বাচন কমিশনের উপস্থিতিতে ডিএম - এসপির পরিচালনায় অনাস্থা ভোট হবে। পুরো অনাস্থা ভোট প্রক্রিয়াটি ভিডিও রেকর্ডিং চলবে।আগামী বৃহস্পতিবার ডিএম মুখবন্ধ খামে এই অনাস্থা ভোট নিয়ে রিপোর্ট দেবেন '। সেইসাথে এই পুরসভার সমস্ত কাউন্সিলারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আদেশনামা জারী হয়েছে ডিভিশন বেঞ্চের তরফে। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিনহার এজলাসে এই মামলার রায়দানে সেদিনকার অনাস্থা ভোট বাতিল হয়েছিল। তড়িঘড়ি শুক্রবারেই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এই সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে ভাটপাড়া পুরসভার তিন তৃনমূল কাউন্সিলার। তবে রায়ের প্রত্যায়িত কপি পিটিশনে না থাকায় শুক্রবার দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ হয়। সোমবার দুপুরে পুনরায় এই মামলাটি উঠে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানে সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় খারিজ করে মঙ্গলবার বেলা একটার মধ্যে নির্বাচন কমিশনের উপস্থিতিতে ডিএম - এসপির পরিচালনায় অনাস্থা ভোট করার নির্দেশ জারী হয়। আগামী বৃহস্পতিবার ডিএম অনাস্থা ভোটপর্ব নিয়ে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট পেশ করবেন বলে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ - 'গত ২ জানুয়ারি পুর চেয়ারম্যানের অনাস্থাপ্রস্তাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না '। প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া পুরসভার ৩৫ টি ওয়ার্ড রয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে একদা ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অর্জুন সিং সাংসদ হওয়ায় এই আসন টি খালি হয়। এছাড়া একজন কাউন্সিলার মারা গেছেন। অর্থাৎ ৩৩ জন কাউন্সিলার রয়েছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ১৭ জন কাউন্সিলার। গত বৃহস্পতিবার অনাস্থা ভোটে তৃণমূলের পক্ষে ১৯ টি ভোট পড়েছিল। এই পুরসভায় একজন বামেদের কাউন্সিলার রয়েছেন। যিনি বরাবরই ভোটদানে বিরত থাকেন। লোকসভা নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণা পরবর্তী ২৯ জন কাউন্সিলার তৃনমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। এদের মধ্যে অনেকেই ফিরেছেন পুরাতন দলে (তৃণমূল) । এখন দেখার দলবদলের খেলায় কারা বাজিমাৎ করে ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা ভোটে।
শনিবার, জানুয়ারী ০৪, ২০২০
ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থার দ্রুত শুনানির আবেদন খারিজ ডিভিশন বেঞ্চে
গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিনহারর সিঙ্গেল বেঞ্চে ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা মামলায় ধাক্কা খাওয়ার পর আজ অর্থাৎ শুক্রবারও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে দ্রুত আপিলের জন্য পুনরায় ধাক্কা খেল এই রাজ্যের শাসক শিবির। সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের প্রতিলিপি ছাড়াই আপিল এবং পাল্টা মামলার পিটিশন দাখিল করেন ভাটপাড়ার ৩ জন তৃণমূল কাউন্সিলার। এই 'কাগজহীন' পিটিশনে আবার দ্রুত শুনানির আর্জি রাখা হয়। তাতে এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয় - ' কিসের ভিক্তিতে এই পিটিশন? এত তাড়াহুড়ো করে শুনানি কেন? আগামী সোমবার শুনানি হলে আকাশ থেকে স্বর্গ ভেঙ্গে পড়বেনা!'। বিচারপতি অবশ্য সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের প্রতিলিপি নিয়ে সোমবার নুতন করে পিটিশন দাখিল করার পরামর্শ দিয়েছেন বলে আদালত সুত্রে প্রকাশ। সাধারণত কোন মামলার বিরুদ্ধে আপিল কিংবা পাল্টা মামলা করতে গেলে আগেকার জাজমেন্ট এর প্রতিলিপি আবশ্যিক লাগে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিনহার এজলাসে ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা বিষয়ক মামলার রায়দান ঘটে। সেই মামলা কলকাতা হাইকোর্টের নিজস্ব ওয়েবসাইটে আপলোড হতে নুন্যতম একদিন সময়সীমা লাগে। সেখানে গত বৃহস্পতিবার এজলাসে রায় দেখে শুক্রবার সকাল দশটা নাগাদই ডিভিশন বেঞ্চে আপিল পিটিশন দাখিল হয় আগেকার সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের প্রতিলিপি ছাড়াই। এই পদ্ধতিগত বিষয়ের জন্য এদিন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মৃদু সমালোচিত হল রাজ্যের শাসক দল। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ২০১৬ সালে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার মামলার রায়দান উল্লেখ করে বিচারপতি অরিন্দম সিনহা ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা ভোট খারিজ করেন। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার কলকাতার হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিনহার এজলাসে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা বিষয়ক মামলাটি উঠেছিল। দফায় দফায় বাদী-বিবাদী পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বিচারপতি অনাস্থা ভোট টি বাতিল করে দেন। সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অরিন্দম সিনহার পর্যবেক্ষণ ছিল - 'গত ডিসেম্বর মাসের তৃনমূলের তিনজন কাউন্সিলারের অনাস্থা প্রস্তাব টি অবৈধ।তাই বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় যে ভোটাভুটি হয়েছিল ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। সেটি অবৈধ '।গত ১৯ ডিসেম্বর পুর চেয়ারম্যান আগামী ২০ জানুয়ারি যে অনাস্থাপ্রস্তাব বৈঠক পাশ করেছেন, সেটি বৈধ বলে জানিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট এর বিচারপতি অরিন্দম সিনহার বেঞ্চ । গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় ১৯-০ ব্যবধানে ভাটপাড়া পুরসভার দখল নিয়েছিল তৃনমূল। এই অনাস্থা ভোটে বিজেপি গড়হাজির ছিল।একদিকে যেমন ভাটপাড়ায় অনাস্থা ভোট চলছিল, ঠিক তখনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিনহার এজলাসে এই অনাস্থা ভোট নিয়ে দুপক্ষের আইনজীবীদের সওয়াল জবাব চলেছিল। বৃহস্পতিবার বেলা শেষে হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় - 'তৃনমূলের তিন কাউন্সিলারের অনাস্থা প্রস্তাব টি অবৈধ। তাই চেয়ারম্যান অপসারণের ভোটাভুটি টি বেআইনী। সেইসাথে খারিজ হল অনাস্থা টি'। পুরআইন মেনে চলতে হবে বলেও আদেশনামায় উল্লেখ রয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ এপ্রিল একদা পুর চেয়ারম্যান অর্জুন সিং কে ২২-১১ ব্যবধানে পরাজিত করে তৃনমূল। অর্জুন সিং এর তৃনমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করাতে এই রাজনৈতিক পরিণতি বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করে।লোকসভা ভোটে বাংলায় অভাবনীয় সাফল্য পেয়ে সাংসদ অর্জুন সিং তাঁর ভাইপো সৌরভ সিংহ কে পুর চেয়ারম্যান পদে বসান। এরপরে তৃনমূলের ৩ কাউন্সিলার বিজেপির পুর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গত ১৯ ডিসেম্বর অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। ইতিমধ্যেই পুর চেয়ারম্যান বৈঠকের মাধ্যমে জানিয়েছেন - আগামী ২০ জানুয়ারি অনাস্থা প্রস্তাব বৈঠক আনা হবে। তড়িঘড়ি তৃনমূল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় ১৯-০ ব্যবধানে দখল নিয়েছিল ভাটপাড়া পুরসভা।একই দিনে বিজেপির কাউন্সিলাররা এই অনাস্থা ভোটের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন । তাতে কলকাতা হাইকোর্ট এই অনাস্থা মামলায় জানিয়ে দেয় ভাটপাড়ার অনাস্থা ভোট বে আইনী। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে শুক্রবার সকাল দশটা নাগাদ সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের প্রতিলিপি ছাড়াই আপিল এবং পাল্টা মামলার পিটিশন দাখিল হয়। সেখানে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয় -' কিসের ভিক্তিতে জরুরি শুনানি? রায়ের প্রতিলিপি ছাড়া এই আবেদন গ্রাহ্য নয় '। সেইসাথে আগামী সোমবার সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের প্রতিলিপি নিয়ে পিটিশন দাখিল করার পরামর্শ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। যেভাবে দ্রুত শুনানির আর্জি রাখা হয়েছিল, তা নিয়েও মৃদু সমালোচিত হয় তৃনমূল শিবির।
শুক্রবার, জানুয়ারী ০৩, ২০২০
ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থার বিরুদ্ধে আপিল করার পথে শাসক শিবির
মোল্লা জসিমউদ্দিন
বৃহস্পতিবার কলকাতার হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিনহার এজলাসে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা বিষয়ক মামলাটি উঠে। দফায় দফায় বাদী-বিবাদী পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বিচারপতি আজকের অনাস্থা ভোট টি বাতিল করে দেন। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ - 'গত ডিসেম্বর মাসের তৃনমূলের তিনজন কাউন্সিলারের অনাস্থা প্রস্তাব টি অবৈধ।তাই আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় যে ভোটাভুটি হয়েছে ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। সেটি অবৈধ '।গত ১৯ ডিসেম্বর পুর চেয়ারম্যান আগামী ২০ জানুয়ারি যে অনাস্থাপ্রস্তাব বৈঠক পাশ করেছেন, সেটি বৈধ বলে জানিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও সংবাদমাধ্যম কে এক সাক্ষাতকারে উত্তর ২৪ পরগণার তৃণমূলের দলীয় পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন - " পুর আইন মেনে বৃহস্পতিবারের ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা টি হয়েছে। তাই হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করা হবে"। সম্ভবত শুক্রবার কিংবা সোমবার বলে জানিয়েছেন তিনি। অপরদিকে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং সংবাদমাধ্যম কে বলেন - "ভাটপাড়ার বেশিরভাগ কাউন্সিলার কে গান পয়েন্টে রেখে অনাস্থা চালিয়েছে তৃণমূল। ওরা পুলিশ প্রশাসন কে কাজে লাগিয়ে বেআইনী পদক্ষেপ নিয়েছিল। তা মহামান্য আদালত খারিজ করেছে"। তিনি সম্প্রতি ভাটপাড়ার এক কো অপারেটিভ ব্যাংকে চেয়ারম্যান পদে রাজ্য সরকারের অপসারণ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়েরও উল্লেখ করেছেন। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় ১৯-০ ব্যবধানে ভাটপাড়া পুরসভার দখল নেয় তৃনমূল। এই অনাস্থা ভোটে বিজেপি গড়হাজির ছিল।একদিকে যেমন ভাটপাড়ায় অনাস্থা ভোট চলছিল, ঠিক তখনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিনহার এজলাসে এই অনাস্থা ভোট নিয়ে দুপক্ষের আইনজীবীদের সওয়াল জবাব চলে। বেলা শেষে হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় - 'তৃনমূলের তিন কাউন্সিলারের অনাস্থা প্রস্তাব টি অবৈধ। তাই আজকের চেয়ারম্যান অপসারণের ভোটাভুটি বেআইনী। সেইসাথে খারিজ হল অনাস্থা টি'। পুরআইন মেনে চলতে হবে বলেও আদেশনামায় উল্লেখ রয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ এপ্রিল একদা পুর চেয়ারম্যান অর্জুন সিং কে ২২-১১ ব্যবধানে পরাজিত করে তৃনমূল। অর্জুন সিং এর তৃনমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করাতে এই রাজনৈতিক পরিণতি বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করে।লোকসভা ভোটে বাংলায় অভাবনীয় সাফল্য পেয়ে সাংসদ অর্জুন সিং তাঁর ভাইপো সৌরভ সিংহ কে পুর চেয়ারম্যান পদে বসান। এরপরে তৃনমূলের ৩ কাউন্সিলার বিজেপির পুর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গত ১৯ ডিসেম্বর অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। ইতিমধ্যেই পুর চেয়ারম্যান বৈঠকের মাধ্যমে জানিয়েছেন - আগামী ২০ জানুয়ারি অনাস্থা প্রস্তাব বৈঠক আনা হবে। তড়িঘড়ি তৃনমূল আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় ১৯-০ ব্যবধানে দখল নেয় ভাটপাড়া পুরসভা।একই দিনে বিজেপির কাউন্সিলাররা এই অনাস্থা ভোটের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন । তাতে কলকাতা হাইকোর্ট এই অনাস্থা মামলায় জানিয়ে দেয় ভাটপাড়ার আজকের অনাস্থা ভোট বে আইনী। তবে হাল ছাড়েনি এই রাজ্যের শাসকদল। খাদ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন - এই মামলার রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করা হবে।
বার কাউন্সিলের কাছে অসুস্থ আইনজীবীর পাশে দাঁড়ানোর আর্জি
দীর্ঘ ৩৫ টা বছর জেলা আদালতে দাপটের সাথে আইনজীবী হিসাবে কাজ করে গেছেন। বছর ৫ হলো শারীরিক অসুস্থতায় কর্মস্থল হাওড়া আদালতে পা পড়েনি। কেননা তিনি নানান শারীরিক রোগে আক্রান্ত। একপ্রকার শয্যাশায়ী বলা যায়। হ্যা হাওড়া জেলা আদালতে আইনজীবী বরুণ দে সরকার হার্ট সহ রক্তের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ঘরবন্দী এখন। আইনী পেশার বাইরে দীর্ঘদিন চলে যাওয়ায় সাংসারিক খরচ আসে না। চিকিৎসার পেছনে অনেক অর্থকড়ি চলে গেছে। বিকল্প আয়ের সূযোগ নেই, তাছাড়া একদা 'বুনিয়াদিয়ানা' থাকলেও আর্থিক হালে বেহাল তাঁর পরিবার।দাবি, বারবার 'বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল' কে লিখিত জানিয়ে আর্থিক সহযোগিতা পাননি তিনি। যদিও বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রতিনিধি আনসার মন্ডল জানান - "আমাদের কে মেডিক্যাল বিল সহ আবেদন করলে, তা আমরা কর্মসমিতির বৈঠক করে সাধ্যমতো পাশে থাকার চেষ্টা করবো"। গত মঙ্গলবার বিকেলে সতীর্থ আইনজীবী বন্ধুরা গিয়েছিলেন বরুণ বাবুর হাওড়ার বাড়িতে। সিটি সেশন কোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী অলোক কুমার দাস বলেন - " আমরা আমাদের মত পাশে থাকি, তবে বার কাউন্সিল পাশে দাঁড়ালে খুব ভালো হত"। এলাকা সুত্রে প্রকাশ, অভিজাত পরিবারের সন্তান বরুণ দে সরকার হাওড়া জেলা আদালতে সিভিল ও ক্রিমিনাল বিভাগে প্রায় ৩৫ বছর দাপিয়ে আইনজীবী হিসাবে কাজ করে গেছেন। ২০১৪ সালের পর শারীরিক অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় আর আদালত মুখি নেই বললেই চলে। এই পরিবারের মূলত আয় আসত আইনী পেশা থেকে। সেটি প্রায় ৫ বছর বন্ধ থাকায় জমানো অর্থ চিকিৎসার পেছনে খরচ হয়েছে। সেইসাথে সাংসারিক খরচ তো আছেই। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে একপ্রকার চরম আর্থিক দুর্দশায় রয়েছে বরুণ বাবুর পরিবার। তাই বার কাউন্সিল অন্ততঃ মেডিক্যাল খরচ বহন করুক, তা চাইছেন হাওড়া জেলা আদালত সহ কলকাতার বিভিন্ন আদালতের আইনজীবীদের একাংশ। রাজ্য সরকার যদি এগিয়ে আসে এই আইনজীবী পরিবারের পাশে, তার থেকে ভালো কিছু হবেনা। তা মনে করছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ০২, ২০২০
মঙ্গলকোট কোনদিন ভূলবেনা রাজু ডাক্তার কে
মঙ্গলকোটের প্রখ্যাত চিকিৎসক রেজাউল করিম চৌধুরী ওরফে রাজু ডাক্তার (৫৯) মারা গেলেন। মঙ্গলবার রাত ৯ টা নাগাদ মঙ্গলকোটের নুতনহাট সংলগ্ন বড়বাজারে নিজ বাসভবনে শ্বাসজনিত কারণে মারা যান। বুধবার বেলা বারোটায় বড়বাজারের হোসেন শাহের মসজিদে তাঁর জানাযা সম্পন্ন হয়। হাজারের বেশি ব্যক্তি এই জানাযায় যোগ দেন। এরপর তাঁর মৃতদেহ পৈতৃক ভিটা পালিশগ্রামে দাফন করা হয়। মঙ্গলকোট ব্লক হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর অকাল মৃত্যুতে এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী, বিডিও মুস্তাক আহমেদ, ওসি মিঠুন ঘোষ, বিএমওএইচ ডঃ জুলফিকার আলি,ব্লক তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী প্রমুখ শোকপ্রকাশ করেছেন। যারা একদা মঙ্গলকোটে ওসি/বিডিও/বিএমওএইচ পদে কর্মরত ছিলেন সেইসব অফিসাররাও শোক প্রকাশ করেছেন। গরিব মানুষজনদের কাছে 'কাছের' ডাক্তার হিসাবে সুপরিচিত ছিলেন মঙ্গলকোট সহ সীমান্তবর্তী বীরভূমের নানুর থানা এলাকায়। গভীর রাতে কেউ অসুস্থ হলে নিজেই স্কুটার চালিয়ে হাজির হয়ে যেতেন রোগীর পরিবারের বাড়ীতে। তাঁর বাবাও ছিলেন অনুরূপ সুচিকিৎসক।তিনি কলকাতা হাইকোর্টের স্বনামধন্য সার্ভিস ম্যাটার সংক্রান্ত বর্ষীয়ান আইনজীবী এক্রামূল বারির নিকটাত্মীয়। এই চিকিৎসক কে ২০১৭ সালে ৩ রা মার্চ কুমুদ সাহিত্য মেলায় 'মঙ্গলকোট রত্ন' সম্মান জানানো হয়েছিল তাঁর চিকিৎসায় নিরবচ্ছিন্ন ভূমিকা পালন করার জন্য।
বুধবার, জানুয়ারী ০১, ২০২০
বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের মামলায় হাইকোর্টের দারস্থ মুকুল রায়
চলতি সপ্তাহে সম্ভবত ৩ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে তৃণমূল বিধায়ক খুনে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের আগাম জামিনের মামলায় শুনানি হতে পারে। নিহত বিধায়কের স্ত্রীর নিম্ন আদালতে পুনরায় তদন্তের আবেদন মঞ্জুর হওয়ায় মুকুল রায় তড়িঘড়ি কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন বলে প্রকাশ। ২০১৭ সালে নভেম্বর মাসের পর একদা তৃনমূলের 'চাণক্য' মুকুল রায় দলবদলের পর রাজনৈতিক আক্রোশে ২৫ টি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই ১২ টি মামলা আদালতের তরফে খারিজ হয়েছে। এইমুহূর্তে সরশুনায় রেলবোর্ড প্রতারণা মামলা, বড়বাজারে তোলাবাজির মামলার পাশাপাশি বীরভূমের লাভপুরের তিনভাই খুনের মামলার সাথে নদীয়ার তৃনমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে নাম জড়িয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়ের। প্রায় মামলায় আইনী রক্ষাকবচ মিললেও নদীয়ার বিধায়ক খুনে আইনী রক্ষাকবচ মিলেনি। উল্লেখ্য, এই খুনের মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি নিম্ন আদালতে দ্বিতীয় পয্যায়ে পুনরায় তদন্তের আবেদন করলেও তা মঞ্জুর হয়নি। সেসময় অভিযুক্ত মুকুল রায় কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হলেও তা খারিজ হয়। কেননা নিম্ন আদালতে সিআইডির আবেদন টি খারিজ হয় বলে। তবে সম্প্রতি নিহত বিধায়কের স্ত্রী দিপালী বিশ্বাস নিম্ন আদালতে সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে পুনরায় তদন্তের আর্জি রাখেন। তাতে সংশ্লিষ্ট এজলাসের বিচারক সেই আর্জি মঞ্জুর করায়, মুকুল রায়ের গ্রেপ্তারির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই তড়িঘড়ি কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন রাখেন টি মুকুল রায়। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজার দিন সন্ধেবেলায় নদীয়ার হাঁসখালি এলাকায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। এই খুনে সুজিত মন্ডল এবং কার্তিক মন্ডল নামে দুজন এলাকাবাসী গ্রেপ্তার হয়। এই দুজন ছাড়াও নদীয়ার বিজেপির জেলা সভাপতি জগন্নাথ সরকার এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়ের নাম জড়ায় মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে। এই খুনে পুলিশি নিস্ক্রিয়তার জন্য তৎকালীন ওসি অনিন্দ বসু সাময়িক বরখাস্ত হন। সেইসাথে নিহত বিধায়কের দেহরক্ষীও বরখাস্ত হন। বর্তমানে এই দুই পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে।খুনের দিন নিহতের বিধায়কের সাথে দেহরক্ষী ছিলেন না। কেননা সেসময় ছুটিতে ছিলেন দেহরক্ষী। কেন দেহরক্ষীর ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছিল। তাও পুলিশের বিভাগীয় তদন্তে বারবার উঠে এসেছে। এই খুনের মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি নিম্ন আদালতে চার্জশিট দাখিল করে থাকে। এরপর দ্বিতীয় পয্যায়ে পুনরায় তদন্তের পিটিশন জানায় সংশ্লিষ্ট এজলাসে। সেসময় সেই পিটিশন খারিজ হয়। সম্প্রতি নিহতের স্ত্রী নিম্ন আদালতে পুনরায় তদন্তের আবেদন রাখেন। তাতে সেই আবেদন মঞ্জুর হয়। আর এতেই সিঁদুরে কালো মেঘ দেখে মুকুল শিবির। সেজন্য আগাম জামিন পেতে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন মুকুলের আইনজীবী। চলতি সপ্তাহে সম্ভবত ৩ জানুয়ারি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে।
মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
মারা গেলেন মঙ্গলকোটের রাজু ডাক্তার
মারা গেলেন মঙ্গলকোটের বিখ্যাত চিকিৎসক রেজাউল করিম চৌধুরী ওরফে রাজু ডাক্তার। মঙ্গলকোটের নুতনহাট (বড়বাজার) এলাকায় বাড়ি। মঙ্গলকোটের পাশাপাশি সীমান্তবর্তী বীরভূমের নানুর এলাকায় জনপ্রিয় চিকিৎসক ছিলেন তিনি। গরিবদের কাছে কোন ফি নিতেন না। মঙ্গলকোট ব্লক হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা করেছেন তিনি। তাঁর বাবাও ছিলেন সু চিকিৎসক। তিনি কলকাতা হাইকোর্টের স্বনামধন্য সার্ভিস ম্যাটার সংক্রান্ত আইনজীবী এক্রামূল বারির নিকটাত্মীয়। ২০১৭ সালে ৩ রা মার্চ এই চিকিৎসক কে আমরা কুমুদ সাহিত্য মেলায় 'মঙ্গলকোট রত্ন' সম্মান জানিয়েছি। আমার প্রয়াত বাবা ( বিচারক - মোল্লা নুরুল হোদার কাছের ব্যক্তি ছিলেন) । নানান স্মৃতি রইছে উনা কে ঘিরে। উনার আত্মার শান্তি কামনা করি।
রবিবার, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
পূর্ব বর্ধমানে আলু চাষে ক্ষতি এই আবহাওয়া
কুয়াশার দাপট সপ্তাহভর অব্যাহত থাকলেও গত বৃহস্পতিবার ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শস্যগোলা বর্ধমানে আলু চাষিদের বাড়িয়েছে দুশ্চিন্তা। নবি ধসার প্রকোপে পূর্ব বর্ধমানে ক্ষতিগ্রস্ত মাঠের পর মাঠ।গতবারে ৫২ হাজার হেক্টর কৃষি জমিতে আলু চাষাবাদ হয়েছিল। এবার সেটা ৭০ হাজার হেক্টর জমি ছাড়িয়েছে আলু চাষে। আলু চাষের প্রথম পয্যায়ে বুলবুল ঝড়ে ক্ষতিগস্ত হলেও মাঠ থেকে আলু তোলার আগে এইরুপ দশদিন রোদবিহীন প্রতিকূল আবহাওয়া আলু চাষীদের দুশ্চিন্তা কে বাড়িয়েছে বহুগুন৷ গত দশদিন বেশিরভাগ সময়ই ছিল কুয়াশাময়। তার উপর গত বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত চলে অকাল বৃষ্টিপাত। এই বৃষ্টি আলুর নবি ধসা প্রকোপের মধ্যে ফেলেছে বলে কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন। দিনের প্রায় সময় রোদ না থাকায় এই প্রকোপ ক্রমশ বাড়বে। জানুয়ারি মাসে শেষের দিকে মাঠ থেকে আলু তোলার কাজ শুরু হয়ে থাকে। এখন যা পরিস্থিতি তাতে মাঠে আলুর পচনশীলতা বেড়েই যাবে, যদি এই প্রতিকূল আবহাওয়া উন্নত হয়। তাহলে ক্ষতির পরিমাণ কমতে পারে। বিভিন্ন বাজারে আলুর দর কেজি প্রতি ২৫ টাকা। তাতে নুতন আলু ওঠা না অবধি দাম বাড়তে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কেননা এই মুহুর্তে বেশিরভাগ হিমঘরে মজুত পুরাতন আলু নেই বললেই চলে। এই রাজ্যের বেশিরভাগ আলু উৎপাদিত হয় পূর্ব বর্ধমান জেলায়। তাতে পূর্ব বর্ধমানে আলু চাষে ক্ষতি হলে তার রেশ পড়বে গোটা বাংলা জুড়ে। পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়, মেমারি, রায়না, খন্ডঘোষ, কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট, কাটোয়া, কালনা, পূর্বস্থলী,ভাতার প্রভৃতি থানা এলাকায় ব্যাপক হারে আলু চাষ হয়। গতবারে সারা জেলায় ৫২ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদ হয়েছিল। এবার সেটা ৭২ হাজার হেক্টরর মত। বুলবুল ঝড়ে সাময়িক ক্ষতি সহে এখন টানা দশদিনের প্রতিকূল আবহাওয়া সেইসাথে গত বৃহস্পতিবারের বৃষ্টি আলুচাষীদের দুশ্চিন্তা কে বাড়িয়েছে বহুগুণ। ঝলমলে রোদ না উঠলে এই ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। আলু চাষের পাশাপাশি সবজি চাষেও অনুরূপ বেহাল অবস্থা দেখা গেছে। ফুলকপি থেকে বেগুন সবেতেই পচনশীলতা দেখা যাচ্ছে। মঙ্গলকোটের অজয় নদের উপকূলে থাকা কোগ্রাম - সাগিরা - কূলে গ্রামগুলিতে সবজি চাষ নির্ভর চাষীদের মাথায় হাত। বিভিন্ন সবজি ফলনে এই গ্রাম গুলি সবজি রপ্তানি করে থাকে। সেখানে বেশিরভাগ মাঠে সবজির একাংশ পচে গেছে। এখন গ্রামীণ হাট গুলিতে যা বাজারদর পান চাষিরা, তাতে ফসল ফলানার খরচ উঠবে কিনা সন্দেহ। সবজি চাষিরা বেগুন কেজি প্রতি ৫ টাকায় বিক্রি করেন স্থানীয় আড়তদারের কাছে। যেটা কলকাতায় বিভিন্ন বাজারে বেগুনের কেজি ৫০ টাকার মত পৌঁছে যায় দশগুন বাজার মূল্যের একভাগ পান স্থানীয় চাষি। সেখানে প্রতিকূল আবহাওয়া যা, তাতে এই একভাগ আগামীতে মিলবে কিনা বোঝা মুস্কিল।
বিধান শিশু উদ্যানে বড়দিন মেলায় প্রবেশমূল্য নেই
প্রতি বছরের মতো এবছরেও কলকাতার হাডকো মোড় সংলগ্ন 'বিধান শিশু উদ্যান' চত্বরে সকাল থেকে কয়েকশো শিশু - কিশোরের কলকাকলিতে মুখরতি হল শিশু উদ্যান এলাকা । এইসব ক্ষুদেদের সাথে অবশ্যই ছিল তাদের বাবা মায়েরা। বড়দিন উৎসব উপলক্ষে উদ্যান জুড়ে উৎসবের আমেজ। গত ২৫ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে, চলবে ১ লা জানুয়ারী পর্যন্ত। অনেকেই বাড়ি থেকে তৈরি করা খাবার নিয়ে সবুজ ঘাসের ওপর শতরঞ্জি বিছিয়ে শীতের আমেজ উপভোগে ব্যস্ত। যাদের বাড়ির তৈরি খাবার নেই তাদের জন্য তো বিধান শিশু উদ্যান জুড়ে রয়েছে ফুচকা,ভেলপুরী, ঘুঘনি সহ হরেক রকমের খাবারের আয়োজন। এইসব উৎসবের দিনগুলি বিধান শিশু উদ্যান হয়ে ওঠে সাধারণ ঘরের মানুষদের সত্যিকারের বেড়ানোর জায়গা। এখানে নেই কোনো প্রবেশ মূল্য। সপরিবারে যেমন হাজার হাজার মানুষ আসেন, তেমনি আবার বিভিন্ন বয়সের বন্ধুরা সব দল বেঁধে এসে আড্ডায় মেতে থাকে। ছোটোরা দৌড়দৌড়ি করছে সারা মাঠ জুড়ে। কেউ খেলছে ক্রিকেট। আবার অন্য কেউ বা র্যাকেট। অনেকেই খেলার উপকরণ হাতি কিংবা সিংহের পিঠে চেপে বসে আছে। বাবা মায়েরা মোবাইলে ফটাফট ছবি তুলছেন।দিচ্ছেন ফেসবুক কিংবা হোয়াটস অ্যাপে আপডেট।
এতো গেল শুধু বিধান শিশু উদ্যানের চিত্র। কিন্তু এর পাশাপাশি চলছে বিধান শিশু উদ্যান পরিচালিত সারা রাজ্যজুড়ে ২০২০ সালের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্র ছাত্রীদের প্রস্তুতির হিসেবে বিএসইউ প্রয়াসের মক টেস্ট এর আয়োজন। এই মক টেস্ট চলবে ৩১ ডিসেম্বর পযর্ন্ত।এরপর ডাউট ক্লিয়ারিংয়ের ক্লাস শুরু হচ্ছে । এই মকটেস্টের পর্ব শেষ হতে হতেই এসে যাবে মহাকাশ প্রদর্শনী ইসরোর সহযোগিতায়। ভারতবর্ষে মহাকাশ গবেষণার জনক ড.বিক্রম আম্বালা সারাভাইয়ের জন্মশতবর্ষ উৎযাপনের অঙ্গ হিসাবে বিধান শিশু উদ্যানে এই প্রদর্শনীর অন্য গুরুত্ব রয়েছে। আর অন্যান্য বছরের মতো প্রদর্শনীর পাশাপাশি চলবে কুইজ,বিতর্ক এবং তাৎক্ষণিক বক্তৃতার প্রতিযোগিতা। অংশগ্রহণ করবে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীরা।২২ থেকে ২৪ জানুয়ারি চলবে এই আয়োজন। অবশ্যই থাকবে মডেল তৈরীর প্রতিযোগিতা। থাকছেই প্রতি বিভাগে প্রথম হওয়া ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষক শিক্ষিকাসহ নিঃখরচায় শিক্ষামূলক ভ্রমনের ব্যাবস্থা।উল্লেখ্য, বাংলার রুপকার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পরিচিত বিধান চন্দ্র রায় স্মরণে তাঁর একদা ডানহাত সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতা তথা কাঁনাদাদু খ্যাত অতুল্য ঘোষ এই বিধান শিশু উদ্যোন টি গড়েন। মূলত শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য। এখানে ছবি আঁকা, সাঁতার শেখা থেকে বৃত্তিমূলক পরীক্ষার আয়োজন থাকে। নামমাত্র খরচে এই বিপুল কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে বিধান শিশু উদ্যান সংস্থাটি। এই সংস্থার সম্পাদক গৌতম তালুকদার জানান - "বড়দিন উপলক্ষে ক্ষুদেদের বিনোদনের সমস্ত উপকরণ রয়েছে এই শিশু উদ্যানে, কোন প্রবেশমূল্য নেই "।
এতো গেল শুধু বিধান শিশু উদ্যানের চিত্র। কিন্তু এর পাশাপাশি চলছে বিধান শিশু উদ্যান পরিচালিত সারা রাজ্যজুড়ে ২০২০ সালের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্র ছাত্রীদের প্রস্তুতির হিসেবে বিএসইউ প্রয়াসের মক টেস্ট এর আয়োজন। এই মক টেস্ট চলবে ৩১ ডিসেম্বর পযর্ন্ত।এরপর ডাউট ক্লিয়ারিংয়ের ক্লাস শুরু হচ্ছে । এই মকটেস্টের পর্ব শেষ হতে হতেই এসে যাবে মহাকাশ প্রদর্শনী ইসরোর সহযোগিতায়। ভারতবর্ষে মহাকাশ গবেষণার জনক ড.বিক্রম আম্বালা সারাভাইয়ের জন্মশতবর্ষ উৎযাপনের অঙ্গ হিসাবে বিধান শিশু উদ্যানে এই প্রদর্শনীর অন্য গুরুত্ব রয়েছে। আর অন্যান্য বছরের মতো প্রদর্শনীর পাশাপাশি চলবে কুইজ,বিতর্ক এবং তাৎক্ষণিক বক্তৃতার প্রতিযোগিতা। অংশগ্রহণ করবে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীরা।২২ থেকে ২৪ জানুয়ারি চলবে এই আয়োজন। অবশ্যই থাকবে মডেল তৈরীর প্রতিযোগিতা। থাকছেই প্রতি বিভাগে প্রথম হওয়া ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষক শিক্ষিকাসহ নিঃখরচায় শিক্ষামূলক ভ্রমনের ব্যাবস্থা।উল্লেখ্য, বাংলার রুপকার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পরিচিত বিধান চন্দ্র রায় স্মরণে তাঁর একদা ডানহাত সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতা তথা কাঁনাদাদু খ্যাত অতুল্য ঘোষ এই বিধান শিশু উদ্যোন টি গড়েন। মূলত শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য। এখানে ছবি আঁকা, সাঁতার শেখা থেকে বৃত্তিমূলক পরীক্ষার আয়োজন থাকে। নামমাত্র খরচে এই বিপুল কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে বিধান শিশু উদ্যান সংস্থাটি। এই সংস্থার সম্পাদক গৌতম তালুকদার জানান - "বড়দিন উপলক্ষে ক্ষুদেদের বিনোদনের সমস্ত উপকরণ রয়েছে এই শিশু উদ্যানে, কোন প্রবেশমূল্য নেই "।
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
হাড়োয়ায় মহাসমারোহে পালিত হল উলগুলান
হাড়োয়ায় উলগুলান দিবস পালন
নিজস্ব প্রতিনিধি,
বুধবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাড়োয়া মাঝেরাইট এলাকায় (রাখাল পল্লী) পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী চেতনা সমিতি ও সংগ্রামী আদিবাসী মঞ্চের যৌথ উদ্যোগে মহান উলগুলান দিবস উদযাপিত হয়। বর্তমান সময়ে দেশের আদিবাসী দলিত ও সংখ্যালঘু মুসলিমদের অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়।।উপস্থিত প্রগ্রেসিভ ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের রাজ্য সভাপতি সিয়ামত আলী বলেন - "দেশের সংখ্যালঘুদের সাথে সাথে আদিবাসীরাও সাংবিধানিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গাতে মব লিঞ্চিং এর শিকার হতে হয়েছে এই সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষদের কে। বর্তমান দেশের যে অস্থিরতা পরিবেশ তৈরি হয়েছে তা বেশ কয়েক বছর ধরেই পাওয়া যাচ্ছিল। মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে অসহিষ্ণুতার মধ্য দিয়ে হিংসা ছড়িয়ে বিভেদ তৈরি করা। যা দেশের ঐতিহ্যের বিপরীত। আমাদের দেশ বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য এভাবেই আমরা চলতে শিখেছি"।পীরজাদা জনাব মহিবুল্লাহ হোসাইনী বলেন - "১৯১৯ সালের ৯ জুন ইংরেজ কারাগারে বিষ প্রয়োগ করে বিরসা মুন্ডা কে মেরে ফেললেও তার উলগুলান আজও চলছে শুধুই ভারতবর্ষে নয় বিশ্বের দেশে দেশে মহাবিপ্লবী বিরসা মুন্ডা তার মতোই বেঁচে আছেন এবং চিরকাল বেঁচে থাকবেন বিশ্বের সংগ্রামী মানুষের মনের মনিকোঠা "। পি ওয়াই এফ এর রাজ্য সম্পাদক শিক্ষাবিদ জাকির হোসেন তিনি আদিবাসীদের ধর্ম সারনা অর্থাৎ প্রকৃতি পূজারী সম্বন্ধে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করলেন এবং বর্তমান দেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপি সরকারের তুলোধোনা করলেন। সংগ্রামী আদিবাসী মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক শিক্ষক সুবোল সরদার বলেন -" বিরসা মুন্ডা উলগুলান অনেক কিছু জ্বালাতে চেয়েছিলেন' উলগুলান এর আগুনে জঙ্গল জ্বলেনা শোষিত-বঞ্চিত মানুষের হৃদয় আর রক্ত জ্বলে"। এই সভায় এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী আখের আলী বৈদ্য, দেবু সরদার, সুকুমার সরদার, মৃত্যুঞ্জয় কুন্ডু, গণেশ সরদার, শুকদেব দাস প্রমুখ।
অন্যরকম বড়দিন পালনে মেমারি ফুড ক্লাব
সেখ সামসুদ্দিন
আমীর - মধ্যবিত্ত বাড়িতে যেখানে বড় দিনে বড় বড় কেক কেটে আনন্দ করে, সেখানে দুঃস্থ পরিবারের বাচ্চাগুলো পারে না" এই চিন্তা নিয়েই রৌনক প্রামাণিক এবং স্বাগতা বোস দুই কলেজ পড়ুয়া গত দুই বছর ধরে ২৫শে ডিসেম্বর মেমারির পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলিতে গিয়ে বাচ্চাদের কেক চকলেট খাইয়ে আসেন। প্রচার বিমুখ মানসিকতা থাকলেও কিছু বেশি সংখ্যক বাচ্চাদের দেওয়ার জন্য "মেমারি ফুড ক্লাব" নামক ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করে সেখান থেকে ক্লাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় অর্থ অথবা সামগ্রী নিয়ে বাচ্চাদের মধ্যে তুলে দেন । আজ তারা ২০০ জনের অধিক বাচ্চাদের এই কেক চকলেট তুলে দেন । বাচ্চাদের মুখের হাসিই ওদের এই সামাজিক কাজের রসদ । আজকের প্রজন্মের স্যান্টাক্লজদের দেখে এলাকাবাসী খুশি তাই বেশকিছু মানুষও ওনাদের এই উদ্যোগে পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। উদ্যোগতারা জানিয়েছেন, এই কাজ প্রতি বছরই সাধ্যমত চালিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাবেন ।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
OLD POSTED
আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER
-
বাকুঁড়ার কোতলপুর ব্লক তৃনমূল কমিটির পরিচালনায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা হয়।উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্যামল সাতঁরা, সাংসদ সৌমিত্র খান, জেলা স...