শনিবার, এপ্রিল ০৪, ২০২০

যশ সাহিত্য পরিবার - শুভশ্রী চৌধুরী

যশ সাহিত্য পরিবার 

   শুভশ্রী চৌধুরী   (চতুর্থ শ্রেণী)
সবাইকে তুমি দিয়েছো সুযোগ 
তবে ছোট্ট বলে আমি কেন যাব বাদ।
আকাশে যেমন একটা সূর্য 
           তেমনি একটা চাঁদ।        কবিতা লেখাই আমার নেশা
কচিহাতে তাই লিখছি দুই এক কলি। 
যদি পরিবার অনুমতি দেয়
        তবে কবিতাটি বলি।
শোনো শোনাে কবিগণ
বলি এক গল্প ।
         এক যে ছিল রাজা 
তার রাগ যে ভারি অল্প ।
  বাসে ভালো তাকে সবাই
আট থেকে আশি ।
     তিনি সবার আগে 
ছুটে আসেন মাঝরাতে 
      উঠলে কারো কাশি ।
সকলকে ভালো বাসনে 
      আগলে রাখেন তিনি।
সবার থেকে মিষ্টি তিনি তাই দেখে লজ্জা পায় চিনি ।
আমি সেই যশ সাহিত্য পরিবারের 
      ছোট্ট এক সদস্য।
আমার লেখা পড়ে যেন করো না কেউ হাস্য।

শুক্রবার, এপ্রিল ০৩, ২০২০

৭০টি দিনমজুর পরিবারের পাশে দাঁড়ালো সরমস্তপুর যুব সংঘ

সেখ সামসুদ্দিন

  নোবেল করোনা ভাইরাস (COVID 19 ) এর তান্ডবে জেরবার যখন গোটা বিশ্ব, লক আউট এর জেরে সরকারী নির্দেশ মেনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখেই সরমস্তপুর যুব সংঘ ৭০ টি দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হলো অত‍্যাবশ্যক ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ( চাল, ডাল, আলু, আটা, মুড়ি, লবন, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার)। এছাড়াও কিছু মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয় এবং কিছু বয়স্ক মানুষের প্রেসার মাপা হয়। যাদের ঔষধ প্রদান করা হয় তাদের মধ‍্যে উল্লেখযোগ্য হল-
মঞ্জু রায়- প্রেসার সংক্রান্ত,
গীতা সিং- সুগার,
জাইনাব বেগম- সুগার ও প্রেসার, রামপদ রায়- হাঁপানি,
চন্দ্রশেখর পাল- হাঁপানি,
শিবানী হাজরা- সুগার,
মানিক সিং - সুগার,
ববি সিং - চর্ম সংক্রান্ত বলে জানান সরমস্তপুর সরমস্তপুর যুব সংঘের সদস‍্যবৃন্দ। এছাড়াও ৫ হাজার টাকা মুখ‍্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেওয়া হয়।

কবিতার নাম - নিশি

নিশি
   সংযুক্তা দাঁ

রাতগুলো নিশ্চুপে
  বলে কানে কানে।
নীরবের অবকাশে
    সাড়া দেয় মনে।।

 তারা যেথা ফুটফুটে
   জ্বেলে দেয় আলো।
রাত কহে  অভিমানে
     ঝরাই সে কালো।।
 
  আকাশের বাতি বুঝি
      মেঘ মাখে আদরে।
        বসন্তের রূপ ওঠে
        ঘুম স্যাঁকা চাদরে।।

এবার আলো জ্বালিয়ে করোনায় একতা দেখতে চান প্রধানমন্ত্রী

জুলফিকার আলি, 

  আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জী করনা ভাইরাস মোকাবিলায় জাতির উদ্দেশ্যে একটা ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। 5 th এপ্রিল রবিবার রাত 9 টায় বাড়ির সমস্ত আলো বন্ধ রেখে বাড়ির  দরজায়, বা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে এবং কেউ বাড়ির বাইরে না গিয়ে।নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রেখে মোমবাতি, প্রদীপ, টর্চ, বা মোবাইল এর ফ্লাস লাইট জালিয়ে 9 মিনিট এর জন্যে ভারত মাতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবো। এটার মূল উদ্দেশ্য হলো আমরা 130 কোটি ভারতবাসী জাতি বর্ণ ধর্ম নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধ আছি। আর আমরা কেউ ভয় পায় না। কেউ একা নয় আমরা সবাই সবার পাশে আছি। আমরা জিতবোই করোনা ভাইরাস কে হারাবোই। মানুষ এর জিত হবেই। এবং গোটা বিশ্বকে আমারাই দিশা দেখাবো। দয়া করে এখন কেউ রাজনৈতিক তরজা করবেন না।

করোনা সচেতনতায় প্রচারে পূর্বস্থলী প্রধান

শ্যামল রায়   
শুক্রবার ছিল লকডাউন এর ১২ তম দিন। এদিন করোনা ভাইরাস নিয়ে মানুষকে সতর্ক করার জন্য মাইক নিয়ে বের হয়েছিলেন পূর্বস্থলী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পঙ্কজ গাঙ্গুলী। তিনি প্রচার করতে গিয়ে জানিয়েছেন যে সবাইকে লকডাউন মেনে চলতে হবে যদি কেউ বিকেলে লকডাউন না মেনে বের হন তাহলে তাকে খুড়িয়ে খুড়িয়ে বাড়ি যেতে হবে এরকমটাই হুঁশিয়ার দিয়ে প্রচার সারলেন তিনি। প্রচারে জানিয়ে দিয়েছেন যে লকডাউন এ কোনোভাবেই ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না একমাত্র বিশেষ প্রয়োজনে বেরিয়ে আবার বাড়িতে ঢুকে যেতে হবে যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বিকেলে বের হন তাহলে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বাড়ি যেতেই হবে। কারণ করোনাভাইরাস হেটে হেটে তার নিজের বাড়িতে যাবে না বরং অন্যকেও করনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার থেকেই এই মারণব্যাধি ছড়িয়ে পড়তে পারে তাই সতর্ক তা দিয়ে মানুষকে সচেতন এবং সাবান দিয়ে হাত দেওয়ার কথা মাইকে প্রচার করছেন  গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বাজার এবং গ্রামে গ্রামে। কোন আড্ডা নয় কোন জমায়েত নয় দূরত্ব বজায় রেখে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে ঘরে থাকার আহ্বান জানান তিনি। ইতিমধ্যে জনবহুল এলাকা থেকে তার পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বাজার সরানো হয়েছে এবং বিভিন্ন মুদিখানার দোকান চত্বর গন্ডি।কেটে দেয়া হয়েছে যাতে মানুষ একসাথে না থাকতে পারে দূরত্ব বজায় রেখে জিনিসপত্র কেনার কথা বলা হয়েছে। এদিন পূর্বস্থলী রেল স্টেশন বাজারে মাইকে প্রচার করেছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান পঙ্কজ গাঙ্গুলী। তিনি লকডাউন মেনে চলার পক্ষে জোরালো ভাবে প্রচার করেছেন বরং কেউ বের হলে তাকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বাড়ি যেতে হবে এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
যদিও পঞ্চায়েত প্রধানের এইরকম প্রচারে অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে এলাকা সূত্রে খবর। অনেকেই বলছেন প্রধান সাহেব হুঁশিয়ারি না দিয়ে অন্য ভাবে আমাদের সর্তকতা করলে আমরা অনেকেই খুশি হতাম। তবে পূর্বস্থলী এলাকায় দেখা গিয়েছে বাজারসহ স্বাস্থ্যকেন্দ্র বিভিন্নস্থানে যুবকদের ভিড় লক্ষ্যণীয়।

মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে মেমারিতে খাদ্য সামগ্রী বিলি

সেখ সামসুদ্দিন
 

মেমারি ১ ও ২ ব্লক তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি কৌশিক মল্লিকের উদ‍্যোগে মেমারি পুরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে গরীব মানুষদের ৩ কেজি করে চাল, ৪ কেজি করে আলু, মুড়ি, বিস্কুট ও সাবান দেওয়া হয়। এখানে ৪০ জনকে খাদ‍্যদ্রব‍্য দেওয়া হয়। একইভাবে বিকালে জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সহভাপতি ও যুব সংগঠনের উদ‍্যোগে ৫ নং ওয়ার্ডেও একই খাদ‍্যদ্রব‍্য ১০৭ জনকে প্রদান করা হয়। গতকাল পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার সুপ্রিয় সামন্ত গরীব মানুষদের খাওয়ানোর পাশাপাশি ওয়ার্ডের গরীব মানুষদের চাল, আলু, মুড়ি, বিস্কুট, সাবান দেন। উনি দুশোজনের হাতে এই খাদ‍্যদ্রব‍্য তুলে দিয়ে বলেন লকডাউন যদি বাড়ানো হয় আবারও গরীব মানুষদের এইভাবে খাদ‍্যসম্ভার তুলে দেব। আজ ভাইস চেয়ারম্যান  ৫নং ওয়ার্ডের ১২ টি পরিবারকে খাদ‍্য সহায়তা  দেন। আজকের দুপুরের খাবারে মাংস ভাতের ব‍্যবস্থা করা হয়েছিল এবং সেখানেও দুশোজন খাবার খেয়েছে। এই কর্মসূচিতে ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক নার্গিস বেগম, তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি কৌশিক মল্লিক, সমাজসেবী শুভেন্দু গুহ, ছাত্র নেতা মুকেশ শর্মা, শিক্ষক ও সমাজসেবী সৌমিত্র সামন্ত সহ ওয়ার্ডের সদস‍্যবৃন্দ।

বর্ধমান লাইন্স ক্লাবের উদ্যোগে অভুক্তদের ডিমভাত

সুকান্ত ঘোষ

বর্ধমান শহরে লাইন্স ক্লাবের উদ্যোগে করোনায় অভুক্তদের খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয় এদিন। ক্লাবের তরফে আইনজীবী সঞ্জয় ঘোষ জানান - এহেন বিপদে আমরা সাধ্যমতো অভুক্তদের একবেলা আহারের আয়োজন করেছি              

করোনা পরীক্ষা করছেন হাঁসন বিধায়ক

তথাগত চক্রবর্তী, 
    সচেতনতা বাড়াতে  বিধায়ক  নিজেই ইম্ফেরেড থার্মোমিটার নিয়ে এলাকায়     মানুষ দেখলেই তাপমাত্রা পরীক্ষা করছেন বীরভূমের হাসনের বিধায়ক মিল্টন রসিদ।

সত্যজিৎ রায়ের সিনেমার নাম দিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন


  সত্যজিৎ রায় এর সিনেমার নাম দিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন।

করোনার ভয়ে *'অপুর সংসার'* তটস্থ। *'অপরাজিত'* থাকতে *'জলসাঘরে'* *'সীমাবদ্ধ'* থাকুন। বারবার *'ঘরে-বাইরে'* করলেই বিপদ। এমন কোনও *'পরশ পাথর'* বা *'দেবী'* নেই যা আপনাকে এই বিপদ থেকে বাঁচাবে, এমনকি *'জয় বাবা ফেলুনাথ'* বললেও কোনও *'নায়ক'* এগিয়ে আসবে না আপনাকে বাঁচাতে। এই বাজারে *'পোস্টমাস্টার'* ও বাড়িতে। সংসারে সুখের' *'সমাপ্তি'* ঘটিয়ে লাভ আছে? *'সদগতি'* করতেও কিন্তু কাউকে পাবেন না। করোনা নিঃশব্দ *"আগন্তুক"* এর মতো তার *"শাখা-প্রশাখা"* বিস্তার করেছে। এই *'জন অরণ্য'* তে করোনাকে হালকা *'প্রতিদ্বন্দ্বী'* হিসেবে নিলে ভুল করবেন। এখন *'পথের পাঁচালী'* গাইতে গাইতে *'সোনার কেল্লা'* বা' *'কাঞ্চনজঙ্ঘা'* না দেখতে যাওয়াই ভালো। *'সিকিম'* এর দিকটাতেও সমস্যা। এদিকে বাড়িতে থেকে থেকে ' *'চিড়িয়াখানা'* মনে হচ্ছে তো? কুছ পরোয়া নেহি, বাইরে বেরিয়ে লোকের ভিড়ে রোগ না ছড়িয়ে, *'গণশত্রু'* না হয়ে দুপুর বেলা *'হীরক রাজার দেশে'* বা *'গুপি গাইন বাঘা বাইন'* দেখুন। অকারণে *"অভিযান'* করতে গিয়ে রোগ বাঁধিয়ে সংসারে *'অশনি সংকেত'* ডেকে আনার মানে আছে মশাই? একটা কিছু ঘটে গেলে সংসারটাই
*'মণিহারা'* হয়ে যাবে যে। বরং এই কদিন *'অরণ্যের দিন রাত্রি'* কে ফুলে ফলে ভরে উঠতে দিন। আপনার
*'চারুলতা'* কে নিয়ে বাড়িতেই থাকুন। *'মহানগর'* এ ঘুরে না বেরিয়ে একটু ঘরে থেকে ধৈর্য্য ধরুন তবেই না বোঝা যাবে আপনি কত বড় *'শতরঞ্জ কে খিলাড়ি'*? এখানেই তো প্রমাণ হবে কে *'কাপুরুষ - মহাপুরুষ'*.

সংগৃহীত 

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের এড়াতে মেমারির ক্ষুদে বিজ্ঞানীর মাস্ক

সেখ জাহির আব্বাস


 মারণ  করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী মাস্ক আবিষ্কার স্কুল পড়ুয়া দিগন্তিকার, বিজ্ঞানী মহলে  আলোড়ন।।  নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষ করে মাস্ক নিয়ে যখন চলছে  কালোবাজারি।  ঠিক সেই সময় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী অভিনব এক মাস্ক বানিয়ে ফেলল পূর্ব বর্ধমানের  মেমারী বিদ্যাসাগরস্মৃতি বিদ্যামন্দির – শাখা ২ এর একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া দিগন্তিকা বোস। ইতিমধ্যেই তাঁর এই  মাস্ক  ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক কোভিড-১৯ সলিউশন চ্যালেঞ্জ এর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অপরদিকে ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বশাসিত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেশন ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানীরা কিভাবে দিগন্তিকার এই মাস্ক কাজ করছে তা খতিয়ে দেখা শুরু করছে। দিগন্তিকা এর পোশাকি নাম দিয়েছে 'Pure air provider and virus destroyer mask'। উল্লেখ্য, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে পরপর নতুন উদ্ভাবনের জন্য রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার জয় করেছে দিগন্তিকা। এই বছরেই দিগন্তিকা তৈরী করে দুর্ঘটনারোধে চালককে নিয়ন্ত্রণ করার যন্ত্র। 

পরিবার সূত্রে জানা গেছে,এর আগে দিগন্তিকা যে সমস্ত আবিষ্কার তথা নতুন উদ্ভাবন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সেগুলি হল – ১) সুন্দরবনে জীবিকার তাগিদে যাঁরা জঙ্গলে যান, তাঁদের ব্যবহারের জন্য বিশেষ চশমা, যা ব্যবহারে মাথা বা ঘাড় না ঘুরিয়েই পিছন দিকও দেখা যায়। ২) ডাষ্ট কালেক্টিং এটাচমেন্ট ফর ড্রিল মেশিন। এটি যেকোন হ্যান্ড ড্রিল মেশিনের সামনে সহজে যুক্ত করে ড্রিল বা ফুটো করলে কোন ধুলো উড়বেনা। ধুলো একটি চেম্বারে জমা হবে। আর এজন্য কোন অতিরিক্ত বিদ্যুত খরচও হবেনা। ড্রিল মেশিন এর কম্পন থেকেই শক্তি গ্ৰহণ করে এই কাজ করতে সক্ষম। ৩) স্মার্ট সার্ভিক্যাল কলার - বারনৌলির সূত্র কাজে লাগিয়ে বিশেষ কারিগরি পদ্ধতিতে তৈরি কলার সার্ভিক্যাল স্পন্ডিলাইটিস রোগী পড়লে তাঁর প্রচণ্ড ঘাম বা অস্বস্তি হবে না। বস্তুত, এই সমস্ত আবিষ্কারের পর চলতি সময়ে করোনা নিয়ে গোটা বিশ্ব জুড়ে আতঙ্ক আর মৃত্যু মিছিলের মাঝেই দিগন্তিকা এই বিশেষ মাস্ক তৈরী করায় রীতিমত হৈ চৈ শুরু হয়ে গেছে। এই মাস্কের জন্য খরচ পড়বে মাত্র ২০০ টাকা।
নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বঙ্গকন্যার নয়া আবিষ্কার, গবেষণায়  নতুন দিক খুলে দেবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীমহল। জানা গেছে,এই বিশেষ ধরনের মাস্ক, যা পরে প্রশ্বাস নিলে ধূলিকণা ও ভাইরাস মুক্ত বাতাস ফুসফুসে প্রবেশ করবে। অপরদিকে নভেল করোনা পজেটিভ কোনো ব্যক্তি পরলে তাঁর ত্যাগ করা নিঃশ্বাস ,হাঁচি , কাশি থেকে নির্গত ড্রপলেট এর মধ্যে থাকা করোনা ভাইরাস বা অন্য কোন ভাইরাসকে প্রতিনিয়ত নষ্ট করে দেবার ক্ষমতা রয়েছে এই মাস্কের। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা কমে যাবে। এই মাস্কের দুটি অংশ। প্রথম অংশে রয়েছে দুটি একমুখী ভাল্ব এবং দ্বিতীয় অংশে রয়েছে দুটি আধার। প্রথমে প্রশ্বাস গ্ৰহণের বাতাস থেকে ধূলিকণা, জলকণাকে আটকে দেয় ও ভাইরাসের লিপিড প্রোটিনকে ধ্বংস করে বিশুদ্ধ বাতাস একমুখী ভাল্বের মধ্যে দিয়ে মাস্কের ভিতর দিয়ে ফুসফুসে যায়। আবার নিঃশ্বাস ত্যাগ করার সময় অন্য একটি একমুখী ভাল্বের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আর একটি আধারের ভিতরে প্রবেশ করে।ফলে ঐ আধারের মধ্যে বিশেষ প্রযুক্তি সাহায্য মাত্র কয়েক সেকেন্ডে ভাইরাসের লিপিড প্রোটিনের স্তরটি ভেঙে দেয়।তখন ভাইরাসটি নষ্ট হয়ে গিয়ে আর সংক্রমণ ঘটানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তাই, নভেল করোনা পজেটিভ ব্যক্তি এই মাস্ক পরলে তার থেকে নির্গত ড্রপলেটে আর ভাইরাসের অস্তিত্ব থাকবে না। তবে  দিগন্তিকার বাবা সুদীপ্তবাবু জানিয়েছেন, যেহেতু এটি  এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।তাই এখন দিগন্তিকার এই আবিষ্কার সম্পর্কে প্রকাশ্যে বেশি কিছু জানতে জানাতে চাই না
           

বলগনায় তিনশো পরিবার কে খাদ্য সামগ্রী বিলিতে বৃহন্নলাদের

আমিরুল ইসলাম
  
বৃহস্পতিবার সকাল বেলায়   ভাতারের বলগোনা বাজারের বৃহন্নলাদের উদ্যোগে ৩০০টি  পরিবারকে দেওয়া হলো খাদ্য সামগ্রী।করোনা   মোকাবেলায় পুলিশ প্রশাসন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চালিয়ে যাচ্ছে জনজীবন কে ভালো করার  কাজ। পাশাপাশি যে সমস্ত মানুষ গৃহবন্দি রয়েছেন তাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছেন সরকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্লাব সংগঠন। আজ ভাতারের বলগোনা বাজারে রয়েছে ৮ জন বৃহন্নলা। তারা দারিদ্র্য মানুষের পাশে দাঁড়ালো।  আজ  ৩০০ টি পরিবারকে দিলেন খাদ্য সামগ্রী মানুষ।আলু - চাল - নুন - সাবান প্রভৃতি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিল সেখানে।      
বলগনা পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মোদক জানান - "সরকারিভাবে বিভিন্ন সাহায্য করা হচ্ছে দারিদ্র্য মানুষদের ।আজ আমাদের বলগোনা বাজারের এই বৃহন্নলা গুলি যে সাধারণ গরিব মানুষের পাশে এসে দাঁড়ালেন, সত্যিই আমরা অবাক হয়ে গেছি । উনারাও যে ভাল মনের মানুষ হয় তা আজ প্রমান দিলেন"।


সোমবার, মার্চ ৩০, ২০২০

দুস্থ শিশুদের গরুর দুধ বিলি মঙ্গলকোট পুলিশের

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 
  

শতাধিক ভবঘুরেদের নিয়মিত ডিমভাত খাওয়ানোর আয়োজন করার পর ফের মানবিক উদ্যোগ নিতে দেখা গেল মঙ্গলকোট থানার পুলিশ কে। শনিবার সকালে সদর মঙ্গলকোট এলাকার পঞ্চাশের বেশি শিশু - নাবালক পরিবারদের গড়ে এক লিটার করে গরুর দুধ দেওয়া হল। লকডাউনে কর্মহীন হওয়া এইরুপ প্রান্তিক পরিবার গুলির কাছে বাচ্ছাদের জন্য এক লিটার করে গরুর দুধ পাওয়া 'হাতের  কাছে চাঁদ পাওয়ার' সমান বিষয়। এদিন মঙ্গলকোট থানার পুলিশ অফিসাররা করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধিনিষেধ বজায় রেখে দুস্থ শিশুদের পরিবারের হাতে গরুর দুধ তুলে দেন।মঙ্গলকোট ওসি মিথুন ঘোষ জানিয়েছেন -" এদিন মাঝিপাড়া, বক্সিনগর, মঙ্গলকোট, পদিমপুর, বড়াগড়, মজলিদিঘির পাড় প্রভৃতি এলাকা থেকে পরিবার গুলি এসে দুধ সংগ্রহ করতে"।  জানা গেছে, এইরুপ দুুুধ  বিলি কর্মসূচি প্রায় নেওয়া হবে। অপরদিকে মঙ্গলকোটের নুতনহাটে কৃষাণমান্ডিতে এক স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ত্রিশ চল্লিশজনের দলবল নিয়ে নিয়মিত  বাজার করতে যাচ্ছেন, তাতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় বিধিনিষেধ  নিয়ে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন দেখা গেছে  ।                                     

রবিবার, মার্চ ২৯, ২০২০

ব্যাঙ্গালোরে আটকে এই রাজ্যের ২৪ জন বাসিন্দা

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 
 
চিকিৎসার জন্য দক্ষিণভারতে গত ১৭ মার্চ গিয়েছিলেন এই রাজ্যের ২৪ জন বাসিন্দা। তারা লকডাউনর জেরে ফিরতে পারেননি নিজ নিজ বাড়ী। সাউথ ব্যাঙ্গালোরের  বনসঙ্করি ফাস্ট ফেজ  ( কুমারস্বামী লে আউট, ৫০ ফুট রোড, পিন ৫৬০০৭৮)  এলাকায় অর্ধাহারে - অনাহারে দিন কাটছে তাদের। সাগর ইন্টার ন্যাশনাল, বাসবি প্রভৃতি হাসপাতালে কিডনি - হার্ট - গাইনি সংক্রান্ত চিকিৎসার জন্য এইসব রোগীরা এই রাজ্য ছেড়ে দক্ষিণভারত গিয়েছিলেন। পূর্ব বর্ধমান সহ দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগণা, হুগলি, হাওড়া,মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গত ১৭ মার্চ এরা গিয়েছিলেন সাউথ ব্যাঙ্গালোরে। মঙ্গলকোটের মাহাতুর্বা এলাকার লালচাঁদ মন্ডল ও টাপি দাস রয়েছে। আটকে পড়াদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা ( সোনালি দাস, লক্ষ্মীবালা দাস প্রমুখ)  গত সপ্তাহে সারাদেশ ধরে লকডাউন ঘোষনার মধ্যেই আটকে গেছেন। যেটুকু অর্থ ছিল এদের মধ্যে তাও লকডাউনে বাজারে চড়ামূল্যে খাবার দাবার কিনে এবং হোটেল ভাড়া দিয়ে শেষ হয়ে গেছে। এদের সাথে যোগাযোগকারী নাম্বার গুলি হল ৭০০১২৯৪৮৫৪, ৯৭৪২৪৩৬৪৭৩। প্রায় অনাহারে থাকা এইবিধ ২৪ জনের মানবিক আবেদন - "রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেন তাদের ব্যাঙ্গালোরে দুবেলা আহার সহ থাকবার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করেন "                                         




                                   

শনিবার, মার্চ ২৮, ২০২০

করোনার জেরে ভবঘুরেদের ডিমভাত খাওয়াচ্ছে গুসকারা পুলিশ

মোল্লা জসিমউদ্দিন
জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি,     

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায়   কখনো নিষ্ঠুর হয়ে লাঠি হাতে অপ্রয়োজনীয় ভিড় সামলাতে হচ্ছে,কখনো বা দুস্থদের দিকে বাড়িয়ে দিচ্ছে সহযোগিতার হাত। ঠিক এই দুই ভূমিকায়  দেখা গেল পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা বিট হাউসের পুলিশ আধিকারিকদের। রেলস্টেশনে জনা কুড়ি ভবঘুরে থাকে। ট্রেনে বা অন্য কোথাও ভিক্ষা করে ওরা কোনোরকমে দিন গুজরান করে। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা - ওরা রেলস্টেশন চত্বরেই পড়ে থাকে। লক ডাউনের কারণে ট্রেন সহ সমস্ত যানবাহন বন্ধ। ফলে ঐ মানুষগুলো চরম সমস্যায় পড়ে। এক সময় মনে হয় মানুষগুলো হয়তো না খেতে পেয়ে বা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে। খবর পেয়েই  বিট হাউসের পুলিশ গত ২৫ শে মার্চ ওদের উদ্ধার করে গুসকরা বালিকা বিদ্যালয়ে রাখার ও খাওয়ার ব্যবস্হা করে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় স্থানীয়  পৌর কর্তৃপক্ষ।ওদের দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতিকে। জানা গেছে,   প্রত্যেকদিন ওদের দু'বার টিফিন ও দু'বার ভাত দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে প্রোটিন জাতীয় খাবার হিসেবে ডিম থাকছে।ভবঘুরেদের বক্তব্য - "ট্রেন যখন বন্ধ হয়ে গেল তখন ভাবলাম না খেয়ে মরতে হবে। বারবার শুনছি ঘরের মধ্যে থাকতে হবে।নাহলে রোগে মরতে হবে। দুশ্চিন্তায়  মাথা খারাপের অবস্থা।তখনই পুলিশ বাবুরা আমাদের উদ্ধার করে আনে এবং থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্হা করে দেয়।ওদের প্রণাম"।
    বিট হাউসের ওসি অরুণ সোম বললেন - "খবর পেয়েই ঐ মানুষগুলোকে আমরা উদ্ধার করে আনি এবং থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করি।চোখের সামনে তো কোনো মানুষকে অসহায় ভাবে মরতে দেওয়া যায় না।এটা আমাদের সামাজিক দায়িত্ব। জেলা পুলিশ সুপার ও আউসগ্রাম থানার আই.সি সবসময় আমাদের পরামর্শ ও উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন।  পৌর কর্তৃপক্ষ এবং বালিকা বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতি  সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের কাজটা সহজ হচ্ছে"।তিনি আরও বললেন -  পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ওরা এখানেই থাকবে।
    একই কথা বললেন পৌরসভার কার্যকরী আধিকারিক আকলিমা খাতুনও ।এলাকায় যাতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে না পারে  তার জন্য সবাইকে তিনি সতর্ক থাকার অনুরোধ করেন।অন্য দিকে পরিচালন সমিতির সভাপতি কুশল মুখার্জ্জী বললেন - "পুলিশ আধিকারিকদের মানবিক রূপ দেখে আমরা গর্বিত।উদ্ধার করেই  দায়িত্ব শেষ করেননি,এলাকার আইন-শৃঙ্খলা বজায় রেখে উনারা দু'বেলা মানুষগুলোর খোঁজ নিয়ে যাচ্ছেন"। কুশল বাবু নিজেদের স্বার্থে পুলিশ প্রশাসনের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য এলাকার মানুষদের অনুরোধ করেন।

মঙ্গলকোটে কেনাকাটা চলছে দুরত্ব বজায় রেখে



সুকান্ত ঘোষ,  

দুরত্ব বজায় রেখে চলছে মঙ্গলকোটের বিভিন্ন বাজারে কেনাকাটা।  পুলিশ নিয়মিত টহলদিচ্ছে এহেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বলে জানিয়েছেন ওসি মিথুন ঘোষ।           

শুক্রবার, মার্চ ২৭, ২০২০

মঙ্গলকোট পুলিশের তরফে ভবঘুরেদের জন্য ডিমভাত



মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

মঙ্গলকোট থানার পুলিশের উদ্যোগে নুতনহাট, নিগন, কৈচর প্রভৃতি সড়কমোড়ে থাকা ভবঘুরেদের অন্নভোগের ব্যবস্থা করা হল। পুলিশের এহেন ভূমিকায় খুশি এলাকাবাসী। চলতি লকডাউনে ভবঘুরে সহ ভিক্ষুকেরা একপ্রকার অনাহারে দিন কাটাচ্ছিল বেশ কয়েকদিন ধরে। এদিন মঙ্গলকোট ওসি মিথুন ঘোষের নির্দেশে শতাধিক অসহায় ব্যক্তিদের ডিম সহ সবজিভাত খাওয়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় পুলিশের তরফে।                                 

করোনায় চিতার আগুন কিংবা কবরের মাটি

জীবন আর মৃত্যুর মাঝামাঝি করোনা ভাইরাস। 'জন্মিলে মরিতে হবে' এই চিরন্তন সত্য জানলেও আজ করোনা বীভৎসতার শেষ পয্যায়ে। এই ভাইরাসে মারা পড়লেও শেষকৃত্যের নির্মম ছবি আজ কঠিন বাস্তব। চিতার আগুন কিংবা কবরের মাটি নসিব হওয়ার চান্স নেই... 

তাই আবেদন 'ঘরে থাকুন' নিজে বাঁচুন, অপর কে বাঁচান। করোনা নামক যমদূত কে দূর করুন এই বিশ্ব থেকে। 

 মোল্লা জসিমউদ্দিন   ( সম্পাদক - বাংলার খবরাখবর নিউজ নেটওয়ার্ক)

মঙ্গলকোটে জুম্মা নামাজ আদায় হলো দুরত্ব বজায় রেখে

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  




সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মঙ্গলকোট ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ১৩৫ টি মসজিদে জুম্মা নামাজ আদায় হলো করোনা বিধিনিষেধ বজায় রেখে। মঙ্গলকোট ওসি মিথুন ঘোষ সদর মঙ্গলকোট - বড়বাজার সহ বিভিন্ন মসজিদের ইমাম সাহেবদের  দুরত্ব বজায় রেখে জুম্মা নামাজ আদায় করবার অনুরোধ রেখেছিলেন।            

বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৬, ২০২০

এগরার ব্যক্তির করোনা এলো বিয়ের ভোজে

জুলফিকার আলি

  পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বিদেশি আমন্ত্রিত-বেষ্টিত বিয়েবাড়ি থেকেই করোনা সংক্রমণ ৬৬ বছরের প্রৌঢ়ের

রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হলেন, নয়াবাদের ৬৬ বছর বয়সী প্রৌঢ়। গত ১৪ মার্চ এক পারিবারিক বিয়েবাড়িতে যোগ দিতে, কলকাতা থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরাতে এসেছিলেন ওই বৃদ্ধ। ওইদিনই রাত্রে তিনি জ্বর ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন।
এরপরই তাঁকে কলকাতায় নিয়ে এসে চিকিৎসা শুরু করা হয় এবং করোনা টেস্টের জন্য নমুনা পাঠানো হয়।
আজ সকালেই তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তিনি এখন কলকাতার পিয়ারলেস নার্সিংহোমের আইসিসিইউতে ভর্তি আছেন। ওই বৃদ্ধকে এইচআইভির ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এবং অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধপত্র প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে চিকিৎসকেরা জানালেন। চিকিৎসক ডাঃ অজয় সরকার জানালেন, বর্তমানে ওই ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট থাকলেও, অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল।
ওই ব্যক্তির পরিবারের চারজন সদস্যকেও কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, ১৪ মার্চ অনুষ্ঠিত এগরার বিয়ে বাড়িতে দু-চার'জন বিদেশি আমন্ত্রিতও ছিলেন। সম্ভবত সেখান থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এই মুহূর্তে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় খোঁজখবর শুরু করেছে, ওই বিদেশি ব্যক্তিদের সম্পর্কে এবং ওই বিয়ে বাড়িতে

লকডাউনে অসহায় দের পাশে দাঁড়াতে চলেছে 'সুসম্পর্ক '

সমাজের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন প্রত্যেকটি মানুষের কাছে 'সুসম্পর্ক' এর পক্ষ থেকে আবেদন আমরা গ্রহণ করতে চলেছি একটি অভিনব উদ্যোগ যেখানে লকডাউন এর ফলে বাজারের অত্যাধিক মূল্যবৃদ্ধির শিকার যে সকল অসহায় শিশু ও দরিদ্র মানুষ তাদের হাতে আমরা তুলে দেবো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার সামগ্রী।
আশাকরি আপনাদের প্রত্যেককে আমাদের পাশে পাব। আপনারা যদি সকলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে হয়তো হাসি ফুটবে সে সকল অসহায় শিশু ও দরিদ্র মানুষগুলোর মুখে যাদের এই অবস্থায় বেঁচে থাকা খুবই কষ্টকর হয়ে উঠছে।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER