মানস দাস, মালদা
আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জলের সাথে বেরিয়ে এলো ছোটো ছোটো কেঁচো । আর এই জল খাওয়ার পরই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে মানিকচক থানার বেশ কয়েকটি এলাকায় । ঘটনাটি ঘটে মানিকচক ব্লকের ধরমপুর গ্রামপঞ্চায়েত ঝাইটোনটোলা,কদমটোলা,সদাগরটোলা সহ আশেপাশের এলাকায়। আর্সেনিক জলের সমস্যা নতুন ঘটনা নয় মালদায় । মালদার বেশ কয়েকটি ব্লকে আর্সেনিক জলের সমস্যা রয়েছে । এই আর্সেনিক যুক্ত জল পান করে প্রাণও হারিয়েছেন মালদার বহু মানুষ । এই আর্সেনিক যুক্ত জল পান করে একই সাথে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন মানিকচক ব্লকের সেকপুরা গ্রামে । আর এই ঘটনার পর তৎকালীন বাম সরকার নড়েচড়ে বসেছিল । তার পরেই মানিকচক ব্লকের গঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকায় গড়ে তুলা হয়েছিল আর্সেনিক মুক্ত জলের প্লান্ট । আর এই আর্সেনিক মুক্ত জলের প্লান্ট থেকেই জল সরবরাহ করা হয় মালদার মানিকচক, ইংরেজবাজার , কালিয়াচক, রতুয়া ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় ।কিন্তু আর্সেনিক মুক্ত জল থেকে কেঁচো বেরোনোয় রীতি মত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে মানিকচকের বিস্তীর্ণ এলাকায় । আর এই জল পান করবেননা বলেই জানান এলাকার বাসিন্দারা ।
ঘটনা সম্পর্কে হেমা কর্মকার,তাপস সরকার ,রেখা পাল, সহ বেশ কিছু স্থানীয় বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন রবিবার সকালে গ্রামের সরকারি আর্সেনিক মুক্ত বিশুদ্ধ জলের নলে আমরা পানীয় জল আনতে যায় সেই সময় দেখি জলের সাথে কেঁচো জাতীয় ছোটো ছোটো জীবাণু বেড়িয়ে আস্তে থাকে। ঘটনা জানাজানি হয়েতেই এলাকায় আতঙ্কর সৃষ্টি হয় । তারা আরো অভিযোগ করে বলেন জলের পাইপ লাইন বেশ কয়েক জায়গায় ভাঙ্গা রেয়েছে। যার কারণে পানীয় জলেয় মধ্যে এই ধরনের জীবাণু ঢুকে পড়ছে ।আর এই জল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ। ফলে বেশকিছু দিন ধরে এলাকার সাধারণ মানুষ পেটের রোগ চর্ম রোগ সহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ছে । বারবার প্রশাসন কে জানিয়ে কোন লাভ হয়নি । আমাদের দাবি অবিলম্বে এলাকার সমস্ত পাইপ লাইন মেরামতি করে স্বচ্ছ আর্সেনিক মুক্ত জল সরবরাহ করুক প্রশাসন । প্রশাসন সূত্রে খবর এই ঘটনার খবর জানাজানি হতেই ওই সমস্ত এলাকার আর্সেনিক মুক্ত বিশুদ্ধ জল সরবাহ বন্ধ করা হেয়েছে ।
যদিও ঘটনা সম্পর্কে প্রশাসনের তরফ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ।