মানস দাস, মালদা
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিক্ষোভ চলছে। দশ দফা দাবিতে গতকাল বিকেল পাঁচটা থেকে পড়ুয়াদের আন্দ্রোলন শুরু হয়েছে। এখনও অনুপস্থিত উপাচার্য গোপালচন্দ্র মিশ্র। বুধবার উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।
গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই আধিকারিককে ঘেরাও করে রাখা হয়। রাত একটা নাগাদ তাঁদের উদ্ধার করে পুলিশ। ডেভেলপমেন্ট অফিসার ও অস্থায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রাজীব পুততুণ্ড ও অডিট অফিসার ও অস্থায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত ফিন্যান্স অফিসার বিনয়কৃষ্ণ হালদার। এই দুই কর্তাকে উদ্ধার করতে গতকাল রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে উপস্থিত হয় ইংরেজবাজার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ আধিকারিকরা আলোচনায় বসেন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে। কিন্তু নিজেদের দাবিতে অনড় পড়ুয়ারা পুলিশের কোনও কথা শুনতে চাননি। অবশেষে রাত ১টা নাগাদ দুই আধিকারিককে উদ্ধার করে পুলিশ। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির ফলপ্রকাশে দেরি, সার্টিফিকেট ফি কমানো, বন্ধ হয়ে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট দ্রুত চালু করা। এরকম ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে পড়ুয়ারা। দাবিগুলো আগেই উপাচার্যকে জানায় ছাত্ররা। কিন্তু উপাচার্য ১৪ দিন ধরে ছুটিতে আছেন বলে অভিযোগ। এতে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ সংকটের মুখে পড়ছে। গত সোমবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন শুরু হয়। এবার আন্দোলনের অভিমুখ পালটাতে শুরু করেছে। আজ উপাচার্য গোপালচন্দ্র মিশ্রের অপসারণ দাবি তোলা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ও খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও আবেদন জানিয়ে বার্তা পাঠানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। দাবি পূরণ না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।শিক্ষামহলের একাংশ মনে করছে, এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই দায়ী।