শনিবার, মার্চ ১৬, ২০১৯

অবাধ নির্বাচনে থানার সিসিটিভি ফুটেজ কার্যকরী হয়ে উঠবে


মোল্লা জসিমউদ্দিন ,

শুক্রবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ১০ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান নেমেছেন এবং ধাপে ধাপে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলার বুক । মূলত আসন্ন লোকসভায় ভোটারদের মধ্যে ভীতি কমাতে। সর্বপরি অবাধ এবং সুস্ট নির্বাচনের স্বার্থে এই পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের । প্রত্যেকবারের কেন্দ্রীয় বাহিনী স্থানীয়গত পরিচালনায় গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সংশ্লিষ্ট থানা। ইতিমধ্যেই রাজ্যসরকার পুলিশের মধ্যে আইসি / ওসিদের প্রায় বদলী করেছে। যারা একই মহকুমা এলাকায় তিন বছরের বেশি সময়কাল থেকেছেন তাদের কে বদলী করা হয়েছে জেলারই অন্য মহকুমার থানাগুলিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে । ভোটপর্ব শুরুতেই থানার কোথাও অতিসক্রিয়তা আবার কোথাও চরম নিস্ক্রিয়তা চোখে পড়ে। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে তপ্ত হয় রাজনীতির বলয়। অভিযোগ উঠে, খুনের মামলায় ওয়ারেন্ট আসামি দিব্যি ঘুরে বেড়ায়। আবার কোথাও জামিনযোগ্য ধারায় মামলায় অভিযুক্তদের পুলিশি সন্ত্রাসের মুখে পড়তে হয়। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে পৌঁছাতে পারে অল্প সংখ্যক ভুক্তভোগী। তবে কমিশন অত্যন্ত দ্রুততায় অভিযোগের রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেয়। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে, ভোটারদের বড় অংশ চাইছেন - জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিটি থানার সিসিটিভি ব্যবস্থা কতটা বাস্তব সম্মত তা ভোটের পূর্বে খতিয়ে দেখুক কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। একাধারে ভোটারদের মধ্যে পুলিশি সন্ত্রাস যেমন কমবে, ঠিক তেমনি কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিচালনার ক্ষেত্রে পরোক্ষভাবে সুবিধা পাবে কমিশন কর্তৃপক্ষ। তা মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যেখানে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলকারী নিয়ে পুরো ভিডিওগ্রাফি চাইছে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে । পূর্ব বর্ধমান জেলার বেশকিছু থানার ভূমিকা নিয়ে বরাবর বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে বিভিন্ন সময় । কখনো লকয়াপে মারধর , আবার কোথাও ডিউটি অফিসারের রুমে মানসিক হেনস্থা। এইবিধ নানান অভিযোগে তপ্ত হয়েছে পূর্বস্থলী থানা।এমনকি গাঁজার মত মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার জন্য বর্ধমান সদর আদালতে এসিজেম একদা বর্ধমান সদর থানার সিসিটিভি নিয়ে ভৎসনাও করেছেন। তাই অবাধ এবং সুস্ট নির্বাচনের স্বার্থে থানার সিসিটিভি নিয়ে বাস্তব সম্মত রিপোর্ট নিক কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তা চাইছেন গনতন্ত্র প্রেমী ভোটাররা। থানার সেন্ট্রি, ডিউটি অফিসার, হাজতখানা, সাব ইন্সপেক্টর রুম গুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকার নির্দেশিকা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভোটের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি নানান বিবাদে জড়াবে। সেখানে ঘটনা পরবর্তী তারা অভিযোগ নিয়ে সর্বপ্রথম থানায় পৌছাবে। অভিযোগপত্র গ্রহণ নিয়ে পুলিশের একাংশের ভূমিকা নিয়ে প্রায়শ প্রশ্ন উঠে। বিচারপ্রার্থীরা অনেক সময় অভিযোগই জানাতে পারেন না। পরবর্তী ক্ষেত্রে আদালতের কিংবা নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপে পুলিশ সক্রিয় হলেও অভিযোগকারী থানায় আসেননি বলে পুলিশ রিপোর্ট জমা পড়ে। তাই আসন্ন লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে থানার সিসিসিটিভি গুলি আদৌও চলে কিনা কিংবা রেকর্ডিং সিস্টেম ঠিকঠাক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখবার দাবি উঠেছে গনতন্ত্র প্রেমী ভোটারদের মধ্যে। এখন দেখার অবাধ এবং সুস্ট নির্বাচনের স্বার্থে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন থানার সিসিটিভি নিয়ে রিপোর্ট নেয় কিনা!

বুধবার, মার্চ ১৩, ২০১৯

বিনোদ বিহারি দেবনাথ আজ রাজনীতি তে এক সততার প্রতীক

মোল্লা জসিমউদ্দিন ,
দীপঙ্কর  চক্রবর্তী ,

"বর্তমান  রাজনীতিতে সততার খুবই অভাব,মানুষের সেবার জন্য রাজনীতি কদাচিৎ নেতা নেত্রীই করেন।হয়তো তরুন প্রজন্ম তাই রাজনীতির ধারে কাছে আসতে চায় না"।এইবিধ নানান অভিজ্ঞতার ঝুলি নিয়ে পঞ্চাশ বছর রাজনীতিতে কাটানো এক রাজনীতিবিদের উপসংহার এটি । একের পর এক দলবদল করে জেলা রাজনৈতিক মহলে বিতর্কিত থেকেছেন বরাবর।   পূর্বস্থলীর ৮৪ বছরের তেলিনিওপাড়ার বাসিন্দা বিনোদ বিহারী দেবনাথ মহাশয়ের রাজনৈতিক জীবন শুনলে অবাক লাগবে । ১৯৬২ সালে প্রথম রাজনীতি শুরু করেন প্রজা স্যোসালিষ্ট পার্টি(psp)তে।১৯৬৭ সালে পূর্বস্থলী  বিধানসভায় এই দলের হয়ে দাঁড়ান।এর পর ছয় বার বিধানসভায় দাঁড়িয়েছেন তিনি।কিন্তু মতানৈক্যের কারনে দল বদল করেছেন পাঁচ বার।দ্বিতীয়  দল সংযুক্ত স্যোসালিষ্ট পার্টি(ssp)।পরে এই দলটি জনতা দলের সাথে মিশে যায়।তৃতীয় দল  জনতা দল করেন।চতুর্থ দল  সমাজবাদী পার্টি।পঞ্চম দল স্যোসালিষ্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া।বর্তমানে এই দলেই তিনি এখনও রয়েছেন।এখনও তিনি দুই বর্ধমানের জেলা সভাপতি এবং রাজ্যের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট।পূর্বস্থলী বিধান সভায় ২০১৪ সালে তিনি শেষ বার দাড়িয়েছিলেন।প্রতি পঞ্চায়েত ভোটে সারা জেলার তার দলের টিকিটে প্রার্থী দাঁড় করাতেন।কোনবারের ভোটেই বিনোদ বাবু বা তার দলের পঞ্চায়েত প্রার্থীরা তেমন সারা জাগানো ভোট হয়তো পায় নি।তবুও এত বছরের রাজনীতিতে সাধারন মানুষের পাশেতাদের আপদে বিপদে ছিলেন।পূর্বস্হলীর বন্যার সময় বা অন্য কোন দূর্যোগে ভিন রাজ্য থেকে ত্রান,ওষধ,খাবার,পোষাক,ত্রিপল এনে ওই মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।বর্তমানে বার্ধক্য জনিত কারনে বিনোদ বাবু খুবই অসুস্হ।হাটা চলা বন্ধ।সবসময় বিছানায় শুয়ে থাকতে হয়।সোমবারও শুয়ে শয়েই বললেন তাঁর রাজনৈতিক জীবনের কথা।   বিশ্বরম্ভা বিদ্যাপীঠে ৩৪ বছর শিক্ষকতা করেছেন।১৯৬২ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত পূর্বস্হলীতে একটি সাপ্তাহিক কাগজ 'লোকবার্তা' পত্রিকা  চালিয়েছেন।বর্তমানে কাগজটি বন্ধ।এখন তিনি বিছানায় শুয়ে রাজনীতির জেলা,রাজ্য,কেন্দ্রের বিভিন্ন ঘটনা দেখেন।কিন্তু আর শরীর চলেনা, কোন মতামতও আর জানাতে পারেন না। তেমন কেউ আসেও না তার কাছে। তিনি বলে চলেন চন্দ্রশেখর,দাশরথী তা,কিরন্ময় নন্দ,লীলা রায়,সমর গুহ,সুনীল দাস,রমনী মোহন চক্রবর্তীর সাথে বিভিন্ন সময় একসাথে রাজনীতি করেছেন।আবার আদর্শে অমিলও হয়েছে কারো সাথে।এখন বিছানায় শুয়ে দীর্ঘ ৫০ বছরের রাজনীতি, ৩৪ বছরের শিক্ষকতা,আর সাংবাদিকতা জীবনের বিভিন্ন স্মৃতি রোমন্থন করে চলেছেন।কারন আর কিছু তার পক্ষে করা বা বলা সম্ভব নয়।বিনোদ বাবুর স্ত্রী নিলীমা দেবনাথ বলেন -  আমাদের দুই ছেলে,তারা বেকার।উনি এত বছর রাজনীতি

করেছেন, ভোটে দাঁড়য়েছেন।পঞ্চায়েত ভোটে  অন্য কর্মীদের দাঁড় করিয়েছেন।মাঝে মাঝে কর্মীদের আর্থিক সাহায্য, এই সব কিছু খরচ উনি নিজের টাকা খরচ করে গেছেন।এখন ওনার খুবই দূর্দশা চলছে শরীরে এবং আর্থিকভাবে  অসহায়ও।বর্তমান রাজনীতিতে নেতা নেত্রীদের বিপুল আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি মাঝেও বিনোদ বিহারি দেবনাথদের মত ব্যক্তিত্ব রাজনীতিতে সততার প্রতীক হয়ে দাঁড়ান সমাজের বুকে।         

মঙ্গলবার, মার্চ ১২, ২০১৯

পঞ্চায়েত ভোটে নিঃস্ব সিদ্দিকুল্লাহ কে কি লোকসভায় গুরত্ব দেবেন মমতা

মোল্লা  জসিমউদ্দিন ,

আজ বিকেলে তৃনমূল সুপ্রিমো রাজ্যের ৪২ টি আসনের প্রার্থীপদ ঘোষণা করতে চলেছেন। পুরাতনদের পাশাপাশি নুতন মুখদের পাওয়া যাবে সম্ভাব্য এই তালিকায়। যারা টিকিট পাবেন বলে আশা করে আছেন, অথচ পাবেন না প্রতীক। তাদের জন্য মন্ত্রীপদ সহ নানান লোভনীয় প্রস্তাব দেওয়ার কাজ চলছে বলে প্রকাশ। 'বাহুবলী' বিধায়ক অর্জুন সিং তাদের মধ্যে একজন। এইরূপ পরিস্থিতিতে মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর কোন নিকটাত্মীয় কে প্রার্থীপদ দিতে পারে তৃণমূল নেতৃত্ব। যেভাবে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নেত্রীর সবুজসংকেত থাকা সত্বেও কোন আসনে অনুগামীদের দাঁড় করাতে পারেননি সিদ্দিকুল্লাহ। তাতে তিনি মন্ত্রীসভার মাসিক পর্য্যালোচনা বৈঠক থেকে সচিবালয় না যাওয়া। এমনকি সরকারি নিরাপত্তারক্ষী ছেড়ে দিয়েছিলেন। তখনি নাকি নেত্রী সিদ্দিকুল্লাহ কে আসন্ন লোকসভায় ১ টি আসন দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন! এইরূপ কানাঘুষো আলোচনা শুনতে পাওয়া যায় বিধায়ক ঘনিষ্ঠ শিবির থেকে। এখন দেখার আদৌও নেত্রী কোন আসনে সিদ্দিকুল্লাহ মনোনীত ব্যক্তি কে টিকিট দেন কিনা? পুনরায় আবার কোন লোভনীয় প্রস্তাব ( ক্যাবিনেট মন্ত্রী) আসে কিনা লোকসভায় জমিয়ত উলেমা হিন্দ কে নামিয়ে.... জমিয়ত উলেমা হিন্দ এর একাংশ সিদ্দিকুল্লাহের এহেন আচরণে ক্ষুব্ধ বলেও জানা যায়। বিশেষত বিভিন্ন জেলা কমিটি গঠন করা নিয়ে মতানৈক্য ঘটেছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে ১০০ আসনে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী তাঁর পুরাতন দল পিডিসিআই তরফে দাঁড় করাবার প্রস্তুতি নিয়ে ছিলেন। নবান্ন অফিসে চা বিস্কুট খেয়ে মাত্র ২ টিতেই সন্তুষ্ট হন তিনি। এখন দেখার লোকসভায় তাঁর বরাতে জুটে কিনা কোন আসন। নাকি পঞ্চায়েত ভোটের মত শুন্য হাতে স্বতন্ত্র রাজনীতিতে নিঃস্ব হবেন তিনি ।

সোমবার, মার্চ ১১, ২০১৯

মাত্র ২৪ ঘন্টায় ৯০ টি মামলা ডিসপোজাল হল কালনা লোক আদালতে


 মোল্লা জসিমউদ্দিন , 

জমে থাকা পাহাড় সমান মামলার চাপ কমাতে সুপ্রিম কোর্ট 'জাতীয় লোক আদালত' পরিষেবা চালু করে থাকে। আগে মাসিক পর্যায়ে বিশিষ্ট স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ দের নিয়ে আদালতের বিচারকেরা আইনজীবীদের মাধ্যমে মামলার দ্রুত নিস্পত্তি করতেন। এখন সেটা ত্রৈমাসিক হিসাবে প্রতিটি আদালতের এজলাসে বসে জাতীয় লোক আদালত।  কাটোয়া এবং কালনা মহকুমা আদালতে গতকাল বসেছিল এই বিচার বিভাগের জনস্বার্থ প্রয়াসটি। কালনা মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক ( ফুল) শ্রী তপন কুমার মন্ডল মাত্র ২৪ ঘন্টাতেই ৭৩ টি মামলার নিস্পত্তি সারলেন।অপরদিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (ফাস্ট ট্রাক)  শ্রী রাজেশ চক্রবর্তী ১৭ টি মামলার নিস্পত্তি ঘটালেন। সেইসাথে ১ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা উঠে এলো বিভিন্ন মামলার বিশেষত ব্যাংক / অনুমোদিত ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গুলির অনাদায়ী বন্ধকী লোন থেকে। কালনা মহকুমা আদালতে 'আইনী পরিষেবা কেন্দ্র' এর মহকুমা সম্পাদক রঞ্জিত মজুমদার বলেন - "      জাতীয় লোক আদালতে মূলত ব্যাংক, বিদ্যুত, টাইটেল স্যুট, নন জিআর কেস গুলি দ্রুত নিস্পত্তি করা হয়।" জানা গেছে যেসব গ্রাহকেরা ব্যাংক অথবা ঋণ দেওয়া সংস্থা থেকে জমি /জায়গা /সোনা প্রভৃতি দেখিয়ে ঋণ নিয়েছিলেন। অথচ দীর্ঘদিন পরিশোধ করছেন না কিংবা সূদ দিতে পারছেন না। তাদের কে সাধ্যমতো আর্থিক পরিমাণ কমিয়ে সেইসব ঋণ গুলি ডিসপোজাল করা হয় জাতীয় লোক আদালতের মাধ্যমে। এছাড়া মহকুমার বিভিন্ন থানায় জুয়া, ছোটখাটো ঘটনা নিয়ে অর্থ্যাৎ নন জিআর (থানায় জামিন মেলে)  কেসগুলি নিস্পত্তি করা হয়  এখানে।   সিভিল আদালতে টাইটেল স্যুট মামলাগুলি বাদী ও বিবাদী পক্ষের উভয় সম্মতিতে মামলার নিস্পত্তি করেন জাতীয় লোক আদালতে বিচারকেরা।কালনা মহকুমা আদালতের এডিজে (ফুল) শ্রী তপন কুমার মন্ডল যেভাবে মাত্র একদিনে ৭৩ টি মামলার নিস্পত্তি সারলেন। তাতে আইনজীবীদের বড় অংশ তাঁর এহেন অবস্থানে খুব খুশি। কলকাতা হাইকোর্টে বর্ষীয়ান আইনজীবী আনসার মন্ডল মহাশয় বলেন - সুপ্রিম কোর্ট জাতীয় লোক আদালতের মাধ্যমে যে লক্ষমাত্রা নিয়ে মামলার পাহাড় কমাতে উদ্যোগী, তাতে কালনা মহকুমা আদালতের রায়দানে অবস্থান সেই লক্ষমাত্রা কে গতিশীল রাখলো বলা যায়।                                                                                                     

শনিবার, মার্চ ০৯, ২০১৯

লটারি কেড়ে নিলো ব্যবসায়ীর জীবন



মোল্লা জসিমউদ্দিন

মঙ্গলকোটের নুতনহাট শহরের প্রতিস্টিত কাঁসা ব্যবসায়ী লাট্টু সাধু (৪৭) এর মৃত্যু ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য পড়লো এলাকায়। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দুপুরে বিষ খান ওই ব্যবসায়ী। সাথেসাথেই  মঙ্গলকোট ব্লক হাসপাতালে আনা হয় চিকিৎসার জন্য। অবস্থার অবনতি হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান সদর হাসপাতালে। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। শুক্রবার হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত ঘটে। এলাকাসুত্রে জানা যায়, মঙ্গলকোটের নুতনহাটের 'জগবন্ধু স্মৃতি বাসনালয়' এর মালিক লাট্টু সাধু বিগত দুবছর ধরে লটারি খেলার নেশায় বুঁদ ছিলেন। প্রত্যেকদিন পাঁচ থেকে দশ হাজার টিকিট কাটতেন। লটারি বিক্রেতারাও এলাকার প্রতিস্টিত এই ব্যবসায়ী কে ধারে টিকিট দিতেন। অসমর্থিত সুত্রে প্রকাশ, বিভিন্ন জনদের কাছে চড়া সাপ্তাহিক সূদে কুড়ি লাখের উপর ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। প্রথম প্রথম ঠিকঠাক থাকলেও সাপ্তাহিক সূদ দিতে না পারায় মহাজনদের তাগাদায় পড়তেন ওই ব্যবসায়ী। লটারির নেশায় পড়ে নিজের কাঁঁসা পিতলের ব্যবসাও লাটে উঠে। ক্রমাগত মানসিক চাপে পড়ে গত মঙ্গলবার দুপুরে বিষ খায় এই ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার রাতে  মারা যায় সে। জানা যায়, মঙ্গলকোটের নুতনহাটে শতাধিক ব্যক্তি খুচরা লটারি বিক্রি করে। দশ লাখের উপর প্রত্যেকদিন বিক্রিও হয়। পুরস্কার হিসাবে এই এলাকায় ৫১ লক্ষ টাকা পেয়েছে এক এলাকাবাসী। 'জুয়ার নেশা সর্বনাশা'র মতনই লোভে পড়েন অনেকেই। এমনকি একমুহূর্তে মঙ্গলকোটের বেশ কিছু জায়গায় বুগিডুগি ড্যান্স সহ জুয়া খেলার মেলাও চলছে। লটারির মত জুয়ার নেশায় বিষ খেয়ে আত্মঘাতী ব্যবসায়ীর ঘটনাতেও চলছে মঙ্গলকোটে জুয়ার মেলা....                                                                                   

     

লাশ ফেলার এ কি খেলা মঙ্গলকোটে?

গত  শুক্রবার সকালে মঙ্গলকোটের কৈচর হল্ড স্টেশনে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির দেহ উদ্ধার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য পড়ে গোটা এলাকাজুড়ে। কেউ কেউ  ঘটনাটি  দুর্ঘটনা বললেও অনেকেই বলছেন এটি পরিকল্পিত খুন করে লাশ পাচার। যাতে স্থানীয় থানার পুলিশ ঝামেলায় না পড়ে, সেজন্য দেহটি করুই কৈচর সড়ক রুটে থাকা কাটোয়া বর্ধমান  রেললাইনে দেহটি ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অনেকেরই ধারণা  ।স্বভাবতই কাটোয়া থেকে জিআরপিএফ এবং আরপিএফ দেহটি উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। কাটোয়া রেলপুলিশের  ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জানিয়েছেন - একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে,  ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী তদন্ত চলবে।তাছাড়া বিভিন্ন থানা, জিআরপিএফ,আরপিএফ গুলিতে মৃত ব্যক্তির ছবি পাঠানো হবে।এলাকাসুত্রে জানা যায়,  শুক্রবার সাতসকালেই মঙ্গলকোটের কৈচর হল্ড স্টেশনে বছর পয়ত্রিশের এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। মুখের নাকের কাছে আঘাত ছাড়া দেহের কোন অংশে আঘাত নেই বললেই চলে। তাই এক্ষেত্রে রেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এটা নিশ্চিতভাবে  বলা যায় না। এই রেলরুটে সারাদিন রাতে  মাত্র চারটি লোকাল ট্রেন চলাচল করে থাকে। এক্সপ্রেস কিংবা মালগাড়ি এখনও চালু হয়নি।যদি চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হত, কিংবা রাস্তা পারাপারে মৃত্যু হত। তাতে চলন্ত ট্রেনের সহযাত্রী কিংবা রেললাইনের সামনে থাকা বাড়ীঘর মালিকদের প্রতক্ষদর্শী হিসাবে পাওয়া গেত। সর্বপরি রেললাইনে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি স্থানীয় হলে, তার পরিচয় সহজেই মিলতো। কিন্তু এক্ষেত্রে মেলেনি  । সেইসাথে দূরের ব্যক্তি হলে সাইকেল কিংবা মোটরসাইকেল  পড়ে থাকত ঘটনাস্থলে। এক্ষেত্রে কিছুই মিলেনি। তাই অনেকেই বলছেন, কৈচর বাসস্ট্যান্ডে নিয়মিত আসা পূর্বস্থলীর গড়গাছা - হামিদপুরের দুস্কৃতি দলের এই কান্ড হতে পারে।তদন্তের অভিমুখ ঘুরিয়ে দিতে রেললাইনে দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলকোট থানার অধিন এই এলাকা ভৌগোলিকভাবে পড়লেও নব নির্মিত রেললাইনে আইনশৃঙ্খলার কাজে কাটোয়া আরপিএফ এবং জিআরপিএফ পড়ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন - এই ঘটনাটি কে সাধারণ দুর্ঘটনা হিসাবে দেখলে ভবিষ্যতে আরও এভাবে লাশ ফেলে দেওয়ার প্রবনতা বাড়বে দুস্কৃতিদের। উল্লেখ্য পূর্বস্থলীর গড়গাছা হামিদপুর থেকে মঙ্গলকোটের কৈচর মোড় মাত্র পনেরো কিমির পথ। অতীতে সিপিএম নেতা ফাল্গুনী মুখার্জি খুন পরবর্তী মঙ্গলকোট উত্তপ্ত তে পূর্বস্থলীর ভাড়াটে দুস্কৃতিদের দৌরাত্ম ছিল। সিঙ্গির বটডাঙ্গা মোড় থেকে কৈচর সড়ক রুট টি কে সেফ করিডর হিসাবে ব্যবহার করতো তারা। এই রুটের মধ্যেই পড়ছে নব নির্মিত কাটোয়া থেকে বর্ধমানগামী রেলপথ। আর এই রেলপথেই উদ্ধার হলো অজ্ঞাত দেহ। তাই অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন,  লোকসভা নির্বাচনের আগে শুক্রবারের  লাশ উদ্ধারের ঘটনা উচ্চপর্যায়ে তদন্ত না হলে আগামীতে এই রেললাইন কেই লাশ ফেলে দেওয়ার নিরাপদ স্থান হিসাবে মনে করবে রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রিত ভাড়াটে দুস্কৃতিরা।                                                                                                                                   

শুক্রবার, মার্চ ০৮, ২০১৯

অজয় নদের বালি লুট হচ্ছে কোন সড়কপথে?

দক্ষিণ বঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে বালি ব্যবসায়ীদের কাছে মঙ্গলকোটের অজয় নদের বালির কদরই আলাদা। তাই রাজারহাট কিংবা নিউটাউন সব ইমারতি ব্যবসায়ীদের কাছে মঙ্গলকোট এলাকা ব্যবসায়ীক হিসাবে খুবই গুরত্বপূর্ণ। নামমাত্র এজেন্ট রেখে বিভিন্ন বালিঘাটের ইজারাদার হয়েছে কেউ কেউ। আবার দশ বিশটা ডাম্পার - লরি রেখে সবসময় ছুটছে বালির গাড়ি। অভিযোগ, এদের হাত অনেকদূর, নেতা - পুলিশ - মন্ত্রীদের একাংশকে সন্তুষ্ট রেখে বেপরোয়া চলে এই সিন্ডিকেট। তাই এরা অনেকসময় আইন কানুনের উধ্বে বলা যায় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ । মাঝেমধ্যে একটা - দুটো গাড়ী নরমাল কেস দিয়ে আবার পরে ছাড়াও পেয়ে যায় তারা। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে মঙ্গলকোটের বেশ কয়েকটি সড়ক রুট অত্যন্ত বেহাল হয়ে উঠেছে এই অতিরিক্ত বালি বোঝাই গাড়ি যাতায়াতের জন্য। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নুতনহাট থেকে মাথরুণ ৮ কিমি সড়কপথ।এই সড়ক রুটে দু চাকা থেকে চার চাকা ঘন্টায় কুড়ি কিমি গতিবেগে যাওয়াটাও দুস্কর হয়ে পড়ে । একপ্রকার প্রাণ সংশয় ঘটতেও পারে বেশি গতিবেগে গাড়ি চালালে । অথচ এই সড়ক পথে কাটোয়া থেকে গুসকারা রুটে শতাধিক যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে থাকে। বাস মালিকদের একাংশ জানাচ্ছেন - এই রুটে গাড়ী চালাতে গিয়ে তেল খরচ যেমন বেড়েছে। ঠিক তেমনি গাড়ীর যন্ত্রপাতি ভেঙ্গে যাচ্ছে। যারফলে বাস ব্যবসায় লাভের থেকে লোকসান বেশি হচ্ছে। জানা গেছে, মঙ্গলকোটের লোচনদাস সেতুর নিচে, পুরাতনহাট, বকুলিয়ার অজয় নদের দশের কাছাকাছি বালিঘাট থেকে প্রতিদিন হাজারের কাছাকাছি ডাম্পার - লরি বালি বোঝাই করে নুতনহাট থেকে কাটোয়া রুট ধরে মাথরুণ মোড় যাচ্ছে। আবার এখান থেকে কৈচর মোড় থেকে কম গুরত্বপূর্ণ ছোট রুটগুলি ধরে কাটোয়া থেকে কলকাতা যাওয়ার পুরাতন রুট ( মেমারি, পান্ডুয়া) ধরে বালির গাড়ি চলে যাচ্ছে রাজারহাট কিংবা নিউটাউন এলাকার ইমারতি ব্যবসাদারদের কাছে। অর্থাৎ মঙ্গলকোটের নুতনহাট থেকে কৈচর মোড় উঠে, এরপর সিঙ্গির বটডাঙ্গা মোড় কিংবা মন্তেশ্বরের চন্দ্রপুর মোড়ে উঠছে বালির গাড়িগুলি। দিনের বেলা অপেক্ষা রাত্রীবেলায় এই রুড়ে ছুটছে শয়ে শয়ে অজয় নদের বালিঘাট থেকে বালি বোঝাই গাড়ি। এরফলে সড়কের মূল পিচ উঠে গেছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। উচু নিচু খানা খন্দ তৈরি হয়েছে। মূলত অত্যাধিক বালি বোঝাই এর জন্য। অনেক সময় ভিজে বালি নিয়মিতভাবে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাস্তা পিছল হয়ে যায়। এবং রাস্তাগুলি আরও বিপদজনক হয়ে উঠে যানবাহন চালকদের কাছে।

সোমবার, মার্চ ০৪, ২০১৯

কোগ্রামে কুমুদ সাহিত্য রত্ন সম্মান পেয়ে আপ্লুত বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য

'বাড়ী আমার ভাঙন ধরা অজয় নদের বাঁকে, জল সেখানে সোহাগ করে স্থল কে ঘিরে রাখে "। এই কবিতার সাথে প্রত্যেকেই কম বেশি পরিচিত। হ্যা পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের বসতভিটায় কুমুদ সাহিত্য মেলা আয়োজিত হল রবিবার সারাদিনব্যাপি।এ বছর 'কুমুদ সাহিত্য রত্ন' সম্মান পেলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত  উপাচার্য তথা অধ্যাপিকা সবুজকলি সেন মহাশয়া। তিনি কুমুদ সাহিত্য মেলার মঞ্চে সম্মান পেয়ে আপ্লুত হয়ে বলেন - " এই মঙ্গলকোটের চাণকে আমার মামার বাড়ী, তাই পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের কাব্যিক দর্শন আজও আমায় অনুপ্রাণিত করে থাকে "। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে শান্তিনিকেতনে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্বভারতীর 'আচার্য' তথা প্রধানমন্ত্রী  নরেন্দ্র মোদী, 'দেশীকোত্তম' প্রাপক তথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনা কে এনে যে দুই দেশের বাংলা সাহিত্যের  মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। সেজন্য এবছর তাঁকে কুমুদ সাহিত্য রত্ন সম্মান দেওয়া হল বলে জানিয়েছেন কমিটির সম্পাদক মোল্লা জসিমউদ্দিন।ভূমিপুত্র বৈষ্ণব কবি লোচনদাস স্মরণে 'লোচনদাস রত্ন' সম্মান জানানো হয় বাউল স্বপন দত্ত মহাশয় কে। বর্ধমান বইমেলার প্রতিস্টাতা সমীরণ চৌধুরী স্মরণে 'সমীরণ রত্ন' সম্মান জানানো হয় গাছ মাস্টার খ্যাত শিক্ষক অরুপ কুমার চৌধুরী মহাশয় কে। তিনি স্কুলে স্কুলে গাছ লাগিয়ে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষক হিসাবে সম্মান পেয়েছেন। আজ তিনি কবির বসতভিটায় এক চারাগাছ রোপণ করেন। কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষক ও চিকিৎসক ডক্টর সৌমিক ঘোষ কে 'বর্ধমান রত্ন' সম্মান তুলে দেওয়া হয়। তিনি  সারাদেশে বয়স্ক ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে কাজ করে চলেছেন এবং সেইসাথে পেটের ক্যান্সার চিকিৎসায় সরকারী হাসপাতালে সুনাম অর্জন করেছেন। এদিন তিনি তাঁর পিতামহ তথা স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং বৃটিশ আমলের প্রথম গ্যাজুয়েট ডাক্তার  রুদ্রনাথ ঘোষ স্মরণে মাধ্যমিক ও উউচ্চমাধ্যমিক দুস্থ কৃতিদের হাজার টাকা করে অনুদান দেন। চৈতন্যভূমি 'নবদ্বীপ রত্ন' সম্মান পেলেন কবি ও সাংবাদিক শ্যামল রায়। পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের নিকটাত্মীয় তথা গল্পকার শুভাশিস মল্লিক কে 'মেমারি রত্ন' সম্মান জানানো হয়। প্রাথমিক থেকে স্নাতক শিক্ষাক্রম অবধি পড়ুয়াদের সুশিক্ষা দেওয়া অরুপ মজুমদার ও রুমা মজুমদার দম্পতি কে 'হুগলী রত্ন'  সম্মান জানানো হয়। বিশিস্ট সঙ্গীত শিল্পী পলাশ হাজরা কে 'মঙ্গলকোট রত্ন' সম্মান দেওয়া হয়। প্রয়াত বিচারক মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লা স্মরণে 'নুরুল হোদা রত্ন' সংবর্ধনা দেওয়া হয় মঙ্গলকোটের প্রখ্যাত চক্ষু বিশেষজ্ঞ মহম্মদ বদরুদ্দোজা ওরফে সেলিম ডাক্তার মহাশয় কে  ।  প্রয়াত প্রত্নবিদ কেশব বন্দ্যোপাধ্যায় স্মরণে 'কেশব রত্ন' কবি রামদুলাল বৈরাগ্য এবং প্রয়াত পত্রিকা সম্পাদক সমীর ভট্টাচার্য স্মরণে 'সমীররত্ন' সম্মান জানানো হয় সাংবাদিক সুজিত দত্ত মহাশয় কে। এদিন কুমুদ সাহিত্য মেলাতে বিখ্যাত লোকসঙ্গীত শিল্পী রফিকুল ইসলাম মেলা নিয়ে স্বরচিত গান শোনান এবং বেশকিছু গান পরিবেশন করেন। যা মঞ্চের সামনে তিনশো কবি সাহিত্যিকদের মুগ্ধ করে তোলে। এই সাহিত্য আসরে প্রাক্তন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মহম্মদ ইব্রাহিম, বিকাশ ভবনের শিক্ষা সেলে আইন আধিকারিক প্রসেনজিৎ রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পুরো অনুস্টান সঞ্চালনায় ধনঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, খায়রুল আনাম, সৈয়দ আজাহার আলী, শ্যামলাল মকদমপুরী ছিলেন  । উদ্যোক্তাদের পক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির সম্পাদক মোল্লা জসিমউদ্দিন বলেন - প্রতিবছর ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের বসতভিটায়  কবি সাহিত্যিকদের আগমনে জন্মদিন পালিত হয়।                                                                                                                                                                                                                                                                     

রবিবার, মার্চ ০৩, ২০১৯

কুমুদ সাহিত্য মেলায় কবি সাহিত্যিকরা কোগ্রামগামী

পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ ভিটায় আজ সারাদিনব্যাপি চলবে কুমুদ সাহিত্য মেলা। অজয় ও কুনুর নদীর সঙ্গমস্থলে মঙ্গলকোটের কোগ্রামে প্রতিবছর কয়েকশো কবি সাহিত্যিকরা এসে থাকেন। এবারে 'কুমুদ সাহিত্য রত্ন' পাচ্ছেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তথা অধ্যাপিকা সবুজকলি সেন মহাশয়া। এছাড়া কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষক ও চিকিৎসক ডক্টর সৌমিক ঘোষ, গাছ মাস্টার খ্যাত শিক্ষক অরুপ কুমার চৌধুরী, বাউল স্বপন দত্ত, চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক  মহম্মদ বদরুদ্দোজা ,  সঙ্গীতশিল্পী পলাশ হাজরা, সাংবাদিক  শ্যামল রায়, গল্পকার শুভাশিস মল্লিক,   কবি রামদুলাল বৈরাগ্য প্রমুখ সংবর্ধনা পাবেন  ।বিখ্যাত লোকসঙ্গীত শিল্পী রফিকুল ইসলাম সহ নানান শিল্পী কুশলীরা আসবেন অনুস্টান মঞ্চে।  কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির সম্পাদক মোল্লা জসিমউদ্দিন বলেন - গত এগারো বছর ধরে ঠিক এই দিনে পল্লিকবির জন্মদিন কে সামনে রেখে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে কবি সাহিত্যিকরা এখানে মিলিত হন।                                                                            

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER