শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০১৯

আলুওয়ালিয়া কে জেতাতে ভোলানাথ স্মরণে মুকুল রায়


মোল্লা জসিমউদ্দিন,
সুদিন  মন্ডল ,

   চতুর্থ দফার নির্বাচন হতে চলেছে   আগামী ২৯  শে এপ্রিল।সেদিন   বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ। আর এই কেন্দ্রের অধীনে রয়েছে ভাতাড় বিধানসভা এলাকা টি। ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই জোরদার প্রচারের তৎপর রাজনৈতিক দলগুলি। শুক্রবার বিকালে  ভাতার বাজার সংলগ্ন  বাইশ বিঘা ময়দান চত্বরে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার সমর্থনে সভা করে গেলেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা মুকুল রায়।কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক এর উপস্থিতিতে এদিন মুকুল রায় জানান - কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি ই পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন।কোন  বিরোধিতায় তার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। গত  ১৯ শে  জানুয়ারি ব্রিগেড এর সভামঞ্চের গঠন হওয়ার ফেডারেল ফন্ট কে এক সার্কাসের সঙ্গে ফের তুলনা করেন মুকুল বাবু।   এমন কি তিনি তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জিকে সার্কাসের জোকার বলে  ব্যঙ্গ  করেন। মুকুলবাবু ছাড়াও এ দিনের সভা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা সন্দীপ নন্দী, গোলাম জার্জিস, অঞ্জন মুখার্জি প্রমূখ নেতৃত্ববৃন্দ। এদিন মুকুল রায়  ভাতার বাসীর কাছে একটাই আবেদন রাখেন যে, প্রয়াত ভোলানাথ সেন এর পর এই ভাতারের বুকে পুনরায়  উন্নয়নের জোয়ার আনতে প্রায় ত্রিশ  বছরের অভিজ্ঞ  সংসদ,বলিষ্ঠ বিজেপির সর্বভারতীয়  নেতা সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া কে  জয়ী করে লোকসভায় মোদীজির হাত শক্ত করুন। উল্লেখ্য ভাতারের উন্নয়নের রুপকার হিসাবে ভোলানাথ সেন কে জানে রাজ্যবাসী। সেই ভোলানাথ সেন কে সামনে রেখে উন্নয়ন আরও জোরদার করতে আলুওয়ালিয়ার পক্ষে এদিন প্রচারসভাটি সারেন মুকুল রায়।             

বুথের ভেতর কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢুকলে বড় ভয় কেস্টর!



মোল্লা জসিমউদ্দিন,

 'পুলিশ বিনা  মণিহারা ফণী তিনি'। তা ফের বোঝালেন কেস্ট। শুক্রবার বিকেলে   মঙ্গলকোটের নিগনে  সভায় তিনি দলীয়  কর্মীদের নির্দেশ দেন - কেন্দ্রীয়  বাহিনী বুথে ঢুকলে তারা যেন থানায় এফআইআর করে।বুথের বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঘুরবে ফিরবে। তাই বলে বুথের ভেতর কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোন দাদাগিরি সহ্য করবেন না অনুব্রত মন্ডল ওরফে কেস্ট। ইতিমধ্যেই তিনি তৃণমূল সমর্থিত শিক্ষকদের এক সম্মেলনে ভোটকর্মী বিশেষত পোলিং অফিসারদের সংশ্লিষ্ট ব্লক সভাপতির মোবাইল নাম্বার নিয়ে রাখার ফরমান জারি করেছিলেন। শুক্রবার বিকেল তিনটে নাগাদ বোলপুর আসনের দলীয় প্রার্থী অসিত মালের সপক্ষে মঙ্গলকোটের নিগনে এক প্রচার সভা সারেন প্রার্থী কে নিয়ে। উল্লেখ্য বহু চর্চিত মঙ্গলকোটের দলীয় পর্যবেক্ষক তিনি। এই কেন্দ্রের বিধায়ক নাম কে ওয়াস্তে থাকলেও যাবতীয় দলীয় কাজ তিনি দেখেন। এই মঙ্গলকোটে চলতি লোকসভা নির্বাচনে প্রচারে  বিরোধীদের কোন সভা সমিতি দেখা যায়নি। অভিযোগ, বারবার দলীয় কর্মসূচি নিয়ে মঙ্গলকোট থানায় গেলেও পারমিশন নিয়ে কোন পাত্তা পাইনি তারা। কাশেমনগরে বিজেপি বড় সভা করার উদ্যোগ নিলেও সেটি বানচাল হয়ে যায় অনুমতি না মেলাতেও। উল্টো ক্ষেত্রে অনুব্রত বাবু গত সপ্তাহে শিলাবৃষ্টির জন্য কাশেমনগর, নিগনে সভা না করলেও সপ্তাহ ঘুরতেই আজ সভা সারলেন। স্থানীয় থানার পুলিশ তাঁর অত্যন্ত অনুগত বলে বিরোধীদের দাবি। অভিযোগ কুড়ির বেশি গাঁজা মামলায় বিরোধী দলের তো বটেই বিপক্ষ শিবিরে সিদ্দিকুল্লাহ অনুগামীরা ফেঁসেছে। তাই আগামী ২৯ এপ্রিল চতুর্থ দফার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা যাতে সক্রিয় না হতে পারে, সেজন্য তাদের কে পুলিশি মামলায় জড়িয়ে দেবার নির্দেশ দিলেন দলীয় কর্মীদের কে। এইরূপ মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রশাসনের এক আধিকারিক অবশ্য বলছেন - নিরপেক্ষ ভোটদানের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বুথের ভেতর এবং বাইরে অবস্থান নিতেই পারে।                                                                                            

শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০১৯

পীরের মাজার শরিফ উচ্ছেদ রুখে ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ - রামকৃষ্ণ

মোল্লা জসিমউদ্দিন ,

ধর্মীয় বিভাজন রাজনীতিতে সরগরম ভারতীয় রাজনৈতিক বলয়। বিশেষত প্রতিটি ভোটের প্রাক্কালে সাম্প্রদায়িক অস্ত্রে শান দেয় বিশেষ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। তখনি ধর্মীয় অসিহষ্ণুতা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মজবুত করতে এগিয়ে আসে নানান অরাজনৈতিক সংগঠন। ঠিক এইরূপ এক সংগঠন অর্থাৎ 'হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অরগনাইজেশন' চলতি সপ্তাহে অর্থাৎ গত মঙ্গলবার বিকেলে   কলকাতার ওয়েলিংটন মোড় সংলগ্ন  সূর্বনবণিক সমাজ ভবনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে থাকে। এই আলোচনাসভায় যোগ দেন বিভিন্ন পেশার গুনী ব্যক্তিত্বরা। 'ওয়েস্ট বেঙ্গল ফেডারেশন অফ ইউনাইটেড নেশনস এসোসিয়েশন ' এর রাজ্য সভাপতি মিস্টার সিতারাম শর্মা ছিলেন প্রধান অতিথি। মূল বক্তা হিসাবে এসেছিলেন রামকৃষ্ণ মিশন শিক্ষা প্রতিস্টানের  কর্মকর্তা স্বামী কৃপাকারানন্দ মহারাজজি। কলকাতা হাইকোর্ট এর দুই বর্ষীয়ান আইনজীবী আনসার মন্ডল এবং প্রসূন দত্তের পাশাপাশি ডক্টর সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন উক্ত সেমিনার টি তে। ভারতবর্ষের মাটি অখণ্ডতার প্রতীক  বলে সব বক্তায় সাম্প্রতিক সম্প্রীতির পক্ষে জোর সওয়াল করেন। তাঁরা বলেন - দেশে যেভাবে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল ধর্মীয় ইতিহাস নিয়ে তথ্য বিকৃত করে ধর্মীয় বিভাজনের সুড়সুড়ি দিচ্ছে, তা দেশের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি অবনতির মুখে। যার ফলে দেশের মধ্যে দুই সম্প্রদায়ের মানুষজন একে অপরকে অবিশ্বাস করছে। কলকাতা হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী  তথা বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান  আনসার মন্ডল বলেন - "মুঘল সম্রাট ঔরংজেব কে হিন্দু বিরোধী শাসক হিসাবে তুলে ধরা হয়, অথচ তাঁর আমলেই বহু মন্দির গড়া হয়েছে এদেশে।  পাঠান - মুঘলদের বহিরাগত লুটেরা বলা হলেও তাঁরা এদেশ কে অন্তরের ভালোবাসায় এদেশেই তাঁরা রয়ে গেছে মৃত্যুর পরেও"। আনসার বাবু ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য হিসাবে অতীতে অভিজ্ঞতার ঘটনা উল্লেখ করে বলেন - বেলুড় মঠের গেটের কাছেই  এখনও জ্বলজ্বল করছে একটি পীরের মাজার শরিফ সহ মসজিদ। জনশ্রুতি যে,  মা সারদামনি কে সেসময় উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা এই মসজিদ সরিয়ে দেওয়ার তীব্র দাবি তুলেছিল। কিন্তু পরমহংসদেব রামকৃষ্ণ এবং স্বামী বিবেকানন্দ সেই দাবির কঠোর বিরোধিতা করেছিলেন। যারফলে বেলুড় মঠের পেছন গেটের কুড়ি মিটারের মধ্যে থাকা পীরের মাজার শরিফ এখনও অনুগামীদের আসাযাওয়ায় গমগম করে উঠে।   যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মজবুত করতে এক বিরল দৃস্টান্ত বলা যায়।  এইরূপ নানান তথ্য ঘটনা তুলে প্রায় বক্তা তাঁদের বক্তব্যপেশে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখতে সওয়াল করেন।                                                                                                                    

হাওড়ায় আইনজীবী আক্রান্ত বিষয়ে মঙ্গলবার আলোচনায় বসছেন প্রধান বিচারপতি


মোল্লা জসিমউদ্দিন,

গত বুধবার দুপুরে হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ী রাখা নিয়ে রণক্ষেত্র নেয় গোটা এলাকা। আইনজীবী ও পুলিশের মধ্যে  এইরুপ রণং দেহী মারপিট বাংলায় সেভাবে দেখা যায়নি। উক্ত ঘটনায় দুতরফে দশের বেশি ব্যক্তি কমবেশি আহত হয়েছেন বলে প্রকাশ। পুলিশের বর্বরোচিত আক্রমণের বিরুদ্ধে   ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আজ থেকে রাজ্যের প্রায় মহকুমা / জেলাস্তরে আদালতে আইনজীবীরা অনিদিস্টকালের জন্য কর্মবিরতি  শুরু করে দিয়েছেন।কলকাতা সিটি সিভিল কোর্টের ৬ তলায় 'বার কাউন্সিল' এর পদাধিকারীরা    আজ জরুরি বৈঠকে বসেন হাওড়া আদালতে আক্রান্ত আইনজীবিদের ঘটনার বিষয়ে। এরপরে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেলারেল অর্থাৎ চিফ জাস্টিসের অফিস সচিবের সাথে তাঁরা সাক্ষাৎ করেন বলে প্রকাশ। বিষয়টি প্রধান বিচারপতির দৃস্টি আকর্ষণ করা হয়। জানা গেছে, আগামী মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান বিচারপতি  'বার কাউন্সিল' কে সময় দিয়েছেন। বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান আনসার মন্ডল জানান - আগামী সোমবার আমাদের ২৫ জন প্রতিনিধিদল হাওড়া জেলা আদালতে বর্তমান সম্পাদক অশোক দেবের নেতৃত্বে যাবে এবং পুলিশের ভুমিকা নিয়ে কথা হবে "। গতকাল অর্থাৎ বুধবার হাওড়া আদালত চত্বরে যেভাবে গাড়ীর পার্কিং নিয়ে পুলিশ বনাম আইনজীবীদের হাতাহাতি এমনকি লাঠিচার্জ দেখা যায়। তা নিয়ে গোটা রাজ্যে আইনজীবী মহলে তুমুল অসন্তোষ দেখা গেছে। আক্রান্ত আইনজীবিদের পক্ষে জানা গেছে, ওইদিন হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের অধিনে যারা  পুরসভা, আদালত এবং সামনে রাস্তায় কর্মরত ছিলেন, তাদের সাসপেন্ড শুধু নয় গ্রেপ্তার করতে হবে। এই দাবি কে সামনে রেখে রাজ্যের প্রায় সবকটি মহকুমা/ জেলাস্তর এমনকি সিটি সিভি, সিটি সেশন, শিয়ালদহ, ব্যাংকশাল আদালতে আইনজীবিরা  বিভিন্ন এজলাসে অনিদিস্টিকালের জন্য কর্মবিরতি  শুরু করে দেন। শুধু তাই নয় আদালতের সামনে প্রতিবাদী ফ্লেক্স নিয়ে সরবও হন। পুলিশ ও আইনজীবীদের আভ্যন্তরীণ ঝামেলায় সারা রাজ্যে হাজার হাজার বিচারপ্রার্থী বিপাকে পড়েন। পূর্ব নির্ধারিত মামলাগুলির 'ডেট' থাকার জন্য মক্কেলরা আজ আদালতে এসে ফের বাড়ি ফিরে যান।  বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত ওয়ার্কিং ডের তিনদিন কর্মবিরতি চলবে। সেইসাথে মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সাথে বার কাউন্সিল প্রতিনিধিদের আলোচনায় কোন সমাধান সুত্র বের হয়ে না এলে বিভিন্ন আদালতে অচলাবস্থা আরও চলবে বলে আইনজীবীদের একাংশে প্রকাশ। তবে হাওড়া পুলিশ মহলে জানা গেছে, হাওড়া আদালতে আইনজীবীদের একাংশ পুলিশের সাথে দীর্ঘদিনধরে খারাপ ব্যবহার করে আসছে। যার ফলে গত বুধবার গাড়ীর পার্কিং নিয়ে ঝামেলার সুত্রপাত হলেও দুপক্ষের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ ছিল অনেক পুরানো বিষয়ে ।                                                                                                             

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০১৯

পেপার কাটিং শেয়ার করার জের, নুসরত অনুগামীদের হামলায় তটস্থ শিক্ষক সাংবাদিক

ফেসবুকে তৃণমূল প্রার্থী নুসরতের পুজো দেওয়ার পেপার কাটিং পোষ্ট করে হেনস্থার শিকার শিক্ষক আলি আকবর

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা: বিগত কয়েকদিন আগে বসিরহাট লোকসভা তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নুসরাত জাহান মন্দিরে পুজো দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেয়। বর্তমান পত্রিকা এই খবরটি প্রকাশ করেন।
এই পেপার এর কিছু অংশ নিয়ে স্কুল শিক্ষক আলি আকবর জনপ্রিয় সোশাল  মিডিয়া ফেসবুকে শেয়ার করেন। আর সেই কারণে
বসিরহাট এলাকার কিছু সমাজবিরোধী ও দুস্কৃতিকারীরা বিশিষ্ট শিক্ষক ও সাংবাদিক আলি আকবরের বাক স্বাধীনতাকে কেড়ে নিতে মানসিক নির্যাতন চালালেন আজ তার স্কুলে।
আলি আকবর বাবু বলেন,বর্তমান পত্রিকার নুসরতের পুজা দেওয়ার পেপার কাটিং পোস্ট করায়, স্থানীয় তৃনমূল নেতারা ১০-১৫ জন আমার স্কুলে এসে হুমকি দিয়ে গেছে এবং পুজো দেওয়ার ভিডিও ও এই পোস্ট জোর করে ডিলিট করতে বাধ্য করেছে। এরা একেবারে হন্যে হয়ে যাচ্ছে। স্বাধীন মতামত প্রকাশের কোন সুযোগ আর থাকছেনা।

আগে আমরা স্টেজ করে সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছি কিছু হয়নি।
এখন সামান্য ফেসবুকে পোস্ট করলেই সরাসরি এসে হুমকি দিচ্ছে, অপমান করছে।
সরকারের সমালোচনা করা যাব না, সরকার বিরোধী কোন মন্তব্য করা যাবে না।
রাজ্যের পরিস্থিতি ১০ বছরের আগের বিহারের থেকেও খারাপ এরাই প্রমান
এভাবে মানসিক আক্রমণ করে কোন ব্যক্তির ব্যক্তি স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতা  কেড়ে নেওয়া যায় না। আমি কি বলবো তা গুন্ডা এবং সমাজবিরোধীরা আজকে ঠিক করে দিতে চাইছে এ যেন মরিয়া হন্যে কুকুরের ন্যায়।এদের প্রতি আমার একরাশ ঘৃণা।
তৃণমূল সরকারের আমলে তাহলে কি ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও বাক স্বাধীনতা হারাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ তা নিয়ে গুঞ্জন সোশ্যাল মিডিয়া।

ভাতার চষে বেড়ালেন মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস

মোল্লা জসিমউদ্দিন ,
সুদিন  মন্ডল ,

বুধবার সকালে  রাজ্যের যুব কল্যাণ মন্ত্রী তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী ডঃ মমতাজ সংঘমিতার সমর্থনে পূর্ব ভাতারের বিভিন্ন গ্রামের মোড়ে রোড শো করেন। প্রার্থী ছাড়াও এদিনের পথ সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা,ভাতারের বিধায়ক সুভাষ মন্ডল, প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা,মান গোবিন্দ অধিকারী প্রমুখরা।  ভাতার ফায়ার ব্রিগেড এলাকা থেকে এই রোড শো শুরু হয়ে বেলডাঙ্গা, বালসি ডাঙ্গা, কুবাজপুর,খেরুর, মুরারীপুর, নাসিগ্রাম, বড় বেলুন হয়ে ভাতার পার্টি অফিসে এক পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়। কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক এদিনের প্রচার পর্বে  উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।  ভাতার বিধানসভা এলাকা টি শাসক দলের দুই শিবিরের মতবিরোধের পাশাপাশি সিপিএম - বিজেপি যথেষ্ট শক্তিশালী রয়েছে। সীমান্তবর্তী মঙ্গলকোট, আউশগ্রাম বিধানসভা এলাকায় যেখানে বিরোধী দলগুলি দেওয়াল লিখন, মিটিং মিছিল নুন্যতম করতে পারেনি। সেখানে ভাতারের মুরাতিপুর, বামশোর, কালুত্তক প্রভৃতি এলাকাগুলি কাস্তে হাতুড়ি তারায় ভরে গেছে। আবার আমারুণ, সাহেবগঞ্জ এলাকায় পদ্মফুলে ছয়লাপ। এই কেন্দ্রে জাঁদরেল বিরোধী প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন সুন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। যিনি ভারতীয় সাংসদ রাজনীতিতে প্রবীণ। তাই তৃনমূল এই কেন্দ্রে প্রচারপর্ব তে খামতি রাখতে চাইছেনা। তারই বার্তা হিসাবে আজকের মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাসের রোড শো বলে অভিমত জেলা রাজনৈতিক মহলে৷                                         

বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০১৯

ফসলে ক্ষতি কতটা, তা দেখতে ভাতারে কৃষি উপদেষ্টা




মোল্লা জসিমউদ্দিন ,
সুদিন  মন্ডল ,

মঙ্গলবার  সকালে মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষি আধিকারিক দের সঙ্গে নিয়ে শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতগ্রস্ত ভাতার ব্লকের এর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন।সাথে ছিলেন পূর্ব বর্ধমান  জেলা কৃষি  আধিকারিক জগ্ননাথ চ্যাটার্জি, সুপ্রিয় ঘটক,গৌতম ভৌমিক প্রমুখরা। ভাতারের স্বর্ণচালিতা সমবায়,কাশিপুর সমবায় সমিতি, বনপাশ সোসাইটি, গ্রামডিহী সমবায়, বামুনারা সমবায় সহ নানান সমবায় সমিতির কর্মকর্তা ও ক্ষতিগ্রস্ত  চাষীদের সাথে কথা বলেন  তিনি। প্রদীপ বাবু বলেন - ভাতার ব্লকের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গুলি বিশেষভাবে নিরীক্ষণ করলাম।কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় বর্তমান সরকার কৃষি শস্য বীমার যে বিশেষ ব্যবস্থা করেছে যার পুরো প্রিমিয়াম তাই রাজ্য সরকার দেয়। সেই শস্য বীমার মাধ্যমে কৃষকরা যাতে ক্ষতিপূরণ পেতে পারে তারই  প্রশাসনিক  কর্ম প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে,যাতে তিনদিনের মধ্যে বীমা কোম্পানির অফিসে আবেদন  করা যায়, সে ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি আরও  জানান, সোমবার দেওয়ানদিঘির জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে দিয়েছেন ভোটের কারণে কৃষি সংক্রান্ত এই প্রক্রিয়া কোনভাবেই বাধা হয়ে দাঁড়াবে না, সরকার কৃষকদের পাশে অতীতেও ছিল আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। সাহেবগঞ্জ এক নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান চায়না অধিকারী,বনপাস গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দীপ্তি মন্ডল প্রমুখরা প্রদীপ বাবু কে জানিয়েছেন ওই সমস্ত এলাকাগুলিতে প্রায় একশো ভাগ ফসলই নষ্ট হয়ে গেছে।স্থানীয় কৃষি দপ্তর থেকে রিপোর্ট অনুযায়ী কাজ হবে বলে জানা গেছে।  উল্লেখ্য গত রবিবার বিকেলে পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে তীব্র শিলাবৃষ্টি হয়। কাটোয়া, কালনা, সদর বর্ধমান  মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় মাঝারিমাপের শিলা টানা ঘন্টা খানেক হয়ে থাকে। সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে ভাতার এবং মঙ্গলকোট ব্লক এলাকায়। প্রায় ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে  বোরো ধান এবং তিল চাষ হয়েছে। শুধু তাই নয় পেঁয়াজ, আম সহ সবজি চাষে ক্ষতি এনেছে গত রবিবারের টানা শিলাবৃষ্টি। পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষি বলয়ে থাকা ভাতার ব্লকে মঙ্গলবার সকালে দিকে আসেন মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার। তবে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি আজকের এই প্রশাসনিক সফর ঘিরে। জেলা বিজেপি নেতা চন্দ্রনাথ মুখার্জি বলেন - "আগামী ২৯ এপ্রিল এইসব এলাকায় লোকসভা ভোট রয়েছে, ভাতারে বেকায়দায় রয়েছে শাসকদল। তাই পূর্ব বর্ধমানের অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত ব্লক না ঘুরে ভাতারেই এলেন কৃষি উপদেষ্টা। যাতে কৃষক দরদী সরকারের সহানুভূতি পাওয়া যায় "।                                                       

মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০১৯

রক্তদান শিবির আয়োজনে মঙ্গলকোট ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র

   

 মোল্লা জসিমউদ্দিন , 

সোমবার সারাদিন ধরে মঙ্গলকোট ব্লক হাসপাতালে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হল।রক্ত দিলেন এই হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীরা। বিএমওএইচ থেকে আশাকর্মী, প্রত্যেকেই দিলেন রক্ত। একফোঁটা রক্ত একজনের জীবন বাঁচাতে পারে। এই উপলব্ধি থেকেই এই মহতি উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন বিএমওএইচ ডঃ প্রণয় ঘোষ।   আজ  সকাল থেকে শুরু হয় শিবিরটি।   ৮০ জন রক্তদাতা আজকের রক্তদান করেন।এখানে হসপিটাল এর বিভিন্ন আধিকারিকরা রক্ত দেন। পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামের আশা কর্মীরা আসেন এই রক্তদান শিবিরে রক্ত দিতে। এই রক্ত কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে  তুলে দেওয়া হয়। প্রায়শই এই গ্রীষ্মের সময়ে রক্ত সংকট দেখা দেয়।সর্বপরি ভোটের সময় রাজনৈতিক হানাহানিতে হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসার জন্য রক্তের প্রয়োজন পরে। সেই জায়গায় এহেন উদ্যোগ সাধুবাদ যোগ্য বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা।               

প্রধানমন্ত্রী কে দুস্ট বাচ্ছার সাথে তুলনা তৃণমূল সুপ্রিমোর




মোল্লা জসিমউদ্দিন ,

বাংলায় লোকসভা নির্বাচন জমে উঠেছে, অন্তত নির্বাচনী প্রচারে। দুই ফুলের ( জোড়াফুল, পদ্মফুল)  নেতানেত্রীদের ভাষণে সরগরম বঙ্গ রাজনীতির বলয়। মোদি বনাম মমতা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় নানান কৌতুক রঙ্গ তৈরিও হয়েছে ভোটের মুখে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে অর্থাৎ তৃতীয় দফার ভোটের চব্বিশ ঘন্টার আগে পূর্ব বর্ধমানের নির্বাচনী প্রচারে এসে তৃণমূল নেত্রী তাঁর রাজনৈতিক বক্তব্য পেশের মাঝেই নরেন্দ্র মোদী কে গালে থাপ্পড় মারার হুশিয়ারি দেন, তবে অত্যন্ত কায়দায় তাঁর এহেন হুশিয়ারি। পূর্বস্থলীর জামালপুরে নির্বাচনী প্রচারে মমতা  মঞ্চের সামনে মা বোনেদের উদ্দেশ্য বলেন - দুস্ট বাচ্ছারা বেশি দুস্টুমি করলে আপনারা কি করেন?  গালে কি যেন হাতে করে দেন, যাতে বাচ্ছারা চুপ হয়ে যায়। হ্যা আপনারা যেদিন ভোট দিতে যাবেন, সেদিন ইভিএমে জোড়াফুল টিপে বিজেপি কে থাপ্পড় দেবেন। মোদী চুপচাপ হয়ে যাবেন।সোমবার দুপুর একটা নাগাদ পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর জামালপুর এলাকায় দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার সারলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মঞ্চে মূল বক্তা হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, এই আসনের লোকসভার প্রার্থী সুনীল মন্ডল সহ বেশ কয়েকজন জেলার বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন মঞ্চে । গ্রামীন বর্ধমানের কৃষি বলয়ে থাকা পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভার এই এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী মূলত উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন।জেলাতেই সর্বপ্রথম মাটি মেলা পরবর্তীতে মাটি উৎসব করে এই রাজ্যসরকার। চাষীরা ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণের অনুদান পেয়ে থাকেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান - দীর্ঘদিনের ভাগীরথী নদের উপর সেতু নির্মাণ দাবি পূরণ হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই এগারোশো কোটি বরাদ্দকৃত হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের  কালনা এবং নদীয়ার শান্তিপুর এলাকার যোগাযোগকারী সেতু হিসাবে পরিচিত হতে চলেছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান।পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদা থেকে হুগলি জেলা হয়ে মঙ্গলকোটের নুতনহাটের উপর দিয়ে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার ফোরলেন রাস্তা হচ্ছে। সেইসাথে দক্ষিণবঙ্গের দামোদর - ভাগীরথী নদ নদীগুলির উপত্যকায় বন্যা রোধে স্থায়ী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে এই সরকার। এইবিধ নানান উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরার পাশাপাশি বিজেপি সর্বপরি প্রধানমন্ত্রী কে তীব্র রাজনৈতিক আক্রমণ করেন তৃনমূল নেত্রী। তিনি বলেন - গত পাঁচ বছরে মোদী শুধুই বিদেশ ঘুরেছে, নুতন করে কর্মসংস্থান তো হয়নি। উলটে বেকারত্ব বেড়েছে সারাদেশ জুড়ে । দু একজন কে দিয়ে রাজ্যে সামন্তরাল প্রশাসন চালাচ্ছে বলে  অভিযোগ তুলেন মুখ্যমন্ত্রী।  রাজ্যের সাথে আলোচনা না করে হুটহাট করে অফিসারদের বদলী করে দেওয়া হচ্ছে নির্বাচনের সময় । কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তো গত ২০১৬ এর বিধানসভা নির্বাচনেও ছিল। সেবার তো দুর্দান্ত ফল করেছিল তৃণমূল। এবারেও ফল আরও ভালো হবে বলে আশাবাদী মমতা। সোমবার পূর্ব বর্ধমান জেলায় তিনটি প্রচারসভা সারেন মুখ্যমন্ত্রী। দুপুর ১ টায় পূর্বস্থলীর জামালপুর, দুপুর ২ টোয় দেওয়ানদিঘী এবং ৩ টেয় সেহেরাবাজার। এই তিনটি বিধানসভা এলাকাতে সিপিএম সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী এবং শাসকদলের অন্তদ্বন্ধ এলাকা হিসাবে পরিচিত। জামালপুর এলাকাটি পড়ছে পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভার মধ্যে। যেটি সিপিএম গত বিধানসভায় জিতেছে। এছাড়া বর্ধমান উত্তর ( দেওয়ানদিঘী) , রায়না (সেহেরাবাজার)  বিধানসভা এলাকাগুলিতে সিপিএম অন্যতম বিরোধী দল হিসাবে পরিচিত। তবে বাম ছেড়ে রাম শিবিরে নাম লিখিয়েছেন অনেকেই। সম্প্রতি    বর্ধমান পুর চেয়ারম্যান পদে একদা থাকা সিপিএমের দাপুটে নেতা হাজার খানেক কর্মী সমর্থকদের নিয়ে দল বদল করেছেন। এছাড়া    বালি, পঞ্চায়েতে দুর্নীতি নিয়ে শাসকদলের খুনোখুনি পর্যন্ত হয়েছে। নিহতদের তালিকায় পঞ্চায়েত সমিতির পদাধিকারী রয়েছে। তাই একাধারে সিপিএমের ভোটব্যাংক বিজেপির অনুকূলে যাওয়া রুখতে এবং দলীয় বিবাদ আটকাতে মুখ্যমন্ত্রী বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের অধীনে এই তিনটি বিধানসভা এলাকা বেছে নিলেন বলে রাজনৈতিক ওয়াকিবহালমহল মনে করছে।                                                                                                                                                

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER