অধিকাংশ বাঙালি কবি - সাহিত্যিকদের জন্মভূমি বাংলাদেশে সম্মানিত হলেন এপার বাংলার সাংবাদিক প্রাবন্ধিক কবি ধনঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় । চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের জন্মভিটে বাংলাদেশের পাবনায় তিনি সম্মানিত হন।তাঁকে 'রজনীকান্ত সেন' স্মারক সম্মান দেয় বাংলাদেশ কবিতা সংসদ নামে এক সাহিত্য সংগঠন। বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নজরুল ইসলাম ছাড়াও আরো অনেক কবি সাহিত্যিক দুই বাংলার জনপ্রিয়।এঁদের মধ্যে কবিনরজনীকান্ত অন্যতম । কবি ও গীতিকার রজনীকান্ত সেন ছিলেন পাবনা জেলার মানুষ ।বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ভিআইপি হলঘরে মিলনায়তনে তিনদিনের আন্তর্জাতিক বাঙালি সাহিত্য সংস্কৃতি সম্মেলন হয় গত ২ নভেম্বর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত । এই দুই বাংলার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পাবনা জেলাশাসক কবির মামুদ, ডেপুটি পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস ,ডেপুটি সিভিল সার্জন আবু জাফর, মাছরাঙ্গা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার উৎপল বিশ্বাস ,কবিতা সংসদের সভাপতি মানিক মজুমদার ছাড়াও বাংলাদেশের শতাধিক কবি-সাহিত্যিক ও পশ্চিমবঙ্গ (ভারত) থেকে কুড়িজন মত কবিরা অংশগ্রহণ করেন। সাহিত্য সংগঠক হিসাবে দুই পার বাংলার মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছেন পূর্ব বর্ধমানের ধনঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় । আউশগ্রামের রেলশহর গুসকরা থেকে তিনি ৩৩ বছর ধরে নিয়মিত 'কামদুঘা' পাক্ষিক সংবাদপত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশনা করে চলেছেন । এছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন দুটি লিটিল ম্যাগাজিন সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনাও করেন। প্রথমশ্রেণীর পত্রিকায় সংবাদ ছাড়াও নানান ঐতিহাসিক পুরাতত্ত্ব লোকসংস্কৃতি বিষয়ক প্রবন্ধ প্রকাশ হয় নিয়মিত । দুই বাংলার সাহিত্য সংস্কৃতি মিলনে মেলবন্ধনে কাজ করছেন তিনি, সোশাল মিডিয়ায় ফেসবুক চালু হওয়ার অনেক আগে থেকেই তাঁর এই কর্মকান্ড ।তার সম্পাদিত পত্রিকা বাংলাদেশ বহু কবির লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হয় এবং সাহিত্য সম্মেলনে ত্রিপুরা সহ বিভিন্ন রাজ্য সর্বপরি বাংলাদেশ থেকে শয়ে শয়ে কবি সাহিত্যিকরা সাহিত্য সভায় যোগদান করেন দীর্ঘদিন ধরে। এর আগেও তিনি বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্মানিত হয়েছেন। মঙ্গলকোটের পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের জন্মদিন পালনে (৩ মার্চ) কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি ধনঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় কে 'কুমুদরত্ন' সম্মানে ভূষিত করেছে।
রবিবার, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
শুক্রবার, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
শিশুদিবসে কাঁনাদাদু খুবই প্রাসঙ্গিক
মোল্লা জসিমউদ্দিন
বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতার হাডকো মোড় সংলগ্ন বিধান শিশু উদ্যানের কালিকাপ্রসাদ মুক্তমঞ্চে মহাসমারোহে পালিত হল শিশু দিবস। সেইসাথে প্রাক্তনীদের নিয়ে চলে বিজয়া সম্মিলনী। রবীন্দ্রসঙ্গীত থেকে নজরুলগীতি, আবার যোগ প্রদর্শন থেকে আবৃত্তি সহ নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে রাত পর্যন্ত। ভারতবর্ষের 'প্রথম' প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর জন্মদিন উপলক্ষে আজকের শিশু দিবস পালন। সারাদেশের সাথে এইরাজ্যেও পালিত হচ্ছে শিশু দিবস। তবে শিশু দিবস পালনে বিধান শিশু উদ্যানের অবস্থান একটু অন্যরকম। কেননা বিধান শিশু উদ্যানের প্রতিস্টাতা অতুল্য ঘোষ ছিলেন একজন নিখাদ শিশু প্রেমি। যিনি 'কানাদাদু' হিসাবে বাঙালি জগতে অত্যন্ত পরিচিত। অতুল্য ঘোষ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায়ের দক্ষিণহস্ত হিসাবে ছিলেন। ছিলেন জাতীয় কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতা। তিনি এতটাই শিশু প্রেমি ছিলেন যে রাজ্যে সর্বপ্রথম শিশুদের সুচিকিৎসার জন্য ফুলবাগানে বিধান শিশু হাসপাতাল গড়াতে অন্যতম ভূমিকা নিয়ে গেছেন। সেইসাথে হাডকো মোড় সংলগ্ন এলাকায় কয়েকশো একর জায়গা নিয়ে বিধান শিশু উদ্যান গড়েন তিনি। এই শিশু উদ্যানে ছবি আঁকা, সাঁতার শেখানো, যোগ ব্যায়ামের পাশাপাশি মাধ্যমিক - উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রশিক্ষণ শালা চলে। এছাড়া জৈব সারে সবজি বাজার বসে প্রত্যেক বৃহস্পতিবার বিকাল এবং রবিবার সকালে । কম দামে এই সবজি কিনতে আসে মহানগরবাসী। বিধান শিশু উদ্যানের সম্পাদক গৌতম তালুকদার জানান - "শিশু দিবস পালনে আমরা আমাদের ক্ষুদে ছাত্রদের অংশগ্রহণ করায় , শিশুদের সার্বিক প্রতিভা বিকাশে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছে বিধান শিশু উদ্যান "।
ধামুয়া গ্রামে শিশু দিবস পালন করলো 'সুসম্পর্ক'
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ধামুয়া নামে একটি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে 'সুসম্পর্ক' পালন করলো শিশুদিবস উৎসব । সেখানকার একটি বিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে চারশোরও বেশি ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দিল খাবার সামগ্রী এবং তার পাশাপাশি স্থানীয় শিশু এবং গ্রামবাসীদের জন্য ছিল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবির এবং ওষুধ দানের ব্যবস্থা। মানববন্ধন ট্রাস্ট এর অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা তাদের স্বাস্থ্য চিকিৎসার পর প্রায় একশো জন স্থানীয় রোগীর হাতে তুলে দেওয়া হল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ওষুধ-পথ্য ।
এই বিশেষ উদ্যোগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ী বিবেকানন্দ মিশ্রা এবং ডাক্তার নীলাদ্রি শেখর বলে জানা গেছে ।এই মহৎ উদ্যোগে সুসম্পর্কের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ভিসাক ভট্টাচার্য , আইনজীবী রুচিরা চ্যাটার্জী , ঊষা মৃধা প্রমুখ ।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুসম্পর্ক এর কর্ণধার শ্রী অরবিন্দ সিংহ মহাশয় সদস্য শোভন ভট্টাচার্য , সৌরভ মন্ডল, ইন্দ্রনীল রায় ।ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছে - " তারা আজকের দিনের এই অনুষ্ঠানে খুব খুশি এবং আনন্দিত" । স্বাস্থ্য শিবিরে চিকিৎসা প্রাপ্ত স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন - এরকম সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবির এবং ওষুধ দেওয়ার ব্যবস্থা তারা অত্যন্ত খুশি এবং পরবর্তীকালে আবারো যেন এরকম অনুষ্ঠান হয় তার আশাপ্রকাশ করেছেন ।অপরদিকে কলকাতার এসএসকেএম হসপিটালের জরুরি বিভাগে ভর্তি থাকা একজন মুমূর্ষু রোগীর হঠাৎ রক্তের প্রয়োজন হলে খুবই অল্প সময় মধ্যে সুসম্পর্কের ব্লাড সাপোর্ট টিমের দুজন সদস্য অরূপ দে এবং সৌমেন বাবু ওখানে রক্তদান করেন।এই কর্মকান্ডের মিডিয়া পার্টনার ছিল 'বাংলার খবরাখবর'
চোদ্দদিনের জেল হেফাজতে বর্ধমানের একদা পুলিশকর্তা
বুধবার দুপুরে কলকাতার ব্যাংকশাল আদালতে পেশ করা হয় নারদা আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ধৃত 'বরখাস্ত' আইপিএস সৈয়দ হোসেন আলী মির্জা কে।মির্জার আইনজীবী জামিনের পক্ষে সওয়াল চালালেও সিবিআইয়ের আইনজীবী জামিনের কড়া বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে ব্যাংকশাল আদালতে সিবিআই এজলাসের বিচারক ধৃত আইপিএস কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন। অর্থাৎ আগামী ২৬ নভেম্বর পুনরায় পেশ করা হবে এই এজলাসে ধৃত আইপিএস কে। গত ২৬ শে সেপ্টেম্বর কলকাতার সিবিআই অফিসে জেরা চলাকালীন গ্রেপ্তার দেখানো হয় নারদা আর্থিক দুর্নীতির মামলার অভিযুক্ত পুলিশ কর্তা কে। এই নিয়ে পাঁচবার তাঁকে সিবিআই আদালতে এই এজলাসে পেশ করা হল। যদিও জেলে থাকাকালীন কোন জিজ্ঞাসাবাদ চালায়নি তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে নারদা স্টিং অপারেশন প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলায় তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এর কাছে। তারা প্রায় অভিযুক্তের কলকাতা অফিসে জেরাপর্ব চালান। সাথে তাদের ভয়েস রেকর্ড সংগ্রহ করে ফরেন্সিকের জন্য। এই মামলায় এই রাজ্যের হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রী সাংসদ পুলিশ কর্তারা অভিযুক্ত। গত ২৬ সেপ্টেম্বর সিবিআই জেরা চলাকালীন পূর্ব বর্ধমানের প্রাক্তন পুলিশসুপার সৈয়দ হোসেন আলী মির্জা কে গ্রেপ্তার করে। প্রথমে ৫ দিনের সিবিআই হেফাজত এরপর চারধাপে ১৪ দিন করে জেল হেফাজতে রয়েছেন এই পুলিশ কর্তা।এই মামলায় মূল অভিযুক্ত বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সাথে মুখোমুখি জেরা চলে। সেইসাথে দুর্নীতির টাকা লেনদেনের ভিডিওগ্রাফি হয়। প্রায় দেড়মাস জেলবন্দি রয়েছেন প্রাক্তন পুলিশসুপার। নারদা মামলায় তদন্তে কোন অগ্রগতি হয়নি, তবুও কেন জেলে আইপিএস মির্জা? এই প্রশ্নও এদিন এজলাসে তুলেন মির্জার আইনজীবী। তবে সিবিআইয়ের আইনজীবী সেই প্রভাবশালী ত্বত্ত্বতে অনড়।
মঙ্গলবার, নভেম্বর ১২, ২০১৯
খুব তাড়াতাড়ি মুক্তির পথে শর্টফিল্ম 'চোরাবালি'
সুকান্ত ঘোষ
যোগেন্দ্র ফিল্মস এন্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট প্রযোজিত দ্বিতীয় শর্ট ফিল্ম "চোরাবালি "-র শুটিং শেষ হলো:----
ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুরের বুকে পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছে "বেলদা যোগেন্দ্র ফিল্মস"ও তাদের ইনস্টিটিউট এর নাম।
"অন্তরালে"-শীর্ষক প্রথম শর্ট ফিল্ম বিগত বছরে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে দর্শকদের কাছে।
বর্তমান উক্ত প্রোডাকশন হাউস তাঁদের নতুন পরবর্তী শর্ট ফিল্ম "চোরাবালি"-র শুটিংয়ের কাজ সমাপ্ত করলেন।পুনরায় এই ফিল্মের পরিচালক বরাবরের মত রাজকুমার দাস ।তিনি জানান গ্রামীন পটভূমিকায় তো বটেই গ্রামের মানুষদের সাথে নিয়ে ছবি করতে বেশি আনন্দ পান,তাই গ্রামের পরিবেশকে সাথে নিয়ে নতুন ছবি "চোরাবালি"-করতে আসা।রত্না ও সিরাজুলের এক হিন্দু মুসলিমের প্রেমের গল্প তিনি ছবিতে তুলে ধরতে প্রয়াস করেছেন।ধর্ম জাতপাত এই সব কিছুর উর্দ্ধে আমাদের একটাই পরিচয় "মানুষ"।সেই ভাবেই ডাক্তার যোগেন্দ্র নাথ বেরার কাহিনী চিত্রনাট্য নিয়ে ছবির কাজ শেষ।এখন শুধু অপেক্ষা।
ছবিতে অভিনয় করেছেন রাকেশ দে, জয়িতা, স্বপন ঘোষ,গৌরাঙ্গ জানা,অরুন পাত্র,স্মৃতিলেখা ভূঁইয়া, রাজা মিশ্র, আব্দুল্লা মোল্লা,সুশান্ত,গৌরগোপাল, মমতা জানা,প্রবীর মাঝি,পরেশ নন্দী, প্রমুখ।
ছবিতে দুটি গান থাকছে।চিত্রগ্রহনে বিশ্বনাথ ঘোষ,মেকআপ -অসীম কুন্ডু,
ছবিটি বর্তমানে অনিতেষ অধিকারীর তত্বাবধানে সম্পাদনার কাজ চলছে।খুব তাড়াতাড়ি ছবিটি দেশ বিদেশের ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এ দেখানো হবে বলে জানান পরিচালক রাজকুমার দাস।
রাজ্যের সম্ভবত সর্বপ্রথম গনপিটুনি মামলায় ১২ জনের আমৃত্যু কারাবাস
রাজ্যে সম্ভবত 'প্রথম', গণপিটুনি মামলায় ১২ জনের আমৃত্যু কারাবাস
সারাদেশে যখন গণপিটুনি ঘটনায় সুবিচার না পাওয়ার অভিযোগে সরগরম, ঠিক তখনি পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমা আদালতে এক বেনজির রায়দান ঘটলো গনপিটুনিতে জোড়া খুনের মামলায়। কলকাতা হাইকোর্টের অধিকাংশ আইনজীবীদের মত - কোন গণপিটুনি মামলায় একসাথে এতজনের আমৃত্যু কারাবাসের রায়দান ঘটেনি। রাজ্যের সম্ভবত এইরুপ কড়া রায়দান সর্বপ্রথম বলা যায়। ২০১৭ সালে কালনার বারুইপাড়ায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনাটি ঘটেছিল৷ সোমবার দুপুরে কালনা মহকুমা আদালতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক তপন কুমার মন্ডলের এজলাসে এই মামলায় রায়দান ঘটে। ৩৪১, ৩২৬, ৩০৭, ৩০২, ১৪৯ ধারায় দোষী সাব্যস্তদের আমৃত্য কারাবাসের রায়দান দেন বিচারক তপন কুমার মন্ডল। ১২ জনের বিরুদ্ধে সমস্ত ধারায় কারাবাস গুলি একসাথে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ রয়েছে। ৩৪১ ধারায় ১ মাস জেল সহ ৫০০ টাকার জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের অতিরিক্ত জেল৷ ৩২৬ ধারায় ১০ বছরের জেল ৫০০০ টাকার জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত ৬ মাসের জেল। ৩০৭ ধারায় ১০ বছরের জেল ৫০০০ টাকার জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত ৬ মাসের জেল। ৩০২ ধারায় আমৃত্যু কারাবাস ১০০০০ টাকার জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত ১ বছরের জেল। সব সাজা গুলি একসাথে চলবে বলে বিচারক তপন কুমার মন্ডল তাঁর আদেশনামায় জানিয়েছেন। সেইসাথে ঘটনায় নিহত ২ জন এবং আহত ৩ জনের পরিবার কে সরকারি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য পূর্ব বর্ধমানের জেলা আইনী পরিষেবা কেন্দ্রের সম্পাদক কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় ১৯ জন অভিযুক্ত ছিলেন তাদের মধ্যে ১২ জন দোষী সাব্যস্ত এবং ৭ জন সাক্ষ্যপ্রমাণ এর অভাবে ছাড়া পেয়েছেন। যারা ছাড়া পেয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ১৪৯ ধারায় গনপিটুনিতে যুক্ত থাকার প্রমাণ মেলেনি। এই মামলায় ৫৭ জন সাক্ষী ছিলেন। সরকারি পক্ষের আইনজীবী বিকাশ রায় জানিয়েছেন -" এই রায়ে সুবিচার পেল নিহতর পরিবার "।অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী প্রভাত সাহা ও অতনু মজুমদার জানিয়েছেন - " এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করবো "। কালনা থানা এলাকায় এই মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার পারভেজ হাসানের ভূমিকায় সন্তুষ্ট আদালত বলে জানা গেছে। আদালত সুত্রে প্রকাশ, গত ২০/০১/১৭ তারিখে কালনার সীমান্তবর্তী নদীয়ার রানাঘাটের রাঘবপুর এলাকা থেকে অনিল বিশ্বাস, মানিক সরকার, মধু মঙ্গল তরফদার, ব্যাঞ্জন বিশ্বাস, সমীর দাসরা কালনার বারুইপুর এলাকায় আমগাছে স্প্রে করার জন্য এসেছিলেন। বারুইপাড়ার সুভাষ এন্টারপ্রাইজের সামনে একদল স্থানীয় এদের কে ঘিরে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি শুরু করে দেয়। লাঠি বাঁশ ইট দিয়ে আক্রমণ চলে। আহত অবস্থায় কালনা মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে সদর বর্ধমান হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসাসীন অবস্থায় অনিল বিশ্বাস এবং সমীর দাস মারা যান। গনপিটুনি কান্ডে আহতদের মুখে অভিযুক্ত হিসাবে কুন্তল, প্রীতম, নাজির, অবিনাস, মিনতি, গনেশ, কার্তিকদের নাম উঠে আসে। গত ২২/০৮/১৭ তারিখে পুলিশ চার্জশিট দাখিল করে থাকে। ৩৪১, ৩২৬, ৩০৭, ৩০২, ১৪৯ ধারায় ১৯ জন অভিযুক্তদের মধ্যে ১২ জন অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হয়। বাকি ৭ জন সাক্ষ্যপ্রমাণ এর অভাবে ছাড়া পায়। সোমবার দুপুরে কালনা মহকুমা আদালতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক তপন কুমার মন্ডল ১২ জন কে আমৃত্যু কারাবাস এর নির্দেশ দেন, সেইসাথে গণপিটুনি মামলায় নিহত ও আহতদের পরিবার কে সরকারি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য পূর্ব বর্ধমানে জেলা আইনী পরিষেবা কেন্দ্রের সম্পাদক কে নির্দেশ দেন।
ডেঙ্গু নিয়ে রাজ্যের রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের
চলতি বর্ষে প্রাণঘাতী ডেঙ্গুতে মারা পড়েছে ২৩ জন৷ যদিও বেসরকারি মতে সংখ্যাটি ৫০ এর মত। কয়েকদিন আগে মশাবাহিত এই মারণরোগে শিকার হয়ে কলকাতা পুলিশের এক মহিলা কনস্টেবল তার ১১ দিনের সদ্যোজাত সন্তান কে রেখে চিরবিদায় নিয়েছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে ২০১৭ সালে কলকাতা হাইকোর্টের এক জনস্বার্থ মামলায় তৎকালীন বিচারপতি জ্যোতিময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে যে গাইডলাইন রাজ্যের জন্য জারী হয়েছিল। তার বর্তমান পরিস্থিতি কি? তা জানতে সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি চলে। সেখানে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের কাছে ডেঙ্গু প্রতিরোধে হাইকোর্টের গাইডলাইন কিভাবে মানছে তার রিপোর্ট তলব করেছে। আগামী ২২ নভেম্বর রিপোর্ট টি পেশ করার নির্দেশনামা রয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে রাজ্যের 'খাতা-কলমে' কর্মসূচি চলছে বলে মামলাকারীদের অভিযোগ। মহানগরে আদি গঙ্গার রুপ দেখলে আঁতকে উঠবেন সকলেই। কালিঘাট কিংবা গীতাঞ্জলি মেট্রোস্টেশন সংলগ্ন এলাকা।তাতে অনির্মলের ছবি সর্বত্রই। যদিও কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম সদলবলে বিভিন্ন প্রান্তে ডেঙ্গু প্রতিরোধে অভিযান চালাচ্ছেন।রাজ্য সরকারের নির্মল বাংলা অভিযান কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচি ঠিকঠাক চললে ডেঙ্গুর এত প্রকোপ দেখা যায়না বলে বিশেষজ্ঞ মহলের মত। কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন আবাসনগুলি জলনিকাশী ব্যবস্থা দেখলে ডেঙ্গু বাহিত মশার আতুঁরঘর বলে মনে হবে। এইরুপ দাবি পুলিশ কর্মীদের পরিবার গুলির। আগামী ২২ নভেম্বর রাজ্য ডেঙ্গু প্রতিরোধে কি রিপোর্ট দেয়, তার দিকে তাকিয়ে অনেকেই।
জয়নগর পুলিশ কে নির্যাতিতার পরিবার কে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন
বছর দশের এক নাবালিকা কে ধর্ষণ করবার অভিযোগ উঠে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। জয়নগর থানায় মামলা হয়। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত কে গ্রেপ্তারও করে থাকে। এতদূর অবধি সবই ঠিকঠাক ছিল। অভিযোগগ্রহণের সাতদিন পর থেকেই অভিযুক্তের পরিবার প্রথমে আর্থিক প্রলোভনে সমঝোতা করার প্রস্তাব এমনকি অন্যত্রে বিবাহ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। এতে নির্যাতিতার পরিবার কোন কথা না শোনায় লাগাদার হুমকি। এই হুমকির কথা স্থানীয় থানার ওসি সহ জেলার এসপি কে জানিয়েও কোন সুরাহা মেলেনি। আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরীর হাত ধরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে মামলা উঠে। গত শুক্রবার এই মামলায় বিচারপতি রাজ্যের আইনজীবী কে নির্দেশ দেন - ওই ধর্ষণ মামলায় অভিযোগকারী, সাক্ষীরা সহ নির্যাতিতা কে উপযুক্ত পুলিশি নিরাপত্তা দিতে হবে। যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে - হুমকি বিষয়ক অন্য মামলা শুরু হয়েছে এবং তার তদন্ত চলছে। অভিযোগকারীর পক্ষে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরী জানান - গত ২৩ আগস্ট জয়নগরে বছর দশের এক নাবালিকা ধর্ষিতা হয় স্থানীয় এক যুবকের কাছে। অভিযোগগ্রহণের সাথেসাথেই পুলিশ অভিযুক্ত কে গ্রেপ্তারও করে। এরপর থেকেই অভিযুক্তের পরিবার হুমকি দিতে শুরু করে। ৩০ আগস্ট জয়নগর ওসি কে এবং পরবর্তীতে ১১ সেপ্টেম্বর পুলিশসুপার কে লিখিত অভিযোগ দেয় নির্যাতিতার পরিবার। কোন কাজ না হওয়ায় পুলিশি নিস্ক্রিয়তা নিয়ে কোলকাতা হাইকোর্টে মামলা দাখিল হয়। তাতে বিচারপতি দেবাংশ বসাক পুলিশ কে উপযুক্ত নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ওই নির্যাতিতার পরিবার কে।
সোমবার, নভেম্বর ১১, ২০১৯
বিকাশভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে হাইকোর্টের শর্তসাপেক্ষে অনুমতি
অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পাশ্ব শিক্ষকদের অনুমতি মিললো শান্তিপূর্ণ ধর্ণা কর্মসূচি করতে।আজ অর্থাৎ সোমবার দুপুরে বিকাশভবনের সামনে তিনশো জন পাশ্ব শিক্ষকরা তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন৷ তবে এই অনুমতি নিয়ে দীর্ঘ টালবাহানা চলছিল। যার নিস্পত্তি ঘটলো রবিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের স্পেশাল কোর্টে। রবিবার কলকাতা হাইকোর্টের স্পেশাল কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই অনুমতি বিষয়ক মামলাটি উঠে। সেখানে শান্তিপূর্ণ ভাবে তিনশো জন পাশ্ব শিক্ষকদের ধর্নায় বসবার অনুমতি মেলে। সেইসাথে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কে পাশ্ব শিক্ষকদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করবার মৌখিক নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও বিকাশভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে মিলেছিল। এই নির্দেশ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্য কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করে। তাতে মামলার গুরত্ব বুঝে প্রধান বিচারপতি রবিবার স্পেশাল কোর্ট বসিয়ে এই মামলার নিস্পত্তি করতে বলেন। তাতে রবিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের স্পেশাল কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ পাশ্ব শিক্ষকদের ধর্নায় বসবার অনুমতি বহাল রাখে। সেইসাথে গোটা ধর্না পর্বের ভিডিওগ্রাফি করে তা বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে পেশ করার নির্দেশ দেয়। বিকাশভবনের ১০০ মিটারের দুরত্বে বসতে চলেছে পাশ্ব শিক্ষকদের এই ধর্নামঞ্চ। মূলত বিকাশভবনের সামনে ১৪৪ ধারার দোহাই দিয়ে এই প্রস্তাবিত কর্মসূচি বাতিলের জন্য পুলিশের সাথে উদ্যোক্তাদের গন্ডগোল শুরু হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাথে আন্দ্রোলনকারীরা বৈঠক চালায়। তাতে ৪৮ হাজার পাশ্ব শিক্ষকদের বিক্ষোভে সামিল হওয়ার আবেদন খারিজ হয়। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে মামলাটি উঠে। তাতে ১১ নভেম্বর অর্থাৎ আজ ৩০০ জনের ধর্নায় বসবার অনুমতি মেলে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাজ্য। তাতে প্রধান বিচারপতির নির্দেশ অনুযায়ী রবিবার স্পেশাল কোর্ট বসে। তাতে সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় বহাল থাকে। তবে বিকাশভবনের ১০০ মিটার দুরে এই কর্মসূচি চলবে। কিছুটা দূরে সেন্ট্রাল পার্কে বিধান চন্দ্র রায়ের পাদদেশে অন্য পাশ্ব শিক্ষকরা আজ অর্থাৎ সোমবার তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন।
শনিবার, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
গীতাঞ্জলি মেট্রো স্টেশনের সামনে আদি গঙ্গার হাল দেখুন
এগারো দিনের দুধের শিশু রেখে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিরবিদায় নিয়েছে কলকাতা পুলিশের এক মহিলা কনস্টেবল। সে তার সদ্যোজাত সন্তান কে দেখেও যেতে পারেনি এই মারণরোগে আক্রান্ত হওয়ার জন্য। কলকাতা মহানগর সহ রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গুতে প্রাণহানি অব্যাহত, তবুও ডেঙ্গুর জীবাণু বহনকারী মশাদের আঁতুড়ঘর গুলি ঠিকে রয়েছে প্রশাসনিক ব্যর্থতায়। কলকাতার গীতাঞ্জলি মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন আদি গঙ্গার রুপ দেখলে আঁতকে উঠবেন সকলেই! একটু স্বচ্ছতা আনতে পারে ডেঙ্গু নিধনযজ্ঞের নির্মলতা।
কুমুদ সাহিত্য মেলার চমক ক্রমশ বাড়ছে
কুমুদ সাহিত্য মেলায় চমক ক্রমশ বাড়ছে
প্রতিবছর ৩ মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের বাড়ীতে কবির জন্মদিন পালন হয়। দক্ষীনবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শয়ে শয়ে কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক সহ সাংস্কৃতিক জগতের বিশিস্টজনেরা আসেন। প্রথম পয্যায়ে 'কুশল কুমুদ' সাহিত্য পত্রিকা এই জন্মদিন পালনে পরিচালনায় থাকলেও ২০১০ সাল থেকে আমরা অর্থ্যাৎ 'কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি' আয়োজক হিসাবে উঠে আসে। একশ্রেনীর প্রতিহিংস্বাপরয়ণ রাজনৈতিক নেতাদের গভীর ষড়যন্ত্র চললেও আমাদের দমাতে পারেনি।।কেননা বাংলার শতাধিক সাংবাদিক এই জন্মদিন পালনে প্রতক্ষ্য কিংবা পরোক্ষভাবে যুক্ত। গত বছর মিডিয়া কভারেজে ১০৫+ মিডিয়ায় অনুস্টানের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। আমরা সমাজের বিভিন্ন জগতের মানুষজনদের মঞ্চে সম্মানিত করে থাকি। আমরা কোন ডেলিগেট ফি নিইনা।
এবারে আমাদের কুমুদ সাহিত্য মেলায় চমকের পর চমক থাকছে। বিভিন্ন বিখ্যাত সংস্থা এবার আমাদের সহযোগী হিসাবে থাকছে। বাঙালী মননে প্রখ্যাত ব্যক্তিত্বরাও থাকবেন সেদিন অর্থ্যাৎ ৩ রা মার্চ।
প্রত্যেককেই আগাম আমন্ত্রণ সপরিবারে আসবার জন্য
👨🌾 মোল্লা জসিমউদ্দিন ( সম্পাদক কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি)
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ০৭, ২০১৯
দীর্ঘদিনের চিত্র সাংবাদিকতার জন্য ভারত স্বজন সম্মান পেলেন গোপাল দেবনাথ
বলগনায় সুদের কারবার নিয়ে চলছে সিন্ডিকেট
ভাতার ব্লকের বলগোনা গ্রামে এক ফুচকা ব্যবসায়ী কচি দাস কে সুদের উপর টাকা দিয়ে ধার দিয়েছিল বলগোনা গ্রামের সান্টু শেখ ও নয়ন শেখ।
এরপর সে টাকা শোধ না করতে পারলে বুধবার সকালে কচি দাস কে প্রথমে হুমকি তারপরে মারধর ও বাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।কচি দাস কে বেঁধে রাখা হয় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এরপর ভাতার থানার পুলিশ খবর পেলে কচি দাস কে উদ্ধার করে থাকে । ভাতার থানার পুলিশ অভিযুক্ত সান্টু শেখ ও নয়ন শেখ কে আটক করেছে ।স্থানীয় সূত্রে প্রকাশব, সান্টু শেখ ও নয়ন শেখ সুদের উপর টাকা দেয় গ্রামে গ্রামে । কচি দাস কুড়ি হাজার টাকা ধার নিয়েছিল। সেই টাকা সুদে আসলে ৯৮ হাজার টাকা হয়ে যায় ।এক কাটা জায়গা বিক্রি করে প্রায় ৫৮ হাজার টাকার মতো পরিশোধ করেছে কচি দাস ।বাকি ৪০ হাজার টাকা দিতে না পারায় আজ কে তাকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের ।পরিবারের লোকেদের দাবি অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের সাজা দেওয়া হোক। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বলগোনা গ্রামে।
পুলিশ কে সন্তুষ্ট রাখতে লিগ্যাল সেলের লাগাদার ধর্ণা বাতিল তৃণমূলের
আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে কলকাতা হাইকোর্টের সামনে এক মঞ্চে লাগাদার ধর্ণায় নামার কথা ছিল তৃনমূল লিগ্যাল সেলের আইনজীবীদের । এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিবেন বলে ঠিক হয়েছিল রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এর নাম । ইতিমধ্যেই গত সোমবার রাজ্যজুড়ে দিল্লির তিসহাজারি কান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে তৃনমূল লিগ্যাল সেল। সেখানেও কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে বিক্ষোভে দেখা গেছে রাজ্যের আইনমন্ত্রী কে। বৃহস্পতিবার থেকে লাগাদার ধর্ণা কর্মসূচিটি শুরু হত। দলনেত্রীর সবুজ সংকেত মিললে রাজভবনে রাজ্যপালের কাছেও স্মারকলিপি দিতে দেখা যেতে পারে শাসক দলের আইনজীবীদের কে । বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের সামনে ধর্ণা মঞ্চ নির্মাণের কাজ তদারকি করেও যান আইনমন্ত্রী স্বয়ং। সাথে দলীয় আইনজীবীদের রাজ্য নেতৃত্ব ছিলেন।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে বুধবার বিকেলে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়ে দেয় দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে লাগাদার ধর্ণা কর্মসূচি নেওয়া যাবেনা। কেননা দিল্লি পুলিশের সপক্ষে সমর্থন দিয়েছে এইরাজ্যের পুলিশের বড় অংশ। তাই পুলিশের বিরুদ্ধে লাগাদার ধর্না চালালে এই রাজ্যে পুলিশ মহলে বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে। সেজন্যই তড়িঘড়ি লিগ্যাল সেলের নেতাদের ডেকে বৃহস্পতিবার থেকে ধর্না কর্মসূচি বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। দিল্লির তিসহাজারি আদালতের ঘটনা যেন হাওড়া আদালত কান্ডে পুনরাবৃত্তি। তবে রাজনৈতিক পেক্ষাপট অন্যরকম।গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ি পার্কিং ঘিরে স্থানীয় থানার পুলিশ আদালতের ভেতরে তান্ডবলীলা চালায়। সেই ঘটনায় মাস খানেক রাজ্যের সমস্ত আদালতে কর্মবিরতি চলে আইনজীবীদের। শাসক দলের আইনজীবীরা প্রায় কোনঠাসা হয়ে পড়েছিলেন হাওড়া কান্ডে রাজ্য পুলিশের ভূমিকায়। বিজেপির উথান ঘটে কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশন ভোটে। তবে জেলার প্রায় সব বার এসোসিয়েশন ভোটে নিজেদের দখলে রাখতে সফল হয় শাসক শিবিরের আইনজীবীরা। এরেই মাঝে গত সপ্তাহে দিল্লির তিসহাজারি আদালতে সেই গাড়ি পার্কিং নিয়ে ঘটলো অশান্তি। তাতে কয়েকটি আইনজীবী গুরতর জখম সহ পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের শিকার হলেন বলে অভিযোগ। দিল্লীর এই আদালতের ঘটনায় রেশ পড়লো বঙ্গীয় রাজনীতিতে। দিল্লির রাজ্য সরকার বিজেপি বিরোধী দলের হাতে থাকলেও পুলিশ নিয়ন্ত্রিত হয় কেন্দ্রীয় সরকারের মনোনীত লেফটেন্যান্ট জেনারেলের হাত ধরে। তাই বিজেপির পুলিশের সন্ত্রাস কে হাতিয়ার করে এইরাজ্যে আইনজীবী মহলে জনমত গড়ে হারানো ভিত শক্ত করতে চেয়েছিল তৃনমূল শিবির। দিল্লির তিসহাজারি আদালতে পুলিশ কর্মীদের সাথে কুকুরের তুলনা রেখে ব্যানার পড়েছে। এমনকি এক পুলিশ কর্মী কে ঘটনার পর আদালত চত্বরে গাড়ি পার্কিং করতে এলে মারধর চলে। এইরকম অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে তপ্ত দিল্লি। দিল্লি পুলিশ সমস্ত আদালতে বিচারকদের নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। রাজপথে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে নেমেছে দিল্লী পুলিশ। তাতে দেশের রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলার প্রভাব পড়েছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে জ্বলন্ত ইস্যুতে বিজেপি পরিচালিত দিল্লী পুলিশের সন্ত্রাসে সরব হয়েছে বাংলার শাসক দল। ইতিমধ্যেই গত সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত আদালতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন তৃনমূল লিগ্যাল সেলের আইনজীবীরা। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে কলকাতা হাইকোর্টের সামনে এক মঞ্চে লাগাদার ধর্ণা কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা ছিল। চুড়ান্ত প্রস্তুতিও ছিল, তাতে নেতৃত্ব দেবেন স্বয়ং আইনমন্ত্রীর।এইরুপ পেক্ষাপট প্রস্তুত ছিল। ঠিক এরেই মাঝে দিল্লি পুলিশের পাশে সমর্থন জানায় এই বাংলার পুলিশের বড় অংশ। বিশেষত পুলিশের উচুমহল। দিল্লিতে আইনজীবী বনাম পুলিশের লড়াইয়ে তৃণমূল শিবির পড়ে যায় দোটানায়। লাগাদার ধর্ণা কর্মসূচি চালালে পুলিশমহলে বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে। এই আশংকায় সব প্রস্তুতি চুড়ান্ত হয়েও বাতিল হল হাইকোর্টের সামনে তৃনমূল লিগ্যাল সেলের ধর্না কর্মসূচি। যদিও লিগ্যাল সেলের চেয়ারম্যান ভাস্কর বৈশ্য জানান - " আমরা ইতিপূর্বে রাজ্যজুড়ে দিল্লি কান্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছি "।
বুধবার, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
উপনির্বাচনের আগে আইনী রক্ষাকবচ মিললো মুকুল রায়ের
আগামী ২৫ নভেম্বর রাজ্যের ৩ টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে। এইসব আসনে ত্রিমুখী রাজনৈতিক লড়াই চললেও মুখোমুখি লড়াই মূলত তৃনমুল বনাম বিজেপির। আর বিজেপির তরফে মুকুল রায় রয়েছেন নির্বাচনে দলগত পরিচালনায়। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ফৌজদারি মামলায় বিজেপি নেতা মুকুল রায় সাময়িক স্বস্তি পেলেও বেহালার সরশুনা প্রতারণা মামলায় আইনী জটে ক্রমশ পড়ছিলেন। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী এক দল মুকুল রায় কে জেরা চালিয়েছে। আবার সম্প্রতি বেহালায় কলকাতা পুলিশের এক অফিসে ডেকে মুকুল রায় কে জেরা চালিয়েছেন তদন্তকারীরা। কলকাতা হাইকোর্টে এই আর্থিক প্রতারণা মামলায় আইনী রক্ষাকবচের মেয়াদ ছিল ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। এরেই মধ্যে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলাটি পুনরায় উঠে। সেখানে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে - 'তদন্তে পূর্ন সহযোগিতার শর্তে আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত কলকাতা পুলিশ মুকুল রায় কে গ্রেপ্তার করতে পারবে না'। আগেকার শর্তাবলি গুলি এবারেও প্রযোজ্য। অর্থাৎ পুলিশের তরফে মুকুল রায় কে জেরা করতে গেলে তিনদিন আগে মুকুল রায় কে আগাম নোটিশ করে জানাতে হবে। এই মামলায় পরবর্তী শুনানি আগামী ৩ ডিসেম্বর। অর্থাৎ বলা যায় আসন্ন বিধানসভার উপনির্বাচনে আইনী স্বস্তি পেলেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা। গত শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল - 'আগামী ৮ নভেম্বর অবধি এই মামলায় অভিযুক্ত মুকুল রায় আইনী রক্ষাকবচ পাবেন। সেইসাথে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের তদন্তে পূর্ন সহযোগিতা করতে হবে মুকুল রায় কে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের তিনদিন আগে নোটিশ করে অবগত করতে হবে পুলিশ কে'। ইতিপূর্বে ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তুলেছিল পুলিশের তদন্তপ্রক্রিয়ার উপর - জানুয়ারি তে অভিযোগগ্রহণ হওয়ার পর কেন এতদিন পর সক্রিয়তা নিয়ে ? অভিযোগগ্রহণের প্রায় সাত মাস পর পুলিশ এই মামলায় তৎপরতা দেখায়। সেখানে তদন্তে পূর্ন সহযোগিতার শর্তে আগামী ৪ ডিসেম্বর অবধি রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে এই মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার কে অভিযুক্ত মুকুল রায় কে নির্ধারিত জিজ্ঞাসাবাদের তিনদিন আগে নোটিশ জারী করে অবগত করতে হবে। আগামী ৩ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি আছে। এই মামলায় অভিযুক্ত বাবান ঘোষ কে গত ২১ শে আগস্ট গ্রেপ্তারের পর কলকাতার বাবুঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়ের আরেক ঘনিষ্ঠ বলয়ে থাকা সাদ্দাম আলী কে।একসময় ধৃত বাবান ঘোষ কে জেরা করে নাম উঠে আসে সাদ্দাম আলীর নাম। তাই সাদ্দাম আলী কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে থাকে বাবুঘাট এলাকা থেকে। সরশুনা ঘুষকান্ডে দুজন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ায় ক্রমশ চাপে ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়। পুলিশি সুত্রে প্রকাশ, এই মামলায় বাবান ঘোষের পাশাপাশি নাম রয়েছে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। তাই গ্রেপ্তারির আশংকা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন মুকুল রায়। জানা গেছে, আর্থিক প্রতারণা (৪২০ ধারা) , এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (১২০ বি) এর জামিন অযোগ্য ধারা গুলি রয়েছে এফআইআর কপিতে।বেহালার সরশুনার বাসিন্দা সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের তার অভিযোগপত্রে লিখেছেন - গড়িয়াহাটের বাসিন্দা তথা বিজেপির মজদুর ইউনিয়নের নেতা বাবান ঘোষ ২০১৫ সালে রেলের স্থায়ী কমিটির পদ পাইয়ে দেওয়ার নামে ৪৬ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। সেসময় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী ছিলেন সুরেশ প্রভু। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে যোগাযোগ ভালো আছে বোঝানোর জন্য সংসদ ভবনে এই বাবান ঘোষ বেহালার সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় কে নিয়ে গিয়েছিল বলে দাবি। রেলমন্ত্রকের নানা কাগজপত্র নাকি দিয়েছিল অভিযুক্ত বাবান ঘোষ। এই কাগজপত্রের সততা জানতে পূর্ব রেলের সদর দপ্তর কলকাতার ফেয়ারলি প্লেসে গিয়েছিলেন অভিযোগকারী। আর সেখানেই জানতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। যদিও বাবান ঘোষ শিবিরের দাবি - 'সম্প্রতি টালিগঞ্জের একঝাঁক শিল্পীদের তৃনমূল থেকে বিজেপিতে নাম লেখানোর কাজে মুখ্য ভূমিকা নিয়ে ছিলেন বাবান ঘোষ। এই রাজনৈতিক শত্রুতা থেকেই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু এবং গ্রেপ্তার সে'।প্রশ্ন উঠে ২০১৫ সালের বিষয়টি কেন প্রায় চার বছরের মাথায় তুললেন অভিযোগকারী এবং রেলের স্থায়ী কমিটিতে পদ পেতে কেন এত টাকা দিতেও গেলেন সেই বিষয়েও উঠেছে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন ? এই মামলায় আজ ৪ ডিসেম্বর অবধি মুকুল রায়ের রক্ষাকবচ বাড়লো। ৩ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ। মুকুল রায় সংবাদমাধ্যম কে জানিয়েছেন - 'দলবদল করার পর মমতার সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ত্রিশটির মত ফৌজদারী মামলা রুজু করেছে। বেশিরভাগ মামলায় অভিযোগকারীরা হলফনামায় মামলা প্রতাহার করে নিয়েছে' । এইসব করে আগামী বিধানসভায় তৃনমূল তাদের ভরাডুবি রুখতে পারবেনা বলেও হুশিয়ারি দিয়েছেন মুকুল রায়।
দিল্লি আদালতের পুলিশি সন্ত্রাসের প্রতিবাদে তৃণমূল লিগ্যাল সেল
গত সপ্তাহে দিল্লীর তিসহাজারী আদালতে গাড়ী পার্কিং কে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল আদালত চত্বর। বেশ কয়েকজন আইনজীবী গুরতর জখম হয়েছিলেন। কয়েকজন আইনজীবী কে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। দিল্লীর এই আদালতে আইনজীবী বনাম পুলিশের ঝামেলায় এক দাগী আসামি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হাত থেকে পালিয়েও যায়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ইতিমধ্যেই 'বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া' জানিয়েছে। সোমবার দুপুরে তৃণমূল লিগ্যাল সেলের উদ্যোগে রাজ্যব্যাপী মহকুমা / জেলাস্তরের আদালতগুলির পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টেও তিসহাজারি কান্ডের প্রতিবাদ মিছিল হয়। এদিন তৃনমূল লিগ্যাল সেলের এহেন বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। তিনি নিজেও দীর্ঘদিন ধরে আসানসোল আদালতে আইনজীবী হিসাবে কাজ করে গেছেন। এদিন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন - "দিল্লীর পুলিশ কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত, তারা যে সন্ত্রাস সেদিন ঘটিয়েছে তার সুবিচার চাই "। তৃনমূল লিগ্যাল সেলের উদ্যোগে আজ হাইকোর্ট এর গেটে ধর্নায় উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মুখাপাধ্যায়, লিগ্যাল সেলের চ্যেয়ারম্যান ভাস্কর ভৈশ্য, বার কাউন্সিল মেম্বার আনসার মন্ডল , নীলমাধব গাঙ্গুলি ,আইনজীবি স্বপন ব্যানাজী, রাতুল বিশ্বাস , দ্বারিকানাথ মুখার্জি প্রমুখ। আজ বেলা একটা নাগাদ কলকাতা হাইকোর্টের গেটে শয়ে শয়ে আইনজীবীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এরপর সিটি সেশন কোর্টের গেট অবধি মিছিল চালান। তৃনমূল লিগ্যাল সেলের চেয়ারম্যান ভাস্কর বৈশ্য এবং বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের ভাইস চেয়ারম্যান সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় জানান - " রাজ্যজুড়ে প্রতিটি আদালতে আজ আমরা দিল্লীর আদালতে পুলিশি সন্ত্রাসের প্রতিবাদ জানিয়েছি "।
রবিবার, নভেম্বর ০৩, ২০১৯
টালিনালা সংস্কারের প্রয়াস
মোল্লা জসিমউদ্দিন
'আদি গঙ্গা না হাইড্রেন!' এই বিষয়ক সংবাদ ছবিসহ আপডেট হয় আমাদের পোর্টালে । আর তাতেই টনক নড়ে প্রশাসনের। দেখা যায় গীতাঞ্জলি মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন আদি গঙ্গায় নোংরা আবর্জনা স্তূপ সরাতে ব্যস্ত পুর কর্মীরা। এই আদি গঙ্গা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র নদী। সেই নদী বর্তমানে স্থানীয় প্রশাসনের অবহেলায় হাইড্রেনের রুপ নিলেও তাতে ভক্তদের ভক্তি কমেনি। প্রতিদিনই যারা জাগ্রত কালিঘাট মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। তারা মন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি আদি গঙ্গার ঘাটে এসে পুজোর অঞ্জলি দেন। মহানগরের বিভিন্ন নিকাশি নালা নর্দমার জল এই আদি গঙ্গায় মিশে। তার উপর নোংরা আবর্জনার স্তুপ এই আদি গঙ্গার উভয় পাড় গুলিকে সংকীর্ণ করে তুলেছে।আদি গঙ্গা কিংবা টালি নালার সংস্কারে উদ্যোগ ক্ষুদ্রতর হলেও এটি এক ইতিবাচক দিক বলে মনে করেন স্থানীয়৷
মোমরেজগড় গ্রামীণ হাসপাতালে সর্বদা চিকিৎসক সুনিশ্চিত করার নির্দেশ হাইকোর্টের
শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জয়নগর এলাকার এক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকা বিষয়ক এক মামলা উঠে। তাতে ডিভিশন বেঞ্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার সিএমওএইচ কে নির্দেশজারী করেছে যাতে ওই হাসপাতালে সর্বদা চিকিৎসক থাকে। এখানে চার সপ্তাহ সময়সীমা দেওয়া হয়েছে এই আদেশনামা টি কার্যকর করার জন্য। আদালত সুত্রে প্রকাশ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর এলাকার মোমরেজগড় গ্রামীণ হাসপাতাল টি একদা বিধান চন্দ্র রায়ের মুখ্যমন্ত্রীত্বের আমলে গড়া হয়েছিল। বছর দশ আগে ছোটখাটো অপারেশনও হত। ২০১৭ সালে ১৫ অক্টোবর গৌড় সর্দার নামে এক এলাকাবাসী হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা ফেরাতে শতাধিক বাসিন্দাদের সাক্ষর নিয়ে লিখিত দাবিপত্র রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর, জেলাশাসক এবং বিডিও কে দিয়েছিল। আশেপাশে দশের বেশি গ্রামের বাসিন্দারা এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। সাধারণত গ্রুপ ডি এবং নার্সরা রোগীদের চিকিৎসা করতো বলে অভিযোগ। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে ২০১৭ সালে নভেম্বর মাসে এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা উঠে আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরীর হাত ধরে। সেসময় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে একজন চিকিৎসক নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। গত দুবছর ধরে পুনরায় এই হাসপাতালে চিকিৎসক অনিয়মিত হয়ে উঠে। আবার কলকাতা হাইকোর্টের দৃস্টি আকর্ষণ করানো হয় হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবার গতি বাড়াতে। শুক্রবার দুপুরে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলাটি পুনরায় উঠে। তখন ডিভিশন বেঞ্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার সিএমওএইচ কে এই গ্রামীণ হাসপাতালে সর্বদা চিকিৎসক থাকার বিষয়ে নির্দেশজারী করে এবং তা কার্যকর করার জন্য একমাসের সময়সীমা দেওয়া হয়। মামলাকারীর আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরী জানান - " গ্রমের দিকে স্থানীয় হাসপাতালের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সরকার যেখানে স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতিকরণে এত তৎপর, সেখানে একটি হাসপাতালে অধিকাংশ সময় চিকিৎসক না থাকাটা দুর্ভাগ্যজনক। "
শনিবার, নভেম্বর ০২, ২০১৯
বর্ধমান শহরে ডিজেলসেট এলাকায় দুর্ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য
সানি প্রসাদ
শুক্রবার, নভেম্বর ০১, ২০১৯
শিয়ালদহ হাসপাতালে কুকুর হত্যা মামলায় চার্জশিট দাখিল এন্টালি থানার
মোল্লা জসিমউদ্দিন
শিয়ালদহ আদালতে এসিজেম এজলাসে এনআরএস হাসপাতালে কুকুর হত্যা মামলায় চার্জশিট দাখিল করলো এন্টালি থানার পুলিশ। প্রায় ৯ মাস পর ২০৪ পাতা বিশিষ্ট চার্জশিটে দুজন কে পুলিশি রিপোর্টে দোষী হিসাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যদিও এই মামলায় ৫ জন সন্দেহভাজন ছিলেন। কুকুর হত্যা মামলায় এনআরএস হাসপাতালে নার্সিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী বাঁকুড়ার মৌটুসী মন্ডল এবং নাসিং বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী কাকদ্বীপের সোমা মন্ডলের নাম রয়েছে। ঘটনার প্রথমভাগে এরা দুজন গ্রেপ্তার হলেও বর্তমানে ব্যক্তিগত জামিনে মুক্ত রয়েছেন। চার্জশিটে পশু হত্যা, খুনের নৃশংসতা এবং তথ্য প্রমাণ লোপাটের ধারা গুলি আছে। ১৬ টি কুকুর শাবক হত্যায় তোলপাড় হয়েছিল বাংলা। বিশেষত কুকুর শাবক খুনের ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছিল সোশাল মিডিয়ায়। কলকাতার বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠন এই ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতাল চত্বর সহ কলকাতার রাজপথে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল। যদিও এই হাসপাতালের ডেপুটি সুপারের নেতৃত্বে এক তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছিল। আদালত সুত্রে প্রকাশ, গত ১৩ জানুয়ারী কলকাতার শিয়ালদহ সংলগ্ন এনআরএস হাসপাতালের মেটারনিটি ওয়ার্ডে বস্তাবন্দি কুকুর শাবকদের মারতে দেখা যায় কয়েকজন কে। যা পরে ভাইরাল ভিডিও হিসাবে ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। ঘটনাস্থলের পাশেই রয়েছে নার্সিং বিভাগের হোস্টেল। তাই সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী সহ নার্সিং বিভাগের ছাত্রীদের পুলিশি তদন্তে সন্দেহভাজন হিসাবে রাখা ছিল। এন্টালি থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর পাশাপাশি হাসপাতালের বিভিন্ন প্রান্তের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে থাকে। ১৬ টি কুকুর শাবক হত্যায় প্রায় ৯ মাস পর ২০৪ পাতার চার্জশিট দাখিল পেশ করা হয় এদিন শিয়ালদহ আদালতে। যেখানে নার্সিং বিভাগের দুই ছাত্রী মৌটুসী মন্ডল এবং সোমা বর্মনের বিরুদ্ধে পশু হত্যা, খুনের নির্মমতা এবং তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগগুলি আনা হয়েছে। এই গুরত্বপূর্ণ মামলায় এন্টালি থানার পুলিশ চার্জশিট দাখিল করতে এত সময়সীমা কেন নিল, তা নিয়েও আইনজীবীদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন।
আইনজীবী খুনে জেলা পুলিশের তদন্তে সন্তুষ্ট বার কাউন্সিল
মোল্লা জসিমউদ্দিন
পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর থানার আঝাপুরে মহিলা আইনজীবী মিতালি ঘোষ খুনে পুলিশি তদন্তে আস্থা জানালো বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টে নাগাদ বর্ধমান সদরে পুলিশসুপার অফিসে পুলিশসুপারের সাথে ঘন্টা খানেক বৈঠক হয় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রতিনিধিদের। বৈঠক শেষে বার কাউন্সিলের সদস্যরা জানিয়েছেন - 'যেভাবে খুনের পাঁচদিনের মাথায় ফরেন্সিক রিপোর্ট, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সহ দশের বেশি নিহত আইনজীবীর প্রতিবেশী সহ যাতায়াতকারীদের উপর জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে। তাতে তদন্তে আস্থা রাখা যায়"। পুলিশ সুত্রে প্রকাশ, ওই মৃতা আইনজীবীর মোবাইল ফোনের কললিস্ট সহ টাওয়ার লোকেশন খুজবার জন্য সাইবার শাখা আলাদাভাবে খতিয়ে দেখছে। এদিন বর্ধমান সদর আদালতে বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং পুলিশসুপার অফিসে স্মারকলিপি কর্মসূচিতে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের পক্ষে ছিলেন আনসার মন্ডল, সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায়, শ্যামল ঘটক, প্রসূন দত্ত, কৈলাশ তামুলি, মিহির বন্দ্যোপাধ্যায়, রবীন ভট্টাচার্য, নীলমাধব গাঙ্গুলি, উত্তম মজুমদার প্রমুখ। ৯ সদস্য বিশিষ্ট বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের এই প্রতিনিধিদল এদিন দুপুরের মধ্যেই বর্ধমান সদর আদালতে পৌছায়। জেলা বার এসোসিয়েশনের সাথে আলোচনা সেরে আদালতের মূল গেটে কালো ব্যাচ পড়ে প্রতীকি প্রতিবাদ জানায় বার কাউন্সিল। এরপরে বর্ধমান জেলা বার এসোসিয়েশনের পদাধিকারীদের নিয়ে পুলিশসুপার অফিসে যান তাঁরা। কেন খুন হল? পুলিশ তদন্তে কি কি করছে? কোন তথ্য প্রমাণ মিলেছে কিনা? ব্যক্তিগত খুন না পেশাগত শত্রুতায় খুন? এই বিধ নানান প্রশ্ন তাঁরা পুলিশসুপারের কাছে রাখেন। পুলিশসুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রতিনিধিদের জানান - এই খুনের সংবাদ পাওয়া মাত্রই তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। সিআইডির ফরেন্সিক শাখা কে জরুরি তলবে আনা হয় জামালপুরের আঝাপুরে। তারাও প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়েছে। এই মামলায় গুরুত্ব অনুভব করে বর্ধমান সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তাড়াতাড়ি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই রিপোর্ট দিয়েছে তাদের কে "। পুলিশ সুপারের এহেন ভুমিকায় খুশি বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রতিনিধিরা। বার কাউন্সিল এর পক্ষে আনসার মন্ডল - সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় জানান - " আমরা পুলিশি তদন্তে আস্থা রাখি, যেভাবে তদন্ত চলছে তার গতি যেন কমে না যায়। সেই বিষয়েও আমরা নজর রাখব "। উল্লেখ্য, গত ২৬ অক্টোবর জামালপুরের আঝাপুরে নিজ বাড়ীতে খুন হন বর্ধমান সদর আদালতের সিভিল ও ক্রিমিনাল বিভাগের আইনজীবী মিতালি ঘোষ। হাত পা বাঁধা অবস্থায় বিবস্ত্রভাবে দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। এই খুনের প্রতিবাদে বর্ধমান সদর আদালতে গত বুধবার কর্মবিরতি পালিত হয়। জেলা বার এসোসিয়েশন বিষয়টি দ্রুত বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল কে জানায়। বুধবার বিকেল বার কাউন্সিলের পক্ষে রাজ্যব্যাপী আদালতগুলিতে আইনজীবীদের কর্মবিরতি ডাকা হয়। তা আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাজ্যের সর্বত্র আদালতে কালো ব্যাচ পড়ে প্রতীকি প্রতিবাদ জানিয়ে কর্মবিরতি চলে। এরপর আজ বিকেল ৩ টায় পূর্ব বর্ধমানের পুলিশসুপারের সাথে ৯ জন বার কাউন্সিল মেম্বার স্মারকলিপি কর্মসূচি সহ খুনের মামলায় তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা চালায়। তাতে পুলিশি তদন্তে আস্থা জানালো বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল। তৃনমূল লিগ্যাল সেলের চেয়ারম্যান ভাস্কর বৈশ্য জানান - " জামালপুরে মহিলা আইনজীবী খুনে পুলিশ অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করুক, এটা আমরা দলের লিগ্যাল সেলের পক্ষে দাবি জানাই "।
বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে সহবাস, বিয়ে না করায় গ্রেপ্তার যুবক
বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গে গ্রেপ্তার ১,উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাদুড়িয়া থানার অন্তর্গত ফতুল্লপুর গ্রামে আশরাফুল মিস্ত্রি (২৪) নামে এক যুবক বহুদিন ধরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্থানীয় এক মেয়ের সাথে সহবাস করে। সূত্রের খবর তাদের মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘদিনের, এমতাবস্থায় আশরাফুল মিস্ত্রি তার সমস্ত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মেয়ের বাড়ির লোকজন বাদুড়িয়া থানায় পুলিশের দ্বারস্থ হন এবং লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ আশরাফুল মিস্ত্রিকে গ্রেপ্তার করে আজ তাকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।
বর্ধমানে মহিলা আইনজীবী খুনের প্রতিবাদে আজ আইনজীবদের আদালতে কর্মবিরতি
পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার আঝাপুরে মহিলা আইনজীবী মিতালি ঘোষ খুনের প্রতিবাদে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট সহ সারা রাজ্যের সমস্ত দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালতে কর্মবিরতি চলবে। সেইসাথে কালো ব্যাচ পড়ে আইনজীবীরা এই নির্মম খুনের ঘটনায় প্রতিবাদ জানাবেন আদালত চত্বরে। বুধবার দুপুরে সিটি সিভিল কোর্টের ষষ্ঠতলায় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের জরুরি বৈঠক হয়, সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে এই কর্মবিরতি বিষয়ে সির্দ্ধান্ত গ্রহণ হয় বলে জানিয়েছেন বার কাউন্সিল এর পক্ষে সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায়, আনসার মন্ডল প্রমুখ। তাঁরা বলেন - " বৃহস্পতিবার দুপুরে এই মহিলা খুনে প্রকৃত দোষীদের খুঁজতে পুলিশসুপারের অফিসে ৭ সদস্যর দল যাবেন "। পূর্ব বর্ধমানের সদর আদালতের বার এসোসিয়েশনের সহ সম্পাদক সঞ্জয় ঘোষ জানিয়েছেন - " আমরা জেলা বার এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বার কাউন্সিল কে প্রতিবাদ জানাবার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি করেছিলাম "। মহিলা আইনজীবী খুনের তদন্তে ইতিমধ্যেই জামালপুর থানার পুলিশ কোমর বেঁধে তদন্তে নেমেছে। খুনের তিন দিনের মধ্যেই খুনের ঘটনাস্থলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ থেকে প্রতিবেশী সহ যারা বাড়ীতে আসতেন ( কাজের মেয়ে, পেপারওয়ালা, দুধওয়ালা) তাদের একপ্রস্ত জিজ্ঞাসাবাদ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন জামালপুর থানার ওসি পুস্পেন্দু জানা। যদিও এই মামলায় সুনির্দিষ্টভাবে কারও নামে অভিযোগ হয়নি। এলাকা সুত্রে জানা গেছে, পূর্ব বর্ধমান জেলার আদালতে সিভিল ও ক্রিমিনাল বিভাগের আইনজীবী মিতালি ঘোষ একাই বাড়ীতে থাকতেন। গত ২৭ অক্টোবর সকালে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বিবস্ত্রভাবে মাঝবয়সী মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। ওই বাড়ীতে গৃহপরিচারিকার কাজ করা মেয়েই প্রথমে ডাকাডাকি করে দেখতে না পেয়ে আশেপাশের প্রতিবেশীদের এনে ক্ষতবিক্ষত দেহের সন্ধান পায়। ঘটনার পরেই পূর্ব বর্ধমান জেলা আদালতে বার এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে আসে এক প্রতিনিধিদল। এরপর গত মঙ্গলবার জরুরি বৈঠক সেরে বুধবার জেলা আদালতে কর্মবিরতির সির্দ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং বিষয়টি রেজুলেশন করে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল কে পাঠানো হয় বলে জানান জেলা আদালতের বার এসোসিয়েশনের সহ সম্পাদক সঞ্জয় ঘোষ মহাশয় । তাতে বুধবার দুপুরে কলকাতার সিটি সিভিল আদালতে ষষ্ঠতলায় অবস্থিত বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের অফিসে জরুরিসভা চলে। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে মহিলা আইনজীবী খুনের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে আইনজীবীদের কর্মবিরতি এবং কালো ব্যাচ পড়ে প্রতীকি প্রতিবাদ জানানোর জন্য সির্দ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের ভাইস চেয়ারম্যান সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে বার কাউন্সিল এর ৭ জন মেম্বার জেলা বার এসোসিয়েশনের পদাধিকারীদের নিয়ে পূর্ব বর্ধমান এসপি অফিসে স্মারকলিপি কর্মসূচি সহ তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে আলোচনা চালাবেন। এই প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দেবেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা কলকাতা হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী আনসার মন্ডল মহাশয়। জামালপুরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মহিলা আইনজীবী খুনের ঘটনায় জানিয়েছেন - "নিহত ওই মহিলা আইনজীবী জেলা সদর আদালতে যেসব মামলায় যুক্ত ছিলেন, সেইসব মামলায় পক্ষে বিপক্ষে যারা রয়েছেন, তাদের কে জিজ্ঞাসাবাদ চালালে খুনের আসল কারণ উঠে আসতে পারে"। কেননা নিছকই চুরি - ডাকাতির জন্য এই খুন নয়, তা মনে করেন তারা।মামলার কাগজপত্র হাতাতে কিংবা কোন গুরত্বপূর্ণ মামলায় ওই আইনজীবীর না থাকাটা খুনিদের কাছে লাভবান হতে পারে।
নারদা মামলায় ব্যাংকশাল আদালতে জামিন মিললো না আইপিএস মির্জার
মোল্লা জসিমউদ্দিন
যিনি অন্যের অভাব অভিযোগ শুনতেন, সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণও করতেন। আজ তিনি নিজেই অন্যায় অবিচারের শিকার! ঠিক এইরুপ অভিযোগ আইনজীবীর মাধ্যমে তুলে জেল বদলের দাবি তুললেন অবিভক্ত বর্ধমান জেলার পুলিশসুপার সৈয়দ হোসেন আলী মির্জা। বুধবার দুপুরে কলকাতার ব্যাংকশাল আদালতে পেশ করা হয় নারদা আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ধৃত আইপিএস সৈয়দ হোসেন আলী মির্জা কে।মির্জার আইনজীবী জামিনের পক্ষে সওয়াল চালালেও সিবিআইয়ের আইনজীবী জামিনের কড়া বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে ব্যাংকশাল আদালতে সিবিআই এজলাসের বিচারক ধৃত আইপিএস কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন। অর্থাৎ আগামী ১৩ নভেম্বর পুনরায় পেশ করা হবে এই এজলাসে ধৃত আইপিএস কে। গত ২৬ শে সেপ্টেম্বর সিবিআই অফিসে জেরা চলাকালীন গ্রেপ্তার দেখানো হয় নারদা আর্থিক দুর্নীতির মামলার অভিযুক্ত পুলিশ কর্তা কে। এই নিয়ে চারবার তাঁকে সিবিআই আদালতে এই এজলাসে পেশ করা হল। যদিও জেলে থাকাকালীন কোন জিজ্ঞাসাবাদ চালায়নি তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। বুধবার আইনজীবির মাধ্যমে প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন এই পুলিশ কর্তা।যা নিয়ে রাজ্যরাজনীতেতে রীতিমতো হইচই শুরু হয়ে গেছে। যদিও সিবিআই এজলাসের বিচারক এইসব অভিযোগ শুনবার এক্তিয়ার নেই বলে জানিয়েছেন৷ তিনি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ জেল কর্তৃপক্ষ কে লিখিতভাবে জানাবার পরামর্শ দিয়েছেন। শুধু একটি - দুটি অভিযোগ নেই জেল হেফাজতে থাকা বরখাস্ত আইপিএস সৈয়দ হোসেন আলী মির্জার। অনেকগুলিই অভিযোগ তাঁর। প্রথমত, তাঁর মুখের মাক্স খুলে নেওয়া হচ্ছে, দ্বিতীয়ত প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র মিলছেনা ( তিনি বেশকিছু রোগে অসুস্থ) , তৃতীয়ত নিম্নমানের খাবার দেওয়া হচ্ছে। চতুর্থত তাঁর সাথে খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি মেন্ট্রাল ট্রমার মধ্যে আছেন তাই পরিবারের সাথে বেশিবার দেখা করার অনুমতি মিলছেনা। সাধারণত জেলবন্দিদের সপ্তাহে একবার দেখা করতে দেওয়া হয়। মির্জা সাহেবের আইনজীবী সপ্তাহে তিনবার পারিবারিক সদস্যদের সাথে জেলে দেখা করার অনুমতি চেয়েছেন। এই বিধ জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ গুলি এজলাসে তোলা হলেও বিচারক বিষয়টি জেল কর্তৃপক্ষ কে জানাবার পরামর্শ দিয়েছেন।গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে নারদা স্টিং অপারেশন প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলায় তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এর কাছে। তারা প্রায় অভিযুক্তের কলকাতা অফিসে জেরাপর্ব চালান। সাথে তাদের ভয়েস রেকর্ড সংগ্রহ করে ফরেন্সিকের জন্য। এই মামলায় এই রাজ্যের হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রী সাংসদ পুলিশ কর্তারা অভিযুক্ত। গত ২৬ সেপ্টেম্বর সিবিআই জেরা চলাকালীন পূর্ব বর্ধমানের প্রাক্তন পুলিশসুপার সৈয়দ হোসেন আলী মির্জা কে গ্রেপ্তার করে। প্রথমে ৫ দিনের সিবিআই হেফাজত এরপর তিনধাপে ১৪ দিন করে জেল হেফাজতে রয়েছেন এই পুলিশ কর্তা।এই মামলায় মূল অভিযুক্ত মুকুল রায়ের সাথে মুখোমুখি জেরা চলে। সেইসাথে টাকা লেনদেনের ভিডিওগ্রাফি হয়। এক মাসের বেশি জেলবন্দি রয়েছেন প্রাক্তন পুলিশসুপার। নারদা মামলায় তদন্তে কোন অগ্রগতি হয়নি, তবুও কেন জেলে আইপিএস মির্জা? এই প্রশ্নও এদিন এজলাসে তুলেন মির্জার আইনজীবী।
টোটো চালকের সততায় মুগ্ধ ভাতার
ফের সততার নজির দেখা গেল এক টোটো চালকের। ফেরালেন নব্বই হাজার টাকার সোনার অলঙ্কার।ভাতারের ঘটনা এটি। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে ভাতারের বড়বেলুনের বড়কালির বিসর্জন ছিল ।সেই বিসর্জনে হাজার হাজার মানুষ সামিল হয়েছিলেন। ভাতারের রবীন্দ্রপল্লীর এক পরিবারের মা ও ছেলে গিয়েছিলেন এই বিসর্জন দেখতে । অভিজিৎ মন্ডল, ও পুষ্প মন্ডল নাম তাদের।পুষ্প দেবী যখন তার পোশাক পরিবর্তন করছিলেন তখন লক্ষ্য করেন তার গলার মধ্যে থাকা দুই ভরি ওজনের সোনার হারটি নেই।
এরপরই বাড়ির সকল সদস্যের মন খারাপ হয়ে যায়। এত ভিড়ের মধ্যে মনে হয় যেন কেউ ছিনিয়ে নিয়েছে এ রকমই চিন্তা-ভাবনা করেন পরিবারের লোকজন।অপরদিকে যে টোটোতে পুষ্প দেবী এসেছিলেন তার বাড়ি ভাতারের খুন্না গ্রামে।টোটো চালকের নাম সঞ্জীব সামন্ত। প্রায় দুই বছর ধরে তিনি টোটো চালাচ্ছেন ভাতারের বিভিন্ন সড়কপথে ।গতকাল রাত্রে তিনি যখন টোটো তে ব্যাটারির চার্জ দিতে যান, তখন তিনি দেখতে পান তার টোটোর মধ্যে একটি সোনার হার পড়ে রয়েছে। তিনি অনুমান করেন ভাতার বাজারের রবীন্দ্রপল্লী যে কাকিমাকে নিয়ে এসেছিলেন তারই হতে পারে হারটি। বুধবার সকালে তিনি রবীন্দ্রপল্লীতে এসে অভিজিৎ মন্ডলের বাড়িতে জিজ্ঞাসা করেন তাদের কোন সোনার জিনিস গতকাল কে খোয়া গেছে কিনা ।তখন তারা জানায় তাদের গলার হার হারিয়ে গেছে।সঙ্গে সঙ্গে সেই হার টি ফিরিরে দেয় টোটো চালক সঞ্জীব সামন্ত।তার এই সততা দেখে খুশি ভাতার এলাকার মানুষজন। অপরদিকে টোটো চালক জানান - " আমাকে খুবই ভালো লাগছে, আমি এই হারটা ওনাকে ফিরিয়ে দিয়েছি"।
একই বাড়ীতে বারবার চুরি, কাঁকসা পুলিশের নিস্ক্রিয়তায় প্রশ্ন
ফের চুরির ঘটনা ঘটলো কাঁকসার বিরুডিহা গ্রামে। চলতি মাসের এক তারিখে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। কাঁকসা থানায় অভিযোগ জানানোর পরেও চুরির কিনারা হয় নি বলে অভিযোগ। ফের মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই একই বাড়িতে চুরির ঘটনায় রীতিমত আতংক ছড়িয়েছে ওই পরিবারের মধ্যে। বারবার একই বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটায় বুধবার সকাল থেকেই পরিবারের সদস্যরা ও এলাকার বাসিন্দারা কাঁকসা থানার সামনে ধর্ণায় বসে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা।যদিও পুলিশের তরফে তদন্ত চলছে বলে দাবি করা হয়েছে।
পথশিশুদের ভাইফোঁটা জানালো প্রসেনজিৎ ফ্যানরা
বিভিন্ন সুপারস্টারদের ফ্যানরা সংগঠন গড়ে বিভিন্ন জনহিতকর উদ্যোগ নেয়। দক্ষিণভারতের মেগাস্টার কমল হাসানের ফ্যানরা যেমন নানান সমাজসেবামূলক কাজ করে।ঠিক তেমনি দুই বাংলার সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টপাধ্যায় এর ফ্যানরাও এহেন উদ্যোগ নেয়। কলকাতার উল্টোডাঙ্গা সংলগ্ন তেলেঙ্গাবাগান ( মুচিপাড়া) এলাকায় 'প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি সোশাল অরগানাইজেশান' নামে এইরুপ এক সংগঠন রয়েছে। যারা দীর্ঘদিন ধরে অভিনেতা প্রসেনজিৎ কে উদেশ্য করে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়। মাস কয়েক পূর্বে এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পান্ডে কে এনে শতাধিক অনাথ শিশুদের জন্মদিন পালন করে থাকে। গত মঙ্গলবার সন্ধেবেলায় প্রায় জনা পঞ্চাশ পথশিশুদের এনে ভাইফোঁটা পালন করলো তারা। এই সংগঠনের কর্ণধার বিপ্লব দে জানান - "বুম্বাদার ( প্রসেনজিৎ চট্টপাধ্যায়) নির্দেশে আমরা বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিদের নিয়ে সামাজিক অনুষ্ঠান করে থাকি। কাজ করতে গিয়ে অনেক বাধাও এসেছে তবে বুম্বাদার আর্শীবাদ মাথায় আছে তাই মানুষের পাশে আমরা থাকবই "।
নির্মল বাংলায় আদি গঙ্গা হয়েছে হাইড্রেন
আদি গঙ্গা না হাইড্রেন? দেখলে মনে হতেই পারে এটা সবচেয়ে বড় নিকাশিনালা। তবে কলকাতার কালিঘাট মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে আদি গঙ্গা। এখনো মন্দিরের দর্শনার্থীরা এলে এই আদি গঙ্গার ঘাটে আসেন। পুজোও দেন ঘাটে। আদি গঙ্গা টি খিদিরপুর থেকে বয়ে এসেছে। এলাকাবাসীরা জানান - "আদি গঙ্গা কে অনেকেই আবার 'টালি নালা' বলে থাকেন, বৃটিশ আমলে টালি নামে এক ইংরেজ সাহেব এই মজে যাওয়া আদি গঙ্গাটি সংস্কার করেছিলেন। তাই আদি গঙ্গা কে টালি নালাও বলে অনেকে"। বর্তমানে কালিঘাট সহ বিভিন্ন এলাকার ড্রেনের অভিমুখ এই আদি গঙ্গাতে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তাই আদি গঙ্গা কে দেখলে ভাবতেই পারেন এটি কোনো হাইড্রেন।কেন্দ্রীয় সরকারের স্বচ্ছ ভারত অভিযান কিংবা রাজ্য সরকারের নির্মল বাংলা কর্মসূচি কতটা ফিকে তা কালিঘাটের আদি গঙ্গা দর্শন করলেই বোঝা যায়!
সোমবার, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
সারেঙ্গাতে বস্ত্রবিলি হল
রবিবার, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
গরুপাচারে তৃণমূল কে সিবিআই দিয়ে জব্দ করতে চায় বিজেপি!
উরশেও এনআরসি ইস্যু তুললেন রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী
মোল্লা জসিমউদ্দিন
শনিবার সারাদিনব্যাপি পূর্ব বর্ধমানের সদর মঙ্গলকোট গ্রামে আস্তানা শরীফে হল পীর হজরত মাওলানা সৈয়দ শাহ রাশাদ আলি আল কাদেরীর ১৪ তম বাৎসরিক উরস মোবারক ।এই উরস মোবারকে এসেছিলেন রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বোলপুর সাংসদ অসিত মাল, রাজ্যসভার সাংসদ আহমদ হাসান ইমরান, বাংলাদেশের ঢাকার সাংসদ নাগিদ সোহাগ, বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের মেম্বার তথা কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী আনসার মন্ডল, সেহেরাবাজার আল আমিন মিশন এর পদাধিকারী সফিকুল ইসলাম প্রমুখ। কয়েকশো বছর আগে পীর হজরত মাওলানা সৈয়দ শাহ রাশাদ আলি আল কাদেরী ধর্মীয় প্রচারে সূদুর ইরাকের বাগদাদ থেকে ভারত বর্ষে এসেছিলেন। সুফিবাদের প্রচারে মঙ্গলকোট কেই বেছে নিয়েছিলেন এই ধর্মীয় প্রচারক। শনিবার এই উরশ উৎসব মঞ্চে সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ শাহ ফাদিল এরশাদ রাশুদ আলি আল কাদেরী। এরপর অধ্যাপক সৈয়দ শাহ মারহুনুল এরশাদ আলি আল কাদেরী কোরান ও হাদিসের পেক্ষাপটে কিভাবে সৌভ্রাত্ব বাড়ানো যায় সেই বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। সৈয়দ শাহ ওয়ামিকুল এরশাদ আলি আল কাদেরী হুজুর কেবলার জীবন আদর্শের উপর আলোকপাত করেন এদিন মঞ্চে। শনিবার সদর মঙ্গলকোট গ্রামে সকালেই উরশের সূচনা ঘটে মিলাদ মেহফিলের মাধ্যমে। দুপুর একটা নাগাদ দ্বিতীয় পয্যায়ের সভা শুরু হয়। রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা এই পবিত্রস্থানে এসে মনে তৃপ্ত হয়েছেন, তা ব্যক্ত করেন৷ সেইসাথে এনআরসি নিয়ে বাংলা কে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে তার বিরুদ্ধে একতা এবং সৌভাতৃত্বের পক্ষে সওয়াল চালান। কাজি নজরুল ইসলামের 'মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম' কবিতার বাস্তবতা খুবই জরুরি তা সভায় আগত শত শত ভক্তদের বলেন মন্ত্রী। এরপর বোলপুর সাংসদ অসিত মাল 'ধর্ম কাউকে ছোট করাতে শেখায়নি' তা নিয়ে সপক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন। রাজ্যসভার সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরান বক্তব্য পেশে মুঘল সম্রাট শাহজাহান বাদশার শিক্ষাগুরু ও দীক্ষাগুরু আব্দুল হামিদ দানেশখন্দ ( হামিদ বাঙ্গালী) এর সুফিবাদের প্রচারে মঙ্গলকোট তথা বাংলার অবস্থান তুলে ধরেন৷ কয়েশ বছর ধরে মুসলিমরা দিল্লীতে রাজত্ব চালালেও উত্তর - দক্ষিণ - পশ্চিম ভারতে মুসলিমদের সংখ্যা বাড়েনি। তবে পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মুসলিম সংখ্যা বেড়েছে কেননা সুফিবাদের প্রচারের সার্বিক বিকাশ ঘটেছিল এইখানে।এই সুফিবাদের প্রচার সমসাময়িক ক্ষেত্রে আরও দরকার, তা নিয়ে কোরান শরীফের বিভিন্ন অংশ তুলে ধরেন ইমরান সাহেব। এই উরশে শুধু এই বাংলা নয় ভারতবর্ষে বিভিন্ন প্রান্তের শত শত ধর্মপ্রাণরা এসেছিলেন। বাংলাদেশ থেকেও এসেছিলেন অনেকেই । ঢাকার সাংসদ নাগিদ সোহাগ, বাংলাদেশের শিল্পপতি মহম্মদ জাকারিয়া এই বাংলায় এসে অভিভূত তা বারবার ব্যক্ত
শুক্রবার, অক্টোবর ২৫, ২০১৯
সাইকেল - মোটরসাইকেল রাখার ভূগর্ভস্থ পার্কিং জোন বর্ধমান শহরে
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে শুক্রবার চালু হলো বর্ধমান শহরের কার্জন গেট চত্ত্বর এলাকা সংলগ্ন ম্যান্ডেলা পার্কের পার্কিং জোন। এই পার্কিং জোনটি শুধুমাত্র দ্বিচক্রযান অর্থাৎ টু হুইলারের জন্য। বর্ধমানের ব্যস্ততম জনবহুল এলাকা বিসি রোডের যানজট কমাতে প্রায় বছর পাঁচেক আগেই ম্যান্ডেলা পার্কে ওই পার্কিং জোন তৈরী করার সিদ্ধান্ত নেয় বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদ । এর পর ভূগর্ভস্থ ওই পার্কিং জোন তৈরীর কাজ শুরু হয় ধীর কদমে।
উল্লেখ্য, বর্ধমান শহরের বিশেষত, বি,সি,রোডে রাস্তার দুদিকেই গাড়ি পার্কিং করে রাখায় যানজট নিয়ে জেরবার সাধারণ মানুষ। বি,সি,রোডে কোনো পার্কিং জোন না থাকায় সমস্যা বেড়েই চলছিল। আর তাই কার্জন গেটের উল্টোদিকে ম্যাণ্ডেলা পার্কের জায়গায় ভূগর্ভস্থ এই পার্কিংজোন তৈরীর প্রকল্প হাতে নেয় বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদ। ইতিমধ্যে বারকতক এই ম্যাণ্ডেলা পার্কের পার্কিংজোনের উদ্বোধনও করা হয়।
সম্প্রতি বর্ধমানে প্রশাসনিক সভা করতে এসে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে ফের উদ্বোধন হয় এই পার্কিং জোনের। কিন্তু বাস্তবে তা চালু হয়নি। অবশেষে ২৫শে অক্টোবর শুক্রবার এই ভূগর্ভস্থ পার্কিং জোন চালু হয়। উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক বিজয় ভারতী, পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখার্জী, বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক ডঃ রবীরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, জেলা শাসক বিজয় ভারতী, জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখার্জী, সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু, বিশেষ সমাজসেবী ও বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার খোকন দাস সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। এদিন রবিরঞ্জনবাবু জানিয়েছেন, এই পার্কিং এলাকা তৈরী করতে প্রায় ৬ কোটি ২২ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। এছাড়াও তিনি এই পার্কিং এলাকার সৌন্দর্য্যায়নের জন্য বিধায়ক তহবিল থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা অর্থ বরাদ্দ করেছেন। এটা শুধুমাত্র পার্কিং জোন হিসাবেই তৈরী করা হয় নি, ত্রিতল এই পার্কিং জোনের ছাদে তৈরী করা হয়েছে ক্যাফেটিরিয়া, সুদৃশ্য ফোয়ারা, দুটি স্বর্ণ বর্নের বৃহৎ মঙ্গলঘট। ভূগর্ভস্থ পার্কিং জোনে থাকতে পারবে ১০১ টি দ্বিচক্রযান। সময়ানুযায়ী পার্কিং চার্জের লিস্টও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে সামনের দিকে। অন্যদিকে জেলা শাসক ও পুলিশ সুপার বর্ধমান শহরের যানজট মুক্ত করার জন্য এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ২৪, ২০১৯
এসএসকেএম হাসপাতালের অভিযোগগ্রহণের নাম্বার অকেজো
নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেননা সুপারিন্টেন্ডেন্ট বা অন্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের অফিসে অভিযোগ জানাতে পারাটা সবার পক্ষে পরিস্থিতি অনুযায়ী সম্ভব নয়।
বুধবার, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
বিজয়া সম্মিলনী আয়োজন করলো মেমারি ১ নং পঞ্চায়েত সমিতি
সেখ সামসুদ্দিন
আজ মেমারি ১ পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে পুজো পরিক্রমার পুরস্কার বিতরণী ও বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হয় ব্লকের মুক্ত মঞ্চে। উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান সদর দক্ষিণ মহকুমা শাসক সুদীপ ঘোষ, বিডিও বিপুল কুমার মন্ডল, জয়েন্ট বিডিও উজ্জ্বল সর্দার, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বসন্ত রুইদাস, সহ সভাপতি সেখ মোয়াজ্জেম, বিশিষ্ট সমাজসেবী, শিক্ষাবিদ ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মধুসূদন ভট্টাচার্য সহ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ও সদস্যগণ, জেলা পরিষদের দুই সদস্যা মনিকা রায় ও চাঁদমণি মুরমু, সকল বিচারক মন্ডলী, পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধানগণ এবং ব্লকের ১১২টি পুজো কমিটির সদস্যগণ। এদিন ব্লকের সেরার সেরা প্রথম পুরস্কার গ্রহণ করেন পাল্লা রোড পল্লীমঙ্গল সমিতির সম্পাদক সন্দীপন সরকার। দ্বিতীয় সেরার সেরা নিমো বটতলা পুজো কমিটি, তৃতীয় সেরার সেরা সরমস্তপুর যুব সংঘ বারোয়ারী পুজো। ব্লকের মহিলা পরিচালিত সেরা পুজো এল এন্ড টি অফিসপাড়া মাতৃমঙ্গল সার্ব্বজনীন পুজো। ব্লকের সেরা প্যান্ডেল সরমস্তপুর যুব সংঘ, সেরা সচেতনতা মল্লিকাপুর বারোয়ারী, সেরা প্রতিমা রসুলপুর বেলতলা, সেরা পরিবেশ নিশিড়াগড় বারোয়ারী, আলোকসজ্জায় গন্তার খেয়ালী সংঘ এবং সেরা ব্যবহারে শুঁড়ো দুর্গাপুর। এবার পঞ্চায়েতের সেরা গন্তার ১ এর চন্ডীতলা, গন্তার ২ এর অন্নপূর্ণা পাঠাগার, নিমো ১ এর সুকান্তপল্লী ছানাপুকুর, নিমো ২ মহেশডাঙ্গা উদয় সংঘ, দলুইবাজার ১ এর দলুইবাজার উত্তরপাড়া, দলুইবাজার ২ পাল্লারোড ক্যাম্প, আমাদপুরের আমাদপুর সার্ব্বজনীন পুজো, দেবীপুরের ইছাবাছা সার্ব্বজনীন, দুর্গাপুরের এম এম বসু বারোয়ারী, বাগিলার নুদীপুর বারোয়ারী পুজো। এছাড়াও পাঁচটি উৎসাহ পুরস্কার দেওয়া হয় যথাক্রমে কালসি মা জগৎগৌরী সংঘ, দেবীপুরের সীতারামবাটী বারোয়ারী, নিমো ২ এর মহেশডাঙ্গা গ্রাম বারোয়ারী, দুর্গাপুরের বিরশিমুল আদি বারোয়ারী, এবং গ্রাম দেবীপুরের মধ্যমপাড়া পুজো কমিটি।
মঙ্গলবার, অক্টোবর ২২, ২০১৯
ধর্ষক - খুনি বাইরে, কদম্বগাছিতে জনপ্রতিবাদ
দত্তপুকুর থানার কদম্বগাছি কড়েয়া শিবতলা এলাকায় ১৯ সে সেপ্টেম্বর বছর পাঁচেকের নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ দায়ের করে থানায় এলাকার সাধারণ মানুষ এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো কোন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ ।দোষী্দের গ্রেফতারের দাবিতে ফাঁড়ির সামনে টাকি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে
দত্তপুকুর থানার কদম্বগাছি কড়েয়া শিবতলা এলাকায় গত ১৯ সে সেপ্টেম্বর পাঁচ বছর বয়সের এক নাবালিকাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তিনদিন ধরে। নিখোঁজ ডাইরি করে পরিবার। তিন দিন পর বাড়ি থেকে প্রায় চারশো মিটার দুরে ঝোপের পাশে একটি ডোবা থেকে উলঙ্গ অবস্থায় ভাসতে দেখে এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের দাবি ছোট মেয়েটিকে ধর্ষণ করে খুন করে ডোবায় ফেলে দিয়েছিল ধর্ষকরা । এলাকার সাধারণ মানুষ দত্তপুকুর থানার কদম্বগাছি ফাঁড়িতে বেশ পাঁচ থেকে ছ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করে । এক মাস কেটে গেলেও কোন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি তার প্রতিবাদে কদম্বগাছি এলাকা থেকে পাঁচ ছশো পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে টাকি রোড মিছিল করে ও অবরোধ শুরু করে কদম্বগাছি পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে । সাধারণ মানুষের দাবি দোষীদের কে গ্রেফতার করে কঠিন তম সাজা দিতে হবে । ঘন্টা ডেরেক অবরোধ বিক্ষোভ চলার পর দোষীদের গ্রেফতার করা হবে পুলিশের কাছে এই আশ্বাস পাওয়ার পর অবরোধ ওঠে
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
OLD POSTED
আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER
-
বাকুঁড়ার কোতলপুর ব্লক তৃনমূল কমিটির পরিচালনায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা হয়।উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্যামল সাতঁরা, সাংসদ সৌমিত্র খান, জেলা স...