ওয়াসিম বারি
পেট্রাপোল উন্নয়ন সমিতি তৈরি করে বাজার থেকে কয়েক কোটি টাকা তুলে অনুমতি ছাড়াই চড়াসুদে ঋন দিয়ে বছর দশেক ধরে চলছিল রমরমিয়ে চড়া সুদের কারবার। বেশি টাকা পাওয়ার আশায় ঐ সমিতিতে টাকা রেখে প্রায় হাজার জন আমানতকারি প্রতারিত হয়ে পেট্রাপোল থানার পুলিশের দারস্থ হয়। সমিতির ১৬ জনার বিরুদ্ধে অভিযোগ হতেই , বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা তুলে প্রতারণার দায়ে ৭ জন কে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ অন্যরা পলাতক ৷
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানাযায় ২০০৫ সালের ১৪ ই জুলাই এই সমিতি প্রথম শুরু হয় , তারপর থেকে অবৈধ সুদের কারবারে ফুলে ফেঁপে ওঠে তারা।স্কুল, ট্রান্সপোর্ট, মাছের ভেড়িসহ নানা ব্যবসা তারা শুরু করে ৷ চড়া সুদের লোভ দেখিয়ে চলে টাকা তোলার কাজ । ২০১৫ সাল থেকে তারা আসল টাকাও ফেরত না দিতে পারায় চাপ সৃষ্টি করে আমানতকারি-রা, তারা বলে সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা ফেরত দেব ৷ দীর্ঘ অপেক্ষার পর কোন কিছু ফেরত না পেয়ে ২৫ শে মার্চ পেট্রাপোল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় ,এরপর পুলিশ ৭ জন কে গ্রেফতার করে প্রতারণার অভিযোগে ৷ধৃতরা হলেন সুকুমার রায়, অসিত রায়, বিশ্বজিৎ মণ্ডল, অসীম বিশ্বাস, সুজয় মণ্ডল, সুকুমার মণ্ডল এবং উজ্জ্বল সরকার। এদের সবার বাড়ি পেট্রাপোল থানা এলাকাযর জয়ন্তীপুর, পিরোজপুর ও পেট্রাপোল গ্রামে। অন্যরা পলাতক। পুলিশ সূত্রে আর জানাযায় ঐ সমিতির এই ব্যবসা করবার বৈধ কাগজপত্র নেই এবং এদের আয় ব্যায়ের হিসাবের সঠিক কাগজ পত্রও দেখাতে পারেনি।
আজ সুমিত্রা মণ্ডল, চিও সর্দার, রুপা দেবনাথ সহ শতাধিক মহিলা পুরুষ একত্রিত হয়ে টাকা ফেরোতের দাবী জানাতে সমিতির ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে৷সুমিত্রা মন্ডল বলে আমার সব টাকা ওদের দিয়ে ছিলাম স্বামী অসুস্থ হলে রোজ ওদের কাছে টাকা আনতে যেতাম টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় আমার স্বামী মারা যায়৷ চিত্ত সর্দার বলে মিথ্যা কথা বলেছে ওরা আমরা ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিসের থেকে টাকা তুলে টাকা রেখে ছিলাম |
টাকা ফিরে পাওয়ার আশায় দিন গুনছে কয়েক হাজার গ্রাহক ৷ছুটে যাচ্ছে তালাবন্ধ জয়ন্তীপুরের সমিতির অফিসের সামনে।