বুধবার, জানুয়ারী ২৯, ২০২০

ওড়িশায় ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় সফল পূর্ব বর্ধমান



ইস্ট ইন্ডিয়া কারাতে এসোসিয়েশন -এর পরিচালনায় গত ২৪ই & ২৫ই  জানুয়ারী, ২০২০ তারিখে ওডিশা এর ভূবনেশ্বরের উৎকল কারাতে স্কুল এ “১ম ইস্ট ইন্ডিয়া কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপ - ২০২০” অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ইস্ট ইন্ডিয়ার ৫ টি রাজ্যের প্রায় ৫০০ কারাতেকা এখানে অংশগ্রহণ করে। পূর্ব বর্ধমান জেলার ২ জন অংশগ্রহণকারী,  ইশানী গুপ্ত এবং শ্রেয়সী ঘোষ পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিত্ব করে এবং মোট ১ টি পদক (১ ব্রোঞ্জ) লাভ করে।
পদক বিজয়ীর নাম নীচে দেওয়া হল।
১.   ইশানী গুপ্তা      ব্রোঞ্জ -   ১০ বছরের +৩০ কেজি বালিকা কুমিতে বিভাগ 
এছাড়া, শ্রেয়সী ঘোষ ১০ বছরের বালিকা কাতা বিভাগে ভাল খেলে কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে ৫ম স্থান অর্জন করে।
   
শিহান দেবাশিস কুমার মন্ডল 
(সাধারণ সম্পাদক :: বর্ধমান কারাতে-ডো অ্যাসোসিয়েশন)

আসানসোলে দোকান বন্ধ নিয়ে হট্টগোল

মোহন সিং
  
বহু জন কান্তি মোর্চা সমর্থনে ইউনাইটেড ইন্ডিয়া করলো দোকান বন্ধের সমর্থনে বুধবার দিন আসানসোল জি টি রোড এর উপরে বসে পথ অবরোধ করে সংখ্যালঘু মানুষরা পরে তারা এক এক করে দোকান বন্ধ করাতে লাগল। ব্যবসায়ীরা ভয় দোকানের শাটার নামাতে লাগেন। পরে বিরাট মিছিল বার করে আসানসোল বাস স্ট্যান্ড অব্দি এসে শেষ হয়

অধ্যাপক নিয়োগ পরীক্ষায় বাংলা বিভাগে প্রথম অনিকেত মহাপাত্র

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলেজ সার্ভিস কমিশন আয়োজিত অধ্যাপক নিয়োগের প্রক্রিয়ার বাংলা বিষয়ে প্রথম হয়েছেন অনিকেত মহাপাত্র

মৌসুমি বিশ্বাস 

বঙ্গীয় বিদ্যায়তন জয় করলেন অনিকেত 
তাঁর নামের মানে যার কোনো ঘর নেই। যখন তাঁকে কেউ নামের মানে জিজ্ঞেস করেন তিনি বলেন তাঁর একটি নির্দিষ্ট ঘর নেই অর্থাৎ সব খানেই তাঁর ঘর। তিনি অনিকেত মহাপাত্র। বিদ্যাসাগরের দেশ মেদিনীপুর  থেকে আর এক দৃষ্টান্ত উঠে এলো। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলেজ সার্ভিস কমিশন আয়োজিত অধ্যাপক নিয়োগের প্রক্রিয়ার শেষে দেখা গেল বাংলা বিষয়ে  প্রথম হয়েছেন অনিকেত মহাপাত্র। যাঁর জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা মেদিনীপুরে, প্রশাসনিক দিক থেকে পূর্ব মেদিনীপুর। পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ড, বিহার, আসাম, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ প্রভৃতি রাজ্যের অনেক প্রার্থী এই প্রক্রিয়াতে অংশ নিয়েছিলেন। 
আর একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য অনিকেত মহাপাত্র তথাকথিত কোনো নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নন। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পড়াশোনা ও গবেষণা।

স্নাতকোত্তরে হয়েছিলেন প্রথম শ্রেণিতে প্রথম। ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিষয়ে সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়েছিলেন। মুসলিম জীবনকে কাছ থেকে জানবেন বলে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছিলেন। শুধু তাই নয় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ছাত্র এবং বাংলা বিভাগের প্রথম ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট।  শুধু তাই নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ইউ. জি. সি  নেট কোয়ালিফাই করার কৃতিত্বও তাঁর। আলিয়া বিস্ববিদ্যালয়ে আজও তিনি মিথ। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলা উপন্যাসের গঠনশৈলী বিচার বিষয়ে ড. সাইফুল্লার তত্বাবধানে গবেষণা করে ডক্টরেট উপাধি লাভ করেছেন। 

স্নাতক পর্যায়ের পড়াশোনা কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজ  থেকে। এই অভাবিত কৃতিত্বের বিষয়ে চর্চা চলেছে সারা রাজ্য জুড়ে। ডক্টর মহাপাত্র প্রাবন্ধিক ও কবি হিসেবে ইতিমধ্যে চর্চিত। এই বইমেলায় কবি ও প্রকাশক ফারুক আহমেদ-এর 'উদার আকাশ' প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত হতে চলেছে 'উপন্যাসের ঘরে' নামের গ্রন্থ। স্প্যানিশ ভাষায় রবীন্দ্রনাথ নামের গ্রন্থ সম্পাদনা  করেছেন। বনফুলের উপন্যাস নিয়ে কাজ করেছেন। উপন্যাসের গঠনশৈলী নিয়ে তাঁর চর্চার সঙ্গে বাংলা সাহিত্যের বুধমন্ডলী  যথেষ্ট পরিচিত। সমাজ বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় তাঁর নিয়মিত বিচরণ। 

প্রদেশ, দেশ, আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রনৈতিক ঘটনা প্রবাহ আগ্রহের বিষয়। রাজনীতিতে যুব সমাজের অংশগ্রহণ নিয়ে বহুবার বক্তৃতা করেছেন। তাঁর লেখা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রিকায়। বিদ্যাসাগরের জেলার এগরা অঞ্চলের কৌড়দা-গোপাল চক এর থেকে আসা এই বঙ্গ তনয়কে নিয়ে অবিভক্ত মেদিনীপুরের সঙ্গে সঙ্গে সারা রাজ্য গর্বিত।

আরও গর্বিত তাঁর আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে তিনি ইতিহাস গড়লেন।

চাঁপাডাঙায় সেভ দ্য ন্যাচার থিম সরস্বতী পূজায়

সুভাষ মজুমদার

  
সেভ দ্যা নেচার  চাঁপাডাঙ্গা নস্করপুর গ্রামে সরস্বতী পূজার এবারের থিম।
অষ্টম বছরে পদার্পন করলো এই পুজো।
মূলত পৃথিবী থেকে বিলুপ্তির পথে গাছ,পশু ,পাখি কে বাঁচিয়ে রাখতে সাধরণ মানুষ কে বার্তা দেওয়া হয়েছে এই পূজা মণ্ডপ থেকে।এছাড়াও বর্তমানে জলের সংকট দেখা দিতে শুরু করেছে পৃথিবতে।জল অপচয় বন্ধ করতে বার্তা দেওয়া হয়েছে পূজা মণ্ডপ থেকে।
থার্মোকল মাটির ভাঁড় কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে মণ্ডপ। পুজো কমিটির কর্ণধার মহারাজ নাগ মহারাজ নাগ নাগ তিনি জানান যে ভাবে সমাজে পশুপাখি, জল, ও গাছ লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে সেই দিকে নজর দেওয়া আমাদের মূল লক্ষ্য হয়ে দাড়িয়েছে, সাধারণ মানুষের কাছে একটা আর্জি যে আপনারা জল অপচয় করবেন না, অযথা গাছ কেটে ফেলবেন না, অন্যদিকে পশু পাখিদের হত্যা করবেন না এই বিষয়বস্তু গুলোকে নিয়েই আমরা আমরা এই মণ্ডপে তুলে ধরতে পেরেছি ৷

বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলায় চার সাহিত্যিক সংবর্ধিত হলেন

সুসঙ্গ দুর্গাপুরে চার সাহিত্যিককে জলসিঁড়ি সম্মাননা প্রদান।
বাবুল সাহা
 
, কলকাতা থেকে: বাংলাদেশের নেত্রকোণা জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল গাভিনা গ্ৰামে ২৩ জানুয়ারী ২০২০ বিকেলে জলসিঁড়ি পাঠকেন্দ্র রূপ নিয়েছিল এক মিলন মেলায়।
পাঠকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক জলসিঁড়ি পাঠকেন্দ্র  দীপক সরকার জানান, ৭ম বর্ষের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে চার সাহিত্যিককে গুনীজন সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এ পাঠকেন্দ্রের সভাপতি এডভোকেট মানেস সাহা। সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন , ড.তরুণ কান্তি শিকদার, কথাশিল্পী ও অতিরিক্ত সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রাবন্ধিক অধ্যাপক বিধান মিত্র। লেখক ও সাংবাদিক ইশরাত জাহান উর্মি। গল্পকার দীলতাজ রহমান।৪ গুনীজন ছাড়াও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।শিক্ষাবিদ অধ্যাপক যতীন্দ্র সরকার। লেখক ও গবেষক আলী আহাম্মদ খান আইয়োব। সুসং সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান। দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম। সংস্কৃতি কর্মী জেসমিন আক্তার। জেলা পরিষদের সদস্য শফিকুল ইসলাম ও আলামিন। এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন ড. অর্ধেন্দু শেখর রায়, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম-সচিব দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়।

মঙ্গলবার, জানুয়ারী ২৮, ২০২০

ভেজাল ঘি কান্ডের সিন্ডিকেট চালায় কারা? জানতে চায় পুলিশ

সানি প্রসাদ
 
মঙ্গলবার দুপুরে  ভেজাল ঘি কাণ্ডে ধৃত ভুনেশ্বর সাউ ও অনিল সাউকে বর্ধমানের সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। আরও ভেজাল ঘি উদ্ধারের জন্য এবং কারবারে জড়িত বাকিদের হদিশ পেতে ধৃতদের ৫ দিন হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার স্নেহময় চক্রবর্তী। ধৃতদের ৪ দিন পুলিসি হেফাজতে পাঠানোর আদেশ দেন সিজেএম রতন কুমার গুপ্তা।পুলিস জানিয়েছে, সোমবার দুপুরে দুবরাজদিঘির মালিরবাগান এলাকায় একটি ঘি তৈরির কারখানায় হানা দেওয়া হয়। কারখানা থেকে ২২৫ কেজি ঘি, ৪ হাজার ৭১৫ কেজি মিষ্টির গাদ, ৩টি টেম্পো, ইলেকট্রনিক ওজোন মেশিন প্রভৃতি উদ্ধার হয়। দীর্ঘদিন ধরে কারখানাটিতে ভেজাল ঘি তৈরি হচ্ছিল বলে দাবি পুলিসের। মিষ্টির গাদ এবং মানুষের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করে ঘি তৈরি করা হচ্ছিল কারখানাটিতে।এতে চাঞ্চল্য দেখা যায় এলাকায়।     

দুস্থদের বস্ত্রবিলি মেমারির ১ নং ওয়ার্ডে

সেখ সামসুদ্দিন
 
 নির্বাচনী দামামা বাজিয়ে মেমারি পুরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার সামসুল হক মির্জার উদ্যোগে ওয়ার্ড কমিটির সহযোগিতায় দুঃস্থ ব্যক্তিদের কম্বল বিতরণ করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেমারি পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন বিষয়ী, ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিয় সামন্ত সহ কাউন্সিলারবৃন্দ, মেমারি কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিষ চক্রবর্তী, পুর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক অচিন্ত্য চ্যাটার্জী, মেমারি ১ ব্লক যুব সভাপতি নিত্যানন্দ ব্যানার্জী, পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সহ সভাপতি মুকেশ শর্মা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি, ত্রিপরা প্রদেশ তৃণমূল সভাপতি সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এদিনের কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান মঞ্চ কার্যত পুরনির্বাচনী প্রচার মঞ্চ হয়ে যায়। অতিথিবৃন্দ বক্তব্যে বিজেপি সহ বিরোধী দলের কাজের সমালোচনা করার পাশাপাশি তৃণমূল সরকার ও পুরবোর্ডের কাজের খতিয়ান দিয়ে তৃণমূল প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান। সামসুল হক মির্জা জানান এদিন পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের দুঃস্থ ৩০০ জনের হাতে কম্বল তুলে দেয়া হয়।

আইপিএস হুমায়ুন কবীরের 'উত্তরণ' উদঘাটনে মুখ্যমন্ত্রী

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  
মঙ্গলবার সন্ধেবেলায় কলকাতা বইমেলার শুভ উদঘাটন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন চুঁচড়া পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীরের লেখা বই 'উত্তরণ' বইটি উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই আইপিএস অফিসারের ধারাবাহিক রচনা ইতিমধ্যেই এক প্রথম সারির দৈনিক কাগজে প্রতি রবিবার ক্রোড়পত্রে প্রকাশ পায়। 'উত্তরণ' বইটি আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই প্রকাশনার স্টলে বই টি পাওয়া যাচ্ছে।                         

মঙ্গলকোটের কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি কে শুভেচ্ছা রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রীর

মোল্লা জসিমউদ্দিন
সম্পাদক - কুমুদ সাহিত্যমেলা কমিটি

প্রতি বছর মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলা হয়ে আসছে। গত দশ বছর ধরে কয়েকশো কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক দের নিয়ে এই সাহিত্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে। শুধু পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন ব্লক এলাকা থেকে নয় দক্ষিণবঙ্গের ৬ থেকে ৭ টি জেলা থেকে ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রামে আসেন বহু মানুষজন। গুণীদের সংবর্ধনা, বাউলগান,আবৃত্তি, সমবেত নৃত্য প্রভৃতি চলে সারাদিন ধরে। এহেন উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের গুরত্বপূর্ণ তিনটি দপ্তরের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।  শুভেচ্ছাবার্তায় মন্ত্রী কুমুদ সাহিত্য মেলার উদ্যোগ কে ধারাবাহিকভাবে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রশংসা করেছেন।                                                                 

ভাঙড় বইমেলায় সম্মানিত কবি ফারুক আহমেদ

ভাঙড়ের ভূমিপুত্র ফারুক আহমেদকে সংবর্ধনা দেওয়া হল ভাঙড় বইমেলা‌‌য়


সংবাদদাতা, 


নেতাজী সুভাসচন্দ্র বোসের জন্মদিন স্মরণ করে ২৩ জানুয়ারি তৃতীয় বর্ষ ভাঙড় বইমেলার শুভ উদ্বোধন করেছিলেন কথা সাহিত্যিক এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক প্রচেত গুপ্ত। ভাঙড় বইমেলা জীবনে ভুলবেন না, উদ্বোধনের পর বক্তব্য রাখার সময় বলেছিলেন কথা সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত। বইমেলায় এলাকার সমস্ত স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি ও উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।

ভাঙড় বইমেলার উদ্বোধন মঞ্চে ভাঙড়ের ভূমিপুত্র ফারুক আহমেদকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। দীর্ঘ ১৯ বছর নিয়মিত 'উদার আকাশ' পত্রিকা সম্পাদনার জন্য বইমেলা আয়োজক বিডিও সৌগত পাত্র ও ভাঙড়-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শাহাজাহান মোল্লা সম্মাননা তুলে দিলেন ফারুক আহমেদ-এর হাতে। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম পাল ও রেজিস্ট্রার ড. দেবাংশু রায়। মূল্যবান বক্তব্য রেখেছিলেন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ড. গৌতম পাল। তিনি বইমেলার প্রয়োজন ও গুরুত্বের কথা তুলে ধরেছিলেন। তিনি বিজ্ঞানের প্রসার ঘটাতে এবং দেশ গঠনে ছাত্রছাত্রী ও গবেষকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এছাড়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুর্নিশ জানিয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেন সাহিত্য সংস্কৃতির প্রসার ঘটাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান আজ ইতিহাস হয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন। 

নিবন্ধক দেবাংশু রায় বলেছিলেন, ভাঙড়ে আন্তর্জাতিক মানের বইমেলা দেখে খুব ভাল লাগল। ভাঙড়ে সাহিত্য সংস্কৃতির প্রসার ঘটাতে বইমেলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। 

উজ্জ্বল উপস্থিতিতে সকলের মন কাড়েন সাংসদ ও চলচ্চিত্র জগতের জনপ্রিয় নায়িকা মিমি চক্রবর্তী। বইমেলা নিয়ে মিমি চক্রবর্তী আবেগময় বক্তব্য রেখেছিলেন।

মূল মঞ্চে জিনিয়া রায়-এর কাব্যগ্রন্থ "মনের আগের স্টেশন" উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর হতে তুলে দিয়েছিলেন। ভাঙড়ের এবং বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন এমন তিনজনের হাতে আর্থিক সাহায্যও তুলে দিয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। 

বইমেলায় বক্তব্য রেখেছিলেন মহকুমা শাসক দেবারতি সরকার, বঙ্গ বিভূষণ সমাজসেবী শিস্ ডিরেক্টর এম এ ওহাব, ভাঙড় মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও বইমেলা কমিটির সভাপতি ড. বীরবিক্রম রায়, ভাঙড়-১ ও ভাঙড়-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ সভাপতি যাথাক্রমে সাহাজাহান মোল্লা ও বিশ্বজিৎ মন্ডল, ঝর্ণা মন্ডল ও আরাবুল ইসলাম, ভাঙড়-১ ও ভাঙড়-২-এর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌগত পাত্র ও কৌশিক মাইতি এবং কাশিপুর, ভাঙড় ও কেএলসি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক।

ভাঙড় বইমেলা কমিটির পক্ষ থেকে সমস্ত অতিথিদের, ভাঙড়ের গর্বিত সন্তানদের এবং জেলার কর্মাধ্যক্ষ, ভাঙড় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, কর্মাধ্যক্ষ, প্রধান সহ অনান্য কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা দিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছিল। 

ভাঙড় বইমেলা কমিটির সম্পাদক তথা ভাঙড়-১ বিডিও সৌগত পাত্র জানিয়েছিলেন, ভাঙড় মহাবিদ্যালয়ের মাঠে ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলেছিল বইমেলা। প্রতিদিন দুপুর ১ থেকে রাত্রি ৮ টা পর্যন্ত চলে এই বইমেলা। অনেক নামি-দামি প্রকাশনা সংস্থা ও লিটল ম্যাগাজিন এই বইমেলায় অংশ নিয়েছিল। 

এই বইমেলাকে প্লাস্টিক মুক্ত ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন বইমেলা কর্তৃপক্ষ। 

ভাঙড় বইমেলার মূল মঞ্চে প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি চলেছিল আলোচনাসভা ও কবি সম্মেলন। এর সঙ্গে ছিল মুক্ত মঞ্চে বাউল গানের অনুষ্ঠান। বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমন্ত্রিত কবি, সাহিত্যিক ও গবেষকবৃন্দ অংশ নিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে।

বইমলেলা কমিটির যুগ্ম-সচিব  ভাঙড়-২-এর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক কৌশিক মাইতি জানান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে বিশেষ বার্তা বহন করছে এবারের ভাঙড় বইমেলা। বইমেলা সফল করতে বহু প্রকাশক ও লিটন ম্যাগাজিন অংশ নিয়েছিল। এক অন্য ভাঙড়কে আবিষ্কার করেছে বইমেলায় আগত বইপ্রেমীরা।

সমস্ত বিতর্ক ও রাজনীতির উত্তেজনা ভুলে ভাঙড় উন্নয়নের ভূমিপুত্রদের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারিগর শাহাজাহান মোল্লা, আরাবুল ইসলাম, কাইজার আহমেদ, নান্নু হোসেন, ওহিদুল ইসলাম, ঝর্ণা মন্ডল, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখেরা এই ভাঙড় বইমেলাকে সফল করে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। 

দলমত নির্বিশেষে ভাঙড়-১ ও ভাঙড়-২-এর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তৃতীয় বর্ষে এই বইমেলা সার্থক রূপ পেল।

এবারের বইমেলার থিম ছিল  পুরুলিয়া জেলা। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর-এর দ্বি-শতজন্মবর্ষপূর্তী উপলক্ষে  বিশেষ আলোচনাও মুগ্ধ করে। 

সমগ্র সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনায় ছিলেন ড. নিরুপম আচার্য, সুমন দাস, অভিক পাল।

সুমন দাসের পরিচালনায় ভাঙড় বইমেলার থিম সং এবং অসাধারণ নৃত্য পরিবেশন সকলের মন কাড়ে। 

ভাঙড়ে গঠিত হল ভাঙড় প্রেস ক্লাব। এখানকার সাংবাদিকদের এটি ছিল একটি স্বপ্ন যা এদিন বাস্তবায়িত হল। ভাঙড় প্রেস ক্লাব গড়ে তুলতে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করেছেন ভাঙড় -১-এর বিডিও সৌগত পাত্র।

ভাঙড় বইমেলা উদ্বোধনের আগেই ভাঙড় প্রেসক্লাবের শুভ উদ্বোধন করেন আগত সমস্ত অতিথিদের সঙ্গে মহকুমা শাসক দেবারতী সরকার, সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত, সহ উপাচার্য গৌতম পাল, এম এ ওহাব, কৌশিক মাইতি, ফারুক আহমেদ প্রমুখ।

সোমবার, জানুয়ারী ২৭, ২০২০

প্রজাতন্ত্র দিবস পালনে প্রগেসিভ ইয়ুথ ফাউন্ডেশন

পুলকেশ ভট্টাচার্য
  


উত্তর 24 পরগনা জেলার গাইঘাটা ব্লকের মধ্য ময়না অস্কার ক্লাবের উদ্যোগে 71 তম প্রজাতন্ত্র দিবস বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়। উপস্থিত ছিলেন প্রগ্রেসিভ ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের রাজ্য সভাপতি সিয়ামত আলী বলেন বর্তমান দেশের যা অবস্থা তাতে আমাদের সকলকে এই 71 তম প্রজাতন্ত্র দিবসে ও আমরা দেশবাসী হিসেবে নাগরিক হিসেবে দেশের পবিত্র সংবিধান রক্ষার শপথ নিতে হবে। এমন কোন কর্মের দ্বারা দেশের সাধারণ নাগরিকের অসুবিধা হবে সেই সমস্ত কার্য আর যাই হোক দেশে চলতে পারে না। সংবিধানের উপরে কোন রকম আঘাত আসলে দেশের নাগরিক হিসেবে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে জোট বদ্ধ ভাবে এগিয়ে আসতে হবে এবং তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস বলেন আজ এই প্রজাতন্ত্র দিবসে দেশে সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠান উদযাপিত করে থাকি। বিভেদ সৃষ্টি করে আমাদের মধ্যে কারো হিংসা ছড়াতে দেব না। কারণ এদেশে এমনই এক মহান দেশ বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য এটাই আমাদের গর্ব, এটাই দেশের ঐতিহ্য। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক মিঠুন, অনুষ্ঠানের সম্মানীয় সভাপতি নন্দদুলাল মল্লিক, ক্লাবের সম্পাদক পিন্টু মণ্ডল, সভাপতি জয় প্রকাশ মল্লিক, শান্ত মন্ডল, সমস্ত অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে সঞ্চালনা করেন পীযূষ কান্তি মল্লিক ।

শনিবার, জানুয়ারী ২৫, ২০২০

নদীয়ার বিধায়ক খুনে রক্ষাকবচ মিললো সাংসদ জগন্নাথ সরকারের

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে তৃনমূল বিধায়ক খুনে অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি চলে। ডিভিশন বেঞ্চ উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বেশকিছু শর্তাবলী রেখে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত রানাঘাট সাংসদ জগন্নাথ সরকারের অন্তবর্তী জামিনের মেয়াদ রাখে। সেইসাথে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির জেরাপর্বের জন্য আগামী ৮, ৯, ১৫ এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল দশটা থেকে বেলা চারটে পর্যন্ত তদন্তকারীদের সামনে থাকবার নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চে নদীয়ার তৃণমূল বিধায়ক খুনের আগাম জামিনের মামলাটি উঠে। ইতিপূর্বে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে - ' নদীয়ার বিধায়ক খুনে অভিযুক্ত মুকুল রায় কে আগামী এপ্রিল মাস অবধি গ্রেপ্তার করা যাবেনা। সেইসাথে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি মার্চ মাসের মধ্যেই এই মামলার অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট পেশ করবে'। এই মামলার পরবর্তী শুনানি এপ্রিল মাসে রয়েছে। সম্প্রতি সিআইডি এই খুনের মামলায় তদন্তে অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের সাথে মুকুল রায়ের মোবাইলে কথপোকথন পেয়েছে বলে দাবি। সেই সুত্র ধরেই নুতন করে তদন্তের নির্দেশ দেয় নদীয়ার নিম্ন আদালত। নিহত বিধায়কের স্ত্রীর নিম্ন আদালতে পুনরায় তদন্তের আবেদন মঞ্জুর হওয়ায় মুকুল রায় তড়িঘড়ি কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন বলে প্রকাশ। ২০১৭ সালে নভেম্বর মাসের পর একদা তৃনমূলের 'চাণক্য' মুকুল রায়  দলবদলের পর রাজনৈতিক আক্রোশে ৫০ টি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। বেশিরভাগ মামলায় আদালতের তরফে খারিজ হয়েছে। এইমুহূর্তে  সরশুনায় রেলবোর্ড প্রতারণা মামলা, বড়বাজারে তোলাবাজির মামলার পাশাপাশি বীরভূমের লাভপুরের তিনভাই খুনের মামলার সাথে নদীয়ার তৃনমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে নাম জড়িয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়ের। প্রায় মামলায় আইনী রক্ষাকবচ মিললেও নদীয়ার বিধায়ক খুনে আইনী রক্ষাকবচ ছিল না। উল্লেখ্য, এই খুনের মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি নিম্ন আদালতে দ্বিতীয় পয্যায়ে পুনরায় তদন্তের আবেদন করলেও তা মঞ্জুর হয়নি। সেসময় অভিযুক্ত মুকুল রায় কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হলেও তা খারিজ হয়। কেননা নিম্ন আদালতে সিআইডির আবেদন টি খারিজ হয় বলে। তবে সম্প্রতি নিহত বিধায়কের স্ত্রী দিপালী  বিশ্বাস নিম্ন আদালতে সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে পুনরায় তদন্তের আর্জি রাখেন। তাতে সংশ্লিষ্ট এজলাসের বিচারক সেই আর্জি মঞ্জুর করায়,  মুকুল রায়ের গ্রেপ্তারির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই তড়িঘড়ি কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন রাখেন টি মুকুল রায়।  উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ৯ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজার দিন সন্ধেবেলায় নদীয়ার  হাঁসখালি এলাকায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। এই খুনে সুজিত মন্ডল এবং কার্তিক মন্ডল নামে   দুজন এলাকাবাসী  গ্রেপ্তার হয়। এই দুজন ছাড়াও নদীয়ার বিজেপির জেলা সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়ের নাম জড়ায় মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে। এই খুনে পুলিশি নিস্ক্রিয়তার জন্য তৎকালীন ওসি অনিন্দ বসু সাময়িক বরখাস্ত হন। সেইসাথে নিহত বিধায়কের দেহরক্ষীও বরখাস্ত হন। বর্তমানে এই দুই পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে।খুনের দিন নিহতের বিধায়কের সাথে দেহরক্ষী ছিলেন না। কেননা সেসময় ছুটিতে ছিলেন দেহরক্ষী। কেন দেহরক্ষীর ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছিল। তাও পুলিশের বিভাগীয় তদন্তে বারবার উঠে এসেছে। এই খুনের মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি নিম্ন আদালতে চার্জশিট দাখিল করে থাকে। এরপর দ্বিতীয় পয্যায়ে পুনরায় তদন্তের পিটিশন জানায় সংশ্লিষ্ট এজলাসে। সেসময় সেই পিটিশন খারিজ হয়। সম্প্রতি নিহতের স্ত্রী নিম্ন আদালতে পুনরায় তদন্তের আবেদন রাখেন। তাতে সেই আবেদন মঞ্জুর হয়। আর এতেই সিঁদুরে কালো মেঘ দেখে মুকুল শিবির। সেজন্য আগাম জামিন পেতে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন মুকুলের আইনজীবী। চলতি মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার সমস্ত রিপোর্ট দেখে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি কে আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেয়। সেইসাথে আগামী এপ্রিল মাস অবধি মুকুল রায় কে আইনী রক্ষাকবচ দেয় বেশকিছু শর্ত আরোপ করে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে আরেক অভিযুক্ত বিজেপির সাংসদ জগন্নাথ সরকার এই বেঞ্চে আগাম জামিনের আবেদন জানায়। তাতে শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রানাঘাটের বিজেপির সাংসদ জগন্নাথ সরকার কে বেশকিছু শর্ত আরোপ করে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত অন্তবর্তী জামিন দেয়। সেইসাথে ফেব্রুয়ারি মাসের ৮, ৯, ১৫ এবং ১৬ তারিখ সকাল দশটা থেকে বেলা চারটে পর্যন্ত তদন্তকারীর সামনে থাকবার আদেশনামা রয়েছে।                                                                                                                                                                                                                   


শুক্রবার, জানুয়ারী ২৪, ২০২০

নেতাজি জন্মবার্ষিকীতে দুস্থ পড়ুয়াদের ব্যাগ বিলি করলো সুসম্পর্ক


নেতাজীর জন্মজয়ন্তীতে দুস্থ পড়ুয়াদের ব্যাগ বিলি     


পারিজাত মোল্লা  

বৃহস্পতিবার  কলকাতার ঠাকুরপকুর এলাকার  জেমসলং সরণির সংযোগস্থলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম দিবস উপলক্ষে 'সুসম্পর্ক' এর উদ্যোগে  আরো একটি অনবদ্য প্রয়াস নেওয়া হলো  ।প্রথমে দুস্থ শিশুদের নিয়ে   প্রভাতফেরি হয়। এর প্রতিনিধিত্ব করেন 'সুসম্পর্কে'র  কোষাধক্ষ্য শোভন ভট্টাচার্য l নেতাজির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন প্রধান অথিতি ডাক্তার নীলাদ্রি শেখর দোলুই এরপরেই  পঞ্চাশের বেশি দুস্থ শিশুর হাতে তুলে দেয় স্কুলের ব্যাগ এবং অন্যান্য উপহার সামগ্রী।উপস্থিত ছিলেন এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার শ্রীঅরবিন্দ সিংহ, অতিথি অন্তরা সেন প্রমুখ । অনুষ্ঠানের শেষে সংস্থার  কর্ণধার জানিয়েছেন - "আরও মানুষ এগিয়ে এলে  ভবিষৎতে অনেকবেশি এইরুপ সমাজসেবা করতে পারবে 'সুসম্পর্ক' "l

মহাকাশ বিজ্ঞানের পাঠ নিতে বিধান শিশু উদ্যানে পড়ুয়ারা


মহাকাশ বিজ্ঞান প্রদর্শনী চলছে বিধান শিশু উদ্যানে

গোপাল দেবনাথ  

মহাকাশ বিজ্ঞান প্রদর্শনী চলছে বিধান শিশু উদ্যানে। গত বুধবার দুপুরে শুরু হয়েছে চলবে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত। কলকাতার হাডকো মোড় সংলগ্ন    বিধান শিশু উদ‍্যানে মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে প্রদর্শনীতে আজ সাধারণ মানুষের ঢল নামে।  প্রদর্শনী দেখতে  সকাল থেকেই হাজার হাজার মানুষ বিধান শিশু উদ‍্যান মুখী। এখন পযর্ন্ত প্রায় কুড়ি হাজারেরও বেশি দর্শনার্থী এসেছেন বলে জানা গেছে   । মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে ছোটদের মধ্যে আগ্রহ চোখে পড়ার মতো। তাদের হাজারো প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন আহমেদাবাদ থেকে আসা ইসরোর বিজ্ঞানীরা। তাদের যোগ্য সহযোগিতা করছে কলকাতার বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা।  প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য,গতকাল সকাল এগারোটায় এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ইসরোর সিনিয়র এডভাইজার তথা বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড.তপন মিশ্র। উপস্থিত ছিলেন মধ‍্য শিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি(একাডেমিক) ড.পার্থ কর্মকার,ড.চন্দন কুমার পাল,ড.শৈবাল রায়, বিশিষ্ট সাহিত‍্যিক সাংবাদিক একরাম আলি প্রমুখ । প্রদর্শনী চলবে শুক্রবার  সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত। এর পাশাপাশি চলছে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেনির ছাত্র ছাত্রীদের কুইজ,তাৎক্ষনিক বক্তৃতা,বিতর্ক এবং মডেল তৈরির প্রতিযোগিতা চলছে বলে জানান বিধান শিশু উদ্যানের কর্মকর্তা গৌতম তালুকদার।          

শিয়ালদহের কৃষ্ণপদ মেমোরিয়াল হলঘরে মননের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নক্ষত্র সমাবেশ

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতার শিয়ালদহ সংলগ্ন কৃষ্ণপদ মেমোরিয়াল হলঘরে সাহিত্য সংগঠন 'মনন' এর বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হলো। উপস্থিত ছিলেন পান্ডব গোয়েন্দা খ্যাত ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়, কবি মন্দাক্রান্তা সেন, বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলামের নাতনি সাহিত্যিক সোনালি কাজি,  সাহিত্য সম্রাটের পঞ্চম বংশধর তথা সাহিত্যিক জয়দীপ চট্টপাধ্যায়, বাচিক শিল্পী আরণ্যক বসু প্রমুখ। তিন শতাধিক কবি সাহিত্যিকদের নিয়ে ঘন্টা পাঁচের সভা চলে। "এই বাংলার বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি সূদুর বাংলাদেশ থেকে আগত  সাহিত্যানুরাগীদের আবৃত্তি - গান চলে। বেশকিছু বই প্রকাশের পাশাপাশি মননের অষ্টম সংখ্যা প্রকাশ করা হয়" বলে জানান মননের কর্মকর্তা স্নেহাশিস চক্রবর্তী  । এদিন  সাহিত্য - সংস্কৃতি জগতের বেশ কয়েকজন গুণীজনদের সংবর্ধনা জানানো হয়। এই মঞ্চে 'কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি'র সম্পাদক মোল্লা জসিমউদ্দিন আগামী ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের জন্মদিন উপলক্ষে সংবর্ধনা প্রাপক  ২০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করেন। ঘোষিত কর্মসূচি হিসাবে  কুমুদ সাহিত্য মেলার দিন অর্থাৎ ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রামে কুমুদ ভিটেয়     সাহিত্য সংগঠন  'মননে'র তরফে ১৫০ জন দুস্থদের বস্ত্রবিলি এবং অন্নভোগ করা হবে। সেইসাথে সমাজসেবী সংগঠন 'সুসম্পর্ক' এর পক্ষে ১০০ জন দুস্থ পড়ুয়াদের শিক্ষাসামগ্রী তুলে দেওয়া হবে।                                                                                                    

বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ২৩, ২০২০

কুমুদ সাহিত্য মেলায় কারা সংবর্ধনা পাচ্ছেন? জানুন আজ

আজ সন্ধ্যাবেলায় কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির পক্ষে সংবর্ধনা প্রাপকদের নাম প্রকাশ  করা  হবে। 


একসময় ছিল যখন কুমুদ সাহিত্য মেলায় সংবর্ধনা জানানোর জন্য অনুরোধ /আবেদন - নিবেদন করে তালিকা প্রকাশ করা হত। কেউ কেউ ওইদিন জন্মদিন  অনুষ্ঠানে পুরস্কার নিতে আসেন নি। তাদের বাড়িতে গিয়ে আমাকে মানপত্র দিয়ে আসতে হয়েছে!

ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে আজ কুমুদ সাহিত্য মেলা অঙ্গুরিত বীজ থেকে বটবৃক্ষ না হলেও চারাগাছ হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। দক্ষিণবঙ্গের ১১ টি জেলা থেকে ৫০+ নামের তালিকা এসেছে বিভিন্ন সোর্স ধরে।  যারা নিয়মিত কুমুদ মেলার দিনে আসেন সেইসব কবি সাহিত্যিকদের আমরা অগ্রাধিকার দিই। খ্যাত - অখ্যাতদের মেলবন্ধনের ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের  কোগ্রাম হয়ে উঠে সাংস্কৃতিক রাজধানী। 
 আমরা এবার ২০ জন বিশিষ্টজনদের সম্মান জানাবো, তার তালিকা আজ সন্ধেবেলায় প্রকাশ পাবে। যাদের নাম এবারে থাকছেনা, তাদের আগামী বছর অবশ্যই সম্মান জানাবো। 


💐মোল্লা জসিমউদ্দিন ( সম্পাদক কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি)

জাজেস ক্লক উদ্বোধনে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি



মোল্লা জসিমউদ্দিন  

বুধবার বিকেলে কলকাতা হাইকোর্টের ই গেটে চালু হল জার্জেস ক্লক  / বিচার ঘড়ি। শুভ উদঘাটন করেন প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করন নায়ার রাধাকৃষ্ণন। ছিলেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত সহ বেশ কয়েকজন বিচারপতি।     এরাজ্যে বিচার প্রক্রিয়ায় গতি বাড়াতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষ। ২২ জানুয়ারি অর্থাৎ বুধবার বিকেলে কলকাতা হাইকোর্টের 'ই' গেটে বসলো জাস্টিস ক্লক /বিচার ঘড়ি। যার সূচনা করেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করন নায়ার রাধাকৃষ্ণন। জাস্টিস ক্লক আসলে কি?  সেখানে কিভাবে উপকৃত হবেন বিচারপ্রার্থীরা?  জাস্টিস ক্লক আসলে একটি জায়েন এলইডি স্কিন। যেখানে রাজ্যের সমস্ত জেলা ও মহকুমা আদালতের ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার বিস্তারিত তথ্য থাকবে। কতগুলি মামলা বিচারধীন রয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানি কবে, কত মামলার নিস্পত্তি হয়েছে।এইবিধ নানান মামলা সম্পকিত তথ্য থাকবে এই বিচার ঘড়ির মধ্যে। তবে কলকাতা হাইকোর্ট সহ দুটি সার্কিট বেঞ্চের ( জলপাইগুড়ি ও আন্দাবান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ)  অধীনে মামলাগুলির তথ্য এখনই থাকছেনা বলে জানা গেছে । তবে আগামী দিনে এইসব বেঞ্চের মামলা কেন্দ্রিক তথ্য থাকবে । উল্লেখ্য, গোটা রাজ্যে প্রায় ২৩ লক্ষ মামলা বিচারধীন রয়েছে। এর মধ্যে আবার প্রায় ১৮ লক্ষ মামলা ফৌজদারিভুক্ত। এটি হাইকোর্টের 'ই'  গেটে জায়েন এলইডি স্কিনের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে।                                                                                                


হাইকোর্টে এনআরসি বাতিলের মিছিলে হাঁটলেন আইনজীবীরা

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  


কেন্দ্রীয় সরকারের সিএএ এবং এনআরসির বিরোধিতায় সার্বিক ঐক্য দেখা গেল কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে  । যেখানে জাতীয় কংগ্রেস থেকে বামপন্থী এমনকি এই রাজ্যের শাসক দলের মতাদর্শে বিশ্বাসী আইনজীবীদের একসাথে হাটতে দেখা গেল কেন্দ্রের এনআরসি বাতিলের মিছিলে। কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা বাম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, কংগ্রেস নেতা  অরুণাভ ঘোষ, আবার রাজ্য তৃনমূল লিগ্যাল সেলের চেয়ারম্যান ভাস্কর বৈশ্য। প্রত্যেকে আলাদা দলের মতাদর্শে বিশ্বাসী হলেও আজ আইনজীবীদের একসূরে সিএএ বিরোধীতা দেখা যায়। সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের মেন গেট থেকে সিটি সিভিল আদালতের গেট অবধি কয়েকশো আইনজীবীদের রাজনৈতিক প্লাটফর্মের বাইরে এনআরসি বাতিলের মিছিলে দেখা যায়। এই প্রতিবাদ মিছিলে থাকা কলকাতা হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী মাসুদ করীম বলেন    - " ভারতে বসবাসকারী প্রত্যেককে নাগরিক হিসাবে মান্যতা দিতে হবে। ভোটার কার্ড যদি নাগরিকত্বের প্রমাণ না হয়, তাহলে নির্বাচনগুলিতে ভোটাধিকার প্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকার কি ভাবে বৈধ হয়?  "।  উল্লেখ্য, এই আইনজীবী জনমানসে এনআরসি  আতঙ্ক কাটাতে বিভিন্ন সেমিনারে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে থাকেন।                                                          

      

বুধবার, জানুয়ারী ২২, ২০২০

দক্ষিণবঙ্গের ব্যস্ততম সড়ক সেতু বন্ধ, হয়রানি যাত্রীদের

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  
উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের সবথেকে ব্যস্ততম সড়কসেতু মঙ্গলকোটের অজয় নদের উপর লোচনদাস সেতুটি এক মাস বন্ধ থাকবে। সেতুর পিচ এবং পিলার মেরামতের জন্য ২১জানুয়ারি থেকে এই সেতুটি বন্ধ হয়েছে । চারচাকার সমস্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে সাইকেল - মোটরসাইকেল সহ পথচারীদের উপর কোন বিধিনিষেধ থাকছেনা বলে প্রশাসন সুত্রে প্রকাশ। পূর্ব বর্ধমান এবং বীরভূম জেলা দুটি সংযোগকারী অজয় নদের উপর প্রায় এক কিমি দৈঘ্য বিশিষ্ট লোচনদাস সেতুটির অধিকাংশ সেতু পিলার গুলি বসে গেছে। যার ফলে সেতুর স্বাভাবিক ভরণ ক্ষমতা হারিয়েছে। সেতুর পিলারে বিশেষত নদী গর্ভে থাকা পিলার গুলিতে চিড় ধরেছে। সাথে সেতুর উপর পিচে ছোটবড় গর্তও তৈরি হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পূর্ত দপ্তরের মেরামতির প্রস্তাবনায় ৮০ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান মঞ্জুর করে রাজ্য সরকার। সেই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে ২১ জানুয়ারি থেকে। কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ সহ দক্ষিণবঙ্গের দশের বেশি জেলায় কয়েক হাজার যানবাহন এই সেতুর উপর যাতায়াত করে থাকে। ২১ জানুয়ারি থেকে এই গাড়ি গুলি বর্ধমান শহর থেকে একাধারে কাটোয়ার যাজীগ্রাম - ফুটিসাকো রুটে যাতায়াত করতে হবে। আরেকটি বর্ধমান শহর দিয়ে ভেদিয়া - বোলপুর রুটে চলবে। অজয়ের এপারে মঙ্গলকোটের নুতনহাট এবং অজয় নদের ওপারে নানুরের পালিতপুর মোড়ে স্থানীয় বাসগুলি চলাচল করবে বলে প্রশাসন সুত্রে প্রকাশ। লোচনদাস সেতুর নিচে অজয় নদের বেআইনী যততত্র বালিঘাট এবং সেতুর উপর দিয়ে বীরভূমের পাঁচামী থেকে পাথর বোঝাই আগত গাড়ীর বেহিসেবী যাতায়াত লোচনদাস সেতুর এই বিপর্যয়ের মূল কারণ। ১৯৯৮ সালে ৮ জুলাই চালু হওয়া এই সেতুর বয়স সবে কুড়ি বছর পেরিয়েছে। তাই আগামীদিনে এই সেতুর নিচে অজয় নদের বালিঘাট নিয়ন্ত্রণে এবং অত্যাধিক পাথর বোঝাই গাড়ী যাতায়াতে বিধিনিষেধ না রাখলে এই সেতু ক্রমশ বিপদজনক হয়ে উঠবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।                                                                                                          

কুমুদ সাহিত্য মেলার পাশে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী

কুমুদ সাহিত্য মেলার পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী 


স্বপ্ন কোনদিন বাস্তবে এলে, তার বহিঃপ্রকাশ  করার ভাষা খুঁজে পাওয়া যায়না। তবুও মনের অন্দরে থাকা সেই খুশি বা আনন্দ জানাতেই হয়। 
গত দশ বছর ধরে মঙ্গলকোটের  কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ  সাহিত্য মেলা করে আসছি।এতদিন  কোথাও কোন সরকারি সাহায্য পাইনি। তিনশোর বেশি কবি সাহিত্যিক আসেন, তাঁদের কাছে কোন ডেলিকেট ফি গ্রহণ করেনি এবং করবোও না। বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষী ব্যক্তিদের কাছে হাত পাতি।লজ্জা করিনা,অনেকেই সাধ্যমতো সহায়তা করেন। সাংবাদিকতা পেশার আয়ের সিংহভাগ খরচ হয় এই কুমুদ সাহিত্য মেলা ঘিরে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী আমাদের পাশে দাঁড়ালেন। রাজ্যের গুরত্বপূর্ণ মন্ত্রীর নজরে কুমুদ সাহিত্য মেলা! এটা উপলব্ধি করতে পেরেই আমরা আপ্লূত।  আগামী ৩ রা মার্চ  আসছেন পান্ডব গোয়েন্দা খাত ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়, কবি মন্দাক্রান্তা সেন, বিদ্রোহী কবির নাতনি সোনালি কাজি, সাহিত্য সম্রাটের পঞ্চম বংশধর জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়, সাহিত্যক আরণ্যক বসু প্রমুখ। ওইদিন 'মনন' এর  তরফে ১৫০ জন দুস্থদের বস্ত্রবিলি, 'সুসম্পর্ক' এর তরফে ১০০ জন দুস্থ পড়ুয়াদের শিক্ষাসামগ্রী, 'উদার আকাশ' এর তরফে ৩ সাংবাদিক কে সংবর্ধনা , 'আরএনঘোষ  মেমোরিয়াল ট্রাস্ট' এর তরফে ২ জন দুস্থ কৃতিদের আর্থিক অনুদান সর্বপরি ২০ জন গুনীজনদের সংবর্ধনা জানানো হবে। ওইদিন সপরিবারে আসুন। দেখতে পাবেন বৈষ্ণব কবি লোচনদাসের সমাধিস্থল, সতীপীঠ খ্যাত মঙ্গলচণ্ডীর মন্দির , মহাদেবের নীললোহিত মন্দির, মুঘল সম্রাট  শাহজাহান বাদশার  শিক্ষা  ও  দীক্ষাগুরু  আব্দুল  হামিদ  বাঙ্গালীর  কবরস্থান, হোসেন শাহ বাদশার মসজিদ প্রমুখ দর্শনীয় স্থান। 


💐🙏 মোল্লা  জসিমউদ্দিন সম্পাদক  (কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি)

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER