বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৩, ২০২০

সফলভাবে প্রথম সামরিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করলো ইরান

সফলভাবে প্রথম সামরিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করল ইরান 
 ইরান এই প্রথম সফলভাবে সামরিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করতে সমর্থ হয়েছে। আজ বুধবার ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি সাফল্যের সাথে দেশটির প্রথম সামরিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে। নূর (আলো)-১ নামের সামরিক কৃত্রিম উপগ্রহকে সফলভাবে কক্ষপথে স্থাপন করাও হয়েছে। 
ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় মরুভূমি দাস্ত-ই কাভির থেকে ‘নূর’কে নিক্ষেপ করা হয়। কৃত্রিম  উপগ্রহ কক্ষপথ পর্যন্ত বহন করেছে ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি বাহক রকেট কাসেদ (বাহক)। আইআরজিসি'র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ২২ এপ্রিল সামরিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হলো।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবের নেতা এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা  হজরত আয়াতুল্লাহ খোমেনি(র) নির্দেশে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী প্রতিষ্ঠা  করা হয়েছিল। আজ ৪২৫ কিলোমিটার ঊর্ধ্বাকাশের কক্ষপথে 'নূর'কে স্থাপন করা হয়। এই সামরিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে মহাকাশ অভিযানের জগতে ইসলামি ইরানের একটি দুর্দান্ত অর্জন ঘটল। এবং এর মধ্যদিয়ে দেশটির মহাকাশ উন্নয়নের নতুন গাথা রচিত হলো বলে মনে করা হচ্ছে।
ইরান ২০০৯ সালে প্রথম উমিদ বা আশা নামের কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠায়। ইরানি বিজ্ঞানীরা নিজস্ব প্রযুক্তিতে নিজেরাই এটি তৈরি করেন। এরপর ২০১০ সালে ইরান মানুষ বহনোপযোগী মহাকাশযানও পাঠায়। কাভেশগার বা অভিযাত্রী-৩ নামের রকেট ওই মহাকাশযানকে বহন করেছিল। এ ছাড়া, ২০১৫ সালে ফজর বা উষা নামে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়েছে ইরান। উঁচুমানের ছবি তুলে তা পৃথিবীতে পাঠাচ্ছে ‘ফজর’।

বুধবার, এপ্রিল ২২, ২০২০

লকডাউনে খাদ্য বিলিতে মহিষাদল ভারত সেবাশ্রম সংঘ

প্রতাপ চট্টোপাধ্যায়
 

মহিষাদল ভারত সেবাশ্রম আশ্রম থেকে বিভিন্ন জায়গায় খাওয়ার সরবরাহ। মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর মহাশয়ের উদ্যোগে কন্টাই কো অপারেটিভ ব্যাংকের সহযোগিতায় এই খাওয়ার বিতরণ চলছে। চলবে দশদিন ধরে।

অন্ন - সন্তু বন্দ্যোপাধ্যায়

অন্ন
    সন্তু বন্দ্যোপাধ্যায়
 
 
রক্ত ঝরা ঘাম দিয়ে 
লোকে তোমায় তৈরি করে, 
শত পরিশ্রমের পরে তুমি 
আসো লোকের ঘরে,
তোমার জ্বালা তারাই বোঝে 
পায়না যারা খেতে,
বল আর কতদিন থাকবে তারা 
আধপেটা খেয়ে বেঁচে, 
কেউবা তোমায় নষ্ট করে 
কেউ বা তোমার খোঁজে,
কেউ বা তোমার আশায় থাকে 
শত লোকের মাঝে, 
অন্ন তোমার যায় না বোঝা 
তুমি যার দাও ভরে দাও,
থাকে যারা স্টেশন ধারে 
তাদের খাবার কেড়ে নাও,
তারাও মানুষ আমরাও মানুষ 
তাহলে কেন ভেদ বিচার,
কেন তুমি তাদের কোন 
দাও না সুবিচার, 
যে তোমারে ভক্তি করে 
থাকো নাকি তুমি তারই ঘরে,
জানিনা কেন মানুষ তোমায় 
না জেনে বুঝে অবহেলা করে,
 চাই তোমাকে সবাই জানি 
কেউ কেউ না পায়, 
অন্ন তুমি অনেক মহান 
তোমার সবাই যেন পায়!

লকডাউনে অসহায় দের খাদ্য সামগ্রী বিলিতে ক্ষুদিরাম কিশলয় সংঘ

দীপঙ্কর সমাদ্দার  

 দক্ষিণ 24 পরগনার সোনারপুর অন্তর্গত গঙ্গা জোয়ারা মৌজা খুদিরাম পল্লী কিশলয় সংঘ পক্ষ থেকে পল্লীবাসী কে নিয়ে নিদিষ্টদুরত্ব  মেনে লকডাউন সম্পর্কে সচেতন সভা আয়োজন করা হয় ।সারা বিশ্ব এক বড়ো সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে আছে, এই পরিস্থিতির শিকার সকলে, সারাদেশ জুড়ে চলছে লকডাউন,  দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী দের ঘরে আজ অন্নর অভাব। পল্লীবাসীর এই দুঃসময়ে তাদের পাশে দাড়িয়েছে কিশলয় সংঘের  সদস্যরা। ১৫০ জন এর হাতে চাল,ডাল,আলু,তেল,তুলে  দেওয়া হলো। যে সমস্থ দুস্থ-দরিদ‍্র আজ অন্নর অভাবে কী খাবেন তা নিয়ে ভাবনায় আছেন তাদের হাতে এই অল্প কিছু খাদ‍্য সামগ্রী তুলে দিয়ে কিশলয় সংঘ দুস্থ এবং পল্লী বাসীর দুঃস্থ পরিবারের হাতে তাদের খাদ‍্যসংকট থেকে কিছুটুকু চিন্তা মুক্ত করার চেষ্টা করল। উপস্থিত ছিলেন অঞ্চলের বিশেষ ব্যক্তিগণ ও কামরাবাদ পঞ্চায়েত দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি গণ কিশলয় সঙ্গে সদস্যরা জানালেন আমরা বিগত দিনে মানুষের পাশে ছিলাম বর্তমানে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো

২৭ জন রিক্সা চালকদের ৬০০ টাকা করে দিল তারকেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষ

সুভাষ মজুমদার
  

লকডাউনে এলাকার রিক্সা চালক দের ৬০০ টাকা করে অনুদান তারকেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষের।এদিন বিকালে তারকেশ্বর এলাকার প্রায় ২৭ জন রিক্সা চালককে তারকেশ্বর রাজবাড়ী থেকে ৬০০ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়।মন্দিরের মহন্ত মহারাজ নিজের হাতে এই অনুদান তুলে রিক্সা চালকদের হাতে।এছাড়াও মন্দিরের যাত্রী সেবায়  যুক্ত ১২০ জনকে ৭০০টাকা এবং এলাকার চা বিক্রেতা থেকে ফেরিওয়ালদের প্রায় ৩৫ জনকে ৬০০ টাকা করে অনুদান দেয় তারকেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষ।

মন্তেশ্বরের শুভশ্রী ছবি আঁকছে লকডাউনে

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি, 
   
        করোনা ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্য দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষিত হয়েছে।  সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন করা হচ্ছে।সব কিছু থমকে গেছে।মানুষ আজ গৃহবন্দী। কোলাহল মুখর পৃথিবীতে বিরাজ করছে শ্মশানের নিস্তব্ধতা।সেলেবল থেকে সাধারণ মানুষ -প্রত্যেকেই পরিচিত জগত ত্যাগ করে অন্য জগতের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছে বাচ্চারা। কিছুতেই ঘরে তাদের মন বসছেনা।
        পূর্ব বর্ধমানের মন্তেস্বর থানার পুটশুড়ী গ্রামের শুভশ্রী চৌধুরী। মা-বাবার একমাত্র মেয়ে। বাবা শুভেন্দু একজন ব্যবসায়ী।বর্তমানে তিনিও গৃহবন্দী।মা তনুশ্রী একজন আটপৌরে গৃহবধূ। লকডাউনের জন্য  অনভ্যস্ত জীবন কাটাতে হচ্ছে চতুর্থ শ্রেণির এই মেয়েটিকে। স্কুল বন্ধ।ফলে বন্ধুদের সঙ্গে মজা করা যাচ্ছেনা। ঘুরে ঘুরে কচি আম কুড়াবে এবং বিকেলে নুন-লঙ্কা মাখিয়ে খাবে তারও উপায় নাই। ঘরের মধ্যে সবসময় থাকতেও বিরক্ত লাগছে।মেনে নেওয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় নাই ।কিন্তু শুভশ্রী একটু অন্যভাবে জীবনটা উপভোগ করতে শুরু করল।
        চার বছর বয়স থেকে ছবি আঁকা শিখতে শুরু করলেও কেবলমাত্র আঁকার স্যারের কাছেই ছবি আঁকত শুভশ্রী। এখন একঘেয়েমি কাটানোর জন্য মনের আনন্দে নিজেই ছবি এঁকে চলেছে। শুধু তাই নয় নিজের কাঁচের চুড়ি ও সুতো দিয়ে দৃষ্টিনন্দন একটি 'গৃহশোভা' বৃদ্ধির জিনিস  তৈরি করে ফেলেছে। এই সময় সে বেশ কিছু কবিতাও লিখেছে যা ইতিমধ্যেই মঙ্গলকোট.কম এ প্রকাশিত।মাঝে মাঝে মায়ের শাড়ি পড়ে সাজতেও বসে পড়ছে।
কর্মব্যস্ততার জন্য ব্যবসায়ী বাবাকে খুব একটা কাছে পেতনা শুভশ্রী। ব্যবসা বন্ধ থাকায় বাবা-মাকে একসাথে পেয়ে তাদের সঙ্গে খুনসুটি করে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে ফেলছে। সব মিলিয়ে নিজের জীবনটাকে আনন্দে ভরিয়ে ফেলেছে সে।
     ছোট্ট শুভশ্রী বলল- প্রথম প্রথম খুব বিরক্ত লাগছিল।তারপর যেই ছবি আঁকা, কবিতা লেখা  বা হাতের কাজ করতে শুরু করলাম সব বিরক্ত দূর হয়ে গেল। বাবাকেও কাছে পাচ্ছি। প্রতিমাসে একদিন করে লকডাউন হলে কি মজাটাই নাহবে!
       তনুশ্রী দেবী বললেন- বাবাকে কাছে পেলেও মেয়েটা মনমরা হয়ে যাচ্ছিল। কি করব ভেবে পাচ্ছিলাম না। নিজেই মনের আনন্দে কাজ করছে দেখে খুব ভাল লাগছে। তবে আমরাও ওর কাছে বসছি। সব মা-বাবার উচিত এখন ছেলেমেয়েদের সময় দেওয়া।
      ক্লিনিক্যাল মনোবিদ্যার চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রী এবং কলকাতার একটি প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শক তানেয়া মুখার্জ্জী বললেন - হঠাৎ পরিবর্তিত পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া খুব কষ্টের। বিশেষ করে বাচ্চাদের। এই সময় তাদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। ঘরের চারদেওয়ালের মধ্যে তাদের যেটা ভাল লাগে সেটাই তারা করবে।এই সময় পড়াশোনায় চাপ না দিয়ে তাদের সৃজনশীল কাজে উৎসাহিত করা সবচেয়ে ভাল।

চাণক এলাকায় নিজেরাই ত্রাণ তহবিল গড়লেন গ্রামবাসীরা

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি
  
        সম্পূর্ণ নিজেদের উদ্যোগে 'ত্রাণ তহবিল' গঠণ করল গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মঙ্গলকোটের চাণক গ্রামে। স্হানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে লকডাউন জনিত কারণে গ্রামের 'দিন আনি দিন খাই' শ্রেণির মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এদের অনেকেই একমুঠো খাবার যোগাড় করতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে।এই পরিস্থিতিতে গ্রামের দুই প্রবীণ ব্যক্তি প্রভাত বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুন্দরগোপাল মজুমদার 'ত্রাণ তহবিল' গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসে গ্রামের যুব সম্প্রদায়।গ্রামের মানুষের সঙ্গে সঙ্গে কর্মসূত্রে গ্রামের বাইরে থাকা ব্যক্তিরাও আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।এমনকি গ্রামের এক বাচ্চাও তার টিফিনের জন্য জমা করা কুড়ি টাকা ঐ ত্রাণ তহবিলে দান করে। সংগৃহিত অর্থে গত ১৮ ই এপ্রিল গ্রামের ৫০০ জন দুঃস্হ ব্যক্তির হাতে ৫ কেজি চাল,একটি সাবান ও একটি মাস্ক তুলে দেওয়া হয়। 
    বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সবুজকলি মিত্র সহ অন্যত্র কর্মরত চাণক গ্রামের বাসিন্দারা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং প্রয়োজনে আবারও আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন।    
        অন্যতম উদ্যোক্তা সুন্দর বাবু বললেন - এটা ব্যক্তিগত নয় সমষ্টিগত উদ্যোগ। পরিস্থিতির শিকার মানুষগুলোর অসহায় অবস্থা দেখে আমরা এই তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নিই।প্রবীণদের উপস্থিতিতে যুবসম্প্রদায় প্রয়োজনীয় সামগ্রী বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসে। প্রয়োজন পড়লে আগামীদিনেও পরিস্থিতির উপর নজর রেখে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।সহযোগিতার জন্য উদ্যোক্তারা স্বাস্থ্য বিভাগ,আশাকর্মী ও  মঙ্গলকোট থানার আধিকারিককে ধন্যবাদ জানান।

মঙ্গলবার, এপ্রিল ২১, ২০২০

বন্ধন ব্যাংক সীমিত জায়গায় ক্ষুদ্র ঋণ দিচ্ছে

বন্ধন ব্যাঙ্ক নির্বাচিত এলাকায় পুনরায় ক্ষুদ্র ঋণ পরিষেবা শুরু করলো

 রাজকুমার দাস
  
    
 বন্ধন ব্যাঙ্ক আজ ঘোষণা করেছে যে তারা ছোট ব্যবসায় ঋণ দেওয়ার পরিষেবা পুনরায় শুরু করেছে। ছোট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত গ্রাহকদের অনুরোধ ও চাহিদার কথা বিবেচনা করে এই পরিষেবা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে গ্রাহকদের এই ধরনের ঋণের প্রয়োজন তাঁদের জন্য কম সংখ্যক কর্মীকে নিয়ে সীমিত এলাকায় এই পরিষেবা শুরু করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তার পরিধি ক্রমশ বাড়ানো হবে।

লকডাউন সত্ত্বেও ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশিকা মেনে বন্ধন ব্যাঙ্কের শাখাগুলি সীমিত সংখ্যক কর্মীদের নিয়ে পরিষেবা চালু রেখেছিল। কিন্তু ছোট ব্যবসায় ঋণ দেওয়ার পরিষেবা চালু ছিল না। সরকার গ্রিন জোন বলে যে এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করেছে কেবল সেই এলাকাগুলিতেই ২০ এপ্রিল থেকে এই পরিষেবা শুরু করা হয়েছে। ছোট ব্যবসায়ী, কৃষি ও তার সহায়ক কাজের ক্ষেত্রে অর্থের চাহিদার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, এঁরা দৈনন্দিন ব্যবসার জন্য ক্ষুদ্র ঋণের উপর ভীষণ ভাবে নির্ভরশীল। তা ছাড়া ফসল কাটার সময়ও এগিয়ে আসছে। এই সময়ে ফসল কাটা ও পরবর্তী চাষের প্রস্তুতির জন্য চাষীদের অর্থের প্রয়োজন হয়। প্রয়োজনের সময়ে বন্ধন ব্যাঙ্ক তাঁদের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মুদিখানা, খাবার ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর দোকানদার বন্ধন ব্যাঙ্কের নিয়মিত ঋণ গ্রাহক। তাঁদের চাহিদা ও প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেও ঋণ পরিষেবা পুনরায় শুরু করা হয়েছে। আর্থিক সাহায্য পেয়ে গেলে, তাঁরা আবার তাঁদের দৈনন্দিন জীবিকা নির্বাহ করা শুরু করতে পারবে। তার পর ক্রমশ তা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারবে।

বন্ধন ব্যাঙ্কের ৪৫০০ ব্যাঙ্কিং আউটলেটের মধ্যে অনেকগুলি এমন জায়গায় রয়েছে যে মোটামুটি তিন কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যেই বেশিরভাগ গ্রাহকরা থাকেন। ব্যাঙ্কের প্রত্যাশা যে গ্রাহকরা হেঁটেই অধিকাংশ স্থানে ব্যাঙ্কিং আউটলেটে পৌঁছে যাবেন। কিছু এলাকায়, যেখানে গ্রাহকরা ব্যাঙ্ক অবধি পৌঁছতে পারবেন না, সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক কর্মীরা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যাবেন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান যে ধরনের কর্মসূচী পালন করছে তাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে সাধারণ মানুষ অনেকটাই সচেতন হয়েছেন। গ্রাহকরা ব্যাঙ্কিং আউটলেটে গেলে ব্যাঙ্ক কর্মীরা তাঁদের কিছু সতকর্তা মেনে চলতে বলবেন। যেমন, তাঁরা যেন মাস্ক বা কাপড় দিয়ে মুখ ও নাক ঢেকে রাখেন, সোশাল ডিস্টেন্সিং মেনে চলেন ইত্যাদি। ব্যাঙ্কের কর্মীদেরও সব রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে চলতে বলা হয়েছে। প্রতিটি ব্যাঙ্কিং আউটলেটে ব্যাঙ্ক কর্মী ও গ্রাহকদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। 

উপরিউল্লিখিত পরিষেবা কেবলমাত্র সরকার চিহ্নিত গ্রিন জোনের এলাকাগুলিতেই পুনরায় শুরু করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ, অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, রাজস্থান এবং হরিয়ানায় ২০ এপ্রিল থেকে এই পরিষেবা ফের শুরু হয়ে গিয়েছে। বাকি রাজ্যগুলিতেও স্থানীয় প্রশাসনের নিয়ম ও নির্দেশিকা মেনে অচিরেই এই পরিষেবা শুরু করে দেওয়া হবে। 

বন্ধন ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও চন্দ্র শেখর ঘোষ বলেন, “লকডাউনের যে প্রভাব ব্যবসায় পড়েছে তা কাটিয়ে ওঠার জন্য আমাদের ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতাদের আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন। মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য লকডাউন যেমন জরুরি ছিল, তেমনই পুনরায় আগের অবস্থায় সবকিছু ফেরাতে আর্থিক সহায়তাও দরকার। বিভিন্ন জায়গা থেকে ছোট ব্যবসায়ীদের যে অনুরোধ আসছে ও চাহিদা তৈরি হয়েছে তা বিবেচনা করে আমরা এই পরিষেবা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রয়োজনের সময় তাঁরা আমাদের সাহায্য পেয়েছে বলেই অসংখ্যা গ্রাহকের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের এক মজবুত বন্ধন তৈরি হয়েছে। আমরা এই পরিষেবা সীমিত ভাবে শুরু করছি ঠিকই, কিন্তু ক্রমাগত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে যাব, বাস্তবে কী অবস্থা রয়েছে তাও বিবেচনা করে দেখব, তার পর সেই অনুযায়ী ক্রমশ আগের মতোই পুরদমে এই পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে। ”

মেমারিতে পঞ্চায়েত সমিতির পদাধিকারীর মহতি উদ্যোগ

সেখ সামসুদ্দিন

 
 মেমারি থানার পাল্লা বেলতলা এলাকা নিবাসী মেমারি ১ পঞ্চায়েত সমিতির মৎস‍্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ‍্যক্ষ রেনুকা মহন্ত, পিডব্লুডি কর্মী পুত্র অমিত মহন্ত ও পুত্রবধূ অনুশ্রী মহন্ত সম্পূর্ণ পারিবারিক উদ‍্যোগে পাড়ার ৩১টি পরিবারের মধ‍্যে খাদ‍্যসামগ্রী তুলে দেন। অভিনব উদ‍্যোগে খাদ‍্যসামগ্রীর মধ্যে চার কেজি চাল, দুই কেজি আলু, ডাল, সরিষা তেল, সোয়াবিন, চিনি, চা, দুধ, লবন, মুড়ি, বিস্কুট, কাঁচা লঙ্কা, পরিবারের মাথাপিছু একটা করে ডিম ও সাবান দেওয়া হয়। সংসারে প্রয়োজনীয় দৈনন্দিন চাহিদার সবকিছু দিয়ে পাড়ার মানুষের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল মহন্ত পরিবার। অমিত মহন্ত বলেন প্রয়োজনে আবারও উদ‍্যোগ নেব।

পিটিয়ে কুকুর হত্যা, দায়ের লিখিত অভিযোগ

সুরজ প্রসাদ,
 

রাস্তার এক কুকুরকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ করেন এক পশুপ্রেমী। জানা গেছে,  শুক্রবার বিকাল পাঁচটা নাগাদ তারা খবর পান বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর তেলিপাড়ায় একটি কুকুরকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। খবর পেয়েই সংগঠনের সদস্যরা ওই এলাকায় গিয়ে আহত কুকুরটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু তা সত্বেও কুকুরটি ওইদিন রাতে মারা যায়। স্থানীয় সুত্রে সংগঠনের সদস্যরা জানতে পারেন, স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষীকান্ত মাঝি ওই কুকুরটিকে পিটিয়ে আহত করেছিলেন। এরপর সংগঠনের তরফে রবিবার বর্ধমান থানায় লক্ষীকান্তবাবুর নামে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। সোমবার কুকুরটির ময়নাতদন্ত হয়।

শুক্রবার, এপ্রিল ১৭, ২০২০

কাঁথির নেতাজি মার্কেটে দোকানে বেশি মূল্য নেওয়ার অভিযোগ

জুলফিকার আলি
  

লকডাউনের সুযোগ নিয়ে কাঁথি পৌরসভার নেতাজী মার্কেট বাজারে বি জি স্টেশের্নাস দোকানে দিনের পরদিন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষের দাম বাড়িয়ে চলেছে বলে অভিযোগ । এই দোকানটি লকডাউনের আগে প্রসাধনী দোকান ছিল রাতারাতি দোকান খুলে রাখার জন্যে কিছু মুড়ি, জল, বিস্কুট সিগারেট এবং পান মশলার দোকান খুলে বসে এবং মাত্রাছাড়া দাম নিতে শুরু করে বলে দাবি। এলাকার মানুষ প্রতিবাদ করে মার্কেট কমিটি কে জানান।  মার্কেট কমিটি ওই ব্যাবসায়ী কে সাবধান করে কিন্তু এই দোকানদার কোন কথার কর্নপাত না করে আগের মত বাড়তি দাম নিতে থাকে। দ্রব্য মুল্য মুড়ি ১ কেজি ৬০ টাকা বিস্কুট ব্রিটানিয়া ক্রীমকেকার  ৪৫ টাকা জল ১ লিটার ২৫ এবং ২ লিটার ৫০ টাকা। এলাকা বাসিদের দাবি এই ব্যাপারে কাঁথি পৌরসভা আ ব্যাবস্থা নিক।

সারেঙ্গায় ব্যাংকের লাইন লকডাউনের হিসাব দিল পাল্টে

সাধন মন্ডল, 
  

তোড়ায় কেয়ার লকডাউন। চারিদিকে যখন কোরোনা আতঙ্কে লকডাউন চলছে ঠিক সেই সময় জঙ্গলমহল এলাকার বিভিন্ন ব্যাংকের শাখায় হাজার হাজার মানুষের টাকা তোলার জন্য দীর্ঘ লাইন সেখানেই ঠাসাঠাসি করে লাইনে দাঁড়িয়েছে সবাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোন চিন্তা ভাবনাই নেই নেই মানুষ গুলোর মধ্যে।। তাছাড়া তাদেরকে বারবার সিভিক পুলিশ রা বোঝাতে গেলে বিরক্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ গুলো। রাইপুর, সারেঙ্গা, সিমলাপাল,তালডাংরা,খাতড়া,রাণীবাঁধ প্রভৃতি ব্লকের ব্যাঙ্ক গুলিতে।আজ সারেঙ্গা ব্লকের বঙ্গীয় গ্রামীন বিকাশ ব্যাঙ্ক এর পি মোড় শাখায় গিয়ে দেখা গেল প্রায় 400 মানুষ লাইনে দাঁড়িয়েছেন তাদের টাকা তোলার জন্য বিশেষ করে জন ধন প্রকল্পের টাকা তোলার জন্য। মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করছে বলে বোঝা গেল তারা শুনেছেন এই টাকা না তুলে নিলে ফেরত চলে যাবে এই আতঙ্কে সবাই একসাথে ভিড় করেছে টাকা তোলার জন্য। করোনার কথা তাদের বললে তারা বলেন ওসব ছাড়োতো মশায়, আমাদের এখানে তো কিছু হয়নি যেখানে হচ্ছে সেখানে হচ্ছে তাতে আমাদের কি? টাকা তুলতে হবে না হলে ফেরত চলে যাবে তাই টাকা তুলতে এসেছি। গুজবের কারণে ব্যাংকে ভিড় বাড়ছে অবিলম্বে সতর্কতা প্রয়োজন।

আন্তরিকতার জিজ্ঞাসা - সন্তু বন্দ্যোপাধ্যায়

আন্তরিকতার জিজ্ঞাসা 
           সন্তু বন্দ্যোপাধ্যায়
  
 
একদিন মন আমাকে হঠাৎ প্রশ্ন করল ?
তুমি স্বপ্ন দেখো কাউকে নিয়ে ঘর বাঁধার,

আমি বললাম :- ঘর, হ্যাঁ সে তো সবারই আশা থাকে মনে,সে আশা কখনো কারো পূর্ণ হয়,আর কারো হয় না!

মন বললো :- তুমি কি কারোর আশা রাখো না ?

আমি বললাম :- আশা করে কি করবো বলো, আমার জীবনের সব আশায় তো নিরাশা হয়ে যায়,

মন বললো :- তাহলে সে কে ? যে আসলে আমি আর স্থির থাকতে পারিনা, আমি চঞ্চল হয়ে উঠি, অস্থিরতা ভর করে আমার উপর,

আমি বললাম :- সে হলো আমার স্বপ্নের পরী, অনামিকা, নীহারিকা, আলেয়া, আমার প্রিয় মনের মানুষ যাকে আমি তোমার সাথে সব সময়ের জন্য বেঁধে রাখি,

মন বললো :- তাকে বুঝি তুমি খুব ভালোবাসো,

আমি বললাম :- জানিনা, তবে আমি যেদিকেই তাকাই শুধু ওই সারাক্ষণ আমার চোখে ভাসে,সব সময় ওর মুখটা আমার মনে পড়ে, সব সময় আমার এটা মনে হয় যে ও কি করছে, কেমন আছে,

মন বললো :- কোনদিন বলেছো তাকে, যে তুমি ওকে এতটা ভালোবাসো,

আমি বললাম :- না

মন বললো :- কেনো ?

আমি বললাম :- ভালোবাসার যে এত সুন্দর অনুভূতি থাকে,এত মিষ্টি আবেগ থাকে, সত্যি কারের ভালোবাসা একটা মানুষের জীবনে আসলে যে রকম হয়,যে কাউকেই তা বলে বোঝানো যায় না,তা আমি জানতাম না আর আমি যখন বুঝলাম, তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে,

মন বলল :- দেরি হয়ে গেছে মানে ?

আমি বললাম :- ও যখন আমার জীবনে এসেছে, তার আগে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে,যা নতুন করে শুরু করা খুবই মুশকিল, আমি না ওকে কখনো আমার মনের কথা বলতে পারব, আর না কখনো ওকে কোনদিনও  ভুলতে পারবো,

মন বললো :- কেমন সে ? একটু আমায় বলো না গো ?

আমি বললাম :- সে মানে আমি আর আমি মানেই সে !

মারিশদায় আটকে বর্ধমানের ৮ শ্রমিক

জুলফিকার আলি, 
  

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মারিশদা থানার কালীনগর এ ঢালাই এর কাজে এসেছিল বর্ধমান এর আট জন শ্রমিক। কাজ ভালোই চলছিল কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় লকডাউন। আটকে পড়ে সবাই। কাছে যা টাকা ছিল সেই দিয়ে চলছিল কয়েকদিন। কিন্তু তারপরেই টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় খাওয়ার জুটছিল না কারও। শেষে সবাই সিদ্ধান্ত নেয় পায়ে হেটে বর্ধমান পাড়ি দেবে। কিন্তু মাধপথে নন্দকুমার থানার 116 বি জাতীয় সড়কে পুলিশ আটকায় সবাইকে। নিয়ে আসা হয় নন্দকুমার থানায়। থানায় পুলিশের তরফ থেকে রাতে খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয় এদের। বর্ধমানে কিভাবে ফেরানো যায় ব্যবস্থা করছে পুলিশ।

খাদ্য সামগ্রী বিলিতে বাসুবাটি দরবার শরিফ

মোল্লা শাহজাহান(নিপু)
   

শুক্রবার বাসুবাটী মেজ হুজুর দরবার শরীফ থেকে ত্রাণ নিয়ে পৌছালেন বাঁকুড়া পুনিশলে পীরজাদা সৈয়দ তাফহীমুল ইসলাম ও হাফেজ হাসান রাজা।শয়ে শয়ে অভুুুক্ত মানুষদের খাদ্য সামগ্রী বিলি করা হয়।       

ত্রাণ বিলিতে রাজনীতির অভিযোগ মেমারিতে

সেখ সামসুদ্দিন

  মেমারি পুরসভার প্রাক্তন উপপুরপিতা  অভিজিত কোঙার সাধারণ মানুষের কাছে প্রশ্ন ও আবেদন সহ বর্তমান পুরবোর্ড  সহ পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে ত্রাণ নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ আনেন নিম্নরূপে- 'আপনি কি পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি পৌরসভার বাসিন্দা? আপনি কি শ্রমজীবী,গরীব মানুষ?  তাহলে আপনি তো নিশ্চিত চান যে,করোনায় এই কাজ না থাকা সময়ে সরকার আপনার পাশে সহযোগিতার হাত বাড়াক। ইতিমধ্যে বামপন্থী সংগঠন সহ অনেক সংস্থা ও সংগঠন পৌর এলাকায় সাধ্যমতো গরীবদের খাদ্য ও সরঞ্জাম দেওয়ার চেষ্টা করেছে ও করছে,যা অবশ্যই অপ্রতুল। তাই সরকারী সহযোগিতা দরকার। তা না হলে ঘরবন্দী থাকা উচিত জেনেও বিপদ টেনে আনতে আপনি পেটের দায়ে, সংসার চালাতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন বা পড়ছেন, তাই তো?  আবার সরকারের ভূমিকা নিয়ে কথা বললেও অনেকে মন্তব্য করছেন--এখন এসব রাজনীতি করার কি দরকার? এখন দরকার এক সঙ্গে বিপদের মোকাবিলা। ঠিকই তো,দরকার এক সঙ্গে মোকাবিলা। 
             তাহলে আসুন একটি বিষয়ে মেমারির নাগরিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করি। জানা গেল, মেমারি পৌরপ্রধান প্রথম দফায় বুথ প্রতি ১০ জনকে,  দ্বিতীয় দফায় বুথ প্রতি ১১ জনকে অর্থাৎ বুথ প্রতি মোট ২১ জনকে জি. আর.- র ৫ কেজি করে চাল দেবেন বা দিয়েছেন। ভালো কথা। আবার আগামী ২০/৪/২০ হতে পৌরসভা অফিস থেকে বুথ প্রতি ৩৫ জনকে ৫ কেজি করে চাল দেবেন বলে জানা গেল। তাহলে এখন পর্যন্ত বুথ প্রতি ১০+১১+৩৫=৫৬ জন ৫ কেজি করে চাল পাবে টোকেনের মাধ্যমে। কিন্তু প্রশ্ন হল--প্রাপক তালিকা ঠিক করা ও টোকেন কে বিলি করবে বা করছে? ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সি. পি. আই( এম) র। কিন্তু তাঁকে কিছুই জানানো হয় নি। লোকমুখে খবর পেয়ে কাউন্সিলর শ্রীমতি মানু ভট্টাচার্য চেয়ারম্যানকে বারবার ফোন করলে তিনি ধরেননি। শেষে জনস্বার্থে মহকুমাশাসককে লিখিত অভিযোগ জানানোয় চেয়ারম্যান কাউন্সিলরকে ফোন করে জানান --যা করার তৃণমূল কর্মীরা করবে। প্রতিবাদ করায় চাপাচাপিতে মাত্র ১৫ টি  টোকেন দিতে রাজী হন,যেখানে ওয়ার্ডের ২ টি বুথ হিসাবে তাঁর ৫৬×২=১১২টি টোকেন পাওয়ার কথা। একই ঘটনা ৩ নং ওয়ার্ডের,যেখানের সি.পি.আই(এম) কাউন্সিলর ক্যান্সারে মারা যান। সেখানের স্বীকৃত ওয়ার্ড কমিটিকে নস্যাৎ করে তৃণমূলী নেতারা যা করার করছেন। ৪ নং ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলরেরও একই অভিজ্ঞতা। চেয়ারম্যান কি নিজের টাকায় এই চাল দিচ্ছেন যে কাউকে জানাবেন না ?  জানা গেল, তৃণমূলীরা এই সময়ে এর থেকে আয় করছেন। রোজ করোনা সংক্রান্ত নির্দেশ জানাতে পৌরসভা মাইক প্রচার করলেও এই ব্যাপারে কোন প্রচার হল না কেন?  কেন এত গোপনীয়তা?  কেউ বলতে পারেন, পৌরসভায় তৃনমুল জিতেছে,তাই অন্যদের জানাবে কেন?  উত্তরে বলি-- বামফ্রন্ট পরিচালিত মেমারি পৌরসভায় বর্তমান পৌরপ্রধান বরাবর বিরোধী কাউন্সিলর ছিলেন। একটা ঘটনা উনি বা ওই ওয়ার্ডগুলির কোন নাগরিক দেখাতে পারবেন,যেখানে উনাকে বা বিরোধী কোন কাউন্সিলরকে অগ্রাহ্য করে তৎকালীন পৌর বোর্ড কোন কাজ করেছে?  তৎকালীন কাউন্সিলর হিসাবে এ কথা বলার হিম্মত আমার আছে, উনার প্রতিবাদ জানানোর হিম্মত আছে? 
            আমি জানি- যে গরীবদের জন্য এই সব বলছি, তাদের অধিকাংশ তো সোশ্যাল মিডিয়া দেখেন না। কিন্তু পৌর এলাকার যে নাগরিকরা এই মিডিয়া চর্চা করেন তাদের কাছে প্রশ্ন --বলুন, এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করা যদি রাজনীতি করা হয়, তাহলে গরীবদের স্বার্থে সেই রাজনীতি আপনি চান না?  করোনার মোকাবিলা একসঙ্গে করা মানে, এই দুর্নীতি ও অন্যায়কে মুখ বুজে সহ্য করা--সেটা কি ঠিক হবে?  যারা সরকারে আছে তারা যদি একসঙ্গে না চলার রাজনীতি করেন তাহলে তার প্রতিবাদে একসঙ্গে চলার রাজনীতি হোক। কেউ ভাবতে পারেন,আমি মিথ্যা সংবাদ দিচ্ছি। তাহলে সঠিক সংবাদ জানতে আপনারা আপনাদের পাড়ার সব নিপীড়িত নাগরিকদের লক ডাউনের নিয়মাবলী মেনে পৌরসভায় পাঠান।' যদিও বর্তমান চেয়ারম্যান পুরবোর্ডে ক্ষমতায় এসে অভিযোগ করেছিলেন বাম জমানায় জিআর-এর চাল সহ অনেক কিছু বিষয়েই জানতেন না। ক্ষমতায় এসে তিনি বুঝেছিলেন তৎকালীন বোর্ড কিভাবে গরীব মানুষকে বঞ্চিত করেছে। এখন একই অভিযোগ জানাচ্ছেন বিরোধী  সিপিএম নেতৃত্ব।

করোনায় আইনজীবীদের জন্য রিলিফ ফান্ড একাউন্ট করলো হাইকোর্ট বার এসোসিয়েশন

মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)    
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় বিধিনিষেধ বজায় রেখে গত ১৬ মার্চ থেকে রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার অচল হয়েছে। যা ৩০ এপ্রিল অবধি ধাপেধাপে সময়সীমা বাড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুধুমাত্র কলকাতা হাইকোর্টে ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি চলছে তাও মাসে ৭ থেকে ৮ দিন মত। গত ১৬ মার্চ থেকে রাজ্যের আইনজীবীরা একপ্রকার বেকারত্বের শিকার বলা যায়। গোটা রাজ্যে ৮২ হাজার মত নিয়মিত / অনিয়মিত আইনজীবী রয়েছেন। এর মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে আইনী পেশার সাথে যুক্ত প্রায় ১০ হাজার আইনজীবী। টানা ৩১ দিন আদালতমুখী হয়নি এই রাজ্যের আইনজীবীমহল। আর্থিক সমস্যায় আইনজীবীদের বড় অংশ। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চে বারাসাতের এক আইনজীবী আইনজীবীদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া সহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে মামলাও করেছেন। ১৬ এপ্রিল এই মামলার শুনানির  জন্য নির্ধারিত হলেও  আগামী ২৩ এপ্রিল এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে। গত ৩০ মার্চ ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং রাজ্য আইনমন্ত্রী কে ইমেল মারফত চিঠি লিখে আইনজীবীদের পাশে দাঁড়াবার জন্য আবেদন রেখেছেন। গত ৮ এপ্রিল বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের বর্ষীয়ান সদস্য আনসার মন্ডল কেন্দ্রীয়  বার কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান কে   চিঠি লিখে আইনজীবীদের পাশে দাঁড়াবার অনুরোধ জানিয়েছেন। এই চিঠিও প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য আইনমন্ত্রী কে। সেইসাথে রাজ্যের বার কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান অশোক দেব মহাশয়কে ও     অবগত করানো হয়েছে। আনসার বাবু রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ৩৭ টি বেসরকারি আইন কলেজ কর্তৃপক্ষ কে আইনজীবীদের এহেন দুসময়ে পাশে দাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন। অপরদিকে কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক কুমার ঢনঢনিয়ে অত্যন্ত তৎপরতায় এক রিলিফ ফান্ড গড়েছেন। ইতিমধ্যেই ৮০০ এর বেশি আইনজীবী বার এসোসিয়েশনের পদাধিকারীদের কাছে ইমেল মারফত আর্থিক অনুদান দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।হাইকোর্টের  বার এসোসিয়েশন সুত্রে প্রকাশ, এহেন আইনজীবীদের ২ হাজার টাকা করে মাসিক আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে  । ইতিমধ্যেই ৭ লক্ষ টাকা উঠে এসেছে আইনজীবীদের আর্থিক অনুদান দেওয়ার জন্য। এর মধ্যে বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক কুমার ঢনঢনিয়া দিয়েছেন ২ লাখ, ক্যালকাটা হাইকোর্ট কালচারাল সোসাইটির তরফে ২ লাখ, মিলন মুখোপাধ্যায় দিয়েছেন ১ লাখ অনুদান অন্যতম । বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক কুমার ঢনঢনিয়া জানিয়েছেন    - "আরও ১০ লাখ টাকার অনুদান দরকার। হাওড়ার এক বেসরকারি ব্যাংকে একটি জরুরি কালিন রিলিফ ফান্ড একাউন্ট খোলা হয়েছে"। অপরদিকে আজ অর্থাৎ শুক্রবার কলকাতার সিটি সেশন কোর্টে অবস্থিত বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্টবেঙ্গলের অফিসে বার কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির আইনজীবীদের আর্থিক ভাবে পাশে থাকবার বৈঠক করার কথা রয়েছে।                                                                                                                                                                                          

    

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৬, ২০২০

করোনায় রাজ্যের রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয় কলকাতা হাইকোর্ট

মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)    
বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে করোনা সংক্রান্ত মামলা উঠে। গত ৯ এপ্রিল এই মামলার প্রথম শুনানিতে রাজ্যের কাছে করোনা সংক্রান্ত সম্পূর্ণ তথ্য চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরে এই মামলার শুনানিতে রাজ্যের দাখিল করা রিপোর্টে অসন্তুষ্ট হয় কলকাতা হাইকোর্ট। আজ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের কাছে করোনা মহামারী নিয়ে আরও তথ্য জমা দিতে বলা হয়। করোনায় আক্রান্ত কত? মৃত্যুর সংখ্যা টি কত? কিভাবে কোথায় কতজনের করোনা ভাইরাস পরিক্ষা চলেছে? এইবিধ নানান তথ্য বিস্তারিত ভাবে জানাতে বলা হয়েছে। সেইসাথে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পরামর্শ - আইসিএমআর এবং বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থ্যার গাইডলাইন মানা উচিত রাজ্যের। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ২১ এপ্রিল। উল্লেখ্য, রাজ্যে করোনায় তথ্য গোপন এবং পরিকাঠামোর অভাব অভিযোগ তুলে ডক্টর ফুয়াদ হালিম এই জনস্বার্থ মামলাটি করেছিলেন। মামলাকারীর আইনজীবী রয়েছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য মহাশয়। মামলার পিটিশনে উল্লেখ করা থাকে যে - আইসিএমআর  এর গাইডলাইন মানছেনা রাজ্য। সেইসাথে  করোনা পরিস্থিতিতে আক্রান্ত, নিহত সহ চিকিৎসা পরিকাঠামো নিয়ে তথ্য গোপন করছে রাজ্য সরকার । এহেন বক্তব্য মামলার প্রাক্কালে ইমেল মারফত এবং ভিডিও কনফারেন্সে রাখেন মামলাকারী এবং তাঁর আইনজীবী। গত ৯ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চের বিচারপতিরা রাজ্য কে করোনা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য গুলি কে রিপোর্ট আকারে জমা দিতে বলেছিলেন ন ১৬ এপ্রিলের মধ্যে। আজ অর্থাৎ ১৬ এপ্রিল পুনরায় কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে পুনরায় জনস্বার্থ সহ গুরত্বপূর্ণ মামলার ভিডিও শুনানি হয়।রাজ্যে করোনায় তথ্য গোপন নিয়ে ডঃ ফুয়াদ হালিমের পাশাপাশি স্মরজিত রায় চৌধুরী নামে আরেক আইনজীবী জনস্বার্থ মামলাটি করেছেন। স্মরজিত বাবুর ভিডিও কনফারেন্স সওয়ালে উঠে আসে - করোনায় কেউ মারা গেলে তার শেষকৃত্য প্রক্রিয়া টি কি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন মানা হচ্ছে?  বস্তি এলাকায় সেভাবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি প্রচার অভিযান নেই। তাছাড়া সরকারি / বেসরকারি ত্রাণ ঠিকমতো পৌছাছেনা দুর্গতদের কাছে। ২১ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।করোনায় 
বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য এবং স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কাছ থেকে।                                                                                                  

বুদবুদের মাড়ো গ্রামে কংগ্রেসের খাদ্য সামগ্রী বিলি



সেখ নিজাম আলম
  আজ মানকর অঞ্চলে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের নেতা শ্রী জয়গোপাল দে এর উদ্যোগে, পশ্চিম বর্ধমান জেলার জনপ্রিয় নেতা তথা নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির সদস্য ও প্রাক্তন জেলা সভাপতি শ্রী দেবেশ চক্রবর্তী র সহযোগিতায় , 
প্রায় ১০০ গরিব পরিবারের মধ্যে লকডাইনের জন্য চাল আলু ও সাবান বিতরণ করা হয় মাড়ো গ্রামে, বুদবুদ ব্লক কংগ্রেস কমিটি উদ্যোগে। উপস্থিত ছিলেন অঞ্চল সভাপতি লিটন চৌধুরী, সিতারাম মেটে, বাসু মেটে, পঙ্কজ সিকদার প্রমুখ ।
বাংলার প্রাণপ্রিয় নেতা ,লোকসভার বিরোধী দলনেতা মাননীয় শ্রী অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নির্দেশে অসহায় অভুক্ত দের পাশে দাঁড়ানোর যে আবেদন, তার যোগ্য অনুগামীরা তা পালনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

করোনায় একগুচ্ছ দাবি তে বামেদের স্মারকলিপি

জুলফিকার আলি  
,দেশপ্রাণ এরিয়া   কমিটির উদ্যোগে করোনা সংক্রমণ রোধে সার্বজনীন টেস্ট করা,চিকিৎসক, নার্স সহ স্বাস্হকর্মীদের চিকিৎসা সুরক্ষা প্রদান, কর্মহীন ও গৃহবন্দী মানুষদের ৩৫ কেজি চাল,কেন্দ্রীয় সরকারকে ৫০০০ টাকা,রাজ্য সরকার কে ২০০০ টাকা সবাইকে মঞ্জুর করা,রেশন সামগ্রী নিয়ে দলবাজি বন্ধ করা ইত্যাদি ৬ দফা দাবী সমূহের ভিত্তিতে দেশপ্রান ব্লকের বিডিও ও বিএ ওএইচ দপ্তরে ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম নেতা মামুদ হোসেন, সঞ্জিত দাস,সুতনু মাইতি,তাপস মিশ্র,তরুণ মাইতি প্রমুখ।সিঅাইটিইউ র ডাকে একই দাবীসমূহের ভিত্তিতে মহকুমাশাসক দপ্তরে ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। নেতৃত্ব দেন সিঅাইটিইউ নেতা হরপ্রসাদ ত্রিপাঠী,মামুদ হোসেন, কানাই মুখার্জি, জয়দেব পণ্ডা,সলিল বরণ মান্না প্রমুখ।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER