শনিবার, মে ০২, ২০২০

বিদ্যুৎ বিল মকুবের দাবি নদীয়া বিজেপির

শ্যামল রায়

 

লকডাউন চলাকালীন কর্মহীন হয়ে পড়ায় মানুষ অভাবের মধ্যে পড়েছেন। অথচ সরকারি সাহায্য যেমন মিলছে না তেমনি চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।
শনিবার নদীয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ইলেকট্রিক অফিসের সামনে ইলেকট্রিক বিল দাবিতে অবস্থান-বিক্ষোভ ভারতীয় জনতা পার্টির যুব মোর্চার সদস্যদের। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিভিন্ন দাবি নিয়ে লেখা ব্যানার সম্মিলিত ছিল  কর্মীদের হাতে। এদিন যুব মোর্চার জেলা সভাপতি ভাস্কার ঘোষ জানিয়েছেন যে মানুষের এখন করুন অবস্থা। অথচ বাড়িতে বাড়িতে ইলেকট্রিক কর্মীরা মিটার রিডিং না নিয়ে বিল পাঠাচ্ছে। অথচ সাধারণ মানুষের হাতে কোন পয়সা করি নেই। বিল পরিশোধ করার মত সামর্থ্য নেই লকডাউন চলাকালীন সাধারণ মানুষের। তাই ইলেকট্রিক বিল মুকুবের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এই অবস্থান-বিক্ষোভ সদস্যদের জানিয়ে দিলেন জেলা নেতা।

সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিনে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

জুলফিকার আলি
  
আজ সত‍্যজিৎ রায়ের জন্মদিনে টুইটারে শুভেচ্ছা মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

করোনা ভাইরাসের জেরে রাজ‍্যে জুড়ে লকডাউনের মেয়াদ বেড়েই চলেছে। শনিবার রাজ‍্যের মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে বিশ্ব বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এর সঙ্গে মুখ‍্যমন্ত্রী লিখেছেন মহারাজা তোমাকে সেলাম।

গলসির ঈষানচন্ডী মন্দিরে পুজো হলো

সেখ নিজাম আলম
  
গলসি থানার খানো গ্রামে জাগ্রত মা ঈষানচন্ডী মন্দিরে সমগ্র পৃথিবীসহ ভারতবাসীর জনগণ  যাতে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পায় এবং আগের মতো যাতে সমস্ত মানুষ জীবনযাপন করতে পারেন,তারজন্য বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয়। এই পূজায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পূজা সম্পূর্ণ করেন পুরোহিত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এলাকার মানুষ এই পূজার্চনায় অংশগ্রহণ করেন বলে জানা গেছে। ব্যাবস্থাপনায় ছিলেন প্রমোদ রায়।

স্ত্রীর সাথে অভিমান, ভাতারে আত্মঘাতী

আমিরুল ইসলাম

  
 স্ত্রীর সঙ্গে অভিমানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা  ভাতারের এক ব্যক্তি।

পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের পুরাতন বিডি অফিস পাড়ায় এক ব্যক্তি স্ত্রীর সঙ্গে অভিমানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন, এলাকায় শোকের ছায়া।
ওই ব্যক্তির নাম চন্দন মজুমদার, বয়স 48 বছর।

স্থানীয় সূত্রে খবর চারদিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল চন্দন মজুমদারের।
চার দিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হচ্ছিল চন্দন বাবু।

অবশেষে মানসিক অবসাদে, স্ত্রীর সঙ্গে অভিমানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন। স্থানীয়রা প্রথমে উদ্ধার করে ভাতার হসপিটালে নিয়ে যান। চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে ।এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া । 

রমজান সামগ্রী বিলিতে মানকরের কং নেতা

সেখ নিজাম আলম

  
 মুসলিমদের এখন চলছে রমজান মাস। এই লক ডাউনে  রমজান মাসে বেশ কিছু মুসলিম পরিবারের ইফতারের আয়োজন করতে ভালোরকম কষ্ট হচ্ছে। তা উপলব্ধি করে জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষে মানকরের  কংগ্রেস নেতা জয়গোপাল দে মানকরের ব মুসলিম পরিবারদের কে ইফতারের আয়োজন করেন এবং প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বাড়ী বাড়ী পৌছিয়ে দেওয়া হয়। এই লকডাউনে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পেয়ে মুসলিমদের বেশ কতক পরিবার খুশী।

ঔষধ ব্যবসায়ীদের পক্ষে বর্ধমান স্টেশনে খাদ্য সামগ্রী বিলি

সুরজ প্রসাদ

 

ফার্মাসিউটিক্যাল ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল এবং লরেল কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হলো শুক্রবার। এদিন সংগঠনের সদস্যরা বর্ধমান রেলস্টেশন চত্বরে বহু অসহায় মানুষের হাতে খাদ্যদ্রব্য তুলে দেন। এই কর্মসূচিতে ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, প্রাক্তন কাউন্সিলর খোকন দাস,  সমাজসেবী ইফতিকার আহমেদ সহ অন্যান্য

তমলুকে সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাংকের করোনা মোকাবিলায় উদ্যোগ

জুলফিকার আলি
  

 মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী মহাশয়ের সহযোগিতায় ,তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কোঃ অপারেটিভ ব্যাঙ্কে চেয়ারম্যান  গোপাল চন্দ্র মাইতি মহাশয় ও ভাইস চেয়ারম্যান মাননীয় মেঘনাদ পাল মহাশয় ও secretary  কৌশিক কুলভী মহাশয়  নির্দেশে তমলুক সাব ডিভিশন , হলদিয়া সাব ডিভিশন ,ঘাটাল সাব ডিভিশন দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কোঃ অপারেটিভ ব্যাঙ্ক,আজ ঘাটাল মহকুমা দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে চাল,ডাল, আলু,সয়াবিন, তেল,আঁটা বিতরণ করছেন তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কোঃ অপারেটিভ ব্যাঙ্কে secretary ম কৌশিক কুলভী মহাশয় ।

করোনায় বামফ্রন্টের নীরব অবস্থান বিক্ষোভ পূর্ব মেদনীপুরে

জুলফিকার আলি

  

বামফ্রন্ট ও সহযোগী দলসমূহের সম্মিলিত অাহ্বানে অাজ জেলা জুড়ে করোনা সংক্রমণ ও লকডাউন জনিত পরিস্থিতিতে স্থগিত প্রচেষ্টা প্রকল্পের অাবেদন অনলাইনে চালু করা, রেশনে কালো বাজারী ও দলবাজি রোধ করা, করোনা নিয়ে প্রকৃত তথ্য প্রদান করা, কর্মহীন মানুষজন কে অ্যাকাউন্টে ৭৫০০ টাকা করে প্রদান করা, পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ী ফেরানোর ব্যবস্হা করা প্রভৃতি দাবী সমূহের ভিত্তিতে অাজ জেলা জুড়ে লকডাউন বিধি মেনে নীরব প্রতিবাদ কর্মসূচী রূপায়িত হয়। তমলুকে নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি,হিমাংশু দাস,নির্মল জানা প্রমুখ। দেশপ্রাণ ব্লকের মুকুন্দপুরে নেতৃত্ব দেন মামুদ হোসেন, সঞ্জিত দাস, সুতনু মাইতি, সেক সফিউল অালি, সেক সাত্তার প্রমুখ। কাঁথি শহরে নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম নেতা  হরপ্রসাদ ত্রিপাঠী, কানাই মুখার্জি, অতুল্যসুন্দর উকিল, সলিল বরণ মান্না, কৃষ্ণেন্দু বারিক, জয়দেব পণ্ডা, তরুণ মাইতি,তন্ময় অাদক,মধুসূদন জানা, সিপিঅাই নেতা স্বপন পণ্ডা,অার,এসপি নেতা হোসেন অালি প্রমুখ। মারিশদায় নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম নেতা কালীপদ শীট, হিমাংশু পণ্ডা,অনন্ত পণ্ডা,রাজনারায়ণ দাস,ঝাড়েশ্বর বেরা প্রমুখ।হেঁড়িয়া তে নেতৃত্ব দেন গোকুল ঘোড়াই,যাদবেন্দ্র সাহু,জাহারাজ অালি,অাশীষ দেবনাথ,প্রবীর দেবনাথ, রাসবিহারী দাস প্রমুখ। রামনগরে নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম নেতা অাশীষ প্রামাণিক, নীতিশ দাস,অাকাশ প্রামাণিক, ধীরেন্দ্র নাথ পুষ্টি, তাপস চৌধুরী,সুকুমার মৈশাল।বালিসাই তে নেতৃত্ব দেন সব্যসাচী জানা, প্রদীপ দাস,বিষ্ণুপদ দাস,বনবিহারী মাইতি প্রমুখ। সিপিঅাইএম নেতা মামুদ হোসেন জানান এগরা,বালিঘাই,পটাশপুর, মঙলামাড়ো,ভগবানপুর, কলাবেড়িয়া,বাজকুল,মুগবেড়িয়া সর্বত্র এই কর্মসূচী রূপায়িত হয়।

শুক্রবার, মে ০১, ২০২০

অগ্নিদগ্ধ বাড়িওয়ালার পাশে দাঁড়ালো মহিষাদল পুলিশ

জুলফিকার আলি
  


মহিষাদলের থানার  ইটামগর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঞ্চনপুরে বাড়ি গ্রামে ওই বাড়িতে থাকতো মা এবং এক ছোট্ট চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে তার মেয়ে ।গত কয়েকদিন আগে ইলেকট্রিক এর শর্টসার্কিট হয়ে আগুনে বাড়িটি পুড়ে যায়। এরপর সেই খবর জানায় মহিষাদল থানার । মহিষাদল থানার ওসি পার্থ বিশ্বাস  শঙ্করীর পন্ডার হাতে যাবতীয় খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। শঙ্করীর পন্ডার এবং তার মেয়ে থাকতো ঐ বাড়িতে। শংকরী স্বামী পরিত্যাক্তা ভিক্ষা করে জীবন যাপন চালাত মা ও মেয়ে। শঙ্করীর পন্ডারকে পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে বেশ কিছু সামগ্রী দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু থাকবে কোথায়? সেই প্রশ্ন জাগছিল তাদের মনে। বর্তমানে গ্রামের এর বাড়ি ওর বাড়ি কাটছিল তাদের রাত। কিন্তু তাও বা কতদিন? এরপর ভিক্ষুক মা ও মেয়ের দুর্দশার খবর জানতে পারেন মহিষাদল থানার পুলিশ। এরপর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন মহিষাদল থানার ওসি পার্থ বিশ্বাস। তাদের সঙ্গে দেখা করে যাবতীয় সাহায্য ও দ্রুত বাড়ি তৈরি কোরে দেন। এছাড়াও ঐ ছাত্রীর পুড়ে যাওয়া বই, খাতা সহ যাবতীয় সামগ্রী ফিরিয়ে দেন। পুলিশের এই ধরনের উদ‍্যোগে খুশি সকলেও। মা ও মেয়ে জানান, "আমরা খুবই খুশি। ওনার যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করলেন তা ভুলতে পারবো না।বুধবার এই বাড়িটি উদ্বোধন করেন মহিষাদল থানার ওসি, সিআই, এবং অ্যাডিশনাল এসপি। মহিষাদল থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে  "আমরা সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছি।"

দেশপ্রাণ ব্লকে বোরো ধান চাষে ক্ষতি

জুলফিকার আলি
  

দেশপ্রাণ ব্লক, কাঁথি-১, কাঁথি-৩ ব্লক  সহ কাঁথি ও এগরা মহকুমা র সমস্ত ব্লক এবং জেলা জুড়ে গতকালের ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডবে মাঠের পাকা ও অাধপাকা বোরো চাষের ধানের সলিলসমাধি ঘটেছে। জমাজলে ধান ও কাদার মাখামাখি অবস্থা। ফসলের দফারফায় চাষির হাঁসফাঁশ অবস্থা। পাকাধানে মইর ফলে লকডাউনে কর্মহীন চাষীদের শেষ সম্বল টুকুও ধ্বংসস্তূপে পরিণত। হাজার হাজার হেক্টর জমিতে বারো চাষের ক্ষয়ক্ষতি কয়েকশত কোটি টাকা।দেশপ্রাণ ব্লকের চালতি অঞ্চলের পশ্চিম পুরুষোত্তমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ জলে থৈথৈ। অারো অনেক নীচু জায়গায় জল জমেছে। জেলা কৃষি দপ্তর দুর্যোগের অাগাম খবর দিয়েই খালাস।ক্ষেতমজুরের মজুরি দেওয়ার অর্থও অনেক কৃষকের হাতে নেই। ধান কাটাকে একশ দিনের কাজে অন্তভূক্ত করার জেলা প্রশাসনের কাছে অাবেদন নিবেদনও নিষ্ফলা। জেলা কৃষি অধিকর্তা ও রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা কে ই-মেইল বার্তা পাঠিয়ে শস্য বীমা যোজনায় ক্ষতিপূরণ প্রদান ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপনের অাবেদন জানিয়েছেন প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন।

মে দিবসে শ্রমিকদের পাশে নবধারা ট্রাস্ট

জুলফিকার আলি
  

"মে দিবসে অসহায় শ্রমিকদের পাশে নবধারা ট্রাস্ট"
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস যা মে দিবস নামে পরিচিত।করোনার প্রভাবে সারা বিশ্ব এক গভীর সংকটের মধ্যে উপস্থিত হয়ে পড়েছে। এক ক্ষুদ্র অণুজীবের ভয়ে যখন সারা বিশ্ব গৃহবন্দী। এই গৃহবন্দি অবস্থায় সবথেকে কঠিন সময় কাটাচ্ছেন আমাদের গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। এখন রেড জোনে থাকা পূর্ব মেদিনীপুরের
খেজুরীর প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বহু পরিবার আছেন যারা ভিক্ষাবৃত্তি করে, কেউ রিকশা টেনে, 100 দিনের কাজ করে, আবার কেউবা বাড়ি বাড়ি কাজ করে , তাদের সবার আর্থিক দিক গুলো এখন বন্ধ।

মে দিবসকে স্মরণ করে খেজুরির প্রত্যন্ত গ্রামে নবধারা ট্রাস্ট সেই সব অসহায় মানুষদের  হাতে তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী চাল আলু ,সোয়াবিন ,বিস্কিট, সাবান ইত্যাদি তুলে দিলো।সারা বছর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক চর্চার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্ম তারা করে থাকে।
 নবধারার এই উদ্যোগে পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্যক্তিগতভাবে বহু মানুষ,ক্লাব, গ্রামের মানুষেরা।নবধারার তরফ থেকে জানা যায় যে, তারা তাদের এই কর্মকাণ্ড আরও খেজুরির বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকায় ছড়িয়ে দিতে চায়। তারা  দৈনন্দিন খেটে খাওয়া মানুষদের পাশে দাঁড়াতে চায়।একদিন সারাবিশ্ব করোনা মুক্ত হবে এবং নতুন ভোরের আলো ফোটার আশায় আমরা সবাই।

লকডাউনে নীরবতায় ন্যারোগেজ রেলওয়ে ইঞ্জিন

কবিরুল ইসলাম
লকডাউনে দেড় মাস অচল গোটা দেশ। রেলস্টেশনে নেই সেই ব্যস্ততা। আছে শুধু নীরবতা। কাটোয়া স্টেশনে ঢুকবার মুখে রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন ন্যারোগেজ রেলওয়ে ইঞ্জিন।                

করোনার লড়াইয়ে বার্তা দিতে আসরে ক্যানভাস ব্যান্ড

শুভ ঘোষ
 

সময়টা বেশ ভয়ের। সময়টা বেশ কঠিন। সময়টা বেশ ভাবাচ্ছে।পৃথিবীর বুকে আজ মৃত্যুর হাহাকার। আদৌ আমরা বাঁচব কী? এক অদ্ভুত মারন  ভাইরাসের তান্ডবে ত্রস্ত গোটা দুনিয়া। তবে কি পৃথিবীর বুক  থেকে হারিয়ে যাবে ঈশ্বরের প্রার্থনা? শিশুর হাসি? মানুষের কলরব? মৃত্যুর কাছে পরাজিত হবে জীবন? সভ্যতার ইতিহাসে আমরাই তো ফাঁসির মঞ্চে জীবনের জয়গান গেয়েছি,এবার কি পারব না? এই অস্থির, উদভ্রান্ত সময়েই গান বেঁধে আশার কথা শোনাচ্ছে বাংলা ব্যান্ড ক্যানভাস।  শহরটা নিঃসঙ্গ। কথা বলার কেউ নেই। গড়িয়াহাট একা একা বসে আছে গালে হাত দিয়ে, কলেজ স্ট্রিট,কফি হাউসের আড্ডা ভ্যানিশ। হাতিবাগানের হৈচৈ একদম ঠান্ডা। কেমন গুম মেরে বসে আছে এসপ্ল্যানেড, পার্ক স্ট্রিট। এসব কি কেউ ভেবেছিল? কে জানত এমন এক তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এগিয়ে আসছে, চুপিচুপি,হামাগুড়ি দিয়ে। এক সময় আশঙ্কাটাই সত্যি হল। দেশের বুকে আছড়ে পড়ল করোনার তান্ডব। লকডাউনে চলে গেল গোটা দেশ। এক নিমেষে সব শান্ত, স্তব্ধ। এর মধ্যেই চলছে বাঁচার লড়াই। গানের কথা ও সুর সুদীপ্তা ব্যানার্জি। কি বোর্ডে অভিনন্দন ব্যানার্জি। প্রোগ্রামিং অ্যান্ড অ্যারেঞ্জমেন্ট, দীপ্তায়ন মজুমদার, বাস গিটার অ্যান্ড সাপোর্টিং গিটার, সৃজন মুখার্জী। ড্রামস এ শুভম ঘোষ। বাংলা ব্যান্ডের পথ চলায় ক্যানভাস অতি পরিচিত এক নাম। সময়ের কথাই বারবার উঠে এসেছে এদের গানে। লক ডাউনের এই ঘর বন্দি সময়েও গানের কথায় ছবি আঁকছে ক্যানভাস। জীবনের ছবি, বেঁচে থাকার ছবি, জোট বাঁধার ছবি। ক্যানভাস এগিয়ে চলুক। রইল অনেক শুভেচ্ছা।

হে ঊর্ণনাভ - অপূর্ব চক্রবর্তী

হে ঊর্ণনাভ
          অপূর্ব চক্রবর্তী
 

হে ঊর্ণনাভ, কি অত্যাশ্চর্য প্রকৌশলী তুমি!

     দিনের সূর্য প্রচন্ড অহংকারী হলেও
         একটা অজানা ইতিহাসকে
কিছুতেই আলোকিত করতে পারে না     
             কোনো ফোটন কণা।
আমি এক অন্য রকমের স্বপ্ন দেখতে চাই, শব্দের ভিড়ে সে স্বপ্ন ভূমিষ্ঠ হতে ভয় পায়।
      আসন্ন প্রসবা লেখনী প্রসব করে 
                 অন্য ইতিহাস।
       
           তবুও আমরা বেঁচে আছি,
    এক আপাত কর্কশ শব্দ ভূমিতে 
গজলের সুর গাইবার চেষ্টায় হাঁফিয়ে উঠছেন 
         বড়ে গুলাম আলী খাঁ সাহেব।
জাকির হোসেনের আঙ্গুল ব্যর্থ হয়ে যায়     
   আগাছার ভিড়ে পারিজাত ফোটাতে।
বিঠোফেন, মোৎসার্ট  অথবা মহীনের সেই ঘোড়াগুলি 
              দৌড়াতে ভুলে যাচ্ছে।
হাসির মন্ত্র ভুলে চার্লি কোথায় যেন মুখ লুকিয়েছেন।
           তবুও আমরা বেঁচে আছি 
      আশ্চর্য এক ইতিহাসের অধ্যায়ের    
        আংশিক উত্তরাধিকার নিয়ে।
গর্ভবতীর অপূর্ণ প্রসব চিৎকারে বধির জীবনানন্দ দাশ,
      শান্তি খোঁজেন সঞ্চয়িতার পাতায়...

বোলপুরে হারিয়ে যাওয়া নোবেলটা 
            এক সূর্য ডোবার ছবি এঁকে যায়, 
ছবি এঁকে যায় এক আসন্ন অন্ধ রাতের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে শান্তিতে শুয়ে থাকা মানুষটি 
         হয়তো এতদিনে ভুলে গেছেন !
তার আগুনভরা লাইনটি-
        'আমি বিদ্রোহী রণক্লান্ত
         আমি সেই দিন হবো শান্ত'

      তবুও আমরা ইতিহাস লিখছি
হ্যাঁ, আমরা নিয়ত একটা ভুল সময়ের ইতিহাস লিখতে ব্যস্ত।
     হে ঊর্ননাভ, তোমার বিতংস বিতানে 
আমরা সবাই এক বিন্দুতে অবস্থান করছি।

বাদশা শাজাহান আর হরিপদ কেরানি সব একদরে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।

আউশগ্রামের আশীন্দা মোড়ে খাদ্য সামগ্রী বিলি

সেখ নিজাম আলম
 

আজ আউশগ্রাম ১নং ব্লকের বিল্বগ্রাম অঞ্চলে বিল্বগ্রামে এবং আশীন্দা মোড়ে এবং গুসকরা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে বিপর্যস্ত মানুষের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন আউশগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক  অভেদানন্দ থান্দার মহাশয় ।

মেমারিরর ৫ নং ওয়ার্ডে খাদ্য সামগ্রী বিলিতে ভাইস চেয়ারম্যান

সেখ সামসুদ্দিন

 
 পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সহ সভাপতি মুকেশ শর্মার উদ‍্যোগে মেমারি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দুইটি বুথের অসহায় পরিবারের হাতে লকডাউন চলাকালীন চতুর্থ বারের জন‍্য খাদ‍্য সামগ্রী প্রদান করা হয়। কৃষ্ণবাজার ও উঁচু মাঠপাড়া এলাকায় এদিনে আলু, পিঁয়াজ, চাল, ডাল, নুন, বিস্কুট, সোয়াবিনের প‍্যাকেট, কুমড়ো, ডিম ইত্যাদি দেয়া হয়। ছাত্র নেতা মুকেশ শর্মা জানান ২৩০টি পরিবারের হাতে খাদ‍্যসামগ্রী দেয়া হল। এরপরে রমজান মাসে মুসলিম পরিবারের মধ‍্যে  সহায়তা দেয়া হবে। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিয় সামন্ত জানান হোমডেলিভারি পরিষেবা চালু করেছেন। হোয়াটসঅ‍্যাপে জানালেই বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হবে। রমজান মাসে মুসলিম পরিবারগুলিকে শুভেচ্ছা জানানোর সঙ্গে লকডাউনে নিয়ম মেনে বাড়িতে থাকতে অনুরোধ জানান। উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান ও ছাত্রনেতার সঙ্গে ব্লক শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি কৌশিক মল্লিক, সমাজসেবী শুভেন্দু গুহ, অজিত সিং, সফিকুর রহমান, ওয়ার্ড সভাপতি বিকাশ ক্ষেত্রপাল, শুভময় ভট্টাচার্য সহ বিশিষ্ট ব‍্যক্তিবর্গ।

লকডাউনে করোনা যোদ্ধাদের সম্মান জানালো বর্ধমান শহরের এই সংস্থা

সেখ রতন
 

মে দিবস উপলক্ষ্যে বর্ধমান গ্রীন হন্টার ও স্টুডেন্ট গোল এর পক্ষ্য থেকে করোনা মোকাবিলায় যে সমস্ত কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী ও সাংবাদিকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে সাধারন মানুষদের পরিষেবা দিয়ে আসছেন তাদের গোলাপ ফুল দিয়ে সম্মাননা প্রদান ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হল।সাথে সাথেই তাদের হাতে তুলে দেওয়া হল জলের বোতল, কেক ও কোল্ড ড্রিংক। সংস্থার ট্রেজার সেখ ইনসান ও রাজা জানান -এদিন তারা নবাবহাট থেকে উল্লাস পর্যন্ত কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী ও সংবাদ মাধ্যমের বন্ধুদের হাতে এই সামগ্রী তুলে দেন।লকডাউন চলা কালীন প্রতি সপ্তাহেই তাদের এই কর্মসূচি চলবে।

লকডাউনে দুর্দশায় মুম্বাইয়ে দিন কাটছে এই রাজ্যের তিন পরিবারের

মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)    
প্রায় দেড় মাস সময়কালে সারা দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। সৌজন্যে করোনার বীভৎসতা। এই মুহূর্তে বাংলার একাংশ মানুষজন ভিন রাজ্যে কর্মসুত্রে / পড়াশুনোয় / চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে আটকে রয়েছে মাসের পর মাস। অর্থের অভাব, দুবেলা খাওয়ার দুশ্চিন্তার পাশাপাশি নিরাপদ আশ্রয় পাওয়াটা ওদের কাছে বড় স্বস্তি। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদনে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ভিনরাজ্যে থাকা পরিযায়ী শ্রমিক, পড়ুয়া এবং রোগী পরিবারদের নিজ রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে তৎপর। তবে এতশতের মাঝেও মুম্বাইয়ে আটকে রয়েছে ৬ টি বাঙালি পরিবার। এদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৩ টি পরিবার রয়েছে। মালদার ১ টি এবং উত্তর ২৪ পরগনার ২ টি পড়ছে তাতে। উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগর এলাকার কালাচাঁদ মুখার্জি গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর স্ত্রী সঞ্চিতা মুখার্জি এবং মেয়ে স্বস্তিকা মুখার্জি কে নিয়ে মুম্বাইয়ের টাটা হাসপাতালে ক্যান্সার চিকিৎসায় গিয়েছিলেন। লকডাউন শুরু হওয়ার পর ক্যান্সার চিকিৎসায় কেমোথেরাপি বন্ধ হয়ে যায়। জমানো অর্থও ফুরিয়ে যায় কয়েক সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পর। খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি থাকা সমস্যা হয়ে যায়। মুম্বাইয়ের এক বাঙালি সংগঠন জুহু ভিলেজে থাকবার ব্যবস্থা করলেও দুবেলা আহারের আয়োজনে তারা সফল নয়। ঠিক।এইরকম পরিস্থিতিতে ক্যান্সার আক্রান্ত পরিবারের পক্ষে স্বস্তিকা মুখার্জি কলকাতা হাইকোর্টের স্বনামধন্য আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরীর দারস্থ হন। এই আইনজীবী অত্যন্ত তৎপরতায় গত ২৯ এপ্রিল বিশদ বিবরণ সহ এই রাজ্যের মুখ্য সচিব, অতিরিক্ত মুখ্য সচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিব কে ইমেল করেন। তবে কোন প্রশাসনিক উত্তর মেলেনি ইমেলের তরফে। অপরদিকে কলকাতা পুলিশ কে মোবাইল ম্যাসেজ পাঠানো হয়। তবে কলকাতা পুলিশের তরফে মুম্বাইয়ে ক্যান্সার রোগীদের অসহয়তার তথ্য জানাবার জন্য 'ধন্যবাদ' ম্যাসেজ আসে ইন্দ্রজিৎ বাবুর মোবাইলে। কলকাতাহাইকোর্টের স্বনামখ্যাত আইনজীবী    ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরী জানান - " যেখানে রাজ্য সরকার লকডাউনে আটকে পরা পরিযায়ী শ্রমিক, পড়ুয়া এবং রোগীপরিবার দের ফিরিয়ে আনছে, সেখানে মুম্বাইয়ে আটকে থাকা ৩ টি এই রাজ্যের বাঙালি পরিবার কে দ্রুত আনা হোক "।                                                                                                                          

হাওড়া থেকে মুর্শিদাবাদে যাওয়ার পথে তারকেশ্বরে বিশ্রাম

সুভাষ মজুমদার
  

হাওড়া থেকে সাইকেল নিয়ে মুর্শিদাবাদে বাড়ি ফেরার পথে তারকেশ্বরে বিশ্রাম ১০ শ্রমিকের।
লকডাউনের জেরে হাওড়ার আন্দুলে আটকা পড়েন দশ শ্রমিক।
আন্ডুলে তারা রাজ মিস্ত্রির কাজ করতেন।কাজ করে জমানো টাকা আস্তে আস্তে প্রায় শেষের পথে।লকডাউন কবে উঠবে তা অনিশ্চিত তাই অনাহারে দিন কাটাতে যাতে না হয় তাই সাইকেল নিয়েই হাওড়া থেকে মুর্শিদাবাদ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন শ্রমিক রা।লকডাউনের জেরে বিভিন্ন জেলায় আটকা পড়েন অন্য জেলার শ্রমিকরা। লকডাউন চলাকালীন ভিন জেলার শ্রমিক দের বাড়ি ফেরার ভিন্ন ভিন্ন ছবি ধরে পড়েছে গত কয়েক দিন ধরে।

বিড়াল মাছ পাহাড়া দেয়! আসানসোলের ঘটনায় প্রভুভক্তি

মোহন সিং

  

কথায় বলে  বেড়াল আবার মাছ খাবে না। তার মানে বেড়াল- এর সামনে যদি মাছ থাকে, তাহলে সে সেটা খাবার চেষ্টা করবেই। এর উল্টোটা হওয়া প্রায় অসম্ভব। আমাদের বাস্তব অভিজ্ঞতাও সেই কথাই বলে। কিন্তু আমাদের চারপাশে মাঝে মধ্যেই এমনসব ঘটনা ঘটে যে নতুন করে ভাবতে হয় সবকিছু।  পশ্চিম বর্ধমানের সদর  আসানসোল শহরে রেলপার এলাকায় মহম্মদ আফতাব জাহাঙ্গীর একটি মাছের দোকান চালান। আশ্চর্যের বিষয় হলো তার এই দোকানে তাঁর সঙ্গে প্রতিদিন সারাটা সময় ধরে থাকে চার-চারটি বেড়াল। অথচ তারা কখনো মাছ খাবার চেষ্টা করে না। এমনকি জাহাঙ্গীর তখন দোকানে থাকেন না, তখন এই চার বেড়াল তার দোকান পাহারা দিলেও মাছ চুরির চেষ্টা করে না। জাহাঙ্গীর নিজের হাতে তাদের মাছ টুকরো টুকরো করে কেটে খেতে দেন । সেটা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকে এই বেড়াল গুলো। ব্যাপারটা আশ্চর্যের হলেও এটাই বাস্তব। এলাকার বাসিন্দারাও এখন এই ঘটনা দেখে দেখে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। তাই অবাক হন না। আর জাহাঙ্গীর মনে করেন বেড়াল মাত্রই চোর নয়।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER