সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিবঃ স্বরূপনগরব্লকের শাড়াপুল মধ্য গ্রামবাসী বৃন্দের পরিচালনায় শাডাপুল ইসলামী যুব সমাজ কমিটির সহযোগিতায় ৯ও ১০ ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ মহতী ইসলামী জলসার আয়োজন করে ৷আজ তার দ্বিতীয় বা শেষ দিন ।অধর্মের যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতি থেকে মুক্তির পথ নির্দেশনায়, সামাজিক সৌহাদ্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায়, দেশ ও সমাজের নিরাপত্তা বিধানে অশিক্ষা,-কুশিক্ষা ও কুসংস্কার এবং অসভ্যতার অভিশাপ হতে মুক্তির নিমিত্ত কুরআন ও হাদিসের বাণী কে জনসমক্ষে তুলে ধরতে এবং সকল মৃতঃব্যক্তিদের ছোয়াব-রেছানীর উদ্দেশ্যে এই মহতী ইসলামী জলসার আয়োজন বলে জানান জলসা কমিটির সঞ্চালক আলহাজ্ব হাফেজ তরিকুল ইসলাম সাহেব ৷গজল , ক্বেরাত ও নাতে রাসুল এর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিচারকমণ্ডলী দৃষ্টিকোণ থেকে প্রত্যেক বিভাগের প্রথম তিন জনকে পুরস্কার প্রদানের মধ্য দিয়ে সংবর্ধিত করা হয়। পুরস্কার প্রদান করেন আলহাজ্ব মাওঃ হিফজুর রহমান সাহেব ,মাওলানা মোজাম্মেল হক সাহেব প্রমুখ৷ কোরআন হাদিসের আলোকে বক্তব্য রাখেন পীরজাদা জনাব মাওলানা মহিব্বুল্লাহ হুসাইনী সাহেব ,মাওলানা সাদ্দাম হোসেন, হাফেজ মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন সাহেব, মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আরিফুর রহমান সাহেব, আলহাজ্ব হাফেজ মোজাফফার হোসেন সহ স্থানীয় বক্তাগণ। অনুষ্ঠানে গজল পরিবেশন করেন মোহাম্মদ মশিউর রহমান সাহেব ৷সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা এবং আখেরী মোনাজাত করেন আলহাজ্ব, হাফেজ মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম সাহেব ৷মহতী ইসলামী জলসার সভাপতিত্ব করেন আলহাজ্ব মাওলানা হাফিজুর রহমান সাহেব৷
সোমবার, ফেব্রুয়ারী ১১, ২০১৯
শুক্রবার, জানুয়ারী ১১, ২০১৯
আয়কর নিয়ে চলছে কেন্দ্রীয় আগ্রাসন , বললেন তৃনমূল সুপ্রিমো
সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব: ১১ই জানুয়ারী শুক্রবার দুপুরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কাছারি ময়দানে একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস ও বেশ কিছু সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধনে পাশাপাশি ২৩ তম যাত্রা উৎসবের উদ্বোধন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন যদি কংগ্রেসের জন্য এক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার তৈরি হয় ,তাহলে বিজেপির জন্য রচিত হওয়া উচিত ডিজেষ্টার প্রাইম মিনিস্টার ৷ আজ বারাসাতে যাত্রা উৎসবের সূচনা করে নাম না করে এভাবেই বিজেপিকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ৷ তার আরও সংযোজন কোন কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে দেখলে ভয়ের সঞ্চার হয়, গব্বর সিং কে মনে পরে ৷ চারিদিকে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে বলে জানান তিনি। আর বন্ধের দিনে স্কুল বাসে আক্রমণ প্রসঙ্গে বামেদের কটাক্ষ করেন তিনি ৷ দেশে আইনের শাসন নেই, চারিদিকে আয়কর নিয়ে চলছে আগ্রাসন ৷এমনকি ধর্মীয় জিগির তোলা যে হচ্ছে সেদিকে আলোকপাত করেন তৃণমূল সুপ্রিমো ।
শুক্রবার, জানুয়ারী ০৪, ২০১৯
রজত জয়ন্তী পার করলো হাড়োয়ার গোপালপুর বালিকা বিদ্যালয়
ওয়াসিম বারি,
রজত জয়ন্তী পালিত হল হাড়োয়ার গোপালপুর বালিকা বিদ্যালয়ে।স্বাধীনতাত্তর ভারতে নারীশক্তির অগ্রগতির লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে মাতোয়ারা রাজ্য তথা গোটা দেশ। তারই মধ্যে গুটিগুটি পায়ে পঞ্চাশতম বর্ষে পদার্পণ করল বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া ব্লকের গোপালপুর গার্লস হাইস্কুল। এর দ্বারাই প্রমাণিত হয় যে, নারীশিক্ষা উন্নয়নের বীজ বহুদিন আগেই বপন হয়েছিল প্রাচীন ঐতিহ্য বহনকারী এলাকা গোপালপুরে। গোপালপুরে ১৯৪৩ সালে প্রতিষ্ঠিত গোপালপুর পপুলার অ্যাকাডেমিতে ছাত্র ও ছাত্রী নির্বিশেষে পড়াশুনা করত। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষাক্ষেত্রের প্রভূত উন্নতি দেখে ওই এলাকার বিদ্যানুরাগীরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন এই যে, ওই এলাকায় একটি শুধুমাত্র ছাত্রীদের জন্য একটি বিদ্যালয় হোক। বর্তমান ওই এলাকায় যে স্থানে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত, সেই জমিটি ছিল জলপাইগুড়ি নিবাসী দুর্গাচরণ সাহা ওরফে দুখিরাম সাহার। তিনি ওই এলাকায় আসলে ওই এলাকার বিদ্যানুরগীরা তার কাছে দরবার করলে তিনি এককথায় সম্মতি দেন। তারপর ১৯৬২ সাল নাগাদ তিনি বিহারীলাল সাহার মাধ্যমে ওই জমি বিদ্যালয়ের নামে দান করেন। তারপর ১৯৬৮ সালে ৩রা জানুয়ারি এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নারীশিক্ষার অগ্রগতিতে আরও একধাপ এগোয় বসিরহাট মহকুমা। প্রতিষ্ঠার সময় যে বিদ্যালয় ছিল এক বিঘার, বর্তমানে তা দেড় বিঘার উপরে দাঁড়িয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে এক মহীরুহে পরিণত হয়েছে। এই বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৮৫০ জন ছাত্রী পঠন পাঠনের সাথে যুক্ত। উচ্চমাধ্যমিক স্তরে এই বিদ্যালয় কলা বিভাগে ঊত্তীর্ণ হয়েছে, সেই বিভাগে ছাত্রীরা পড়াশুনা করছে। ৫০তম বর্ষে পদার্পণ করে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ডেসডিমনা মল্লিকের তত্ত্বাবধানে প্রভাত ফেরির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূত্রপাত হয় এবং তারপর নৃত্য, সঙ্গীত, নাটক সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুদিন ব্যাপী তাদের বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দিবস পালন করছে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা সহ ছাত্রী ও অভিভাবকরা। এই ৫০তম বর্ষে পদার্পণ করে পুরোনো স্মৃতিকে স্মরণ করে নারীশিক্ষার উন্নয়নের শপথ নিয়েছে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী সহ ছাত্রী ও অভিভাবকরা সহ সমগ্র এলাকাবাসী।
কেটিপিপি মেলার উদ্বোধন করলেন পরিবহণ মন্ত্রী
জুলফিকার আলি ,
শুক্রবার বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুর কোলাঘাটে কে.টি.পি.পি মেলার শুভ উদ্বোধনে পরিবহন ও পরিবেশ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।নানান সাংস্কৃতিক অনুস্টান থাকছে।
রবিবার, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
হাবড়ায় শিশু উৎসব
সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব,
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া পুরসভার উদ্যোগে রবিবার সকালে হাবড়ার দেশবন্ধু পার্কে অনুষ্ঠিত হলো শিশু উৎসব । রবিবার সকালে এই শিশু উৎসবের সূচনা করলেন রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক । এই পৌর এলাকার সব শিশুদের নিয়ে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা ও নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে চললো এই অনুষ্ঠান ।
শনিবার, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৮
গলসীর জনসভায় বিজেপি কে 'দুধের শিশু' বললেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
সুদিন মন্ডল,গলসি :-আগামী ১৯শে জানুয়ারি ব্রিগেড এর ঐতিহাসিক জনসভা কে সামনে রেখে শুক্রবার গলসি হাইস্কুল মাঠে বিরাট জনসভা করলেন তূনমূল যুব কংগ্রেস এর সর্বভারতীয় সভাপতি ও সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি। সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক, স্বপন দেবনাথ, সাংসদ সুনিল মন্ডল,পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা,সহ সভাধিপতি দেবু টুডু, পূর্ব বর্ধমান জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি বিধায়ক সুভাষ মন্ডল সহ জেলার সমস্ত বিধায়ক, প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা সহ বিশিষ্ট জনেরা উপস্থিত ছিলেন। এদিনের সভামঞ্চ থেকে ২০১৯ এ বিজেপি কে ফিনিস করার শপথ নেওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি কেন্দ্রের মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন।তিনি দাবী করেন যে সমস্ত প্রতিশ্রতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি,তার কোনোটাই পূরণে ব্যর্থ, তারা,অন্যদিকে মমতা ব্যানার্জি তাঁর প্রতিশ্রতির অধিকাংশই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছেন! তিনি জানান ৩৪ বছরের সিপিএম নামক জগদ্দল পাথরটাকে যেখানে সরাতে পেরেছে তৃণমূল সেখানে পাঁচ বছরের দুধের শিশু বিজেপিকে হঠাতে তাদের কোনো সমস্যা হবে না ।নারদা প্রসঙ্গে অভিষেক ব্যানার্জী চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন বাপের বেটা হলে আদালতে প্রমান করে দেখাক। এদিনের জনসভায় কর্মীদের ব্রিগেডের সভা সফল করার আহ্বান জানান। প্রায় বিশ হাজার মানুষ এদিনের জনসভায় যোগদান করেন।
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮
সংখ্যালঘু সাফল্য নিয়ে প্রশাসনিক সভা বীরভূমে
কৌশিক গাঙ্গুলি ,
একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আজ বীরভূম জেলার সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্প্রদায় শিক্ষা দপ্তর প্রকল্পের উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনা করা হল। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাপতি বিকাশ রায় চৌধুরী, জেলা শাসক মৌমিতা গোধরা, ব অতিরিক্ত জেলা শাসক রঞ্জন কুমার ঝা এবং সংখ্যালঘু সেল এর চেয়ারম্যান এবং এই অনুষ্ঠানে একটি পুস্তকের উদ্বোধন করা হয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিষয়ে।
মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮
আন্তর্জাতিক সংখ্যালঘু দিবসে গুজরাট দাঙ্গার বিচার চাইলেন কামরুজ্জামান
সাজাহান বাদশা ,
আজ 18 ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক সংখ্যালঘু দিবস। এউপলক্ষে সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন, বেঙ্গল বুদ্ধিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, বঙ্গীয় খ্রিস্টীয় পরিষেবা, শিখ মিশন যৌথ উদ্যোগে এক সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবী কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। কলকাতার বৌদ্ধ সভাঘরে অনুষ্ঠিত এই কনভেনশনে সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান, বঙ্গীয় খ্রিস্টীয় পরিষেবার সভাপতি হেরদ মল্লিক, বেঙ্গল বুদ্ধিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হেমেন্দুবিকাশ চৌধুরী, শিখ মিশনের উত্তর ভারতের সম্পাদক জগ মোহন সিং গিল, দলিত নেতা শরদিন্দু বিশ্বাস, মাওলানা আনোয়ার হোসেন কাসেমী, সমাজসেবী কামরুল চৌধুরি, খলিল মল্লিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মোঃ কামরুজ্জামান সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরুর ভেদাভেদকে মুছে দেওয়ার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে 34 বছর পরে সংখ্যালঘু শিখ সম্প্রদায়ের গনহত্যার বিচার হওয়ায় সুপ্রিমকোর্টকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন আমরা আশা করছি এভাবে গুজরাতে মুসলিম গণহত্যার বিচার হবে এবং অপরাধীরা শাস্তি পাবে। হেরোদ মল্লিক বলেন বর্তমান ভারতে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার সংকট দেখা দিয়েছে। গেরুয়া বাহিনী প্রকাশ্যে সংখ্যালঘুদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে। দেশের প্রশাসন এই তাণ্ডবকারীদের কাছে আত্মসমর্পণ করছে এটা অত্যান্ত দুর্ভাগ্যের। হেমেন্দুবিকাশ চৌধুরী বলেন সংখ্যালঘুদের অধিকার কাগজের মধ্যে সীমাবদ্ধ। বাস্তবে সংখ্যালঘুদের প্রতিষ্ঠান চালানোর স্বাধীন অধিকারটুকুও বিভিন্নভাবে খর্ব করা হচ্ছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন গয়ার বৌদ্ধ মন্দির পরিচালনার দায়িত্ব হিন্দু জেলাশাসক ছাড়া অন্যকে দেওয়া হয় না।
শুক্রবার, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮
আজ প্রকৃতিপ্রেমিক কবির মৃত্যুদিবস
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
আজ পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের ৪৮ তম প্রয়াণ দিবস। তাঁর বসতভিটে মঙ্গলকোটের কোগ্রামে। প্রতিবছর ৩ রা মার্চ কবির জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলার আয়োজন করে থাকে 'কাটোয়া সাবডিভিশনাল প্রেস কর্নার' নামে এক সংগঠন। ইতিমধ্যেই গত আট বছরে শতাধিক গুণীজনদের সংবর্ধনা জানিয়েছে 'কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি'।
জয়নগর বিধায়কের গাড়ীতে প্রাণঘাতী হামলা, নিহত ৩
সৃজনশীল,
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জয়নগরের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের গাড়িতে বোমা ছুড়ল দুষ্কৃতীরা। জয়নগরের পেট্রোল পাম্পে তেল নিতে ঢুকলে দুস্কৃিতরা এলোপাতাড়ি বোমা ও গুলি ছুড়তে থাকে।,ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১জন। যদিও গাড়িতে ছিলেন না বিশ্বনাথ দাস।মৃতদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্বনাথ দাসের গাড়ির ড্রাইভার বাবু মোল্লা, তাঁর বাকি দুজন তৃণমূল কর্মী হলেন সইফুদ্দিন খান ও সেলিম খান গুরুতর আহত নাম জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ৪ জন কে গ্রেপ্তার করেছে জয়নগর থানার পুলিশ।
বুধবার, ডিসেম্বর ১২, ২০১৮
লোকসভা নির্বাচনের আগে পুরানো মামলায় 'ফ্রেস' হতে আদালতে বাড়ছে ভীড়
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
হাতে মাত্র কয়েকটা মাস, তারপরেই লোকসভা ভোটের দামামা বাজবে গোটা দেশ জুড়ে। নির্বাচনী বিধি শুরু হবে। সেইসাথে 'ফেরার'অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারি করতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন বারবার জেলা পুলিশ প্রশাসন কে নির্দেশিকা জারি করবে। এবারে নির্বাচন নিয়ে রাজ্যসরকার ও কেন্দ্রীয়সরকারের মধ্যে মুখোমুখি লড়াই হতে চলেছে। তা অনেকেই উপলব্ধি করছেন। বিশেষত রামনবমী, হনুমান জয়ন্তী, সর্বশেষ রথযাত্রার পেক্ষাপট দুই শিবির কে সামনাসামনিতে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোট করানো নেতা কর্মী বিশেষত যারা বিভিন্ন ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত, তাদের 'ফ্রেস' করানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে বিশেষ সুত্রে প্রকাশ। খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি, অস্ত্রপাচার, গাঁজাপাচার সহ গুরতর জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা গুলিতে যেসব রাজনৈতিক নেতা কর্মী অভিযুক্ত রয়েছেন জেলার অন্দরে কিংবা জেলের বাইরে।তাদের জামিন পেতে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যাতে লোকসভায় তাদের কে যেমন পাওয়া যায়, আবার ওয়ারেন্ট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কথা শুনতে না হয়। বেশ কয়েকটি আদালত সুত্রে প্রকাশ, তাদের জামিন করানো নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে গত নভেম্বর মাস থেকে। এইসব মামলায় চার্জশিট পেশের পর পুলিশের ফাইনাল রিপোর্ট খুবই গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় জামিন কিংবা খালাস দানে ।পুলিশের একাংশের সুত্রে প্রকাশ, ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারি মাসেই ওসি / আইসি পদমর্যাদার অফিসারদের মহকুমা বদলী হতে পারে। তাই বেশিরভাগ এইধরনের পুলিশ আধিকারিকরা অফিস অপেক্ষা কোয়াটারে বেশি ব্যস্ত বিভিন্ন পুরাতন ফাইল নিয়ে বলে জানাচ্ছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু পুলিশকর্মী। কেননা লোকসভার প্রাক্কালে থানার নবাগত ওসি কিংবা আইসির পক্ষে কেসের মেরিট বোঝা কঠিন। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের 'ওয়ারেন্ট' কার্যকর করার তাগাদা অনেককেই বিপদে আনতে পারে বিশেষত সার্ভিস বুকে লাল কালি কে অনেকেই ভয় পাচ্ছেন । ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে রাজনীতিতে চাণক্য হিসাবে পরিচিত বিজেপি নেতা মুকুল রায় থানায় থানায় থাকা হাই প্রোফাইল মামলা গুলির স্টাটাস ফলো করছেন বলে জানা গেছে। মুকুল বাবু ঠিকুজিগুস্টি সংগ্রহে ওস্তাদ রয়েছেন বলে অনেকেই মানেন।২০০৯ সালের লোকসভা এবং ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন কে দেওয়া তাঁর তথ্য তৃনমূল কে খাতাকলমে লড়াই করতে খুব সহযোগিতা এনেছিল বলে দাবি। সেদিন আর নেই, এখন তিনি জোড়াফুল ছেড়ে পদ্মফুলে বঙ্গ রাজনীতির এক গুরত্বপূর্ণ দিক। গত পঞ্চায়েত ভোটে জেলায় জেলায় পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের তথ্য তুলে যেভাবে আক্রমণ করেছেন। তাতে অনেকেই বাহ্যিকভাবে না হলেও ভেতর ভেতর তটস্থ। মুকুল রায়ের পূর্ব বর্ধমানের ডানহাত হিসাবে পরিচিত এক নেতা বলেন - আমাদের লিগ্যাল সেলের আইনজীবীরা বিভিন্ন আদালতে জিআরও, কপি সেকশন সহ বিভিন্ন এজলাসে ঘুরছেন তথ্য সংগ্রহে। মূলত হাই প্রোফাইল মামলা গুলির পুলিশের ফাইনাল রিপোর্ট দিকে নজর রয়েছে।রিপোর্ট পেশের গড়মিল গুলি এফআইআর কপি থেকে চার্জশীট, আবার সিজার লিস্ট থেকে সাক্ষিদের সাক্ষ্যদান পর্যন্ত পর্যালোচনা করলেই সেগুলি কতটা বিধি সম্মত, তার ইংগিত মিলবে বলে পদ্মশিবিরের লিগ্যাল সেল মনে করছেন। আর এগুলি হাতে নিয়ে আগামী লোকসভায় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে ছোটাছুটি বাড়বে মুকুল বাবুর। ঠিক এইরুপ মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সোমবার, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮
একদা লালঘাটি বীরভূমে ৬ কিমি সম্প্রীতির মিছিলে হাঁটলেন বাম নেতারা
কৌশিক গাঙ্গুলি,
তারাপীঠ থেকে রামপুরহাট 6 কিলোমিটার পথ পদযাত্রার মধ্য দিয়ে বিজেপির সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও তৃণমূলের সন্ত্রাস বাদের বিরুদ্ধে মহা মিছিল করেন আজ বীরভূমের ফুলিডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড থেকে বীরভূমের সকল বামফ্রন্ট ও সিপিএমের নেতা ও কর্মীরা। এদিন মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিমান বসু সুজন চক্রবর্তী নরেন চ্যাটার্জী এছাড়া অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এছাড়া এই মিছিলে যোগদান করেন যুব ও ছাত্র সংগঠন কৃষক সংগঠন এবং মহিলা সংগঠন এ মিছিল রামপুরহাট 5 মাথায় গিয়ে সমাপ্ত হয় রাজ্য ও জেলার নেতৃবৃন্দরা তাদের মূল্যবান বক্তব্য রাখেন রামপুরহাট পাঁচ মাথার মোড়ে
শুক্রবার, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৮
লোকসভার আগে কলকাতায় মহাসমাবেশ ঘটিয়ে চনমনিয়ে জমিয়ত নেতা সিদ্দিকুল্লাহ
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
ঘটনা ১, গত ৩০ নভেম্বর পূর্ব বর্ধমানের কালনায় জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী এসেছিলেন। সেখানে দুই বর্ধমানের সব মন্ত্রী, সাংসদ সহ অধিকাংশ বিধায়কগন হাজির। মঞ্চে নেই শুধু মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা জেলার অন্যতম মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। ঘটনা ২, আগামী ১৯ জানুয়ারী ব্রিগেডের সমাবেশ উপলক্ষে ব্লকে ব্লকে প্রস্তুতির জনসভা চলছে। গত ২ ডিসেম্বর মঙ্গলকোট থানার সামনে তৃনমূলের জনসভায় অনুব্রত মন্ডল তার জেলার বিধায়ক তথা মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ কে নিয়ে বিশাল সভা সারলেন। সেখানেও নেই স্থানীয় বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। অথচ আগামী ১৬ ডিসেম্বর মঙ্গলকোটের নুতনহাট বিএড কলেজের সামনের মাঠে জেলা গ্রন্থাগার মেলার প্রস্তুতি নিয়ে এখনও অবধি চার চারটি বৈঠক মঙ্গলকোটে করে গেছেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ। জেলা গ্রন্থাগার মেলা নিয়ে এত প্রস্তুতি বৈঠক আগে কোথাও হয়েছে কিনা, তা প্রশাসনের আধিকারিকরাও জানেন না! ঘটনা পরম্পরা দেখে বোঝা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী জেলায় জনসভা করে যাচ্ছেন, সেখানে গড়হাজির জেলারই মন্ত্রী। আবার ব্রিগেড নিয়ে সভা হচ্ছে সেখানেও ব্রাত সিদ্দিকুল্লাহ। তবে আসাম রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাংসদ শতাব্দী রায়ের সাথে দলীয় সভা করতে দেখা গেছে সিদ্দিকুল্লাহ কে। তাহলে বঙ্গ রাজনীতিতে তৃনমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্দিকুল্লাহ কে পাত্তা দিচ্ছে না কেন সিদ্দিকুল্লাহ কে ? এই প্রশ্ন উঠাটা স্বাভাবিক। তবে গত একবছর ধরে যেভাবে সিদ্দিকুল্লাহ তৃনমূলের অন্দরে কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন। তাতে তিনিও পরিস্থিতির সন্ধানে আছেন চাতক পাখির মত। এই প্রতিবেদক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে প্রশ্ন করেছিলেন - "গত বছর (পঞ্চায়েত ভোটে) জেলা গ্রন্থাগার মেলা হলনা মঙ্গলকোটে, এবছর ( লোকসভা ভোট) মঙ্গলকোটে জেলা গ্রন্থাগার মেলা হচ্ছে। তাহলে কি সিদ্দিকুল্লাহ কে খুব দরকার(মুসলিম ভোট) তৃনমূলের?" এই প্রশ্ন শুনে হেসে তিনি বলেছিলেন " অপেক্ষা করো এবং দেখে যাও...." অনেক অব্যক্ত বক্তব্য লুকিয়ে রয়েছে এর মধ্যে। ঘনিষ্ঠমহলে তিনি নাকি বলেছেন - পঞ্চায়েতের ঋণ তিনি লোকসভায় সূদ আসল তুলবেন। যেভাবে মঙ্গলকোটের স্থানীয় রাজনীতিতে 'শুন্য' করে রাখা হয়েছে, তার জবাব তিনি দেবেন। অফিস ঘরের সামনে বোমাবাজি, অনুগামীদের গাঁজার মামলায় ফাসিয়ে দেওয়া সর্বপরি পঞ্চায়েত ভোটে আসনরফার যে 'নাটক' করা হয়েছে তার প্রতি। সেই নাটকের চিত্রনাট্যকারদের উপযুক্ত জবাব আসন্ন লোকসভায় দেবেন। বাংলায় ত্রিশভাগ মুসলিম ভোট নিয়ে তৃনমূল যেমন দুশ্চিন্তায় ঠিক তেমনি বিজেপি মুকুল রায়ের মাধ্যমে ভাগ বসাতে অত্যন্ত তৎপর। গত ৪ ডিসেম্বর কলকাতায় জমিয়ত উলেমা হিন্দের বার্ষিক প্রকাশ্য সভা ছিল। ঠিক তেমনি আজ অর্থাৎ ৬ ডিসেম্বর বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের সভাও ছিল। এই দুই সভায় ভীড় সমাগমে বিপুলভাবে এগিয়ে ৪ ডিসেম্বরের সিদ্দিকুল্লাহের জমিয়ত উলেমা হিন্দ। সেখানে ৬ ডিসেম্বর এর অন্য সংগঠনগুলির সভায় ভীড় নেই বললেই চলে। গত বছর সিদ্দিকুল্লাহের সভায় তৃনমূল নেত্রী রাজ্যের তিন মন্ত্রীদের পাঠিয়ে ছিলেন। এবছর কেউ আসেননি মন্ত্রীসভার তরফে। অর্থাৎ গত বছরের জমিয়তের ভীড়ে তৃনমূলপন্থী মুসলিমদের সমাগম ছিল। সেটা এবারে নেই। তাই সাংগঠনিকভাবে একক প্রয়াসে সিদ্দিকুল্লাহ একশো শতাংকস সফল। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ৪২ টি আসনের মধ্যে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন একতৃতীয়াংশ অর্থ্যাৎ ১৪ টি মুসলিম মুখ রাখার দাবিতে নিয়মিত সভা চালিয়ে যাচ্ছে। সেখানে গত ২০১৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র ২ টি আসনের সমঝোতা আর করবেন না সিদ্দিকুল্লাহ। ঘনিষ্ঠমহলে তিনি নাকি বলেছেন ১৪ টি না হোক ৩ থেকে ৪ টি আসন লোকসভায় লাগবেই। গত ৪ ডিসেম্বর লাখো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভীড় কলকাতায় এনে আরও উজ্জীবিত তৃনমূলের অন্দরে ঘাত প্রতিঘাতে থাকা সিদ্দিকুল্লাহ।
বুধবার, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৮
নবদ্বীপ থেকে খোল এনে কীর্তনীয়াদের দিলেন কেস্ট
কৌশিক গাঙ্গুলি ,
বিজেপির রথযাত্রার ঠিক আগেই আজ বীরভূম জেলার কীর্তনীয়াদের বিলি করা হলো ৪০০০ খোল ৮০০০ কর্তাল I যা অনুব্রত মন্ডল আগেই ঘোষণা করেছিলেন বীরভূম জেলার ১৯টি ব্লকে বিলি করা হবে খোল কর্তাল সেইমতো বুধবার সে মত বেলা 11 টা নাগাত বোলপুর ডাকবাংলা মাঠে এক বিরাট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে I যেখানেই অনুব্রত মন্ডল দাঁড়িয়ে থেকে কীর্তনীয়া দের হাতে তুলে দিলেন ৪০০০ খোল ও ৮০০০ হাজার কর্তাল I জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বেশ কিছুদিন আগে ঘোষণা করেছিলেন এবার কীর্তনীয়া দল দের দলের পক্ষ থেকে খোল কর্তাল দেওয়া হবে I সেই মতো নদীয়ার নবদ্বীপ থেকে খোল এবং মুর্শিদাবাদ জেলার খাগড়া থেকে কর্তাল আনা হয়েছে বীরভুমের বোলপুরে । লোকসভা নির্বাচনের আগেই বীরভূম জেলার 19 টি ব্লকে 4000 কীর্তনীয়া দের একটি করে খোল ও একজোড়া খোল কর্তাল দেওয়া হলোl বীরভূম জেলা তৃণমূল এর পক্ষ থেকে এর আগে একের পর এক কখনো ব্রাহ্মণ সম্মেলন তো, কখনো আদিবাসী সম্মেলন কখনো বা রাজপুত সম্মেলন করা হয়েছে I বোলপুরে ব্রাহ্মণ সম্মেলনে পুরোহিত দের হাতে গীতা নামাবলী এবং স্বামী বিবেকানন্দের ছবি উপহার দেওয়ার পাশাপাশি তাদের পেট পুরে ভোজনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল I তৃণমূল সূত্রের খবর , প্রতিটি খোল এর দাম ৪ হাজার টাকা ও প্রতি জোড়া করতালের দাম ৫০০টাকা , কীর্তনীয়া দের বিলি করার জন্য ইতিমধ্যেই প্রায় দুই কোটি টাকার খোল কর্তাল কিনেছে বীরভূম জেলা তৃণমূল এর পক্ষ থেকে, যা বিলি করা হলো।এই খোল নিয়ে কীর্ত্তন হবে গোটা পৌষ মাস পর্যন্ত বলে জানান ।
শনিবার, ডিসেম্বর ০১, ২০১৮
বাংলা কে দিল্লি সামলায় না , মুখ্যমন্ত্রী
মোল্লা জসিমউদ্দিন ,
শুক্রবার দুপুরে পূর্ব বর্ধমানের কালনার অঘোরনাথ স্টেডিয়ামে জনসভা সারেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । একাধারে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার কে তুলোধুনো করেন তিনি।বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনি হিসাবে উঠে এসেছে বীরভূমের পাঁচামী এলাকা। এই এলাকায় রাজ্য সরকার ১২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিতে চাইছে। তবে কেন্দ্রীয় ছাড়পত্র মিলছেনা। এদিন কালনার জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ তুলে বলেন - কেন্দ্রীয় সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে ছাড়পত্র দিচ্ছেনা। তাই কয়েক লক্ষ যুবকের কর্মসংস্থান ঘটছেনা। তবে এক আইএএস অফিসার নাম গোপন রাখার শর্তে জানান - মাটির নিচে অর্থাৎ ভূগর্ভস্থ খনিজ সম্পদ তোলার ক্ষেত্রে অধিকারবলে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই তারা সবদিক বিবেচনা করে সির্দ্ধান্ত গ্রহন করে থাকে। এক্ষেত্রে তাই হয়েছে। আবার আরও একটি সমস্যা রয়েছে এই পাঁচামী এলাকায়। সেটি হল - যারা ভূমিপুত্র আদিবাসী সম্প্রদায় তারাও রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে। গত দুবছর পূর্বে বীরভূমে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় কয়েকজন উচ্চশিক্ষিত আদিবাসী যুবক জেলাশাসক সহ এক দাপুটে শাসকদলের নেতার চোখে চোখ রেখে ভারতীয় সংবিধানে খনিজ সম্পদে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা এবং জঙ্গলে আদিবাসীদের অধিকার নিয়ে যে তথ্য সমৃদ্ধ বক্তব্য রেখেছিলেন, তা আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায়। তাই পাঁচামী সমস্যা শুধু কেন্দ্রীয় সরকার কে নিয়ে নয়, আদিবাসীদের বড় অংশ রয়েছে মূল সমস্যায়। কালনায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন - বাংলা কে দিল্লি সামলায় না, দিল্লি কে সামলায় বাংলা। এহেন বক্তব্য পেশে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দেন - উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারই যথেষ্ট। সারাদেশে পশ্চিমবাংলা এমন একটি রাজ্য যেখানে জমির খাজনা মকুব হয়। রেকর্ড সংশোধনের মিউটেশন ফি লাগেনা, সেইসাথে চাষীদের জমির বিমার অর্থ রাজ্য সরকার দিয়ে দেয়। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের আওতায়, তাই এই বিনামূল্যের শস্যবিমা টি কে কেন্দ্রীয় প্রকল্প বলে অপপ্রচার চলে বলে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ তুলেন এদিনের জনসভায়। ২০২২ সালে যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার চাষীদের আয় দ্বিগুণ করার কথা বলছে, সেখানে বাংলার চাষীরা তিনগুণ কৃষি ক্ষেত্রে আয় করছে। ২০১২ সালে পূর্ব বর্ধমানে রাজ্য সরকার 'মাটি তীর্থ উৎসব ' চালু করে। তা দেখে ২০১৩ সালে রাস্ট্রপুঞ্জ অনুরুপ প্রকল্প শুরু করে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ -জিএসটির জন্য রাজ্যে চাকরি কমে গেছে। তবুও রাজ্য সরকার ৪০% বেকারত্ব কমিয়েছে। আজ দুপুর দুটোয় কালনার জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী এসে বলেন - গত ৭ বছরে ৪৩০ টি প্রশাসনিক সভা করেছি, এলাকাবাসীদের আর কলকাতায় আসতে হয়না, কলকাতা পৌঁছে যায় জেলায় জেলায়। এদিন কালনার অঘোরনাথ স্টেডিয়াম টি উদ্বোধন হয়। কালনার পুরাতত্ব নিয়ে রাজ্য পর্যটন দপ্তরের বিভিন্ন উদ্যোগের প্রসঙ্গ আসে। পূর্ব বর্ধমানে নুতন সরকারের আমলে ৬ টি কলেজ হয়েছে, সেইসাথে ২৭৬৮ কোটি অনুদানে এই জেলার দামোদর নদের নিম্ন অববাহিকা জুড়ে সেচের আধুনিকরণ ঘটবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। এতে শস্যগোলা পূর্ব বর্ধমানে সেচজল নিয়ে সমস্যা আর হবেনা। সেইসাথে ৩২০০ কোটি খরচে মেছোগ্রাম থেকে মারগ্রাম ফোরলেন সড়ক হচ্ছে।এতে দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ যোগাযোগে সময় অনেক কমে যাবে। এছাড়া ডানকুনি - বর্ধমান - পানাগড় রাস্তা নিয়ে ব্যবসায়ীক যোগাযোগ বাড়াতে আরও প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমানের কালনা এবং নদীয়ার শান্তিপুরের মধ্যে ভাগীরথী নদীর উপর হাজার কোটি অনুদানে সেতু হচ্ছে। ৫০০ কোটি আর্থিক মঞ্জুরি মিলেছে রাজ্য সরকারের তরফে। জমি অধিগ্রহণের জন্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন কে চাষীদের সাথে বুঝিয়ে সমস্যা থাকলে মেটাতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জোর করে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে তা বুঝিয়ে দেন। যে সিপিএম কে কয়েক সপ্তাহ পূর্বে তৃনমূল নেত্রী ব্রিগেডের দলীয় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, সেই সিপিএম কে হাঙ্গরের দল বলে এদিন কটাক্ষ করেন তিনি। গতকালকের সিপিএমের সিঙ্গুরে মহামিছিল নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন মমতা। তিনি বলেন - সিপিএম হাঙরের দল। ওরা সিঙ্গুর নেতাই নন্দীগ্রাম করেছে। আমাদের আমলে ৬৫ হাজার কৃষক বয়সজনিত ভাতা পাচ্ছে। আগে ৭৫০ টাকা মাসিক পেত, এখন সেটা ১ হাজারে দাঁড়িয়েছে। ১ কোটি ৬৭ লক্ষ সংখ্যালঘু স্কলারশিপ পাচ্ছে। ১২০ বেডের হাসপাতাল হচ্ছে ভাতারে। এইরুপ নানান উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০০ দিনের প্রকল্পে রাজ্যের সেরা জেলা হওয়ার জন্য পূর্ব বর্ধমানের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। ভুমি এবং আবগারী দপ্তর কে শক্ত হাতে কাজকর্ম করার নিদানও দেন মুখ্যমন্ত্রী। রেশনের চাল বিতরণ নিয়ে দুর্নীতি হলে পুলিশ প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থাগ্রহণের নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুক্রবার, নভেম্বর ৩০, ২০১৮
আজ মুখ্যমন্ত্রীর রোষানলে পড়তে পারেন পুলিশের বেশ কিছু আধিকারিক
মোল্লা জসিমউদ্দিন ,
আজ অর্থাৎ শুক্রবার দুপুর দুটোয় পূর্ব বর্ধমানের কালনার অঘোরনাথ স্টেডিয়ামে জনসভা করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী কি বার্তা দিতে চলেছেন, তার দিকে তাকিয়ে জেলা রাজনৈতিক মহল। একগুচ্ছ প্রশাসনিক উন্নয়ন প্রকল্প তুলে ধরার পাশাপাশি পুলিশ নিয়ে কড়া হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এইরুপ আশংকায় কাঁপছে জেলা পুলিশের বেশকিছু আধিকারিক। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে পূর্ব বর্ধমানের চারটি থানায় দশের বেশি ঘটনায় বিব্রত জেলা পুলিশমহল। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী কে হস্তক্ষেপ পর্যন্ত করতে হয়েছে। পুলিশসুপার এক সাব ইনস্পেক্টর, দুই এসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেকটর, এক কনস্টেবল কে সাসপেন্ড করে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ পর্যন্ত দিয়েছেন। নবান্নের নির্দেশে আইসির শাস্তিমূলক বদলী হয়েছে। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন - পুলিশি অনুশাসনে কড়া বার্তা দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই সম্ভাবনার জন্য জেলা পুলিশের অনেক কর্তায় তটস্থ রয়েছেন বলে জানা গেছে। সর্বশেষ সংযোজন বিষমদের বলি ১২ জনের ঘটনায়। জানা গেছে, বিষমদের মূল কেন্দ্র রয়েছে ঘটনাস্থলের ওপারে থাকা কালনা থানা এলাকা। নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে পূর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষ থানার ভুমিকা নিয়ে রাজ্য তোলপাড় হয়। এক ইভটিজিং মূলক অভিযোগের ভিক্তিতে চার অভিযুক্ত যুবক কে উলঙ্গ করে বিচুটি পাতা ঘষে ছবি তুলে ফেসবুকে ভাইরাল করবার হুমকি দিয়েছিলেন খোদ ওসি। এইরুপ অভিযোগ উঠার পরবর্তীতে এক যুবক বিষ খেয়ে এবং আরেক যুবক গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হবার চেস্টা করে থাকে। জেলা পুলিশ অবশ্য এই ঘটনায় সেভাবে কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে প্রকাশ। এরপরে কাটোয়ার ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ উঠে। গোটা শহর জনরোষে ফেটে পড়ে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে স্থানীয় বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টপাধ্যায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীদের বোঝান। গাড়ীর কাগজপত্র দেখার নামে কাটোয়া ট্রাফিক শহরের বিভিন্ন প্রান্তে তোলা তুলে বলে অভিযোগ। অভিযোগকারী প্রাত্তন সেনা কর্মী কে অবশ্য সরকারি কাজে বাধাদান মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। কালনা আদালতে অফিস টাইমে জিআরও বিভাগে এক হাজতবাবু ( এএসআই) আরেক কনস্টেবল কে নিয়ে ডিউটির সময় মদ্যপান করছিলেন বলে অভিযোগ। আদালতে পেশ করা অভিযুক্তদের পরিবারদের সাথে মাতলামি এবং হুমকির ঘটনা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য পড়ে সেদিন। যে ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল, সেই পূর্বস্থলী থানার কালিপুজোর নামে কোটি টাকার তোলাবাজি ঘটনায় ডাকমাস্টার ( এএসআই ) কবিরুদ্দিন খান কে সাসপেন্ড করা হয়। আইসি সোমনাথ দাস কে শাস্তিমূলক বদলী তে কালিম্পং জিআরও তে পাঠানো হয়। এই থানাতে চোর সন্দেহে ধৃত এক ব্যক্তি পালিয়ে যাওয়ায় ডিউটি অফিসার ( এএসআই) এবং সেন্ট্রিম্যান ( কনস্টেবল) সাসপেন্ড হয়। আবার এক পরোপকারী ব্যক্তিকে থানার লকআপে ঢুকিয়ে মারধরের ঘটনায় ডিউটি অফিসার (এসআই ) সাসপেন্ড হয়। গত ৬ নভেম্বর মঙ্গলকোটের ব্লক মোড়ের সামনে জিয়ারুল হক নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে বছর তেরোর এক নাবালক মিসিং হয়। ৭ নভেম্বর মঙ্গলকোট থানায় গেলেও অভিযোগপত্র গ্রহণ কিংবা মিসিং ডাইরী দেয়নি বলে দাবি। নাবালক নিখোজ ঘটনায় মঙ্গলকোট থানার চরম নিস্ক্রিয়তা জেলা পুলিশের কানে গেছে বলে বিশেষ সুত্রে প্রকাশ। এইরুপ নানান ঘটনায় পুলিশ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে পূর্ব বর্ধমানে।তাই আজ অর্থাৎ শুক্রবার দুপুরে কালনার জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ নিয়ে কড়া বার্তা দিতে পারেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পুলিশের পাশাপাশি পুলিশ ঘনিস্ট বেশকিছু নেতা কে নিশানা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। যেভাবে একের পর এক ঘটনায় পূর্বস্থলী থানা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। সেখানে পঞ্চায়েত সমিতির এক পদাধিকারীর ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। মূলত তাঁর জন্যই পুলিশের ভাবমূর্তি জনমানসে কু প্রভাব পড়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক জানাচ্ছেন। রক্তদান শিবিরে তোলা না দেওয়া এক পরিবারের নাবালক কে থানার লকআপে মারধরের ঘটনায় গত বছর রাজ্য মানবাধিকার কমিশন হস্তক্ষেপ করেছিল। এবারেও থানার আরজি পার্টির নামে তোলাবাজির শিকার এক সংখ্যালঘু যুবক কে তার বাড়ীর সামনে গুন্ডাদের পাঠিয়ে এবং মোবাইলে অভিযোগ প্রত্যাহার করানোর দাবিতে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিল ওই নেতা। মুখ্যমন্ত্রী কে তোলাবাজির অভিযোগ জানানো এই যুবক অবশ্য পুলিশসুপারের কাছে প্রাণভয়ে সশস্ত্র নিরাপত্তা কর্মী পাবার লিখিত আবেদন রেখেছেন। তাই পূর্বস্থলী থানার ঘনিষ্ঠ এই দাপুটে নেতা কে হুশিয়ারি দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য গত বিধানসভা নির্বাচনে এই তৃনমূল প্রার্থী হেরেছেন সিপিএম প্রার্থীর কাছে। তাই তুমুল তৃনমূল হাওয়া মধ্যে হেরে যাওয়া এই বিতর্কিত নেতা কালনা জনসভায় মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় থাকাটায় স্বাভাবিক। প্রসঙ্গত কালনা বিধানসভার পাশেই রয়েছে এই পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র। অন্যদিকে বালির সিন্ডিকেট নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসন কে নিরপেক্ষ এবং সক্রিয় অবস্থান নেওয়ার আহবান দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, গত তিনমাস আগে নবান্ন থেকে ভূমি সংস্কার দপ্তর কে 'ফ্রি হ্যান্ড' দেওয়া হয়েছে। সেখানে শাসকদলের কেউ জড়িত থাকলেও তার বিরুদ্ধে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। মঙ্গলকোটে কয়েকজন এইরুপ নেতা কেও চলতি মাসে কাটোয়া মহকুমা ভূমি সংস্কার দপ্তরে তলব করা হয়েছিল। তাই আজকের কালনা জনসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে প্রমোদ গুনছেন অনেকে....
OLD POSTED
আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER
-
বাকুঁড়ার কোতলপুর ব্লক তৃনমূল কমিটির পরিচালনায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা হয়।উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্যামল সাতঁরা, সাংসদ সৌমিত্র খান, জেলা স...