সেখ সামসুদ্দিনঃ মেমারি থেকে প্রকাশিত জিরো পয়েন্ট পত্রিকার দপ্তরে আয়োজিত হল জিরো পয়েন্ট সাহিত্য আড্ডা ও প্রয়াত সম্পাদক সেখ আনসার আলির স্মরণ সভা। সভায় উপস্থিত ছিলেন মেমারি বিধানসভার বিধায়িকা নার্গিস বেগম, প্রাক্তন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক এবং সচিব অরবিন্দ সরকার, সিপিএম জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য তথা মেমারি ১ পূর্ব কমিটির সম্পাদক অভিজিৎ কোঙার, বিশিষ্ট চিকিৎসক অভয় সামন্ত, মেমারি পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার বিদ্যুৎ দে, ছাত্র নেতা মুকেশ শর্মা, শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি কৌশিক মল্লিক, সাহিত্যিক প্রভাত কিরণ মুখোপাধ্যায়, লেখিকা মিনতি নায়েক, শিক্ষক কাজী মহঃ ইয়াসিন, সাংবাদিক সেখ সামসুদ্দিন, পার্থসখা অধিকারী, সুফি রফিক উল ইসলাম, নূর আহমেদ, লেখক স্বদেশ মজুমদার, শুভাষিস মল্লিক, সেখ আব্দুল হামিদ, আনসার সাহেবের মা, স্ত্রী আঞ্জুমনোয়ারা আনসারী, পুত্র আনোয়ার আলি, পুত্রবধূ ব্রততী, সহ পরিবার পরিজন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। আনসার সাহেবের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, পুষ্পার্ঘ প্রদান ও নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে কার্যসূচী শুরু হয়। সঞ্চালক হামিদ সাহেব হৃদয় ছোঁয়া স্বরচিত উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন। পরে উপস্থিত সকলে স্মৃতিচারণা, কবিতা পাঠ, আবৃত্তি ইত্যাদি পরিবেশন করেন। পরিবারের পক্ষ হতে পত্রিকা প্রকাশ ও নজরুল উৎসব সবই চলবে ঘোষণা করা হয়।
সোমবার, মে ০৬, ২০১৯
কাটোয়া শহরের বুকে শ্যাবল দিয়ে জামাই খুন
মোল্লা জসিমউদ্দিন ,
রবিবার দুপুরে কাটোয়া শহরে এক যুবককে শাবল দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম মিরাজ শেখ (৩০)। নিহতের বাড়ি কাটোয়া শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কেশিয়া মাদ্রাসা পাড়া এলাকায়। মৃতের পরিবারের লোকজনের দাবি , শ্বশুরবাড়ির লোকজন ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করে। এলাকায় খুনের পর তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।স্থানীয় পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ভ্যান চালক মিরাজ শেখের শ্বশুরবাড়ি ওই ওয়ার্ডেই কেশিয়া দরগাতলা মল্লিকপাড়া এলাকায়। এদিন দুপুরে মিরাজ তার শ্বশুরবাড়িতে ছেলে মেয়েদের জন্য খাবার কিনে দিতে গিয়েছিল। অভিযোগ, তারপরেই মিরাজের কয়েকজন মামাশ্বশুর শাবল দিয়ে মিরাজকে পিটিয়ে মেরে তারাই আবার গুরতর জখন অবস্থায় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর পুরো ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকার বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারপর কাটোয়ার এসডিপিও ত্রিদিব সরকারের নেতৃত্বে পুলিস বাহিনী এলাকায় গিয়ে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে ।এলাকা সুত্রে প্রকাশ , দশ বছর আগে মিরাজের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আফরোজা বিবির। স্ত্রী ও তিন ছেলে মেয়ে নিয়েই মিরাজের সংসার চলছিল। কয়েকমাস আগেই মিরাজের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী আফরোজা বিবির ঝগড়া শুরু হয়। সম্প্রতি স্ত্রী আফরোজা বিবি তাঁর তিন ছেলে মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতে শুরু করে দেয়। এদিকে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদেহের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আবার বেশ কয়েক জায়গায় ধারাল অস্ত্রের কোপানোর দাগ রয়েছে। তবে এদিন সন্ধ্যে পর্যন্ত কাটোয়া থানায় এ নিয়ে কারও বিরুদ্ধে কোনও লিখিত অভিযোগদায়ের না করলেও পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তেরা ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা। এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে কাটোয়া কালনায় ক্ষতিগ্রস্ত কাঁচাবাড়ি
মোল্লা জসিমউদ্দিন ,
গত শুক্রবার রাতে ফণী ঝড়ের তান্ডবে কাটোয়া কালনা মহকুমা জুড়ে দুই শতাধিক মাটির বাড়ি ধসে যাওয়ার খবর মিলেছে প্রশাসন সুত্রে। কাটোয়া মহকুমার পাঁচটি ব্লক এলাকায় সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মঙ্গলকোট ব্লক এলাকা। এছাড়া কালনার পাঁচটি ব্লকেও অনুরূপ অবস্থা। মঙ্গলকোটে পঞ্চাশের কাছাকাছি খড়ের ছাউনি বিশিষ্ট মাটির বাড়ি ধসে গেছে। মঙ্গলকোটের আটঘড়া সহ বেশকিছু জায়গায় ইলেক্ট্রিক পোল পড়ে গেছে। সারারাত জুড়ে মঙ্গলকোটের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিছিন্ন ছিল। স্থানীয় হাসপাতালে বিএমওএইচ ডঃ প্রণয় ঘোষ এর নেতৃত্বে মেডিকেল টিম রেডি ছিল জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায়।
স্ত্রীর পরিবার হামলা চালালো স্বামীর বাড়ীতে
মোল্লা জসিমউদ্দিন ,
কেতুগ্রামে স্বামীর ঘরে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য।শ্বশুরবাড়িতে বাপের বাড়ির লোকজন নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল এক গৃহবধুর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেলের দিকে কেতুগ্রামে কান্দরা কলেজ পাড়ায়।আরো অভিযোগ যে ওই বধুর শশুর কে লক্ষ্য করে দু রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। বরাত জোরে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন শশুর। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বধু সহ তার বাপের বাড়ির লোকজনকে ( সাতজন) পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।কেতুগ্রাম থানার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে - কেতুগ্রাম থানার কান্দরা কলেজ পাড়ার বাসিন্দা শিশির মাঝির বাড়িতে আচমকা তাণ্ডব চালায় তার বৌমা ও তার দলবল । অভিযোগ, বাড়িতে ঢুকেই বধুর বাবা মা ও দুই কাকা সহ আরো কয়েকজন জামাইয়ের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় জিনিসপত্র লন্ডভন্ড করে দেয়। বাড়ির বাইরে থাকা স্বামীর চার চাকা গাড়িটি ও ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে বধুর বাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে।বধুর এক কাকা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এই বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ।এই ঘটনার কথা জামাইয়ের বাড়ির লোকজনের তরফ থেকে কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় বধুর লোকজনদের বিরুদ্ধে।
কেতুগ্রাম থানার পুলিশ কে শিশির মাঝি জানিয়েছেন, প্রায় পাঁচমাস আগে তার ছেলে বুদ্ধদেব মাঝি বীরভূম জেলার লাভপুর থানার থিবা গ্রামে বিয়ে হয়।অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর সঙ্গে নানা কারণে ছেলের অশান্তি চলছিল। হঠাৎ করেই বধু তার বাবা-মায়ের সাথে করে তাদের বাড়িতে আসে এবং হামলা চালায় এমনকি পিস্তল দিয়ে গুলি ও করা হয় তাকে লক্ষ্য করে কিন্তু অল্পের জন্য তিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।প্রতিবেশীরা চিৎকার চেঁচামেচি শুনে বাড়িতে আসেন এবং বউমা সহ তার বাড়ির লোকজনদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।ইতিমধ্যে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ জানিয়েছে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত শুরু হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য।শনিবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে এসিজেম এজলাসে হামলার ঘটনায় জড়িত সাতজন কে পেশ করা হলে নববধূ ও তার মা কে শর্ত সাপেক্ষে জামিন দেন বিচারক। সেইসাথে বধূর কাকা কে তিনদিনের পুলিশি হেফাজত এবং বাকিদের সাতদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। কেতুগ্রাম থানার পুলিশ এই ঘটনায় সেভেন এমএমের পিস্তল সহ চার রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে ধৃতদের কাছ থেকে।
শনিবার, মে ০৪, ২০১৯
শিলাবৃষ্টি আর ফণী , দুই ফলায় বিদ্ধ বোরোধান চাষি
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
এখনো দু সপ্তাহ কাটেনি তুমুল শিলাবৃষ্টির রেশ, এরেই মধ্যে এলো 'ফণী' নামক ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগ। শুক্রবার সকাল থেকেই বাংলার আকাশে বাতাসে ঝড় সহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে । যা চলবে আগামী রবিবার পর্যন্ত, তা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। দু সপ্তাহ পূর্বে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে টানা ঘন্টা দুয়েক যে শিলাবৃষ্টির দাপট পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গিয়েছিল। বিশেষত ভাতার মঙ্গলকোট ব্লক জুড়ে। তাতে বোরো ধান ফলনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। এরেই সাথে তিল, পেঁয়াজ, আম সহ সবজি চাষে ক্ষতি হয়। সেবারের শিলাবৃষ্টির পরের দিনেই মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার জেলা আধিকারিকদের নিয়ে ভাতারের বিভিন্ন মৌজায় চাষাবাদে কিরুপ ক্ষতি হয়েছে? তা পর্যবেক্ষণ করতে এসেছিলেন। জানা যায়, ভাতার ও মঙ্গলকোট ব্লক এলাকার ৬০ হাজারের কাছাকাছি হেক্টর জমিতে বোরো ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আধপাঁকা ধান ছিল সেবার। যারফলে ধান কেটে বাড়ীও আনতে পারেনি চাষিরা। এখন প্রায় মাঠে ধান পেঁকেছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে দক্ষিণভারত থেকে এলো ফণি নামে ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগ। শুক্রবার সকাল থেকে যা শুরু হয়েছে এবং আগামী রবিবার বিকেল অবধি যার প্রভাব অটুট থাকবে। এই ফণীতে চব্বিশ ঘণ্টা পূর্বে কিছু চাষি মাঠ থেকে ধান তুলে ঝাড়াতে পারলেও বেশিরভাগ চাষীর ধান মাঠেই পড়ে রয়েছে বলে জানা গেছে । আশংকা করা হচ্ছে মাঠের জমিতে ধান গুলি পচে যেতে পারে। যদি দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে আবহাওয়ার উন্নতি না হয়। তাতে এই সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়বে বলে জানা গেছে। সপ্তাহ খানেক পূর্বে শিলাবৃষ্টিতে বরফের চাঙড়ে ধান ঝড়ে গিয়েছিল গাছ থেকে। এবার ধান না ঝড়লেও সেগুলি টানা বৃস্টি ও রোদ না পাওয়ায় পচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় শস্যগোলা ব্লক হিসাবে ভাতার ও মঙ্গলকোট অন্যতম । বেশিরভাগ চাষীই বোরো ধান চাষের উপর মুখিয়ে থাকেন। এখন ফণী ঝড় তাদের জীবনে কতটা অভিশাপ আনতে চলেছে তা সময়ই বলবে।
ভোট পরবর্তী হিংস্বায় জ্বলছে মঙ্গলকোট আউশগ্রাম কেতুগ্রাম কাটোয়া
মোল্লা জসিমউদ্দিন ,
এই রাজ্যে আটটি আসনের লোকসভা ভোট পর্ব মিটেছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় ভোটগ্রহণ হয়ে গেলেও রাজনৈতিক সংঘর্ষে এখনও থমথমে বহু এলাকা। উপদ্রুত অঞ্চলগুলি সংখ্যা কুড়ির বেশি । ভোট পরবর্তী হিংস্বার ঘটনা দেখা গেছে, পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার - আউশগ্রাম - মঙ্গলকোট - কাটোয়া - কেতুগ্রাম জুড়ে। ভাতারের শিকারপুরে শাসকদলের আভ্যন্তরীণ সশস্ত্র হামলায় জখম হয়েছেন চারজন। আউশগ্রামের ছোঁড়ায় বিজেপি বনাম তৃণমূলের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন পাঁচজন। যদিও স্থানীয় থানার পুলিশ আটজন কে গ্রেপ্তার করেছে অশান্তির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে । অপরদিকে কেতুগ্রামে খাঁজি, রাজিপুরে ব্যাপক বোমাবাজি চলেছে গত দুই থেকে তিনদিন ধরে ।গুরতর আহতর ঘটনা না ঘটলেও তুমুল উত্তেজনা রয়েছে ওইসব এলাকা জুড়ে। কাটোয়ার শ্রীবাটি গ্রামে সিপিএমের বুথ এজেন্ট সুকুর আলীর বাড়ীতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে। বাড়ীর প্রায় অংশ ভেঙে গেছে বিস্ফোরণে৷ তৃণমূলের তরফে মজুত বোমা থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে অভিযোগ তোলা হলেও সিপিএমের তরফে বোমা হামলার দাবি রাখা হয়েছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতির মাঝে সবথেকে বেশি অশান্তির ঘটনা ঘটেছে অনুব্রত গড় মঙ্গলকোটে। ভোটের দিন থেকে ঘটনার সুত্রপাত হলেও যার জের এখনও চলছে। মঙ্গলকোটের চারটি অঞ্চল যথা লাখুরিয়া, গোতিস্টা, পালিগ্রাম এবং চাণক এলাকায় উত্তেজনা চরমে। পরিস্থিতি এমন যে, পুলিশ বনাম আদিবাসীসমাজ মুখোমুখি লড়াই যেন এখানে। প্রায় দেড়দিন ধরে দফায় দফায় সশস্ত্রভাবে আদিবাসীরা বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ চালায়। থানার মেজবাবু ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিলেও আদিবাসীরা তা মানেনি। বাধ্য হয়ে মঙ্গলকোট থানার ওসি আদিবাসীদের লিখিত অভিযোগপত্র সাক্ষর করে রিসিভ করেন। অভিযুক্তদের মূল মাথাদের গ্রেপ্তার না করায় পুনরায় অশান্তির কালো মেঘ দেখা যাচ্ছে মঙ্গলকোটের বুকে। ভোটের দিন বিজেপির বুথ এজেন্টদের পরিবার দের হুমকি দেয় তৃনমূল আশ্রিত দুস্কৃতিরা। ইতিপূর্বে তারা পতাকা টাঙানো নিয়ে এক বিজেপি কর্মীর ভাগ্নে কে রক্তাক্ত করেছে। তাই আদিবাসী অধ্যুষিত এইসব এলাকায় তৃনমূলের বিরুদ্ধে এবং নিস্ক্রিয় মঙ্গলকোট থানার পুলিশ ঘিরে তীব্র জনরোষ জমছিলো। তাই ভোটের দিন প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া এবং পাঁচজন বিজেপি কর্মী আদিবাসীদের মারধর করায় ক্ষোভ চরমে ওঠে।হাজার হাজার আদিবাসী হাতে তীর ধনুক হাসুয়া প্রভৃতি নিয়ে নুতনহাট গুসকারা সড়ক রুট অবরোধ চালায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ এলেও সমস্যা মিটেনি। এমনকি মূল অভিযুক্তরা এখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বলে আদিবাসীদের অভিযোগ। পরিস্থিতি এমন যে, শাসক দলের এক অফিস দখল করে নিয়েছে বিজেপির ক্ষুব্ধ স্থানীয় আদিবাসীরা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আদিবাসীর অভিযোগ - "বিভিন্ন সুত্রে আমরা জেনেছি যে আমাদের মাথাদের নামে রাস্ট্রদ্রোহিতার মামলা দিয়ে জব্ধ করতে চাইছে স্থানীয় থানার পুলিশ "। উল্লেখ্য ইতিমধ্যে গত তিনবছরে কুড়ির বেশি গাঁজা মামলা হওয়ার নজির রয়েছে মঙ্গলকোটে। তবে পুলিশের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
শুক্রবার, মে ০৩, ২০১৯
হাওড়া কান্ডে পুলিশের বিরুদ্ধে এফআইআর কি হয়েছে ?
মোল্লা জসিমউদ্দিন - টিপু,
গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ী রাখা নিয়ে আইনজীবীদের উপর পুলিশি সন্ত্রাস অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি রয়েছে আগামী ৮ মে। ইতিমধ্যেই 'বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল' এর ঘোষণা অনুযায়ী আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলবে আগামী ১০ মে পর্যন্ত। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রশাসনিক কমিটির পাঁচ বিচারপতি যথা মাননীয় বিশ্বনাথ সম্মাদার, মাননীয় দীপঙ্কর দত্ত, মাননীয় সৌমেন সেন, মাননীয় সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মাননীয় মুমতাজ খানের কাছে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর প্রতিনিধিদের বৈঠকের কর্মসূচি ছিল। কিন্তু সারা রাজ্যে আইনজীবীদের কর্মবিরতি বাড়ানো বিষয় নিয়ে তুমুল হইহট্টগোলের জন্য বিচারপতিদের সাথে বৈঠকটি হয়নি বলে জানা গেছে। গত বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রশাসনিক কমিটির পাঁচ বিচারপতি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে ছিলেন। সেখানে কোন সমাধান সুত্র বের না হওয়ায় আজ পুনরায় বৈঠক টি করার কথা ছিল। গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতে আইনজীবী আক্রান্ত ঘটনায় ' বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ' ২ মে অবধি কর্মবিরতি ঘোষণা করে থাকে। আজ এই কর্মবিরতি বিষয়ে কলকাতার সিটি সিভিল কোর্টের ষষ্ঠ তলায় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর অফিসে বৈঠক চলে৷ বৈঠক ঘিরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের শ পাঁচেক আইনজীবী কোট চত্বরে হাজির হন। তৃনমূল পন্থী আইনজীবীরা কর্মবিরতিতে ইতি টানার চেস্টা করলে হাতাহাতি পর্যায়ে পৌঁছে যায় আলোচনার পরিবেশ। একপ্রকার বাধ্য হয়ে আইনজীবীদের কর্মবিরতি বেড়ে ১০ মে অবধি করার ঘোষণা করা হয়। হাওড়া বার এসোসিয়েশনের পক্ষে বেশ কয়েকজন আইপিএস অফিসারের গ্রেপ্তারের দাবি তোলা হয়। গ্রেপ্তারের পক্ষে সুনিদিষ্ট এফআইআর করা হয়েছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন কোন কোন আইনজীবী? জানা গেছে, গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতের ঘটনায় স্থানীয় পুরসভার কয়েকজন পুরকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে। তবে আইপিএসদের বিরুদ্ধে এখনও কোন এফআইআর প্রকাশ্যে আসেনি। আজ দুপুরে এই বিষয়টি নিয়ে তুমুল হইহট্টগোল চলে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর অফিসে। উল্লেখ্য গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ী রাখা নিয়ে আইনজীবী বনাম পুলিশের মধ্যে ব্যাপক মারপিট চলে। উক্ত ঘটনার প্রতিবাদে ২ মে পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে আইনজীবীদের কর্মবিরতি হয়। ঘটনার দিনেই কলকাতা হাইকোর্ট হাওড়া জেলা জজের কাছে রিপোর্ট তলব করে। যা পরের দিন জেলাজজ পাঠিয়ে দেন। এরপরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশে পাঁচজন মহামান্য বিচারপতি হাওড়া জেলা আদালতে যান। বার এসোসিয়েশন সহ জেলাজজের কাছে ঘটনার পূর্নাঙ্গ বর্ণনা শুনেন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা চলে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর প্রতিনিধিদের সাথে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিদের। কোন সমাধান সুত্র বের হয়নি। পুনরায় কর্মবিরতি বেড়ে করা হয় আগামী ১০ মে পর্যন্ত। এরেই মধ্যে ৮ মে কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি রয়েছে। হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী তথা বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান আনসার মন্ডল বলেন - "আগামীকাল আমরা কলকাতা হাইকোর্টের প্রশাসনিক কমিটির পাঁচ বিচারপতির সাথে পুনরায় বৈঠক করছি "।
ভাতার মঙ্গলকোট জুড়ে বোরো ধান তুলছে চাষিরা
মোল্লা জসিমউদ্দিন ,
আমিরুল ইসলাম ,
কৃষি দপ্তরের পরামর্শ মত জোর কদমে ধান তোলার কাজ চলছে ভাতার মঙ্গলকোট ব্লক এলাকা জুড়ে।তিন দিন আগে থেকেই সতর্কবার্তা দিয়েছে রাজ্য কৃষি দপ্তর। পাশাপাশি সতর্ক বার্তা দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর থেকেও। আবহাওয়া দপ্তর ও কৃষি দপ্তরের পরামর্শ মত চাষিরা সতর্ক হয়ে জোর কদমে বরো ধান তোলার কাজ করছে ভাতার মঙ্গলকোট ব্লক জুড়ে ।ভাতারের শেখ আইনুল, মঙ্গলকোটের সুকান্ত ঘোষ চাষিরা জানায় - আমরা মোবাইলের ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি আগামী 3 তারিখে ব্যাপক ঝড় বৃষ্টি হবে। সেই কথা মাথায় রেখে বোরো ধান কাটার কাজ করছি জোরকদমে আর হয়তো দুদিন সময় দিলে ধান সব ঘরে চলে আসবে। আবহা দপ্তরের কথামতো চাষিরা দিনরাত পরিশ্রম করে বোরো ধান কাটার কাজ করছে ।সপ্তাহ খানেক আগে তুমুল শিলাবৃষ্টির জেরে মঙ্গলকোট ভাতারের দশের বেশি অঞ্চল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল চাষাবাদে ।ভাতারের সাহেবগঞ্জ এক নম্বর, সাহেবগঞ্জ দুই নম্বর ,বনপাস, মাহাতা ,বামুনারা ,এরুয়ার,পালিগ্রাম, চাণক, গোতিস্টা, লাখুরিয়া, ঝিলু ১ নং প্রভৃতি অঞ্চল গুলোতে ধান - পেঁয়াজ - তিল -;সবজিতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিলাবৃষ্টির ফলে।পুনরায় আবার ঝড় বৃষ্টি হলে মঙ্গলকোট ভাতারের চাষিরা ফের ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
বুধবার, মে ০১, ২০১৯
তৃণমূলের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিবাদে রাস্তায় আদিবাসী সমাজ
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
চতুর্থ দফা লোকসভা নির্বাচনে যে আটটি আসনে ভোটপর্ব মিটেছে। তার মধ্যে বোলপুর লোকসভার অধীনে মঙ্গলকোট ও আউশগ্রাম বিধানসভা এলাকা রয়েছে। মঙ্গলকোটের তিনশোর কাছাকাছি বুথের মধ্যে দুশোর অধিক বুথে শাসকদল তৃনমূল একতরফাভাবে ভোটপর্ব চালালেও পঞ্চাশের অধিক বুথে অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোটদান হয়। এই অবাধ নির্বাচনের বুথগুলির মধ্যে মঙ্গলকোটের চাণক এলাকার প্রায় বুথ অন্যতম । আর এতেই ক্ষিপ্ত অনুব্রত মন্ডলের মঙ্গলকোটের অনুগামীরা। জানা গেছে, ভোটগ্রহণের দিন ২৯ এপ্রিল অর্থাৎ গতকাল চাণকে বিজেপির বুথ এজেন্টগুলির পরিবারের উপর চড়াও হয় শাসকদলের সশস্ত্র বাহিনী। সেই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রণক্ষেত্রের রুপ নেয় পশ্চিম মঙ্গলকোটের চারটি অঞ্চল এলাকায়৷ হাজার হাজার আদিবাসী নুতনহাট গুসকারা সড়ক রুট অবরোধ করে সশস্ত্র প্রতিবাদ জানায়। ঘটনাস্থলে মঙ্গলকোট থানার মেজ বাবু বিবেক মুদি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রুতি দিলেও ক্ষুব্ধ আদিবাসীরা এখনো অবরোধ চালাচ্ছে বলে প্রকাশ। দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে উত্তাল হয়ে উঠল পশ্চিম মঙ্গলকোটের জালপাড়া বাসস্ট্যাণ্ড। স্হানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে গতকাল ভোট চলাকালীন বিজেপির এজেন্টদের পরিবার সহ চারজন বিজেপি সমর্থক রমেশ মু্র্মু, প্রদীপ হাঁসদা , সুখরাম হাঁসদা ও সোম মাড্ডি মোটরবাইকে চড়ে চাণক অঞ্চলের ইরসন্দা গ্রামের মধ্যে দিয়ে আসছিল ।সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের ব্যাপক মারধর করে ।খবর পেয়ে আদিবাসীরা তাদের উদ্ধার করতে গেলে দুষ্কৃতীরা তাদের ভয়ে ছেড়ে দেয়।গতকাল পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও আজ সকাল ১০ টা থেকেই আদিবাসীরা জালপাড়ায় নতুনহাট-গুসকরা রাস্তা অবরোধ করে। মঙ্গলকোট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অবরোধকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিলেও অবরোধ ওঠেনি ।স্থানীয় বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, ১৬ নং বুথের তাদের এজেন্ট রণজিৎ রাণার মা মাধবী রাণার কে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হুমকি দেয় ।রণজিৎ রাণা বুথ ত্যাগ না করলে তাকে খুন করে দেওয়া হবে ।স্হানীয় বিজেপি নেতা সোম মাড্ডির জানালেন - তৃণমূল আশ্রিত এইসব দুষ্কৃতিদের জন্যই তাদের শান্ত এলাকা বারবার অশান্ত হয়ে উঠছে।স্হানীয় থানার পুলিশ সব জেনেও নীরব থাকছে।আবার মঙ্গলকোট লাগোয়া আউশগ্রামেও গন্ডগোল এর খবর মিলেছে। ভোটের পরের দিনও উত্তপ্ত হলো আউসগ্রাম। ব্যাপক উত্তেজনা আউসগ্রাম এর বিভিন্ন এলাকায় । বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গেছে ।আউসগ্রামের ছোড়া তে আজ সকাল থেকেই শুরু হয়েছে তৃনমূল বিজেপি সংর্ঘষ। ব্যাপক উত্তেজনা ছোড়া গ্রামে।রামনগড় পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি ভাংচুর হয়েছে। আক্রান্ত বিজেপির লোকেরা পাল্টা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ।পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।পুলিশ সূত্রে খবর,আটক করা হয়েছে ৮ জন কে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে।
কর্মবিরতির মাঝে কেন অনুব্রত মন্ডলের হয়ে মামলা? শোকজ আইনজীবী কে
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
যতদিন যাচ্ছে ততই যেন হাওড়া আদালতে আইনজীবী আক্রান্ত ঘটনায় পরিধি ক্রমশ বাড়ছে। গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া আদালত চত্বরে গাড়ি পার্কিং ঘিরে যে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তাতে রাজ্যের সবকটি আদালত এজলাসে আইনজীবীহীন অবস্থায় বিচারপ্রক্রিয়া শিকেয় উঠেছে। এক সপ্তাহ কর্মবিরতিতেও কোন সমাধান সুত্র বের হয়ে আসেনি। উল্টে সমস্যা আরও দীর্ঘায়িত হয়েছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের সুয়োমুটো মামলায় বাদী বিবাদী পক্ষ কে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবার হাওড়া জেলা আদালতে জেলাজাজের কাছে রিপোর্ট গ্রহণ করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এমনকি গত ২৯ এপ্রিল অর্থাৎ সোমবার হাইকোর্টের পাঁচজন বিচারপতির এক প্রতিনিধিদল হাওড়া জেলা আদালত পর্যবেক্ষণে যান। তাঁরা আক্রান্ত আইনজীবিদের পাশাপাশি জেলাজাজের কাছে আদালত স্বাভাবিক রাখার উদ্যোগও নেন। কিন্তু হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার সহ চার আইপিএসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ ছাড়া আইনজীবীরা কর্মবিরতি আন্দ্রোলনের রাশ ছাড়তে অপারগ।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের বার এসোসিয়েশন হাওড়া আদালতে আইনজীবী আক্রান্ত ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। এরফলে ঘটনাটি আর এইরাজ্যে নয়, সমগ্র দেশের কাছে বিশেষত আইনজীবি মহলে আলোচিত বিষয় হিসাবে পরিচিত লাভ করলো।পুলিশি সন্ত্রাস নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। যেখানে হাওড়া জেলা আদালতের সিংহভাগ সরকারি আইনজীবী ( পিপি) তাঁদের ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে গোটা রাজ্যের সমস্ত আইনজীবী যেখানে কর্মবিরতি চালাচ্ছেন। সেখানে বীরভূম জেলা তৃনমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা লড়তে গিয়ে আইনজীবী বৈশ্বানর চট্টপাধ্যায় আইনজীবীমহলে একপ্রকার একঘরে হয়ে গেছেন। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে শোকজ করেছে 'বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল '। যদিও বেশিরভাগ আইনজীবীদের রণংদেহী মেজাজে বাধ্য হয়ে শোকজ টি করেছে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত গত ২৮ এপ্রিল চতুর্থ দফার নির্বাচন অবাধ করার জন্য বীরভূম জেলা তৃনমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের বিরুদ্ধে বারোঘন্টার 'নজরবন্দি' রাখার নির্দেশিকা জারী করে থাকে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের এই নির্দেশিকা কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গতকাল অর্থাৎ সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দেবাংশু বসাকের এজলাসে মামলা দাখিল করেন বিশিষ্ট তৃনমূল নেতা তথা বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর সদস্য বৈশ্বানর চট্টপাধ্যায় মহাশয়। যেখানে সারা রাজ্য জুড়ে আইনজীবীরা পেশাগত বৃত্তিকে জলাঞ্জলি দিয়ে কর্মবিরতি চালাচ্ছেন। সেখানে উনি কেন অনুব্রত মন্ডলের হয়ে মামলা লড়তে গেলেন? তা নিয়ে তীব্র জটলা কলকাতা হাইকোর্ট সহ সিটি সিভিল কোর্টের অন্দরে আইনজীবিরা শুরু করে দেন। সিটি সিভিল কোর্টের ষষ্ঠতলায় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর অফিসে একপ্রকার বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে দেন শয়ে শয়ে ক্ষুব্ধ আইনজীবী।গতকাল সন্ধে সাড়ে সাতটায় - মামলা কেন করলেন এই কর্মবিরতির মাঝে, তা নিয়ে শোকজ করা হয় ওই বর্ষীয়ান আইনজীবী কে। যদিও বীরভূম জেলা তৃনমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মামলায় বিচারপতি দেবাংশু বসাক কমিশনের আদেশনামা কে বৈধ বলে উল্লেখ করেন। অপরদিকে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সাথে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর প্রতিনিধিদের আলোচনা হলেও কোন সমাধান সুত্র বের হয়নি। আগামী ২ মে ফের আলোচনার দিনক্ষণ হয়েছে বলে প্রকাশ।উল্লেখ্য গত ২৪ এপ্রিল থেকে যে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে, তা আগামী ২ রা মে পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আইনজীবীদের সম্মিলিত মঞ্চ। একাধারে সুপ্রিম কোর্টের বার এসোসিয়েশনের হাওড়া কান্ডে নিন্দা প্রস্তাব, অপরদিকে কর্মবিরতির মাঝেই স্বতন্ত্রভাবে অনুব্রত মন্ডলের হয়ে মামলা দাখিল বিষয় দুটি পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যাচ্ছে - হাওড়া জেলা আদালতে আইনজীবী আক্রান্ত ঘটনায় জল অনেকদূর গড়াতে চলেছে। পুলিশ বনাম আইনজীবীদের এহেন লড়াইয়ে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ ক্রমশ বাড়ছে ' নিরপরাধ' বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে । কলকাতা হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী আনসার মন্ডল বলেন - আক্রান্ত আইনজীবীদের সুবিচার দিয়ে আমরা চেস্টা চালাচ্ছি সমস্ত আদালত সচল রাখার ।
OLD POSTED
আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER
-
বাকুঁড়ার কোতলপুর ব্লক তৃনমূল কমিটির পরিচালনায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা হয়।উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্যামল সাতঁরা, সাংসদ সৌমিত্র খান, জেলা স...