বুধবার, এপ্রিল ১৫, ২০২০

বর্ধমানের চারুল গ্রামে খাদ্য সামগ্রী বিলিতে জয় হিন্দ বাহিনী

জুলফিকার আলি
  

সমগ্র ভারতবর্ষজুড়ে চলছে লকডাউন | খেটে খাওয়া মানুষরা পড়েছেন আর্থিক সংকটে | পূর্ব বর্ধমান এ  সেসব মানুষের পাশে দাঁড়ালেন জয় হিন্দ বাহিনীর 1 নম্বর ব্লক চেয়ারম্যান শেখ হালিম | হালিম বাবু জানান, লকডাউন শুরু থেকেই বর্ধমান এ বিভিন্ন প্রান্তে মানুষের পাশে আমি আছি | আজ পূর্ব বর্ধমানের চারুল গ্রামে 400 জন দুস্থ মানুষের হাতে চাল, ডাল ,আলু পিয়াজ, তেল তুলে দিলাম | তিনি আরও জানান ,আজ পর্যন্ত প্রায় 5 হাজার মানুষের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছি এবং যতদিন লকডাউন থাকবে ততদিন মানুষকে এই পরিষেবা দিয়ে যাব | উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের জয় হিন্দ বাহিনীর সভাপতি রবিন নন্দী,বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নিশীথ মালিক,বর্ধমান সদর থানার পুলিশ আধিকারিক পিন্টু সাহা ,বর্ধমান উত্তর বিধানসভার চেয়ারম্যান শেখ ডালিম, বিশিষ্ট সমাজসেবী সোমনাথ ভট্টাচার্য প্রমূখ |

কোলাঘাটে শান্তিপুরে খাদ্য সামগ্রী বিলি চললো

জুলফিকার আলি
  
পূর্ব মেদিনীপুর:– কোলাঘাট থানার অন্তর্গত শান্তিপুর এলাকার অধিকাংশ মানুষই দিন আনে দিন খাওয়া পরিস্থিতির পরিবার রয়েছে, এছাড়াও বহু মানুষ আর্থিক সংকটের কারণে বর্তমান সময়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, সে সব মানুষের কথা মাথায় রেখে এবার এগিয়ে এলো ব্লক প্রশাসন, বুধবার শান্তিপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সেলিম আলী এর উদ্যোগে প্রায় 5000    হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়া ব্যবস্থাপনা করলেন। সেলিম বাবু জানান বর্তমান সময়ে লক ডাউনের ফলে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের সংসার চলতে হিম শিম খেতে হচ্ছে, সেই সব মানুষদের কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ, তবে অঞ্চল প্রধানের এই কার্যক্রম দেখে অনেক টাই আপ্লুত হয়েছে এলাকার সমাজ সেবী মানুষ থেকে শুরু করে দুস্থ পরিবার গুলি।

কোলাঘাটে রক্তদান শিবির

জুলফিকার আলি, 
  

রক্তদান মহৎ দান আর এই বার তাকে মাথায় রেখে মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট থানার অন্তর্গত মেচেদাতে তিন বন্ধু উদ্যোগে এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়,এইদিন রক্তদান শিবিরে মাতঙ্গিনী গেস্ট হাউস মেচেদা, মূলত এই গ্রীষ্ম কালীন রক্তের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন সংগঠন থেকে শুরু করে সমাজ সেবা সংগঠনের উদ্যোগে রক্তদান শিবির করা হয়, কিন্তু বর্তমানে নোবেল করোনা ভাইরাসের ফলে গোটা রাজ্যে লক ডাউন হয়ে যাওয়ার ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে এই সব সংগঠনের রক্তদান শিবির অনুষ্ঠান, ফলে উদ্যোগ নিয়েছে এবার ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসন, সেই লক্ষ্যে এই রক্তদান শিবির, এ দিন এই রক্তদান শিবিরে ৩০ জন রক্তদাতা রক্ত দান করেন, এ দিন এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান,শান্তিপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সেলিম আলী, এছাড়াও কোলাঘাট পুলিশ আধিকারিক, তবে এই রক্তদান শিবিরের বর্তমান স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ অনুসারে দূরত্ব বজায় রাখার চিত্র ফুটে ওঠে।

অযথা ঘুরাঘুরি করলে সিঙ্গুর পুলিশ মারছে লাঠি

সুভাষ মজুমদার
  
লকডাউনের দ্বিতীয় দফায় অযথা ঘোরাঘুরি করতে দেখলেই সিঙ্গুরে লাঠি চার্জ পুলিশের।
প্রথম দফার লকডাউন শেষ ,আজ থেকে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার লকডাউন।
এই দ্বিতীয় দফার লোকডাউনের শুরুতেই আবারও সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গেল সিঙ্গুর থানার পুলিশ কর্মীদের।
এদিন সকাল থেকেই সিঙ্গুরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় নামে পুলিশ।সিঙ্গুর বাজার এলাকায় উপযুক্ত কারণ ছাড়াই রাস্তায় বের হওয়া সাধরণ মানুষ কে বোঝানোর পাশাপাশি যারা লকডাউন অগ্রাহ্য করে রাস্তায় বের হয়েছেন তাদের উপর লাঠি চার্জ করে পুলিশ।
এছাড়া কোরোনা সংক্রমণ এড়াতে সাধরণ মানুষ কে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন পুলিশ কর্মীরা।
অন্যদিকে মাস্ক বিহীন পথ চারীদের হুমকি দিতেও দেখা যায় পুলিশ কর্মীদের।

করোনা ও যান্ত্রিক নববর্ষ - অদিতি চট্টপাধ্যায়

'করোনা' ও 'যান্ত্রিক-নববর্ষ' ! 
অদিতি চট্টপাধ্যায়, 

  
ক্যালেন্ডারের পাতা উলটিয়ে দেখতে দেখতে আরও একটা নতুন বছর (1427 ) চলে এল | বছর ভরকার লাভ-লোকসানের হিসেব-নিকেশ, চাওয়া-পাওয়া বাদ দিয়েও এবারের নববর্ষটা যেন একটু অন্যরকম | যেন কিছুটা হলেও ফিকে | এ নববর্ষ যেন যান্ত্রিক ! কেন ? 

কারণ "করোনা" নামক এক ভাইরাস মানব জীবনকে ক্রমশঃ অতিস্থ্য করে দিয়েছে | চিন থেকে এর উৎপাত শুরু হয়ে কম-বেশি বিশ্বের আজ দুশোটি দেশে এই ভাইরাসের অবাধ বিচরণ | আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে | দেশব্যাপী শুরু হয়েছে লক ডাউন অর্থাৎ গৃহবন্দী | মাছ, মাংস, ওষুধ, সবজি সহ প্রয়োজনীয় জিনিসের বাজার ও দোকান খোলা থাকলেও নিদিষ্ট্য দূরত্ব মেনে ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা সংগ্রহ করতে হবে | এ যেন বড় জ্বালা ! গিন্নির ফরমায়েশ ও কর্তার কপালে চিন্তার ভাঁজ ! চাকরি হারানোর আশঙ্কা | আমেরিকার মত বিত্ত্ববান, সংমৃদ্ধিশালী দেশের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে ভারতের মত দেশে যেখানে বর্তমানে জিডিপির হার তলানিতে থেকেছে সেই দেশের 130 কোটি মানুষের ঠিক কি অবস্থা হতে পারে ? চিন্তায় আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা আজ সকলেই ! বিশেজ্ঞদদের মতে ঠিক সময়ে যদি লক ডাউন না হত দেশে সংক্রমণের হার আট লক্ষেরও কিছু কম-বেশি হত | ওপর দিকে লক ডাউনের জেরে দিন পিছু কোটি কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি অর্থাৎ লোকসান | প্রচুর টাকার রাজস্ব ঘাটতি | প্রাইভেট কর্মীদের চাকরি থাকবে কি থাকবে না দুশ্চিন্তার মাথা-ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁদের | যে যে পেশাতেই থাকুক না কেন আজ যেন আয়- ব্যায়ের সমতা বজায় থাকছে না | পেট যে কোন কিছুর বাঁধ মানে না ! 
মহানগর থেকে জেলা, ছাড়িয়ে মফস্বল, গ্রামাঞ্চল সব জায়গাতেই একশো টাকায় জোড়া টি-শার্ট সেই চেনা পরিচিত সুর এবছর কানে এলনা | বছরভর আমজনতা চৈত্র সেলের জন্য অপেক্ষা করে থাকে | গৃহস্থের টানাপোড়েনের মধ্যে যা কিছু কেনার খামতি থেকে যায় তা কেনার যেন এটাই মোক্ষম সময় | কিন্তু এবারে সব মাটি ! জমজমাট বাজারগুলি চেনা যেন দুস্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে | গাঁ ঘরের গিন্নির ভাষায়, আ মরণ, 'কি যে করোনা নামক ভাইরাস এল, জীবনটাকে পুরো ছাড়খার করে দিল গাঁ ! কত সাধ ছিল বাবুলের বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে এবারে একটা বালুচরি তাঁত কিনবো তা আর এ বছর হল না ! ধুর ছাই' !

অগত্যা ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও কাটছাঁট | বাড়িতে বসেই কোনোরকমে আড়ম্বর ছাড়া তা পালন করা |  শিশু মন কিন্তু এতসব কিছুতে বাঁধ মানে না ! আগেরবার বছর পাঁচেকের রাজুকে মনসুর চাচা তাঁর দর্জির দোকানে ডেকে নিয়ে গিয়ে বড় বড় চমচম খাইয়েছিল | পাশের বাড়ি কার্তিক কাকুও হালখাতার মিষ্টি পাঠিয়েছিল | আম্মিও হাসিনা চাচির বাড়িতে রান্না শেষে মিষ্টির হাঁড়ি নিয়ে এসেছিল | এবারে কি মনসুর চাচা, কার্তিক কাকু, হাসিনা চাচীরা মিষ্টি দেবে না আব্বু !

লকডাউনে পুলিশের কড়াকড়ি আরও বাড়ুক

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি

  
      বিশেষজ্ঞদের মতে এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসের মোকাবেলার জন্য প্রয়োজন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। সেই দিকে লক্ষ্য রেখে ২৪ শে মার্চ গোটা রাজ্যে ঘোষিত হলো লকডাউন। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব বন্ধ। পুলিশ সক্রিয় হলো। আইন অমান্যকারীদের কঠোর হাতে দমন করা শুরু হলো।কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ পুলিশি হেনস্থার শিকার হলেও অধিকাংশ মানুষ পুলিশের ভূমিকাকে স্বাগত জানাল। কিন্তু তারপরই কোনো এক অজানা কারণে পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে  পড়তেই গোটা রাজ্য জুড়ে একশ্রেণির মানুষ লকডাউন ভাঙার খেলায় মেতে উঠল। শহরগুলোর চিত্র টিভির পর্দায় নিয়মিত দেখা যাচ্ছে। একদল তথাকথিত সচেতন মানুষের অজ্ঞতার পরিচয় পেয়ে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে উঠল।
       গ্রামগুলোও পেছিয়ে থাকলনা। বিভিন্ন ক্লাবে, আটচালায় বা চায়ের দোকানে নিয়মিত ভিড় বাড়ছে। কোনো কোনো স্হান থেকে মদের ভাটি চালুরও খবর পাওয়া যাচ্ছে।পুলিশের ডাণ্ডার ভয় না থাকায় অপ্রয়োজনে বাইকে তিন জন করে চেপে অযথা আড্ডা মারতে বের হচ্ছে। মুখে থাকছেনা মাস্ক। এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে কাজ করতে যাওয়া রাজমিস্ত্রিরা ব্যবহার করছেনা মাস্ক। যত্রতত্র থুতু ফেলছে। ফলে গ্রাম বাংলাতেও ধীরে ধীরে একটা অজানা আতঙ্ক দেখা যাচ্ছে।
         নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক পুলিশ আধিকারিক বললেন - মানুষের  জীবন রক্ষার জন্য নিজেদের জীবন বিপন্ন করে  ডাক্তার, নার্স, স্বাস্হ্য কর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছে। আর পরিবারের কথা না ভেবে আমরা পুলিশ কর্মীরা রয়েছি রাস্তায়।অথচ একদল মানুষ আইন ভাঙার খেলায় মেতে উঠেছে। তারা বুঝতে চাইছেনা আমাদের রাজ্যে করোনা একবার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। অনুরোধে যখন কাজ হচ্ছেনা তখন এদের জন্য প্রয়োজন কড়াকড়ি।তার আক্ষেপ গোটা বিশ্বের পরিস্থিতি দেখে মানুষ আর কবে সচেতন হবে !
       একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জয়প্রকাশ বাবু বললেন -গণতান্রিক দেশে পুলিশি রাজ কাম্য না হলেও এই সময় পুলিশকে যদি ডাণ্ডা ব্যবহারের অধিকার ফিরিয়ে না দেওয়া হয় তাহলে মমতা ব্যানার্জ্জীর সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমাদের রাজ্যেও করোনা অতিমারির রূপ ধারণ করবে। একই সুর শোনা যাচ্ছে বহু মানুষের কণ্ঠে। তাদের বক্তব্য - পুলিশ যতই চেষ্টা করুক ডাণ্ডা ব্যবহার না করলে কোনো লাভ হবেনা।বড় বিপদ ঘটার আগে  মুখ্যমন্ত্রীর উচিত পুলিশকে আবার কড়াকড়ি করার নির্দেশ দেওয়া।

মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৪, ২০২০

করোনায় চুঁচড়ায় চললো খাদ্য সামগ্রী বিলি

সুভাষ মজুমদার
  
বাংলার শুভ নববর্ষ হুগলি চুঁচুড়া পৌরসভার পৌরপ্রধান পারিষদ সদস্য গোবিন্দ দাশগুপ্ত চুঁচুড়ার সকল মানুষকে শুভেচ্ছা ও প্রণাম জানায় এবং সংকটময় মুহূর্তে সকলকে বাড়িতে থাকার আবেদন জানান,পাশাপাশি রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তর উদ্যোগে চুঁচুড়ার কর্মহীন  মানুষের পাশে দাঁড়ান ও খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন, সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রীর পুত্র দেবায়ন দাশগুপ্ত ৷

খাদ্য সামগ্রী বিলিতে ইফফো কৃষাণ সেবা ট্রাস্ট

সুভাষ মজুমদার
   

ইফকো কিষান সেবা ট্রাস্ট এর সহযোগিতায় কৈকালা ক্রীড়া সংঘের পরিচালনায় লকডাউন পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের সাহায্যার্থে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ গত ৯  থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত চার দিন ব্যাপী ইফকো কিষান সেবা ট্রাস্ট - নতুন দিল্লী-র কর্ণধার  উদয় শংকর অবস্থির  এর অনুপ্রেরণায় ও কৈকালা ক্রীড়া সংঘ কৈকালা, হুগলির পরিচালনায় COVID - 19  সচেতনতা শিবির এবং লকডাউন পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে  খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শিবির অনুষ্ঠিত হয় । এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী ও সর্বভারতীয় ইফকো কিষান সেবা ট্রাস্টের - অন্যতম   শান্তিময় দে  অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন ও প্রতিদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন । রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার নির্ধারিত করোনা সচেতনতা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি সঠিক ভাবে পালন করার জন্য মানুষকে অনুরোধ করেন এবং এলাকার কমবেশি প্রায় তিন হাজার পরিবার কে ৫ কেজি চাল , ১ কেজি থেকে ৫০০ গ্রাম মুসুর ডাল , ৩ কেজি আলু এবং ৫০০ গ্রাম নুন পেয়ে উপকৃত হন । ইফকো তথা গ্রাম তথা রাজ্য তথা দেশকে করোনা মুক্ত করার আহ্বান জানান ও শৃঙ্খলা ভাবে নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে । কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার নির্ধারিত করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি প্রচার পত্র ।

অভুক্তদের খাদ্য সামগ্রী বিলিতে 'সুসম্পর্ক'

সুকান্ত ঘোষ (সম্পাদক কৃষি সমবায়পত্রিকা)      

আজ ১৪ এপ্রিল, একাধারে পহেলা বৈশাখ অন্যদিকে  ডক্টর ভীমরাও রামজি আম্বেদকরের জন্মবার্ষিকী।তাই  আজকের এই বিশেষ দিন থেকে কলকাতার ঠাকুরপুকুরের চোঙার বোন এবং ধাড়াপাড়া অঞ্চলের ৫২ জন দুস্থ শিশুর এবং লকডাউনে জেরে কর্মহারা তাদের অসহায় পরিবারের তথা পরিবারের সমস্ত সদস্যের দৈনন্দিন অত্যাবশকীয় পণ্যের দায়িত্ব নিলো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'সুসম্পর্ক'।মঙ্গলবার  তাদের হাতে  তুলে দেওয়া হোলো গড়ে ৩ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ৫০০ গ্রাম মুড়ি, বিস্কুট ও সাবান।এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'সুসম্পর্ক' এর পরিবারের পক্ষ থেকে সম্পাদক   শ্রী অরবিন্দ সিংহ জানিয়েছেন - "সমাজের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন প্রত্যেকটি মানুষের কাছে অনুরোধ দয়া করে আপনারা এগিয়ে আসুন কারণ প্রচুর মানুষ আজ অনাহারে রয়েছে এবং আপনাদের সাহায্য ছাড়া আমাদের কর্মকান্ড কখনোই সফল হবে না" ।

আগরপাড়ায় তুলি কলম এর আকাশ পত্রিকা প্রকাশিত হল

নববর্ষে তুলি কলম এর আকাশ পত্রিকা  প্রকাশ আগরপাড়া তে 

সংবাদদাতাঃ সংস্কৃতি প্রেমী গৃহবন্দি দের কথা মাথায় রেখে আগরপাড়ার গাঙ্গুলী পাড়ার চারুচন্দ্র আট সেন্টারের অভিনব উদ্যোগ একটি সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশের। সোশ্যাল মিডিয়ায় অসংখ্য কবি লেখক প্রবন্ধকার চিত্রশিল্পী , ফটোগ্রাফার ক্রিয়েটিভ মানুষেরা তাদের সৃষ্টি পাঠিয়েছেন সম্পাদক দীপঙ্কর সমাদ্দারের কাছে। দীপঙ্কর বাবু জানালেন সংস্কৃতি জগতের মানুষদের সৃষ্টিশীল কাজে সম্মান জানাতে  নববর্ষে নতুন পরিকল্পনা একটি পত্রিকা প্রকাশের। তুলির কলম এর আকাশ নামাঙ্কিত একটি পত্রিকা প্রকাশ হলো নববর্ষের দিন সকালে । ঝকঝকে সম্পূর্ণ একটি রঙিন পত্রিকা তুলি কলমের আকাশ ।। গল্প লিখেছেন ডক্টর রমলা মুখার্জি, তনুশ্রী গুহ ।অনুগল্প লিখেছেন উজ্জ্বল সামন্ত ,কাঞ্চন কুমার গাঙ্গুলী , ইন্দ্রাশিষ মুখার্জি, চিরঞ্জিত সাহা, লক্ষ্মী বিশ্বাস ভৌমিক ,প্রতিমা ভট্টাচার্য্য মন্ডল । কবিতা লিখেছেন লিটন দাস ,জয়ন্তী দাস, মানব মন্ডল, ভাস্কর পাল ,অভিষেক ঘোষ, অঞ্জনা দেব রায়, বাণীব্রত, অষ্টপদ মালিক , ওমর ফারুক, অনির্বাণ বসু , কৃষ্ণা দাস,পরাশর বন্দোপাধ্যায়  , শ্যামল রায়, পূর্ণেন্দু মিত্র , বদরুদ্দোজা শেখু ,বিলাস ঘোষ ,শ্রী রঞ্জীব, হিমাদ্রি বন্দ্যোপাধ্যায় জয়া ঘটক প্রমুখ।প্রখ্যাত অ্যাডভোকেট তপন জ্যোতি সিদ্ধান্তের আইনি পরামর্শ ,আর্ট গ্যালারিতে রয়েছে নবীন ও প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী দের চিত্র ।রয়েছে ক্রিয়েটিভ হাতের কাজ । দেশ ও বিদেশের ফটোগ্রাফারদের ছবি নিয়ে ফ্যাশন আকাশ নামে একটি সম্পূর্ণ রঙিন পাতা । সম্পাদক জানালেন বর্তমান যুগে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পত্রিকা এখন সব থেকে জনপ্রিয়। তাই খুব সহজেই তাদের পত্রিকা লক্ষ লক্ষ মানুষের দরবারে দেশ-বিদেশে পৌঁছে যাবে বলে তার আশা । আগামী দিনে পত্রিকাটিতে আরো চমকপ্রদ কিছু দেওয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে । এমন একটি পত্রিকাতে বিজ্ঞাপনদাতারা সমান ভাবে এগিয়ে এসেছেন। সংবাদ মাধ্যমের সম্পাদক ও প্রতিনিধিরা তার সাথে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর্ট গ্যালারিতে বিখ্যাত চিত্র শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন সুশান্ত সরকার, তপন পাত্র ,অপূর্ব ব্যানার্জি, অরিন্দম মুখার্জী ,স্বরুপ চক্রবর্টি ,অঙ্কিতা মজুমদার , দেবস্মিতা দাস । ফটোগ্রাফি গ্যালারিতে রয়েছে বিখ্যাত চিত্র ফটোগ্রাফার মনিশ কুশারী ,শুভঙ্কর সোম, সৌরভ মুখার্জি,  বিনয় সেন ,রঞ্জন ভট্টাচার্য , ইন্দ্রনীল ঘোষ ,অনিন্দ্য দে এবং সুদূর আমেরিকা থেকে কল্লোল তালুকদারের আলোকচিত্র। এককথায় পত্রিকাটি রঙিন ঝকঝকে খুব সুন্দর প্রশংসার দাবি রাখে।

লকডাউনে গতি শিথিল খেজুড়িতে

জুলফিকার আলি,   
খেজুরির থানার হলুদবাড়ী অঞ্চলে আজ সকাল থেকে সাধারণ মানুষ লক ডাউনকে উপেক্ষা করে বিশাল লাইন পড়েছে ব্যাংকের সামনে, স্থানীয় মাঠে বসা বাজারেও ভিড় ...যদিও স্থানীয়  কিছু যুবক  প্রতিবাদ ও দূরত্ব বজায় রাখার কথা  বলেও কোনো কাজ হয়নি.. স্থানীয় মানুষ থানায় ফোন করেন তাতে কোনো কাজ হয়নি. ...স্থানীয় মানুষের আশংক্ষা এই ভাবে মানুষ লক ডাউন উপেক্ষা করলে সংক্রমণ বাড়তে পারে.

গণপরিবহন কর্মীদের আর্থিক অনিশ্চয়তা নিয়ে স্মারকলিপি

জুলফিকার আলি 
  

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারনে লকডাউন জনিত পরিস্থিতিতে হাজার হাজার গণপরিবহন  কর্মীদের কর্মহীনতায় অর্থনৈতিক সঙ্কটের মোকাবিলায় সরকারি অনুদান মঞ্জুরীর দাবীতে অাজ মহকুমাশাসক দপ্তরে সিঅাইটিইউ-র উদ্যোগে ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।নেতৃত্ব দেম সিঅাইটিইউ নেতা মামুদ হোসেন, হরপ্রসাদ ত্রিপাঠী,কানাই মুখার্জি, সলিলবরণ মান্না প্রমুখ। প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন জানান হাজার হাজার গণপরিবহন সংশ্লিষ্ট কর্মীরা বিশেষ করে বাস,লরী,মিনি লরী,ট্যক্সি,অটো,টোটো, ট্যম্পো ইত্যাদি ক্ষেত্রে শ্রমিক -কর্মী দের বেহাল অর্থনৈতিক অবস্থা। মামুদ হোসেন বলেন কাঁথি শহরের উপরে নির্ভরশীল ৫/৬ হাজার অটোরিকশা, টোটোরিকশা,রিকশা ও ভ্যানরিকশা চালকেরা পরিবার -পরিজনদের নিয়ে  বেহাল   অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।অবিলম্বে গণপরিবহন কর্মী দের সরকারি অনুদান মঞ্জুর করা জরুরী।

বেলিয়াঘাটা বাজারে নেই কোন লকডাউন

ওয়াসিম বারি, 
  

দেগঙ্গা বেলিয়াঘাটা বাজারে আর পাঁচটা দিনের মতই স্বাভাবিক হাজার হাজার মানুষের সমাগম বেলিয়াঘাটা বাজার জুড়ে চলছে অটো, ইঞ্জিন ভ্যান  ফলে দেশ তথা রাজ্যে লকডাউন চললেও এই বাজারে লকডাউনের কোন প্রভাব পরেনি । সামাজিক দূরত্ব না মেনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর সামনে গায়ে গা লাগিয়ে প্রচুর মানুষের ভিড়। সকাল থেকে বেলিয়াঘাটা বাজারে হাজার হাজার মানুষের ভীড়, নেই কোন সোসাল দুরত্ব মুখেও নেই কোন ধরনের মাক্স।

শুভ নববর্ষ - শর্মিস্টা মাজি

শর্মিস্টা মাজি
   

আবেগময় এই সকাল 
আমার মন কেন এত ভয়ার্থ্য
সবাই.আজ চিন্তার মাঝে
করে বরন নতুন বছরকে।
আমরা এক সমাজ
অদ্ভুত পরিবেশ আজ
দূরে দূরে  বাই বাই সবাই 
তবু ঐ প্রজাতির কেন এত খাই খাই ।
তোরা কী আমাদের মাড়বি আমরা ঘরেতেই আছি । 
যাবনা মন্দির যাবনা মসজিত
ঘরেতে বসেই আনব নতুন সুদিন ।
সকলে সুস্থ থাকুক নতুন বছরে ।।

তারকেশ্বর থানায় পুলিশ কর্মীদের মাস্ক স্যানিটাইজার বিতরণ

সুভাষ মজুমদার 

  অল ওয়েস্ট বেঙ্গল সেলস রিপ্রেজেন্টিটিভ এর পক্ষ থেকে পুলিশ কর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানাতে তারকেশ্বর থানায় দেওয়া হলো মাস্ক,স্যনিটাইজার।

করোনা সংক্রমন এড়াতে যারা রাস্তায় থেকে  নিরলস সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে পুলিশ কর্মীদের ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ।তাই পুলিশ কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানতে সংস্থা টির পক্ষ এই প্রয়াস বলে জানানো হয়।
এদিন তারকেশ্বর থানার পুলিশ কর্মী দের মাস্ক,স্যনিটাইজার সহ ডেটল প্রদান করা হয় অল ওয়েস্ট বেঙ্গল সেলস রিপ্রেজেন্টিটিভ এর পক্ষ থেকে।কয়েক দিন আগেই সিঙ্গুর এবং হরিপাল থানার পুলিশ কর্মীদের দেওয়া হয় এবং আগামী দিনে ধনেখালী থানার পুলিশ কর্মীদের মাস্ক,স্যনিটাইজার সহ ডেটল প্রদান করা হবে বলে জানায় সংস্থার প্রতিনিধিরা।

লকডাউনে চড়ক পুজো হলো নামমাত্র পুজো দিয়ে

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি,   
     সরকারি নির্দেশকে উপেক্ষা করে একদল উচ্ছৃঙ্খল মানুষ যখন লকডাউন ভাঙতে ব্যস্ত তখন চরম সমাজ সচেতনতার পরিচয় দিল পশ্চিম মঙ্গলকোটের চাণক অঞ্চলের জ্যোতি গ্রামের বাসিন্দারা।
      স্হানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রায় চল্লিশ বছর আগে ওপার বাংলা থেকে আসা একদল মানুষের হাত ধরে গ্রামে শুরু হয় চড়ক পুজো।মূল আকর্ষণ ছিল পিঠে বঁড়শি গেঁথে 'মানুষ' চড়ক। প্রথম দিকে টিমটিম করে হলেও পরে তার আকার বৃদ্ধি পায়। মেলা বসে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। আশেপাশের গ্রাম থেকে বহু মানুষ চড়ক দেখতে আসে। সাত-আট হাজার লোকের ভিড় হয়। কিন্তু এবার করোনা জনিত কারণে কেবলমাত্র পুজোটুকু করে সমস্ত অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
        পিণ্টু বিশ্বাস বললেন - আমাদের গ্রামের এটাই প্রধান পুজো। আত্মীয় স্বজনে গ্রাম গমগম করে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ রোধ করার জন্য আমরা এবার পুজো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিই।কারণ চড়ক দেখতে যত মানুষ ভিড় করে তাতে 'সামাজিক দূরত্ব' বজায় রাখা অসম্ভব হতো।তিনি আরও বলেন - যেভাবে প্রশাসন করোনা সংক্রমণ রোধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে তাতে প্রত্যেকের উচিত প্রশাসনের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া।
       সমাজের স্বার্থে পুলিশ  প্রশাসনের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশের তরফ থেকে উদ্যোক্তাদের প্রশংসা করা হয় এবং সবাইকে যথাযথভাবে লকডাউন মেনে চলার জন্য আবেদন করা হয়।

তুমিই জানো - রাজা চৌধুরী

তুমিই জানো 
          রাজা চৌধুরী
 

তুমিই তো জানো কবি,কেমন করে পড়ন্ত বিকেলে
কুয়াশার চাদর বিছিয়ে সন্ধ্যে নামে,
রাতের আকাশে গল্পকথার কল্পনাতে একটি দুটি করে তারা ভাসে!
কেমন করে শিরায় উপশিরায় লাগে প্রেমের শিহরণ ,
কেমন করে পৌষের শীতে হৃদয় খোঁজে হৃদয়ের উষ্ণতা,
কেমন করে হেমন্তের হিমেলে উপচে পড়া অনুভূতিরা ভিড় জমায় মনের বাসরে !!
কেমন করে  বসন্ত সাঁঝে দিকচক্রবাল জুড়ে
বকের ডানায় অস্তমিত দিনের  কাব্য রচে !
মুক্তোর মালা গেঁথে যায় কমনীয়-চোখ
রক্তিম লজ্জায় নীলাম্বরী আঁচলে বাঁধা পড়ে প্রেম 
কেমন করে দিন মাস ও বছর ধরে প্রেমিকার কানে কানে ফিস ফিস ডাকে এসো  অন্তরে আগুন জ্বালি ।

সোমবার, এপ্রিল ১৩, ২০২০

করোনা পরিস্থিতিতে রক্তসংকট কাটাতে রক্তদান শিবির জয়নগরে

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়  
চৈত্র  মাস শেষ হতে চলল প্রচণ্ড গরম আর এই গরমে তে রক্তের সংকট মেটাতে অন্য বছর প্রচুর রক্তদান শিবির সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে হয়ে থাকে। কিন্তু এ বছর বর্তমানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে রক্তদান শিবির বন্ধ আছে সারা রাজ্যে। আর তাই রক্তের সংকট বেড়ে চলেছে। আর তাই আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে স্থানীয় থানার মাধ্যমে রক্তদান শিবির হচ্ছে থানা এলাকায়। সেই রকমই জয়নগর থানার উদ্যোগে শনিবার জয়নগর ইনস্টিটিউশন ফর গার্লস স্কুলে এক রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। এ দিন এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন জয়নগর থানার আই সি অতনু সাঁতরা, জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস,  জয়নগর মজিলপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুজিত সরখেল, জয়নগর পূর্ব চক্রের অবর স্কুল পরিদর্শক কৃষ্ণেন্দু ঘোষ সহ আরো অনেকে। এদিনের এই শিবিরে পুলিশ, সিভিক ভলানটিয়ার, চিকিৎসক ও পৌরবাসিরা অংশ নেন। এ ব্যাপারে জয়নগর থানার আই সি অতনু সাঁতরা বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায়      রেখেই বর্তমান পরিস্থিতিতে থানার উদ্যোগে থানা এলাকায় ছোট ছোট করে বিভিন্ন রক্তদান শিবির করা হচ্ছে রক্তের সংকট কাটাতে। 

লকডাউন না মানায় জয়নগরে ধৃত ৩০

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়
  
লকডাউনে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে জনবহুল এলাকায় চায়ের দোকান,জুতোর দোকান সহ অন্যান্য দোকানের সামনে একসাথে অনেক মানুষ আড্ডা দেওয়ার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় ৩০ জনকে গ্রেফতার করেছে জয়নগর থানার পুলিশ। ধৃতরা জয়নগর মিএগঞ্জ বাজার, বহড়ু, দক্ষিন বারাশত, পদ্মেরহাট, খাকুড়দহহাট, গৌড়ের হাট এলাকার লোক। এ ব্যাপারে জয়নগর থানার আই সি অতনু সাঁতরা বলেন, বার বার বলা সত্বেও মানুষ লকডাউন ভেঙে বাজারে, দোকানে আড্ডা মারছে। তাই এলাকার মানুষদের বলছি আইন এভাবে ভাঙবেন না। নাহলে আইন অনুযায়ী আমাদের কাজ করতে হবে। বাড়িতে থাকুন, সুস্থ থাকুন।সরকারি নির্দেশ মেনে চলুন।                       

রবিবার, এপ্রিল ১২, ২০২০

তমলুকে করোনা সচেতনতায় পথে আলপনা

জুলফিকার আলি, 
  

পূর্ব  মেদিনীপুর এর তমলুক শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড এ চলছে তমলুক পৌরসভার উদ্যোগে রাস্তায় লক ডাউন ও করোনা সম্পর্কে সচেতনতার রাস্তা লেখন। আজ রাতে নিস্তব্ধ তমলুকের বুকে যাতে মানুষ ঠিকঠাক লকডাউন পালন করেন, অযথা রাস্তা ঘাটে না বেরোন, নিজেকে ও সুরক্ষিত রাখতে বাড়িতে থাকেন এইসব নিয়ে সতর্কবাণী লেখা চলছে। জেলা সদর এর বুকে এই উদ্যোগ কে স্বাগত জানাচ্ছেন এলাকার মনুষজন।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER