মানস দাস, মালদা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ কালা দিবস একত্রিত ভাবে পালন করতে হবে।কিন্তু সেই নির্দেশ মানছেন না মালদার তৃণমূলের নেতারা।কালা দিবস পালনে সামনে আসলো আবারও জেলা তৃণমূলের গ্রুপবাজি।পৃথক পৃথক কালা দিবস কর্মসূচি পালন করে বহাল রাখলো জেলা নেতৃত্বের গোষ্ঠিকোন্দল।একদিকে যখন নেতৃত্বে মৌয়াজ্জেম হোসেন অন্যদিকে নিজ ক্ষমতা তুলে ধরতে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী।এমনিই পৃথক কালা দিবস পালনে চিত্র উঠে আসলো বুধবার মালদায়।প্রথমে জেলা তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর নেতৃত্বে এদিন শহরের নেতাজী মোড় থেকে একটি পদযাত্রা বেরোয়।কৃষ্ণেন্দু অনুগামীদের নিয়ে বেড়ানো এই পদযাত্রা শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে শেষ হয়।সেখানেই মঞ্চ করে কৃষ্ণেন্দু বাবু সহ তার অনুগামীরা কালা দিবস পালন করেন।অন্যদিকে জেলা তৃণমূল সভাপতি মৌয়াজ্জেম হোসেনের নেতৃত্বে শহরের আইটিআই মোড় থেকে বিশাল পদযাত্রা বেরোয়।এই পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন ইংরেজবাজার তৃণমূল বিধায়ক তথা ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান নিহাররঞ্জন ঘোষ, ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার সহ হাজার হাজার তৃণমূল কর্মীরা মিছিলে পা মেলান।এই পদযাত্রা গোটা শহর পরিক্রমা করে পোস্ট অফিস মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।তবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে পৃথক পৃথক কালা দিবস পালন কেন জেলায়।এই প্রশ্নের উত্তরে কৃষ্ণেন্দু বাবু জানান - মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই আমি পালন করেছি।তাছাড়া এই প্রসঙ্গে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে চাননি।এদিকে জেলা সভাপতি মৌয়াজ্জেম হোসেন বলেন,"জেলায় আমাকে একটা মিছিলের নির্দেশ ছিলো।যা আমরা পালন করেছি।নেত্রীর নির্দেশে জনগণ আজ সারা দিয়েছে।কে কি করছে পরে দেখা হবে।কৃষ্ণেন্দু বাবুর আলাদা করে কালা দিবস পালন নিয়ে দলীয় তদন্ত হবে জানিয়েছেন জেলা সভাপতি।দিনকয়েক আগেই কলকাতায় অনুষ্ঠিত কোর কমিটির বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি ঘোষণা করে বলেছিলেন কৃষ্ণেন্দুর কাজিয়া শোনা হবে না।৮ ই নভেম্বর একত্রিত হয়ে কালা দিবস পালন করা হবে।কিন্তু মালদায় দেখা মিললো ভিন্ন চিত্র।