বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ০৯, ২০১৭

ডাকাতির আগেই মালদায় ধৃত ৪ সশস্ত্র ডাকাত

মানস দাস, মালদা

ডাকাতির আগেই পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৫ জনের ডাকাতদল।গোপনসূত্রের খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালায় মালদার মিল্কী ফাঁড়ির ইনচার্জ এএসআই আনসারুল হক।এএসআই আনসারুল বাবুর নেতৃত্বে অমৃতির বানিয়াজোলা এলাকা থেকে ধৃতদের গ্রেফতার করে।এদিন পুলিশ সূত্রে জানা যায়,ধৃতরা হলেন আলাউদ্দিন শেখ (৩২),রফিক শেখ (২১),গুলাম নবি (৩০)।এই তিন দুষ্কৃতীর বাড়ি ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।আজিজুর রহমান (৩০)মোথাবাড়ি থানার বাঙ্গীটোলা এলাকার বাসিন্দা,এবং কুদ্দুস শেখ (৪৫) ইংরেজবাজার থানার কোকলামারি এলাকার  বাসিন্দা।ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ উন্নতমানের দুটি পাইপ গান,দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ,রড,চাকু,হাসুয়া সহ বেশ কিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে।পুলিশের অনুমান ধৃতরা আমৃতি বা মালদা শহড় এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশ্যেই জড়ো হয়ে ছিলো।তবে তার আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়।ধৃতদের ৭ দিনের পুলিশি রিমান্ড চেয়ে বৃহস্পতিবার মালদা জেলা আদালতে পেশ করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।

মালদা কলেজে প্রথম বর্ষে ভর্তিতে অনিয়মের অভিযোগ

মানস দাস, মালদা

আবারও বিতর্কে জড়াল জেলার ঐতিহ্যবাহী মালদা কলেজ । প্রথম বর্ষের ছাত্র ভর্তি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করল ছাত্র ছাত্রীরা।বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল কলেজ চত্বর ।ছাত্র ছাত্রীদের অভিযোগ অনলাইনে কাউন্সেলিং চললেও ক্রমশ তালিকায় পেছনের সারিতে থাকা আব্দুস রশিদ ও সঞ্চারি উপাধ্যায় নামে দুই ছাত্র ছাত্রীকে এডুকেশন বিভাগে ভর্তি করা হয় বলে অভিযোগ ।তাদের ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য ও ক্লাসে উপস্থিতির বিবরণপত্র সাংবাদিকদের হাতে তুলে দেন বিক্ষোভকরি ছাত্র ছাত্রীরা । সংশ্লিষ্ট প্রমানপত্র হাতে নিয়ে অধ্যক্ষের ঘরে অবস্থান বিক্ষোভ চালাতে থাকে তারা । অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তথা আডমিশন কমিটির আহব্বায়ক দিলীপ দেবনাথের বিরুদ্ধে । যে সমস্ত ভর্তি অনৈতিক ভাবে হয়েছে তা অবিলম্বে বাতিল করার দাবি জানায় বিক্ষোভরত ছাত্র ছাত্রীরা । পাশাপাশি পুনরায় অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করার পক্ষে সওয়াল করে তারা । আন্দোলনকারী ছাত্র সৌভিক গোস্বামী ও সৌমিক কুন্ডু জানায় - আমরা কলেজে এসে জানতে পারি দুজন ছাত্র ছাত্রীকে অনৈতিক ভাবে ভর্তি করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ । তারই প্রতিবাদ জানিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করি । আমরা আডমিশন কমিটির আহব্বায়ক পদ থেকে দিলীপ দেবনাথের পদত্যাক চায় । এই বিষয়ে মালদা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রভাস চৌধুরী জানান ছাত্র ছাত্রীদের দাবি গুলি খতিয়ে দেখে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে । অধ্যক্ষের প্রতিশ্রুতির পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় ।

পুলিশের একাংশের মদতে পুর্ব বর্ধমানে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম বাড়ছে

মোল্লা জসিমউদ্দিন

পুলিশের একাংশের মদতে পুর্ব বর্ধমান জেলায় বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম বাড়ছে।বারবার মুখ্যমন্ত্রী বর্ধমান জেলায় দামোদর - ভাগীরথী - অজয় নদনদী গুলি থেকে বেআইনি বালি সিন্ডিকেট বন্ধ করতে সরব হয়েছেন।যতবার বর্ধমানে প্রশাসনিক সভা এবং রাজনৈতিক সভা করে গেছেন, ঠিক ততবারই বালির অবৈধ কারবার বন্ধে নির্দেশ দিয়েছেন।রাজনৈতিকভাবে তৃনমূল সুপ্রিমো দেখেছেন - বালির অসাধু কারবারে খন্ডঘোষ রায়না কেতুগ্রাম মঙ্গলকোট কালনা গলসী সহ বিভিন্ন এলাকায় দলীয় নেতা - কর্মীরা খুন হয়েছে।তাই অসত কারবার বন্ধ করলে হানাহানি কমবে ওইসব এলাকাগুলিতে।রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী দেখেছেন, বালি চুরি রুখতে পারলে কোটি কোটি টাকা রাজস্ববাবদ সরকারি কোষাগারে জমা পড়বে।যা রাজ্যের কোষাগারের পক্ষে স্বাস্থ্যকর। পুলিশের একাংশের মদতে বালি মাফিয়ারা দিনের পর দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে, এই উপলব্ধি করে গত ২৯ জুলাই বর্ধমান শহরে সংস্কৃত লোকমঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী বালি কারবারে যুক্ত পুলিশ কর্মীদের উদ্দেশ্যে দুর্নীতি দমন শাখার ভিজিল্যান্স তদন্ত করবার হুশিয়ারী দিয়েছিলেন।সিআইডির একটি দল বালি নিয়ে আভ্যন্তরীন তদন্ত চালালেও, কোন কোন থানার ওসি/আইসি তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাবিত করছেন বলে দাবি উঠছে।মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই সিআইডি এই বালি বিষয়ক তদন্তটি চালাচ্ছে।জেলা ভূমি ও ভূমিসংস্কার দপ্তর চলতি সেশনে মঙ্গলকোট থেকে ৫ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা রাজস্ববাবদ আদায় করেছে।যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক আয়।প্রথম দিকে মঙ্গলকোটের অজয় নদে ৪২ টি বালিঘাট চিহ্নিত করা হলেও জমা পড়ে ২৭ টি বালিঘাটের টেন্ডার।বর্তমানে ১২ টি বালিঘাট চলছে অজয়ের বুকে।বাকি ১৫ টি অগ্রিম অর্থ জমা দেওয়া বালিঘাট গুলি চালু করা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।মূলত সড়ক পথ থেকে বালিঘাট যাওয়ার রাস্তা নিয়ে তথাকথিত 'প্রতিবাদী ' গ্রামবাসীদের অভ্যুত্থান ঘটেছে।অতীতে এইসব এলাকায় যখন ভূমিদপ্তরের অনুমোদনহীন ঘাটগুলি রমরমিয়ে চলত, তখন এইধরনের প্রতিবাদী গ্রামবাসীদের অবশ্য দেখা যায়নি।পরিস্থিতি এমন জায়গায় যে, যারা কোটি কোটি টাকা বালির টেন্ডারে জমা দিয়েছেন, তারা সরকারের কাছ থেকে বালিঘাট চালু না হওয়ার জন্য জমা দেওয়া অর্থ ফেরত চাইছেন।প্রয়োজনে আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতিও চলছে।এই সমস্যা ( রাস্তাজনিত) মেটাবার জন্য গত মাসে জেলা ভূমি ও ভূমিসংস্কার আধিকারিক প্রণব বিশ্বাসের নেতৃত্বে এক প্রশাসনিক বৈঠক হয় মঙ্গলকোট ব্লক অফিসে।সেখানে এই আধিকারিকের পাশাপাশি কাটোয়া মহকুমাশাসক সৌমেন পাল, মঙ্গলকোট ওসি প্রসেনজিত দত্ত, বিডিও মুস্তাক আহমেদ সহ বালিঘাটের ইজারদার, বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা ছিলেন।সরকারী খরচে রাস্তা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলে গ্রামবাসীরা তাও মানেনি।কেন মানেনি তারা? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামবাসীদের একাংশ এই প্রতিবেদক কে জানিয়েছেন - "মঙ্গলকোট থানার পুলিশ 'প্রতিবাদী ' সাজতে বলেছে, মাসিক টাকার ব্যবস্থা করে দেবে। না মানলে গাঁজা/বেআইনি অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে দেব বলে হুমকি দিয়েছে"। উল্লেখ্য বিগত তিনবছরে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ যাদের কে গাঁজা বা অস্ত্র মামলায় ধরেছে, তারা বেশিরভাগই বালি অধ্যুষিত এলাকার বালি মাফিয়াদের কাছে প্রতিবাদী হিসাবে পরিচিত। আইনজীবীদের একাংশ জানাচ্ছেন - এইবিধ মামলায় এফআইআর কপি, সিজার লিস্ট, চার্জশীট, ফাইনাল রিপোর্ট বিষয়গুলি পরীক্ষা করলে আসল তথ্য উঠে আসবে।বিতর্ক যতই থাকুক, মঙ্গলকোটে ভূমি দপ্তর বালি থেকে প্রায় ৬ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে, তার একাংশ অর্থ ফেরত চাইতে চলেছে বৈধ ঘাটের ইজারদাররা, এইরুপ জানা গেছে।মঙ্গলকোট থানার পুলিশের শেখানো বুলিতে গ্রামবাসীদের একাংশ রাস্তা নিয়ে প্রতিবাদী সাজছেন। এটাও মানছেন ভূমি আধিকারিকরা।মঙ্গলকোট বিধায়ক মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন "আইন মোতাবেক বালির ঘাট গুলি চলুক, সরকারি আয় বাড়বে তাতে।কমবে খুন রাহাজানি। এটাই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন"। মঙ্গলকোট ভূমি আধিকারিক রামবিলাস বাবু জানিয়েছেন - ইতিমধ্যে আমরা বালি চুরি রুখতে সিসিটিভি লাগিয়েছি মঙ্গলকোটের তিনটি জায়গায়, বালিঘাট চালাবার ইজারদারদের বোঝাচ্ছি তারা যাতে ঘাট চালাতে অনাগ্রহ না দেখান"।জানা গেছে মঙ্গলকোটের নুতনহাটে জনৈক কুরবান সেখ নামে এক বালি কারবারি মঙ্গলকোটের অজয় নদের বেআইনি বালি সিন্ডিকেটটি চালাচ্ছেন। এই সিন্ডিকেটের আওতায় থাকা ডাম্পার গুলি অতিরিক্ত বালি বোঝাই, ভিজে বালি নিয়মিত নুতনহাট এমনকি মঙ্গলকোট থানার সামনে দিয়ে গেলেও পুলিশ সেভাবে তৎপরতা দেখায় না।অভিযোগ পুলিশ পরিচালিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান ( ফুটবল/ক্রিকেট টুর্নামেন্ট প্রভৃতি) এর আর্থিক সহযোগিতা এই বালির কারবারি।পুলিশের বক্তব্য জানার জন্য মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, যোগাযোগ করা যায়নি।

বাঁকুড়ায় অন্তবঙ্গ নাট্য উৎসব

সাধন মন্ডল

বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে অনুষ্ঠিত হলো অন্তর্বঙ্গ নাট্য উৎসবের শুভ উদ্বোধন। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক অঞ্জন চক্রবর্তী। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়ার বিধায়িকা  শম্পা দারিপা। দীর্ঘ দুদশক পর বাঁকুড়ায় নাট্য উৎসব অনুষ্ঠিত হওয়ায় বাঁকুড়ার নাট্যপ্রেমী মানুষদের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত। এদিন উদ্বোধনী নাটক হিসাবে ছিল বাঁশবেড়িয়া বৃশ্চিক নাট্য দলের নাটক কিনু কাহারের থেটার। আসা করা যাচ্ছে নাট্য উৎসবের আগামী দিনগুলিতেও দর্শকেরা এরকম ভাবেই নাটকের সাথে থাকবেন।

বুধবার, নভেম্বর ০৮, ২০১৭

রাইপুরে কালাদিবস

সাধন মন্ডল

নোটবন্দির বছরপূর্তিতে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের রাইপুরে  কালাদিবস পালন করলেন রাইপুর ব্লক তৃণমূলকংগ্রেস কর্মীরা। এদিনের মিছিলে নেতৃত্ব দেন জেলানেতা গৌতম বিশ্বাস।

শালবনীতে কালাদিবস


সন্দীপ সিংহ

বুধবার দুপুরে পশ্চিম মেদনীপুরের শালবনী,সিজুয়া,ভাদুতলা এবং পীড়াকাটাতে নোট বাতিলের তুঘলকি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মিছিলে প্রায় ১০০০০ লোকের মিছিল হয়।এই মিছিলের পুরোভাগে থেকে নেতৃত্ব দেন শালবনীর ব্লক সভাপতি শ্রী নেপাল সিংহ।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজীত চক্রবর্তী এবং জেলা যুব সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ সিংহ.এই মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন অঞ্চল নেতৃত্ব শ্রী কৃষ্ণ সাধন ঘোষ। রামপদ মাহাত, নিতাই মাহাত,সজ্ঞয় খামরই,প্রশান্ত সানি,তারকনাথ মোদক,শক্তি রানী পাল এবং অসিত ঘোষ. এছাড়াও চারটি অঞ্চলের যুব নেতৃত্ব এবং শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।

মেচেদায় কালা দিবস

জাহাঙ্গীর বাদশা

মেচেদা শহরে নোটবন্দীর প্রতিবাদে কালা দিবস পালন করল INTTUC।শান্তিপুর থেকে মিছিল বের করে শহর পরিক্রমা করে সেন্টাল বাসস্ট্যান্ড পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে কালো পতাকা ছিল, নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল দাহ  করা হয়।

বর্ধমান শহরে কালাদিবস পালন

সেখ সামসুদ্দিন

বুধবার দুপুরে বর্ধমান শহরে জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের পরিচালনায় কালাদিবস পালিত হয়।উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, মেমারি বিধায়িকা নার্গিস বেগম, মন্তেশ্বর বিধায়ক সৈকত পাঁজা প্রমুখ।

কালাদিবস পালনে মালদায় গ্রুপবাজি প্রকাশ্যে

মানস দাস, মালদা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ কালা দিবস একত্রিত ভাবে পালন করতে হবে।কিন্তু সেই নির্দেশ মানছেন না মালদার তৃণমূলের নেতারা।কালা দিবস পালনে সামনে আসলো আবারও জেলা তৃণমূলের গ্রুপবাজি।পৃথক পৃথক কালা দিবস কর্মসূচি পালন করে বহাল রাখলো জেলা নেতৃত্বের গোষ্ঠিকোন্দল।একদিকে যখন নেতৃত্বে মৌয়াজ্জেম হোসেন অন্যদিকে নিজ ক্ষমতা তুলে ধরতে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী।এমনিই পৃথক কালা দিবস পালনে চিত্র উঠে আসলো বুধবার মালদায়।প্রথমে জেলা তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর নেতৃত্বে এদিন শহরের নেতাজী মোড় থেকে একটি পদযাত্রা বেরোয়।কৃষ্ণেন্দু অনুগামীদের নিয়ে বেড়ানো এই পদযাত্রা শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে শেষ হয়।সেখানেই মঞ্চ করে কৃষ্ণেন্দু বাবু সহ তার অনুগামীরা কালা দিবস পালন করেন।অন্যদিকে জেলা তৃণমূল সভাপতি মৌয়াজ্জেম হোসেনের নেতৃত্বে শহরের আইটিআই মোড় থেকে বিশাল পদযাত্রা বেরোয়।এই পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন ইংরেজবাজার তৃণমূল বিধায়ক তথা ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান নিহাররঞ্জন ঘোষ, ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার সহ হাজার হাজার তৃণমূল কর্মীরা মিছিলে পা মেলান।এই পদযাত্রা গোটা শহর পরিক্রমা করে পোস্ট অফিস মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।তবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে পৃথক পৃথক কালা দিবস পালন কেন জেলায়।এই প্রশ্নের উত্তরে কৃষ্ণেন্দু বাবু জানান - মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই আমি পালন করেছি।তাছাড়া এই প্রসঙ্গে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে চাননি।এদিকে জেলা সভাপতি মৌয়াজ্জেম হোসেন বলেন,"জেলায় আমাকে একটা মিছিলের নির্দেশ ছিলো।যা আমরা পালন করেছি।নেত্রীর নির্দেশে জনগণ আজ সারা দিয়েছে।কে কি করছে পরে দেখা হবে।কৃষ্ণেন্দু বাবুর আলাদা করে কালা দিবস পালন নিয়ে দলীয় তদন্ত হবে জানিয়েছেন জেলা সভাপতি।দিনকয়েক আগেই কলকাতায় অনুষ্ঠিত কোর কমিটির বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি ঘোষণা করে বলেছিলেন কৃষ্ণেন্দুর কাজিয়া শোনা হবে না।৮ ই নভেম্বর একত্রিত হয়ে কালা দিবস পালন করা হবে।কিন্তু মালদায় দেখা মিললো ভিন্ন চিত্র।

বাঁকুড়ায় নোটবাতিলের প্রতিবাদসভায় মন্ত্রী শ্যামল

মোল্লা জসিমউদ্দিন

বাঁকুড়া জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের পরিভালনায় কেন্দ্রীয় সরকারের নোটবন্দীর প্রতিবাদে কালা দিবস পালন হলো।উপস্থিত ছিলেন জেলার তৃনমূল নেতারা।সভায় উপস্থিত পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন -  "কেন্দ্রীয় সরকার মহম্মদ বিন তুঘলঘের মত একের পর এক জনবিরোধী সিদ্ধার্ন্ত নিয়েছে।যার ফলে সাধারণ মানুষ নিত্য নতুন সমস্যায় পড়ছেন।নোট বাতিল তার মধ্যে একটি।"

দিনবাজার প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখলেন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ

বুধবার দুপুরে জলপাইগুড়ির দিনবাজারে প্রকল্পের কাজের গতি পরিদর্শনে আসেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। প্রকল্পটি দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন তিনি।

ছবি সুজিত ঘোষ

তামিলনাড়ু থেকে উদ্ধার কোলাঘাটের প্রেমিক প্রেমিকা


জাহাঙ্গীর বাদশা

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট বিট হাউস থানার মানুয়া গ্রামের দশম শ্রেণীর ছাত্রি মধুরিমা মাঝি বয়স 15, গত 7  অক্টোবর স্কূল যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়ে যায়।পরিবারের লোকজন 8/10/17 তারিখ কোলাঘাট বিট হাউস থানায় অভিযোগ জানায়।কোলাঘাট থানার পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে যে, পাশের রামচন্দ্রপুর গ্রামের যুবক মানস মাইতি (19)  তাকে নিয়ে পালিয়েছে। কোলাঘাট থানার পুলিশ গোপন সূত্রে জানতে পারে,  ওই মানস ওই নাবালিকা ছাত্রি মধুরিমা কে তামিলনাড়ু রাজ্যের কোযেম্বটুর পি সি স্ট্রীট নিয়ে গিয়ে এ সোনার দোকানে কাজ করছে। কোলাঘাট থানার পুলিশ  মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্রেস করে  জানতে পারে অবস্থান।কোলাঘাট থানার পুলিশের একটি দল 31/10/17 তারিখ ট্রেন এ করে কোযেম্বটুর এ রওনা দেয়।গতকাল কে কোলাঘাট থানার পুলিশ কোযেম্বটুর থানার যৌথ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মানস কে সোনা দোকনে কাজ করা অবস্থায় ধরে ফেলে এবং ওই নাবালিকা ছাত্রি কে উদ্ধার করে। গতকাল কে কোযেম্বটুর আদলত দুজন কে তোলা হলে বিচারক ট্রানজিট রিমান্ড এ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেয়।কোলাঘাট থানার পুলিশ কোযেম্বটুর থেকে কন্যাকুমারী হাওড়া সুপার ফাস্ট গুরুদেব এক্সপ্রেস ট্রেন করে কোলাঘাট নামে। বুধবার দুজন কে তমলুক জেলা আদলতে তোলা হবে।

কুঁকড়াহাটি হলদিয়া ফেরীরুটে রো রো সার্ভিস চালু হবে

জাহাঙ্গীর বাদশা

রাজ্যের পরিবহনদপ্তর দূর্ঘটনা এড়াতে ও যানজট মুক্ত করতে নানা পদক্ষে গ্রহন করে চলেছেন। তার মধ্যে অন্যতম 'সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ' কর্মসূচী। সেই কর্মসূচীর পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত জেলায় ফেরিঘাটগুলির সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহন করেছে রাজ্য পরিবহনদপ্তর। রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন ফেরি সার্ভিস পরিষেবা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি হলদিয়ার কুঁকড়াহাটি রায়চক ফেরি সার্ভিসে রো রো সার্ভিস চালু হতে চলেছে। সেই পরিষেবাগুলি খতিয়ে দেখতে দপ্তরের বিভাগীয়  সচীব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়  সহ ১০ জনের একটি প্রতিনিধিদল  হলদিয়ার কুঁকড়াহাটি ফেরি সার্ভিসে পৌঁছান। এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের সাথে আলোচনায় বসেন। আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পরিবহণ দপ্তরের সচীব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়  বলেন, " রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী পরিবহন পরিষেবাকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার জন্য নানা কর্মসূচী গ্রহন করেছেন। সেই কর্মসূচীর একটি বিশেষ পরিষেবা  রো রো সার্ভিস। সেই পরিষেবার কাজ শুরুর আগে এলাকাটি ভালো করে পরিদর্শন করা হল। হলদিয়ার কুঁকড়াহাটি রায়চক রো রো সার্ভিস চালু হয়ে গেলে শিল্প শহর হলদিয়া ও কলকাতার সাথে অল্প সময়ের মধ্যে যাতায়াত সম্ভব হবে। এক সাথে ৫/৬ টি বড় গাড়ি যাতে যেতে পারে  তার ব্যবস্থা করা, সেই সাথে যাত্রী পারাপারের সুন্দর পরিষেবা চালু করার জন্য এলাকা পরিদির্শন করা হল।আগামী দেড় বছরের মধ্যে রো রো পরিষেবা চালু করা হবে"।
কুঁকড়াহাটির পাশাপাশি এদিন হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ, মহিষাদল রাজ বাড়ি ও গেঁওখালীর পর্যটন কেন্দ্রে পরিদর্শন করে প্রতিনিধিদল।।

মঙ্গলবার, নভেম্বর ০৭, ২০১৭

বাঁকুড়ার দামনিশোলে দুর্ঘটনায় জখম ৫

সাধন মন্ডল

মঙ্গলবার সকাল ৮:২৫ নাগাদ বাঁকুড়ার দামনিশোল মোড়ে একটি যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী ট্রাকের মুখোমুখী সংঘর্ষ ঘটে। বাসের ৫ জন যাত্রীর  আঘাত ছাড়া হতাহতের কোনো খবর নেই। বারবার বাঁকুড়ায় পথ দুর্ঘটনা ঘটছে।পুলিশের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

আসানসোল পুরপরিষদের বৈঠকে একগুচ্ছ প্রকল্প

মোহন সিং

মঙ্গলবার দুপুরে আসানসোল পুরসভায় উন্নয়ন বিষয়ক মেয়র পরিষদ বৈঠক হয়।সেখানে মিউজিয়াম, পেক্ষাগৃহ, সংখ্যালঘু আবাসন নির্মাণ সহ একগুচ্ছ প্রকল্প গড়ার সির্দ্ধান্ত হয়।

শালবনীতে ভগিনী নিবেদিতা গোল্ড কাপ

সন্দীপ সিংহ

ভগিনী নিবেদিতা ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এবং নিজেদের ক্লাবের রজত জয়ন্তী বর্ষ উপলক্ষ্যে শালবনীর সাতপাটি নেতাজী স্পোর্টিং ক্লাব, শালবনী জাগরণ ফুটবল কোচিং এক্যাডেমির উদ্যোগে এবং শালবনী সৃষ্টি সোসাইটির সহায়তায় শালবনী নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু স্টেডিয়ামে আগামী ২৩ শে নভেম্বর - ২০১৭ -- ২৫ শে নভেম্বর - ২০১৭ পর্যন্ত আয়োজন করা হয়েছে ভগিনী নিবেদিতা গোল্ড কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা ।
কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে খেলা  চারটি দল এই ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে বলে জানা গিয়েছে । আয়োজক দের অন্যতম কর্ণধার সন্দীপ সিংহ জানান যে , " বাঙ্গালীর প্রিয় খেলা ফুটবল আপামর জঙ্গলমহল বাসীর হৃদয়ে পৌঁছে দিতে আমাদের এই ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন" । অন্যতম উদ্যোক্তা আমলেশ চক্রবর্তী জানান - এই প্রতিযোগিতায় কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে অংশগ্রহণকারী চারটি দল অংশ গ্রহণ করবে । আগামী ২৩/১১/২০১৭ এরিয়ান্স ক্লাব কলকাতা বনাম এনবিপি রেনবো ক্লাব কলকাতা এবং ২৪/১১/২০১৭ কলকাতা কাস্টমস ক্লাব বনাম পাঠচক্র ক্লাব কলকাতা প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করবে । এবং আগামী ২৫/১১/২০১৭ ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে ।

হাতির মাহুতদের তালিম জলদাপাড়ায়

শিখা ধর

জলপাইগুড়ি জেলার জলদাপাড়া বনবিভাগে হাতির মাহুতদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন হাতি বিশেষজ্ঞ পার্বতী বরুয়া। এদিন এই বিষয়ে হাতি কে সামনে রেখে আধুনিক কায়দায় প্রশিক্ষণটি দেওয়া হয়।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER