শনিবার, এপ্রিল ১৪, ২০১৮

ভাস্কর তুমি নেই, এটা এখনও বিশ্বাস করতে পারছিনা

মোল্লা জসিমউদ্দিন

ভাস্কর তুমি নেই, এটা এখনও বিশ্বাস করতে পারছিনা।কিন্তু এটাই বাস্তব যে, তুমি গতকাল রাতে মারা গিয়েছো।মুর্শিদাবাদের সালার থানার নবগ্রামে তোমার বাড়ীর কাছাকাছি দেহ মিলেছে।কেউ বলছে গাছের ডালে তোমার ঝুলন্ত দেহ ছিল, আবার কেউ বলছে নির্জন জায়গায় তোমার খবর লেখা ব্যাগের উপর মাথা দেওয়া শায়িত ছিল তোমার দেহ।পাশে ছিল তৃনমূলের তেরঙ্গা। সম্ভবত ফাস দিয়ে খুন করার জন্য।এটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত খুন, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।তবে স্থানীয় পুলিশ দিয়ে তোমার মৃত্যু রহস্য কোনদিন উন্মোচন হবেনা।সেটা আমরা জানি।কেননা গত দিন দশ - পনেরো দিন ধরে তুমি যেভাবে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন সন্ত্রাস নিয়ে খবর পরিবেশন করেছিল।তাতে পুলিশের এবং তৃনমূলের বড় অংশ খুবই ক্ষুব্ধ।এটা কথার কথা নয়।গত ২ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত আমাদের চারটি পোর্টাল নিউজ ( বাংলার খবরাখবর, মঙ্গলকোট ব্লগস্পট,কেএসপিসি, মঙ্গলকোট ডটকম)  গুলিতে তোমার পাঠানো খবরগুলি পর্যালোচনা করলেই  বোঝা যাবে।আজ তুমি নেই, তোমার সাথে আমার সম্পক ছিল গত আট থেকে নয়মাস ধরে।তাতে তুমি  নিয়মিতভাবে খবর পাঠাতে।তূমি নিরপেক্ষভাবে সংবাদ পরিবেশন করে গেছে।আজ নিরপেক্ষতাই তোমার অকাল প্রয়াণ এনে দিল, এটা আমার ব্যক্তিগত মত।সাংবাদিকরা আত্মহননের পথ বেছে নেয়না, বরঞ্চ অন্যদের উৎসাহিত করে ভালোভাবে বাচতে।

মন্তেশ্বরে খাজাবাবার উরশ

কমল বড়া

মন্তেশ্বেরে, পিয়াগ্ৰমে খাজা বাবার উরস। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে এই উৎসব পালন করা হয়।প্রায় দুই হাজার মানুষ ভোগ খায়।সারা রাত ধরে চলে মিলাদ মেহফিল ও কাওয়ালি গান হয়।

শুক্রবার, এপ্রিল ১৩, ২০১৮

বাগদায় বিএসএফের হাতে অস্ত্র উদ্ধার


ওয়াসিম বারি

পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিএসএফ এর অগ্নেয় অস্ত্র উদ্ধার  বাগদায় ৷গতকাল রাতে বিএসএফ এর ২৩ নম্বর ব্যাটেলিয়ন এর জওয়ানেরা বাগদা থানার বয়রা কুলনন্দপুর এলাকা থেকে ৩টে পিস্তল ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে । সন্দেহ জনক যুবক কে জিগ্যাস করতেই অস্ত্র বোঝাই ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায় ৷

মাধ্যমিক কান্ডে অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি দাবিতে ময়নাগুড়ি বিডিও কে স্মারকলিপি

সোমনাথ চক্রবর্তী

শুক্রবার ময়নাগুড়ি বিডিও অফিসে নাগরিক চেতনা কমিটির পক্ষ থেকে সুভাষনগর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হরিদয়াল রায়ের শাস্তির দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।উল্লেক্ষ গত ২৩শে মার্চ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও আরো ৬ জনকে পর্ষদ অফিসে ডেকে নিয়ে গিয়ে জেরা করা হয়।সেদিন পর্ষদ সভাপতি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন আগামী সপ্তাহে পর্ষদ সির্দ্ধান্ত জানিয়ে দেবে। তার পর ৩ সপ্তাহ অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও পর্ষদসভাপতি আশ্চর্যজনক ভাবে নিরব।এর পর গতকাল একটি দৈনিক সংবাদ পত্রে প্রকাশিত খবরে বিভ্রান্ত সৃষ্টি হয়েছে।এসব কারনে এ দিন নাগরিক চেতনা  পক্ষ থেকে বিভিন্ন দাবিতে যেমন ময়নাগুড়ি সুভাষ নগর হাইস্কুলের প্রশ্নপত্র কেলেঙ্কারি ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া চলবে না।বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন করে দোষিদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।শিক্ষক বিশ্বজিৎ রায় ও অন্যান্য প্রতিবাদী ব্যক্তিদের নিরাপত্তার উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।অবিলম্বে এই স্কুলের পঠন পাঠন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনতে হবে।

মঙ্গলকোটে শ্বশুরবাড়ীতে বধূ খুন

সুকান্ত ঘোষ

শুক্রবার সকালে মঙ্গলকোটের নবগ্রামে রুমু মাঝী (১৭) নামে এক নববধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য দেখা যায়।গোতিস্টার স্বর্গীয় রবি মাঝীর মেয়ে রুমুর সাথে নবগ্রামের তাপস মাঝীর বিয়ে হয় নয়মাস পূর্বে।পণের জন্য শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চলত। মৃতার মা  এবং এক মানসিক ভারসাম্যহীন ভাই রয়েছে।অভিযোগ শ্বশুরবাড়ীর লোকেরা শ্বাসরোধ করে দেহ ঝুলিয়ে দেয়।

কাটোয়া শহরে স্কুলবাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ঢুকলো মিস্টির দোকানে


শ্যামল রায় বর্ধমান

বৃহস্পতিবার সকালে একটি বেসরকারি স্কুল বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় আহত হলেন পড়ুয়ারা। জানা গিয়েছে যে স্কুলের পাচ পড়ুয়া আহত হয়েছেন এর মধ্যে একজন ছাত্রের হাতে প্রচণ্ড আঘাত লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে এদিন স্কুল বাসটি বাড়ি বাড়ি থেকে ছাত্রদের গাড়িতে তুলছিল।
হঠাৎ করে কাটোয়া শহরের বারোয়ারি তলায় পড়ুয়াদের তুলতে গিয়ে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মিষ্টির দোকানে ধাক্কা মারে।
বাসের ধাক্কায় মিষ্টির দোকানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন মিষ্টির দোকানের কর্মচারীরা। শুধুমাত্র আহত হয়েছেন বাসের মধ্যে থাকা কয়েকজন পড়ুয়া। কাটোয়ার যাজিগ্রাম এর কাছে সেন্ট জোসেফ ইংলিশ মিডিয়ামের একটি বেসরকারি স্কুল। এই স্কুলের পুরুষদের যাতায়াত করার জন্য এই বাসটি ব্যবহৃত করা হতো। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি যে দুর্ভাগ্যবশত এই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মিষ্টির দোকানে ঢুকে পড়ে ফলে কয়েকজন ছাত্রের আঘাত লেগেছে তবে পরিস্থিতি মারাত্মক কিছু নয়। আহতদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।কাটোয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে যে বাসটিকে আটক করা হয়েছে চালক পলাতক।

সমুদ্রগড় স্টেশন এলাকার তাঁতের হাট জমজমাট


শ্যামল রায় বর্ধমান

পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা কাটোয়া মহকুমায় তাঁত শিল্পীদের বসবাস বেশি। তাই শিল্পীদের হাতে বোনা হরেক রকম শাড়ি বিক্রয় হয় সমুদ্রগড় গণেশ কর্মকার তাঁত কাপড় হাটে। সপ্তাহে তিন দিন জমজমাট হাট বসে ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত। সাধারণ ক্রেতা থেকে শুরু করে বহু ব্যবসায়ী এই হাট থেকে কাপড় কিনে দেশ-বিদেশে বিক্রি করেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও প্রতিদিন সকাল বিকেলে হাট বসে তাদের উৎপাদিত বস্ত্র নিয়ে এই হাটে বসেন।বৃহস্পতিবার ছিল তাঁত কাপড় হাট। এই হাটে এসেছিলেন কলকাতার বাগুইহাটি থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি এবং আসাম ঝাড়খন্ড প্রভৃতি অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা।এই তাঁত কাপড় হাট এর সম্পাদক সুবীর কুমার কর্মকার অনন্ত কর্মকার প্রশান্ত কর্মকার প্রাণ হরি কর্মকার জানালেন যে এই হাটের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত সুবিধে এছাড়াও হাটের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তা রাষ্ট্রীয় ব্যাংক এটিএম পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা অতিথিদের জন্য থাকার বন্দোবস্ত প্রভৃতি সুযোগ সুবিধার কারণে এই হাতটি ক্রমশই যেন তাঁত ব্যবসায়ীদের কাছে একটি উল্লেখযোগ্য পীঠস্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সপ্তাহে তিন দিন হাটে একাধিক ব্যবসায়ীরা এই হাড় থেকে পাইকারি দরে কাপড় কিনে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে থাকেন এর ফলে ব্যবসায়ীরা লাভবান হয়ে থাকেন। সেই সাথে সম্পাদক সুবীর কুমার কর্মকার জানিয়েছেন যে প্রকৃতপক্ষে তাঁতীদের হাতে তৈরি কাপড়ের মান যথেষ্ট উন্নতমানের। সেই সাথে কাপড় কোনরকম ত্রুটি ধরা পড়লে পরবর্তী সময়ে ফেরত নেওয়ার একটি ভালো ব্যবস্থাপনা রয়েছে এই হাটের ব্যবসায়ীদের মধ্যে।বৃহস্পতিবার ওই তাঁত কাপড় হাটে গিয়ে দেখা গেল যে বহু জায়গা থেকে বাড়ির মহিলারাও কাপড় কিনতে হাটে এসেছেন।
রুমা রায় প্রমীলা বসাক বাবলি সাহা রিঙকি সরকার প্রমূখ জানালেন যে তারা অন্যান্য জায়গায় যে দামে কাপড় কিনতে পারেন এই হাটে এলে অনেকটাই দাম কমে ভালো ভালো শাড়ি কিনতে পারেন কারণ তাঁতিদের কাছ থেকেই সরাসরি কাপড় কিনার সুযোগ তারা পাচ্ছেন।
তাই আমরা বাড়ির শাড়ি যেমন তিনি তেমনি যে কোন অনুষ্ঠানের জন্য এই হাট থেকে কাপড় কিনে থাকি।আরও জানা গিয়েছে যে আগামী পূজার মরশুম শুরু হতেই তাতিদের উৎপাদিত কাপড় কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। সমুদ্রগড় এর কাপড় ব্যবসায়ী আনন্দ চৌধুরী জানালেন যে আগামী শারদীয় পূজার কয়েক মাস বাকি থাকলেও এখন থেকেই আমরা কাপড় কিনে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির জন্য পাঠিয়ে দিই । এক কথায় বলা যেতে পারে যে প্রকৃত অর্থে পুজোর অনেক আগে থেকেই কাপড় কিনে আমরা পাইকারি দরে বিভিন্ন দোকানে দোকানে সাপ্লাই দিয়ে থাকি । এখন থেকেই তাঁতিরা তাদের উৎপাদিত কাপড় আমাদের কাছে সরাসরি বিক্রি করার সুযোগ পান এবং তারা লাভবান হতে পারেন ।আনন্দ চৌধুরী আরও জানিয়েছেন যে এই তাঁত কাপড় হাট এর উপর নির্ভরশীল  দুই হাজার ক্ষুদ্র মাঝারি ব্যবসায়ী তাদের রুজি রোজগারের পথ এখান থেকেই হয়ে থাকে।
এছাড়াও রয়েছে অনেকেই যারা এই হাটেই কাপড় কিনে কাপড় হাটেই বিক্রি করেন। এই কাপড় বিক্রি করেই লাভবান এবং লাভের টাকা দিয়ে সংসার চালান। এই শঙ্কাটাও নেহাত কম নয় এই হাটের ওপর নির্ভর করে অনেকেই বেঁচে থাকছেন। ব্যান্ডেল কাটোয়া রেল শাখায় সমুদ্রগড় রেলস্টেশন থেকে কিছুটা দুরেই এই তাঁত কাপড় হাট টি অবস্থিত। এছাড়াও এস টি কে কে রোড সংলগ্ন তাঁত কাপড় হাট টি অবস্থিত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব ভালো। তাই ব্যবসায়ীদের কেনা কাপড় যানবাহনের মাধ্যমেই নিয়ে যেতে কোন সমস্যা তৈরি হয় না।
কিন্তু চৈত্র সেলের বাজার পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঠেলে ফেলে জমজমাট রূপ ধারণ করেছে এই গনেশ কর্মকার তাঁত কাপড় হাটে কাপড় কেনার জন্য ক্রেতারা। পূর্ব বর্ধমান জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ হাট গণেশ কর্মকার তাঁত কাপড় হাট টি।

কাটোয়া বর্ধমান রেলরুটে ট্রেন সংখ্যা বাড়ছে


শ্যামল রায় বর্ধমান

রেলমন্ত্রী পিযুষ গোয়েল কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় কে একটি চিঠি মারফত জানিয়ে দিয়েছেন যে কাটোয়া থেকে বর্ধমান রেল পথে আরও একাধিক ট্রেন চালু করা হবে শীঘ্রই।
বৃহস্পতিবার রেলমন্ত্রী একটি চিঠি দিয়ে বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় কে জানিয়ে দিয়েছেন।
রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করে জানিয়েছেন যে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই কাটোয়া থেকে বর্ধমান রেল পথে আরও অধিক ট্রেন চলাচল শুরু করবে শীঘ্রই।প্রসঙ্গত উল্লেখ থাকে যে বর্ধমান থেকে কাটোয়ায় মাত্র একটি ট্রেন যাতায়াত করে এর ফলে চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছেন যাত্রীসাধারণ।একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলপথ কাটোয়া থেকে বর্ধমান। বাস পথে কাটোয়া থেকে বর্ধমান যেতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লেগে যায়। অথচ রেলপথে যদি কোনো যাত্রী কাটোয়া থেকে বর্ধমান যাতায়াত করে থাকেন তাহলে সময় লাগবে জোর হলেও দেড় ঘণ্টার কম। তাই রেলপথ এই যাতায়াত করা সুবিধে যাত্রীসাধারণ থেকে শুরু করে স্কুল কলেজের পড়ুয়া এবং ব্যবসায়ীদের। বেশিরভাগ অসুস্থ রোগীরা রেলপথে যাতায়াত করলে তাদের সমস্ত রকম সুবিধা হয় বলেও জানিয়েছেন কেননা বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে হয় ট্রেন পথে গেলেই সুবিধা বেশি। এই রেলপথের ওপর নির্ভর করে মঙ্গলকোট কাটোয়া কেতুগ্রামের অধিকাংশ মানুষ জন। এমনকি নদীয়ার একটা অংশ কাটোয়া ও দাঁইহাট ফেরি ঘাট পেরিয়ে কাটোয়া থেকে ট্রেন পথে বর্ধমান মেডিকেল কলেজসহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন সাধারণমানুষ। তাই একটিমাত্র ট্রেন যাতায়াত করায় চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে ওইসব এলাকার মানুষজনকে।এদিন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে একমাস আগে তিনি রেলমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটি চিঠি দিয়েছিলেন যে কাটোয়া থেকে বর্ধমান পর্যন্ত রেলপথে আরো একাধিক ট্রেন দেওয়ার। কেন্দ্রের রেলমন্ত্রী বিভাগের চিঠি পেয়ে রেলপথের গুরুত্ব বুঝে আরও অধিক ট্রেন যাতায়াত করবে এই রেলপথে সেই প্রতিশ্রুতি এবং আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। এই রেলপথে অধিক ট্রেন যাতায়াত করলে এলাকার মানুষের অনেক সুবিধে হবে বলেও জানিয়েছেন যাত্রীসাধারণ। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা কবে থেকে অধিক ট্রেন যাতায়াত করে এই রেলপথে।

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১২, ২০১৮

পঞ্চায়েত টিকিট নিয়ে জীবনের কঠিন দু:খ পেয়েছেন সিদ্দিকুল্লাহ


মোল্লা জসিমউদ্দিন

গত দুবছরে জমিয়ত নেতা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী তৃনমূলে যোগদান করে যেমন মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন,  ঠিক তেমনি দলীয়ভাবে অনেক অপমান, বঞ্চনার শিকারও হয়েছেন।পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট বিলি নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বর কাছ থেকে 'প্রতারিত' হয়েছেন বলে ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন তিনি।পরিস্থিতি এমন যে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে মঙ্গলকোট ব্লক সভাপতি ও ওসির বিরুদ্ধে চিঠি লিখতে চলেছেন।রাজনীতিগতভাবে এমন 'আঘাত' কোনদিন কোথাও পাননি তিনি।সুত্রের খবর মন্ত্রিত্ব এবং দল ছেড়ে দিয়ে পুনরায় স্বমহিমায় জমিয়তের আন্দ্রোলনে থাকতে চান সিদ্দিকুল্লাহ।কি এমন পরিস্থিতি যে তৃনমূলে  থাকতে চাননা তিনি?  পঞ্চায়েতে দলীয় প্রতীক বিলিতে শুন্য করে রাখাটা মুখ্য কারণ হলেও গত দুবছরে মঙ্গলকোটের রাজনীতিতে যেভাবে দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী তাঁকে বয়কট করার পাশাপাশি পুলিশি সন্ত্রাস চালিয়েছে।তাতে তিনি ক্ষুব্ধ।এমনকি মহিলাদের দিয়ে ঝাঁটা জুতো দেখিয়ে অশ্রাব্য গালিগালাজ খেতে হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী হয়েও।কালো পতাকা দেখানো থেকে বিধায়ক অফিসে বারবার সশস্ত্র হামলা।অনুগামীদের একের পর এক গাঁজা - অস্ত্র মামলায় ফাসিয়ে তটরস্থ করা।উল্টো দিকে ব্লক সভাপতি কে জামাই আদর করে প্রতিদিন থানায় আপ্যায়ন করা, পুলিশি রক্ষীর ব্যবস্থা স্থানীয় থানার পুলিশের দলবাজি নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠেছে।পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে শাসকদলের বিধায়ক রাজ্যের সব জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকায় থাকলেও, মঙ্গলকোটে প্রথম থেকেই ব্রাত্য করে রাখা হয় সিদ্দিকুল্লাহ কে।কখনও অরুপ বিশ্বাস ( বর্ধমান জেলার দলীয় পর্যবেক্ষক),  আবার কখনও সুব্রত বকসী (রাজ্য সভাপতি) দের সাথে মঙ্গলকোটের আসন ভাগাভাগি নিয়ে সিদ্দিকুল্লাহের কথা চললেও কেউ 'পাকা' কথা দেননি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথেও কথা চলে।চলতি সপ্তাহে তৃনমূল ভবনে শীর্ষ নেতৃত্বর উপস্থিতিতে ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী জানিয়ে দেওয়া হয় - গতবারে যারা যেখানে জিতেছিল, তারা এবারও দলীয় প্রতীক পাবে।হেরে যাওয়া ৩৮ টি আসনের মধ্যে ২০ টি বিধায়ক এবং ১৮ টিতে ব্লক সভাপতি পাবে।এটি গত ৭ এপ্রিল তৃনমূল ভবনে ফয়শালা হলেও গত ২ এপ্রিল থেকে ব্লক সভাপতির বিপুল বাহিনীর সামনে বিধায়ক অনুগামীরা মঙ্গলকোট ব্লক অফিসে ভয়ে যেতে পারেনি।এমনকি শেষপর্য্যায়ে কাটোয়া মহকুমাশাসক অফিসে গেলেও বিধায়কের অনুগামী  পঞ্চায়েত পদপ্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র তুলতে পুলিশ বাধা দেয়।বেশ কয়েকজন কে আটক করে।পুলিশের এহেন অতি সক্রিয়তার কাছে হার মানে বিধায়ক শিবির।বিধায়ক নিজ বিধানসভা কেন্দ্র মঙ্গলকোটের পদিমপুরে ৮ এপ্রিল নিজে এসে পরের দিন মনোনয়ন তুলতে যাবেন বলে আসেন।এক্ষেত্রেও মন্ত্রীর পাইলট কার, কনভয়, পুলিশি নিরাপত্তা থাকলেও, জেলা পুলিশের এক কর্তা মন্ত্রী কে জানান - ব্লক সভাপতি তার সশস্ত্র বাহিনী কে নাকি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না, আপনি কলকাতা চলে যান।পক্ষান্তরে খুন হয়ে যাবার সাবধানী বাণী দেন বলে বিধায়কের অভিযোগ। রাজ্যের মন্ত্রী এত পুলিশের মাঝেও নিরাপদ নন, তাহলে একজন সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা কোথায়? মন্ত্রী অশান্তি এড়াতে কলকাতা চলে আসেন। যদিও পুলিশের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।তৃনমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব যে আসন ভাগাভাগির ফর্মুলা দিয়েছিল।সেই রফায় মনোনয়ন পেশ পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি বিধায়ক অনুগামীদের কে।দশ থেকে বারোজন বিধায়ক অনুগামী রয়েছেন যারা গতবারে জিতে ছিলেন।উদাহরণ হিসাবে পদিমপুরের লিপিকা সুলতানা, সদর মঙ্গলকোটের অঞ্জন মুন্সি, মাঝীগ্রামের বিকাশ চৌধুরী প্রমুখ।২০ আসনে যাদের কে প্রার্থী করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছিল, তাদের প্রত্যেক কে স্থানীয় থানার পুলিশ ও ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর বাহিনী মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া এবং প্রাননাশের হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ। কেউ কেউ মারও খেয়েছে।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী সমস্ত বিষয়গুলি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কে চিঠি দিচ্ছেন।পরবর্তীতে সুবিচার না পেলে ইস্তফা দিতে পারেন।ওয়াকিবহালমহল মনে করছে গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃনমূলের প্রতীকে না দাঁড়িয়ে সমর্থিত  নির্দল প্রার্থী হয়ে দাড়ালে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ভালো করতেন।টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম বরকতির লালবাতি কান্ডে তৃনমূলের হয়ে লড়তে গিয়ে ধর্মীয় বিভাজনের শিকার হয়েছেন।সর্বশেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিধায়ক অনুগামীদের টিকিট না দিয়ে তৃনমূল সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে রাজনৈতিক সন্ন্যাস করে রাখার ব্যবস্থা করে দিল বলে মনে করছেন অনেকেই।

ভোটের প্রচার চলছে ময়নাগুড়িতে

সোমনাথ চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি

বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ি ব্লকের খাগড়াবাড়ি ২নং এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সমিতি প্রার্থী গোবিন্দ পাল ও পঞ্চায়েত প্রার্থী বাবলু রায় ভোটের প্রচার শুরু করে দিলেন।এ দিন তারা দলীয় সমর্থকদের নিয়ে টেকাটুলি বাজারে ঘোরেন ও সাধারন মানুষজনের সাথে বাক্যবিনিময় করেন।পঞ্চায়েত সমিতির আসন প্রার্থী গোবিন্দ পাল বলেন -আমি জয়ের ব্যপারে একশত শতাংশ আশাবাদী। আমি খাগড়াবাড়ি ২ নং আঞ্চলের ১৬এর১৫৯/১৬০/১৬৩এবং ১৬৪নং বুথের প্রার্থী। এ এলাকার সমস্ত মানুষ আমার সাথে আছে। মমতা ব্যনার্জীর চিন্তাধারা, উন্নয়ন এর দিকেই মানুষজন বিপুল ভোটে আমাকে জয়যুক্ত করবে।আমি ৪টি পঞ্চায়েত আসন অবশ্যই জিতিয়ে আনবো। জনগন আমার পাশেই থাকবে।মানুষের ভালোবাসা,আশীর্বাদে পঞ্চায়েত সমিতি আসন থেকে আমি বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হবো।অপর দিকে ১৬/১৬২নং বুথের পঞ্চায়ত প্রার্থী বাবলু রায় বলেন -আমরা বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হবো,শুধু সময়ের অপেক্ষা।এই এলাকায় ১১টা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ৩টা পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য। সবকটি আসনেই বিপুল ভোটে আমরা জিতবো।মমতা ব্যনার্জীর উন্নয়নে সাড়া দিয়ে মানুষের ঢল নেমেছে। অবশ্যই আমরা জিতব শুধু সময়ের অপেক্ষা।

আমরা ভয় পাইনি, ভয় পাইনা

পুলকেশ ভট্টাচার্য

পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা ঘিরে যে সংগঠিত সন্ত্রাস সাংবাদিকদের প্রতি চালানো হয়েছে শাসকদলের তরফে, সেখানে কলকাতার রাজপথে সাংবাদিকরা বিক্ষোভ দেখালেন - আমরা ভয় পাইনি, ভয় পাইনা।

গুয়াহাটিতে তৃনমূলের শক্তি বাড়ল

শিখা ধর

আসামের গুয়াহাটিতে তৃনমূলের রাজ্য সম্মেলনে ১০০ জন কংগ্রেস কর্মী তৃনমূলে যোগদান করলেন।উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের তিনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, গৌতম দেব।

আরামবাগে আগুনে পুড়ে মৃত ১, আহত ২

সুরজ আলি খান

একই পরিবারে দুই পুত্র সন্তান ও মা অগ্নিদগ্ধ হলেন। তাঁদের মধ্যে বড় ছেলের মৃত্যু হয়।আগুনে  আহত মা বেলা ক্ষেত্রপাল  ও তার ছোট ছেলে শুভ ক্ষেত্রপাল  কে হাসপাতালে প্রাথমিক  চিকিৎসা করা হয়।মৃত সন্তানের নাম শান্তনু ক্ষেত্রপাল(১২)।সে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র।ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনা আরামবাগের ২ নং ওয়ার্ডের বাঁধ পাড়ায় ঘটে মঙ্গলবার রাত 9 টা থেকে সাড়ে নটা নাগাদ।
জানা গিয়েছে, আরামবাগের ২ নং ওয়ার্ডের বাঁধ পাড়ায় একটি ঝুপড়ি বাড়িতে বেলা তার দুই সন্তান কে নিয়ে থাকেন। তাঁর স্বামী প্রদীপ  কাজের সূত্রে বর্ধমানের সেহারা বাজারে ছিলেন।মঙ্গল বার রাতে ঘরের  মধ্যে মোম বাতি জ্বালিয়ে শুয়ে পড়েন তাঁরা। মোমবাতি নেভাতে ভুলে যান তাঁরা। এদিন আবহাওয়া ঠাণ্ডা থাকায় বেলা দেবী তার দুই ছেলেকে নিয়ে সকাল করেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। রাত সাড়ে নটা নাগাদ দাউ দাউ করে পুরো বাড়ি জ্বলে যায়।কিন্তু তারা বুঝতে পারেননি।  জানতে পেরে পাড়া প্রতিবেশি ছুটে আসেন। মা ও ছোট ছেলেকে উদ্ধার করা গেলেও বড় ছেলে শান্তনু কে উদ্ধার করা যায় নি। কারণ তাঁরা বাঁশের  মাচার মধ্যে শুয়ে ছিলেন এবং তাঁর বড় ছেলে শান্তনুর একটি পা মাচার মধ্যে গলে যায়। এর ফলে সে বেশি অগ্নিদগ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও চিকিৎসা চলা কালীন বুধবার সকালে মারা যায়।ছেলের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মা বেলা। এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমেছে। হাসপাতালের বেডে বসে বেলা দেবী আফসোস করে বলেন, আমি মোমবাতি জ্বালিয়ে শুয়েছিলাম, ভাবলাম একটু পরে নিভিয়ে দেব কিন্তু ঘুমিয়ে পড়েছি। কখন যে মোমবাতি উল্টে ঘরে আগুন লেগে গেল বুঝতে পারিনি। যখন বুঝতে পারলাম তখন ছোট ছেলেটাকে নিয়ে বের হলাম ।আর বড় ছেলেটার পা মাচায় আটকে যাওয়ায় তাকে বের করতে পারিনি।আমি আমার বড় ছেলেকে বাঁচাতে পারলাম না।

ফোন এলো, মেইন লাইন অফ করতে ভূল করায় তড়িতাহত হয়ে মৃত্যু

ওয়াসিম বারি

ইলেকট্রিক শক খেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় বছর ৩৫ এর শেখ আকবর আলি।
হাবড়া থানার বিড়া ইছাপুরের  কলুপাড়া এলাকার ঘটনা।জানা যায় আজ বিকেলে ৫ টার সময় ইলেক্টটিক লাইনের কাজ করতে গিয়ে একটা ফোন আসাতে মেইন লাইন অফ করতে ভুলে যায় সে আর তার জেরেই বিপত্তি,ঘটানস্থলেই মারা যায় শেখ আকবর আলি।বাড়ি দেগঙ্গা থানার বারোগাছিয়া।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER