বৃহস্পতিবার, মে ২৪, ২০১৮

আজ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের ইফতার পার্টি

পুলকেশ ভট্টাচার্য

পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের পক্ষ থেকে আজ দাওয়াত-এ-ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে স্লটলেকের পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের প্রধান কার্যলয়ে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় ও দক্ষ প্রশাসনিক আধিকারিক তথা পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যান ডা. পি বি সালিম, আইএএস-এর উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম পার্সি, জৈন, খ্রিস্টান, মুসলিম, বৌদ্ধ ধর্মের মানুষদের নিয়ে কল্যাণমুখী নানান কাজ করছে। তাদের তৈরি বিভিন্ন পণ্যকে সকলের সামনে নিয়েও আসছে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম। এইসব পণ্য বিশ্ববাজারে উঠেও আসছে। পশ্চিমবঙ্গের বহু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েদের পাশাপাশি দরিদ্র পরিবারও চরম উপকৃত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের হাত ধরে। সংখ্যালঘুদের সাংস্কৃতিক উন্নয়নেও পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম গুরুত্ব দিয়েছে। প্রতিবছর পার্কসার্কাস ময়দানে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম উদ্যোগে মিলন উৎসবের আয়োজনও করা হয়। এবছেরর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সকলকেই মুগ্ধ করেছিল।বাংলার লোকসংস্কৃতি ভাওয়াইয়া, পল্লিগীতি প্রভৃতি সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে এক সুন্দর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উপভোগ করেছিল সেদিন বাংলার সাংস্কৃতিক মানুষেরা।
মেলালেন তিনি মেলালেন। গানে-কবিতায়-কথায়। মাঝিমাল্লা, কৃষক, গরুর গাড়ি---গ্রাম-বাংলার মাটির ঘ্রাণ। আব্বাসউদ্দিন, কাজী নজরুল ইসলাম থেকে রাঘব বন্দ্যোপাধ্যায়, আবদুল আলিম। বাংলার লোকসংস্কৃতি আর আধুনিকতার মিশেলে কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ মিলে গিয়েছিল পার্ক সার্কাস ময়দানের মিলন উৎসবে।  পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের পরিচালনায় সেদিন সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় সাক্ষী ছিল এক অভূতপূর্ব আনন্দঘন সঙ্গীত অনুষ্ঠানের। ওই দিন গানের জলসায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি সুবোধ সরকার ও কবি ফারুক আহমেদ। কবি সুবোধ সরকার তাঁর বক্তব্যে তিনি বললেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রান্তিক মানুষদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইতিহাস তৈরি করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ ধর্ম-সম্প্রদায়ের ভেদাভেদ ভুলে দুটি কুসুমে পরিণত হয়েছে, একসঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আপনারাই পেরেছেন। আপনারাই পেরেছেন। আপনারাই পেরেছেন। আবেগমথিত গলায় বলে ওঠেন কবি সুবোধ সরকার।কবিকে ফুলের স্তবক, উত্তরীয় ও মোমেন্ট দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছিল ওই দিন পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের পক্ষ থেকে।তবে ওই মিলন উৎসবের অবশ্যই সবচেয়ে বড় উপহার ছিলেন সকলের প্রিয় বিদ্রোহ কবি কাজী নজরুল ইসলামের পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী। ৮৩ বছর বয়সেও হারমোনিয়াম বাজিয়ে তিনি গাইলেন, তৌহিদেরই মুর্শিদ আমার...। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় কীভাবে 'এক বৃন্তে দুটি কুসুম' বিভিন্ন ভাষায় তরজমা করে গেয়ে বেড়াতেন, সেসব স্মৃতিচারণও করেছিলেন। সেই স্মৃতিচারণের পর হয়েছিল নবীন ও প্রবীণের মিলনে বিশেষ সঙ্গীত অনুষ্ঠান। জাতীয় স্তরে সংগীত প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া তরুণ গায়ক মীর আরেফিন রানাকে উপহার তুলে দিয়েছিলেন কল্যাণী কাজী। আরেফিনও মাতিয়ে দিয়েছিলেন ফোক আর মডার্নের মিশেলে বিশেষ সঙ্গীত পরিবেশন করে সকলকে মুগ্ধ করেছিল।কবি ফারুক আহমেদ সেদিন  দুটি তাঁর রচিত কবিতা আবৃত্তি করেছিলেন। কবি তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেছিলেন এবং কুর্নিশ জানিয়ে বলেছিলেন, "মহতি মহা-মিলন উৎসবকে সার্থক করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমেরের চেয়ারম্যান ড. পি বি সালিম সাহেব সার্থক প্রয়াস নিয়ে বাংলার সংখ্যালঘুদের সমৃদ্ধ করছেন। তার জন্য দুজনকেই অফুরন্ত ধন্যবাদ।"
ফারুক আহমেদ-এর কবিতাপাঠে মুগ্ধ হয়েছিলেন ৮ থেকে ৮০ আগত সকল দর্শকমণ্ডলী।পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের পক্ষ থেকে কবি ফারুক আহমেদকে বিশেষ ভাবে সেদিন সম্মানিতও করা হয়েছিল ফুলের স্তবক, উত্তরীয় ও মোমেন্ট দিয়ে।
সকলের প্রিয় বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী ফারুক আহমেদের হাতে ফুলের স্তবক ও মোমেন্ট তুলে দিয়েছিলেন। আর কলম পত্রিকার সম্পাদক ও সাংসদ আহমদ হাসান ইমরা উত্তরীয় পরিয়ে দিয়েছিলেন। সবমিলে সেদিনের আয়োজন ছিল চোখে দেখার মতো। পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের পক্ষ থেকে পার্ক সার্কাসের এবছর মিলন উৎসব মহা মিলনোৎসবে সার্থকতা পেয়েছিল।সঙ্গীত সন্ধ্যায় অসাধরণ সঙ্গীত পরিবেশন করেছিলেন নূপুর কাজী, নাজমুল হক ও  পলাশ চৌধুরী। আর গজল গেয়ে মাতিয়ে দিয়েছিলেন এস কে হাবিব ও শাকিল আনসারী। আর পরিচালনার পাশাপাশি কথার কারুকার্যে যোগ্য সঙ্গত করেছিলেন শাকিল আনসারী।
মিলন সন্ধ্যায় উপস্থিত ছিলেন, সাংসদ নাদিমুল হক, কবি ও লেখক সুব্রতা ঘোষ রায়, প্রবীর ঘোষ রায়, কুমারেশ চক্রবর্তী, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গৌতম পাল, সমাজসেবী এস এস আলম, আব্দুল মুজিদ, মো: আবেদ আলি, ওয়ায়েজুল হক, মহ. কামরুজ্জামান, ফিরোজ হোসেন, ডা: কবীর হোসেন, মসিহুর রহমান-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।পার্ক সার্কাসের স্কুল থেকে আসা ইউনিফর্ম পরা মেয়েরা দর্শক আসনে, দর্শক আসনে উর্দুভাষী হিজাবি, আশেপাশের মানুষ আর বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বাঙালি। সব মিলে গিয়েছিল একসঙ্গে। ভাষার ব্যবধান ঘুচে গিয়েছিল। তাই সভা যখন শেষ হচ্ছিল, ব্যাকগ্রাউন্ডে যখন নূপুর কাজীর কণ্ঠে বাজছিল বিদায়ের সুর 'ছেড়ে দে নৌকা আমি যাব মদিনা', তখন পার্ক সার্কাসের স্থানীয় বাসিন্দা বলে উঠছিলেন, 'বাঙাল লোগ হামেশা কামাল করতে হ্যায়।' তরুণ প্রজন্ম গুগলে সার্চ দিচ্ছে একটু আগে গাওয়া বাংলা গানগুলি। মিলে যাচ্ছে ঐতিহ্য আর তারুণ্য। পলাশ চৌধুরীর গান দিয়ে সঙ্গীত অনুষ্ঠান শেষ হয়েছিল। সকল সঙ্গীত শিল্পীদের পাশাপাশি মহা সঞ্চালক ও পরিচালক শাকিল আনসারীকেও সেদিন সম্মানিত করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের পক্ষ থেকে।সেদিন পার্ক সার্কাস ময়দানে বৈচিত্রের মাঝে মহামিলনের উৎসবে গানের ভুবনে হারিয়ে যাওয়ার দিন ছিল।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর অনুপ্রেরণায় পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম এর উদ্যোগে ১০ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে ১৯ ফ্রেব্রুয়ারি, ২০১৮ পর্যন্ত পার্ক সার্কাস ময়দানে আয়োজিত হয়েছিল এই "মিলন উৎসব ২০১৮"। পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিজস্ব কুটির শিল্প, খাবারদাবার এবং সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটেছিল এই মিলন উৎসবে। এছাড়াও এই উৎসবে ছিল কেরিয়ার কাউন্সেলিং ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির। প্রতিদিন চলেছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মিলন উৎসব সার্থক করতে সকলকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ড. পি. বি. সালিম, আই.এ.এস., সচিব, সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং চেয়ারম্যান, পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগম। মৃগাঙ্ক বিশ্বাস, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগম।পার্ক সার্কাস ময়দানে বৈচিত্রের মাঝে মহামিলনের উৎসবের শুভ সূচনা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
বিশেষ অতিথি হয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান ও গিয়াস উদ্দিন মোল্লা। পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম আয়োজিত মিলন উৎসবে চাকরি এবং শিক্ষা কাউন্সিলিং-এ আগ্রহী চাকরি প্রার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। ভিড় হয়েছিল বিদেশে পড়তে যাওয়ার খোজ নিতে। বিশেষ করে মেডিক্যাল শিক্ষার কোথায় কি সুযোগ সুবিধা আছে তা জানার আগ্রহ ছিল খুব।
বিদেশে চাকরি পেতে কোথায় কী করতে হবে তা জানার আগ্রহে বহু চাত্র-ছাত্রী মিলন উৎসবে হাজির হয়েছিল।সারা মেলা জুড়ে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত  নিগমের সুবিধাভোগীদের তৈরি নানা ধরনের অলঙ্কার, পোশাক প্রদর্শন ও বিক্রি হয়েছিল বিভিন্ন স্টলে। মিলন উৎসব জমে উঠেছিল এবং মানুষের উৎসহ দিন দিন চোখে পড়েছিল।
পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যান ডা. পি বি সালিম সাহেব বলেছিলেন, "নিগমের কাছ থেকে ক্ষুদ্র ও মেয়াদি ঋণ নিয়ে যারা ব্যবসা করে স্বনির্ভর হয়েছেন, তারা এখানে পণ্য সম্ভার সাজিয়েছেন। তাদের পণ্য কিনতে মানুষ স্টলগুলিতে হাজির হচ্ছেন। বিক্রিবাটা ভাল হচ্ছে। নিগমের মেলা করার মূল লক্ষ্য মানুষের কাছে এই সব প্রান্তিক মানুষের সৃষ্টিকর্ম তুলে ধরা এবং তার বিপণনের ব্যবস্থা করা। জনসমাগম এবং ক্রেতা আমাদের উৎসাহিত করছে।"মিলন উৎসবেকে সার্বিক সফল করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন ডা. পি. বি. সালিম, আই.এ.এস., সচিব, সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং চেয়ারম্যান, পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগম। মৃগাঙ্ক বিশ্বাস, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, জিএম তথা জেনারেল ম্যানেজার শামসুর রহমান এবং মোঃ নকি, পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগম। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের অন্যান্য আধিকারিক ও কর্মচারীবৃন্দ।
মিলন উৎসবে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ছিলেন ফ্রি কেরিয়ার কাউন্সেলিং এবং
চাকরি পাওয়ার পরামর্শ।
মিলন উৎসব উদ্বোধনের পর স্বাগত ভাষণ হয়েছিল এবং তারপর স্কলারশিপ, ঋণ, প্রভৃতি প্রদান করাও হয়েছিল।মিলন উৎসবে আল আমীন মিশনের স্টল ছিল। ৯২ নম্বর স্টলটি ছিল আল আমীন মিশনের। এখানে আল আমীন মিশনের পত্র-পত্রিকার সঙ্গে "উদার আকাশ" পত্রিকার বইমেলা বিশেষ সংখ্যা ২০১৮ পাওয়া গিয়েছিল।

কল্যাণী পুরসভার উদ্যোগে রক্তদান হল

ফারুক আহমেদ

রক্তদান মহত দান, আপনার রক্তদানের ফলে একজন রোগীর প্রাণ বাঁচতে পারে। তাই আপনিও এগিয়ে আসুন রক্তদানের মতো মহত কাজে। কল্যাণী পৌরসভার উদ্যোগে ২৩ মে বুধবার সকাল ১০ টায় কল্যাণীর ঋত্বিক সদনে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। কল্যাণী পৌরসভার শুভ উদ্যোগে মানুষের বিপুল সাড়া মেলে এবং ১১২ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। কল্যাণী পৌরসভার পৌর প্রধান সুশীল কুমার তালুকদার মহতী রক্তদান শিবির সাফল্যমন্ডিত করতে তিনি সকলকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কল্যাণী পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের পৌর মাতা নবনিতা বসু জানিয়েছেন, "আমরা প্রতিবছর সমাজ কল্যাণে রক্তদান শিবির সহ বহু কর্মসূচি নিয়ে থাকি। সারাবছর আমরা মানুষের কল্যাণে কাজ করি এবং কল্যাণী পৌরসভার মাধ্যমে পরিসেবা দিয়ে আসছি। আমরা আশা রাখেছিলাম বহু মানুষ রক্তদানে এগিয়ে আসবেন এবং রক্তদানের মতো মহত কাজে সামিল হবেন। বাস্তবিক আমাদের আয়োজন সার্থক করতে ১১২ জন মানুষ রক্তদান করলেন।" কল্যাণী শহর তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মকর্তারা সহ নদীয়া জেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন রক্তদান শিবির সফল করতে।

বুধবার, মে ২৩, ২০১৮

'সারাবাংলা আহলে সুন্নাত হানাফী জামাত' এর বহরমপুর অফিস

মোল্লা শাহজাহান - নিপু


বহরমপুর বাজার পারায় 'সারা বাংলা আহলে সুন্নাত হানাফী জামাত'এর একটি কার্যালয় উদ্বোধন করলেন রাজ্য সম্পাদক সৈয়দ তাফহীমুল ইসলাম। সহ সম্পাদক আব্দুল হাই রিজভী, মুরশিদাবাদ সভাপতি হাফেজ গোলাম রাসূল, সম্পাদক মাওলানা মেহের আলী সাহেব, ব্লক সম্পাদক এনামুল হক প্রমুখ।

কাটোয়া - দাঁইহাটে চলছে মধুচক্র

সুকান্ত ঘোষ

পূর্ব বর্ধমান জেলার সীমান্তবর্তী শহর কাটোয়া এবং দাঁইহাটে বেশকিছু সিনেমাহল/হোটেল গুলিতে চলছে মধুচক্র। সম্প্রতি দাঁইহাটে এক সিনেমাহলে আপত্তিকর অবস্থায় থাকা যুগলদের নিয়ে 'জনরোষ' দেখা যায় এলাকায়।কাটোয়া শহরে কিছু হোটেলে স্থানীয় থানার পুলিশ ম্যানেজ করে অত্যন্ত গোপনে চলে মধুচক্র। এইরুপ অভিযোগ স্থানীয়দের।তবে পুলিশের তরফে এই ম্যানেজ বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।

হাবড়ায় জয়ী তৃনমূল প্রার্থী খুনে গ্রেপ্তার বিজেপি কর্মী

ওয়াসিম বারি


উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া ১ নম্বর ব্লকের বেড়গুম ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জামতলা এলাকায়  ভোটের দিন গত সোমবার বিকালে আচমকা বাইক বাহিনীর দুষ্কৃতীদের হাতে আহত হন তৃনমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী বিপ্লব সরকার ।নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর জানা গেছে তিনি ৮১ ভোটে জয়লাভ করেছিলেন,  তৃনমূল কর্মী দের মুখে হাসি ফিরিয়ে দিয়ে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় l এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে শনিবার কার্যত বন্ধের চেহারা নিয়েছে বেড়গুম ১ ও ২ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকা ।   উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া ১ নম্বর ব্লকের  বেড়গুম ২ নং পঞ্চায়েতের জামতলা এলাকায় গত সোমবার বিকালে আচমকা বাইক বাহীনির হাতে আহত হয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী বিপ্লব সরকার আশঙ্কাজনক অবস্থায়  কলকাতার একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, শুক্রবার   মৃত্যু হয় বিপ্লব সরকারের। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে।গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে হাবড়া থানার পুলিশ বিবেক বিশ্বাস কে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেফতার করেছে l

মঙ্গলকোটে বিধায়ক - সাংসদ তহবিলে অনুন্নয়ন

মোল্লা জসিমউদ্দিন

পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে সারাবাংলায় যখন শাসকদলের বিধায়করা নিজ নিজ কেন্দ্রে সময় বেশি দিয়ে গেছেন। আবার মন্ত্রী হলে তো নিজ জেলা তো বটেই আশেপাশে জেলায় নির্বাচনী প্রচারে দেখা গেছে অন্যদের কে ।সেখানে মঙ্গলকোট বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী রাজ্যের মন্ত্রী হয়েও তৃনমূলের কোন নির্বাচনের প্রচারে মঞ্চে স্থান পাইনি।এমনকি গত দেড়মাসের বেশি সময়কালে মঙ্গলকোটে ঢুকতে পারেননি।এমন পরিস্থিতি যে, আগামী কয়েকমাস যে মঙ্গলকোট যেতে পারবেন না।তা বিশস্ত অনুগামীদের আগাম বলে রেখেছেন সিদ্দিকুল্লাহ।মঙ্গলকোটে গত ৮ এপ্রিল সর্বশেষ দেখা গেছে।তারপর থেকেই বেপাত্তা তিনি।মুখ্যমন্ত্রী নাকি জানিয়েছেন বিধায়ক কে - পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন পর্ব মিটলেই সুবিচার তিনি দেবেন।ভবিষ্যতে কি হবে, সেটা পরের বিষয়।এখন মঙ্গলকোট বিধানসভা এলাকায় বাৎসরিক ৬০ লক্ষ বিধায়ক তহবিলের উন্নয়নকাজ পুরোপুরি বন্ধ বলা যায়।গত দুবছরের নিরিখে ২০১৬-১৭ বর্ষে বিধায়ক তহবিল খরচ হয়েছে, চলতি আর্থিকবর্ষে কোন কাজ হয়নি।উল্টে অনুদান ফিরে যাচ্ছে।যেখানে চারিদিকে এত 'উন্নয়ন',  সেখানে মঙ্গলকোটের বিধায়ক তহবিলের উন্নয়ন স্তব্ধ গোষ্ঠীবিবাদের রাজনীতির বেড়াজালে।স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন সারা রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নে ছুটে বেড়াচ্ছেন জেলায় জেলায়।সেখানে মঙ্গলকোটের উন্নয়নকাজ একপ্রকার বন্ধ বলা যায়।শুধু  সিদ্দিকুল্লাহের বিধায়ক তহবিল নয়, অনুপম হাজরার সাংসদ তহবিলেরও ২০১৪ সালের পর থেকে সেভাবে কাজ হয়নি।অনুব্রত মন্ডল বিরোধী শিবিরের মধ্যে পড়েন বিধায়ক ও সাংসদ। একটি ব্লকে যেমন কেন্দ্রসরকার ও রাজ্যসরকারের অনুদান আসে উন্নয়নকাজে, ঠিক তেমনি স্থানীয় বিধায়ক - সাংসদদের নিজস্ব উন্নয়ন তহবিলের অনুদান সামগ্রিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ দিক।মঙ্গলকোটের রাজনীতি বলয়ে এই বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় পর্যবেক্ষক অনুব্রত মন্ডলের সাথে সাংসদ অনুপম হাজরা এবং বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর সম্পক সাপেনেউলে। এই সম্পকের টানাপোড়নে মার খাচ্ছে মঙ্গলকোটের যথার্থ উন্নয়ন।এমনিতেই রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে দেখিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদল শুন্যের পাশাপাশি বিক্ষুব্দ গোষ্ঠীদের জব্দ করেছেন অনুব্রত মন্ডল। এইরুপ অভিযোগ বিরোধীদল সহ শাসকদলের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীও।এখন প্রশ্ন বিধায়ক - সাংসদ দুজনকেই উপেক্ষা সর্বোপরি বিধায়ক - সাংসদ তহবিল বাদ দিয়ে কিভাবে মঙ্গলকোটে প্রকৃত উন্নয়ন ঘটবে, তা নিয়েও।গত চারবছরে বোলপুরের সাংসদ অনুপম হাজরা তাঁর নির্বাচনীক্ষেত্র আউশগ্রাম - মঙ্গলকোট বিধানসভা এলাকাগুলিতে সাংসদ তহবিলের বড় কোন প্রকল্প করতে পারেননি।মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতি কুনুর নদীর উপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প সহ বেশকিছু প্রকল্পর প্রস্তাবনা দিলেও, তা বাস্তবায়ন ঘটেনি অনুব্রত অনুগামী পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি বলে।সাংসদ মেয়াদকাল শেষ হতে একবছরও সময় নেই।সেখানে চারবছরের ঘাটতি কিভাবে মিটবে? যদিও এইরুপ কোন প্রয়াস দুই শিবিরের মধ্যে কারও নেই।এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী কড়া পদক্ষেপ নিলে কিছু কাজ হতে পারে।তবে সে আশায় গুড়ে বালি।উল্লেখ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের শিবদায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে ডাক পাননি সংশ্লিষ্ট এলাকার সাংসদ অনুপম হাজরা।তাহলে বোঝা যায়, সাংসদের গুরত্ব কতখানি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাও উন্নয়নের প্রশাসনিক বৈঠকে।অপরদিকে মঙ্গলকোট বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ তাঁর মেয়াদকাল পাঁচবছরের মধ্যে ইতিমধ্যে দুবছর কাটিয়ে ফেলেছেন। এককোটি কুড়ি লক্ষ অনুদান তিনি বিগত দুছরে খরচ করতে পারেননি উন্নয়ন প্রকল্পে।মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতি, ব্লক, পনেরোটি গ্রামপঞ্চায়েতে কোন সরকারী অনুষ্ঠানে তাঁকে রাখা হয়না অনুব্রতের সাথে বিরোধ হওয়ার জন্য।বিধায়ক তহবিল থেকে তিনটি আম্বুলেন্স এখন আর চলেনা।শুধুমাত্র মঙ্গলকোট ব্লক হাসপাতালে প্রসূতিগৃহ নির্মাণ জ্বলজ্বল করছে বিধায়ক অনুদানে।আগামী তিনবছর এই ট্রাডিশান অব্যাহত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে তাহলে সাংসদ এবং বিধায়ক তহবিলের কোটি কোটি অনুদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মঙ্গলকোটবাসি।কেন্দ্রীয় সরকারের নানান প্রকল্প বিশেষত একশোদিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, স্বছ ভারত নির্মাণ প্রকল্পগুলিতে খাতাকলমে উন্নয়ন দেখিয়ে টাকা লুট করেছে ক্ষমতাসীন নেতারা।এইরুপ অভিযোগ বিরোধীদল গুলির স্থানীয় নেতাদের।এইরুপ উন্নয়নের দৌরাত্ম্যে এবার পঞ্চায়েত ভোটে কোন বিরোধী প্রার্থী নাকি খুঁজে পাওয়া যায়নি।এক্ষেত্রে উন্নয়নকাজ নিয়ে অভিযোগ তোলার কোন বিরোধী জনপ্রতিনিধি রাখলো না।যেখানে শাসকদলের সাংসদ - বিধায়কের এহেন হাল, সেখানে বিরোধীদের অবস্থা শোচনীয়। খাতাকলমে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে , প্রকৃত উন্নয়ন অধরায় রইবে মঙ্গলকোটে।এই দাবি সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাবাসীর।

কালনা মহকুমা হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ সরলো স্পেশাল হাসপাতালের ভবনে


শ্যামল রায়

কালনা মহাকুমা হাসপাতালে  প্রতিদিন যেমন রোগীর চাপ বাড়ছে তেমনি স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি ঘটছে বলে দাবি হাসপাতাল সুপারের।
বুধবার হাসপাতালে সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বাড়ৈ জানিয়েছেন যে হাসপাতালে পুরনো বিল্ডিং থেকে সুপার স্পেশাল হাসপাতাল ভবনটিতে প্রসূতি বিভাগ সরানো হয়েছে। আর পুরনো প্রসূতি বিভাগে চালু করা হবে শিশু বিভাগ। সুপার স্পেশাল ভবনের  ৪ তলা বিল্ডিং এ প্রসূতি বিভাগটি চালু করা হলো। ভবনটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার। ফলে প্রসূতি বিভাগের জটিল কোনো অপারেশন অতি সহজেই এই বিল্ডিং এর মধ্যেই করা হবে তাই প্রসূতি বিভাগের রোগীদের সুবিধে হল।
তিনি আরও জানিয়েছেন যে আগামী দিন এই সুপার হসপিটালের চারতলা বিল্ডিং এর সমস্ত বিভাগ এনে চিকিৎসা পরিকাঠামোর উন্নতি ঘটানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
সুপার কৃষ্ণ চন্দ্র বাড়ৈ আরও জানিয়েছেন যে বর্তমানে রেফারের সংখ্যা অনেকটাই কমানো সম্ভব হয়েছে। যদিও কয়েকটি বিভাগের চিকিৎসকের অভাব আছে বটে তবে স্বাস্থ্য পরিষেবার আগের তুলনায় অনেকটাই ভালো। হাসপাতালে উন্নয়ন ঢেলে সাজানোর কাজ অনেক আগেই শুরু হয়েছে বহু কাজ শেষ হয়েছে আরও কাজ চলছে। হাসপাতালে রয়েছে ন্যায্যমূল্যের দোকান রয়েছে। রয়েছে ল্যাবরটরি ও ব্লাড ব্যাংক। ব্লাড ব্যাংকে রক্ত সংকট নেই বলে তিনি এ দিন জানিয়েছেন।

নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পরিষেবা বাড়ছে


শ্যামল রায়

ঝাঁ-চকচকে হাসপাতালের রূপ  পেয়েছে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। পরিষেবার যথেষ্ট উন্নতি হলেও শুধুমাত্র অভাব মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক। ১২৫ বেডের অনুমোদিত হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা এতটাই বেশি যে এক বেডে দুজনকেই থাকতে হয়। তবে কখনো কখনো রোগীর সংখ্যা অত্যাধিক বেড়ে যায়। শুধুমাত্র অভাব চিকিৎসকের।বুধবার হাসপাতালে সুপার বাপ্পা ঢালী জানিয়েছেন যে হাসপাতালকে ঢেলে সাজাতে এক কোটি টাকার স্কিম পাঠানো হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে। এছাড়াও হাসপাতালে একটি ডিজিটাল এক্স-রে বিভাগ চালুর ব্যাপারে আবেদনপত্র পাঠানো হয়েছে জেলা ও স্বাস্থ্য দপ্তরে। তিনি আশাবাদী খুব তাড়াতাড়ি হাসপাতালকে ঢেলে সাজানোর কাজে বিভিন্ন ধরনের পাঠানো আবেদনপত্র বাস্তবায়িত হবে।
এই হাসপাতালে রয়েছে একটি ব্লাড ব্যাংক রয়েছে ন্যায্য মূল্যের দোকান। আরো জানা গিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ইতিমধ্যেই হাসপাতাল সুপার হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবার সফলতার জন্য পুরস্কার পেয়ে গিয়েছেন।
প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা তাই ইতিমধ্যে আরো ৫০টি বেড সংখ্যা বাড়ানোর আবেদন করেছেন জেলা -রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কে। বিষয়টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল কে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হয়েছেন বলে বিশেষ সূত্রে খবর।হাসপাতাল সুপার বাপ্পা ঢালি আরও জানিয়েছেন যে এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসকের সংখ্যা ২১জন  ও নার্সের সংখ্যা ৪১জন।চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী সংখ্যা ৩০জন। কিন্তু এই সংখ্যাটা কম থাকায় শূন্য পদ খালি রয়েছে।এক্সরে বিভাগে রয়েছেন দুই জন কর্মচারী লাইব্রেরী খুব ভালো চলে বলে জানা গিয়েছে।
তবে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ হাসপাতাল থেকে কোন রোগীকে রেফার করা যাবেনা। সেই দিক থেকে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল অনেকটাই এগিয়ে গেছে। রেফার সংখ্যা অনেকটাই কমে দাঁড়িয়েছে। সুপার পরিসংখ্যান দিয়ে জানান যে গত সোমবার হাসপাতালে ৬৪জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।কাল থেকে রেফার করা হয়েছে ছয়জনকে। রেফারের সংখ্যা অনেকটাই কম দাঁড়িয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে এই হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের স্থায়ী চিকিৎসক থাকলে  রেফারের সংখ্যা আরো অনেকটাই কমানো যেত। মেডিসিন বিভাগে ডেপুটেশনে একজন চিকিৎসক রয়েছেন তিনি সপ্তাহে তিনদিন পরিষেবা দিয়ে থাকেন বর্তমানে ছুটিতে থাকার কারণে পরিষেবা অনেকটাই ব্যাঘাত ঘটছে বলে তিনিও স্বীকার করেছেন। তাই মেডিসিন বিভাগে একজন চিকিৎসকের প্রয়োজন জোর দিয়ে জানালেন সুপার।এই মুহূর্তে বিভিন্ন ধরনের অপারেশনে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যথেষ্ট সুনাম বেড়েছে।সুপার আরও জানালেন যে হাসপাতালে সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত চিকিৎসক এবং কর্মীদের আবাসন এর বিষয়। হাসপাতালে কোয়াটার গুলির অবস্থা জরাজীর্ণ। হাসপাতাল চত্বরে কোয়ার্টারে মাত্র তিনজন চিকিৎসক থাকেন আর সকলেই গ্রুপ সি কর্মচারীরা থাকেন। আবাসন সংস্কারের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই আবেদনপত্র করা সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত সদুত্তর মেলেনি। বিষয়টি কার্যকারী হলে অনেকেই থাকতে পারেন এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি ঘটবে। রয়েছে একটি মাত্র সরকারি অ্যাম্বুলেন্স এছাড়াও রয়েছে ৯ টি মাতৃ যান।
নবদ্বীপ শহর সংলগ্ন এলাকা জুড়ে যক্ষা রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়লেও বর্তমানে চিকিৎসার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সফলতা অর্জন করেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। যক্ষা রোগে আক্রান্তদের হাসপাতাল ছাড়াও শহরের বিভিন্ন জায়গায় নয়টি সেন্টার আছে। এই সেন্টার গুলি থেকে যক্ষা রোগে আক্রান্তরা স্বাস্থ্যপরিসেবা পান এবং ওষুধ খান। প্রতিদিন আউটডোরে পাঁচ শতাধিক রোগী পরিষেবা পান বলে জানা গিয়েছে। রয়েছে রোগী কল্যাণ সহায়তা সমিতির অফিস। হাসপাতালে আসা রোগীরা ও তাদের পরিবার পরিজনেরা বিভিন্নরকম তত্ত্ব জানতে পারেন এই রোগী কল্যাণ সহয়তা কেন্দ্র থেকে।ঝাঁ-চকচকে হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতি ঘটলেই জেলা রাজ্যের মধ্যে একটি ভালো হাসপাতাল হতে পারে বলে অনেকেই মতামত দিয়েছেন। হাসপাতালে সুপার কর্ম উদ্যোগী মানুষ হিসাবে স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়ন ঘটাতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে হাসপাতালে আসা রোগীদের তরফ থেকে জানা গিয়েছে। হাসপাতালে আসারোগীদের মধ্যে অনেকেই বলছেন যে হাসপাতালে আল্টাসনোগ্রাফি বিভাগটি বন্ধ থাকায় একটু সমস্যা হচ্ছে। সুপার বলেছেন যত দ্রুত সম্ভব আল্টাসনোগ্রাফি চালু করার উদ্যোগ তিনি গ্রহণ করেছেন। তবে হাসপাতালের মেন গেটে অনেকটাই যানজট হয় সে বিষয়টি সুপার বলেছেন মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাবের কারণেই এই ধরনের যানজট হচ্ছে। বিষয়টি আমরা বারবার দেখেছি এবং হাসপাতালে আসা রোগী এবং তাদের পরিবার-পরিজনকে সতর্কতা করলেও একটু সমস্যা হচ্ছে।তবে হাসপাতালের উন্নয়নমুখী  ঢেলে সাজানোর কাজ দ্রুত হোক দাবি করেছেন রোগীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। হাসপাতালের উন্নয়নে নবদ্বীপ পৌরসভার চেয়ারম্যান বিমান কৃষ্ণ সাহা  ও স্থানীয় বিধায়ক পুন্ডরীকাক্ষ সাহা জানিয়েছেন যে হাসপাতালে আসা রোগীরা যাতে ভালো পরিষেবা পার সে বিষয়ে আমরা বারবার নজর রাখছি এবং দেখছি। ব্লাড ব্যাংকে যাতে রক্ত থাকে তার জন্য মাঝেমধ্যেই রক্তদান শিবির আয়োজন করা হয়। নবদ্বীপ ব্লাডব্যাংকের রক্তের জন্য মুমূর্ষু রোগীদের যাতে অসুবিধে না হয় রক্তের অভাবে মৃত্যু না ঘটে সে বিষয়ক আমরা সতর্ক থাকব।

মঙ্গলবার, মে ২২, ২০১৮

ভোট লুটের প্রতিবাদে মানিকচক ব্লক কংগ্রেস


পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদা জেলায় পায়ের তলা থেকে মাটি হারিয়েছে কংগ্রেস। প্রবল ধস নেমেছে ভোট ব্যাংকে। গনি মিথ ভেঙে চুরমার। উন্নয়নের জোয়ারে মানুষ ভোট দিয়েছে  তৃণমূলকে। কিন্তু মালদা জেলা কংগ্রেস নিজেদের ভুল ত্রুটি সংশোধন না করে তৃনমূলের কুৎসা রটাতেই ব্যস্ত। তারই প্রতিফলন হিসেবে মালদার মানিকচক ব্লক অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল কংগ্রেস।ব্লক কংগ্রেসের ডাকে মঙ্গলবার মোট আট দফা দাবি নিয়ে ডেপুটেশন বিক্ষোভে  সামিল হয় হাতে গোনা জনাকয়েক কংগ্রেস কর্মী সমর্থকেরা।এই বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্বে দেন মানিকচক কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক মোত্তাকিন আলম। এদিন প্রায় ঘন্টা খানেক ব্লক অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেসিরা ।এই প্রসঙ্গে বিধায়ক মোত্তাকিন আলম বলেন,আট দফা দাবি নিয়ে বিডিও-র কাছে এসেছি।এই ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে সারা বাংলা জুড়ে নানান চিত্র দেখেছি।মনোনয়ন থেকে বুথ সমস্তই লুট হয়েছে।কিন্তু অবাক লাগছে গণনাকেন্দ্র লুট হচ্ছে।মানিকচক গণনাকেন্দ্রে লুট হয়েছে।আজ না জিতেও জিতেছে তৃণমূল।কংগ্রেসের এই ব্লক ঘেরাও ডেপুটেশন  অভিযান ঘিরে পুলিশি নিরাপত্তা ছিলো চোখে পড়ার মতো।করা পুলিশের পাহারায় মুড়ে ফেলা হয়েছিলো ব্লক প্রশাসনিক ভবন চত্বর। মানিকচক ব্লক তৃণমূল নেতা সুনন্দ মজুমদার বলেন, কংগ্রেস নাটক করছে। মানুষ উন্নয়নের পক্ষেই ভোট দিয়েছে। কংগ্রেস মানিকচকে উন্নয়নে করেনি। ঢালাও উন্নয়ন করেছে তৃণমূল তাই মানুষ দুহাত ভরে ভোট দিয়েছে।

পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত ভালুকা

মানস দাস,মালদা

এক সাইকেল আরোহীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল মালদার ভালুকা এলাকা।  পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় এক সাইকেল আরোহীর মৃত্যুর ঘটনায় ভালুকা পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় মৃতের পরিবারবর্গ ও এলাকার মানুষজন। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ভালুকা এলাকার মালদা চাঁচল রাজ্য সড়কে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম,হোসেন আলী(৫৫)।  পেশায় তিনি ছিলেন এক  গৃহশিক্ষক। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা নাগাদ, হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নং ব্লকের বেগুনবাড়ি গ্রাম থেকে ভালুকায় যাচ্ছিলেন টিউশন পড়াতে।  এমন সময় হঠাৎ করে একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রন হারিয়ে তাকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।  পরিজনদের অভিযোগ, পরিবারের লোক না আসতেই মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়ে পরিবারের লোকেরা এবং স্থানীয়রা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ ফাঁড়ির ভিতরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখায়। সাময়িক এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।জানা গিয়েছে ঘাতক পিকআপ ভ্যানটি কে আটক করেছে পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তর জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভালুকা ফাঁড়ির পুলিশ।

কোটি মুল্যের বিরল প্রজাতির তক্ষক ধরলো বিএসএফ

মানস দাস,মালদা

চারটি বিরল প্রজাতির  তক্ষক সহ দুইজনকে আটক করল বি এস এফ।  ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় ওই তক্ষক গুলি বাংলাদেশে  পাচারের করার চেষ্টা করছিল অভিযুক্তরা বলে জানা গেছে। মালদা জেলার হবিবপুর থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে সন্দেহভাজন দুই যুবককে আটক করেছে বিএসএফ। ধৃতদের তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় বিরল প্রজাতির চারটি তক্ষক। যেগুলির বাজারমূল্য প্রায় কোটি টাকা। কি উদ্দেশ্যে পাচারকারীরা পাচারের চেষ্টা করছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে হবিবপুর থানার পুলিশ।  বিএসএফ উদ্ধার হওয়া চারটি তক্ষক ও ধৃতদের বনদফতরের হাতে তুলে দেয়। ধৃতদের নাম,হারান বিস্বাস(২৮) ও শিবা বিশ্বাস(২৫)। অভিযুক্তরা  হবিবপুর থানার নন্দক এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। ধৃতদের মঙ্গলবার মালদা জেলা আদালতে তোলা হয়েছে।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER