শুক্রবার, মে ২৫, ২০১৮

উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসায় থাকা চার বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

ওয়াসিম বারি

চার জন বাংলাদেশী গ্রেপ্তার বাদুড়িয়ায় ,পুলিশ সূত্রের খবর গত এক বছর আগে এরা চোরা পাথে এ দেশে প্রবেশ করে সোজা উত্তরপ্রদেশ এর এক মাদ্রাসায় স্থান নেয় , এক বছর সেখানে থাকার পর তারা পশ্চিমবঙ্গ হয়ে চোরা পথে বাংলাদেশের উদ্যেশে রত্তনা হয় , বাদুড়িয়া থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই চার জন বাংলাদেশী কে গ্রেপ্তার করে , অাজ এই চারজনকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে ৷

শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য কেতুগ্রামে


 মোল্লা জসিমউদ্দিন

পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম থানা এলাকায় এক মাসের শিশু কন্যার মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। এই মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক  চাঞ্চল্য এলাকাজুড়ে। কিভাবে, কেন গলাকাটা অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হল সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত শিশুর নাম জেসমিন খাতুন একমাস বয়স মাত্র।বাড়ি কেতুগ্রাম থানার আরনা গ্রামে। শিশুকন্যার গলাকাটা মৃতদেহ নিয়ে নানান প্রশ্নচিহ্ন উঠতে শুরু করেছে।

পরিবারসূত্রে পুলিশের কাছে যে তথ্য এসেছে সেই তথ্য নিয়ে চরম ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে প্রকাশ, যে পরিবারের লোকজনের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে শিশুটি দোলনায় খেলছিল সেই সময় দোলনা নিজেই রাখা একটি ধারালো বটিতে আঘাত লাগে গলায়, তখন নাকি  মৃত্যু হয় সদ্যজাত শিশুটির। যদিও এই তথ্য অনেকটাই সন্দেহজনক বলে মনে করছে পুলিশ বা স্থানীয় বাসিন্দারা।এলাকায় প্রশ্ন উঠেছে শিশুকন্যা জন্ম নেওয়ায় কি শিশুটির মৃত্যু হল? নাকি বিবাহবহির্ভূত সম্পকের জের?এইবিধ প্রশ্ন উঠেছে এলাকার বাসিন্দাদের কাছে।পুলিশ সূত্রে খবর যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই পুলিশ নিশ্চিত হবে শিশুকন্যার মৃত্যুর কারণ কি। এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গত বুধবার দুপুরের পর থেকে।জানা গেছে মৃত শিশুটির বাবা আপাই সেখ ভিনরাজ্যে কাজ করে থাকে।তাদের নয় বছরের একটি ছেলেও আছে।শ্বশুরবাড়ীতে থাকাকালীন দ্বিতীয় সন্তান অর্থাৎ কন্যা টি হয়।স্বামী প্রায়শ স্ত্রীর উপর বিবাহবহির্ভূত সম্পক নিয়ে ঝগড়া করত।এইরুপ দাবি প্রতিবেশীদের একাংশের।গত বুধবার দুপুরে যখন এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে, তখন আপাই সেখ ক্ষেতমজুরের কাজে বীরভূমের লাভপুর গিয়েছিল।কেউ কেউ বলছেন - আপাই সেখের স্ত্রী রিজিয়া বিবি রাগের বশে রান্নার বটি করে মেরে ফেলেছেন ২৯ দিনের আপন সদ্যজাত মেয়ে কে।দোলনার নীচে কেন বটি রাখা ছিল, তাছাড়া দোলনা থেকে পড়ে গেলেও অতটা গভীর ক্ষত গলায় আসেনা এইরুপ নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।ধর থেকে মাথা প্রায় আলাদা বলা যায় শিশুটির, তা কি দোলনার নিচে ফেলে রাখা রান্নার বটি দ্বারা সম্ভব ? কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেন - দোলনা থেকে বটিটির দুরত্ব অনুযায়ী এই গভীর গলার ক্ষত হতেই পারেনা।স্থানীয়দের বড় অংশ মনে করেন - স্বামী এবং স্ত্রী কে আলাদা জেরা করলেই শিশুকন্যা মৃত্যু রহস্য ফাঁস হবে।এখন প্রশ্ন কেতুগ্রাম থানার পুলিশ কতটা সক্রিয়তা দেখায় এই মৃত্যুর ঘটনার ক্ষেত্রে।যদিও তারা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী তদন্ত চালাবেন বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার, মে ২৪, ২০১৮

১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত মরা মুরগি কান্ডে মূল কাণ্ডারির

সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব

কওসার আলি ঢালী মরা মুরগী কান্ডের অন্যতম অভিযুক্ত ।গত একমাস যাবত সে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল।গত ২৭শে এপ্রিল এয়ারপোট থানার পুলিশ এই অভিযুক্তের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান লেকটাউনের ঢালী চিকেন সেন্টার বন্ধ করলেও তার কোন হদিস পাইনী।পরবর্তীতে তার মোবাইল নং লকেট করে গতকাল রাতে হাসনাবাদ থানার মোহনপুরের ধুলা টুকারী-গ্রামের রুহুল আমিন মণ্ডলের বাড়ী থেকে কওসার আলী ঢালী কে আটক করে এয়ারপোট থানার পুলিশ।অাজ তার শরীরের ডাক্তারী পরীক্ষা করে ব্যারাকপুর আদালতে তুলে পুলিশ হেফাজতের আবেদন করায়, আদালত ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করে |

শান্তিপুরে অশান্তি, গুলিতে নিহত বিজেপি কর্মী


শ্যামল রায়

শান্তিপুরে বাড়িতে ঢুকে এক বিজেপি কর্মীকে এলোপাতাড়ি গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত বিজেপি কর্মীর নাম বিপ্লব ঠিকাদার বয়স ৪৫। বাড়ি শান্তিপুরে। মৃতের পরিবারের তরফ থেকে শান্তিপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে অমল হালদার ও রথীন দেবনাথ নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার রানাঘাট মহকুমা আদালতে পাঠায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দফায় দফায় বিভিন্ন রাস্তা অবরোধের নামে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। মৃতদেহটি এদিন ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে যে বুধবার রাতে কয়েকজন তৃণমূল আসিত দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢোকে এবং বিপ্লব ঠিকাদারকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় গুলিতে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বিপ্লব ঠিকাদার। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন স্থানীয় বিজেপি কর্মীসমর্থকরা।এদিন ১২ঘন্টার বন্ধের ডাক দেওয়া হয় বিজেপির তরফ থেকে বিজেপির জেলা সম্পাদক মহাদেব সরকার রাজ্য সম্পাদক রাজীব জানিয়েছেন যে যত বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে ততটাই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছে শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনামাফিক গুলি করে খুন করলো সক্রিয় বিজেপি কর্মী বিপ্লব শিকদারকে।এলাকায় পুলিশ টহল চলছে। তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি কে সম্মান পূর্ব বর্ধমান প্রশাসনের


শ্যামল রায়

পূর্ব বর্ধমান জেলায় এই প্রথম জেলার সেরা সেরা বিদ্যালয় এর সম্মান সেই সাথে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং একাধিক পুরস্কার দেয়া হলো জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে।বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার লোকসংস্কৃতি মঞ্চে একটি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে জেলার সেরা বিদ্যালয় প্রাথমিক মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পুরস্কার তুলে দেন বিশিষ্টজনেরা। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব অতিরিক্ত জেলাশাসক শিক্ষা প্রবীর চট্টোপাধ্যায় শিক্ষা সংসদের সভাপতি অচিন্ত্য চক্রবর্তী মাধ্যমিকের খগেন্দ্রনাথ রায় জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক নারায়ণ চন্দ্র পাল সহ অনেকে।
এ দিনে জেলার সেরার সেরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরস্কার পেয়েছে পূর্বস্থলী 2 নম্বর ব্লকের পূর্বস্থলী অন্নদাপ্রসাদ পি এফপি বিদ্যালয়। এছাড়াও ইনফরমেশন টেকনোলজি তে সেরার সেরা বিদ্যালয়ের পুরস্কার পেয়েছে কালনা ১ নম্বর ব্লকের সূর্যপুর এফ পি বিদ্যালয়। এছাড়াও সেরার সেরা হাইস্কুলের পুরস্কার পেয়েছে বর্ধমানের বিদ‍্যা শ্রী বালিকা বিদ্যালয়। শিক্ষিকা হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন কালনা ১ নম্বর ব্লকের ভবানীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা অসীমা নাথও কালনা মহারাজা উচ্চবিদ্যালয় এর শিক্ষক অমল কুমার   কোঙার ।আরো জানা গিয়েছে যে বিভিন্ন বিদ্যালয় এর শিক্ষা মিড ডে মিলের খাবার সহ বিদ্যালয় এর পরিবেশ পর্যাপ্ত পানীয় জল শৌচাগার আছে কিনা। সার্বিকভাবে জেলার পরিদর্শকদের এক প্রতিনিধিদল নিয়মিত পরিদর্শনের ভিত্তিতে এই ধরনের পুরস্কার দিল জেলার প্রশাসন। খুশি জেলার শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পূর্বস্থলীর অন্নদাপ্রসাদ বিদ্যালয় এর শিক্ষক রথীন সরকার জানিয়েছেন যে এই ধরনের উদ্যোগে বিভিন্ন বিদ্যালয় এর সুনাম যেমন বাড়বে তেমনি উৎসাহ-উদ্দীপনায় বিদ্যালয় পঠন-পাঠনে  মান বাড়বে তেমনি বিদ্যালয় এর পরিকাঠামোর উন্নয়ন হবে। বিদদালয়ের পরিবেশের শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

কবি সুব্রত ভট্টাচার্যের কাব্যগ্রন্থ প্রকাশে মন্ত্রী


শ্যামল রায়

মগরার বিশিষ্ট কবি সুব্রত ভট্টাচার্যের কাব্য 'মুক্ত ঝিনুক'এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন জলসম্পদ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র।
কবির কাব্যটি উদ্বোধন করে মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন - যে জেনেছি সুব্রত ভট্টাচার্য দীর্ঘদিন ধরে কবিতা লিখে যাচ্ছেন এবং তাঁর কবিতার মধ্যে সামাজিক একটা বার্তা লক্ষ্যণীয় পাশাপাশি রোমান্টিকতা রয়েছে তাঁর কবিতার প্রতিটি শব্দে।ইতিমধ্যে তিনি বেশ কয়েকটি কাব্য বের করে ফেলেছেন তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
পূর্ব মেদিনীপুরের কঙখাল পত্রিকার উদ্যোগে ব্যবস্থাপনায় একটি কবিতা উৎসবে সম্মানিত করা হয় কবি সুব্রত ভট্টাচার্যকে। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভূয়শী প্রশংসা করেন ডেবরার বিধায়ক সেলিমা খাতুন ও শিল্পী সুকেশ মন্ডল সহ অনেকে।জানা গিয়েছে যে কবি সুব্রত ভট্টাচার্য সন্তান সায়ন্তন ভট্টাচার্য একজন প্রাণী মৎস্য দপ্তরের বিজ্ঞানী। তার একমাত্র মেয়ে ও নিতে বিশেষ জায়গা দখল করে নিয়েছে সারা ভারতবর্ষে। কিছুদিন পরেই নৃত্য পরিবেশন করতে যাবেন বাইরের রাজ্যে।জানা গিয়েছে কবির সুব্রত ভট্টাচার্যের গোটা পরিবার তাই সাহিত্য সংস্কৃতির সাথে যুক্ত এবং বিশেষ জায়গা দখল করে নিয়েছেন রাজ্যের বুকে। ইতিমধ্যেই কবিতা লিখে একাধিক পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন কবি সুব্রত ভট্টাচার্য। মগরার বাসিন্দা হয়েও রাজ্যজুড়ে তার কবি পরিচিতি ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে।

আজ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের ইফতার পার্টি

পুলকেশ ভট্টাচার্য

পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের পক্ষ থেকে আজ দাওয়াত-এ-ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে স্লটলেকের পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের প্রধান কার্যলয়ে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় ও দক্ষ প্রশাসনিক আধিকারিক তথা পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যান ডা. পি বি সালিম, আইএএস-এর উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম পার্সি, জৈন, খ্রিস্টান, মুসলিম, বৌদ্ধ ধর্মের মানুষদের নিয়ে কল্যাণমুখী নানান কাজ করছে। তাদের তৈরি বিভিন্ন পণ্যকে সকলের সামনে নিয়েও আসছে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম। এইসব পণ্য বিশ্ববাজারে উঠেও আসছে। পশ্চিমবঙ্গের বহু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েদের পাশাপাশি দরিদ্র পরিবারও চরম উপকৃত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের হাত ধরে। সংখ্যালঘুদের সাংস্কৃতিক উন্নয়নেও পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম গুরুত্ব দিয়েছে। প্রতিবছর পার্কসার্কাস ময়দানে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম উদ্যোগে মিলন উৎসবের আয়োজনও করা হয়। এবছেরর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সকলকেই মুগ্ধ করেছিল।বাংলার লোকসংস্কৃতি ভাওয়াইয়া, পল্লিগীতি প্রভৃতি সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে এক সুন্দর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উপভোগ করেছিল সেদিন বাংলার সাংস্কৃতিক মানুষেরা।
মেলালেন তিনি মেলালেন। গানে-কবিতায়-কথায়। মাঝিমাল্লা, কৃষক, গরুর গাড়ি---গ্রাম-বাংলার মাটির ঘ্রাণ। আব্বাসউদ্দিন, কাজী নজরুল ইসলাম থেকে রাঘব বন্দ্যোপাধ্যায়, আবদুল আলিম। বাংলার লোকসংস্কৃতি আর আধুনিকতার মিশেলে কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ মিলে গিয়েছিল পার্ক সার্কাস ময়দানের মিলন উৎসবে।  পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের পরিচালনায় সেদিন সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় সাক্ষী ছিল এক অভূতপূর্ব আনন্দঘন সঙ্গীত অনুষ্ঠানের। ওই দিন গানের জলসায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি সুবোধ সরকার ও কবি ফারুক আহমেদ। কবি সুবোধ সরকার তাঁর বক্তব্যে তিনি বললেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রান্তিক মানুষদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইতিহাস তৈরি করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ ধর্ম-সম্প্রদায়ের ভেদাভেদ ভুলে দুটি কুসুমে পরিণত হয়েছে, একসঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আপনারাই পেরেছেন। আপনারাই পেরেছেন। আপনারাই পেরেছেন। আবেগমথিত গলায় বলে ওঠেন কবি সুবোধ সরকার।কবিকে ফুলের স্তবক, উত্তরীয় ও মোমেন্ট দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছিল ওই দিন পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের পক্ষ থেকে।তবে ওই মিলন উৎসবের অবশ্যই সবচেয়ে বড় উপহার ছিলেন সকলের প্রিয় বিদ্রোহ কবি কাজী নজরুল ইসলামের পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী। ৮৩ বছর বয়সেও হারমোনিয়াম বাজিয়ে তিনি গাইলেন, তৌহিদেরই মুর্শিদ আমার...। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় কীভাবে 'এক বৃন্তে দুটি কুসুম' বিভিন্ন ভাষায় তরজমা করে গেয়ে বেড়াতেন, সেসব স্মৃতিচারণও করেছিলেন। সেই স্মৃতিচারণের পর হয়েছিল নবীন ও প্রবীণের মিলনে বিশেষ সঙ্গীত অনুষ্ঠান। জাতীয় স্তরে সংগীত প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া তরুণ গায়ক মীর আরেফিন রানাকে উপহার তুলে দিয়েছিলেন কল্যাণী কাজী। আরেফিনও মাতিয়ে দিয়েছিলেন ফোক আর মডার্নের মিশেলে বিশেষ সঙ্গীত পরিবেশন করে সকলকে মুগ্ধ করেছিল।কবি ফারুক আহমেদ সেদিন  দুটি তাঁর রচিত কবিতা আবৃত্তি করেছিলেন। কবি তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেছিলেন এবং কুর্নিশ জানিয়ে বলেছিলেন, "মহতি মহা-মিলন উৎসবকে সার্থক করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমেরের চেয়ারম্যান ড. পি বি সালিম সাহেব সার্থক প্রয়াস নিয়ে বাংলার সংখ্যালঘুদের সমৃদ্ধ করছেন। তার জন্য দুজনকেই অফুরন্ত ধন্যবাদ।"
ফারুক আহমেদ-এর কবিতাপাঠে মুগ্ধ হয়েছিলেন ৮ থেকে ৮০ আগত সকল দর্শকমণ্ডলী।পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের পক্ষ থেকে কবি ফারুক আহমেদকে বিশেষ ভাবে সেদিন সম্মানিতও করা হয়েছিল ফুলের স্তবক, উত্তরীয় ও মোমেন্ট দিয়ে।
সকলের প্রিয় বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী ফারুক আহমেদের হাতে ফুলের স্তবক ও মোমেন্ট তুলে দিয়েছিলেন। আর কলম পত্রিকার সম্পাদক ও সাংসদ আহমদ হাসান ইমরা উত্তরীয় পরিয়ে দিয়েছিলেন। সবমিলে সেদিনের আয়োজন ছিল চোখে দেখার মতো। পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের পক্ষ থেকে পার্ক সার্কাসের এবছর মিলন উৎসব মহা মিলনোৎসবে সার্থকতা পেয়েছিল।সঙ্গীত সন্ধ্যায় অসাধরণ সঙ্গীত পরিবেশন করেছিলেন নূপুর কাজী, নাজমুল হক ও  পলাশ চৌধুরী। আর গজল গেয়ে মাতিয়ে দিয়েছিলেন এস কে হাবিব ও শাকিল আনসারী। আর পরিচালনার পাশাপাশি কথার কারুকার্যে যোগ্য সঙ্গত করেছিলেন শাকিল আনসারী।
মিলন সন্ধ্যায় উপস্থিত ছিলেন, সাংসদ নাদিমুল হক, কবি ও লেখক সুব্রতা ঘোষ রায়, প্রবীর ঘোষ রায়, কুমারেশ চক্রবর্তী, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গৌতম পাল, সমাজসেবী এস এস আলম, আব্দুল মুজিদ, মো: আবেদ আলি, ওয়ায়েজুল হক, মহ. কামরুজ্জামান, ফিরোজ হোসেন, ডা: কবীর হোসেন, মসিহুর রহমান-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।পার্ক সার্কাসের স্কুল থেকে আসা ইউনিফর্ম পরা মেয়েরা দর্শক আসনে, দর্শক আসনে উর্দুভাষী হিজাবি, আশেপাশের মানুষ আর বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বাঙালি। সব মিলে গিয়েছিল একসঙ্গে। ভাষার ব্যবধান ঘুচে গিয়েছিল। তাই সভা যখন শেষ হচ্ছিল, ব্যাকগ্রাউন্ডে যখন নূপুর কাজীর কণ্ঠে বাজছিল বিদায়ের সুর 'ছেড়ে দে নৌকা আমি যাব মদিনা', তখন পার্ক সার্কাসের স্থানীয় বাসিন্দা বলে উঠছিলেন, 'বাঙাল লোগ হামেশা কামাল করতে হ্যায়।' তরুণ প্রজন্ম গুগলে সার্চ দিচ্ছে একটু আগে গাওয়া বাংলা গানগুলি। মিলে যাচ্ছে ঐতিহ্য আর তারুণ্য। পলাশ চৌধুরীর গান দিয়ে সঙ্গীত অনুষ্ঠান শেষ হয়েছিল। সকল সঙ্গীত শিল্পীদের পাশাপাশি মহা সঞ্চালক ও পরিচালক শাকিল আনসারীকেও সেদিন সম্মানিত করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের পক্ষ থেকে।সেদিন পার্ক সার্কাস ময়দানে বৈচিত্রের মাঝে মহামিলনের উৎসবে গানের ভুবনে হারিয়ে যাওয়ার দিন ছিল।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর অনুপ্রেরণায় পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম এর উদ্যোগে ১০ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে ১৯ ফ্রেব্রুয়ারি, ২০১৮ পর্যন্ত পার্ক সার্কাস ময়দানে আয়োজিত হয়েছিল এই "মিলন উৎসব ২০১৮"। পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিজস্ব কুটির শিল্প, খাবারদাবার এবং সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটেছিল এই মিলন উৎসবে। এছাড়াও এই উৎসবে ছিল কেরিয়ার কাউন্সেলিং ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির। প্রতিদিন চলেছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মিলন উৎসব সার্থক করতে সকলকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ড. পি. বি. সালিম, আই.এ.এস., সচিব, সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং চেয়ারম্যান, পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগম। মৃগাঙ্ক বিশ্বাস, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগম।পার্ক সার্কাস ময়দানে বৈচিত্রের মাঝে মহামিলনের উৎসবের শুভ সূচনা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
বিশেষ অতিথি হয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান ও গিয়াস উদ্দিন মোল্লা। পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম আয়োজিত মিলন উৎসবে চাকরি এবং শিক্ষা কাউন্সিলিং-এ আগ্রহী চাকরি প্রার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। ভিড় হয়েছিল বিদেশে পড়তে যাওয়ার খোজ নিতে। বিশেষ করে মেডিক্যাল শিক্ষার কোথায় কি সুযোগ সুবিধা আছে তা জানার আগ্রহ ছিল খুব।
বিদেশে চাকরি পেতে কোথায় কী করতে হবে তা জানার আগ্রহে বহু চাত্র-ছাত্রী মিলন উৎসবে হাজির হয়েছিল।সারা মেলা জুড়ে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত  নিগমের সুবিধাভোগীদের তৈরি নানা ধরনের অলঙ্কার, পোশাক প্রদর্শন ও বিক্রি হয়েছিল বিভিন্ন স্টলে। মিলন উৎসব জমে উঠেছিল এবং মানুষের উৎসহ দিন দিন চোখে পড়েছিল।
পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যান ডা. পি বি সালিম সাহেব বলেছিলেন, "নিগমের কাছ থেকে ক্ষুদ্র ও মেয়াদি ঋণ নিয়ে যারা ব্যবসা করে স্বনির্ভর হয়েছেন, তারা এখানে পণ্য সম্ভার সাজিয়েছেন। তাদের পণ্য কিনতে মানুষ স্টলগুলিতে হাজির হচ্ছেন। বিক্রিবাটা ভাল হচ্ছে। নিগমের মেলা করার মূল লক্ষ্য মানুষের কাছে এই সব প্রান্তিক মানুষের সৃষ্টিকর্ম তুলে ধরা এবং তার বিপণনের ব্যবস্থা করা। জনসমাগম এবং ক্রেতা আমাদের উৎসাহিত করছে।"মিলন উৎসবেকে সার্বিক সফল করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন ডা. পি. বি. সালিম, আই.এ.এস., সচিব, সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং চেয়ারম্যান, পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগম। মৃগাঙ্ক বিশ্বাস, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, জিএম তথা জেনারেল ম্যানেজার শামসুর রহমান এবং মোঃ নকি, পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগম। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের অন্যান্য আধিকারিক ও কর্মচারীবৃন্দ।
মিলন উৎসবে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ছিলেন ফ্রি কেরিয়ার কাউন্সেলিং এবং
চাকরি পাওয়ার পরামর্শ।
মিলন উৎসব উদ্বোধনের পর স্বাগত ভাষণ হয়েছিল এবং তারপর স্কলারশিপ, ঋণ, প্রভৃতি প্রদান করাও হয়েছিল।মিলন উৎসবে আল আমীন মিশনের স্টল ছিল। ৯২ নম্বর স্টলটি ছিল আল আমীন মিশনের। এখানে আল আমীন মিশনের পত্র-পত্রিকার সঙ্গে "উদার আকাশ" পত্রিকার বইমেলা বিশেষ সংখ্যা ২০১৮ পাওয়া গিয়েছিল।

কল্যাণী পুরসভার উদ্যোগে রক্তদান হল

ফারুক আহমেদ

রক্তদান মহত দান, আপনার রক্তদানের ফলে একজন রোগীর প্রাণ বাঁচতে পারে। তাই আপনিও এগিয়ে আসুন রক্তদানের মতো মহত কাজে। কল্যাণী পৌরসভার উদ্যোগে ২৩ মে বুধবার সকাল ১০ টায় কল্যাণীর ঋত্বিক সদনে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। কল্যাণী পৌরসভার শুভ উদ্যোগে মানুষের বিপুল সাড়া মেলে এবং ১১২ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। কল্যাণী পৌরসভার পৌর প্রধান সুশীল কুমার তালুকদার মহতী রক্তদান শিবির সাফল্যমন্ডিত করতে তিনি সকলকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কল্যাণী পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের পৌর মাতা নবনিতা বসু জানিয়েছেন, "আমরা প্রতিবছর সমাজ কল্যাণে রক্তদান শিবির সহ বহু কর্মসূচি নিয়ে থাকি। সারাবছর আমরা মানুষের কল্যাণে কাজ করি এবং কল্যাণী পৌরসভার মাধ্যমে পরিসেবা দিয়ে আসছি। আমরা আশা রাখেছিলাম বহু মানুষ রক্তদানে এগিয়ে আসবেন এবং রক্তদানের মতো মহত কাজে সামিল হবেন। বাস্তবিক আমাদের আয়োজন সার্থক করতে ১১২ জন মানুষ রক্তদান করলেন।" কল্যাণী শহর তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মকর্তারা সহ নদীয়া জেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন রক্তদান শিবির সফল করতে।

বুধবার, মে ২৩, ২০১৮

'সারাবাংলা আহলে সুন্নাত হানাফী জামাত' এর বহরমপুর অফিস

মোল্লা শাহজাহান - নিপু


বহরমপুর বাজার পারায় 'সারা বাংলা আহলে সুন্নাত হানাফী জামাত'এর একটি কার্যালয় উদ্বোধন করলেন রাজ্য সম্পাদক সৈয়দ তাফহীমুল ইসলাম। সহ সম্পাদক আব্দুল হাই রিজভী, মুরশিদাবাদ সভাপতি হাফেজ গোলাম রাসূল, সম্পাদক মাওলানা মেহের আলী সাহেব, ব্লক সম্পাদক এনামুল হক প্রমুখ।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER