বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ৩০, ২০২০

কাঁথিতে সিপিএমের ত্রাণ বিলি

জুলফিকার আলি
  

কাঁথি -১ ব্লকের সিপিঅাইএম, নয়াপুট অঞ্চল কমিটির উদ্যোগে দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫০ টি কর্মহীন পরিবারকে ত্রাণ বন্টন করা হয়।নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম নেতা জিতেন্দ্র নাথ সামন্ত, বলরাম গিরি,প্রনব করন,হিমাংশু শেখর মণ্ডল, সুশান্ত খুঁটিয়া, তুষার রাণা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। অাওয়াজ সংগঠনের সহায়তায় দেশপ্রাণ ব্লকের হিঞ্চিতে ৮১ টি পরিবারকে ত্রাণ বন্টন করা হয়। নেতৃত্ব দেন অাওয়াজ সংগঠনের জেলা সম্পাদক মামুদ হোসেন, সেক নুরুল অালি,সেক সফিউল অালি,ফাতেমা জহরা খাতুন, সেক অাবদুল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

বুধবার, এপ্রিল ২৯, ২০২০

ভূলে গেছে খেলা - অরুণাভ চক্রবর্তী

ভুলে গেছে খেলা
      অরুণাভ চক্রবর্তী
  


এযুগের শিশুদের নেই বায়না
      মা তুমি নাও কোলে,
এখনকার শিশুরা মোবাইল আর
    ল্যাপটপ পেলে সব ভোলে।
    
বলে না মায়েরা এখন ছুটেছুটে
    খেলা কর উঠানে মাঠে,
হারিয়ে গেছে শৈশবের খেলাগুলি
   স্মৃতি বিস্মৃতির পথেঘাটে।

এক্কাদোক্কা বুড়িবসন্তী কিতকিত 
   লুকোচুরি রুমালচোর খেলা,
কুমির তোর জলকে নেমেছি খেলে
    কেটে যেতো বিকেল বেলা।

ঘরে বসে খেলা হতো চোর পুলিশ 
   ঘর কাটা আর ইকিড়মিকির,
কতো খেলা তৈরি করতাম সে সময়
   খেলার ছড়া কাটতাম বিড়বিড়। 

এখন শিশুর নেই মনে সে সারল্য
     নাই ভাব সেই বালখিল্য,
হারিয়ে গেছে মিলেমিশে সে খেলা
    খু্ঁজে পাবোনা শৈশব বেলা।

শিশুদের বুধ্যাঙ্ক নিয়ে করে মা গর্ব 
   খেলাধূলার সময় করে খর্ব,
শৈশব নিঙড়ে মানুষ করার যে কল
   খেলাধুলা করে কি হবে বল?

গলসি ১ নং ব্লক তৃণমূল সভাপতি করোনায় দিলেন ১ লাখ

সেখ নিজাম আলম

 

মূখ্যমন্ত্রীকে এক লক্ষ টাকার চেক প্রদান- গলসি ১ নং ব্লকের তৃণমূল সভাপতি জাকির হোসেন এক লক্ষ টাকার চেক প্রদান করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। এই চেক প্রদান করেন জেলাশাসক বিজয় ভারতীর হাতে। সঙ্গে ছিলেন জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, বর্ধমান জেলার তৃণমূল সম্পাদক কাঞ্চন কাজী,বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি প্রমুখ। সভাপতি জাকির হোসেন জানান,জাগুলিপাড়ার একটি ক্লাবও ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন মূখ্যমন্ত্রীর তহবিলে। এই দূর্দিনে ভবিষ্যতে সম্ভব হলে আরও টাকা পাঠানোর মানসিকতা আছে বলে জানান  গলসি ১ নং ব্লকের সভাপতি জাকির হোসেন।

উত্তরপাড়া সমাজ কল্যাণ যুব সংঘ ক্লাব পাশে দাঁড়ালো দুশো পরিবারের পাশে

সেখ সামসুদ্দিন
 
মেমারি ১ ব্লকের গোপগন্তার ২ অঞ্চলের  কোলে গ্রামের উত্তরপাড়া সমাজ কল্যাণ যুব সংঘ ক্লাব সরকারি টাকা ও নিজেদের অর্থ মিলিয়ে দুই শতাধিক পরিবারের পাশে দাঁড়ালো। পরিবার প্রতি ৪ কেজি চাল, আড়াইশো ডাল, সোয়াবিনের প্যাকেট ও একটি করে সাবান  দেয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর দেয়া টাকায় এলাকার মানুষকে খাদ্য সহায়তা, রক্তদান শিবিরের মতো সামাজিক কাজে উদ্যোগী হয়েছে। এদিন উপস্থিত ছিলেন মেমারি ১ ব্লক তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক ও ব্লক যুব কার্যকরী সভাপতি সন্দীপ পরামানিক, পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ মৌসুমী মন্ডল, গোপগন্তার ২ অঞ্চল সভাপতি বিনোদ বিহারী মন্ডল, পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জিত রুইদাস, ক্লাব সভাপতি প্রদীপ কর্মকার, সম্পাদক প্রমোদ মন্ডল সহ সকল সদস্যবৃন্দ।

খাদ্য সামগ্রী বিলিতে বীরভূম পথ প্রদর্শক

সেখ নিজাম আলম
 

বীরভূম পথ প্রদর্শকের পক্ষ থেকে বোলপুরের সদস্যরা আজকে দুর্যোগের কথা মাথায় নিয়েই বেড়িয়ে পড়েছিলেন অসহায় দুঃস্থ মানুষদের হাতে নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু খাবার ও বাচ্ছাদের হাতে দুধ পৌঁছে দিতে এবং বোলপুর সংলগ্ন একটি ইট ভাঁটায় আটকে পরা কিছু শ্রমিক ও কয়েকটি এলাকায় অসহায় পরিবারের হাতে সংস্থার পক্ষ থেকে সামান্য কিছু খাবার তুলে দেওয়া হলো। এই খাবার পেয়ে শ্রমিক ও বাচ্ছারা খুশী।

করোনায় অভুক্তদের পাশে আলমবাজার নবজ্যোতি সংঘ

সুবল সাহা
 
আজ  আলমবাজার নবজ্যোতী সংঘের সদস্যরা মিলে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এলাকার আর্থিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পরা প্রায় পাঁচশো জন পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন। ক্লাব এর পক্ষ থেকে সেই পাঁচশো জন পরিবারের হাতে ত্রাণ হিসাবে চাল, আলু, সয়াবিন, বিস্কুট, নুন ও মুড়ি তুলে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য লকডাউনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় যেমন আম্বেদকর কলোনি ,কালাকার পাড়া , বিরিঞ্চি কলোনি , বালি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় রান্না করা খাবার ঘরে ঘরে পৌছে দেন।এছাড়াও লকডাউন যতদিন চলবে ততদিন তারা এই কর্মকান্ড চালিয়ে যাবে বলে জানান সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পুলক ঘোষ ও বর্ষীয়ান নেতা গণপতি মজুমদার।উল্লেখ্য এইদিন এই  কর্মকাণ্ডে উপস্থিত ছিলেন দমদম লোকসভার সাংসদ মাননীয় অধ্যাপক শ্রী সৌগত রায়। তিনি নিজের হাতে অনেককে ত্রাণ দেন এবং যদি কেউ অসুবিধার সম্মুখীন হন তবে নির্দিধায় ওনার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
                  সমস্ত পর্বটিকে উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে মানবিক ভাবে রূপায়িত করেছে ক্লাব এর সমস্ত সদস্যরা।স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকলের হাতে খাদ্যদ্রব্য তুলে দিতে পেরে খুশি হয়েছেন উদ্যক্তোরা।ত্রাণ গ্রহীতারাও হাসি মুখে খাদ্যসামগ্রী গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
 

করোনা হাসপাতালে মোবাইল নিষেধাজ্ঞা নিয়ে হলফনামা পেশের নির্দেশ হাইকোর্টের


মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)    

মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে অনলাইন শুনানি চলে করোনা হাসপাতালে মোবাইল ফোন নিয়ে সম্প্রতি রাজ্যের নিষেধাজ্ঞা জারী নিয়ে। আগামী ৭ মে এর মধ্যে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ওই দিনই এই জনস্বার্থ মামলার ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি রয়েছে । গত শুক্রবার ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং সহ একাধিক সংগঠন রাজ্য সরকারের জারি করা করোনা হাসপাতালে মোবাইল ফোন নিষেধাজ্ঞার বৈধতা নিয়ে অনলাইনে  মামলা দাখিল করে থাকে। উল্লেখ্য,  গত সপ্তাহের মঙ্গলবার রাতে রাজ্যের সদর প্রশাসনিক দপ্তর নবান্ন থেকে এক নির্দেশিকা জারী করা হয়। সেখানে রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ হাসপাতাল সুপারদের কাছে রাজ্য সরকারের আদেশনামা পৌছায় যে,  ঘোষিত করোনা হাসপাতাল গুলিতে চিকিৎসক - স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী সহ হাসপাতালের ভেতর রোগীর আত্মীয়পরিজনরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। হাসপাতালের নিদিষ্ট গেটে মোবাইল ফোন জমা দিতে হবে। হাসপাতালের কাজ মিটলে তা টোকেনের মাধ্যমে পুনরায় ফেরত পাবে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী। রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে ওই নির্দেশিকায় -' বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এর মোবাইল ফোন বিধিনিষেধ জারী থেকেই রাজ্যের এই নিষেধাজ্ঞা '।  মোবাইল ফোনে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কাও রয়েছে। তবে মামলাকারীর দের দাবি - দু সপ্তাহ পূর্বে করোনা হাসপাতাল হিসাবে ঘোষিত হাওড়া, ব্যাঙ্গুর, আরজিকর হাসপাতালে নানা অপব্যবস্থা উঠে এসেছে বেশকিছু ভাইরাল ভিডিওর জন্য। কোথাও করোনায় নিহতদের লাশ পড়ে রয়েছে অন্য করোনা রোগীদের পাশের বেডে, আবার কোথাও নিম্নমানের খাবারদাবার। এইবিধ নানান ভাইরাল ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে চলে আসায় রাজ্য সরকার তড়িঘড়ি করোনা হাসপাতালে মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারী করলো বলে মামলাকারীদের দাবি। গত শুক্রবার এইবিধ অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা হিসাবে এটি অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন হয়। মঙ্গলবার দুপুরে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলায় ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি চলে। সেখানে রাজ্যের তরফে জানানো হয় - বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এর মোবাইল ফোন বিধিনিষেধ নিয়েই রাজ্য সরকারের নিষেধাজ্ঞা টি জারী করা হয়েছে। অপরদিকে মামলাকারীরা অনলাইন শুনানিতে দাবি করে - 'করোনা আক্রান্তদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ ঘটাতে মোবাইল ফোন ব্যবহার আবশ্যিক। পরিবারের সাথে বিচ্ছিন্নভাবে থাকাটা রোগীদের পক্ষে খুবই কষ্টদায়ক। সর্বপরি রোগীর পরিবারও হাসপাতালে থাকা তাদের পরিজনদের নিয়ে নানান দুশ্চিন্তায় থাকে। যেভাবে করোনা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করার অভিযোগ উঠছে তাতে মোবাইল ফোনে কথোপকথন অত্যন্ত জরুরি রোগী ও তার আত্মীয়দের মধ্যে '। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই করোনায় তথ্য গোপন করার অভিযোগ তুলে ডক্টর ফুয়াদ হালিম আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এর মাধ্যমে   কলকাতা হাইকোর্টে মামলা  করেছেন।যার শুনানি চলছে। সেখানে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের প্রাথমিক রিপোর্টে অসন্তুষ্ট হয়ে পুনরায় রিপোর্ট তলব করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে যে,  করোনা হাসপাতাল গুলিতে মোবাইল ফোন ব্যবহার কেন নিষিদ্ধ তা হলফনামায় আগামী ৭ মে এর মধ্যে জানাতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ৭ মে। এখন দেখার ওইদিন করোনা হাসপাতাল গুলিতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা নিয়ে রাজ্যের নিষেধাজ্ঞা টি বৈধতায় সম্মতি দেয় কিনা হাইকোর্ট? নাকি রাজ্যের নিষেধাজ্ঞা টি খারিজ করে দেয় আদালত।                                                                                                                                                                                                                                               

চলে গেলেন বিশ্বমানের অভিনেতা ইরফান খান

রাজকুমার দাস
  


স্ট্রাগল লাইফের কথা সকলের কাছেই মনে গেঁথে থাকে।কিন্তু জীবন জয়ের স্ট্রাগল তা বেশ কষ্টের।শুধু বলিউডের অন্যতম সেরা অভিনেতা নয় বরং আন্তর্জাতিক মাপের একজন  বিশিষ্ট অভিনেতা ইরফান খান মাত্র ৫৩ বছর বয়সে আজ সকালে  মুম্বইয়ের  হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।গতকাল কোলনে সংক্রমণের কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি  করা হয়। তিনি রেখে গেলেন তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে।


 
এর আগে তিনি  দীর্ঘদিন লন্ডনে থেকে নিউরো এন্ডোক্রাইন ক্যানসারের চিকিৎসা করে ফিরেছিলেন।অনেকটা সুস্থ্যতা নিয়ে তিনি আবার অভিনয়ে ফেরেন।  পুনরায় কম ব্যাক করেন পরিচালক হোমি আদজানিয়ার ‘আংরেজ়ি মিডিয়াম’ ছবির মাধ্যমে।লকডাউনে র কিছুদিন আগে ছবিটি মুক্তি ও পায়। সেই ছবিতে ও তিনি সুন্দর সুচারু অভিনয় করে দর্শকদের বুঝতেই দেন নি যে তিনি অসুস্থ।সাধারণ ভাবে সকলে ভেবেছিল তিনি ক্যান্সার কে জয় করে ফেলেছেন।কিন্তু না,উপরওয়ালার কাছে তিনি হয় তো অন্য কিছু লিখে এসেছিলেন,তাই অকালেই চলে গেলেন।বলিউডে তার মতো দক্ষ অভিনেতা খুব কমই আছে।তিনি 
১৯৬৭ সালের ৭ জানুয়ারি জয়পুরে জন্মগ্রহণ করেন। হিন্দির পাশাপাশি একাধিক হলিউড ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি।  করেছেন বাংলাদেশের ছবি "ডুব"।বাংলা ভাষায় শুধু অভিনয় নয় তিনি ছিলেন "ডুব"-ছবির ভারতের প্রযোজক ও।তাঁর অভিনীত মনেরাখার মতো  ছবিগুলি হলো ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’, ‘পান সিং তোমার’, ‘বিল্লু’, ‘লাইফ অফ পাই’, ‘স্লামডগ মিলিয়নেয়ার’, ‘লাঞ্চ বক্স’, ‘দ্য নেমসেক’, ‘পিকু’, ‘মকবুল’, ‘হিন্দি মিডিয়াম’, ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’ ও ‘দ্য অ্যামেজ়িং স্পাইডারম্যান’ প্রমুখ।তিনি তার নিজের নিজস্ব অভিনয়ের একটা আলাদা ধারা তৈরি করেছিলেন। ২০১১ সালে অভিনয়ের জন্য পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।পান জাতীয় পুরস্কারের সন্মান সহ আরও অন্যান্য সম্মান।তাঁর মৃত্যু আগামীর কাছে একটা বড় ধাক্কা।মানসিক ভাবে তিনি সাম্প্রতিক বেশ কিছুদিন টেনশনে ছিলেন।কারণ তার 
মা সঈদা বেগম জয়পুরে গত শনিবার ইন্তেকাল করেন।লকডাউনে তিনি মায়ের কবরে মাটি ও দিতে যেতে পারেন নি।সবটাই ভিডিও কলে তিনি তার মায়ের বিদায়বেলার সাক্ষী ছিলেন। সেই একটা বেদনাময় শোক তিনি নিতে পারেন নি।তার আত্মার শান্তি কামনা করি।তিনি সারা বিশ্ব তথা ভারতবাসীর কাছে আজীবন তার ছবির মাধ্যমে চরিত্রের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন।ইন্ডিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তাকে কোনোদিন ভুলবে না।

করোনা ভলেন্টিয়ার নিয়ে রাজনীতি নদীয়ায়


এবার রাজনীতি শুরু হল করোনা ভলেন্টিয়ার নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে করোনায় স্বেচ্ছাসেবি হিসেবে কাজ করতে চেয়ে এসডিও এবং বিডিওর কাছে আবেদন করেন চাকদহের তাতলা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জনা দশেক তরুন তরুণী। এসডিও কল্যাণী এবং বিডিও চাকদহকে এরা চিঠি দিয়ে জানান, স্বেচ্ছাসেবি হিসেবে কাজ করার জন্য কোনও পরিশ্র্মিক চান না তারা। তারা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। প্রশাসনের পরামর্শ মেনেই সব কাজ করবেন তারা। কিন্তু আবেদন করার দু সপ্তাহ পরও তাদের আবেদন মঞ্জুর করেনি প্রশাসন। 
অন্যদিকে এলাকায় শাসক দলের তিন জনকে এই কজের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। স্বভাবতই তারা নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করছেন না। পঞ্চায়েত প্রধানের অনুগামী ছাড়া অন্যদের কোনো সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। চাকদহ থেকে স্বেচ্ছাসেবিরা নবপল্লির এক বয়স্ক পরিবারে ওষুধ পৌছে দেওয়ায় তাদের হুমকি দেয় পঞ্চায়েত প্রধান পার্থ প্রতীম দে। তার অনুমতি ছাড়া কাউকে সাহায্য করলে ফল ভালো হবে না বলে তিনি স্বেচ্ছাসেবিদের জানান। 
পুরো বিষয়টি জানিয়ে সোমবার এসডিও কল্যাণীকে চিঠি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী মুকুল বিশ্বাস (9007955530)। এই মহামারির সময়ে রাজনীতির উর্ধে উঠে প্রশাসনকে কাজ করার অনুরোধ করেছেন তিনি। সঙ্গে এলাকার নিরপেক্ষ শিক্ষিত তরুন তরুণীদের স্বেচ্ছসেবি হিসেবে কাজ করার অনুমতির জন্যও  আবেদন রয়েছে তার। এই মহামারি যে রাজনীতির সঠিক সময় নয় সে কথাও প্রশাশনের কর্তাদের তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন।

চরিত্রের আসন - রুনু ভট্টাচার্য

চরিত্রের আসন
       রুনু ভট্টাচার্য
 

মানুষ কিংবা যতো জীব আছে,সৃষ্টি রূপে এই ধরণীতে,
সবাই সবার আদর্শ চরিত্রে,নাম পাবে গুণের নীতিতে,
নিয়ম নীতিতে মানুষের গুণ,সৃষ্টির মাঝে সেরা,অসাধারণ, 
এখন সবার চরিত্রের কারণে,মানুষ বলাতে আছে বারণ।

কীট হয়ে গেছে মানুষের চরিত্র,আবাদ করছে জন্তুর জীবন,
চরিত্রহীন মানুষের অনাচারে,শ্রেষ্ঠত্বের পদে রক্তক্ষরণ,
বুদ্ধি হলেই আমরা শুনেছিলাম,হিংস্রতার প্রাণী সে আলাদা,
মানুষ পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ জীব,মানুষের মন কোমল নরম কাঁদা।

কোমল মানুষ ছড়াবে সুবাস,সেই মানুষই করে হিংস্রতা আবাদ!
পৃথিবীর বুকে শ্রেষ্ঠত্বে আসন,চরিত্রহীনতায় গেলো স্বপ্ন স্বাধ,
কেমন জনম গড়ছি মোরা,প্রাপ্ত আমানত চরিত্রের স্খলন,
কিসে হবে শোধ নষ্ট এ জীবন,পুনঃজন্মে হবে অবশিষ্ট বপন।

জন্মের রূপে আর নামের পদে,আমরা মানুষ আজব প্রাণী!
সফল হয়নি মানবের স্থিতি,মানব জীবনে আজ শুধু পেরেশানি,
কথা ছিলো মানবের হৃদয়,সু চরিত্রের গুণে হবে মূল্যবান,
স্রষ্টার গুণে মানব পুলকিত,মানব হৃদয়ে থাকবেন মুক্ত ভগবান।

মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৮, ২০২০

পাঁশকুড়ায় ভবঘুরেদের খাওয়ানো চলছে

জুলফিকার আলি
  

পরিবহন,সেচ ও জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী  শুভেন্দু অধিকারী ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক এর সহযোগিতায় পাশকুড়ার  পৌরসভার উপপ্রধান সইদুল ইসলাম খাঁন , প.ব.মাইনোরিটী কমিশনের সদস্য হাজী জইদুল ইসলাম খাঁন ও রেল পুলিশ (GRPF)-এর ব্যবস্থাপনায় প্রতিদিনের মতো আজকেও (28/04/2020) দুপুরে পাঁশকুড়া স্টেশন এলাকায় ভবঘুরেদের খাওয়ানো হল

করোনায় অভুক্তদের পাশে দাঁড়ালো বিদ্রোহী কবির পরিবার

সুকান্ত ঘোষ
 

চলতি  সপ্তাহে পশ্চিম বর্ধমানের বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলামের জন্মভিটে  চুরুলিয়ায় বিদ্রোহী কবির নাতনি  তথা বাচিক শিল্পী  সোনালি কাজি তাঁর সমাজসেবী সংগঠনের মাধ্যমে এলাকার শতাধিক গরিব মানুষদের খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন। সেইসাথে মাস্ক বিলি করা হয়। এই করোনা পরিস্থিতি ঘরে থাকবার প্রচার অভিযান চলে                         

বর্ধমান শহরে বিভিন্ন বাজারে টাস্কফোর্স

সেখ নিজাম আলম
  

আজ সকাল থেকে বর্ধমান শহরের বিভিন্ন বাজার এলাকায় টাস্ক ফোর্স ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের উপস্থিতিতে পরিদর্শন চলছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা-সহ লক ডাউনের সময়কার বিধি মেনে চলার বিষয়ে নজরদারি চলছে।

বুঝে উঠা - প্রতিমা পাল

বুঝে উঠা
         প্রতিমা পাল

ছোট একটা গল্প
লিখছি কিছু অল্প।
মনের মাঝে না রেখে 
দূর করো তাকে দেখে।
দেবে মনে অনেক ব্যথা
সইতে পারবে তো তার  কথা।
প্রথম প্রেম মিষ্টি বেশি
প্রথম প্রথম বেজায় খুশী।
দেখতে থাকি তুমি কতো ভালো 
সারা জীবন কী করবে আলো।
কিছু হয় মনের কথা 
কিছু আবার সত্যি কথা।
যাক রাখতে পারলে ভালো 
না হলে হবে জীবন কালো।

নিউ ব্যারাকপুরের 'আরোহন আবাসন' অসহায়দের পাশে দাঁড়ালো

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি 
  
        লকডাউনের পর সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে দৈনিক বেতনে কাজ করা শ্রমজীবি সম্প্রদায়ের মানুষ। কাজ বন্ধ থাকায় বেতন বন্ধ।ফলে পরিবারের সদস্যদের মুখে দু'মুঠো খাবার তুলে দেওয়া চরম সমস্যা হচ্ছে। সরকারি সাহায্য তো আছেই তার সঙ্গে বিভিন্ন ব্যক্তি বা সংস্থা বারবার তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। এব্যাপারে নিউ-ব্যারাকপুর পুরসভার দুস্থরা যথেষ্ট ভাগ্যবান। মাঝে মাঝেই তারা সাহায্য পেয়ে থাকছে।
        এবার সংশ্লিষ্ট পুরসভার ১১ নং ওয়ার্ডের দুস্থদের সাহায্য করতে এগিয়ে এল ঐ ওয়ার্ডেরই "আরোহন আবাসন" এর আট জন বাসিন্দাদের হাতে গড়ে ওঠা 'আরোহন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন'।গত ২৫, ২৬ ও ২৭ শে এপ্রিল - এই তিন ধরে তারা ঐ ওয়ার্ডের প্রায় ২০০ টি পরিবারের হাতে ৫ কেজি চাল, ২৫০ গ্রাম সরষে তেল, ২ কেজি আলু ২৫০ গ্রাম সয়াবিন ও ৫০০ গ্রাম পেঁয়াজ তুলে দেয়। শুধু তাই নয় পার্শ্ববর্তী ১২ ও ১৩ নং ওয়ার্ডেরও কিছু পরিবার সাহায্য পেয়েছে। সাহায্য পেয়ে অসহায় পরিবারগুলি খুব খুশি। 
         অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম সদস্য দেবাশীষ সিনহা রায় বললেন - এই সময় আমরা ভাল ভাল খাবার খাব আর আমাদের প্রতিবেশীরা উপোস থাকবে সেটা আমরা মন থেকে মেনে নিতে পারিনি। তাই নিজেদের সাধ্যমত ওদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। লকডাউন চলাকালীন আরও একাধিক বার ওদের সাহায্য করার ইচ্ছে আছে। একই সুর শোনা গেল অসীম তালুকদার, বাদল চক্রবর্তী, বিমল সাহা সহ অন্যান্য সদস্যদের কণ্ঠে।

নবদ্বীপের লায়ন্স শাখা তিন হাজার মানুষদের আহারের আয়োজন করেছে

শ্যামল রায়, 
  

লায়ন্স অফ নবদ্বীপ শাখার উদ্যোগে  তিন হাজার গরিব মানুষের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণ
মঙ্গলবার লায়ন্স অফ নবদ্বীপ শাখার উদ্যোগে নবদ্বীপ শাখার উদ্যোগে নবদ্বীপ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে উন্নতমানের রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন লায়ন্স সভাপতি দিলীপ কুমার সাধুকা ও সম্পাদক অলোক দাস, অন্যতম কর্ণধার সুজিত কুমার দে সহ অন্যান্য সদস্য গণ।
সুজিত কুমার দে জানিয়েছেন যে মঙ্গলবার নবদ্বীপ শহরের ব‍্যাদরাপাড়া, ষষ্ঠীতলার মুচিপাড়া, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রফুল্ল নগর সমাজ বাড়ি রেললাইন পারের 3000 এলাকার গরীব অসহায় মানুষের মধ্যে উন্নত মানের রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। লকডাউন মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অসহায় গরীব মানুষ মুখে মাস্ক পড়ে গোবিন্দ ভোগের খিচুড়ি আলুর দম মিষ্টি গ্রহণ করেন।
আরো জানা গিয়েছে যে কিছুদিন যাবত নবদ্বীপ শহরের বিভিন্ন প্রান্তের গরীব অসহায় মানুষদের মধ্যে মাঝেমধ্যেই লায়ন্স নবদ্দীপ তরফ থেকে উন্নত মানের খাবার এবং খাদ্য সামগ্রী সহ শিশুদের খাবার বিতরণ করার কাজ চলছে নিয়মিতভাবে। প্রফুল্ল নগর এ লায়ন্স অফ নবদ্বীপ শাখার উদ্যোগে যে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে এখানে সহযোগিতায় ছিলেন সাংবাদিক শ্যামল রায়। খাবার পেয়ে ভীষণ খুশি এলাকার গরীব অসহায় মানুষ।

করোনার থাবায় ১৫ মে অবধি অচল থাকছে আদালত

মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)    
     


মারণ ভাইরাস করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা অনুযায়ী গত ১৬ মার্চ থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার অচল বলা যায়। নিম্ন আদালতে জামিন সংক্রান্ত মামলা ছাড়া অন্য সাধারণ মামলাগুলির বিচার প্রক্রিয়া থমকে। দফায় দফায় করোনা ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে লকডাউন বৃদ্ধি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫ মে অবধি আদালতে স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ থাকবে। তবে কলকাতা হাইকোর্টে বিশেষ দিন গুলিতে ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি চলছে। আলিপুর - শিয়ালদহ - বারুইপুর সহ বেশকিছু আদালতে অনলাইন শুনানি শুরু হতে চলেছে বলে জানা গেছে । কলকাতা হাইকোর্টে ২ টি করে ডিভিশন বেঞ্চ এবং ৩ টি করে সিঙ্গেল বেঞ্চ সর্বমোট ৫ টি বেঞ্চে চলবে ডিজিটাল বিচার-প্রক্রিয়া।২৮ এপ্রিল, ৩০ এপ্রিল, ৪ মে, ৭ মে, ১২ মে এবং ১৫ মে দিনগুলিতে জনস্বার্থ সহ গুরত্বপূর্ণ মামলার শুনানি হবে। প্রসঙ্গত, গত ১৬ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আদালতে স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ রাখার নির্দেশিকা। ধাপে ধাপে সেই মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়ে ১৫ মে অবধি রাখা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে ভিডিও কনফারেন্সে বিচার প্রক্রিয়ায় মামলার পিটিশন থেকে শুনানি এমনকি রায়দান / আদেশনামা সবই হচ্ছে অনলাইন প্রক্রিয়ায়। মামলার প্রাক্কালে মামলাকারী আইনজীবির ইমেল থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগাযোগকারী আইডি নাম্বার সব বিশদে জানানো হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টে। তারপর বাদী - বিবাদী উকিলবাবুদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি চলছে মামলাগুলির।                                                                                                                                                 

শিমুলিয়ায় খাদ্য সামগ্রী বিলিতে কৈচর পুলিশ

পারিজাত মোল্লা
  


  ; মঙ্গলবার সকালে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট ব্লক এলাকায় চললো পুলিশের তরফে খাদ্য সামগ্রী বিলি। কৈচর পুলিশ ফাঁড়ির পরিচালনায় শিমুলিয়া গ্রামে এলাকার দুশোর অধিক গরীবদের দেওয়া হয় এই খাদ্য সামগ্রী। ৫ কেজি চাল, ২ কেজি আলু এবং ৫০০ গ্রাম ডাল ছিল এই খাদ্য সামগ্রীতে বলে জানিয়েছেন কৈচর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি সুজিত ভট্টাচার্য মহাশয়।লকডাউন কাটার একমাস পরে এই খাদ্য সামগ্রী পেয়ে খুশি এলাকাবাসী।                           

দুর্গাপুরে কং নেতার খাদ্য সামগ্রী বিলি

সেখ নিজাম আলম 
 

কংগ্রেস নেতার সাহায্য।কংগ্রেস নেতা তথা  প্রাক্তন পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির  সদস্য  জয়গোপাল দে আজ দূর্গাপুরে ২৫ টি পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলেন। জানা যায় চাল,ডাল,তেল,সাবান,সোয়াবিন,নুন প্রভৃতি দান করেন। জয়গোপালবাবু জানান, এই লক ডাউনে গরীবদের কষ্ট অনুধাবন করে আমি ব্যাক্তিগতভাবে ২৫ টি পরিবার কে এই খাদ্যদ্রব্য দান করে নিজেকে ধন্য মনে করছি। কারণ এই খাদ্যদ্রব্য পেয়ে গরীবদের যে কি আনন্দ তা উপলব্ধি করেছি। ভবিষ্যতে পূণরায় তার দান করার মানসিকতা আছে বলে তিনি  জানান।

পঞ্চাশ হাজারের অনুদান আইসিডিএস কর্মীদের

দারকানাথ দাস
  
 কালনার পূর্বস্থলী ২ নং আইসিডিএস  সহায়িকা দের পক্ষ থেকে  করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫০০০০( পঞ্চাশ হাজার) টাকা প্রদান করা হয়। উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের   মন্ত্রী শ্রী স্বপন দেবনাথ, কালনা এসডিও শ্রী সুমন সৌরভ মহান্তি,  সিডিপিও শ্রী অরিন্দম রায়,  পূর্বস্থলী ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি  শ্রী তপন চ্যাটার্জী  প্রমুখ।

সোমবার, এপ্রিল ২৭, ২০২০

হিসাব মিলছেনা - তৃণা মুখার্জি

হিসাব মিলছে না (অনুগল্প )
       তৃণা মুখার্জি
 

সবকিছু সেরে যখন বাড়ি ফিরছি তখন দেখলাম আমার প্রিয় ঘরটায় তালা দেওয়া। অনেক বড় তালা ।তালাটা কে দিল, কেন দিল , জানিনা‌। যে দিয়েছে ওই তালা , সে কি জানত না ওই ঘরে কোন দিন চুরি হবে না ।কারণ ওটা যে খুব ভালোবাসার ঘর । সেখানে যে কত ভালোলাগা আছে, তা হয়তো তারা জানেনা ।তারা শুধু জানে একটা তালা আর একটা চাবির হিসাব।

নিউ ব্যারাকপুরের ১১ এবং ২০ নং ওয়ার্ডে চলছে আহারের আয়োজন

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি
  
       লকডাউনের সময় এলাকার দুস্থ পরিবারগুলিকে সাহায্য করতে এগিয়ে এলো নিউ ব্যারাকপুর পৌরসভার প্রায় ২৫ জন যুবক। উত্তর দমদম বিধানসভার অন্তর্গত এই পৌরসভায় বেশ কিছু 'দিন আনি দিন খায়' পরিবার বাস করে। লকডাউনের কারণে কাজ বন্ধ থাকায় তারা বেশ সমস্যায় পড়ে। সংসার প্রতিপালন করা কষ্টকর হয়ে ওঠে। তখনই তাদের কাছে রান্না করা খাবার পৌঁছে দিচ্ছে ঐ যুবকরা।
       স্হানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে গত ২৬ শে এপ্রিল ১১ নং ওয়ার্ড থেকে তারা এই কর্মসূচী শুরু করে। ১১ ও ২০ নং ওয়ার্ড মিলিয়ে  দু'দিনে প্রায় ১০০ টির বেশি পরিবারের হাতে তারা ভাত, ডিমের ঝোল,চাটনি ইত্যাদি রান্না করা খাবারের প্যাকেট তুলে দেয়।দু:সময়ে রান্না করা খাবার পেয়ে অপূর্ব ঘোষ, তপন সাহা, সমীর পালরা খুব খুশি।
       দলের এক সদস্য বললেন - আমাদের মূল লক্ষ্য হলো নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার পরিস্থিতির শিকার এইসব  দুস্থ পরিবারের হাতে রান্না করা খাবার পৌঁছে দেওয়া।অযথা ভিড় এড়ানোর জন্য এবং  সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে চলার জন্য আমরা ঘরে ঘরে খাবারগুলি পৌঁছে দিচ্ছি। আগামীদিনে অন্যান্য ওয়ার্ডগুলিতেও আমরা যাব এবং যতদিন লকডাউন চলবে ততদিন এই পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করব।তিনি আরও বললেন - যাতে কোনো পরিবার কম খাবার না পায় তারজন্য আগেই পরিবারগুলির সদস্য সংখ্যার তালিকা তৈরি করে নেওয়া হচ্ছে এবং সেই অনুযায়ী খাবার দেওয়া হচ্ছে।

'ঘর থেকেই রক্তদান' চালু হলো মেমারিতে

সুরজ প্রসাদ
 

চলতি লকডাউনে কঠিন সময়ে রক্তের আকাল মেটাতে , "ঘরে থেকেই রক্তদান" এই অভিনব উদ্যোগ নিল পল্লিমঙ্গল সমিতি।  পল্লিমঙ্গল সমিতি ও গায়ক সিধুর উদ্যোগে ভরুকা ব্লাড ব্যাংকের সহযোগিতায় "LUSD" গ্রুপের ব্যবস্থাপনায় ঘরে বসেই রক্তদানের ব্যবস্থা করছে পল্লিমঙ্গল সমিতি। সোমবার থেকে এই কর্মসূচির শুভ সূচনা হল। এই ধরনের রক্তদান শিবির পূর্ব বর্ধমান জেলায় এই প্রথম বলে দাবী কর্তৃপক্ষে। পল্লিমঙ্গল সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, লকডাউনের সময় বাইরে বেরুনো বা কোন জমায়েত করে কিছু করা যাবে না। তাই রক্তদান শিবিরের ভিড় এড়াতে প্রত্যেকেই বাড়ি থেকে রক্তদান করতে পারবেন। রক্ত দেওয়ার জন্য নাম জমা দিতে এই নম্বরে ৯০৬৪৯৯৩১৩৬  ফোন করতে হবে।  তা হলেই ভ্রাম্যমান রক্তসংগ্রহের মেডিকেল টিম ও গাড়ি পৌছে যাবে আপনার বাড়ি, সমস্তরকম নিয়ম মেনে সংগ্রহ করবে রক্ত। সমিতির সম্পাদক সন্দীপন সরকার জানান আজ ৪২জন রক্তদাতার বাড়ি থেকে রক্ত সংগ্রহ করা হয়। 

১৪ রকম সবজি সহ চাল বিলিতে বড়শুল কিশোর সংঘ

সেখ সামসুদ্দিন
 

 সরকারি উদ্যোগে চাল পাচ্ছে সকলেই প্রায়, কিন্তু তার সাথে সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় ডাল তেল সব্জী ইত্যাদি জিনিষের ক্রয় ক্ষমতা হারিয়েছে সাধারণ মানুষ, কাজ হারিয়ে ঘরে বসে তাই সাধকে বেধে রেখে সাধ্য মতন খেয়েই পেট ভরাচ্ছে অনেক নিম্নবিত্তই ! অনেক সংগঠন চাল ডাল তেলের পসরা নিয়ে সাহায্যের হাত বাড়ালেও ১৪রকম সব্জী সহকারে চাল বিতরণ করে অনন্য নজির গড়ল বড়শুল কিশোর সংঘ ; স্থানীয় বিধায়ক নিশীথ মালিকের উপস্থিতিতে আনুমানিক প্রায় ৫০ জন মানুষের হাতে এদিন ত্রাণ তুলে দেওয়া হয় বলে জানান সংঘের সম্পাদক পার্থ ঘোষ, পল্লিমঙ্গল সমিতির সভাপতি নিমাই মুখার্জী এদিন বলেন "পল্লিমঙ্গলের পক্ষে এদিন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। বড়শুল কিশোর সংঘের উদ্দেশ্য ১৪ রকম সব্জী ও চালের সাথে আমাদের তরফে পরিচ্ছন্নতার বার্তা নিয়ে প্রত্যেকের জন্য ১টি করে ঘড়ি ডিটারজেন্ট পাউডারের প্যাকেট তুলে দেওয়া হয় প্রত্যেকের হাতে। অসময়ে মানুষের পাশে থাকার তাদের এই প্রচেষ্ঠায় পল্লিমঙ্গল সমিতি সাধুবাদ জানায়" বড়শুল কিশোর সংঘের এই উদ্যোগ হাসি ফুটিয়েছে অনেকের মুখেই, এখন অবধি মোট আনুমানিক ২০০ পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

মুখ্যমন্ত্রীর করোনা অনুদানে আইসিডিএস কর্মীদের আর্থিক সহযোগিতা

শ্যামল রায়
  

মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে আইসিডিএস কর্মীদের তরফ থেকে ৫০ হাজার টাকার চেক।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দিলেন আইসিডিএস কর্মীদের তরফ থেকে রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ মহকুমাশাসক এর হাতে। সিডিপিও অরিন্দম রায় জানিয়েছেন যে সোমবার কালনা মহকুমা শাসকের হাতে পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লক আইসিডিএস কর্মী ও সহকারীদের তরফ থেকে এই আর্থিক মূল্যের চেক তুলে দেওয়া হয়। চেকটি তুলে দেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ।উপস্থিত সিডিপিও অরিন্দম রায় ও পূর্বস্থলী ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তপন চ্যাটার্জি। সিডিপিও অরিন্দম রায় জানিয়েছেন যে কোন ভাইরাসের মরণব্যাধি থাবা থেকে বাঁচতে চলছে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন। লকডাউন চলাকালীন খেটে খাওয়া মানুষের চরম অভাব যেমন ঘটেছে তেমনি করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন‍্য এগিয়ে আসা উচিত। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে আমরা এই চেক প্রদান করলাম। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন যে নিয়মিতভাবেই মহকুমাশাসক সুমন সৌরভ মহান্তি -র হাতে আমরা এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিয়েছি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আমরাই চেকটি তুলে দিয়েছি।

মাথা ন্যাড়া করে রাজ্যের মন্ত্রী মাঠে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখালেন

সুভাষ মজুমদার
  

রাজ্য কিষাণ ক্ষেত মজদুর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা হরিপাল বিধায়ক বেচারাম মান্না 

 আজ মাথা নেড়া হয়ে কৃষি সরঞ্জাম নিয়ে মাঠে বসে প্রতিবাদ জানান ৷ পাশাপাশি বেচারাম বাবু আরো বলেন যে কেন্দ্রীয় সরকারের করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের কৃষককে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে মুখে বড় বড় কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওলটে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠাছেন রাজ্যকে না জানিয়ে। দেশে পরিযায়ী শ্রমিক দের দুরবস্থার মধ্যে আছে তাদের কোনো সাহায্য করছেন না।

ভাতারের খেড়ুর দুরন্ত ক্লাব খাদ্য সামগ্রী বিলিতে

আমিরুল ইসলাম  

 ভাতারের খেরুর দুরন্ত  ক্লাব উদ্যোগে আড়াইশো টি পরিবারকে দেয়া হল চাল ও মাস্ক ।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি করোনা মোকাবেলার জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে বলেছেন।ভাতারের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক ও ক্লাব গুলি এগিয়ে এসেছেন সাহায্যে ।সেরকমই আজ খেরুর দুরন্ত  ক্লাব প্রায় 250 জন পরিবারের হাতে তুলে দিলেন তিন কিলো করে চাল ও একটি করে মাস্ক ।

ক্লাব সদস্য বিধান ঘোষ জানান, আজ আমরা ক্লাবের পক্ষ থেকে আড়াইশো জন মানুষকে কিছু খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলাম। আগামীতেও বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকবে আমাদের ক্লাব। পাশাপাশি লকডাউন বাড়লে আবার আমরা গরিব মানুষদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবো।


 

নারী - তৃণা মুখার্জি

নারী
    তৃণা মুখার্জি
 

হঠাৎ মন বলে উঠলো-
হারিয়ে গেছি আমি।
 জানি না কোন সূদূরের পাড়ে।
আমি কি সেই  চণ্ডালিকা, যাকে থাকতে হয় নগর প্রান্তে?
নাকি সেই চিত্রাঙ্গদা, 
যার স্থান সে নিজেই ঠিক করে?
নাকি সেই সারাদিন খেলা দেখানো ভানুমতী?
 নাকি ঐ নীরব পশুদের সাথে কথা বলা নীরব সুভা?
 ‌তারপর উত্তর এলো,
 আমি সেই নারী
যাকে যুগ যুগ ধরে পুরুষেরা করেছে বন্দনা ,
যার শক্তিতে সকলে হয় আলোকিত।
হ্যাঁ আমি সেই নারী।।

শালবনী ব্লক তৃণমূল সভাপতির উদ্যোগে দুশো পরিবার কে খাদ্য সামগ্রী

লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে  শালবনী  ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নেপাল সিংহ মহাশয়ের  উদ্যোগে শালবনির মাঝিপাড়া গ্রামে 200 বেশি পরিবারকে ত্রাণসামগ্রী এবং খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হল , ত্রাণ সমগ্রি তুলে দিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অজিত মাইতি মহাশয় , উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিনু কোয়ারী, সন্দীপ সিংহ , অসিত ঘোষ ,শক্তি রানী পাল , লক্ষীকান্ত ঘোষ সহ অন্যান্য কর্মী এবং নেতৃত্ব গন

লকডাউনে মোবাইলে তৈরি হলো শর্টফিল্ম 'গৃহবন্দি'

মোবাইলে তৈরি হলো শর্ট ফিল্ম "গৃহবন্দী"

রাজকুমার দাস
  

 করোনায় আজ গোটা বিশ্ব আক্রান্ত,লকডাউন এর মধ্যেই গৃহবন্দি থাকা অবস্থায় তরুণ পরিচালক রাহুল দত্ত  চলমান যন্ত্রে বানিয়ে ফেললো খুব সুন্দর ছোট্ট একটি শর্ট ফিল্ম যার নাম "গৃহবন্দি"। এই শর্ট ফিল্মে যে যার বাড়িতে থেকে অভিনয় করেছে সপ্তর্ষি সোম চৌধুরী, তমাল চক্রবর্তী, শুভম পাল, প্রশান্ত নালুই, সায়ন মুখার্জি,সহ পরিচালক স্বয়ং।সংগীত পরিচালনায় অমিত মিত্র।শর্ট ফিল্মটির সম্পাদনা করেছেন বিজয় ঘোষ।এই শর্ট ফিল্মের কাহিনী চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন পরিচালক নিজেই।তাছাড়া ও সহযোগিতা সম্পূর্ণ টিম।এই শর্টফিল্মটির নেপথ্যে কণ্ঠ দিয়েছেন সায়ন মুখার্জি।এই "গৃহবন্দী "শর্ট ফিল্মটি রাহুলের প্রথম কাজ নয় এর আগেও বেশ কিছু শর্ট ফিল্ম ও মিউজিক ভিডিও বানিয়েছে।আগামীদিনে বড় পর্দার জন্য ছবিও করতে চলেছে রাহুল।ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে তার সদ্য বানানো শর্ট ফিল্মটি দর্শকদের ভালো লেগেছে।আমরা তার আগামী দিনে এগিয়ে চলার শুভেচ্ছা ,শুভ কামনা জানাই।সকলকে লকডাউনে বাড়িতে থাকতে অনুরোধের পাশাপাশি আগামী দিনে আমরা যেন এক নতুন রোগমুক্ত জীবাণু মুক্ত সকাল দেখতে পাই সেই আশায় রইলাম।

জয় বাংলা প্রকল্পে সাড়া পড়ছে গুসকারায়

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি , 
       রাজ্যের বিধবা, কৃষক, মৎস্যজীবী, তাঁতি, কারিগর সহ বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত বয়স্কদের সাহায্য করার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী 'জয় বাংলা' নামে একটি পেনশন প্রকল্প চালু করেন। ফেব্রুয়ারি (২০২০ ) মাসে বাজেট (২০২০-২০২১) পেশ করার সময় রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র 'জয় জহার' ও 'বন্ধু' নামে আরও দুটি প্রকল্প 'জয় বাংলা ' পেনশন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করেন। মূলত ৬০ বছর বা তার উর্দ্ধের তপশিলি জাতির মানুষের জন্য 'বন্ধু' ও তপশিলি উপজাতি মানুষের জন্য 'জয় জহার'  প্রকল্প চালু করা হয়। অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী প্রতি মাসে যোগ্য ব্যক্তিরা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১০০০ টাকা করে পাবে এবং এরফলে দুই সম্প্রদায়ের প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ  উপকৃত হবে।
        এই প্রকল্প সম্বন্ধে এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের অবহিত করার জন্য গত ২৬ শে এপ্রিল পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি দেবব্রত শ্যামকে সঙ্গে নিয়ে শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কুশল মুখার্জ্জী গুসকরা পৌরসভার  বিভিন্ন ওয়ার্ডের আদিবাসী মানুষদের কাছে যান। কারা এই প্রকল্পে সুযোগ পাবে এবং কিভাবে নাম নথিভুক্ত করতে হবে সেই বিষয়ে তারা তাদের অবহিত করেন।
      পরে কুশল বাবু বলেন - রাজ্যের মানুষের সুবিধার্থে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী যেসমস্ত প্রকল্প চালু করেছেন সেগুলি যাতে যোগ্য ব্যক্তিরা পায় তার জন্য আমরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে যাচ্ছি। আমাদের নেতা অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশ এলাকার একজন যোগ্য ব্যক্তি যাতে এই দুটি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্য সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়াও করোনা মোকাবেলার জন্য এলাকার মানুষকে সরকারের নির্দেশ মেনে চলার জন্য অনুরোধ করি।

রবিবার, এপ্রিল ২৬, ২০২০

আইনজীবীদের আর্থিক সাহায্য করলো হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশন

মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)    

কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ৪০০ জন আইনজীবীদের ২ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হল। এখনও ৬০০ এর বেশি আইনজীবীদের আবেদন রয়েছে। আইনজীবীদের একাংশের কাছে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার অনুরোধ রেখেছেন বার এসোসিয়েশন এর সভাপতি অশোক কুমার ঢনঢনিয়া।               করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় বিধিনিষেধ বজায় রেখে গত ১৬ মার্চ থেকে রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার অচল হয়েছে। যা মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ  অবধি ধাপেধাপে সময়সীমা বাড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুধুমাত্র কলকাতা হাইকোর্টে ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি চলছে তাও মাসে ৭ থেকে ৮ দিন মত। গত ১৬ মার্চ থেকে রাজ্যের আইনজীবীরা একপ্রকার বেকারত্বের শিকার বলা যায়। গোটা রাজ্যে ৪২ হাজার মত নিয়মিত / অনিয়মিত আইনজীবী রয়েছেন। এর মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে আইনী পেশার সাথে যুক্ত প্রায় ১০ হাজার আইনজীবী। টানা ৪০ দিন আদালতমুখী হয়নি এই রাজ্যের আইনজীবীমহল। আর্থিক সমস্যায় আইনজীবীদের বড় অংশ। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চে বারাসাতের এক আইনজীবী আইনজীবীদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া সহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে মামলাও করেছেন। ১৬ এপ্রিল এই মামলার শুনানির  জন্য নির্ধারিত হলেও  আগামী ৩০ এপ্রিল এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে। গত ৩০ মার্চ ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং রাজ্য আইনমন্ত্রী কে ইমেল মারফত চিঠি লিখে আইনজীবীদের পাশে দাঁড়াবার জন্য আবেদন রেখেছেন। গত ৮ এপ্রিল বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের বর্ষীয়ান সদস্য আনসার মন্ডল কেন্দ্রীয়  বার কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান কে   চিঠি লিখে আইনজীবীদের পাশে দাঁড়াবার অনুরোধ জানিয়েছেন। এই চিঠিও প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য আইনমন্ত্রী কে। সেইসাথে রাজ্যের বার কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান অশোক দেব মহাশয়কে ও    অবগত করানো হয়েছে। আনসার বাবু রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ৩৭ টি বেসরকারি আইন কলেজ কর্তৃপক্ষ কে আইনজীবীদের এহেন দুসময়ে পাশে দাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন। অপরদিকে কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক কুমার ঢনঢনিয়ে অত্যন্ত তৎপরতায় এক রিলিফ ফান্ড গড়েছেন। ইতিমধ্যেই ৮০০ এর বেশি আইনজীবী বার এসোসিয়েশনের পদাধিকারীদের কাছে ইমেল মারফত আর্থিক অনুদান দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।হাইকোর্টের  বার এসোসিয়েশন সুত্রে প্রকাশ, এহেন আইনজীবীদের ২ হাজার টাকা করে মাসিক আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে  । ইতিমধ্যেই ৮ লক্ষ টাকা উঠে এসেছে আইনজীবীদের আর্থিক অনুদান দেওয়ার জন্য। এর মধ্যে বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক কুমার ঢনঢনিয়া দিয়েছেন ২ লাখ, ক্যালকাটা হাইকোর্ট কালচারাল সোসাইটির তরফে ২ লাখ, মিলন মুখোপাধ্যায় দিয়েছেন ১ লাখ অনুদান অন্যতম । বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক কুমার ঢনঢনিয়া জানিয়েছেন    - "আরও ১০ লাখ টাকার অনুদান দরকার। হাওড়ার এক বেসরকারি ব্যাংকে একটি জরুরি কালিন রিলিফ ফান্ড একাউন্ট খোলা হয়েছে"। অপরদিকে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ইমেল মারফত অভাবী আইনজীবীদের আর্থিক অনুদান দেওয়ার প্রয়াস নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বার কাউন্সিল এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান সদস্য আনসার মন্ডল মহাশয়।                                                                                                                                                                                                              


অভুক্তদের খাদ্য সামগ্রী বিলিতে দীঘার 'সূচনা'


জুলফিকার আলি
   আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘায় "সূচনা" স্চ্ছোসেবী সংগঠনের সমস্ত সদস্যের উদ্যোগে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ (D.S.D.A) এর কর্মরত সাফাই কর্মীদের হাতে কিছু খাদ্যসামগ্রী যেমন চাল,ডাল,আলু,মুড়ি,সোয়াবিন,তেল, পিয়াজ ইত্যাদি বিতরণ করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন বিপ্রদাস চক্রবর্তী,অজিত শাহু,লুৎফা খাতুন,কৌশিক শুঁই,চন্দন পয়ড়্যা, সুশান্ত ঘন্টা,বিদুৎপোর্না মিত্র,সেখ বারজাহান মহম্মদ ও অন্যান্য সদস্য বৃন্দ।
সমস্ত কিছুই তারা প্রশাসনিক নিয়ম মেনে করে চলেছেন। এবং আগামী দিনগুলোতেও তারা একই নিয়ম মেনে অনেক কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন।

হলদিয়ায় পঞ্চায়েত প্রধানের মাস্ক বিলি নিয়ে উত্তেজনা

জুলফিকার আলি
  

রেড জোনে পঞ্চায়েত প্রধান মাস্ক বিলি করতে যাওয়ায় বাধা, ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসী। 

হলদিয়া ::::  নুতন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পূর্ব মেদিনীপুরে বাড়ার ফলে রেড জোনে রয়েছে।সংক্রমন বাড়ার ফলে সতর্ক করছেন প্রশাসন। হলদিয়ার জয়নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে করোনা পজিটিভ পাওয়ার পর নড়ে চড়ে প্রধান।লকডাউন বিষয়ে বরাবরই তৎপর রয়েছে প্রশাসন তবে আরও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা গেল বিশেষ করে "মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক" নির্দেশ জারির পর। নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আবারও পথে নেমেছে পুলিশ। প্রথমত লকডাউন, দ্বিতীয়ত করোনা সংক্রমণ এড়াতে রাস্তায় একে অপরের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক ব্যবহার বিষয়ের উপরেই বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে প্রশাসন। মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক হওয়ার পর রাস্তায় মাস্ক ছাড়া ব্যক্তিদের আটক করা ও দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ করে মোটরবাইকে একাধিক জন দেখা গেলে বাইক সহ বাইক চালককেও আটক করছে স্থানীয় দূর্গাচক থানা।
হলদিয়া দূর্গাচক থানা এলাকায় পাথরবেড়িয়া  রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করণ হয়েছে। জয়নগর পঞ্চায়েত এলাকার আশা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিদর্শন করছেন। তার সঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান তিনিও মাস্ক বিলি করতে এলাকায়  যান। পাথরবেড়িয়া এলাকাবাসী পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় এবং মাস্ক বিলি করতে বাধা দেয়।এলাকাবাসীর অভিযোগ যে তারা ঠিকমতো রেশন পায় না ,খাদ্যদ্রব্য পায়না  তাদের খাবার ব্যবস্থা করুন। তারা লকডাউন  অমান্য করে। ঘটনাস্থলে দুর্গাচক থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে  তাদেরকে বারবার জানানো হয় যে, আপনারা বাড়ির মধ্যে থাকুন। আপনাদের যা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তা বাড়ির মধ্যেই পৌঁছে যাবে। জয়নগর পঞ্চায়েত প্রধান রবীন্দ্রনাথ পাই স্বীকার করেন যে , সরকারি রেশন পত্র সমস্ত ডিষ্ট্রিবিউশন হয়েছে , অযথা বাধার মুখে পড়তে হয়েছে।

অব্যক্ত - প্রণব সমাদ্দার

অব্যক্ত 
        প্রণব সমাদ্দার
হাসিকেই সত্যি ভেবে নিলে?
তুমি দেখলে না চক্ষের বুকে চিক্ চিক্ করা জল,
সূর্যস্নাত দীঘির মতো ;
অস্থি-গারদে আবদ্ধ ব্যথা-আসামীকে 
খুঁজলে না,
শুধু নিরবয়ব সম্ -এর বন্ধনে ,
আমার মুমূর্ষু সঙ্গীতকে
সীমায়িত করো তুমি,
অকরুণ!

অনেক  খেয়ালী বর্ষণের পর,
আকাশ যখন নিজেকে প্রকাশ করার 
নির্লজ্জ আশায় ব্যাকুল --
ঠিক তখনই,
সারা পৃথিবীর কৃষ্ণকায় মেঘে,
তাকে ঢেকে দাও  :
এ কেমন খেলা তব, দুঃশাসন?

যখনই স্বল্প সম্ভারে অর্ঘ্য সাজিয়ে ,
মৌন হস্তে সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বালি  আনত নম্রে 
তখনই লক্ষ  দীর্ঘশ্বাস,
একসাথে পড়ে কোথা হ'তে,
নিভে যায় সে প্রদীপ,
দেবতা অন্ধকারে  থাকে!

দুর্নিবার লিপ্সাহত প্রকৃতিকে,
যখনই ত্যাগের কুঠারে খণ্ডিত করতে উদ্যত হই  :
ঠিক তখনই,
অধরা অমৃতভান্ড সামনে ধরো,
কেন?

তুমি নিজেও জানলে না কী চাও,
আমাকেও জানালে না ।।

অসহায়দের ঔষধ ও খাদ্য সামগ্রী দিচ্ছে বর্ধমান প্রেসক্লাব

সুরজ প্রসাদ
 

কথা রাখল বর্ধমান প্রেস ক্লাব | ওষুধের চাহিদা ফোন করেছিল স্থানীয় যুবক | গত পরশু বর্ধমান প্রেস ক্লাব ওষুধ পৌঁছে দিয়েছে আজ পুনরায় সমাজসেবী শেখ হালিম এর সহযোগিতায় বর্ধমান প্রেসক্লাব পৌঁছায় সেই হৃদরোগীর বাড়িতে | দেওয়া হয় খাদ্য সামগ্রী ও কিছু টাকা  |আবার খবর আসে হীরামনি টুডু 95 বছর বয়স্কা বৃদ্ধা খেতে পারছেন না | বর্ধমান প্রেসক্লাব পৌঁছায় সোনা পলাশীর তার বাড়িতেও | দেওয়া হয় খাদ্য সামগ্রী ও অর্থসাহায্য | 

লকডাউনে করোনার প্রকৃত তথ্য চেয়ে বর্ধমানে বিজেপির অবস্থান বিক্ষোভ

সুরজ প্রসাদ
 

কোরোনার হানাহানির  তথ্য চুরি, রেশনের চাল দুর্নীতি ও বিজেপি সাংসদদের ত্রাণ দিতে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে বর্ধমান জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। লকডাউনের মধ্যেই বর্ধমান শহরের বিভিন্ন জায়গায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।  বিজেপির জেলা সহসভাপতি প্রবাল রায় বলেন, কেন্দ্র সরকার পশ্চিমবঙ্গ বাসিদের জন্য প্রযাপ্ত রেশনের চাল,গম পাঠিয়েছে, কিন্তু দেখা যাচ্ছে বেশির ভাগ মানুষ তা পাচ্ছে না। তৃনমূল নেতারা সেই চাল,গম রেশন দোকান থেকে নিয়ে নিজেদের পার্টি কর্মীদের মধ্যে বিলিয়ে দিচ্ছে। এছাড়া কোরানা সংক্রমণের এখম পর্যন্ত কতজনের মৃত্যু হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান দিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সংক্রামণ রুখতে যে পরিমান  র‍্যাপিড টেস্ট করা দরকার  তার ১শতাংশও হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন প্রবাল বাবু।  অন্যদিকে তৃনমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত বলেন, রাজ্যে সরকার যে ভাবে  সকলের মধ্যে রেশন সামগ্রী বন্টন করছে তা দেশের বিজেপি শাসিত রাজ্যে গুলো করছে কি না সন্দেহ আছে। তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রের উচিত ছিলো আরো আগে থেকে লকডাউন করা, সেই সাথে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ করা। তা না করায় বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের থেকে দেশে মধ্যে বিশাল আকারে করোনা সংক্রমণ  ঘটেছে। বিজেপি মানুষের এই দুসময়ে পাশে না দাঁড়িয়ে অযথা রাজনীতি করছে। 

দেড় হাজার মানুষদের আহারের আয়োজন গুসকারা তৃণমূলের



সেখ নিজাম আলম
  গুসকরা পৌরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডে ১৫০০ জন বিপর্যস্ত মানুষের হাতে অন্ন তুলে দিলেন আউশগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক অভেদানন্দ মহাশয় । উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড সভাপতি, মুন্না সাউ এবং শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি  কুশল মুখোপাধ্যায় মহাশয় ।।

ভাতারের দুরন্ত ক্লাব তিনশো মানুষদের চাল ও মাস্ক দিলো

প্রতাপ চট্টোপাধ্যায়
 

আজ ২৭/০৪/২০২০ ভাতার থানার আমারুন 2 নং পঞ্চায়েতের খেরুর দুরন্ত ক্লাবের পক্ষ থেকে 300 জন পরিবারকে চাল এবং মাক্স দেওয়া হল । সংগঠনের সদস্যরা বাড়ী বাড়ী গিয়ে দুঃস্থ মানুষদের এই সামগ্রী বিতরণ করেন ।

লকডাউনে জাঙ্গিপাড়ার আজাদ হিন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ

সুভাষ মজুমদার
  

জাঙ্গিপাড়া ব্লকে তারাজল গ্রামে ,আজাদ হিন্দ ফাউন্ডেশন পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত ১০৭ টা পরিবারের হাতে , ত্রান সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় ।

দুস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন সাব ইনস্পেকটর রতন দাস

সেখ রতন
 
আবার মানবিক উদ্যোগ পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের | আজ সকালে স্টেশন এলাকায় ডিউটি করার সময় বর্ধমান সদর থানার এসআই রতন দাস খবর পান লকডাউন এর জন্য বাড়ি ফিরতে পারছেন না মশাগ্রাম এর এক দুস্থ পরিবার | বর্ধমান সদর থানার আইসি পিন্টু সাহার 
নির্দেশে তিনি ওই এলাকায় খবরের সঙ্গে যুক্ত থাকা বর্ধমান প্রেস ক্লাবের সদস্য সাংবাদিক শেখ রতন ও পাপাই সরকারের সাহায্যে গাড়ি ভাড়া করে তাদের পাঠানোর ব্যবস্থা করেন, সঙ্গে প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং হাতে কিছু টাকা এবং খাবার জিনিসপত্র | 

পটাসপুরে ফেসবুক লাইভ ক্লাস

জুলফিকার আলি, 
  

লকডাউনের দিন গুলিতে সমস্ত স্কুল কলেজ বন্ধ তাই ছাত্র ছাত্রীদের কথা ভেবে একটি লাইভ ক্লাস রুমের ব্যবস্থা করলো পটাশপুর ২ নং ব্লকের পঁচেট জুয়েল স্টার ক্লাব ও পঁচেটগড় সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি ব্যবস্থাপনায়  শুক্রবার থেকে এই লাইভ ক্লাসের শুরু হয় প্রত্যহ সন্ধ্যা ৭ টায় দশম শ্রেনীর ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন বিষয়ের ক্লাস  থাকছে ক্লাবের ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি  বাড়িতে বসে দেখতে পাবে ছাত্র ছাত্রীরা. এছাড়া ছাত্র ছাত্রীদের জন্য থাকছে  লাইভ চলাকালিন সরাসরি প্রশ্ন করার সুবিধা সঙ্গে সঙ্গে লাইভে উত্তর দিবেন শিক্ষক মন্ডলি

শনিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২০

চোখের ইশারায় ভালোবাসা

চোখের ইশারায় ভালবাসা 


ফারুক আহমেদ 


উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হচ্ছে শুক্রবার। তারপর থেকে অফুরন্ত সময় নাফিকের হাতে। রেজাল্ট বের হলে কলেজ জীবন ও ভালবাসার আকাশে জ্বলজ্বল করবে নাফিক। সে এসব ভাবতে থাকে। সে চায় প্রকৃত মানুষ হতে। সমাজের জন্য কিছু করতে। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই সমাজের কল্যাণে ছোট্ট ছোট্ট কাজ করে সে। রাস্তায় পড়ে-থাকা বিপদ সরিয়ে রাখে নিরাপদ জায়গায়। ইটের টুকরো, কলার খোসা বা ভাঙা কাচের টুকরো, ডাবের খোলা দেখলে সে সরিয়ে রাখে নিরাপদ আশ্রয়ে। আর সময় পেলেই নজরুল-সুকান্ত পাঠাগারে গিয়ে রফিকুল ইসলাম কাকুর সঙ্গে নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। ঘটকপুকুর হাই স্কুলে পড়তে পড়তেই পাঠাগারের লাইব্রেরিয়ান কাকুকে আপন করে নেয়। কত বইয়ের সম্ভারে সাজানো আছে পাঠাগারটি। লাইব্রেরিয়ান কাকুকে সে জ্ঞানের সমুদ্র মনে করে।

মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে নাফিক আহমেদ। সে ভালো রেজাল্ট করা ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্কলারশিপের ফর্ম সংগ্রহ করে এবং সেই ফর্ম পূরণ করে জমা দিয়ে আসে বিভিন্ন দফতরে। অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাঁর সাহায্যে স্কলারশিপ পেয়েও যায়। গরিব ছাত্র স্বপন ও নিজামের জন্য বইও কিনে দেয়, টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে। নাফিকের বন্ধু মহম্মদ গোরাচাঁদ আলি পরবর্তীতে ডাক্তার হয়ে বড়ালী গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করেছে।  

একবার নাফিক স্কুল জীবনে বাড়ির বিনা অনুমতিতেই স্কুলের বন্ধু কুতুবউদ্দিন গাজীর সঙ্গে চৈতালি প্রেক্ষাগৃহে শাহরুখ খানের  "ডর" সিনেমা দেখতে যায়। সেই থেকে সে শাহরুখ খানের অভিনয়ের ভক্ত। জাদু তেরি নজর... গানটি বেশ মনে দাগ কাটে। 

মনে পড়ে আম বাগানের ফাঁক-দিয়ে-দেখা দুটো চোখ আজও তাকে বাঁচার আকাশ দেখায়।  

বেশ চলছিল স্কুল ও খেলাধুলা। সে শাহরুখ খানের জবরদস্ত ফ্যান হয়ে ওঠে। ঘটকপুকুর ও ভাঙড় হাই স্কুলের অনেকেই জানে নাফিক শাহরুখ খানের ভক্ত। টিউশানি থেকে খেলার মাঠের সমস্ত বন্ধুরাই জানে নাফিক শাহরুখ খান-এর সব থেকে বড় ফ্যান।

সানির সঙ্গে শাহরুখ খান নিয়ে আলোচনা চলে। সানি কলকাতার নামি স্কুলে পড়ে,কলকাতাতেই থাকে। বড় ছুটি পেলেই সে মা-বোনের সঙ্গে ঘটকপুকুরের বাড়িতে চলে আসে। আর তখন নাফিকের সঙ্গে সানির দেখা হয়। খেলার মাঠে। তখন কত গল্প করে দুজনে। শাহরুখ খানের নতুন চলচ্চিত্র নিয়ে তুমুল আলোচনা চলে। ভালো অভিনয় করার জন্য কী কী পুরস্কার পেয়েছে, কোন ছবি সব থেকে বেশি হিট হয়েছে– এইসব নিয়ে। 

একাবার সানিদের বাড়ির ছাদে চড়ুই ভাতির আয়োজন আজও ভুলতে পারেনি নাফিক। "দিল তো পাগল হে" সিনেমার গান শুনতে শুনতে চড়ুই ভাতের আয়োজন আজও মনে পড়ে। আর সেই গান, চাঁদনী কুছ কাহাঁ রাতনে কুছ শুনা....। সেদিন মাংসের কি দারুণ টেস্ট হয়েছিল। সানির মায়ের হাতের মাংস রান্নার তারিফ করেছিল নাফিক। 

অন্য দিকে শাহরুখ খান নিয়ে খেলার মাঠে, স্কুলে, কলেজে অন্য অনেকেই বেশ মজা করে নাফিককের সঙ্গে। 

একবার "সংবাদ প্রতিদিন" পত্রিকার শারদীয় সংখ্যায় শাহরুখ খানের জীবনী প্রকাশিত হয়। জীবনী পড়ে অনুপ্রেরণা পায় নাফিক। শাহরুখ খান স্কুল জীবন থেকেই খেলাধুলা ও পড়াশোনায় খুব ভালো। নাফিক ভালো পড়াশোনা করে না। সে ভালো খেলাধুলাও করে না।

সেবার নাফিক তখন ক্লাস সেভেনে পড়ে। স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় নাম দিয়ে সব খেলায় শেষের দিক থেকে প্রথম হয়। ঘটকপুকুর হাই স্কুল ও গার্লস স্কুল পাশাপাশি হওয়ায় খেলার একটাই মাঠ। নাফিক দৌড়ে সবার পিছনে পড়ে যায়, এতে অনেকেই হাসাহাসি করে। দৌড়ে সবার পিছনে পড়ে যাওয়ার জন্য সে লজ্জাও পায়।

সে শাহরুখ খানের এতো বড় ফ্যান। আর সে সবার সামনে হেরে যাবে তা হতে পারে না। 

বাড়ি ফিরে সে মাকে সব বললো। তার মায়ের পরামর্শ মতো নিয়মিত সারা বছর সে দৌড় অনুশীলন করলো। কবিতা আবৃত্তি, বক্তৃতা ও কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে নিজেকে তৈরি করলো।  পরের বছর নাফিক দৌড়ে প্রথম হলো। আবৃত্তি, বক্তৃতা ও কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রাইজও পেল। মনে মনে ঠিক করল সে চেষ্টা করলে পড়াশোনাতেও ভালো করতে পারবে। একটা জেদ চেপেছিল তার ভালো রেজাল্ট করতেই হবে। 

ক্লাস নাইনে উঠে সে শপথ নিল নিজের মনে, প্রথম বিভাগে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে। তাদের স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়ে বোদরা হাইস্কুলে। সেবার তার দাদা মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। নাফিক তা দেখতে একদিন বোদরা হাইস্কুলে উপস্থিত হলো।

আম বাগানের ফাঁক দিয়ে দেখা সেই মায়াবী চোখের ভালবাসার চাউনি আবারও দেখতে পেল। 

সে যেন স্বপ্ন দেখছে...
তোমার বিনুনী করা চুলের প্রতিটি খাঁজে খাঁজে অফুরন্ত প্রেম যা ডাকে আমায়। আমার ভালবাসার মেঘ জমে ওঠে... খুঁজে ফিরি প্রতিনিয়ত তোমার ভালবাসা চোখের ইশারা। তোমার শরীর ও মনের মধ্যে কত জমেছে শিশিরের টুপটাপ ফোঁটা। এক ফোঁটা বৃষ্টিও পড়েনি কত বছর কত মাস কত দিন তা জানি না। জানি মুখোমুখি হতে পারলে এ জীবন ধন্য। তোমার হৃদয় আকাশ প্রেমিক।

নাফিক তখন ক্লাস নাইনে পড়ে। একটা ভাঙা-চোরা সাইকেল। গায়ে ঘটকপুকুর চৌমাথার ফুটপাত থেকে কেনা সবুজ রঙের গোলগলা গেঞ্জি। স্কুল যাওয়ার জন্য একটিমাত্র প্যান্ট। তাতে ধুলো লেগে থাকে সবসময়। সেই প্যান্ট আর গেঞ্জি পরেই ছুটে এসেছে বোদরা হাইস্কুল। 

আম বাগানের ফাঁক দিয়ে দেখা সেই চোখ। স্বপ্নের পরীর মতো অপূর্ব সুন্দরী রাজকন্যা মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে আসছে। গেটের মুখে দাঁড়িয়ে-থাকা নাফিক তা দেখে চমকে ওঠে। নাফিকের চোখ পড়লো যখন তার চোখে, তখন সে দেখল তার হাতে মোমবাতি পিজবোর্ড কলম রাখার জন্য পেন্সিল বাক্স। বাবরি কাট চুল আর ভুবন জয়ের হাসিতে সে যে কি জাদু, তা শুধু নাফিকই জানে। 
 
এদিকে নাফিকের ভাঙা টালির ছাউনি দিয়ে বৃষ্টি পড়ে টাপুরটুপুর। ভিজে যায় বিছানার চাদর। মা-আব্বার আশা জাগায় নাফিক। সে নতুন আকাশ দেখার সাহস জোগায়। 

অন্য দিকে ভালবাসার জন্য কিছু করে দেখানোর জেদ। বই কলম খাতা নিয়ে সেই যে পড়তে বসা, আজও সে লিখছে, পড়ছে। প্রকৃত মানুষ হতে। 

একদিন সে তার ভালবাসার সামনা সামনি হয়ে সব মনের কথা খুলে বলবে। 

ভালবাসার যোগ্য হতে সে স্কুল জীবনে দু'টো পরীক্ষাতেই প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়।

কলেজ জীবন শেষ করে ভালবাসাকে পাওয়ার জন্য ‌সে একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অফিস সেক্রেটারি পদে কাজ জোগাড় করেছে। সে মানুষের মতো মানুষ হওয়ার দৌড়ে ছুটে চলেছে। শিক্ষামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে নাফিক রাত দিন সোসাইটির কাজে আত্মনিয়োগ করে। 

জীবনে চলার পথে জুটেছে কত তাচ্ছিল্যের শেল, কত যন্ত্রণা, তা কেউ বোঝে না। অবজ্ঞার পাহাড় মাথায় নিয়ে পবিত্র ভালবাসার অপেক্ষায় প্রহর গুনে গুনে রাত কাটে নাফিকের। 

অবচেতন মনে বলে চলে নাফিক ফিরে এসো প্রেসিডেন্সি। মনে পড়ে কলেজ জীবনের ফেলে আসা সেই সব দিন। আর তোমার অফুরন্ত দোয়ায় প্রথম চাকরি পাওয়া। তবুও তোমাকে না পাওয়ার সকাল আসে। সূর্য উঠে। খাদহীন প্রেম টলমল করে এ বুকে।

সে স্বপ্নের মধ্যে বিড় বিড় করে কত কথা বলে--- এই নাও তোমার জন্য উদার বিস্তীর্ণ খোলা আকাশ। ভাবনার আসমান জুড়ে ভেসে ওঠে এ কার ছবি? কোন ছবি? বেলা অবেলায় এ কোন আত্মশুদ্ধি?  

নাফিকের লেখা না পাঠানো খামে ভালবাসার চিঠি। কত সুপ্ত প্রতিভার স্ফূরণ দেখি তোমার অণুপ্রেরণায়। মনে পড়ে ফেলে আসা দিন। মুষ্টিবদ্ধ হাত জেগে ওঠার আহ্বান। ভালবাসা প্রেমের গান। আইএসএসএন নম্বরের জন্য উৎসাহ দিলে। আবেদন মঞ্জুর ২৩২০-৩৪৯৮।.....

বসন্তপুরে চাকরি করতে করতে দূর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাহিত্য ও ইতিহাস বিভাগে এমএ পাশ করে নাফিক। নিষ্ঠার সঙ্গে বসন্তপুর এডুকেশন সোসাইটির সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সমৃদ্ধ করার কাজে মন দেয়। নাফিকের উদ্যোগেই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ফুলে ফেঁপে উঠে। তার অক্লান্ত পরিশ্রমে মডেল স্কুল ও এডুকেশন কলেজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল। সে সব অতীত ইতিহাস।

কচি কলাপাতার মতো নরম হাতে হাত, চোখে চোখ রেখে আবারও নাফিকের অগ্নিশপথ। নতুন করে বাঁচার লড়াই। এবার নাফিক তাঁর প্রিয় নায়ক শাহরুখ খানের উপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করতে ভর্তি হয়েছে স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে। 

ভুলতে না পারা পাপ-কথন। আকাশ কাড়ার মিছিলে ওরা কারা? ওরা ছুটছে... ওদের বিরামহীন ছুটে-চলা দেখে গর্জে ওঠে নাফিকের বিবেক। রুখে দেওয়ার মিছিলে পথ হাঁটে। বিভেদকামী শক্তিকে প্রতিহত করতে লিখে ফেলে মহান সহিষ্ণু উদার ভারতকথা।

খোলা জানালায় কত মুখ আর মুখের মিছিল।

মার্বেল শীতল টেবিল আর প্রকৃতির মধ্যে আজও সে খুঁজে ফিরছে আম বাগানের ফাঁক দিয়ে দেখা সেই অপরূপা চোখের ইশারায় ভালবাসা। সে চোখে মুখে আনন্দের অনুভূতি ভালবাসা সাত রঙের আবির। বাঁচার আকাশ। এ দেখা কখনও শেষ হয় না নাফিকের। সে স্বপ্ন দেখে। ছবি আঁকে। হঠাৎ করে তার মনের ক্যানভাস জুড়ে ভেসে ওঠে এ কোন ছবি? কার ছবি? বেলা অবেলায় এ কোন আত্মশুদ্ধি? 

শেষ চিঠি আজও পোস্ট করতে পারেনি নাফিক। হে আকাশ-চারিণী, মূল্যবান তারা জানো কি? তোমার জন্য এ বুকে আজও আকাশ রাখা। ভালবাসা চোখবৃষ্টি।

ভোরের নিস্তব্ধতায়, পিউকাঁহা পাখির ডাকে আজও ঘুম ভাঙে।

তখন তুমি দখিনা হাওয়ায় বিছানা ছেড়ে, শীতের চাদর জড়িয়ে আসো, লাল রঙের সোয়েটার আর কালো শালে শরীর মুড়ে। পরির মতো রাজকন্যা হয়ে। তখনও আধো ঘুমে, ভাঙা স্বপ্নে লীন হতে হতে হাতড়াতে থাকে মাটি। আলতোভাবে হাত রাখো কপালে।

লিচু ফুলে মৌমাছি তখনও খুঁজে ফিরছে মধু। অস্থির চোখে দেখা ঘড়ির চঞ্চল কাঁটা ঘুরে ঘুরে কখন হয়েছে সময়ের নদী। রাজকন্যা তুমি যেন নদীর গুঞ্জরণে প্রতীক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে আপন মনে গাইছো প্রেমের গান, কল্যাণপুর ষ্টেশনে। 

একবার একগুচ্ছ লাল গোলাপ ছাড়াই জানিয়ে ছিলাম 'একুশের বাংলা ভাষায়', ভালবাসি তোমায়।

পরীর মতো রাজকন্যা তখন তুমি ঠায় দাঁড়িয়ে, নির্বাক! আকাশের দিকে তাকিয়ে খুঁজছো শিমুল পলাশের মাঝে ভালবাসার রঙ। 

নতুন হাতে ড্রাইভিং, কাঁপা কাঁপা হাতে স্টিয়ারিং.....

ভালবাসার আসমান জুড়ে এ কোন ছবি? কার ছবি? বেলা অবেলায় এ কোন আত্মশুদ্ধি?

নাফিক আবারও সে স্বপ্নের মধ্যে বিড়বিড় করে--তোমার জন্য বিস্তীর্ণ আকাশ।
দিগন্তব্যাপী খোলা মাঠ। হাতে হাত রেখে প্রাণের বাংলা ভাষাতেই জানাই... ভালবাসি তোমায়। 

প্রিয়া, মনে পড়ে ২৯ জুলাই! তোমার জন্য, বাঁচার জন্য, এ বুকে আজও ভালবাসার আকাশ রাখা। ভালবাসার জন্য বাঁচো, বাঁচার মতো বাঁচো। অনন্ত ভালবাসা নিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছি। আম বাগানের ফাঁক দিয়ে দেখা সেই ভালবাসা চোখের ইশারায় ডাকছো আমায়।
আমাদের ভালবাসার একটা চুম্বন অপেক্ষায় অপেক্ষায় প্রহর গুনতে গুনতে কখন অপেক্ষালয় হয়েছে জানা হয়নি। এই চোখের দিকে তাকাও। অফুরন্ত সৃষ্টি খেলা করে চোখে। মেরো না, বাঁচতে দাও।
চেয়ে নাও...মিত্রতা-ভালোবাসা-মনুষ্যত্ব-মানুষ। অবাঞ্ছিত ভেবে ঘৃণা করো না। জেনো অবাঞ্ছিত শুঁয়োপোকা আজও প্রজাপতি হয়।

জানো প্রিয়া, অনেক বছর পেরিয়ে গেল, মানুষ স্বাধীন হয়েছে। আজও আমরা সাম্প্রদায়িকতামুক্ত ভুবন গড়ে তুলতে পারিনি। বিশ্ব জুড়ে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে, সম্প্রীতির বন্ধন অগ্রাহ্য করে বেড়ে চলেছে হানাহানি। মানুষ কবে আর মানুষ হবে? প্রকৃতি বুমেরাং মোকাবিলার বিজ্ঞান কই?

স্বপ্নের রেশ না কাটতেই ফোনের রিংটোন শুনে বিছানায় থেকে উঠে পড়ে নাফিক।

আউশগ্রামের বেলেমাঠ এলাকার যুবকদের মহতি উদ্যোগ

সেখ নিজাম আলম
  

25.04.2020 তারিখে আউশগ্রাম ২ নং ব্লকের অমরপুর অঞ্চলে,
বেলেমাঠ গ্রামের কয়েক জন যুবক ছেলেদের উদ্যগে বিভিন্ন গ্রামে করোনা ভাইরাসের জন্য, 300 জন অসহায় গরীব পরিবারকে চাল,আলু, পিঁয়াজ,ডাল ও লবন বিতরন করল। এই খাদ্যদ্রব্য পেয়ে অসহায় মানুষরা খুব খুশী।

ক্যানিং এলাকায় অভুক্তদের খাদ্য সামগ্রী বিলিতে এক সমাজসেবী সংগঠন

চন্দনা বন্দ্যোপাধ্যায়
 
 ক্যানিং : বাড়িতে বাড়িতে শুকনো খাবার পৌঁছে দিলেন ক্যানিং এর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। করোনা ভাইরাস যেভাবে সারা পৃথিবীতে থাবা বসিয়েছে ও লকডাউনের জেরে  দুঃস্থ মানুষজন পড়ে গেছে অতিসংকটে। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ জনের খাদ্যের ভাঁড়ারে পড়েছে টান। আর এমন মহামারী বিপর্যয় থেকে সাধারণ দরিদ্র মানুষজন যাতে করে অনাহারে না থাকেন তাঁর জন্য মঠেরদিঘী পল্লী সেবা সদনের সম্পাদক খোকন মন্ডল, অর্পন দাস ও তাপস দাস শুকনো খাদ্য সামগ্রী কিনে  বেরিয়ে পড়েছে ক্যানিং ব্লকের বিভিন্ন আদিবাসী অধুষ্যিত ও দরিদ্র এলাকায়। ক্যানিং ১ ব্লকের দুমকি,জয়রামখালি,নলিয়াখালি,হেড়োভাঙ্গা,ডাবু সহ অন্যান্য প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে প্রায় ১৫০ টি পরিবারের হাতে এই শুকনো খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন তাঁরা।ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিল  মুড়ি, দুই ধরনের বিস্কুট, ডাল, সোয়াবিন, সাবান।এছাড়া ৩০ জন বাচ্চাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বেবিফুড। বেবিফুড টা এই সময় বাচ্চা দের বিশেষ প্রয়োজন আছে।বাসন্তী ব্লকের কুলতলি আদিবাসী পাড়া ও ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ও দেওয়া হয়েছে এই সব সামগ্রী।এই সংস্থা শুধু এ সময় নয় সারা বছরই বিভিন্ন ধরনের সমাজ সেবা মূলক কাজ করে থাকেন।

জয়নগরে পথকুকুরদের খাওয়াচ্ছে বেশ কয়েকজন যুবক

চন্দনা বন্দ্যোপাধ্যায়
 
কুলতলি : লকডাউনে অসহায় মানুষদের সেবায় নিরলস কাজ করে চলেছে বহু সংস্থা থেকে শুরু করে বহু মানুষ। শুক্রবার কুলতলির দেউলবাড়ি ও চুপড়িঝাড়া এবং মৈপীঠ এলাকার ২৫০ জন গরীব মানুষ দের হাতে  চাল, ডাল, আলু,পিঁয়াজ, সরিষার তেল, সোয়াবিন, বিস্কুট, সাবান ও মাক্স তুলে দিলেন নিমপীঠ লোকমাতা রাণী রাসমনি মিশনের সদস্যরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। অন্যদিকে, জয়নগরের দক্ষিন বারাশতের সৌমেন দাস নামে জনৈক এক যুবক তাঁর কয়েক জন বন্ধুকে নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে অসহায় মানুষদের খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়ার পাশাপাশি এলাকার পথ কুকুরদের মুখে তুলে দিচ্ছেন ভাত ও তরকারি।                
                      

আশাতীত প্রত্যাশা - স্বপ্না ব্যানার্জি

আশাতীত প্রত্যাশা
           স্বপ্না ব্যানার্জি 
 
নীল আকাশকে সাক্ষী রেখে,
সূর্যের সাথে নিবিড় করে ভালবেসে ছিলাম,
আটোসাটো বাঁধন আমার নেই 
যা দিয়ে তোমাকে কাছে বেঁধে রাখবো,
বয়সটা এখন বাড়ছে,সকালের সূর্যকে দেখার ইচ্ছা
চাদরে মুড়ে ফেলি নিজের পুরনো চাওয়া পাওয়া,
আমার পুরানো সত্তাগুলো ছিল শুধু তোমার,
তোমার হাতের ব্যস্ততা জানান দিয়েছিল কয়েক দিন আগেই
নিস্পৃহ চাহনিতে চেয়েছিলাম তোমার দিকে,
আর ক্ষত-বিক্ষত করেছিলাম নিজের প্রত্যাশার নিরাপত্তা,
মনে পড়ে শোলে সিনেমার বিরু আর অমিতকে,
আর ওই হেড-টেল এর কয়েনটাকে,
যতবারই টস করেছি হেড পড়েছে, ভাবিনি
আমিও সেই হেড, আমার জীবনে টেল নেই,
যখন আমি হিমশীতল শরীরে ঘুমিয়ে যাব তখন দেখো আমারও দুপিঠেই হেড আছে !
তাইতো আমি আজ বাজিগর,
তোমাকে জেতাতে চেয়েছি আর তোমার 
জেতার আনন্দ উপভোগ করেছি,
অনেক তো আমি জিতলাম আর ফল পেলাম শুধু শূন্য,
তাই হেরে জেতার মজাটাও অনেক সুন্দর,
হিমালয়ের মত আশাতীত প্রত্যাশা যখন
পুরোনো পথে আবার হয়তো দেখা হবে,
হৃদপিন্ডের কাছাকাছি স্পষ্ট শুষ্ক শ্যাওলা জমা স্মৃতি,
অহেতুক অচেতন মনে নেই কোন বিস্ময়ের স্মৃতি,
এক আকাশ দুঃখের সিঁড়ি বেয়ে
শিশির সিক্ত ভোর হয়তো আর কোনদিনও আসবে না!

লকডাউনে দোকান মালিকরা এখন সবজি বিক্রেতা

শ্যামল রায়
 
কালনা কাটোয়া রাস্তার ধারের খাবারের দোকান বন্ধ, পেটে খিদে থাকলেও নেই রোজগার চিন্তিত ব্যবসায়ীরা।

পেটে খিদে থাকলেও বন্ধ কালনা কাটোয়া রাস্তার ধারের খাবারের দোকান। নেই রোজগার চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কালনা থেকে কাটোয়া পর্যন্ত কয়েকশো দোকানদার।শনিবার ওই রাস্তার দোকানদাররা জানিয়েছেন যে এতদিন রাস্তার ধারে খাবার বেঁচে বাড়ির সকলের সংসার চলত। লকডাউন এর কারণে দোকানপাট সব বন্ধ রোজগার নেই। কোন উপার্জন না থাকায় কি করব ভেবে উঠতে পারছি না জানালেন ওই রাস্তার ধারের দোকানদাররা। ওই রাস্তার ধারের কেউ হোটেল ব্যবসায়ী ছিলেন, কেউ রেস্টুডেন্ট খুলে বসে ছিলেন কেউ চায়ের দোকান খুলে বসে ছিলেন এছাড়াও নানান ধরনের ব্যবসা করে সংসার চালাতেন বর্তমানে তাদের ব্যবসা লাটে উঠেছে।অনেকেই জানালেন যে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই সমস্ত ব্যবসা করে আমরা সংসারের খরচ যোগাড় করতাম কিন্তু বর্তমানে লকডাউন এর কারণে চরম আর্থিক সংকটে পড়েছি।
আরো জানা গিয়েছে যে লকডাউন এর আগে কালনা কাটোয়া রাস্তা সম্প্রসারণ হবার কারণে বহু দোকান ভাঙা পড়েছে সেক্ষেত্রেও ব্যবসায়ীরা চরম সংকটের মধ্যে পড়েছিলেন। তারপর শুরু হয়েছে লকডাউন। ফাস্টফুড দোকান থেকে শুরু করে চপ ভাজা বুঝি রুটি সমস্ত দোকান বন্ধ থাকায় চরম বিপদের মধ্যে পড়তে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। নিজেদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দুবেলা পেট ভরা তেই হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের জানালেন ব্যবসায়ীরা। জমানো টাকা থেকে খরচ করে বর্তমান সংসার চালাতে হচ্ছে। সরকার থেকে জন্য যা চালা টা পাচ্ছি তা কিঞ্চিৎ অতএব এই পরিস্থিতিতে আগামী দিন আরো কি সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে ভাবতে হচ্ছে আমাদের। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যা করোনাভাইরাস নিয়ে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কবে নাগাদ লকডাউন উঠবে আর কবেই বা দোকান খুলে ব্যবসা করে সংসার চালাবো? পেটে  খিদে থাকলেও রোজগার নেই মাঝেমধ্যে সবজি বিক্রি করে সংসার চালাতে হচ্ছে জানিয়ে দিলেন বিমল দেবনাথ গৌড় বিশ্বাস সঞ্জয় রাজবংশী সহ একাধিক রাস্তার ধারের ব্যবসায়ীরা।

৫২ টি পরিবার কে নিয়মিত খাদ্য সামগ্রী দিয়ে যাচ্ছে সুসম্পর্ক

সামাজিক সংগঠন সুসম্পর্ক এর তরফে    14 এপ্রিল থেকে যে 52 টি অসহায় শিশু ও তাদের পরিবারকে দৈনন্দিন -  3কেজি চাল, 2কেজি আলু, 500 গ্রাম ডাল, 500 গ্রাম মুড়ি, সাবান ছাড়াও বেবি ফুড (হরলিক্স) এবং আজ মহিলাদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে বিশেষ প্রয়োজনীয় দ্রব্য (স্যানিটারি ন্যাপকিন) দেওয়া হোলো l 

বিদ্রঃ ছবি গুলি অন্যদের উৎসাহিত করার জন্য কাউকে মনে আঘাত বা ছোট করার জন্য না l

শুক্রবার, এপ্রিল ২৪, ২০২০

বিদ্যালয়ের আলু - চাল বিলি নিয়ে উত্তেজনা ভাতারে

আমিরুল ইসলাম
  
 প্রাথমিক বিদ্যালয় চাল ও আলু ঠিক সময়ে না দেওয়ায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ভাতার বিধানসভার তেঁতরাল গ্রামে।


পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার বিধানসভার অন্তর্গত খেতিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে তেঁতরাল প্রাথমিক বিদ্যালয় সঠিক সময়ে চাল ও আলু না দেওয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়।
অভিযোগের তির  স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিমলকুমার মালিকের দিকে।কারণ তিনি গত বেশ কয়েকদিন ধরে বিদ্যালয় আসেননি।

 অবশেষে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের সহযোগিতায় ওই প্রাথমিক বিদ্যালয় চাল দেয়া হলো আজ, খুশি এলাকার মানুষ।

জানা যায় রাজ্য সরকার দ্বিতীয় দফায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিকে চাল দেওয়ার নির্দেশ দেন এ মাসের ২০ তারিখ থেকে 23 তারিখ পর্যন্ত।
কিন্তু ভাতার বিধানসভার সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে চাল বিতরণ শেষ হয়ে যায় গতকাল অর্থাৎ 23 তারিখে। কেবলমাত্র তেঁতরাল গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে  চাল দেওয়া হয়নি।
অভিযোগ ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমল কুমার মালিক গত এক সপ্তাহ ধরে বিদ্যালয় আসেননি এবং ওনার ফোনেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না ।অবশেষে এলাকার মানুষজন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শুকতারা বেগমকে বিষয়টি জানান ।
গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শুকতারা বেগমের সহযোগিতায় ওই বিদ্যালয়ে আজ চাল বিতরণ হল।
পাশাপাশি ওই চাল বিতরনে সহযোগিতা করেন তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা।

আজকের এই চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শুকতারা বেগম, তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে সৌমেন হাটি, প্রহ্লাদ দাস ,আব্দুল নঈম, অসিত কুমার পাঠক।

গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শুকতারা বেগম জানান আমার কাছে বারবার অভিযোগ করছিল গ্রামের অভিবাবকরা। আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখি স্কুলে সঠিক সময়ে চাল আসেনি।স্কুলে চালাসে 22 তারিখে। এরপর আমি প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি উনি ফোন ধরেননি ।তাই আমি আমার এলাকার মানুষজনদের নিয়ে আজ চাল বিতরণ করলাম এলাকার মানুষ খুশি।

অপরদিকে স্কুল পরিদর্শক  সৌমেন মন্ডল জানান আমার কাছে অভিযোগ আসে তেঁতরাল স্কুলে চাল দেয়া হয়নি ।আমি খোঁজ নিয়ে দেখি প্রধান শিক্ষক স্কুলেই আসেননি। ওনার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তার উত্তর পাইনি। তাই অবশেষে আজকে চাল বিতরণ হয়েছে প্রধানের  সহযোগিতায় সরকারি নিয়ম মেনেই।
অপরদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমলকুমার মালিক এর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি কারণ ফোনের সুইচ অফ ছিল।
সব মিলিয়ে দেরিতে চাল পেলেও প্রধানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকরা। 

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER