শনিবার, মে ০৫, ২০১৮

মমতার মুখোশ পড়ে ভোটের প্রচার মাধবডাঙ্গায়

সোমনাথ চক্রবর্তী

শনিবার ময়নাগুড়ি ২নং ব্লকের মাধবডাঙ্গা এলাকায় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে ১৬/১২৬ ব্যাধ পাড়া বুথের পঞ্চায়েত প্রার্থী অনিমা রায়,পঞ্চায়েত সমিতি প্রার্থী শিবম রায় বসুনিয়া এবং জেলাপরিষদ প্রার্থী গোবিন্দ রায় তাদের নির্বাচনী প্রচার করলেন।এদিন দলীয় সমর্থকদের মুখে মমতা ব্যনার্জীর মুখোশ পড়ে প্রচারে সামিল হন।এলাকার পঞ্চায়েত সমিতি প্রার্থী শিবম রায় বসুনিয়া বলেন আমরা ১০০%নিশিত জিতবই।বিগত দিনে এই এলাকায় ব্যপক উন্নতি হয়েছে।এবারে জিতে আরো এলাকার উন্নতি করবো বলে জানান তিনি।তিনি আরো বলেন চারিদিকে মমতাব্যনার্জীর যে উন্নয়ন তারই নিরিখে মানুষ জোরা ফুল চিহ্নেই ভোট দেবে বলে জানান শিবম বাবু।

গরুর গাড়ীতে ভোটের প্রচার

তথাগত চক্রবর্তী

বীরভূমের মল্লারপুরে গ্রামে গ্রামে  তৃণমূলের গুরুর গাড়িতে চেপে ভোট প্রচার চলছে।এহেন প্রচারে খুশি এলাকাবাসী।

শুক্রবার, মে ০৪, ২০১৮

গত বিধানসভা ভোটে তৃনমূল সমর্থিত নির্দল প্রতীকে সিদ্দিকুল্লাহ দাঁড়ালে এই পরিস্থিতি হতনা


মোল্লা জসিমউদ্দিন



 এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে মঙ্গলকোটের প্রায় দুশো আসনে ( ১৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ১ টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ৩ টি জেলাপরিষদ গুলির সর্বমোট আসন)  একটিতেও প্রার্থীপদ পাইনি স্থানীয় বিধায়কের অনুগামীরা।বিরোধীশুন্যর পাশাপাশি বিক্ষুব্দদের শুন্য হতে হয়েছে মঙ্গলকোটে।একপ্রকার বলা যায় মঙ্গলকোটের রাজনীতিতে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী অধ্যায় ক্রমশ সমাপ্তির পথে।এমন পরিস্থিতি স্থানীয় বিধায়ক তাঁর নিজ বিধানসভা কেন্দ্রে কোন কর্মসূচীতে যেতে পারছেন না।বিধায়কের ভাড়াটে অফিস থেকে বিতাড়িত হয়েছেন তিনি।সবথেকে প্রধান বিষয়, তাঁর হাতেগোনা কয়েকজন অনুগামী ছাড়া কেউ তাঁর পাশে নেই।মঙ্গলকোট ঢুকলে কালো পতাকা প্রদর্শন ,  মহিলাদের ঝাঁটা জুতো দেখানোর গালিগালাজ থেকেও বেশি 'খারাপ' ঘটনা (অপদস্থ) অপেক্ষা করছে তাঁর জন্য।রাজ্যের তিনটি দপ্তরের মন্ত্রী সর্বোপরি রাজ্যস্তরের মুসলিম ধর্মীয়গুরু হওয়া সত্বেও কেন এই পরিস্থিতি সিদ্দিকুল্লাহের?  তাও এমএসডিপি ব্লক হিসাবে স্বীকৃত মঙ্গলকোটে?  শুধুই কি পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনুগামীদের প্রতীক বিলিতে ব্যর্থতা!  না কি আরও অনেককিছু। একাধারে তৃনমূলের শীর্ষস্তরের ষড়যন্ত্র যেমন দায়ী, ঠিক তেমনি মঙ্গলকোটের প্রতি 'দায়সারা' অবস্থানও সমান দায়ী সিদ্দিকুল্লার এহেন পরিণতিতে।তৃনমূলের বিশস্ত সুত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিদ্দিকুল্লাহের তৎকালীন রাজনৈতিক দল পিডিসিআই এর একশো আসনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার রণকৌশল তৃনমূল নেত্রী কে বাধ্য করেছিল - নবান্ন তে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে ডাকতে।বাংলার ত্রিশ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটারদের কথা ভেবে দুটি আসন এবং মন্ত্রিত্বের রফা হলেও তৃনমূল নেত্রী অত্যন্ত কায়দায় তৃনমূল প্রতীক দিয়েছিলেন সিদ্দিকুল্লাহ কে।অর্থাৎ সিদ্দিকুল্লাহের দলের কোন অস্তিত্ব রইল যেমন, ঠিক তেমনি সিদ্দিকুল্লাহ একজন দলনেত্রীর অনুগত কর্মী হিসাবে আত্মসমর্পণ করেছিলেন।এখান থেকেই সিদ্দিকুল্লাহের ব্যক্তিগত কারিশ্মার পতন শুরু হয় বলে রাজনীতিবিদদের দাবি।যদি তৃনমূল সমর্থিত নির্দল হয়ে গত বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়াতেন,  তাহলে দলের অন্দরে এতটা কোণঠাসা হতে পারতেন না সিদ্দিকুল্লাহ।বিষয়টি নিয়ে সেসময় জমিয়ত উলেমা হিন্দের নেতৃত্বর মধ্যে তুমুল বিতর্ক দেখা দিয়েছিল।যদিও সিদ্দিকুল্লাহ সাহেব 'ম্যানেজ' করে ফেলেছিলেন এই বিদ্রোহের সুপ্ত লেলিহান শিখা টি কে।গত বিধানসভা ভোটে নাম ঘোষনার পর থেকেই মঙ্গলকোটের ব্লক নেতৃত্ব সহ স্থানীয় থানার অসহযোগিতার শিকার হতে লাগেন।কৈচরে ব্লক তৃনমূল অফিসে সিদ্দিকুল্লাহ কে হুশিয়ারীও দেওয়া হয় মঙ্গলকোট আসন ছেড়ে মন্তেশ্বর নিতে।নাছোড়বান্দা সিদ্দিকুল্লাহ পরোয়া না করেই ভোটের ময়দানে নামেন সেসময়। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে যেখানে তৃনমূলের লিড ছিল ২৪ হাজার, সেখানে ২০১৬ সালের বিধানসভায় সিদ্দিকুল্লাহের জয় আসে ১২ হাজারে।অর্থাৎ বাকি ১২ হাজার শাসকদলের অন্তর্ঘাতে বিজেপির ঝুলিতে পড়ে।সিদ্দিকুল্লাহের হয়ে যেসময় জনপ্রতিনিধি সহ নেতৃত্ব ছিল।তাদের প্রতি যখন  মঙ্গলকোট থানার পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠে।তখন সিদ্দিকুল্লাহ চুপচাপ হয়ে যান।দাবি,গত দুবছরে পাঁচশোর বেশি বিধায়ক অনুগামী মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন।এরমধ্যে কুড়িজন মত গাঁজার মামলা।এইবিধ মিথ্যা মামলায় ফেঁসে যাওয়ার পরিবারগুলির পাশে আইনি ও আর্থিকভাবে পাশে দাড়াননি স্থানীয় বিধায়ক।একশোর বেশি বিধায়ক অনুগামী জেলে গেছে। যেসব অনুগামীরা কলকাতায় যাতায়াত করতেন, তাদের রাহাজানি খরচ তো দূর অস্ত খাবার খরচও দিতেন না বিধায়ক। এইরুপ দাবি ভুক্তভোগী নিম্নবিত্ত - গরীব অনুগামীদের।যদিও বিধায়ক শিবিরে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।বিধানসভা নির্বাচনে কোনরকম জিতলেও, জেতার পর মঙ্গলকোটে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, ব্লক,  থানা সহ প্রায় অফিসে সর্বাত্মক বয়কটের শিকার হন।এর প্রভাব পড়ে বিধায়ক তহবিলের বার্ষিক ৬০ লক্ষ অনুদান খরচে।স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে পঞ্চায়েত সমিতির সহযোগিতা না থাকলে এই তহবিল খরচ করা কঠিন।২০১১ থেকে ২০১৬ সাল অবধি মঙ্গলকোটের তৎকালীন বাম বিধায়ক ৩ কোটি বিধায়ক তহবিল খরচে সারারাজ্যে প্রথমসারিতে উঠে এসেছিলেন।সেখানে সিদ্দিকুল্লাহ শাসকদলের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী হয়েও বিধায়ক তহবিল খরচ করতে পারেননি।উল্টে টাকা ফেরত যাবার নজির রয়েছে।গত বিধানসভা নির্বাচনে নাম ঘোষনা থেকে পঞ্চায়েত ভোটে শুন্যহাত হওয়া অবধি মঙ্গলকোটে কালোপতাকা যেমন দেখেছেন ঠিক তেমনি ঝাঁটা জুতো হাতে মহিলাদের অশ্রাব্য গালিগালাজ শুনেছেন। এইবিধ ঘটনার অন্তরালে দলেরই বড় অংশের ভূমিকা বারবার ফুটে উঠেছে।অনুগামীদের সুখদুঃখে সেভাবে থাকেননি সিদ্দিকুল্লাহের।পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফেঁসে যাওয়ায় শয়ে শয়ে অনুগামী পরিবারগুলির পাশেও দাড়াননি তিনি।এইবিধ নানান রসায়ন আগামী দিনে মঙ্গলকোটের রাজনীতিতে সিদ্দিকুল্লাহ অধ্যায় কে সমাপ্তি ঘোষনা করতে চলেছে।যদি গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃনমূলের প্রতীক না নিয়ে সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়াতেন। তাহলে এই দু:সময় সিদ্দিকুল্লাহর আসতনা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।এবং সেইসাথে অনুগামীদের পাশে সেভাবে না দাড়ানোয় বর্তমানে মঙ্গলকোটে লোক না খুঁজে পাওয়ার পরিস্থিতিও আদৌও হতনা বলে মনে করছেন অনেকেই।

বৃহস্পতিবার, মে ০৩, ২০১৮

পুরুলিয়ায় জনসভা সারলেন অভিষেক

সঞ্জয় হালদার

পুরুলিয়ার বরাবাজার ইঁন্দ টাঁড় ময়দানে অভিষেক ব্যানার্জির নির্বাচনী জনসভা উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো ও জেলা ব্লক নেতৃত্ব।

খাগড়াবাড়িতে শৌল নদীর উপর সেতু নির্মাণ চলছে

সোমনাথ চক্রবর্তী

ময়নাগুড়ি ব্লকের খাগড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাশিলার ডাঙ্গার কামার পাড়া ও চূড়াভান্ডার অঞ্চলের ঝাঝাঙ্গি বেতপারা এলাকার মানুষজনের দীর্ঘদিনের দাবী ছিলো শৌল নদীর উপর একটি স্থায়ী পাকা ব্রিজের। আগে ছিলো এখানে একটি অস্থায়ি বাঁশের সাঁকো।এই বাঁশের সাঁকো দিয়েই পার হতো জীবনের ঝুকি নিয়ে কয়েকশত মানুষ।এ ছাড়া স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা তো রয়েছেই।অনেক সময় এই ব্রিজ থেকে অনেকে পড়েও গেছেন।সংবাদ মাধ্যমের থেকেও একাধিকবার এখানকার মানুষের স্বার্থে খবরও করা হয়েছে ব্রিজের জন্য।তারই জেরে শৌলি নদীর উপর খাগড়াবাড়ি ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে এবং পিবিজির আর্থিক সহযোগীতায় ২৪ লক্ষ ৩৩ হাজার ৮০ টাকায় ২০ মিটার,লম্বা সেতু তৈরি হচ্ছে।এই সেতুর নির্মান কাজ শুরু হয় ১২ই ডিসেম্বর ২০১৭ থেকে আনুমানিক শেষ হবে জুন মাসের ২০১৮ সালে শেষ হবে বলে জানান গ্রামপঞ্চায়েতের  বিদায়ী উপপ্রধান প্রমোদ মদক।
তিনি আরো জানান এই ব্রিজ হয়েগেলে ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে এপার এবং ওপার গ্রামের প্রচুর মানুষের সুবিধা হবে।সেই সঙ্গে যেহেতু ওই গ্রাম গুলি কৃষিভিত্তিক এলাকা সেই কারনে এখান কার কৃষকদের উৎপাদন শাকসবজি সহ অন্যান্য জিনিসপত্র হাটে বা বাজারে নিয়ে জেতে আগে ঘুরপথে যেতে হতো সেখানে এখন গাড়ি ভাড়া কমে যাবে এবং শাকসবজি হাটে বাজারে নিয়ে যেতে পারবেন খুব সহজেই।
তিনি আরো বলেন এই গ্রামে প্রায় ১৫হাজার লোক বসবাস করেন।এই ব্রিজ হয়ে গেলে প্রতিটি জনগনেরই উপকার হবে।অন্যদিকে এলাকার বাসিন্দা বলরাম সরকার বলেন_এই ব্রিজ এর জন্য আমদের দীর্ঘদিনের দাবী ছিলো যা খুব শীঘ্রই পুরণ হতে চলেছে।তিনি আরো বলেন এই ব্রিজ হয়েগেলে শুধু বাশিলার ডাঙ্গার মানুষজন ই নয় তার সাথে চূড়াভান্ডার,সাপ্টিবাড়ি,সহ বেশ কিছু মানুষের উপকার হবে।তিনি আরো বলেন দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তারা এই ব্রীজের দাবী নিয়ে কোরে এসেছেন অবশেষে এই বর্তমান সরকারের আমলে এই ব্রীজ হতে দেখে সভাবতই খুশি তারা।

পাঁচমুড়া গ্রামের টেরাকোটা শিল্পীরা এখনও আর্থিক অনিশ্চয়তায়


সাধন মন্ডল

বাঁকুড়ার বিখ্যাত  গ্রাম পাঁচমুড়া। এই গ্রামের মানুষজনের হাতের তৈরী মাটির হাতিঘোড়া(টেরাকোটা) আজ বিশ্ববন্দিত শিল্পকর্ম। আজ থেকে প্রায় পাঁচশত বছর আগে কয়েকজন মানুষ শুরু করেন। মন্দিরনগরী বিষ্ণুপুরে  মল্লরাজাদের তৈরী মন্দিরগুলিতে টেরাকোটার শিল্পকর্ম দেখতে পাওয়া যায়। এই শিল্পে যুক্ত বেশ কয়েকজন শিল্পী রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছেন।এছাড়া রাজ্যস্তরের পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পীর তালিকাটাও বেশ
দীর্ঘ।  বংশ পরম্পরায় এই কর্ম করে চলেছেন  বিশ্বনাথ কুম্ভকার, জগন্নাথ কুম্ভকার, বৈদ্যনাথ কুম্ভকার, চন্ডীদাস কুম্ভকার, সৌম্যদীপ কুম্ভকার, ভুতনাথ কুম্ভকার। সহ আরো অনেকেই। এখন  হাতিঘোড়া ছাড়া নানান দৃশ্যাবলী তুলে ধরছেন শিল্পীরা। সেই রকম একজন দুস্হ শিল্পী হলেন ভুতনাথ বাবু।ইনি বতর্মানে  অপুও দূর্গার রেলগাড়ীর দৃশ্য,শকুন্তলা,আদিবাসী নৃত্য, রাসলীলা, এছাড়া টেরাকোটার টাইলস তৈরী করে চলেছেন।তবে শিল্পীদের অভিযোগ আমাদের শিল্পকর্মকে বিশ্বের বাজারে তুলে ধরতে সরকারীভাবে সেরকম কোনো উদ্যোগ নেই। তবে আমরা আশাবাদী  বতর্মান মা মাটি মানুষের সরকার  যেখানে কন্যাশ্রী,যুবশ্রী,রুপশ্রী, সহ নানান প্রকল্প শুরু করেছেন তেমনি কমর্শ্রী প্রকল্প চালু করবেন। তাহলে বিভিন্ন শিল্পকর্মের সাথে যুক্ত থাকা অনেক অসহায় শিল্পী ও শিল্পকর্মের সাথে যুক্ত পরিবার অসহায়তার হাত থেকে মুক্তি পাবে।ভুতনাথ বাবু দীর্ঘ ত্রিশ বছর ধরে এই শিল্পকর্ম করে আসছেন।  তিনি বলেন সরকার এ বিষয়ে একটু নজর দিলে ভাল হয়।

বুধবার, মে ০২, ২০১৮

স্বরুপনগরে বজ্রাহত ১, আহত ১

সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব

২রা মে দুপুর ২টা নাগাদ আকাশে প্রচন্ড মেঘ দেখে মাটে ধান সংগ্রহ করার সময় বজ্রপাতে  স্বরুপনগর এর দত্তপাড়া গ্রামের সাবির হোসেন ঢালী (২০) পিতা মাওঃ আব্দুল গফুর ঢালী, গুরুতর আহত হয়ে মাঠেই অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা শাড়াপুল গ্রামীন হাসপাতালে ভরতি করে। তার অবস্থা আশংকাজনক।অন্য দিকে স্বরূপনগরের বড় বাকড়ায় সঞ্চয়িতা সরকার (২৬) স্বামী মন্টু সরকার বজ্রপাতের ফলে আক্রান্ত হয়ে মাঠে নিহত হয়।সেও ধান সংগ্রহের জন্য অন্যের জমিতে কাজ করছিলো৷

মঙ্গলবার, মে ০১, ২০১৮

কাঁচের প্রতিবিম্বের সামনে কাক

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জী

জানালার কাঁচের উপর পড়েছে নিজের প্রতিবিম্ব । সেই প্রতিবিম্বের উপর ঠোকর দিচ্ছে কাকটি।মঙ্গলকোটের এই ছবি।

মমতার সরকার পূর্ব বর্ধমান থেকে সর্বকালীন বালির রাজস্ব পেতে চলেছে

মোল্লা জসিমউদ্দিন



 অবশেষে বে আইনি বালিখাদান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া অবস্থানের জন্য রেকর্ড আয়ের মুখ দেখতে চলেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা।২০১৮-১৯ বর্ষের মধ্যে অজয় - দামোদর থেকে ২০০ কোটি টাকা আয় হবে বলে জেলা প্রশাসন সুত্রে প্রকাশ।২৪১ টি ঘাটের মধ্যে ২২১ টি বালিরঘাট টেন্ডার জমা পড়েছে।সেখান থেকেই ২০০ কোটি রাজস্ব আদায়ের লক্ষমাত্রা উঠে এসেছে।এর মধ্যে মঙ্গলকোটে ২০ কোটি আসবে।বামজমানায় যেহারে বালিলুট চলত, তাতে বালির রাজস্ব আদায় কোনকালেই কোটি টাকার বেশি সরকারি আয় হতনা।২০১৪ সালে জুন মাসে খন্ডঘোষে বালিখাদান দখল বেদখল ঘিরে তিনজন তৃনমূল কর্মী খুনে তে টনক নড়ে মুখ্যমন্ত্রীর।সেইবছরই ১৫ জুলাই বর্ধমানে শততম প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জেলাপ্রশাসন ও জেলাপুলিশ কে কড়া বার্তা দেন।এরপরে জেলায় আরও তিনটি প্রশাসনিক সভায় কখনও সিআইডির পর্যবেক্ষণ আবার কখনও পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমনশাখার তদন্তর হুশিয়ারীও দিয়েছিলেন।আর এতেই পূর্ব বর্ধমান জেলার অজয় -দামোদর  নদী ঘিরে কোটি কোটি টাকা লুটের রাস্তা বন্ধ হয়।এমনকি গত মাসের আউশগ্রামের শিবদায় প্রশাসনিক বৈঠকে দক্ষীন বর্ধমানের এক ওসি কে বালিপাচারে অবস্থান জানতে চেয়ে বে আইনি বালিখাদান কারবার রুখতে সক্রিয়তা দেখান মুখ্যমন্ত্রী। ২০১১ সালের পর বালির কারবার নিয়ে পূর্ব বর্ধমানে দশের বেশি শাসকদলের নেতা কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।পুলিশ প্রশাসন সক্রিয়তা না দেখালে বালিলুট কে কেন্দ্র করে হানাহানি বেড়েই চলবে।সেজন্য মুখ্যমন্ত্রী সেচ, ভূমি এবং পুলিশের কাছ থেকে পৃথক রিপোর্ট নেন, সেখানে পরস্পরবিরোধী রিপোর্ট থাকায় সিআইডি কে অনুসন্ধানে নামান মুখ্যমন্ত্রী। যে চক্র দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, তা ভাঙ্গতে প্রশাসনের আধিকারিকদের নানান সমস্যায় পড়তে হয়।কাটোয়ার চরকি ব্রিজের নিচে বিশেষ এক অভিযানে গেলে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বিপ্লব সরকার আক্রান্ত হন।এতে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠে।বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সমস্ত আমলা পুলিশের কিছু ওসি/আইসির ভূমিকা নিয়ে নবান্নতে স্মারকলিপিও দেন।পুলিশের তরফেও অভিযোগ ছিল কয়েকজন প্রশাসনিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে।সেসময় মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ ও প্রশাসন কে একযোগে বালির রাজস্ব আদায়ের নির্দেশ দেন।এখান থেকেই মিলে সাফল্য।অজয় - দামোদর - ভাগীরথী নদীগুলিতে বালিঘাটের টেন্ডার ডাকা হয়।২৪১ টি বালিঘাটের মধ্যে ২২১ টি নিলাম হয়েছে।সেখানে আয়ের লক্ষমাত্রা রাখা হয়েছে ২০০ কোটি টাকা।ইতিমধ্যে ৫ কোটি টাকা জমা পড়েছে তাতে।এখনও পর্যন্ত যা সর্বকালীন আয় হচ্ছে বালির রাজস্ব আদায়ে।নিলাম না হওয়া ২০ টি বালিঘাটে রাস্তা নিয়ে সমস্যা রয়েছে।এইরুপ মঙ্গলকোটের বেশকিছু বালিঘাট রয়েছে।জেলা ভূমি আধিকারিক প্রনব বিশ্বাস বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলকোটে মহকুমাশাসক সহ পুলিশের আধিকারিকদের নিয়ে কয়েকবার বৈঠক করেছেন। তাতে গ্রামবাসীদের ক্ষোভ এখনও মিটেনি।তবে পূর্ব বর্ধমানে ২০০ কোটি টাকা বালি থেকে রাজস্ব আদায়ে যে কার্যকরী ভূমিকা পুলিশ ও প্রশাসন নিয়েছে, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর খুশি হওয়ার কথা।জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে,  বালির রাজস্ব আদায়ের অর্থ জেলায় বিভিন্ন উন্নয়নকাজ করতে লাগানো হবে।

ভোট বড় বালাই, মুক্তির অপেক্ষায় ছত্রধর

সঞ্জয় হালদার

অবশেষে দীর্ঘ বন্দী জীবন কাটিয়ে মুক্তি পেতে চলেছেন লালগড় আন্দোলনের নেতা এবং তদানিন্তন সময়কার সংবাদের শিরোনামে থাকা ছত্রধর মাহাত ।  ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৮, প্রায় ন’বছর পর লালগড় আন্দোলনের নেতা ছত্রধর মাহাতোকে জেল থেকে মুক্তি দিতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার। লালগড় থানার একটি মামলায় সন্ত্রাসদমন আইনে বা ইউএপিএ-তে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ছত্রধর এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বন্দি।

সোমবার, এপ্রিল ৩০, ২০১৮

কেতুগ্রামে জোড়া খুনে যাবৎজীবন ৬ জনের


শ্যামল রায়

কাটোয়া মহকুমার কেতুগ্রামে গলার নলি কেটে দুই মহিলাকে খুন করার অপরাধে  যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল কাটোয়া মহকুমা আদালত।সোমবার কাটোয়া মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ সন্দীপ ঘোষ এই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন‌। অভিযুক্তরা হলেন কৃষ্ণ কান্ত ধর বিমল সাহা নারায়ন থান্ডার অষ্টম ঘোষ বিপ্লব সাহা ও রাজেশ হাজরা। এদের প্রত্যেকের বাড়ি কেতুগ্রাম থানার অন্তর্গত কানদরা গ্রামে।সৌমিত্র পালের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও কোনো প্রমাণাদি না থাকায় বেকসুর খালাস পেয়ে যান ।জানা গিয়েছে যে ২০১১  সালের পয়লা অক্টোবর তারিখে কানদরা গ্রামে এক ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ডাকাতি করতে এসে বাড়ির গৃহকর্ত্রী চিনে ফেলায় গলার নলি কেটে খুন করে রেখা রানী রায় কে।ডাকাতরা রেখা রানী রায় কি গলার নলি কেটে খুন করে বাড়ি থেকে বের হবার সময় এই ঘটনা দেখে ফেলেন ভাড়াটিয়া গৌরী মাঝি। তখন গৌরী মাঝে কেউ গলা কেটে খুন করে দুষ্কৃতীরা। পরপর দুজন মহিলার নৃশংস খুনের ঘটনা ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। কেতুগ্রাম থানার পুলিশ তদন্ত নেমে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। মামলা চলার পর শনিবার অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে কাটোয়া মহকুমা আদালত। সোমবার দোষীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।

পূর্বস্থলী রেলবাজারে আগুন, ক্ষতি পঞ্চাশ লক্ষ


শ্যামল রায়

রবিবার বিকেল নাগাদ পূর্বস্থলী রেল বাজারে আগুনে ভষ্মিভূত হয়ে গেল পাঁচটি দোকান। আগুন নিভাতে দুটি দমকলের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এবং আগুন নিভাতে সাহায্য করে। বিকেল পাঁচটা নাগাদ আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
 আগুন ধরার কারণ হিসাবে জানা গিয়েছে যে কোন চায়ের দোকান থেকে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন ধরার ঘটনা ঘটতে পারে অথবা শর্ট সার্কিট থেকে আগুন ধরার কারণ হতে পারে বলেই দমকলের পুলিশ প্রাথমিক অনুমান করেছে।আগুনে পুড়ে ভষ্মিভূত হয়েছে নিরঞ্জন রাজবংশীর মাছের দোকান। সুব্রত মাঝির হার্ডওয়্যারের দোকান। কান্তি দের চায়ের দোকান ,জয়দেব রাজবংশী দোকান।
ক্ষতির পরিমাণ কমপক্ষে ৫০ লক্ষ টাকা বলে জানা গিয়েছে।পূর্বস্থলী রেল স্টেশন সংলগ্ন রেল বাজারে এই ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে। দোকানগুলো খুব গিঞ্জি বসতির মধ্যেই অবস্থিত। তাই আগুন ধরার ঘটনার সময় ব্যবসায়ীদের দোকানের পাশাপাশি ছিল অসংখ্য বাড়ি। আগুনের ধোঁয়া দেখে ওইসব বাড়ির লোকজন এরাও বেরিয়ে পড়ে এবং আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
ঘটনাস্থলে ক্ষতির পরিমাণ কমপক্ষে ৫০ লক্ষ টাকা বলে জানা গিয়েছে।পূর্বস্থলী রেল স্টেশন সংলগ্ন রেল বাজারে এই ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে। দোকানগুলো খুব গিঞ্জি বসতির মধ্যেই অবস্থিত। তাই আগুন ধরার ঘটনার সময় ব্যবসায়ীদের দোকানের পাশাপাশি ছিল অসংখ্য বাড়ি। আগুনের ধোঁয়া দেখে ওইসব বাড়ির লোকজন এরাও বেরিয়ে পড়ে এবং আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দ্রুত পূর্বস্থলী থানার পুলিশ।পূর্বস্থলী থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ দাস জানিয়েছেন যে আগুন নিভাতে স্থানীয় বাসিন্দারাও হাত লাগান।
তবে প্রকৃতপক্ষে কিসের থেকে আগুন লেগেছে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না বলে তিনি জানিয়েছেন।এই ধরনের আগুন ধরার ঘটনা রেলবাজার এর মত গিঞ্জি ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটা চাপা আতঙ্ক লক্ষণীয়। প্রশ্ন উঠেছে ব্যবসায়ীদের দোকানে অগ্নিনির্বাপক কোনো ব্যবস্থা না থাকার কারণেই এই ধরনের ঘটনা আরো মারাত্মক হতে পারে আগামী দিন এই প্রশ্ন উঠেছে এলাকার মানুষের মধ্যে।
তবে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক বলে জানা গিয়েছে।

পেঁপে গাছ কেটে দেওয়ায় আত্মঘাতী বধূ


শ্যামল রায়

স্বামীর সঙ্গে বচসার জেরে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হলেন এক বধু। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত বধুর নাম সুভদ্রা মন্ডল বয়স ৪৬‌ বাড়ি পূর্বস্থলী থানার অন্তর্গত লক্ষ্মীপুর আটপাড়া গ্রামে।আরও জানা গিয়েছে যে রবিবার রাতে অমর লাল মণ্ডলের সঙ্গে বাড়িতে পেঁপে গাছ কাটা নিয়ে অশান্তিবাঁধে। অশান্তির জেরে স্বামী ওমর লাল মন্ডল বাড়ির সমস্ত পেঁপে  গাছ কেটে দেয়।পেঁপে গাছ কেটে দেওয়ায় অভিমানে কীটনাশক হয় ওই বধু। রবিবার রাতেই অসুস্থ বধুকে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।রবিবার  রাতেই মারা যান ওই মহিলা।
সোমবার মৃতদেহটি নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর শক্তিনগর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয়েছে।
এই মৃত্যুকে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

নদীয়ায় বজ্রাহত ৩


শ্যামল রায়
সোমবার সকাল বেলাতেই সারা রাজ্যে সাথে নদীয়া জেলাতে ও ব্যাপক ঝড় বৃষ্টি হয়। ব্যাপক ঝড় বৃষ্টি ও বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে তিন ব্যক্তির।
জানা গিয়েছে যে করিমপুর অঞ্চলে মাঠের কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে আনারুল শেকের। অন্যদিকে পলাশীপাড়া থানার অন্তর্গত হাঁসপুকুর গ্রামে মৃত্যু হয়েছে বরুণ বিশ্বাসের। এই দুইজনের মৃত্যু হয়েছে বজ্রাঘাতে।
অন্যদিকে নদীয়ার কুপার্স ক্যাম্প এলাকায় ঝড়ের সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত ব্যক্তির নাম রাধেশ্যাম দাস  বয়স ৬৮। বাড়ি কুপার্স ক্যাম্প এর দুই নম্বর ওয়ার্ডে। জানা গিয়েছে যে তাদের শামদেশ নিজেই রান্না করছিল সেই সময় হঠাৎ করে ঝড় হাওয়ায় অগ্নিদগ্ধ হয় রাধেশ্যাম দাস। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাদের সঙ্গে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানায়। এই ঘটনায় তাদের সামনে আসে বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে।এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
সেদিনকার সকালের ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে পাকা ধানের সেই সাথে কাঁচা শাকসবজি খেতের।
মাথায় হাত চাষীদের।বর্ধমান জেলাতেও ঝড়-বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।কাটোয়া পূর্বস্থলী কালনা মন্তেশ্বর মেমোরিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সবজি ফসলের‌।পূর্ব স্থলী ২নম্বর ব্লকের আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এই ঝর বৃষ্টিতে। যে সমস্ত মালিক বহু আমবাগান লিজ নিয়েছিলেন তাদের বাগানগুলোতে ঝড়ে আম পড়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হলেন বলে জানা গিয়েছে।

নবদ্বীপে ট্রেনের বলি যুবক


শ্যামল রায়

সোমবার সকাল সাড়ে নটা নাগাদ ডাউন ট্রেনের ধাক্কায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে‌‌। কাটোয়া জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে যে মৃত যুবকের পরিচয় এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।ঘটনাটি ঘটেছে নবদ্বীপ শহরের বেদড়াপাড়া  রেলগেটের কাছে।স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে ঐ যুবকটি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল। এই এলাকা দিয়েই ঘোরাফেরা করত ওই যুবককে।
এদিন সকাল বেলা ও রেলগেট এই ঘুরতে দেখা গেছে। কাটোয়া ব্যান্ডেল down লোকাল ট্রেনটি দ্রুতগতিতে ছুটে আশায় যুবকটি রেললাইন পার হতে গিয়ে ধাক্কা লাগে। ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে ওই যুবক। মাথায় প্রচন্ড আঘাত এর কারণেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের।তবে কাটোয়ার জিআর পি  সূত্রে জানা গিয়েছে যে যুবকের পরিচয় জানতে সমস্ত এলাকায় বার্তা পাঠানো হয়েছে।

রবিবার, এপ্রিল ২৯, ২০১৮

সিদ্দিকুল্লাহের বিকল্প 'সংখ্যালঘু' মুখের সন্ধানে তৃণমূল?


মোল্লা জসিমউদ্দিন





পঞ্চায়েত নির্বাচনের সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে রাজ্যের শাসকদল ইতিমধ্যে বিরোধী শুন্যতায় দখল রেখেছে।অবশিষ্ট আসনগুলিতে ভোটের দিন কিংবা গণনার দিন একই ট্রাডিশান বজায় রাখবে তৃনমূল,  তা বিরোধীরা বারবার অভিযোগ আকারে বিভিন্ন মহলে জানাচ্ছেন। অর্থাৎ পঞ্চায়েত ভোটে তৃনমূলের কোন চিন্তা নেই বললেই চলে।তবে আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে তৃনমূলের অন্দরে বিজেপি কে নিয়ে নানান দুশ্চিন্তা তৈরি হচ্ছে।নারদা - সারদায় সিবিআই ইডির যেমন চোরা আতংক।ঠিক তেমনি উগ্র হিন্দুত্ববাদ - সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক নিয়ে বিজেপির সাথে মুখোমুখি লড়াই নিয়ে রণনীতি সাজাতে ব্যস্ত তৃণমূল নেতৃত্ব। বাংলায় শতকরা ত্রিশভাগের কাছাকাছি মুসলিম ভোটার।তাই বিজেপির সাথে হিন্দুত্ব লড়াই করতে গিয়ে সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে আদৌও চিড় ধরবেনা তার নিশ্চয়তা কোথায়?তৃনমূলের জন্মলগ্নে থাকা উল্লেখযোগ্য সংখ্যালঘু নেতা নেই বললেই চলে।যারা রয়েছেন তাঁদের সীমাবদ্ধতা সেই নির্বাচনী ক্ষেত্র অবধিই।আবার আবু আয়েষ মন্ডল কিংবা রেজ্জাক মোল্লার মত যারা সিপিএম থেকে তৃনমূলে এসেছেন, তাঁদের অতীতের রাজনৈতিক পেক্ষাপট দক্ষিনপন্থী ভোটারপদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য নয়।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে গত দুবছর কখনও টিপু সুলতান মসজিদের একদা ইমাম বরকতি সাহেব, আবার কখনও বা জমিয়ত উলেমা হিন্দের রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী তৃনমূলের সংখ্যালঘু মুখ হিসাবে বিকশিত ছিলেন।সম্প্রতি টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম বরকতি সাহেবের গাড়ীতে  লালবাতি লাগানো নিয়ে তৃনমূল নেতৃত্বর সাথে ব্যাপক দুরত্ব বাড়ে।এমনকি সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে মাঠে নামিয়ে বরকতি সাহেব কে 'ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ' বলে কোন কোন মহলের দাবি।সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তৃনমূলে সরাসরি যোগদানের পর থেকে মন্ত্রিত্ব পাওয়া ছাড়া তেমন কিছু কপালে জুটেনি।নিজ বিধানসভা কেন্দ্র মঙ্গলকোটে বিধায়ক হবার সূচনালগ্ন থেকেই দলের স্থানীয়, জেলা কমিটির কাছে বয়কটের শিকার হয়ে চলেছেন।বিরোধীদলের বিধায়ক নন, শাসকদলের মন্ত্রী হয়েও বিধায়ক তহবিলের কোন উন্নয়নকাজ করতে সেভাবে পারেননি।অনুদান ফিরে গেছে গোষ্ঠীবিবাদের সৌজন্যে।কালো পতাকা থেকে মহিলাদের ঝাঁটা হাতে গালিগালাজ সবই পেয়েছেন তিনি! পঞ্চায়েত ভোটে কোন আসনে তাঁর অনুগামীদের দাঁড় করাতেও পারেননি সিদ্দিকুল্লাহ।এই নিয়ে নানান ক্ষোভ দেখিয়েছেন মঙ্গলকোট বিধায়ক। সরকারী নিরাপত্তারক্ষী - গাড়ী ছেড়ে দেওয়া।রাজভবন কিংবা বিকাশভবন না যাওয়া।রাজ্য মন্ত্রীসভার বৈঠকেও যোগ দেননি তিনি।সিদ্দিকুল্লাহের এহেন দোদুল্যমান অবস্থা দেখে তৃনমূল সংখ্যালঘু মুখের সন্ধানে নেমে পড়েছে বলে খবর।ইতিমধ্যে তারা ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি কে শিক্ষামন্ত্রী কে দিয়ে ডাক পাঠিয়েছিলেন।মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ ত্বহা সিদ্দিকি তৃনমূলের এই ফাঁদে পা দেননি। সংবাদমাধ্যম কে জানিয়েছিলেন তিনি " তৃণমুলের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত মন্ত্রীরা কত কঠিন অবস্থায় আছেন, তাতে তিনি অবগত"।এমনকি এক ইসলামিক জলসায় যোগ দেওয়ার পূর্বে কোলাঘাটে এক লজে তৃনমূলের অন্দরে মাথাব্যথা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর সাথে একান্তে আলোচনা চালান ত্বহা সিদ্দিকি।এই মুহুত্যে বাংলা জুড়ে প্রভাব আছে মু্হাম্মদ কামরুজাম্মানের।'সারাবাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন ' সহ ইমাম - মোয়াজ্জেনদের সংগঠনের কর্মকর্তা তিনি।অতীতে বাম আমলে মাদ্রাসা ছাত্র ইউনিয়ানের রাজ্য সম্পাদক হিসাবে সিপিএম নেতাদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন তিনি।সারা বছরই নানান অরাজনৈতিক আন্দ্রোলনে জনসমাগম করাটা তাঁর সাংগঠনিক শক্তির বহিঃপ্রকাশ মাত্র।কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে যেমন আন্দ্রোলন চালান, আবার রাজ্যসরকারকেও রেয়াত করেননা তিনি বিভিন্ন বিষয়ে।পঞ্চায়েত ভোটে সংখ্যালঘু মানুষদের প্রাণহানি নিয়ে তাঁকে সরব হতে দেখা গিয়েছে।তাই তৃনমূল নেতৃত্ব এহেন সংখ্যালঘু নেতা কে সিদ্দিকুল্লাহের বিকল্প হিসাবে পাবে কিনা, তার নিশ্চয়তা নেই।প্রগেসিভ ইয়ুথ ফ্রন্টের রাজ্য সভাপতি সিরাম আলী, ফারুক আহমেদ  সহ বেশকিছু সংখ্যালঘু সংগঠনের কর্মকর্তা আগামী লোকসভা নির্বাচনে তৃনমূলের সংখ্যালঘু মুখ হিসাবে ব্যবহার করার রণনীতি নেওয়া হচ্ছে বলে তৃনমূলের একাংশ সুত্রে প্রকাশ।আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির উগ্র হিন্দুত্বের লড়াই করতে তৃনমূল বাংলায় ত্রিশ শতাংক মুসলিম ভোট কে নিজেদের সপক্ষে রাখতে সংখ্যালঘু মুখ আবশ্যিক হয়ে দাঁড়াবে ভোটব্যাংক অটুট রাখতে।সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে নানান অবস্থান তৃণমূল নেতৃত্ব কে এখন থেকেই বিকল্প খোঁজবার পথ কে প্রশস্ত করছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

নির্বাচনী প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক উত্তরবঙ্গ মন্ত্রীর

সুজিত ঘোষ

কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে WBTSTA এর সদস্যদের সাথে নির্বাচনী আলোচনায় জেলা সভাপতি ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ মহাশয়।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER