শুক্রবার, আগস্ট ১৭, ২০১৮

কাটোয়া বর্ধমান বড়রেলে ট্রেন চলে মাত্র ১ টি, যাত্রী ক্ষোভ তুঙ্গে


 মোল্লা জসিমউদ্দিন,

গত ১২ জানুয়ারি কাটোয়া থেকে বর্ধমানগামী বড়রেলে ট্রেন চালুতে যে চরম উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গিয়েছিল চারটি জেলার একাংশ এলাকাজুড়ে। তা সময়ের ব্যবধানে যাত্রী ক্ষোভে পরিণত হচ্ছে। কাটোয়া থেকে বর্ধমান ৫২ কিমি রেলপথে ট্রেন চলছে মাত্র ১ টি, তাও অবেলায়। গত রবিবার কাটোয়া স্টেশন চত্বরে এই রেললাইন সহ আরেক নুতন বড়রেল আহমেদপুর কাটোয়ার নিত্যযাত্রীদের এক সংগঠন প্রতিবাদসভার আয়োজন করে থাকে। এবং সেইসাথে কাটোয়া স্টেশনমাস্টার কে ৬ জোড়া ট্রেন উভয় লাইনে চালুর দাবিতে স্মারকলিপিও দেয়। বৃটিশ আমলে গড়া কাটোয়া থেকে বর্ধমান এবং কাটোয়া থেকে আহমেদপুর   ন্যারোগেজ রেলপথ চলতি বছরে বডগেজে রুপান্তরিত হয়েছে। যদিও ২০১২ সালে কাটোয়া থেকে বর্ধমান রেলপথের   অর্ধেকটা   অর্থাৎ বলগনা থেকে বর্ধমান বড়রেলে পাঁচজোড়া ট্রেন যাতায়াত শুরু করেছে। ২০১৭ সালের শেষের দিকে কাটোয়া শহর সংলগ্ন শ্রীখণ্ড থেকে বর্ধমান ট্রেন চালু হয়েছিল। তবে একটিই ট্রেন সম্বল এই রেলরুটের। চলতি বছরে ১২ জানুয়ারী কাটোয়ায় বিকেল চারটেয় সময়সূচি অনুযায়ী ট্রেনটি শুরু হয়,  বর্ধমান স্টেশন পৌছায় বিকেল সাড়ে পাঁচটায়। উল্লেখ্য এই ট্রেনটি আবার বর্ধমানে দুপুর দুটোয় ছেড়ে সাড়ে তিনটেয় পৌছায় কাটোয়ায়, বিকেল চারটেতে বর্ধমান যাবার    জন্য।    পড়ন্ত বেলায় এই অসময়ে  যাত্রীসংখ্যা হাতেগোনা। অনুরুপভাবে চলতি বছরে ২৪ মে   বীরভূমের আহমেদপুর থেকে ৫৮ কিমি রেলপথে কাটোয়াগামী বড়ট্রেন চালু হয়। সেই ট্রেন সংখ্যা মাত্র ১ টি রেখে। এই দুই শতাব্দীপ্রাচীন রেলপথ ঘিরে স্বপ্ন ছিল অনেক।নানান বিখ্যাত লোকেদের স্মৃতি  রয়েছে এই দুটি রেলপথ ঘিরে। সেই 'হাটেবাজারে'র তারাশঙ্করের কথা হোক, কিংবা পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের স্মৃতি হোক। যেদিন শেষ ন্যারোগেজ ট্রেন চলেছিল এই দুটি রেলপথে। সেদিনগুলি ট্রেনের মধ্যে -  ছাদে যাত্রীময় হয়ে উঠেছিল। রাজ্য বিচারবিভাগের রেজিস্টার ( ম্যারেজ)  মৃদূল হালদার তৎকালীন কাটোয়া  মহকুমাশাসক থাকার সময় নস্টালজিক হয়ে সেই ছোট ট্রেনে চেপেছিলেন ইতিহাসের সাক্ষী হতে। রাস্তার দুধারে বিপুল জনসমাগম ঘটেছিল আবেগ কে পুজি রেখে। ঠিক এহেন রেলপথে বড় ট্রেন যাতায়াত করছে মাত্র ১ টি, তাও বিকেল বেলায়। শুধুমাত্র পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া কিংবা সদর বর্ধমান মহকুমা এলাকা নয়। সীমান্তবর্তী নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূমের একাংশ এলাকার মানুষজন এই রেলপথে যাত্রী সুবিধা নিয়ে বিস্তর স্বপ্ন দেখেছে। কাটোয়া থেকে বর্ধমান    বাসে সময় লাগে তিনঘন্টার বেশি, আবার ভাড়াটা পঞ্চাশ টাকার মত। সেইজায়গায় ট্রেনে সময় দেড়ঘন্টা, ভাড়াটাও কম। তাই মাত্র ১ টি ট্রেন যাতায়াতে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে যাত্রীমহলে। অনুরুপ ক্ষোভ আহমেদপুর কাটোয়া রেলরুটেও, এখানেও সেই ট্রেনের সংখ্যা মাত্র ১ টি। ঠিক এইরকম পেক্ষাপটে গত রবিবার এই দুটি রেলরুটের নিত্যযাত্রীরা কাটোয়া রেলস্টেশন চত্বরে সভা করে স্টেশনমাস্টার ছয়জোড়া ট্রেনের দাবিতে স্মারকলিপি দেন। ৭ নং প্লাটফর্মে টিকিট কাউন্টার দাবিটিও রয়েছে সেখানে। কেননা এই দুটি রেলপথের যাত্রীদের টিকিট কাটতে গেলে স্টেশনের ওভারব্রিজ দিয়ে যেতে হয়। প্রায়শ বিনা টিকিটের যাত্রী বলে আর্থিক জরিমানা সহ হয়রানির শিকার হতে হয়। বিষয়টি নিয়ে বারবার কাটোয়ার বর্ষীয়ান বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টপাধ্যায় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী কে লিখিতভাবে পাঠিয়েছেন। গত ৩ এপ্রিল অবশ্য কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল এই বিধায়ক কে অবগত করেছেন যে, বিষয়টি রেলের সংশ্লিষ্ট দপ্তর সিরিয়াস ভাবে দেখছে। এই আশ্বাসের মাঝেই শ্যামল মজুমদার, রবীন্দ্রনাথ পাল, পুলকেশ ভট্টাচার্য, কবিরুল ইসলামদের মত যাত্রীদের প্রশ্ন, সাতমাস পেরিয়ে গিয়েও যদি ট্রেন সংখ্যা না বাড়ে, সেখানে রেলের কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যায়। এই রেলপথ দ্রুত চালু না যাতে না হয়, সেই ব্যাপারে নানামহল সক্রিয় ছিল বলে যাত্রীদের একাংশের দাবি। বাসমালিকদের ভূমিকা নিয়েও তারা প্রশ্ন তুলেছেন। এই রেলপথ পুরোদমে চালু হলে উপকৃত হবে বিভিন্ন শিল্পকাজ। কাটোয়া বর্ধমান রেলরুটের মধ্যে পড়ছে মঙ্গলকোটের বাজার বনকাপাসি। এখানকার শোলা শিল্প বিশ্বখ্যাত। বেশ কয়েকজন রাস্ট্রপ্রতি পুরস্কার পেয়েছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও বিদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে পুজোর কাজে ব্যবহৃত শোলার নানান নিপুণকাজ। তাই এই রেলরুটে ট্রেন বাড়লে উপকার পাবে মঙ্গলকোটের শোলাশিল্পীরাও।                                                                    

শুক্রবার, আগস্ট ১০, ২০১৮

মঙ্গলকোট নিয়ে শেষ দেখে ছাড়বেন স্থানীয় বিধায়ক

মোল্লা জসিমউদ্দিন,

পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পেশ পর্বে দু-দুবার  নিজ অনুগামীদের শতচেস্টা করেও দলীয় প্রতীক দিতে পারেননি। প্রতীক কো দূর অস্ত, ব্লক কিংবা মহকুমা অফিসে মন্ত্রীর অনুগামীরা মনোনয়নের ফর্ম তুলতে ঢুকতে পারেনি। ভাইপোর মাথা ফেটেছে,  গত বিধানসভা নির্বাচনের নির্বাচনী এজেন্ট তথা বিদায়ী জেলাপরিষদ সদস্য বিকাশ চৌধুরী ডালিম সেখ খুনের মামলায় সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে।  এমনকি মঙ্গলকোটের পদিমপুর বাইপাসে সেখ হায়দার আলীর বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে ভাড়া করা অফিস ঘর বন্ধ হয়ে গেছে। তবুও হাল ছাড়েন নি সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। দশের কাছাকাছি বিশস্ত অনুগামী গাঁজার মামলায় জেলবন্দি,  পঞ্চাশের বেশি অনুগামী ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত। আবার অনেকেই গ্রামছাড়া। শাসকদলের ব্লক নেতাদের কাছে একদা ঘনিষ্ঠ অনুগামী দেবু ধারা, হারাধন মুখার্জি, জামাত আলী প্রমুখ আত্মসমর্পণ করেছে। এর মাঝেও মঙ্গলকোটের রাজনৈতিক মাটি ছাড়েননি সিদ্দিকুল্লাহ। মনোনয়নপর্বের দ্বিতীয় পর্বে জেলাপুলিশের চরম অসহযোগিতায় মঙ্গলকোটে এসেও ফিরে গেছেন কলকাতায়। সময় গেছে,  তবুও নীরবে নিজস্ব সংগঠন জমিয়ত উলেমা হিন্দ কে আন্দ্রোলনমুখি করে তৃনমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে সমীহ আদায় করে চলেছেন তিনি। সম্প্রতি আসাম ইস্যু নিয়ে কলকাতার মহাজাতি সদনে প্রতিবাদ সভা করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সবাই কে। পঞ্চায়েত নির্বাচন পরবর্তী মঙ্গলকোটে স্বাস্থ্য বিষয়ক সভায় দর্শন মিলেছিল তাঁর। আবার ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস পালনে নুতনহাট মিলন পাঠাগারে মুখ্য অতিথি হিসাবে আসছেন এলাকার বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ।                                              

বৃহস্পতিবার, আগস্ট ০৯, ২০১৮

গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর ফল, 'শোলে'র গব্বার সিং হতে হল মঙ্গলকোটের সাংবাদিক কে

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জী

এখনও গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানো দুদিন পার হয়নি। এরেই মাঝে গুলি করে খুন করবার হুমকি পেলেন মঙ্গলকোটের সাংবাদিক সুকান্ত ঘোষ। তাও 'শোলে' সিনেমার বিরুর চরিত্রে অমিতাভ বচ্চনের মুখে অডিও জালিয়াতি করে হুমকি দেওয়া হয়েছে। আজ সকাল দশটা দশে তার মোবাইলে এই ভিডিওটি গুসকারার এক দলীয় নেতা তাকে সংগৃহীত এই ভিডিওটি পাঠায়।সে আবার স্থানীয় এক আলু ব্যবসায়ীর কাছে অন্যের কাছ থেকে পেয়েছি। তাহলে দেখা যাচ্ছে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সাথে সাথেই এই হুমকি টি মিলেছে।যদিও এই সাংবাদিক তার প্রকাশিত 'কৃষি সমবায় পত্রিকা'য় আসানসোলে কয়লা সিন্ডিকেট নিয়ে, কখনও গুসকারায় বাম আমলের পুরচেয়ারম্যান নিয়ে প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছিলেন। এমনকি হাইকোর্টে রিট পিটিশন,  নিম্নকোর্টে  দুটি ফৌজদারি মামলার শিকার হয়েছিলেন সিপিএম নেতাদের সৌজন্যে। সুকান্ত ঘোষ জানান - বর্ধমান সদরে সাইবার সেলে যাব অভিযোগটি অবগত করার জন্য।                   

মঙ্গলবার, আগস্ট ০৭, ২০১৮

গ্রামীন সাংবাদিকদের প্রতি রাজ্যসরকারের অবহেলার প্রতিবাদে বিজেপিতে মঙ্গলকোটের পত্রিকা সম্পাদক

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জী

মঙ্গলকোট তথা পূর্ব বর্ধমানের জনপ্রিয় পাক্ষিক পত্রিকা 'কৃষি সমবায় পত্রিকা'র সম্পাদক সুকান্ত ঘোষ মঙ্গলবার সরাসরি রাজনৈতিক জীবনে পদার্পণ করলেন।এদিন তিনি মঙ্গলকোটের পশ্চিম এলাকার বিজেপি সভাপতি সমীর দাসের হাত ধরে  গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন।সুকান্ত ঘোষ জানান - "রাজ্যে পালাবদলের পরেই কিছু মুস্টিমেয় বড় কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়া ছাড়া মফস্বলের পত্রিকার বিকাশের জন্য কিছুই করেনি তৃনমূল সরকার।  সাপ্তাহিক /পাক্ষিক পত্রিকার সম্পাদকরা সরকারের সহযোগিতা না পেয়ে কাগজ বন্ধ করে দিচ্ছে।অনেকেই বিনা চিকিৎসায় মারাও গেছে।কোচবিহারের একজন সাংবাদিক এইরুপ পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। তাই  গ্রামীন সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য সরাসরি রাজনীতিতে এলাম "।  জানা গেছে গোতিস্টা অঞ্চলের বিশেষ দায়িত্বে এই পত্রিকার সম্পাদক কে রাখা হয়েছে।                  

রবিবার, আগস্ট ০৫, ২০১৮

রায়নায় বাস দুর্ঘটনায় জখম ৩০


শ্যামল রায়

রবিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ পূর্ব বর্ধমান জেলার  রায়নাতে যাত্রী বোঝাই দুটি বাসের রেষারেষিতে একটি বাস উল্টে গিয়ে নদীতে পড়ে সেখানে ৩০ জন যাত্রী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন এর মধ্যে ৬ জনের অবস্থা সংকটজনক।
ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান আরামবাগ রোড এর মিরেপোতা বাজার সংলগ্ন এলাকায়।
জানা গিয়েছে যে এদিন বর্ধমান মেচেদা গামী একটি বাস দ্রুত গতিতে বর্ধমান আরামবাগ রোড হয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় আরামবাগ গামী আরেকটি বাস  যাচ্ছিল । বর্ধমান আরামবাগ গামী বাস অতি দ্রুত গতিতে রেষারেষির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে    মিরেপোতা বাজার একটি ইলেকট্রিক খুটির সাথে জোর ধাক্কা মারে। ধাক্কায় রাস্তার পাশেই ছিল একটি নয়নজুলি বাসটি উল্টে যায়। বাস উল্টে যাওয়ার খবর শুনে স্থানীয় মানুষ উদ্ধারকার্যে হাত লাগায়। ৩০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে দ্রুত বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এর মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আরো জানা গিয়েছে যে ওই যাত্রী বুঝাইতে ৬০জনের মতো যাত্রী ছিল। পুলিশ বাসটিকে আটক করেছে খালাসী চালক পলাতক।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাময়িকভাবে যান চলাচলের একটু ব্যাহত ঘটে তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

মঙ্গলবার, জুলাই ৩১, ২০১৮

কলকাতার একাংশ বিদ্যুতহীন

আজ রাত দশটা থেকে লোডসেডিং শুরু হল কলকাতার একাংশের। বিশেষত মানিকতলা, কাঁকুরগাছি, বাগমারী কবরস্থান, হাডকো, উল্টোডাঙ্গা এলাকায়।একেই টানা বৃষ্টি,  তারউপর লোডসেডিং স্বাভাবিক  জনজীবন  কে ব্যাহত করছে।

রবিবার, জুলাই ২৯, ২০১৮

মঙ্গলকোটে প্রাথমিক পড়ুয়াদের পোশাক বিলিতে ভিজিল্যান্স তদন্ত দাবি

মোল্লা জসিমউদ্দিন 

মঙ্গলকোটের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের পোশাকের গুনগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে অভিভাবকদের মধ্যে।অত্যন্ত নিম্নমানের এই পোশাক এক - দুবার কাঁচার পর ছিড়ে যাচ্ছে বলে দাবি পড়ুয়াদের পরিবারগুলির।৪০০ টাকা বরাদ্ধ প্রতি পড়ুয়া পিছু।সেখানে মঙ্গলকোটের   বস্ত্র  ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তিরা উক্ত পোশাক ভালোভাবে দেখে জানাচ্ছেন -আড়াইশো টাকার বেশি দাম হবেনা এই পোশাকগুলির ।  বিশেষ সুত্রে দাবি, মঙ্গলকোটের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে বরাত পাওয়া বেসরকারি সংস্থাটি তৃনমূলের শিক্ষা সেলের এক নেতার মাধ্যমে এই কাজের বরাত পেয়েছেন মোটা অংকের কমিশন খাইয়ে।উত্তর ২৪ পরগণার স্বরুপনগর সহ বেশিরভাগ বিদ্যালয়ে এহেন পোশাক দুর্নীতি রুখতে পড়ুয়াদের হাতে নগদ টাকা বিলি করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ।সেইজায়গায় মঙ্গলকোটের শতাধিক স্কুলে হাজারের বেশি প্রাথমিক পড়ুয়াদের পোশাকবিলিতে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি চলছে।বিষয়টি নিয়ে  প্রশাসন খতিয়ে দেখবার আশ্বাস অবশ্য দিয়েছে।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানান - এই পোশাক বিলি দুর্নীতিটি ভিজিল্যান্স দপ্তর তদন্ত করলে আসল সত্য প্রকাশ পাবে।কেননা পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী এক পদাধিকারী  যিনি আবার প্রাথমিক শিক্ষক। তিনি এই দুর্নীতির মূল হোতা। মিড ডে মিলের পড়ুয়াদের থালা বাটি গ্লাস দিতে এক কোটির কাছাকাছি আর্থিক অনুদান এসেছিল। সেটাও তদন্ত হওয়ার দরকার।উল্লেখ্য এই বরাত টি পেয়েছিলেন তৎকালীন বিডিও সায়ন দাশগুপ্তের ছায়াসঙ্গী  এক বন্ধু।যিনি জেলার লোক না হলেও বিডিও কোয়াটারে সর্বদা বিচরণ করতেন বলে প্রকাশ।               

মঙ্গলবার, জুলাই ১৭, ২০১৮

মঙ্গলকোটে উন্নয়নের কান্ডারীদের চিনুন /১

মোল্লা জসিমউদ্দিন

উন্নয়নের জোরে মঙ্গলকোট সহ কাটোয়া মহকুমা বিরোধীশুন্য হয়েছে গত পঞ্চায়েত ভোটে। যদিও সুপ্রীমকোর্টে আগামী ৬ আগস্ট রাজ্যের একুশ হাজার বিরোধীশুন্য আসন নিয়ে রায়দান রয়েছে।সুপ্রীমকোর্ট  এই মামলায় পর্যবেক্ষণে 'উন্নয়ন' দেখে তাজ্জব হয়েছে।যে, একহাজার দুহাজার আসন নয়, একুশ হাজার আসনে বিরোধী নেই? যাইহোক মঙ্গলকোটের উন্নয়ন নিয়ে একটু আলোকপাত করতে চাই।  মঙ্গলকোটের এহেন উন্নয়নের কুশীলব কারা? যাদের জন্য উন্নয়নের সীমাহীন স্রোতে বিরোধীশুন্য হল গোটা মঙ্গলকোট।যে মঙ্গলকোটে গত বিধানসভায় মাত্র বারো হাজার ভোটে জিতেছিল শাসকদল।পঞ্চায়েত ভোটে  যে পাঁচজন গুরত্বপূর্ণ ভুমিকা নিয়েছেন।তাদের মধ্যে মঙ্গলকোট থানার এক সাব ইন্সপেক্ট, ব্লক তৃনমূলের এক 'জননেতা', পঞ্চায়েত  সমিতির বিদায়ী দুই জগাইমাধাই কর্মাধ্যক্ষ,  ব্লকের এক আধিকারিক অন্যতম।এই প্রতিবেদক কে নির্ভীক সাংবাদিকতা করার জন্য এই পঞ্চ কুশীলবদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছিল।পেরে উঠতে পারিনি, সেটা অন্য কথা।চেস্টা তো বারবার চালিয়েছিল।  এটি অন্ততদন্তমূলক প্রতিবেদন।তাই ক্রমাগত চলবে এই সিরিজ।প্রথমেই আসবো পুলিশ নিয়ে। গত দুবছর যেভাবে মঙ্গলকোটে রাজনৈতিক/অরাজনৈতিক খুন রাহাজানি ঘটেছে।সেখানে পুলিশ কি দায় এড়িয়ে যেতে পারে? বিরোধীদের কে এত গাঁজার মামলা দেওয়া হয়েছে, সেখানে বারবার প্রশ্ন উঠে তাহলে কি মঙ্গলকোট গাঁজা পাচারের অবাধ মুক্তাঞ্চল? সব গাঁজার মামলাগুলি একত্রিত করে সমস্ত সিজ গাঁজা আদালতে পেশ করা হোক।এফআইআর কপি, সিজার লিস্ট, সাক্ষী, চার্জশীট, ফাইনাল রিপোর্ট সহ সমস্ত কিছু হাইকোর্টের তদারকিতে বিচার হোক? এই দাবি মাদক মামলায় প্রায় পরিবারের। থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো তো দূরের কথা, ভয়ে অনেক আক্রান্ত থানায় আসতে পারেনা।তৃনমূলের এক বিদায়ী প্রধানের দলবল যে ভাবে পুলিশের একাংশের সাথে আতাত করে থানার সামনে কর্মকাণ্ড চালায়, তাতে অভিযোগ জানাবে কি করে? থানায় সিসিটিভির ফুটেজ আদৌও থাকে কিনা, তা নিয়েও অনেকেরই প্রশ্ন। এমনও অনেক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে দলবল গিয়ে কাওকে ব্যাপক মারধর করেছে।তারপরে জনরোষ দেখে বাচাতে পুলিশের আবির্ভাব ঘটেছে।আহত অবস্থায় থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে পালটা মামলায় গ্রেপ্তারীর ভয় দেখিয়েছে বিপক্ষ শিবির।তাই মঙ্গলকোটে কোন লিখিত অভিযোগ নেই।এতটায় গভীরতা উন্নয়নে! মঙ্গলকোটের চকগ্রাম, বেলগ্রাম বুইচি, বনপাড়া,পুরাতনহাট  প্রভৃতি  এলাকায় চুরি ছিনতাই ঘটনা ঘটেছে। সিভিক পুলিশের বাড়ীতে বারবার চুরিরও ঘটনা ঘটেছে।আবার চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনার লিখিত অভিযোগ স্থানীয় থানার পুলিশ তাদের ব্যর্থতা ঢাকতে অভিযোগগ্রহন করেনা বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।      বালিঘাটে দখলদারী নিয়ে বোমার আঘাতে মারাও পড়েছে।লাখুরিয়ায় অজয়ের চরে বিবস্ত্র মহিলার দেহ উদ্ধারও হয়েছে।বেশকিছু সিভিক পুলিশ কে বিধায়ক ঘনিস্ট বলে থানা থেকে 'আউট' করে দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীশুন্য করবার পুলিশি ভুমিকা নিয়ে আমরা আরও বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরবো।অত্যাধিক ইনফরমারগিরি করতে নপাড়া মোড়ে সিভিক পুলিশের প্রতি জনরোষের মত ঘটনাও ঘটেছে।আবার বালির ডাম্পারে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু নিয়েও অনুরুপ ঘটনাও ঘটেছে।এমন বিষয় যে, বালিমাফিয়াদের মুক্তাঞ্চল কোগ্রামে পুলিশের মাসিক কনভারেন্স পর্যন্ত হয়েছে।তাতে কি? মঙ্গলকোটে প্রায় বালির গাড়ীতে এলাকাবাসীদের প্রাণহানি না কমে, উলটে বেড়েই চলেছে। থানার সামনে চায়ের দোকানে বালিমাফিয়াদের প্রাত্যহিক মজলিস ঘটে।

চলবে......                        

রবিবার, জুলাই ১৫, ২০১৮

প্রয়াত বিচারক স্মরণে দোওয়ার মাহফিল

মোল্লা জসিমউদ্দিন

রবিবার সারাদিন ধরে দোওয়ার মজলিশ চললো মঙ্গলকোটের পদিমপুরে জজসাহেবের বাড়ীতে।দু বছর পূর্বে ঠিক এই দিনেই মারা যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লা।

শুক্রবার, জুলাই ১৩, ২০১৮

প্রয়াত বিচারক মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী ১৫ জুলাই

মোল্লা জসিমউদ্দিন

আগামী ১৫ জুলাই পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট থানা এলাকায় পদিমপুর গ্রামে প্রয়াত বিচারক মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লা স্মরণে এক দোওয়ার মজলিশের আয়োজন করা হয়েছে।২০১৬ সালে ১৫ জুলাই অবসারপ্রাপ্ত বিচারক ব্রেণস্টোকে মারা যান।এই বিচারকের পৈতৃক বাড়ী কাটোয়া শহর সংলগ্ন শ্রীখণ্ড গ্রামে।১৯৮৩ সালে রাজ্য জুডিশিয়াল পরীক্ষায় সেরা পাঁচে জায়গা পান। ট্রিপল এমএ,  এলএলবি, বিএড প্রভৃতি ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।সেইসাথে বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি।কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে প্রথম ব্যাচে এমএ করেছিলেন।'দ্য  স্টেটসম্যান' সহ বিভিন্ন দৈনিক কাগজে একসময়  সাংবাদিকতা করেছেন।রাস্ট্রবিজ্ঞানে এমএ এবং ইংরাজিতে এমএ করেছে। কাটোয়ার কেডিআই  স্কুলে শিক্ষকতা এবং কাটোয়া কলেজে রাস্ট্রবিজ্ঞানে লেকচার পদে ছিলেন।কাটোয়া আদালতে স্বনামখ্যাত আইনজীবী তারাপদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জুনিয়র হিসাবে দীর্ঘদিন কাজ করে গেছেন।বিভিন্ন গরীব মক্কেলের কাছে আইনজীবী হিসাবে ফি নিতেন না।এরপরে সরকারি পিপি পরীক্ষায় পাশ করেন।তা করতে করতে বিচারক নিয়োগ পরীক্ষায় ১৯৮৩ সালে রাজ্যে কৃতি হিসাবে সাফল্য পান।১৯৮৮ সালে বর্ধমান সদর আদালতে বিচারক পদে আসীন হন।এরপরে আরামবাগ মহকুমা আদালত, কালনা মহকুমা আদালত, সিউড়ি জেলা আদালত, দাঁতন আদালত, আলিপুর সদর আদালত,আলিপুরদুয়ার মহকুমা আদালত,বর্ধমান সদর আদালত, বসিরহাট আদালত, মেদিনীপুর জেলা আদালত,গড়বেতা আদালত,সিউড়ি আদালত,সর্বশেষে শ্রীরামপুর আদালতে ২০১৩ সালে মার্চ মাসে অবসরগ্রহন করেন।বিভিন্ন আদালতে 'মাটির মানুষ' হিসাবে পরিচিতি পেয়েছিলেন কর্মজীবনে।এহেন গুনি সন্তান তাঁর স্ত্রী আয়েষা সুলতানা, বড় ছেলে মোল্লা জসিমউদ্দিন(টিপু), ছোট ছেলে মোল্লা শাহজাহান(নিপু) ২০১৬ সালে ১৫ জুলাই  রেখে  ভোররাতে মঙ্গলকোটের পদিমপুরে ব্রেনস্টোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।উল্লেখ্য প্রয়াত বিচারক মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লা ছিলেন আমার বাবা ।                

শুক্রবার, জুলাই ০৬, ২০১৮

টানা পাঁচবছর স্বাস্থ্য পরিষেবায় প্রথম মঙ্গলকোট

মোল্লা জসিমউদ্দিন

একবার দুবার নয়,টানা পাচবার জেলার সেরা ব্লক (স্বাস্থ্য বিভাগে) এর শিরোপা পেল মঙ্গলকোট।শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন কর্মদক্ষতা অনুযায়ী এই স্বীকৃতি দেয়। মঙ্গলকোট বিএমওএইচ ডঃ প্রণয় ঘোষ জানান - এই সম্মান প্রাপ্তি আমাদের কাজের প্রেরণা জোগায়।উল্লেখ্য প্রত্যেহ আউটডোরে হাজারের কাছাকাছি এলাকাবাসী চিকিৎসার জন্য এখানে আসেন।সেইসাথে পঞ্চাশের বেশি রোগী ভর্তি হন।

সোমবার, জুলাই ০২, ২০১৮

শালবনীর ৪ নং আঞ্চলিক তৃনমূলের মিছিল



লাগামছাড়া মুল্যবৃদ্ধিতে যখন জনতা হাঁসফাঁস করছে, তখন গুজরাটের  অমিত শাহ বাংলার শান্ত মাটিকে অশান্ত করতে চাইছে। সেই সময়ে শালবনীর ৪ নং  আঞ্চলিক তৃনমূল কংগ্রেস বাঁকিবাঁধে একটি মিছিল ও পথসভার আয়োজন করে। বিজেপির জয়লাভ করা গ্রাম সংসদে তৃনমূল কর্মীদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদেও এই মিছিল ওই অংশে সংগঠিত হয়। শহীদ দিবসকে সামনে রেখে কলকাতায় ২১ শে জুলাই কে সফল করার ডাক হাজার মানুষের ভিড় থেকে আজ দেওয়া হয়। এই মিছিলে নেতৃত্ব দেন জেলা যুব তৃনমূলের সাধারন সম্পাদক ও নির্বাচিত সমিতির সদস্য সন্দীপ সিংহ এবং ৪ নং তৃনমূল আঞ্চলিক সভাপতি রামপদ মাহাত। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন এলাকার নেতৃত্ববৃন্দ নিতাই মাহাত, সেখ ইলিয়াস, সুদীপ সিংহ,অতনু সিংহ প্রমুখ যুব ও তৃনমূল নেতৃত্ব।

মালদায় আহলে সুন্নাত হানাফী জামাইতের সভা

মোল্লা শাহজাহান - নিপু

মালদায় ইংলিশবাজার লক্ষিপুর গ্রামে সারা বাংলা আহলে সুননাত হানাফী জামায়াতের ডাকে একটি সভা অনুষ্ঠীত হয়।উপস্থিত ছিলেন সহ সম্পাদক আবদুল হাই রীজবি ও মুর্শিদাবাদের সম্পাদক মেহের আলী ও মালদার সম্পাদক মোবারক কারিম ও আবদুল আজিজ ও রাজ্য সম্পাদক পীররজাদা তাফহীমুল ইসলাম ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়ে শেষ দোওয়া করে সমাপ্তি  ঘটান।

রবিবার, জুলাই ০১, ২০১৮

সন্ত্রাসের প্রতিবাদে শালবনীতে তৃনমূলের মিছিল

সন্দীপ সিংহ

শালবনী ব্লকের লালগেরিয়া অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে,   সরবেড়িয়া থেকে জয়পুর পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার পথ  মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হলো - পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই অঞ্চলে জয়লাভ করার পর সিপিমএর প্রাক্তনদের সাথে নিয়ে বিজেপি  ক্রমাগত তান্ডব চালাচ্ছে ,সাধারণ মানুষ এবং তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মারধর ও  হুমকি দেওয়া থেকে শুরু করে নির্মিত সরকারি সম্পত্তি ( ডিপ টিউবওয়েল)ভাঙচুর করেছে, এরই প্রতিবাদে এবং ২১ সে জুলাই ধর্মতলা চলো ডাক এবং ৬ ঐ জুলাই মেদিনীপুর চলো ডাকে এই পদযাত্রা, প্রচন্ড রোদ গরমের  মধ্যেও  ৫০০০ এরও বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করেন এই মিছিলে, মিছিলে নেতৃত্ব দেন শালবনি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নেপাল সিংহ , বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাত, কাসেম খান , গৌতম মাহাত, বুলবুল হাজরা, অসিত ঘোষ , রামপদ মাহাত- প্রমুখ ।

শনিবার, জুন ৩০, ২০১৮

বিশ্বের সবথেকে লম্বা শাড়ির কাজ চলছে ফুলিয়ায়


শ্যামল রায়

নদীয়া জেলার তাঁত শিল্পে খ্যাত নবদ্বীপ , ফুলিয়া ও শান্তিপুর। ফুলিয়ার জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত তাঁত শিল্পী বীরেন কুমার বসাক বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ শাড়ি বুনে গিনেস  বুকে নাম তুলতে চান। ইতিমধ্যে এই নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে ফুলিয়া জুড়ে।জানা গিয়েছে যে ৩৭২৬ মিটারের শাড়ি বুনে ইতিমধ্যেই নামডাক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে।তাঁত শিল্পী বীরেন কুমার বসাক এর দাবি এটাই সবচেয়ে পৃথিবীর দীর্ঘতম শাড়ি। গিনেস বুকে নাম তোলার জন্য এ বিষয়ে যাবতীয় তথ্য পাঠানো হয়েছে জানালেন তিনি। বাংলার মাটি থেকেই গিনেজ বুকে রেকর্ড উঠবে বলে শিল্পী বীরেন কুমার বসাক যথেষ্ট আশাবাদী।আরো জানা গিয়েছে যে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ শাড়ি তৈরি রেকর্ড রয়েছে ভারতের  এক তাত  শিল্পীর।গুজরাটের সন্দীপ সাইকেল নামে এক আইএএস অফিসার ৩০৫৫ মিটার শাড়ি বানিয়ে গিনিজ বুকে নাম তুলেছেন।এই অফিসার ভুখস  জেলার জেলাশাসক।আর সেই রেকর্ডকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গত এক বছর ধরে শাড়ি বানিয়েছেন শান্তিপুরের ফুলিয়ার বাসিন্দা জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত তাঁতশিল্পে বীরেন কুমার বসাক।তার শাড়ির দৈর্ঘ্য ৩৭২৬ মিটার।  প্রস্থ অন্যান্য শাড়ির মতোই  ৪৭ ইঞ্চি।গত ৯ জুন এই বিশাল আকার শাড়িটির দৈর্ঘ্য মাপা হয়েছে। পেশায় আমিন মানুষ বিশ্বাস ৬ ঘন্টা ধরে সে কাজটি করেছেন। এক বছর ধরে পাওয়ার লুমে বীরেন বাবুর তত্ত্বাবধানে শাড়িটি বোনা হয়েছে।পাওয়ার লুমে প্রতিদিন কাজ করছেন পাঁচজন করে তার শ্রমিক। ক্রিম কমলা ও সবুজ রঙের একটা সিল্কের বিশেষ সুতো দিয়ে বোনা হয়েছে শাড়িটি।শিল্পী কুমার বসাক জানিয়েছেন যে শাড়ি টিতে রামায়ণের কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ।এই বীরেন কুমার বসাক তিনি শুধু জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী নন ইতিমধ্যে তিনি সন্তু কবির পুরস্কার পেয়ে গিয়েছেন।জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন জামদানি শাড়ির জন্য। বীরেন কুমার বসাক জানিয়েছেন যে ছোটবেলা থেকেই তাদের কাজের সাথে যুক্ত তিনি রয়েছেন। শাড়ির নানান কাজ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন বহুদিন ধরে তাই এবার পৃথিবীর দীর্ঘতম  শাড়ি বুনে গিনিস বুকে নাম তুলতে যথেষ্ট উদ্যোগ তিনি গ্রহণ করে ফেলেছেন।এক বছর আগে এই শাড়িটি বোনার কাজ শুরু করেছিলেন প্রতিদিন শাড়িটি বোনার কাজ হতো একটি টিম ওয়ার্ক এ এই কাজটি সম্পন্ন করা হয়েছে ইতিমধ্যে তিনি গিনিজ বুকে নাম তোলার জন্য যাবতীয় তথ্য পাঠিয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে দীর্ঘতম শাড়ি তৈরি করার ফলে গিনিস বুকে নাম তুলতে সক্ষম হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন ।

বাঁকুড়ায় প্রশান্ত মহালানবিশের জন্মদিবসে পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী

প্রশান্তচন্দ্র মহালানবীশ ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান বাঁকুড়ায়।উপস্থিত পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER