শুক্রবার, এপ্রিল ১৭, ২০২০

মারিশদায় আটকে বর্ধমানের ৮ শ্রমিক

জুলফিকার আলি, 
  

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মারিশদা থানার কালীনগর এ ঢালাই এর কাজে এসেছিল বর্ধমান এর আট জন শ্রমিক। কাজ ভালোই চলছিল কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় লকডাউন। আটকে পড়ে সবাই। কাছে যা টাকা ছিল সেই দিয়ে চলছিল কয়েকদিন। কিন্তু তারপরেই টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় খাওয়ার জুটছিল না কারও। শেষে সবাই সিদ্ধান্ত নেয় পায়ে হেটে বর্ধমান পাড়ি দেবে। কিন্তু মাধপথে নন্দকুমার থানার 116 বি জাতীয় সড়কে পুলিশ আটকায় সবাইকে। নিয়ে আসা হয় নন্দকুমার থানায়। থানায় পুলিশের তরফ থেকে রাতে খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয় এদের। বর্ধমানে কিভাবে ফেরানো যায় ব্যবস্থা করছে পুলিশ।

খাদ্য সামগ্রী বিলিতে বাসুবাটি দরবার শরিফ

মোল্লা শাহজাহান(নিপু)
   

শুক্রবার বাসুবাটী মেজ হুজুর দরবার শরীফ থেকে ত্রাণ নিয়ে পৌছালেন বাঁকুড়া পুনিশলে পীরজাদা সৈয়দ তাফহীমুল ইসলাম ও হাফেজ হাসান রাজা।শয়ে শয়ে অভুুুক্ত মানুষদের খাদ্য সামগ্রী বিলি করা হয়।       

ত্রাণ বিলিতে রাজনীতির অভিযোগ মেমারিতে

সেখ সামসুদ্দিন

  মেমারি পুরসভার প্রাক্তন উপপুরপিতা  অভিজিত কোঙার সাধারণ মানুষের কাছে প্রশ্ন ও আবেদন সহ বর্তমান পুরবোর্ড  সহ পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে ত্রাণ নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ আনেন নিম্নরূপে- 'আপনি কি পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি পৌরসভার বাসিন্দা? আপনি কি শ্রমজীবী,গরীব মানুষ?  তাহলে আপনি তো নিশ্চিত চান যে,করোনায় এই কাজ না থাকা সময়ে সরকার আপনার পাশে সহযোগিতার হাত বাড়াক। ইতিমধ্যে বামপন্থী সংগঠন সহ অনেক সংস্থা ও সংগঠন পৌর এলাকায় সাধ্যমতো গরীবদের খাদ্য ও সরঞ্জাম দেওয়ার চেষ্টা করেছে ও করছে,যা অবশ্যই অপ্রতুল। তাই সরকারী সহযোগিতা দরকার। তা না হলে ঘরবন্দী থাকা উচিত জেনেও বিপদ টেনে আনতে আপনি পেটের দায়ে, সংসার চালাতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন বা পড়ছেন, তাই তো?  আবার সরকারের ভূমিকা নিয়ে কথা বললেও অনেকে মন্তব্য করছেন--এখন এসব রাজনীতি করার কি দরকার? এখন দরকার এক সঙ্গে বিপদের মোকাবিলা। ঠিকই তো,দরকার এক সঙ্গে মোকাবিলা। 
             তাহলে আসুন একটি বিষয়ে মেমারির নাগরিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করি। জানা গেল, মেমারি পৌরপ্রধান প্রথম দফায় বুথ প্রতি ১০ জনকে,  দ্বিতীয় দফায় বুথ প্রতি ১১ জনকে অর্থাৎ বুথ প্রতি মোট ২১ জনকে জি. আর.- র ৫ কেজি করে চাল দেবেন বা দিয়েছেন। ভালো কথা। আবার আগামী ২০/৪/২০ হতে পৌরসভা অফিস থেকে বুথ প্রতি ৩৫ জনকে ৫ কেজি করে চাল দেবেন বলে জানা গেল। তাহলে এখন পর্যন্ত বুথ প্রতি ১০+১১+৩৫=৫৬ জন ৫ কেজি করে চাল পাবে টোকেনের মাধ্যমে। কিন্তু প্রশ্ন হল--প্রাপক তালিকা ঠিক করা ও টোকেন কে বিলি করবে বা করছে? ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সি. পি. আই( এম) র। কিন্তু তাঁকে কিছুই জানানো হয় নি। লোকমুখে খবর পেয়ে কাউন্সিলর শ্রীমতি মানু ভট্টাচার্য চেয়ারম্যানকে বারবার ফোন করলে তিনি ধরেননি। শেষে জনস্বার্থে মহকুমাশাসককে লিখিত অভিযোগ জানানোয় চেয়ারম্যান কাউন্সিলরকে ফোন করে জানান --যা করার তৃণমূল কর্মীরা করবে। প্রতিবাদ করায় চাপাচাপিতে মাত্র ১৫ টি  টোকেন দিতে রাজী হন,যেখানে ওয়ার্ডের ২ টি বুথ হিসাবে তাঁর ৫৬×২=১১২টি টোকেন পাওয়ার কথা। একই ঘটনা ৩ নং ওয়ার্ডের,যেখানের সি.পি.আই(এম) কাউন্সিলর ক্যান্সারে মারা যান। সেখানের স্বীকৃত ওয়ার্ড কমিটিকে নস্যাৎ করে তৃণমূলী নেতারা যা করার করছেন। ৪ নং ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলরেরও একই অভিজ্ঞতা। চেয়ারম্যান কি নিজের টাকায় এই চাল দিচ্ছেন যে কাউকে জানাবেন না ?  জানা গেল, তৃণমূলীরা এই সময়ে এর থেকে আয় করছেন। রোজ করোনা সংক্রান্ত নির্দেশ জানাতে পৌরসভা মাইক প্রচার করলেও এই ব্যাপারে কোন প্রচার হল না কেন?  কেন এত গোপনীয়তা?  কেউ বলতে পারেন, পৌরসভায় তৃনমুল জিতেছে,তাই অন্যদের জানাবে কেন?  উত্তরে বলি-- বামফ্রন্ট পরিচালিত মেমারি পৌরসভায় বর্তমান পৌরপ্রধান বরাবর বিরোধী কাউন্সিলর ছিলেন। একটা ঘটনা উনি বা ওই ওয়ার্ডগুলির কোন নাগরিক দেখাতে পারবেন,যেখানে উনাকে বা বিরোধী কোন কাউন্সিলরকে অগ্রাহ্য করে তৎকালীন পৌর বোর্ড কোন কাজ করেছে?  তৎকালীন কাউন্সিলর হিসাবে এ কথা বলার হিম্মত আমার আছে, উনার প্রতিবাদ জানানোর হিম্মত আছে? 
            আমি জানি- যে গরীবদের জন্য এই সব বলছি, তাদের অধিকাংশ তো সোশ্যাল মিডিয়া দেখেন না। কিন্তু পৌর এলাকার যে নাগরিকরা এই মিডিয়া চর্চা করেন তাদের কাছে প্রশ্ন --বলুন, এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করা যদি রাজনীতি করা হয়, তাহলে গরীবদের স্বার্থে সেই রাজনীতি আপনি চান না?  করোনার মোকাবিলা একসঙ্গে করা মানে, এই দুর্নীতি ও অন্যায়কে মুখ বুজে সহ্য করা--সেটা কি ঠিক হবে?  যারা সরকারে আছে তারা যদি একসঙ্গে না চলার রাজনীতি করেন তাহলে তার প্রতিবাদে একসঙ্গে চলার রাজনীতি হোক। কেউ ভাবতে পারেন,আমি মিথ্যা সংবাদ দিচ্ছি। তাহলে সঠিক সংবাদ জানতে আপনারা আপনাদের পাড়ার সব নিপীড়িত নাগরিকদের লক ডাউনের নিয়মাবলী মেনে পৌরসভায় পাঠান।' যদিও বর্তমান চেয়ারম্যান পুরবোর্ডে ক্ষমতায় এসে অভিযোগ করেছিলেন বাম জমানায় জিআর-এর চাল সহ অনেক কিছু বিষয়েই জানতেন না। ক্ষমতায় এসে তিনি বুঝেছিলেন তৎকালীন বোর্ড কিভাবে গরীব মানুষকে বঞ্চিত করেছে। এখন একই অভিযোগ জানাচ্ছেন বিরোধী  সিপিএম নেতৃত্ব।

করোনায় আইনজীবীদের জন্য রিলিফ ফান্ড একাউন্ট করলো হাইকোর্ট বার এসোসিয়েশন

মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)    
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় বিধিনিষেধ বজায় রেখে গত ১৬ মার্চ থেকে রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার অচল হয়েছে। যা ৩০ এপ্রিল অবধি ধাপেধাপে সময়সীমা বাড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুধুমাত্র কলকাতা হাইকোর্টে ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি চলছে তাও মাসে ৭ থেকে ৮ দিন মত। গত ১৬ মার্চ থেকে রাজ্যের আইনজীবীরা একপ্রকার বেকারত্বের শিকার বলা যায়। গোটা রাজ্যে ৮২ হাজার মত নিয়মিত / অনিয়মিত আইনজীবী রয়েছেন। এর মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে আইনী পেশার সাথে যুক্ত প্রায় ১০ হাজার আইনজীবী। টানা ৩১ দিন আদালতমুখী হয়নি এই রাজ্যের আইনজীবীমহল। আর্থিক সমস্যায় আইনজীবীদের বড় অংশ। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চে বারাসাতের এক আইনজীবী আইনজীবীদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া সহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে মামলাও করেছেন। ১৬ এপ্রিল এই মামলার শুনানির  জন্য নির্ধারিত হলেও  আগামী ২৩ এপ্রিল এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে। গত ৩০ মার্চ ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং রাজ্য আইনমন্ত্রী কে ইমেল মারফত চিঠি লিখে আইনজীবীদের পাশে দাঁড়াবার জন্য আবেদন রেখেছেন। গত ৮ এপ্রিল বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের বর্ষীয়ান সদস্য আনসার মন্ডল কেন্দ্রীয়  বার কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান কে   চিঠি লিখে আইনজীবীদের পাশে দাঁড়াবার অনুরোধ জানিয়েছেন। এই চিঠিও প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য আইনমন্ত্রী কে। সেইসাথে রাজ্যের বার কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান অশোক দেব মহাশয়কে ও     অবগত করানো হয়েছে। আনসার বাবু রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ৩৭ টি বেসরকারি আইন কলেজ কর্তৃপক্ষ কে আইনজীবীদের এহেন দুসময়ে পাশে দাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন। অপরদিকে কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক কুমার ঢনঢনিয়ে অত্যন্ত তৎপরতায় এক রিলিফ ফান্ড গড়েছেন। ইতিমধ্যেই ৮০০ এর বেশি আইনজীবী বার এসোসিয়েশনের পদাধিকারীদের কাছে ইমেল মারফত আর্থিক অনুদান দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।হাইকোর্টের  বার এসোসিয়েশন সুত্রে প্রকাশ, এহেন আইনজীবীদের ২ হাজার টাকা করে মাসিক আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে  । ইতিমধ্যেই ৭ লক্ষ টাকা উঠে এসেছে আইনজীবীদের আর্থিক অনুদান দেওয়ার জন্য। এর মধ্যে বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক কুমার ঢনঢনিয়া দিয়েছেন ২ লাখ, ক্যালকাটা হাইকোর্ট কালচারাল সোসাইটির তরফে ২ লাখ, মিলন মুখোপাধ্যায় দিয়েছেন ১ লাখ অনুদান অন্যতম । বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক কুমার ঢনঢনিয়া জানিয়েছেন    - "আরও ১০ লাখ টাকার অনুদান দরকার। হাওড়ার এক বেসরকারি ব্যাংকে একটি জরুরি কালিন রিলিফ ফান্ড একাউন্ট খোলা হয়েছে"। অপরদিকে আজ অর্থাৎ শুক্রবার কলকাতার সিটি সেশন কোর্টে অবস্থিত বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্টবেঙ্গলের অফিসে বার কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির আইনজীবীদের আর্থিক ভাবে পাশে থাকবার বৈঠক করার কথা রয়েছে।                                                                                                                                                                                          

    

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৬, ২০২০

করোনায় রাজ্যের রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয় কলকাতা হাইকোর্ট

মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)    
বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে করোনা সংক্রান্ত মামলা উঠে। গত ৯ এপ্রিল এই মামলার প্রথম শুনানিতে রাজ্যের কাছে করোনা সংক্রান্ত সম্পূর্ণ তথ্য চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরে এই মামলার শুনানিতে রাজ্যের দাখিল করা রিপোর্টে অসন্তুষ্ট হয় কলকাতা হাইকোর্ট। আজ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের কাছে করোনা মহামারী নিয়ে আরও তথ্য জমা দিতে বলা হয়। করোনায় আক্রান্ত কত? মৃত্যুর সংখ্যা টি কত? কিভাবে কোথায় কতজনের করোনা ভাইরাস পরিক্ষা চলেছে? এইবিধ নানান তথ্য বিস্তারিত ভাবে জানাতে বলা হয়েছে। সেইসাথে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পরামর্শ - আইসিএমআর এবং বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থ্যার গাইডলাইন মানা উচিত রাজ্যের। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ২১ এপ্রিল। উল্লেখ্য, রাজ্যে করোনায় তথ্য গোপন এবং পরিকাঠামোর অভাব অভিযোগ তুলে ডক্টর ফুয়াদ হালিম এই জনস্বার্থ মামলাটি করেছিলেন। মামলাকারীর আইনজীবী রয়েছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য মহাশয়। মামলার পিটিশনে উল্লেখ করা থাকে যে - আইসিএমআর  এর গাইডলাইন মানছেনা রাজ্য। সেইসাথে  করোনা পরিস্থিতিতে আক্রান্ত, নিহত সহ চিকিৎসা পরিকাঠামো নিয়ে তথ্য গোপন করছে রাজ্য সরকার । এহেন বক্তব্য মামলার প্রাক্কালে ইমেল মারফত এবং ভিডিও কনফারেন্সে রাখেন মামলাকারী এবং তাঁর আইনজীবী। গত ৯ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চের বিচারপতিরা রাজ্য কে করোনা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য গুলি কে রিপোর্ট আকারে জমা দিতে বলেছিলেন ন ১৬ এপ্রিলের মধ্যে। আজ অর্থাৎ ১৬ এপ্রিল পুনরায় কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে পুনরায় জনস্বার্থ সহ গুরত্বপূর্ণ মামলার ভিডিও শুনানি হয়।রাজ্যে করোনায় তথ্য গোপন নিয়ে ডঃ ফুয়াদ হালিমের পাশাপাশি স্মরজিত রায় চৌধুরী নামে আরেক আইনজীবী জনস্বার্থ মামলাটি করেছেন। স্মরজিত বাবুর ভিডিও কনফারেন্স সওয়ালে উঠে আসে - করোনায় কেউ মারা গেলে তার শেষকৃত্য প্রক্রিয়া টি কি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন মানা হচ্ছে?  বস্তি এলাকায় সেভাবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি প্রচার অভিযান নেই। তাছাড়া সরকারি / বেসরকারি ত্রাণ ঠিকমতো পৌছাছেনা দুর্গতদের কাছে। ২১ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।করোনায় 
বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য এবং স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কাছ থেকে।                                                                                                  

বুদবুদের মাড়ো গ্রামে কংগ্রেসের খাদ্য সামগ্রী বিলি



সেখ নিজাম আলম
  আজ মানকর অঞ্চলে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের নেতা শ্রী জয়গোপাল দে এর উদ্যোগে, পশ্চিম বর্ধমান জেলার জনপ্রিয় নেতা তথা নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির সদস্য ও প্রাক্তন জেলা সভাপতি শ্রী দেবেশ চক্রবর্তী র সহযোগিতায় , 
প্রায় ১০০ গরিব পরিবারের মধ্যে লকডাইনের জন্য চাল আলু ও সাবান বিতরণ করা হয় মাড়ো গ্রামে, বুদবুদ ব্লক কংগ্রেস কমিটি উদ্যোগে। উপস্থিত ছিলেন অঞ্চল সভাপতি লিটন চৌধুরী, সিতারাম মেটে, বাসু মেটে, পঙ্কজ সিকদার প্রমুখ ।
বাংলার প্রাণপ্রিয় নেতা ,লোকসভার বিরোধী দলনেতা মাননীয় শ্রী অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নির্দেশে অসহায় অভুক্ত দের পাশে দাঁড়ানোর যে আবেদন, তার যোগ্য অনুগামীরা তা পালনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

করোনায় একগুচ্ছ দাবি তে বামেদের স্মারকলিপি

জুলফিকার আলি  
,দেশপ্রাণ এরিয়া   কমিটির উদ্যোগে করোনা সংক্রমণ রোধে সার্বজনীন টেস্ট করা,চিকিৎসক, নার্স সহ স্বাস্হকর্মীদের চিকিৎসা সুরক্ষা প্রদান, কর্মহীন ও গৃহবন্দী মানুষদের ৩৫ কেজি চাল,কেন্দ্রীয় সরকারকে ৫০০০ টাকা,রাজ্য সরকার কে ২০০০ টাকা সবাইকে মঞ্জুর করা,রেশন সামগ্রী নিয়ে দলবাজি বন্ধ করা ইত্যাদি ৬ দফা দাবী সমূহের ভিত্তিতে দেশপ্রান ব্লকের বিডিও ও বিএ ওএইচ দপ্তরে ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম নেতা মামুদ হোসেন, সঞ্জিত দাস,সুতনু মাইতি,তাপস মিশ্র,তরুণ মাইতি প্রমুখ।সিঅাইটিইউ র ডাকে একই দাবীসমূহের ভিত্তিতে মহকুমাশাসক দপ্তরে ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। নেতৃত্ব দেন সিঅাইটিইউ নেতা হরপ্রসাদ ত্রিপাঠী,মামুদ হোসেন, কানাই মুখার্জি, জয়দেব পণ্ডা,সলিল বরণ মান্না প্রমুখ।

বন্দীর বাজার - নীতা কবি

বন্দীর বাজার
            নীতা কবি

গিন্নী বলেন শাক আনতে, কচু এনেছেন
কচুর সাইজ দেখে গিন্নী ভিরমী খেয়েছেন
বাজার করা দায় হয়েছে ,যাও দেখি একবার
ভিড় করলেই লাঠির বাড়ী পড়বে দু-চার বার
লক ডাউনের রান্না হলো ঝিঙে পোস্তোর ভাজা
গিন্নী বলেন বাজার থেকে পটল এনো তাজা
কর্তা বলেন, "বন্দীর বাজার , একটু সমঝে চলো"
তিরিশ টাকার পটল এখন ষাটের উপর নিলো"
ওমনি গিন্নী গোসা করে ছাড়লেন হাঁড়ি-কড়া
কত্তাবাবার মাথায় হাত আর চোখ যে ছানাবড়া
একটা আলু রাঁধো গিন্নী, আর একখানা রাখো
অনেক মানুষ উপোস পড়ছে, তাদের দিকেও দেখো
দুনিয়াতে সবাই বুঝছে, বুঝছে নাকো ঘরে
আরও আনো, আর পাবে না, করেই খালি মরে
অনেক কষ্টে বুঝিয়ে সুঝিয়ে রান্নাটুকু হলো
বাবুদের সব নাভিশ্বাস, এবার বন্দী খোলো।
খুলতে হবে না বন্দীদশা সুখেই তো আছি ঘরে
বাইরে গেলেই সিংহমামা খাবেন ঝপাৎ করে
সুখের থেকে স্বস্তি ভালো, সরকারকেই মানো
ঘরের মধ‍্যেই শান্তি খুঁজে ,নীরোগ সমাজ আনো।

বুধবার, এপ্রিল ১৫, ২০২০

বর্ধমানের চারুল গ্রামে খাদ্য সামগ্রী বিলিতে জয় হিন্দ বাহিনী

জুলফিকার আলি
  

সমগ্র ভারতবর্ষজুড়ে চলছে লকডাউন | খেটে খাওয়া মানুষরা পড়েছেন আর্থিক সংকটে | পূর্ব বর্ধমান এ  সেসব মানুষের পাশে দাঁড়ালেন জয় হিন্দ বাহিনীর 1 নম্বর ব্লক চেয়ারম্যান শেখ হালিম | হালিম বাবু জানান, লকডাউন শুরু থেকেই বর্ধমান এ বিভিন্ন প্রান্তে মানুষের পাশে আমি আছি | আজ পূর্ব বর্ধমানের চারুল গ্রামে 400 জন দুস্থ মানুষের হাতে চাল, ডাল ,আলু পিয়াজ, তেল তুলে দিলাম | তিনি আরও জানান ,আজ পর্যন্ত প্রায় 5 হাজার মানুষের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছি এবং যতদিন লকডাউন থাকবে ততদিন মানুষকে এই পরিষেবা দিয়ে যাব | উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের জয় হিন্দ বাহিনীর সভাপতি রবিন নন্দী,বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নিশীথ মালিক,বর্ধমান সদর থানার পুলিশ আধিকারিক পিন্টু সাহা ,বর্ধমান উত্তর বিধানসভার চেয়ারম্যান শেখ ডালিম, বিশিষ্ট সমাজসেবী সোমনাথ ভট্টাচার্য প্রমূখ |

কোলাঘাটে শান্তিপুরে খাদ্য সামগ্রী বিলি চললো

জুলফিকার আলি
  
পূর্ব মেদিনীপুর:– কোলাঘাট থানার অন্তর্গত শান্তিপুর এলাকার অধিকাংশ মানুষই দিন আনে দিন খাওয়া পরিস্থিতির পরিবার রয়েছে, এছাড়াও বহু মানুষ আর্থিক সংকটের কারণে বর্তমান সময়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, সে সব মানুষের কথা মাথায় রেখে এবার এগিয়ে এলো ব্লক প্রশাসন, বুধবার শান্তিপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সেলিম আলী এর উদ্যোগে প্রায় 5000    হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়া ব্যবস্থাপনা করলেন। সেলিম বাবু জানান বর্তমান সময়ে লক ডাউনের ফলে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের সংসার চলতে হিম শিম খেতে হচ্ছে, সেই সব মানুষদের কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ, তবে অঞ্চল প্রধানের এই কার্যক্রম দেখে অনেক টাই আপ্লুত হয়েছে এলাকার সমাজ সেবী মানুষ থেকে শুরু করে দুস্থ পরিবার গুলি।

কোলাঘাটে রক্তদান শিবির

জুলফিকার আলি, 
  

রক্তদান মহৎ দান আর এই বার তাকে মাথায় রেখে মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট থানার অন্তর্গত মেচেদাতে তিন বন্ধু উদ্যোগে এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়,এইদিন রক্তদান শিবিরে মাতঙ্গিনী গেস্ট হাউস মেচেদা, মূলত এই গ্রীষ্ম কালীন রক্তের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন সংগঠন থেকে শুরু করে সমাজ সেবা সংগঠনের উদ্যোগে রক্তদান শিবির করা হয়, কিন্তু বর্তমানে নোবেল করোনা ভাইরাসের ফলে গোটা রাজ্যে লক ডাউন হয়ে যাওয়ার ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে এই সব সংগঠনের রক্তদান শিবির অনুষ্ঠান, ফলে উদ্যোগ নিয়েছে এবার ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসন, সেই লক্ষ্যে এই রক্তদান শিবির, এ দিন এই রক্তদান শিবিরে ৩০ জন রক্তদাতা রক্ত দান করেন, এ দিন এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান,শান্তিপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সেলিম আলী, এছাড়াও কোলাঘাট পুলিশ আধিকারিক, তবে এই রক্তদান শিবিরের বর্তমান স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ অনুসারে দূরত্ব বজায় রাখার চিত্র ফুটে ওঠে।

অযথা ঘুরাঘুরি করলে সিঙ্গুর পুলিশ মারছে লাঠি

সুভাষ মজুমদার
  
লকডাউনের দ্বিতীয় দফায় অযথা ঘোরাঘুরি করতে দেখলেই সিঙ্গুরে লাঠি চার্জ পুলিশের।
প্রথম দফার লকডাউন শেষ ,আজ থেকে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার লকডাউন।
এই দ্বিতীয় দফার লোকডাউনের শুরুতেই আবারও সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গেল সিঙ্গুর থানার পুলিশ কর্মীদের।
এদিন সকাল থেকেই সিঙ্গুরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় নামে পুলিশ।সিঙ্গুর বাজার এলাকায় উপযুক্ত কারণ ছাড়াই রাস্তায় বের হওয়া সাধরণ মানুষ কে বোঝানোর পাশাপাশি যারা লকডাউন অগ্রাহ্য করে রাস্তায় বের হয়েছেন তাদের উপর লাঠি চার্জ করে পুলিশ।
এছাড়া কোরোনা সংক্রমণ এড়াতে সাধরণ মানুষ কে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন পুলিশ কর্মীরা।
অন্যদিকে মাস্ক বিহীন পথ চারীদের হুমকি দিতেও দেখা যায় পুলিশ কর্মীদের।

করোনা ও যান্ত্রিক নববর্ষ - অদিতি চট্টপাধ্যায়

'করোনা' ও 'যান্ত্রিক-নববর্ষ' ! 
অদিতি চট্টপাধ্যায়, 

  
ক্যালেন্ডারের পাতা উলটিয়ে দেখতে দেখতে আরও একটা নতুন বছর (1427 ) চলে এল | বছর ভরকার লাভ-লোকসানের হিসেব-নিকেশ, চাওয়া-পাওয়া বাদ দিয়েও এবারের নববর্ষটা যেন একটু অন্যরকম | যেন কিছুটা হলেও ফিকে | এ নববর্ষ যেন যান্ত্রিক ! কেন ? 

কারণ "করোনা" নামক এক ভাইরাস মানব জীবনকে ক্রমশঃ অতিস্থ্য করে দিয়েছে | চিন থেকে এর উৎপাত শুরু হয়ে কম-বেশি বিশ্বের আজ দুশোটি দেশে এই ভাইরাসের অবাধ বিচরণ | আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে | দেশব্যাপী শুরু হয়েছে লক ডাউন অর্থাৎ গৃহবন্দী | মাছ, মাংস, ওষুধ, সবজি সহ প্রয়োজনীয় জিনিসের বাজার ও দোকান খোলা থাকলেও নিদিষ্ট্য দূরত্ব মেনে ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা সংগ্রহ করতে হবে | এ যেন বড় জ্বালা ! গিন্নির ফরমায়েশ ও কর্তার কপালে চিন্তার ভাঁজ ! চাকরি হারানোর আশঙ্কা | আমেরিকার মত বিত্ত্ববান, সংমৃদ্ধিশালী দেশের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে ভারতের মত দেশে যেখানে বর্তমানে জিডিপির হার তলানিতে থেকেছে সেই দেশের 130 কোটি মানুষের ঠিক কি অবস্থা হতে পারে ? চিন্তায় আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা আজ সকলেই ! বিশেজ্ঞদদের মতে ঠিক সময়ে যদি লক ডাউন না হত দেশে সংক্রমণের হার আট লক্ষেরও কিছু কম-বেশি হত | ওপর দিকে লক ডাউনের জেরে দিন পিছু কোটি কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি অর্থাৎ লোকসান | প্রচুর টাকার রাজস্ব ঘাটতি | প্রাইভেট কর্মীদের চাকরি থাকবে কি থাকবে না দুশ্চিন্তার মাথা-ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁদের | যে যে পেশাতেই থাকুক না কেন আজ যেন আয়- ব্যায়ের সমতা বজায় থাকছে না | পেট যে কোন কিছুর বাঁধ মানে না ! 
মহানগর থেকে জেলা, ছাড়িয়ে মফস্বল, গ্রামাঞ্চল সব জায়গাতেই একশো টাকায় জোড়া টি-শার্ট সেই চেনা পরিচিত সুর এবছর কানে এলনা | বছরভর আমজনতা চৈত্র সেলের জন্য অপেক্ষা করে থাকে | গৃহস্থের টানাপোড়েনের মধ্যে যা কিছু কেনার খামতি থেকে যায় তা কেনার যেন এটাই মোক্ষম সময় | কিন্তু এবারে সব মাটি ! জমজমাট বাজারগুলি চেনা যেন দুস্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে | গাঁ ঘরের গিন্নির ভাষায়, আ মরণ, 'কি যে করোনা নামক ভাইরাস এল, জীবনটাকে পুরো ছাড়খার করে দিল গাঁ ! কত সাধ ছিল বাবুলের বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে এবারে একটা বালুচরি তাঁত কিনবো তা আর এ বছর হল না ! ধুর ছাই' !

অগত্যা ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও কাটছাঁট | বাড়িতে বসেই কোনোরকমে আড়ম্বর ছাড়া তা পালন করা |  শিশু মন কিন্তু এতসব কিছুতে বাঁধ মানে না ! আগেরবার বছর পাঁচেকের রাজুকে মনসুর চাচা তাঁর দর্জির দোকানে ডেকে নিয়ে গিয়ে বড় বড় চমচম খাইয়েছিল | পাশের বাড়ি কার্তিক কাকুও হালখাতার মিষ্টি পাঠিয়েছিল | আম্মিও হাসিনা চাচির বাড়িতে রান্না শেষে মিষ্টির হাঁড়ি নিয়ে এসেছিল | এবারে কি মনসুর চাচা, কার্তিক কাকু, হাসিনা চাচীরা মিষ্টি দেবে না আব্বু !

লকডাউনে পুলিশের কড়াকড়ি আরও বাড়ুক

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি

  
      বিশেষজ্ঞদের মতে এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসের মোকাবেলার জন্য প্রয়োজন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। সেই দিকে লক্ষ্য রেখে ২৪ শে মার্চ গোটা রাজ্যে ঘোষিত হলো লকডাউন। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব বন্ধ। পুলিশ সক্রিয় হলো। আইন অমান্যকারীদের কঠোর হাতে দমন করা শুরু হলো।কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ পুলিশি হেনস্থার শিকার হলেও অধিকাংশ মানুষ পুলিশের ভূমিকাকে স্বাগত জানাল। কিন্তু তারপরই কোনো এক অজানা কারণে পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে  পড়তেই গোটা রাজ্য জুড়ে একশ্রেণির মানুষ লকডাউন ভাঙার খেলায় মেতে উঠল। শহরগুলোর চিত্র টিভির পর্দায় নিয়মিত দেখা যাচ্ছে। একদল তথাকথিত সচেতন মানুষের অজ্ঞতার পরিচয় পেয়ে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে উঠল।
       গ্রামগুলোও পেছিয়ে থাকলনা। বিভিন্ন ক্লাবে, আটচালায় বা চায়ের দোকানে নিয়মিত ভিড় বাড়ছে। কোনো কোনো স্হান থেকে মদের ভাটি চালুরও খবর পাওয়া যাচ্ছে।পুলিশের ডাণ্ডার ভয় না থাকায় অপ্রয়োজনে বাইকে তিন জন করে চেপে অযথা আড্ডা মারতে বের হচ্ছে। মুখে থাকছেনা মাস্ক। এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে কাজ করতে যাওয়া রাজমিস্ত্রিরা ব্যবহার করছেনা মাস্ক। যত্রতত্র থুতু ফেলছে। ফলে গ্রাম বাংলাতেও ধীরে ধীরে একটা অজানা আতঙ্ক দেখা যাচ্ছে।
         নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক পুলিশ আধিকারিক বললেন - মানুষের  জীবন রক্ষার জন্য নিজেদের জীবন বিপন্ন করে  ডাক্তার, নার্স, স্বাস্হ্য কর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছে। আর পরিবারের কথা না ভেবে আমরা পুলিশ কর্মীরা রয়েছি রাস্তায়।অথচ একদল মানুষ আইন ভাঙার খেলায় মেতে উঠেছে। তারা বুঝতে চাইছেনা আমাদের রাজ্যে করোনা একবার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। অনুরোধে যখন কাজ হচ্ছেনা তখন এদের জন্য প্রয়োজন কড়াকড়ি।তার আক্ষেপ গোটা বিশ্বের পরিস্থিতি দেখে মানুষ আর কবে সচেতন হবে !
       একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জয়প্রকাশ বাবু বললেন -গণতান্রিক দেশে পুলিশি রাজ কাম্য না হলেও এই সময় পুলিশকে যদি ডাণ্ডা ব্যবহারের অধিকার ফিরিয়ে না দেওয়া হয় তাহলে মমতা ব্যানার্জ্জীর সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমাদের রাজ্যেও করোনা অতিমারির রূপ ধারণ করবে। একই সুর শোনা যাচ্ছে বহু মানুষের কণ্ঠে। তাদের বক্তব্য - পুলিশ যতই চেষ্টা করুক ডাণ্ডা ব্যবহার না করলে কোনো লাভ হবেনা।বড় বিপদ ঘটার আগে  মুখ্যমন্ত্রীর উচিত পুলিশকে আবার কড়াকড়ি করার নির্দেশ দেওয়া।

মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৪, ২০২০

করোনায় চুঁচড়ায় চললো খাদ্য সামগ্রী বিলি

সুভাষ মজুমদার
  
বাংলার শুভ নববর্ষ হুগলি চুঁচুড়া পৌরসভার পৌরপ্রধান পারিষদ সদস্য গোবিন্দ দাশগুপ্ত চুঁচুড়ার সকল মানুষকে শুভেচ্ছা ও প্রণাম জানায় এবং সংকটময় মুহূর্তে সকলকে বাড়িতে থাকার আবেদন জানান,পাশাপাশি রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তর উদ্যোগে চুঁচুড়ার কর্মহীন  মানুষের পাশে দাঁড়ান ও খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন, সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রীর পুত্র দেবায়ন দাশগুপ্ত ৷

খাদ্য সামগ্রী বিলিতে ইফফো কৃষাণ সেবা ট্রাস্ট

সুভাষ মজুমদার
   

ইফকো কিষান সেবা ট্রাস্ট এর সহযোগিতায় কৈকালা ক্রীড়া সংঘের পরিচালনায় লকডাউন পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের সাহায্যার্থে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ গত ৯  থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত চার দিন ব্যাপী ইফকো কিষান সেবা ট্রাস্ট - নতুন দিল্লী-র কর্ণধার  উদয় শংকর অবস্থির  এর অনুপ্রেরণায় ও কৈকালা ক্রীড়া সংঘ কৈকালা, হুগলির পরিচালনায় COVID - 19  সচেতনতা শিবির এবং লকডাউন পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে  খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শিবির অনুষ্ঠিত হয় । এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী ও সর্বভারতীয় ইফকো কিষান সেবা ট্রাস্টের - অন্যতম   শান্তিময় দে  অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন ও প্রতিদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন । রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার নির্ধারিত করোনা সচেতনতা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি সঠিক ভাবে পালন করার জন্য মানুষকে অনুরোধ করেন এবং এলাকার কমবেশি প্রায় তিন হাজার পরিবার কে ৫ কেজি চাল , ১ কেজি থেকে ৫০০ গ্রাম মুসুর ডাল , ৩ কেজি আলু এবং ৫০০ গ্রাম নুন পেয়ে উপকৃত হন । ইফকো তথা গ্রাম তথা রাজ্য তথা দেশকে করোনা মুক্ত করার আহ্বান জানান ও শৃঙ্খলা ভাবে নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে । কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার নির্ধারিত করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি প্রচার পত্র ।

অভুক্তদের খাদ্য সামগ্রী বিলিতে 'সুসম্পর্ক'

সুকান্ত ঘোষ (সম্পাদক কৃষি সমবায়পত্রিকা)      

আজ ১৪ এপ্রিল, একাধারে পহেলা বৈশাখ অন্যদিকে  ডক্টর ভীমরাও রামজি আম্বেদকরের জন্মবার্ষিকী।তাই  আজকের এই বিশেষ দিন থেকে কলকাতার ঠাকুরপুকুরের চোঙার বোন এবং ধাড়াপাড়া অঞ্চলের ৫২ জন দুস্থ শিশুর এবং লকডাউনে জেরে কর্মহারা তাদের অসহায় পরিবারের তথা পরিবারের সমস্ত সদস্যের দৈনন্দিন অত্যাবশকীয় পণ্যের দায়িত্ব নিলো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'সুসম্পর্ক'।মঙ্গলবার  তাদের হাতে  তুলে দেওয়া হোলো গড়ে ৩ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ৫০০ গ্রাম মুড়ি, বিস্কুট ও সাবান।এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'সুসম্পর্ক' এর পরিবারের পক্ষ থেকে সম্পাদক   শ্রী অরবিন্দ সিংহ জানিয়েছেন - "সমাজের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন প্রত্যেকটি মানুষের কাছে অনুরোধ দয়া করে আপনারা এগিয়ে আসুন কারণ প্রচুর মানুষ আজ অনাহারে রয়েছে এবং আপনাদের সাহায্য ছাড়া আমাদের কর্মকান্ড কখনোই সফল হবে না" ।

আগরপাড়ায় তুলি কলম এর আকাশ পত্রিকা প্রকাশিত হল

নববর্ষে তুলি কলম এর আকাশ পত্রিকা  প্রকাশ আগরপাড়া তে 

সংবাদদাতাঃ সংস্কৃতি প্রেমী গৃহবন্দি দের কথা মাথায় রেখে আগরপাড়ার গাঙ্গুলী পাড়ার চারুচন্দ্র আট সেন্টারের অভিনব উদ্যোগ একটি সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশের। সোশ্যাল মিডিয়ায় অসংখ্য কবি লেখক প্রবন্ধকার চিত্রশিল্পী , ফটোগ্রাফার ক্রিয়েটিভ মানুষেরা তাদের সৃষ্টি পাঠিয়েছেন সম্পাদক দীপঙ্কর সমাদ্দারের কাছে। দীপঙ্কর বাবু জানালেন সংস্কৃতি জগতের মানুষদের সৃষ্টিশীল কাজে সম্মান জানাতে  নববর্ষে নতুন পরিকল্পনা একটি পত্রিকা প্রকাশের। তুলির কলম এর আকাশ নামাঙ্কিত একটি পত্রিকা প্রকাশ হলো নববর্ষের দিন সকালে । ঝকঝকে সম্পূর্ণ একটি রঙিন পত্রিকা তুলি কলমের আকাশ ।। গল্প লিখেছেন ডক্টর রমলা মুখার্জি, তনুশ্রী গুহ ।অনুগল্প লিখেছেন উজ্জ্বল সামন্ত ,কাঞ্চন কুমার গাঙ্গুলী , ইন্দ্রাশিষ মুখার্জি, চিরঞ্জিত সাহা, লক্ষ্মী বিশ্বাস ভৌমিক ,প্রতিমা ভট্টাচার্য্য মন্ডল । কবিতা লিখেছেন লিটন দাস ,জয়ন্তী দাস, মানব মন্ডল, ভাস্কর পাল ,অভিষেক ঘোষ, অঞ্জনা দেব রায়, বাণীব্রত, অষ্টপদ মালিক , ওমর ফারুক, অনির্বাণ বসু , কৃষ্ণা দাস,পরাশর বন্দোপাধ্যায়  , শ্যামল রায়, পূর্ণেন্দু মিত্র , বদরুদ্দোজা শেখু ,বিলাস ঘোষ ,শ্রী রঞ্জীব, হিমাদ্রি বন্দ্যোপাধ্যায় জয়া ঘটক প্রমুখ।প্রখ্যাত অ্যাডভোকেট তপন জ্যোতি সিদ্ধান্তের আইনি পরামর্শ ,আর্ট গ্যালারিতে রয়েছে নবীন ও প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী দের চিত্র ।রয়েছে ক্রিয়েটিভ হাতের কাজ । দেশ ও বিদেশের ফটোগ্রাফারদের ছবি নিয়ে ফ্যাশন আকাশ নামে একটি সম্পূর্ণ রঙিন পাতা । সম্পাদক জানালেন বর্তমান যুগে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পত্রিকা এখন সব থেকে জনপ্রিয়। তাই খুব সহজেই তাদের পত্রিকা লক্ষ লক্ষ মানুষের দরবারে দেশ-বিদেশে পৌঁছে যাবে বলে তার আশা । আগামী দিনে পত্রিকাটিতে আরো চমকপ্রদ কিছু দেওয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে । এমন একটি পত্রিকাতে বিজ্ঞাপনদাতারা সমান ভাবে এগিয়ে এসেছেন। সংবাদ মাধ্যমের সম্পাদক ও প্রতিনিধিরা তার সাথে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর্ট গ্যালারিতে বিখ্যাত চিত্র শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন সুশান্ত সরকার, তপন পাত্র ,অপূর্ব ব্যানার্জি, অরিন্দম মুখার্জী ,স্বরুপ চক্রবর্টি ,অঙ্কিতা মজুমদার , দেবস্মিতা দাস । ফটোগ্রাফি গ্যালারিতে রয়েছে বিখ্যাত চিত্র ফটোগ্রাফার মনিশ কুশারী ,শুভঙ্কর সোম, সৌরভ মুখার্জি,  বিনয় সেন ,রঞ্জন ভট্টাচার্য , ইন্দ্রনীল ঘোষ ,অনিন্দ্য দে এবং সুদূর আমেরিকা থেকে কল্লোল তালুকদারের আলোকচিত্র। এককথায় পত্রিকাটি রঙিন ঝকঝকে খুব সুন্দর প্রশংসার দাবি রাখে।

লকডাউনে গতি শিথিল খেজুড়িতে

জুলফিকার আলি,   
খেজুরির থানার হলুদবাড়ী অঞ্চলে আজ সকাল থেকে সাধারণ মানুষ লক ডাউনকে উপেক্ষা করে বিশাল লাইন পড়েছে ব্যাংকের সামনে, স্থানীয় মাঠে বসা বাজারেও ভিড় ...যদিও স্থানীয়  কিছু যুবক  প্রতিবাদ ও দূরত্ব বজায় রাখার কথা  বলেও কোনো কাজ হয়নি.. স্থানীয় মানুষ থানায় ফোন করেন তাতে কোনো কাজ হয়নি. ...স্থানীয় মানুষের আশংক্ষা এই ভাবে মানুষ লক ডাউন উপেক্ষা করলে সংক্রমণ বাড়তে পারে.

গণপরিবহন কর্মীদের আর্থিক অনিশ্চয়তা নিয়ে স্মারকলিপি

জুলফিকার আলি 
  

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারনে লকডাউন জনিত পরিস্থিতিতে হাজার হাজার গণপরিবহন  কর্মীদের কর্মহীনতায় অর্থনৈতিক সঙ্কটের মোকাবিলায় সরকারি অনুদান মঞ্জুরীর দাবীতে অাজ মহকুমাশাসক দপ্তরে সিঅাইটিইউ-র উদ্যোগে ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।নেতৃত্ব দেম সিঅাইটিইউ নেতা মামুদ হোসেন, হরপ্রসাদ ত্রিপাঠী,কানাই মুখার্জি, সলিলবরণ মান্না প্রমুখ। প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন জানান হাজার হাজার গণপরিবহন সংশ্লিষ্ট কর্মীরা বিশেষ করে বাস,লরী,মিনি লরী,ট্যক্সি,অটো,টোটো, ট্যম্পো ইত্যাদি ক্ষেত্রে শ্রমিক -কর্মী দের বেহাল অর্থনৈতিক অবস্থা। মামুদ হোসেন বলেন কাঁথি শহরের উপরে নির্ভরশীল ৫/৬ হাজার অটোরিকশা, টোটোরিকশা,রিকশা ও ভ্যানরিকশা চালকেরা পরিবার -পরিজনদের নিয়ে  বেহাল   অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।অবিলম্বে গণপরিবহন কর্মী দের সরকারি অনুদান মঞ্জুর করা জরুরী।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER