সঞ্জয় হাল্দার
কুড়মি ডেভেলপমেন্ট এন্ড কালচারাল বোর্ড আয়োজনে পুরুলিয়া ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন হল। উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো ও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
সঞ্জয় হাল্দার
কুড়মি ডেভেলপমেন্ট এন্ড কালচারাল বোর্ড আয়োজনে পুরুলিয়া ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন হল। উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো ও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
উজ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়
বড়সড় দূঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল আপ ক্যানিং-শিয়ালদহ লোকাল।আজ দুপুর ১২.০৫মিনিটে ক্যানিং থেকে ট্রেন ছাড়ার সময় ৪ ও ৫নং কামরার উপরের হাইভোলটেজের ওভারহেডের তার টেনের উপর ছিড়ে পড়ে।আচমকা এই ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়।আর তাতেই বেশ কিছু যাত্রী আহত হয়।সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যায় ট্রে ন চলাচল।ঘটনাস্থলে চলে আসে রেলের আধিকারিকরা।আহতদের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।কি কারনে এই ঘটনা ঘটেছে কারন অনুসন্ধানে রেল আধিকারিকরা।এই ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে ভয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
মানস দাস, মালদা
তৃণমূলের সভায় যাওয়ার শাস্তি। মুখ্যমন্ত্রীর সভা থেকে গ্রামে ফিরে পঞ্চায়েত সদস্যর ভাইয়ের হাতে আক্রান্ত এক তৃণমূল কর্মী। আক্রান্তর চিকিৎসা চলছে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তার দুই হাতে আঘাত লাগে। পনেরোটি সেলাই পরেছে তার দুই হাতে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, মঙ্গলবার রাতে ইংরেজ বাজার থানার মিল্কি পুলিশ ফাঁড়ির আটগামা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর নাম, আকিদূল মোমিন(৩৮)। বাড়ি ইংরেজ বাজার থানার মিল্কি আটগামা এলাকায়। অভিযুক্ত আজিজুর মোমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের। আক্রান্তর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর সভা থেকে গ্রামে ফিরে বন্ধুদের সাথে গল্প করছিলেন আকিদূল বাবু। এমন সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন আজিজুর। তার প্রতিবাদ করতে গেলে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আকিদূলকে হামলা করে আজিজুর বলে অভিযোগ। তবে কি কারনে হামলা তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
শ্যামলাল মকদমপুরী
আমরা এবার কুমুদ সাহিত্য মেলায় যাঁদের সম্মান জানাতে চলেছি অধ্যাপক ড: অমল পাল ( কুমুদ রত্ন), গবেষক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় (লোচনদাস রত্ন), পত্রলেখক সুব্রত রায় (নুরুল হোদা রত্ন), লিটিল ম্যাগাজিন সম্পাদক বিক্রমজিত মন্ডল (শান্তিনিকেতন রত্ন), সমাজসেবী অমরচাঁদ কুন্ডু ( কেতুগ্রাম রত্ন), কবি কার্তিক চক্রবর্তী (মাধবডিহি রত্ন), সাংবাদিক সুদিন মন্ডল (ভাতার রত্ন), পত্রিকা সম্পাদক সেখ সামসুদ্দিন (মেমারী রত্ন), প্রত্ন উৎসাহী সেখ কাওসার আলী (কেশব রত্ন)।
আগামী ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের বসতভিটে মধুকর প্রাঙ্গণে তিন শতাধিক কবি /সাহিত্যিক /সাংবাদিক /লেখক/সাংস্কৃতিক প্রেমীরা আসছেন। আপনিও আসুন সপরিবার।
মানস দাস, মালদা
‘ব্যাংক মানুষের ভরসার জায়গা ৷ নিজের ভবিষ্যতের জন্য মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখেন ৷ আর এখন সেই ব্যাংকই লুঠ হচ্ছে ৷’ পিএনবি ইশ্যুতে আজ এই ভাষাতেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি আরও বলেন, ঋণ শোধ না করতে পেরে গোটা দেশে ১২ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন ৷ আর একজনই তার থেকে বেশি টাকা ব্যাংক লুঠ করে পালিয়েছে ৷ বলা হচ্ছে গোরুর আধার কার্ড হবে ৷ আর সেই আধার কার্ডেই জনগণের টাকা লুঠ হয়ে যাচ্ছে ৷ টাকা তুলতে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন কৌশল নিয়েছে ৷ ব্যাংকে, প্রভিডেন্ড ফাণ্ডে সুদের হার কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ এসব কৌশল তাঁর জানা আছে ৷গৌড়বঙ্গ সফরে এদিন মালদায় আসেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ জেলা ক্রীড়া সংস্থার ময়দানে ৪৬টি প্রকল্পের শিলান্যাস ও ৪২টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি ৷ ২৮টি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার উপভোক্তার মধ্যে কয়েকজনের হাতে পরিষেবাও তুলে দেন তিনি ৷ তারপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য সরকারের নানাবিধ প্রকল্পের কথা উত্থাপন করেন ৷ বলেন, একাধিক সংরক্ষণের জন্য সাধারণ শ্রেণির সুযোগ কম ৷ তাই এই রাজ্যে ওবিসি তালিকায় আরও অনেক শ্রেণিকে নিয়ে আসা হয়েছে ৷ ১৭ শতাংশ ওবিসি’র মধ্যে ৯৭ শতাংশ মুসলিম সম্প্রদায়কে নিয়ে আসা হয়েছে ৷ এদিন কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজ সাথী সহ নানাবিধ প্রকল্পের সুফল তিনি ব্যাখ্যা করেন ৷ জানান, কেন্দ্রীয় সরকার আশা প্রকল্প বন্ধ করে দিলেও তাঁরা এই রাজ্যে তা চালু রেখেছেন ৷ উপরন্তু আশা কর্মীদের সাম্মানিকও বাড়িয়ে ২০০০ টাকা করা হয়েছে ৷ আইসিডিএস প্রকল্পে কেন্দ্র এখন মাত্র ১০ শতাংশ টাকা দেয় ৷ প্রকল্পটি তুলে দিতেই কেন্দ্রের এই কৌশল ৷ কিন্তু তাঁরা তা হতে দেননি ৷ বরং আইসিডিএস কর্মীদের মাসিক সম্মানভাতা ৫০০ টাকা করে বাড়িয়ে দিয়েছেন ৷ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এই রাজ্যে যে কোনও চাকরির ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৬০ বছর করে দেওয়া হয়েছে ৷ কৃষিজমিতে খাজনা ও মিউটেশন ফি মকুব করে দেওয়া হয়েছে ৷ এরপরেই পিএনবি ইশ্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা লুঠের ঘটনায় সার্বিক ব্যবস্থা নিলে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসবে ৷ তাই তারা কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না ৷ কিন্তু তাঁরা এই দাবি থেকে তাঁরা সরবেন না ৷ কেউ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নিলে তার বিরুদ্ধে প্রতিদিন নতুন নতুন সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানো হয় ৷ তাহলে এক্ষেত্রে কেন্দ্র চুপ কেন ৷ সবার জানা উচিত, বাংলাই লড়াই করে ৷ আগামীতেও সেই লড়াই চলবে ৷
প্রতাপ চট্টোপাধ্যায়
আজ কাঁথির বসন্তিয়া মুকুন্দপুর দেশপ্রাণ ময়দানে দেশপ্রাণ সংঘের উদ্যোগে দেশপ্রাণ মেলা ও প্রদর্শণী ২০১৮ এর শুভ উদ্বোধন করলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাননীয় পরিবহন মন্ত্রী শ্রী শুভেন্দু অধিকারী মহাশয় ,এই শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্কুলের শিশুদের হাতে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে বইখাতা দেওয়া হলো।
প্রতাপ চট্টোপাধ্যায়
আজ কাঁথি তে ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের 183 তম শুভ জন্মতিথি ও বার্ষিক উৎসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী মহাশয় ।
প্রতাপ চট্টোপাধ্যায়
কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতি, অস্বাভাবিক হারে দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ ভাতাড় ব্লকের আমারুন২ অঞ্চলের প্রতিবাদ মিছিল তৃনমূলের।
নীলাদ্রি ঘোষ
উখরায় নবম বর্ষ খনি অঞ্চল স্বাস্থ্যমেলা শেষ হল সোমবার l উদ্যোক্তারা জানান স্থানীয় নব ভারতী সংঘের প্রাঙ্গনে দু'দিন ব্যাপি এই মেলায় মোট ৬৭৩ জন বাসিন্দা তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান l বিশিষ্ট চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে সম্পুর্ন বিনামুল্যে বাসিন্দারা তাদের ব্লাড সুগার , ইসিজি , রক্তের গ্রুপ নির্নয় , আল্ট্রাসোনোগ্রাফি সহ বিভিন্ন রকমের পরীক্ষা করান l দেহ ও চক্ষুদানের বিষয়ে উৎসাহ মুলক বিশেয আলোচনা সভার ব্যবস্থ্যা সকলের দৃস্টি আর্কষন করে l
মোহন সিং
সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ নিয়ে আসানসোল উত্তর থানা এলাকায় বিশেষ কর্মসুচী পালন করা হল। উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এসিপি ট্রাফিক প্রশান্ত দাস, আসানসোলের সার্কেল ইন্সপেক্টার, ট্রাফিক ওসি। এদিন সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ নিয়ে একটি পদযাত্রা বের করা হয়। এতে অংশগ্রহন করেন ধাদকা এনসি লাহিড়ি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা।
সেখ সামসুদ্দিন
মেমারি কৃষ্ণবাজারে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস, শহর ও ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদ, তৃণমূল যুব কংগ্রেস ও শ্রমিক সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে পথসভা করা হয়। সম্প্রতি বিজেপি মেমারিতে একটি সভায় তৃণমূলদের মার দিতে, হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার প্রতিবাদে তীব্র ভাষায় জবাব দেওয়া হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা ভাইস-চেয়ারম্যান সুপ্রিয় সামন্ত, মহিলা নেত্রী মানসুরা বেগম, যুব নেতা সেখ ইসমাইল, প্রসুন, ছাত্র নেতা মুকেশ শর্মা, মেমারি কলেজের জিএস, কাউন্সিলর রূপা খাঁড়া, চিরঞ্জীব ঘোষ প্রমুখ।
তথাগত চক্রবর্তী
বীরভূমের সিউড়ি বাসস্যান্ডে বাসের পিছন চাকায় পা পিষে গেল সঞ্চিতা ঘোষ নামে এক কলেজ ছাত্রীর।স্থানীয়রা জানিয়েছেন টোটো থেকে তাড়াহুরো করে বাস ধরতে গিয়ে পিছলে বাসের তলায় পরে যায় ।বড়সড় দূর্ঘটনা হাত থেকে রক্ষা পেল ঐ কলেজ ছাত্রী।তারা জানান যেখানে সেখানে পোটো দাঁড় করার জন্য এরকম ঘটনা প্রায় ঘটছে ।পুলিশ এসে বাসটিকে আটক করেছে।ছাত্রীটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।
মেখলিগঞ্জ
ধুলোয় অতিষ্ট চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তের বাসিন্দারা।তাদের অভিযোগ ধুলোর জন্য বর্তমানে এলাকায় টেকাই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।দিনের বেলাতেই লাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।রাস্তায় নাক মুখ ঢেকে চলতে হচ্ছে।এতে সর্দি কাশি লেগেই রয়েছে।উল্লেখ বর্তমানে চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে এশিয়ান হাইওয়ের সড়ক সম্প্রসারনের কাজ চলছে।তারউপর এই রাস্তার উপর দিয়ে প্রতিদিন প্রচুর পণ্যবোঝাই ভারত বাংলাদেশের ট্রাক যাতায়াত করছে।যার কারনেই ধুলোয় ঢেকে যাচ্ছে এলাকা।অনেকেই বাড়ির দরজা জানালা বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে।ধুলো নিরসনে রাস্তায় জল দেওয়া হয় বলে এশিয়ান হাইওয়ে কতৃপক্ষ জানিয়েছেন।বাসিন্দারা অবশ্য জানিয়েছেন,জল ঠিকমতো দেওয়া হয়না।বিশেষকরে শনিবার রবিবার অর্থাৎ ছুটির দিনগুলোতে জল দেওয়া হয়না বলেও অনেকের অভিযোগ।শীঘ্র তারা এই সমস্যা সমাধানের দাবি করেছেন।
বিশেষ প্রতিবেদক
পার্ক সার্কাস ময়দানে বৈচিত্রের মাঝে মহামিলনের উৎসবে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হল কবি সুবোধ সরকার ও উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক তথা কবি ফারুক আহমেদকে।মেলালেন তিনি মেলালেন। গানে-কবিতায়-কথায়। মাঝিমাল্লা, কৃষক, গরুর গাড়ি---গ্রাম-বাংলার মাটির ঘ্রাণ। আব্বাসউদ্দিন, কাজী নজরুল ইসলাম থেকে রাঘব বন্দ্যোপাধ্যায়, আবদুল আলিম। বাংলার লোকসংস্কৃতি আর আধুনিকতার মিশেলে কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ মিলে গেল পার্ক সার্কাস ময়দানের মিলন উৎসবে। দৈনিক 'কলম'-এর সহযোগিতায় ও পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের পরিচালনায় শনিবারের সন্ধ্যা সাক্ষী থাকল এক অভূতপূর্ব আনন্দঘন সঙ্গীত অনুষ্ঠানের। দর্শকপূর্ণ মাহফিলে কলম পত্রিকার সম্পাদক ও এই অনুষ্ঠানের আয়োজক আহমদ হাসান ইমরান যখন উদ্বোধনী বক্তব্য দিতে উঠছেন, তখন ভরে উঠেছে শূন্য দর্শক আসনগুলি। ইমরান জানালেন, মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম, পার্সি, জৈন, খ্রিস্টান, মুসলিম, বৌদ্ধ ধর্মের মানুষদের নিয়ে কল্যাণমুখী নানা কাজ করছে। তাদের তৈরি বিভিন্ন পণ্যকে সকলের সামনে নিয়ে আসছে। এইসব পণ্য বিশ্ববাজারে উঠে আসুক বলে তিনি অভিমত জানান। এ দিনের অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলার লোকসংস্কৃতি ভাওয়াইয়া, পল্লিগীতি প্রভৃতির মাধ্যমে আজ আমরা এক সুন্দর সন্ধ্যা উপভোগ করব। দুটি কুসুমের একটি কুসুম আজ ফুটে উঠবে এই সন্ধ্যায়।এই গানের জলসায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি সুবোধ সরকার ও কবি ফারুক আহমেদ। কবি সুবোধ সরকার তাঁর বক্তব্যের কথায় তিনি বললেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রান্তিক মানুষদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইতিহাস তৈরি করেছেন। আজ পশ্চিমবঙ্গ ধর্ম-সম্প্রদায়ের ভেদাভেদ ভুলে দুটি কুসুমে পরিণত হয়েছে, একসঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আপনারাই পেরেছেন। আপনারাই পেরেছেন। আপনারাই পেরেছেন। আবেগমথিত গলায় বলে ওঠেন কবি সুবোধ সরকার।কবিকে ফুলের স্তবক, উত্তরীয় ও মোমেন্ট দিয়ে সম্মানিত করা হয় পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের পক্ষ থেকে।
তবে এই মিলন উৎসবের অবশ্যই সবচেয়ে বড় উপহার ছিলেন সকলের প্রিয় বিদ্রোহ কবি কাজী নজরুল ইসলামের পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী। ৮৩ বছর বয়সেও হারমোনিয়াম বাজিয়ে তিনি গাইলেন, তৌহিদেরই মুর্শিদ আমার...। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় কীভাবে 'এক বৃন্তে দুটি কুসুম' বিভিন্ন ভাষায় তরজমা করে গেয়ে বেড়াতেন, সেসব স্মৃতিচারণ করলেন। সেই স্মৃতিচারণের পর হল নবীন ও প্রবীণের মিলন। জাতীয় স্তরে সংগীত প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া তরুণ গায়ক মির আরেফিন রানাকে উপহার তুলে দিলেন কল্যাণী কাজী। আরেফিনও মাতিয়ে দিল ফোক আর মডার্নের মিশেলে।এরপর কবি ফারুক আহমেদ দুটি তাঁর রচিত কবিতা আবৃত্তি করলেন। কবি তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরলেন এবং কুর্নিশ জানালেন, এই মহতি মহামিলন উৎসবকে সার্থক করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমেরের চেয়ারম্যান ডা: পি বি সালিম সাহেবকে অফুরন্ত ধন্যবাদ দিলেন। তাঁর কবিতাপাঠে মুগ্ধ হলেন ৮ থেকে ৮০ আগত সকল দর্শকমণ্ডলী।
কবি ফারুক আহমেদকে বিশেষ ভাবে এদিন সম্মানিত করা হয়। ফুলের স্তবক, উত্তরীয় ও মোমেন্ট আর মিষ্টির প্যাকেট দিয়ে সম্মানিত করা হয় পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের পক্ষ থেকে।সকলের প্রিয় বিদ্রোহ কবি কাজী নজরুল ইসলামের পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী ফারুক আহমেদের হাতে ফুলের স্তবক ও মোমেন্ট তুলে দিলেন আর কলম পত্রিকার সম্পাদক ও সাংসদ আহমদ হাসান ইমরা উত্তরীয় পরিয়ে দিলেন। সবমিলে এদিনের আয়োজন চোখে দেখার মতো। পার্ক সার্কাসের এবছর মিলন উৎসব মহা মিলনোৎসবে সার্থকতা পায়।এ ছাড়াও এই সংগীত সন্ধ্যায় অসাধরণ গাইলেন, নূপুর কাজী, নাজমুল হক, পলাশ চৌধুরী। আর গজল গেয়ে মাতিয়ে দিলেন এস কে হাবিব ও শাকিল আনসারী। আর পরিচালনার পাশাপাশি কথার কারুকার্যে যোগ্য সঙ্গত করলেন শাকিল আনসারী।এই মিলন সন্ধ্যায় দর্শক আসনে ছিলেন সাংসদ নাদিমুল হক, কবি ও লেখক সুব্রতা ঘোষ রায়, প্রবীর ঘোষ রায়, কুমারেশ চক্রবর্তী, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গৌতম পাল, সমাজসেবী এস এস আলম, ড. আব্দুল মুজিদ, মো: আবেদ আলি, ওয়ায়েজুল হক, মহ. কামরুজ্জামান, ফিরোজ হোসেন, ডা: কবীর হোসেন, মসিহুর রহমান-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
পার্ক সার্কাসের স্কুল থেকে আসা ইউনিফর্ম পরা মেয়েরা দর্শক আসনে, দর্শক আসনে উর্দুভাষী হিজাবি, আশেপাশের মানুষ আর বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বাঙালি। সব মিলে গেল একসঙ্গে। ভাষার ব্যবধান ঘুচে গেল। তাই সভা যখন শেষ হচ্ছে, ব্যাকগ্রাউন্ডে যখন নূপুর কাজীর কণ্ঠে বাজছে বিদায়ের সুর 'ছেড়ে দে নৌকা আমি যাব মদিনা', তখন পার্ক সার্কাসের স্থানীয় বাসিন্দা বলে উঠছেন, 'বাঙাল লোগ হামেশা কামাল করতে হ্যায়।' তরুণ প্রজন্ম গুগলে সার্চ দিচ্ছে একটু আগে গাওয়া বাংলা গানগুলি। মিলে যাচ্ছে ঐতিহ্য আর তারুণ্য। পলাশ চৌধুরীর গান দিয়ে সঙ্গীত অনুষ্ঠান শেষ হয়। সকল সঙ্গীত শিল্পীদের ও মহা পরিচালক শাকিল আনসারীকেও এদিন সম্মানিত করা হয়।
পার্ক সার্কাস ময়দানে বৈচিত্রের মাঝে মহামিলনের উৎসবে শনিবার গানের ভুবনে হারিয়ে যাওয়ার দিন ছিল।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর অনুপ্রেরণায় পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম এর উদ্যোগে ১০ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে ১৯ ফ্রেব্রুয়ারি, ২০১৮ পর্যন্ত পার্ক সার্কাস ময়দানে আয়োজিত হচ্ছে "মিলন উৎসব ২০১৮"। পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিজস্ব কুটির শিল্প, খাবারদাবার এবং সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটছে এই মিলন উৎসবে। এছাড়াও এই উৎসবে থাকছে কেরিয়ার কাউন্সেলিং ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির। প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গত ১৭ তারিখ শনিবার ছিল বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সঙ্গীত পরিবেশন করলেন কল্যাণী কাজী, নূপুর কাজী, নাজমুল হক, পলাশ চৌধুরী, এস কে হাবিব, মীর আরফিন রানা, সঞ্চালনায় ছিলেন শাকিল আনসারী। সকলকেই মাতিতে দিলেন শাকিল আনসারী।
কবিতা পাঠে ছিলেন কবি ফারুক আহমেদ ও এস কে সাইফুদ্দিন।
এই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজনে বিশেষ সহযোগিতায় ছিল দৈনিক "কলম" পত্রিকা।
এই মিলন উৎসব সার্থক করতে সকলকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ডা. পি. বি. সালিম, আই.এ.এস., সচিব, সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং চেয়ারম্যান, পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগম। মৃগাঙ্ক বিশ্বাস, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগম।
পার্ক সার্কাস ময়দানে বৈচিত্রের মাঝে মহামিলনের উৎসবের শুভ সূচনা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
বিশেষ অতিথি হয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান ও গিয়াস উদ্দিন মোল্লা।
এছাড়াও বিবেক কুমার, আই.এ.এস, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রধান সচিব, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
সাংসদ নাদিমুল হক ও সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরান।
পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম আয়োজিত মিলন উৎসবে চাকরি এবং শিক্ষা কাউন্সিলিং-এ আগ্রহী চাকরি প্রার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। ভিড় হচ্ছে বিদেশে পড়তে যাওয়ার খোজ নিতে। বিশেষ করে মেডিক্যাল শিক্ষার কোথায় কি সুযোগ সুবিধা আছে তা জানার আগ্রহ খুব।
বিদেশে চাকরি পেতে কোথায় কী করতে হবে তা জানার আগ্রহ।
সারা মেলা জুড়ে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের সুবিধাভোগীদের তৈরি নানা ধরনের অলঙ্কার, পোশাক প্রদর্শন ও বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন স্টলে। তিন দিনেই মিলন উৎসব জমে উঠেছে এবং মানুষের উৎসহ দিন দিন চোখে পড়ছে।
পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যান ডা: পি বি সেলিম বললেন, নিগমের কাছ থেকে ক্ষুদ্র ও মেয়াদি ঋণ নিয়ে যারা ব্যবসা করে স্বনির্ভর হয়েছেন, তারা এখানে পণ্য সম্ভার সাজিয়েছেন। তাদের পণ্য কিনতে মানুষ স্টলগুলিতে হাজির হচ্ছেন। বিক্রিবাটা ভাল হচ্ছে। নিগমের মেলা করার মূল লক্ষ্য মানুষের কাছে এই সব প্রান্তিক মানুষের সৃষ্টিকর্ম তুলে ধরা এবং তার বিপণনের ব্যবস্থা করা। এখন পর্যন্ত জনসমাগম এবং ক্রেতা আমাদের উৎসাহিত করছে।
এই মিলন উৎসবেকে সার্বিক সফল করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করলেন ডা. পি. বি. সালিম, আই.এ.এস., সচিব, সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং চেয়ারম্যান, পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগম। মৃগাঙ্ক বিশ্বাস, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, জিএম তথা জেনারেল ম্যানেজার শামসুর রহমান ও মোঃ নকি, পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগম। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের অন্যান্য আধিকারিক ও কর্মচারীবৃন্দ।
মিলন উৎসবে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে ফ্রি কেরিয়ার কাউন্সেলিং এবং
চাকরি পাওয়ার পরামর্শ।
এদিন মিলন উৎসব উদ্বোধনের পর স্বাগত ভাষণ হয় এবং তারপর স্কলারশিপ, ঋণ, প্রভৃতি প্রদান করা হয়।
মিলন উৎসবে আল আমীন মিশনের স্টল থাকছে। ৯২ নম্বর স্টলটি হচ্ছে আল আমীন মিশনের। এখানে আল আমীন মিশনের পত্র-পত্রিকার সঙ্গে "উদার আকাশ" পত্রিকার বইমেলা বিশেষ সংখ্যা পাওয়া যাবে।
গত কাল মিলন উৎসব অনুষ্ঠান শুরু হয় শিল্পী পলাশ চোধুরীর লেখা ও সুর করা একটি অসাধারন গান দিয়ে।
"মা-মাটি-মানুষের গান" কথা ও সুরে শ্রোতেদের মুগ্ধ করে দেন।
উজ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়
পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে ও জেলাকে কুষ্ঠ রোহ মুক্ত করতে এগিয়ে এসেছে জেলা প্রশাসন।জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও এর নিদেশে জেলার প্রতিটা ইস্কুলে কুষ্ঠ রোগ নিবারন সপ্তাহ পালন করা শুরু হয়েছে।সাগরের চৌরঙগী অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পালন করা হলো কুষ্ঠ নিবারন সপ্তাহ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক তাপস মন্দল জানালেন,ইসকুলের পড়ুয়াদের নিয়ে পদযাত্রার মাধ্যমে এলাকার মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর চেস্টা করেছি।
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...