সেখ সামসুদ্দিন
বৃহস্পতিবার, মে ০৭, ২০২০
মেমারিতে ত্রাণ পাঠালেন সাংসদ সুনীল মন্ডল
ননস্টপ চেকিং চলছে কোলাঘাটে
কোলাঘাট সেতুতে নাকা তল্লাশি। আজ লকডাউন এর 44 তম দিন। কোলাঘাট সেতুতে প্রত্যেকদিনই নাকা তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে। 45 জন পুলিশ কর্মী সিভিক ভলেন্টিয়ার এই দক্ষযজ্ঞে শামিল হয়েছে। তিনটে শিফটে কাজ চলছে। নাকা তল্লাশিতে দায়িত্বভার সামলাচ্ছেন যথাক্রমে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর বিপ্লব মণ্ডল ও ট্রাফিক এ এস আই দিলিপ প্রামাণিক । ট্রাফিক ইনস্পেক্টর বিপ্লব মণ্ডল বলেন, আমরা 24 ঘণ্টাই নাকা তল্লাশিতে অব্যাহত রেখেছি। জেলায় যাতে কোন সংক্রমণ না ছড়াই তার জন্য এই ব্যবস্থা। নাকা তল্লাশি সব সময় চলবে।
অকারণে বাইরে বের হলে আটক করছে বর্ধমান পুলিশ
সুরজ প্রসাদ
মেঘলা দিনে - স্বপ্না ব্যানার্জি
মেঘলা দিনে(হাইকু)
স্বপ্না ব্যানার্জি
মেঘলা দিনে
মেঘলা আকাশ যে
আমার মন,
মেঘলা দিনে
আলো-আঁধারির
সবুজ ক্ষণ,
মেঘলা দিনে
গভীর রাতে হেঁটে
আসবে তুমি,
মেঘলা দিনে
প্রকৃতি দীর্ঘশ্বাসে
গাইবে জানি,
মেঘলা দিনে
ভাবনার সমুদ্রে
হাঁটবে শুধু,
মেঘলা দিনে
চঞ্চল পায়ে তুমি
আসবে তবু,
মেঘলা দিনে
বাতাসের বুকে
উঠবে ঝড়,
মেঘলা দিনে
আপন করো মোরে
আমি তোমার,
মেঘলা দিনে
ভিজবো তুমি আমি
বৃষ্টি ছোঁয়ায়,
মেঘলা দিনে
অন্তর ছোঁরে ভালো
লাগার ধোঁয়া,
মেঘলা দিনে
একটা জলছবি
আঁকবে তুমি,
মেঘলা দিনে
বন্ধু হয়ে এসো গো
অন্তর যামী,
মেঘলা দিনে
বাতাসের বুকে যে
উঠবে ঢেউ
মেঘলা দিনে
ভালোবাসা জীবনে
আসবে কেউ !
ভাতারের বামুনারায় খাদ্য সামগ্রী বিলি
আমিরুল ইসলাম
ভাতারে বামুনারা অঞ্চল তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজিপুর গ্রামে 300 পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হলো খাদ্য সামগ্রী।
পূর্ব বর্ধমান ভাতারে বামুনারা অঞ্চল তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজিপুর গ্রামে প্রায় 300 টি দুস্থ পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হলো খাদ্য সামগ্রী ।
বর্তমানে করোনা ভাইরাসের জেরে গোটা বিশ্ব আতঙ্কিত। কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ।
সেই সমস্ত মানুষদের কথা চিন্তা করে আজ চাল-ডাল, সোয়াবিন, আলু ও সাবান, বিভিন্ন রকম সবজি দেয়া হলো। ভাতারে বামুনারা অঞ্চল তৃনমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে খুশি এলাকার মানুষ ।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বামুনারা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মল্লিকা সাঁতরা, উপপ্রধান মনোয়ার ইসলাম সহ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী বৃন্দ।
বামুনারা অঞ্চলের তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী শেখ ডালিম জানান, এই সময় মানুষ কাজ হারিয়েছে ।তাই তাদের কথা চিন্তা করে আমরা সামান্য কিছু খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলাম। আগামীতেও আমরা মানুষের পাশে থাকব।
গলসি তৃণমূলের পাশে আছি বার্তায় খুশি শ্রমিকরা
জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি
কিছু বুঝে ওঠার আগে মাত্র চার ঘণ্টার নোটিশে লকডাউন ঘোষণায় সবচেয়ে সমস্যায় পড়ে অন্য রাজ্যে বা দূরের গ্রামে কাজ করতে যাওয়া 'দিন আনি দিন খাওয়া' গরীব মানুষগুলি।বিভিন্ন সময়ে পার্শ্ববর্তী বিহার ও ঝাড়খণ্ড রাজ্য থেকে অনেক গরীব মানুষ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় পেটের দায়ে কাজ করতে যায়। এদিকে লকডাউনের জন্য কাজ বন্ধ। জমানো টাকাও শেষ।লকডাউন কবে উঠবে, কখনই বা কাজ শুরু হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নাই।ফলে বাড়ি ফেরার জন্য তারা মরিয়া হয়ে ওঠে। বাস বন্ধ।অতএব হেঁটেই তারা বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেয়।অধিকাংশকে পূর্ব বর্ধমানের গলসীর লোয়াপুর-কৃষ্ণরামপুর অঞ্চলের কৃষ্ণরামপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা ডি.ভি.সির ক্যানাল রাস্তা দিয়ে যেতে হয়।বাড়ি ফেরার পথে এইসব মানুষরা যাতে অভুক্ত না থাকে তার জন্য কয়েকদিন আগে বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা গলসী ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জাকির হোসেনের উদ্যোগে কৃষ্ণরামপুর গ্রামে চালু হয় 'পাশে আছি' পরিষেবা।
এই সংস্থা গত ৬ ই মে বিহারের ছাপড়া জেলার উদ্দেশ্যে পায়ে হেঁটে যাত্রা করা ২৫ জন অসহায় মানুষের মুখে একমুঠো অন্ন তুলে দেয়। জাকির হোসেন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গলসী ১ নং ব্লকের জয় হিন্দ বাহিনীর ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার বাউরী সহ কৃষ্ণরামপুর গ্রামের তৃণমূলের কয়েকজন নেতা-কর্মী। দীর্ঘ চলার পথে ক্লান্ত ও নিঃস্ব মানুষগুলি একমুঠো খাবার পেয়ে খুব খুশি।
জাকির বাবু বলেন - আমাদের দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জ্জীর নির্দেশ মেনে লকডাউনের পর থেকে এই রাস্তা ধরে হেঁটে যাওয়া বহু মানুষকেই আমরা সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। এই মানুষগুলি চলার পথে যাতে অভুক্ত না থাকে তারজন্য আমরা দলের পক্ষ থেকে 'পাশে আছি' পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। দলীয় কর্মীরা সবসমই সেখানে থাকে।
বুধবার, মে ০৬, ২০২০
বোরোধান চাষের ক্ষতিপূরণ সহ বিভিন্ন দাবিতে স্মারকলিপি
জুলফিকার আলি
আজকের কালবৈশাখী ঝড় ও সাম্প্রতিক নিম্নচাপ জনিত বৃষ্টির কারণে চলতি বোরো মরশুমে পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।ঐ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, বীমা কোম্পানী কর্তৃক বীমার টাকা প্রদান, সরকারী সহায়ক মূল্যে গ্রাম পঞ্চায়েতে শিবির করে ধান ক্রয়, আগামী আমন মরশুমের জন্য বিনামূল্যে বীজ- সার- কীটনাশক সরবরাহ, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু এবং ওই প্রকল্পে পাকা ধান কাটার কাজকে যুক্ত করা প্রভৃতি একগুচ্ছ দাবিতে অল ইন্ডিয়া কিষান ও ক্ষেতমজদুর সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রীর নিকট ই. মেলে এক স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক পঞ্চানন প্রধান বলেন,লকডাউন পরিস্হিতিতে কৃষকেরা এক অসহনীয় অবস্থার মধ্যে দিন গুজরান করছে। সেই প্রেক্ষিতে আজকের এই স্মারকলিপি পেশ।
অন্যদিকে ঐ একই দাবীতে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক, বিভিন্ন ব্লকের বিডিও/এডিও/ খাদ্য দপ্তরের পরিদর্শকের কাছে ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
রেললাইন ধরে আসতে গিয়ে কাঁথিতে আটক বীরভূমের ৯ শ্রমিক
জুলফিকার আলি
রেললাইন ধরে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে কাঁথি স্টেশনে আটক ৯ শ্রমিক
বীরভূমের ৯জন শ্রমিক কাঁথি স্টেশনে আটক . দিঘাতে রাজমিস্ত্রি কাজ করতে আসা লকডাউনের কারণে সেখানেই আটকে পড়েন তাঁরা । তাই তারা রেল লাইনের উপর হেঁটেই বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন । কিন্তু মাঝপথেই তাঁদের আটকে দিল রেল পুলিশ ।
কাঁথি ৬ মে : রেল লাইনের উপর হেঁটেই বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেছিলেন ভিন জেলার ৯ জন নির্মাণ শ্রমিক । কিন্তু,কাঁথি রেলস্টেশনের উপর দিয়ে যাওয়া দেখে রেল পুলিশের সন্দেহ হয় । জিজ্ঞাসা করতেই জানা যায়, দিঘা থেকে তাঁরা বীরভূমের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন । সেখানেই রেল পুলিশ তাঁদের আটকে কাঁথি থানায় খবর দেয় দেয় । কাঁথি থানার পুলিশ এসে তাদের নিয়ে যায় কাঁথি থানা তে l শ্রমিকদের পরিচয় নথিভুক্ত করেন কাঁথি থানার পুলিশকর্মীরা । ফের তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় কর্মস্থানে ।
বীরভূমের ওই ৯ জন শ্রমিক পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা তে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন । কিন্তু, লকডাউনের কারণে তাদের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে । রোজগার নেই । কন্টাকটার ও তাদের দেনা-পাওনা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন ছেড়ে দিয়েছেন l এর ফলে আধপেটা খেয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন । ভেবেছিলেন, দ্বিতীয় দফার লকডাউন উঠলে প্রশাসনের সহযোগিতায় বাড়ি ফিরবেন । কিন্তু, লকডাউনের মেয়াদ আরও দু'সপ্তাহ বেড়ে যাওয়ায় তাই পায়ে হেঁটে দীঘা থেকে রওনা দিয়েছিলেন রেললাইন ধরে । কিন্তু থেকে 35 কিলোমিটার পায়ে হেঁটে কাঁথি স্টেশনের কাছে এসেই রেল পুলিশের হাতে ধরা দিলেন l সেই সময় কাঁথি স্টেশনে কাছে তাঁদের আটকান কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা । সঙ্গে ব্যাগ দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের । জিজ্ঞাসা করতেই বাড়ি ফেরার কথা জানান তাঁরা ।এক শ্রমিক বলেন, "লকডাউনের জেরে প্রায় দেড় মাস ধরে আমরা দিঘাতে আটকে রয়েছি । খুব কষ্টের মধ্যে রয়েছি । হাতে না আছে টাকা না আছে কাজ । এই অবস্থায় বাড়ি ফেরার জন্য প্রশাসনের কাছে বহুবার আবেদন জানিয়েছিলাম । কিন্তু, কোনও কাজ হয়নি । এরই মধ্যে আবার লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে । তাই নিরুপায় হয়ে বাড়ি ফেরার জন্য রেললাইন ধরে রওনা হয়েছিলাম । কিন্তুরেল রেল পুলিশ কাঁথি স্টেশনে আটকে দিল । এখানে না খেতে পেয়ে মরার চেয়ে বাড়ি ফেরা অনেক ভালো ।" কাঁথি থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভিন জেলার ওই শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ।
স্বপ্নের রাণী - সন্তু বন্দ্যোপাধ্যায়
স্বপ্নের রানী
সন্তু বন্দ্যোপাধ্যায়
ভুল বুঝে সরে আছো
তুমি অনেক দূরে,
ছিলাম তোমায় আঁকড়ে ধরে
তুমি কেন গেলে সরে,
শত কষ্টের মাঝে তুমি
ছিলে আশার আলো,
সারা জীবন তোমায় আমি
বেসে যাব ভালো,
ভুল বুঝে আছো তুমি
রাখলে না কথা,
তুমিও যে বুঝলে না
আমার কষ্ট মনের ব্যথা,
ধৈর্য ধরে থাকি আমি
তোমার ফেরার আশায়,
ফিরবে জানি একদিন তুমি
থাকবো আমি আশায়,
জানি আমায় তোমার মনে
তুমি নেবে না কোনদিন,
তবুও রানী থাকবে তুমি
আমার মনেই চিরদিন,
ভালোবাসার মানে তুমি
সত্যিই কি বোঝ,
ভালোবাসতে চাও যদি
আমার মনটাকে খোঁজ,
খুঁজলে পাবে নিজের দেখা,
মিশে আছি তুমি আমি
মনের সেই রাজপ্রাসাদে
যেখানের তুমি রানী,
হোক না যতই কষ্ট আমার
আসুক যতই বাধা,
তোমার আমার ভালোবাসা
সে যে সাত পাকে বাঁধা!
করোনা থেকে বাঁচতে হবে
করোনা হইতে বাঁচতে হবে
মহঃ রহিম মল্লিক
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাবধান বাণী
পাথেয় করে চলবো
লক ডাউনে "ঘরে বন্দী"
থাকার কথায় বলবো।।
সাবান জলে হাত ধোয়ার
পরামর্শ মানবো সবাই - মাস্কে মুখ - নাক ঢাকার -
কথা মনে রাখবো সদাই।।
পারস্পরিক দূরত্ব বজায় -
রাখলে বিপদ ঝুঁকি কম।
কে জানে কখন ঘায়েল করে
পৌছে যায় করোনা যম।।
নিজের সাথে আপন জনের
পরিবারের কথাও ভাববো -
অকারণ কোন আতঙ্ক নয়-
লিখবো জীবন জয়ের কাব্য।
গুজবে কেউ কান দেবো না
মানবো আইন নিয়ম বিধান-
প্রশাসনের সহোযোগিতায়-
বাঁচবে দেশ ও জাতির প্রাণ।।
মৃত্যু মিছিল প্রতিরোধে
অবহেলা নয় কোনমতে -
"করোনা ভাইরাস" হার মানবে
নাগরিক সচেতনাতে।।
মঙ্গলবার, মে ০৫, ২০২০
রামনগর ১ নং ব্লকে তালগাছাড়ী অঞ্চলে খাদ্য সামগ্রী বিলিতে তৃনমূল
জুলফিকার আলি
মদের দোকানে হুটোপুটি, নন্দকুমারে গ্রেপ্তার ৩
জুলফিকার আলি
এগরা ২ নং ব্লকে অধিকাংশ অফিস স্যানিটাইজ করা হয়েছে
জুলফিকার আলি
করোনায় অভুক্তদের খাদ্য বিলিতে বাঁকুড়া পুলিশসুপার
সাধন মন্ডল
দেশপ্রাণ ব্লকে কার্ল মার্ক্স এর জন্মতিথি পালিত হলো
জুলফিকার আলি
ফের হলদিয়ায় করোনা পজিটিভের সন্ধান
জুলফিকার আলি
পুর্ব মেদিনীপুর জেলার শিল্প শহর হলদিয়াতে ফের আরও একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেল। সোমবার তাঁকে রাতেই ভর্তি করা হল মেচগ্রামের করোনা হাসপাতালে।
হলদিয়ার মাখনবাবুর বাজারে ফ্ল্যাটে থাকেন আক্রান্তের পরিবার।আক্রান্ত রোগী আইওসির প্রাক্তন কর্মী,বয়স ৬৫। তাঁর বাড়ির বাকী ৫ জন সদস্যকে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
এর ফলে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা হল ২৯। হলদিয়ায় ১১
বরাহনগর ১ নং কলোনিতে অভিনব বাজার
গোপাল দেবনাথ
বরানগরের ১নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের গা ঘেঁষে অবস্থান করছে দুটি উদ্বাস্তু কলোনী। ভিটেমাটি হারিয়ে সন্তান-সন্ততি নিয়ে যখন বহু পরিবার হন্যে হয়ে মাথার উপর ছাদ খুঁজছিলেন, সে সময় তাঁদেরই কয়েকজন যুবকের সাহসী নেতৃত্বে ১৯৬৮ সালে এই অঞ্চলটিকে দখল করে সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের সরকারের কাছে পুনর্বাসনের দাবী জানানো হয় । পাশের বাগজোলা খাল প্লাবিত হয়ে বন্যার প্রকোপে বহু মানুষ শরণার্থী হয়ে অসহায় অবস্থায় দিন কাটানোর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তৎকালীন সরকারী সাহায্যে স্হাপিত হয় ভারতপল্লী ও সর্বহারা উদ্বাস্তু কলোনী।
মূলত নিম্নবিত্ত মানুষের বসবাসকৃত এই কলোনীর রূপায়ণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন বিশিষ্ট উদ্বাস্তু নেতা গণপতি মজুমদার, স্বপন চক্রবর্তী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। তবুও সরকারী আনুকূল্য তেমন ভাবে না মেলায় পরিবর্তিত সরকারে মমতা ব্যানার্জী আসার পরে কলোনীর কিছু সংস্কার ও উন্নতি সাধন হয়েছে। এখনও দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারগুলো গণপতি মজুমদারের সুযোগ্য নেতৃত্বের উপর ভরসা রেখে চলেছেন।
মাঝখান থেকে করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন তাঁদের কতিপয় আন্দোলনের গতিপথকে অবরুদ্ধ করলে একদিকে যেমন বেঁচে থাকার দাবি নিয়ে প্রস্তাব পেশ ধাক্কা খেয়েছে, অন্যদিকে পেট চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। কিন্তু তাঁদের সমস্যা ও সঙ্কটকে যাঁরা বোঝেন, তাঁদের মধ্যে সক্রিয় হয়ে হাল ধরেছেন ভারতপল্লীর সম্পাদক নবীন চক্রবর্তী ও সর্বহারা কলোনীর সম্পাদক রাজু পাল। সকলের কথা মাথায় রেখে অভিনব পদ্ধতিতে ৩রা মে তাঁরা আয়োজন করেছিলেন প্রায় চারশো বাসিন্দার “বিনামূল্যে বাজার পরিষেবা“ নামক খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচী।
চাল-ডাল থেকে শুরু করে আলু-পেঁয়াজ, ডিম, সোয়াবিন, পাউরুটি, বিস্কুট, দুধ, মুড়ি, তেল এমনকি ডাবের জল পর্যন্ত রাখা ছিল নির্দিষ্ট টেবিলে। কুপন দেখিয়ে প্রতিটি কাউন্টার থেকে খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করে প্রাপকদের গেটের অপর প্রান্ত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। বিশেষ ভাবে আকর্ষিত ছিল রবীন্দ্র সঙ্গীত বাজানো- অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ নামাঙ্কিত কিছু হাট-বাজারে যেভাবে বিকিকিনি চলত, তাঁরই ক্ষুদ্র সংস্করণ ছিল উক্ত পরিষেবা বাজার, তবে সবটাই ছিল বিনামূল্যে। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সকলের হাতে স্যানিটাইজার দিয়ে স্বাস্থ্য বিধি পালনে সদর্থক ভূমিকা পালন করেছে কলোনীর তরুণ-তরুণীরা।
গণপতি মজুমদার, দুই কলোনী-কমিটির সম্পাদক সহ রাকেশ কৌশল, বাবুনবাবু, সোমনাথবাবু ও অন্যান্য নারী সদস্যরা সংবেদনশীলতার সাথে কর্মসূচী পালন করেন। নবীন চক্রবর্তী বলেন, রবীন্দ্রনাথের প্রভাবে মানুষ কতটা শক্তিশালী হতে পারেন, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ তাঁরাই। মানুষের স্বার্থে, মানুষের পাশে থাকার মনোবল বৃদ্ধির পেছনে কবিগুরুর নিরন্তর প্রেরণা রয়েছে। তাই এই দুর্দিনেও এলাকার সমস্ত সহৃদয় ব্যক্তি তাঁদের য্ৎসামান্য খাদ্যসামগ্রী উপহার দিয়ে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন।
গণপতি মজুমদার কিছুটা নস্ট্যালজিক হয়ে তাঁর আন্দোলনের পুনরাবৃত্তি করে এ প্রজন্মের সহমর্মিতা দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আজ এই খাদ্য বিতরণ কর্মসূচিকে তাঁরা দান কিম্বা ত্রাণ হিসেবে দেখছেন না। মানুষের বিবেক বোধ ও ভালবাসাকে সম্মান জানিয়ে বাজার নামক সুসংহত পরিকল্পনার মাধ্যমে মাথা তুলে বাঁচার লড়াইকে প্রতিষ্ঠা করছেন মাত্র। পাশাপাশি কলোনীর উন্নয়ন ও প্রকল্পে সহানুভূতিশীল হওয়ার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সর্বহারা উদ্বাস্তু কলোনীর সম্পাদক রাজু পাল জানান, কলোনীর অবৈজ্ঞানিক ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের উন্নতিকল্পে এবং পরিবারপিছু এক কাঠা করে জমি পুনর্বাসন হিসেবে দেওয়ার দাবি জানিয়ে বাসিন্দাদের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি চিঠি মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ছবি: সুবল সাহা
মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে পঞ্চাশ হাজার দিল নন্দীগ্রামের এই পাঠাগার
জুলফিকার আলি
মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫০ হাজার টাকা সহায়তা দিলেন
নন্দীগ্রামের দক্ষিণ ঘোলপুকুর সোনালী সংঘ পাঠাগার।
বিশ্বত্রাস করোনা মহামারীর আবহে সারা বিশ্বের মতো অপামর মানুষ যখন আতঙ্কিত, আক্রান্ত আমরা সারা বাংলার মানুষজন ও সেই আবহে গৃহবন্দী। মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নিরলস ও অক্লান্ত সেবা ও আহবানে উদ্বুদ্ধ হয়ে মরন ভাইরাস করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতে মুখ্যমন্ত্রীর হাত শক্ত করতে পাশে দাঁড়ালেন নন্দীগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকা ঘোলপুকুর এলাকার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঘোলপুকুর সোনালী সংঘ পাঠাগার পরিচালকমণ্ডলী সদস্যবৃন্দ ও সংঘের কর্মচারীবৃন্দের সামর্থ্য অনুযায়ী মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫০ হাজার টাকার চেক পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাসক মহোদয়ের হাতে তুলে দিলেন ঘোল পুকুরিয়া সোনালী সংঘের সভাপতি মাননীয় শ্রীযুত দেব প্রসাদ মাইতি ,সম্পাদক অশোক কুমার দাস ও কর্মী প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঋতু প্রধান। এই সহায়তার জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলাশাসক।
শিশুদের পুস্টিকর খাদ্য বিলিতে লাইন্স ক্লাব অফ নবদ্বীপ
শ্যামল রায়
ছোট ছোট শিশুদের হাতে খাবার তুলে দিল লায়ন্স ক্লাব অফ নবদ্বীপ
লায়ন্স ক্লাব অফ নবদ্বীপ এবং লিও ক্লাব অফ নবদ্বীপ এর যৌথ উদ্যোগে পথ শিশুদের মধ্যে পুষ্টিকর খাবার তুলে দেয়া হলো। মঙ্গলবার নবদ্বীপ থানার বাবলারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন ইটভাটায় শ্রমিকের শিশুদের মধ্যে সেইসাথে মালঞ্চ পাড়ার একটা অংশের পরিবারের শিশুদের মধ্যে শুকনো পুষ্টিকর খাবার তুলে দেয়া হয়। পুষ্টিকর খাবার এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল হরলিক্স, গুড়ো আমুল দুধ, হরলিক্স বিস্কুট, চিড়ে ও ফলের প্যাকেট।
বিভিন্ন জায়গায় এই প্যাকেট গুলো শিশুদের মধ্যে তুলে দেন সম্পাদক অলোক দাস, অমরেন্দ্র নাথ ভট্টাচার্য দিলীপ ব্যানার্জি অন্যতম কর্ণধার সুজিত কুমার দে। এছাড়াও ছিলেন লিও ক্লাব অফ নবদ্দীপ সম্পাদক সিদ্ধার্ত কর্মকার ও সৌমিক সিংহ সহ অনেকে। সুজিত কুমার দে জানিয়েছেন যে এদিন ২৭৬ জন পথ শিশুদের মধ্যে এই ধরনের পুষ্টিকর খাবার তুলে দেয়া হয়।
আরো জানা গিয়েছে যে নিয়মিতভাবে লকডাউন চলাকালীন বহু মানুষ আছেন যারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তারা অভাবের মধ্যে দিন যাপন করছেন তাদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করে যাচ্ছেন লায়ন্স ক্লাবের কর্মকর্তারা।
কবিতার নাম - লকডাউনের পুলিশ
মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)
করোনার মারণ থাবায় দিশেহারা আমরা সবাইনেতা নেত্রীরা ব্যস্ত স্বার্থসিদ্ধিতে সিদ্ধিলাভ করতে
ডাক্তার আর পুলিশ ছাড়া নেই কেউ সেভাবে
ডাক্তারবাবুর ডিউটি তো শুধুই হাসপাতালে
আর পুলিশ সর্বত্রই বিরাজমান
দিন কিংবা রাত, প্রখর রোদ কিংবা কালবৈশাখীর ঝড়
ঘর-সংসার ছেড়ে দেশ ও দশের সেবায় 'অন ডিউটি'
সড়কে হেঁটে আসা মানুষজনদের মুখে খাবার তুলে দেওয়া
কখনো প্রসূতি কে গাড়িতে চাপিয়ে হাসপাতাল
আবার কখনো বা পরিচিত ব্যক্তির বেওয়ারিশ লাশ হওয়া শেষকৃত্যেও অবিচল পুলিশ
এই তো সেদিন জাতীয় সড়কে বাড়ী ফেরার আনন্দে পথের বলি দুজন
ওদের তো সংসার ছিল
আমাদেরই মত…
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
OLD POSTED
আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER
-
বাকুঁড়ার কোতলপুর ব্লক তৃনমূল কমিটির পরিচালনায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা হয়।উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্যামল সাতঁরা, সাংসদ সৌমিত্র খান, জেলা স...