বৃহস্পতিবার, জুন ২৫, ২০২০

কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগ নয়

মোল্লা জসিমউদ্দিন,   

বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার অনলাইন শুনানি চলে। ভিডিও কনফারেন্সে এই মামলায় বিচারপতি বিবেক চৌধুরী উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। স্কুল সার্ভিস কমিশন কোন নিয়োগ করতে গেলে কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি অবশ্যই নিতে হবে বলে এদিন বিচারপতি তাঁর আদেশনামায় উল্লেখ রাখেন। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে রাজ্যের বিভিন্ন উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে লক্ষাধিক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়। ২০১৭ সালে শুন্যপদ  ১৪ হাজার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক  নিয়োগের জন্য। পরীক্ষার ফলপ্রকাশ থেকে একাডেমিক স্কোর সেইসাথে ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশে ব্যাপক অসচ্ছতার অভিযোগ উঠে দফায় দফায়। কলকাতা হাইকোর্টের বিভিন্ন এজলাসে এইবিধ অভিযোগগুলি নিয়ে মামলা দাখিল হয় পরীক্ষার্থীদের তরফে। এদিন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগে পরীক্ষার্থী ভানু রায়ের পক্ষে আইনজীবী ফিরদৌস শামীম জানান - "উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগে প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম ঘটেছে"। বুধবার দুপুরে অনলাইন শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী উভয় পক্ষের ভিডিও কনফারেন্সে সওয়াল-জবাব শুনে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। সেইসাথে আদেশনামায় উল্লেখ রাখেন যে - স্কুল সার্ভিস কমিশন কোন নিয়োগ করতে গেলে যেন কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি অবশ্যই নেয়।                                                                                              

শুক্রবার, মে ২৯, ২০২০

হাইকোর্ট চত্বরে তৃণমূল লিগ্যাল সেলের রক্তদান

মোল্লা জসিমউদ্দিন 

শুক্রবার দুপুরে  কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে   তৃণমূল লিগ্যাল সেলের পক্ষে এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। এই শিবিরে শতাধিক আইনজীবী রক্তদান করেন। এই কর্মকান্ডেউপস্থিত  ছিলেন আইনজীবী তথা স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, তৃণমূল লিগ্যাল সেলের চেয়ারম্যান ভাস্কর বৈশ্য প্রমুখ। ইতিপূর্বেতৃণমূল লিগ্যাল সেলের পক্ষে সবজির হাট বসানো হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে।                          

বৃহস্পতিবার, মে ২১, ২০২০

কাটোয়া - কালনা - দাঁইহাটে বিদায়ী চেয়ারম্যানরা হলেন প্রশাসক

শ্যামল রায়

  
কালনা কাটোয়া মহকুমার কাটোয়া, দাঁইহাট ও কালনা পৌরসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বুধবার। বৃহস্পতিবার থেকে তিনটি পৌরসভার প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করবেন  তৃণমূলের  ৩ জন বিদায়ী চেয়ারম্যান।
বৃহস্পতিবার জানা গিয়েছে যে কাটোয়া পৌরসভার কুড়ি টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০ টি ওয়ার্ড তৃণমূলের এবং ১০টি ওয়ার্ড ছিল কংগ্রেসের দখলে। প্রথমে অমর রাম তৃণমূল দলে যোগদান করে চেয়ারম্যান পদে বসেন তারপর দলীয় কোন্দলের ফলে কংগ্রেসের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করায় অমর রাম অনাস্থা প্রস্তাব হেরে যান। চেয়ারম্যান হন কংগ্রেসের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। পাঁচ বছর পৌরবোর্ড এর মেয়াদ শেষ হতেই প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে যুক্ত হলেন বিধায়ক এবং চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।
এছাড়াও দাঁইহাট পৌরসভা মেয়াদ শেষ হয়েছে বুধবার। চেয়ারম্যান শিশির কুমার মন্ডল প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করবেন। জানা গিয়েছে যে এই পৌরসভার ১৪ টি ওয়ার্ড সংখ্যা রয়েছে। এর মধ্যে নয়টি ওয়ার্ড পেয়েছিল সিপিএম চারটি ওয়ার্ড পেয়েছিল তৃণ মূল কংগ্রেস এবং একটি বিজেপি। সিপিএমের চেয়ারম্যান হয়েছিলেন বিদ্যুৎ বরণ ভক্ত। তারপর সিপিএম থেকে চার কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগদান করায় সিপিএম পরাজিত হয় এবং বোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস। শিশির কুমার মন্ডল চেয়ারম্যান হন তিনি এখন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করবেন।
 কালনা পৌরসভার দায়িত্ব পালন করবেন বিদায়ী চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ বাগ। জানা গিয়েছে যে এই পৌরসভায় ১৮টি ওয়ার্ড রয়েছে। এর মধ্যে ১২ টি ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেস পৌরবোর্ড গঠন করেছিল। পৌর বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বুধবার। বৃহস্পতিবার থেকে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করবেন চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ বাগ।
তবে তিনটি পৌরসভার প্রশাসনিক দায়িত্বে চেয়ারম্যানদের দেওয়ায় বিরোধীরা নানান ধরনের প্রশ্ন তুলেছেন। নিয়ম বহির্ভূত এবং গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব শেষ হলে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করে সরকারি বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এমনটাই সাংবিধানিক নিয়ম। কিন্তু তৃণমূলের সরকার বিদায় চেয়ারম্যানদের প্রশাসনিক দায়িত্ব দিয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চরিতার্থ করতে চাইছে। এমনটাই বিরোধীদের অভিযোগ। তবে প্রসঙ্গত উল্লেখ থাকে যে লোকসভা নির্বাচনে কিন্তু তিনটি পৌরসভার এই অধিকাংশ ওয়ার্ডে লিড  দিয়েছিল বিজেপি। তাই বিজেপি নেতাদের অভিযোগ তৃণমূলের সরকার যতই তাদের দলীয় লোকদের প্রশাসনিক দায়িত্ব দিক ভোট হলে বিজেপি  পৌরসভা দখল করবে বলে তাদের আশা। কিন্তু তৃণমূল নেতারা বলেছেন সরকারের উন্নয়ন দেখে মানুষ ভোট দেবে এবং তিন পৌরসভায় ক্ষমতাসীন হবে তৃণমূল কংগ্রেস।

পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে চিন্তায় কালনা

শ্যামল রায়
  

ভিন্ন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা তাদের বাড়িতে ফিরে আসার সাথে সাথে চিন্তিত পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পেতে চলছে লকডাউন। লকডাউন চলাকালীন ভিন্ন রাজ্যে থেকে যে সমস্ত শ্রমিক এখানে আসছেন তাদের পরীক্ষা করার পরে ধরা পড়ছে কোন ভাইরাসের পজেটিভ। কিন্তু অনেকেই এসে তাদের পরিবারের সাথে মেলামেশা করার পর সমস্যা আরো জটিল হয়ে পড়েছে। কেউ কেউ হোম কোয়ারেন্টাইন এ থাকছেন আবার কেউ বাড়ির মধ্যেই একা থাকলেও মিলামিশা করছেন বাড়ির সকলের সাথে তাই করনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়লে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তারা।
কারণ কালনা কাটোয়া মহকুমা জুড়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের ধরা পড়েছে করোনা ভাইরাস এর পজেটিভ। পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের হামিদপুর গ্রামে একজন পরিযায়ী শ্রমিকের পজেটিভ এবং মন্তেশ্বর ব্লকের স্বামী-স্ত্রীর করোনা পজেটিভ ধরা পড়ায় পুলিশ ও প্রশাসনের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই সকল পর্যায়ে শ্রমিকরা যদি বাড়িতে আসার পর এলাকার মানুষের সাথে অবাধে মেলামেশা করে বেড়ায়।  তাহলে এই রোগ আরো ভয়ঙ্কর আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মনে করছে পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তারা।
কারণ পূর্বস্থলী এক নম্বর ব্লকে এখনো ভিন্ন রাজ্যে রয়েছেন প্রায় আড়াই হাজার পরিচয় শ্রমিক। কেউ কেউ বাড়িতে আসার পর হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। যারা বাড়ি ফিরছেন তারা অনেকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলে ইতিমধ্যে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এর কাছে অনেকেই অভিযোগ জানাতে বারবার যোগাযোগ করছেন। যারা বাড়ি ফিরছেন তাদের দ্রুত খবর দিতে হবে এবং পুলিশকে জানিয়ে ওই সকল পরিচয় শ্রমিককে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং পরে হোম কোয়ারেন্টাইন এ পাঠাতেই হবে। না হলে অদূর ভবিষ্যৎ গননা ভাইরাসের পজেটিভ ধরা পড়লে বিপদ মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের কমপক্ষে পাঁচ হাজার শ্রমিক রয়েছেন বিভিন্ন রাজ্যে। হামিদপুর গ্রামে যে পরিযায়ী শ্রমিকের পজেটিভ ধরা পড়েছে এলাকার মানুষ আতঙ্কিত।অন্যদিকে মন্তেশ্বর ব্লকের যে স্বামী স্ত্রীর করোনাভাইরাস পজেটিভ হয়েছে তারাও বোম্বে থেকে বাড়ি ফিরে আসার পর তাদের করো না পজেটিভ ধরা পড়েছে। তাই ভিন্ন রাজ্য থেকে দ্বারা বাড়ি ফিরছেন তাদের উচিত হোম করেনন্টাইন তাই না থাকা এবং দ্রুত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া।এদিন প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়ে দিয়েছেন যে যারা বাড়ি ফিরবেন তাদের দ্রুত করে ১৪ দিনের জন্য থাকতে হবে এবং দ্রুত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। কেউ গোপনে আড়ালে থাকলে দ্রুত পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাদের খবর দিয়ে তাদের হোম করেন এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে দ্রুত।

আমফানে বিপর্যয় পূর্ব বর্ধমানে

সুরজ প্রসাদ
 
আমফানের তাণ্ডবে বর্ধমান শহরে বেশ কয়েকটি জায়গায় ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডবে দেওয়াল ভেঙে পড়েছে রাস্তার উপরে।গাছপালা ভেঙে পড়েছে।ভেঙ্গে পড়েছে বিদ্যুতের পোল। বুধবার ভোর থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়।পাল্লা দিয়ে চলতে থাকে ঝড়ো হওয়া।বেলা যত বেড়েছে ততই বেড়েছে ঝড়ের বেগ। 

 রাতে আমপানের দাপটে জেলাজুড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে থাকে।বর্ধমান শহরের আহিরীমহল রাজস্কুলের কাছে বিজয় চতুস্পাঠীর বিশাল পাঁচিল রাস্তায় ভেঙে পড়ে। ফলে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।অন্যদিকে মন্তেস্বর বাজারে একটি অশ্বত্থ গাছের ডাল ভেঙে পড়ে দুই মহিলা সহ এক ব্যক্তি জখম হয়েছেন। আহতদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। 
জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা অচল হয়ে পড়েছে।বর্ধমান শহরেরও বেশীরভাগ এলাকা বিদ্যুৎহীন। এছাড়াও জায়গায় জায়গায় প্রচুর গাছ উপরে পড়েছে । গোলাপবাগের তারাবাগে বিদ্যুতের পোল ভেঙে পড়েছে।

আমফানে মাথায় হাত ভাতারর চাষিদের

আমিরুল ইসলাম
  

আমফানের প্রভাবে ভাতারের বিস্তীর্ণ এলাকার ধান জলের তলায়। চাষিদের মাথায় হাত। আর হয়তো ধান তুলতে পারবেনা ভাতার ব্লকের চাষীরা। সরকারের সাহায্যের দিকে  তাকিয়ে সকলে।

আত্মনির্ভর ভারত - কাজি একরাম আলী

।।আত্মনির্ভর ভারত।।

কাজি একরাম আলী
  

আমাদের সঙ্গে আছে আমাদের সরকার ।
প্যাকেজ লক্ষ কোটি পার ।

সবার সব কিছুর সুরাহা হবে,
সহজ সরল সুদে ঋণ পাবে।

সবার প্রথমে শ্রমিকশ্রেণী,
নিয়ে ফেলুন ঋণ।
চাল ডাল নুন তেল সবজি,
মনোহারি ওষুধ পালা,
যা যা প্রয়োজন কিনে নিন।

মধ্যবিত্ত ঋণ নিন,
ইএমআই কিস্তি ধার,
সব মিটিয়ে ফেলুন।

উচ্চবিত্ত শিল্পপতি ব্যওসাদার,
ঋণ নিন,
আপনি জানেন, ঋণটার,
উপযুক্ত ব্যবহার, 
আপনার অভিজ্ঞতা অপার।

দেশ হবে আত্মনির্ভর,
আমাদের পাশে আমাদের সরকার ।

বুধবার, মে ২০, ২০২০

খাদ্য সামগ্রী বিলিতে সারাবাংলা রাইটার্স ফোরাম

শ্যামল রায়
 
কবি-সাহিত্যিকদের নিজস্ব সংগঠন বাংলা রাইটাস ফোরামের উদ্যোগে অসহায় সম্বলহীন গরিবদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হলো।
বুধবার প্রাকৃতিক বিপর্যয় কে উপেক্ষা করে দেড় শতাধিক অসহায় গরীব মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে খাদ্য সামগ্রী গ্রহণ করেন। খাদ্য সামগ্রী বিতরণ এর শুভ সূচনা করেন স্থানীয় কাউন্সিলর বিজন দেবনাথ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী অশোক অধিকারী ও সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক কবি ও সাংবাদিক শ্যামল রায় সহ অনেকে।
নবদ্বীপ পৌরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রফুল্ল নগর ভোরের খবর ভবন শ্যামল রায়ের বাড়ি থেকে অসহায় গরীবদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়ার কাজ হয়। অসহায় গরীবদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়ে কাউন্সিলার বিজন দেবনাথ জানান যে করোনাভাইরাস এর জেরে চলছে লকডাউন। এই এলাকার অধিকাংশ পরিবারের লোকজন প্যান্ডেল শ্রমিক। ভিন রাজ্যে আটকে পড়ার কারণে এই সকল পরিবারের আর্থিক অবস্থা শোচনীয়। স্থানীয় সাংবাদিক শ্যামল রায় যে ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে যতটুকু সমাজসেবামূলক কাজ করছে এটা নিশ্চয়ই প্রশংসার দাবি রাখে। কিছু মানুষ এই ধরনের কাজ করেন বলে  বহু গরিব মানুষ উপকৃত হন। চতুর্থবারের জন্য এলাকার গরিব মানুষের মধ্যে জিরে হলুদ সোয়াবিন লবণ তেল সাবান ও মুড়ি প‍্যাকেট করে তুলে দেওয়া হয় ।  এলাকার মানুষ খাদ্য সামগ্রী পেয়ে ভীষণ খুশি বলে জানা গিয়েছে। অর্জুন বিশ্বাস প্রাণ বল্লব দেবনাথ নিরোধ শীল রাজকুমার রায় মিঠু রায় ,কবিতা  মণ্ডল বলেন লকডাউন এরমধ্যে চরম অভাব এর মধ্যে খাদ্য সামগ্রী পেয়ে উপকৃত হলাম।

প্রাকৃতিক বিপর্যয় থাকা সত্বেও রক্তদান শিবির ভাতারে

আমিরুল ইসলাম
  

প্রাকৃতিক বিপর্যয় সত্বেও ভাতারে রক্তদান শিবির তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে।

পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের নির্দেশে বামুনারা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আজ প্রাকৃতিক বিপর্যয় কে উপেক্ষা করে রক্তদান শিবির।
বর্তমানে কোরোনা ভাইরাসের জেরে ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলিতে রক্তের টান দেখা দিয়েছে ।সেই রক্তের টান দেখা দিতেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন বামুনারা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস।

ভাতার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি মনোয়ার ইসলাম জানান, সকাল থেকেই প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়েছে ভাতার ব্লক জুড়ে।তার সত্বেও সেই ঝড়-বৃষ্টি কে উপেক্ষা করে তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মীরা এসেছেন আমাদের এই রক্তদান শিবিরে। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী দের কে অসংখ্য ধন্যবাদ। মোট 40 জন রক্তদাতা রক্ত দেবেন আজ ।আমাদের 100 জন কর্মী হাজির হয়েছেন রক্ত দিতে। কিন্তু লোকজনের জন্য 40 জনের বেশি রক্ত নিতে পারবেন না বর্ধমান মেডিকেল কলেজ। এই রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হচ্ছে বামুনারা হাইস্কুলে।
এই রক্তদান শিবিরে উপস্থিত রয়েছেন ভাতার বিধানসভার বিধায়ক সুভাষ মন্ডল, ভাতার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দেবাশীষ ব্যানার্জি, ভাতার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি মনোয়ার ইসলাম, বামুনারা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পরেশ নাথ মুখার্জী।

সব মিলিয়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয় অপেক্ষা করে রক্তদান শিবির ।

আমফানে রাত জেগে তারকেশ্বরের সন্তোষপুর

সুভাষ মজুমদার
  

তারকেশ্বর সন্তোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েত তরফ থেকে সমস্ত গ্রামবাসী গ্রামবাসীকে মাইকিং করে বলা হচ্ছে মাটির বাড়ি এবং এডবেস্টার বাড়িতে যারা আছেন প্রত্যেক কে নিরাপদ স্থানে এবং প্রাইমারি স্কুলে আজ রাতে থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে যেভাবে আমফান ঘূর্ণিঝড় প্রকট হচ্ছে তাতে করে নিরাপদ স্থানে থাকাটা জরুরী এমনই বার্তা দিলেন পঞ্চায়েত প্রধান স্বরূপ কুমার ঘোষ ৷

পাশে আছি বার্তায় সক্রিয় গলসি ব্লক তৃণমূল সভাপতি

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি

  
       গত ১৯ শে মে পূর্ব বর্ধমানের গলসী ১নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জাকির হোসেনের উদ্যোগে "পাশে আছি" সংস্থার পক্ষ থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রথম পর্বে  লোয়া-রামগোপালপুর অঞ্চলের ১৫০০ পরিবারের হাতে চাল, আলু, পেঁয়াজ, কুমড়ো, মুড়ি, বাঁধাকপি, মুসুরী ডাল, তেল সহ বিভিন্ন নিত্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি সেখ খোকন, ব্লকের এস.সি, এস.টি ও ও.বি.সি সেলের সভাপতি বুজরুল শাহ, লোয়া- রামগোপালপুর অঞ্চলের পঞ্চায়েত সদস্য ও সদস্যারা। 
     পরে জাকির হোসেন বলেন - দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জ্জীর নির্দেশে লক ডাউন শুরুর পর থেকেই আমরা বারবার দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। এমনকি যেসব পরিযায়ী শ্রমিক ডি.ভি.সির ক্যানেল রাস্তা ধরে হেঁটে নিজেদের গন্তব্যস্থলের দিকে যাচ্ছে আমরা তাদের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি। আগামী দিনেও আমরা তাদের পাশে দাঁড়াব। দিদির রাজ্যে আমাদের এলাকার একজন মানুষও যাতে অভুক্ত না থাকে সেব্যাপারে আমরা সতর্ক আছি। তিনি এলাকাবাসীদের লকডাউন মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেন।

মঙ্গলবার, মে ১৯, ২০২০

বিয়ের দিনেই করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে অনুদান

জুলফিকার আলি

  

বিল্বপদ আচার্য র একমাত্র ছেলে অরিন্দম (বাড়ি সুতাহাটা র বরদা) সহিত শ্রীকৃষ্ণ পাল র একমাত্র কন্যা জলীর শুভ বিবাহ সমস্ত আইন মেনেই সম্পন্ন হয়। অরিন্দম অনুষ্ঠান শেষে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে 10001 টাকা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময় অধিকারীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।

আমফান ঝড় মোকাবিলা নিয়ে স্মারকলিপি

জুলফিকার আলি
   

সিপিঅাইএম, দেশপ্রাণ ও কাঁথি এরিয়া কমিটির উদ্যোগে ঘনীভূত সুপার সাইক্লোন অামফান দুর্যোগের সম্ভাবনা র পরিপ্রেক্ষিতে দুর্যোগ অাশ্রয় কেন্দ্র (অায়লা কেন্দ্র) সমূহ ঝোপঝাড়, অাবর্জনা,ময়লা পরিষ্কার করে ব্যবহারোপযোগী করে তোলা,করোনা সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে স্যানিটাইজ করা,ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা পরিষেবা সুনিশ্চিত করন, পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী মজুতকরণ, সমুদ্র উপকূল সংলগ্ন দেশপ্রাণ, খেজুরী-২,কাঁথি-১, রামনগর -১ ও ২ছাড়া কাঁথি-৩, খেজুরী-১,এগরা-১ও ২,ভগবানপুর -১ ও ২ ব্লক সমূহে স্কুল সমূহে অাশ্রয় কেন্দ্র খোলা, সম্ভাব্য সমস্ত দুর্গত মানুষদের উদ্ধার করা, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়তে কন্ট্রোল রুম চালু করা প্রভৃতি দাবী সমূহের ভিত্তিতে মহকুমাশাসক দপ্তরে অাজ ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম নেতা হরপ্রসাদ ত্রিপাঠী, মামুদ হোসেন, কানাই মুখার্জি, সঞ্জিত দাস, সুতনু মাইতি, তাপস মিশ্র, তরুণ মাইতি, সলিল বরণ মান্না, সেক সাত্তার, সেক জান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। সিপিঅাইএম নেতা তথা প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন বলেন বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর কে গ্রামপঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত সমান সক্রিয় হতে হবে। মানুষের সহযোগিতায় করোনার পাশাপাশি অামফান দুর্যোগ কেও মোকাবিলা করা যাবে বলে প্রত্যয় প্রকাশ করেন সিপিঅাইএম নেতা মামুদ হোসেন।

তারকেশ্বরে বিজেপির রক্তদান শিবির

সুভাষ মজুমদার
  
তারকেশ্বর বিজেপি পৌর মন্ডলের উদ্দ্যোগে রক্তদান শিবির।
এদিন তারকেশ্বর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বিজেপি পৌর মন্ডলের উদ্দ্যোগে একটি স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়।প্রশাসনিক সহযোগিতায় লকডাউন মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ত্রিশ জন রক্তদাতা স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেন।মূলত লকডাউন পরিস্থিতিতে রক্তের চাহিদা মেটাতে এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়।
রক্তদান শিবিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান জি এস  আরামবাগ জেলা সাংগঠনিক রঞ্জিত চ্যাটার্জী তারকেশ্বর বিজেপি টাউনের কার্যকর্তা বাবুয়া সাউ, সহ অন্যান্য বিজেপির কার্যকর্তারা ৷ উল্লেখ্য যে রক্তদাতা দের হাতে মাস্ক সিনিটাইজার একটি পদ্মফুল এবং একটি করে আমচারা গাছ তুলে দেন বিজেপি নেতা বিমান ঘোষ।

কর্মদিশা প্রকল্পের সুচনায় বাঁকুড়া সভাধিপতি

সাধন মন্ডল
 
 সারা রাজ্য জুড়ে কর্ম দিশা প্রকল্পের কাজ আজ শুরু হলো বাঁকুড়া জেলাতে। বাঁকুড়া জেলার রানিবাঁধ রায়পুর, সারেঙ্গা, সিমলাপাল, হিড়বাঁধ, প্রভৃতি ব্লকে এই প্রকল্পের কাজের সূচনা করলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, মেন্টর অরূপ চক্রবর্তী, জেলাশাসক অরুন প্রসাদ, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শিবাজী ব্যানার্জি, জেলা পরিষদের সহ- সভাধিপতি শুভাশিস বটব্যাল, রানিবাঁধ বিধানসভার বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি, রায়পুর বিধানসভার বিধায়ক বিরেন্দ্রনাথ টুডু সহ
 বিশিষ্টজনেরা। রায়পুরে এই প্রকল্পের সূচনা করে সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু বলেন আমাদের বাঁকুড়া জেলার 190 টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যেকটিতে আজ থেকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হল এর ফলে লক্ষাধিক মানুষ কাজ পাবে কোথাও ফলের বাগান তৈরি কোথাও হাপা তৈরি কোথাও পুকুর সংস্কার আবার নতুন পুকুর তৈরি করা সহ নানান কাজ করা হবে এই প্রকল্পে। মেন্টর অরূপ চক্রবর্তী বলেন এই প্রকল্পে পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে কাজ করতে পারে তার জন্য আমরা সমস্ত সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দেরকে নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছি যে পরিযায়ী শ্রমিকরা যদি কাজ চান তারা যেন সসম্মানে কাজ করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে প্রশাসনকে। প্রতিটি জায়গাতেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা ও বাঁকুড়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শিবাজী ব্যানার্জি রায়পুরের মটগোদা গ্রাম পঞ্চায়েতের জামশোল মৌজা রায়পুর সরকারি পলিটেকনিক কলেজে আম বাগান তৈরীর কাজ এর সূচনা করেন সভাধিপতি। তিনি নিজ হাতে মাটি কেটে এই কাজের সূচনা করেন সঙ্গে ছিলেন রায়পুর বিধানসভার বিধায়ক বীরেন্দ্রনাথ টু ডু। লকডাউন এরমধ্যে মধ্যে 100 দিনের কাজ শুরু হওয়ায় খুশি শ্রমজীবী মানুষেরা।

শ্রমজীবী মুসলিমদের পাশে জয় হিন্দ বাহিনী

সেখ রতন
 

চলছে রমজান মাস আর কয়েকদিন পরেই আসছে খুশির ঈদ তারি মাঝে পড়ে গেছে লকডাউন শ্রমজীবী মুসলমান ভাইদের পড়ে গেছে মাথায় হাত লকডাউন এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য সবি বন্ধ খুশির ঈদ মানাবে কিভাবে সেই সমস্ত মানুষের পাশে এসে দাঁড়ালেন জয় হিন্দ বাহিনীর ১নম্বর ব্লক চেয়ারম্যান শেখ হালিম বাবুর ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাঘার গ্রামে 650 জন মানুষের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। হালিম বাবু জানান শুধু আমাদের মুসলিম ভাই বলে নয় হিন্দু ভাইদের হাতে ও খাদ্য সামগ্রী তুলে দিই শুধু আজ নয় লকডাউন শুরু থেকে আজ পর্যন্ত হালিম বাবু জানান 25 হাজার মানুষের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিই এবং তিনি এটাও বলেন লকডাউন যতদিন চলবে এরকম মানুষের পাশে আমি সব সময় থাকবো উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা জয় হিন্দ বাহিনীর সভাপতি রবির নন্দী,দেওয়ানদীঘি থানার ওসি  , বর্ধমান উত্তর বিধানসভার চেয়ারম্যান শেখ ডালিম, অনির্বাণ চৌধুরী, খালে খন্দকার, শেখ রহমত শেখ মাখন ,শেখ শাহরুখ,প্রমুখ ।

অনলাইন ইন্টার্নশিপ চালু করলো গুরু নানক ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি

প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য অনলাইন ইন্টার্নশিপ চালু করল গুরু নানক ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি
রাজকুমার দাস  

লকডাউনের অষ্টম সপ্তাহ চলছে। তার প্রভাব সব ক্ষেত্রেই পড়েছে। নিজেদের কাজকর্ম চালিয়ে যেতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাজের ধরনে বেশ কিছু বদল এনেছে। বাদ যায়নি শিক্ষাক্ষেত্রও। লেখাপড়ার চর্চা নিয়মিত রাখতে সেখানে উল্লেখযোগ্য কিছু পরিবর্তন এসেছে।

জেআইএস গোষ্ঠীর গুরু নানক ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি (‌জিএনআইটি)‌ পড়ুয়াদের ইন্টার্নশিপের ব্যাপারে তৎপর। তাই এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও তারা পড়ুয়াদের জন্য সেই সুযোগ খুলে দিয়েছে। যাতায়াতে বিধিনিষেধ থাকায় অনলাইন ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করেছে জিএনআইটি।
 
জেআইএস গ্রুপের অধিকর্তা সিমরপ্রীত সিং এক প্রেস বিবৃতিতে জানান  জিএনআইটি–এর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য অনলাইন ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৩৭৩ জন পড়ুয়া সেই সুযোগ পাচ্ছেন। এই কাজে ‘‌ইন্টার্নশালা’‌র সাহায্য নেওয়া হয়েছে। এটি ইন্টার্নশিপ এবং প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য দেশের অন্যতম সেরা একটি মঞ্চ। ইঞ্জিনিয়ারিং, এমবিএ, আইন, মিডিয়া,কলার মতো ক্ষেত্রে ইন্টার্নশিপের সুযোগ রয়েছে। সেখান থেকে পড়ুয়ারা অর্থ উপার্জনের সুযোগও পান। ৪০ হাজারেরও বেশি পড়ুয়া সেখান থেকে ইন্টার্নশিপে যুক্ত। উপার্জনের অঙ্কও নেহাত কম নয়। মাসে ৪ হাজার টাকা থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। আমাদের পড়ুয়াদের মধ্যে অনেকে ক্যাপজেমিনি, আইটিসি ইনফোটেকের মতো বড় প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ করছেন।’
 
গুরু নানক ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির অধ্যক্ষ ড.‌ শান্তনুকুমার সেন জানান  অনলাইন ইন্টার্নশিপের সুযোগ একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। এটা একটা বড়সড় সুযোগ। পড়ুয়ারা বেশ উৎসাহ পেয়েছেন। এবং তাঁদের মধ্যে একটি ইতিবাচক বার্তা দেওয়া গিয়েছে। লকডাউনে তাঁরা শেখার পাশাপাশি বাড়িতে বসে অর্থও উপার্জন করতে পারবেন। বিল্ডিং ড্রিমস ফাউন্ডেশন, ইন্ডিয়া রিডিফাইন্ড, পিএনজি হাব, চৈতন্যম ইন্সিটিটিউট অফ ডেভলপমেন্ট, হামারা পেহচান এনজিও, কনসেপ্ট রিসার্চ মিডিয়া টেক অ্যান্ড ইনফো সলিউশনস প্রাইভেট লিমিটেড, ননডেস্ট্রাক্টিভ টেস্ট অ্যাপ্লায়েন্সেস প্রাইভেট লিমিটেড, মাদারসন অটোমোটিভ, জয় হিন্দ মোটর লিমিটেড, এলিট টেকনো গ্রুপ, অ্যাপ্টসোর্স সফ্টঅয়্যার, চ্যাম্পিয়ন ইনফোমেট্রিক্স প্রাইভেট লিমিটেড, ওয়েরোকো ইনোভেশনস অ্যান্ড সলিউশনের মতো সংস্থায় তাঁরা কাজের সুযোগ পেয়েছেন।’‌

সোমবার, মে ১৮, ২০২০

তাঁত থেকে প্রাণী বিকাশ, কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে? তা জানালেন খোদ মন্ত্রী

শ্যামল রায়
  
বামফ্রন্ট আমলে ধুঁকতে থাকা তাঁতশিল্প আজ সফলতার পথে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় উদ্যোগে তাঁত শিল্পীদের উৎপাদিত শাড়ি বিদেশ সহ দেশের মধ্যে বিক্রি করে শিল্পী রাজাতে সংসার চালাতে পারেন সেই দিকে নজর দিয়েছেন। রাজ্যের ক্ষুদ্র কুটির শিল্প দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ সোমবার সাত সকালে তার মানসিক এবং শান্তি বিকাশ কেন্দ্রের দামোদর পাড়ার প্রাঙ্গণে বসে জানালেন যে তাঁত সাধারণত দু'ধরনের। প্রথমত হস্তচালিত তাঁত এবং পাওয়ারলুম।হস্ত চালিত তাঁতের শাড়ি বিক্রয় করবার জন্য প্রথমত রাজ্যজুড়ে তাঁত হাট তৈরি করা হয়েছে।হাট গুলি হল পূর্বস্থলী এক নম্বর ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রাম, ধাত্রীগ্রাম, নবদ্দীপ ও হাওড়ার উদয়নারায়নপুর।
এছাড়াও তাঁত শিল্পকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য তন্তুজ ও তাদের কাছ থেকে শাড়ি কিনে নিচ্ছে।
স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন যে বাম আমলে ১৪৭ কোটি টাকা লোকসানে চলছিল। বর্তমানে অপারেটিং সাপোটিং পাওয়ারে লভ্যাংশ দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা। বাম আমলে বছরে টার্নওভার ছিল ৫৫কোটি টাকা। এই সরকারের আমলে টার্নওভার ২৫০ কোটি টাকা। শাড়ি লুঙ্গি বেড কভার হস্তচালিত তাঁত শিল্পকে বাঁচাতে ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে একাধিক ক্লাস্টার। ক্লাস্টার এর মধ্যে দিয়ে তাঁত শিল্পীরা তাদের সমস্ত রকম সরঞ্জাম পেয়ে থাকেন। পূর্ব বর্ধমানের ইতিমধ্যে সাতাশটি ক্লাস্টার তৈরি হয়েছে। এছাড়াও বস্ত্র দফতরের উদ্যোগে রাজ্যে তৈরি হয়েছে ৪৫ কিলোমিটার রাস্তা।শান্তিপুরের  ফুলিয়া তে তৈরি হয়েছে সহায়তা কেন্দ্র। এই সহয়তা কেন্দ্র থেকে তাঁতিদের শাড়ি বিদেশে কিভাবে রপ্তানি করা যেতে পারে তার সমস্ত রকম উদ্যোগ এখান থেকে নেয়া হয়। তাঁতিদের শাড়ি বিক্রির সমস্ত রকম কর্মপদ্ধতি চালু হয় এই সহায়তা কেন্দ্র থেকে। তিনি আরো জানিয়েছেন যে একটা সময়ে খাদির মসলিন তাঁত ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। আমরা সরকারে আসার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় বাংলার মসলিন তাঁত শাড়ি আজ নাম ছড়িয়েছে। কালনা মহকুমার কালনা শহরের কালিপুরে এখানকার মানুষ তাঁত বুনে কদর বাড়িয়েছে মসলিন তাঁত শাড়ির।কোচবিহারের  গঙ্গারামপুর হ্যান্ডলুম উন্নয়ন শিল্প কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের তাঁত শিল্পকে বাঁচাতে তরী এই উন্নয়ন শিল্প কেন্দ্র আজ ব্যাপক উন্নয়নমুখী কাজ করে যাচ্ছে এবং তাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।
তিনি আরো জানিয়েছেন যে এখন এই সকল তাঁতীদের কাছ থেকে তন্তুজ ও তিন বছরের জন্য তাদের উৎপাদিত শাড়ি কিনে নিচ্ছে এর ফলে তাঁতিরা তিনটে বছর নিশ্চিত থাকতে পারবেন তাদের শাড়ি বিক্রির জন্য।
তিনি আরো জানিয়েছেন যে শ্রীরামপুর গ্রামে তাঁত শ্রী  হাট আজ এলাকার মানুষের কাছে রুজি রোজগারের দিশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কালনা মহকুমার  ৩০ হাজার   তাঁতি আজ মনের আনন্দে কাজ করে কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি প্রাণী সম্পদ সম্পর্কে জানিয়েছেন যে রাজ্যে ডিমের উৎপাদন বাড়িয়ে ডিমের চাহিদা পূরণের কাজে যথেষ্ট তৎপর হয়েছে আমাদের দপ্তর। ডিমের চাহিদা পূরণের জন্য আমরা মুরগির বাচ্চা পূরণ করে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে দিয়ে বিতরণ করছি। বর্তমান ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটেছে। টার্গেট এক কোটি ছিল। যা পূরণ করা হয়েছে। দু'কোটি ডিম দরকার। বাকি আছে ৪৫ লক্ষ্।।রাজ্যজুড়ে আমরা এক কোটি মুরগির বাচ্চা বিতরণ করেছি। এছাড়াও প্রাণিসম্পদ কে বাঁচাতে ইতিমধ্যে যথেষ্ট উন্নত প্রযুক্তিগতভাবে পলি ক্লিনিক তৈরি করা হয়েছে।  কথায় বলা যেতে পারে প্রাণিসম্পদ সুপার স্পেশালিস্ট হাসপাতাল। বর্ধমান এবং নবদ্বীপে তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও শালবনিতে প্রজনন কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। ষাঁড়ের  প্রজনন ক্ষমতাকে বাড়িয়ে কাজে লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে প্রাণিসম্পদ পালকরা উপকৃত হচ্ছেন।

দেগঙ্গার চৌরাশী অঞ্চলে খাদ্য সামগ্রী বিলিতে তৃনমূল

ওয়াসিম বারি
  

উত্তর ২৪ পরগণা জেলার দেগঙ্গা থানার চৌরাশী অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৪০০  বেশি গরীব অসহায় পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন দেগঙ্গা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মফিদুল হক সাহাজী (মিন্টু)। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ইমতিয়াজ হোসেন লিয়াকত আলি (সাগর) বিশিষ্ট সমাজ সেবি নাসির হোসেন ও উপপ্রধান সহিদুল ইসলাম সকলের নিজস্ব সহযোগিতায়। উপস্থিত ছিলেন চৌরাশী অঞ্চল তৃনমূল নেতৃত্ব। দুস্থ অসহায় শ্রেণীর মানুষেরা দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কে কাছে পেয়ে অত্যন্ত খুশি এক মহিলা জানান মফিদুল সাহাজী হক তানাদের সর্বদা খেয়ালও খোঁজ রাখেন।

ধনিয়াখালিতে তাঁতিদের পাশে দাঁড়ালেন মন্ত্রী অসীমা পাত্র

সুভাষ মজুমদার

  

লকডাউনের জেরে চরম শোচনীয় অবস্থা ধনিয়াখালীর তাঁত শিল্প।আর এই শিল্পের সাথে যুক্ত কয়েক শো পরিবার রোজগার হীন।তাই ধনিয়াখালীর তন্তুবায় দের পাশে দাঁড়ালেন মন্ত্রী তথা ধনিযাখালীর বিধায়ক অসীমা পাত্র।
ধনিয়াখালী বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে এদিন প্রায় ৬০০ তন্তুবায় দের বিতরণ করা হয় চাল,ডাল শাক সবজি সহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী।
মন্ত্রী বলেন মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় এই কর্মসূচি।ইতি মধ্যেই লকডাউন চলাকালীন ধনিয়াখালী বিধান ৩১১ টি বুথের দুস্থ্য পরিবার গুলি কে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।আগামী দিনেও যতদিন করোনা মোকাবিলায় লকডাউন জারি থাকবে ততদিন দুস্থ্য পরিবার গুলির পাশে থাকবেন এই ভাবেই।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER