জাহাঙ্গীর বাদশা
এবার দিঘায় অনুষ্ঠিত সৈকত উৎসবে একই সঙ্গে সাড়ে ৫ হাজার মহিলা, স্কুল ছাত্রী শাঁখে ফুঁ দিয়ে ভাঙলেন বিশ্ব রেকর্ড। যা লিপিবদ্ধ হল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকে। এর আগে বাহামা দেশে
২০১৪ সালে ২৯৫ জন মহিলা শঙ্খধনীতে নাম তুলেছিলেন গিনেস বুকে। সৈকতের পর্যটনকে আন্তর্জাতিক মর্যাদা দেওয়ার লক্ষ্যে অবিচল রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তাঁর অনুপ্রেরণায় গতি এসেছে দিঘা,মন্দারমণি এবং তাজপুরের পর্যটনে।বাংলার এই পর্যটন সম্ভাবনাকে দেশবিদেশে পৌঁছে দেওয়া লক্ষ্যেই এবার জাঁকজমকপূর্ণ বেঙ্গল বিচ ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। উৎসবের সূচনায় বুধবারই শঙ্খধনী অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিন আবহাওয়া প্ৰতিকূলের কারণে শঙ্খধনী বন্ধ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় শঙ্খধনী। দুপুর থেকেই জেলার বিভিন্নপ্রান্ত থেকে স্কুল- কলেজের ছাত্রীদের সঙ্গে বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা হাতে শাঁখ নিয়ে ভিড় জমাতে শুরু করেন। এরপর বিকেল ৪ টা নাগাদ ওশিয়ানা সৈকতে লালপেড়ে শাড়ি পরেই লাইন ধরে শাঁখে ফুঁ দিতে শুরু করেন মহিলারা। আবহের সুরে সুরে টানা আধাঘন্টা ধরে শঙ্খধনীতে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা সৈকত। যার প্রশংসা করলেন গিনেস বুকের প্রতিনিধিরাও। সাংসদ শিশির অধিকারী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বলেন, শুরু থেকেই দিঘাকে আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্রের মর্যাদা দেওয়ার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের এই শঙ্খধনী অনুষ্ঠান খুবই উল্লেখযোগ্য। আমরা নিশ্চিত এই অনুষ্ঠান গিনেস বুকে লিপিবদ্ধ হবে এবং যা বিশ্বের মানুষের কাছে দিঘার সম্পর্কে নতুন পরিচিতি তৈরি করবে।
posted from Bloggeroid