মোল্লা জসিমউদ্দিন
সুকান্ত ঘোষ
চারিদিকে এত হানাহানি, তারই মাঝে শান্ত বীরভূমের নানুর।বছর এক পূর্বেও কোন নির্বাচন এলে দুই থেকে পাঁচটা লাশ পড়ত এখানে।আর এখন গ্রামবাংলার পঞ্চায়েত ভোটেও একফোঁটা রক্ত ঝড়েনি।কি এমন পরিস্থিতি যে অনুব্রত মন্ডল বনাম কাজল সেখের লড়াই থমকে গেলো।এমনকি নানুরের কাজল সেখ বোলপুরে কেষ্ট মোড়লের পাড়ায় পাকা বাড়ী বানাচ্ছে থাকবার জন্য! হ্যা এইসবের পেছনে রয়েছেন নানুর - লাভপুরের সিআই দেবাশীষ ঘোষের অবদান। দেবাশীষ বাবু ইতিপূর্বে লাভপুর - মহম্মদবাজার - অন্ডাল ( জিআরপি) , হাওড়া (জিআরপি), বোলপুর থানায় পুলিশি দক্ষতা দেখিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন।লাভপুরে ওসি থাকাকালীন ৫২ প্রজাতির আমগাছ থানা চত্বরে লাগিয়ে 'গাছ প্রেমিক' ওসির সুনাম অর্জন করেছিলেন রাজ্যপুলিশ মহলে।নানুরে প্রায় একবছর সিআই পদে এসে কাজল সেখ এবং অনুব্রত মন্ডলের 'দূত' হিসাবে কাজ করে গেছেন এলাকার সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে।সুত্রে প্রকাশ তৃনমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব নানুর এলাকাটি কে তিনভাগে নেতৃত্ব ভাগ করে দিয়েছে।কাজল সেখ - গদাধর হাঁজরা এবং সুব্রত ভট্টাচার্য দের মধ্যে চার থেকে পাঁচটি পঞ্চায়েত দেখভালের জন্য দেওয়া হয়েছে।অসমর্থিত সুত্রে খবর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নানুর থানার ওসি কে এই বার্তা দিয়েছেন প্রায় ছয়মাস পূর্বেই।যাইহোক নানুর সিআই দেবাশীষ ঘোষের সৌজন্যে সূচপুর গণহত্যা খ্যাত নানুরে আজ হিংস্বা হানাহানি নেই, এতে খুশি নানুরবাসি।সেইসাথে সীমান্তবর্তী মঙ্গলকোট - কেতুগ্রাম এলাকার বাসিন্দারাও।