রবিবার, মে ২০, ২০১৮

সুভাষনগড় পাড়ায় তৃনমূলের বিজয় মিছিল

সোমনাথ চক্রবর্তী

ময়নাগুড়ি সুভাষনগর পাড়ার তৃনমূল কংগ্রেস প্রার্থী সজল বিশ্বাস এবারের পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী হওয়ায় রবিবার বিরাট বিজয় মিছিল বের করে সুভাষ নগর পাড়ার ১৬/৭৯ নং বুথ। ব্যান্ড  পার্টি, ঢোল সহকারে এ দিনের বিরাট বিজয় মিছিলে অংশ নেন সমাজের ৮ থেকে ৮০ সকল স্তরের মানুষ।চারিদিকে শুরু হয় আবির খেলা।
সুভাষ নগর পাড়ার বিজয়ী প্রার্থী সজল বিশ্বাস বলেন এই জয় মা মাটি মানুষের জয়।বিগত দিনগুলিতে এলাকায় যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে এবার আরো উন্নতি হবে।এ বারে জেলাপরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতিতে আমরা সবকটি আসনে জয়লাভ করেছি ফলে জনগনের মধ্যে আরো সহজেই উন্নয়নের ধারা পৌছানো সম্ভব হবে।

আক্রান্ত কে দেখতে হাসপাতালে বারাসাত সাংসদ

ওয়াসিম বারি

বারাসত তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি দেবাশিস মিত্র কে নির্বাচনের দিন বিজেপি ও সিপিএম একসাথে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে আক্রমন করে ।  শুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷এই আক্রান্ত দলীও কর্মী কে দেখতে হাসপাতালে যান বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ডঃ কাকলি ঘোষদস্তিদার।

লালবাজারে শুটিং সারলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত

মোল্লা জসিমউদ্দিন

লালবাজারে রবিবাসরীয় শুটিং সারলেন বিখ্যাত অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।আজ সকাল থেকে এক পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় ঋতুপর্ণা কে।

পঞ্চায়েতে বিজেপির জয়ী প্রতিনিধিরা যেমন যাচ্ছেন শাসকশিবিরে, উল্টোটাও ঘটতে পারে

সুকান্ত ঘোষ

পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির একাংশ  জয়ী প্রার্থীরা রাজ্যের উন্নয়নকাজ করতে তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান করে চলেছেন।তবে তৃনমূল ছেড়ে জনপ্রতিনিধিরা বিজেপি মুখো হয়নি।এটা সাময়িক অধ্যায়।আসল দলবদলের খেলা শুরু হবে লোকসভার ভোটের মাসখানেক পূর্বে।যেভাবে রাজশক্তি কে পূর্ণ ব্যবহার করে শাসকদল ভোটে বিরোধীশূন্য করতে নেমেছিল।তাতে অনেক তৃনমূল নেতা - কর্মী বুঝে গেছেন যে, পুলিশ না থাকলে এই ঐতিহাসিক জয় আসতো না।তাই জঙ্গলমহল সহ বেশকিছু জেলায় যে জয় বিজেপি এনেছে।তাতে পরিবর্তনের পরিবর্তন শুরু হয়ে গেছে বলে অনেকেই মানছেন। তাই এইসব নেতা - কর্মী সর্বোপরি জনপ্রতিনিধিরা তলে তলে একদা তৃনমূলের মুকুল দার সাথে যোগাযোগ বাড়াচ্ছেন বলে প্রকাশ।তাই পঞ্চায়েত ভোটে বিজয়ী তৃনমূলদের একাংশ মাস খানেক পরে কি করেন?  তা নিয়েও সিঁদুরে মেঘ দেখছে শীর্ষ তৃনমূল নেতৃত্ব।

শনিবার, মে ১৯, ২০১৮

অবশেষে কর্ণাটক জয় কংগ্রেস - জেডিএস জোটের

টানা দু’দিন সাসপেন্সের পর অবশেষে কর্ণাটক হল কংগ্রেস-জেডিএস জোটের। মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন জেডিএস-এর কুমারস্বামীর।

সকাল থেকেই টানটান উত্তেজনা ছিল আস্থাভোট নিয়ে। এমনকী, সুপ্রিমকোর্টও নির্দেশ দিয়েছিল সরাসরি সম্প্রচারের। তবে আস্থাভোটের আগেই বিধানসভায় আবেগপ্রবণ ভাষণ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন দু’দিনের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। কারন সংখ্যগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পেরা সেই  ১১২ সংখ্যায় পৌঁছতে ব্যর্থ হলেন তাঁরা।কংগ্রেস-জেডিএস জোট প্রথম থেকেই  বলেছিল যে বিজেপির হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিধায়ক নেই। ফলে তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবে না। বরং কং-জেডিএস জোটের হাতে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়ক রয়েছে ১১৬ টি।
এদিন দুপুরের পর থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় সরকার গঠনে পিছিয়ে বিজেপি। কারণ সব বিধায়কদের কংগ্রেস-জেডিএস ধরে রেখেছে। এমনকী নিখোঁজ দুই কংগ্রেস বিধায়কও শেষ বেলায় ফিরে আসেন শিবিরে।

সংগ্রহীত কপি।

জেতার সাফল্য দেখে যেতে পারলেন না তৃনমূল প্রার্থী

ওয়াসিম বারি

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া ১ নম্বর ব্লকের বেড়গুম ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জামতলা এলাকায়  ভোটের দিন সোমবার বিকালে আচমকা বাইক বাহিনীর দুষ্কৃতীদের হাতে আহত হন তৃনমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী বিপ্লব সরকার ।নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর জানা গেছে তিনি ৮১ ভোটে জয়লাভ করেছিলেন,  তৃনমূল কর্মী দের মুখে হাসি ফিরিয়ে দিয়ে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় l এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে শনিবার কার্যত বন্ধের চেহারা নিয়েছে বেড়গুম ১ ও ২ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকা । এলাকার দোকান পাট এদিন সকাল থেকেই ছিল বন্ধ। এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তৃনমূলের পক্ষ থেকে একটি মৌন ও শান্তি মিছিল বের করা হয় । রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে এদিন সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা অবরোধ ও করে তৃনমূলের কর্মীরা।

বনগাঁর সুটিয়া গ্রামে তৃনমূলের সশস্ত্র বিবাদ


ওয়াসিম বারি

তৃনমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবার প্রকাশ্যে আসলো। গোষ্ঠী সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েক জন l গত শুক্রবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ থানার সুটিয়া গ্রামে ।

রাজ্যস্তরের পঞ্চায়েত ফলাফল

ওয়াসিম বারি

রাজ্যের ২০ টি জেলা পরিষদ  বিরোধা শূন্য, ২o টি আসনের মধ্যে সব  কটি আসন এ জয় লাভ করল তৃনমূল কংগ্রেস | এক নজরে ফলাফল __
গ্রাম পঞ্চায়েত ভিত্তিক সর্বদলীও ফলাফল - তৃনমূল কংগ্রেস - ২১১১o , বিজেপি- ৫৭৪৭ , কংগ্রেস - ১০৬২ , সি পিএম - ১৪৭৭ , সিপিআই - ৩৪ , ফঃবঃ -৯৭ , আর এস পি - ১oo , নির্দল - ১৮৩০ l

৬২১ টি জেলা পরিষদের ফলাফল- তৃনমূল কংগ্রেস - ৫৪৪ , বিজেপি - ২২ ,সিপিএম - 00 ,ফঃবঃ - ০১ , কংগ্রেস-০২ , নির্দল- ০২ ৷

পঞ্চায়েত সমিতি _
তৃনমূল কংগ্রেস - ৪৮৮৮ , বিজেপি - ৭৫৬ , কংগ্রেস -১৩১ , সিপিএম-১১১ , সিপিআই- ০১ ,ফঃবঃ- ১২ ,আরএসপি - o৫ , নির্দল-১১৪ .

কৃষকসেতু পত্রিকার সম্পাদক সংবর্ধনা পেলেন

পুলকেশ ভট্টাচার্য

আজ তোড়কনা জগবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এলাকায় সাহসিকতার সঙ্গে  সমাজের বিভিন্ন ধরনের সংবাদ তুলে ধরার জন্য 'কৃষকসেতু' পত্রিকার সম্পাদক কৃষ্ণ কুমার সাহা ও 'পল্লীদামোদর' পত্রিকার সম্পাদক প্রদীপ কুমার মণ্ডল কে সম্বার্ধনা দেওয়া হল। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের তোড়কনা জগবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে রবীন্দ্র নজরুল জয়ন্তী উদযাপন করা হল। উদ্বোধনী সঙ্গীত ও মাল্য দানের অনুষ্ঠানে সূচনা হয়। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এলাকার সাংবাদিক দের সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। সাথে সাথে এলাকার নব নির্বাচিত জেলা পরিষদের সদস্য শিক্ষক বিশ্বনাথ রায় কে সম্বার্ধনা দেওয়া হয়। আজ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী সফিকুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক তপন চক্রবর্তী সহ শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবক অভিভাবিকারা।

শুক্রবার, মে ১৮, ২০১৮

তিন কন্যাশ্রী মেখলিগিঞ্জে জিতে তাক লাগালো

গৌতম সরকার

চ্যাংড়াবান্ধা,জীবনের প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই বাজিমাত করলেন কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ ব্লকের রানীরহাট গ্রামপঞ্চায়েতের তিন কন্যাশ্রী প্ৰার্থী।এই গ্রামপঞ্চায়েতের তিনটি আসনে এবার তৃণমূলের টিকিটে লড়েছিলেন তিন কন্যাশ্রী প্রার্থী সীমা মন্ডল,শান্তনা অধিকারী এবং এবং মমিতা রায়।তারা তিনজনই কন্যাশ্রী প্রাপক।বৃহস্পতিবার বার ফল ঘোষণার পরেই দেখা যায় তিন কন্যাশ্রী প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়ী হন।ফল প্রকাশের পর তার বলেন এই জয় কন্যাশ্রীর জয়।মুখ্য মন্ত্রীর স্বপ্নের এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে তারা নিজেরা যেমন খুশি তেমনি এই প্রকল্প খুবই যথাযথ বলে তারা মনে করেন।মা মাটির মানুষের সরকারের কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা জীবনের প্রথমবারই তৃণমূলের টিকিটে লড়াইয়ে নামেন।মানুষ তাদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছেন।তাই মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করাই তাদের অন্যতম লক্ষ্য বলে জানান।জানাগেছে সীমা ৩৮৫ ভোটের ব্যবধানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্ৰার্থীকে হারিয়েছেন।শান্তনা জয়ী হয়েছেন ৪৫০ ভোটে।অন্যদিকে ২৪২ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন মমিতা রায়।১৩ আসন বিশিষ্ট এই রানীরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতে ১২ টি আসন তৃণমূলের দখলে গিয়েছে।১ টি আসনে বিজেপি জয় পায়।গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধান দুটি পদই তফসিলি মহিলা সংরক্ষিত।তৃনমুল সূত্রের খবরানুযায়ী এই তিন কন্যাশ্রী প্রার্থী এই দুটি পদের জোরালো দাবিদার।তিন কন্যাশ্রী প্রাপকের মধ্যে শান্তনা বিবাহিতা।বাকী দুজন কলেজ পড়ুয়া।অর্থাৎ একজন সংসার সামলে ও বাকি দুজন পড়াশোনা সামলে ভোটের ময়দানে নেমে সফল হয়েছেন।এই সফলতাকে মানুষের জন্য কাজে লাগাতে চায় এই তিন কন্যাশ্রী।তাদের নিকট প্রত্যাশাও রয়েছে অনেকের।এই তিন প্ৰার্থীর জয়ে দারুন খুশি স্থানীয় তৃনমুল কংগ্রেস নেতৃত্বও।দলের রানীরহাট অঞ্চল কমিটির সভাপতি উৎপল রাউৎ বলেন" সত্যিই এই তিন কন্যাশ্রী আমাদের দলের গর্ব।"

স্বরুপনগরে সবুজময় সাফল্য

সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব

স্বরূপনগরব্লকে ১০টি পঞ্চায়েত এর মধ্যে ৯টি, পঞ্চায়েত সমিতির ৩০টি আসনের মধ্যে ২৯টি এবং ১৩,১৪,ও ১৫নং জিলা পরিষদ আসনে তৃনমুল কংগ্রেসের প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়ী হয়.| এককথায় স্বরূপনগর ব্লকে সবুজের উল্লাস চলছে।বিজয়ী প্রার্থীদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন বিডিও বিপ্লব বিশ্বাস সাথে ছিলেন জয়েন্ট বিডিও তাপস কুমার সহ অন্যরা।

বাদুড়িয়া তৃনমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েতি সাফল্য

সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব


বাদুড়িয়া তৃনমুল কংগ্রেসের নেতা ও পৌরসভার পৌরপ্রধান তুষার সিংহের প্রচেষ্ঠায় ৩টি জেলা পরিষদই দখল করল তৃনমুল কংগ্রেস। এরই মধ্যে ১৮নং জেলা পরিষদ আসনে ২১৯৯০ জয়লাভ করলেন প্রার্থী মমতাজ খাতুন।এই প্রথম বাদুড়িয়া তৃনমুল কংগ্রেসের ব্যাপক জয়লাভ হল।তাকে নির্বাচনে জয়লাভের পর শংসাপত্র প্রদান করেন বাদুড়িয়া বিডিও ত্রিভুবন সাহেব৷ সাথে ছিলেন জয়েন্ট বিডিও পার্থ সারথি ঘটক, বিশিষ্ঠ কবি জনাব আমির আলি, বাদুড়িয়া টাউন তৃনমুল যুব কংগ্রেসের সভাপতি গৌতম গুপ্তা, ব্লক সংখ্যালঘু সভাপতি আশিক বিল্লা, ব্লক টি.এম.সির সভাপতি নাজিবুর রহমান সহ অন্যরা ৷

নানুরের কাজল থাকবেন কেষ্টর পাড়ায়, নৈপথ্যে নানুর সিআই?

মোল্লা জসিমউদ্দিন

সুকান্ত ঘোষ

চারিদিকে এত হানাহানি, তারই মাঝে শান্ত বীরভূমের নানুর।বছর এক পূর্বেও কোন নির্বাচন এলে দুই থেকে পাঁচটা লাশ পড়ত এখানে।আর এখন গ্রামবাংলার পঞ্চায়েত ভোটেও একফোঁটা রক্ত ঝড়েনি।কি এমন পরিস্থিতি যে অনুব্রত মন্ডল বনাম কাজল সেখের লড়াই থমকে গেলো।এমনকি নানুরের কাজল সেখ বোলপুরে কেষ্ট মোড়লের  পাড়ায় পাকা বাড়ী বানাচ্ছে থাকবার জন্য!  হ্যা এইসবের পেছনে রয়েছেন নানুর - লাভপুরের সিআই দেবাশীষ ঘোষের অবদান। দেবাশীষ বাবু ইতিপূর্বে লাভপুর - মহম্মদবাজার - অন্ডাল ( জিআরপি) , হাওড়া (জিআরপি), বোলপুর থানায় পুলিশি দক্ষতা দেখিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন।লাভপুরে ওসি থাকাকালীন ৫২ প্রজাতির আমগাছ থানা চত্বরে লাগিয়ে 'গাছ প্রেমিক' ওসির সুনাম অর্জন করেছিলেন রাজ্যপুলিশ মহলে।নানুরে প্রায় একবছর সিআই পদে এসে কাজল সেখ এবং অনুব্রত মন্ডলের 'দূত' হিসাবে কাজ করে গেছেন এলাকার সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে।সুত্রে প্রকাশ তৃনমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব নানুর এলাকাটি কে তিনভাগে নেতৃত্ব ভাগ করে দিয়েছে।কাজল সেখ - গদাধর হাঁজরা এবং সুব্রত ভট্টাচার্য দের মধ্যে চার থেকে পাঁচটি পঞ্চায়েত দেখভালের জন্য দেওয়া হয়েছে।অসমর্থিত সুত্রে খবর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নানুর থানার ওসি কে এই বার্তা দিয়েছেন প্রায় ছয়মাস পূর্বেই।যাইহোক নানুর সিআই দেবাশীষ ঘোষের সৌজন্যে সূচপুর গণহত্যা খ্যাত নানুরে আজ হিংস্বা হানাহানি নেই, এতে খুশি নানুরবাসি।সেইসাথে সীমান্তবর্তী মঙ্গলকোট - কেতুগ্রাম এলাকার বাসিন্দারাও।

গাইঘাটা ব্লকে ভোটের রায়

ওয়াসিম বারি

গাইঘাট ব্লকের পঞ্চায়েত ভিত্তিক ফলাফল |

1) সুটিয়া পঞ্চায়েত ।মোট আসন-25. TMC-13. BJP-12.  2)ধর্মপুর-(2)মোট আসন-16-- BJP-8. TMC-6. ND-2. 3)জ লেশ্বর -(1) মোট আসন-14. TMC--6. BJP--6. ND--2.  4)রামনগর- মোট-18. TMC--15. . BJP--2., , Cong-1.  5)ঝাউডাঙ্গা-- মোট--18. TMC-17. BJP--1.   6)ইছাপুর-(2) মোট- আসন-18. TMC-10. BJP-7. ND-1.  7)শিমুলপুর- মোট আসন-20.  TMC--13. BJP--7. , 8)ধর্মপুর -(1) মোট আসন--15. TMC--8. BJP--3. বিজেপি সমর্থিত নির্দল--4. 9)ফুলসরা- মোট আসন--19. TMC--11. BJP--6.   ND-2.  10) জলেশ্বর --(2) মোট আসন--14.  TMC-11. BJP-2.  নির্দল-1. 11)ডুমা-মোট- আসন-24. TMC-14. BJP-10. 12)চাঁদপাড়া,  মোট-26. TMC-17. BJP-6. CPM-2, নির্দল-1. -13)হছাপুর (1) মোট আসন-14.  TMC-10. BJP-3. CPM-1.

বাগদার পঞ্চায়েত ফল

ওয়াসিম বারি

বাগদা ব্লক এর পঞ্চায়েত ভিত্তিক ফলাফল |

রনঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত (24)               TMC -11 ,BJP -9 ,ND-1, CPM-3
বাগদা গ্রাম পঞ্চায়েত (21)           TMC -16 ,ND-2,BJP -2 ,CON -1
হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েত     (17)        TMC-12   ,BJP-5
বায়রা গ্রাম পঞ্চায়েত -(22)         TMC -18 ,BJP -3 ,ND-1
সিন্দ্রানী গ্রাম পঞ্চায়েত (26)           TMC -11 ,BJP -13,ND-2
কোনিয়ারা ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত -(15)                          BJP -9 ,TMC -3,CONG -1 ,CPM -1
অষারু গ্রাম পঞ্চায়েত -(24)            TMC -14,BJP -5 ,CPM-4,ND-1

বৃহস্পতিবার, মে ১৭, ২০১৮

জামিনে মুক্ত ছেলে কে আনতে গিয়ে পথের বলি বাবা

শ্যামল রায়

 
জামিনে মুক্তি পাওয়া ছেলেকে জেল থেকে বাড়ি আনতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল বাবার। মৃতের নাম লুতফর বিশ্বাস (৪৮)। বাড়ি নদিয়ার চাপড়ায়। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কৃষ্ণনগরে। বধূ নির্যাতনের অভিযোগে জেল হেপাজতে ছিল লুতফরের ছেলে বাদশা বিশ্বাস। বুধবার সে জামিনে মুক্তি পায়। তাকে বাড়ি আনতে গিয়ে বাস থেকে পড়ে মৃত্যু হয় লুতফর বিশ্বাসের।
বধূ নির্যাতনের অভিযোগে বাদশা বিশ্বাস(২৫)-কে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ১৪ দিন জেল খাটার পরে  তার জামিন মঞ্জুর হয়। ছেলেকে বাড়ি আনতে কৃষ্ণনগর গিয়েছিলেন লুতফর। ছেলেকে নিয়ে কৃষ্ণনগর থেকে চাপড়াগামী বাসে উঠতে যাওয়ার সময় বাস থেকে পড়ে যান তিনি। মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যায় কৃষ্ণনগর থানার পুলিশ। তাঁরা মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
অন্যদিকে লরির ধাক্কায় এক সাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে,তার নাম সুধাংশু দেবনাথ(৩৫)। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে তাহেরপুর থানার বাদকুল্লা ধানহাট এলাকায়। তার বাড়ি ওই থানার ভাদুড়ি তেতুলতলা এলাকায়। মৃতদেহ রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, লরিটি আটক করা হয়েছে। ঘটনার পর লরির চালক পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।     

ভাতারে নির্দলরা উড়ে গেল তৃনমূলের তুফানে

সুদিন মন্ডল

ভাতার এর 14টি গ্রাম পঞ্চায়েত এর 14টিতেই জয়লাভ করলো তৃণমূল কংগ্রেস।  90%এরও বেশী আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল প্রার্থীরা।  ভাতার,বলগোনা, বামুনারা, আমারুন সব জায়গাতেই তৃনমূল প্রার্থীদের জয়জয়কার।  পাশাপাশি 38টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনের 37টি ও 3টি জেলা পরিষদ আসনের সবকটিতেই জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস।

জামুড়িয়া বিরোধীশুন্য করল তৃনমূল

মোহন সিং

জামুড়িয়ার 23 গ্রাম পঞ্চায়েতে তে 23 টি তে জয় লাভ টিএমসির। বিরোধী শূন্য হল এই পঞ্চায়েত।

'গুপ্ত বারানসী'তে চলছে যোগাদ্যার পুজো


শ্যামল রায়

মঙ্গলকোটের ক্ষীরোগ্রামে আজও যোগ্যদ‍্যা দেবীর পুজো ঘিরে নানান ধরনের কথা প্রচলিত আছে। তবুও নিষ্ঠা সহকারে যোগাদ‍্যাকে পুজো করে থাকেন থান্ডার পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয় বাসিন্দারা।পুজো শুরু হয়েছে চলবে সাতদিন ধরে।তবে যোগাদ্যা দেবী রক্ত পান করে জলে যান।এই রীতি আজও বিদ্যমান।
জানা গিয়েছে যে প্রসিদ্ধ সতীপীঠ এটি একটি।
দেবীর ডান পায়ের বুড়ো আঙুল পড়েছিল এই খীরো  গ্রামে। ভৈরব খীরে শ্বর বা খীরো কণ্ঠ নামে পরিচিত আছে আজও।বৈশাখী সংক্রান্তির দিন থেকে সাতদিন বিশেষ পুজোর মধ্যে দিয়ে দেবীর আরাধনা শুরু হয়।
দেবীর কষ্টি পাথরে খোদিত সিংহবাহিনী মহিষাসুরমর্দিনী দশভূজা শিলা মুর্তি এটি।
মহিষ ছাগ ও মোষ বলি হয় এই পুজোয়।
নিত্যসেবিতা। আরো জানা গিয়েছে যে বছরের অন্য সময় দেবী জলের তলায় থাকে। কথিত যে কৃত্তিবাসী রামায়ণে লিখিত যোগাদ্যা আসলে পাতালপুরীর মহিরাবন সেবিত দেবী ভদ্রকালী। হনুমান মহিরাবন বধ হবার পর দেবীকে এখানে নিয়ে আসেন। কৃত্তিবাস এই স্থানটিকে গুপ্ত বারানসি বলেও আখ্যা দিয়েছেন। মা যোগাদ্যা নির্মাণ করেছিলেন প্রখ্যাত ভাস্কর দাঁইহাটের নবীনচন্দ্র যিনি দক্ষিণেশ্বরের কালীমন্দির ভবতারিণী দেবী নির্মাণ করেছিলেন নির্মাণকাল খুব সম্ভবত উনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধের সময়টাকে ধরে নেয়া যেতে পারে।এই পুজো ঘিরে বহু ভক্তের সমাগম হচ্ছে প্রতিদিন।পুজোর দিনে দেবী যোগ্যতাকে রক্ত পান করাতে হয়।। রাতের দিকে পরিবারের কোন সদস্য বুক চিরে রক্তদান এই দেবীকে।
এইরকম রীতি বছরের পর বছর ধরে বংশানুক্রমে পালন করে আসছেন থান্ডার পরিবার।
পরিবারের সদস্য পঞ্চানন থান্ডার, সাগর বালাথান্ডার
জানিয়েছেন যে যোগাদ্যা মন্দিরের গর্ভগৃহে মন্ত্রপূত খাড়া দিয়ে বুক চিরে রক্ত দেওয়ার রীতি  আজও আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।রক্তপানের সময় মন্দিরে ব্রাহ্মণদের প্রবেশ নিষেধ শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যরাই থাকতে পারেন।এই পুজোর  সম্পর্কে জানা গিয়েছে যে থান্ডার পরিবারের কোন সদস্য জল থেকে তুলে এনে যোগ্যতা দেবী কে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তবে পুজো ঘিরে নানান রকম বিতর্কমূলক কথাও আছে।জানা গিয়েছে যে কাল আগে যোগ্যদ‍্যার এই প্রস্তর মূর্তিটি নিয়ে লড়াই বাদে অন্তজ ঠান্ডার পরিবারের সঙ্গে গ্রামের ব্রাহ্মণদের। জিতে যান ব্রাহ্মণরা।  আজও ধরে রেখেছে  ডোম চুয়াড়ি খেলা নামে এই রীতি আর দেবী দুর্গার অন্যরূপ যোগাদ্যা পূজাকে কেন্দ্র করে সপ্তাহব্যাপী মেলা হয়। এই মেলাকে ঘিরে যাত্রা বাউল সহ বিভিন্ন লোকসংস্কৃতির জমজমাট আসর বসে পুজো প্রাঙ্গণে।আরো জানা গিয়েছে যে এই পুজোয় এক সময়ে নরবলির রেওয়াজ চালু থাকলেও বর্তমানে বন্ধ।এখন প্রতিবছর একটি করে মহিষ ও শতাধিক ছাগল বলি দেওয়ার রীতি প্রচলিত আছে।
বহুমূল্য কষ্টিপাথরের যোগাদ্যা দেবীর মহিষাসুরমর্দিনী মূর্তিটি গ্রামের প্রান্তেখীরদীঘি  নামে একটি জলাশয় বছর ভর ডোবানো থাকে।পুজোর দিন মূর্তিটি জল থেকে তুলে মন্দিরে এনে দিনভর পুজো করে ফের মূর্তিটি জলে ডোবানো হয়।আরো জানা গিয়েছে যে আদি মূর্তিটি একসময় ভেঙে গিয়েছিল তারপর নতুন করে কষ্টিপাথর দিয়ে মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে। তবে কথিত সতীর দেহত্যাগের পর তার ডান পায়ের বুড়ো আঙুল বিষ্ণু চক্রে ছিন্ন হয়ে এই মঙ্গলকোটের  এসে পড়েছিল।সতীপীঠ ও যোগ্যতা মূর্তি ও মন্দির দেখতে সারাবছর বহু দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটক এখানে আসেন।কাটোয়া থেকে বা বর্ধমান থেকে মঙ্গলকোটের এই যোগ্যদ‍্যা মন্দিরে আসা যায়। পুজো ঘিরে বসেছে মেলা।

সিদ্দিকুল্লাহ কে জব্দ করতেই কি বিজেপির পথে বরকতি

মোল্লা জসিমউদ্দিন

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পূর্বাভাষ যে, টিপু সুলতান মসজিদের একদা ইমাম বরকতি সাহেব বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন।পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রস্তাবিত বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের কলকাতা সফরে এহেন যোগদান নির্ধারিত ছিল।তবে অমিত শাহ না আসায়, তা ঘটেনি।যাইহোক এই হিন্দিভাষী সংখ্যালঘু নেতা বিজেপিতে ঢুকবেন, এটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।ইতিপূর্বে জমিয়ত উলেমা হিন্দের রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এই ইমামসাহেবের গাড়ীতে লালবাতি লাগানো কান্ডে প্রায়শ বলতেন " বরকতি আরএসএসের লোক"। এখন দেখার বরকতি সাহেবের বিজেপির আনুষ্ঠানিক যোগ কখন? তবে যাইহোক তিনি যে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে রাজনৈতিকভাবে জব্ধ করতে রাজনীতির মাঠে নামছেন।এটা মানছেন রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহল।একদা মুখ্যমন্ত্রীর অতি ঘনিষ্ঠ এই ইমামসাহেব বিভিন্ন পরবের নামাজ শেষে তৃনমূল নেত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করতেন।কিছু মন্তব্য আবার সারাদেশব্যপী বিতর্ক এনে দিত।দেশের ইতিহাসে টিপু সুলতান একজন আত্মত্যাগী বৃটিশ বিরোধী রাজা,  তাই তাঁর নামাঙ্কিত মসজিদের ইমাম পদে থেকে মিডিয়ায় প্রচার পেতেন ভালোই।সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে গাড়ীতে লালবাতি লাগানো নির্দেশিকায় জেদের জন্য দুরত্ব বাড়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে।অনড় বরকতি কে তৃনমূলের কলকাতা কেন্দ্রিক নেতা - মন্ত্রীরা বোঝাতে গেলেও বিফল হন তাঁরা।এর পরেই আসরে নামেন জমিয়ত উলেমা হিন্দের রাজ্যসভাপতি সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।  মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই নাকি সিদ্দিকুল্লাহ হাজার খানেক সমর্থকদের নিয়ে টিপু সুলতান মসজিদের সামনে রণংদেহী সভা চালান।এরপরেই ইমাম পদ যায় বরকতির।সেইসাথে গাড়ীতে থাকা লালবাতিও।আর এখান থেকেই সিদ্দিকুল্লাহের সাথে শত্রুতা বাড়ে বরকতির।এখন প্রশ্ন তিনি কিভাবে জব্ধ করবেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে?  বাংলার রাজনীতিতে তৃনমূলের অন্যতম প্রতিপক্ষ হিসাবে চলতি পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পেশে বিজেপি তাদের অস্তিত্ব দিয়েছে।সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তৃনমূল অপেক্ষা বিজেপির প্লাটফর্ম বহুগুণ বড়।ত্রিশভাগ সংখ্যালঘু ভোট বাংলার ভোটের রাজনীতিতে ক্ষমতাবদলের নির্ণায়ক ভুমিকা নেয়।ইতিমধ্যে হাজারের কাছে সংখ্যালঘু প্রার্থী করে বিজেপি বাংলা দখলের রণনীতি গড়ছে।এক্ষেত্রে বরকতি কে বিজেপির যেমন লাভ রয়েছে, অপরদিকে রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জন করে সিদ্দিকুল্লাহ কে জব্ধ করার পথ সুগম হবে বরকতির।এই মুহুত্যে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী তৃনমূলের রাজনীতির অন্দরে জায়গা নড়বড়ে। মন্ত্রিত্ব পেলেও পঞ্চায়েত ভোটে তাঁর অনুগামী যেমন নন্দীগ্রাম - মঙ্গলকোটে তৃনমূলের প্রতীক তো দূর অস্ত, মনোনয়নের ফর্ম তুলতে পারেনি।তৃনমূল এবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারেও সিদ্দিকুল্লাহ কে ব্রাত্য করে রেখেছে।এছাড়া ভোটের আগে কাটোয়ায় পঞ্চায়েতি সম্মেলনে সিদ্দিকুল্লাহের দেখা মেলেনি।বাংলায় কলকাতার দু তিনটি বিধানসভা এলাকা বরাবরই হিন্দিভাষী মুসলিম অধ্যুষিত। তবে পশ্চিম বর্ধমান সহ উত্তরবঙ্গের নানান সীমান্ত এলাকা ( বিহার - ঝাড়খণ্ড) জুড়ে হিন্দিভাষী মুসলিমদের প্রভাব বাড়ছে।তাই বরকতির মত একজন চেনাজানা ধর্মীয় নেতা কে পেলে বিজেপির সংখ্যালঘু মুখ পরিচিতি থাকবেই।আসন্ন লোকসভা ভোটে একদা মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ  বরকতির বিজেপির অন্দরে কদর যে বাড়বে, সেটা অনেকেই নিশ্চিত। এক্ষেত্রে তৃনমূলের মূল রাজনীতিতে গুরুত্বহীন সিদ্দিকুল্লাহ কে জব্দ করতে সুবিধা হবে বরকতির।টিপু সুলতান মসজিদের দীর্ঘদিন ধরে ইমাম পদে থেকে যে পরিচিতি পেয়েছেন বরকতি এবং বিভিন্ন পরবে নামাজপাঠ শেষে যে বক্তব্য পেশ করতেন তৃনমূলের পক্ষে।তাতে এহেন একদা তৃনমূল ঘনিষ্ঠ ইমাম সাহেব বিজেপিতে যোগদান করলে বাংলার সংখ্যালঘুদের নিয়ে রাজনীতিতে পারদ ক্রমশ বাড়বে। আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও বরকতি সাহেব বিজেপিতে যাননি।তবে মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্য জমিয়ত উলেমা হিন্দের সভাপতি সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন - তৃনমূলের ফাঁদে পড়ে গাড়ীতে লালবাতি লাগানো নিয়ে বরকতির বিরুদ্ধে সামনাসামনি আন্দ্রোলন চালানো ঠিক হয়নি।উল্লেখ্য সিদ্দিকুল্লাহ বরকতির লালবাতি নিয়ে সরব হলেও তিনি নিজেও লালবাতি লাগাতেন।পরে অবশ্য খুলে দেন লালবাতি গাড়ী থেকে।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER