রবিবার, মে ০৩, ২০২০

আটাঘরে রমজান সামগ্রী বিলিতে কর্মাধ্যক্ষ

সেখ জাহির আব্বাস

  

     বর্ধমান-২ ব্লকের আটাঘরে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে রবিবার জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ মেহবুব মণ্ডলের সহায়তায় প্রায় ২০০ জন মানুষের হাতে ইফতার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।এছাড়া,তফসিলি জাতি, উপজাতি মানুষের মধ্যেও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক, ব্লক সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি সেখ জাহাঙ্গীর, বুথ সভাপতি নজরুল মণ্ডল ও যুব নেতা মিরাজ মন্ডল প্রমুখ।এলাকার মানুষ ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী  পেয়ে খুশি। নিশীথবাবু করোনা নিয়ে সতর্ক করতে বলেন, এই সময় সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাই একমাত্র ঔষধ। যে যেমন ভাবে পারবেন রাজনীতি ভুলে এক হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ান। মেহবুব বাবু জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় লক ডাউনের এই  কঠিন সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতেই এই উদ্যোগ। সরকারি নির্দেশিকা মেনেই আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। রমজান মাসে  মুসলিম সম্প্রদায় সরকারি বিধি মেনেই রোজা ব্রত পালন করছেন বলে তিনি দাবি করেন।
           

আযমার লেখা চিঠি - রুনু ভট্টাচার্য

আযমার লেখা চিঠি                  
            রুনু ভট্টাচার্য
 


   আমার প্রিয় পারিজাত,
 কেমন আছো ? সেবার কাঠমান্ডুতে তোমাকে নিয়ে কিছু দিন খুব আনন্দে কাটিয়েছি। আসার সময় তুমি বলেছিলে চিঠি লিখতে। তাই আজ লিখতে বসেছি...... তোমার কথা ভীষণ মনে পড়ে।তোমার ও কি মনে পড়ে আমাকে? তোমার সাথে অনেক গল্প তো হয় কিন্তু মন বলে আর ও করি জানি না, কেন ?  তোমাকে এত ভালবাসি।অবশ্য তুমিও যে ভালবাসার মতই, তাই তো তুমি স্বৰ্গীয়। তোমার কাছে কিছু প্রশ্ন আছে আমার। অমৃতের সন্ধানে দেবতা ও অসুররা মন্দার পর্বতকে মন্থনদন্ত হিসাবে ব্যবহার করে সমুদ্র থেকে তুলে এনেছিল একের পরে এক আশ্চর্য সব বস্তু।সেই মন্থনে উদ্ভাসিত হয়ে ছিল লক্ষ্মীদেবী, ঐরাবত হস্তী,উচ্চৈ‍‍শ্রবা অশ্ব, অপ্সরাকুল,কামধেনু, চন্দ্র ইত্যাদি,এবং অব‌‌শ্যই হলাহল বিষ ও অমৃত। এ সব ছাড়াও সেই মন্থনে উঠে এসেছিল এক আশ্চর্য বৃক্ষ, যার নাম পারিজাত। ইন্দ্রের নন্দন কাননের প্রধান গাছটিই হলো পারিজাত,এমন কথা হিন্দু পূরাণে গভীর বিশ্বাসের সঙ্গে উল্লিখিত।স্বর্গের ইন্দ্র মহারাজ আর মর্তের কৃষ্ণ ভগবান নাকি জোর করেই পারিজাত তোমাকে মর্তে আনেন........সত্যিই কি তাই !!  তুমি চিঠি লিখে আমাকে বলো, অনেক ভালো থেকো আমি আবার আসবো। 
              ইতি 
                    রিসোনা।

রেশন নিয়ে অশান্তি নন্দীগ্রামে

জুলফিকার আলি
  

রেশন নিয়ে বিক্ষোভের জেরে ধুন্ধুমার নন্দীগ্রামে। রেশন ডিলারের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ। 
নন্দীগ্রামের সাঁইবাড়ি এলাকার রেশন ডিলার তপন সাহুর বিরুদ্ধ্যে অভিযোগ, তিনি দীর্ঘদিন ধরে রেধনে বরাদ্দের কম চাল, চিনি, গম দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু লকডাউনের সময় প্রাপ্য রেশনের কম দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। আর সেই অভিযোগে রেশন দোকানে সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। এমনকি রেশন ডিলারের মোটরবাইকও ভেঙে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। পরে নন্দীগ্রাম থানার বিশাল পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

দুস্থ সাংবাদিকদের পাশে সর্বভারতীয় এই সাংবাদিক সংগঠন

জুলফিকার আলি
    


ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এন্ড অল এডিটর অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় সরদার দুস্থ সাংবাদিক  ও হতদরিদ্র পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন।


ছোটবেলা থেকে গুরুজনের কাছে শিখেছিল মানব সেবাই পরম ধর্ম। মানুষের জন্য তিনি আজ সমাজে কলম ধরেছে সমাজ সংস্কারের করার জন্য।স্বয়ং ঈশ্বর তাকে দিয়ে যা করায় তিনি তাই করে স্বামী বিবেকানন্দর কথামতো একথা তার মুখ থেকে প্রকাশ পায়। তিনি আর কেউ নয়, ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এন্ড অল এডিটর অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় সরদার।যত দিন যাচ্ছে ততই তিনি চিন্তায় মগ্ন হয়ে পড়ছে,এই লকডাউন এর সময় কিভাবে মানুষের অনাহারের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়, তার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রায় এক মাস ধরে ।নিজের দুবেলা-দুমুঠো অন্নসংস্থান করার মতন পরিস্থিতি নেই তবুও আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সাংবাদিক পরিবার সহ অসহায় পরিবারের জন্য।মুর্শিদাবাদের ১৫ টি সাংবাদিক পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি , সম্পূর্ণরূপে সহযোগিতা করেছিলেন প্রাক্তন পুলিশ সুপার অজিত সিং যাদব ও অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় সভাপতি বাশিরুল হক মহাশয়। এবারের তানার পাশে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে এলেন মেহেরপুর দিশারী রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির কর্ণধর বিপ্লব হালদার মহাশয়। তবে মৃত্যুঞ্জয় সরদার
 একজন সৎ ও সুহৃদয় ব্যক্তি মানুষের পাশে এই দুর্দিনে দাঁড়াতে পেরে তিনি নিজেকে ধন্য মনে করছে।মানুষের কাছে হাত পেতে নিয়ে, অন্য হাতে মানুষের সেবা করা তার পরম ধর্ম। ছোটবেলা থেকে এ কাজটি তিনি নিষ্ঠার সাথে করে চলেছে।তাই অসহায় মানুষের কথা তিনি একটু না হলো বেদনা সহিত ভাবতে শুরু করেছে। সোসাইটির কর্ণধর বিপ্লব হালদার কে অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন মৃত্যুঞ্জয় সদ্দার ও অ্যাসোসিয়েশনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা।যেভাবে রাজ্যজুড়ে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ঘরবন্দী সকলে। কলকারখানা, যানবাহন, দোকানপাট, হোটেল, বাজার  সমস্ত কিছু একেবারেই বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের একেবারে করুন অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে দীন দরিদ্র মানুষ এক বেলা খেতে পেলে অপরবেলা কি খাবে তা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এবার এগিয়ে এলো ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এন্ড অল এডিটরস অ্যাসোসিয়েশন জাতীয় সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় সরদার । তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক চন্দ্রশেখর সরকার। কয়েকদিন যাবত দু একজন সাংবাদিক পরিবারসহ সাধারণ অসহায় মানুষ গুলোকে আমঝারা, সোনারপুর, হেদিয়া  প্রায় ৪০ জনের হাতে চাল, ডাল, আলু, সোয়াবিন, - সহ নানা রেশন সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় অ্যাসোসিয়েশন ও সোসাইটির তরফ থেকে । পাশাপাশি স্থানীয় এলাকার বেশকিছু অসহায় ভবঘুরেদের কথা মাথায় রেখে সংগঠনের জন্য এগিয়ে আসতে চাইছে দিশারি স্কুল এডুকেশন শিক্ষক অনুপ আচার্য মহাশয়।    সরকারি নিয়ম মেনে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী হাতে স্যানিটাইজার ও  মুখে মাক্স পরে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এদিন খাদ‍্য সামগ্রী বিলি করা হয় পাড়ায় ঘুরে ঘুরে।  লকডাউন না ওঠা পর্যন্ত তাঁদের এভাবে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া চলবে।তবে সমাজের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের এভাবে এগিয়ে আসা উচিত।"  কিন্তু  গ্রামের এই সমস্ত মানুষের কাছে মৃত্যুঞ্জয় সরদাররের  মানবিক উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয় বলে মনে করছেন, স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা। উপস্থিত ছিলেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি সহ ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এন্ড অল এডিটর এসোসিয়েশনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ  প্রমুখ।

করোনা মোকাবিলায় অনুদান মারিশদা সপ্তর্ষি ক্লাবের

জুলফিকার আলি
  
মূখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান মারিশদা সপ্তর্ষি ক্লাবের। পূর্ব মেদিনীপুর।
করোনা ভাইরাসের মহামারীতে সারা পৃথিবীর সঙ্গে ভারতবর্ষ ও আমাদের রাজ্য পশ্চিমবাংলাও বিপর্যস্ত। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপের দিকে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষকে ত্রাণ তহবিলে দান করার জন্যআহ্বান জানিয়েছেন। মাননীয়া মূখ্যমন্ত্রীর  আহ্বানে আজ   "মারিশদা সপ্তর্ষি ক্লাবের পক্ষ থেকে  ১০,৫০০টাক(দশহাজার পাঁচশত টাকা)মাত্র চেক প্রদান করা হয়।

করোনায় কাজ করে চলেছে কাঁকসা পুলিশ

সেখ নিজাম আলম  
দেশ  ও জাতীয় জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করা পুলিশ প্রশাসনের নিয়মিত দায়িত্ব কর্তব্য কাজ হলেও দেশ জুড়ে দু দফার লক ডাউনে রাজ্য এবং জেলা পুলিশের পাশাপাশি কাঁকসা থানা পুলিশ প্রশাসনেরও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এলাকার মানুষের নজরে এসেছে। 
"বিশ্বত্রাস" মারণ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আক্রমণ থেকে বাঁচতে জন সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচার প্রসারের লক্ষ্যে কাঁকসার মত বিশাল এলাকায় সামাজিক শারিরীক দূরত্ব রক্ষার পাশাপাশি এলাকার ভবঘুরে, দূর্বল- অসহায় - অসুস্থ মানুষদের ত্রাণ বিলি,খাদ্য সামগ্রী, ঔষধ-পথ্য পৌছানো প্রশংসার দাবি রাখে। প্রয়োজনে এলাকায় ব্যারিকেট করে অবাধ্য যুব সমাজকে বাগে আনতে লাঠি উঁচিয়ে শাসন -ভীতি প্রদর্শন করার দৃশ্যও নজর এড়ায়নি। তবে স্নেহ মিশ্রিত শাসনে পুলিশের মানবিক রূপও মানুষের চোখে পড়ে। লক ডাউন অবস্থায় এলাকায় শান্তি সংহতি সম্প্রীতি রক্ষার্থে প্রশাসনের স্নেহ শাসনের "কঠোর-কোমল" চরিত্র রূপও এলাকার মানুষ দেখেছে। লক ডাউনের মত জটিল পরিস্থিতিতে এক শ্রেণির মানুষ যারা মাসে একবার ৫-৭ কেজি সরকারি ত্রাণ (খাদ্য সামগ্রী) পেলেও প্রয়োজনে কারো কাছে হাত পাততে পারে না। সংকোচে দ্বিধায় পারিবারিক সম্মানে প্রকাশ্যে (ভিক্ষা) দান গ্রহণ করতে পারে না। যাদের কোন (পূর্ব থেকে) আর্থিক সংস্থান থাকে না,সেভাবে বেসরকারিও কোন "ত্রাণ রসদ " সামগ্রী পায় না। এলাকার নেতানেত্রীদের নজরে পড়ে না " প্রদীপের নীচে অন্ধকার " এমন মানুষের উত্তরণের কথা কারা ভাববে?

ধনিয়াখালিতে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য রক্তদান

সুভাষ মজুমদার
   

হুগলীর ধনিয়াখালি থানার অন্তর্গত গোপীনাথপুর ১অঞ্চলের অধীন  ধরমপুর এলাকায় থ্যালাসেমিয়া রোগী থেকে বহু সাধারণ মানুষ যেভাবে রক্ত সংকটে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে,এমনকি ব্লাড ব্যাংকে  রক্ত নেই বললেই চলে, সেই কথাকে  হাতিয়ার করে  আজ   ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী হেলথ মিশনের পক্ষ থেকে হুগলি জেলা কমিটির উদ্যোগে এক স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির আয়োজন করা হয়,যেখানে  ৫০ জন রক্তদাতা রক্তদান করেছেন ৷ এই উদ্যোগকে সবাই সাধুবাদ জানিয়েছেন, উক্ত মহতী কাজে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সহ-সভাপতি অমিত ক্ষেত্রপাল সহ কমিটির বিভিন্ন কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ৷

দুনিয়া আছে জুড়ে - কাজী একরাম আলী

।।দুনিয়া আছে জুড়ে।।
কাজী একরাম আলী
  

দুনিয়া আছে জুড়ে, 
একটার সাথে আর একটা ঘরে। 
উৎপাদিত প্রতিটি কম্পন সারা বিশ্ব ঘোরে। 
তোমার মায়া মমতা ভালোবাসার কম্পন,  
আমার হিংসা ঘৃণা অহঙ্কারের কম্পন। 
প্রতিটি কম্পনেই মানুষ কম্পিত হয়, 
কেউ তোমার কেউ আমার তরে ।

শনিবার, মে ০২, ২০২০

লকডাউনে নবদ্বীপে সাংবাদিক আক্রান্ত ঘিরে চাঞ্চল্য

শ্যামল রায়
  
করোনাভাইরাস এর জেরে দ্বিতীয় দফায় চলছে সারা দেশজুড়ে লকডাউন। লকডাউন চলাকালীন সরকারের তরফ থেকে যেমন সাহায্যের হাত বাড়ানো হয়েছে তেমনি বিভিন্ন সংস্থা ও এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে চলছে ত্রাণ বিতরণ । কিন্তু ত্রাণ বিতরণ নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই । কিন্তু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকরা যেভাবে নিয়মিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এটা এই সময়ের মধ্যে চ্যালেঞ্জের বিষয় । জীবনকে বাজি রেখে বিভিন্ন জায়গায় ছুটে বেড়াচ্ছেন সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহের জন্য । কিন্তু লকডাউন ভঙ্গ করে বিভিন্ন জায়গায় লোক জমায়েত করে ত্রাণ সামগ্রী দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে । সাংবাদিকদের কাজ সত্যতা খুঁজে নেওয়া এবং পুলিশ ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করবার জন্য খবর খুঁজে নেওয়া । আর সেই কাজটি করতে বের হয়েছিলেন নবদ্বীপের একটি স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদক এবং সাংবাদিক হিমাঙ্কর ভট্টাচার্য । কিন্তু লক ডাউন এর নিয়ম সম্পর্কে জানার জন্য প্রশ্ন করতেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছিলেন ওই জনৈক ব্যাক্তি । একজন সাংবাদিককে যেভাবে তার সাথে আচরণ করা হয়েছে ভাষায় বলা কঠিন । বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সাংবাদিককে নানান ধরনের কায়দায় হেনস্তা এবং হুমকি যেন নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়াচ্ছে । অনেকেই বলছেন সাংবাদিকরাই সাংবাদিকের শত্রু । অনেকে রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় ঘুরে বেড়ান আসল সত্যতা খুঁজে বের করে প্রকাশ করার ক্ষমতা রাখেন না । সাংবাদিক হিমাঙ্কর ভট্টাচার্য সত্য সংবাদ প্রকাশের জন্য বের হয়েছিলেন । নবদ্বীপের বিশিষ্ট চিকিৎসক দিলীপ চৌধুরীর নার্সিংহোমে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার কাজ চলছিল লকডাউন উপেক্ষা করে । সত্য কথা জিজ্ঞাসা করতেই তার উপর আক্রমণ । ওই চিকিৎসক দিলীপ চৌধুরী এবং তার ছেলের বিরুদ্ধে  লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নবদ্দীপ থানায় সাংবাদিক হিমাঙ্ক ভট্টাচার্য ।
হিমাঙ্কর ভট্টাচার্য্য শনিবার জানালেন লকডাউনের মধ্যে ত্রাণ দেওয়ার নামে হাজারও মানুষের জমায়েত করেছিলেন নবদ্বীপের এক চিকিৎসক। সে কথা মনে করতেই স্থানীয় এক পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিক কে চরম হেনস্থার শিকার হতে হয়। 
আরো জানা গিয়েছে যে এই ঘটনার কথা জানতে পেরে শহরের সমস্ত সাংবাদিক ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ঘটনায় ওই চিকিৎসকের নামে  নবদ্বীপ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন হেনস্থার শিকার হওয়া ওই সাংবাদিক। লক ডাউনকে উপেক্ষা করে সামাজিক দূরত্বের নিয়মকে কোনও রকম তোয়াক্কা না করেই নবদ্বীপের এক চিকিৎসক দিলীপ চৌধুরী ত্রান বিতরণ করেন নবদ্বীপ দেয়াড়া পাড়া এলাকায়। অভিযোগ, সেই সময় ত্রান বিতরণ কেন্দ্রের সামনে কয়েক হাজার মানুষের ভিড়। সেই ভিড়ে শুরু হয় চরম বিশৃঙ্খলা। খবর পেয়ে স্থানীয় পুরাতন মুক্তিদূত পত্রিকার সম্পাদক ও  সাংবাদিক হিমঙ্কর ভট্টাচার্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে, ওই চিকিৎসক কে এই বেআইনি জমায়েতের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মেজাজ হারিয়ে ওই চিকিৎসক সাংবাদিক কে হেনস্তা করেন বলে অভিযোগ। পাশাপাশি তাকে এই কাজে সহযোগিতা করেন তার পুত্র চিকিৎসক অনিন্দ্য চৌধুরী ও আরও অনেকে। অভিযোগ এক প্রকার ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাকে ওই ত্রাণ কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়।এ ব্যাপারে নবদ্বীপ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সাংবাদিক  হিমঙ্কর ভট্টাচার্য। ডাক্তার দিলীপ চৌধুরী বলেন ত্রান বিতরণের সময় সাময়িক ভুল বোঝাবুঝি হয়।আমি বুঝতে পারিনি উনি একজন সাংবাদিক।আর এখানেই উঠেছে প্রশ্ন।একজন সাংবাদিক যেখানে প্রশ্ন করতে গিয়ে আক্রান্ত।তখন সাধারণ মানুষ প্রশ্ন করবে কার ঘাড়ে কটা মাথা? অভিযুক্তরা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।    

বিদ্যুৎ বিল মকুবের দাবি নদীয়া বিজেপির

শ্যামল রায়

 

লকডাউন চলাকালীন কর্মহীন হয়ে পড়ায় মানুষ অভাবের মধ্যে পড়েছেন। অথচ সরকারি সাহায্য যেমন মিলছে না তেমনি চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।
শনিবার নদীয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ইলেকট্রিক অফিসের সামনে ইলেকট্রিক বিল দাবিতে অবস্থান-বিক্ষোভ ভারতীয় জনতা পার্টির যুব মোর্চার সদস্যদের। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিভিন্ন দাবি নিয়ে লেখা ব্যানার সম্মিলিত ছিল  কর্মীদের হাতে। এদিন যুব মোর্চার জেলা সভাপতি ভাস্কার ঘোষ জানিয়েছেন যে মানুষের এখন করুন অবস্থা। অথচ বাড়িতে বাড়িতে ইলেকট্রিক কর্মীরা মিটার রিডিং না নিয়ে বিল পাঠাচ্ছে। অথচ সাধারণ মানুষের হাতে কোন পয়সা করি নেই। বিল পরিশোধ করার মত সামর্থ্য নেই লকডাউন চলাকালীন সাধারণ মানুষের। তাই ইলেকট্রিক বিল মুকুবের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এই অবস্থান-বিক্ষোভ সদস্যদের জানিয়ে দিলেন জেলা নেতা।

সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিনে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

জুলফিকার আলি
  
আজ সত‍্যজিৎ রায়ের জন্মদিনে টুইটারে শুভেচ্ছা মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

করোনা ভাইরাসের জেরে রাজ‍্যে জুড়ে লকডাউনের মেয়াদ বেড়েই চলেছে। শনিবার রাজ‍্যের মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে বিশ্ব বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এর সঙ্গে মুখ‍্যমন্ত্রী লিখেছেন মহারাজা তোমাকে সেলাম।

গলসির ঈষানচন্ডী মন্দিরে পুজো হলো

সেখ নিজাম আলম
  
গলসি থানার খানো গ্রামে জাগ্রত মা ঈষানচন্ডী মন্দিরে সমগ্র পৃথিবীসহ ভারতবাসীর জনগণ  যাতে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পায় এবং আগের মতো যাতে সমস্ত মানুষ জীবনযাপন করতে পারেন,তারজন্য বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয়। এই পূজায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পূজা সম্পূর্ণ করেন পুরোহিত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এলাকার মানুষ এই পূজার্চনায় অংশগ্রহণ করেন বলে জানা গেছে। ব্যাবস্থাপনায় ছিলেন প্রমোদ রায়।

স্ত্রীর সাথে অভিমান, ভাতারে আত্মঘাতী

আমিরুল ইসলাম

  
 স্ত্রীর সঙ্গে অভিমানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা  ভাতারের এক ব্যক্তি।

পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের পুরাতন বিডি অফিস পাড়ায় এক ব্যক্তি স্ত্রীর সঙ্গে অভিমানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন, এলাকায় শোকের ছায়া।
ওই ব্যক্তির নাম চন্দন মজুমদার, বয়স 48 বছর।

স্থানীয় সূত্রে খবর চারদিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল চন্দন মজুমদারের।
চার দিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হচ্ছিল চন্দন বাবু।

অবশেষে মানসিক অবসাদে, স্ত্রীর সঙ্গে অভিমানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন। স্থানীয়রা প্রথমে উদ্ধার করে ভাতার হসপিটালে নিয়ে যান। চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে ।এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া । 

রমজান সামগ্রী বিলিতে মানকরের কং নেতা

সেখ নিজাম আলম

  
 মুসলিমদের এখন চলছে রমজান মাস। এই লক ডাউনে  রমজান মাসে বেশ কিছু মুসলিম পরিবারের ইফতারের আয়োজন করতে ভালোরকম কষ্ট হচ্ছে। তা উপলব্ধি করে জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষে মানকরের  কংগ্রেস নেতা জয়গোপাল দে মানকরের ব মুসলিম পরিবারদের কে ইফতারের আয়োজন করেন এবং প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বাড়ী বাড়ী পৌছিয়ে দেওয়া হয়। এই লকডাউনে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পেয়ে মুসলিমদের বেশ কতক পরিবার খুশী।

ঔষধ ব্যবসায়ীদের পক্ষে বর্ধমান স্টেশনে খাদ্য সামগ্রী বিলি

সুরজ প্রসাদ

 

ফার্মাসিউটিক্যাল ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল এবং লরেল কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হলো শুক্রবার। এদিন সংগঠনের সদস্যরা বর্ধমান রেলস্টেশন চত্বরে বহু অসহায় মানুষের হাতে খাদ্যদ্রব্য তুলে দেন। এই কর্মসূচিতে ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, প্রাক্তন কাউন্সিলর খোকন দাস,  সমাজসেবী ইফতিকার আহমেদ সহ অন্যান্য

তমলুকে সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাংকের করোনা মোকাবিলায় উদ্যোগ

জুলফিকার আলি
  

 মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী মহাশয়ের সহযোগিতায় ,তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কোঃ অপারেটিভ ব্যাঙ্কে চেয়ারম্যান  গোপাল চন্দ্র মাইতি মহাশয় ও ভাইস চেয়ারম্যান মাননীয় মেঘনাদ পাল মহাশয় ও secretary  কৌশিক কুলভী মহাশয়  নির্দেশে তমলুক সাব ডিভিশন , হলদিয়া সাব ডিভিশন ,ঘাটাল সাব ডিভিশন দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কোঃ অপারেটিভ ব্যাঙ্ক,আজ ঘাটাল মহকুমা দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে চাল,ডাল, আলু,সয়াবিন, তেল,আঁটা বিতরণ করছেন তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কোঃ অপারেটিভ ব্যাঙ্কে secretary ম কৌশিক কুলভী মহাশয় ।

করোনায় বামফ্রন্টের নীরব অবস্থান বিক্ষোভ পূর্ব মেদনীপুরে

জুলফিকার আলি

  

বামফ্রন্ট ও সহযোগী দলসমূহের সম্মিলিত অাহ্বানে অাজ জেলা জুড়ে করোনা সংক্রমণ ও লকডাউন জনিত পরিস্থিতিতে স্থগিত প্রচেষ্টা প্রকল্পের অাবেদন অনলাইনে চালু করা, রেশনে কালো বাজারী ও দলবাজি রোধ করা, করোনা নিয়ে প্রকৃত তথ্য প্রদান করা, কর্মহীন মানুষজন কে অ্যাকাউন্টে ৭৫০০ টাকা করে প্রদান করা, পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ী ফেরানোর ব্যবস্হা করা প্রভৃতি দাবী সমূহের ভিত্তিতে অাজ জেলা জুড়ে লকডাউন বিধি মেনে নীরব প্রতিবাদ কর্মসূচী রূপায়িত হয়। তমলুকে নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি,হিমাংশু দাস,নির্মল জানা প্রমুখ। দেশপ্রাণ ব্লকের মুকুন্দপুরে নেতৃত্ব দেন মামুদ হোসেন, সঞ্জিত দাস, সুতনু মাইতি, সেক সফিউল অালি, সেক সাত্তার প্রমুখ। কাঁথি শহরে নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম নেতা  হরপ্রসাদ ত্রিপাঠী, কানাই মুখার্জি, অতুল্যসুন্দর উকিল, সলিল বরণ মান্না, কৃষ্ণেন্দু বারিক, জয়দেব পণ্ডা, তরুণ মাইতি,তন্ময় অাদক,মধুসূদন জানা, সিপিঅাই নেতা স্বপন পণ্ডা,অার,এসপি নেতা হোসেন অালি প্রমুখ। মারিশদায় নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম নেতা কালীপদ শীট, হিমাংশু পণ্ডা,অনন্ত পণ্ডা,রাজনারায়ণ দাস,ঝাড়েশ্বর বেরা প্রমুখ।হেঁড়িয়া তে নেতৃত্ব দেন গোকুল ঘোড়াই,যাদবেন্দ্র সাহু,জাহারাজ অালি,অাশীষ দেবনাথ,প্রবীর দেবনাথ, রাসবিহারী দাস প্রমুখ। রামনগরে নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম নেতা অাশীষ প্রামাণিক, নীতিশ দাস,অাকাশ প্রামাণিক, ধীরেন্দ্র নাথ পুষ্টি, তাপস চৌধুরী,সুকুমার মৈশাল।বালিসাই তে নেতৃত্ব দেন সব্যসাচী জানা, প্রদীপ দাস,বিষ্ণুপদ দাস,বনবিহারী মাইতি প্রমুখ। সিপিঅাইএম নেতা মামুদ হোসেন জানান এগরা,বালিঘাই,পটাশপুর, মঙলামাড়ো,ভগবানপুর, কলাবেড়িয়া,বাজকুল,মুগবেড়িয়া সর্বত্র এই কর্মসূচী রূপায়িত হয়।

শুক্রবার, মে ০১, ২০২০

অগ্নিদগ্ধ বাড়িওয়ালার পাশে দাঁড়ালো মহিষাদল পুলিশ

জুলফিকার আলি
  


মহিষাদলের থানার  ইটামগর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঞ্চনপুরে বাড়ি গ্রামে ওই বাড়িতে থাকতো মা এবং এক ছোট্ট চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে তার মেয়ে ।গত কয়েকদিন আগে ইলেকট্রিক এর শর্টসার্কিট হয়ে আগুনে বাড়িটি পুড়ে যায়। এরপর সেই খবর জানায় মহিষাদল থানার । মহিষাদল থানার ওসি পার্থ বিশ্বাস  শঙ্করীর পন্ডার হাতে যাবতীয় খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। শঙ্করীর পন্ডার এবং তার মেয়ে থাকতো ঐ বাড়িতে। শংকরী স্বামী পরিত্যাক্তা ভিক্ষা করে জীবন যাপন চালাত মা ও মেয়ে। শঙ্করীর পন্ডারকে পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে বেশ কিছু সামগ্রী দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু থাকবে কোথায়? সেই প্রশ্ন জাগছিল তাদের মনে। বর্তমানে গ্রামের এর বাড়ি ওর বাড়ি কাটছিল তাদের রাত। কিন্তু তাও বা কতদিন? এরপর ভিক্ষুক মা ও মেয়ের দুর্দশার খবর জানতে পারেন মহিষাদল থানার পুলিশ। এরপর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন মহিষাদল থানার ওসি পার্থ বিশ্বাস। তাদের সঙ্গে দেখা করে যাবতীয় সাহায্য ও দ্রুত বাড়ি তৈরি কোরে দেন। এছাড়াও ঐ ছাত্রীর পুড়ে যাওয়া বই, খাতা সহ যাবতীয় সামগ্রী ফিরিয়ে দেন। পুলিশের এই ধরনের উদ‍্যোগে খুশি সকলেও। মা ও মেয়ে জানান, "আমরা খুবই খুশি। ওনার যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করলেন তা ভুলতে পারবো না।বুধবার এই বাড়িটি উদ্বোধন করেন মহিষাদল থানার ওসি, সিআই, এবং অ্যাডিশনাল এসপি। মহিষাদল থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে  "আমরা সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছি।"

দেশপ্রাণ ব্লকে বোরো ধান চাষে ক্ষতি

জুলফিকার আলি
  

দেশপ্রাণ ব্লক, কাঁথি-১, কাঁথি-৩ ব্লক  সহ কাঁথি ও এগরা মহকুমা র সমস্ত ব্লক এবং জেলা জুড়ে গতকালের ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডবে মাঠের পাকা ও অাধপাকা বোরো চাষের ধানের সলিলসমাধি ঘটেছে। জমাজলে ধান ও কাদার মাখামাখি অবস্থা। ফসলের দফারফায় চাষির হাঁসফাঁশ অবস্থা। পাকাধানে মইর ফলে লকডাউনে কর্মহীন চাষীদের শেষ সম্বল টুকুও ধ্বংসস্তূপে পরিণত। হাজার হাজার হেক্টর জমিতে বারো চাষের ক্ষয়ক্ষতি কয়েকশত কোটি টাকা।দেশপ্রাণ ব্লকের চালতি অঞ্চলের পশ্চিম পুরুষোত্তমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ জলে থৈথৈ। অারো অনেক নীচু জায়গায় জল জমেছে। জেলা কৃষি দপ্তর দুর্যোগের অাগাম খবর দিয়েই খালাস।ক্ষেতমজুরের মজুরি দেওয়ার অর্থও অনেক কৃষকের হাতে নেই। ধান কাটাকে একশ দিনের কাজে অন্তভূক্ত করার জেলা প্রশাসনের কাছে অাবেদন নিবেদনও নিষ্ফলা। জেলা কৃষি অধিকর্তা ও রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা কে ই-মেইল বার্তা পাঠিয়ে শস্য বীমা যোজনায় ক্ষতিপূরণ প্রদান ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপনের অাবেদন জানিয়েছেন প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন।

মে দিবসে শ্রমিকদের পাশে নবধারা ট্রাস্ট

জুলফিকার আলি
  

"মে দিবসে অসহায় শ্রমিকদের পাশে নবধারা ট্রাস্ট"
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস যা মে দিবস নামে পরিচিত।করোনার প্রভাবে সারা বিশ্ব এক গভীর সংকটের মধ্যে উপস্থিত হয়ে পড়েছে। এক ক্ষুদ্র অণুজীবের ভয়ে যখন সারা বিশ্ব গৃহবন্দী। এই গৃহবন্দি অবস্থায় সবথেকে কঠিন সময় কাটাচ্ছেন আমাদের গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। এখন রেড জোনে থাকা পূর্ব মেদিনীপুরের
খেজুরীর প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বহু পরিবার আছেন যারা ভিক্ষাবৃত্তি করে, কেউ রিকশা টেনে, 100 দিনের কাজ করে, আবার কেউবা বাড়ি বাড়ি কাজ করে , তাদের সবার আর্থিক দিক গুলো এখন বন্ধ।

মে দিবসকে স্মরণ করে খেজুরির প্রত্যন্ত গ্রামে নবধারা ট্রাস্ট সেই সব অসহায় মানুষদের  হাতে তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী চাল আলু ,সোয়াবিন ,বিস্কিট, সাবান ইত্যাদি তুলে দিলো।সারা বছর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক চর্চার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্ম তারা করে থাকে।
 নবধারার এই উদ্যোগে পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্যক্তিগতভাবে বহু মানুষ,ক্লাব, গ্রামের মানুষেরা।নবধারার তরফ থেকে জানা যায় যে, তারা তাদের এই কর্মকাণ্ড আরও খেজুরির বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকায় ছড়িয়ে দিতে চায়। তারা  দৈনন্দিন খেটে খাওয়া মানুষদের পাশে দাঁড়াতে চায়।একদিন সারাবিশ্ব করোনা মুক্ত হবে এবং নতুন ভোরের আলো ফোটার আশায় আমরা সবাই।

লকডাউনে নীরবতায় ন্যারোগেজ রেলওয়ে ইঞ্জিন

কবিরুল ইসলাম
লকডাউনে দেড় মাস অচল গোটা দেশ। রেলস্টেশনে নেই সেই ব্যস্ততা। আছে শুধু নীরবতা। কাটোয়া স্টেশনে ঢুকবার মুখে রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন ন্যারোগেজ রেলওয়ে ইঞ্জিন।                

করোনার লড়াইয়ে বার্তা দিতে আসরে ক্যানভাস ব্যান্ড

শুভ ঘোষ
 

সময়টা বেশ ভয়ের। সময়টা বেশ কঠিন। সময়টা বেশ ভাবাচ্ছে।পৃথিবীর বুকে আজ মৃত্যুর হাহাকার। আদৌ আমরা বাঁচব কী? এক অদ্ভুত মারন  ভাইরাসের তান্ডবে ত্রস্ত গোটা দুনিয়া। তবে কি পৃথিবীর বুক  থেকে হারিয়ে যাবে ঈশ্বরের প্রার্থনা? শিশুর হাসি? মানুষের কলরব? মৃত্যুর কাছে পরাজিত হবে জীবন? সভ্যতার ইতিহাসে আমরাই তো ফাঁসির মঞ্চে জীবনের জয়গান গেয়েছি,এবার কি পারব না? এই অস্থির, উদভ্রান্ত সময়েই গান বেঁধে আশার কথা শোনাচ্ছে বাংলা ব্যান্ড ক্যানভাস।  শহরটা নিঃসঙ্গ। কথা বলার কেউ নেই। গড়িয়াহাট একা একা বসে আছে গালে হাত দিয়ে, কলেজ স্ট্রিট,কফি হাউসের আড্ডা ভ্যানিশ। হাতিবাগানের হৈচৈ একদম ঠান্ডা। কেমন গুম মেরে বসে আছে এসপ্ল্যানেড, পার্ক স্ট্রিট। এসব কি কেউ ভেবেছিল? কে জানত এমন এক তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এগিয়ে আসছে, চুপিচুপি,হামাগুড়ি দিয়ে। এক সময় আশঙ্কাটাই সত্যি হল। দেশের বুকে আছড়ে পড়ল করোনার তান্ডব। লকডাউনে চলে গেল গোটা দেশ। এক নিমেষে সব শান্ত, স্তব্ধ। এর মধ্যেই চলছে বাঁচার লড়াই। গানের কথা ও সুর সুদীপ্তা ব্যানার্জি। কি বোর্ডে অভিনন্দন ব্যানার্জি। প্রোগ্রামিং অ্যান্ড অ্যারেঞ্জমেন্ট, দীপ্তায়ন মজুমদার, বাস গিটার অ্যান্ড সাপোর্টিং গিটার, সৃজন মুখার্জী। ড্রামস এ শুভম ঘোষ। বাংলা ব্যান্ডের পথ চলায় ক্যানভাস অতি পরিচিত এক নাম। সময়ের কথাই বারবার উঠে এসেছে এদের গানে। লক ডাউনের এই ঘর বন্দি সময়েও গানের কথায় ছবি আঁকছে ক্যানভাস। জীবনের ছবি, বেঁচে থাকার ছবি, জোট বাঁধার ছবি। ক্যানভাস এগিয়ে চলুক। রইল অনেক শুভেচ্ছা।

হে ঊর্ণনাভ - অপূর্ব চক্রবর্তী

হে ঊর্ণনাভ
          অপূর্ব চক্রবর্তী
 

হে ঊর্ণনাভ, কি অত্যাশ্চর্য প্রকৌশলী তুমি!

     দিনের সূর্য প্রচন্ড অহংকারী হলেও
         একটা অজানা ইতিহাসকে
কিছুতেই আলোকিত করতে পারে না     
             কোনো ফোটন কণা।
আমি এক অন্য রকমের স্বপ্ন দেখতে চাই, শব্দের ভিড়ে সে স্বপ্ন ভূমিষ্ঠ হতে ভয় পায়।
      আসন্ন প্রসবা লেখনী প্রসব করে 
                 অন্য ইতিহাস।
       
           তবুও আমরা বেঁচে আছি,
    এক আপাত কর্কশ শব্দ ভূমিতে 
গজলের সুর গাইবার চেষ্টায় হাঁফিয়ে উঠছেন 
         বড়ে গুলাম আলী খাঁ সাহেব।
জাকির হোসেনের আঙ্গুল ব্যর্থ হয়ে যায়     
   আগাছার ভিড়ে পারিজাত ফোটাতে।
বিঠোফেন, মোৎসার্ট  অথবা মহীনের সেই ঘোড়াগুলি 
              দৌড়াতে ভুলে যাচ্ছে।
হাসির মন্ত্র ভুলে চার্লি কোথায় যেন মুখ লুকিয়েছেন।
           তবুও আমরা বেঁচে আছি 
      আশ্চর্য এক ইতিহাসের অধ্যায়ের    
        আংশিক উত্তরাধিকার নিয়ে।
গর্ভবতীর অপূর্ণ প্রসব চিৎকারে বধির জীবনানন্দ দাশ,
      শান্তি খোঁজেন সঞ্চয়িতার পাতায়...

বোলপুরে হারিয়ে যাওয়া নোবেলটা 
            এক সূর্য ডোবার ছবি এঁকে যায়, 
ছবি এঁকে যায় এক আসন্ন অন্ধ রাতের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে শান্তিতে শুয়ে থাকা মানুষটি 
         হয়তো এতদিনে ভুলে গেছেন !
তার আগুনভরা লাইনটি-
        'আমি বিদ্রোহী রণক্লান্ত
         আমি সেই দিন হবো শান্ত'

      তবুও আমরা ইতিহাস লিখছি
হ্যাঁ, আমরা নিয়ত একটা ভুল সময়ের ইতিহাস লিখতে ব্যস্ত।
     হে ঊর্ননাভ, তোমার বিতংস বিতানে 
আমরা সবাই এক বিন্দুতে অবস্থান করছি।

বাদশা শাজাহান আর হরিপদ কেরানি সব একদরে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।

আউশগ্রামের আশীন্দা মোড়ে খাদ্য সামগ্রী বিলি

সেখ নিজাম আলম
 

আজ আউশগ্রাম ১নং ব্লকের বিল্বগ্রাম অঞ্চলে বিল্বগ্রামে এবং আশীন্দা মোড়ে এবং গুসকরা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে বিপর্যস্ত মানুষের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন আউশগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক  অভেদানন্দ থান্দার মহাশয় ।

মেমারিরর ৫ নং ওয়ার্ডে খাদ্য সামগ্রী বিলিতে ভাইস চেয়ারম্যান

সেখ সামসুদ্দিন

 
 পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সহ সভাপতি মুকেশ শর্মার উদ‍্যোগে মেমারি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দুইটি বুথের অসহায় পরিবারের হাতে লকডাউন চলাকালীন চতুর্থ বারের জন‍্য খাদ‍্য সামগ্রী প্রদান করা হয়। কৃষ্ণবাজার ও উঁচু মাঠপাড়া এলাকায় এদিনে আলু, পিঁয়াজ, চাল, ডাল, নুন, বিস্কুট, সোয়াবিনের প‍্যাকেট, কুমড়ো, ডিম ইত্যাদি দেয়া হয়। ছাত্র নেতা মুকেশ শর্মা জানান ২৩০টি পরিবারের হাতে খাদ‍্যসামগ্রী দেয়া হল। এরপরে রমজান মাসে মুসলিম পরিবারের মধ‍্যে  সহায়তা দেয়া হবে। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিয় সামন্ত জানান হোমডেলিভারি পরিষেবা চালু করেছেন। হোয়াটসঅ‍্যাপে জানালেই বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হবে। রমজান মাসে মুসলিম পরিবারগুলিকে শুভেচ্ছা জানানোর সঙ্গে লকডাউনে নিয়ম মেনে বাড়িতে থাকতে অনুরোধ জানান। উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান ও ছাত্রনেতার সঙ্গে ব্লক শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি কৌশিক মল্লিক, সমাজসেবী শুভেন্দু গুহ, অজিত সিং, সফিকুর রহমান, ওয়ার্ড সভাপতি বিকাশ ক্ষেত্রপাল, শুভময় ভট্টাচার্য সহ বিশিষ্ট ব‍্যক্তিবর্গ।

লকডাউনে করোনা যোদ্ধাদের সম্মান জানালো বর্ধমান শহরের এই সংস্থা

সেখ রতন
 

মে দিবস উপলক্ষ্যে বর্ধমান গ্রীন হন্টার ও স্টুডেন্ট গোল এর পক্ষ্য থেকে করোনা মোকাবিলায় যে সমস্ত কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী ও সাংবাদিকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে সাধারন মানুষদের পরিষেবা দিয়ে আসছেন তাদের গোলাপ ফুল দিয়ে সম্মাননা প্রদান ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হল।সাথে সাথেই তাদের হাতে তুলে দেওয়া হল জলের বোতল, কেক ও কোল্ড ড্রিংক। সংস্থার ট্রেজার সেখ ইনসান ও রাজা জানান -এদিন তারা নবাবহাট থেকে উল্লাস পর্যন্ত কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী ও সংবাদ মাধ্যমের বন্ধুদের হাতে এই সামগ্রী তুলে দেন।লকডাউন চলা কালীন প্রতি সপ্তাহেই তাদের এই কর্মসূচি চলবে।

লকডাউনে দুর্দশায় মুম্বাইয়ে দিন কাটছে এই রাজ্যের তিন পরিবারের

মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)    
প্রায় দেড় মাস সময়কালে সারা দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। সৌজন্যে করোনার বীভৎসতা। এই মুহূর্তে বাংলার একাংশ মানুষজন ভিন রাজ্যে কর্মসুত্রে / পড়াশুনোয় / চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে আটকে রয়েছে মাসের পর মাস। অর্থের অভাব, দুবেলা খাওয়ার দুশ্চিন্তার পাশাপাশি নিরাপদ আশ্রয় পাওয়াটা ওদের কাছে বড় স্বস্তি। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদনে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ভিনরাজ্যে থাকা পরিযায়ী শ্রমিক, পড়ুয়া এবং রোগী পরিবারদের নিজ রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে তৎপর। তবে এতশতের মাঝেও মুম্বাইয়ে আটকে রয়েছে ৬ টি বাঙালি পরিবার। এদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৩ টি পরিবার রয়েছে। মালদার ১ টি এবং উত্তর ২৪ পরগনার ২ টি পড়ছে তাতে। উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগর এলাকার কালাচাঁদ মুখার্জি গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর স্ত্রী সঞ্চিতা মুখার্জি এবং মেয়ে স্বস্তিকা মুখার্জি কে নিয়ে মুম্বাইয়ের টাটা হাসপাতালে ক্যান্সার চিকিৎসায় গিয়েছিলেন। লকডাউন শুরু হওয়ার পর ক্যান্সার চিকিৎসায় কেমোথেরাপি বন্ধ হয়ে যায়। জমানো অর্থও ফুরিয়ে যায় কয়েক সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পর। খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি থাকা সমস্যা হয়ে যায়। মুম্বাইয়ের এক বাঙালি সংগঠন জুহু ভিলেজে থাকবার ব্যবস্থা করলেও দুবেলা আহারের আয়োজনে তারা সফল নয়। ঠিক।এইরকম পরিস্থিতিতে ক্যান্সার আক্রান্ত পরিবারের পক্ষে স্বস্তিকা মুখার্জি কলকাতা হাইকোর্টের স্বনামধন্য আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরীর দারস্থ হন। এই আইনজীবী অত্যন্ত তৎপরতায় গত ২৯ এপ্রিল বিশদ বিবরণ সহ এই রাজ্যের মুখ্য সচিব, অতিরিক্ত মুখ্য সচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিব কে ইমেল করেন। তবে কোন প্রশাসনিক উত্তর মেলেনি ইমেলের তরফে। অপরদিকে কলকাতা পুলিশ কে মোবাইল ম্যাসেজ পাঠানো হয়। তবে কলকাতা পুলিশের তরফে মুম্বাইয়ে ক্যান্সার রোগীদের অসহয়তার তথ্য জানাবার জন্য 'ধন্যবাদ' ম্যাসেজ আসে ইন্দ্রজিৎ বাবুর মোবাইলে। কলকাতাহাইকোর্টের স্বনামখ্যাত আইনজীবী    ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরী জানান - " যেখানে রাজ্য সরকার লকডাউনে আটকে পরা পরিযায়ী শ্রমিক, পড়ুয়া এবং রোগীপরিবার দের ফিরিয়ে আনছে, সেখানে মুম্বাইয়ে আটকে থাকা ৩ টি এই রাজ্যের বাঙালি পরিবার কে দ্রুত আনা হোক "।                                                                                                                          

হাওড়া থেকে মুর্শিদাবাদে যাওয়ার পথে তারকেশ্বরে বিশ্রাম

সুভাষ মজুমদার
  

হাওড়া থেকে সাইকেল নিয়ে মুর্শিদাবাদে বাড়ি ফেরার পথে তারকেশ্বরে বিশ্রাম ১০ শ্রমিকের।
লকডাউনের জেরে হাওড়ার আন্দুলে আটকা পড়েন দশ শ্রমিক।
আন্ডুলে তারা রাজ মিস্ত্রির কাজ করতেন।কাজ করে জমানো টাকা আস্তে আস্তে প্রায় শেষের পথে।লকডাউন কবে উঠবে তা অনিশ্চিত তাই অনাহারে দিন কাটাতে যাতে না হয় তাই সাইকেল নিয়েই হাওড়া থেকে মুর্শিদাবাদ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন শ্রমিক রা।লকডাউনের জেরে বিভিন্ন জেলায় আটকা পড়েন অন্য জেলার শ্রমিকরা। লকডাউন চলাকালীন ভিন জেলার শ্রমিক দের বাড়ি ফেরার ভিন্ন ভিন্ন ছবি ধরে পড়েছে গত কয়েক দিন ধরে।

বিড়াল মাছ পাহাড়া দেয়! আসানসোলের ঘটনায় প্রভুভক্তি

মোহন সিং

  

কথায় বলে  বেড়াল আবার মাছ খাবে না। তার মানে বেড়াল- এর সামনে যদি মাছ থাকে, তাহলে সে সেটা খাবার চেষ্টা করবেই। এর উল্টোটা হওয়া প্রায় অসম্ভব। আমাদের বাস্তব অভিজ্ঞতাও সেই কথাই বলে। কিন্তু আমাদের চারপাশে মাঝে মধ্যেই এমনসব ঘটনা ঘটে যে নতুন করে ভাবতে হয় সবকিছু।  পশ্চিম বর্ধমানের সদর  আসানসোল শহরে রেলপার এলাকায় মহম্মদ আফতাব জাহাঙ্গীর একটি মাছের দোকান চালান। আশ্চর্যের বিষয় হলো তার এই দোকানে তাঁর সঙ্গে প্রতিদিন সারাটা সময় ধরে থাকে চার-চারটি বেড়াল। অথচ তারা কখনো মাছ খাবার চেষ্টা করে না। এমনকি জাহাঙ্গীর তখন দোকানে থাকেন না, তখন এই চার বেড়াল তার দোকান পাহারা দিলেও মাছ চুরির চেষ্টা করে না। জাহাঙ্গীর নিজের হাতে তাদের মাছ টুকরো টুকরো করে কেটে খেতে দেন । সেটা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকে এই বেড়াল গুলো। ব্যাপারটা আশ্চর্যের হলেও এটাই বাস্তব। এলাকার বাসিন্দারাও এখন এই ঘটনা দেখে দেখে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। তাই অবাক হন না। আর জাহাঙ্গীর মনে করেন বেড়াল মাত্রই চোর নয়।

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ৩০, ২০২০

বিনামূল্যে হাটে করোনায় অসহায়রা

সুরজ প্রসাদ
 

সরকারী উদ্যোগে চাল পাচ্ছে সকলেই প্রায়, কিন্তু তার সাথে সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় ডাল তেল সব্জী ইত্যাদি জিনিষের ক্রয় ক্ষমতা হারিয়েছে  সাধারণ মানুষ , কাজ হারিয়ে ঘরে বসে তাই সাধ কে বেধে রেখে সাধ্য মতন খেয়েই পেট ভরাচ্ছে অনেক নিম্নবিত্তই ! অনেক সংগঠন চাল ডাল তেলের পসরা নিয়ে সাহায্যের হাত বাড়ালেও নানারকম সব্জী সহকারে অনান্য খাদ্য সামগ্রী বিতরণ হাটের আকারে সাজিয়ে মানুষের  প্রয়োজন মতন তা তুলে দেওয়া হল বর্ধমানের চাঁদসোনা এলাকায়, খাদ্য সামগ্রী প্যাকেটে ভরে আমাদের ইচ্ছা মতন মানুষ কে প্রদান নয় বরং মানুষের পছন্দ মতন খাদ্য সামগ্রী বেছে নেওয়ার সুযোগ দিল পল্লিমঙ্গল, এদিন প্রায় আনুমানিক ২০০ পরিবার তাদের পছন্দ মতন খাবার নিয়ে গেলেন এই " বিনা পয়সার হাট " থেকে , সমস্ত রকম নিয়ম কানুন মেনে সোশ্যাল ডিস্টেন্স বজায় রেখে এই হাটে মানুষ জন অংশ নেয় আজ , বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ মালিক সহ বিশীষ্টরা উপস্থিত ছিলেন এই বিনা পয়সার হাটে

মেচেদা ডাইনামিক রাবার ইন্ডাস্ট্রিজের তরফে ত্রাণ বিলি

জুলফিকার আলি
  

মেচেদা ডাইনামিক রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ। এর উদ্যোগে মেছেদা আজাদ বস্তিতে ত্রাণের  ব্যবস্থা করা হয়। মেছেদার আজাদ বস্তি সহ এলাকার 100 জনকে ত্রাণ দেওয়া হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষক সুকুমার মাইতি, সমাজসেবী রফিক আলী, শ্যামসুন্দর পাখিরা,কোলাঘাট থানার এসআই নন্দী বাবু,মেচেদা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও মেচেদা সাহিত্য একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা জুলফিকার আলী। সংস্থার সম্পাদক গৌর হরি সামন্ত প্রমূখ। গৌর হরি বলেন, লকডাউন হওয়ার ফলে সাধারণ মানুষ অসহায় দিন কাটাচ্ছে তাদেরকে সাহায্য করার জন্যই ত্রাণ।

লড়াকু সত্তা - মৌসুমি

লড়াকু সত্তা
       মৌসুমি রে
 

ভিড়ের মাঝে একা - চেনায় খাঁটি হীরে -
অনন্যতায় জুড়ি নেই - যাবেই চলে চোখ;
তোমার উপমা তুমিই অমূল্য রতন -
তোমার গুনের কদর জানে শুধু দর্শক।

ভরা বিকেলে পাড়ি দিলে অন্যলোকে
শান্তিতে শুয়ে অজস্র ফুলে, গোলাপে;
মৃত্যু উপত্যকায় হাঁটা সাহসীর মরণ
হয় না, সে অমর, লেখা রবে এপিটাফে।

মৃত্যুকে ভয় না পেয়ে করেছ আলিঙ্গন -
মরণ তোমার ভয়ে হয়েছে ম্রিয়মাণ;
অনেক মাইলস্টোন পেরিয়েছ পদ্মশ্রী -
তোমার লড়াকু সত্তাকে কুর্নিশ ইরফান।

দুর্গাপুরে পথে নামলেন দিল্লির জেএনইউ নেত্রী ঐশী ঘোষ

দুর্গাপুরের পথে নামলেন দিল্লির জেএনইউ নেত্রী ঐশী ঘোষ
শম্পা প্রামাণিক
 

দুর্গাপুর :- করোনা ভাইরাস এর আতঙ্কের মধ্যেই সামাজিক সচেতনতার সাথে সাথে জনসংযোগের কাজকে ত্বরান্বিত করতে দুর্গাপুরে পথে নামল সিপিএমের ছাত্র সংগঠন। আর সেই জনসংযোগের কাজে প্রধান মুখ হিসেবে তুলে ধরা হলো দিল্লির জহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটির (জেএন‌ইউ) ছাত্রনেতা তথা সভাপতি ঐশী ঘোষকে।

আজ "স্টুডেন্ট ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার" (এস এফ আই) পশ্চিম বর্ধমান জেলার, দুর্গাপুর পশ্চিম এরিয়া কমিটির উদ্যোগে। দুর্গাপুরের ওল্ডকোট মোড় সংলগ্ন এলাকার দুস্থ পরিবারের যুবতী মেয়েদের মধ্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন এবং সাবান বিতরণ করলেন দিল্লির জেএন‌ইউ সভাপতি ঐশী ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় এস এফ আই পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য রিঙ্কি দাস, রিতা মেটে, চুমকি দাস।

প্রায় ৪৫ থেকে ৫৫ টি দুঃস্থ পরিবারে মধ্যে ওই কর্মসূচি সীমাবদ্ধ ছিল। তবে কোনো গণমাধ্যমকে কর্মসূচির কথা আগাম জানানো হয়নি, ঐশী ঘোষের নিরাপত্তা কথা মাথায় রেখে বলে জানান স্থানীয় সিপিএম ছাত্র নেতৃত্ব। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্র নেতা জানান আগামী দিনেও দুর্গাপুরের বিভিন্ন দুঃস্থ মানুষের পাশে পাওয়া যাবে ঐশী ঘোষকে।

মালি পাঁচঘড়া থানায় চলছে 'অপারেশন কোভিড জিরো'

সুকান্ত ঘোষ
 
রাজ্যে প্রথম দিকে করোনায় যারা মারা গেছেন, তাদের বাড়ী হাওড়ার সালকিয়া সংলগ্ন মালি পাঁচঘড়া  থানা এলাকায়। এই থানার আইসি অমিত কুমার মিত্র প্রথম থেকেই 'আপারেশন কোভিড জিরো' কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা নেন।  যারা এই কর্মসূচিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন, তাদের উৎসাহ দিতে আইসি অমিত কুমার মিত্র কোভিড জিরোর লোগো টি শার্ট তুলে দেন।           

দুশো পরিবার কে খাদ্য সামগ্রী বিলিতে ভাতার পুলিশ

আমিরুল ইসলাম
  
 এবার মধ্যবিত্তদের পাশে দাঁড়িয়ে সকলের মন জয় করলো ভাতার থানা।

লকডাউন এর মধ্যে সকলেই কাজ হারিয়ে বসে আছে ঘরে।
ইতিমধ্যে একাধিক ক্লাব ও রাজনৈতিক দল সাহায্য করেছেন দারিদ্র শ্রেণীর মানুষজন দেরকে, কিন্তু প্রতি ক্ষেত্রেই বঞ্চিত হচ্ছে মধ্যবিত্ত মানুষজন ।তাই তাদের কথা চিন্তা করে আজ বাড়ি বাড়ি কিছু খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়ে মানুষের মন জয় করল ভাতার থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক প্রণব কুমার ব্যানার্জি।

জানা যায় পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের নির্দেশে ভাতার থানার পুলিশের সহযোগিতায় আজ প্রায় 200 টি মধ্যবিত্ত পরিবারের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয় খাদ্য সামগ্রী।
মূলত যে সমস্ত মানুষজন বিভিন্ন দোকানে কাজ করতেন, বাসে কাজ করতেন সেই সমস্ত মানুষদের বাড়ি বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয় এই খাদ্য সামগ্রী।
ভাতার থানার উদ্যোগে খুশি হয়েছেন এলাকার মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের মানুষজন।

ভাতারের কুলনগর গ্রামের বাস চালক নিতাই রুদ্র জানান, আমরা মধ্যবিত্ত তাই আমাদেরকে কেউ দেখেনা না। সরকার না, কোন রাজনৈতিক দলও না।
 আজ ভাতার থানার পুলিশ কিছু খাদ্য সামগ্রী দিয়ে গেলেন।

জনস্বার্থ দাবি নিয়ে পূর্ব মেদনীপুরে বামেদের নীরব অবস্থান

জুলফিকার আলি

  

বামফ্রন্ট ও সহযোগী দলসমূহের সম্মিলিত অাহ্বানে অাজ জেলা জুড়ে করোনা সংক্রমণ ও লকডাউন জনিত পরিস্থিতিতে স্থগিত প্রচেষ্টা প্রকল্পের অাবেদন অনলাইনে চালু করা, রেশনে কালো বাজারী ও দলবাজি রোধ করা, করোনা নিয়ে প্রকৃত তথ্য প্রদান করা, কর্মহীন মানুষজন কে অ্যাকাউন্টে ৭৫০০ টাকা করে প্রদান করা, পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ী ফেরানোর ব্যবস্হা করা প্রভৃতি দাবী সমূহের ভিত্তিতে অাজ জেলা জুড়ে লকডাউন বিধি মেনে নীরব প্রতিবাদ কর্মসূচী রূপায়িত হয়। তমলুকে নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি,হিমাংশু দাস,নির্মল জানা প্রমুখ। দেশপ্রাণ ব্লকের মুকুন্দপুরে নেতৃত্ব দেন মামুদ হোসেন, সঞ্জিত দাস, সুতনু মাইতি, সেক সফিউল অালি, সেক সাত্তার প্রমুখ। কাঁথি শহরে নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম নেতা  হরপ্রসাদ ত্রিপাঠী, কানাই মুখার্জি, অতুল্যসুন্দর উকিল, সলিল বরণ মান্না, কৃষ্ণেন্দু বারিক, জয়দেব পণ্ডা, তরুণ মাইতি,তন্ময় অাদক,মধুসূদন জানা, সিপিঅাই নেতা স্বপন পণ্ডা,অার,এসপি নেতা হোসেন অালি প্রমুখ। মারিশদায় নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম নেতা কালীপদ শীট, হিমাংশু পণ্ডা,অনন্ত পণ্ডা,রাজনারায়ণ দাস,ঝাড়েশ্বর বেরা প্রমুখ।হেঁড়িয়া তে নেতৃত্ব দেন গোকুল ঘোড়াই,যাদবেন্দ্র সাহু,জাহারাজ অালি,অাশীষ দেবনাথ,প্রবীর দেবনাথ, রাসবিহারী দাস প্রমুখ। রামনগরে নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম নেতা অাশীষ প্রামাণিক, নীতিশ দাস,অাকাশ প্রামাণিক, ধীরেন্দ্র নাথ পুষ্টি, তাপস চৌধুরী,সুকুমার মৈশাল।বালিসাই তে নেতৃত্ব দেন সব্যসাচী জানা, প্রদীপ দাস,বিষ্ণুপদ দাস,বনবিহারী মাইতি প্রমুখ। সিপিঅাইএম নেতা মামুদ হোসেন জানান এগরা,বালিঘাই,পটাশপুর, মঙলামাড়ো,ভগবানপুর, কলাবেড়িয়া,বাজকুল,মুগবেড়িয়া সর্বত্র এই কর্মসূচী রূপায়িত হয়।

নবদ্বীপ ভজন আশ্রমে তিন শতাধিক মানুষের আহারের আয়োজন

শ্যামল রায়
  
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নবদ্বীপ ভজন আশ্রমের পক্ষ থেকে অসহায় গরীবদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আশ্রমের ম্যানেজার অরবিন্দু ঝা জানিয়েছেন যে মোট মন্দির ময় চৈতন্য ভূমি নবদ্বীপ শহরের বিভিন্ন আশ্রম নাম সংকীর্তন করে বহু অসহায় বৃদ্ধা জীবন যাপন করে থাকে। করোনাভাইরাস এর জেরে দ্বিতীয় দফায় চলছে লকডাউন এর ফলে বহু অসহায় বৃদ্ধা চরম সংকটের মধ্যে পড়েছেন। তিনি আরো জানিয়েছেন যে আমাদের আশ্রমের তিন শতাধিক বৃদ্ধা নাম সংকীর্তন এর মধ্যে দিয়ে প্রসাদ পেয়ে থাকেন। বর্তমানে বন্ধ থাকায় এরা চরম অনটনের মধ্যে রয়েছেন। তাই এই সমস্ত রাধেশ্যাম করা বৃদ্ধাদের মধ্যে আমরা প্রতিদিন চাল ডাল আলু তেল সবজি সোয়াবিন লবণ সাবান বিতরণ করে আসছি। এ দিনও আমরা চাল লবণ বিতরণ করেছি। যতদিন লকডাউন চলবে আমরা নিয়মিতভাবে গরিবদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে যাব তারপরে যখন লকডাউন উঠে যাবে তখন নাম সংকীর্তন এর মধ্যে দিয়ে এসকল রাধেশ্যাম করা বৃদ্ধারা প্রসাদ পেয়ে জীবন যাপন করবেন। এছাড়া ওয়াশরুমে তরফ থেকে বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম মাঝে মধ্যে বিতরণ করা হয়ে থাকে। এর ফলে গরীব অসহায় বৃদ্ধারা ভীষণ ভাবে উপকৃত হন।

বাড়িতেই রসগোল্লা - ফুচকা বানাচ্ছে চিকিৎসক পরিবার

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি 

  
        বাঙালি মানেই খাদ্য রসিক বা ভোজন রসিক।তাইতো যেকোনো মেলাতে একাধিক ভিন্ন ধরনের খাবারের স্টল থাকবেই। আবার  সুযোগ পেলে বাড়িতেই  ভিন্ন পদের খাবার তৈরি করতে সে ওস্তাদ। লকডাউনের জন্য গৃহবন্দি বাঙালির হাতে অফুরন্ত সময়। তাই সুযোগমত বিভিন্ন বাড়িতে ভিন্ন পদের খাবার তৈরি চলছে।
        রসগোল্লার সঙ্গে বাঙালির একটা জন্মজন্মান্তর সম্পর্ক। 'সুগার'-এর আক্রমণেও সেই সম্পর্ক নষ্ট হয়নি। মিষ্টির দোকানগুলিতে ভিড় দেখলেই সেটা টের পাওয়া যায়। এদিকে লকডাউনের জন্য মিষ্টির দোকান বন্ধ। সরকারি নির্দেশে আপাতত দোকান খুললেও খদ্দেরের অভাবে সেভাবে মিষ্টি তৈরি হচ্ছেনা। অতএব বাড়িতেই অনভ্যস্ত হাতে রসগোল্লা তৈরি করতে শুরু করলেন পেশায় গ্রামীণ চিকিৎসক পশ্চিম মঙ্গলকোটের গণপুরের প্রেমানন্দ মুখার্জ্জী।সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় স্ত্রী ও কন্যা।
       প্রেমানন্দ বাবু বললেন - সুগার সমস্যা থাকলেও রসগোল্লার লোভ নিয়ন্ত্রণ করা বাঙালির পক্ষে কষ্টকর। ছানার দাম কম। তাই বাড়িতেই একটু চেষ্টা করলাম। ভোজ বাড়িতে মিষ্টির কারিগরদের দেখে যেটুকু শিখেছিলাম সেটাই একটু প্রয়োগ করলাম।দাদুর তৈরি মিষ্টি খেয়ে দুই নাতনি অনসূয়া,ইন্দুতো খুব খুশি।
           ফুচকা ছাড়া  মেয়েদের জীবন কল্পনা করা খুবই কষ্টকর। যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিয়ে বাড়ি, মেলায় ফুচকার স্টলের সামনে মেয়েদের ভিড় দেখলে সেটা বোঝা যায়।দিন দিন  চাহিদা বাড়তে থাকায় প্রায় প্রতিটি গ্রামে ফুচকা বিক্রেতারা হাজির হয়ে যাচ্ছে।লকডাউনের জন্য ফুচকা বিক্রি বন্ধ।
        সেই অভাব মেটাতে ও রসনা তৃপ্তি ঘটাতে শাশুড়ি ও ননদকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতেই ফুচকা তৈরি করে ফেললেন পশ্চিম মঙ্গলকোটের জালপাড়ার গৃহবধূ মল্লিকা পাল। 
        সলজ্জ কণ্ঠে মল্লিকা দেবী বললেন - অনেক দিন ফুচকা খাওয়া হয়নি। কথাটা বলতেই শাশুড়ি উৎসাহ দিলেন। ইউটিউব দেখে শেখা বিদ্যা কাজে লাগালাম। শাশুড়ি-ননদ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।
        ফুচকা খেয়ে বাড়ির একমাত্র জামাই পেশায় শিক্ষক বরুণ বাবুতো খুবই উচ্ছ্বসিত। তিনি বললেন- প্রথমবার হলেও ফুচকার স্বাদ খুবই ভাল হয়েছে। আসলে চেষ্টা করলে বাঙালি সবই পারে।

হলদিয়ার ভবানিপুরে মুদির দোকানে চুরি

জুলফিকার আলি
  

হলদিয়া :::হলদিয়ার ভবানীপুর থানা এলাকায় গতকাল  রাত্রে মুদি দোকানের তালা ভেঙে দুঃসাহসিক চুরি। লকডাউন পিরিয়ডে এখন খাদ্য সংকটে ভুগছে বহু পরিবার ,তার মধ্যেই এই চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায় । সকালে খবর পেয়ে দোকান খুলতে এসে দেখে যে শাটারের তালা ভাঙ্গা ।তালা ভেঙে শাটার তুলে সমস্ত মালপত্র নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোর।ঘটনাটি ঘটেছে হলদিয়ার ব্রজলালচক মোড়ের কাছে । দোকানের মালিক শ্রীকান্ত দাস ভবানীপুর থানায় লিখিত আবেদন করেছেন। শ্রীকান্ত দাস জানেন যে তার দোকান থেকে কাল রাতে প্রায় 5 লক্ষ টাকার জিনিসপত্র চাল-ডাল তারপরে বিভিন্ন মুদিখানা জিনিসপত্র সব পুরো ফাঁকা করে দিয়েছে। বাজার কমিটির সম্পাদক প্রোসেনজিত ভৌমিক জানান যে এইরকম একটা দোকান গতকাল রাত্রে চুরি হয়েছে ।দোকানটি একটু আড়ালে দিকে ছিল ওখানে লোকজন সাধারণত কম যাতায়াত করে তবে আমরা তদন্ত করতে ভবানীপুর থানার পুলিশকে  বলেছি। ঘটনাস্থলে ভবানীপুর থানার পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করে। 


বিকেল হলেই এখন কালবৈশাখী ঝড়

জুলফিকার আলি

  

কিছুদিনের মধ্যেই আছড়ে পড়তে পারে ঘুুর্ণীঝড় আম্ফান,আর তাঁরই প্রভাব এই ঝড়বৃষ্টি, এমনই কথা শোনা যাচ্ছে মানুষের মুখে মুখে, আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নেটিজেনরা সেটাই মনে করছেন। আজ বিকেল থেকে ঝড় ও বৃষ্টিপাত শুরু হয় জেলার বিভিন্ন এলাকায়। তবে কেউ কেউ মনে করছেন ঘুুর্ণীঝড় আম্ফানের প্রভাব কেউ বা বলছেন কালবৈশাখী। সারা জেলাজুড়েই কালবৈশাখীর প্রভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়। কালোমেঘ ঘনিয়ে নেমে আসে অন্ধকার ,তারপরেই মুশলধারায় বৃষ্টি। এমনিতেই মহামারী ভাইরাসে বিধ্বস্ত জনজীবন, তাঁরওপর ঝড়বৃষ্টিতে সবকিছু তছরুপের আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

কাঁথিতে সিপিএমের ত্রাণ বিলি

জুলফিকার আলি
  

কাঁথি -১ ব্লকের সিপিঅাইএম, নয়াপুট অঞ্চল কমিটির উদ্যোগে দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫০ টি কর্মহীন পরিবারকে ত্রাণ বন্টন করা হয়।নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম নেতা জিতেন্দ্র নাথ সামন্ত, বলরাম গিরি,প্রনব করন,হিমাংশু শেখর মণ্ডল, সুশান্ত খুঁটিয়া, তুষার রাণা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। অাওয়াজ সংগঠনের সহায়তায় দেশপ্রাণ ব্লকের হিঞ্চিতে ৮১ টি পরিবারকে ত্রাণ বন্টন করা হয়। নেতৃত্ব দেন অাওয়াজ সংগঠনের জেলা সম্পাদক মামুদ হোসেন, সেক নুরুল অালি,সেক সফিউল অালি,ফাতেমা জহরা খাতুন, সেক অাবদুল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

বুধবার, এপ্রিল ২৯, ২০২০

ভূলে গেছে খেলা - অরুণাভ চক্রবর্তী

ভুলে গেছে খেলা
      অরুণাভ চক্রবর্তী
  


এযুগের শিশুদের নেই বায়না
      মা তুমি নাও কোলে,
এখনকার শিশুরা মোবাইল আর
    ল্যাপটপ পেলে সব ভোলে।
    
বলে না মায়েরা এখন ছুটেছুটে
    খেলা কর উঠানে মাঠে,
হারিয়ে গেছে শৈশবের খেলাগুলি
   স্মৃতি বিস্মৃতির পথেঘাটে।

এক্কাদোক্কা বুড়িবসন্তী কিতকিত 
   লুকোচুরি রুমালচোর খেলা,
কুমির তোর জলকে নেমেছি খেলে
    কেটে যেতো বিকেল বেলা।

ঘরে বসে খেলা হতো চোর পুলিশ 
   ঘর কাটা আর ইকিড়মিকির,
কতো খেলা তৈরি করতাম সে সময়
   খেলার ছড়া কাটতাম বিড়বিড়। 

এখন শিশুর নেই মনে সে সারল্য
     নাই ভাব সেই বালখিল্য,
হারিয়ে গেছে মিলেমিশে সে খেলা
    খু্ঁজে পাবোনা শৈশব বেলা।

শিশুদের বুধ্যাঙ্ক নিয়ে করে মা গর্ব 
   খেলাধূলার সময় করে খর্ব,
শৈশব নিঙড়ে মানুষ করার যে কল
   খেলাধুলা করে কি হবে বল?

গলসি ১ নং ব্লক তৃণমূল সভাপতি করোনায় দিলেন ১ লাখ

সেখ নিজাম আলম

 

মূখ্যমন্ত্রীকে এক লক্ষ টাকার চেক প্রদান- গলসি ১ নং ব্লকের তৃণমূল সভাপতি জাকির হোসেন এক লক্ষ টাকার চেক প্রদান করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। এই চেক প্রদান করেন জেলাশাসক বিজয় ভারতীর হাতে। সঙ্গে ছিলেন জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, বর্ধমান জেলার তৃণমূল সম্পাদক কাঞ্চন কাজী,বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি প্রমুখ। সভাপতি জাকির হোসেন জানান,জাগুলিপাড়ার একটি ক্লাবও ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন মূখ্যমন্ত্রীর তহবিলে। এই দূর্দিনে ভবিষ্যতে সম্ভব হলে আরও টাকা পাঠানোর মানসিকতা আছে বলে জানান  গলসি ১ নং ব্লকের সভাপতি জাকির হোসেন।

উত্তরপাড়া সমাজ কল্যাণ যুব সংঘ ক্লাব পাশে দাঁড়ালো দুশো পরিবারের পাশে

সেখ সামসুদ্দিন
 
মেমারি ১ ব্লকের গোপগন্তার ২ অঞ্চলের  কোলে গ্রামের উত্তরপাড়া সমাজ কল্যাণ যুব সংঘ ক্লাব সরকারি টাকা ও নিজেদের অর্থ মিলিয়ে দুই শতাধিক পরিবারের পাশে দাঁড়ালো। পরিবার প্রতি ৪ কেজি চাল, আড়াইশো ডাল, সোয়াবিনের প্যাকেট ও একটি করে সাবান  দেয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর দেয়া টাকায় এলাকার মানুষকে খাদ্য সহায়তা, রক্তদান শিবিরের মতো সামাজিক কাজে উদ্যোগী হয়েছে। এদিন উপস্থিত ছিলেন মেমারি ১ ব্লক তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক ও ব্লক যুব কার্যকরী সভাপতি সন্দীপ পরামানিক, পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ মৌসুমী মন্ডল, গোপগন্তার ২ অঞ্চল সভাপতি বিনোদ বিহারী মন্ডল, পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জিত রুইদাস, ক্লাব সভাপতি প্রদীপ কর্মকার, সম্পাদক প্রমোদ মন্ডল সহ সকল সদস্যবৃন্দ।

খাদ্য সামগ্রী বিলিতে বীরভূম পথ প্রদর্শক

সেখ নিজাম আলম
 

বীরভূম পথ প্রদর্শকের পক্ষ থেকে বোলপুরের সদস্যরা আজকে দুর্যোগের কথা মাথায় নিয়েই বেড়িয়ে পড়েছিলেন অসহায় দুঃস্থ মানুষদের হাতে নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু খাবার ও বাচ্ছাদের হাতে দুধ পৌঁছে দিতে এবং বোলপুর সংলগ্ন একটি ইট ভাঁটায় আটকে পরা কিছু শ্রমিক ও কয়েকটি এলাকায় অসহায় পরিবারের হাতে সংস্থার পক্ষ থেকে সামান্য কিছু খাবার তুলে দেওয়া হলো। এই খাবার পেয়ে শ্রমিক ও বাচ্ছারা খুশী।

করোনায় অভুক্তদের পাশে আলমবাজার নবজ্যোতি সংঘ

সুবল সাহা
 
আজ  আলমবাজার নবজ্যোতী সংঘের সদস্যরা মিলে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এলাকার আর্থিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পরা প্রায় পাঁচশো জন পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন। ক্লাব এর পক্ষ থেকে সেই পাঁচশো জন পরিবারের হাতে ত্রাণ হিসাবে চাল, আলু, সয়াবিন, বিস্কুট, নুন ও মুড়ি তুলে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য লকডাউনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় যেমন আম্বেদকর কলোনি ,কালাকার পাড়া , বিরিঞ্চি কলোনি , বালি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় রান্না করা খাবার ঘরে ঘরে পৌছে দেন।এছাড়াও লকডাউন যতদিন চলবে ততদিন তারা এই কর্মকান্ড চালিয়ে যাবে বলে জানান সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পুলক ঘোষ ও বর্ষীয়ান নেতা গণপতি মজুমদার।উল্লেখ্য এইদিন এই  কর্মকাণ্ডে উপস্থিত ছিলেন দমদম লোকসভার সাংসদ মাননীয় অধ্যাপক শ্রী সৌগত রায়। তিনি নিজের হাতে অনেককে ত্রাণ দেন এবং যদি কেউ অসুবিধার সম্মুখীন হন তবে নির্দিধায় ওনার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
                  সমস্ত পর্বটিকে উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে মানবিক ভাবে রূপায়িত করেছে ক্লাব এর সমস্ত সদস্যরা।স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকলের হাতে খাদ্যদ্রব্য তুলে দিতে পেরে খুশি হয়েছেন উদ্যক্তোরা।ত্রাণ গ্রহীতারাও হাসি মুখে খাদ্যসামগ্রী গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
 

করোনা হাসপাতালে মোবাইল নিষেধাজ্ঞা নিয়ে হলফনামা পেশের নির্দেশ হাইকোর্টের


মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)    

মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে অনলাইন শুনানি চলে করোনা হাসপাতালে মোবাইল ফোন নিয়ে সম্প্রতি রাজ্যের নিষেধাজ্ঞা জারী নিয়ে। আগামী ৭ মে এর মধ্যে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ওই দিনই এই জনস্বার্থ মামলার ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি রয়েছে । গত শুক্রবার ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং সহ একাধিক সংগঠন রাজ্য সরকারের জারি করা করোনা হাসপাতালে মোবাইল ফোন নিষেধাজ্ঞার বৈধতা নিয়ে অনলাইনে  মামলা দাখিল করে থাকে। উল্লেখ্য,  গত সপ্তাহের মঙ্গলবার রাতে রাজ্যের সদর প্রশাসনিক দপ্তর নবান্ন থেকে এক নির্দেশিকা জারী করা হয়। সেখানে রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ হাসপাতাল সুপারদের কাছে রাজ্য সরকারের আদেশনামা পৌছায় যে,  ঘোষিত করোনা হাসপাতাল গুলিতে চিকিৎসক - স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী সহ হাসপাতালের ভেতর রোগীর আত্মীয়পরিজনরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। হাসপাতালের নিদিষ্ট গেটে মোবাইল ফোন জমা দিতে হবে। হাসপাতালের কাজ মিটলে তা টোকেনের মাধ্যমে পুনরায় ফেরত পাবে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী। রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে ওই নির্দেশিকায় -' বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এর মোবাইল ফোন বিধিনিষেধ জারী থেকেই রাজ্যের এই নিষেধাজ্ঞা '।  মোবাইল ফোনে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কাও রয়েছে। তবে মামলাকারীর দের দাবি - দু সপ্তাহ পূর্বে করোনা হাসপাতাল হিসাবে ঘোষিত হাওড়া, ব্যাঙ্গুর, আরজিকর হাসপাতালে নানা অপব্যবস্থা উঠে এসেছে বেশকিছু ভাইরাল ভিডিওর জন্য। কোথাও করোনায় নিহতদের লাশ পড়ে রয়েছে অন্য করোনা রোগীদের পাশের বেডে, আবার কোথাও নিম্নমানের খাবারদাবার। এইবিধ নানান ভাইরাল ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে চলে আসায় রাজ্য সরকার তড়িঘড়ি করোনা হাসপাতালে মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারী করলো বলে মামলাকারীদের দাবি। গত শুক্রবার এইবিধ অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা হিসাবে এটি অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন হয়। মঙ্গলবার দুপুরে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলায় ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি চলে। সেখানে রাজ্যের তরফে জানানো হয় - বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এর মোবাইল ফোন বিধিনিষেধ নিয়েই রাজ্য সরকারের নিষেধাজ্ঞা টি জারী করা হয়েছে। অপরদিকে মামলাকারীরা অনলাইন শুনানিতে দাবি করে - 'করোনা আক্রান্তদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ ঘটাতে মোবাইল ফোন ব্যবহার আবশ্যিক। পরিবারের সাথে বিচ্ছিন্নভাবে থাকাটা রোগীদের পক্ষে খুবই কষ্টদায়ক। সর্বপরি রোগীর পরিবারও হাসপাতালে থাকা তাদের পরিজনদের নিয়ে নানান দুশ্চিন্তায় থাকে। যেভাবে করোনা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করার অভিযোগ উঠছে তাতে মোবাইল ফোনে কথোপকথন অত্যন্ত জরুরি রোগী ও তার আত্মীয়দের মধ্যে '। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই করোনায় তথ্য গোপন করার অভিযোগ তুলে ডক্টর ফুয়াদ হালিম আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এর মাধ্যমে   কলকাতা হাইকোর্টে মামলা  করেছেন।যার শুনানি চলছে। সেখানে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের প্রাথমিক রিপোর্টে অসন্তুষ্ট হয়ে পুনরায় রিপোর্ট তলব করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে যে,  করোনা হাসপাতাল গুলিতে মোবাইল ফোন ব্যবহার কেন নিষিদ্ধ তা হলফনামায় আগামী ৭ মে এর মধ্যে জানাতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ৭ মে। এখন দেখার ওইদিন করোনা হাসপাতাল গুলিতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা নিয়ে রাজ্যের নিষেধাজ্ঞা টি বৈধতায় সম্মতি দেয় কিনা হাইকোর্ট? নাকি রাজ্যের নিষেধাজ্ঞা টি খারিজ করে দেয় আদালত।                                                                                                                                                                                                                                               

চলে গেলেন বিশ্বমানের অভিনেতা ইরফান খান

রাজকুমার দাস
  


স্ট্রাগল লাইফের কথা সকলের কাছেই মনে গেঁথে থাকে।কিন্তু জীবন জয়ের স্ট্রাগল তা বেশ কষ্টের।শুধু বলিউডের অন্যতম সেরা অভিনেতা নয় বরং আন্তর্জাতিক মাপের একজন  বিশিষ্ট অভিনেতা ইরফান খান মাত্র ৫৩ বছর বয়সে আজ সকালে  মুম্বইয়ের  হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।গতকাল কোলনে সংক্রমণের কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি  করা হয়। তিনি রেখে গেলেন তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে।


 
এর আগে তিনি  দীর্ঘদিন লন্ডনে থেকে নিউরো এন্ডোক্রাইন ক্যানসারের চিকিৎসা করে ফিরেছিলেন।অনেকটা সুস্থ্যতা নিয়ে তিনি আবার অভিনয়ে ফেরেন।  পুনরায় কম ব্যাক করেন পরিচালক হোমি আদজানিয়ার ‘আংরেজ়ি মিডিয়াম’ ছবির মাধ্যমে।লকডাউনে র কিছুদিন আগে ছবিটি মুক্তি ও পায়। সেই ছবিতে ও তিনি সুন্দর সুচারু অভিনয় করে দর্শকদের বুঝতেই দেন নি যে তিনি অসুস্থ।সাধারণ ভাবে সকলে ভেবেছিল তিনি ক্যান্সার কে জয় করে ফেলেছেন।কিন্তু না,উপরওয়ালার কাছে তিনি হয় তো অন্য কিছু লিখে এসেছিলেন,তাই অকালেই চলে গেলেন।বলিউডে তার মতো দক্ষ অভিনেতা খুব কমই আছে।তিনি 
১৯৬৭ সালের ৭ জানুয়ারি জয়পুরে জন্মগ্রহণ করেন। হিন্দির পাশাপাশি একাধিক হলিউড ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি।  করেছেন বাংলাদেশের ছবি "ডুব"।বাংলা ভাষায় শুধু অভিনয় নয় তিনি ছিলেন "ডুব"-ছবির ভারতের প্রযোজক ও।তাঁর অভিনীত মনেরাখার মতো  ছবিগুলি হলো ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’, ‘পান সিং তোমার’, ‘বিল্লু’, ‘লাইফ অফ পাই’, ‘স্লামডগ মিলিয়নেয়ার’, ‘লাঞ্চ বক্স’, ‘দ্য নেমসেক’, ‘পিকু’, ‘মকবুল’, ‘হিন্দি মিডিয়াম’, ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’ ও ‘দ্য অ্যামেজ়িং স্পাইডারম্যান’ প্রমুখ।তিনি তার নিজের নিজস্ব অভিনয়ের একটা আলাদা ধারা তৈরি করেছিলেন। ২০১১ সালে অভিনয়ের জন্য পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।পান জাতীয় পুরস্কারের সন্মান সহ আরও অন্যান্য সম্মান।তাঁর মৃত্যু আগামীর কাছে একটা বড় ধাক্কা।মানসিক ভাবে তিনি সাম্প্রতিক বেশ কিছুদিন টেনশনে ছিলেন।কারণ তার 
মা সঈদা বেগম জয়পুরে গত শনিবার ইন্তেকাল করেন।লকডাউনে তিনি মায়ের কবরে মাটি ও দিতে যেতে পারেন নি।সবটাই ভিডিও কলে তিনি তার মায়ের বিদায়বেলার সাক্ষী ছিলেন। সেই একটা বেদনাময় শোক তিনি নিতে পারেন নি।তার আত্মার শান্তি কামনা করি।তিনি সারা বিশ্ব তথা ভারতবাসীর কাছে আজীবন তার ছবির মাধ্যমে চরিত্রের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন।ইন্ডিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তাকে কোনোদিন ভুলবে না।

করোনা ভলেন্টিয়ার নিয়ে রাজনীতি নদীয়ায়


এবার রাজনীতি শুরু হল করোনা ভলেন্টিয়ার নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে করোনায় স্বেচ্ছাসেবি হিসেবে কাজ করতে চেয়ে এসডিও এবং বিডিওর কাছে আবেদন করেন চাকদহের তাতলা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জনা দশেক তরুন তরুণী। এসডিও কল্যাণী এবং বিডিও চাকদহকে এরা চিঠি দিয়ে জানান, স্বেচ্ছাসেবি হিসেবে কাজ করার জন্য কোনও পরিশ্র্মিক চান না তারা। তারা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। প্রশাসনের পরামর্শ মেনেই সব কাজ করবেন তারা। কিন্তু আবেদন করার দু সপ্তাহ পরও তাদের আবেদন মঞ্জুর করেনি প্রশাসন। 
অন্যদিকে এলাকায় শাসক দলের তিন জনকে এই কজের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। স্বভাবতই তারা নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করছেন না। পঞ্চায়েত প্রধানের অনুগামী ছাড়া অন্যদের কোনো সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। চাকদহ থেকে স্বেচ্ছাসেবিরা নবপল্লির এক বয়স্ক পরিবারে ওষুধ পৌছে দেওয়ায় তাদের হুমকি দেয় পঞ্চায়েত প্রধান পার্থ প্রতীম দে। তার অনুমতি ছাড়া কাউকে সাহায্য করলে ফল ভালো হবে না বলে তিনি স্বেচ্ছাসেবিদের জানান। 
পুরো বিষয়টি জানিয়ে সোমবার এসডিও কল্যাণীকে চিঠি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী মুকুল বিশ্বাস (9007955530)। এই মহামারির সময়ে রাজনীতির উর্ধে উঠে প্রশাসনকে কাজ করার অনুরোধ করেছেন তিনি। সঙ্গে এলাকার নিরপেক্ষ শিক্ষিত তরুন তরুণীদের স্বেচ্ছসেবি হিসেবে কাজ করার অনুমতির জন্যও  আবেদন রয়েছে তার। এই মহামারি যে রাজনীতির সঠিক সময় নয় সে কথাও প্রশাশনের কর্তাদের তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন।

চরিত্রের আসন - রুনু ভট্টাচার্য

চরিত্রের আসন
       রুনু ভট্টাচার্য
 

মানুষ কিংবা যতো জীব আছে,সৃষ্টি রূপে এই ধরণীতে,
সবাই সবার আদর্শ চরিত্রে,নাম পাবে গুণের নীতিতে,
নিয়ম নীতিতে মানুষের গুণ,সৃষ্টির মাঝে সেরা,অসাধারণ, 
এখন সবার চরিত্রের কারণে,মানুষ বলাতে আছে বারণ।

কীট হয়ে গেছে মানুষের চরিত্র,আবাদ করছে জন্তুর জীবন,
চরিত্রহীন মানুষের অনাচারে,শ্রেষ্ঠত্বের পদে রক্তক্ষরণ,
বুদ্ধি হলেই আমরা শুনেছিলাম,হিংস্রতার প্রাণী সে আলাদা,
মানুষ পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ জীব,মানুষের মন কোমল নরম কাঁদা।

কোমল মানুষ ছড়াবে সুবাস,সেই মানুষই করে হিংস্রতা আবাদ!
পৃথিবীর বুকে শ্রেষ্ঠত্বে আসন,চরিত্রহীনতায় গেলো স্বপ্ন স্বাধ,
কেমন জনম গড়ছি মোরা,প্রাপ্ত আমানত চরিত্রের স্খলন,
কিসে হবে শোধ নষ্ট এ জীবন,পুনঃজন্মে হবে অবশিষ্ট বপন।

জন্মের রূপে আর নামের পদে,আমরা মানুষ আজব প্রাণী!
সফল হয়নি মানবের স্থিতি,মানব জীবনে আজ শুধু পেরেশানি,
কথা ছিলো মানবের হৃদয়,সু চরিত্রের গুণে হবে মূল্যবান,
স্রষ্টার গুণে মানব পুলকিত,মানব হৃদয়ে থাকবেন মুক্ত ভগবান।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER