শিখা ধর
কোচবিহারের তুফানগঞ্জে ৩ জন দুষ্কৃতি কে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। ৪ টি আগ্নেয়াস্ত্র সহ বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।পুলিশসুপার তা সাংবাদিক সম্মেলনে জানান।
শিখা ধর
কোচবিহারের তুফানগঞ্জে ৩ জন দুষ্কৃতি কে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। ৪ টি আগ্নেয়াস্ত্র সহ বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।পুলিশসুপার তা সাংবাদিক সম্মেলনে জানান।
মোহন সিং
আসানসোলের কাঁজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের নিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চললো।পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ছিলেন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি সহ অনেকেই।
মোহন সিং
আসানসোল পুরনিগমের সামনে হকারি করা হকাররা মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারির সাথে সাক্ষাত করে গেলেন। তাদের বক্তব্য দিন প্রতিদিন ওই স্থানে হকার বেড়ে চলেছে। মেয়র জানিয়েছিলেন যে সমস্ত হকাররা আগে থেকে আছে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু এত হকার ওই এলাকায় চলে এসেছে, যে পুরোনো হকারদের ব্যবসা করতে অসুবিধা হচ্ছে। সেই কারনে তারা মেয়রের দ্বারস্থ হলেন।
মোল্লা জসিমউদ্দিন
আজ বিকেলে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামে 'মিনি নবান্ন ' বসতে চলেছে।তাতে মুখ্যমন্ত্রী একঝাক মন্ত্রীপরিষদ সহ রাজ্যের পুলিশ - প্রশাসনের কর্তাদের আনছেন জেলার উন্নয়ন পরখ করতে।গ্রামাঞ্চলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রধান এজেন্ডা হল উন্নয়নকাজ - সরকারী পরিষেবা প্রদান বিষয়গুলি।তাই এগুলি কে সামনে রেখেই পূর্ব বর্ধমান জেলায় এই প্রথম জেলার সদরে না করে 'জঙ্গলমহল' খ্যাত আউশগ্রাম কে বেছে নেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক সভা করবার জন্য।ইতিমধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলা 'নির্মল জেলা' র শিরোপা আদায় করেছে।তবে সেটি খাতাকলমে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। বাস্তবিক ক্ষেত্রে বাড়ী বাড়ী শৌচালয় যেমন হয়নি, ঠিক তেমনি ব্যস্ততম সড়কমোড় গুলিতে সূলভমূল্যে শৌচাগার গড়ে উঠেনি।নোংরা আবর্জনা সংগ্রহ করতে স্থানীয় পঞ্চায়েত গুলিতে গাড়ীর পরিষেবা চালু পর্যন্ত হয়নি।উল্টে নির্মল ব্লক মঙ্গলকোটে নূতনহাটের লোচনদাস সেতুর নীচে বর্জ নিষ্কাসন প্রকল্পের ঘরে এলাকার মানুষজন 'গোয়ালঘর ' বানিয়েছেন। সর্বোপরি নির্মলতা আনতে গেলে যে জলের প্রয়োজন, সেই জলের উৎস হিসাবে অধিকাংশ সরকারী টিউবওয়েল গুলি কয়েকবছর ধরে বিকল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।মেরামতির কোন উদ্যোগ নেই ব্লক প্রশাসনের।প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা কিংবা বাংলা আবাস যোজনায় ঘর বিলিতে চরম দুর্নীতি ঘটছে সারা জেলায়।সেখানে অগ্রিম ২০ হাজার টাকা স্থানীয় গ্রামের শাসকদলের নেতাদের না দিলে পাচ্ছেনা অনেকেই।উপভোক্তাদের বড় অংশ পঞ্চায়েতের অনলাইন কর্মীদের দ্বারা ভুয়ো জায়গায় অন্যের ঘর, কিংবা একই ঘর নানান ভাবে ফটো করে দুর্নীতি চলছে। বিশেষত মঙ্গলকোটে দোতলা তিনতলা বাড়ীর মালিকরা এই প্রকল্পের টাকা লুট করছেন বলে এলাকায় অভিযোগ উঠেছে।বিধায়ক কিংবা সাংসদ তহবিলের অনুদান জেলার উন্নয়নে অনেকাংশ নির্ভরশীল। সেখানে শাসকদলের গোষ্ঠী বিবাদের জন্য বোলপুর সাংসদ অনুপম হাঁজরার সাংসদ তহবিলের অনুদান মঙ্গলকোট, আউশগ্রামে খরচ হচ্ছেনা।এস্টেমেট করে অনুদান দেওয়ার পরেও অনুদান ফিরে গেছে।যে ব্লকে মুখ্যমন্ত্রী আজ প্রশাসনিক সভা করছেন। সেটিও পড়ছে বোলপুর সাংসদের অধীনস্ত বিধানসভা হিসাবে।এখানে অনুব্রত বনাম অনুপমের দ্বন্ধে বন্ধ সাংসদ তহবিলের উন্নয়নকাজ। এমনকি রাজ্যের মন্ত্রী হয়েও সিদ্দিকুল্লাহ তাঁর নির্বাচনী ক্ষেত্র মঙ্গলকোটে বিধায়ক তহবিলের কাজ করতে পারছেন না।স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি, ব্লক, থানা, এমনকি কোন পঞ্চায়েতেও উন্নয়ন মূলক সভায় ডাক পাননা।বিধায়ক তহবিল থেকে বরাদ্দকৃত অনুদানে ব্লক হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের ঘর নির্মাণ করতে হয় পূর্ত বিভাগ কে দিয়ে।সাধারণত পঞ্চায়েত সমিতি করে থাকে।পূর্ব বর্ধমান জেলায় উন্নয়নকাজে স্থানীয় বিধায়ক - সাংসদদের 'বয়কট' চলছে আউশগ্রাম মঙ্গলকোটের মত ব্লক গুলিতে।তাই মুখ্যমন্ত্রী আজ প্রশাসনিক সভায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে উন্নয়ন - সরকারী পরিষেবা প্রদানে এহেন গোষ্ঠী বিবাদ নিরসনে কি ভূমিকা নেন, তার দিকে তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।
মোল্লা জসিমউদ্দিন
একসময় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলকোটের বুকে দাঁড়িয়ে সিপিএম নেতা ফাল্গুনী মুখার্জী খুনে মূল ষড়যন্ত্রকারী বিকাশ চৌধুরীর নিরপরাধ প্রমাণে সিবিআই তদন্তের দাবিতে মুখর ছিলেন।বর্তমানে সেই বিকাশ চৌধুরীই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিআইডির কাছে গ্রেপ্তার হলেন দলীয় নেতা খুনে মূল ষড়যন্ত্রকারীর অভিযুক্ত হিসাবে।ফাল্গুনী খুনের মামলাটি বিকাশ চৌধুরী কে কাটোয়া মহকুমা আদালতের স্বস্তি আনলেও, ডালিম সেখ খুনে তাঁকে আনলো বিস্তর অস্বস্তি। সোমবার দুপুরে কাটোয়া মহকুমা আদালতে এসিজেম এজলাসে পেশ করা হয় মঙ্গলকোটে দলীয় নেতা ডালিম সেখ খুনে ধৃত জেলাপরিষদ সদস্য বিকাশ চৌধুরী কে।এই মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির আবেদন নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন বাতিল হয়ে ধৃত 'অসুস্থ' নেতার একদিনের জেল হেফাজত হয়।আগামীকাল পুনরায় কাটোয়া আদালতে পেশ করা হবে।এদিন সিআইডির গ্রেপ্তারিপর্ব নিয়ে আদালতে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন উঠে।যে মামলায় অনেক আগেই সিআইডি চার্জশীট পেশ করেছে।সেখানে অভিযুক্ত কে গ্রেপ্তারে আদালতের অনুমতি দরকার।এক্ষেত্রে বিকাশ চৌধুরী গ্রেপ্তারে সিআইডি কাটোয়া আদালত কে কোন কিছু জানাইনি বা অনুমতি নেয়নি।রবিবার দুপুরে বর্ধমান শহরের উল্লাস মোড়ে সিআইডির হাতে ধরা পড়েন এই তৃনমল নেতা।সিআইডি তরফে এনএইচ ২ রাস্তায় পালানোর সময় পাকরাও করা হয়েছে বলে দাবি তোলা হলেও, স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে অনাময় হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে গ্রেপ্তার হয়েছেন বিকাশ বাবু।গ্রেপ্তারে বিতর্ক তৈরি হলেও, আগামীকাল (২০ মার্চ) মুখ্যমন্ত্রীর এই জেলায় আউশগ্রামে প্রশাসনিক সভা রয়েছে।তাই সিআইডি প্রায় আটমাস 'ফেরার' থাকা খুনের মামলায় মূল ষড়যন্ত্রকারী কে গ্রেপ্তারে সাফল্য দেখালো।যদিও মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর ভাই রহমতুল্লা চৌধুরী পলাতক রয়েছেন খুনের পর থেকেই।কে এই বিকাশ চৌধুরী? পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলাপরিষদের গভর্নিং বোর্ডের মেম্বার হওয়ার পাশাপাশি তৃনমূলের জন্মলগ্ন থেকেই জেলার সাধারণ সম্পাদক পদে মঙ্গলকোটের খুদরুণ এলাকার বাসিন্দা বিকাশ চৌধুরী। গত বছরের ১৯ জুন মঙ্গলকোটের শিমুলিয়া ১ নং অঞ্চল তৃনমূল সভাপতি ডালিম সেখ খুনে মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে নিহতর দাদা আশরাফুল সেখের দায়ের করা অভিযোগে অভিযুক্ত হলেও, এরপূর্বে বাম আমলে মঙ্গলকোটের বহু চর্চিত সিপিএম নেতা ফাল্গুনী মুখার্জী খুনেও অনুরুপ অভিযুক্ত ছিলেন বিকাশ বাবু।২০০৯ সালের ১৫ জুন নিহত ফাল্গুনী খুনের মামলাটি একপ্রকার কাটোয়া আদালতে অভিযোগ ভিক্তিহীন হওয়ার পথে।রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই মামলা নিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুভেন্দু অধিকারী, মদন মিত্র, মুকুল রায় দের মত নেতাদের দেখা গেছে এই বিকাশ চৌধুরীর পাশে ।সেসময় মমতা প্রকাশ্য মঞ্চে খুদরুণে ফাল্গুনী খুনে আসল সত্য উদঘাটনে সিবিআই তদন্ত দাবি করেছিলেন। ক্ষমতায় এলে সিবিআই হবে এই আশ্বাসও দিয়েছিলেন তিনি মঙ্গলকোটবাসী কে।সেইসাথে মঙ্গলকোট লাগোয়া নানুরের বাসাপাড়ায় ২৯ জুলাই সূচপুরের গনহত্যা নিয়ে শহীদ দিবস পালনে মমতা অনেকটাই নির্ভর থাকতেন এই বিকাশ চৌধুরীর উপর।সিপিএমের হাতে খুন হওয়া মঙ্গলকোটের তৃণমূল কর্মী দিলীপ ঘোষের মৃতদেহ ২০১০ সালে ৫ ডিসেম্বর কলকাতার রাজপথে সুবিচারের দাবিতে যে মিছিল করেছিলেন দলনেত্রী।তার সিংহভাগ মঙ্গলকোটের দায়িত্ব পালনে ছিলেন এই বিকাশ চৌধুরীই। ২০১১ সালে মঙ্গলকোট বিধানসভার প্রার্থী হবেন বিকাশ চৌধুরী। এটা অনেকেই নিশ্চিত ছিলেন।তবে অলৌকিকভাবে অনুব্রত অনুগামী অপূর্ব চৌধুরী দলীয় প্রার্থী হন।তুমুল পরিবর্তনের হাওয়া সত্বেও পরাজিত হন তিনি।আর এই অন্তর্ঘাতে অপূর্ব চৌধুরী অভিযোগ তোলেন বিকাশ চৌধুরীর উপরেই।সেইথেকে মঙ্গলকোটের দুই চৌধুরীর গোষ্ঠী বিবাদ বাড়ে।তাতে নূতন মাত্রা দেন আরেক চৌধুরী সিদ্দিকুল্লাহ।২০১১ সালে যতটা দলীয় প্রার্থী হওয়াতে এগিয়ে ছিলেন বিকাশ চৌধুরী, তার থেকে একশোভাগ নিশ্চিত ছিলেন অপূর্ব চৌধুরী ২০১৬ এর বিধানসভায় প্রার্থীপদে।সেখানে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী চলে আসায় বিকাশ বাবু নাম লেখান অপূর্ব বিপক্ষের শিবিরে।এরেই মাঝে খুন হন ডালিম সেখ।যিনি অপূর্ব অনুগামী অঞ্চল সভাপতি ছিলেন।এই খুনে বিকাশ চৌধুরী এবং সিদ্দিকুল্লাহের আপন ভাই রহমতুল্লাহ চৌধুরীর নাম জড়ায়।এমনকি মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর নাম টা রেখেছিল নিহতর পরিবার।শীর্ষ তৃনমূল নেতাদের নির্দেশে তা বাতিল হয়।ডালিম সেখ খুনের প্রায় একবছর ধরে জেলাপরিষদ সদস্য বিকাশ চৌধুরীর সর্বক্ষণের পুলিশি রক্ষী থাকত।তাই স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে কিভাবে এক পরিকল্পিত খুনের ষড়যন্ত্র পুলিশের উপস্থিতিতেই চালালেন এই নেতা? এইবিধ নানান প্রশ্ন এই খুন কে ঘিরে তৈরি হয়েছে।এমনকি সিআইডি কাটোয়া আদালতে ভৎসনার শিকারও হয়েছে।পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে একপক্ষ কে খুশি করতে গিয়ে সিআইডি কে তোতোপাখি বানালো শীর্ষ তৃনমূল।এই অভিযোগ মঙ্গলকোটের বিধায়ক শিবিরের পক্ষে।অপরদিকে মঙ্গলকোট ব্লক তৃনমূল সভাপতি ও সেইসাথে ২০১১ বিধানসভায় পরাজিত তৃনমূল প্রার্থী অপূর্ব চৌধুরীর শিবির খুবই চনমনে বিকাশ চৌধুরী গ্রেপ্তারে।তাদের অভিযোগ - অনেক আগেই গ্রেপ্তার হত, কিন্তু মন্ত্রী আশ্রয় দেওয়াতেই এই বিলম্ব ঘটলো।এরপরে মন্ত্রীর ভাই রহমতুল্লা চৌধুরী কে দ্রুত গ্রেপ্তার করুক সিআইডি।এটাই চাইছেন তারা।অন্ততপক্ষে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে।
মানস দাস,মালদা
তৃণমূলের দলীয় সভা ঘিরে গোষ্ঠী সংঘর্ষের অভিযোগ উঠল মালদায়। আক্রান্ত হলেন দলের অঞ্চল কার্যকরী সভাপতি। আজ বিকেলে ঘটনাটি ঘটে মালদার বৈষ্ণবনগর থানার ভগবানপুরের চাঁদনি চক এলাকায়। আহত তৃণমূল নেতাকে প্রথমে স্থানীয় বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনায় দলীয় পর্যায়ে তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন।আজ দুপুর তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের একটি সভা ছিল ওই এলাকায়। ছিলেন জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ। অভিযোগ, তাঁরা ফিরে যাওয়ার পরই বিকেলে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই সভা ডেকেছিলেন তৃণমূল নেতা অসিতবরণ বসু ঘনিষ্ঠ ব্লক সভাপতি নালেপ আলি। তিনি নাকি দলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বিরোধী। সভায় মোয়াজ্জেম গোষ্ঠীর কাউকেই ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ। সভা শুরু হতেই সেখানে হাজির হয়ে এনিয়ে প্রশ্ন তোলেন মোয়াজ্জেম ঘনিষ্ঠ ভগবানপুরের অঞ্চল তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি মণিরুল ইসলাম। অভিযোগ, তখনই নালেপ আলি ও তাঁর লোকজন লাঠি ও লোহার রড নিয়ে মণিরুলের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। রডের আঘাতে মাথা ফেটে যায় মণিরুল ইসলামের।মণিরুলের বক্তব্য, তিনি এলাকার ৬টি বুথের আহ্বায়ক। তাঁর বাড়ির পাশেই সভা অথচ তাঁদের কাউকে সভায় ডাকা হয়নি। তিনি আরও বলেন, দলীয় শীর্ষ নেতৃত্ব বারবার বলেছে সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। তিনি সভায় গিয়ে সেকথা বলতেই নালেপ ও তাঁর লোকজনেরা তাঁর উপর হামলা চালায়। মণিরুলের অভিযোগ, এলাকায় নিজের ইচ্ছামতো কাজ করছেন নালেপ। দলের জেলা সভাপতিকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “বৈষ্ণবনগর এলাকায় নালেপ আলিকে ব্লক সভাপতি হিসাবে কেউ মানতে পারছেন না। তিনি নিজের খেয়ালখুশিতে দল চালাচ্ছেন। এদিনও তিনি নিজের ইচ্ছায় সভা ডাকেন, যেখানে সব কর্মী-সমর্থককে ডাকা হয়নি। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে দলের শীর্ষনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে রিপোর্ট পাঠানো হবে। এধরনের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না।”
সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব
বাংলাদেশের সাতক্ষিরা থেকে দালাল মারফত অবৈধভাবে ভারতে ঢুকে মুম্বাই যাওয়ার পথে স্বরূপদাহবাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে স্বরুপনগর থানার পুলিশ ২ শিশু ১জন মহিলা সহ মোট ৫ জন কে আটক করে, বসিরহাট আদালতে পাঠাল আজ ১৯শে মার্চ সকালে। পুলিশ সূত্রে জানা যায় দালাল এর খোজ করছে তারা৷
ওয়াসিম বারি
উঃ ২৪ পরগনার বাদুড়িয়াতে স্থানীয় জনগনের অভিযোগের ভিত্তিতে মরা মুরগি বিক্রিয়কারী অসাধু ব্যবসায়ীদের বাগে আনতে আজ বাদুড়িয়া পৌরসভার পৌরপ্রধান শ্রী তুষার সিংহ মহাশয় বাদুড়িয়ার বিভিন্ন মুরগী ফার্ম পর্যবেক্ষণে যান। ফার্মারদের সঙ্গে নিয়ে তিনি মরা মুরগি মাটির নীচে পুতে ফেলেন। পৌরপ্রধান ফার্মার সহ সাধারণ মানুষের সামনে মরা মুরগি খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্য সম্বন্ধীয় ক্ষতিকর দিক গুলো তুলে ধরে মরা মুরগি বিক্রি থেকে বিরত থাকার আবেদন জানান। এছাড়াও তিনি আজ সাংবাদিক সাক্ষাতকারে বলেন - অসাধু মরা মুরগি ব্যবসায়ীদের প্রশাসনের মাধ্যমে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং মরা মুরগি বিক্রিয়কারী ফার্মারদের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
মাদ্রাসা বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে বর্ধমান হাই মাদ্রাসায়।কুলগড়িয়া, মেমারী,ওড়গ্রাম ও আটাঘর সহ বেশ কয়েকটি হাই মাদ্রাসার ছেলেমেয়ে রা ওই কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে। কিন্তু, প্রশ্ন উঠেছে বাইরে থেকে টিচার এনে গার্ড দেওয়া কে নিয়ে।কুলগড়িয়া গার্লস হাই মাদ্রাসার মেয়েরা ওই কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে, অথচ ওই মাদ্রাসার শিক্ষিকারাই ওখানে গার্ড দিচ্ছেন।গার্জেন ও অন্যান্য মাদ্রাসা র অভিযোগ, এতে করে ওই সব মাদ্রাসার টিচার দের থেকে তাদের ছেলে মেয়েরা বাড়তি সুবিধা নিচ্ছে। এব্যাপারে, ওই সেন্টার থেকে জানা যায়, ওই টিচার দের তাদের মাদ্রাসার ছেলেমেয়েদের ঘরে গার্ড দিতে দেওয়া হয় না। ফলে, অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবে, এই মন্তব্যে অভিভাবক রা খুশি নন।তারা বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কে জানাবেন বলে জানা গেছে।
মোল্লা জসিমউদ্দিন
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে পূর্ব বর্ধমান জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক ঘিরে তুমুল আগ্রহ তৈরি হয়েছে জেলা রাজনীতিমহলে।প্রশাসনিক সভায় রাজনৈতিক বিষয় না আসাটাই স্বাভাবিক, তবে কয়েকটি বিষয় কে সামনে রেখে অংক কষছে অনেকেই।সাধারণত মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে সংশ্লিষ্ট বিধানসভা, লোকসভার জনপ্রতিনিধিরা থাকেন, এক্ষেত্রে দলীয় লোকসভার সাংসদ অনুপম হাঁজরা আগামী ২০ মার্চ প্রশাসনিক বৈঠকে থাকবেন কিনা? সে নিয়ে বিস্তর জল্পনা তৈরি হচ্ছে।কেননা বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অধিন পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম মঙ্গলকোটের পাশাপাশি আউশগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে।অনুব্রত মন্ডলের সাথে বোলপুর সাংসদ অনুপম হাঁজরার সাপেনেউলে সম্পক সর্বজনখ্যাত। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় অনুব্রত কে চটিয়ে সাংসদ অনুপম কে পাওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্ন।উল্লেখ্য বীরভূম জেলার দলীয় সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি এই তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় পর্যবেক্ষক হচ্ছেন অনুব্রত মন্ডল।তাই ২০১৪ সালের পর থেকে সাংসদ তহবিলে উন্নয়ন নিয়ে নানান সমস্যা হয়েছে শাসকদলের নেতা অনুব্রত ও সাংসদ অনুপম কে ঘিরে।এমনকি বরাদ্দকৃত পঞ্চায়েত সমিতিতে লক্ষ লক্ষ টাকা অনুদান ফিরে গেছে সাংসদ তহবিলে।তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নকাজ নিয়ে যখন সারারাজ্যে চষে বেড়াচ্ছেন। সেখানে সাংসদ তহবিলের উন্নয়নকাজ নিয়ে সমস্যা সমাধানে কি দেখা যাবে সাংসদ অনুপম হাঁজরা কে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায়? অপরদিকে ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে পরিবর্তন হবার পূর্বে অর্থাৎ ২০১০ সালে রাজ্যে সর্বপ্রথম যে গুশকরা পুরসভা তৃনমূল এককভাবে দখল পেয়েছিল।সেই জয়ের কারিগর তৎকালীন পুর চেয়ারম্যান চঞ্চল গড়াই আজ উপেক্ষিত শাসকদলের অন্দরে।গুশকরা পুরসভার টেন্ডার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে চঞ্চল বাবু একপ্রকার রাজনৈতিক সন্ন্যাস নিয়েছেন।যেখানে বারবার তৃনমূলের তরফে পুরানো কর্মী সমর্থদের প্রতি সম্মান জানাবার ( পঞ্চায়েত ভোটের মুখে) কথা বলা হচ্ছে।সেখানে কি রাজ্যের প্রথম পুরসভা দখল করার 'হিরো' চঞ্চল গড়াই গুশকরা এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ডাক পাবেন? সে নিয়ে নানান গুঞ্জন জেলার রাজনীতির আঙ্গিনাতে।আগামী ২০ মার্চ পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় জেলার দুই মন্ত্রীর মধ্যে স্বপন দেবনাথ ও সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী পড়েন।এক্ষেত্রে প্রশাসনিক সভাস্থল লাগোয়া মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে মুখ্যমন্ত্রী পুরস্কার না তিরস্কার করেন।তার দিকেও নজর অনেকেই।এটা সত্য সারারাজ্যে গ্রন্থাগার পরিষেবার মান কে দিন কে দিন বাড়াচ্ছেন সিদ্দিকুল্লাহ।তবে বিধায়ক হিসাবে সেভাবে সফল নন মঙ্গলকোটের বুকে।যদিও অনুব্রত প্রভাবিত মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতি,গ্রাম পঞ্চায়েত গুলিতে অবিরত কৃত্তিম বাঁধার শিকার সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। তদাপিও বিধায়ক তহবিলে বরাদ্দকৃত আম্বুলেন্স গুলি ঠিকঠাক ব্যবহার না করা,কৃষির ক্ষতিপূরণ অনুদানে ভুয়ো তালিকা করা, গীতাঞ্জলী প্রকল্পে বিধায়ক কোটায় বড়লোক সহ নিজ ঘনিষ্ঠদের আর্থিক অনুদান পাইয়ে দেওয়া বিষয়গুলি মঙ্গলকোট বিধায়কের চিন্তা কে বহুগুণ বাড়িয়েছে। আবার ব্লক তৃনমূল নেতাদের তৈরি মঙ্গলকোটের আটঘড়া মোড়ে মহিলাদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ সহ জুতো ঝাঁটা কান্ডে মুখ্যমন্ত্রী সরব হন কিনা, তা নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় রয়েছে।এই ঘটনায় বিধায়ক নিজের প্যাডে মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ পূরবী গড়াই সহ তৃনমূল নেতাদের দায়ী করেছেন। এমনকি জমিয়ত উলেমা হিন্দের জেলা কমিটি কে দিয়ে পুলিশসুপার কে কর্তব্য পালনে ব্যর্থতা প্রসঙ্গ টেনে মঙ্গলকোট ওসি প্রসেনজিত দত্ত কে অত্যাচারী উল্লেখ রেখে স্মারকলিপি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সিদ্দিকুল্লাহ যেমন পুরস্কারের (প্রশংসা, ব্যবস্থা নেওয়া) সম্ভাবনা রয়েছে।ঠিক তেমনি তিরস্কারের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বিভিন্ন অতীত ঘটনাকাল সামনে রেখে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে কমন এজেন্ডা হিসাবে বরাবর দেখা গেছে বালি সিন্ডিকেট বিষয়টি।এক্ষেত্রে আগামী ২০ মার্চ বেআইনী বালিঘাট অধ্যুষিত মঙ্গলকোট,গলসি,কেতুগ্রাম, কাটোয়া প্রভৃতি এলাকার ওসি,বিডিও, বিএলআরও সর্বোপরি দলীয় নেতাদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী কি বার্তা দেন? তার দিকেও নজর রেখেছে পূর্ব বর্ধমান জেলাবাসি।
ওয়াসিম বারি
দেগঙ্গা হাদিপুর ঝিকড়া দু নম্বর পঞ্চায়েতের হরপুর গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর গণ্ডগোল বাধে পাচ থেকে ছটি বাড়ী ভাঙচুর, তিনটি মোটরবাইক ভাঙচুর , চলে বোমা গুলি এলাকা থেকে দশ টি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিন জন বোমা ও গুলিতে জখম। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় নামানো হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী , দুই জন কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব
স্বরুপনগরের গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন দত্তপাড়া গ্রাম সভায় দীর্ঘদিন অবহেলিত রাস্তাটি ঢালাই কাজ শেষ হওয়ায় স্থানীয় এলাকার সাধারন মানুষ খুশি।চতুর্দশ অর্থ কমিশন অনুমোদিত ৩৪৯৯১৮ টাকায় এই কাজ শেষ হলো।একইভাবে ২১টি কংক্রীটের ঢালাই রাস্তায় হাত দিয়েছে গোবিন্দপুর জি.পি।পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই এই কাজ শেষ করার কথা।সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজের তদারকি চলছে।
ওয়াসিম বারি
উঃ ২৪ পরগনা জেলার বাদুড়িয়া ব্লকের উঃ শেরপুর মাঝের পাড়ার বাসিন্দা পাপিয়া খাতুন (১৬) যদুরহাটি রবীন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ের এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী , গত ১০ দিন ধরে জ্বর ও গায়ের ব্যাথা নিয়ে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি ছিল, গত কাল রাতে তার মৃত্যু হয় বলে পরিবার সূত্রের খবর ৷
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...