মঙ্গলবার, জুলাই ১১, ২০১৭

কালনা হাসপাতালের উদ্যোগে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন।

মোল্লা জসিমউদ্দিন

কালনার ধাত্রীগ্রামে জমিবিবাদ কে কেন্দ্র করে গুরুতর জখম ৭ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।


মোল্লা জসিমউদ্দিন

বাংলার সম্প্রীতি রক্ষায় নাগরিকের কর্তব্য


ফারুক আহমেদ, কলকাতা: সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের ১৪ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে কলকাতা ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ধর্মের প্রতিনিধিরা বাংলার সম্প্রীতি রক্ষায় নাগরিকের কর্তব্যের কথা তুলে ধরলেন।
হেমেন্দু বিকাশ চৌধুরী বললেন বৌদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি আদায়ে কামরুজ্জামান আমাদের পাশে ছিল।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যাবল এর প্রফেসর গৌতম পাল বললেন কয়েক হাজার বছরের হিন্দু মুসলিম সম্পর্ক অত ঠুনকো নয়, যে কোনও একটা সামান্য ঘটনায় তা শেষ হয়ে যাবে। বাংলার মানুষের কল্যাণে আমরা পাশে আছি এবং থাকব। সম্প্রীতি ও সৌহদ্য বাংলায় অটুট রাখতে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।
ইন্তাজ আলী শাহ বললেন আমি সব সময় রাজ্যের সব সংখ্যালঘুুদের স্বার্থে কাজ করে যাবো।
পার্থ সেনগুপ্ত বললেন যে কাজ সংখ্যাগুরুদের করা উচিত ছিল সেই উদ্দ্যোগ সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন নিয়ে কাজ করছে সম্প্রীতির স্বার্থে তা সাধুবাদ যোগ্য‌।
ছোটন দাস বললেন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে কোনও অশুভ শক্তি নিজেদের সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারবে না।
স্বামী সত্যরূপানন্দ বললেন হিন্দুর দান করা জমিতে মুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান, মুসলিমদের দান করা জমিতে হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয় এতো দেশের সংস্কৃতি, এটা কেউ কোনদিন ভাঙতে পারবে না।
উপস্থিত ছিলেন সাংসদ আহমদ হাসান ইমরান, মাওঃ আব্দুল মাতিন, খ্রীষ্টিয় পরিষদের কিশোর অধিকারী মূল্যবান আলোচনা করেন। রাজ্যের সব জেলা থেকে প্রতিনিধিরা এসেছিলেন বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিতে।
সাংসদ আহমদ হাসান ইমরান বললেন পশ্চিমবঙ্গে গুজরাট ও আসামের কোনও প্রভাব এখানে আমরা ফেলতে দেবো না। আমরা হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রীষ্টান কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে আমাদের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য নিয়েই বেঁচে থাকব। উপস্থিত ছিলেন, মাওঃ আব্দুল মাতিন,পীরজাদা তাফহিমুল ইসলাম, সুখনন্দন সিং আলুওয়ালিয়া সহ অন্যান্যরা।
সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহঃ কামরুজ্জামান বললেন বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের এই কনভেনশন সারা বাংলার সম্প্রীতি রক্ষায় এক ঐক্যের বার্তা দিতে চাই। বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। দেশ ও রাজ্যের কল্যানে কাজ করে যাব। সম্প্রীতি বজায় রাখতে আমাদেরকে আরও বড় ভূমিকা নিতে হবে।                        

শনিবার, জুন ২৪, ২০১৭

কুর্নিশ নওদার টিম ভাবনার প্রয়াসকে

ফারুক আহমেদ: "টিম ভাবনা" এর উদ্দ্যোগে একটি নতুন ভাবনা মুর্শিদাবাদের নওদা ব্লকের অনাথ, দুঃস্থ ও অতিঅসহয় শিশুদের মুখে  হাসি ফুটানোর উদ্দ্যেশে  পবিত্র রমজান ও  খুশীর ঈদ উপলক্ষে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় l উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নওদার বিধায়ক অবু তাহের খাঁন মহাশয়, নওদা থানার এস আই শ্রী নির্মল বাবুসহ বিশিষ্ট বক্তীবর্গl  যদিও বস্ত্র বিতরণের মাধ্যমে সমাজের বিশাল কিছু পরিবর্তন হবে  বলে মনে করেন না টিম  ভাবনার সদস্যরা। নওদার কৃতি ও আলোকময় কয়েকজন সহ অধ্যাপক শাহানওয়াজ খাঁন, সহ অধ্যাপক আব্দুল হালিম, সহ অধ্যাপক ইকবল আনসারী ও সহ শিক্ষক মইনুদ্দিন বিশ্বাসরা মনে করেন যপ বস্ত্র বিতরণ করা হবে তা একদিন ছিঁড়ে যাবে l তাই টিম ভাবনার নতুন ভাবনা হল যে সমস্ত অনাথ, দুঃস্থ ও অতিঅসহয় শিশু উন্নত মেধার তাঁদের চিন্নীত করে আগামী দিনে শিক্ষার সমস্ত খরচের দায়ভার নিয়ে উন্নত  আধুনিক শিক্ষা দিয়ে  সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা হবে যেটা কোনো দিনই ছেঁড়ার নয়। এই উদ্যোগ গোটা নওদা এলাকার আমজনতার মনে দাগ কাটে এবং বহু সাধারণ মানুষ সাহায্যের হাত বাড়ান। সুস্থ সমাজ গড়তে এবং অসহায় এতিমদের মুখে হাসি ফোঁটাতে হলে সমাজের একটা সচেতন শ্রেণির মানুষদেরকেই এগিয়ে আসতে হয় সাহায্যের হাত নিয়ে। যে প্রয়াস নওদার  সফল নাগরিক সমাজ নিল তা আগামীতে অন্যদেরকেও পথ দেখাবে। অবহেলিত সমাজকে আলো দেখানোর এই প্রয়াস সার্থক করতে উদার হাতে বহু মানুষ হাত বাড়িয়েছেন এটাই আশার আলো।
বাংলার ঘরে ঘরে যে ভাবে উদার ভাবে মানসিকতার পরিবর্তন হচ্ছে, তাতে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির মানুষ মাথা তুলে বাঁচার আকাশ দেখছেন। যাদের কেউ নেই দেখার এমন এতিমদের আলোয় ফিরিয়ে আনার মতো ভালো কাজ আর হয় না। কুর্নিশ নওদার টিম ভাবনার প্রয়াসকে।                                                

শুক্রবার, জুন ২৩, ২০১৭

মোর্চার সন্ত্রাস ও বাংলা ভাঙ্গার চক্রান্তের প্রতিবাদে শিলিগুড়ি হিলকার রোডে শান্তি মিছিল শিলিগুড়ি ছাত্র নাগরিক সমাজের। মিছিলে সামিল হয় এলাকার প্রায় ৩০০০ যুবক যুবতী।


আঞ্জুমান সোসাইটির পরিচালনায় কালনা,শহরে পাঁচশো বছরের পুরানো মসজিদে রঙ করা হচ্ছে আসন্ন ইদ উপলক্ষে

পারিজাত মোল্লা

ধর্ষনের দায়ে ধৃত কলকাতা পুলিশের কর্মী

মোল্লা জসিমউদ্দিন: বৃহস্পতিবার সকালে কাটোয়া শহরের কাছারি রোড এলাকা থেকে সামু সেখ নামে একজন কে গ্রেপ্তার করে স্থানীয় থানার পুলিশ।এদিন দুপুরে কাটোয়া মহকুমা আদালতে এসিজেম এজলাসে পেশ করা হয়।বিচারক ধৃতকে চৌদ্দদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।এক বিবাহিতা গৃহবধূ কে ধর্ষনের অভিযোগে ধরা হয় পেশায় পুলিশ কর্মী সামু সেখ কে। সে কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথের অধীন ইস্টার্ন জোনের পুলিশের গাড়ীর সরকারি চালক।কেতুগ্রামের নৃশিংহপুর এলাকায় তার বাড়ী।আগরডাঙার এক বিবাহিতা গৃহবধূ কে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষন করার অভিযোগে অভিযুক্ত সে।

বৃহস্পতিবার, জুন ২২, ২০১৭

অরন্যের অধিকারে অবহেলিত শোষিত আদিবাসী মানুষের বিজয় পতাকা তুলে ধরেছেন মহাশ্বেতা দেবী

অরন্যের অধিকারে অবহেলিত শোষিত আদিবাসী মানুষের  বিজয় পতাকা তুলে ধরেছেন মহাশ্বেতা দেবী।  তবে শুধু সাহিত্যের লেখনীর মধ্যে নয় বাস্তব জীবনেও নিজেকে মহাশ্বেতা দেবী শেষ দিন পর্যন্ত আদিবাসী শবর, দলিত সংখ্যালঘুদের কাজে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছিলেন মহাশ্বেতা দেবী।  আর এই মহাশ্বেতা দেবীর স্মরনে "উদার আকাশ পত্রিকা মহাশ্বেতা দেবী স্মৃতি সন্মান" দিয়ে সন্মানিত করছেন সমাজের অবহেলিত মানুষদের নিয়ে যারা নিয়মিত কাজ করছেন এমন মানুষদের কে। এবছরের জন্য উদার আকাশ পত্রিকা এই পুরষ্কার দিয়ে সন্মানিত করলেন পশ্চিমবংলার মাননীয় পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে । নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের সময় উচ্ছেদ হওয়া দরিদ্র মানুষের পাশে থেকে লড়াই করে সেই অসহায় মানুষদেরকে তাঁদের প্রাপ্য জমি ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করেন শুভেন্দু অধিকারী। আর গরীব প্রান্তিক আদিবাসী সংখ্যালঘুদের নিবেদিত প্রাণ শুভেন্দু অধিকারী।  সমাজসেবায় অনন্য নজির রাখার জন্য  উদার আকাশ পত্রিকার তরফে থেকে "মহাশ্বেতা দেবী স্মৃতি সন্মান" প্রদান করা হয়। আজ পরিবহন দফতরে গিয়ে মাননীয় মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর হাতে "মহাশ্বেতা দেবী স্মৃতি সন্মান" তুলে দিলেন ফারুক আহমেদ। ছিলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রফেসর গৌতম পাল।  উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর মতো জননায়ক ও মানবসেবকে এই সন্মান প্রদান করতে  পেরে আমরা আনন্দিত, মুগ্ধ ও বিমুগ্ধ।

বাঁকুড়া জেলা পুলিশ ও ইন্দপুর থানার উদ্যোগে এলাকার এবছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক কৃতী ছাত্র ছাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়া হল

বাঁকুড়া জেলা পুলিশ ও ইন্দপুর থানার উদ্যোগে এলাকার এবছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক কৃতী ছাত্র ছাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়া হল ।মোট চল্লিশ জন ছাত্র ছাত্রীকে এই সম্মান দেওয়া হয়।ইন্দপুর গোয়েঙ্কা উচ্চ বিদ্যালয়ে এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা, ইন্দপুর থানার ও.সি প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, এলাকার সুচিকিৎসক ডাক্তার রামেশ্বর মুখার্জী প্রমুখ ।

কাটোয়ার ঘোড়ানাশ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রবীন্দ্র -নজরুল স্মরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হল।

ছবি ও সংবাদ গৌরনাথ চক্রবর্ত্তী, কাটোয়া।

ডালিম খুনে সিআইডি তদন্তের দাবি সিদ্দিকুল্লাহের

পারিজাত মোল্লা, মঙ্গলকোট: বুধবার দুপুরে মঙ্গলকোটের শিমুলিয়া গ্রামে আসেন শীর্ষ তৃণমূল নেতা মুকুল রায়, প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ প্রমুখ। এদিন তাঁরা নিহত শিমুলিয়া ১ নং অঞ্চল সভাপতি সানাউল্লাহ ওরফে ডালিম সেখের বাড়ীতে যান সমবেদনা জানাতে।সেখানে তাঁরা নিহতর স্ত্রী কে একসপ্তাহের মধ্যে সরকারী কর্মসংস্থান করার প্রতিশ্রুতি দেন।সেইসাথে নিহতর তিনমেয়ের পড়াশুনো চালাবার আর্থিকভাবে পাশে থাকবার কথা ঘোষনা করেন।খুনের ঘটনায় জড়িতরা রেহাত পাবেনা বলে কথা দেন। সোমবার রাতের খুনে মঙ্গলবার রাতে নিহতর বড় ভাই আসাদুল্লাহ সেখ পনেরো জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান মঙ্গলকোট থানায়।পুলিশ দফায় দফায় সাতজন কে গ্রেপ্তার করে থাকে।এই খুনে নাম জড়িয়েছে এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর ভাই রহমতুল্লা চৌধুরী সহ বর্ধমান জেলাপরিষদের দাপুটে সদস্য বিকাশ নারায়ণ চৌধুরীর নাম।এফআইআর কপিতে অভিযোগকারী উল্লেখ রেখেছেন যে,  খুনের আগের দিন অর্থাৎ রবিবার শিমুলিয়া গ্রামে এক সভায় রহমতুল্লা ও বিকাশ চৌধুরী ডালিম সেখ খুনের ষড়যন্ত্র করে গেছেন। এইভাবে অভিযোগ আনায় মঙ্গলবার রাতেই সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী সাহেব ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটনে সিআইডি তদন্ত চেয়ে পুর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশসুপার কে লিখিতভাবে দাবি জানিয়েছেন।চৌধুরী সাহেব জানান - আমাকে অপদস্থ করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে, যারা এই খুনে আসল কালপিট, তাদের কে চিহ্নিতকরণের জন্য সিআইডি তদন্ত দাবি করেছি।

বুধবার, জুন ২১, ২০১৭

লোকবল দেখানোর রাজনীতিতে বলি মঙ্গলকোটের ডালিম

মোল্লা জসিমউদ্দিন : বিরোধীশুন্য মঙ্গলকোটে ডালিম সেখ খুনে শাসক দলের গোষ্ঠীবিবাদের গভীরতা আরও একবার প্রকাশ্যে এনে দিল।গত সোমবার রাত পৌনে সাতটা নাগাদ কাটোয়া বর্ধমান সড়করুটে নিগন চটিতে খাসতালুক হিসাবে পরিচিত এক মাছের আড়তে বসে থাকার সময় দুই থেকে তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় দুস্কৃতি খুব কাছে থেকে পরপর তিন রাউন্ড গুলি চালায়।ঝড়বৃষ্টি এবং লোডশেডিং এর সুযোগে পুর্বপরিকল্পিত মোটরবাইকে চম্পট দেয় দুস্কৃতিরা।শিমুলিয়া ১ নং অঞ্চলসভাপতি এবং সেইসাথে শিমুলিয়া ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য(বকলমে গ্রামপ্রধান) সানাউল্লাহ সেখ ওরফে ডালিমের(৪২) মাথায় গুলি লাগার জন্য বর্ধমান হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর।ব্লক তৃণমূল সভাপতির খুব কাছের নেতা হিসাবে পরিচিত নিহত ব্যক্তিটি।শুধুমাত্র শিমুলিয়া ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত নয়, ঝিলু ১ এবং ২, নিগন, কৈচর ১ অঞ্চলে দক্ষ সংগঠক হিসাবে কাজ চালাত সে।অর্থাৎ দক্ষীনপূর্ব মঙ্গলকোটের ব্লক সভাপতির ডানহাত খুনে উঠছে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন। এহেন নেতা খুনের সময় তাঁর বিশ্বস্ত অনুগামীদের ভুমিকা নিয়ে সন্দেহ সৃস্টি হয়েছে।কুড়ি থেকে ত্রিশজনের এক দল সর্বদা চোখে চোখে রাখত নিরাপত্তার জন্য।তবে খুনের একঘন্টার মধ্যেই মঙ্গলকোট ওসি সহ জেলাপুলিশের পদস্থ কর্তারা এসে পড়েন ঘটনাস্থলে।দফায় দফায় তল্লাশি অভিযানে পুলিশ পাঁচজনকে  আটক করেছে বলে প্রকাশ। তবে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত নিহতর পরিবারে কোন অভিযোগপত্র জমা পড়েনি থানায়।একটি সুত্র জানাচ্ছে - অভিযোগপত্রে দলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রসঙ্গ না আসে, সেই ব্যাপারে নাকি রাজ্য নেতৃত্ব  নির্দেশ দিয়েছে ব্লক নেতৃত্বককে।তাই অভিযোগ দিতে গড়িমসি হচ্ছে।ঠিক যেমন মাসখানেক পুর্বে মঙ্গলকোটের বকুলিয়া গ্রামে অজয় নদের বালিঘাট বিবাদ নিয়ে ধীবর পরিবারের একজনের বোমাবাজিতে মৃত্যু ঘটে।শাসকদলের গোষ্ঠীবিবাদের ফলশ্রুতি ওই ঘটনা হলেও দোষ পড়ে অস্তিত্ব না থাকা বিজেপির উপর।মঙ্গলকোটের ডালিম সেখ খুনে উঠে আসছে - লোকবল দেখানোর রাজনীতিতে বলি হওয়া প্রসঙ্গ টি।সোমবারের গুলির ঘটনার আগের দিনে অর্থাৎ রবিবার বিকেলে মঙ্গলকোটের নুতনহাটে এ.কে.এম উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙনে ব্লক তৃণমূলের উদ্যোগে এক বিরাট ইফতার মেহফিল বসে।সেখানে নিহত ডালিম সেখের নেতৃত্ব তে কয়েকশো ধর্মপ্রাণ আসে যোগদিতে।এই বিষয়টি ভালো চোখে দেখেনি ডালিম সেখের এলাকায় থাকা বিধায়ক শিবিরের লোকজন। এরপূর্বে নিগন বিদ্যালয়ের মাঠে সম্প্রতির সভায় কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের নোটবাতিলের সভায় বারবার উঠে এসেছে ডালিম সেখের নাম।কখনও বিধায়ক পরিচালিত সভায় বিধায়ক অনুগামীদের আসতে হুমকি দেওয়া, আবার কখনও ব্লক সভাপতির সভা কে হাউসফুল করা।বিধায়ক অনুগামীদের কাছে ডালিম হয়ে উঠেছিল সন্ত্রাসের মাথাব্যথা। এইরূপ জানাচ্ছে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীদের বড় অংশ।মঙ্গলকোটের রাজনীতি বিগত ছয়মাস ধরে যে ক্ষমতাপ্রদর্শনের লড়াই চলছে শাসক দলের দুই শিবিরে।তাতে কখনও দেখা যাচ্ছে কৈচরে ব্লকসভাপতির অফিসের সামনে মাঠে কুড়ি হাজার লোক নিয়ে সভা করে হুংকার ছাড়ছেন বিধায়ক।আবার পদিমপুরে বিধায়ক অফিসের সামনে শিক্ষক সংগঠনের সভা, রাস্তা উদঘাটনের সভায় ব্লক সভাপতির বক্তব্যের নিশানায় দলীয় বিধায়ক।এই লোকবল দেখানোর রাজনীতিতে মাঝে পড়ে ডালিম সেখ সোমবার রাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হলো বলে মনে করছে মঙ্গলকোটবাসি।


অবশেষে জটিলতা কাটল, বিধায়ক তহবিলের সাড়ে সতেরো লক্ষ টাকা অনুদানে মঙ্গলকোট ব্লকস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অতিরিক্ত ঘর নির্মান চলছে



 মোল্লা জসিমউদ্দিন

মঙ্গলবার, জুন ২০, ২০১৭

সকাল থেকে শুরু হয়েছে প্রচণ্ড বৃষ্টি


গ্রামীন ডাক্তারদের সেমিনার হলো মঙ্গলকোটে।



 মোল্লা জসিমউদ্দিন

ফের অশান্ত মঙ্গলকোট গতকাল রাতে ব্লক তৃণমূল সভাপতি অপুর্ব চৌধুরীর অনুগামী ডালিম সেখ খুন হন।অভিযোগের তীর বিধায়ক শিবিরের দিকে।অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে তপ্ত মঙ্গলকোট।পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় টিকিট বিলি নিয়ে এই রাহাজানি বাড়বে বলে আশংকা


পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রয়াত অধ্যক্ষ মহারাজের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হল বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠের গঙ্গাতীরে

হাওড়া: পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রয়াত অধ্যক্ষ মহারাজের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হল বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠের গঙ্গাতীরে। সোমবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিট নাগাদ শুরু হয় অন্ত্যেষ্টির কাজ। প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই ভক্তদের ঢ্ল নামে বেলুড় মঠে। এর আগে দেহ নিয়ে মঠের বিভিন্ন মন্দির পরিক্রমা করা হয়।  বাসভবনেও আনা হয় মহারাজের দেহ। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে গান স্যালুট দেওয়া হয়। এদিন রাত ৮-১০ নাগাগ কালচারাল হল থেকে শেষযত্রা শুরু হয়। এরপর রামকৃষ্ণদেবের মন্দিরের সামনে আনা হয় দেহ। ৮-২৫ থেকে ৯টা পর্যন্ত মঠ প্রাঙ্গনে দেহ শায়িত রাখা হয়। এরপর ব্রহ্মানন্দ মন্দিরে আনা হয় তার দেহ। এরপর  মায়ের ঘাটে স্নান করানো হয়। এখান থেকে স্বামী বিবেকান্দের মন্দিরে দেহ আনা হয়। এরপর গঙ্গাতীরে তাঁর শেষকৃত্য-র কাজ শুরু হয়। প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই লাখো ভক্ত শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন মঠের সমস্ত প্রবীণ সন্ন্যাসীগণ। রাজ্য সরকারের তরফে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম। রবিবার রাতে রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রয়াত মহারাজের দেহ প্রথমে বেলুড় মঠে আনা হয়। ভক্তদের দর্শনের জন্য মঠের প্রধান ফটক সারারাত খোলা রাখা হয়েছিল। রাত থেকেই ভক্তরা সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে একে একে মহারাজকে অন্তিম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্বেতপদ্ম, ফুল, মালা দিয়ে ভক্তেরা অন্তিম শ্রদ্ধা জানান প্রিয় মহারাজকে। সোমবার রাত পর্যন্ত সেই দেহ সকলের দর্শনের জন্য শায়িত রাখা হবে। প্রয়াত স্বামী আত্মস্থানন্দজি মহারাজকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এদিন বেলুড় মঠ প্রাঙ্গনে লাখো ভক্তের সমাগম ঘটে। পুষ্পস্তবক দিয়ে চোখের জলে প্রিয় মহারাজকে শ্রদ্ধা জানান তাঁর অগণিত ভক্ত অনুরাগীরা। প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে দেশ বিদেশের অসংখ্য অনুরাগীও মহারাজের প্রয়াণে শোকবার্তা দেন। গুরুতর অসুস্থতার খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী রবিবারই রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে ছুটে যান। প্রয়াণের খবর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজে ফোন করে মঠের মহারাজদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রধানম্নত্রীর দপ্তর থেকেও ফোন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটে শোকজ্ঞাপন করে বার্তা দেন। রবিবার রাতের পর সোমবার সকাল থেকে ভক্তদের ঢ্ল নামে বেলুড় মঠে। প্রয়াত মঠের অধ্যক্ষ মহারাজকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন সবাই। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পুষ্পস্তবক পাঠানো হয়। সকালে মঠে এসে একে একে শ্রদ্ধা জানিয়ে যান মন্ত্রী অরূপ রায়, সাংসদ মুকুল রায়, হাওড়ার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্ত্তী, ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়, মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, লক্ষ্মীরতন শুক্লা, পুলিশ কমিশনার ডি.পি.সিং, সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে পুষ্পস্তবক দেন মন্ত্রী অরূপ রায়। উল্লেখ্য, রবিবার বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে প্রয়াত হন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের পঞ্চদশ অধ্যক্ষ স্বামী আত্মস্থানন্দজী। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ২ দিন ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। তাঁর চিকিৎসা চলছিল কলকাতায় রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে। গত ২০১৫ র ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই তিনি এখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত বুধবার আত্মস্থানন্দজির স্টেন্ট বদল করা হয়েছিল। এর একদিন পর থেকেই তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি চিকিৎসাতেও সাড়া দিচ্ছিলেন না। শুক্রবার থেকে অসুস্থতা আরও বেড়ে গিয়েছিল। রক্তচাপজনিত সমস্যার সঙ্গে শুরু হয়েছিল শ্বাসকষ্ট। ডায়ালিসিস করার চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। শেষপর্যন্ত রবিবার তাঁর জীবনাবসান হয়। স্বামী আত্মস্থানন্দ মহারাজ ১৯১৯ সালে ২১ মে জন্ম নিয়েছিলেন অধুনা বাংলাদেশের সাহাবাজপুরে। দেড় দশক পর ১৯৩৮ সালে স্বামী বিরজানন্দ মজারাজের সান্নিধ্যে মন্ত্র দীক্ষা গ্রহণ করেন তিনি। ঠিক তার তিন বছরের মাথায় ১৯৪১ সালের ৩ জানুয়ারি মাত্র ২২ বছর বয়সে তিনি মঠে যোগদান করেন। ১৯৪৭ সালে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন। নাম হয় স্বামী আত্মস্থানন্দ। ২০০৭ সালের ৩ ডিসেম্বর মঠের পঞ্চদশ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হন।

সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জী:

রামকৃষ্ণ মঠ এবং রামকৃষ্ণ মিশনের সভাপতি স্বামী আত্মস্থানন্দজী মহারাজ ঢাকার কাছে সাবাজপুরে ১৯১৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৩৮ সালে স্বামী বিজনানন্দজি মহারাজের কাছে দীক্ষাগ্রহণ করেন। ১৯৪১ সালের ৩ জানুয়ারি তিনি বেলুড় মঠে ২২ বছর বয়েসে যোগ দেন। ১৯৪৫ সালে মঠের সভাপতি স্বামী বীরাজানন্দজী মহারাজের আদেশ অনুযায়ী ব্রহ্মচর্য ব্রত পালন করতে শুরু করেন। ১৯৪৯ সালে তিনি সন্যাস ধর্ম গ্রহণ করেন এবং নাম হয় আত্মস্থানন্দ। এরপর তিনি বেলুড় মঠ এবং দেওঘর বিদ্যাপিঠ এবং তার শাখা মায়াবতী অদ্বৈত আশ্রমে দীর্ঘদিন ধরে সেবাকার্য করে গেছেন। তিনি বহু বছর নির্জন  হিমালয়ের সিমলার তালে কাটিয়েছেন।১৯৫২ সালে তিনি রাঁচিরর টিবি স্যানেটরিয়াম ব্রাঞ্চে এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৫৮ সালে সেক্রেটারি হিসেবে তাঁকে রেঙ্গুন সেবাশ্রমে পাঠান হয়। সেখানে তিনি সেই সেবাশ্রমকে আধুনিক করেন এবং খুব তাড়াতাড়ি তা সেই সময় সেরা হাসপাতাল রূপে পরিগণিত হয়েছিল। ১৯৫৬ সালে যখন রেঙ্গুনে সামরিক শাসন শুরু হল, তিনি ভারতে ফিরে এলেন। ১৯৬৬ সালে রাজকোট ব্রাঞ্চের দায়িত্ব দিয়ে পাঠান হয়। তাঁরই উদ্যোগে রাজকোট আশ্রমে রামকৃষ্ণের সুন্দর মন্দির তৈরি হয়। ১৯৭৩ সালে তিনি রামকৃষ্ণ মিশনের গভর্নিং বডির সদস্য এবং রামকৃষ্ণ মঠের ট্রাস্টি হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে দুই সংস্থার এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হন। তাঁকে মঠ এবং মিশনের রিলিফ অপারেশনের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার নেতৃত্ব ভারত, বাংলাদেশএবং নেপালের বিভিন্ন জায়গায় রিলিফ এবং পুনর্বাসনের কাজ করেছেন।১৯৯২তে তিনি মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক হন। পাঁচ বছর তিনি ওই পদে ছিলেন। ১৯৯৭ সালে তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট হন। এই সময়ে তিনি দেশের অনেক শাখাগুলিতে যান। ১৯৯৮তে তিনি আমেরিকা, কানাডা, জাপান, এবং সিঙ্গাপুরএর অনেক জায়গায় তিনি গিয়েছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে তিনি মালয়েশিয়া, ফিজি, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। এই সকল জায়গায় তিনি শ্রীরামকৃষ্ণ, শ্রীসারদাদেবী, স্বামী বিবেকানন্দ এবং বেদান্তকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। ভক্তদের দিয়েছিলেন মন্ত্র দীক্ষা। স্বামী আত্মস্থানন্দজী মহারাজ ২০০৭ এর ৩ ডিসেম্বর থেকে রামকৃষ্ণ মঠ এবং রামকৃষ্ণ মিশনের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি মিশন ও মঠের ১৫ তম প্রেসিডেন্ট।

সম্প্রতি ভগবানগোলা মেডিকেল ইন্সটিউটের উদ্বোধন করেন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী....


যাত্রীদের উদ্দেশ্যে চা, ডিম, চপ বিক্রি করে শেষ রাতে বাড়ী ফিরে নিজেরা আধপেটা খেয়ে থাকেন হকাররা

নিজস্ব সংবাদদাতা, আদ্রাঃ- রোজ সকাল থেকে রাত মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, নিজের জীবনকে বাজী রেখে ট্রেনে ট্রেনে ঘুরে বেড়িয়ে যাত্রীদের উদ্দেশ্যে চা, ডিম, চপ বিক্রি করে শেষ রাতে বাড়ী ফিরে নিজেরা আধপেটা খেয়ে থাকেন হকাররা ।
গত দেড় মাস আগে থেকে কর্মহারা হয়ে বসে আছেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের হকাররা। এমনই এক হকার প্রশান্ত দাস জানান, R.P.F ওসি আর.কে. সিনহা তাদের আশ্বাস দেন তাদের কাজ আবার ২-৩ দিনের মধ্যে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন । কিন্তু দেড় মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তারা এখনও কাজ ফিরে পাননি । এদের মধ্যে কিছুজনের পরিচয়পত্র থাকার পরেও এরা এখনো কাজ চালিয়ে যেতে পারছেন না, ঠিকমতো দুবেলা জোটে না অন্ন ।  উপরন্তু ট্রেনে এদের R.P.F রা দেখতে পেলে এদের ওপর ফাইন করে ১২০০-১৩০০ টাকা । এদের মতো সুনীল মোদক, নিঙ্কু মিশ্র, সুনীল দাস ও এছাড়াও অনেক হকাররা কাজ হারিয়ে ভুগছে অনাহারে । এদের মধ্যে কেউ কেউ প্রায় ৪০বছর ধরে হকারি করছে কিন্তু কখনো তাদের কাজ যায়নি, কিন্তু আজ তাদের এই বিপদের সম্মুখীন হতে হয়েছে।
অপরদিকে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের রেল সূত্রে জানা যায়, কিছু ভেন্ডারের লাইসেন্স না থাকার কারণে এদের ট্রেনে যাত্রীদের অসুবিধার জন্যে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । আদ্রা R.P.F একটি ঘোষণার দ্বারা এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে ও কাজ বন্ধ করে দেয় ।                         

পুলিশ দিয়ে হিংস্বা দমন করা যায়না: রাহুল

মোল্লা জসিমউদ্দিন : সতবছর আগে পাহাড়ে শান্তি এনেছিলেন মমতা।এখন সেই পাহাড়ে অশান্তি ডেকে আনলেন সেই মমতায়।সম্প্রতি পাহাড়ে হিংস্বা হানাহানির জন্য দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী কে।সোমবার কাটোয়ায় ঝটিকাসফরে এসে এইভাবেই রাজ্যসরকার এবং শাসকদল কে বিঁধলেন বিজেপির প্রাত্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা।এদিন কাটোয়ার মুস্থোলী গ্রামে মাঝীপাড়ায় পথু মাঝীর বাড়ীতে দুপুরে আহার সারেন তিনি।এরপরে দাঁইহাটে দলের কর্মীসভায় যোগদান করেন রাহুল সিনহা।সাংবাদিকদের তিনি জানান - সাতবছর আগে পাহাড়ে মোর্চাদের সাথে আতাঁত করে শান্তি এনেছিলেন মমতা।সেইসময় বিমল গুরুঙ মমতা সম্পকে বলেছিলেন মমতা হলো পাহাড়ের মা।এখন সেই মমতাই দলের শ্রীবৃদ্ধির জন পুলিশ কে ব্যবহার করে মোর্চাকে জব্দ করার খেলায় নেমেছেন।পুলিশ দিয়ে হিংস্বা দমন করা যায়না।দরকার উভয় পক্ষে শান্তিপূর্ণ আলোচনা।রাহুল বাবু দলীয় শ্রীবৃদ্ধির নানা বিষয় তুলে ধরেন। 

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER