মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৭, ২০১৮

অন্ত:সত্ত্বা কে পেটে লাথি মারার অভিযোগ, ফেরার অভিযুক্তেরা

মানস দাস,মালদা

প্রতিবেশীর সাথে বচসা।তারই জেরে অন্তঃসত্ত্বা মহিলার পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে।ঘটনায় আক্রান্ত একই পরিবারের তিন সদস্য।ঘটনাটি ঘটেছে মালদার রতুয়া থানার বাহারাল অঞ্চলের ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায়।আক্রান্ত গৃহবধূর এবং তার স্বামী চিকিৎসাধীন মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।জানাগেছে, আক্রান্তরা হলেন অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ মঞ্জুরি বিবি(২০) এবং তার স্বামী সেখ মিয়াজুল(২৭)।রাস্তা ব্যবহার করাকে কেন্দ্র করে শেখ মিয়াজুল ও তার প্রতিবেশী সাইদূল সেখের সাথে প্রতিনিয়ত বচসা চলছিল।সেই বচসাকে কেন্দ্র করে সোমবার আবারও দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।স্বামীকে মারধর দিতে দেখে অন্তঃসত্বা স্ত্রীর বাধা দিতে যায়।তখন দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে মারধর করে পেটে লাথি মারার অভিযোগ ওঠে সাইদূল সেখ সহ তার পরিবারের পাঁচ জনের বিরুদ্ধে।ঘটনার পরই আহতদের উদ্ধার করে রাতেই মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।ঘটনায় অভিযুক্ত সাইদূল সেখ, আকাশ সেখ,লাডলি বিবি সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্ত পরিবার।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রতুয়া থানার পুলিশ।তবে ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার বা আটক করতে পারেনি পুলিশ।

চিত্তরঞ্জন রেল হাসপাতালের উন্নতির দাবিতে স্মারকলিপি

নীলাদ্রি ঘোষ

চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয় বামপন্থী শ্রমিক সংঘটন লেবার ইউনিয়ন l স্থানীয় কস্তুরবা গান্ধী হাসপাতালে দলের কর্মী সমর্থকরা বিক্ষোভ ও পরে দলের পক্ষ থেকে ন'য় দফা দাবির সমর্থনে হাসপাতলের সিএমও ডা. অলোক মজুমদারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন l এদিনের কর্মসুচিতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক রাজীব গুপ্ত , সভাপতি রাজেশ চৌহান , স্নেহাশিষ চক্রবর্তী প্রমুখ নেতৃত্বরা l

ভোটাধিকার নিয়ে বাউলগান

মোল্লা জসিমউদ্দিন

বিখ্যাত লোকশিল্পী স্বপন বাউল পূর্ব বর্ধমানের কালনা এলাকায় বিভিন্ন সড়কমোড়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়ে গান শোনাচ্ছেন।

চিত্তরঞ্জনের ফতেপুরে বাস দুর্ঘটনায় জখম ৪

নীলাদ্রি ঘোষ


আবার পথ দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটল শিল্পাঞ্চলে l সোমবার সকালে চিত্তরঞ্জনে অফিস টাইমে এই ঘটনাটি ঘটে l প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানান আসানসোল থেকে চিত্তরঞ্জন গামী ইন্টারসিটি বাসটি দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় স্থানীয় ফতেপুর এলাকায় সামনের চাকাটি ফেটে যায় l বাসটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সামনের একটি গাছের সামনে ধাক্কা মারে l ঘটনায় চারজন গুরুতর ভাবে আহতহন l তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক l ঘটনার পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার কাজে হাত লাগান lখবর পেয়ে  চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অবস্থা নিয়ন্ত্রনে আনেন l

সাংবাদিক ভাস্কর খুনে জড়িতদের সন্ধানে নজর রইবে

সুকান্ত ঘোষ

সোমবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের সালার থানায় নিহত সাংবাদিক ভাস্কর ঘোষের মৃত্যুর ঘটনায় খুনের মামলা (৫৯/১৮) রুজু করা হল।নিহতর স্ত্রী অভিযোগ টি জানিয়েছেন।তবে মানসিকভাবে বিপযস্ত হওয়ার জন্য খুনের অভিযোগটি ঠিকমতো লিখতে পারেনি বলে জানা গেছে।এই মামলায় সাক্ষী, চার্জশিট,  ফাইনাল রিপোর্ট এর প্রতি আমাদের নজর থাকবে।সেইসাথে খুনের একঘণ্টা আগে যে স্যার কে ( পুলিশ অফিসার)  হোয়াটস আপে দুষ্কৃতিদের পথ আটকানোর কথা জানিয়েছিল ভাস্কর।তার সন্ধান আমরা করব।প্রয়োজনে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও করা হবে আসল খুনিদের সন্ধানে।

সোমবার, এপ্রিল ১৬, ২০১৮

তৃনমূলের সাথে জমিয়ত উলেমা হিন্দের দূরত্ব বাড়ছে


মোল্লা জসিমউদ্দিন

সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া কিছু ঘটানাবলি কে কেন্দ্র করে তৃনমূলের উপর চরম রুষ্ট জমিয়ত উলেমা হিন্দের বড় অংশ।ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেছে অনেকেরই।জমিয়ত উলেমার সমর্থকদের মধ্যে কেউকেউ সোশাল মিডিয়ায় তৃনমূল কে তুলোধোনাও করেছেন। শুধুই রাজ্যসভাপতি মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর তৃনমূলের আভ্যন্তরীণে বারবার অপমান, বঞ্চনার ঘটনা নয়।গত দুই থেকে তিনমাস যেভাবে বিজেপির সাথে পাল্লা দিয়ে উগ্র হিন্দুত্ববাদের লড়াই ময়দানে নেমেছে তৃনমূল,  তাতে জমিয়ত উলেমা হিন্দ ক্রমশ সরে আসতে চাইছে তৃনমূলের কাছ হতে।রামনবমী থেকে হনুমান জয়ন্তী যেভাবে প্রকাশ্য রাস্তায় তৃনমূল হিন্দুত্ব স্বত্তা কে ফুটিয়ে তুলেছে এবং তুলছে।সেখানে তৃনমূল ঘেঁষা জমিয়ত উলেমা হিন্দের ধর্ম নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কর্মী - সমর্থকেরা।আসানসোলে হিংস্বাত্মক ঘটনার অন্তরালে বিজেপির পাশাপাশি তৃনমূল সমানদায়ী বলে জেলা কমিটির নেতারা রাজ্যস্তরের নেতাদের জানিয়েছেন। তাই জমিয়তের বৃহৎ সমাবেশ গুলিতে তৃনমূল নেতা মন্ত্রীদের না আনাটা প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে বলে সংগঠন সুত্রে জানা গেছে।এইবিধ সভা সমাবেশে তৃনমূল 'সংখ্যালঘু' দের নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে বলে জমিয়তের একাংশ মনে করছে।ইতিপূর্বে বাংলার রাজনীতিতে তৃনমূল কে এতটা ধর্মীয়ভাবে পথে নামতে দেখা যায়নি। তৃনমূলের নেতা মন্ত্রী রাস্তাঘাটে ঢাকডোল বাজানোতেও দেখা গেছে।উগ্র হিন্দুত্ববাদের কর্মসূচীতে বিজেপি কে সমানে টেক্কা দিয়েছে তৃনমূল। তাই জমিয়ত উলেমা হিন্দ ধীরেধীরে তৃনমূলের ছত্রছায়া থেকে বেড়িয়ে আসতে চাইছে।তা না করলে অন্য সংখ্যালঘু সংগঠনগুলি তাদের সাংগঠনিক শক্তি বহুগুণ বাড়িয়ে নেবে এই সুযোগেই।এই আশংকা করছেন জমিয়তের রাজ্য নেতৃত্ব। গত দুবছরে মুসলিম পার্সোনাল ল, তিন তালাক, সংখ্যালঘু পীড়ন - বঞ্চনা আন্দ্রোলনগুলি বিজেপির বিরুদ্ধে তৃনমূল কে অক্সিজেন জুটিয়েছে জমিয়ত।সেক্ষেত্রে রামনবমী কিংবা হনুমান জয়ন্তী পালনে তৃনমূল যেভাবে হিন্দুত্ব কে প্রমোট করেছে।তাতে বাংলার সংখ্যালঘু মানুষজনের বড় অংশ আতংকিত, এটা জমিয়তের ব্লক কমিটির নেতারা জেলা কমিটির মাধ্যমে রাজ্য কমিটি কে অবগত করেছে।তাই অত্যন্ত গুরত্ব সহকারে তৃনমূলের সাথে মাখামাখি সম্পক রাখতে অনিচ্ছুক নেতৃত্বের বড় অংশ।সর্বোপরি রাজ্যসভাপতি মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে যেভাবে গত দুবছর তৃনমূল মঙ্গলকোট থানা, ব্লক সহ স্থানীয় নেতৃত্ব কে দিয়ে প্রথমে উপেক্ষা তারপর বয়কট - কালো পতাকা সর্বশেষে মহিলাদের দিয়ে ঝাঁটা জুতো দেখিয়ে গালিগালাজ খাওয়ানোর বন্দোবস্ত করেছে।তাতে জমিয়ত উলেমা হিন্দের বড় অংশ ক্ষুব্ধ হয়েছে।এমনকি পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটি ৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশসুপার ও ওসি কে দায়ী করে স্মারকলিপিও দিয়েছে।সভা সমাবেশ করে প্রতিবাদের পথে হাটেনি অশান্তির আশংকায়।আবার গত ৮ এপ্রিল মঙ্গলকোটের পদিমপুরে পঞ্চায়েত ভোটে অনুগামীদের মনোনয়ন দেবার জন্য হাজির হয়েছিলেন বিধায়ক তথা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। সেখানে পাইলট কার, নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী, স্থানীয় থানার পুলিশ, র‍্যাফ থাকা স্বতেও জেলা পুলিশের এক কর্তা সিদ্দিকুল্লাহ কে তৃনমূল ব্লক সভাপতির সশস্ত্র বাহিনীর তাণ্ডবলীলার কথা জানিয়ে এলাকাছাড়ার ব্যবস্থা করে দেন।শাসকদলের একজন বিধায়ক তথা রাজ্যের তিনটি দপ্তরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ নিজ বিধানসভা কেন্দ্রেও সুরক্ষিত নন? এই পরিস্থিতি চলছে মঙ্গলকোটের বুকে।তাই গত পাঁচদিন পূর্বে সরকারী নিরাপত্তারক্ষী সহ গাড়ী ছেড়ে দিয়েছেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। শুধু মঙ্গলকোটের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই বলে।এই সিদ্ধান্ত টি জমিয়ত উলেমার হিন্দের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।তাই দুরত্ব ক্রমশ বাড়ছে তৃনমূল - জমিয়ত উলেমা হিন্দের মধ্যে।২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে মানুষ যাতে সবকিছু বুঝে দেয়, সেই কর্মসূচি নেবে এই সংগঠনটি।আজ অর্থাৎ রবিবার দুপুরে জমিয়ত উলেমা হিন্দের রাজ্য ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক রয়েছে।সেখানে বাংলার রাজনীতিতে রামনবমী ও হনুমান জয়ন্তী পালন কে কেন্দ্র করে বিজেপি তৃণমূলের রাজনৈতিক রেষারেষি, আসানসোলের ঘটনা সহ সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর প্রতি গভীর ষড়যন্ত্র বিষয়গুলি আলোচিত হতে পারে।পক্ষান্তরে বলা যায়, গত দুবছরে জমিয়তের বিভিন্ন আন্দ্রোলনে যে রাজনৈতিক ফায়দা নিয়েছে তৃনমূল,  তা আগামী দিনে সেই রাস্তা বন্ধ করার ব্যবস্থা করছে জমিয়ত।কেননা সাংগঠনিক শক্তি কমে যাবার সম্ভাবনার পাশাপাশি রাজ্যসভাপতি সিদ্দিকুল্লাহের প্রতি অন্যায় অবিচার করার অভিযোগ রয়েছে নেতৃত্বর অন্দরে।

কুড়মালি কবির ভবতোষ রচনা সমগ্র প্রকাশ

সঞ্জয় হালদার

'কবি ভবতোষ শতপথি স্মৃতিরক্ষা কমিটি'র উদ্যোগে জনপ্রিয় কুড়মালি ভাষার কবি ভবতোষ শতপথির শক্তিশালী লেখনীকে বাঁচিয়ে রাখতে "ভবতোষ রচনা সমগ্র-১ম খন্ড" প্রকাশ হল রবিবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম শহরের বলাকা মঞ্চে। বইটির উদ্বোধন করেন কবি সৃজন সেন। স্মারক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক ও বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক সুস্নাত জানা।

শান্তিনিকেতনে বর্ষবরণ

তথাগত চক্রবর্তী

বীরভূমের শান্তিনিকেতনে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান  হল।বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক প্রেমিদের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মত।

তারাপীঠ মন্দিরে বর্ষবরণে সমাগম

তথাগত চক্রবর্তী

নতুন বছরে তারাপীঠে ভক্তদের ভীড়।কড়া নিরাপত্তা পুলিশের ।ভোর থেকে চলছে দোকানদারদের হালখাতার পূজা।

ময়নাগুড়িতে ট্রাকের ধাক্কায় হত বাইক আরোহী

সোমনাথ চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি

ময়নাগুড়ির সার্করোডে ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক বাইক চালকের।তাঁর সঙ্গী গুরুতর জখম অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।শনিবার রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ ময়নাগুড়ি চ‍্যাংরাবান্ধা সার্করোডে ধরলা সেতুর কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।মৃত বাইক চালকের নাম শুভম রায় (২৩)।তাঁর সঙ্গি তাপস রায় (২৫) বর্তমানে চিকিৎসাধীন।তাঁরা দুজনেই স্থানীয় একটি প্লাইউড ফ‍্যাক্টরিতে কাজ করতেন।তাঁরা রাতে বন্ধুর বাড়ি থেকে সংক্রান্তির নেমন্ত্রন খেয়ে বাড়ি ফিরছিলেন।ভূষ্কাডাঙ্গার বাসিন্দা।সেই সময় চ‍্যাংরাবান্ধার দিক থেকে আসা একটি ট্রাক শুভমদের ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়।গভীর রাতে স্থানীয়রা খবর পেয়ে শুভম ও তাপস কে চিকিৎসার জন্য ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।চিকিৎসকরা শুভমকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।তাপসকে জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।পরে সেখান থেকে তাপসকে উত্তর বঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
    শুভমের বাবা স্বদেশ রায় বলেন,আমার ছেলে শুভম তাঁর বন্ধু তাপসকে নিয়ে তাদের আর এক বন্ধুর বাড়িতে সংক্রান্তির নেমন্ত্রন খেয়ে রাতে বাড়ি ফিরছিল।সেই সময় একটি ট্রাক তাঁদের ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ।

নিহত সাংবাদিকের স্ত্রীর খুনের অভিযোগ কেন নিচ্ছেনা পুলিশ

সুকান্ত ঘোষ

মুর্শিদাবাদের নির্ভীক সাংবাদিক ভাস্কর ঘোষের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় বিশেষত স্থানীয় থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন। গত শুক্রবার বিকেলে যখন শ্বশুর বাড়ী থেকে নিজ বাড়ী ফিরছিল ভাস্কর।তখন মাঝপথে মুখে গামছা বেধে জনা পাচ দুষ্কৃতি পথ আটকায়।মোটরবাইক ফেলে দেয় এবং খুনের অভিযোগ দেয়।সেসময় কয়েকজন পুলিশ অফিসার কে হোয়াটস আপে ম্যাসেজ লিখে জানায়।আমাদের আশংকা ওই পুলিশ অফিসারদের কেউ নিরাপত্তা না দিয়ে উলটে তৃনমূল প্রভাবিত দুষ্কৃতিদের ফোনে জানিয়ে দেয়।তারজন্যই ভাস্কর পরিকল্পিত খুন হয় বলে আমাদের দাবি।ওই পুলিশ অফিসারদের মোবাইল কল ডিটেলস এবং লোকেশন দেখা উচিত।নিহত সাংবাদিকের স্ত্রী থানায় খুনের মামলা করতে গেলে বারবার ফেরাচ্ছে স্থানীয় থানা বলে অভিযোগ ।পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসার পর পদক্ষেপ নেবার আশ্বাস দিচ্ছে।যেদিন গাছে মৃতদেহ উদ্ধার হয়।সেদিন পায়ে জুতো ছিল।কি করে জুতো পরে গাছে উঠলো ভাস্কর?  কেননা কোন কোন সংবাদমাধ্যম এমনকি যে দৈনিক কাগজে লিখতো তারা আবার আত্মহত্যার গল্প ফাঁদছে পুলিশের চাপ কমাতে? ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে সাংবাদিক খুনে আদৌও দোষীরা ধরা পড়বে কিনা সে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।বিচার তো দূর অস্ত।পুলিশের একাংশ ক্রমাগত নিহতর পরিবারের কোন কোন সদস্য কে খুনের মামলা না করতে চাপ দিচ্ছে বলে স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ।

রবিবার, এপ্রিল ১৫, ২০১৮

বর্ষবরণ মিছিলে খাদ্যমন্ত্রী

ওয়াসিম বারি

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া তে বাংলা বর্ষবরণ এর অনুষ্ঠানে এক মিছিলে রাজ্যের খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ।

পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক মারা গেলেন

রত্নেশ্বর রায় (৫৫)। পুর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) ছিলেন। উন্নয়ন ছাড়াও তিনি আরো কয়েকটি দপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন।  ২০১৪ সালে বর্ধমানে আসেন পঞ্চায়েত ও শিক্ষা দপ্তরের অতিরিক্ত জেলাশাসক হিসাবে। মৃত্যুকালে রেখে গেলেন বৃদ্ধা মা, স্ত্রী এবং এক সন্তানকে। আচমকাই তিনি প্রায় ১৫ দিন আগে ফুসফুসের সংক্রমণ জনিত রোগে আক্রান্ত হন। এরপর বর্ধমান হাসপাতাল, পরে দুর্গাপুর মিশন এবং শেষে তাকে কোলকাতায় নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হল না। আজ সকালে তিনি পরলোকগমন করেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে প্রশাসনের সমস্ত দপ্তরে। আজই তার মৃতদেহ নদীয়ার চাকদহে নিয়ে যাওয়া হয়।প্রশাসনিক মহলে খুব ভালো মানুষ হিসাবে পরিচিত ছিলেন।পুলিশ অফিসার সঞ্জয় কুন্ডু বলেন - উনার সাথে কাজ করার সুযোগ মিলেছিল, আত্মীয়র মত মিশতেন।হঠাৎ চলে গেলেন, তাতে মানসিক আঘাত পেয়েছি।

শনিবার, এপ্রিল ১৪, ২০১৮

তৃনমূলের রাজনীতিতে 'একা' হয়ে পড়ছেন সিদ্দিকুল্লাহ

মোল্লা জসিমউদ্দিন

সরকারি  নিরাপত্তারক্ষী এবং গাড়ী ছেড়েছেন গত দুতিনদিন পূর্বে।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে তথ্যসংবলিত চিঠি লিখে ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। এবার মন্ত্রিত্ব এবং দলীয়পদ ছাড়াটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।এহেন পেক্ষাপট মাস কয়েক পূর্বেই ঘটত, কিন্তু ডালিম সেখ খুনে সিআইডির তদন্তর 'ব্লাকমেলিং' এর জন্য ঘটেনি বলে বিশস্ত সুত্রে প্রকাশ।গত ৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলকোটের আটঘড়ায় ব্লক নেতৃত্ব এবং স্থানীয় পুলিশের যোগসাজশে তথাকথিত 'জনরোষ' এর ঘটনায় মহিলাদের ঝাঁটা - জুতো হাতে গালিগালাজ ঘটনায় রাজ্য পুলিশ - প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় এহেন বিদ্রোহ দেখাতেন।কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটে দলীয় প্রতীক বিলিতে মঙ্গলকোটের একতৃতীয়াংশ আসন পাওয়ার সম্ভাবনায় সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী খোলস ছাড়েননি।যেভাবে তৃনমূলের  শীর্ষ নেতৃত্ব কায়দা করে মঙ্গলকোটের রাজনীতিতে বিধায়ক অনুগামীদের টিকিট না দিয়ে অপ্রাসঙ্গিক করে দিয়েছেন সিদ্দিকুল্লাহ কে।তাতে 'শেষ আশা' ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে চেনা মেজাজে ফিরছেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। তারই প্রাথমিক রুপ হিসাবে সরকারী গাড়ী এবং নিরাপত্তারক্ষী ছেড়ে দেওয়া।এরপরে তিনি রাজভবনের সরকারী বাসভবন এমনকি মন্ত্রিত্ব এবং তৃনমূলের দলীয় সদস্যপদ ছাড়তে চলেছেন বলে ঘনিষ্ঠদের জানিয়েছেন। কি এমন পরিস্থিতি যে, সিদ্দিকুল্লাহ এত বড় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।যদিও তৃনমূল নেত্রী তাঁকে আগামী লোকসভায় মুর্শিদাবাদ /মালদার কোন আসনে দাঁড়াবার কথা নাকি জানিয়েছেন।এবার ফেরা যাক গত বিধানসভা নির্বাচনে মঙ্গলকোটের পেক্ষাপটের কথা।কেননা অনুব্রত মন্ডল অনুগামী ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরীর সাথে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর প্রধান বিরোধের শুরু এখান থেকেই।গত নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃনমূল নেত্রীর দলীয় প্রার্থী তালিকার অনেক পূর্বে মঙ্গলকোটের ক্ষীরোগ্রামে এক সভায় এক মন্ত্রী কে পাশে বসিয়ে অনুব্রত ঘোষনা করেছিলেন - ২০১১ এর অল্প ব্যবধানে (১৪২ টি ভোট)  পরাজিত তৃনমূল প্রার্থী অপূর্ব চৌধুরীই এবারেও প্রার্থী।এহেন ঘোষনার পরেই উত্তপ্ত বীরভূমের মাখড়া,  খাগড়াগড়ের প্রতিবাদ আন্দ্রোলনের নেতা সিদ্দিকুল্লাহ কে মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন তে ডেকে নেন এবং মঙ্গলকোট কিংবা মন্তেশ্বর আসনে তৃনমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তাব দেন।এই প্রস্তাবে জমিয়ত উলেমা হিন্দের একাংশে বিরোধিতা থাকলেও তা মেনে নেন সিদ্দিকুল্লাহ।আর এতেই অনুব্রত বনাম সিদ্দিকুল্লাহের কাজিয়া শুরু হয়ে যায়।কৈচরে ব্লক তৃনমূল অফিসে সিদ্দিকুল্লাহ কে সরাসরি মঙ্গলকোটে না দাঁড়াবার হুমকি দেন ব্লক সভাপতির অনুগামীরা।এতে না দমে অপূর্বর বিরোধী গ্রুপের নেতা বিকাশ চৌধুরী কে সাথে নেন সিদ্দিকুল্লাহ।উগ্র মুসলিম সংগঠনের নেতা হিসাবে অপপ্রচার চালানো হয়। যেখানে ২০১৪ সালে লোকসভায় তৃনমূল ২৪ হাজারের বেশি লিড পায়।সেখানে সিদ্দিকুল্লাহ জিতেন ১২ হাজারে।বাকি ১২ হাজার অলৌকিকভাবে বিজেপি পেয়ে যায়।এহেন অন্তর্ঘাতে দুই চৌধুরীর বিবাদ আরও বাড়ে।ধীরে ধীরে মঙ্গলকোটের সাংগঠনিক এবং জনপ্রতিনিধিদের একাংশ বিধায়কমুখি হয়। এমনকি এই কেন্দ্রের সাংসদ অনুপম হাজরা সিদ্দিকুল্লাহের বিভিন্ন উন্নয়নকাজ এবং দলীয় সমাবেশে যোগ দেন।এতে ক্রমশ পিছু হটে অনুব্রত অনুগামী ব্লক সভাপতি।বালির বে আইনি কারবার নিয়ে পুলিশ এবং দলের একাংশ কে হুশিয়ারী দিয়ে সিদ্দিকুল্লাহ আরও শত্রু হন ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর কাছে।পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েত, ব্লক, থানা অঘোষিত বয়কট শুরু করে দেয় বিধায়কের প্রতি।এতে বিধায়ক তহবিলের নানান কাজ বাস্তবায়ন তো দূর অস্ত, প্রকল্প শুরুই হয়না।এমনকি বিধায়ক তহবিলের টাকা ফিরে যায় বারবার।এহেন পরিস্থিতির মধ্যে ব্লক সভাপতির কোর এলাকায় খুন হন অঞ্চল সভাপতি ডালিম সেখ।এই খুনে বিধায়কের ভাই সহ অনুগামী জেলাপরিষদ সদস্য বিকাশ চৌধুরী অভিযুক্ত হন।এই সুপরিকল্পিত খুনে ঘটনাস্থলে থাকা এক ব্লক নেতা এবংং মঙ্গলকোট পুলিশের একাংশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে।তড়িঘড়ি বিধায়ক সিআইডি তদন্ত দাবি করেন।যদিও সিবিআই তদন্তে বিশ্বাসী ছিলেন।কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বিরাগভাজন হবার আশংকায় তা করেননি বিধায়ক।পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সিআইডি তৎপরতা দেখাইনি।ভোটের প্রাক্কালেই গ্রেপ্তার হন জেলাপরিষদ সদস্য বিকাশ চৌধুরী। বিধায়কের ভাই কে গ্রেপ্তার না করে সিদ্দিকুল্লাহের প্রতি 'সুতোর পুতুল' পলিসি নেয় তৃনমূল। এইরুপ দাবি বিধায়ক অনুগামীদের।এরেই মাঝে সিদ্দিকুল্লাহ কে তাঁরই নির্বাচনী কেন্দ্রে মহিলাদের দিয়ে ঝাঁটা জুতো সহ গালিগালাজ দেওয়ার ব্যবস্থা করে ব্লক নেতারা।একের পর এক বিধায়ক অনুগামীদের গাঁজা - অস্ত্র কেস দিয়ে, থানায় নিয়মিত ডেকে সন্ত্রাস চালিয়ে পুলিশের বড় অংশ সিদ্দিকুল্লাহ কে প্রতিমুহুত্যে চাপে রাখে বলে অভিযোগ। অপরদিকে প্রতিদিন পুলিশি রক্ষী পাওয়া ব্লক সভাপতি  অপূর্ব চৌধুরী থানায় এসে ক্ষমতার প্রদর্শন চালিয়ে যান।একজন রাজ্যের মন্ত্রী নিজ বিধানসভা কেন্দ্রে দলের একাংশের দ্বারা প্রকাশ্যে নিয়মিত অপমানিত হচ্ছেন।তাতে রাজ্য পুলিশ প্রশাসন নীরব থাকায় সিদ্দিকুল্লাহ ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে যান।পঞ্চায়েত ভোটে দল বিধায়কের অনুগামীদের সম্মান দেবে, এতে বিশ্বাসীও ছিলেন।যেভাবে শীর্ষ নেতৃত্ব আসনরফার নামে লুকোচুরি খেলে কার্যক্ষেত্রে শুন্য করে দেয় বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ কে।তাতে সিদ্দিকুল্লাহ বুঝে যান তৃনমূলে আর তিনি নিরাপদ নন।তাই সরকারী গাড়ী ও নিরাপত্তারক্ষী ছেড়ে দেন গত দুতিনদিন পূর্বে।সমস্ত ক্ষোভ তথ্যসমৃদ্ধভাবে লিখে চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী কে।দল এবং মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলকোট ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা না দিলে মন্ত্রিত্ব এবং তৃনমূল ছাড়তে চলেছেন,  তা জানিয়ে দিয়েছেন ঘনিষ্ঠ মহলে।অপরদিকে পুলিশ ও ব্লক তৃনমূল নেতারা এইবিধ অভিযোগ মানতে চাননি।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER