সোমবার, এপ্রিল ২৩, ২০১৮

অধ্যাপক নিগ্রহের প্রতিবাদে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্মারকলিপি

মানস দাস,মালদা

ভূগোল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অরিজিৎ দাসকে নিগ্রহের ঘটনায় অন্যায়ভাবে নাম জড়ানো হয়েছে এক অশিক্ষক কর্মীর। এই অভিযোগ তুলে সোমবার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে ডেপুটেশন দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অশিক্ষক কর্মীদের একাংশ। পাশাপাশি ওই ঘটনার প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন করে দোষীকে চিহ্নিত করারও দাবি জানান তারা । এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় পঞ্চাশজন অশিক্ষক কর্মী একত্রিত হয়ে রেজিস্ট্রার সাধন সাহার কাছে ডেপুটেশন দিতে যান। তারা অভিযোগ করেন, উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত ভাবে অধ্যাপক অরিজিৎ দাস  হেনস্থার অভিযোগ আনছেন। তাকে কোনও রকম হেনস্থা করা হয়নি বলেও জানান অশিক্ষক কর্মীরা। নিগ্রহের অভিযোগ মানস ঘোষ নামে যে অশিক্ষক কর্মীর বিরুদ্ধে উঠেছে তিনি বলেন," যেভাবে উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ভাবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তাতে মর্মাহত । একজন অধ্যাপকের সঙ্গে যেচে কথা বলতে গিয়ে এরকম অভিযোগ উঠবে, ভাবতে পারছি না।" ঘটনার নিন্দা করেছেন অন্যান্য অশিক্ষক কর্মীরাও। রেজিস্ট্রারের কাছে তারা দাবি করেন, নিগ্রহের ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত দোষীকে সামনে আনার জন্য। যদি ওই ঘটনায়  কোনও অশিক্ষক কর্মী জড়িত থাকেন, তবে তার বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক বলেও দাবি তাদের।  এদিকে ওই দিন ঠিক কী ঘটেছিল তা জানতে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মী ও অধ্যাপকদের সঙ্গে কথা বলেন রেজিস্ট্রার সাধন সাহা। তিনি জানান," আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অশিক্ষক কর্মীরা অধ্যাপক নিগ্রহের ঘটনার সত্য উদঘাটনের দাবি নিয়ে আসে। তারা চক্রান্তের অভিযোগ এনেছেন ভূগোল বিভাগের ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধেই। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে।" এদিন অশিক্ষক কর্মচারীদের বিক্ষোভকে সমর্থন করেন অধ্যাপকদের একাংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনের পরিবেশ নষ্ট করার চক্রান্ত চলছে বলে মত প্রকাশ করেন তারা। অন্যদিকে ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক অরিজিৎ দাস এদিনের ডেপুটেশন প্রসঙ্গে জানান, " আমি প্রকৃত সত্য উদঘাটনের যে দাবি জানিয়ে আসছিলাম, অশিক্ষক কর্মী সেই দাবিই জানিয়েছেন বলে আমি খুশি।"

প্রশাসনের সাহায্যে এবার পড়াশোনা চালাবে দুই বোন


মানস দাস, মালদা

মাস ছয়েক আগেও নিয়মিত স্কুল যেত দুই বোন ৷ কিন্তু হঠাৎ করে স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দেয় তারা ৷ স্কুলের শিক্ষকরা ভেবেছিলেন, হয়তো অসুস্থতার জন্য দুই বোন স্কুলে আসতে পারছে না ৷ দিন পেরিয়ে যায় ৷ কিন্তু আর স্কুলে দেখা যায়নি ওই দুই বোনকে ৷ খোঁজখবর নিতে শুরু করেন স্কুলের শিক্ষকরা ৷ তখনই উঠে আসে করুন এক তথ্য ৷ শুধুমাত্র আর্থিক অনটনের কারণে পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে দুই কন্যাশ্রী ৷ স্কুল কর্তৃপক্ষ গোটা বিষয়টি প্রশাসনের নজরে নিয়ে আসে ৷ এদিন দুপুরে বিডিও, থানার আইসি ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক সটান হাজির হন ওই দুই বোনের পিসির বাড়িতে ৷ তাঁরা দুই বোনের পড়াশোনার জন্য সমস্ত ধরনের সরকারি ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন ৷ দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে দুই বোনকে স্কুলে পাঠাতে রাজি হয়েছেন অভিভাবকরা ৷বছর দেড়েক আগেই সাংসারিক ঝড়ে মাথার উপর থেকে ছাউনি উড়ে গিয়েছিল চিন্তামণি আর শিউলির ৷ বাবা সোনারাম কোল মারা গিয়েছেন বছর চারেক আগে ৷ তারা ৪ বোন ৷ দেড় বছর আগে মা শ্রীমতী কোল ছোটো মেয়েকে নিয়ে অন্য এক পুরুষের হাত ধরে নতুন ঘর বাঁধতে চলে যান ৷ বাবা-মা’র অবর্তমানে চিন্তামণি আর শিউলি তাদের বিধবা পিসির বাড়িতে আশ্রয় নেয় ৷ তাদের সঙ্গে পিসির ঘরে ওঠে তাদের দিদি মৌসুমিও ৷ অভাবের জন্য দশম শ্রেণিতে পড়াকালীনই মৌসুমির বিয়ে দিয়ে দেন তাদের পিসি ৷ পুরাতন মালদা ব্লকের ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুমাদিঘি গ্রামের রায়পাড়ায় সেই পিসির বাড়ি ৷ অবশ্য তাদের বাড়িও একই গ্রামে ছিল ৷ পিসি লক্ষ্মী কোল স্থানীয় এক ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন ৷ সেই উপার্জনেই নিজের ছেলেমেয়ে সহ ভাইয়ের দুই মেয়ের গ্রাসাচ্ছদন চলে ৷এত কিছুর পরেও ১৫ বছরের চিন্তামণি কোল স্থানীয় রাম মার্ডি হাইস্কুলে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিল ৷ সে এখন নবম শ্রেণিতে পড়ে ৷ এক বছরের ছোটো শিউলি কোল একই স্কুলে পড়ে অষ্টম শ্রেণিতে ৷ কিন্তু অভাবকে আর ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি তারা ৷ স্কুলে যাওয়ার থেকে তাদের কাছে বড়ো হয়ে দেখা দেয় পিসির বাড়ির কাজ কিংবা পোষা গোরু-ছাগলের দেখভাল ৷ তাই ৬ মাস ধরে স্কুলের রাস্তায় আর হাঁটতে দেখা যায়নি তাদের ৷ সেকথা জেনে ফেলে স্কুল কর্তৃপক্ষও ৷ স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে সব ঘটনা শুনে এদিন দুপুরে আদিবাসী অধ্যুষিত ধুমাদিঘি গ্রামে লক্ষ্মী কোলের বাড়িতে সটান চলে যান পুরাতন মালদার বিডিও নরোত্তম বিশ্বাস ৷ সঙ্গে ছিলেন মালদা থানার আইসি মানবেন্দ্র সাহা ও রাম মার্ডি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক গোপালচন্দ্র দাস ৷ বিডিও জানান, কিছুদিন আগে জেলাশাসকের সঙ্গে তিনি এই গ্রামে এসেছিলেন ৷ তখনই তাঁরা জানতে পারেন, গ্রামের একটি মেয়ে স্কুলে পড়তে পড়তে পড়া ছেড়ে দিয়েছে ৷ তার নাম চিন্তামণি কোল ৷ পরে তাঁরা রাম মার্ডি হাইস্কুলের তরফ থেকে চিন্তামণির বিষয়ে জানতে পারেন ৷ এদিন গ্রামে এসে দেখেন, শুধু চিন্তামণি নয়, তার বোন শিউলি কোলও অভাবের তাড়নায় স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে ৷ তারা পিসির বাড়িতে থাকে ৷ পিসি কাজে চলে গেলে তারা বাড়ির কাজকর্ম দেখাশোনা করে ৷ এদিন তাঁরা চিন্তামণি ও শিউলি সহ তাদের অভিভাবকদের বুঝিয়েছেন ৷ লক্ষ্মীদেবী ও দিদি মৌসুমি তাদের ফের স্কুলে পাঠাতে রাজি হয়েছেন ৷ রাম মার্ডি হাইস্কুলেই কস্তুরবা গান্ধি হস্টেল রয়েছে ৷ শিউলিকে তাঁরা এখনই সেখানে রাখার বন্দোবস্ত করছেন ৷ চিন্তামণিকেও সেখানে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা ৷ কোনওভাবেই এই দুটি মেয়ের পড়াশোনা বন্ধ হতে দেবেন না তাঁরা ৷ প্রধান শিক্ষক বলেন, প্রথমে মৌসুমি ও লক্ষ্মীদেবী চিন্তামণি ও শিউলিকে স্কুলে পাঠাতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন ৷ অনেক বোঝানোর পর তাঁরা শেষ পর্যন্ত তাদের স্কুলে পাঠাতে রাজি হয়েছেন ৷
ফের পড়াশোনার সুযোগ পাওয়ায় চোখে যেন ঝিলিক খেলে গিয়েছে চিন্তামণির ৷ সে বলে, পিসির অবর্তমানে ঘরের কাজ করার জন্য তারা স্কুলে যেতে পারছিল না ৷ এদিন স্যাররা তাঁদের বাড়িতে এসেছেন ৷ তাঁদের ফের স্কুলে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন ৷ কন্যাশ্রীর চোখে এখন আরেক উড়ানের স্বপ্ন ৷

কালাজাদু সন্দেহে মালদায় মারপিটে জখম ২

মানস দাস,মালদা

সিঁদুর ফেলে তুকতাক করার অভিযোগ তুলে শালক এবং জামাইবাবুকে বাঁশ ও ইট দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক পরিবারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার সকাল আটটা নাগাদ, মোথাবাড়ি থানার গীতামোর এলাকায়।  আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে আক্রান্তরা হলেন, রাজ কুমার সাহা(২১) এবং রাজু সাহা(২২)। তারা চিকিৎসাধীন মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অভিযুক্ত দিলিপ সরকার, সুকুয়া সরকার, ভূষন সরকার সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের মোথাবাড়ি থানায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগ ফেপন মণ্ডল নামে এক প্রতিবেশীর ঘরের সামনে সিঁদুর এবং ফুল পড়ে থাকতে দেখে গন্ডগোলের সূত্রপাত। তারা সন্দেহ করে রাজকুমারের বাড়ির লোকেরা সেই সিঁদুর এবং ফুল ফেলে তুকতাক করে। এই ঘটনা নিয়েই দুই পরিবারের মধ্যে বচসা শুরু হয়।  বাড়িতেই ছিলেন শালক রাজ কুমার সাহা এবং জামাইবাবু রাজু সাহা। বাড়িতে নির্মাণ কাজ চলছে বলে তারা সেখানেই ছিলেন। অভিযোগ, এমন সময় বাঁশ ও ইট নিয়ে চড়াও হয় ফেকন মন্ডলের পরিবারের লোকেরা। এই ঘটনায় বাঁশ ও ইটের ঘায়ে গুরুতর জখম হন শালক ও জামাইবাবু। তড়িঘড়ি তাদের উদ্ধার করে প্রথমে বাঙ্গীটোলা গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখান থেকে তাদের স্থানান্তর করা হয় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চলছে তাদের চিকিৎসা।  সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের মোথাবাড়ি থানায়। তবে কি কারণে এই ঘটনা ঘটল তা তদন্ত শুরু করেছে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ।

আগামীকাল পুরুলিয়ায় জনসভা সারবেন মুকুল রায়

সঞ্জয় হাল্দার

ভারতীয় জনতা পার্টির নির্বাচনী প্রচারে পুরুলিয়ার আসছেন মুকুল রায় , দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি , ডুলু মাহাতো ঝাড়খন্ডের বিধায়ক  ও অমর বাউরী ঝাড়খন্ডের মন্ত্রী ।আগামী 24 তারিখে বিকেল 3 টার সময় মুকুল রায় ও ডুলু মাহাতোর বলরামপুরে রোড শো তারপর বরাবাজারের বামুনডিহা হাট ময়দানে 4 টায় জনসভা ।আগামী 25 তারিখে মানবাজার বিধান সভা এলাকার অন্তর্গত পুঞ্চা মন্ডলের বাগদা হাই স্কুল মাঠে  বেলা  ১১:০০ টায় এক ঐতিহাসিক জনসভা অনুষ্ঠিত হবে, উক্ত জনসভায় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত থাকবেন ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সভাপতি মাননীয় শ্রী দিলীপ ঘোষ মহাশয়, এছাড়াও আরো কয়েকজন সুকূশলী বক্তা উপস্থিত থাকবেন । বিকেল 4 টায় সাঁওতালডি বীরশা ময়দানে জনসভা হবে ।সেই সভায় বক্তব্য রাখবেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও ঝাড়খন্ডের মন্ত্রী অমর বাউরী ।

সিপিএম পদপ্রার্থী প্রাথমিক শিক্ষকের চোখে আক্রমণ তৃনমূলের

সঞ্জয় হালদার

মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বেরিয়ে আসতেই  আক্রান্ত সি পি আই (এম) প্রার্থী , লালচাঁদ  মান্ডি।
লাল  মান্ডী জাম্বনী পঞ্চায়েত সমিতির প্রাথী নমিনেশন দেওযার পর হামলা চালালো তৃনমূল আশ্রিত দুষ্কতিরা। কেড়ে নেওয়া হল ভোটার কার্ড, মোবাইল ব্যাগ সহ প্রযোজনীয় কাগজ পত্র। চোখের আঘাত গুরুতর। প্রচন্ড মারধর করা হয়েছে। তিনি প্রাথমিক শিক্ষক। এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঝাড়গ্রাম জেলার জাম্বনী ব্লকের ঘটনা।

চিকিৎসকের উপর হামলার প্রতিবাদে বান্দোয়ান হাসপাতালে কর্মবিরতি

সঞ্জয় হাল্দার

পুরুলিয়ার বরাবাজার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক বিপ্লব মন্ডলের উপর প্রাণঘাতী হামলার প্রতিবাদে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পুরুলিয়ার বান্দোয়ান ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সোমবার সকাল ১০ টা হইতে বেলা ১২ টা পর্যন্ত প্রতীক বহির্ভাগ কর্মবিরতি পালন করল, সমস্ত স্টাফ ও ডাক্তার গন।

মঙ্গলকোট ব্লক অফিসে আজ মনোনয়ন পত্র কি তুলতে পারবে সিদ্দিকুল্লাহ অনুগামীরা?


মোল্লা জসিমউদ্দিন


গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ পঞ্চায়েত মামলায় রায়দানে জানিয়েছে - মনোনয়ন পেশে একদিনের অতিরিক্ত সময়সীমা দিতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কে।সেইমত দ্রুত ভোট প্রক্রিয়া করতে গেলে কমিশন কে নিদিষ্ট তারিখ জানিয়ে মনোনয়ন পেশ করাতে হবে।আজ অর্থাৎ সোমবার বেলা ১১ টা থেকে বিকেল ৩ টে অবধি ব্লক অফিসে চলবে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির মনোনয়ন এবং মহকুমাশাসক অফিসে হবে জেলাপরিষদের আসনের জন্য মনোনয়ন ।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বর নির্দেশে মঙ্গলকোটে বিধায়ক মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর ৩৪ জন প্রতিনিধি পঞ্চায়েত ভোটে দলীয় প্রতীক পাবেন।সেক্ষেত্রে এই মনোনয়ন পদপ্রার্থীরা ব্লক কিংবা মহকুমাশাসক অফিসে গিয়ে মনোনয়ন আদৌও তুলতে পারবেনা কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।গত ২ এপ্রিল মঙ্গলকোট ব্লক অফিসে মনোনয়নের ফর্ম তুলতে গেলে পুলিশ এবং একাংশ দলীয় নেতাদের বাহিনীর দাপটে পিছপা হন তারা।এরপরে ৯ এপ্রিল কাটোয়া মহকুমাশাসক অফিসে গেলে বিধায়ক অনুগামীদের পুলিশের একাংশ লাঠিচার্জ করে, সেইসাথে দশের বেশি বিধায়ক অনুগামীদের আটক করে থাকে।এই ঘটনায় মাথা ফাটে বিধায়কের এক ভাইপোর।সর্বোপরি বিধায়ক অনুগামী হিসাবে পরিচিত মনোনয়ন তুলবে এইরুপ ব্যক্তিদের বাড়ী ঘিরে রাখার পাশাপাশি প্রায় বিভিন্ন সড়ক অবরুদ্ধ করে দেয় সশস্ত্র বাহিনী। এমনকি রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ সাহেব গত ৮ এপ্রিল নিজ বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়ক অফিসে এলে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পড়তে হয়।এরপরের দিনই এইবিধ ঘটনার প্রতিবাদে সরকারী নিরাপত্তারক্ষী,  গাড়ী ছেড়ে দেন।সরকারী বাসভবন (রাজভবন),  মন্ত্রী দপ্তর যাওয়া বন্ধ করে দেন।এমনকি রাজ্য মন্ত্রীসভার বৈঠকে গড়হাজির থেকে দলীয় ক্ষোভের বার্তা দেন শীর্ষ নেতাদের কে।মুখ্যমন্ত্রী তড়িঘড়ি সিদ্দিকুল্লাহ সাহেবের ক্ষোভ নিরসনে শিক্ষামন্ত্রী কে দায়িত্ব দেন।দুই মন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর জানিয়ে দেওয়া হয় যে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে ৩৪ টি আসনে টিকিট দেওয়া হয়েছে এবং ওইসব আসনে যারা ইতিমধ্যে দলের পক্ষে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন,  তারা তা প্রত্যাহার করে নিবেন। এহেন সিদ্ধান্ত তৃনমূলের সর্বোচ্চস্তর থেকে নেওয়া হলেও,  মনোনয়ন পেশের দিন বিধায়কের ৩৪ জন প্রতিনিধি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন।যেভাবে গত ২ তারিখ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত তারা পুলিশ এবং দলেরই একাংশদের দ্বারা সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন, তাতে আদৌও শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে মঙ্গলকোটের বুকে।যদিও মঙ্গলকোট বিধায়ক মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী মনোনয়ন পেশের  থেকে মঙ্গলকোটে আসবেন বলে জানা গেছে।পনেরো টি গ্রাম পঞ্চায়েত, একটি পঞ্চায়েত সমিতি, জেলাপরিষদের তিনটি আসন সর্বমোট দুশোর কাছাকাছি আসনসংখ্যার মধ্যে বিধায়কের কপালে জুটেছে মাত্র চৌত্রিশ টি আসন।অর্থাৎ শতকরা পনেরো শতাংশর কিছু বেশি।এতেও চরম আপত্তি ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হিসাবে পরিচিত অনুব্রত মন্ডল অনুগামী ব্লক সভাপতি শিবিরের।গত ১ এপ্রিল বিধায়কের অফিস সহ বেশ কয়েকটি দোকানে হামলা চলে।যদিও বিধায়কের অফিসের ঘর মালিক হায়দার সেখ অশান্তি এড়াতে বিধায়কের অফিসে তালা মেরে দিয়েছেন। উল্লেখ্য গত দু বছরে মঙ্গলকোট থানার এককিমির মধ্যে থাকা এই অফিসে বারবার সশস্ত্র হামলার অভিযোগ উঠেছে।এমনকি মঙ্গলকোট ওসির সরাসরি হামলায় মদত অভিযোগ তুলে কাটোয়া মহকুমাশাসক অফিসে বিধায়ক অনুগামীরা এবং পুলিশসুপার কে জমিয়ত উলেমা হিন্দের জেলা কমিটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছে।এহেন পেক্ষাপটে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নেতাদের অতি ঘনিষ্ঠ মঙ্গলকোট ওসির ভুমিকা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে।সেখানে মঙ্গলকোট ব্লক অফিসে আদৌও মনোনয়ন পেশের ফর্ম তুলতে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর অনুগামীরা পারবেন কিনা, তা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।গত দুবছরে পঞ্চাশের বেশি ব্যক্তিদের এক কুইন্টালের বেশি গাঁজা উদ্ধার দেখিয়ে বিধায়ক অনুগামীদের যেসব মামলা দিয়েছে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ।তাতে মনোনয়ন পেশ নিয়ে পুলিশি নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।যদিও পুলিশের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

আজ কি অনুগামীদের মনোনয়ন পেশে সিদ্দিকুল্লাহ সফল হবেন? বিপক্ষ শিবির চাইছে ব্যর্থতায় করুক পদত্যাগ


মোল্লা জসিমউদ্দিন

জেলাপুলিশের  একাংশ এবং মঙ্গলকোট ব্লক তৃনমূলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী মনেপ্রাণে চাইছে নিজ অনুগামীদের মনোনয়ন পেশ করাতে না পেরে ইস্তফা দিক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। ঠিক এইরকমই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে বিশস্ত সুত্রে জানা গেছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্লক নেতা জানিয়েছেন - "গত দুবছর মঙ্গলকোটে যেভাবে অনুব্রত মন্ডলের বশ্যতা স্বীকার না করে সিদ্দিকুল্লাহ রাজনীতি চালাচ্ছেন, সেখানে শীর্ষ নেতৃত্বর ঠিক করে দেওয়া ৩৪ টি আসন আমাদের কাছ থেকে দেওয়া হচ্ছে, সেটা চরম অপমানের সামিল।তাই আমরা কোনভাবেই এই আসনরফা মেনে নেবনা "।যদিও তারা প্রকাশ্যে বলছেন - মঙ্গলকোট কেন্দ্রের বহিরাগত বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহের পাশে কেউ নেই, তাই প্রার্থী, প্রস্তাবক খুঁজে পাচ্ছে না তারা।অথচ গত বছর মঙ্গলকোটের কৈচরে হাটতলায় ত্রিশ হাজার কর্মী সমর্থকদের এনে ব্লক সভাপতির অফিসের সামনে 'হিট' সভা করেছিলেন সিদ্দিকুল্লাহ।মঙ্গলকোটের অজয় নদের বেআইনি বালিসিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দলের একাংশ এবং জেলাপুলিশের বড় অংশের দুর্নীতি ফাঁস করেছিলেন তিনি।সেই থেকে মঙ্গলকোট ওসি কে কোন উন্নয়ন বৈঠকে বিধায়কের পাশে দেখা যায়নি।এমনকি রুগি কল্যাণ সমিতির বৈঠকে গত দুবছরে আটবার সভা হলেও যাননি ওসি।এই রুগী কল্যান সমিতির আবশ্যিক সদস্য হিসাবে স্থানীয় বিডিওর পাশাপাশি ওসি পদাধিকারীরা গুরুত্বপূর্ণ। তাই মৌচাকে ঠিল মারা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ক্ষুব্ধ হয়ে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিক, তা চাইছে মঙ্গলকোটের এই সিন্ডিকেট টি।ইতিমধ্যে শয়ে শয়ে বিধায়ক অনুগামীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া, থানায় ডেকে পুলিশি সন্ত্রাস করা, বিপক্ষ শিবিরের বাহিনী দিয়ে সুপরিকল্পিত ভাবে মারধোর চালানো এমনকি মহিলাদের দিয়ে ঝাঁটা জুতো দেখিয়ে অশ্রাব গালিগালাজ দেওয়া ঘটনাগুলি সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে ক্রমশ কোণঠাসা করে দিয়েছে।মনোনয়ন পেশের প্রথম পর্বেও একই অভিযোগ। তাই মুখ্যমন্ত্রীর ঠিক করে দেওয়া ৩৪ টি আসনে কোনভাবেই বিধায়ক অনুগামীরা মনোনয়ন যাতে দিতে না পারে, সেজন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের বাড়ীর সামনে বাহিনীর উপস্থিতি,  থানার দারোগাবাবুদের চমকানি এমনকি খুনের আশংকায় অনেকেই এলাকাছাড়া।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে  অনুগামীরা মনোনয়ন জমা দিতে না পারলে সিদ্দিকুল্লাহ বাধ্য হবেন ইস্তফা দিতে।আর সেটাই চাইছে পুলিশ ও দলের একাংশ।

রবিবার, এপ্রিল ২২, ২০১৮

মুর্শিদাবাদের নিহত সাংবাদিক মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে রাজ্যপাল কে চিঠি দেবে এক সাংবাদিক সংগঠন

সুকান্ত ঘোষ

নিহত সাংবাদিক ভাস্কর খুন রহস্য উদঘাটনে আমরা ( কাটোয়া সাবডিভিশনাল প্রেস কর্নার)  চিঠি দিচ্ছি মাননীয় রাজ্যপাল কে।আমরা প্রাথমিকভাবে মনে করেছি, সালার থানার নথিভুক্ত সাংবাদিকের স্ত্রীর এফআইআর ঠিকমত লেখা হয়নি।হয় স্ত্রীর মানসিক অবস্থা ভেঙ্গে যাওয়ার জন্য, কিংবা এফআইআর এর বয়ান লেখা 'ল'ক্লার্ক এর অনভিজ্ঞতার জন্য।আমাদের কিছু প্রশ্ন, কিছু সুত্র তথ্যসংবলিত ভাবে রাজ্যপাল কে জানাব।পরবর্তীক্ষেত্রে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করতে পারি।নিহত সাংবাদিক আমাদের চারটি পোর্টাল নিউজে যে নির্ভীকতা সংবাদ পরিবেশন করেছে।তার খুনে খুনিদের বিচার না হলে আমরা অমানুষ হিসাবে প্রতিপন্ন হব।উল্লেখ্য গত ১৩ এপ্রিল মুর্শিদাবাদ জেলার সালার থানা এলাকায় সন্ধেবেলায় শ্বশুরঘর থেকে নিজ বাড়ী (১০ কিমি দুরত্ব) আসার পথে খুন হয় ভাস্কর ঘোষ।প্রথম পর্যায়ে পথ আটকানো মুখে গামছাবাঁধা দুষ্কৃতী মারধোর করলেও, পরবর্তীতে আক্রান্ত সাংবাদিক বেশ কয়েকজন কে হোয়াটস আপে জানালে খুন হতে হয়।তারা কারা?  তাদের কলডিটেল, মোবাইল লোকেশন, হোয়াটস আপ চ্যাট প্রভৃতি পরীক্ষা করার দাবির পাশাপাশি আরও কিছু দাবিপত্র নিয়ে আমাদের চিঠি যাবে রাজ্যপাল সহ বিভিন্ন দপ্তরে।

সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর অনুগামীদের মনোনয়ন পেশের সুযোগ দিতেই কি মুখ্যমন্ত্রী হাইকোর্টের রায় মেনে নিলেন?



মোল্লা জসিমউদ্দিন



হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিমকোর্ট,  সবজায়গাতেই পঞ্চায়েত মামলার মূল এজেন্ডা ছিল - মনোনয়ন পেশের সময়সীমা বাড়ানো।গত ১০ এপ্রিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মনোনয়নের সময়বৃদ্ধি বিজ্ঞপ্তি নিয়েই যত জটলা।রাজ্যসরকার,  নির্বাচন কমিশন এবং শাসকদল প্রথম থেকেই সুপ্রিমকোর্ট,  হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ, এবং সিঙ্গল বেঞ্চে অনমনীয় মনোভাব ব্যক্ত করে গিয়েছে।তাদের মূল বক্তব্য ছিল - ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গেলে দেশের কোন আদালতই নির্বাচনের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারেনা।দেশের সংবিধান সেই নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দিয়েছে।কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে,  নির্বাচন কমিশন কোন ভূল করলে, সেটা শোধরাবে কে? সাধারণ মানুষের স্বার্থে তাই হস্তক্ষেপ জরুরী। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে সিঙ্গল বেঞ্চে রাজ্যসরকার, নির্বাচন কমিশন এবং তৃনমূল চরমভাবে সমালোচিত হয়েও মুখ্যমন্ত্রী এই মনোনয়ন পেশের সময়সীমা বাড়ানো রায়দান কে স্বাগত জানিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের অভিমত - যদি স্বাগতই জানালেন, তাহলে ৯ এপ্রিল রাতে জারি করা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মনোনয়ন পেশের অতিরিক্ত দিন ধার্য বিজ্ঞপ্তি টি কে অবৈধ দাবি করে আইনজীবী ও তৃনমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ইমেল কেন করতে গেলেন? আবার সেই রাতেই নির্বাচন কমিশনারের বাড়ীতেই কেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী তড়িঘড়ি গেলেন? এছাড়া পঞ্চায়েত মামলা গ্রহন থেকে গতকাল অর্থাৎ ২০ এপ্রিল পর্যন্ত কেনই বা চরম বিরোধিতার পথে আদালতে দেখা গেল রাজ্যসরকার কে? এইবিধ নানান প্রশ্নমালার মধ্যে সবথেকে অবাক ব্যাপার যে, মনোনয়ন পেশের সময় বাড়ানোর রায়দান কে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। শাসকদলের যাবতীয় মনোনয়ন পর্ব  শেষ হয়েছে গত ৯ এপ্রিলই।এখন যা মনোনয়ন জমা পড়বে, তা সবই বিরোধীদলের হয়ে।তাহলে কেন মুখ্যমন্ত্রীর এহেন স্বাগতসম্ভাষণ!  ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, গত ৯ এপ্রিল ( মনোনয়ন পেশের প্রথম পর্বের শেষ দিন) মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর মনোনীত ৩৪ জনের মধ্যে কোন ব্যক্তি মনোনয়ন জমা তো দূর অস্ত, মনোনয়নের কোন ফর্মই তুলতে পারেনি।পুলিশের এবং শাসকদলের একাংশের সন্ত্রাসের জন্য বিডিও অফিস তো বটেই মহকুমাশাসক অফিসেও ঢুকতে পারেনি।সর্বোপরি নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে গিয়েও মনোনয়ন তুলবার কোন সুযোগ পাননি।এই ধরনের পেক্ষাপটের শিকার হয়ে ১০ এপ্রিলের পর থেকেই তিনি সরকারী গাড়ী, নিরাপত্তারক্ষী ছেড়ে দিয়ে তৃনমূলের সাথে সরাসরি সংঘাতে নামেন। এরপরে রাজভবন সহ বিকাশভবন না গিয়ে চরম ক্ষোভের বাতাবরণ তৈরি করেন।এমনকি রাজ্য মন্ত্রীসভার বৈঠকে না গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কে একপ্রকার চ্যালেঞ্জ দিয়ে বসেন।যা তৃনমূল জমানায় কোন মন্ত্রী এখনও পর্যন্ত দেখানোর সাহস দেখায়নি মন্ত্রিত্ব চলে যাবার ভয়ে।এই পরিস্থিতিতে তৃনমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব কে সিদ্দিকুল্লাহ বার্তা দেন যে, প্রয়োজনে তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিতেও রাজি।এহেন রাজনৈতিক ঝুঁকি অত্যন্ত সর্তকতার সাথেই নেন সিদ্দিকুল্লাহ।তিনি খুব ভালো করেই জানেন - সারা বাংলায় যেভাবে বিজেপি উগ্র হিন্দুত্বের পথে হাটছে, সেখানে তৃনমূলের পক্ষে একাধারে উগ্র হিন্দুত্ব বজায় রাখা এবং অন্যাধারে  সংখ্যালঘুদের মানভাজন করা সম্ভব নয়।ইতিপূর্বে রামনবমী এবং হনুমান জয়ন্তী পালনে যেভাবে বিজেপির সাথে পাল্লা দিয়ে রাস্তায় নেমেছে তৃনমূল। তাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় দ্বিথাভক্ত তাদের অবস্থানে।বর্তমানে তৃনমূল সরকারে একমাত্র সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ছাড়া অন্যকোন গ্রহণযোগ্য সংখ্যালঘু নেতা / মন্ত্রী নেই।যারা আছেন তাদের পরিধি তাঁদের কেন্দ্র অবধিই, তাও তৃনমূলের বাইরে কোন ক্যারিশ্মা নেই।সেইজায়গায় দাঁড়িয়ে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী তৃনমূলের বাইরে 'জমিয়ত উলেমা হিন্দের' রাজ্যসভাপতি।এই জমিয়তের পঞ্চাশ লক্ষের বেশি কর্মী সমর্থক রয়েছেন বাংলায়।আবার হাজারের বেশি মাদ্রসার নিয়ন্ত্রক হলেন সিদ্দিকুল্লাহ।তার উপর অতীতে সিঙ্গুর - নন্দীগ্রাম - মাখড়া - খাগড়াগড় প্রভৃতি প্রতিবাদ আন্দ্রোলনে স্বতন্ত্র ধারা রেখেছেন তিনি।তাই তৃনমূলের সঙ্গ ছাড়লে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর মন্ত্রিত্ব যাওয়া ছাড়া আর কোন ক্ষতি হবেনা।সেক্ষেত্রে তৃনমূলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে ধস নেমে যাবে সিদ্দিকুল্লাহ গেলে।আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন স্বামী অসীমানন্দ কে প্রচারে আনা হচ্ছে।এই অসীমানন্দ সারাদেশের বিভিন্ন মসজিদ, ট্রেন বিস্ফোরণে মূল অভিযুক্ত। যদিও নিম্ন আদালতে সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়েছেন। তৃনমূল বিজেপির এহেন উগ্র হিন্দুত্বের নীতি কে সমানে সমানে টেক্কা দিলেও, সংখ্যালঘু ভোট ঠিক রাখতে সিদ্দিকুল্লাহের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। তাই কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়দানের দুদিন পূর্বে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে সিদ্দিকুল্লাহেএ বৈঠক করে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, মঙ্গলকোটে ৩৪ টি আসনে অনুব্রত তাঁর অনুগামীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিবেন এবং বিধায়ক তাঁর অনুগামীদের ওইসব আসনে নিজ প্রার্থী দেবেন।যেখানে গত বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর তরফে ফিরহাদ হাকিম বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল কে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন।সেখানে শুক্রবার ( দুদিন পর) কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের পঞ্চায়েত মামলায় মনোনয়ন পেশের বাড়তি সময়সীমা রায়দান কে মুখ্যমন্ত্রী কেন স্বাগত জানালেন, তা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ইস্যুটি পর্যালোচনা করলে পরিস্কার হওয়া যায়।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER