শুক্রবার, মে ১৮, ২০১৮

গাইঘাটা ব্লকে ভোটের রায়

ওয়াসিম বারি

গাইঘাট ব্লকের পঞ্চায়েত ভিত্তিক ফলাফল |

1) সুটিয়া পঞ্চায়েত ।মোট আসন-25. TMC-13. BJP-12.  2)ধর্মপুর-(2)মোট আসন-16-- BJP-8. TMC-6. ND-2. 3)জ লেশ্বর -(1) মোট আসন-14. TMC--6. BJP--6. ND--2.  4)রামনগর- মোট-18. TMC--15. . BJP--2., , Cong-1.  5)ঝাউডাঙ্গা-- মোট--18. TMC-17. BJP--1.   6)ইছাপুর-(2) মোট- আসন-18. TMC-10. BJP-7. ND-1.  7)শিমুলপুর- মোট আসন-20.  TMC--13. BJP--7. , 8)ধর্মপুর -(1) মোট আসন--15. TMC--8. BJP--3. বিজেপি সমর্থিত নির্দল--4. 9)ফুলসরা- মোট আসন--19. TMC--11. BJP--6.   ND-2.  10) জলেশ্বর --(2) মোট আসন--14.  TMC-11. BJP-2.  নির্দল-1. 11)ডুমা-মোট- আসন-24. TMC-14. BJP-10. 12)চাঁদপাড়া,  মোট-26. TMC-17. BJP-6. CPM-2, নির্দল-1. -13)হছাপুর (1) মোট আসন-14.  TMC-10. BJP-3. CPM-1.

বাগদার পঞ্চায়েত ফল

ওয়াসিম বারি

বাগদা ব্লক এর পঞ্চায়েত ভিত্তিক ফলাফল |

রনঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত (24)               TMC -11 ,BJP -9 ,ND-1, CPM-3
বাগদা গ্রাম পঞ্চায়েত (21)           TMC -16 ,ND-2,BJP -2 ,CON -1
হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েত     (17)        TMC-12   ,BJP-5
বায়রা গ্রাম পঞ্চায়েত -(22)         TMC -18 ,BJP -3 ,ND-1
সিন্দ্রানী গ্রাম পঞ্চায়েত (26)           TMC -11 ,BJP -13,ND-2
কোনিয়ারা ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত -(15)                          BJP -9 ,TMC -3,CONG -1 ,CPM -1
অষারু গ্রাম পঞ্চায়েত -(24)            TMC -14,BJP -5 ,CPM-4,ND-1

বৃহস্পতিবার, মে ১৭, ২০১৮

জামিনে মুক্ত ছেলে কে আনতে গিয়ে পথের বলি বাবা

শ্যামল রায়

 
জামিনে মুক্তি পাওয়া ছেলেকে জেল থেকে বাড়ি আনতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল বাবার। মৃতের নাম লুতফর বিশ্বাস (৪৮)। বাড়ি নদিয়ার চাপড়ায়। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কৃষ্ণনগরে। বধূ নির্যাতনের অভিযোগে জেল হেপাজতে ছিল লুতফরের ছেলে বাদশা বিশ্বাস। বুধবার সে জামিনে মুক্তি পায়। তাকে বাড়ি আনতে গিয়ে বাস থেকে পড়ে মৃত্যু হয় লুতফর বিশ্বাসের।
বধূ নির্যাতনের অভিযোগে বাদশা বিশ্বাস(২৫)-কে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ১৪ দিন জেল খাটার পরে  তার জামিন মঞ্জুর হয়। ছেলেকে বাড়ি আনতে কৃষ্ণনগর গিয়েছিলেন লুতফর। ছেলেকে নিয়ে কৃষ্ণনগর থেকে চাপড়াগামী বাসে উঠতে যাওয়ার সময় বাস থেকে পড়ে যান তিনি। মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যায় কৃষ্ণনগর থানার পুলিশ। তাঁরা মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
অন্যদিকে লরির ধাক্কায় এক সাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে,তার নাম সুধাংশু দেবনাথ(৩৫)। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে তাহেরপুর থানার বাদকুল্লা ধানহাট এলাকায়। তার বাড়ি ওই থানার ভাদুড়ি তেতুলতলা এলাকায়। মৃতদেহ রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, লরিটি আটক করা হয়েছে। ঘটনার পর লরির চালক পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।     

ভাতারে নির্দলরা উড়ে গেল তৃনমূলের তুফানে

সুদিন মন্ডল

ভাতার এর 14টি গ্রাম পঞ্চায়েত এর 14টিতেই জয়লাভ করলো তৃণমূল কংগ্রেস।  90%এরও বেশী আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল প্রার্থীরা।  ভাতার,বলগোনা, বামুনারা, আমারুন সব জায়গাতেই তৃনমূল প্রার্থীদের জয়জয়কার।  পাশাপাশি 38টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনের 37টি ও 3টি জেলা পরিষদ আসনের সবকটিতেই জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস।

জামুড়িয়া বিরোধীশুন্য করল তৃনমূল

মোহন সিং

জামুড়িয়ার 23 গ্রাম পঞ্চায়েতে তে 23 টি তে জয় লাভ টিএমসির। বিরোধী শূন্য হল এই পঞ্চায়েত।

'গুপ্ত বারানসী'তে চলছে যোগাদ্যার পুজো


শ্যামল রায়

মঙ্গলকোটের ক্ষীরোগ্রামে আজও যোগ্যদ‍্যা দেবীর পুজো ঘিরে নানান ধরনের কথা প্রচলিত আছে। তবুও নিষ্ঠা সহকারে যোগাদ‍্যাকে পুজো করে থাকেন থান্ডার পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয় বাসিন্দারা।পুজো শুরু হয়েছে চলবে সাতদিন ধরে।তবে যোগাদ্যা দেবী রক্ত পান করে জলে যান।এই রীতি আজও বিদ্যমান।
জানা গিয়েছে যে প্রসিদ্ধ সতীপীঠ এটি একটি।
দেবীর ডান পায়ের বুড়ো আঙুল পড়েছিল এই খীরো  গ্রামে। ভৈরব খীরে শ্বর বা খীরো কণ্ঠ নামে পরিচিত আছে আজও।বৈশাখী সংক্রান্তির দিন থেকে সাতদিন বিশেষ পুজোর মধ্যে দিয়ে দেবীর আরাধনা শুরু হয়।
দেবীর কষ্টি পাথরে খোদিত সিংহবাহিনী মহিষাসুরমর্দিনী দশভূজা শিলা মুর্তি এটি।
মহিষ ছাগ ও মোষ বলি হয় এই পুজোয়।
নিত্যসেবিতা। আরো জানা গিয়েছে যে বছরের অন্য সময় দেবী জলের তলায় থাকে। কথিত যে কৃত্তিবাসী রামায়ণে লিখিত যোগাদ্যা আসলে পাতালপুরীর মহিরাবন সেবিত দেবী ভদ্রকালী। হনুমান মহিরাবন বধ হবার পর দেবীকে এখানে নিয়ে আসেন। কৃত্তিবাস এই স্থানটিকে গুপ্ত বারানসি বলেও আখ্যা দিয়েছেন। মা যোগাদ্যা নির্মাণ করেছিলেন প্রখ্যাত ভাস্কর দাঁইহাটের নবীনচন্দ্র যিনি দক্ষিণেশ্বরের কালীমন্দির ভবতারিণী দেবী নির্মাণ করেছিলেন নির্মাণকাল খুব সম্ভবত উনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধের সময়টাকে ধরে নেয়া যেতে পারে।এই পুজো ঘিরে বহু ভক্তের সমাগম হচ্ছে প্রতিদিন।পুজোর দিনে দেবী যোগ্যতাকে রক্ত পান করাতে হয়।। রাতের দিকে পরিবারের কোন সদস্য বুক চিরে রক্তদান এই দেবীকে।
এইরকম রীতি বছরের পর বছর ধরে বংশানুক্রমে পালন করে আসছেন থান্ডার পরিবার।
পরিবারের সদস্য পঞ্চানন থান্ডার, সাগর বালাথান্ডার
জানিয়েছেন যে যোগাদ্যা মন্দিরের গর্ভগৃহে মন্ত্রপূত খাড়া দিয়ে বুক চিরে রক্ত দেওয়ার রীতি  আজও আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।রক্তপানের সময় মন্দিরে ব্রাহ্মণদের প্রবেশ নিষেধ শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যরাই থাকতে পারেন।এই পুজোর  সম্পর্কে জানা গিয়েছে যে থান্ডার পরিবারের কোন সদস্য জল থেকে তুলে এনে যোগ্যতা দেবী কে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তবে পুজো ঘিরে নানান রকম বিতর্কমূলক কথাও আছে।জানা গিয়েছে যে কাল আগে যোগ্যদ‍্যার এই প্রস্তর মূর্তিটি নিয়ে লড়াই বাদে অন্তজ ঠান্ডার পরিবারের সঙ্গে গ্রামের ব্রাহ্মণদের। জিতে যান ব্রাহ্মণরা।  আজও ধরে রেখেছে  ডোম চুয়াড়ি খেলা নামে এই রীতি আর দেবী দুর্গার অন্যরূপ যোগাদ্যা পূজাকে কেন্দ্র করে সপ্তাহব্যাপী মেলা হয়। এই মেলাকে ঘিরে যাত্রা বাউল সহ বিভিন্ন লোকসংস্কৃতির জমজমাট আসর বসে পুজো প্রাঙ্গণে।আরো জানা গিয়েছে যে এই পুজোয় এক সময়ে নরবলির রেওয়াজ চালু থাকলেও বর্তমানে বন্ধ।এখন প্রতিবছর একটি করে মহিষ ও শতাধিক ছাগল বলি দেওয়ার রীতি প্রচলিত আছে।
বহুমূল্য কষ্টিপাথরের যোগাদ্যা দেবীর মহিষাসুরমর্দিনী মূর্তিটি গ্রামের প্রান্তেখীরদীঘি  নামে একটি জলাশয় বছর ভর ডোবানো থাকে।পুজোর দিন মূর্তিটি জল থেকে তুলে মন্দিরে এনে দিনভর পুজো করে ফের মূর্তিটি জলে ডোবানো হয়।আরো জানা গিয়েছে যে আদি মূর্তিটি একসময় ভেঙে গিয়েছিল তারপর নতুন করে কষ্টিপাথর দিয়ে মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে। তবে কথিত সতীর দেহত্যাগের পর তার ডান পায়ের বুড়ো আঙুল বিষ্ণু চক্রে ছিন্ন হয়ে এই মঙ্গলকোটের  এসে পড়েছিল।সতীপীঠ ও যোগ্যতা মূর্তি ও মন্দির দেখতে সারাবছর বহু দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটক এখানে আসেন।কাটোয়া থেকে বা বর্ধমান থেকে মঙ্গলকোটের এই যোগ্যদ‍্যা মন্দিরে আসা যায়। পুজো ঘিরে বসেছে মেলা।

সিদ্দিকুল্লাহ কে জব্দ করতেই কি বিজেপির পথে বরকতি

মোল্লা জসিমউদ্দিন

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পূর্বাভাষ যে, টিপু সুলতান মসজিদের একদা ইমাম বরকতি সাহেব বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন।পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রস্তাবিত বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের কলকাতা সফরে এহেন যোগদান নির্ধারিত ছিল।তবে অমিত শাহ না আসায়, তা ঘটেনি।যাইহোক এই হিন্দিভাষী সংখ্যালঘু নেতা বিজেপিতে ঢুকবেন, এটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।ইতিপূর্বে জমিয়ত উলেমা হিন্দের রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এই ইমামসাহেবের গাড়ীতে লালবাতি লাগানো কান্ডে প্রায়শ বলতেন " বরকতি আরএসএসের লোক"। এখন দেখার বরকতি সাহেবের বিজেপির আনুষ্ঠানিক যোগ কখন? তবে যাইহোক তিনি যে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে রাজনৈতিকভাবে জব্ধ করতে রাজনীতির মাঠে নামছেন।এটা মানছেন রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহল।একদা মুখ্যমন্ত্রীর অতি ঘনিষ্ঠ এই ইমামসাহেব বিভিন্ন পরবের নামাজ শেষে তৃনমূল নেত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করতেন।কিছু মন্তব্য আবার সারাদেশব্যপী বিতর্ক এনে দিত।দেশের ইতিহাসে টিপু সুলতান একজন আত্মত্যাগী বৃটিশ বিরোধী রাজা,  তাই তাঁর নামাঙ্কিত মসজিদের ইমাম পদে থেকে মিডিয়ায় প্রচার পেতেন ভালোই।সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে গাড়ীতে লালবাতি লাগানো নির্দেশিকায় জেদের জন্য দুরত্ব বাড়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে।অনড় বরকতি কে তৃনমূলের কলকাতা কেন্দ্রিক নেতা - মন্ত্রীরা বোঝাতে গেলেও বিফল হন তাঁরা।এর পরেই আসরে নামেন জমিয়ত উলেমা হিন্দের রাজ্যসভাপতি সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।  মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই নাকি সিদ্দিকুল্লাহ হাজার খানেক সমর্থকদের নিয়ে টিপু সুলতান মসজিদের সামনে রণংদেহী সভা চালান।এরপরেই ইমাম পদ যায় বরকতির।সেইসাথে গাড়ীতে থাকা লালবাতিও।আর এখান থেকেই সিদ্দিকুল্লাহের সাথে শত্রুতা বাড়ে বরকতির।এখন প্রশ্ন তিনি কিভাবে জব্ধ করবেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে?  বাংলার রাজনীতিতে তৃনমূলের অন্যতম প্রতিপক্ষ হিসাবে চলতি পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পেশে বিজেপি তাদের অস্তিত্ব দিয়েছে।সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তৃনমূল অপেক্ষা বিজেপির প্লাটফর্ম বহুগুণ বড়।ত্রিশভাগ সংখ্যালঘু ভোট বাংলার ভোটের রাজনীতিতে ক্ষমতাবদলের নির্ণায়ক ভুমিকা নেয়।ইতিমধ্যে হাজারের কাছে সংখ্যালঘু প্রার্থী করে বিজেপি বাংলা দখলের রণনীতি গড়ছে।এক্ষেত্রে বরকতি কে বিজেপির যেমন লাভ রয়েছে, অপরদিকে রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জন করে সিদ্দিকুল্লাহ কে জব্ধ করার পথ সুগম হবে বরকতির।এই মুহুত্যে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী তৃনমূলের রাজনীতির অন্দরে জায়গা নড়বড়ে। মন্ত্রিত্ব পেলেও পঞ্চায়েত ভোটে তাঁর অনুগামী যেমন নন্দীগ্রাম - মঙ্গলকোটে তৃনমূলের প্রতীক তো দূর অস্ত, মনোনয়নের ফর্ম তুলতে পারেনি।তৃনমূল এবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারেও সিদ্দিকুল্লাহ কে ব্রাত্য করে রেখেছে।এছাড়া ভোটের আগে কাটোয়ায় পঞ্চায়েতি সম্মেলনে সিদ্দিকুল্লাহের দেখা মেলেনি।বাংলায় কলকাতার দু তিনটি বিধানসভা এলাকা বরাবরই হিন্দিভাষী মুসলিম অধ্যুষিত। তবে পশ্চিম বর্ধমান সহ উত্তরবঙ্গের নানান সীমান্ত এলাকা ( বিহার - ঝাড়খণ্ড) জুড়ে হিন্দিভাষী মুসলিমদের প্রভাব বাড়ছে।তাই বরকতির মত একজন চেনাজানা ধর্মীয় নেতা কে পেলে বিজেপির সংখ্যালঘু মুখ পরিচিতি থাকবেই।আসন্ন লোকসভা ভোটে একদা মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ  বরকতির বিজেপির অন্দরে কদর যে বাড়বে, সেটা অনেকেই নিশ্চিত। এক্ষেত্রে তৃনমূলের মূল রাজনীতিতে গুরুত্বহীন সিদ্দিকুল্লাহ কে জব্দ করতে সুবিধা হবে বরকতির।টিপু সুলতান মসজিদের দীর্ঘদিন ধরে ইমাম পদে থেকে যে পরিচিতি পেয়েছেন বরকতি এবং বিভিন্ন পরবে নামাজপাঠ শেষে যে বক্তব্য পেশ করতেন তৃনমূলের পক্ষে।তাতে এহেন একদা তৃনমূল ঘনিষ্ঠ ইমাম সাহেব বিজেপিতে যোগদান করলে বাংলার সংখ্যালঘুদের নিয়ে রাজনীতিতে পারদ ক্রমশ বাড়বে। আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও বরকতি সাহেব বিজেপিতে যাননি।তবে মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্য জমিয়ত উলেমা হিন্দের সভাপতি সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন - তৃনমূলের ফাঁদে পড়ে গাড়ীতে লালবাতি লাগানো নিয়ে বরকতির বিরুদ্ধে সামনাসামনি আন্দ্রোলন চালানো ঠিক হয়নি।উল্লেখ্য সিদ্দিকুল্লাহ বরকতির লালবাতি নিয়ে সরব হলেও তিনি নিজেও লালবাতি লাগাতেন।পরে অবশ্য খুলে দেন লালবাতি গাড়ী থেকে।

বুধবার, মে ১৬, ২০১৮

বাদুড়িয়ায় শান্তিপুর্ন পুনভোট

ওয়াসিম বারি

উত্তর ২৪ পরগানার বাদুড়িয়া থানার যদুরহাটী উত্তর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্জী এফ.পি স্কুলে গতকাল বিকাল ৫ টা অবধি নির্বিঘ্নে ভোট প্রক্রিয়া সম্মন্ন হওয়ার পর ৩০/৪০ জনের দুস্কৃতি দল এসে কর্ত্যব্যরত পুলিশ কর্মীদের মারধোর কোলরে ব্যালট বক্স লুঠ করে জালিয়ে দেয়। এ ধরনের ঘটনা বাদুড়িয়া ব্লকের আরো ৫ জায়গাতে ঘটেছে ৷বাদুড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত অধিকারিক বাপ্পা মিত্রের নেত্রীত্বে ৬ টি বুথে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েম করে ও এলাকা টহল দিয়ে আজ সেই ৬ টি ভোট গ্রহন কেন্দ্রে পুনর্ণির্বাচন হচ্ছে ৷ এই ভোট গ্রহন কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে ১১০ পঞ্জী মামুদপুর এফ পি স্কুল , ১৪১ ইশ্বরী গাছা এস এস কে স্কুল , ১৫৯ শ্রীরামপুর এফ পি স্কুল (রুম-১) , ১৬০ শ্রীরামপুর এফ পি স্কুল (রুম-২) , ১৬৪/১ নভেস্তিয়া শহীদ ক্ষুদিরাম এফ পি স্কুল (রুম-১) ও ১৬৪/২ নভেস্তিয়া শহীদ ক্ষুদিরাম এফ পি স্কুল (রুম-২) , প্রশাসনের তরফ থেকে জানান হয়েছে ভোট প্রকৃয়া শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পর্ণ হয়েছে ৷

পূর্বস্থলীর ৪ টি বুথে ভোট লুট করল শাসক দল, অভিযোগ


শ্যামল রায়

বুধবার ফের পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের চারটি  বুথে পুনর্নির্বাচন হয় । বিরোধীদের অভিযোগ যে এই চারটি বূথেই পুলিশ আর শাসকদলের লোকজনেরা বুথ  দখল করে ছাপ্পা ভোট করিয়ে নিয়েছে। বিরোধীদের এই ধরনের অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে শাসক দলের নেতারা দাবি করেছেন যে বিরোধীদের মিথ্যা অভিযোগ। ব্যাপক কড়া পুলিশি পাহারার মধ্যে দিয়ে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোন প্রকার রিগিং বুধবারের ঘটনা ঘটেনি। এদিন
৬৯ চাঁদপাড়া রাজবংশী প্রাথমিক বিদ্যালয়,১০৩ ধীতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে , ১০৮ সরডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও ১০৯ নম্বর সরডাঙ্গা এপিএস প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।অভিযোগ ছিল যে নির্বাচনের দিন এই সকল  বুথেছাপ্পা ভোট ব্যালটবাক্স পোড়ানোর অভিযোগে পুনঃনির্বাচন হল।
জেলা পরিষদের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বিপুল দাস পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী তাপস দে তপন চট্টোপাধ্যায় পংকজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে৮০ শতাংশের উপরে ভোট পড়েছে। ভোটকে কেন্দ্র করে কোনরকম গণ্ডগোল অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।সিপিআইএম নেতা তথা স্থানীয় বিধায়ক প্রদীপ সাহা জানিয়েছেন ভোটের প্রথম দিন থেকেই শাসকদলের সন্ত্রাসে ঐ সমস্ত এলাকা থেকে আমাদের কর্মী সমর্থকরা বাড়িছাড়া । কেউ কেউ সাহস নিয়ে এলাকায় থাকলেও ভোটের দিন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে কাউকেই  যেতে দেয়নি  শাসক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছে । ছাপ্পা ভোট করিয়ে  শান্তির কথা বলছে শাসক দলের নেতারা ‌। মহকুমাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানিয়েছেন যে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট নির্বিঘ্নে শেষ হয়েছে ‌।

কুলতলিতে শক্তির নিরিখে পিছিয়ে শাসকদল

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়

সারা রাজ্য যখন তৃনমূলের শক্তির কাছে বিরোধীরা পরাজিত। ঠিক তখনই তৃনমূলের সাথে সমানে সমানে টক্কর দিলো সিপিএম ও এসইউসি। এদের মধ্য তৈরী হওয়া গোপন জোটের কাছে প্রায় নিরুপায় দেখাল তৃনমূল কে।একসময় জয়নগর ও কুলতলিতে এসইউসি ছিলো প্রধান শক্তি।সিপিএমের সাথে তাদের প্রবল যুদ্ধ ছিলো।গত পঞ্চায়েত ভোটে জয়নগর ও কুলতলিতে সিপিএম পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে।তৃনমূলের শক্তি এখানে ভালো ছিলো না।২০১৬সালের বিধানসভার পর থেকে এই সব এলাকাজুড়ে তৃনমূলের শক্তি বাড়ে।কুলতলি পঞ্চায়েত সমিতি সহ ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮টি ই তাদের দখলে চলে যায়।তৃনমূল জয়নগর ১ ও ২নং ব্লক চেস্টা করেও দখলে আনতে পারে নি।গত ৬-৭মাস ধরে এই সব এলাকাজুড়ে তৃনমূল কে আটকাতে সিপিএম ও এসইউসি এক হয়।সেই কারনে সারা রাজ্য মনোনয়নে অশান্তুি হলেও এখানে তা হয় নি।এইসব এলাকাজুড়ে তাই এদের জোটের নির্দল দেখতে পাওয়া যায়।দুজনের শক্তি এক হয়ে যাওয়ায় তৃনমূল কমজোরি হয়ে পড়ে বেশ কিছু জায়গায়।কিছু এলাকায় বিজেপির সাথে ও অলিখিত জোট হয়ে যায়।তাই ভোটের দিন দুজন তৃনমূল করমি খুনের ঘটনা ও ঘটেকুলতলিতে।এ ব্যাপারে কুলতলির সিপিএম বিধায়ক রামশংকর হালদার বলেন,এখানকার মানুষ তৃনমূলের জোরজুলমে অতিস্ত হয়ে গেছিল তাই তারা আমাদের পাশে এসেছে।কুলতলির প্রাক্তন বিধায়ক এস ইউসির জয়কৃষ্ণ হালদার বলেন,তৃনমূলের অত্যাচারের কাছে মানুষ আর না পেরে আমাদের সাথে এসেছে।কুলতলির তৃনমূল ব্লক সভাপতি গোপাল মাঝি বলেন,ওরা এলাকাজুড়ে সন্তাস চালাবে বলে এক হয়েছে।বিজেপির জেলা নেতা সুনীপ দাস বলেন,জয়নগর কুলতলিতে তৃনমূলের অত্যাচার দিন দিন বেড়ে চলেছে।মানুষ শান্তি চাইছে।            

কুলতলিতে বুথ দখল করতে গিয়ে হত তৃনমূল কর্মী


উজ্জ্বল বন্দোপাধ্যায়

গত সোমবার রাতে ভোট দিয়ে বেরিয়ে যাবার পথে গনপিটুনিতে মারা গেল সুবিদ আলি মোল্লা(২২)নামে এক তৃনমুল কর্মী।বাড়ি খালদার পাড়াতে।ঘটনাটি ঘটেছে কুলতলি থানার চুপড়িঝাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫৪নং বুথের বাইরে।সুবিদের দেহ একটি মাঠ থেকে উদ্ধার করেন পুলিশ।দেহটিকে জামতলা গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষনা করেন ডাক্তাররা। এলাকা সুত্রে  জানা গেল,এই বুথে তৃনমূল,এসইউসি ও বিজেপির ছিল।রাতে ভোট চলাকালীন সুবিদ আলি দলবল নিয়ে বুথ দখল করতে যায়।সেই সময় তৃনমূল বিরোধীরা একজোটে তারা করে।ভয়ে পালাতে গিয়ে ওদের হাতে গনপিটুনির শিকার হয় সুবিদ।৬টি মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়াহয়।কিন্ত ু মৃত সুবিদ আলির কাকা চুপড়িঝাড়া তৃনমূল অঞ্চল সভাপতি হামিদ আলি মোল্লা বলেন,আমার ভাইপো সুবিদের সাথে বিজেপির ছেলেদের একটু বচসা হয়।তারপরেই ৫০০-৬০০বিজেপির লোক তারা করে আমার ভাইপোকে মেরে দিল।গাড়ি জালিয়ে দিল।আমরা কোন রকমে পালিয়ে বাচি।তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপির জেলার নেতা সুনীপ দাস।তিনি বলেন,সুবিদ দলবল নিয়ে বুথ দখল করতে এসেছিল তখন সবাই মিলে তা প্রতিরোধের মধ্য পড়ে সে মারা যায়।এতে বিজেপির কেউ দায়ী নয়।সোমবার রাত থেকে এলাকায় চরম উওেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে। সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার ও এলাকায় গিয়ে দেখা গেল,এলাকা পুরোপুরি থমথমে।পুলিশ তদন্ত চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেল।

ভোটের সন্ত্রাস কে মান্যতা দিলেন না আসানসোলের তৃনমূল নেতা

মোহন সিং

পঞ্চায়েত ভোটের পরে সেই উন্নয়নের পক্ষেই সওয়াল পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূল জেলা সভাপতি ভি শিবদাশন দাশু। ভোটের সন্ত্রাসকেও তিনি মানতে চাইলেন না। বরঙ বাম আমলে এর চেয়ে বেশী সন্ত্রাস হত বলে দাবি ভি শিবদাশন দাশুর। মিথ্যে মামলা তে ফাঁসানো থেকে শুরু করে মারধর পর্যন্ত করা হয়েছিল বাম আমলে।

কাটোয়া মহকুমা কে বিরোধীশুন্য করার পেছনে কাদের ভূমিকা?

মোল্লা জসিমউদ্দিন

রাজ্যে  ৩৪% শতাংশ আসনে তৃনমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে মনোনয়ন পর্বেই।সমগ্র কাটোয়া মহকুমার ৫ টি ব্লকে বিরোধীশুন্য হয়েছে।৬৩৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ১৩৪ টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ১১ টি জেলাপরিষদ আসনে কোন প্রার্থী খুঁজে পাইনি বিরোধী দলগুলি।অথচ ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে একতৃতীয়াংশের বেশি আসন পেয়েছিল বিরোধী দলগুলি।এমনকি ২০১৬ সালে কাটোয়ার দীর্ঘদিনের বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে তৃনমূলের প্রতীকে জয়ী হন মাত্র ৯১১ টি ভোটে!  ২০১৫ সালে দাঁইহাট পুরসভা দখল করে সিপিএম বুঝিয়েছিল তারা হারিয়ে যায়নি।পরে অবশ্য সিপিএম কাউন্সিলারদের বড় অংশ দলবদল করায় তৃনমূল এই পুরসভার জবরদখল নেয়।সামগ্রিকভাবে বোঝা যায় কাটোয়া মহকুমার ৫ টি ব্লকে ভোট হলে গতবারের চেয়েও বেশি পঞ্চায়েত হারাতে হত এমনকি একাধিক পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া হত শাসকদলের।উল্লেখ্য গতবারে ১৫ এর কাছাকাছি গ্রাম পঞ্চায়েত,  ২ টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ৫ টি জেলাপরিষদ আসনে বিরোধীরা ছিল।তাহলে বোঝা যায় ভোট হলে রাজনৈতিক সংঘর্ষ ঘটত অবিরত। সিপিএম - কংগ্রেসের অলিখিত জোট, বিজেপির হঠাৎ উথান সর্বোপরি শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্ধ এই এলাকায় নিত্যনতুন সংঘাত আনত।বিশেষত মঙ্গলকোটের বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বনাম ব্লক তৃনমূল সভাপতি অপূর্ব চৌধুরীর রাজনৈতিক কর্তৃত্ব লড়াই হানাহানির ঘটনা বাড়িয়ে দিত।মনোনয়ন পর্বে বিধায়ক অনুগামী মঙ্গলকোটের নপাড়ায় বসির খানের বাড়ীতে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টা ঘটে।৩ টি গবাদিপশু মরে যাওয়ার পাশাপাশি ওই অনুগামীর নাবালক ছেলে অগ্নিদগ্ধ হয়।এই ঘটনার পরেই মনোনয়ন ফর্ম তুলা থেকে অনুগামীদের সরিয়ে নেন বিধায়ক।এই ঘটনা থেকে পরিষ্কার শাসকদলের দুই গ্রুপের রাজনীতির রেষারেষি যদি এইরকম মনোনয়ন পর্বে হয়, তাহলে নির্বাচনী প্রচার থেকে ভোটের দিন কতটা রক্তাক্ত হত মঙ্গলকোট।মঙ্গলকোটে সিপিএম গত বিধানসভা নির্বাচনে ১২ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিল, তাই তারা প্রার্থী খুঁজে পাইনি।এটা বলা যায় না।ভোটের মনোনয়ন নিয়ে সর্বদল বৈঠক আসার পথে জোনাল সম্পাদক,  প্রাত্তন বিধায়ক আক্রান্ত হয়েছিলেন তৃনমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের হাতে।গোটা ব্লক এমনকি মহকুমাশাসক অফিস ঘিরে রেখেছিল অজয় নদের বালিমাফিয়াদের বাহিনী। পুলিশের ভূমিকা ছিল এর থেকেও বেশি।মনোনয়ন ফর্ম তুলতে না দেওয়া যদি ওয়ান ডে  ম্যাচে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ তৃনমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা হয়, তাহলে গত একবছরে সুপরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার 'টেস্ট ম্যাচ' তে ম্যান অফ দ্য সিরিজ হবে পুলিশ।যেভাবে কাটোয়া পুরসভার কাউন্সিলার জঙ্গল সেখের পুরো পরিবার,  সিপিএম নেতা ডাবলু আনসারি সহ ৩০ এর বেশি সংগঠক কে গাঁজার মামলায় জেলে পাঠানো হয়েছে।সেখানে পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীশূন্য করার অন্যতম দাবিদার পুলিশ।আদালতে বেশ কয়েকবার এইবিধ মামলায় ভৎসনার শিকার হয় তারা।বিরোধীদের দাবি গাঁজা মামলাগুলি একসাথে রেখে সর্বমোট মজুত গাঁজা পেশ করুক পুলিশ।যদিও পুলিশের তরফে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, পুলিশ দিয়ে গাঁজা সহ মিথ্যা মামলা যেমন বিরোধীশুন্য করতে সুবিধা হয়েছে, ঠিক তেমনি পুলিশি নিষ্ক্রিয়তায় তৃনমূলের সশস্ত্র বাহিনী তাও অজয় নদের বালি মাফিয়াদের পেশাদার টিম খুবই কাজে দিয়েছে শাসকদল কে।উল্লেখ্য কাটোয়া মহকুমা এলাকার বড় অংশে অজয় নদ ঘিরে বালি মাফিয়াদের কারবার দীর্ঘদিন চলছে।এরা শাসকদলের প্রতিটি ভোটেই নিখরচায় বাহিনী পাঠিয়ে থাকে।এবার পঞ্চায়েত নির্বাচন কে সামনে রেখে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা গত দুবছর ধরে চলতে থাকায় এবার বিরোধীরা এইসব এলাকায় জব্ধ বলে অভিযোগ। তাই ভোট হলে রাজ্যের অন্যান্য একাকার পাশাপাশি কাটোয়া - কেতুগ্রাম - মঙ্গলকোটে হানাহানি বাড়ত।এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়।

মঙ্গলবার, মে ১৫, ২০১৮

কুলতলিতে তৃণমূল কর্মী খুন

 উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়

গতকাল সকালে ভোটের বলি হলো এক যুবক কুলতলিতে।কুলতলির মেরীগঞ্জ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বালির চক বাজারের ৯ ও ১০নং বুথের ভোট চলাকালীন গুলি করা হয় আরিফ হোসেন গাজী(৩৫)নামে এক তৃনমূল কর্মীকে।তিনি গুলিবিদ্ধ হন।তার বুকে গুলি লাগে।এসইউসিআই ও সিপিআইএমের উপর  অভিযোগ।আরিফকে মহিসমারি প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওখান থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।তখন জয়নগরের পদ্মেরহাট হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষনা করে চিকিৎসকেরা।আরিফের ভাই আসিফ বলেন,দাদা তৃনমূল করে।ভোট দিয়ে বের হবার পথে এসইউসির লোকেরা দাদার বুকে গুলি করে।তাতেই দাদা মারা গেছে।তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করলেন এসইউসির জেলা সম্পাদক দেবপ্রসাদ সরকার।তারা ওখানে পুনভোট দাবী করেন।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER