মঙ্গলবার, মার্চ ০৩, ২০২০

পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর জন্মদিন পালন হলো মহাসমারোহে

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি
  
         আজ(৩/৩) কবি, সাহিত্যিক, বাচিক ও সঙ্গীত শিল্পী, কৃষি গবেষক, অধ্যক্ষ, ডাক্তার, সমাজসেবী, সাংবাদিক সহ সমাজের সর্বস্তরের  সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে 'বাড়ি আমার ভাঙ্গন ধরা অজয় নদীর তীরে'-র অমর স্রষ্টা কুমুদ রঞ্জন মল্লিকের জন্মভিটে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পালিত হলো কবির ১৩৮ তম জন্মদিন। নিছক কবিকে স্মরণ করা বা কবিতা পাঠ নয় আজকের অনুষ্ঠান বিভিন্ন দিক দিয়ে স্মরণীয়। সাহিত্য সংগঠন 'মনন' এর পক্ষ থেকে ১৫০  জন দুস্থকে বস্ত্র দেওয়া হয় এবং তাদের অন্নভোগের ব্যবস্থা করা হয়।সমাজসেবী সংগঠন 'সুসম্পর্ক' এর পক্ষ থেকে ১০০ জন ক্ষুদে পড়ুয়ার হাতে শিক্ষাসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।'ড: আর.এন.ঘোষ মেমোরিয়াল সোসাইটি'-র পক্ষ থেকে দুই জন কৃতি পড়ুয়াকে আর্থিক সাহায্য করা হয়।'উদার আকাশ' পত্রিকার পক্ষ থেকে তিন জন সাংবাদিককে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
        এর আগে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এবং সাধারণ মানুষ কবির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে কবিকে শ্রদ্ধা জানান। 'কুমুদ মেলা কমিটি'-র পক্ষ থেকে আমন্ত্রিত বিশিষ্টদের উত্তরীয় পড়িয়ে বরণ করা হয়।
       আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন 'সাহিত্য একাডেমি' পুরষ্কার প্রাপ্ত 'পাণ্ডব গোয়েন্দা' খ্যাত ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়, বিদ্রোহী কবির বংশধর তথা বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী সোনালী কাজী, বিখ্যাত কার্ডিলজিস্ট ড: হরিদাস মণ্ডল,কৃষি গবেষক তন্ময় ঘোষ,চিত্র পরিচালক রাজকুমার দাস সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। এছাড়া কলকাতা থেকে প্রকাশিত  ষান্মাষিক সাহিত্য পত্রিকা 'পদার্পণ' এর পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন কবি তথা বাচিক শিল্পী উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন পাক্ষিক  'কামদূঘা' পত্রিকার সম্পাদক তথা বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ধনঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
       কলকাতা থেকে আগত শর্মিষ্ঠা মাজি, মিনু প্রধানরা বললেন - এতদিন   সাহিত্য মেলায় কেবল  কবি-সাহিত্যিকদেরই সংবর্ধনা জানাতে দেখেছি। এই প্রথম সাহিত্য জগতের বাইরে সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্টদের সংবর্ধনা দিতে দেখলাম।এরজন্য তারা মেলা কমিটিকে ধন্যবাদ জানান। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন কৃষি বিজ্ঞানী তন্ময় ঘোষ এই সাহিত্য মেলায় উপস্থিত থাকার সুযোগ দেওয়ার জন্য কুমুদ মেলা কমিটির কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।অন্যদিকে হুগলির আরামবাগের বিশিষ্ট শিল্পপতি আগামী বছর এই মেলায় দুস্থদের ১০০ টি তাঁতবস্ত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
      প্রায় ২০ বছর আগে কবিকে সম্মান জানানর জন্য কবির জন্মদিনটি বেছে নেন বিশিষ্ট কবি-সাংবাদিক শ্যামলাল মকদমপুরী। মুর্শীদাবাদের সালার থেকে এসে তার পক্ষে কবির জন্মদিন পালন করা ছিল বেশ কষ্টকর।ফলে তিনি অনুজ কবি-সাংবাদিক মোল্লা জসিমউদ্দিনের হাতে দায়িত্ব অর্পণ করেন।গত দশ বছর ধরে 'কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি'-র প্রাণপুরুষ মোল্লা জসিমউদ্দিনের উদ্যোগে এই সাহিত্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে চলেছে। প্রসঙ্গত আজ শ্যামলাল বাবুর স্বরচিত গানের মধ্যে দিয়ে  কবির স্মরণ সভা শুরু হয়।
       জসিম বাবু বললেন- কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির ডাকে সাড়া দিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যেভাবে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই সাহিত্য মেলায় উপস্থিত হয়েছেন তাতে তিনি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা করেন দক্ষিণ বঙ্গের বৃহত্তম সাহিত্য মেলাকে আরও সফল ও অর্থবহ করে তুলতে বহু মানুষ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে।

রবিবার, মার্চ ০১, ২০২০

মঙ্গলকোটের কুমুদ সাহিত্য মেলায় যাবেন কিভাবে ?

কুমুদ সাহিত্য মেলায় পৌছাবেন কিভাবে? 

আগামী মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর বসতভিটেয় হচ্ছে কুমুদ সাহিত্য মেলা। এটি মঙ্গলকোটের সদর শহর নুতনহাট সংলগ্ন এলাকা।চারটি প্রধান সড়কপথের কেন্দ্রস্থল নুতনহাট। উত্তরবঙ্গের  সাথে  দক্ষিণবঙ্গের গুরত্বপূর্ণ ৭ নং রাজ্য সড়ক গেছে নুতনহাটের উপর দিয়ে। যারা বর্ধমান শহর থেকে আসবেন তারা সদর বর্ধমান ( দুরত্ব ৩৫ কিমি) থেকে ত্রিশ মিনিট অন্তর স্টেটবাস / লোকাল বাস পাবেন। নামতে হবে নুতনহাট বাইপাস মোড়ে।যারা কাটোয়া শহর( দুরত্ব ২৫ কিমি) থেকে আসবেন  তারা ঘন্টায় ঘন্টায় বাস পাবেন। নামতে হবে নুতনহাট মোড়ে। যারা দুর্গাপুর থেকে ভায়া গুসকারা ( দুরত্ব ১৮ কিমি)  আসবেন। তাদের কে নামতে হবে নুতনহাটে। যারা বোলপুর - শান্তিনিকেতন (দুরত্ব ২২ কিমি)  আসবেন। তাদের কে নামতে হবে নুতনহাটে। 

কলকাতা থেকে বাসে আসতে গেলে ধর্মতলায় ( উত্তরবঙ্গ + দক্ষীনবঙ্গ এর স্টেটবাস বাসস্ট্যান্ডে)  বাস পাবেন চব্বিশঘণ্টা ধরে। হাওড়া স্টেশন থেকেও এক্সপ্রেস / লোকাল ট্রেন কর্ডলাইন ও মেনলাইনে আসে বর্ধমান স্টেশনে। শিয়ালদহ থেকে ট্রেন কম।

শনিবার, ফেব্রুয়ারী ২৯, ২০২০

৩ রা মার্চ কুমুদ সাহিত্য মেলাতে কি হবে?

আর হাতে মাত্র ২ দিন। এরপরই মঙ্গলবার সারাদিন ব্যাপি চলবে 'কুমুদ সাহিত্য মেলা'। এবারে মেলায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বেশকিছু সংগঠন। প্রথমত 'মনন' সংগঠন টি ১৫০ জন দুস্থদের বস্ত্রবিলি ও অন্নভোগের আয়োজন করেছে। 'সুসম্পক' সংগঠন টি ১০০ জন প্রাথমিক পড়ুয়াদের শিক্ষাসামগ্রী দেবে। 'চারুচন্দ্র আর্ট সেন্টার ' সংস্থা টি আমাদের ফ্লেক্স থেকে প্রীতিপত্র প্রায় কাজের ডিজাইন বানিয়েছে। 'ডঃ আর এন ঘোষ মেমোরিয়াল সোসাইটি ' ২ জন কৃতি পড়ুয়াদের আর্থিক সহযোগিতা করছে। 'উদার আকাশ' লিটিল ম্যাগাজিনের তরফে ৩ জন সাংবাদিকদের সংবর্ধনা দেবে। 

কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির আর্থিক দুরবস্থার কথা জেনে স্বয়ং পরিবহন মন্ত্রী মেলা কমিটি কে 'সেফ ড্রাইভ' কর্মসূচি পালনে প্রচারের দায়িত্ব দিয়েছেন। এতে আমরা চিরকৃতজ্ঞ। এর পাশাপাশি জেলা পুলিশ স্বতন্ত্র ভাবে সেফ ড্রাইভ কর্মসূচি পালনে ভূমিকা নেবে বলে অবগত করেছে। 

আমাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে। ২৬ জন সর্বমোট সংবর্ধনা পাচ্ছেন। পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন  মল্লিক কে নিয়ে স্মরণিকা প্রকাশ হচ্ছে। বেশকিছু বই - পত্রিকা প্রকাশ হবে। লোকসংগীত শিল্পী রফিকুল ইসলাম খান এর সেফ ড্রাইভ নিয়ে গান সহ কুমুদ সাহিত্য মেলা নিয়ে গান পরিবেশন থাকছে। বঙ্গ সাহিত্যে একঝাঁক  সাহিত্যিকদের সেদিনের উপস্থিতি আমাদের প্রাণবন্ত করবে বলে আমরা আশা রাখি। 

যাঁরা অন্তরালে থেকে সাধ্যমতো পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের কেও ধন্যবাদ 

🙏  মোল্লা  জসিমউদ্দিন 
সম্পাদক কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি

কলকাতা হাইকোর্টে জামিন খারিজ রোজভ্যালী কর্তার

মোল্লা জসিমউদ্দিন  
শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদের এজলাসে রোজভ্যালী কর্তা গৌতম কুন্ডুর জামিনের আবেদনের শুনানি চলে। উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বিচারপতি রোজভ্যালী কর্তার জামিন খারিজ করে দেন। তবে সেইসাথে আরেক অভিযুক্ত ভোক্যাল ক্যান্সারে আক্রান্ত অরুণ মুখোপাধ্যায়ের  চিকিৎসা চলবে সুপার স্পেশালিষ্ট হাসপাতালে বলে নির্দেশিকা জারী হয়েছে। চিকিৎসার সমস্ত খরচ বহন করবে তদন্তকারী সংস্থা ইডি বলে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে আদেশনামায়। প্রায় ১৮ হাজার কোটি বাজার থেকে বেআইনীভাবে তুলে নেওয়ার মামলায় ইডি গ্রেপ্তার করে রোজভ্যালী কর্তা কে। ২০১৫ সালে জুন মাসে রোজভ্যালী কর্তা সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে ইডি। প্রায় ৪ বছর ১১ মাস জেলে থাকার পর শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদের এজলাসে জামিনের আবেদন জানান রোজভ্যালী কর্তার আইনজীবী। আরেক অভিযুক্ত অরুণ মুখোপাধ্যায়ের   জামিনের সপক্ষে শারীরিক অসুস্থতার মেডিকেল প্রেসক্রিপশন দেখানো হয়। তবে উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বিচারপতি রোজভ্যালী কর্তার জামিন খারিজ করে দেন। তবে আরেক অভিযুক্ত অরুণ মুখোপাধ্যায়ের   ইডির খরচে সুপার স্পেশালিষ্ট হাসপাতালে সুচিকিৎসার নির্দেশও দেন বিচারপতি।                                                                                
    

শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০২০

মঙ্গলকোটে উপভোক্তা বিষয়ক আলোচনা চক্র হলো

পারিজাত মোল্লা

  বৃহস্পতিবার দুপুরে মঙ্গলকোট ব্লক অফিসে উপভোক্তা বিষয়ক সেমিনার হলো। উপস্থিত ছিলেন বিডিও মুস্তাক আহমেদ, আয়োজক সংস্থার সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ। রাজ্য সরকারের উপভোক্তা বিষয়ক ২০১৩ আইন  নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলে। মঙ্গলকোটের বিভিন্ন প্রান্তের এলাকাবাসী এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন বলে জানান আয়োজক সংস্থা 'নুতনহাট হসপিটাল পাড়া খাদি উন্নয়ন সমিতি'র  সম্পাদক নজরুল ইসলাম।                                         

বুধবার, ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০২০

এবছর কুমুদ সাহিত্য মেলায় নজরুল রত্ন পুরস্কার পাচ্ছেন কবি ফারুক আহমেদ

কুমুদ সাহিত্য মেলায় 'নজরুল রত্ন' পুরস্কার পাচ্ছেন কবি ফারুক আহমেদ

বিশেষ প্রতিবেদন 


কুমুদ সাহিত্য মেলায় ৩ মার্চ ২০২০ কোগ্রাম, মঙ্গলকোটে  'নজরুল রত্ন' পুরস্কার ও সংবর্ধনা প্রদান করা হবে কবি ফারুক আহমেদকে।


কাজী নজরুল ইসলাম-এর জন্ম ২৫ মে ১৮৯৯ সালে তাঁর মৃত্যু হয় ২৯ আগস্ট ১৯৭৬ সালে। কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ ও দার্শনিক যিনি বাংলা কাব্যে অগ্রগামী ভূমিকা রাখার পাশাপাশি প্রগতিশীল প্রণোদনার জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনি বাংলা সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে উল্লেখযোগ্য। বাঙালি মনীষার এক তুঙ্গীয় নিদর্শন নজরুল। 

পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ দুই বাংলাতেই তাঁর কবিতা ও গান সমানভাবে সমাদৃত। তার কবিতায় বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাকে বিদ্রোহী কবি নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাঁর কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার এবং সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ।

কবি কাজী নজরুল ইসলাম 
পুরস্কার পেয়েছেন স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৭৭), একুশে পদক (১৯৭৬), পদ্মভূষণ।

বিংশ শতাব্দীর বাংলা মননে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। একাধারে কবি, সাহিত্যিক, সংগীতজ্ঞ, সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনীতিবিদ এবং সৈনিক হিসেবে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে নজরুল সর্বদাই ছিলেন সোচ্চার। তাঁর কবিতা ও গানে এই মনোভাবই প্রতিফলিত হয়েছে। অগ্নিবীণা হাতে তাঁর প্রবেশ, ধূমকেতুর মতো তাঁর প্রকাশ। যেমন লেখাতে বিদ্রোহী, তেমনই জীবনে – কাজেই "বিদ্রোহী কবি", তার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে উভয় বাংলাতে প্রতি বৎসর উদযাপিত হয়ে থাকে।

নজরুল এক দরিদ্র মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রাথমিক শিক্ষা ছিল ধর্মীয়। স্থানীয় এক মসজিদে সম্মানিত মুয়াযযিন হিসেবেও কাজ করেছিলেন। কৈশোরে বিভিন্ন থিয়েটার দলের সাথে কাজ করতে যেয়ে তিনি কবিতা, নাটক এবং সাহিত্য সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান লাভ করেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কিছুদিন কাজ করার পর তিনি সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। এসময় তিনি কলকাতাতেই থাকতেন। এসময় তিনি ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে অবতীর্ণ হন। প্রকাশ করেন বিদ্রোহী এবং ভাঙার গানের মতো কবিতা; ধূমকেতুর মতো সাময়িকী। জেলে বন্দী হলে পর লিখেন রাজবন্দীর জবানবন্দী, এই সব সাহিত্যকর্মে সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা ছিল সুস্পষ্ট। ধার্মিক মুসলিম সমাজ এবং অবহেলিত ভারতীয় জনগণের সাথে তার বিশেষ সম্পর্ক ছিল। তার সাহিত্যকর্মে প্রাধান্য পেয়েছে ভালবাসা, মুক্তি এবং বিদ্রোহ। ধর্মীয় লিঙ্গভেদের বিরুদ্ধেও তিনি লিখেছেন। ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক লিখলেও তিনি মূলত কবি হিসেবেই বেশি পরিচিত। বাংলা কাব্যে তিনি এক নতুন ধারার জন্ম দেন। এটি হল ইসলামী সঙ্গীত তথা গজল, এর পাশাপাশি তিনি অনেক উৎকৃষ্ট শ্যামা সংগীত ও হিন্দু ভক্তিগীতিও রচনা করেন। নজরুল প্রায় ৩০০০ গান রচনা এবং অধিকাংশে সুরারোপ করেছেন যেগুলো এখন নজরুল সঙ্গীত বা "নজরুল গীতি" নামে পরিচিত এবং বিশেষ জনপ্রিয়।

মধ্যবয়সে তিনি পিক্‌স ডিজিজে আক্রান্ত হন। এর ফলে আমৃত্যু তাকে সাহিত্যকর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়। একই সাথে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে ১৯৭২ সালে তিনি সপরিবারে ঢাকা আসেন। এসময় তাকে বাংলাদেশের জাতীয়তা প্রদান করা হয়। এখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বিদ্রোহী কাজী নজরুলের বিখ্যাত কবিতাসমূহের একটি। কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২২ সালের ৬ জানুয়ারি ‘বিজলী’ পত্রিকায়। এরপর কবিতাটি মাসিক প্রবাসী (মাঘ ১৩২৮), মাসিক সাধনা (বৈশাখ ১৩২৯) ও ধূমকেতুতে (২২ আগস্ট ১৯২২) ছাপা হয়। প্রকাশিত হওয়া মাত্রই এটি ব্যাপক জাগরণ সৃষ্টি করে। দৃপ্ত বিদ্রোহী মানসিকতা এবং অসাধারণ শব্দবিন্যাস ও ছন্দের জন্য আজও বাঙালি মানসে কবিতাটি "চির উন্নত শির" বিরাজমান। বিদ্রোহী কবিতা প্রাক শত বর্ষের মুখে কাজী নজরুল ইসলাম-এর নামে "নজরুল রত্ন" সংবর্ধনা প্রদান করা হবে কবি ফারুক আহমেদকে। কাজী নজরুল ইসলাম আর এক নাম দুখু মিয়া। 

পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক আর কবি কাজী নজরুল ইসলামের মধুর সম্পর্ক বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে।

কুমুদ সাহিত্য মেলায় সংবর্ধনা প্রাপকদের মধ্যে অন্যতম হলেন উদার আকাশ পত্রিকা ও প্রকাশনের সম্পাদক ফারুক আহমেদ। 

কুমুদ সাহিত্য রত্ন (স্নেহাশিস চক্রবর্তী), শান্তিনিকেতন রত্ন (মনিরুল হক), বাদল সরকার রত্ন (নিগমানন্দ মন্ডল), নজরুল রত্ন (ফারুক আহমেদ), সাহিত্য রত্ন (বৈশাখী মিত্র চ্যাটার্জি), মঙ্গলকোট রত্ন (তুহিনা সুলতানা), বাচিক রত্ন (স্মৃতিকণা ভাদুড়ী), লোচনদাস রত্ন (রফিকুল ইসলাম খাঁন), হুগলি রত্ন ( তন্ময় ঘোষ), নুরুল হুদা রত্ন (আব্দুর রব), পূর্বস্থলী রত্ন (দীপঙ্কর চক্রবর্তী), গলসি রত্ন (সেখ নিজাম আলম), সমীরণ  রত্ন ( চন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়), যামিনী রায় রত্ন ( দীপঙ্কর সমাদ্দার), অতুল্য ঘোষ রত্ন (অরবিন্দ সিংহ)।
এদিন তিনজন সাংবাদিককে সংবর্ধনা প্রদান করা হবে উদার আকাশ পত্রিকা ও প্রকাশনের পক্ষ থেকে। 

সুদিন মন্ডল (সংবাদ সারাদিন) ভাতার, পূর্ব বর্ধমান।

সুভাষ মজুমদার (তারকেশ্বর নিউজ) তারকেশ্বর, হুগলি। 

সুরজ প্রসাদ (নুতন ভোর)  সদর বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান।

কুমুদ সাহিত্য মেলায় আসছেন একঝাঁক কবি সাহিত্যিক ও শিল্পী। 
আগামী ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলা হচ্ছে। গত দশবছর ধরে চলছে এই সাহিত্য মেলা। এবারে আসছেন সাহিত্য একাডেমি থেকে আনন্দ পুরস্কার প্রাপ্ত সাহিত্যিকদের একাংশ।        

ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় বিশিষ্ট লেখক। বড়দের জন্য তো আমরা অনেকেই লিখি কিন্তু ছোটদের জন্য লিখতে পারি ক’জন ? সাহিত্যের ইশ্বর রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং ছেলেভুলানো ছড়া প্রবন্ধে বলছেন। সৃষ্টিতে শিশু চিরপুরাতন অথচ চিরনুতন। ঠিক। শিশুর না আছে কোনো লিঙ্গ না আছে কোনো ধর্ম। তার একটাই পরিচয়, সে শিশু। তাদের জন্য লিখতে পারাটা বড়ই কঠিন কাজ। আর আমাদের বাংলা সাহিত্যে যে কয়েকজন শিশু কিশোর সাহিত্যিক আছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম উজ্জ্বল নামটি হল সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার বিজয়ী শিশু-কিশোর সাহিত্যিক ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়। 

মন্দাক্রান্তা সেন কবি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। তিনিই সর্বকনিষ্ঠ কবি যিনি ১৯৯৯ সালে মাত্র সাতাশ বছর বয়সে ‘আনন্দ পুরস্কার’ পান ‘হৃদয়ে অবাধ্য মেয়ে’ কাব্য গ্রন্থের জন্য। তার বলিষ্ঠ রচনা দেশের ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যুবসমাজকে আলোড়িত করে। সৃষ্টি ভেঙ্গে কদাকার রুপের পরিবর্তে সুন্দরের জয়গান গেয়ে চলেছেন কবি অবিরত। ভেঙ্গেছেন অনেক বাঁধ– আজও তার গতি সুললিতভাবে এগিয়ে চলেছে আগামী সুন্দরকে আহ্বান করে। 

নলিনী বেরা কথা সাহিত্যিক বাংলার মেদিনীপুর জেলা ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে একটি ও মধ্যযুগ পরবর্তীতে শিক্ষার অঙ্গনে একটি অনেক বড় নাম। ‘গ্রাম দিয়ে নগরায়নকে আটকিয়ে’ দেওয়ার যে শ্লোগান ষাটের দশক পরবর্তী সময়ে উঠেছিল সেই প্রেক্ষপটে এক ঝাক লেখক উঠে এসেছিলেন এই বাংলায়। গ্রামের প্রকৃতিকে গায়ে মেখে গ্রাম্য সুবাস নিয়েই হাজির হয়েছিলেন প্রচুর লেখক কবি সেই সময়কালে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যেমন হুমায়ূন আহমেদ স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষের ভাষায় কথা বলেছেন আর মানুষ অকাতরে তার সাহিত্যকে একেবারে নিজের করে নিয়ে আজও এগিয়ে চলেছে, সেই ঘরানার এক লেখক, ঔপন্যাসিক হলেন নলিনী বেরা। আনন্দ পুরস্কার পেয়েছেন গতবছর ‘সুবর্ণরেণু সুবর্ণরেখা’ উপন্যাসের জন্য। বাংলা কথা সাহিত্যের অনেক সম্পদকে আরও সমৃদ্ধ করেছে এই উপন্যাস। 

জয়দীপ চট্টোপাধ্যায় উজ্জ্বল উপস্থিত থাকবেন। 

“তোমাকে দিলাম কবিতার বন্ধুতা

রুদ্র পলাশ ভুবনডাঙ্গার মাঠ

তোমাকে দিলাম নীল এক শামিয়ানা

বান্ধবময় স্নিগ্ধ বাগানঘাট

তোমাকে দিলাম সাত রঙ স্বরলিপি

প্রসাধনহীন বেদুইন ভালোবাসা

তোমাকে দিলাম স্বপ্নেতে লেখা চিঠি

বর্ষার রাত, জ্যোৎস্নার পরিভাষা ।“  

বাংলা আধুনিক সাহিত্যকে কাব্যধারায় সুললিত শব্দের প্রয়োগে গত কয়েকশো বছর ধরে যে সকল বাঙ্গালী সাহিত্যিক সমৃদ্ধ করে চলেছেন– আজকের প্রজন্মে এসে অবশ্যই তার অনেকখানি দায় নিতে শুরু করেছেন এই প্রজন্মের লেখক কবিরা। অবশ্যই তার মধ্যে উজ্জ্বল একটি নক্ষত্রের নাম জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়। তিনি যে শুধুমাত্র নতুন প্রজন্মের নতুন লেখক তা কিন্তু নয়, সাহিত্য সম্রাট বংকিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বংশের পঞ্চম প্রজন্ম তিনি।

ড. বিজলী সরকার রবীন্দ্র ও বঙ্কিম গবেষক অধ্যাপিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ। বঙ্কিম গবেষণাগারে বর্তমানে কর্মরত আছেন। সাহিত্যবিকাশে ও ‘রবীন্দ্রনাথের রাজনীতি’ এবং ‘রবীন্দ্রনাথের বঙ্কিমচন্দ্র’ ও আরও অনেক অনেক কাজ তিনি করেই চলেছেন আগামী প্রজন্মকে এক সদর্থক বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই। 

ড. ললিতা পত্রী উপস্থিত থাকবেন। অধ্যাপিকা ললিতা পত্রী যদিও রসায়ন বিজ্ঞানের ছাত্রী এতদসত্ত্বেও তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রতি তার অকৃত্রিম টানে তিনি দু-দশখানা পুস্তক রচনা করেছেন। আর কলকাতার বিখ্যাত সাহিত্য পরিবার ‘পত্রী পরিবারের’ ভ্রাতৃবঁধু তিনি, সদ্যপ্রয়াত শিল্পী কবি  পূর্ণেন্দুশেখর পত্রীর স্ত্রী এই পরিচয়কে শুধুমাত্র সীমাবদ্ধতার মধ্যে না রেখে তিনি নিজেকে বিকশিত করেছেন বাংলার সাহিত্য অঙ্গনে।  

কবি আরণ্যক বসু উপস্থিত থাকবেন। তাঁর লেখা মানুষের মনে দাগ কাটে।

পরের জন্মে বয়স যখন ষোলই সঠিক

আমরা তখন প্রেমে পড়বো

মনে থাকবে ? ...

হঠাৎ তোমার চোখের পাতায় তারার চোখের জল গড়াবে ...

এই জন্মের দুরত্বটা পরের জন্মে চুকিয়ে দেব ...

এই জন্মের মাতাল চাওয়া পরের জন্মে থাকে যেন ...

প্রেমের অকুণ্ঠ আহ্বান নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলকেই আলোড়িত করেই। প্রেমের সদর্থক বার্তা বুঝিবা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে কবি সাহিত্যিকের হাত ধরেই এসেছে বারাবারে– সমস্ত সমাজ ভাঙ্গনের চিন্তাকে সরিয়ে দিয়েছে অনেক অনেক দূরে। 

কবি অমিত চক্রবর্তী উপস্থিত থাকবেন। পুরনোকে ভেঙ্গে নয়, পুরনো ডাক দেয় নতুনকে– আর সেই আহ্বানে সাড়া দেন পরবর্তী প্রজন্ম। নতুন প্রজন্মের নতুন এক স্বাক্ষর রাখতে চলেছেন কবি অমিত চক্রবর্তী তাঁর লেখনীকে পাথেয় করে। 

সোনালী কাজী সবার পরিচিত শিল্পী। বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি স্বাধীনতা লাভের জন্য আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার কারিগর কবি কাজী নজরুল ইসলাম। রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর মুহূর্তে তিনি ছিলেন আকাশবাণীতে কর্মরত– ডিউটি শেষ করার আগেই এসে পৌঁছেছিল চরম দুঃখের খবর পেয়ে। সেই মুহূর্তে কোনো কলম নয়, কবি নিজস্বরে নিজেই তৈরি করলেন ‘রবিহারা’ কবিতা। যেটি বাংলা সাহিত্যের একটি অমুল্য সম্পদ। সেই বিদ্রোহী কবি কাজীবনজরুল ইসলামের তৃতীয় প্রজন্ম হলেন সোনালী কাজী। বাচিক শিল্পজগতে ক্রমে তিনি মেলে ধরার চেষ্টা করছেন নিজেকে। আর কলমও চলছে আজকের সমাজের প্রেক্ষিতে।

দীপঙ্কর সেন আবৃত্তিকার হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।  বাচিক শিল্পী জগতে ক্রমশ বিস্তার লাভ করছে একটি নাম আর তিনি হলেন আকাশবাণীতে কর্মরত দীপঙ্কর সেন।

অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন তিনি আসবেন। বর্তমান প্রজন্মের আর এক বলিষ্ঠ লেখক অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী ক্রমশ পাঠক বিস্তার তার লেখাকে ছড়িয়ে দিচ্ছে দিক থেকে দিগন্তে।

সাহিত্যিকরা আসছেন মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলায়।            

আন্তর্জাতিক  মাতৃভাষা দিবসে কবি-সাহিত্যিক ফারুক আহমেদকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় অল ইন্ডিয়া এসসি এণ্ড এসটি রেলওয়ে এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশন পক্ষ থেকে। অল ইন্ডিয়া এসসি এণ্ড এসটি রেলওয়ে এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশনের কাঁচড়াপাড়া ওয়ার্কশপে ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবস নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। গৌতম বুদ্ধ-এর স্ট্যাচু, ভারতরত্ন ডক্টর ভীমরাও রামজি আম্বেদকর-এর স্ট্যাচু ও ড. বি আর আম্বেদকর পার্কের উদ্বোধন অনুষ্ঠান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হয়।  

অল ইন্ডিয়া এসসি এণ্ড এসটি রেলওয়ে এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারন সভা সম্পন্ন হয়। 
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন কয়েকটি গ্রুপ। সঙ্গীত পরিবেশন করেন রাজকুমার রাকসেল ও ধীরেন্দ্রনাথ মন্ডল। এদের সঙ্গীত ও নৃত্যকলা সকলকেই মুগ্ধ করে। অতিথিরা তাঁদের বক্তব্য রাখার সময় সমগ্র অনুষ্ঠানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
 
২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নিয়ে আয়োজিত হয় বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এদিন কবি-সাহিত্যিক ও 'উদার আকাশ' পত্রিকা ও প্রকাশনের স্বনামধন্য সম্পাদক ফারুক আহমেদ-কে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। ফারুক আহমেদ-এর গায়ে শাল ও মাথায় পাগড়ী পরিয়ে দিয়ে এবং মেমেন্টো (রেলের ইঞ্জিন)  হাতে তুলে দিলেন অল ইন্ডিয়া এসসি এণ্ড এসটি রেলওয়ে এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশনের জোনাল সম্পাদক সমীর কুমার দাস ও জোনাল প্রেসিডেন্ট সি কে রাম। উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি হিসেবে অল ইন্ডিয়া এসসি এণ্ড এসটি রেলওয়ে এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশনের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট, জেনারেল সেক্রেটারি ও ন্যাশনাল সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট যথাক্রমে বি এল বেরোয়া, অশোক কুমার ও আর পেরুমল। এছাড়াও অল ইন্ডিয়া এসসি এণ্ড এসটি রেলওয়ে এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশনের কাঁচড়াপাড়া ওয়ার্কশপের প্রেসিডেন্ট জ্যোতি পাশোয়ান, সেক্রেটারি সঞ্জয় মন্ডল, কার্য়কারী প্রেসিডেন্ট এটোয়া ওরান, এডিশন্যাল সেক্রেটারি জলপা হাসদাঁ, ট্রেজারার গৌতম প্রামাণিক, জোনাল কমিটির কার্যকরী প্রেসিডেন্ট তপন কুমার মজুমদার ও পূর্ব রেলের প্রধান কার্যালয়ের সম্পাদক কঙ্কন কুমার গুঁড়ি, চানশী পাশোয়ান, তরুণ সমাজকর্মী তনুজ কুমার মজুমদার প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে পরিচালনা করেন পূর্ব রেলের সাধারন সম্পাদক সমীর কুমার দাস।

ডক্টর ভীমরাও রামজি আম্বেদকর (১৪ এপ্রিল ১৮৯১ - ৬ ডিসেম্বর ১৯৫৬) ছিলেন একজন ভারতীয় জ্যুরিস্ট, রাজনৈতিক নেতা, বৌদ্ধ আন্দোলনকারী, দার্শনিক, চিন্তাবিদ, নৃতত্ত্ববিদ , ঐতিহাসিক, বাগ্মী, বিশিষ্ট লেখক, অর্থনীতিবিদ, পণ্ডিত, সম্পাদক, রাষ্ট্রবিপ্লবী ও বৌদ্ধ পুনর্জাগরণবাদী। তিনি বাবাসাহেব নামেও পরিচিত ছিলেন। তিনি ভারতের সংবিধানের খসড়া কার্যনির্বাহক সমিতির সভাপতিও ছিলেন। তিনি ভারতীয় জাতীয়তাবাদী এবং ভারতের দলিত আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা। ইনি ভারতের সংবিধানের মুখ্য স্থাপক। 

ডক্টর ভীমরাও রামজি আম্বেদকর-এর স্ট্যাচু উদ্বোধনের পর বিশিষ্ট অতিথিদের সঙ্গে কবি-সাহিত্যিক ও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অফিস কোর্ডিনেটর ফারুক আহমেদ-কে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় অল ইন্ডিয়া এসসি এণ্ড এসটি রেলওয়ে এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে।

ডক্টর ভীমরাও রামজি আম্বেদকর-এর মর্যাদার জন্য সর্বদা কাজ করে চলেছে অল ইন্ডিয়া এসসি এণ্ড এসটি রেলওয়ে এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশন তাঁদের পক্ষ থেকে ফারুক আহমেদকে পুরস্কৃত করায় তিনি মুগ্ধ হয়েছেন। ডক্টর ভীমরাও রামজি আম্বেদকর-এর ভাব-আদর্শে অনুপ্রাণিত ফারুক আহমেদ। তাঁর স্বপ্নের উদার ভারত গড়তে ফারুক আহমেদ-রা বদ্ধপরিকর আছেন। ডক্টর ভীমরাও রামজি আম্বেদকর দারিদ্র মুক্তি ও জাতপাতহীন ভারত গড়তে চেয়েছিলেন। ভারতের সংবিধান রচনার সময় তিনি এসসি, এসটি, ওবিসি ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার উপর জোর দিয়েছিলেন। সকল শ্রেণি মানুষকেই তিনি মর্যাদার আসনে তুলে আনতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। 

ফারুক আহমেদ বেশ কয়েটি পুরস্কারও পেয়েছেন ইতিমধ্যে। ২০১১, ২০১২ ও ২০১৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ ছোটো পত্রিকা সমন্বয় সমিতি "উদার আকাশ"কে শ্রেষ্ঠ শারদ সংখ্যা নির্বাচিত করে। ২০১২ সালে লিটল ম্যাগাজিন বিভাগে "উদার আকাশ" 'নতুন গতি' পুরস্কার পায়। বারাসত রবীন্দ্রভবনে কথামালা আয়োজিত ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসব ২০১৭-র অনুষ্ঠানে ফারুক আহমেদকে 'কথামালা ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্মাননা' প্রদান করা হয়। অল ইন্ডিয়া এস সি এণ্ড এস টি রেলওয়ে এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশন তাঁদের নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় ফারুক আহমেদকে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ২০১৬ সালের  ৯ সেপ্টেম্বর। নিখিল ভারত শিশুসাহিত্য সংসদ কবি ফারুক আহমেদকে ২০১৭ সালে "চর্যাপদ" পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করে। মুর্শিদাবাদ জেলার ইমাম মুয়াজ্জিন সংগঠনের জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ২০১৬ সালে সাহিত্যিক ও সাংবাদিক হিসেবে ফারুক আহমেদকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে "প্রতিচ্ছবি" সাহিত্য সম্মাননা প্রদান করা হয় ফারুক আহমেদকে। 

উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ ভাঙড়ের ভূমিপুত্র। এলাকার গর্ব। সাংস্কৃতিক আন্দোলনের তিনি অগ্রদূত। সাহিত্য সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য তাঁকে 'কলামন্থন অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে'র পক্ষ থেকে ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ 'রোটারি সদনে' পুরস্কৃত করা হয় "আজীবন কৃতিত্ব  সম্মাননা" দিয়ে। 

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ পার্ক সার্কাস ময়দানে বৈচিত্রের মাঝে মহামিলন উৎসবে 'পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমে'র পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় ফারুক আহমেদকে। এছাড়াও তিনি বহু পুরস্কার পেয়েছেন সমাজকল্যাণকর কাজের জন্য। 

বাংলার স্বনামধন্য সাহিত্যিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ ফারুক আহমেদকে স্নেহের বাঁধনে বেঁধেছেন। তাঁর প্রতিটি বিশেষ সংখ্যা সস্নেহে উদ্বোধন করেছেন ও মূল্যবান পরামর্শ দান করেছেন মহাশ্বেতা দেবী, শঙ্খ ঘোষ, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, আবুল বাশার, জয় গোস্বামী, কল্যাণী কাজী,কবীর সুমন, নজরুল ইসলাম, হুমায়ুন কবীর, সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নূপুর কাজী, মোস্তাক হোসেন, সুনন্দ সান্যাল প্রমুখ সাহিত্যিক।

স্নেহের বাঁধনে বেঁধেছেন সাহিত্যের আর এক পৃষ্ঠপোষক ও উদ্যোগপতি মোস্তাক হোসেন।

সাহিত্যের পৌরোহিত্য করার সাথে-সাথে একজন সমাজ সচেতন নাগরিক হিসেবে সমকালীন সময়ে ঘটে যাওয়া নানান অন্যায়ের বিরুদ্ধে যেমন জোরালো কলম ধরেছেন তেমনি জোরালো কন্ঠস্বরে প্রতিবাদও করেছেন। এমনকি অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষের মিছিলে পাও মিলিয়েছেন। ২০১৪ সালে আক্রান্ত আমরা-র নেতৃত্বে ও আরও কয়েকটি সংগঠন মিলে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে যে স্মারকলিপি দেওয়া হয় ফারুক আহমেদ তার অন্যতম সদস্য ছিলেন। এই ডেপুটেশনের পর আলাদা সাক্ষাৎ করে ফারুক আহমেদ রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হাতে "উদার আকাশ" পত্রিকার বিশেষ সংখ্যা ও "উদার আকাশ" প্রকাশনের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থ তুলে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হাতে। ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনী এবং দিলীপ বেঙ্গসরকার-এর হাতেও "উদার আকাশ" প্রকাশনের গ্রন্থ তুলে দিয়ে তাঁদেরকে সম্মাননা প্রদান করেছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর হাতেও "উদার আকাশ"-এর বিশেষ সংখ্যা "উদার ভারত নির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ" তুলে দিয়েছিলেন। রাজ্যের অনেক মন্ত্রীগণ তার প্রকাশনার গ্রন্থ ও পত্রিকা প্রকাশ করেছেন এবং কলম ধরেছেন।

সম্প্রতি ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় উদার আকাশ পত্রিকার বইমেলা সংখ্যা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন রাজ্য সরকারের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায়। উদার আকাশ পত্রিকা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, সাধারণ সম্পাদক সুদাংশু শেখর দে, বিশিষ্ট লেখক ও অধ্যাপক অভীক মজুমদার, সাংসদ দোলা সেন, বাংলাদেশের কবি পাবলো শাহি ও ফিরোজা বেগম।

 ২০১৬ সালে বিখ্যাত তাজ হোটেলে একটি অনুষ্ঠানে ফারুক আহমেদ-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. অমর্ত্য সেন-এর। এরপর ওই সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি অমর্ত্য সেন প্রকাশ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের উপর গবেষণা মূলক একটি রিপোর্ট।  ড. অমর্ত্য সেন-এর প্রতিষ্ঠিত প্রতিচি ট্রাস্ট, গাইডেন্স গিল্ড এবং স্ন্যাপ সংগঠনের উদ্যোগে কলকাতার গোর্কি সদনে বই আকারে ওই রিপোর্ট প্রকাশের অনুষ্ঠানে আয়োজকদের মধ্যে অন্যতম ফারুক আহমেদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। 

ফারুক আহমেদ-এর সবচাইতে বড়ো গুণ তিনি নিজে লেখার চাইতে অপরকে বেশি লেখাতে ভালবাসেন। বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামে-গঞ্জে অনেক প্রতিভা কুঁড়ে-ঘরের অন্ধকারে বসে নীরবে সাহিত্য-সাধনায় মগ্ন আছেন। শহরের নামজাদা পত্র-পত্রিকাগুলিতে তাদের স্থান হয় না। বলা ভালো পাত্তা মেলে না। ফারুক আহমেদ তাঁদের লেখাকে "উদার আকাশ"-এর পাতায় মর্যাদার সঙ্গে তুলে ধরছেন নিরন্তর। অন্যদিকে কারও-কারও ভালো লেখার হাত, কিন্তু লিখতে চান না। এঁদের পিছনে লেগে থেকে সুন্দর লেখা বের করে আনার মতো পুণ্যের কাজ ফারুক আহমেদ করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। 

      এই চিন্তা-ভাবনা থেকেই তার প্রকাশনার জগতে পা-রাখা। এ-বিষয়ে তাঁর ঐকান্তিক ইচ্ছায় জন্ম হয়েছে 'উদার আকাশ" প্রকাশনের'। এখানেও ইতিমধ্যেই মুন্সিয়ানার ছাপ রেখেছেন তিনি। দুই বাংলার লেখকদের ৮১ টি বই এযাবৎ প্রকাশিত হয়েছে তাঁর 'উদার আকাশ' প্রকাশন় থেকে। প্রতিটি বইয়ের বিষয়, ছাপার মান, কাগজ ইত্যাদি যে-কোনও বড়ো প্রকাশনের সঙ্গে টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। 'উদার আকাশ' প্রকাশনের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হলো 'পশ্চিমবাঙলার বাঙালি মুসলমান অন্তবিহীন সমস্যা', - খাজিম আহমেদ, 'জীবনশিল্পী রোকেয়া', - ড. মীরাতুন নাহার, 'ইসলামের ভুবন', এবং 'মোদীর ভারত, গান্ধীর ভারত', - গৌতম রায়, 'মানুষ-মাটি-মা' ও 'জন্মভূমিশ্চ', - মোশারফ হোসেন, 'নজরুল সাহিত্যের দিগ্বলয়,' নুরুল আমিন বিশ্বাস,  'জলের কান্না', - পলাশকুমার হালদার, 'সাম্যবাদ : ভারতীয় বিক্ষণ', আর 'নজরুল নানা মাত্রা,'-  শেখ মকবুল ইসলাম, 'পরিবর্তনের সন্ধানে মুর্শিদাবাদের বাঙালি মুসলমান', - সৌমেন্দ্রকুমার গুপ্ত' 'মহাশ্বেতা দেবীর গল্পবিশ্ব : লৈঙ্গিক প্রতিরোধ', শিবুকান্ত বর্মন, 'দ্য সেকুলার ভিশন অফ কাজী নজরুল ইসলাম,' আবুল হোসেন বিশ্বাস, 'নজরুল সাহিত্যে দেশকাল,' সা'আদুল ইসলাম, 'গৌরকিশোর ঘোষ মুসলিম জীবন ও অভিমানস', শেখ মুঈদুল ইসলাম প্রমুখ।

ফারুক আহমেদ, তিনি নিজের সম্পাদনা কাজেও তাঁর মুন্সিয়ানার ছাপ রেখেছেন। যা ইতিমধ্যে পরিলক্ষিত হয়েছে। তাঁর সম্পাদিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হলো 'রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে অনগ্রসর ও সংখ্যালঘু', 'কংগ্রেস ও বাম-শাসনে মুসলিম ভোট-ব্যাঙ্ক', 'আত্মপরিচয়ের অন্বেষণ', 'পশ্চিমে সূর্যোদয় রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের উলটপূরাণ', 'প্রতিশ্রুতি ও উন্নয়ন', 'মূল্যবোধের অবক্ষয়' 'ফুরফুরা শরিফের পয়গম', সহ বেশ কয়েটি গ্রন্থ। 

আগেই বলেছি নিজে লেখার চাইতে অন্যকে লেখাতে বেশি আনন্দ পান ফারুক আহমেদ। তবুও ধীর গতিতে হলেও নিজের মৌলিক লেখালেখি ও গবেষণার কাজ নীরবে চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে গুণগ্রাহীদের চাপে তাঁর কাব্যগ্রন্থ 'বিশ্বপ্রেম'  প্রকাশিত হয়েছে ও তাঁর গল্পগ্রন্থ 'বিনির্মাণ' প্রকাশিত হতে চলেছে। 

বাংলায় তাঁর জনপ্রিয়তা ক্রমবর্ধমান। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বৈদ্যুতিন চ্যানেলের টক-শোতে চ্যানেলের আমন্ত্রণে উপস্থিত থেকেছেন তিনি। তাঁর মূল্যবান বক্তব্য সে তুলে ধরেছেন বাংলার ও দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য। ২০০৭ সাল থেকে তিনি মুর্শিদাবাদ জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার জন্য প্রতিনিয়ত সামাজিক ভাবে জনমত গড়ে তুলতে আন্দোলন করছেন এবং সরকারের কাছে লিখিত ভাবে আবেদনও করেছেন।

একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামের মাটি থেকে তাঁর এই যে উড়ান, তা কেবল তাঁর একার প্রবল ইচ্ছাশক্তির জোরেই। বর্তমান সময়-কালে শহরের পৃষ্ঠপোষকতা ও আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য না থাকলে কেউই ওড়ার সাহস দেখাতে পারেনা। খুব কাছ থেকে অনেকেই দেখেছেন তাই অনেকেই বলতে পারেন কেবলই ইচ্ছে-ডানায় ভর করেই তাঁর এই উড়ান। এই মুহূর্তে ফারুক আহমেদ একাধারে জনপ্রিয় সম্পাদক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, সমাজ-চিন্তাবিদ ও দক্ষ সংগঠক। 

গত ১৪ নভেম্বর ২০১৭ তাঁরই উদ্যোগে কলকাতার আইসিসিআর সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় গঙ্গা-পদ্মা সাহিত্য-সৌহার্দ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান "ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসব-২০১৭।" দুই বাংলার সংস্কৃতি ও সাহিত্যি-জগতের মেলবন্ধনের মাধ্যমে দুই বাংলা একত্রিত থাকবে আজীবন, ফারুক আহমেদ'দের এই কামনা একদিন যথার্থ হয়ে উঠবে, দল-মত-জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে, যেদিন থাকবে না কোনও লুকনো বিদ্বেষ, ভারতবাসী হিসেবে আমরা সেই সুদিনের অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছি। সেই সুদিন, --যা অনিবার্য, এবং একদিন আসবেই।  

ফারুক আহমেদের পিতা মোহাম্মদ আবেদ আলি ও মা ফজিলা বেগম, স্ত্রী মৌসুমী বিশ্বাস, কন্যা রাইসা নূর, মূল্যবান দীপ্তিময়ী তারার অনুপ্রেরণাতেই সাহিত্য আকাশে ফারুক আহমেদ বিরল প্রতিভাদের মধ্যে এক অচেনা আকাশ জ্বলজ্বল করছেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে।

মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২০

মানসিক অসুস্থ যুবক কে বাড়ি ফেরালো কৈচর পুলিশ

পারিজাত মোল্লা

এক নিখোঁজ মানসিক অসুস্থ যুবক কে বাড়ী ফেরালো মঙ্গলকোটের কৈচর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ। চলতি সপ্তাহে দুরমুট এলাকায় রুস্তম সেখ নামে এক যুবক কে ইতস্ততভাবে ঘুরাঘুরি করতে দেখা যায়। বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ কর্মীরা কৈচর আইসি সুজিত ভট্টাচার্য কে অবগত করান। আইসি জানার সাথেসাথেই ওই যুবক কে ফাঁড়িতে এনে বাড়ীর ঠিকানা জোগাড় করে দ্রুত ডেকে পাঠান পরিবার কে। জানা যায় নদীয়ার তেহট্ট এলাকায় ফরিদপুরে আকাশ সেখের ছেলে রুস্তম বেশ কয়েক বছর ধরে মানসিক অসুস্থ। ছেলে কে পেয়ে খুশি পরিবার। কৈচর পুলিশ ফাঁড়ির মানবিক ভূমিকায় খুশি পূর্ব বর্ধমানের পুলিশমহল।                                     

শনিবার, ফেব্রুয়ারী ২২, ২০২০

নবাবহাটে শিবরাত্রীতে সেফ ড্রাইভ

SAFE DRIVE SAFE LIFE স্বার্থক করতে নবাবহাট যুব তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শিবরাত্রি উপলক্ষে ১০৮ শিব মন্দিরের সামনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।উপস্হিত ছিলেন খোকনদাস,আইনূল হক,প্রধান জাহানারা খাতুন, অভিজিৎ সোম,কর্মাধ্যক্ষ সেখ চাঁদু ,দুই তপন রায়, লালন কাজী ,উপপ্রধান মানিক নন্দী  সহপঞ্চায়েত সদস্য ও অনান্যরা
(বর্ধমান১ নং ব্লক,পূর্ব বর্ধমান জেলা)

বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২০

ট্রাফিক দেখতে ননস্টপ ডিউটি কৈচর পুলিশের

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  
  রাজ্যের ব্যস্ততম সড়ক রুট হিসাবে পড়ে থাকে বর্ধমান কাটোয়া সড়কপথ। এই পথের মধ্যে পড়ে সদর বর্ধমান, ভাতার, বলগনা, কৈচর, নিগন, শ্রীখণ্ড, কাটোয়া সদরের মত এলাকাগুলি। স্বাভাবিকভাবে এই পথে ছুটে শয়ে শয়ে গাড়ি, তার উপর গত ২২ জানুয়ারি থেকে মঙ্গলকোটের নুতনহাট সংলগ্ন লোচনদাস সেতুর মেরামতি শুরু হওয়ায় এই সড়কপথে গাড়ীর চাপ বেড়েছে বহুগুণ। দক্ষিণবঙ্গের সাথে উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ গাড়ি ঘুরপথে যাচ্ছে বর্ধমান - কাটোয়া সড়করুটে। তাই এই রুটে ট্রাফিক সমস্যা দেখা যায় বেশি। মঙ্গলকোটের নিগন - কৈচর সড়কপথে বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে থাকত টোটো গাড়ি। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে, একাধারে লোচনদাস সেতু সংস্কারে গাড়ী গুলি এই রুটে চলাচল করা, অপরদিকে টোটোর দৌরাত্ম। এই দুইএর মাঝে চলে আসে মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই দ্রুত ট্রাফিক সমস্যা মেটাতে কৈচর পুলিশ ফাঁড়ি স্থানীয় শাসকদলের নেতৃত্বের পাশাপাশি টোটা ইউনিয়নের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে। সেখানে টোটা চালকদের মূল সড়কের সাথে লিংক রোড গুলিতে থাকবার কথা বলা হয়। এর পাশাপাশি  নিগন, কৈচর, বাজার বনকাপাসি সড়কমোড় গুলিতে তিনটি সময়কালে চারজন করে পুলিশ কর্মী দেওয়া হয় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে। কৈচর আইসি সুজিত ভট্টাচার্য জানান - " মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সহ সাধারণ যাত্রীদের কোন অসুবিধা না হয়, সেজন্য কড়া নজরদারিতে ট্রাফিক দেখা হচ্ছে "।                                                                     

১৮ তম রাজ্য যোগাসান প্রতিযোগিতা হলো

শরীর-মনকে সুস্থ তরতাজা রাখতে যোগাসনের বিকল্প নেই। পৃথিবীর এগিয়ে থাকা দেশগুলিতে যোগাসনের উপর নির্ভরতা ক্রমশ বাড়ছে। সারা দুনিয়ায় যোগাকে জনপ্রিয় করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও উদ্যোগী হয়েছেন। 
আমাদের দেশেও নতুন করে যোগাসনের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসাতেও যোগাসনের ব্যবহার বাড়ছে। সারা বছরই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যোগাসন প্রতিযোগিতাও ক্রমশ বাড়ছে। যাদবপুরের অঞ্জনা যোগা ফিজিও কেন্দ্র বহু বছর ধরে যোগাসন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। সম্প্রতি তাদের 18 তম সারা বাংলা যোগাসন প্রতিযোগিতা হয়ে গেল। সহযোগিতায় ছিল বেঙ্গল যোগা জাজেস অ্যাসেম্বলি। রাজ্যের 17 টি জেলা থেকে 987 জন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। উদ্বোধন করেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার। প্রতিযোগিতায় মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে উত্তর 24 পরগনার প্রমিতি বর্মন। রানার আপ হয়েছে দক্ষিণ কলকাতার অনুষ্কা চ্যাটার্জী। ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে হাওড়ার সোহম মুখার্জি আর রানার আপ দক্ষিণ কলকাতার দেবজিৎ চন্দ্র। 
যোগাসন প্রতিযোগিতার পাশাপাশি বসে আঁকো প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। তাতে অংশ নেয় 67 জন।

বুধবার, ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২০

বেলেঘাটা শিশুখুনে প্রকৃত পিতা জানতে ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি আদালতের

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

সোমবার দুপুরে কলকাতার শিয়ালদহ আদালতে কলকাতা পুলিশের তরফে বেলেঘাটা কান্ডে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন জানানো হয়।মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের এই আবেদন গ্রহণ করেছে শিয়ালদহ আদালত। মৃত শিশুর সঠিক পরিচয় জানতে বাবা ও মায়ের উভয়রেই ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। ডিএনএ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে ইতিমধ্যেই এনআরএস হাসপাতালের সাথে প্রাথমিক কথাবার্তা সেরে ফেলেছে কলকাতা পুলিশ। এই মুহূর্তে মৃত শিশুর মা পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি বেলেঘাটা থানা এলাকায় এক ম্যানহোল থেকে দুমাসের সদ্যোজাত শিশুর  মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে জানা যায় সন্ধ্যা জৈনের সন্তান এটি। পুলিশি তদন্তে মৃতের মা মানসিক অশান্তির জন্য নিজের সন্তান কে খুন করেছে বলে দাবি করে। যদিও প্রাথমিক তদন্তে সন্তান খুনে অপহরণ ত্বত্ত্ব দেখিয়েছিল অভিযুক্তা। পুলিশ জানতে পারে, বিবাহের পূর্বে সন্ধ্যা জৈন হরিয়ানার এক যুবকের সাথে টানা দশ বছর প্রেম চালিয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ফেসবুক চ্যাটিংতে তার প্রমাণ রয়েছে বলে পুলিশের দাবি৷ ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে কলকাতা পুলিশ মৃত শিশু টি অবৈধ সম্পর্কের পরিণতি কিনা তা জানতে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন রাখে শিয়ালদহ আদালতে। সোমবার দুপুরে কলকাতা পুলিশের এই আবেদন গ্রহণ করে শিয়ালদহ আদালত। মৃতের মা সন্ধ্যা জৈন এবং বাবা সুদর্শন জৈনের রক্তের নমুনা নিয়ে ডিএনএ পরীক্ষা হবে এনআরএস   হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এর সাথে ডিএনএ পরীক্ষা নিয়ে প্রাথমিক কথাবার্তা সেরে ফেলেছে কলকাতা পুলিশ।                                                                                                              

কাটোয়া বর্ধমান রেলরুটের ট্রেনের টাইম টেবিল

পুলকেশ ভট্টাচার্য

বর্ধমান থেকে কাটোয়া রেলরুটের ট্রেনের টাইম টেবিল জেনে নিন। দীর্ঘদিন ধরে এই রুটে বড় লাইনের ট্রেন চলাচল করার দাবি ছিল। তা পূরণ হয়েছে।        

মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ১৮, ২০২০

চলতি বছরে কুমুদ সাহিত্য রত্ন সম্মান পাচ্ছেন গবেষক স্নেহাশিস চক্রবর্তী

২০২০ সালে ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলায় 'কুমুদ সাহিত্য রত্ন' পাচ্ছেন গবেষক ও প্রাবন্ধিক স্নেহাশিস চক্রবর্তী। গতবছর বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেন মহাশয়া পেয়েছিলেন  এই সম্মান। 

মোল্লা  জসিমউদ্দিন (সম্পাদক - কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি)

সোমবার, ফেব্রুয়ারী ১৭, ২০২০

লোচনদাস সেতুতে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের গাড়ী চলাচল করবে

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  
মঙ্গলবার দুপুর থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্যব্যাপী মাধ্যমিক পরীক্ষা। যাতে পূর্ব বর্ধমান এবং বীরভূমের সীমান্তবর্তী মঙ্গলকোট ও নানুর থানা এলাকার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতে কোন অসুবিধা না হয়, সেজন্য সাময়িকভাবে খুলে দেওয়া হচ্ছে অজয় নদের উপর লোচনদাস সেতুর একাংশ। কেননা এই সেতু মেরামতির কাজ এখনও শেষ হয়নি। গত ২২ জানুয়ারি ৮৫ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদানে লোচনদাস সেতুর পিলার সহ পিচের সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। ঘোষিত দিনক্ষণ হিসাবে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা বলা হলেও সংস্কারের সময়সীমা আরও বাড়বে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যদিও অজয় নদের লোচনদাস সেতু সংস্কারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সঞ্জীব বাবু জানিয়েছেন - "আগামী ২১ শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে আমরা যান চলাচলে পুরোপুরি উপযোগী করে তুলবো "। মঙ্গলকোট ওসি মিথুন ঘোষ জানান - " মঙ্গলবার সকাল থেকেই পুলিশ বাহিনী থাকবে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের গাড়ী এপার ওপার যাওয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের  জন্য " ।  কেউ কেউ আশংকা করছেন - 'লোচনদাস সেতুতে চারচাকা ছোট গাড়ি যাতায়াত শুরু হলে,  অন্য ছোট চারচাকা গাড়ীগুলি সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াতে চেস্টা করবে, তাতে বচসা - গন্ডগোল হওয়ার বিপুল সম্ভাবনা আছে '। এই বিষয়টি অনুধাবন করেই মঙ্গলকোট থানার পুলিশ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের যাতে কোন গন্ডগোলের মধ্যে পড়তে না হয়, সেজন্য দশের কাছাকাছি পুলিশকর্মী রাখছে বলে জানা গেছে  ।   উল্লেখ্য, কুড়ি বছর আগে মঙ্গলকোটের নুতনহাট সংলগ্ন অজয় নদের উপর লোচনদাস সেতু নির্মাণ হয়। পূর্ব বর্ধমান এবং বীরভূমের সংযোগকারী সেতু হিসাবে রয়েছে। সেইসাথে উত্তরবঙ্গের সাথে দক্ষিণবঙ্গের শর্টকাট সড়করুট হিসাবে প্রতিদিন এখানে হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে সেতুর নিচে অজয় নদের চরে যততত্র বালিঘাট চালু থাকায় সেতুর পিলার গুলি দুর্বল হয়ে উঠে। এরেই পাশাপাশি সেতুর পিচ গুলি উঠে গিয়ে খানাখন্দে ভরে যায়। প্রতিনিয়তই ঘটতো পথ দুর্ঘটনা। প্রাণহানির সংখ্যাটি ক্রমশ বাড়ছিল। একাধারে সেতুর পিলার সংলগ্ন বেআইনী  বালিঘাট, অপরদিকে বীরভূমের পাঁচামী থেকে আগত অত্যাধিক পাথর বোঝাই গাড়ি এই সেতুকে দিনের পর দিন বিপদজনক করে তুলছিল। এমতাবস্থায়, রাজ্য সরকারের তরফে ৮৫ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া হয় লোচনদাস সেতুর সংস্কারের জন্য। গত ২২ জানুয়ারি থেকে এই সেতুর উপর যানচলাচল পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এই রুটের গাড়িগুলি একাধারে আউশগ্রাম হয়ে বোলপুরগামী হয়। অপরদিকে  অন্য গাড়িগুলি যাজীগ্রাম হয়ে ফুটিসাকো গামী হয়। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুর থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্যব্যাপী মাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে সাময়িকভাবে খুলে দেওয়া হচ্ছে অজয় নদের উপর লোচনদাস সেতুর একাংশ। যাতে অন্য সাধারণ গাড়ি গুলি যাতায়াতে গন্ডগোল না করে সেজন্য মঙ্গলকোট থানার পুলিশ টহলদারি চালাবে সেতুতে।                                                                                                                                                                                   

রবিবার, ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০২০

পুনরায় কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি কে শুভেচ্ছা বার্তা মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের

ফের কুমুদ সাহিত্য মেলার উদ্যোগ কে সাধুবাদ  উত্তরবঙ্গ মন্ত্রীর 


পারিজাত মোল্লা
  

মঙ্গলকোটের কোগ্রামে  পল্লিকবি  কুমুদরঞ্জন  মল্লিক  এর  জন্মদিন  উপলক্ষে  কুমুদ  সাহিত্য  মেলা কমিটির  উদ্যোগ  কে  সাধুবাদ  জানিয়ে শুভেচ্ছা বার্তা দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন  মন্ত্রী  রবীন্দ্রনাথ  ঘোষ  মহাশয় । তিনি গত বছরেও শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছিলেন । সম্প্রতি  উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর কলকাতা  অফিসে ( মিত্র ভবনে) কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির সম্পাদক মোল্লা  জসিমউদ্দিন এর সাথে মন্ত্রী  মহাশয়  পল্লিকবির জন্মদিন উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে বিস্তারিত জানেন।

শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২০

আগামীদিনে অন্ডালে মনোরেল গড়ার প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  
 একাধারে যেমন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কে বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার  আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কলকাতায় ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেল পরিষেবা চালু করলো, ঠিক সেইরকম পরিস্থিতিতে দুর্গাপুরে সৃজনি পেক্ষাগৃহে প্রশাসনিক বৈঠকে রাঢ় বাংলায় রেল যোগাযোগে গতি বাড়াতে 'মনোরেল' গড়ার প্রস্তাবনা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেলের ভাবনাটি ছিল একদা রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই।  অন্ডাল বিমানবন্দর ঘিরে যে মনোরেল গড়ার প্রস্তাবনা টি এদিন মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুরে প্রশাসনিক সভায় তুললেন। তাতে পশ্চিম বর্ধমান জেলার পাশাপাশি সীমান্তবর্তী পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলাগুলির মানুষ অত্যাধুনিক রেলযোগাযোগে স্বপ্ন দেখা শুরু করলো। 
দুর্গাপুর থেকে একদিকে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর, আবার দুর্গাপুর থেকে বাঁকড়া সদর অবধি মনোরেল গড়ার প্রস্তাবনা টি রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। এটি মুলত অন্ডাল বিমানবন্দর ঘিরে রেল ভাবনা টি বলে জানিয়েছেন তিনি।  গত বুধবার বিকেলে দুর্গাপুরে প্রায় তিন কিমি জুড়ে  এনআরসি বাতিলের দাবিতে মিছিল করেন তৃণমূল সুপ্রিমো।বৃহস্পতিবার বেলা বারোটা নাগাদ দুর্গাপুরের সৃজনি পেক্ষাগৃহে দুই বর্ধমানের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি সহ রাজ্য পুলিশ - প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে 'মিনি নবান্ন' বসান মুখ্যমন্ত্রী। সাম্প্রতিক সময়ে ইসিএলের কয়লা খনি সংলগ্ন এলাকায় ধসে মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষুব্দ হন মুখ্যমন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কেন হাউজিং করছেনা?  তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন মুখ্যমন্ত্রী। ইসিএলের অব্যবহৃত জায়গা গুলি পড়ে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী কে। ইসিএল জায়গা দিলে রাজ্য সরকার হাউজিং গড়ে দেবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সাথেসাথেই  পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসক কে ইসিএল - ইস্কোদের প্রশাসনিক চিঠি  লেখার নির্দেশ দেন। কাজ না হলে তিনি নিজেই লিখবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি। ইতিপূর্বে রাজ্য সরকার ইসিএল এবং ইস্কো কে প্রকল্পের জন্য জমি দিয়েছে বলে দাবি রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। কুলটি জল প্রকল্প উদঘাটন করে আসানসোল মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি কে রাণীগঞ্জের পানীয় জলাধার দ্রুত করার নির্দেশ দেন। সম্প্রতি দুর্গাপুরে এক কারখানায় ২৯ জন শ্রমিকদের ছাঁটাই এবং নুতন করে ২৯ জন নবাগত শ্রমিকদের অন্তভুক্তিকরণ নিয়ে ঝামেলা মেটাতে শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক কে দুপক্ষদের নিয়ে বৈঠক করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ৩ দিনের মধ্যেই এই শ্রমিক সমস্যা মেটানোর কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।   কর্মবিনিয়োগ কেন্দ্রে নথিভুক্তদের তাদের কাগজপত্র নবনীকরণ করার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী, যাতে তারা যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পায়। কাঁকসা ব্লক পশ্চিম বর্ধমানের মধ্যে পড়লেও প্রশাসনিক কাজকর্ম প্রায় পূর্ব বর্ধমান জেলায় হয়। এহেন সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে বলে আশা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী  আসানসোল প্রেসক্লাবের জন্য বিল্ডিং করার নির্দেশ দেন  মেয়র কে। আগামী ১ লা বৈশাখের আগেই যেন প্রেসক্লাবের সব ব্যবস্থা হয়। তাও জানিয়ে দেন তিনি। রান্নার গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জোর করে  ধর্মান্তরিতকরণ বাংলায় করতে এলে তা পুলিশ প্রশাসন কড়া হাতে রুখবে বলে জানান তিনি। বেশকিছু এনজিও সার্ভে করার নামে ব্যক্তিগত তথ্য জানার চেস্টা করছে বলে অভিযোগ তুলেন তিনি। আজকের প্রশাসনিক বৈঠকে মন্ত্রী মলয় ঘটক, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, আসানসোল - দুর্গাপুরের দুই মেয়র, আসানসোল পুলিশকমিশনার সহ রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা ছিলেন।                 
       

বুধবার, ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২০

সিঁথির ব্যবসায়ীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে সিঁথির এক ব্যবসায়ীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে সিবিআই তদন্ত চেয়ে এক মামলা দাখিল হয়। তাতে শুনানিতে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের সওয়াল-জবাব শুনে ডিভিশন বেঞ্চ নিহত ব্যবসায়ীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সহ পুলিশ এই ঘটনার প্রথম পর্ব থেকে কি কি ব্যবস্থাগ্রহণ করেছে তার সবিস্তর রিপোর্ট চেয়েছে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে  । ইতিমধ্যেই এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে কলকাতা পুলিশ অভিযুক্ত তিন পুলিশ অফিসারদের ক্লোজ করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে। নিহতের পরিবারের পক্ষে সিঁথি থানায় ৩৪ আইপিসিতে ১৬৬, ১৬৬ এ, ৩৩০,৩৪২,৩৪৮ এবং ৩০৪ ধারায় মামলা দাখিল করেছে।উল্লেখ্য, গত সোমবার দুপুরে এক কাগজকুড়ানির চোরাই লোহা সামগ্রী বিক্রির তদন্তে স্থানীয় লোহা ব্যবসায়ী রাজকুমার সাউ (৫৪) কে তলব করে সিঁথি থানার পুলিশ। তাতে পুলিশি হেফাজতে অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে এই ব্যবসায়ীর। পুলিশের তরফে মৃত্যুর জন্য রোগ কে দায়ী করা হয়। তবে নিহতের পরিবারের দাবি - থানায় পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মারধর করার জন্য মৃত্যু ঘটেছে। মঙ্গলবার সকালে আরজিকর হাসপাতালে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত হয় এবং নিহতের ছোট ছেলের বয়ান রেকর্ড হয় শিয়ালদহ আদালতে। পুরো ঘটনাটি পুলিশের তরফে ভিডিওগ্রাফি করা হয় বলে জানা গেছে। এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় একজন সার্জেন্ট সহ দুজন সাব ইনস্পেকটরের নাম জড়ায়। সোমবার রাতে সিঁথি থানায় ব্যবসায়ীর মৃত্যুতে তৃণমূল বনাম বিজেপির বিক্ষোভ পাল্টা বিক্ষোভ দেখা যায়। এমনকি নিহত ব্যবসায়ী কে দলীয় সমর্থক দাবি করে মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখায় গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশ ঘটনার গুরত্ব বুঝে অভিযুক্ত তিনজন পুলিশ অফিসার দের ক্লোজ করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করে থাকে। অপরদিকে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এক জনস্বার্থ মামলায় নিহত ব্যবসায়ীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সহ পুর্নাঙ্গ রিপোর্ট তলব করা হয়ে।                                                                                                                                                     

মেট্রোরেল সম্প্রসারণ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি মিললো

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করন নায়ার রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেল সম্প্রসারণ নিয়ে মামলার শুনানি চলে। সেখানে ডিভিশন বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে নির্মাণকারী সংস্থা কে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেল সম্প্রসারণের অনুমতি দেয়। দীর্ঘ ৬ মাস পর অনুমতি মিললো। মূলত এসপ্লানেট এবং শিয়ালদহের মাঝখানে দুটি ট্যানেলে মেট্রোরেল সম্প্রসারণ করা যাবে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত ট্যানেলে এইমুহূর্তে কাজ করা যাবেনা। মাদ্রাজের আইআইটি সংস্থা পুরো ব্যাপারটি নজরদারিতে রাখবে। সেইসাথে ১৫ দিন অন্তর রিপোর্ট পেশ করবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ সপ্তাহের পর বলে আদালত সুত্রে প্রকাশ।উল্লেখ্য, গত শুনানিতে   কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মেট্রোরেল সম্প্রসারণে বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট পেশের সময়সীমা ছিল রাজ্যের। তবে রাজ্যের তরফে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জানানো হয়েছিল - 'রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরে মেট্রোরেল সম্প্রসারণ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা নেই'। জানা গেছে, একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের রয়েছে এই ধরণের পাতাল রেললাইন গড়তে বিশেষজ্ঞ কমিটি। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষজ্ঞ কমিটি কলকাতা ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেল সম্প্রসারণে বর্তমানে কোন সমস্যা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখুক বলে বিভিন্ন মহলে দাবি উঠেছিল । এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট তলব করেছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।তাতে মাদ্রাজের আইআইটি সংস্থাটি বিশেষজ্ঞ হিসাবে উঠে আসে। এর আগের শুনানিতে মেট্রোরেল অধীনস্থ কেএমআরসিএলের পক্ষে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেল সম্প্রসারণ করতে অনুমতি চাওয়া হয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। উক্ত সংস্থা কে মেট্রোরেল সম্প্রসারণ করার রিপোর্ট টি রাজ্য কে জানাবার নির্দেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের আওতাধীন বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটি কেএমআরসিএলের রিপোর্ট টি পর্যবেক্ষণ করবে বলে আগে নির্দেশিকা ছিল। রাজ্যের অনুমতি নিয়েই মেট্রোরেল সম্প্রসারণ করতে হবে, তা পরিস্কার করে জানিয়ে ছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য জানিয়ে দিয়েছিল - 'মেট্রোরেল সম্প্রসারণ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ নেই তাদের হাতে'। গত বছরের নভেম্বর মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজে ৫ মিটার বোরিং করার ছাড়পত্র দিয়েছিল মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কে। বোরিং করার দ্বিতীয় মেশিন টি এই ৫ মিটার বোরিং করার ছাড়পত্র পায়। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ইতিপূর্বে মৌখিকভাবে জানিয়েছিল - 'গত ৩১ আগস্ট কলকাতার ৪৮ নং ওয়ার্ডে যে ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়েছিল।সেখানে ওই এলাকা থেকে ৭৮ টি পরিবারেরর ৬৮২ জন কে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। আর্থিক ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৮৩ টি পরিবার কে গড়ে ৫ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে '। উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্ট মাসের শেষের দিকে মেট্রোরেলের ইস্ট ওয়েস্ট রেললাইন  নির্মাণে  বড়বাজার এলাকায় বেশ কিছু বাড়ী ভেঙ্গে পড়ার ঘটনায় তোলপাড় হয় মহানগর। বড়বাজারের দূর্গা পিতুরি লেনের তিনতলা এক বাড়ী ভেঙ্গে পড়ে, আরও বেশ কয়েকটি বাড়ি ধসে যায় ।কোন প্রাণহানি না ঘটলেও প্রথম পয্যায়ে স্থানীয় ৩২৩ জন কে ঘটনাস্থলের বাড়ী গুলি থেকে সরিয়ে নেয় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। নিজ বাড়ী ঢুকতে না পারা এবং বিশেষজ্ঞ মহলের রিপোর্ট নিয়ে যৌক্তিকতা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জরুরি কালীন শুনানির পিটিশন দাখিল করে এক সমাজসেবী সংস্থা।কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল নায়ার রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এর এজলাসে মামলাটি উঠে । প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মেট্রোরেলের এই কাজ বন্ধে স্থগিতাদেশ জারী করে ছিলেন। প্রথম পয্যায়ে ১৬ সেপ্টেম্বর অবধি কোন কাজ করতে পারবেনা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বলে নির্দেশজারী হয় এবং দ্বিতীয় পয্যায়ে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ জারী ছিল। এরেই মধ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট এবং মেট্রোরেলের রিপোর্ট জমা দেওয়ার আদেশনামা থাকে । মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কে এও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল - যেসব বাড়ী মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কাজের জন্য সিল করে রেখেছে, সেই বাড়ীগুলিতে মালিকপক্ষ একজন করে ঢুকতে পারবেন জিনিসপত্র নেওয়ার জন্য। এই মামলায় আবেদনকারীর আইনজীবী ঋজু ঘোষাল রয়েছেন। শুনানিতে মেট্রোরেলের আইনজীবী জানিয়েছিলেন - "ইস্ট ওয়েস্ট পাতাল রেলপথের ১০.৮ কিমি রেলপথের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৯.৮ কিমি রেলপথের কাজ শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র ১ কিমির পথ বাকি রয়েছে।  যার কাজ চলছিল"। মূলত বিবাগী মোড় থেকে ভায়া বড়বাজার হয়ে হাওড়া স্টেশন যাওয়ার পথটি। টানা বর্ষণে ভূ-গর্ভস্থ ট্যানেলে জল ঢোকে যাওয়াতেই এই বিপত্তি বলে কেউ কেউ দাবি করছেন। ইতিমধ্যেই প্রস্তাবিত  ভূ-গর্ভস্থ রেলপথের উপরে থাকা বাড়ী গুলিতে প্রথম পয্যায়ে ৩২৩ জন কে সরিয়ে রাখে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। গতমাসে বড়বাজারে বেশ কিছু বাড়ী ভেঙ্গে পড়েছিল। সেইসাথে ওই এলাকায় সিংহভাগ বাড়ীগুলিতে ফাটল দেখা যায়। যদিও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ এইসব বাড়ীর মেরামতির পুরো দায়িত্ব নিয়েছে। তবে যখনতখন বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। সেইসাথে হতে পারে প্রাণহানি। তাই বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জরুরি কালীন শুনানির জন্য পিটিশন দাখিল হয়েছিল। এই মামলার প্রথম শুনানিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল - ১৬ সেপ্টেম্বর অবধি মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কে কাজ বন্ধ রাখতে হবে ।এর পর ৭ নভেম্বর পর্যন্ত নির্মাণকাজে স্থগিতাদেশ জারী ছিল। নভেম্বর মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহে মামলাটি পুনরায় উঠেছিল। তখন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন রাখে দ্বিতীয় বোরিং মেশিন টি যাতে ৫ মিটার খনন করার অনুমতি পায়। এই আবেদন মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।৫ মিটার বোরিং করার পর পুনরায় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয় ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেল সম্প্রসারণ করতে। গত শুনানিতে এই মামলায় শুনানিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশনবেঞ্চ জানিয়েছিল - কেএমআরসিলের রিপোর্ট টি দেখবে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। দুপক্ষের আলোচনায় অনুমতি নিয়ে পর্য্যালোচনা চলবে। রাজ্য সম্মতি দিলেই বোরিং করার ছাড়পত্র মিলবে। ৭ জানুয়ারি অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি র ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানিতে রাজ্য জানায় - 'বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের অধীনে পাতাল রেললাইন সম্প্রসারণ নিয়ে বিশেষজ্ঞ নেই তাদের হাতে'। মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শর্তসাপেক্ষে নির্মাণকারী সংস্থা কে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেল সম্প্রসারণ নিয়ে অনুমতি দেওয়া হয়। এসপ্ল্যানেড ও শিয়ালদহ এর মাঝখানে দুটি ট্যানেলে এই সম্প্রসারণ চলবে। তাও মাদ্রাজের আইআইটির ১৫ দিন অন্তর রিপোর্ট দেখে। ক্ষতিগ্রস্ত ট্যানেলে অবশ্য কোন কাজ হবেনা। ৪ সপ্তাহের পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।                                                                                                                                                                


মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ১১, ২০২০

সম্মানিত করা হলো কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির সম্পাদক কে

পারিজাত মোল্লা
  
মফস্বল সংবাদ পত্রিকা হিসাবে জেলার যেকটি কাগজ ত্রিশ বছর পার করেছে। তার মধ্যে গলসির পুরসা থেকে সেখ নিজাম আলম সম্পাদিত 'সকলের জন্য' পাক্ষিক পত্রিকাটি অন্যতম। প্রতি বছরের মত এ বছরেও বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল এই মফস্বল সংবাদপত্রিকা কর্তৃপক্ষ। রবিবার বিকেল থেকে রাত আট পর্যন্ত চলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ছোটদের বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি, নৃত্য সেইসাথে সমাজের বিভিন্নস্তরের মানুষজনের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এই সাংস্কৃতিক সভায় ছিলেন গলসি বিধায়ক অলোক মাঝী, জেলাপরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ মেহবুব মন্ডল,  প্রমুখ। এদিন মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলার প্রসারের জন্য সাংবাদিক মোল্লা জসিমউদ্দিন এবং এক সাংবাদিক সংগঠনের কর্মকর্তা বৈদ্যনাথ কোনার কে সংবর্ধনা জানানো হয়। উদ্যোক্তাদের পক্ষে পত্রিকা সম্পাদক সেখ নিজাম আলম বলেন " প্রতি বছর পত্রিকার তরফে অপসংস্কৃতি রুখতে এহেন উদ্যোগ নেওয়া হয় "।                                                                        

৪৪ তম মুক্তাঙ্গন প্রতিযোগিতা হলো বিধান শিশু উদ্যানে

গোপাল দেবনাথ
 
       


কলকাতার হাডকো মোড় সংলগ্ন    বিধান শিশু উদ‍্যানে ৪৪ তম মুক্তাঙ্গন প্রতিযোগিতা হলো।রবিবার  সারাদিন ব্যাপি চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান টি।  তিন থেকে ষোল  বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের নৃত্য,অঙ্কন,রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি,লোকগীতি এবং ভজনের প্রতিযোগিতার আসর বসে । বয়সভিত্তিক চারটি বিভাগে দুহাজারের মতো প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে রাজ‍্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। রবিবার সন্ধেবেলায়  সমস্থ বিভাগের ফল ঘোষণা করে প্রতিযোগীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক সাংবাদিক একরাম আলি এবং বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক সুনির্মল চক্রবর্তী মহাশয় ।বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায়ের স্মরণে সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতা অতুল্য ঘোষ ছোটদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে প্রায় পঞ্চাশ বিঘে আয়তনে বিধান শিশু উদ্যান গড়ে গেছেন উল্টোডাঙ্গা সংলগ্ন হাডকো মোড় এলাকায়।  যোগ ব্যায়াম, তাইকুন্ডু, স্কেটিং প্রভৃতি যেমন রয়েছে। ঠিক তেমনি অঙ্কন,আবৃত্তি,গান শেখার ব্যবস্থা আছে এই সংস্থায়। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক প্রাক প্রস্তুতির জন্য কোচিং এর খ্যাতি গোটা বাংলা জুড়ে। রবিবার সারাদিন ব্যাপি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হাজার হাজার প্রতিযোগী যোগদান করে বলে জানান বিধান শিশু উদ্যানের সম্পাদক গৌতম তালুকদার মহাশয়।                                                   

শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ০৭, ২০২০

রেলের গতি বাড়াতে বর্ধমান কাটোয়া রুটে বন্ধ হচ্ছে বেশকিছু রেলগেট

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  
 এবার বর্ধমান-কাটোয়া রেলপথে বন্ধ হতে চলেছে ৬/৭ টির মত রেলগেট।উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিকল্প রেলরুট হিসাবে এটি কে প্রস্তুত করার জন্য এহেন প্রস্তাবনা রেলদপ্তরের।    অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল এলাকার মধ্যে নয়, এমন রেলগেটগুলি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে  পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশন কর্তৃপক্ষ । মাস খানেক পূর্বে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীদের  সঙ্গে কথা বলে জেলা প্রশাসনকে এ বিষয়ে নি রিপোর্ট পাঠাতে বলেছে রেলের হাওড়া ডিভিশন। জেলা প্রশাসন এই রিপোর্ট  পাঠানোর পরেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রেলবিভাগ । কোথাও রেলগেট পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আবার কোথাও আন্ডারপাস তৈরি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে ।পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যম কে জানিয়েছেন  - "এখন রেলগাড়ীর  চাপ কম রয়েছে, বেশকিছু  রেলগেট বন্ধ করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে আরও রেলগেট বন্ধ করা হবে।'' জানা গেছে ৬ থেকে ৭ টি রেলগেট বন্ধ হতে চলেছে।   জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা প্রকাশ , ৫৬ কিমির বর্ধমান-কাটোয়া রেললাইনকে 'বিকল্প রুট' হিসেবে ভাবতে শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। ফলে, ওই লাইনের উপরে থাকা প্রায় রেলগেট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্ধমান কাটোয়া 'সিঙ্গল' লাইন হলেও রেলকর্তৃপক্ষ বিকল্প রেলপথ হিসেবে ভাবতে শুরু করে দিয়েছে। এই লাইনকে কাজে লাগাতে পারলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের  যোগাযোগের বিকল্প রেলপথ তৈরি হবে। দ্রুত গতির ট্রেন চালানোর জন্য রেলগেট বন্ধ করে আন্ডারপাস তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বর্ধমান কাটোয়া  রেল রুটের ভাতারের।বলগোনা থেকে বর্ধমান পর্যন্ত ১৫টি রেলগেট রয়েছে। তার মধ্যে কম গুরুত্বপূর্ণ এমন ছ'টি রেলগেট বন্ধ করে 'আন্ডারপাস' তৈরির কাজ শুরু হয়েছে সম্প্রতি। 


বন উৎসব শুরু হয়েছে কাঁকসায়

সেখ নিজাম আলম
  বৃহস্পতিবার    বনবিভাগ দক্ষিণ পূর্ব চক্রের পরিচালনায় ৬ ও ৭ ই ফেব্রুয়ারি কাঁকসা ব্লকের রঘুনাথপুর বনবান্ধব উৎসব পালিত হলো ম।উদ্বোধন করেন বনদপ্তর মন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ,আউশগ্রাম বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার, আউশগ্রাম ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হায়দার আলি, পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাধিপতি শম্পা ধারা প্রমূখ। জানা যায় উক্ত অনুষ্ঠানে হাঁস,মুরগী,ছাগল ও শুকর বিতরন করা হয়।

গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য বকুলতলায়

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়
  
জয়নগর : এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ালো । ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে জয়নগর ২ নং ব্লকের বকুলতলা থানার সাহাজাদাপুর গ্রামে। বকুলতলা থানার সাহাজাদাপুর অঞ্চলের সাহাজাদাপুর গ্রামের  বাসিন্দা সুপ্রকাশ হালদারের  সঙ্গে প্রেম ভালোবাসা করে গত চার বছর আগে বিয়ে হয় পায়েল হালদারের। তিন বছর আগে  তাদের একটি পুত্র সন্তান হয়েছিল। পায়েলের বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, প্রেম ভালোবাসা করে বিয়ে করার জন্যই তাঁরা প্রথমে মেনে নেন নি এই সম্পর্ক। পরে মেয়ের কথা ভেবে তাঁরা মেনে নিয়ে ছিলেন, কিন্তু বিয়ের পর থেকে জামাই কোনো কাজ করত  না এবং নানাভাবে তাঁর মেয়ের উপর জামাই ও তাঁর পরিবারের সবাই অত্যাচার চালাতো  এমনটাই অভিযোগ পায়েলের বাপের বাড়ীর লোকে দের। তাঁরা আরো জানালেন,প্রায় সময় বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিত মেয়েকে, গরিব মানুষ হয়ে ও যতটুকু সম্ভব তাঁরা সাহায্য করেছেন কিন্তু বুধবার  রাতে  তাদের কাছে খবর আসে তাদের মেয়ে বিষ খেয়েছে, পায়েলের বাবার দাবি তাদের মেয়েকে পিটিয়ে মেরে মুখে বিষ ঢেলে দেওয়া হয়েছে। মৃতার বাবা অশোক দাস ও মা  মীরা দাস অভিযুক্ত জামাই ও তাঁর পরিবারের লোকেদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছেন। বকুলতলা থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে   মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য  পাঠিয়েছেন। তবে ঠিক কীভাবে ওই গৃহবধূ মারা গেল সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে বকুলতলা থানার পুলিশ । 

বাদুড়িয়ায় তৃণমূলের মৌন মিছিল

ওয়াসিম বারি
  
উত্তর 24 পরগনা জেলার বাদুড়িয়া টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে আজ বাদুড়িয়ার রাজপথে NRC,CAA ও NPR এর বিরুদ্ধে বাদুড়িয়া তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তুষার সিং এর নেতৃত্বে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌনমিছিলে পুরুষ ও মহিলা সহ কয়েক হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা বাদুড়িয়ার রাজপথে।

লাশ উদ্ধারে চাঞ্চল্য বান্দোয়ানে

সঞ্জয় হালদার
  
পুরুলিয়া জেলার বান্দোয়ান থানার বান্দোয়ান বাই পাস রোডের চিলার জোড়ে এক ব্যক্তির মৃত দেহ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল।স্থানিয় সুত্রের খবর ভোরবেলা এলাকার বাসিন্দারা জলের মধ্যে একটি দেহ ভাসতে দেখে স্থানিয়রা থানায় খবর দেয়,পরে পুলিস এসে দেহটাকে জল থেকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে ময়না তদন্তের জন্য পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। উক্ত ব্যক্তির নাম কমল মাহাত বয়স আনুমানিক ৪৫ পিতা সত্য মাহাত বাড়ি বান্দোয়ান থানার মধুপুর গ্রামে।

বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ০৬, ২০২০

বাংলার প্রথম ক্যাবার ডান্সার মিস শেফালী চলে গেলেন

রাজকুমার দাস  

দীর্ঘদিন ধরেই কিডনী সমস্যায় ভুগছিলেন।আজ সকল ৬টায় শেষ মেষ জীবন যুদ্ধে হেরে গেলেন এক সময়ের সত্তর দশকের যুব তরুণের কাছে হার্টথ্রব তথা বাংলার প্রথম কাব্যারে ড্যান্সার ও অভিনেত্রী মিস শেফালী।তার আসল নাম ছিল আরতি দাস।তখনকার দিনে কাব্যারে ড্যান্স করাটা সমাজের চোখে ছিল অনেকটাই ভ্রু কোচকানো ।ভালো চোখে কেউ নিত না। তখন বলিউড এ হেলেন এর নাচ ,কিন্তু কলকাতার নাম উঠলেই মিস শেফালী।চির যৌবনের এক অধ্যায়।তার নাচের গুনে আবদ্ধ তখনকার কিশোর থেকে যুবক সকলেই।তাই তো তিনি শুধু ওখানেই থেমে ছিলেন না,সাথে সাথে অভিনয় করেছেন বেশ কিছু বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রে।সত্যজিৎ রায়ের সাথে প্রথম কাজ করেন "প্রতিদ্বন্ধি"-(১৯৭০)ছবিতে।পাশাপাশি "সীমাবদ্ধ"(১৯৭১),"রাজ বধূ"(১৯৮২),"পেন্নাম কলকাতা"(১৯৯২)প্রমুখ।
হিন্দী ছবির মধ্যে উল্লেখনীয় 
"গাঁওয়ার","শরাফত","আগ আউর দাগ"(১৯৭০),"ব্রহ্ম বিষ্ণু মহেশ্বর","কারাভান","লাল পাত্থর"(১৯৭১),"শোর"(১৯৭২),"পিয়াসী নদী","ব্ল্যাক মেল","গদ্দার",(১৯৭৩),"মনোরঞ্জন","কল গার্ল","মোদহোশ ",(১৯৭৪),"বুলেট"(১৯৭৬),"হাত্যারা","হাম কিসিসে কম নেহি"(১৯৭৭),"রাম বলরাম"(১৯৮০)প্রমুখ ছবিতে তার অভিনয় ও নাচ দুই দেখেছে দর্শকরা।
একটা সময় নাটকে ও তার বিচরণ ছিল।সেই সময় "সম্রাট ও সুন্দরী","সাহেব বিবি গোলাম","ও "অশ্লীল"-নাটকে অভিনয় মানুষের মুখে মুখে ঘুরতো।
উত্তম কুমারের সাথে ও ছিল তার ভালো সম্পর্ক।

একটা সময় কলকাতার  সন্ধ্যায় মিস শেফালী কে রাতপরি বলা হতো।
সেই মানুষটির আজ প্রায় ৭৬বছর বয়সে কিডনী র সমস্যায় আমাদের ছেড়ে অচিন দেশে পাড়ি যা সত্যিই বেদনা দায়ক।তার মৃত্য সত্যি একটা যুগের অবসান।তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি।

বুধবার, ফেব্রুয়ারী ০৫, ২০২০

প্রাথমিক শিক্ষকদের বদনাম ঘোচাতে উদ্যোগ নিল বাঁকুড়া প্রশাসন



সাধন মন্ডল

  পথ দেখাচ্ছে বাঁকুড়া। একসময় বাঁকুড়া জেলার একটা বদনাম ছিল পিছিয়ে পড়া জেলা বাঁকুড়া।  বাঁকুড়া শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে আজ কয়েক বছর ধরেই মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় খুব ভালো রেজাল্ট করে দেখিয়ে দিচ্ছে বাঁকুড়া পিছিয়ে নেই   রামকিঙ্কর বেইজ,  যামিনী রায়,  রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের বাঁকুড়া। শিক্ষা-সংস্কৃতি এগিয়ে চলেছে বাঁকুড়া। বাঁকুড়া র  প্রাথমিক  শিক্ষায় আরোএকটি পালক যোগ করলেন বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সংসদ সভাপতি  ডক্টর রিঙ্কু বন্দোপাধ্যায়। তাঁর উদ্যোগে সরকারের শিক্ষা বিভাগের সহযোগিতায়  সারা রাজ্যের মধ্যে প্রথম বাঁকুড়া জেলায় বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাজিরা ব্যবস্থা চালু করলেন বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ।  আজ বাঁকুড়া শহরের পাচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ব্যবস্থা চালু হলো। এই উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন শিক্ষা সংসদ বিদ্যা ভবনের সভাকক্ষে। এই বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিনের উদ্বোধন করেন বাঁকুড়ার জেলা শাসক ডক্টর উমাশঙ্কর এস, উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, অতিরিক্ত জেলাশাসক,  জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সচিব জগবন্ধু ব্যানার্জি, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সহ বিশিষ্ট মানুষজন। বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবস্থা চালু করে সংসদ সভাপতি ডক্টর রিঙ্কু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন আমাদের জেলার শিক্ষক-শিক্ষিকারা যথেষ্ট সুনামের সাথে শিক্ষকতার কাজ করেন তার মধ্যেও দুই একজনের জন্য আমাদের জেলার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সময়ে হাজিরা নিয়ে বদনাম শোনা যায়, যাতে সেই বদনামের আর কোন রাস্তা না থাকে তার জন্যই এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। প্রথম ধাপে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আমরা বাঁকুড়া শহরের পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ব্যবস্থা চালু করলাম আগামী দিনে ধাপে ধাপে জেলার সব কটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে। এই ব্যবস্থা চালু হওয়ায় খুশি শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে অভিভাবক অভিভাবিকা বৃন্দ।নজির গড়ল বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক  শিক্ষা সংসদ। অভিভাবক চিন্ময় পণ্ডা বলেন  খুব ভালো উদ্যোগ ।  অভিনন্দন  ম্যাডামকে। উনাকে দেখেছি উনি কাজের মানুষ। কোনো শিক্ষকের নামে শিক্ষাদান ও হাজিরা নিয়ে বদনাম হওয়া উনি পছন্দ  করেন না।সারা জেলায় এই ব্যবস্হা চালু হলে শিক্ষকদের নিয়ে এই বদনাম ঘুচবে।।

মেমারির এই যাত্রী প্রতিক্ষালয়ে চলে অসামাজিক কাজ

সেখ সামসুদ্দিন
 
যাত্রী প্রতীক্ষালয় এখন অপকর্মের ঠেক। পাল্লারোড এলাকায় বাস ট্রেকার যাত্রীদের সুবিদার্থে পাল্লা রোড কলানবগ্রাম পাল্লার ৩ মাথার মোড়ে প্রাক্তন বিধায়ক তহবিল থেকে বেশ কয়েক বছর আগে ১টি যাত্রী প্রতিক্ষালয় তৈরী করা হয়। কিন্তু দু:খের বিষয় প্রতিক্ষালয়টিতে আলোর ব্যবস্থা না থাকায় রাতের অন্ধকারে দু:স্কৃতিদের অত্যাচারে নোংরা হয়ে যাত্রী অপেক্ষার অযোগ্য জায়গা হয়ে উঠেছে। নিয়মিত পরিস্কারের ব্যবস্থা না থাকায় ধুলো বালি নোংরাতে ভরে আছে ঘরটি, রাতের অন্ধকারে বসছে মদ জুয়ার আসর, নানা অপকর্মের আদর্শ জায়গা দু:স্কৃতিদের কাছে এটি এখন। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সাধারণ মানুষের একান্ত অনুরোধ এই যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি নিয়মিত পরিস্কারের ব্যবস্থা করা হোক, সাথে রাতে আলোর ব্যবস্থা করলে বন্ধ হতে পারে অপকর্ম।এই ব্যাপারে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কাম্য।

শালবনীর পঞ্চায়েত সমিতির ফুলের বাগান

শালবনি পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে তৈরী ও পরিচৰ্জিত শৈশব উদ্যান ( পার্ক ) শীতকালীন ফুলের সৌন্দর্যে পূর্ণ 

মেহেদিবাগানে মদ জুয়ার বিরুদ্ধে সভা

সানি প্রসাদ
 
 বর্ধমান শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ড মেহেদিবাগান মদ গাজা জুয়া এবং অসামাজিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয় | এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন আইসি বর্ধমান থানা পিন্টু সাহা,  বর্ধমান শহরের বিশিষ্ট সমাজসেবী খোকন দাস,জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি ইফতেখার আহমেদ,সমাজসেবী যজ্ঞেশ্বর দাস বৈরাগ্য,আইনজীবী অসিত ঘোষ প্রমুখ |

হিংসা রুখতে শ্রীচৈতন্য এর বাণী ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ গৌড়ীর মিশনের

হিংসা রুখতে শ্রীচৈতন্যের বাণী ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ গৌড়ীয় মিশনের

রাজকুমার দাস   
বর্তমান সময়ে হিংসা ও হানাহানি রুখতে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর দেখানো পথ এবং বিশ্বভাতৃত্ব, শান্তি ও বিমল প্রেম দর্শনের বার্তা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে কলকাতার বাগবাজার গৌড়ীয় মিশন আয়োজন করেছে 7 দিনের শ্রীচৈতন্য জন্মোৎসব ও মেলা। বাগবাজারের ভগিনী নিবেদিতা উদ্যান থেকে আগামী 10 ফেব্রুয়ারি দুপুর দুটো নাগাদ এক বিরাট বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও নগর সংকীর্তন শুরু হবে। যেটি বাগবাজার স্ট্রীট, বিবেকানন্দ রোড, বিধান সরণি, গিরিশ পার্ক, বি কে পাল এভিনিউ হয়ে ভগ্নি নিবেদিতা উদ্যানে এসে শেষ হবে ।এরপর সেখানে নানা ধর্মীয় আলোচনায় অংশ নেবেন বিশিষ্ট মানুষরা। 
গৌড়ীয় মিশনের আচার্য ও সভাপতি বিষ্ণুপাদ পরমহংস শ্রীমদ  ভক্তি সুন্দর সন্ন্যাসী মহারাজ বলেন, 
বাগবাজার ভগিনী নিবেদিতা উদ্যানে দীর্ঘ 7 দিন ব্যাপী নানা আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও, গান, নাটক, আবৃত্তি, বসে আঁকো প্রতিযোগিতা,কুইজ সহ নানা অনুষ্ঠান থাকছে শ্রীচৈতন্যের আদর্শে যুবসমাজকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ।মেলায় ধর্মীয় ভাবাবেগকে তুলে ধরতে বিভিন্ন সংস্থা স্টল নিয়ে হাজির এই মেলায়।

মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ০৪, ২০২০

শিক্ষিকা কে বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করন নায়ার রাধাকৃষ্ণন এর ডিভিশন বেঞ্চে দ্রুত শুনানি চেয়ে রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় নামে এক আইনজীবী রক জনস্বার্থ মামলা দাখিল করেন। সেখানে গঙ্গারামপুর এলাকার দুই মহিলা কে প্রকাশ্যে দড়ি বেঁধে মারধর করা ভিডিও কান্ডে হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়। বিষয়টি শুনে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ দ্রুত রিপোর্ট তলব করে জেলা লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির কাছে। সেইসাথে এই রিপোর্ট তলব টি স্টেট লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির চেয়ারম্যান কেও অবগত করা হয়েছে। এদিন মামলার শুনানিতে আবেদনকারী আইনজীবী এজলাসে সওয়ালে জানান - 'যেভাবে দিনের আলোয় দুই মহিলা হাতে পায়ে দড়ি বেঁধে টেনে যাওয়া হচ্ছে। সেইসাথে লাঠিপেটা করা হয়েছে। তা মধ্যযুগীয় বর্বরোচিত ঘটনা। এতে শাসক দলের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা যুক্ত। কোন ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়নি। চরম আতঙ্কে রয়েছেন ওই দুই নির্যাতিতা মহিলা '। উল্লেখ্য মারধরের ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল ভিডিও হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। যদিও এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জেলা তৃনমূলের তরফে অভিযুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অমল সাহা কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিজেপির পক্ষে এই সাময়িক বরখাস্ত করার ঘটনা কে 'আই ওয়াশ' বলে দাবি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই উপপ্রধান সহ চারজনের বিরুদ্ধে গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে আক্রান্ত মহিলাদের পক্ষে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরে গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর অঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ বিকাশ সড়ক যোজনার ২৪ ফুটের এক রাস্তা নির্মাণ নিয়ে ঘটনার সুত্রপাত। নিজ জায়গার উপর রাস্তা করা যাবেনা - এই দাবি কে সামনে রেখে স্মৃতিকণা দাস নামে এক শিক্ষিকা প্রতিবাদ জানায়। ওই শিক্ষিকা স্থানীয় বিজেপি সমর্থক হওয়ায় শাসক দলের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে বচসা আরও তীব্রতর হয়। অভিযোগ, উপপ্রধান অমল সাহার নেতৃত্বে কয়েকজন ওই শিক্ষিকা সহ তার ছোট বোন কে প্রথমে খুটিতে বেঁধে লাঠিপেটা, পরে  হাতে পায়ে দড়ি বেঁধে টানাহেঁচড়া করে মারধর চালানো হয়। পুরো ঘটনাটি ভিডিও করে স্থানীয় কয়েকজন ফেসবুক - হোয়াটসঅ্যাপে ভাইরাল করে দেয়। আর এতেই সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় নামে এক আইনজীবী দ্রুত হস্তক্ষেপ চেয়ে শুনানির আবেদন করেন। তাতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ পুরো ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির কাছে গঙ্গারামপুর কান্ডে দ্রুত রিপোর্ট তলব করে থাকে।                                                                                                                                                                              

আইনজীবীর উপর হামলার মামলায় শিয়ালদহ আদালতে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড রায়দান ,


আইনজীবী কে খুনের চেস্টা, ৭ বছরের সশ্রমকারাদণ্ড

মোল্লা জসিমউদ্দিন  
এক আইনজীবী ও তার স্ত্রী কে পাথর মেরে খুনের চেস্টা করার মামলায় শিয়ালদহ আদালতে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের রায়দান ঘটলো। শুধু ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড নয় ২০ হাজার টাকার জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত দুমাসের সশ্রম কারাদণ্ডর উল্লেখ্য রয়েছে। গত শনিবার শিয়ালদহ আদালতে বিচারক জীমূতবাহন বিশ্বাসের এজলাসে এই মামলার রায়দান ঘটে। বিজয় ছেত্রী নামে ওই আসামি ইতিমধ্যেই জেল হেফাজতে রয়েছে। আদালত সুত্রে প্রকাশ, গতবছর ১৯ ফেব্রুয়ারি তাপসকুমার শাসমল নামে এক আইনজীবী সস্ত্রীক ব্যারাকপুর রেলওয়ে স্টেশনে প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিলেন ট্রেন ধরবার জন্য।সেসময় দুজন দুস্কৃতি  অল্পবয়সী মহিলা যাত্রীদের উপর  ইভটিজিং করছিল। ওই আইনজীবী ঘটনার প্রতিবাদ করায় রেললাইনে ফেলে মারধর চালায় দুস্কৃতিরা। পাথর মেরে খুনের চেস্টা করা হয়। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় আইনজীবীর। কানে - মাথায় দশের বেশি সেলাই পড়ে। দমদম জিআরপিতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় দুজন দুস্কৃতির বিরুদ্ধে। এই মামলায় প্রথমভাগে গ্রেপ্তার হয় মূল অভিযুক্ত বিজয় ছেত্রী। এই মামলায় ৯ জন সাক্ষ্য দেয়। শনিবার দুপুরে শিয়ালদহ আদালতে বিচারক জীমূতবাহন বিশ্বাসের এজলাসে এই মামলার রায়দান ঘটে। যেখানে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকার জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত দুমাসের সশ্রম কারাদণ্ড রায় দেন বিচারক।                                                                                               

সাফাইকর্মীদের পরিশ্রমে স্বচ্ছ কলকাতা বইমেলা

প্রসেনজিৎ রায়

  ( বিধাননগর):--প্রথম রবিবারের ঠাসা ভিড় সামাল দেওয়ার পর বইমেলা চত্বর এখন খানিক ক্লান্ত। মেলা প্রাঙ্গণ পরিষ্কার রাখার জন্য সাফাইকর্মীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টার ছবিটি যেমন চোখ এড়িয়ে যায় না, তেমনই দৃষ্টি আকর্ষণ করে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অপর একটি নজির। দুপুর গড়িয়ে গেলেও উজ্জ্বল রোদেও চালু রয়েছে আলোকসজ্জা।  বিদ্যুৎ বাঁচানো সচেতন মানুষের কাজ। বইমেলা অবশ্যই শিক্ষা ও চেতনার বার্তাবাহী। প্রাঙ্গণের অনতিদূরে বিদ্যুৎ ভবন থাকা সত্বেও অনাবশ্যক আলোকসজ্জার দিবালোকে চালু হয়ে থাকাটা গাফিলতিকেই প্রতিফলিত করছে। এইভাবে বিদ্যুৎ অপচয় যাতে না ঘটে সে মর্মে সচেতন হওয়া দরকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। প্রতিবেদনে যুক্ত আলোকচিত্র ৩রা ফেব্রুয়ারি সকাল এগারোটা নাগাদ তোলা।

কুমুদ সাহিত্য মেলায় নজরুল - লোচনদাস দের স্মরণে সম্মান

মোল্লা জসিমউদ্দিন (সম্পাদক কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি)       
আপনারা আছেন বলেই আমরা এগিয়ে চলি অবিরত 

মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর  জন্মদিন  উপলক্ষে গত দশ বছর ধরে আমরা প্রথম পয্যায়ে সাহিত্য আসর, শেষ পয্যায়ে সাহিত্য মেলা করে চলেছি। ওইদিন শুধু পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক কে স্মরণ করে সম্মান জানানো নয়, মঙ্গলকোট যাঁদের স্মৃতিভূমি সেইসব ব্যক্তিত্বদের স্মরণে সম্মান জানায়। বৈষ্ণব কবি লোচন দাস  থেকে বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলাম। প্রত্যেকেরই অতীত রয়েছে এই মঙ্গলকোটে। শুধু বিশ্ব বাঙালি খ্যাত নয় স্থানীয়গত দিক দিয়ে অখ্যাত ব্যক্তিদের স্মরণেও আমরা সম্মান জানিয়ে থাকি। প্রত্নবিদ কেশব বন্দ্যোপাধ্যায় আমার খুব কাছের মানুষ ছিলেন। আজ তিনি নেই, তবে আমরা তাঁকে ভূলিনি। বর্ধমান বইমেলার প্রাণপুরুষ সমীরণ চৌধুরী বলুন কিংবা কাটোয়ার 'উজ্জ্বল নক্ষত্র' পত্রিকার সম্পাদক সমীর ভট্টাচার্য। সেইসাথে আমার প্রয়াত বাবা বিচারক মহম্মদ নুরুল হুদা মোল্লা যিনি ১৯৮৩ সালে বিচারক নিয়োগ পরীক্ষায় টপারদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন।দি স্টেটসম্যান, বর্তমান প্রভৃতি পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন। ইনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে এমএ এর প্রথম ব্যাচের পড়ুয়া ছিলেন  ।   এইবিধ  ব্যক্তিদের স্মৃতি তে কুমুদ সাহিত্য মেলায় সংবর্ধনা জানানো হয়। 

এই বিপুল কর্মকান্ডে আমাদের পাশে প্রথম থেকেই যারা আছেন তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা জানায়। দশ - কুড়িজন দের নিয়ে ত্রিশ মিনিটের যে কবি স্মরণ শুরু হয়েছিল দশ বছর আগে। আজ তিন - চারশো কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক দের সারাদিন ব্যাপি মিলনস্থলে পরিণত। 

কৃতজ্ঞতা জানাই রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী মহাশয় কে। যিনি এই মেলার সার্বিক বিকাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। 


পথহারা মহিলা কে পরিবারের হাতে তুলে দিল মঙ্গলকোট পুলিশ

আমিরুল ইসলাম
  

সম্প্রতি দেওয়ানদিঘী থানার এক পথহারা মহিলা কে বাড়ী পৌঁছে দিয়েছিল মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। এর রেশ না কাটতে কাটতে শনিবার সকালে পথভ্রষ্ট এক মধ্যবয়সী মহিলা কে উত্তর ২৪ পরগনার পৈতৃকবাড়ীতে পাঠাবার ব্যবস্থা করলো মঙ্গলকোট পুলিশ৷   পুলিশ সুত্রে প্রকাশ, গত কয়েকদিন ধরে  এক মাঝবয়সী মহিলা মঙ্গলকোট কৈচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘোরাফেরা করছিল ।এলাকার মানুষ কৈচর আইসি কে  খবর দেয় ।কৈচর আইসি সুজিত ভট্টাচার্য তড়িঘড়ি বিষয়টি মঙ্গলকোট ওসি মিঠুন ঘোষ কে জানান।  গত শুক্রবার বিকেলে পুলিশ গিয়ে ওই মহিলাকে মঙ্গলকোট থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পারে, ওই মহিলার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হিঙ্গলগঞ্জ থানায়। এরপর মঙ্গলকোট থানার পুলিশ  হিঙ্গলগঞ্জ থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে ওর বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলে। ওই মহিলার ছবি পাঠানো হয় মঙ্গলকোট থানা থেকে, তা দেখালে হিঙ্গলগঞ্জ থানা জানায় ওই মহিলা তাদের এলাকার।শনিবার ওই আংশিক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে নিয়ে গেলেন তার বাবা মোহাম্মদ হায়দার সাইন।বাবা মোহাম্মদ হায়দার সাইন জানান - "মেয়ের নাম ফিরোজা বিবি।তার মেয়ে জামাই কর্মসূত্রে থাকে  তামিলনাড়ু তে।কয়েকমাস আগে মেয়ে জামাই বেড়াতে এসেছিল তার বাড়ি ।জামাই তামিলনাড়ু ফিরে গেলেও, মেয়ে ছিল উত্তর ২৪ পরগনায়।এরপর চার মাস আগে মেয়ে তামিলনাড়ু যাবে বলে শিয়ালদহে ট্রেনে চাপে। তবে জামাই ওখান থেকে ফোন করে জানায় তার স্ত্রী তামিলনাড়ু পৌঁছায়নি"।তারপর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছে মেয়ের বাবা।অবশেষে গতকাল অর্থাৎ গত শুক্রবার রাতে  মঙ্গলকোট থানা থেকে খবর যায় নিখোঁজ মেয়েটি  মঙ্গলকোট থানায় রয়েছে। আজ মেয়েকে নিয়ে গেল তার পরিবার। মঙ্গলকোট ওসি মিঠুন ঘোষ জানিয়েছেন - " আমরা খুশি নিখোঁজ মহিলা তার পরিবার কে পেলো"।         

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER