প্রতাপ চট্টোপাধ্যায়
আজ কাঁথি তে ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের 183 তম শুভ জন্মতিথি ও বার্ষিক উৎসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী মহাশয় ।
প্রতাপ চট্টোপাধ্যায়
আজ কাঁথি তে ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের 183 তম শুভ জন্মতিথি ও বার্ষিক উৎসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী মহাশয় ।
প্রতাপ চট্টোপাধ্যায়
কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতি, অস্বাভাবিক হারে দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ ভাতাড় ব্লকের আমারুন২ অঞ্চলের প্রতিবাদ মিছিল তৃনমূলের।
নীলাদ্রি ঘোষ
উখরায় নবম বর্ষ খনি অঞ্চল স্বাস্থ্যমেলা শেষ হল সোমবার l উদ্যোক্তারা জানান স্থানীয় নব ভারতী সংঘের প্রাঙ্গনে দু'দিন ব্যাপি এই মেলায় মোট ৬৭৩ জন বাসিন্দা তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান l বিশিষ্ট চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে সম্পুর্ন বিনামুল্যে বাসিন্দারা তাদের ব্লাড সুগার , ইসিজি , রক্তের গ্রুপ নির্নয় , আল্ট্রাসোনোগ্রাফি সহ বিভিন্ন রকমের পরীক্ষা করান l দেহ ও চক্ষুদানের বিষয়ে উৎসাহ মুলক বিশেয আলোচনা সভার ব্যবস্থ্যা সকলের দৃস্টি আর্কষন করে l
মোহন সিং
সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ নিয়ে আসানসোল উত্তর থানা এলাকায় বিশেষ কর্মসুচী পালন করা হল। উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এসিপি ট্রাফিক প্রশান্ত দাস, আসানসোলের সার্কেল ইন্সপেক্টার, ট্রাফিক ওসি। এদিন সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ নিয়ে একটি পদযাত্রা বের করা হয়। এতে অংশগ্রহন করেন ধাদকা এনসি লাহিড়ি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা।
সেখ সামসুদ্দিন
মেমারি কৃষ্ণবাজারে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস, শহর ও ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদ, তৃণমূল যুব কংগ্রেস ও শ্রমিক সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে পথসভা করা হয়। সম্প্রতি বিজেপি মেমারিতে একটি সভায় তৃণমূলদের মার দিতে, হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার প্রতিবাদে তীব্র ভাষায় জবাব দেওয়া হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা ভাইস-চেয়ারম্যান সুপ্রিয় সামন্ত, মহিলা নেত্রী মানসুরা বেগম, যুব নেতা সেখ ইসমাইল, প্রসুন, ছাত্র নেতা মুকেশ শর্মা, মেমারি কলেজের জিএস, কাউন্সিলর রূপা খাঁড়া, চিরঞ্জীব ঘোষ প্রমুখ।
তথাগত চক্রবর্তী
বীরভূমের সিউড়ি বাসস্যান্ডে বাসের পিছন চাকায় পা পিষে গেল সঞ্চিতা ঘোষ নামে এক কলেজ ছাত্রীর।স্থানীয়রা জানিয়েছেন টোটো থেকে তাড়াহুরো করে বাস ধরতে গিয়ে পিছলে বাসের তলায় পরে যায় ।বড়সড় দূর্ঘটনা হাত থেকে রক্ষা পেল ঐ কলেজ ছাত্রী।তারা জানান যেখানে সেখানে পোটো দাঁড় করার জন্য এরকম ঘটনা প্রায় ঘটছে ।পুলিশ এসে বাসটিকে আটক করেছে।ছাত্রীটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।
মেখলিগঞ্জ
ধুলোয় অতিষ্ট চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তের বাসিন্দারা।তাদের অভিযোগ ধুলোর জন্য বর্তমানে এলাকায় টেকাই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।দিনের বেলাতেই লাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।রাস্তায় নাক মুখ ঢেকে চলতে হচ্ছে।এতে সর্দি কাশি লেগেই রয়েছে।উল্লেখ বর্তমানে চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে এশিয়ান হাইওয়ের সড়ক সম্প্রসারনের কাজ চলছে।তারউপর এই রাস্তার উপর দিয়ে প্রতিদিন প্রচুর পণ্যবোঝাই ভারত বাংলাদেশের ট্রাক যাতায়াত করছে।যার কারনেই ধুলোয় ঢেকে যাচ্ছে এলাকা।অনেকেই বাড়ির দরজা জানালা বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে।ধুলো নিরসনে রাস্তায় জল দেওয়া হয় বলে এশিয়ান হাইওয়ে কতৃপক্ষ জানিয়েছেন।বাসিন্দারা অবশ্য জানিয়েছেন,জল ঠিকমতো দেওয়া হয়না।বিশেষকরে শনিবার রবিবার অর্থাৎ ছুটির দিনগুলোতে জল দেওয়া হয়না বলেও অনেকের অভিযোগ।শীঘ্র তারা এই সমস্যা সমাধানের দাবি করেছেন।
বিশেষ প্রতিবেদক
পার্ক সার্কাস ময়দানে বৈচিত্রের মাঝে মহামিলনের উৎসবে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হল কবি সুবোধ সরকার ও উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক তথা কবি ফারুক আহমেদকে।মেলালেন তিনি মেলালেন। গানে-কবিতায়-কথায়। মাঝিমাল্লা, কৃষক, গরুর গাড়ি---গ্রাম-বাংলার মাটির ঘ্রাণ। আব্বাসউদ্দিন, কাজী নজরুল ইসলাম থেকে রাঘব বন্দ্যোপাধ্যায়, আবদুল আলিম। বাংলার লোকসংস্কৃতি আর আধুনিকতার মিশেলে কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ মিলে গেল পার্ক সার্কাস ময়দানের মিলন উৎসবে। দৈনিক 'কলম'-এর সহযোগিতায় ও পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের পরিচালনায় শনিবারের সন্ধ্যা সাক্ষী থাকল এক অভূতপূর্ব আনন্দঘন সঙ্গীত অনুষ্ঠানের। দর্শকপূর্ণ মাহফিলে কলম পত্রিকার সম্পাদক ও এই অনুষ্ঠানের আয়োজক আহমদ হাসান ইমরান যখন উদ্বোধনী বক্তব্য দিতে উঠছেন, তখন ভরে উঠেছে শূন্য দর্শক আসনগুলি। ইমরান জানালেন, মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম, পার্সি, জৈন, খ্রিস্টান, মুসলিম, বৌদ্ধ ধর্মের মানুষদের নিয়ে কল্যাণমুখী নানা কাজ করছে। তাদের তৈরি বিভিন্ন পণ্যকে সকলের সামনে নিয়ে আসছে। এইসব পণ্য বিশ্ববাজারে উঠে আসুক বলে তিনি অভিমত জানান। এ দিনের অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলার লোকসংস্কৃতি ভাওয়াইয়া, পল্লিগীতি প্রভৃতির মাধ্যমে আজ আমরা এক সুন্দর সন্ধ্যা উপভোগ করব। দুটি কুসুমের একটি কুসুম আজ ফুটে উঠবে এই সন্ধ্যায়।এই গানের জলসায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি সুবোধ সরকার ও কবি ফারুক আহমেদ। কবি সুবোধ সরকার তাঁর বক্তব্যের কথায় তিনি বললেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রান্তিক মানুষদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইতিহাস তৈরি করেছেন। আজ পশ্চিমবঙ্গ ধর্ম-সম্প্রদায়ের ভেদাভেদ ভুলে দুটি কুসুমে পরিণত হয়েছে, একসঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আপনারাই পেরেছেন। আপনারাই পেরেছেন। আপনারাই পেরেছেন। আবেগমথিত গলায় বলে ওঠেন কবি সুবোধ সরকার।কবিকে ফুলের স্তবক, উত্তরীয় ও মোমেন্ট দিয়ে সম্মানিত করা হয় পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের পক্ষ থেকে।
তবে এই মিলন উৎসবের অবশ্যই সবচেয়ে বড় উপহার ছিলেন সকলের প্রিয় বিদ্রোহ কবি কাজী নজরুল ইসলামের পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী। ৮৩ বছর বয়সেও হারমোনিয়াম বাজিয়ে তিনি গাইলেন, তৌহিদেরই মুর্শিদ আমার...। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় কীভাবে 'এক বৃন্তে দুটি কুসুম' বিভিন্ন ভাষায় তরজমা করে গেয়ে বেড়াতেন, সেসব স্মৃতিচারণ করলেন। সেই স্মৃতিচারণের পর হল নবীন ও প্রবীণের মিলন। জাতীয় স্তরে সংগীত প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া তরুণ গায়ক মির আরেফিন রানাকে উপহার তুলে দিলেন কল্যাণী কাজী। আরেফিনও মাতিয়ে দিল ফোক আর মডার্নের মিশেলে।এরপর কবি ফারুক আহমেদ দুটি তাঁর রচিত কবিতা আবৃত্তি করলেন। কবি তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরলেন এবং কুর্নিশ জানালেন, এই মহতি মহামিলন উৎসবকে সার্থক করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমেরের চেয়ারম্যান ডা: পি বি সালিম সাহেবকে অফুরন্ত ধন্যবাদ দিলেন। তাঁর কবিতাপাঠে মুগ্ধ হলেন ৮ থেকে ৮০ আগত সকল দর্শকমণ্ডলী।
কবি ফারুক আহমেদকে বিশেষ ভাবে এদিন সম্মানিত করা হয়। ফুলের স্তবক, উত্তরীয় ও মোমেন্ট আর মিষ্টির প্যাকেট দিয়ে সম্মানিত করা হয় পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের পক্ষ থেকে।সকলের প্রিয় বিদ্রোহ কবি কাজী নজরুল ইসলামের পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী ফারুক আহমেদের হাতে ফুলের স্তবক ও মোমেন্ট তুলে দিলেন আর কলম পত্রিকার সম্পাদক ও সাংসদ আহমদ হাসান ইমরা উত্তরীয় পরিয়ে দিলেন। সবমিলে এদিনের আয়োজন চোখে দেখার মতো। পার্ক সার্কাসের এবছর মিলন উৎসব মহা মিলনোৎসবে সার্থকতা পায়।এ ছাড়াও এই সংগীত সন্ধ্যায় অসাধরণ গাইলেন, নূপুর কাজী, নাজমুল হক, পলাশ চৌধুরী। আর গজল গেয়ে মাতিয়ে দিলেন এস কে হাবিব ও শাকিল আনসারী। আর পরিচালনার পাশাপাশি কথার কারুকার্যে যোগ্য সঙ্গত করলেন শাকিল আনসারী।এই মিলন সন্ধ্যায় দর্শক আসনে ছিলেন সাংসদ নাদিমুল হক, কবি ও লেখক সুব্রতা ঘোষ রায়, প্রবীর ঘোষ রায়, কুমারেশ চক্রবর্তী, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গৌতম পাল, সমাজসেবী এস এস আলম, ড. আব্দুল মুজিদ, মো: আবেদ আলি, ওয়ায়েজুল হক, মহ. কামরুজ্জামান, ফিরোজ হোসেন, ডা: কবীর হোসেন, মসিহুর রহমান-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
পার্ক সার্কাসের স্কুল থেকে আসা ইউনিফর্ম পরা মেয়েরা দর্শক আসনে, দর্শক আসনে উর্দুভাষী হিজাবি, আশেপাশের মানুষ আর বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বাঙালি। সব মিলে গেল একসঙ্গে। ভাষার ব্যবধান ঘুচে গেল। তাই সভা যখন শেষ হচ্ছে, ব্যাকগ্রাউন্ডে যখন নূপুর কাজীর কণ্ঠে বাজছে বিদায়ের সুর 'ছেড়ে দে নৌকা আমি যাব মদিনা', তখন পার্ক সার্কাসের স্থানীয় বাসিন্দা বলে উঠছেন, 'বাঙাল লোগ হামেশা কামাল করতে হ্যায়।' তরুণ প্রজন্ম গুগলে সার্চ দিচ্ছে একটু আগে গাওয়া বাংলা গানগুলি। মিলে যাচ্ছে ঐতিহ্য আর তারুণ্য। পলাশ চৌধুরীর গান দিয়ে সঙ্গীত অনুষ্ঠান শেষ হয়। সকল সঙ্গীত শিল্পীদের ও মহা পরিচালক শাকিল আনসারীকেও এদিন সম্মানিত করা হয়।
পার্ক সার্কাস ময়দানে বৈচিত্রের মাঝে মহামিলনের উৎসবে শনিবার গানের ভুবনে হারিয়ে যাওয়ার দিন ছিল।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর অনুপ্রেরণায় পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম এর উদ্যোগে ১০ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে ১৯ ফ্রেব্রুয়ারি, ২০১৮ পর্যন্ত পার্ক সার্কাস ময়দানে আয়োজিত হচ্ছে "মিলন উৎসব ২০১৮"। পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিজস্ব কুটির শিল্প, খাবারদাবার এবং সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটছে এই মিলন উৎসবে। এছাড়াও এই উৎসবে থাকছে কেরিয়ার কাউন্সেলিং ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির। প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গত ১৭ তারিখ শনিবার ছিল বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সঙ্গীত পরিবেশন করলেন কল্যাণী কাজী, নূপুর কাজী, নাজমুল হক, পলাশ চৌধুরী, এস কে হাবিব, মীর আরফিন রানা, সঞ্চালনায় ছিলেন শাকিল আনসারী। সকলকেই মাতিতে দিলেন শাকিল আনসারী।
কবিতা পাঠে ছিলেন কবি ফারুক আহমেদ ও এস কে সাইফুদ্দিন।
এই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজনে বিশেষ সহযোগিতায় ছিল দৈনিক "কলম" পত্রিকা।
এই মিলন উৎসব সার্থক করতে সকলকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ডা. পি. বি. সালিম, আই.এ.এস., সচিব, সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং চেয়ারম্যান, পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগম। মৃগাঙ্ক বিশ্বাস, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগম।
পার্ক সার্কাস ময়দানে বৈচিত্রের মাঝে মহামিলনের উৎসবের শুভ সূচনা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
বিশেষ অতিথি হয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান ও গিয়াস উদ্দিন মোল্লা।
এছাড়াও বিবেক কুমার, আই.এ.এস, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রধান সচিব, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
সাংসদ নাদিমুল হক ও সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরান।
পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম আয়োজিত মিলন উৎসবে চাকরি এবং শিক্ষা কাউন্সিলিং-এ আগ্রহী চাকরি প্রার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। ভিড় হচ্ছে বিদেশে পড়তে যাওয়ার খোজ নিতে। বিশেষ করে মেডিক্যাল শিক্ষার কোথায় কি সুযোগ সুবিধা আছে তা জানার আগ্রহ খুব।
বিদেশে চাকরি পেতে কোথায় কী করতে হবে তা জানার আগ্রহ।
সারা মেলা জুড়ে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের সুবিধাভোগীদের তৈরি নানা ধরনের অলঙ্কার, পোশাক প্রদর্শন ও বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন স্টলে। তিন দিনেই মিলন উৎসব জমে উঠেছে এবং মানুষের উৎসহ দিন দিন চোখে পড়ছে।
পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যান ডা: পি বি সেলিম বললেন, নিগমের কাছ থেকে ক্ষুদ্র ও মেয়াদি ঋণ নিয়ে যারা ব্যবসা করে স্বনির্ভর হয়েছেন, তারা এখানে পণ্য সম্ভার সাজিয়েছেন। তাদের পণ্য কিনতে মানুষ স্টলগুলিতে হাজির হচ্ছেন। বিক্রিবাটা ভাল হচ্ছে। নিগমের মেলা করার মূল লক্ষ্য মানুষের কাছে এই সব প্রান্তিক মানুষের সৃষ্টিকর্ম তুলে ধরা এবং তার বিপণনের ব্যবস্থা করা। এখন পর্যন্ত জনসমাগম এবং ক্রেতা আমাদের উৎসাহিত করছে।
এই মিলন উৎসবেকে সার্বিক সফল করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করলেন ডা. পি. বি. সালিম, আই.এ.এস., সচিব, সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং চেয়ারম্যান, পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগম। মৃগাঙ্ক বিশ্বাস, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, জিএম তথা জেনারেল ম্যানেজার শামসুর রহমান ও মোঃ নকি, পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগম। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের অন্যান্য আধিকারিক ও কর্মচারীবৃন্দ।
মিলন উৎসবে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে ফ্রি কেরিয়ার কাউন্সেলিং এবং
চাকরি পাওয়ার পরামর্শ।
এদিন মিলন উৎসব উদ্বোধনের পর স্বাগত ভাষণ হয় এবং তারপর স্কলারশিপ, ঋণ, প্রভৃতি প্রদান করা হয়।
মিলন উৎসবে আল আমীন মিশনের স্টল থাকছে। ৯২ নম্বর স্টলটি হচ্ছে আল আমীন মিশনের। এখানে আল আমীন মিশনের পত্র-পত্রিকার সঙ্গে "উদার আকাশ" পত্রিকার বইমেলা বিশেষ সংখ্যা পাওয়া যাবে।
গত কাল মিলন উৎসব অনুষ্ঠান শুরু হয় শিল্পী পলাশ চোধুরীর লেখা ও সুর করা একটি অসাধারন গান দিয়ে।
"মা-মাটি-মানুষের গান" কথা ও সুরে শ্রোতেদের মুগ্ধ করে দেন।
উজ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়
পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে ও জেলাকে কুষ্ঠ রোহ মুক্ত করতে এগিয়ে এসেছে জেলা প্রশাসন।জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও এর নিদেশে জেলার প্রতিটা ইস্কুলে কুষ্ঠ রোগ নিবারন সপ্তাহ পালন করা শুরু হয়েছে।সাগরের চৌরঙগী অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পালন করা হলো কুষ্ঠ নিবারন সপ্তাহ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক তাপস মন্দল জানালেন,ইসকুলের পড়ুয়াদের নিয়ে পদযাত্রার মাধ্যমে এলাকার মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর চেস্টা করেছি।
মেখলিগঞ্জ
একই মঞ্চে পাশাপাশি বসে থাকতে দেখা গেল তৃনমুল কংগ্রেসের মেখলিগঞ্জ ব্লকের নেতা লক্ষ্মীকান্ত সরকার এবং এলাকার বিধায়ক অর্ঘ্যরায় প্রধানকে।এই দৃশ্য দেখে অবাক হলেন তৃণমূলের সাধারণ কর্মী সমর্থকেরাও।তাদের কথায় ইতিপূর্বে দলীয় এই দুই নেতাকে এভাবে পাশাপাশি বসতে দেখা যায়নি।উল্লেখ গত বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে লক্ষ্মীকান্ত সরকারের বিরুদ্ধে দলীয় প্রার্থী অর্ঘ্য রায় প্রধানকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিল।তখন থেকেই তাদের বনিবনা না হবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।নির্বাচনে জিতে অর্ঘ্যবাবু বিধায়ক হবার পরে দূরত্ব আরো বেড়ে।এই অবস্থায় এদিন পাশাপাশি বসার সাথে সাথে একান্তে আলাপপরিচিতার দৃশ্য দেখে চমকেই উঠেছিলেন অনেকে।বিষয়টি নিয়ে অবশ্য আনন্দিত তৃণমূলের সাধারণ কর্মীরা।তাদের আর্জি এভাবেই মিলেমিশে চললে পঞ্চায়েত ভোটেও দলের ভালো ফল হবে।যদিও এবিষয়ে বিধায়ক সহ কেউই কোনো মন্তব্য করতে চাননি।বিধায়কের পরিস্কার জবাব এইসব বিষয়ে তিনি কিছুই বলবেননা।
ভাস্কর ঘোষ
সর্ষে ক্ষেত থেকে বছর এগারোর এক নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়াল। শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানার মহাদেবপুর গ্রামে । পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম অনিতা শীল (১১)। রানিনগর থানার মহাদেবপুর গ্রামে তার বাড়ি। শনিবার সকালে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ডোমকল মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃতার বাবা বিজয় শীল রানিনগর থানায় লিখিতভাবে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতার বাবা বিজয় শীল বলেন, আমার মেয়ে আমাকে খাবার দিয়ে মাঠের রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। সেই সুযোগে কেউ তাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে প্রমান লোপাটের জন্য খুন করে মাঠে সর্ষে ক্ষেতের মধ্যে ফেলে দিয়ে গেছে। ঘটনায় আসল দোসীকে পুলিশ চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেক। যাতে কেউ আর এই ধরনের অপরাধ করতে সাহস না পায়।
রানিনগর থানার পুলিশ বলে, মহাদেবপুর গ্রামের এক নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদেহটি আজ সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। খুনের কেশ ঋজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে রানিনগর থানার পুলিশ।
মৃতার পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , রানিনগরের লাড্ডু মোরে বিজয় শীলের একটি সেলুন রয়েছে। শুক্রবার দুপুরে অনিতা সেখানে ববাবার জন্য খাবার দিতে যায়। বাবাকে খাবার দেওয়ার পর মেঠো পথ দিয়েই বাড়ি ফিরছিল ওই নাবালিকা। তখন কে বা কারা মেয়েটিকে ধর্ষণ করার পর প্রমান লোপাটের জন্য তাকে খুন করে সর্ষে ক্ষেতের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিল। এদিন বিকেল নাগাদ মেয়ে বাড়িতে না পৌছানোয় খোঁজাখুজি শুরু হয়। কোথাও তাকে খুজে পাওয়া যায়না। সন্ধ্যেয় মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয়রা তার মৃতদেহটি সর্ষে ক্ষেতের মধ্যে পরে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে রানিনগর থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে।
তথাগত চক্রবর্তী
বীরভূমের দুই জায়গার নাবালিকার বিয়ে রুখলো প্রশাসন।নলহাটি থানার শীতল গ্রামে এক নাবালিকার বিয়ে ছিল রবিবার সেই মত বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল আজ সন্ধ্যে দিকে বিডিও ও নলহাটি থানার পুলিশ গিয়ে বিয়ে রুখে দেয়। অন্য দিকে রামপুরহাট থানার ৯ নং ওয়াডে এক নাবালিকার বিয়ে রুখে দিলো রামপুরহাট থানার পুলিশ ।
মোহন সিং
বাম যুব সংগঠন DYFI এর আন্দোলনে উত্তেজনা ছড়াল আসানসোল রেল ডিভিশনেও। আজ সকালে আসানসোলের কালিপাহাড়ি ও রানীগঞ্জ স্টেশনে অবরোধ করে বাম যুব সংগঠন DYFI। সারা রাজ্যের সাথে সাথে এই দুটি স্টেশনেও একই কর্মসুচী অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রকের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধেই এই কর্মসুচী। রেলের বিলগ্নীকরণ, আউটসোর্সিংয়ের প্রতিবাদ, নিরাপত্তা, পরিকাঠামো ও যাত্রী সাচ্ছন্দের দাবিতেই এই অবরোধ। ঘটনার ফলে বেশ কিছু ট্রেন অল্প সময়ের জন্য দাঁড়িয়ে যায়। কালিপাহাড়িতে দাঁড়িয়ে যায় প্যাসেঞ্জার ট্রেন। যদিও তড়িঘড়ি রেলপুলিশ সরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীদের।
সঞ্জয় হাল্দার
আজ মানবাজার মহকুমার অন্তর্গত দোলাডাঙ্গাতে দুই দিন ব্যাপী দোলাডাঙ্গা উৎসব মশাল জেলে অনুষ্ঠানের সুভ সুচনা করলেন এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী সন্ধ্যা রানী টুঢু মহাশয়া। উপস্থিত আছেন সুশান্ত মাহাতো ও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
শুভেন্দু তন্তুবায়
রাইপুরের হলুদকানালীতে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভা অনুষ্ঠিত হল ।সভার প্রধান বক্তা ছিলেন রাজ্য তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । এদিনের সভামঞ্চ থেকে ছাতনা বিধানসভার বিধায়ক ধীরেন্দ্রনাথ লায়েক তৃণমূলে যোগ দিলেন ।বিধায়কের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ।দীর্ঘদিন ধরে জল্পনা চলছিলই ।সেই জল্পনার অবসান হল এদিনের রাইপুরের সভায় ।বিধায়কের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে সি পি আই এম জেলা নেতৃত্ব কিছুই জানেনা বলে তাদের দাবি । তৃণমূলে যোগদান নিয়ে বিধায়কের মন্তব্য জানতে ফোন করা হলে ফোন বন্ধ আছে জানা যায় ।গত বিধানসভা নির্বাচনে আর এস পি প্রার্থী ধীরেন্দ্রনাথ লায়েক তৃণমূল প্রার্থী শুভাশীষ বটব্যাল কে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন ।
মোল্লা জসিমউদ্দিন
আলো ছড়াক হৃদয়ের দুই ডানায়।হ্যা শঙচিলের মত আকাশের কোন সীমানা মানেননি তিনি।পুলিশ অফিসার সঞ্জয় কুন্ডু রচিত 'আলোকিত ডানা' বই লিখে সাহিত্যজগৎ বিশেষত দক্ষিনবঙ্গে কবি সাহিত্যিকদের কাছে পরিচিতি পেয়েছেন অল্প সময়েই।এই পুলিশ অফিসার মঙ্গলকোট, কাটোয়া, ভাতার প্রভৃতি এলাকায় ওসি হিসাবে কর্মদক্ষতা দেখিয়েছেন। বর্তমানে তিনি বারাসাত জিআরপির আইসি হিসাবে কর্মরত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাছে 'ননস্টপ ডিউটি'র মাঝে কবিতা / বাস্তবমুখী রচনা লিখে পুলিশমহলে 'সাহিত্যিক ' পরিচিতি পেয়েছিলেন।এবার 'আলোকিত ডানা' বই এর মাধ্যমে লেখনশৈলীর স্বতন্ত্র ধারা আনলেন।
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...