শ্যামল রায়
ভিন্ন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা তাদের বাড়িতে ফিরে আসার সাথে সাথে চিন্তিত পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পেতে চলছে লকডাউন। লকডাউন চলাকালীন ভিন্ন রাজ্যে থেকে যে সমস্ত শ্রমিক এখানে আসছেন তাদের পরীক্ষা করার পরে ধরা পড়ছে কোন ভাইরাসের পজেটিভ। কিন্তু অনেকেই এসে তাদের পরিবারের সাথে মেলামেশা করার পর সমস্যা আরো জটিল হয়ে পড়েছে। কেউ কেউ হোম কোয়ারেন্টাইন এ থাকছেন আবার কেউ বাড়ির মধ্যেই একা থাকলেও মিলামিশা করছেন বাড়ির সকলের সাথে তাই করনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়লে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তারা।
কারণ কালনা কাটোয়া মহকুমা জুড়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের ধরা পড়েছে করোনা ভাইরাস এর পজেটিভ। পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের হামিদপুর গ্রামে একজন পরিযায়ী শ্রমিকের পজেটিভ এবং মন্তেশ্বর ব্লকের স্বামী-স্ত্রীর করোনা পজেটিভ ধরা পড়ায় পুলিশ ও প্রশাসনের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই সকল পর্যায়ে শ্রমিকরা যদি বাড়িতে আসার পর এলাকার মানুষের সাথে অবাধে মেলামেশা করে বেড়ায়। তাহলে এই রোগ আরো ভয়ঙ্কর আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মনে করছে পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তারা।
কারণ পূর্বস্থলী এক নম্বর ব্লকে এখনো ভিন্ন রাজ্যে রয়েছেন প্রায় আড়াই হাজার পরিচয় শ্রমিক। কেউ কেউ বাড়িতে আসার পর হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। যারা বাড়ি ফিরছেন তারা অনেকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলে ইতিমধ্যে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এর কাছে অনেকেই অভিযোগ জানাতে বারবার যোগাযোগ করছেন। যারা বাড়ি ফিরছেন তাদের দ্রুত খবর দিতে হবে এবং পুলিশকে জানিয়ে ওই সকল পরিচয় শ্রমিককে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং পরে হোম কোয়ারেন্টাইন এ পাঠাতেই হবে। না হলে অদূর ভবিষ্যৎ গননা ভাইরাসের পজেটিভ ধরা পড়লে বিপদ মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের কমপক্ষে পাঁচ হাজার শ্রমিক রয়েছেন বিভিন্ন রাজ্যে। হামিদপুর গ্রামে যে পরিযায়ী শ্রমিকের পজেটিভ ধরা পড়েছে এলাকার মানুষ আতঙ্কিত।অন্যদিকে মন্তেশ্বর ব্লকের যে স্বামী স্ত্রীর করোনাভাইরাস পজেটিভ হয়েছে তারাও বোম্বে থেকে বাড়ি ফিরে আসার পর তাদের করো না পজেটিভ ধরা পড়েছে। তাই ভিন্ন রাজ্য থেকে দ্বারা বাড়ি ফিরছেন তাদের উচিত হোম করেনন্টাইন তাই না থাকা এবং দ্রুত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া।এদিন প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়ে দিয়েছেন যে যারা বাড়ি ফিরবেন তাদের দ্রুত করে ১৪ দিনের জন্য থাকতে হবে এবং দ্রুত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। কেউ গোপনে আড়ালে থাকলে দ্রুত পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাদের খবর দিয়ে তাদের হোম করেন এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে দ্রুত।