সোমবার, মে ০৭, ২০১৮

মদ্যপ মোটরবাইক আরোহী পড়লো নয়নজুলিতে

সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব

স্বরূপনগর থানার বিথারী কাট গোলার মোড়ে দুপুর ২টা নাগাদ এক মদ্যপ আরোহী নিয়ন্ত্রন হারিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে নয়নজুলিতে পরে অচৈতন্য-হয়েপরে।স্থানীয়রা ধরাধরী করে তাকে উদ্ধার করে।

নির্বাচনী সেক্টর অফিস হিসাবে প্রস্তুতি স্বরুপনগরে

সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব

আসন্ন ত্রিস্তর গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন আগামী ১৪ই মে অনুষ্ঠিত হবে এই উপলক্ষে স্বরূপনগর ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় মালঙ্গপাড়া কে.সি.বি.ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গনে স্বরূপনগর নির্বাচনী সেক্টর অফিসের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

স্বরুপনগর - বাদুড়িয়ার ইটভাঁটা শ্রমিকদের কর্মবিরতি চলছে

সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব

স্বরূপনগর-বাদুড়িয়া থানার মধ্য অংশে রামচন্দ্রপুর খাসপুর এলাকায় গত ১৬ই এপ্রিল থেকে এলাকার ১৬ টি ইটভাটা অনিদৃষ্টকালের জন্য শ্রমিকদের কর্ম-বিরতী চলছে।শ্রমিক দের নায্য মজুরী আদায়ের জন্য-এই কর্ম বিরতী বলে জানান শ্রমিক সংগঠন (সিটু)র সম্পাদক শংকর কুমার ঘোষ।চলতি মৌসুমে অগ্রীম কোন নোটিশ ছাড়াই শ্রমিক দের এই কর্ম বিরতীতে কয়েক কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলে দাবী করেন উঃ ২৪ পরগনা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি উদয় চন্দ্র মন্ডল।তিনি জানান শ্রমিকরা কর্ম বিরতী না করে কাজের পরিবেশ ঠিক রেখে আলোচনার মাধ্যমে মজুরী ঠিক করা যেত।এখন ইট তৈরীর সময় চলছে। দুই দিন বাদে বর্ষার মৌসুম শুরু হলে এই কাজ ব্যাহত হবে।যার ফলে কাজের সময় শ্রমিকরা কর্ম বিরতী করে মালিক দের ব্যাপকভাবে লোকসানের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

গুড়িয়াহাটি ২ নং অঞ্চলে ভোট প্রচারে মন্ত্রণ রবীন্দ্রনাথ ঘোষ

সুজিত ঘোষ

কোচবিহারে গুঁড়িয়াহাটি -২ অঞ্চলে  পঞ্চায়েত নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ.

রবিবার, মে ০৬, ২০১৮

যৌন হেনস্থার প্রতিবাদে পুরুলিয়ায় জনরোষ বাড়ছে

সঞ্জয় হালদার

আজকেও পুরুলিয়ার জেলার জঙ্গলমহল তথা মানবাজার 2 ব্লক আদিবাসী ও মুলনিবাসীদের মিটিং, মিছিল ও জনসভাতে সরগরম রইলো। গতকাল জঙ্গলমহল এলাকার সুসুনিয়া একলব্য আবাসিক স্কুলে অভিযোগ ওঠে একজন অশিক্ষক গ্রুপ" ডি" কর্মচারী  দীর্ঘদিন যাবৎ নাবালিকা আদিবাসী ছাত্রীদের যৌন হেনস্তা করে আসছিলেন বিভিন্ন কাজের অছিলায়, ভয় ও ভীতি প্রদর্শন করে এবং অনেক সময় জোরপূর্বকও । খবরে প্রকাশ এই রকম নোংরা কাজকর্ম করতে গিয়ে খবরটা জানাজানি হয় যখন একজন আবাসিক ছাত্রী শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে । আর এরেই প্রতিবাদে দোষীদের গ্রেপ্তার ও  শাস্তি প্ৰদান, প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত ,এলাকার বাসিন্দা তথা স্থানীয় বিধায়ক এখন পর্যন্ত স্কুল পরিদর্শনে না আসা ও নির্যাতিতা ছাত্রীদের পাশে না দাঁড়ানো এমন হাজারো অভিযোগ এবং দাবী দাবা নিয়ে আজকেও সুসুনিয়া একলব্য স্কুল সন্নিকট মাঠে " ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল "" জুয়ান মহল ,' "ভারত জাকাত পাঠুয়া গাঁওতা ' ও আদিবাসী একতা মঞ্চের যৌথ উদ্যোগে বিশাল আদিবাসী ও মুলনিবাসী জমায়েত করলো,ও কুস পুত্তলিকা পোড়ানো হয় ।এই মুহুর্তে শাসক ও বিরোধী উভয় রাজনৈতিক দলেদের কাছে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন আগে ।

পথবাতির দাবি লোচনদাস সেতুতে


 মোল্লা জসিমউদ্দিন


 বর্ধমান এবং বীরভূম জেলার সংযোগকারী মঙ্গলকোটের অজয় নদের উপর লোচনদাস সেতুতে পথবাতি লাগানোর দাবি দীর্ঘদিনের।প্রায় এক কিমি বিস্তৃত এই সেতুটি শুধুমাত্র এই দুটি জেলা নয়, উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগকারী মূল সেতু হিসাবে পরিচিত। ৭ নং রাজ্য সড়ক ধরে প্রতিনিয়ত হাজারের বেশি যানবাহন যাতায়াত করে এই সেতুটির উপর।গত দুই বছরে পাঁচের বেশি এলাকাবাসী প্রাণ হারিয়েছেন লোচনদাস সেতু সংলগ্ন এলাকায়।পথবাতি না থাকায় রাতে যেমন এই সেতুর উপর গাড়ী চালালে দৃশ্যমান কম থাকে, আবার নদী থেকে পঞ্চাশ ফুট উপরে থাকায় গাড়ী নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে গেলে হানাহানির সম্ভাবনা বিপুল থাকে।এমনিতেই সন্ধে নামলে সেতুর উপরে ইভিটিজারদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়, মদ্যপদের বাড়বাড়ন্তও কম নয়।অন্ধকারের সূযোগে নানান অসামাজিক কাজকর্ম চলে বলে এলাকাবাসীদের অভিযোগ। তাই মঙ্গলকোটের লোচনদাস সেতুতে পথবাতি দেওয়াটা আবশ্যিক হয়ে উঠছে।তবে ভাতার পূর্ত বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে খুব তাড়াতাড়ি পথবাতি লাগানোর প্রস্তাবনা জেলাপ্রশাসন কে দেওয়া হবে।

দলত্যাগী তৃনমূল নেতাদের ভাগারের মাংসের সাথে তুলনা অভিষেকের

ওয়াসিম বারি

"বিজেপি মানে এখন আর ভারতীয় জনতা পার্টি নেই, বিজেপি মানে এখন ভাগাড় জঞ্জাল পার্টি তে পরিনত হয়েছে"---শনিবার দুপুরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের মাটিয়া হাইস্কুল মাঠে তৃনমূলের এক জনসভায় এসে এ কথাই বললেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । এ দিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, " ভাগাড়ের মাংস নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চর্চা হচ্ছে ।এই ভাগাড়ের মাংসের খবর দেখলে বিজেপির কথা মনে পড়ে যায় ।ভাগাড় মানে পশু মারা গেলে কিংবা পচে গেলে ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া হয় । আমরা যাকে দল থেকে বাদ দিয়ে আবর্জনা তে ফেলে দিয়েছি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বড়ো করার চেষ্টা করছেন" । এছাড়া তিনি আরও বলেন,  আসন্ন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে আপনারা প্রার্থী কে দেখবেন না, সব কটি আসনের প্রার্থীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । জোড়াফুলে ফোট দেওয়া মানে উন্নয়নের পক্ষে ভোট দেওয়া । এদিনের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া উপস্থিত ছিলেন  রাজ্যের খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক,  মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সহ জেলার একাধিক বিধায়ক ও তৃনমূলে র নেতারা।

শনিবার, মে ০৫, ২০১৮

নবদ্বীপে রেলের জায়গা ঘিরে নেওয়ায়, টোটো চালকরা বিপাকে


শ্যামল রায়

নবদ্বীপ ধাম রেল স্টেশন কাউন্টারের পেছনে রেলের জায়গায়  টোটো চালকরা গাড়ি রেখে যাত্রী তুলতেন। এই জায়গা রেল কর্তৃপক্ষ ঘিরে দেওয়ার কাজ শুরু করতে যায় শনিবার।
টোটো চালকদের অভিযোগ যে আমরা দীর্ঘ তিন বছর যাবৎ এই রেলের জায়গায় দাড়ি রেখে যাত্রীদের তুলি। হঠাৎ করে রেল কর্তৃপক্ষ ওই জায়গাটি ঘিরে ফেলতে চেয়ে কাজ শুরু করতে আসে এ দিন। আমরা দাবী করতে থাকি যে এই জায়গা ঘিরে ফেললে টোটো চালকরা কোথায় গাড়ি রেখে যাত্রীদের তুলবেন?এই নিয়ে চরম বিবাদ সৃষ্টি হয় রেল কর্তৃপক্ষের সাথে অটোচালকদের।এর প্রতিবাদে শনিবার টোটো চালকরা সকাল থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত কর্মবিরতির ডাক দেয়।তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের আওতাভুক্ত নবদ্দীপ  টোটো চালক তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা দলবদ্ধভাবে কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণ করে‌।টোটো চালক তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতা সমীর দেবনাথ জানিয়েছেন যে আমাদের এই টোটো স্ট্যান্ডে কমপক্ষে ৬০ জন টোটো চালক রয়েছেন।টোটো ওয়েস্টার্ন করার মত সেরকম জায়গা না থাকার কারণে আমাদের এই রেলের জায়গাতেই টোটো রেখে যাত্রীদের তোলা নামা করতে হয়‌।
এই জায়গাটি ঘিরে ফেলা হলে আমাদের পক্ষে চরম সমস্যা তৈরি হবে। কেননা পাশ দিয়ে রয়েছে দোকান এবং মাঝ বরাবর নবদ্বীপ বাস এষ্টান থেকে কৃষ্ণনগর বর্ধমান যাবার প্রধান সড়ক। টেটু গুলো জায়গার অভাবে যদি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে তাহলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হবে। চরম সমস্যার সম্মুখীন হবেন যাত্রীসাধারণ। তাই এখন আমরা নিজেরাও ভেবে পাচ্ছিনা কোন জায়গায় তত রেখে যাত্রীদের পরিষেবা দেব। এই নিয়ে চরম বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে নবদ্বীপ ধাম রেলস্টেশন চালকদের সাথে রেল কর্তৃপক্ষের।
অথচ রেলের আই ডব্লিউ ডি আধিকারিক দেবব্রত বালা জানিয়েছেন যে টোটো চালকদের সাথে আমাদের শান্তিপূর্ণ সম্মতির ভিত্তিতে আলোচনা শেষ হয়েছে। টোটো চালকরা এই জায়গায় টোটো রাখবেন না বলেও আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন। আর বাদবাকি বিষয়টি টোটো চালকরা ঠিক করবেন তারা কোথা থেকে যাত্রী তুলবেন আর কোথায় টোটো রাখবেন এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই।তাই ভিতরে ভিতরে অটোচালকদের সাথে রেল কর্তৃপক্ষের একটা ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়ে গেল শনিবার থেকে।অন্যদিকে নবদ্বীপ ধাম রেল স্টেশন মাস্টার এস এল সরকার  জানিয়েছেন যে আমরা টোটো চালকদেরকে জানিয়েছিলাম যে রেলস্টেশনের প্রধান গেটের ডানদিকে বড় জায়গা রয়েছে ওখানেই টোটো চালকরা টোটো রেখে যাত্রীদের নেওয়া আশা করতে পারেন। ওখানে যে রিকশা স্থান রয়েছে উভয়ই নিজেরা সম্মতির ভিত্তিতে যাত্রীদের যাতায়াত করানো আলোচনার মধ্যে দিয়ে সহজেই করতে পারতেন কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এখনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি টোটো পরিচালকরা।এছাড়া রেলস্টেশন সংলগ্ন কোথাও সে রকম বড় জায়গা নেই।তবে স্থানীয় বাসিন্দারা এবং যাত্রীসাধারণ বলছেন যে নবদ্বীপ ধাম রেল স্টেশন চত্বর ঘেঁষে একাধিক টোটো সট‍্যানড গড়ে উঠেছে। এছাড়াও একটু এগিয়ে যে নেতাজি স্টেডিয়াম ঢোকার মুখে যে দুটো চালকদের ইউনিয়ন অফিস গুলো রয়েছে এখানে অনেকটা জায়গা রয়েছে টোটো চালকরা ওখানেও টোটো গাড়ি রেখে যাত্রীদের নিয়ে আসা  করতে পারেন বলেও অনেকে সহমত পোষণ করেছেন।
অন্যদিকে রেলস্টেশনের প্রধান গেটের পাশে যে রিকশা স্ট্যান্ড রয়েছে এখানে টোটো স্টান্ট করতে দেবেনা রেলপুলিশ। এই নিয়ে টোটো চালকদের সাথে ও ভেতরে ভেতরে একটা ঠাণ্ডা লড়াই শুরু হয়ে গেছে রেল পুলিশের সাথে‌।তবে এখন টোটো চালকরা কোন জায়গায় গাড়ি রেখে যাত্রী তুলা নামানো করবেন এই নিয়েই উঠেছে নানান প্রশ্ন?
এর সমাধান না হলে যাত্রীদের ক্ষেত্র তৈরি হবে চরম সমস্যা পাশাপাশি দুটো চালকরাও একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে জীবনযাপন করবে বলে অভিযোগ তুলেছেন ।শনিবার রেলের জায়গা থেকে উচ্ছেদ হলো টোটো চালকরা সেই সাথে টোটো চালকরা পালন করল কর্মবিরতি। এই দিয়ে একটা চরম বিবাদ তৈরি হয়েছে টোটো চালকদের সাথে নবদ্বীপ ধাম রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষের।

মমতার মুখোশ পড়ে ভোটের প্রচার মাধবডাঙ্গায়

সোমনাথ চক্রবর্তী

শনিবার ময়নাগুড়ি ২নং ব্লকের মাধবডাঙ্গা এলাকায় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে ১৬/১২৬ ব্যাধ পাড়া বুথের পঞ্চায়েত প্রার্থী অনিমা রায়,পঞ্চায়েত সমিতি প্রার্থী শিবম রায় বসুনিয়া এবং জেলাপরিষদ প্রার্থী গোবিন্দ রায় তাদের নির্বাচনী প্রচার করলেন।এদিন দলীয় সমর্থকদের মুখে মমতা ব্যনার্জীর মুখোশ পড়ে প্রচারে সামিল হন।এলাকার পঞ্চায়েত সমিতি প্রার্থী শিবম রায় বসুনিয়া বলেন আমরা ১০০%নিশিত জিতবই।বিগত দিনে এই এলাকায় ব্যপক উন্নতি হয়েছে।এবারে জিতে আরো এলাকার উন্নতি করবো বলে জানান তিনি।তিনি আরো বলেন চারিদিকে মমতাব্যনার্জীর যে উন্নয়ন তারই নিরিখে মানুষ জোরা ফুল চিহ্নেই ভোট দেবে বলে জানান শিবম বাবু।

গরুর গাড়ীতে ভোটের প্রচার

তথাগত চক্রবর্তী

বীরভূমের মল্লারপুরে গ্রামে গ্রামে  তৃণমূলের গুরুর গাড়িতে চেপে ভোট প্রচার চলছে।এহেন প্রচারে খুশি এলাকাবাসী।

শুক্রবার, মে ০৪, ২০১৮

গত বিধানসভা ভোটে তৃনমূল সমর্থিত নির্দল প্রতীকে সিদ্দিকুল্লাহ দাঁড়ালে এই পরিস্থিতি হতনা


মোল্লা জসিমউদ্দিন



 এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে মঙ্গলকোটের প্রায় দুশো আসনে ( ১৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ১ টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ৩ টি জেলাপরিষদ গুলির সর্বমোট আসন)  একটিতেও প্রার্থীপদ পাইনি স্থানীয় বিধায়কের অনুগামীরা।বিরোধীশুন্যর পাশাপাশি বিক্ষুব্দদের শুন্য হতে হয়েছে মঙ্গলকোটে।একপ্রকার বলা যায় মঙ্গলকোটের রাজনীতিতে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী অধ্যায় ক্রমশ সমাপ্তির পথে।এমন পরিস্থিতি স্থানীয় বিধায়ক তাঁর নিজ বিধানসভা কেন্দ্রে কোন কর্মসূচীতে যেতে পারছেন না।বিধায়কের ভাড়াটে অফিস থেকে বিতাড়িত হয়েছেন তিনি।সবথেকে প্রধান বিষয়, তাঁর হাতেগোনা কয়েকজন অনুগামী ছাড়া কেউ তাঁর পাশে নেই।মঙ্গলকোট ঢুকলে কালো পতাকা প্রদর্শন ,  মহিলাদের ঝাঁটা জুতো দেখানোর গালিগালাজ থেকেও বেশি 'খারাপ' ঘটনা (অপদস্থ) অপেক্ষা করছে তাঁর জন্য।রাজ্যের তিনটি দপ্তরের মন্ত্রী সর্বোপরি রাজ্যস্তরের মুসলিম ধর্মীয়গুরু হওয়া সত্বেও কেন এই পরিস্থিতি সিদ্দিকুল্লাহের?  তাও এমএসডিপি ব্লক হিসাবে স্বীকৃত মঙ্গলকোটে?  শুধুই কি পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনুগামীদের প্রতীক বিলিতে ব্যর্থতা!  না কি আরও অনেককিছু। একাধারে তৃনমূলের শীর্ষস্তরের ষড়যন্ত্র যেমন দায়ী, ঠিক তেমনি মঙ্গলকোটের প্রতি 'দায়সারা' অবস্থানও সমান দায়ী সিদ্দিকুল্লার এহেন পরিণতিতে।তৃনমূলের বিশস্ত সুত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিদ্দিকুল্লাহের তৎকালীন রাজনৈতিক দল পিডিসিআই এর একশো আসনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার রণকৌশল তৃনমূল নেত্রী কে বাধ্য করেছিল - নবান্ন তে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে ডাকতে।বাংলার ত্রিশ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটারদের কথা ভেবে দুটি আসন এবং মন্ত্রিত্বের রফা হলেও তৃনমূল নেত্রী অত্যন্ত কায়দায় তৃনমূল প্রতীক দিয়েছিলেন সিদ্দিকুল্লাহ কে।অর্থাৎ সিদ্দিকুল্লাহের দলের কোন অস্তিত্ব রইল যেমন, ঠিক তেমনি সিদ্দিকুল্লাহ একজন দলনেত্রীর অনুগত কর্মী হিসাবে আত্মসমর্পণ করেছিলেন।এখান থেকেই সিদ্দিকুল্লাহের ব্যক্তিগত কারিশ্মার পতন শুরু হয় বলে রাজনীতিবিদদের দাবি।যদি তৃনমূল সমর্থিত নির্দল হয়ে গত বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়াতেন,  তাহলে দলের অন্দরে এতটা কোণঠাসা হতে পারতেন না সিদ্দিকুল্লাহ।বিষয়টি নিয়ে সেসময় জমিয়ত উলেমা হিন্দের নেতৃত্বর মধ্যে তুমুল বিতর্ক দেখা দিয়েছিল।যদিও সিদ্দিকুল্লাহ সাহেব 'ম্যানেজ' করে ফেলেছিলেন এই বিদ্রোহের সুপ্ত লেলিহান শিখা টি কে।গত বিধানসভা ভোটে নাম ঘোষনার পর থেকেই মঙ্গলকোটের ব্লক নেতৃত্ব সহ স্থানীয় থানার অসহযোগিতার শিকার হতে লাগেন।কৈচরে ব্লক তৃনমূল অফিসে সিদ্দিকুল্লাহ কে হুশিয়ারীও দেওয়া হয় মঙ্গলকোট আসন ছেড়ে মন্তেশ্বর নিতে।নাছোড়বান্দা সিদ্দিকুল্লাহ পরোয়া না করেই ভোটের ময়দানে নামেন সেসময়। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে যেখানে তৃনমূলের লিড ছিল ২৪ হাজার, সেখানে ২০১৬ সালের বিধানসভায় সিদ্দিকুল্লাহের জয় আসে ১২ হাজারে।অর্থাৎ বাকি ১২ হাজার শাসকদলের অন্তর্ঘাতে বিজেপির ঝুলিতে পড়ে।সিদ্দিকুল্লাহের হয়ে যেসময় জনপ্রতিনিধি সহ নেতৃত্ব ছিল।তাদের প্রতি যখন  মঙ্গলকোট থানার পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠে।তখন সিদ্দিকুল্লাহ চুপচাপ হয়ে যান।দাবি,গত দুবছরে পাঁচশোর বেশি বিধায়ক অনুগামী মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন।এরমধ্যে কুড়িজন মত গাঁজার মামলা।এইবিধ মিথ্যা মামলায় ফেঁসে যাওয়ার পরিবারগুলির পাশে আইনি ও আর্থিকভাবে পাশে দাড়াননি স্থানীয় বিধায়ক।একশোর বেশি বিধায়ক অনুগামী জেলে গেছে। যেসব অনুগামীরা কলকাতায় যাতায়াত করতেন, তাদের রাহাজানি খরচ তো দূর অস্ত খাবার খরচও দিতেন না বিধায়ক। এইরুপ দাবি ভুক্তভোগী নিম্নবিত্ত - গরীব অনুগামীদের।যদিও বিধায়ক শিবিরে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।বিধানসভা নির্বাচনে কোনরকম জিতলেও, জেতার পর মঙ্গলকোটে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, ব্লক,  থানা সহ প্রায় অফিসে সর্বাত্মক বয়কটের শিকার হন।এর প্রভাব পড়ে বিধায়ক তহবিলের বার্ষিক ৬০ লক্ষ অনুদান খরচে।স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে পঞ্চায়েত সমিতির সহযোগিতা না থাকলে এই তহবিল খরচ করা কঠিন।২০১১ থেকে ২০১৬ সাল অবধি মঙ্গলকোটের তৎকালীন বাম বিধায়ক ৩ কোটি বিধায়ক তহবিল খরচে সারারাজ্যে প্রথমসারিতে উঠে এসেছিলেন।সেখানে সিদ্দিকুল্লাহ শাসকদলের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী হয়েও বিধায়ক তহবিল খরচ করতে পারেননি।উল্টে টাকা ফেরত যাবার নজির রয়েছে।গত বিধানসভা নির্বাচনে নাম ঘোষনা থেকে পঞ্চায়েত ভোটে শুন্যহাত হওয়া অবধি মঙ্গলকোটে কালোপতাকা যেমন দেখেছেন ঠিক তেমনি ঝাঁটা জুতো হাতে মহিলাদের অশ্রাব্য গালিগালাজ শুনেছেন। এইবিধ ঘটনার অন্তরালে দলেরই বড় অংশের ভূমিকা বারবার ফুটে উঠেছে।অনুগামীদের সুখদুঃখে সেভাবে থাকেননি সিদ্দিকুল্লাহের।পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফেঁসে যাওয়ায় শয়ে শয়ে অনুগামী পরিবারগুলির পাশেও দাড়াননি তিনি।এইবিধ নানান রসায়ন আগামী দিনে মঙ্গলকোটের রাজনীতিতে সিদ্দিকুল্লাহ অধ্যায় কে সমাপ্তি ঘোষনা করতে চলেছে।যদি গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃনমূলের প্রতীক না নিয়ে সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়াতেন। তাহলে এই দু:সময় সিদ্দিকুল্লাহর আসতনা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।এবং সেইসাথে অনুগামীদের পাশে সেভাবে না দাড়ানোয় বর্তমানে মঙ্গলকোটে লোক না খুঁজে পাওয়ার পরিস্থিতিও আদৌও হতনা বলে মনে করছেন অনেকেই।

বৃহস্পতিবার, মে ০৩, ২০১৮

পুরুলিয়ায় জনসভা সারলেন অভিষেক

সঞ্জয় হালদার

পুরুলিয়ার বরাবাজার ইঁন্দ টাঁড় ময়দানে অভিষেক ব্যানার্জির নির্বাচনী জনসভা উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো ও জেলা ব্লক নেতৃত্ব।

খাগড়াবাড়িতে শৌল নদীর উপর সেতু নির্মাণ চলছে

সোমনাথ চক্রবর্তী

ময়নাগুড়ি ব্লকের খাগড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাশিলার ডাঙ্গার কামার পাড়া ও চূড়াভান্ডার অঞ্চলের ঝাঝাঙ্গি বেতপারা এলাকার মানুষজনের দীর্ঘদিনের দাবী ছিলো শৌল নদীর উপর একটি স্থায়ী পাকা ব্রিজের। আগে ছিলো এখানে একটি অস্থায়ি বাঁশের সাঁকো।এই বাঁশের সাঁকো দিয়েই পার হতো জীবনের ঝুকি নিয়ে কয়েকশত মানুষ।এ ছাড়া স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা তো রয়েছেই।অনেক সময় এই ব্রিজ থেকে অনেকে পড়েও গেছেন।সংবাদ মাধ্যমের থেকেও একাধিকবার এখানকার মানুষের স্বার্থে খবরও করা হয়েছে ব্রিজের জন্য।তারই জেরে শৌলি নদীর উপর খাগড়াবাড়ি ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে এবং পিবিজির আর্থিক সহযোগীতায় ২৪ লক্ষ ৩৩ হাজার ৮০ টাকায় ২০ মিটার,লম্বা সেতু তৈরি হচ্ছে।এই সেতুর নির্মান কাজ শুরু হয় ১২ই ডিসেম্বর ২০১৭ থেকে আনুমানিক শেষ হবে জুন মাসের ২০১৮ সালে শেষ হবে বলে জানান গ্রামপঞ্চায়েতের  বিদায়ী উপপ্রধান প্রমোদ মদক।
তিনি আরো জানান এই ব্রিজ হয়েগেলে ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে এপার এবং ওপার গ্রামের প্রচুর মানুষের সুবিধা হবে।সেই সঙ্গে যেহেতু ওই গ্রাম গুলি কৃষিভিত্তিক এলাকা সেই কারনে এখান কার কৃষকদের উৎপাদন শাকসবজি সহ অন্যান্য জিনিসপত্র হাটে বা বাজারে নিয়ে জেতে আগে ঘুরপথে যেতে হতো সেখানে এখন গাড়ি ভাড়া কমে যাবে এবং শাকসবজি হাটে বাজারে নিয়ে যেতে পারবেন খুব সহজেই।
তিনি আরো বলেন এই গ্রামে প্রায় ১৫হাজার লোক বসবাস করেন।এই ব্রিজ হয়ে গেলে প্রতিটি জনগনেরই উপকার হবে।অন্যদিকে এলাকার বাসিন্দা বলরাম সরকার বলেন_এই ব্রিজ এর জন্য আমদের দীর্ঘদিনের দাবী ছিলো যা খুব শীঘ্রই পুরণ হতে চলেছে।তিনি আরো বলেন এই ব্রিজ হয়েগেলে শুধু বাশিলার ডাঙ্গার মানুষজন ই নয় তার সাথে চূড়াভান্ডার,সাপ্টিবাড়ি,সহ বেশ কিছু মানুষের উপকার হবে।তিনি আরো বলেন দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তারা এই ব্রীজের দাবী নিয়ে কোরে এসেছেন অবশেষে এই বর্তমান সরকারের আমলে এই ব্রীজ হতে দেখে সভাবতই খুশি তারা।

পাঁচমুড়া গ্রামের টেরাকোটা শিল্পীরা এখনও আর্থিক অনিশ্চয়তায়


সাধন মন্ডল

বাঁকুড়ার বিখ্যাত  গ্রাম পাঁচমুড়া। এই গ্রামের মানুষজনের হাতের তৈরী মাটির হাতিঘোড়া(টেরাকোটা) আজ বিশ্ববন্দিত শিল্পকর্ম। আজ থেকে প্রায় পাঁচশত বছর আগে কয়েকজন মানুষ শুরু করেন। মন্দিরনগরী বিষ্ণুপুরে  মল্লরাজাদের তৈরী মন্দিরগুলিতে টেরাকোটার শিল্পকর্ম দেখতে পাওয়া যায়। এই শিল্পে যুক্ত বেশ কয়েকজন শিল্পী রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছেন।এছাড়া রাজ্যস্তরের পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পীর তালিকাটাও বেশ
দীর্ঘ।  বংশ পরম্পরায় এই কর্ম করে চলেছেন  বিশ্বনাথ কুম্ভকার, জগন্নাথ কুম্ভকার, বৈদ্যনাথ কুম্ভকার, চন্ডীদাস কুম্ভকার, সৌম্যদীপ কুম্ভকার, ভুতনাথ কুম্ভকার। সহ আরো অনেকেই। এখন  হাতিঘোড়া ছাড়া নানান দৃশ্যাবলী তুলে ধরছেন শিল্পীরা। সেই রকম একজন দুস্হ শিল্পী হলেন ভুতনাথ বাবু।ইনি বতর্মানে  অপুও দূর্গার রেলগাড়ীর দৃশ্য,শকুন্তলা,আদিবাসী নৃত্য, রাসলীলা, এছাড়া টেরাকোটার টাইলস তৈরী করে চলেছেন।তবে শিল্পীদের অভিযোগ আমাদের শিল্পকর্মকে বিশ্বের বাজারে তুলে ধরতে সরকারীভাবে সেরকম কোনো উদ্যোগ নেই। তবে আমরা আশাবাদী  বতর্মান মা মাটি মানুষের সরকার  যেখানে কন্যাশ্রী,যুবশ্রী,রুপশ্রী, সহ নানান প্রকল্প শুরু করেছেন তেমনি কমর্শ্রী প্রকল্প চালু করবেন। তাহলে বিভিন্ন শিল্পকর্মের সাথে যুক্ত থাকা অনেক অসহায় শিল্পী ও শিল্পকর্মের সাথে যুক্ত পরিবার অসহায়তার হাত থেকে মুক্তি পাবে।ভুতনাথ বাবু দীর্ঘ ত্রিশ বছর ধরে এই শিল্পকর্ম করে আসছেন।  তিনি বলেন সরকার এ বিষয়ে একটু নজর দিলে ভাল হয়।

বুধবার, মে ০২, ২০১৮

স্বরুপনগরে বজ্রাহত ১, আহত ১

সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব

২রা মে দুপুর ২টা নাগাদ আকাশে প্রচন্ড মেঘ দেখে মাটে ধান সংগ্রহ করার সময় বজ্রপাতে  স্বরুপনগর এর দত্তপাড়া গ্রামের সাবির হোসেন ঢালী (২০) পিতা মাওঃ আব্দুল গফুর ঢালী, গুরুতর আহত হয়ে মাঠেই অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা শাড়াপুল গ্রামীন হাসপাতালে ভরতি করে। তার অবস্থা আশংকাজনক।অন্য দিকে স্বরূপনগরের বড় বাকড়ায় সঞ্চয়িতা সরকার (২৬) স্বামী মন্টু সরকার বজ্রপাতের ফলে আক্রান্ত হয়ে মাঠে নিহত হয়।সেও ধান সংগ্রহের জন্য অন্যের জমিতে কাজ করছিলো৷

মঙ্গলবার, মে ০১, ২০১৮

কাঁচের প্রতিবিম্বের সামনে কাক

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জী

জানালার কাঁচের উপর পড়েছে নিজের প্রতিবিম্ব । সেই প্রতিবিম্বের উপর ঠোকর দিচ্ছে কাকটি।মঙ্গলকোটের এই ছবি।

মমতার সরকার পূর্ব বর্ধমান থেকে সর্বকালীন বালির রাজস্ব পেতে চলেছে

মোল্লা জসিমউদ্দিন



 অবশেষে বে আইনি বালিখাদান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া অবস্থানের জন্য রেকর্ড আয়ের মুখ দেখতে চলেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা।২০১৮-১৯ বর্ষের মধ্যে অজয় - দামোদর থেকে ২০০ কোটি টাকা আয় হবে বলে জেলা প্রশাসন সুত্রে প্রকাশ।২৪১ টি ঘাটের মধ্যে ২২১ টি বালিরঘাট টেন্ডার জমা পড়েছে।সেখান থেকেই ২০০ কোটি রাজস্ব আদায়ের লক্ষমাত্রা উঠে এসেছে।এর মধ্যে মঙ্গলকোটে ২০ কোটি আসবে।বামজমানায় যেহারে বালিলুট চলত, তাতে বালির রাজস্ব আদায় কোনকালেই কোটি টাকার বেশি সরকারি আয় হতনা।২০১৪ সালে জুন মাসে খন্ডঘোষে বালিখাদান দখল বেদখল ঘিরে তিনজন তৃনমূল কর্মী খুনে তে টনক নড়ে মুখ্যমন্ত্রীর।সেইবছরই ১৫ জুলাই বর্ধমানে শততম প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জেলাপ্রশাসন ও জেলাপুলিশ কে কড়া বার্তা দেন।এরপরে জেলায় আরও তিনটি প্রশাসনিক সভায় কখনও সিআইডির পর্যবেক্ষণ আবার কখনও পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমনশাখার তদন্তর হুশিয়ারীও দিয়েছিলেন।আর এতেই পূর্ব বর্ধমান জেলার অজয় -দামোদর  নদী ঘিরে কোটি কোটি টাকা লুটের রাস্তা বন্ধ হয়।এমনকি গত মাসের আউশগ্রামের শিবদায় প্রশাসনিক বৈঠকে দক্ষীন বর্ধমানের এক ওসি কে বালিপাচারে অবস্থান জানতে চেয়ে বে আইনি বালিখাদান কারবার রুখতে সক্রিয়তা দেখান মুখ্যমন্ত্রী। ২০১১ সালের পর বালির কারবার নিয়ে পূর্ব বর্ধমানে দশের বেশি শাসকদলের নেতা কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।পুলিশ প্রশাসন সক্রিয়তা না দেখালে বালিলুট কে কেন্দ্র করে হানাহানি বেড়েই চলবে।সেজন্য মুখ্যমন্ত্রী সেচ, ভূমি এবং পুলিশের কাছ থেকে পৃথক রিপোর্ট নেন, সেখানে পরস্পরবিরোধী রিপোর্ট থাকায় সিআইডি কে অনুসন্ধানে নামান মুখ্যমন্ত্রী। যে চক্র দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, তা ভাঙ্গতে প্রশাসনের আধিকারিকদের নানান সমস্যায় পড়তে হয়।কাটোয়ার চরকি ব্রিজের নিচে বিশেষ এক অভিযানে গেলে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বিপ্লব সরকার আক্রান্ত হন।এতে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠে।বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সমস্ত আমলা পুলিশের কিছু ওসি/আইসির ভূমিকা নিয়ে নবান্নতে স্মারকলিপিও দেন।পুলিশের তরফেও অভিযোগ ছিল কয়েকজন প্রশাসনিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে।সেসময় মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ ও প্রশাসন কে একযোগে বালির রাজস্ব আদায়ের নির্দেশ দেন।এখান থেকেই মিলে সাফল্য।অজয় - দামোদর - ভাগীরথী নদীগুলিতে বালিঘাটের টেন্ডার ডাকা হয়।২৪১ টি বালিঘাটের মধ্যে ২২১ টি নিলাম হয়েছে।সেখানে আয়ের লক্ষমাত্রা রাখা হয়েছে ২০০ কোটি টাকা।ইতিমধ্যে ৫ কোটি টাকা জমা পড়েছে তাতে।এখনও পর্যন্ত যা সর্বকালীন আয় হচ্ছে বালির রাজস্ব আদায়ে।নিলাম না হওয়া ২০ টি বালিঘাটে রাস্তা নিয়ে সমস্যা রয়েছে।এইরুপ মঙ্গলকোটের বেশকিছু বালিঘাট রয়েছে।জেলা ভূমি আধিকারিক প্রনব বিশ্বাস বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলকোটে মহকুমাশাসক সহ পুলিশের আধিকারিকদের নিয়ে কয়েকবার বৈঠক করেছেন। তাতে গ্রামবাসীদের ক্ষোভ এখনও মিটেনি।তবে পূর্ব বর্ধমানে ২০০ কোটি টাকা বালি থেকে রাজস্ব আদায়ে যে কার্যকরী ভূমিকা পুলিশ ও প্রশাসন নিয়েছে, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর খুশি হওয়ার কথা।জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে,  বালির রাজস্ব আদায়ের অর্থ জেলায় বিভিন্ন উন্নয়নকাজ করতে লাগানো হবে।

ভোট বড় বালাই, মুক্তির অপেক্ষায় ছত্রধর

সঞ্জয় হালদার

অবশেষে দীর্ঘ বন্দী জীবন কাটিয়ে মুক্তি পেতে চলেছেন লালগড় আন্দোলনের নেতা এবং তদানিন্তন সময়কার সংবাদের শিরোনামে থাকা ছত্রধর মাহাত ।  ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৮, প্রায় ন’বছর পর লালগড় আন্দোলনের নেতা ছত্রধর মাহাতোকে জেল থেকে মুক্তি দিতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার। লালগড় থানার একটি মামলায় সন্ত্রাসদমন আইনে বা ইউএপিএ-তে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ছত্রধর এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বন্দি।

সোমবার, এপ্রিল ৩০, ২০১৮

কেতুগ্রামে জোড়া খুনে যাবৎজীবন ৬ জনের


শ্যামল রায়

কাটোয়া মহকুমার কেতুগ্রামে গলার নলি কেটে দুই মহিলাকে খুন করার অপরাধে  যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল কাটোয়া মহকুমা আদালত।সোমবার কাটোয়া মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ সন্দীপ ঘোষ এই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন‌। অভিযুক্তরা হলেন কৃষ্ণ কান্ত ধর বিমল সাহা নারায়ন থান্ডার অষ্টম ঘোষ বিপ্লব সাহা ও রাজেশ হাজরা। এদের প্রত্যেকের বাড়ি কেতুগ্রাম থানার অন্তর্গত কানদরা গ্রামে।সৌমিত্র পালের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও কোনো প্রমাণাদি না থাকায় বেকসুর খালাস পেয়ে যান ।জানা গিয়েছে যে ২০১১  সালের পয়লা অক্টোবর তারিখে কানদরা গ্রামে এক ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ডাকাতি করতে এসে বাড়ির গৃহকর্ত্রী চিনে ফেলায় গলার নলি কেটে খুন করে রেখা রানী রায় কে।ডাকাতরা রেখা রানী রায় কি গলার নলি কেটে খুন করে বাড়ি থেকে বের হবার সময় এই ঘটনা দেখে ফেলেন ভাড়াটিয়া গৌরী মাঝি। তখন গৌরী মাঝে কেউ গলা কেটে খুন করে দুষ্কৃতীরা। পরপর দুজন মহিলার নৃশংস খুনের ঘটনা ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। কেতুগ্রাম থানার পুলিশ তদন্ত নেমে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। মামলা চলার পর শনিবার অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে কাটোয়া মহকুমা আদালত। সোমবার দোষীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER