গৌতম সরকার
চ্যাংড়াবান্ধা,জীবনের প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই বাজিমাত করলেন কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ ব্লকের রানীরহাট গ্রামপঞ্চায়েতের তিন কন্যাশ্রী প্ৰার্থী।এই গ্রামপঞ্চায়েতের তিনটি আসনে এবার তৃণমূলের টিকিটে লড়েছিলেন তিন কন্যাশ্রী প্রার্থী সীমা মন্ডল,শান্তনা অধিকারী এবং এবং মমিতা রায়।তারা তিনজনই কন্যাশ্রী প্রাপক।বৃহস্পতিবার বার ফল ঘোষণার পরেই দেখা যায় তিন কন্যাশ্রী প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়ী হন।ফল প্রকাশের পর তার বলেন এই জয় কন্যাশ্রীর জয়।মুখ্য মন্ত্রীর স্বপ্নের এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে তারা নিজেরা যেমন খুশি তেমনি এই প্রকল্প খুবই যথাযথ বলে তারা মনে করেন।মা মাটির মানুষের সরকারের কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা জীবনের প্রথমবারই তৃণমূলের টিকিটে লড়াইয়ে নামেন।মানুষ তাদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছেন।তাই মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করাই তাদের অন্যতম লক্ষ্য বলে জানান।জানাগেছে সীমা ৩৮৫ ভোটের ব্যবধানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্ৰার্থীকে হারিয়েছেন।শান্তনা জয়ী হয়েছেন ৪৫০ ভোটে।অন্যদিকে ২৪২ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন মমিতা রায়।১৩ আসন বিশিষ্ট এই রানীরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতে ১২ টি আসন তৃণমূলের দখলে গিয়েছে।১ টি আসনে বিজেপি জয় পায়।গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধান দুটি পদই তফসিলি মহিলা সংরক্ষিত।তৃনমুল সূত্রের খবরানুযায়ী এই তিন কন্যাশ্রী প্রার্থী এই দুটি পদের জোরালো দাবিদার।তিন কন্যাশ্রী প্রাপকের মধ্যে শান্তনা বিবাহিতা।বাকী দুজন কলেজ পড়ুয়া।অর্থাৎ একজন সংসার সামলে ও বাকি দুজন পড়াশোনা সামলে ভোটের ময়দানে নেমে সফল হয়েছেন।এই সফলতাকে মানুষের জন্য কাজে লাগাতে চায় এই তিন কন্যাশ্রী।তাদের নিকট প্রত্যাশাও রয়েছে অনেকের।এই তিন প্ৰার্থীর জয়ে দারুন খুশি স্থানীয় তৃনমুল কংগ্রেস নেতৃত্বও।দলের রানীরহাট অঞ্চল কমিটির সভাপতি উৎপল রাউৎ বলেন" সত্যিই এই তিন কন্যাশ্রী আমাদের দলের গর্ব।"