শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ০৭, ২০২০

রেলের গতি বাড়াতে বর্ধমান কাটোয়া রুটে বন্ধ হচ্ছে বেশকিছু রেলগেট

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  
 এবার বর্ধমান-কাটোয়া রেলপথে বন্ধ হতে চলেছে ৬/৭ টির মত রেলগেট।উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিকল্প রেলরুট হিসাবে এটি কে প্রস্তুত করার জন্য এহেন প্রস্তাবনা রেলদপ্তরের।    অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল এলাকার মধ্যে নয়, এমন রেলগেটগুলি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে  পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশন কর্তৃপক্ষ । মাস খানেক পূর্বে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীদের  সঙ্গে কথা বলে জেলা প্রশাসনকে এ বিষয়ে নি রিপোর্ট পাঠাতে বলেছে রেলের হাওড়া ডিভিশন। জেলা প্রশাসন এই রিপোর্ট  পাঠানোর পরেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রেলবিভাগ । কোথাও রেলগেট পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আবার কোথাও আন্ডারপাস তৈরি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে ।পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যম কে জানিয়েছেন  - "এখন রেলগাড়ীর  চাপ কম রয়েছে, বেশকিছু  রেলগেট বন্ধ করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে আরও রেলগেট বন্ধ করা হবে।'' জানা গেছে ৬ থেকে ৭ টি রেলগেট বন্ধ হতে চলেছে।   জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা প্রকাশ , ৫৬ কিমির বর্ধমান-কাটোয়া রেললাইনকে 'বিকল্প রুট' হিসেবে ভাবতে শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। ফলে, ওই লাইনের উপরে থাকা প্রায় রেলগেট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্ধমান কাটোয়া 'সিঙ্গল' লাইন হলেও রেলকর্তৃপক্ষ বিকল্প রেলপথ হিসেবে ভাবতে শুরু করে দিয়েছে। এই লাইনকে কাজে লাগাতে পারলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের  যোগাযোগের বিকল্প রেলপথ তৈরি হবে। দ্রুত গতির ট্রেন চালানোর জন্য রেলগেট বন্ধ করে আন্ডারপাস তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বর্ধমান কাটোয়া  রেল রুটের ভাতারের।বলগোনা থেকে বর্ধমান পর্যন্ত ১৫টি রেলগেট রয়েছে। তার মধ্যে কম গুরুত্বপূর্ণ এমন ছ'টি রেলগেট বন্ধ করে 'আন্ডারপাস' তৈরির কাজ শুরু হয়েছে সম্প্রতি। 


বন উৎসব শুরু হয়েছে কাঁকসায়

সেখ নিজাম আলম
  বৃহস্পতিবার    বনবিভাগ দক্ষিণ পূর্ব চক্রের পরিচালনায় ৬ ও ৭ ই ফেব্রুয়ারি কাঁকসা ব্লকের রঘুনাথপুর বনবান্ধব উৎসব পালিত হলো ম।উদ্বোধন করেন বনদপ্তর মন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ,আউশগ্রাম বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার, আউশগ্রাম ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হায়দার আলি, পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাধিপতি শম্পা ধারা প্রমূখ। জানা যায় উক্ত অনুষ্ঠানে হাঁস,মুরগী,ছাগল ও শুকর বিতরন করা হয়।

গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য বকুলতলায়

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়
  
জয়নগর : এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ালো । ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে জয়নগর ২ নং ব্লকের বকুলতলা থানার সাহাজাদাপুর গ্রামে। বকুলতলা থানার সাহাজাদাপুর অঞ্চলের সাহাজাদাপুর গ্রামের  বাসিন্দা সুপ্রকাশ হালদারের  সঙ্গে প্রেম ভালোবাসা করে গত চার বছর আগে বিয়ে হয় পায়েল হালদারের। তিন বছর আগে  তাদের একটি পুত্র সন্তান হয়েছিল। পায়েলের বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, প্রেম ভালোবাসা করে বিয়ে করার জন্যই তাঁরা প্রথমে মেনে নেন নি এই সম্পর্ক। পরে মেয়ের কথা ভেবে তাঁরা মেনে নিয়ে ছিলেন, কিন্তু বিয়ের পর থেকে জামাই কোনো কাজ করত  না এবং নানাভাবে তাঁর মেয়ের উপর জামাই ও তাঁর পরিবারের সবাই অত্যাচার চালাতো  এমনটাই অভিযোগ পায়েলের বাপের বাড়ীর লোকে দের। তাঁরা আরো জানালেন,প্রায় সময় বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিত মেয়েকে, গরিব মানুষ হয়ে ও যতটুকু সম্ভব তাঁরা সাহায্য করেছেন কিন্তু বুধবার  রাতে  তাদের কাছে খবর আসে তাদের মেয়ে বিষ খেয়েছে, পায়েলের বাবার দাবি তাদের মেয়েকে পিটিয়ে মেরে মুখে বিষ ঢেলে দেওয়া হয়েছে। মৃতার বাবা অশোক দাস ও মা  মীরা দাস অভিযুক্ত জামাই ও তাঁর পরিবারের লোকেদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছেন। বকুলতলা থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে   মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য  পাঠিয়েছেন। তবে ঠিক কীভাবে ওই গৃহবধূ মারা গেল সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে বকুলতলা থানার পুলিশ । 

বাদুড়িয়ায় তৃণমূলের মৌন মিছিল

ওয়াসিম বারি
  
উত্তর 24 পরগনা জেলার বাদুড়িয়া টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে আজ বাদুড়িয়ার রাজপথে NRC,CAA ও NPR এর বিরুদ্ধে বাদুড়িয়া তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তুষার সিং এর নেতৃত্বে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌনমিছিলে পুরুষ ও মহিলা সহ কয়েক হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা বাদুড়িয়ার রাজপথে।

লাশ উদ্ধারে চাঞ্চল্য বান্দোয়ানে

সঞ্জয় হালদার
  
পুরুলিয়া জেলার বান্দোয়ান থানার বান্দোয়ান বাই পাস রোডের চিলার জোড়ে এক ব্যক্তির মৃত দেহ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল।স্থানিয় সুত্রের খবর ভোরবেলা এলাকার বাসিন্দারা জলের মধ্যে একটি দেহ ভাসতে দেখে স্থানিয়রা থানায় খবর দেয়,পরে পুলিস এসে দেহটাকে জল থেকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে ময়না তদন্তের জন্য পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। উক্ত ব্যক্তির নাম কমল মাহাত বয়স আনুমানিক ৪৫ পিতা সত্য মাহাত বাড়ি বান্দোয়ান থানার মধুপুর গ্রামে।

বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ০৬, ২০২০

বাংলার প্রথম ক্যাবার ডান্সার মিস শেফালী চলে গেলেন

রাজকুমার দাস  

দীর্ঘদিন ধরেই কিডনী সমস্যায় ভুগছিলেন।আজ সকল ৬টায় শেষ মেষ জীবন যুদ্ধে হেরে গেলেন এক সময়ের সত্তর দশকের যুব তরুণের কাছে হার্টথ্রব তথা বাংলার প্রথম কাব্যারে ড্যান্সার ও অভিনেত্রী মিস শেফালী।তার আসল নাম ছিল আরতি দাস।তখনকার দিনে কাব্যারে ড্যান্স করাটা সমাজের চোখে ছিল অনেকটাই ভ্রু কোচকানো ।ভালো চোখে কেউ নিত না। তখন বলিউড এ হেলেন এর নাচ ,কিন্তু কলকাতার নাম উঠলেই মিস শেফালী।চির যৌবনের এক অধ্যায়।তার নাচের গুনে আবদ্ধ তখনকার কিশোর থেকে যুবক সকলেই।তাই তো তিনি শুধু ওখানেই থেমে ছিলেন না,সাথে সাথে অভিনয় করেছেন বেশ কিছু বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রে।সত্যজিৎ রায়ের সাথে প্রথম কাজ করেন "প্রতিদ্বন্ধি"-(১৯৭০)ছবিতে।পাশাপাশি "সীমাবদ্ধ"(১৯৭১),"রাজ বধূ"(১৯৮২),"পেন্নাম কলকাতা"(১৯৯২)প্রমুখ।
হিন্দী ছবির মধ্যে উল্লেখনীয় 
"গাঁওয়ার","শরাফত","আগ আউর দাগ"(১৯৭০),"ব্রহ্ম বিষ্ণু মহেশ্বর","কারাভান","লাল পাত্থর"(১৯৭১),"শোর"(১৯৭২),"পিয়াসী নদী","ব্ল্যাক মেল","গদ্দার",(১৯৭৩),"মনোরঞ্জন","কল গার্ল","মোদহোশ ",(১৯৭৪),"বুলেট"(১৯৭৬),"হাত্যারা","হাম কিসিসে কম নেহি"(১৯৭৭),"রাম বলরাম"(১৯৮০)প্রমুখ ছবিতে তার অভিনয় ও নাচ দুই দেখেছে দর্শকরা।
একটা সময় নাটকে ও তার বিচরণ ছিল।সেই সময় "সম্রাট ও সুন্দরী","সাহেব বিবি গোলাম","ও "অশ্লীল"-নাটকে অভিনয় মানুষের মুখে মুখে ঘুরতো।
উত্তম কুমারের সাথে ও ছিল তার ভালো সম্পর্ক।

একটা সময় কলকাতার  সন্ধ্যায় মিস শেফালী কে রাতপরি বলা হতো।
সেই মানুষটির আজ প্রায় ৭৬বছর বয়সে কিডনী র সমস্যায় আমাদের ছেড়ে অচিন দেশে পাড়ি যা সত্যিই বেদনা দায়ক।তার মৃত্য সত্যি একটা যুগের অবসান।তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি।

বুধবার, ফেব্রুয়ারী ০৫, ২০২০

প্রাথমিক শিক্ষকদের বদনাম ঘোচাতে উদ্যোগ নিল বাঁকুড়া প্রশাসন



সাধন মন্ডল

  পথ দেখাচ্ছে বাঁকুড়া। একসময় বাঁকুড়া জেলার একটা বদনাম ছিল পিছিয়ে পড়া জেলা বাঁকুড়া।  বাঁকুড়া শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে আজ কয়েক বছর ধরেই মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় খুব ভালো রেজাল্ট করে দেখিয়ে দিচ্ছে বাঁকুড়া পিছিয়ে নেই   রামকিঙ্কর বেইজ,  যামিনী রায়,  রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের বাঁকুড়া। শিক্ষা-সংস্কৃতি এগিয়ে চলেছে বাঁকুড়া। বাঁকুড়া র  প্রাথমিক  শিক্ষায় আরোএকটি পালক যোগ করলেন বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সংসদ সভাপতি  ডক্টর রিঙ্কু বন্দোপাধ্যায়। তাঁর উদ্যোগে সরকারের শিক্ষা বিভাগের সহযোগিতায়  সারা রাজ্যের মধ্যে প্রথম বাঁকুড়া জেলায় বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাজিরা ব্যবস্থা চালু করলেন বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ।  আজ বাঁকুড়া শহরের পাচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ব্যবস্থা চালু হলো। এই উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন শিক্ষা সংসদ বিদ্যা ভবনের সভাকক্ষে। এই বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিনের উদ্বোধন করেন বাঁকুড়ার জেলা শাসক ডক্টর উমাশঙ্কর এস, উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, অতিরিক্ত জেলাশাসক,  জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সচিব জগবন্ধু ব্যানার্জি, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সহ বিশিষ্ট মানুষজন। বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবস্থা চালু করে সংসদ সভাপতি ডক্টর রিঙ্কু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন আমাদের জেলার শিক্ষক-শিক্ষিকারা যথেষ্ট সুনামের সাথে শিক্ষকতার কাজ করেন তার মধ্যেও দুই একজনের জন্য আমাদের জেলার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সময়ে হাজিরা নিয়ে বদনাম শোনা যায়, যাতে সেই বদনামের আর কোন রাস্তা না থাকে তার জন্যই এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। প্রথম ধাপে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আমরা বাঁকুড়া শহরের পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ব্যবস্থা চালু করলাম আগামী দিনে ধাপে ধাপে জেলার সব কটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে। এই ব্যবস্থা চালু হওয়ায় খুশি শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে অভিভাবক অভিভাবিকা বৃন্দ।নজির গড়ল বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক  শিক্ষা সংসদ। অভিভাবক চিন্ময় পণ্ডা বলেন  খুব ভালো উদ্যোগ ।  অভিনন্দন  ম্যাডামকে। উনাকে দেখেছি উনি কাজের মানুষ। কোনো শিক্ষকের নামে শিক্ষাদান ও হাজিরা নিয়ে বদনাম হওয়া উনি পছন্দ  করেন না।সারা জেলায় এই ব্যবস্হা চালু হলে শিক্ষকদের নিয়ে এই বদনাম ঘুচবে।।

মেমারির এই যাত্রী প্রতিক্ষালয়ে চলে অসামাজিক কাজ

সেখ সামসুদ্দিন
 
যাত্রী প্রতীক্ষালয় এখন অপকর্মের ঠেক। পাল্লারোড এলাকায় বাস ট্রেকার যাত্রীদের সুবিদার্থে পাল্লা রোড কলানবগ্রাম পাল্লার ৩ মাথার মোড়ে প্রাক্তন বিধায়ক তহবিল থেকে বেশ কয়েক বছর আগে ১টি যাত্রী প্রতিক্ষালয় তৈরী করা হয়। কিন্তু দু:খের বিষয় প্রতিক্ষালয়টিতে আলোর ব্যবস্থা না থাকায় রাতের অন্ধকারে দু:স্কৃতিদের অত্যাচারে নোংরা হয়ে যাত্রী অপেক্ষার অযোগ্য জায়গা হয়ে উঠেছে। নিয়মিত পরিস্কারের ব্যবস্থা না থাকায় ধুলো বালি নোংরাতে ভরে আছে ঘরটি, রাতের অন্ধকারে বসছে মদ জুয়ার আসর, নানা অপকর্মের আদর্শ জায়গা দু:স্কৃতিদের কাছে এটি এখন। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সাধারণ মানুষের একান্ত অনুরোধ এই যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি নিয়মিত পরিস্কারের ব্যবস্থা করা হোক, সাথে রাতে আলোর ব্যবস্থা করলে বন্ধ হতে পারে অপকর্ম।এই ব্যাপারে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কাম্য।

শালবনীর পঞ্চায়েত সমিতির ফুলের বাগান

শালবনি পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে তৈরী ও পরিচৰ্জিত শৈশব উদ্যান ( পার্ক ) শীতকালীন ফুলের সৌন্দর্যে পূর্ণ 

মেহেদিবাগানে মদ জুয়ার বিরুদ্ধে সভা

সানি প্রসাদ
 
 বর্ধমান শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ড মেহেদিবাগান মদ গাজা জুয়া এবং অসামাজিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয় | এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন আইসি বর্ধমান থানা পিন্টু সাহা,  বর্ধমান শহরের বিশিষ্ট সমাজসেবী খোকন দাস,জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি ইফতেখার আহমেদ,সমাজসেবী যজ্ঞেশ্বর দাস বৈরাগ্য,আইনজীবী অসিত ঘোষ প্রমুখ |

হিংসা রুখতে শ্রীচৈতন্য এর বাণী ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ গৌড়ীর মিশনের

হিংসা রুখতে শ্রীচৈতন্যের বাণী ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ গৌড়ীয় মিশনের

রাজকুমার দাস   
বর্তমান সময়ে হিংসা ও হানাহানি রুখতে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর দেখানো পথ এবং বিশ্বভাতৃত্ব, শান্তি ও বিমল প্রেম দর্শনের বার্তা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে কলকাতার বাগবাজার গৌড়ীয় মিশন আয়োজন করেছে 7 দিনের শ্রীচৈতন্য জন্মোৎসব ও মেলা। বাগবাজারের ভগিনী নিবেদিতা উদ্যান থেকে আগামী 10 ফেব্রুয়ারি দুপুর দুটো নাগাদ এক বিরাট বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও নগর সংকীর্তন শুরু হবে। যেটি বাগবাজার স্ট্রীট, বিবেকানন্দ রোড, বিধান সরণি, গিরিশ পার্ক, বি কে পাল এভিনিউ হয়ে ভগ্নি নিবেদিতা উদ্যানে এসে শেষ হবে ।এরপর সেখানে নানা ধর্মীয় আলোচনায় অংশ নেবেন বিশিষ্ট মানুষরা। 
গৌড়ীয় মিশনের আচার্য ও সভাপতি বিষ্ণুপাদ পরমহংস শ্রীমদ  ভক্তি সুন্দর সন্ন্যাসী মহারাজ বলেন, 
বাগবাজার ভগিনী নিবেদিতা উদ্যানে দীর্ঘ 7 দিন ব্যাপী নানা আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও, গান, নাটক, আবৃত্তি, বসে আঁকো প্রতিযোগিতা,কুইজ সহ নানা অনুষ্ঠান থাকছে শ্রীচৈতন্যের আদর্শে যুবসমাজকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ।মেলায় ধর্মীয় ভাবাবেগকে তুলে ধরতে বিভিন্ন সংস্থা স্টল নিয়ে হাজির এই মেলায়।

মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ০৪, ২০২০

শিক্ষিকা কে বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করন নায়ার রাধাকৃষ্ণন এর ডিভিশন বেঞ্চে দ্রুত শুনানি চেয়ে রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় নামে এক আইনজীবী রক জনস্বার্থ মামলা দাখিল করেন। সেখানে গঙ্গারামপুর এলাকার দুই মহিলা কে প্রকাশ্যে দড়ি বেঁধে মারধর করা ভিডিও কান্ডে হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়। বিষয়টি শুনে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ দ্রুত রিপোর্ট তলব করে জেলা লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির কাছে। সেইসাথে এই রিপোর্ট তলব টি স্টেট লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির চেয়ারম্যান কেও অবগত করা হয়েছে। এদিন মামলার শুনানিতে আবেদনকারী আইনজীবী এজলাসে সওয়ালে জানান - 'যেভাবে দিনের আলোয় দুই মহিলা হাতে পায়ে দড়ি বেঁধে টেনে যাওয়া হচ্ছে। সেইসাথে লাঠিপেটা করা হয়েছে। তা মধ্যযুগীয় বর্বরোচিত ঘটনা। এতে শাসক দলের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা যুক্ত। কোন ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়নি। চরম আতঙ্কে রয়েছেন ওই দুই নির্যাতিতা মহিলা '। উল্লেখ্য মারধরের ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল ভিডিও হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। যদিও এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জেলা তৃনমূলের তরফে অভিযুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অমল সাহা কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিজেপির পক্ষে এই সাময়িক বরখাস্ত করার ঘটনা কে 'আই ওয়াশ' বলে দাবি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই উপপ্রধান সহ চারজনের বিরুদ্ধে গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে আক্রান্ত মহিলাদের পক্ষে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরে গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর অঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ বিকাশ সড়ক যোজনার ২৪ ফুটের এক রাস্তা নির্মাণ নিয়ে ঘটনার সুত্রপাত। নিজ জায়গার উপর রাস্তা করা যাবেনা - এই দাবি কে সামনে রেখে স্মৃতিকণা দাস নামে এক শিক্ষিকা প্রতিবাদ জানায়। ওই শিক্ষিকা স্থানীয় বিজেপি সমর্থক হওয়ায় শাসক দলের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে বচসা আরও তীব্রতর হয়। অভিযোগ, উপপ্রধান অমল সাহার নেতৃত্বে কয়েকজন ওই শিক্ষিকা সহ তার ছোট বোন কে প্রথমে খুটিতে বেঁধে লাঠিপেটা, পরে  হাতে পায়ে দড়ি বেঁধে টানাহেঁচড়া করে মারধর চালানো হয়। পুরো ঘটনাটি ভিডিও করে স্থানীয় কয়েকজন ফেসবুক - হোয়াটসঅ্যাপে ভাইরাল করে দেয়। আর এতেই সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় নামে এক আইনজীবী দ্রুত হস্তক্ষেপ চেয়ে শুনানির আবেদন করেন। তাতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ পুরো ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির কাছে গঙ্গারামপুর কান্ডে দ্রুত রিপোর্ট তলব করে থাকে।                                                                                                                                                                              

আইনজীবীর উপর হামলার মামলায় শিয়ালদহ আদালতে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড রায়দান ,


আইনজীবী কে খুনের চেস্টা, ৭ বছরের সশ্রমকারাদণ্ড

মোল্লা জসিমউদ্দিন  
এক আইনজীবী ও তার স্ত্রী কে পাথর মেরে খুনের চেস্টা করার মামলায় শিয়ালদহ আদালতে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের রায়দান ঘটলো। শুধু ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড নয় ২০ হাজার টাকার জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত দুমাসের সশ্রম কারাদণ্ডর উল্লেখ্য রয়েছে। গত শনিবার শিয়ালদহ আদালতে বিচারক জীমূতবাহন বিশ্বাসের এজলাসে এই মামলার রায়দান ঘটে। বিজয় ছেত্রী নামে ওই আসামি ইতিমধ্যেই জেল হেফাজতে রয়েছে। আদালত সুত্রে প্রকাশ, গতবছর ১৯ ফেব্রুয়ারি তাপসকুমার শাসমল নামে এক আইনজীবী সস্ত্রীক ব্যারাকপুর রেলওয়ে স্টেশনে প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিলেন ট্রেন ধরবার জন্য।সেসময় দুজন দুস্কৃতি  অল্পবয়সী মহিলা যাত্রীদের উপর  ইভটিজিং করছিল। ওই আইনজীবী ঘটনার প্রতিবাদ করায় রেললাইনে ফেলে মারধর চালায় দুস্কৃতিরা। পাথর মেরে খুনের চেস্টা করা হয়। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় আইনজীবীর। কানে - মাথায় দশের বেশি সেলাই পড়ে। দমদম জিআরপিতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় দুজন দুস্কৃতির বিরুদ্ধে। এই মামলায় প্রথমভাগে গ্রেপ্তার হয় মূল অভিযুক্ত বিজয় ছেত্রী। এই মামলায় ৯ জন সাক্ষ্য দেয়। শনিবার দুপুরে শিয়ালদহ আদালতে বিচারক জীমূতবাহন বিশ্বাসের এজলাসে এই মামলার রায়দান ঘটে। যেখানে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকার জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত দুমাসের সশ্রম কারাদণ্ড রায় দেন বিচারক।                                                                                               

সাফাইকর্মীদের পরিশ্রমে স্বচ্ছ কলকাতা বইমেলা

প্রসেনজিৎ রায়

  ( বিধাননগর):--প্রথম রবিবারের ঠাসা ভিড় সামাল দেওয়ার পর বইমেলা চত্বর এখন খানিক ক্লান্ত। মেলা প্রাঙ্গণ পরিষ্কার রাখার জন্য সাফাইকর্মীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টার ছবিটি যেমন চোখ এড়িয়ে যায় না, তেমনই দৃষ্টি আকর্ষণ করে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অপর একটি নজির। দুপুর গড়িয়ে গেলেও উজ্জ্বল রোদেও চালু রয়েছে আলোকসজ্জা।  বিদ্যুৎ বাঁচানো সচেতন মানুষের কাজ। বইমেলা অবশ্যই শিক্ষা ও চেতনার বার্তাবাহী। প্রাঙ্গণের অনতিদূরে বিদ্যুৎ ভবন থাকা সত্বেও অনাবশ্যক আলোকসজ্জার দিবালোকে চালু হয়ে থাকাটা গাফিলতিকেই প্রতিফলিত করছে। এইভাবে বিদ্যুৎ অপচয় যাতে না ঘটে সে মর্মে সচেতন হওয়া দরকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। প্রতিবেদনে যুক্ত আলোকচিত্র ৩রা ফেব্রুয়ারি সকাল এগারোটা নাগাদ তোলা।

কুমুদ সাহিত্য মেলায় নজরুল - লোচনদাস দের স্মরণে সম্মান

মোল্লা জসিমউদ্দিন (সম্পাদক কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি)       
আপনারা আছেন বলেই আমরা এগিয়ে চলি অবিরত 

মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর  জন্মদিন  উপলক্ষে গত দশ বছর ধরে আমরা প্রথম পয্যায়ে সাহিত্য আসর, শেষ পয্যায়ে সাহিত্য মেলা করে চলেছি। ওইদিন শুধু পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক কে স্মরণ করে সম্মান জানানো নয়, মঙ্গলকোট যাঁদের স্মৃতিভূমি সেইসব ব্যক্তিত্বদের স্মরণে সম্মান জানায়। বৈষ্ণব কবি লোচন দাস  থেকে বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলাম। প্রত্যেকেরই অতীত রয়েছে এই মঙ্গলকোটে। শুধু বিশ্ব বাঙালি খ্যাত নয় স্থানীয়গত দিক দিয়ে অখ্যাত ব্যক্তিদের স্মরণেও আমরা সম্মান জানিয়ে থাকি। প্রত্নবিদ কেশব বন্দ্যোপাধ্যায় আমার খুব কাছের মানুষ ছিলেন। আজ তিনি নেই, তবে আমরা তাঁকে ভূলিনি। বর্ধমান বইমেলার প্রাণপুরুষ সমীরণ চৌধুরী বলুন কিংবা কাটোয়ার 'উজ্জ্বল নক্ষত্র' পত্রিকার সম্পাদক সমীর ভট্টাচার্য। সেইসাথে আমার প্রয়াত বাবা বিচারক মহম্মদ নুরুল হুদা মোল্লা যিনি ১৯৮৩ সালে বিচারক নিয়োগ পরীক্ষায় টপারদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন।দি স্টেটসম্যান, বর্তমান প্রভৃতি পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন। ইনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে এমএ এর প্রথম ব্যাচের পড়ুয়া ছিলেন  ।   এইবিধ  ব্যক্তিদের স্মৃতি তে কুমুদ সাহিত্য মেলায় সংবর্ধনা জানানো হয়। 

এই বিপুল কর্মকান্ডে আমাদের পাশে প্রথম থেকেই যারা আছেন তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা জানায়। দশ - কুড়িজন দের নিয়ে ত্রিশ মিনিটের যে কবি স্মরণ শুরু হয়েছিল দশ বছর আগে। আজ তিন - চারশো কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক দের সারাদিন ব্যাপি মিলনস্থলে পরিণত। 

কৃতজ্ঞতা জানাই রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী মহাশয় কে। যিনি এই মেলার সার্বিক বিকাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। 


পথহারা মহিলা কে পরিবারের হাতে তুলে দিল মঙ্গলকোট পুলিশ

আমিরুল ইসলাম
  

সম্প্রতি দেওয়ানদিঘী থানার এক পথহারা মহিলা কে বাড়ী পৌঁছে দিয়েছিল মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। এর রেশ না কাটতে কাটতে শনিবার সকালে পথভ্রষ্ট এক মধ্যবয়সী মহিলা কে উত্তর ২৪ পরগনার পৈতৃকবাড়ীতে পাঠাবার ব্যবস্থা করলো মঙ্গলকোট পুলিশ৷   পুলিশ সুত্রে প্রকাশ, গত কয়েকদিন ধরে  এক মাঝবয়সী মহিলা মঙ্গলকোট কৈচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘোরাফেরা করছিল ।এলাকার মানুষ কৈচর আইসি কে  খবর দেয় ।কৈচর আইসি সুজিত ভট্টাচার্য তড়িঘড়ি বিষয়টি মঙ্গলকোট ওসি মিঠুন ঘোষ কে জানান।  গত শুক্রবার বিকেলে পুলিশ গিয়ে ওই মহিলাকে মঙ্গলকোট থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পারে, ওই মহিলার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হিঙ্গলগঞ্জ থানায়। এরপর মঙ্গলকোট থানার পুলিশ  হিঙ্গলগঞ্জ থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে ওর বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলে। ওই মহিলার ছবি পাঠানো হয় মঙ্গলকোট থানা থেকে, তা দেখালে হিঙ্গলগঞ্জ থানা জানায় ওই মহিলা তাদের এলাকার।শনিবার ওই আংশিক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে নিয়ে গেলেন তার বাবা মোহাম্মদ হায়দার সাইন।বাবা মোহাম্মদ হায়দার সাইন জানান - "মেয়ের নাম ফিরোজা বিবি।তার মেয়ে জামাই কর্মসূত্রে থাকে  তামিলনাড়ু তে।কয়েকমাস আগে মেয়ে জামাই বেড়াতে এসেছিল তার বাড়ি ।জামাই তামিলনাড়ু ফিরে গেলেও, মেয়ে ছিল উত্তর ২৪ পরগনায়।এরপর চার মাস আগে মেয়ে তামিলনাড়ু যাবে বলে শিয়ালদহে ট্রেনে চাপে। তবে জামাই ওখান থেকে ফোন করে জানায় তার স্ত্রী তামিলনাড়ু পৌঁছায়নি"।তারপর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছে মেয়ের বাবা।অবশেষে গতকাল অর্থাৎ গত শুক্রবার রাতে  মঙ্গলকোট থানা থেকে খবর যায় নিখোঁজ মেয়েটি  মঙ্গলকোট থানায় রয়েছে। আজ মেয়েকে নিয়ে গেল তার পরিবার। মঙ্গলকোট ওসি মিঠুন ঘোষ জানিয়েছেন - " আমরা খুশি নিখোঁজ মহিলা তার পরিবার কে পেলো"।         

সোমবার, ফেব্রুয়ারী ০৩, ২০২০

ক্যারাটে প্রতিযোগিতা হলো গরিফায়

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি
  
     উত্তর ২৪-পরগণার গরিফা আম্রপল্লী অর্জুন স্মৃতি সংঘ আয়োজিত 'জাতীয় ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২০' প্রতিযোগিতার ২০ কেজি ও ৬০ কেজি বিভাগে দ্বিতীয় স্হান অধিকার করল যথাক্রমে পূর্ব বর্ধমানের শুভশ্রী সিংহ ও প্রশান্ত মিস্ত্রি। উভয়েই পূর্ব বর্ধমানের পাওয়ার হাউস পাড়ার ক্যারাটে প্রশিক্ষক সুশান্ত দাস পরিচালিত প্রদীপ মেমোরিয়াল ক্লাবের সদস্য।এর আগেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আয়োজিত ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী শুভশ্রী সাফল্য লাভ করে। তার সাফল্যের জন্য পাড়ার মানুষ খুব খুশি।
       গত ১ লা ও ২ রা ফেব্রুয়ারি দু'দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় নদীয়া, হাওড়া,উত্তর ২৪পরগণা, কলকাতা, পূর্ব বর্ধমান, কোচবিহার,দার্জিলিং ও আলিপুরদুয়ার থেকে ১৫০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। 
      প্রসঙ্গত সংশ্লিষ্ট ক্লাবটি গত ৫ বছর ধরে যোগাসন ও জাতীয় ক্যারাটে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে চলেছে। এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী অর্জুন বাবুর স্মৃতিতে ১৯৯৫ সালে গড়ে ওঠা এই ক্লাবটির বার্ষিক অনুষ্ঠান প্রতিবছর ২৬ শে জানুয়ারী শুরু হয় এবং শেষ হয় ২ রা ফেব্রুয়ারি। প্রভাতফেরী, রক্তদান শিবির, একাঙ্ক নাটক, কুইজ, অঙ্কন প্রতিযোগিতা সহ বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভরপুর থাকে অনুষ্ঠানটি। মূলত স্হানীয় শিশুরা এইসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।
     ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় উপস্থিত ছিলেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, নৈহাটি পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক চ্যাটার্জ্জী, MASKA এর সভাপতি গুরুদাস আঢ্য ও সম্পাদক দিলীপ জানা সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি।
      ক্লাবের সম্পাদক দীপঙ্কর দেবশর্মার কাছে জানা গেল দু'বার জাতীয় ক্যারাটে প্রতিযোগিতার আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে। তিনি শরীর সুস্থ রাখার জন্য সমস্ত মানুষকে যোগাসন করার এবং আত্মরক্ষার জন্য ক্যারাটে শেখার আহ্বান জানান।ক্লাবের বার্ষিক অনুষ্ঠানে সক্রিয় সহযোগিতর জন্য তিনি এলাকাবাসীদের ধন্যবাদ জানান।

মেছেদায় হুল্লোড় মুভিস অভিনয় কর্মশালা হলো

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি, 
  

       কেউ দমদম,কেউ কলকাতা,কেউবা বসিরহাটের বাসিন্দা।প্রত্যেকেই সাংস্কৃতিক জগতের মানুষ।এই সাংস্কৃতিক জগত তাদের একত্রিত করেছে, টেনে এনেছে একটা সাধারণ প্ল্যাটফর্মে।প্রত্যেকের চোখে-মুখে স্বপ্ন একটা প্রকৃত অভিনয় শিক্ষার প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। অবশেষে তাদের স্বপ্নের "হুল্লোড় মুভিজ অভিনয় কর্মশালা" বাস্তবের রূপ পেল।
      গত ১ লা ফেব্রুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদার শান্তিপুরে একটি হোটেলে এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন টলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন এমিলি নাগ চৌধুরী, অরুণাভ দত্ত, পুলক মজুমদার ও 'রাখীবন্ধন' সিরিয়ালের ছোট্ট রাখী সহ বাংলা সাংস্কৃতিক জগতের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি।
       এই কর্মশালার প্রধান উদ্যোক্তা হলেন ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের বাংলা বিভাগে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা পাওয়া '৯ নং পেয়ারা বাগান লেন' এর পরিচালক পল্লব মুখার্জ্জী। সংস্হার সভাপতি ও সম্পাদক হলেন যথাক্রমে শক্তিপদ মণ্ডল ও বিশ্বজিৎ মণ্ডল। যুগ্ম আহ্বায়ক মিণ্টু দত্ত ও নবনীল রায়চৌধুরী।
        রুদ্রনীল বাবু বললেন - একটা মহৎ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এই সংস্থা তাদের যাত্রা শুরু করেছে। প্রত্যেকের উচিৎ এই মহৎ উদ্দেশ্যকে সম্মান জানান। আমাকে আহ্বান জানালে এই সংস্থার ডাকে আমি সবসময় সাড়া দেব।
      অন্যদিকে পল্লব বাবু বললেন - আমাদের মূল লক্ষ্য প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া, আগামীদিনে কিছু দুস্থ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ান এবং বেকারদের কর্মসংস্হানের ব্যবস্হা করা। এছাড়া কোনো সংস্হা যদি অভিনয় কর্মশালা গড়ে তুলতে চায় তাহলে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াব।আপাতত মেচেদাতেই এই কর্মশালা চলবে পরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আরও কর্মশালা গড়ে তোলা হবে।

ভাতার ডিওয়াইএফআই এর পথসভা

আমিরুল ইসলাম
  
 ভাতারে DYFI উদ্যোগে পথসভা।

পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার এক নম্বর এরিয়া কমিটি DYFI এর উদ্যোগে ভাতার বাজারের নাসিগ্রাম মরে NRC বিরুদ্ধে ও NRB সমর্থনে অনুষ্ঠিত হলো এই পথসভার ।উদ্দেশ্য হল NRC বিরুদ্ধে ও NRB  এর সমর্থনে।

এন আর বি অর্থাৎ ন্যাশানাল রেজিস্টার অফ বেরোজগার তালিকা তৈরি করা।
আজ ভাতার বাজারে এই তালিকা তৈরীর কাজ করল প্রথম পর্যায়ে। আগামীতে প্রত্যেকটা বুথে বুথে এই তালিকা তৈরি করে নবান্নে তা জমা করা হবে বলে জানিয়েছেন DYFI এর সদস্যরা। 

সিএএ এর বিরুদ্ধে বর্ধমান শহরে তৃণমূলের মিছিল

সানি প্রসাদ
  
সারা রাজ্যের সঙ্গে বর্ধমান শহরে ও এনআরসি সি এ এ  বিরোধী মিছিল হল গত শুক্রবার।  এদিন বর্ধমান স্টেশন থেকে এই মিছিল শুরু হয়ে কার্জন গেটে  শেষ হয়।  মিছিলে ছিলেন তৃণমূল শহর কমিটির সভাপতি অরূপ দাস,  জেলা পরিষদ কর্মধ্যক্ষ উত্তম  সেনগুপ্ত,  মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী শিখা দত্ত সেনগুপ্ত, পরেশ   সরকার সহ অন্যান্যরা।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER