সোমবার, মার্চ ১৯, ২০১৮

মরা মুরগী বিক্রিতে কড়া বাদুড়িয়া পুরসভা

ওয়াসিম বারি

উঃ ২৪ পরগনার বাদুড়িয়াতে স্থানীয় জনগনের অভিযোগের ভিত্তিতে মরা মুরগি বিক্রিয়কারী অসাধু ব্যবসায়ীদের বাগে আনতে আজ  বাদুড়িয়া পৌরসভার পৌরপ্রধান শ্রী তুষার সিংহ মহাশয় বাদুড়িয়ার বিভিন্ন মুরগী ফার্ম পর্যবেক্ষণে যান। ফার্মারদের সঙ্গে নিয়ে তিনি মরা মুরগি মাটির নীচে পুতে ফেলেন। পৌরপ্রধান ফার্মার সহ সাধারণ মানুষের সামনে মরা মুরগি খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্য সম্বন্ধীয় ক্ষতিকর দিক গুলো তুলে ধরে মরা মুরগি বিক্রি থেকে বিরত থাকার আবেদন জানান। এছাড়াও তিনি আজ সাংবাদিক সাক্ষাতকারে বলেন - অসাধু মরা মুরগি ব্যবসায়ীদের প্রশাসনের মাধ্যমে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং মরা মুরগি বিক্রিয়কারী ফার্মারদের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

মাদ্রাসা বোর্ডে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অনিয়ম পূর্ব বর্ধমানে



মাদ্রাসা বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে বর্ধমান হাই মাদ্রাসায়।কুলগড়িয়া, মেমারী,ওড়গ্রাম ও আটাঘর সহ বেশ কয়েকটি হাই মাদ্রাসার ছেলেমেয়ে রা ওই কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে। কিন্তু, প্রশ্ন উঠেছে  বাইরে থেকে টিচার এনে গার্ড দেওয়া কে নিয়ে।কুলগড়িয়া গার্লস হাই মাদ্রাসার  মেয়েরা ওই কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে, অথচ ওই মাদ্রাসার  শিক্ষিকারাই ওখানে গার্ড দিচ্ছেন।গার্জেন ও অন্যান্য মাদ্রাসা র অভিযোগ, এতে করে ওই সব মাদ্রাসার টিচার দের থেকে তাদের ছেলে মেয়েরা বাড়তি সুবিধা নিচ্ছে। এব্যাপারে, ওই সেন্টার থেকে জানা যায়, ওই টিচার দের তাদের মাদ্রাসার ছেলেমেয়েদের ঘরে গার্ড দিতে দেওয়া হয় না। ফলে, অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবে, এই মন্তব্যে অভিভাবক রা খুশি নন।তারা বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কে জানাবেন বলে জানা গেছে।

তৃনমূলের প্রথম পুরসভার জয়ের কাণ্ডারি চঞ্চল গড়াই কি ডাক পাবেন মুখ্যমন্ত্রীর সভায়?



মোল্লা জসিমউদ্দিন

আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে পূর্ব বর্ধমান জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক ঘিরে তুমুল আগ্রহ তৈরি হয়েছে জেলা রাজনীতিমহলে।প্রশাসনিক সভায় রাজনৈতিক বিষয় না আসাটাই স্বাভাবিক, তবে কয়েকটি বিষয় কে সামনে রেখে অংক কষছে অনেকেই।সাধারণত মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে সংশ্লিষ্ট বিধানসভা, লোকসভার জনপ্রতিনিধিরা থাকেন, এক্ষেত্রে দলীয় লোকসভার সাংসদ অনুপম হাঁজরা আগামী ২০ মার্চ প্রশাসনিক বৈঠকে থাকবেন কিনা? সে নিয়ে বিস্তর জল্পনা তৈরি হচ্ছে।কেননা বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অধিন পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম মঙ্গলকোটের পাশাপাশি আউশগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে।অনুব্রত মন্ডলের সাথে বোলপুর সাংসদ অনুপম হাঁজরার সাপেনেউলে সম্পক সর্বজনখ্যাত। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় অনুব্রত কে চটিয়ে সাংসদ অনুপম কে পাওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্ন।উল্লেখ্য বীরভূম জেলার দলীয় সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি এই তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় পর্যবেক্ষক হচ্ছেন অনুব্রত মন্ডল।তাই ২০১৪ সালের পর থেকে সাংসদ তহবিলে উন্নয়ন নিয়ে নানান সমস্যা হয়েছে শাসকদলের নেতা অনুব্রত ও সাংসদ অনুপম কে ঘিরে।এমনকি বরাদ্দকৃত পঞ্চায়েত সমিতিতে লক্ষ লক্ষ টাকা অনুদান ফিরে গেছে সাংসদ তহবিলে।তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নকাজ নিয়ে যখন সারারাজ্যে চষে বেড়াচ্ছেন। সেখানে সাংসদ তহবিলের উন্নয়নকাজ নিয়ে সমস্যা সমাধানে কি দেখা যাবে সাংসদ অনুপম হাঁজরা কে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায়? অপরদিকে ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে পরিবর্তন হবার পূর্বে অর্থাৎ ২০১০ সালে রাজ্যে সর্বপ্রথম যে গুশকরা  পুরসভা তৃনমূল এককভাবে  দখল পেয়েছিল।সেই জয়ের কারিগর তৎকালীন পুর চেয়ারম্যান চঞ্চল গড়াই আজ উপেক্ষিত শাসকদলের  অন্দরে।গুশকরা পুরসভার টেন্ডার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে চঞ্চল বাবু একপ্রকার রাজনৈতিক সন্ন্যাস নিয়েছেন।যেখানে বারবার তৃনমূলের তরফে পুরানো কর্মী সমর্থদের প্রতি সম্মান জানাবার ( পঞ্চায়েত ভোটের মুখে) কথা বলা হচ্ছে।সেখানে কি রাজ্যের প্রথম পুরসভা দখল করার 'হিরো' চঞ্চল গড়াই গুশকরা এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ডাক পাবেন?  সে নিয়ে নানান গুঞ্জন জেলার রাজনীতির আঙ্গিনাতে।আগামী ২০ মার্চ পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় জেলার দুই মন্ত্রীর মধ্যে স্বপন দেবনাথ ও সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী পড়েন।এক্ষেত্রে প্রশাসনিক সভাস্থল লাগোয়া মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে মুখ্যমন্ত্রী পুরস্কার না তিরস্কার করেন।তার দিকেও নজর অনেকেই।এটা সত্য সারারাজ্যে গ্রন্থাগার পরিষেবার মান কে দিন কে দিন বাড়াচ্ছেন সিদ্দিকুল্লাহ।তবে বিধায়ক হিসাবে সেভাবে সফল নন মঙ্গলকোটের বুকে।যদিও অনুব্রত প্রভাবিত মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতি,গ্রাম পঞ্চায়েত গুলিতে অবিরত কৃত্তিম বাঁধার শিকার সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। তদাপিও বিধায়ক তহবিলে বরাদ্দকৃত আম্বুলেন্স গুলি ঠিকঠাক ব্যবহার না করা,কৃষির ক্ষতিপূরণ অনুদানে ভুয়ো তালিকা করা, গীতাঞ্জলী প্রকল্পে বিধায়ক কোটায় বড়লোক সহ নিজ ঘনিষ্ঠদের আর্থিক অনুদান পাইয়ে দেওয়া বিষয়গুলি মঙ্গলকোট বিধায়কের চিন্তা কে বহুগুণ বাড়িয়েছে। আবার ব্লক তৃনমূল নেতাদের তৈরি মঙ্গলকোটের আটঘড়া মোড়ে মহিলাদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ সহ জুতো ঝাঁটা কান্ডে মুখ্যমন্ত্রী সরব হন কিনা, তা নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় রয়েছে।এই ঘটনায় বিধায়ক নিজের প্যাডে মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ পূরবী গড়াই সহ তৃনমূল নেতাদের দায়ী করেছেন। এমনকি জমিয়ত উলেমা হিন্দের জেলা কমিটি কে দিয়ে পুলিশসুপার কে কর্তব্য পালনে ব্যর্থতা প্রসঙ্গ টেনে মঙ্গলকোট ওসি প্রসেনজিত দত্ত কে অত্যাচারী উল্লেখ রেখে স্মারকলিপি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সিদ্দিকুল্লাহ যেমন পুরস্কারের (প্রশংসা, ব্যবস্থা নেওয়া)  সম্ভাবনা রয়েছে।ঠিক তেমনি তিরস্কারের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বিভিন্ন অতীত ঘটনাকাল সামনে রেখে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে কমন এজেন্ডা হিসাবে বরাবর দেখা গেছে বালি সিন্ডিকেট বিষয়টি।এক্ষেত্রে আগামী ২০ মার্চ বেআইনী বালিঘাট অধ্যুষিত মঙ্গলকোট,গলসি,কেতুগ্রাম, কাটোয়া প্রভৃতি এলাকার ওসি,বিডিও, বিএলআরও সর্বোপরি দলীয় নেতাদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী কি বার্তা দেন? তার দিকেও নজর রেখেছে পূর্ব বর্ধমান জেলাবাসি।

রবিবার, মার্চ ১৮, ২০১৮

তৃনমূলের সশস্ত্র বিবাদে ফের উত্তপ্ত দেগঙ্গা

ওয়াসিম বারি

দেগঙ্গা হাদিপুর ঝিকড়া দু নম্বর পঞ্চায়েতের হরপুর গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর গণ্ডগোল বাধে পাচ থেকে ছটি বাড়ী  ভাঙচুর,  তিনটি মোটরবাইক ভাঙচুর , চলে বোমা গুলি এলাকা থেকে দশ টি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ।  তিন জন বোমা ও গুলিতে জখম। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় নামানো হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী , দুই জন কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ঢালাই রাস্তা হচ্ছে

সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব

স্বরুপনগরের গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন দত্তপাড়া গ্রাম সভায়  দীর্ঘদিন অবহেলিত রাস্তাটি ঢালাই কাজ শেষ হওয়ায় স্থানীয় এলাকার সাধারন মানুষ খুশি।চতুর্দশ অর্থ কমিশন অনুমোদিত ৩৪৯৯১৮ টাকায় এই কাজ শেষ হলো।একইভাবে ২১টি কংক্রীটের ঢালাই রাস্তায় হাত দিয়েছে গোবিন্দপুর জি.পি।পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই এই কাজ শেষ করার কথা।সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজের তদারকি চলছে।

বাদুড়িয়ায় অজানা জ্বরে মৃত মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

ওয়াসিম বারি

   উঃ ২৪ পরগনা জেলার বাদুড়িয়া ব্লকের উঃ শেরপুর মাঝের পাড়ার বাসিন্দা পাপিয়া খাতুন (১৬) যদুরহাটি রবীন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ের এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী , গত ১০ দিন ধরে জ্বর ও গায়ের ব্যাথা নিয়ে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি ছিল, গত কাল রাতে তার মৃত্যু হয় বলে পরিবার সূত্রের খবর ৷

মন্ত্রী দেখানোর প্রতিযোগিতায় 'ফুলমার্কস' পেলেন না কেষ্ট

মোল্লা জসিমউদ্দিন

গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে মঙ্গলকোটের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব এর লড়াই নিয়ে যে লড়াই সিদ্দিকুল্লাহ বনাম অনুব্রত মন্ডলের মধ্যে শুরু হয়েছে।তা এখনও থামেনি, উল্টে লড়াই বেড়েছে বহুগুণ। একজন স্থানীয় বিধায়কের পাশাপাশি রাজ্যের তিনটি দপ্তরের মন্ত্রী,  অন্যজন রাজ্য তৃনমূলের সাধারণ সম্পাদকের সাথে মঙ্গলকোট বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় পর্যবেক্ষকও বটে।সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী তৃনমূলে যোগদানের পূর্বে পিডিসিআই নামে এক রাজনৈতিক দলের কর্মকর্তা ছিলেন।সেখানে আবার বীরভূমে বহু চর্চিত 'মাখড়া' সহ বিভিন্ন এলাকায় চষে বেড়াতেন।তাই একদা তৃনমূল বিরোধী আন্দ্রোলনের সংগঠক সিদ্দিকুল্লার সাথে অনুব্রতের সম্পক বরাবরই সামন্তরাল রেখার মত।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে গত ৮ মার্চ মঙ্গলকোটের নূতনহাট মিলন পাঠাগারের নব ভবন উদ্বোধনি অনুষ্ঠান ঘিরে রাজ্যের চারজন মন্ত্রী ( রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বপন দেবনাথ, মলয় ঘটক, উজ্বল বিশ্বাস) দেখানোর প্রতিযোগিতা নিয়েছিলেন এলাকার বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ।সেইমত ৭ নং রাজ্য সড়কে নূতনহাট বাইপাসে বিশাল তোরণ ( মন্ত্রী দের ছবি সহ),  হাজার হাজার রঙ্গিন  আমন্ত্রণপত্র বিলি করা হয়েছিল।অনুষ্ঠানের দিন দেখা গেল একমাত্র সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আবু আয়েষ মন্ডল ছাড়া কেউ এলেন না।মান বাঁচলেও অনুব্রত শিবির মন্ত্রী দেখানোর ফ্লপ শো ঘিরে উজ্জীবিত হল।সাথে সাথে মহিলা তৃনমূল সম্মেলন কে সামনে রেখে তারাও মন্ত্রী দেখিয়ে কার কতটা প্রভাব রয়েছে মন্ত্রীসভায়, তাতে নেমে পড়লো।বীরভূম জেলা নিবাসী দুই মন্ত্রী আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় (কৃষি),  চন্দ্রনাথ সিংহ ( মৎস) এর ছবি নাম অজশ্র ফ্লেক্সে রাখলেও প্রচার চললো যে, আসবেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী তথা মহিলা তৃনমূলের রাজ্য নেত্রী চন্দ্রীমা ভট্টাচার্য। শনিবার বিকেলে মঙ্গলকোটের মাথরূণ ফুটবল মাঠে মহিলা তৃণমূল সম্মেলনে চন্দ্রীমা ভট্টাচার্য কে যেমন পাওয়া গেলনা।তেমনি বীরভূমের রামপুরহাট কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় কেও দেখা গেলনা মঞ্চে।তবে কিছুক্ষণের জন্য এসেছিলেন মৎস মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ।মূল বক্তা হিসাবে আগাগোড়া ছিলেন অনুব্রত মন্ডল ওরফে কেষ্ট মোড়ল।সিদ্দিকুল্লাহ শিবিরের দাবি - চন্দ্রনাথ সিংহ এবং আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন বীরভূম জেলার বিধায়ক, সেখানে আবার দলীয় জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল।তাই ওই দুই মন্ত্রী আসবেন, তা সবাই জানে।কিন্তু আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় ( কৃষিমন্ত্রী)  কেন এলেন না? আর চন্দ্রীমা ভট্টাচার্যই বা এলেন না কেন? তার উত্তর পাওয়া মুস্কিল। অপরদিকে অনুব্রত শিবিরের দাবি - কৃষিমন্ত্রী সরকারী বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন, তাই আসতে পারেন নি।তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বারবার তাঁরা মঙ্গলকোটে প্রচারে আসবেন।শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ মঙ্গলকোটের মাথরুণ ফুটবলমাঠে শুরু হয় মহিলা তৃনমূলের সম্মেলন। সেখানে মুখ্য বক্তা ছিলেন এই কেন্দ্রের দলীয় পর্যবেক্ষক অনুব্রত মন্ডল।সাথে গোটা বীরভূমের শাসকদলের জনপ্রতিনিধি সহ নেতারা ছিলেন।বীরভূম জেলাপরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী থেকে নানুরের প্রাত্তন বিধায়ক গদাধর হাঁজরা।তবে রামপুরহাট বিধায়ক তথা কৃষিমন্ত্রী আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্যান্য বিধায়কদের দেখা যায়নি।রাজনীতিমহল মনে করছে, বীরভূম জেলার দলীয় সভাপতি হওয়ার দরুন ওই জেলার জনপ্রতিনিধি, নেতাদের আনতে পেরেছেন মঙ্গলকোটে।নামে মহিলা সম্মেলন হলেও আক্ষরিক অর্থে ছিল ক্ষমতা প্রদর্শনের লড়াই।গত ৮ মার্চ মঙ্গলকোটে নুতনহাট মিলন পাঠাগারে মন্ত্রী দেখানোর লড়াইতে সিদ্দিকুল্লাহ ফেল করলেও।আজকের মহিলা সম্মেলনে অনুব্রত 'ফুলমার্কস' পেলেন না,এটা বলায় যায়।তবে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোন পক্ষই মঙ্গলকোটের মাটি ছাড়তে রাজি নয়, তা ক্রমবর্ধমান ঘটনা পরম্পরা দেখে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

শনিবার, মার্চ ১৭, ২০১৮

কাকদ্বীপে কৃষি সরঞ্জাম বিলি

উজ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়

কাকদ্বীপের গনেশনগরে একটি সভার মাধ্যমে সুন্দরবনের প্রান্তিক চাষীদের হাতে কৃষি সরঞ্জাম তুলে দিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মনটুরাম পাখিরা।সুন্দররবন উন্নয়ন দফতরের উদ্যোগে এই বিলি করা হয়। মন্ত্রী জানান,সুন্দরবনের সব কটি ব্লকে এই বিলি করা হবে।৬হাজার ধান ঝাড়াই মেশিন,৭হাজার হ্যানড স্পে মেশিন,৮হাজার শেড নেট মোট ২১হাজার সরঞ্জাম দেওয়া হবে।

মামার বাড়ী বেড়াতে এসে স্নান করতে গিয়ে মৃত ভাইবোন

ভাস্কর ঘোষ

মামার বাড়িতে ঘুরতে এসে জলে ডুবে মৃত্যু হল ভাই ও বোনের। মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদ থানার খামারপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ওই ঘটনায় এলাকায় শোঁকের ছায়া নেমে আসে। মৃতদের নাম পূজা যাদব (১৩) ও আশীষ যাদব (৮)। শুক্রবার দুপুরে মামার বাড়ির পাশে দুই ভাই - বোনে স্ন্যান করতে গিয়ে জলে ডুবে যায়। স্থানীয়রা তাদের দুজনকেই জল থেকে উদ্ধার করেন। কিন্তু ঘটনাস্থলেই আশীষের মৃত্যু হয়। ঘটনায় পূজা গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিন রাতে ওই হাসপাতালেই মারা যায় পূজা। শনিবার সকালে মৃতদেহ দুটি ময়য়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে দৌলতাবাদ থানার পুলিশ।
        জানা গিয়েছে, গত জানুয়ারি মাসে উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা ধর্মেন্দ্র যাদব তাঁর স্ত্রী ও চার ছেলে মেয়েকে নিয়ে ২২ বছর পর বেড়াতে আসে‌ দৌলতাবাদ থানার খামারপাড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে। শুক্রবার দুপুরে মামার বাড়ির সামনে একটি পুকুরে স্নান করতে গিয়ে জলে ডুবে যায় পূজা ও আশীষ । ঘটনার কিছু পরে স্থানানীয়দের তৎপরতায় দুই জনকেই জল থেকে তোলা হলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আশীষ। গুরুতর আহত অবস্থায় পূজাকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শুক্রবার রাতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

নবগ্রামে আগুনে পুড়লো বাড়ী, সেইসাথে টাকাও

ভাস্কর ঘোষ

ভয়াবহ আগুনে পুড়ে একেবারে ছায় হয়ে গেল দুটি মস্ত বাড়ি। শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার বুডারডাঙ্গা গ্রামের ঘটনা। আগুনে পুড়ে ৩ টি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। পুড়ে একেবারে ছায় হয়ে গিয়েছে বাড়ির সমস্ত জিনিশপত্র। এমনকি ঘর করার জন্য জমানো টাকাও পুড়ে গিয়েছে।সর্বহারা পবন মাঝি বলেন, আমার গোয়াল ঘরে ২ টি গরু মারা গিয়েছে। বাড়ির সব জিনিস পড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। ঘর করার জন্য জমানো নগদ টাকাও পুড়ে গিয়েছে। আমি কি করব বুঝতে পারছিনা। আমার মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও নষ্ট হয়ে গেছে। পরিবার নিয়ে কোথা দাঁড়াব কি খাব কিছু বুঝতে পারছি না।
       জানা গিয়েছে, এদিন রাতে পবন মাঝি তাঁর গোয়াল ঘরে মোসা তাড়ানোর জন্য ধোঁয়া দেন। সেই ধোঁয়া থেকে আগুন ধরে যায় গোয়াল ঘরে। সেই আগুন ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে গোয়ালের পাশে থাকা তাঁর দুটি বাড়িতেও। তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা সেখানে ছুটে এসে বালতি করে জল দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। ততক্ষনে অবশ্য বাড়ির সমস্ত জিনিসপত্র পুড়ে গেছে।

ময়নাগুড়ির জয়দেব আজ বড় অসহায়

সোমনাথ চক্রবর্তী

এক সময় কাজে কর্মে ব্যস্ত ছিলেন।সংসারে ছিলো খুশির হাওয়া। বয়স্ক বাবা,স্ত্রী,বাচ্চা কে নিয়ে ভালোই চলছিলো ময়নাগুরি বিবেকানন্দ পল্লী নিবাসী জয়দেব গোস্বামীর সংসার।কিন্তু হঠাৎ যেন শুখের এই সংসার আয়নার কাচের মত ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেলো।ঘটনাটি ঘটে গত বছরের ৩০শে এপ্রিল সকালে।প্রতিদিনের মত জয়দেব (৩০)বাড়ি বাড়ি পেপার দেওয়ার কাজ করছিলো। হঠাৎ একটি বাস গাড়ির সাথে ময়নাগুরি বাজারে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।বাসটি জয়দেব কে চাকার সাথে ছেচরিয়ে আনেক টা পথ নিয়ে আসে। তার পর আর কিছু মনে নেই তার। চোখ যখন খুলেন দেখেন শিলিগুড়ি একটি বেসরকারি হাসপাতালে।দীর্ঘদিন চলে চিকিৎসা, কিন্তু ভালো হন নি। এর পর স্থানীও পাড়া প্রতিবেশি জানায় জয়দেব কে বাইরের রাজ্যে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে বাড়ি, জমি, জমানো টাকা যা ছিলো সব কিছু বেচে বাইরে চলে যান চিকিৎসা করতে।বাইরে চিকিৎসা করে শুধু নিজ পায়ে এই মূহূর্তে দাড়াতে পেরেছেন।পায়ে প্রায়ই ইনফেকশন হয়ে যাচ্ছে। বাইরে আবারো যেতে হবে বলে ডাক্তার বলেছে।কিন্তু এখন তিনি আর্থিক ও মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন।পাশে দাড়ানোর মত বা সাহায্য করার মত কেউ নেই।সংসার চালানোর মত লোক ও নেই। বাড়িতে বয়স্ক বাবা,ছোট মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বহু কষ্টেসৃষ্টে দিনযাপন করছেন।জয়দেব বাবু সমাজের সকলস্তরের মানুষের কাছে বিনিত নিবেদন করছেন কেউ যদি একটু সাহায্য এর হাত বাড়িয়ে দেন বা তার বউ এর কাজের সন্ধান করে দেন তাহলে তিনি খুব উপকৃত হবেন।
জয়দেব বাবু বলেন সেদিন কার কথা আজও মনে পড়লে তার গা সিউরে উঠে।যেন সেদিন খুব কাজ থেকে তিনি মৃত্যুকে দেখেছেন।

শুক্রবার, মার্চ ১৬, ২০১৮

কাটোয়ার রেকর্ড জালিয়াতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কোন প্রশাসনিক উত্তর মিলেনি


মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে তাঁর অফিসিয়াল ইমেলে গত ৩১ ডিসেম্বর এবং ২ জানুয়ারি স্পিড পোস্টে নবান্ন অফিসে নিম্নলিখিত অভিযোগ পাঠানো হয়েছিল।প্রায় আড়াই মাস কেটে গেলেও কোন প্রশাসনিক উত্তর কিংবা তদন্ত হয়নি।এখনও সুবিচারের আশায় অভিযোগকারী। 



প্রাপক

মুখ্যমন্ত্রী 

মাননীয়া

জেলাস্তরের প্রতিটি দপ্তর কে বারবার জানিয়েও কার্যক্ষেত্রে কোন সুরাহা মেলেনি।যেহুতু অভিযুক্ত দপ্তর (ভুমি সংস্কার)  আপনার নিয়ন্ত্রণাধীন,  তাই সুবিচার পেতে আপনার দারস্থ হয়েছি।পৈতৃক সম্পত্তির রেকর্ড জালিয়াতির বিরুদ্ধে আমার প্রয়াত বাবা মোল্লা নুরুল হোদা (বিচারক) গত ০২/০৬/১৫ তারিখে কাটোয়া বিএলআরও, এসডিএলআরও, মহকুমাশাসক পরবর্তী ০৫/০৬/১৫ তারিখে জেলাশাসক,  ডিএলআরও প্রমুখ আধিকারিকদের লিখিতভাবে জানিয়েছেন।অভিযোগের বিষয় ছিল - কাটোয়া ১ নং ভূমি দপ্তরের অধিন শ্রীখণ্ড মৌজার (জে এল নাম্বার ৭, খতিয়ান নাম্বার ২০২৩, দাগ নাম্বার - ৬৬৭, পরিমান ৬০ শতক) পৈতৃক সম্পত্তি কিভাবে বিনা নোটিসে - বিনা শুনানিতে - বিনা দলিলে একতরফা ভাবে রেকর্ডভুক্ত হয় ( মিউটেশন কেস নাম্বার ১৭৭২/১৪) তা নিয়ে? লিখিত অভিযোগ পেয়ে তৎকালীন ডিএলআরও তদন্তের নির্দেশ{মেমো নাম্বার ৯৯১(৩)} দেন। গত ২৭/০৭/১৫ তারিখে কাটোয়া এসডিএলআরও অফিসে উভয়পক্ষদের নিয়ে শুনানি হয়।তদন্ত রিপোর্ট পেয়ে অভিযোগকারী মোল্লা নুরুল হোদা কে ডিএলআরও গত ০৯/০৩/১৬ তারিখে অফিসিয়াল চিঠি ( মেমো নাম্বার ৩৮৭/৪১৬/সি/২০১৫) করে ওই মিউটেশনের বিরুদ্ধে (ইউ/এস ৫৪ অফ, ডাবলু. বি.এল.আর ১৯৫৫) আপিল করতে নির্দেশ দেন।আপিল আবেদন করবার অর্ডার শিট পেতে বারবার হয়রানি করে কাটোয়া ১ নং ভূমি দপ্তর।২৯/০৬/১৬ তারিখে উক্ত অফিসে মোল্লা নুরুল হোদা এবং পরবর্তী ২৮/০৭/১৬ তারিখে তথ্য জানার আইনে আমি অর্থাৎ মোল্লা জসিমউদ্দিন আবেদন করি।বহুকস্টে অর্ডার শিট ( এমএন/২০১৪/০২২৪/৪৭৯৯) তুলে দেখি মিউটেশন করার ক্ষেত্রে কোন দলিল নাম্বার বা তারিখ নেই।সাধারণত রেকর্ড সংশোধন দলিল /ওয়ারিশ /আদালতের রায়ের ভিক্তিতে হয়।কিন্তু এক্ষেত্রে কোন নিয়ম মানা হয়নি।তদাপি বর্ধমান (পূর্ব) ডিএলআরও অফিসে গত ২২/১২/১৬ তারিখে আপিল ( কেস নাম্বার ১৭২/১৬) জমা পড়ে।অদ্ভুতভাবে শুনানির জন্য প্রথম নোটিশ আমরা ডাকযোগে পাইনি।দীর্ঘসময় কেটে যাওয়ায় ডিএলআরও অফিসে দ্বিতীয় নোটিশ পায় ০৩/০৫/১৭ তারিখ হাজির হওয়ার জন্য।অভিযুক্ত খায়রুল মোল্লা শুনানির দুবার হাজিরা এড়িয়ে তৃতীয় শুনানি (৩০/০৮/১৭ তারিখ) তে ভাইপো আজগর মোল্লা কে প্রতিনিধি হিসাবে হাজিরা দেন।চতুর্থ শুনানিতে অর্থাৎ ১৮/১০/১৭ তারিখে ডিএলআরও অর্ডার দেন। তবে অত্যন্ত চতুরভাবে তিনি আদেশনামায় পুনরায় কাটোয়া ১ নং বিএলআরও কে আমাদের অভিযোগের মান্যতা দিয়েও 'ফ্রেস হিয়ারিং' নির্দেশ দেন।এই আপিল কেসে ১০ মাসে ৪ বার শুনানিতে আসেনি অভিযুক্ত।যদিও তৃতীয় শুনানিতে নিজ প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন।০১/১১/১৭  তারিখে কাটোয়া ১ নং বিএলআরও অফিসে পৈতৃক সম্পত্তির রেকর্ড পুর্বের নামে (দাদু) করবার জন্য অর্ডার শিট দিয়ে ওয়ারিশ হিসাবে আবেদন জানাই।এই আবেদনের (কেস নাম্বার ১০১৫, কাটোয়া) ২৭/১২/১৭ তারিখে প্রথম শুনানি হয়।সেখানে কাটোয়া বিএলআরও সাহেব কে অবগত করি যে - উক্ত মিউটেশন এর বিরুদ্ধে ডিএলআরও অর্ডার শিট কে মান্যতা দেওয়া হোক।কিন্তু ওই আধিকারিক অত্যন্ত রুঢ হয়ে আমাকে বলেন - ডিএলআরও সাহেবের অর্ডার শিটের শেষে 'ফ্রেস হিয়ারিং' এর কথা।এই কেসের লিখিত বয়ান নিতেও অস্বীকার করেন ওই আধিকারিক। পরে বিষয়টি এসডিএলআরও সাহেব কে জানালে রিসিভ সেকশন থেকে প্রাপ্তিস্বীকার করা হয়।

মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী,  প্রথম শ্রেণীর দৈনিক সংবাদপত্রে দীর্ঘ পনেরো বছর গ্রামীন বর্ধমানে সাংবাদিকতা করার সুত্রে জানতে পেরেছি, শুধু আমাদের ক্ষেত্রে নয় ২০১৩ থেকে ২০১৫ এই দুবছরে কুড়ির বেশি মিউটেশন হয়েছে জালিয়াতির ভিক্তিতে।এরমধ্যে সিংহভাগ জালিয়াতি প্রমাণ হয়ে আবেদনকারীদের রেকর্ড পুনরায় পুর্বে ফিরে গেছে।এক্ষেত্রে কাটোয়া ১ নং বিএলআরও অফিস কে কেন্দ্র করে রেকর্ড জালিয়াতির 'সিন্ডিকেট' রয়েছে।যাদের নেটওয়ার্ক সাব রেজেস্ট্রি অফিস, ডাকঘর, থানা, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অফিসের একাংশের পাশাপাশি খাজুরডিহি (কাটোয়া শহর সংলগ্ন) তে সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে। অতীতে সিপিএমের চ্যাটার্জী বাবু এইসব নিয়ন্ত্রণ করতেন।বর্তমানে আরেক চ্যাটার্জী বাবু চালাচ্ছেন বলে শোনা যায়।আমাদের এই সম্পত্তি টি শ্রীখণ্ড এনটিপিসির সামনেই।তাই জমি সিন্ডিকেটের কুনজর রয়েছে।ইতিমধ্যে আমাদের ভাগচাষীদের বাড়ীতে বেশ কয়েকবার হানা দিয়েছে ওই চক্রের দলবল। পুলিশ কে জানাতেও প্রাণহানির আশংকা করছেন ভাগচাষীরা।গত ২৭/১২/১৭ তারিখে কাটোয়া বিএলআরও অফিসে এইরুপ মস্তানদের দেখি।বিএলআরও সাহেব এই মিউটেশন কেসের নথিভুক্ত দলিলের নাম্বার আমায় জানাননি।তাই আশংকা 'ব্যাক ডেট' দিয়ে কোন দলিল নথিভুক্ত করতে পারেন।সেক্ষেত্রে সাইবার সেল দ্বারা দলিল নথিভুক্তের সময় জানতে ফরেন্সিক তদন্তর দাবি রাখি।সর্বোপরি পূর্ব বর্ধমান ডিএলআরও ১০ মাসে ৪ বার শুনানি করেও কেন কাটোয়া ১ নং বিএলআরও কে অর্ডার শিটে 'ফ্রেস হিয়ারিং' করতে বললেন, তাও খতিয়ে দেখা উচিত।কাটোয়ার রেকর্ড জালিয়াতি করা সিন্ডিকেটটির ডিএলআরও অফিসে 'হট লাইন' আছে বলে জনশ্রুতি। ঠিক এইরকম পেক্ষাপটে পৈতৃক সম্পত্তি পুনরুদ্ধার (যদিও এই জমির ৩৫+ বছর আমাদের দখলস্বত্ব রয়েছে)  করতে নানান সমস্যা, হয়রানী, প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছি।আপনির প্রতি আস্থা রেখে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দাবি রাখছি।

ধন্যবাদান্তে

মোল্লা জসিমউদ্দিন

গ্রাম পদিমপুর

ডাক নূতনহাট

থানা মঙ্গলকোট

জেলা পূর্ব বর্ধমান






ময়নাগুড়িতে মাছ ধরতে গিয়ে জালে উঠল কচ্ছপ


সোমনাথ চক্রবর্তী ময়নাগুড়ি

শুক্রবার সকালে মাছ ধরতে জাল নিয়ে আনন্দ নগর পাড়ার বাসিন্দা সুকুমার হালদার  রওনা দেন ময়নাগুরির আনন্দনগর পাড়ারই কলা খাওয়া নদীতে।মাছ ধরার জন্য নদীতে জাল ফেলেন কিন্তু জালে মাছ লেগেছে ভেবে উঠিয়ে চক্ষুচড়কগাছ হয় উঠে সুকুমার বাবুর,এ কি এ তো মাছ নয় এ তো কচ্ছপ।এরপর সুকুমার হালদার বনকর্মী দের খবর দেন এবং বনকর্মীদের হাতে কচ্ছপ টিকে তুলে দেন।কচ্ছপ টিকে দেখতে প্রচুর লোকজন সুকুমার বাবুর বাড়ি ভীড় জমান।

মুক্তচিন্তা ভবনে কবিতা বিষয়ক কর্মশালা

মেখলিগঞ্জ

কবিতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হল মেখলিগঞ্জ ব্লকের ভোটবাড়িতে।স্থানীয় মুক্তচিন্তা ভবনে এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট লোকসংস্কৃতি গবেষক তথা মুক্তচিন্তার কর্নধার শচিমোহন বর্মন।জানা গেছে এদিনের কর্মশালায় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন  সাহিত্যপ্রেমী মানুষ অংশ নেয়।কবিতা বিষয়ক আলোচনার পাশাপাশি এনিয়ে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থাও ছিল।

আসানসোলে কর্মরত শ্রমিকের মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা

মোহন সিং

সিএলডবলু এর সান্টিং ডিপার্টমেন্টে বৃহস্পতিবার কর্মরত ছিলেন ধানবাদ নিবাসী প্রবাল কান্তি ঘোষ(৩৬)৷রাত্রি ১১:৩০নাগাদ হঠাৎই কারখানায় লোডশেংডি হয়ে গেলে কর্মরত অবস্থায় দুটি বাফারের মাঝে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন প্রবাল বাবু৷সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি এম্বুলেন্সে খবর দিলেও,এম্বুলেন্স আসতে দেরি করে৷পরে প্রবাল বাবুকে চীত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে গেলে,তাকে মৃত বলে ঘোষনা করা হয়৷শেষে ময়না তদন্তের জন্যে দেহ আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়৷প্রবাল বাবু ধানবাদের বাড়িতে মা-বাবা ও পরিবারের সাথে থাকতেন,তার দুই মেয়ে আছে বলে জানা গেছে৷

ছুরিকাহত যুবক, চাঞ্চল্য কোচবিহারে

শিখা ধর

শুক্রবার সকালে কোচবিহার সদর এলাকায় তপন কর্মকার নামে এক যুবক কে ছুড়ি মারে তারই বন্ধু পরিতোষ বর্মণ। এমজেএন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।

শীতলা মা পুজো দিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ

মোল্লা জসিমউদ্দিন

পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীতে 'শীতলা মা' পূজো চলছে।এদিন পুজো দিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।  পুজো ঘিরে পূর্ব বর্ধমান, নদীয়া জেলার অনেক ভক্তদল আসেন এখানে।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER