বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৯, ২০১৮

সংখ্যালঘু নেতাদের একছাতার তলায় আনতে উদ্যোগী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী



মোল্লা জসিমউদ্দিন





 উপলক্ষ টা 'সম্প্রীতি ও সংবর্ধনা সভা' হলেও মূল লক্ষ হচ্ছে বাংলার সংখ্যালঘু নেতাদের একত্রকরণ। হ্যা বুধবার হাওড়ার পশ্চিম বাইনান এলাকায় সবুজ সংঘের মাঠে মাদ্রাসা কাসেমুল উলুমের পরিচালনায় সারারাত্রীব্যাপি চলবে 'সম্প্রীতি ও সংবর্ধনা সভা'। যেখানে উপস্থিত থাকছেন রাজ্য জমিয়ত উলেমা হিন্দের সভাপতি মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী, ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি, সারাবাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ কামরুজাম্মান সহ নানা প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠনের নেতৃত্ব। এটি নিছকই কোন সাংস্কৃতিক কিংবা ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, তা মানছেন অনেকেই।একটি  সংগঠনের রাজ্য নেতা জানান - "যেভাবে গত দুই থেকে তিনমাস ধরে রামনবমী এবং হনুমান জয়ন্তী কে ঘিরে বিজেপির সাথে তৃনমূলের উগ্র হিন্দুত্ব নিয়ে ধর্মীয় লড়াই হলো।তাতে গ্রামবাংলার সংখ্যালঘু মানুষরা চরম আতঙ্কিত। অজশ্র মসজিদ /মাদ্রাসার ইমাম - মাওলানারা আমাদের রিপোর্ট দিয়েছেন একহয়ে থাকতে।তাই সাংগঠনিক ভেদাভেদ ভূলে একছাতার তলায় থাকতে চাইছি।কেননা এই লড়াই ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন অবধি চলবে "।এহেন বক্তব্য থেকে পরিস্কার বাংলায় সাম্প্রতিকতম বিজেপি বনাম তৃনমূলের যে লড়াই শুরু হয়েছে, তাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষদের বড় অংশ ক্ষুব্ধ।বিশেষত যারা বাংলা কে রবীন্দ্র - নজরুলের বাংলা বলে মনে করেন।এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সংগঠন কে নিজেদের ভেদাভেদ মূলে এক হয়ে থাকার ব্যাপারে বেশি উদ্যোগী হয়েছেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। শাসকদলের মন্ত্রী হয়েও পঞ্চায়েত ভোটে দলের ম্যাসলম্যানদের মনোনয়ন সন্ত্রাস নিয়ে ক্ষুব্ধ সিদ্দিকুল্লাহ গত ৫ ফেব্রুয়ারি নিজ বিধানসভা কেন্দ্র মঙ্গলকোটের আটঘড়ায় দলের ক্ষমতাসীন ব্লক নেতৃত্ব এবং পুলিশের একাংশের মদতে ঝাঁটা জুতো হাতে মহিলাদের গালিগালাজ খেয়েছিলেন।সেসময় থেকেই বাংলার প্রায় মসজিদ - মাদ্রাসায় 'মাওলানা' মন্ত্রীর প্রতি এহেন আচরণ নিয়ে তুমুল নিন্দার ঝড় বয়ে যায়।উল্লেখ্য সারারাজ্যে হাজারের বেশি মাদ্রাসার কর্মকর্তা এবং ইমাম / মোয়াজ্জেনদের বৃহত্তর সংগঠনের নেতা হচ্ছেন সিদ্দিকুল্লাহ।স্বভাবতই মঙ্গলকোটের ঝাঁটা কান্ড নিয়ে নোংরা রাজনীতির শিকার তত্ত্ব টি উঠে আসে।ফেব্রুয়ারি মাসে এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রামনবমী নিয়ে বিজেপির উগ্র হিন্দুত্ব কে হাইজ্যাক করতে রাস্তায় নামে তৃনমূল। এরপরে আবার হনুমান জয়ন্তীতে একই অবস্থান দেখা যায় তৃনমূলের মধ্যে।সংখ্যালঘু মানুষদের বড় অংশে নিরাপত্তাহীনতার সংকটে ভুগে।রাজ্যের বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনগুলির কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে রণনীতি সাজিয়ে নেন বলে জানা গেছে।তাই সরাসরি কোন সভা সমাবেশ না করে নানান ইসলামিক জলসা, সম্প্রীতি সভার নামে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি একত্রিত করতে এবং আলাপ আলোচনা চালাচ্ছে তাঁরা।হাওড়ার পশ্চিম বাইনান এলাকার সভাটি আদতে তারই অংশ মাত্র বলে কেউ কেউ মনে করছেন।সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন - ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ১০০ আসনে পিডিসিআই দলের প্রার্থী দেওয়ার ভাবনাতেই মমতা বাধ্য হয়েছিল নবান্ন ডেকে রফা করতে।ওই ১০০ আসনে গোটা দশেক আসনে লড়াই হলেও তৃনমূলের হারজিত অনেকটাই পাল্টে দিত।সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকের পাঁচ থেকে দশ শতাংশক ভোট মাইনাসে গেলে তৃনমূলের ফলাফল অন্য হত।তাই সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে তৃনমূল মন্ত্রিত্ব দিয়ে সেই বিপদ রুখেছে।পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদলের সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশি সন্ত্রাসের কাছে বিরোধীশুন্য জেলাপরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েত অনেকজায়গায় দখলে আনতে পেরেছে তৃনমূল। সেখানে বিধানসভা ভোটের মত পঞ্চায়েত ভোটে কোন পাত্তা পাননি সিদ্দিকুল্লাহ।তৃনমূল শিবিরের দাবি গত বিধানসভা নির্বাচনের সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে ব্লাকমেলিং এর উপযুক্ত জবাব পঞ্চায়েত ভোটে সিদ্দিকুল্লাহ কে দিয়েছেন দলনেত্রী।তবুও হাল ছাড়ছেন না সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। বিভিন্ন ধর্মীয় জলসা, সভার মাধ্যমে সংখ্যালঘু মানুষদের বঞ্চনা, অত্যাচার সর্বোপরি উগ্র হিন্দুত্ব নিয়ে বিজেপির সাথে তৃনমূলের একই অবস্থান নিয়ে জমিয়ত উলেমা হিন্দ তো বটেই অন্য সংগঠন গুলিতে একই প্লাটফর্মে রাখতে উদ্যোগ নিচ্ছেন আগামী লোকসভা নির্বাচনের সময় জবাব দিতে।এইরুপ মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।বাংলার রাজনীতি বলয়ে বিজেপি যে হিন্দুত্ব নিয়ে লড়াই শুরু করেছে, সেখানে তৃনমূলের পক্ষে উগ্র হিন্দুত্বের পাশাপাশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কে তুষ্ট করে রাখা চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াবে।সেখানে ক্ষুব্ধ সিদ্দিকুল্লাহ অতীতের বিভিন্ন আন্দ্রোলনের মত পেক্ষাপট করতে চলেছেন।তার প্রাথমিক সূচনা হিসাবে প্রস্তাবিত জমিয়ত উলেমা হিন্দের মুখ্যমন্ত্রী কে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচী টি।এখন দেখার সিদ্দিকুল্লাহের এই রাজনৈতিক লড়াইতে অন্য সংখ্যালঘু সংগঠন গুলি কতটা সহযোগী হয়, তা নিয়েও!

বাঁকুড়া বঙ্গবিদ্যালয়ের নূতন গেট

সাধন মন্ডল

বাঁকুড়া বঙ্গবিদ্যালয়ের নব নির্মিত গেটের  শুভ উদ্বোধন করলেন মাননীয়া বিধায়ক শম্পা দরিপা।ওনার বিধায়কের এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে ৭ লক্ষ টাকা খরচ করে মাচানতলার মোড়ে এই সুসজ্জিত এই গেট টি আজ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক শিক্ষিকা ও আপামর জনসাধারণ এর ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হল।

বুধবার, এপ্রিল ১৮, ২০১৮

হাইকোর্টে পঞ্চায়েত ভোটের অর্ডারে নজর রেখেছেন সিদ্দিকুল্লাহ


মোল্লা জসিমউদ্দিন

চলতি সময়কালে বাংলার প্রতিটি মানুষের নজর কলকাতা হাইকোর্টের দিকে।তবে একটু বেশি নজর রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর।ঘনিষ্ঠমহলে তিনি জানিয়েছেন - যেভাবে টানা চার থেকে পাঁচদিন ভোটগ্রহনের কাজকর্ম স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট, তাতে আগামীদিনে অবাধ নির্বাচনের লক্ষে মনোনয়নের সময়সীমা বাড়াতে পারে আদালত। তাই মঙ্গলকোটের অনুগামীদের দলীয় প্রতীক দেওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।কেননা এবার মুখ্যমন্ত্রী সিরিয়াসভাবে মঙ্গলকোট বিধায়কের ক্ষোভ নিরসনে শিক্ষামন্ত্রী কে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন।ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, যেভাবে আসনরফার নামে শীর্ষ তৃনমূল নেতৃত্ব লুকোচুরি খেলেছে সিদ্দিকুল্লাহের সাথে, তাতে সিদ্দিকুল্লাহ ভীষণ ক্ষুব্ধ।আসনরফার প্রথম পর্বে মুখ্যমন্ত্রী কে বিষয়টি মঙ্গলকোট বিধায়ক জানালে, রাজ্যসভাপতি সুব্রত বকসী,  জেলার দলীয় পর্যবেক্ষক অরুপ বিশ্বাস ( বর্ধমান),  ফিরহাদ হাকিম (বীরভূম) ,  অনুব্রত মন্ডল (মঙ্গলকোট) সহ ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরীদের সাথে দফায় দফায় বৈঠকে ৩৪ টি আসন দেওয়া হয় সিদ্দিকুল্লাহ কে।কিন্তু মঙ্গলকোট থানার পুলিশের অতি সক্রিয়তা এবং ব্লক সভাপতির সশস্ত্র বাহিনীর দাপটে একটিও মনোনয়ন জমা দিতে পারেনা বিধায়ক অনুগামীরা।এমনকি কাটোয়া মহকুমাশাসক অফিসে বিধায়কের আট থেকে দশ অনুগামী মনোনয়নপত্র নিতে গেলে বিজেপি স্ট্যাম্প নিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়।সেইসাথে বিধায়কের ভাইপোর মাথা ফাটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ বিধায়ক নিজেও যান মঙ্গলকোটের পদিমপুরে বিধায়ক অফিসে।সেখানেও রাজ্যের তিনটি দপ্তরের মন্ত্রী হয়েও পুলিশি সন্ত্রাস এবং দলীয় ব্লক নেতাদের মস্তান বাহিনীর কাছে খুব খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন।এইসব ঘটনাবলির অন্তরালে শীর্ষ নেতৃত্বর ছলনা দেখে সারা জীবনের কঠিন দু:খ পান সিদ্দিকুল্লাহ।এরপরেই দিন সাত আগে সরকারি নিরাপত্তারক্ষী,  কনভয় ছেড়ে দেন।রাজভবন সহ দপ্তরেও যাননা তিনি।এমনকি গত  শুক্রবার রাজ্য মন্ত্রীসভার বৈঠকে অনুপস্থিত থাকেন।তৃনমূল সরকারের আমলে এমন সরাসরি দলীয় কোন মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বিরোধে যাননি।পদত্যাগ টাও ছিল সময়ের অপেক্ষা।গত রবিবারেরই জমিয়তের ওয়ার্কিং কমিটির  সভার সিদ্ধান্ত হিসাবে জানিয়েও দিতেন।বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী অনুভাব করে গত শনিবার মঙ্গলকোট বিধায়কের ক্ষোভ মেটাতে শিক্ষামন্ত্রী কে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার নির্দেশ দেন।হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হাইপ্রোফাইল মামলাটি।চার থেকে পাঁচদিনের ভোটগ্রহনের প্রস্তুতিতে স্থগিতাদেশ পড়ায় আশার আলো দেখছেন সিদ্দিকুল্লাহ।আইনজীবি মহলের একাংশের দাবি, পঞ্চায়েতগুলির মেয়াদ আগস্ট মাস অবধি থাকায়, অবাধ নির্বাচনের লক্ষে মনোনয়ন পেশের সময়সীমা দিতে পারে আদালত। তাই শীর্ষ তৃনমূল নেতৃত্ব প্রতীক বিলিতে সময়কমের যে যুক্তি দেখিয়েছে সিদ্দিকুল্লাহ কে।তাতে নুতন করে মনোনয়ন পর্ব চালু হলে পঞ্চায়েতের আসনরফার সংখ্যা বাড়াতে উদ্যোগী হবেন মঙ্গলকোট বিধায়ক।মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যালঘু নেতা সিদ্দিকুল্লাহের ক্ষোভ না মেটালে আগামী লোকসভায় সংখ্যালঘু ভোটের একাংশ হারাতে পারেন সিদ্দিকুল্লাহ চলে গেলে।তাই সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কলকাতা হাইকোর্টের দিকে তাকিয়ে ইস্তফার পথে না গিয়ে তৃনমূলের অন্দরে থেকে চাপ বাড়ালেন, তা বলায় যায়

বাগদায় অগ্নিকান্ডে মৃত ১

ওয়াসিম বারি

আগুনে পুড়ে ছাই বাড়ি দোকান, পুড়ে মৃত ১, ঘটনা স্থলে দমকলের ইঞ্জিন।ভোর রাতে হটাৎ আগুন বাড়িতে মৃত এক আশঙ্কাজনক দুই। ঘটনাটি বাগদা থানার আশারু গ্রাম পঞ্চায়েতের আমডোব এলাকার।  স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে টিনের বাড়ি বাড়িতে দোকান ছিল দোকানে পেট্রল ডিজেল বিক্রি করতো বলে জানা গেছে। কিভাবে আগুন লাগলো তা নিয়ে সন্দেহ দানা বাধে। ঘটনাস্থলে দমকলের একটি ইঞ্জিন ও বাগদা থানার পুলিশ। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে ভোর পাঁচটা নাগাদ হটাৎ আগুন দেখতে পায় এলাকার লোকজন সাথে সাথে দমকল-বাহিনী খবর দেওয়া হয়। দমকল ও গ্রামবাসী দের চেষ্টায় উদ্ধার করা হয় তারক সরকার তার স্ত্রী  স্নেহা সরকার কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এবং নাতনি মেঘা সরকার ১৯ কে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।  দুজন বনগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে দমকল ।  দমকলের প্রাথমিক অনুমান গ্যাস সিলিন্ডার বাস্ট করে এই দুর্ঘটনা। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

কালবৈশাখী ঝড়ে বিপযস্ত পশ্চিম বর্ধমান

নীলাদ্রি ঘোষ

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালবৈশাখীর ঝড়ে জনজীবন থমকে গেল পশ্চিম বর্ধমান জেলায় l রাজ্যের দক্ষিনবঙ্গের জেলা জুড়ে  এই ঝড়ের পূর্বাভাষ আবহাওয়া দপ্তর আগেই জানিয়ে দিলেও সর্তক ছিল এলাকার মানুষ l তবে বাসিন্দাদের কথা আনু়যায়ী আবহাওয়া দপ্তর এই খবর জানালেও তাদের ঘোষনা অনুযায়ী আজকের কালবৈশাখীর দাপট ছিল কয়েকগুন বেশি l রাস্তায় বহু জায়গায় গাছ পরে যাওয়ায় পরিবহন ব্যবস্থ্যা বেশ কিছুক্ষনের জন্য থমকে যায় l পরে বেশ কিছুক্ষন পর অবস্থার উন্নতি  হলে পুনরায় যানচলাচল স্বাভাবিক হয় l তবে প্রশাসন সুত্রের খবর ঝড়ের ফলে কোথাও কোনও দুর্ঘটনার খবর নেই l

ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করার অভিযোগ ময়নাগুড়ির প্রার্থীর বিরুদ্ধে

সোমনাথ চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি 

এবার ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করার অভিযোগ উঠলো ময়নাগুড়ির উমা সরকারের  বিরুদ্ধে।
গত ২রা এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিলো মনোনয়ন পত্র জমা,এপ্রিলের ৩ তারিখ তপশালি ভুক্ত হওয়ার শংসাপত্র পেয়েছিলো উমা সরকার।
উল্লেক্ষ্য উমা সরকার ময়নাগুড়ি ৪নং আসনে জেলাপরিষদেএ প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন জমা দেন শংসাপত্র বের হবার পর।এই আসনটি আগে সাধারন প্রার্থী এর জন্য সংরক্ষণ থাকলেও এবার এটা তপশিলি জাতিভুক্ত মহিলাদের জন্য সংরক্ষীত।ভুয়ো শংসাপত্র বিষয়টি নিয়ে গত ৫তারিখ ময়নাগুড়ি বিডিও এর কাছে একটি অভিযোগ জমা পড়ে।এরপর ১৩ই এপ্রিল ময়নাগুড়ি টেকাটুলি নিবাসি সৈলেন রায় আর টি আই করেন।এ দিন (মঙ্গলবার)ময়নাগুড়ি বিডিও মারফত সৈলেন রায় কে প্রশাসনিক ভাবে সমস্ত নথি দেওয়া হয়।অভিযোগ কারির বক্তব্য উমা সরকার তপশিলি জাতিভুক্ত নন তিনি সাধারন জাতীভুক্ত।তিনি যে সব স্কুল, কলেজে পরেছেন সে খান থেকে নথি সংগ্রহ করা হয়েছে,তার পরিবারের কেউ তপশিলি জাতিভুক্ত নয় তা অভিযোগ কারির দাবি।টেকাটুলি নিবাসি কেপিপি পার্টির কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য সুকুমার রায় বলেন বিডিও অফিস থেকে যে নথিগুলি আমরা পেয়েছি তা থেকে স্পষ্টত উমা সরকার তপশিলি জাতিভুক্ত না।আমরা এর সুবিচার চাই।
ময়নাগুড়ি বিডিও শ্রেয়সী ঘোষ বলেন প্রাথমিক তদন্ত করে যা বোঝা যাচ্ছে  উমা সরকার তপশিলি জাতিভুক্ত নন।অপরদিকে উমা সরকার বলেন আমার শংসাপত্র ভুয়ো নন।আমরা নমশূদ্র তাই বের করেছি।

কোচবিহারে জেলাপরিষদ প্রার্থী পুত্রের প্রচারে মন্ত্রী পিতা

সুজিত ঘোষ

কুচবিহারে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটে ২৮নং  জেলাপরিষদে প্রার্থী শ্রী পঙ্কজ ঘোষের হয়ে প্রচারে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা কোচবিহার জেলা  তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ মহাশয়।

মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৭, ২০১৮

অন্ত:সত্ত্বা কে পেটে লাথি মারার অভিযোগ, ফেরার অভিযুক্তেরা

মানস দাস,মালদা

প্রতিবেশীর সাথে বচসা।তারই জেরে অন্তঃসত্ত্বা মহিলার পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে।ঘটনায় আক্রান্ত একই পরিবারের তিন সদস্য।ঘটনাটি ঘটেছে মালদার রতুয়া থানার বাহারাল অঞ্চলের ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায়।আক্রান্ত গৃহবধূর এবং তার স্বামী চিকিৎসাধীন মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।জানাগেছে, আক্রান্তরা হলেন অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ মঞ্জুরি বিবি(২০) এবং তার স্বামী সেখ মিয়াজুল(২৭)।রাস্তা ব্যবহার করাকে কেন্দ্র করে শেখ মিয়াজুল ও তার প্রতিবেশী সাইদূল সেখের সাথে প্রতিনিয়ত বচসা চলছিল।সেই বচসাকে কেন্দ্র করে সোমবার আবারও দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।স্বামীকে মারধর দিতে দেখে অন্তঃসত্বা স্ত্রীর বাধা দিতে যায়।তখন দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে মারধর করে পেটে লাথি মারার অভিযোগ ওঠে সাইদূল সেখ সহ তার পরিবারের পাঁচ জনের বিরুদ্ধে।ঘটনার পরই আহতদের উদ্ধার করে রাতেই মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।ঘটনায় অভিযুক্ত সাইদূল সেখ, আকাশ সেখ,লাডলি বিবি সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্ত পরিবার।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রতুয়া থানার পুলিশ।তবে ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার বা আটক করতে পারেনি পুলিশ।

চিত্তরঞ্জন রেল হাসপাতালের উন্নতির দাবিতে স্মারকলিপি

নীলাদ্রি ঘোষ

চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয় বামপন্থী শ্রমিক সংঘটন লেবার ইউনিয়ন l স্থানীয় কস্তুরবা গান্ধী হাসপাতালে দলের কর্মী সমর্থকরা বিক্ষোভ ও পরে দলের পক্ষ থেকে ন'য় দফা দাবির সমর্থনে হাসপাতলের সিএমও ডা. অলোক মজুমদারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন l এদিনের কর্মসুচিতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক রাজীব গুপ্ত , সভাপতি রাজেশ চৌহান , স্নেহাশিষ চক্রবর্তী প্রমুখ নেতৃত্বরা l

ভোটাধিকার নিয়ে বাউলগান

মোল্লা জসিমউদ্দিন

বিখ্যাত লোকশিল্পী স্বপন বাউল পূর্ব বর্ধমানের কালনা এলাকায় বিভিন্ন সড়কমোড়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়ে গান শোনাচ্ছেন।

চিত্তরঞ্জনের ফতেপুরে বাস দুর্ঘটনায় জখম ৪

নীলাদ্রি ঘোষ


আবার পথ দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটল শিল্পাঞ্চলে l সোমবার সকালে চিত্তরঞ্জনে অফিস টাইমে এই ঘটনাটি ঘটে l প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানান আসানসোল থেকে চিত্তরঞ্জন গামী ইন্টারসিটি বাসটি দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় স্থানীয় ফতেপুর এলাকায় সামনের চাকাটি ফেটে যায় l বাসটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সামনের একটি গাছের সামনে ধাক্কা মারে l ঘটনায় চারজন গুরুতর ভাবে আহতহন l তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক l ঘটনার পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার কাজে হাত লাগান lখবর পেয়ে  চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অবস্থা নিয়ন্ত্রনে আনেন l

সাংবাদিক ভাস্কর খুনে জড়িতদের সন্ধানে নজর রইবে

সুকান্ত ঘোষ

সোমবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের সালার থানায় নিহত সাংবাদিক ভাস্কর ঘোষের মৃত্যুর ঘটনায় খুনের মামলা (৫৯/১৮) রুজু করা হল।নিহতর স্ত্রী অভিযোগ টি জানিয়েছেন।তবে মানসিকভাবে বিপযস্ত হওয়ার জন্য খুনের অভিযোগটি ঠিকমতো লিখতে পারেনি বলে জানা গেছে।এই মামলায় সাক্ষী, চার্জশিট,  ফাইনাল রিপোর্ট এর প্রতি আমাদের নজর থাকবে।সেইসাথে খুনের একঘণ্টা আগে যে স্যার কে ( পুলিশ অফিসার)  হোয়াটস আপে দুষ্কৃতিদের পথ আটকানোর কথা জানিয়েছিল ভাস্কর।তার সন্ধান আমরা করব।প্রয়োজনে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও করা হবে আসল খুনিদের সন্ধানে।

সোমবার, এপ্রিল ১৬, ২০১৮

তৃনমূলের সাথে জমিয়ত উলেমা হিন্দের দূরত্ব বাড়ছে


মোল্লা জসিমউদ্দিন

সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া কিছু ঘটানাবলি কে কেন্দ্র করে তৃনমূলের উপর চরম রুষ্ট জমিয়ত উলেমা হিন্দের বড় অংশ।ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেছে অনেকেরই।জমিয়ত উলেমার সমর্থকদের মধ্যে কেউকেউ সোশাল মিডিয়ায় তৃনমূল কে তুলোধোনাও করেছেন। শুধুই রাজ্যসভাপতি মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর তৃনমূলের আভ্যন্তরীণে বারবার অপমান, বঞ্চনার ঘটনা নয়।গত দুই থেকে তিনমাস যেভাবে বিজেপির সাথে পাল্লা দিয়ে উগ্র হিন্দুত্ববাদের লড়াই ময়দানে নেমেছে তৃনমূল,  তাতে জমিয়ত উলেমা হিন্দ ক্রমশ সরে আসতে চাইছে তৃনমূলের কাছ হতে।রামনবমী থেকে হনুমান জয়ন্তী যেভাবে প্রকাশ্য রাস্তায় তৃনমূল হিন্দুত্ব স্বত্তা কে ফুটিয়ে তুলেছে এবং তুলছে।সেখানে তৃনমূল ঘেঁষা জমিয়ত উলেমা হিন্দের ধর্ম নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কর্মী - সমর্থকেরা।আসানসোলে হিংস্বাত্মক ঘটনার অন্তরালে বিজেপির পাশাপাশি তৃনমূল সমানদায়ী বলে জেলা কমিটির নেতারা রাজ্যস্তরের নেতাদের জানিয়েছেন। তাই জমিয়তের বৃহৎ সমাবেশ গুলিতে তৃনমূল নেতা মন্ত্রীদের না আনাটা প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে বলে সংগঠন সুত্রে জানা গেছে।এইবিধ সভা সমাবেশে তৃনমূল 'সংখ্যালঘু' দের নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে বলে জমিয়তের একাংশ মনে করছে।ইতিপূর্বে বাংলার রাজনীতিতে তৃনমূল কে এতটা ধর্মীয়ভাবে পথে নামতে দেখা যায়নি। তৃনমূলের নেতা মন্ত্রী রাস্তাঘাটে ঢাকডোল বাজানোতেও দেখা গেছে।উগ্র হিন্দুত্ববাদের কর্মসূচীতে বিজেপি কে সমানে টেক্কা দিয়েছে তৃনমূল। তাই জমিয়ত উলেমা হিন্দ ধীরেধীরে তৃনমূলের ছত্রছায়া থেকে বেড়িয়ে আসতে চাইছে।তা না করলে অন্য সংখ্যালঘু সংগঠনগুলি তাদের সাংগঠনিক শক্তি বহুগুণ বাড়িয়ে নেবে এই সুযোগেই।এই আশংকা করছেন জমিয়তের রাজ্য নেতৃত্ব। গত দুবছরে মুসলিম পার্সোনাল ল, তিন তালাক, সংখ্যালঘু পীড়ন - বঞ্চনা আন্দ্রোলনগুলি বিজেপির বিরুদ্ধে তৃনমূল কে অক্সিজেন জুটিয়েছে জমিয়ত।সেক্ষেত্রে রামনবমী কিংবা হনুমান জয়ন্তী পালনে তৃনমূল যেভাবে হিন্দুত্ব কে প্রমোট করেছে।তাতে বাংলার সংখ্যালঘু মানুষজনের বড় অংশ আতংকিত, এটা জমিয়তের ব্লক কমিটির নেতারা জেলা কমিটির মাধ্যমে রাজ্য কমিটি কে অবগত করেছে।তাই অত্যন্ত গুরত্ব সহকারে তৃনমূলের সাথে মাখামাখি সম্পক রাখতে অনিচ্ছুক নেতৃত্বের বড় অংশ।সর্বোপরি রাজ্যসভাপতি মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে যেভাবে গত দুবছর তৃনমূল মঙ্গলকোট থানা, ব্লক সহ স্থানীয় নেতৃত্ব কে দিয়ে প্রথমে উপেক্ষা তারপর বয়কট - কালো পতাকা সর্বশেষে মহিলাদের দিয়ে ঝাঁটা জুতো দেখিয়ে গালিগালাজ খাওয়ানোর বন্দোবস্ত করেছে।তাতে জমিয়ত উলেমা হিন্দের বড় অংশ ক্ষুব্ধ হয়েছে।এমনকি পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটি ৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশসুপার ও ওসি কে দায়ী করে স্মারকলিপিও দিয়েছে।সভা সমাবেশ করে প্রতিবাদের পথে হাটেনি অশান্তির আশংকায়।আবার গত ৮ এপ্রিল মঙ্গলকোটের পদিমপুরে পঞ্চায়েত ভোটে অনুগামীদের মনোনয়ন দেবার জন্য হাজির হয়েছিলেন বিধায়ক তথা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। সেখানে পাইলট কার, নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী, স্থানীয় থানার পুলিশ, র‍্যাফ থাকা স্বতেও জেলা পুলিশের এক কর্তা সিদ্দিকুল্লাহ কে তৃনমূল ব্লক সভাপতির সশস্ত্র বাহিনীর তাণ্ডবলীলার কথা জানিয়ে এলাকাছাড়ার ব্যবস্থা করে দেন।শাসকদলের একজন বিধায়ক তথা রাজ্যের তিনটি দপ্তরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ নিজ বিধানসভা কেন্দ্রেও সুরক্ষিত নন? এই পরিস্থিতি চলছে মঙ্গলকোটের বুকে।তাই গত পাঁচদিন পূর্বে সরকারী নিরাপত্তারক্ষী সহ গাড়ী ছেড়ে দিয়েছেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। শুধু মঙ্গলকোটের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই বলে।এই সিদ্ধান্ত টি জমিয়ত উলেমার হিন্দের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।তাই দুরত্ব ক্রমশ বাড়ছে তৃনমূল - জমিয়ত উলেমা হিন্দের মধ্যে।২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে মানুষ যাতে সবকিছু বুঝে দেয়, সেই কর্মসূচি নেবে এই সংগঠনটি।আজ অর্থাৎ রবিবার দুপুরে জমিয়ত উলেমা হিন্দের রাজ্য ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক রয়েছে।সেখানে বাংলার রাজনীতিতে রামনবমী ও হনুমান জয়ন্তী পালন কে কেন্দ্র করে বিজেপি তৃণমূলের রাজনৈতিক রেষারেষি, আসানসোলের ঘটনা সহ সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর প্রতি গভীর ষড়যন্ত্র বিষয়গুলি আলোচিত হতে পারে।পক্ষান্তরে বলা যায়, গত দুবছরে জমিয়তের বিভিন্ন আন্দ্রোলনে যে রাজনৈতিক ফায়দা নিয়েছে তৃনমূল,  তা আগামী দিনে সেই রাস্তা বন্ধ করার ব্যবস্থা করছে জমিয়ত।কেননা সাংগঠনিক শক্তি কমে যাবার সম্ভাবনার পাশাপাশি রাজ্যসভাপতি সিদ্দিকুল্লাহের প্রতি অন্যায় অবিচার করার অভিযোগ রয়েছে নেতৃত্বর অন্দরে।

কুড়মালি কবির ভবতোষ রচনা সমগ্র প্রকাশ

সঞ্জয় হালদার

'কবি ভবতোষ শতপথি স্মৃতিরক্ষা কমিটি'র উদ্যোগে জনপ্রিয় কুড়মালি ভাষার কবি ভবতোষ শতপথির শক্তিশালী লেখনীকে বাঁচিয়ে রাখতে "ভবতোষ রচনা সমগ্র-১ম খন্ড" প্রকাশ হল রবিবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম শহরের বলাকা মঞ্চে। বইটির উদ্বোধন করেন কবি সৃজন সেন। স্মারক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক ও বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক সুস্নাত জানা।

শান্তিনিকেতনে বর্ষবরণ

তথাগত চক্রবর্তী

বীরভূমের শান্তিনিকেতনে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান  হল।বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক প্রেমিদের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মত।

তারাপীঠ মন্দিরে বর্ষবরণে সমাগম

তথাগত চক্রবর্তী

নতুন বছরে তারাপীঠে ভক্তদের ভীড়।কড়া নিরাপত্তা পুলিশের ।ভোর থেকে চলছে দোকানদারদের হালখাতার পূজা।

ময়নাগুড়িতে ট্রাকের ধাক্কায় হত বাইক আরোহী

সোমনাথ চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি

ময়নাগুড়ির সার্করোডে ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক বাইক চালকের।তাঁর সঙ্গী গুরুতর জখম অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।শনিবার রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ ময়নাগুড়ি চ‍্যাংরাবান্ধা সার্করোডে ধরলা সেতুর কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।মৃত বাইক চালকের নাম শুভম রায় (২৩)।তাঁর সঙ্গি তাপস রায় (২৫) বর্তমানে চিকিৎসাধীন।তাঁরা দুজনেই স্থানীয় একটি প্লাইউড ফ‍্যাক্টরিতে কাজ করতেন।তাঁরা রাতে বন্ধুর বাড়ি থেকে সংক্রান্তির নেমন্ত্রন খেয়ে বাড়ি ফিরছিলেন।ভূষ্কাডাঙ্গার বাসিন্দা।সেই সময় চ‍্যাংরাবান্ধার দিক থেকে আসা একটি ট্রাক শুভমদের ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়।গভীর রাতে স্থানীয়রা খবর পেয়ে শুভম ও তাপস কে চিকিৎসার জন্য ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।চিকিৎসকরা শুভমকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।তাপসকে জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।পরে সেখান থেকে তাপসকে উত্তর বঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
    শুভমের বাবা স্বদেশ রায় বলেন,আমার ছেলে শুভম তাঁর বন্ধু তাপসকে নিয়ে তাদের আর এক বন্ধুর বাড়িতে সংক্রান্তির নেমন্ত্রন খেয়ে রাতে বাড়ি ফিরছিল।সেই সময় একটি ট্রাক তাঁদের ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ।

নিহত সাংবাদিকের স্ত্রীর খুনের অভিযোগ কেন নিচ্ছেনা পুলিশ

সুকান্ত ঘোষ

মুর্শিদাবাদের নির্ভীক সাংবাদিক ভাস্কর ঘোষের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় বিশেষত স্থানীয় থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন। গত শুক্রবার বিকেলে যখন শ্বশুর বাড়ী থেকে নিজ বাড়ী ফিরছিল ভাস্কর।তখন মাঝপথে মুখে গামছা বেধে জনা পাচ দুষ্কৃতি পথ আটকায়।মোটরবাইক ফেলে দেয় এবং খুনের অভিযোগ দেয়।সেসময় কয়েকজন পুলিশ অফিসার কে হোয়াটস আপে ম্যাসেজ লিখে জানায়।আমাদের আশংকা ওই পুলিশ অফিসারদের কেউ নিরাপত্তা না দিয়ে উলটে তৃনমূল প্রভাবিত দুষ্কৃতিদের ফোনে জানিয়ে দেয়।তারজন্যই ভাস্কর পরিকল্পিত খুন হয় বলে আমাদের দাবি।ওই পুলিশ অফিসারদের মোবাইল কল ডিটেলস এবং লোকেশন দেখা উচিত।নিহত সাংবাদিকের স্ত্রী থানায় খুনের মামলা করতে গেলে বারবার ফেরাচ্ছে স্থানীয় থানা বলে অভিযোগ ।পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসার পর পদক্ষেপ নেবার আশ্বাস দিচ্ছে।যেদিন গাছে মৃতদেহ উদ্ধার হয়।সেদিন পায়ে জুতো ছিল।কি করে জুতো পরে গাছে উঠলো ভাস্কর?  কেননা কোন কোন সংবাদমাধ্যম এমনকি যে দৈনিক কাগজে লিখতো তারা আবার আত্মহত্যার গল্প ফাঁদছে পুলিশের চাপ কমাতে? ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে সাংবাদিক খুনে আদৌও দোষীরা ধরা পড়বে কিনা সে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।বিচার তো দূর অস্ত।পুলিশের একাংশ ক্রমাগত নিহতর পরিবারের কোন কোন সদস্য কে খুনের মামলা না করতে চাপ দিচ্ছে বলে স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER