শনিবার, এপ্রিল ২১, ২০১৮

নির্দল প্রার্থী নিয়ে উত্তপ্ত হতে চলেছে মঙ্গলকোট

মোল্লা জসিমউদ্দিন



 এখনও শেষ হয়নি।কোনপক্ষই হারতে রাজি নয়।এটা সম্মানরক্ষার লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে মঙ্গলকোট কে ঘিরে।হ্যা শুক্রবার বিকেলে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ পঞ্চায়েত ভোট মামলায় রায়দানে অতিরিক্ত মনোনয়ন পত্র পেশের সময়সীমা দেওয়ার নির্দেশিকা দিয়েছে।রাজ্যের বিরোধীরা এই রায়ে চরম খুশির পাশাপাশি তৃনমূলের একাংশও খুশি।বিশেষত তৃনমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব চাইছিল  মনোনয়ন পেশের সময়সীমা দেওয়া হোক।যদিও তারা প্রকাশ্যে চাননি, তবে ক্ষুব্ধ সিদ্দিকুল্লাহ কে সন্তুষ্ট করতে মনোনয়ন বাড়ানোর সুপ্ত ইচ্ছে ছিল।তাইতো গত বুধবার বীরভূম জেলা পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিম অনুব্রত মন্ডল কে জানিয়েদেন - মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মঙ্গলকোটের ৩৪ টি আসনে যেন তাঁর অনুগামীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন এবং সেগুলি যাতে সিদ্দিকুল্লাহের অনুগামীরা দলীয় সিম্বল পান।কলকাতা হাইকোর্টের রায়দানের দুদিন পূর্বে শীর্ষ তৃনমূলের এহেন নির্দেশ তাই পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয়,  মনোনয়ন পেশের সময়সীমা দেওয়াটা আবশ্যিক ছিল সিদ্দিকুল্লাহ কে সন্তুষ্ট করতে।শীর্ষ নেতৃত্ব চাইছে,  সংখ্যালঘু নেতা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী না চটাতে।বিশেষত আগামী লোকসভা নির্বাচন অবধি তো নয়।যদিও তারা ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি কে দিয়ে 'ঘরেঘরে' বিবাদ লাগানোর চেস্টায় ছিল, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি অনুভাব করে সিদ্দিকি এবং সিদ্দিকুল্লাহের বন্ধুত্ব বহুগুণ বেড়েছে।এতকিছুর মধ্যে হাল ছাড়বেন না মঙ্গলকোটের দলীয় পর্যবেক্ষক অনুব্রত মন্ডল ওরফে কেষ্ট মোড়ল।তিনি তৃনমূলের সূচনালগ্ন থেকেই মঙ্গলকোটের পর্যবেক্ষক রয়েছেন। নানুরের ভূমিপুত্র হওয়ায় সীমান্তবর্তী মঙ্গলকোট কে একটু বেশিই চিনেন।তাই শীর্ষ নেতৃত্বর আসনরফাটি বাস্তবিকপক্ষে আদৌও তিনি মানবেন কিনা, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।কেননা প্রথম পর্বের মনোনয়ন পেশের সময়ও সাক্ষরিত দলীয় প্রতীক তিনি ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন।তারপরেও বিধায়ক অনুগামী পদপ্রার্থীদের বাড়ী ঘিরে রাখে ব্লক সভাপতির লোকেরা।এমনকি কাটোয়া মহকুমাশাসক অফিসে পুলিশি সন্ত্রাস এবং দলীয় সশস্ত্র বাহিনীর সামনে পড়ে বিধায়ক অনুগামীরা।গত ৮ এপ্রিল নিজ বিধানসভা কেন্দ্র মঙ্গলকোটের পদিমপুর গিয়ে পুলিশের চরম উপেক্ষা এবং স্থানীয় নেতাদের শাসানির শিকার হন সিদ্দিকুল্লাহ।এরপরে একে একে সরকারি গাড়ী, নিরাপত্তারক্ষী ছেড়ে দেওয়া, রাজভবন না যাওয়া, মন্ত্রী অফিসে না যাওয়া, এমনকি রাজ্য মন্ত্রীসভার বৈঠকে অনুপস্থিতির মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী কে চরম বার্তা দেন ক্ষুব্ধ সিদ্দিকুল্লাহ।আর এতেই টনক নড়ে।শিক্ষামন্ত্রীর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করে সিদ্দিকুল্লাহ কে জানিয়ে দেওয়া হয় - মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তাঁকে মঙ্গলকোটে ৩৪ টি আসন দেওয়া হয়েছে।এতদূর অবধি সবই ঠিকঠাক। যত সমস্যা ওই ৩৪ টি আসনের ১৬ টি নির্দল প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা নিয়ে।বিধায়ক জানিয়েছেন ৩৪ টি আসনে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিরাই মনোনয়ন তুলবে।অপরদিকে সংবাদমাধ্যমে অনুব্রত জানিয়েছেন -" যে ১৬ জন নির্দল প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছে, তারা আসলে বিধায়কেরই অনুগামী। তাই বাকি ১৮ টি আসনে বিধায়কের লোকেরা মনোনয়ন জমা দেবে।"আর এখান থেকে পুনরায় সিদ্দিকুল্লাহের সাথে অনুব্রতের মনোমালিন্য কিংবা বিবাদ শুরু হতে চলেছে।যে মঙ্গলকোট ব্লক অফিসে পুলিশের তাড়ায়, নেতাদের মোটরবাইক বাহিনীর দৌরাত্মে বিধায়ক অনুগামীরা মনোনয়ন পত্র তুলতে পারেনি।এমনকি কাটোয়া মহকুমাশাসক অফিসে ঢুকতে গেলে পুলিশের হাতে দশের বেশি বিধায়ক অনুগামী আটক হয়।এমনকি সিদ্দিকুল্লাহের এক ভাইপোর মাথা ফাটে তাতে।তাই তথাকথিত ওই ১৬ জন আসলে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীরই মনোনীত ব্যক্তি।এদের মধ্যে কেউ কেউ বিধায়কের অতি ঘনিষ্ঠ সেজে বিপক্ষ শিবির কে  ভেতরকার খবর সাপ্লাই দিত বলে বিধায়ক শিবিরের দাবি।তাই এইধরনের ভোল পাল্টানো সুবিধাবাদীদের মেনে কি নেবেন সিদ্দিকুল্লাহ? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।যাইহোক মঙ্গলকোটের ১৬ জন নির্দল প্রার্থীদের নিয়ে শাসকদলের যুযুধান দুপক্ষের বিবাদ শুধু সময়ের অপেক্ষা,  এটা বলায় যায়।

সম্প্রীতি বাড়াতে আসানসোল শহরে বৈঠক

মোহন সিং

কয়েকদিন আগেই আসানসোলের রেলপার এলাকায় অশান্তি ছড়িয়েছিল। আর যেন সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে তাই শান্তি বৈঠক করা হল।  রেলপার এলাকাতেই এই শান্তি বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। উপস্থিত ছিলেন মেয়র পারিষদ অভিজিত ঘটক, পুলিশ আধিকারিক সহ বিশিষ্টজনেরা। উপস্থিত প্রত্যেকেই সম্প্রীতি ও শান্তির পক্ষে সওয়াল করেন।

আসানসোললের ব্লাইন্ড স্কুলে জন্মবার্ষিকী

মোহন সিং

মহত্মা হন্সরাজজী মহারাজের জন্মজয়ন্তী পালন হল আসানসোলে। আসানসোল ব্লাইন্ড স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনোর সামগ্রী দেওয়া হয়।
মহত্মাজী ডিএভি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা।  তাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কল্যানী নায়ক সহ স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকা  মহাত্মা জীর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন তারপর ব্লাইন্ড স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনোর সামগ্রী দেয়।

অল্পের জন্য পথের বলি হওয়া থেকে বাঁচলো দুই শিশু

মোহন সিং

পথ দূর্ঘটনায় অল্পের জন্যে রক্ষা পেল দুই শিশু৷ঘটনাটি আসানসোলের বিবেকানন্দ সরণি ও এইচ এল জি মোড় সংলগ্ন এলাকায় ঘটে৷চিত্তরঞ্জন থেকে আসানসোল গামী মিনিবাসের সঙ্গে পুলকারের ধাক্কায় আহত হয় দুই শিশু ও  তাদের অভিভাবক। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তী করা হয়েছে।
মিনিবাসটিকে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ আটক করেছে। ঘটনাস্থলে ট্রাফিক পুলিশ থাকা সত্ত্বেও এই ঘটনা ঘটায়,সাধারণ মানুষ বেশ কিছুক্ষন পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

আসানসোল শহর জুড়ে বিপর্যয় মোকাবিলার প্রশিক্ষণ

মোহন সিং

আসানসোলের শপিং মল গুলিতে দুর্যোগ মোকাবিলা করতে মক ড্রিল করানো হল পুলিশের পক্ষ থেকে। কিভাবে আগুন লাগলে তা থেকে বাঁচতে হবে। অযথা হুটোপুটি না করে,  গুজব না ছড়িয়ে কিভাবে পরিস্থিতির সাথে মোকাবিলা করা যাবে, তা নিয়েও জনসাধারণকে বোঝানো হয়। তবে শুধু শপিং মল নয়,  স্কুলে ও বিভিন্ন এলাকায় এই ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়।

সন্তান হারানো দম্পতির আমরণ অনশন মঞ্চে জেলাশাসক

মোহন সিং

আসানসোলঃ—বেসরকারি হাসপাতালের গেটের সামনে মেয়ে খুশি ঘোষের মৃত্যুর প্রকৃত কারণের তদন্তের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ ও আমরণ অনশনে বসা অক্ষয় ঘোষের সাথে দেখা করলেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শান্তনু বোস৷একই সাথে এদিন ডঃ সমীরণ ব্যানার্জীর নেতৃত্বে এক মেডিক্যাল টিম অক্ষয় বাবুর শারীরিক অবস্থার অবনতির দিকটি পরীক্ষা করে চিন্তা ব্যক্ত করেন ,পাশাপাশি অক্ষয় বাবুকে অনশন ভঙ্গ করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে ভর্তির অনুরোধ রাখেন৷কিন্তু অক্ষয় বাবু দাবি করেন,তার মেয়ের মৃত্যুর জন্যে দায়ি বেসরকারি হাসপাতালটির বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করা হোক৷একই সাথে ওই বেসরকারি হাসপাতালে তার মেয়ে খুশির চিকিৎসা চলাকালীন সিসিটিভির ফুটেজ দেওয়া হোক৷তবেই তিনি অনশন ভাঙার বিষয়টি চিন্তা-ভাবনা করবেন৷

শুক্রবার, এপ্রিল ২০, ২০১৮

মোটরবাইক দুর্ঘটনায় হত পুলিশকর্মী

মানস দাস,মালদা

মোটর বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক পুলিশ কর্মীর । দূর্ঘটনাটি ঘটেছে  বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মালদা শহরের আই টি আই মোড় এলাকায়। আহত পুলিশ কর্মীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতর নাম, সঞ্জয় সাহা(৪৫)। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর এলাকায়। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। কিভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।

সিদ্দিকুল্লাহের 'গুরুত্ব' অনুভাব করে অনুব্রতের নিরঙ্কুশ প্রভাব কমালো তৃনমূল



মোল্লা জসিমউদ্দিন






 বিরোধী শুন্য ভোট গড়ার এই মুহুত্যে রাজ্যের 'ফাস্ট বয়' অনুব্রত মন্ডলের দলীয় ক্ষমতার নিরঙ্কুশ প্রভাব কমাতে উদ্যোগী হলেন দলনেত্রী।গত পঞ্চায়েত ভোটে 'নির্দলদের বোমা মারুন' কান্ডে এক খুনের মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের সমালোচনা থাকা সত্বেও অনুব্রত মন্ডল ওরফে কেষ্ট কে চটায়নি দল।তবে অসাধারণ পারফরমেন্স (বিরোধীহীন ভোট)  থাকাতেও কেষ্টর ডানা ছাঁটলো দল।পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না পাওয়া মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে ৩৪ টি আসনে টিকিট দেবে দল যদি মনোনয়ন পেশের সময়সীমা বাড়ে।অর্থাৎ মঙ্গলকোটের অনুব্রত অনুগামীরা ওই আসন গুলি থেকে নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবেন।আর সিদ্দিকুল্লাহ তাঁর অনুগামীদের সেখানে দাঁড় করাবেন। সবটাই নির্ভর করছে আদালতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের রায়দানের উপর।প্রাথমিকভাবে ৩৪ টি আসনে মঙ্গলকোটে অনুব্রত অনুগামীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করাটা সিদ্দিকুল্লাহের নৈতিক জয় বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।তবে এই জয়েও অনুব্রত একটি মোক্ষম চাল রেখেছেন, সেটি হল সিদ্দিকুল্লাহের ১৬ জন অনুগামী নাকি নির্দল প্রার্থী হিসাবে ইতিমধ্যে মনোনয়ন পেশ করে ফেলেছেন। ওই ১৬ জন একদা বিধায়ক অনুগামী হলেও,  শেষ মুহুত্যে অনুব্রত অনুগামী ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরীর অফিসে গিয়ে/মোবাইলে ফোন করে দলীয় আত্মসমর্পণ করে মনোনয়ন দিয়েছিলেন বলে প্রকাশ।যেখানে গত ৮ এপ্রিল মঙ্গলকোটের পদিমপুরে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী মনোনয়ন করানোর জন্য গেলে তাঁকে পুলিশের জেলা কর্তারা হানাহানির সম্ভাবনার কথা বলে ভাগিয়ে দেন বলে অভিযোগ। এমনকি যে ভাড়া বাড়িতে দীর্ঘ ২ বছর বিধায়ক পরিষেবা কেন্দ্রের অফিস করেছিলেন সিদ্দিকুল্লাহ।সেই ঘরের মালিক সেদিন মন্ত্রী কে অফিসে ঢুকতে দেননি অশান্তির অপেক্ষায়।তাই মন্ত্রী যেখানে পুলিশ ও দলীয় সন্ত্রাসের জন্য মঙ্গলকোটে থাকতে পারেননি।সেখানে ওই ১৬ জন তথাকথিত নির্দল কিভাবে ব্লক অফিসে মনোনয়ন জমা দিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিধায়ক শিবির।যাইহোক মনোনয়ন পেশের সময়সীমা বাড়ালে অনুব্রত মন্ডলের ৩৪ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিবেন এবং সেইজায়গায় সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর অনুগামীরা মনোনয়ন জমা দেবেন বলে দলনেত্রী ঠিক করে দিয়েছেন বলে প্রকাশ।ইতিপূর্বে যারা অনুব্রত মন্ডলের রাজনৈতিক কেরিয়ারে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন,  তাদের অনেকেই জব্দ।সেই বাসাপাড়ার সোনা চৌধুরী, মঙ্গলকোটের আজাদ মুন্সি, কেতুগ্রামের জাহির সেখ প্রমুখরা অনুব্রত অনুগামীদের হাতে খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য এইসব খুনের মামলায় আদালতে অনুব্রত অনুগামীরাই অভিযুক্ত হিসাবে রয়েছে।সর্বশেষ নানুরের কাজল সেখও অনুব্রতের সাথে আন্ডারস্ট্যান্ডিং করে রয়েছেন বলে প্রকাশ।তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মঙ্গলকোট বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে অনুব্রত কে কড়া চ্যালেঞ্জ দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।তবে অনেকেই মনে করছেনা রাজ্যে সাম্প্রতিককালে বিজেপির বাড়বাড়ন্তর জন্য সংখ্যালঘু নেতা সিদ্দিকুল্লাহ এই নৈতিক জয় পেলেন।ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি কে সামনে রেখে সিদ্দিকুল্লাহ কে চাপে রাখার কৌশলও নেওয়া হয়েছিল,কিন্তু উভয়ই তৃনমূলের এহেন রণনীতি সম্পকে ওয়াকিবহাল থাকায়, তা বাস্তবায়ন ঘটেনি।তবে টিপু সুলতানের ইমাম বরকতির গাড়ীতে লালবাতি কান্ডে তৃনমূলের হয়ে ময়দানে নামাটা ঠিক হয়নি বলে বিধায়ক নাকি ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে দিন দশ পূর্বে পঞ্চায়েতে দলীক প্রতীক থেকে বঞ্চিত সিদ্দিকুল্লাহ সরকারি গাড়ী,দেহরক্ষী ছেড়ে দেওয়া।সেইসাথে রাজভবন, দপ্তর না যাওয়া সর্বোপরি রাজ্য মন্ত্রীসভার বৈঠকে গড়হাজির হয়ে যে রাজনৈতিক হুশিয়ারী শীর্ষ তৃনমূল কে দিয়েছিলেন সংখ্যালঘু সংগঠনের নেতা, তাতে আগামী ২০১৯ এর লোকসভা ( বিধানসভা ভোটও হতে পারে একই সাথে)  নির্বাচনে এই রাজ্যে সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক শাসকদলের পক্ষে নাও যেতে পারে।কেননা যেভাবে বিজেপির সাথে পাল্লা দিয়ে রামনবমী / হনুমান জয়ন্তী পালনে তৃনমূল রাস্তায় নেমেছে।তাতে সিদ্দিকুল্লাহ কে সন্তুষ্ট করা ছাড়া কোন পথ ছিলনা তৃনমূলের।তাই রাজ্যের বিরোধী শুন্য ভোট করানোর 'ফাস্ট বয়' অনুব্রত কেও দলীয় নিরঙ্কুশ প্রভাব কমিয়ে সিদ্দিকুল্লাহ কে মান্যতা দিল শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে তথাকথিত ওই মনোনয়ন পেশ করা ১৬ জন নির্দল প্রার্থী নিয়ে 'আমরা ওরা' লড়াইতে নামছে মঙ্গলকোটের শাসকদলের  যুযুধান দুপক্ষ।তাই আসনরফার সমস্যা থেকেই গেল মঙ্গলকোটের বুকে।

লালগড়ের বাঘের সাথে তুলনায় বিজেপি সভাপতি

উজ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়

আদালত থেকে ময়দান, হিরো বিজেপি , আমরা লড়ছি ,বিজেপিই বাংলায় পরিবর্তন আনবে এমন ঘোষণা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ । বুধবার সকালে বারুইপুরের পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে এসে একথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি । বারুইপুরের মদারাট মাষ্টার পাড়ার মোড় থেকে  বিজেপির রোড শো র‍্যালিতে অংশ নেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ,হুড খোলা গাড়ীতে উঠে রাজ্য সভাপতি বিজেপি প্রার্থীদের নিয়ে সামনে বাইক মিছিল নিয়ে সিতা কুন্ডু এর আগে পর্যন্ত  র‍্যালি করেন  । রাজ্য সভাপতির সাথে  ছিলেন দক্ষিন ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি ত্রিদিব মণ্ডল ,সম্পাদক সুনিপ দাস । র‍্যালি   উপলক্ষ্যে বারুইপুর থানার পুলিশ প্রতি মোড়ে মোড়ে মোতায়েন ছিল , পর্যাপ্ত পুলিশ ছিল নজরদারিতে যাতে র‍্যালি কে ঘিরে কোন অশান্তি না হয় । র‍্যালি মদারাট মাষ্টার পাড়ার মোড় থেকে শুরু হয়ে বটতলা , কালিতলা , নায়েবের মোড় ,আটঘড়া হয়ে সিতাকুন্ডুর আগে গিয়ে শেষ হয় । র‍্যালিতে যাবার আগে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের আরও বলেন , আদালত আর নির্বাচন কমিশন যদি সুযোগ দেয় আমাদের প্রার্থীদের মনোনয়ন দেবো , আমরা প্রস্তুত আছি , তবে আদালত যা রায় দেবে তাতে শাসকদলের কোমর ভেঙে যাবে । তৃনমূলের দম বন্ধ হয়ে গিয়েছে । আমরা পিচে থেকে ওদের হারাবো ,চার ,ছক্কা মারবো । আমরা রোদে যাচ্ছি ,তৃনমূল কংগ্রেস খালি আদালতে যাচ্ছে । আমাদের প্রচারে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি । র‍্যালি শেষে রাজ্য সভাপতি মাইক নিয়ে হুড খোলা গাড়ি থেকে জনতার উদ্দেশে বলেন , নতুন বাংলা গড়তে চাই ,নতুন বাংলা গড়তে যুবদের দায়িত্ব দিন ,গ্রাম বাংলায় আমরা উন্নয়ন করতে চাই , হিসাব দিয়ে পঞ্ছায়েতে উন্নয়ন করবো । আমাদের এক বার সুযোগ দিন ,যদি না পারি ৫ বছর পর ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবেন ।বারুইপুরের পাশাপাশি গো চরনে ও কুলতলির জামতলায় এক জন সভা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি , চরনের সভা থেকে রাজ্য সভাপতি লালগড়ে বাঘের মৃত্যুর জন্য তৃনমূল কে দায়ি করে বলেন , মানুষ কি মানুষ ,বাঘ কেও পিটিয়ে মেরে দেওয়া হচ্ছে ,মজা করে বলেন সুন্দরবনের বাঘ লালগড়ে কেন যে গিয়েছিল ,দিদি বলেছে জঙ্গলমহলে উন্নয়ন হচ্ছে তাই উন্নয়ন দেখতে গিয়েছিল ,আর ওরা মনে করেছে বাঘ হল বিজেপি ,মনোনয়ন  দিতে এসেছে তাই মেরে দিল । বাঘ তৃনমূলের হাতে পড়ে শেষ হয়ে গেল ,এদের হাতে বাঘও রেহাই পাচ্ছে না ।

গোপালনগরে তৃনমূল দম্পতি কে গুলি করে মারার চেষ্টা

ওয়াসিম বারি

গভীর রাতে ঘুমন্ত  তৃণমূল কর্মী কে জানালা দিয়ে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ,
হাসপাতালে স্বামী, স্ত্রী ৷গোপালনগর থানার সুন্দর পুর এলাকায় আজ রাত বারটা নাগাদ ঘুমন্ত অবস্থায় অজীত দেবনাথ (৫o) নামে এক তৃণমূল কর্মী কে জানালা দিয়ে গুলি করে পালিয়ে গেল দুষ্কৃতিরা।অজীত দেবনাথের ডান পায়ে আঘাত লাগে এবং তার স্ত্রী পদ্ম দেবনাথের বাম পা জখম হয়৷ স্থানীয়রা তাদের দ্রুত বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে এলে ডাক্তার অজীত দেবনাথ কে কলকাতায় রেফার করে ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা যায় প্রতিদিনের মত আজও অজীত বাবু ও তার স্ত্রী পায়ের দিকের জানালা খুলে ঘুমাচ্ছিল ।হঠাৎ তিব্র শব্দে ঘুমভেঙে যায় অজীতের পাশের বাড়ির লোকেদের ৷ তারা ছুটে এসে দেখে আক্রান্তর ডানপায়ে আঘাত লেগে খুব রক্তপাত হচ্ছে এবং তার স্ত্রী ও যন্ত্রনায় ছটপট করছে ৷ দ্রুত তাদের বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে আসে গ্রামের লোকেরা ।
আজীত দেবনাথ বলে আমর সাথে করো শত্রুতা নেই, আমি তৃণমূল কর্মী, জানালা খোলাছিল তীব্র শব্দে ঘুম ভাঙার পর বুঝতে পারি কেউ আমায় খুন করবার জন্য গুলি করেছে ৷ আমার ডান পায়ে গুলির আঘাত লেগেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গোপালনগর  থানার পুলিশ৷

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৯, ২০১৮

বোন কে কটুক্তি প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে গুরুতর জখম দাদা

মানস দাস, মালদা

বোনকে কটুক্তি ও মারধোরের প্রতিবাদ করায় দাদাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠলো ৬ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।এই  ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছে দুই স্কুল ছাত্রী সহ একই পরিবারের মোট চার জন। আক্রান্তরা চিকিৎসাধীন মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে, বুধবার রাতে গাজোল থানার রাজারামচক গ্রামে। আক্রান্তরা হলেন,রবিউল সেখ(২২),রুকসেনা খাতুন(১৮),সারমীনা খাতুন(১৫)ও টগরী বিবি(৪০)। অভিযুক্ত,সেন্টু সেখ,নাজির হোসেন সহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের গাজোল থানায়। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত নাজির হোসেনকে কেও বা কারা পাগল বলে। তা নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে নাজির হোসেন। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করে স্কুল পড়ুয়া সারমিনা খাতুন। তখনই ওই ছাত্রিকে মারধোর করে বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে পরিবারের অন্য সদস্যদেরও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠে ৬ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। রাতেই আহতদের উদ্ধার করে গাজোল গ্রামীন হাসপাতালে ভরতি করে পরিজনেরা। সেখান থেকে ২ জনকে স্থানান্তর করা হয় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তবে কি কারনে এই ঘটনা তা তদন্ত শুরু করেছে গাজোল থানার  পুলিশ। এ বিশয়ে টগরী বিবি জানান, আমার মেয়েকে কটুক্তি ও মারধোর করছিল।ছেলে প্রতিবাদ করায় হামলা চালায় তারা।

মানবাধিকার কমিশনের এডিজি মালদা মেডিক্যাল হাসপাতাল পরিদর্শনে

মানস দাস,মালদা

মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করে উত্তর দিনাজপুরের নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করলেন, পশ্চিমবঙ্গ মানবাধিকার কমিশনের এ ডি জি শশীকান্ত পূজারী। বৃহস্পতিবার সকাল দশটা নাগাদ, মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে যান তিনি। হাসপাতালের পরিকাঠামো, মাতৃমা বিভাগ, পুরুষ ও মহিলা বিভাগ সহ নব নির্মিত ভবনও পরিদর্শন করেন তিনি। পরে সরকারী মহিলা আবাসও পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন, মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এম এস ভি পি অমিত দাঁ, ডেপুটি সুপার জ্যোতিষ চন্দ্র দাস সহ অন্যান্য চিকিৎসকেরা। পরিদর্শনের পর কোনো মন্তব্য করতে চাননি এ ডি জি শশীকান্ত পূজারী।অমিত দাঁ জানিয়েছেন, পরিকাঠামো দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

আসানসোলে শিশুমৃত্যুর বিচার কি পাবেনা বাবা মা?

মোহন সিং

আসানসোলঃ—লোয়ার কুমারপুর নিবাসী অক্ষয় ঘোষ গত ২০/৩/২০১৮ তারিখে তার ছয় মাসের মেয়ে খুশিকে বিকেল ৩:৩০নাগাদ চিকিৎসার জন্যে আসানসোলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন৷ওই দিনই রাত্রি দশটা নাগাদ খুশি মারা যায়৷খুশির মৃত্যুতে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে ওই বেসরকারি হাসপাতালের গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন খুশির বাবা-মা(অক্ষয় ঘোষ,রূপা ঘোষ)৷এরপর এই অবস্থান বিক্ষোভের সাথে সহমত ও সহমর্মীতায় শহরের জনগণ মোমবাতি মিছিলও করে৷তবু খুশি ঘোষের মৃত্যুর সদুত্তর দিতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷যদিও হাসপাতাল জানিয়েছে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা শুরুহয়েছিল খুশির৷খুশি মারা গেছে কার্ডিয়াক ফেলিওরএ৷কিন্তু খুশির বাবার বক্তব্য খুশির নিউমোনিয়া হয়নি৷এমনকি খুশির চিকিৎসার দাবি করা হয়েছে যে শিশু বিশেষজ্ঞের নামে;তিনি হাসপাতালে আসেন খুশির মৃত্যুর পর৷হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আর এম পি দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছে তার মেয়ের৷তাছাড়া খুশির নিউমোনিয়া হয়নি৷চেষ্ট রিপোর্ট তাই বলছে৷খুশির বাবা দাবি করেছেন তার মেয়ের মৃত্যুর প্রকৃত কারণের জন্যে সঠিক তদন্ত বা প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত করা হোক৷অক্ষয় বাবু ইতিমধ্যে আসানসোল উঃ থানা থেকে প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছেন৷সুবিচারের প্রত্যাশায় হাসপাতাল গেটের সামনে ২৭দিন অবস্থান বিক্ষোভ করছেন৷এতেও কোনো সদুত্তর না পেয়ে গত ১৮তারিখ থেকে তিনি আমরণ অনশনে বসেছেন৷এখন দেখার,খুশির বাবা-মা অক্ষয় ঘোষ ও রূপা দেবী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের শীতঘুম ভেঙে সুবিচার পান কবে৷অক্ষয় বাবু প্রশ্ন রেখেছেন তাদের খুশির মতো আর কত শিশুর মৃত্যু হবে কতদিন ভুল চিকিৎসায়?

সংখ্যালঘু নেতাদের একছাতার তলায় আনতে উদ্যোগী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী



মোল্লা জসিমউদ্দিন





 উপলক্ষ টা 'সম্প্রীতি ও সংবর্ধনা সভা' হলেও মূল লক্ষ হচ্ছে বাংলার সংখ্যালঘু নেতাদের একত্রকরণ। হ্যা বুধবার হাওড়ার পশ্চিম বাইনান এলাকায় সবুজ সংঘের মাঠে মাদ্রাসা কাসেমুল উলুমের পরিচালনায় সারারাত্রীব্যাপি চলবে 'সম্প্রীতি ও সংবর্ধনা সভা'। যেখানে উপস্থিত থাকছেন রাজ্য জমিয়ত উলেমা হিন্দের সভাপতি মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী, ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি, সারাবাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ কামরুজাম্মান সহ নানা প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠনের নেতৃত্ব। এটি নিছকই কোন সাংস্কৃতিক কিংবা ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, তা মানছেন অনেকেই।একটি  সংগঠনের রাজ্য নেতা জানান - "যেভাবে গত দুই থেকে তিনমাস ধরে রামনবমী এবং হনুমান জয়ন্তী কে ঘিরে বিজেপির সাথে তৃনমূলের উগ্র হিন্দুত্ব নিয়ে ধর্মীয় লড়াই হলো।তাতে গ্রামবাংলার সংখ্যালঘু মানুষরা চরম আতঙ্কিত। অজশ্র মসজিদ /মাদ্রাসার ইমাম - মাওলানারা আমাদের রিপোর্ট দিয়েছেন একহয়ে থাকতে।তাই সাংগঠনিক ভেদাভেদ ভূলে একছাতার তলায় থাকতে চাইছি।কেননা এই লড়াই ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন অবধি চলবে "।এহেন বক্তব্য থেকে পরিস্কার বাংলায় সাম্প্রতিকতম বিজেপি বনাম তৃনমূলের যে লড়াই শুরু হয়েছে, তাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষদের বড় অংশ ক্ষুব্ধ।বিশেষত যারা বাংলা কে রবীন্দ্র - নজরুলের বাংলা বলে মনে করেন।এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সংগঠন কে নিজেদের ভেদাভেদ মূলে এক হয়ে থাকার ব্যাপারে বেশি উদ্যোগী হয়েছেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। শাসকদলের মন্ত্রী হয়েও পঞ্চায়েত ভোটে দলের ম্যাসলম্যানদের মনোনয়ন সন্ত্রাস নিয়ে ক্ষুব্ধ সিদ্দিকুল্লাহ গত ৫ ফেব্রুয়ারি নিজ বিধানসভা কেন্দ্র মঙ্গলকোটের আটঘড়ায় দলের ক্ষমতাসীন ব্লক নেতৃত্ব এবং পুলিশের একাংশের মদতে ঝাঁটা জুতো হাতে মহিলাদের গালিগালাজ খেয়েছিলেন।সেসময় থেকেই বাংলার প্রায় মসজিদ - মাদ্রাসায় 'মাওলানা' মন্ত্রীর প্রতি এহেন আচরণ নিয়ে তুমুল নিন্দার ঝড় বয়ে যায়।উল্লেখ্য সারারাজ্যে হাজারের বেশি মাদ্রাসার কর্মকর্তা এবং ইমাম / মোয়াজ্জেনদের বৃহত্তর সংগঠনের নেতা হচ্ছেন সিদ্দিকুল্লাহ।স্বভাবতই মঙ্গলকোটের ঝাঁটা কান্ড নিয়ে নোংরা রাজনীতির শিকার তত্ত্ব টি উঠে আসে।ফেব্রুয়ারি মাসে এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রামনবমী নিয়ে বিজেপির উগ্র হিন্দুত্ব কে হাইজ্যাক করতে রাস্তায় নামে তৃনমূল। এরপরে আবার হনুমান জয়ন্তীতে একই অবস্থান দেখা যায় তৃনমূলের মধ্যে।সংখ্যালঘু মানুষদের বড় অংশে নিরাপত্তাহীনতার সংকটে ভুগে।রাজ্যের বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনগুলির কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে রণনীতি সাজিয়ে নেন বলে জানা গেছে।তাই সরাসরি কোন সভা সমাবেশ না করে নানান ইসলামিক জলসা, সম্প্রীতি সভার নামে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি একত্রিত করতে এবং আলাপ আলোচনা চালাচ্ছে তাঁরা।হাওড়ার পশ্চিম বাইনান এলাকার সভাটি আদতে তারই অংশ মাত্র বলে কেউ কেউ মনে করছেন।সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন - ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ১০০ আসনে পিডিসিআই দলের প্রার্থী দেওয়ার ভাবনাতেই মমতা বাধ্য হয়েছিল নবান্ন ডেকে রফা করতে।ওই ১০০ আসনে গোটা দশেক আসনে লড়াই হলেও তৃনমূলের হারজিত অনেকটাই পাল্টে দিত।সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকের পাঁচ থেকে দশ শতাংশক ভোট মাইনাসে গেলে তৃনমূলের ফলাফল অন্য হত।তাই সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে তৃনমূল মন্ত্রিত্ব দিয়ে সেই বিপদ রুখেছে।পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদলের সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশি সন্ত্রাসের কাছে বিরোধীশুন্য জেলাপরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েত অনেকজায়গায় দখলে আনতে পেরেছে তৃনমূল। সেখানে বিধানসভা ভোটের মত পঞ্চায়েত ভোটে কোন পাত্তা পাননি সিদ্দিকুল্লাহ।তৃনমূল শিবিরের দাবি গত বিধানসভা নির্বাচনের সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে ব্লাকমেলিং এর উপযুক্ত জবাব পঞ্চায়েত ভোটে সিদ্দিকুল্লাহ কে দিয়েছেন দলনেত্রী।তবুও হাল ছাড়ছেন না সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। বিভিন্ন ধর্মীয় জলসা, সভার মাধ্যমে সংখ্যালঘু মানুষদের বঞ্চনা, অত্যাচার সর্বোপরি উগ্র হিন্দুত্ব নিয়ে বিজেপির সাথে তৃনমূলের একই অবস্থান নিয়ে জমিয়ত উলেমা হিন্দ তো বটেই অন্য সংগঠন গুলিতে একই প্লাটফর্মে রাখতে উদ্যোগ নিচ্ছেন আগামী লোকসভা নির্বাচনের সময় জবাব দিতে।এইরুপ মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।বাংলার রাজনীতি বলয়ে বিজেপি যে হিন্দুত্ব নিয়ে লড়াই শুরু করেছে, সেখানে তৃনমূলের পক্ষে উগ্র হিন্দুত্বের পাশাপাশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কে তুষ্ট করে রাখা চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াবে।সেখানে ক্ষুব্ধ সিদ্দিকুল্লাহ অতীতের বিভিন্ন আন্দ্রোলনের মত পেক্ষাপট করতে চলেছেন।তার প্রাথমিক সূচনা হিসাবে প্রস্তাবিত জমিয়ত উলেমা হিন্দের মুখ্যমন্ত্রী কে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচী টি।এখন দেখার সিদ্দিকুল্লাহের এই রাজনৈতিক লড়াইতে অন্য সংখ্যালঘু সংগঠন গুলি কতটা সহযোগী হয়, তা নিয়েও!

বাঁকুড়া বঙ্গবিদ্যালয়ের নূতন গেট

সাধন মন্ডল

বাঁকুড়া বঙ্গবিদ্যালয়ের নব নির্মিত গেটের  শুভ উদ্বোধন করলেন মাননীয়া বিধায়ক শম্পা দরিপা।ওনার বিধায়কের এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে ৭ লক্ষ টাকা খরচ করে মাচানতলার মোড়ে এই সুসজ্জিত এই গেট টি আজ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক শিক্ষিকা ও আপামর জনসাধারণ এর ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হল।

বুধবার, এপ্রিল ১৮, ২০১৮

হাইকোর্টে পঞ্চায়েত ভোটের অর্ডারে নজর রেখেছেন সিদ্দিকুল্লাহ


মোল্লা জসিমউদ্দিন

চলতি সময়কালে বাংলার প্রতিটি মানুষের নজর কলকাতা হাইকোর্টের দিকে।তবে একটু বেশি নজর রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর।ঘনিষ্ঠমহলে তিনি জানিয়েছেন - যেভাবে টানা চার থেকে পাঁচদিন ভোটগ্রহনের কাজকর্ম স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট, তাতে আগামীদিনে অবাধ নির্বাচনের লক্ষে মনোনয়নের সময়সীমা বাড়াতে পারে আদালত। তাই মঙ্গলকোটের অনুগামীদের দলীয় প্রতীক দেওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।কেননা এবার মুখ্যমন্ত্রী সিরিয়াসভাবে মঙ্গলকোট বিধায়কের ক্ষোভ নিরসনে শিক্ষামন্ত্রী কে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন।ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, যেভাবে আসনরফার নামে শীর্ষ তৃনমূল নেতৃত্ব লুকোচুরি খেলেছে সিদ্দিকুল্লাহের সাথে, তাতে সিদ্দিকুল্লাহ ভীষণ ক্ষুব্ধ।আসনরফার প্রথম পর্বে মুখ্যমন্ত্রী কে বিষয়টি মঙ্গলকোট বিধায়ক জানালে, রাজ্যসভাপতি সুব্রত বকসী,  জেলার দলীয় পর্যবেক্ষক অরুপ বিশ্বাস ( বর্ধমান),  ফিরহাদ হাকিম (বীরভূম) ,  অনুব্রত মন্ডল (মঙ্গলকোট) সহ ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরীদের সাথে দফায় দফায় বৈঠকে ৩৪ টি আসন দেওয়া হয় সিদ্দিকুল্লাহ কে।কিন্তু মঙ্গলকোট থানার পুলিশের অতি সক্রিয়তা এবং ব্লক সভাপতির সশস্ত্র বাহিনীর দাপটে একটিও মনোনয়ন জমা দিতে পারেনা বিধায়ক অনুগামীরা।এমনকি কাটোয়া মহকুমাশাসক অফিসে বিধায়কের আট থেকে দশ অনুগামী মনোনয়নপত্র নিতে গেলে বিজেপি স্ট্যাম্প নিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়।সেইসাথে বিধায়কের ভাইপোর মাথা ফাটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ বিধায়ক নিজেও যান মঙ্গলকোটের পদিমপুরে বিধায়ক অফিসে।সেখানেও রাজ্যের তিনটি দপ্তরের মন্ত্রী হয়েও পুলিশি সন্ত্রাস এবং দলীয় ব্লক নেতাদের মস্তান বাহিনীর কাছে খুব খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন।এইসব ঘটনাবলির অন্তরালে শীর্ষ নেতৃত্বর ছলনা দেখে সারা জীবনের কঠিন দু:খ পান সিদ্দিকুল্লাহ।এরপরেই দিন সাত আগে সরকারি নিরাপত্তারক্ষী,  কনভয় ছেড়ে দেন।রাজভবন সহ দপ্তরেও যাননা তিনি।এমনকি গত  শুক্রবার রাজ্য মন্ত্রীসভার বৈঠকে অনুপস্থিত থাকেন।তৃনমূল সরকারের আমলে এমন সরাসরি দলীয় কোন মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বিরোধে যাননি।পদত্যাগ টাও ছিল সময়ের অপেক্ষা।গত রবিবারেরই জমিয়তের ওয়ার্কিং কমিটির  সভার সিদ্ধান্ত হিসাবে জানিয়েও দিতেন।বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী অনুভাব করে গত শনিবার মঙ্গলকোট বিধায়কের ক্ষোভ মেটাতে শিক্ষামন্ত্রী কে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার নির্দেশ দেন।হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হাইপ্রোফাইল মামলাটি।চার থেকে পাঁচদিনের ভোটগ্রহনের প্রস্তুতিতে স্থগিতাদেশ পড়ায় আশার আলো দেখছেন সিদ্দিকুল্লাহ।আইনজীবি মহলের একাংশের দাবি, পঞ্চায়েতগুলির মেয়াদ আগস্ট মাস অবধি থাকায়, অবাধ নির্বাচনের লক্ষে মনোনয়ন পেশের সময়সীমা দিতে পারে আদালত। তাই শীর্ষ তৃনমূল নেতৃত্ব প্রতীক বিলিতে সময়কমের যে যুক্তি দেখিয়েছে সিদ্দিকুল্লাহ কে।তাতে নুতন করে মনোনয়ন পর্ব চালু হলে পঞ্চায়েতের আসনরফার সংখ্যা বাড়াতে উদ্যোগী হবেন মঙ্গলকোট বিধায়ক।মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যালঘু নেতা সিদ্দিকুল্লাহের ক্ষোভ না মেটালে আগামী লোকসভায় সংখ্যালঘু ভোটের একাংশ হারাতে পারেন সিদ্দিকুল্লাহ চলে গেলে।তাই সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কলকাতা হাইকোর্টের দিকে তাকিয়ে ইস্তফার পথে না গিয়ে তৃনমূলের অন্দরে থেকে চাপ বাড়ালেন, তা বলায় যায়

বাগদায় অগ্নিকান্ডে মৃত ১

ওয়াসিম বারি

আগুনে পুড়ে ছাই বাড়ি দোকান, পুড়ে মৃত ১, ঘটনা স্থলে দমকলের ইঞ্জিন।ভোর রাতে হটাৎ আগুন বাড়িতে মৃত এক আশঙ্কাজনক দুই। ঘটনাটি বাগদা থানার আশারু গ্রাম পঞ্চায়েতের আমডোব এলাকার।  স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে টিনের বাড়ি বাড়িতে দোকান ছিল দোকানে পেট্রল ডিজেল বিক্রি করতো বলে জানা গেছে। কিভাবে আগুন লাগলো তা নিয়ে সন্দেহ দানা বাধে। ঘটনাস্থলে দমকলের একটি ইঞ্জিন ও বাগদা থানার পুলিশ। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে ভোর পাঁচটা নাগাদ হটাৎ আগুন দেখতে পায় এলাকার লোকজন সাথে সাথে দমকল-বাহিনী খবর দেওয়া হয়। দমকল ও গ্রামবাসী দের চেষ্টায় উদ্ধার করা হয় তারক সরকার তার স্ত্রী  স্নেহা সরকার কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এবং নাতনি মেঘা সরকার ১৯ কে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।  দুজন বনগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে দমকল ।  দমকলের প্রাথমিক অনুমান গ্যাস সিলিন্ডার বাস্ট করে এই দুর্ঘটনা। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

কালবৈশাখী ঝড়ে বিপযস্ত পশ্চিম বর্ধমান

নীলাদ্রি ঘোষ

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালবৈশাখীর ঝড়ে জনজীবন থমকে গেল পশ্চিম বর্ধমান জেলায় l রাজ্যের দক্ষিনবঙ্গের জেলা জুড়ে  এই ঝড়ের পূর্বাভাষ আবহাওয়া দপ্তর আগেই জানিয়ে দিলেও সর্তক ছিল এলাকার মানুষ l তবে বাসিন্দাদের কথা আনু়যায়ী আবহাওয়া দপ্তর এই খবর জানালেও তাদের ঘোষনা অনুযায়ী আজকের কালবৈশাখীর দাপট ছিল কয়েকগুন বেশি l রাস্তায় বহু জায়গায় গাছ পরে যাওয়ায় পরিবহন ব্যবস্থ্যা বেশ কিছুক্ষনের জন্য থমকে যায় l পরে বেশ কিছুক্ষন পর অবস্থার উন্নতি  হলে পুনরায় যানচলাচল স্বাভাবিক হয় l তবে প্রশাসন সুত্রের খবর ঝড়ের ফলে কোথাও কোনও দুর্ঘটনার খবর নেই l

ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করার অভিযোগ ময়নাগুড়ির প্রার্থীর বিরুদ্ধে

সোমনাথ চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি 

এবার ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করার অভিযোগ উঠলো ময়নাগুড়ির উমা সরকারের  বিরুদ্ধে।
গত ২রা এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিলো মনোনয়ন পত্র জমা,এপ্রিলের ৩ তারিখ তপশালি ভুক্ত হওয়ার শংসাপত্র পেয়েছিলো উমা সরকার।
উল্লেক্ষ্য উমা সরকার ময়নাগুড়ি ৪নং আসনে জেলাপরিষদেএ প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন জমা দেন শংসাপত্র বের হবার পর।এই আসনটি আগে সাধারন প্রার্থী এর জন্য সংরক্ষণ থাকলেও এবার এটা তপশিলি জাতিভুক্ত মহিলাদের জন্য সংরক্ষীত।ভুয়ো শংসাপত্র বিষয়টি নিয়ে গত ৫তারিখ ময়নাগুড়ি বিডিও এর কাছে একটি অভিযোগ জমা পড়ে।এরপর ১৩ই এপ্রিল ময়নাগুড়ি টেকাটুলি নিবাসি সৈলেন রায় আর টি আই করেন।এ দিন (মঙ্গলবার)ময়নাগুড়ি বিডিও মারফত সৈলেন রায় কে প্রশাসনিক ভাবে সমস্ত নথি দেওয়া হয়।অভিযোগ কারির বক্তব্য উমা সরকার তপশিলি জাতিভুক্ত নন তিনি সাধারন জাতীভুক্ত।তিনি যে সব স্কুল, কলেজে পরেছেন সে খান থেকে নথি সংগ্রহ করা হয়েছে,তার পরিবারের কেউ তপশিলি জাতিভুক্ত নয় তা অভিযোগ কারির দাবি।টেকাটুলি নিবাসি কেপিপি পার্টির কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য সুকুমার রায় বলেন বিডিও অফিস থেকে যে নথিগুলি আমরা পেয়েছি তা থেকে স্পষ্টত উমা সরকার তপশিলি জাতিভুক্ত না।আমরা এর সুবিচার চাই।
ময়নাগুড়ি বিডিও শ্রেয়সী ঘোষ বলেন প্রাথমিক তদন্ত করে যা বোঝা যাচ্ছে  উমা সরকার তপশিলি জাতিভুক্ত নন।অপরদিকে উমা সরকার বলেন আমার শংসাপত্র ভুয়ো নন।আমরা নমশূদ্র তাই বের করেছি।

কোচবিহারে জেলাপরিষদ প্রার্থী পুত্রের প্রচারে মন্ত্রী পিতা

সুজিত ঘোষ

কুচবিহারে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটে ২৮নং  জেলাপরিষদে প্রার্থী শ্রী পঙ্কজ ঘোষের হয়ে প্রচারে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা কোচবিহার জেলা  তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ মহাশয়।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER