মঙ্গলবার, মে ২৯, ২০১৮

স্বরুপনগরের বাকড়া গোকুলপুরে জয়ীদের সংবর্ধনা তৃনমূলের

সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব

স্বরুপনগরের বাকড়া গোকুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী সদস্যরা বর্তমান ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের সদ্য জয়ী তৃনমুল কংগ্রেসের প্রাথীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় ও সংবর্ধনা জ্ঞাপন হল ৷ হাজির ছিলেন ১৩নং জেলা পরিষদের জয়ী প্রার্থী বিধায়ক বীনা মন্ডল, ১৫নং জেলা পরিষদের জয়ী প্রার্থী দুলাল মন্ডল সহ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও গ্রাম সভার ১৩জন নবজয়ী সদস্য।এছাড়াও হাজির ছিলেন দক্ষিন সাংগঠনিক ব্লকের সভাপতি কিংকর মন্ডল ও ব্রজ গোপাল বিশ্বাস৷বিধায়ক বীনা মন্ডল কে সংবর্ধিত করেন প্রধান চম্পা রানী মডল।

ব্যারাকপুরে সিরাতের ইফতার

সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব

সিরাতের বারাকপুর চাপুড়িয়া ইউনিট কমিটি আয়োজিত রেহনা বিবি এতিমখানা ও মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হলো ইফতার মজলিস , আলোচনা সভা।আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিরাতের রাজ্য সম্পাদক ও শিক্ষক আবু সিদ্দিকখান বলেন-মুসলিম মিল্লাতের জন্য রমজান হলো বড় একটা নিয়ামত।  রমজান আত্নশুদ্ধিও সংযমের মাস।এই মাসে রোজা ও ইফতার এর মধ্য দিয়ে একে অপরের মধ্যে মিলন ও মহবতের শিকড় মজবুত হয়, তাই এর গুরত্ব অপরিসীম।তিনিএই ইউনিট এর কাজের তালিকা দেখে ভূষসী প্রশংসা করেন।

মন্তেশ্বরে বিজেপি পরিবার কে পেটালো তৃনমূল


শ্যামল রায়

সোমবার সকালে মন্তেশ্বর থানা দেয়াড়া কয়া গ্রামে এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল আশ্রিত কয়েকজন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। বিজেপির কর্মী মাদক মাঝির অভিযোগ যে এদিন সকালে তার বাড়িতে রাখাল মাঝির নেতৃত্বে কয়েকজন দুষ্কৃতী বাড়িতে ঢুকে আমাকে মারধর করে এবং আমাকে বাঁচাতে আমার স্ত্রী বীনা রানী এবং আমার পুত্রবধূ ঢাকাতে এলে তাদেরও মারধর করে এবং শীলতাহানী করে বলে অভিযোগ। ব্যাপক মারধর করার ফলে আমার পুত্রবধূ ও স্ত্রী রাধারানী কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি।
অভিযোগ যে আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রচার অভিযান করি এবং বিজেপি কর্মী-সমর্থক বলেই আমাদের উপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের এই ধরনের হামলা। মন্তেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।থানার পুলিশ জানিয়েছেন অভিযোগ পেয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি শুরু হয়েছে।বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সম্পাদক সৌগত দে জানিয়েছেন যে দিনের পর দিন আমাদের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে তৃণমূলের আসিত দুষ্কৃতীরা এই ধরনের হামলা সংঘটিত করছে পুলিশকে বিষয়টি বলেছি প্রয়োজনে বিরোধ আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।অন্যদিকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আজিজুল হক জানিয়েছেন যে এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের তৃণমূলের কোন কর্মী-সমর্থক জড়িত নয়।

সোমবার, মে ২৮, ২০১৮

পুলিশি নিষ্ক্রিয়তায় থানা ঘেরাও

ওয়াসিম বারি

গত ২৫শে মে উঃ ২৪ পরগনার ছোটো জগুলিয়ার বয়রা গ্রামের বাসিন্দা সার্জিনা বিবির মৃতদেহ উদ্ধার হয় । এখনো পর্যন্ত কোনো অপরাধী আটক না হওয়ায়  এলাকার বাসিন্দারা আজ দত্তপুকুর থানা ঘেরাও করে । তারপর পুলিশ দোষীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে। মৃতার কাকার দাবি দোষীদের ধরে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে । যাতে আর কাউকে এভাবে প্রাণ হারাতে না হয়।

চলছে কেষ্ট ক্ষ্যাপা মেলা

সেখ সামসুদ্দিন

মেমারি ১ ব্লকের মহেশডাঙ্গা ক্যাম্প উত্তর পাড় বাঁধে পাগলের ভক্তবৃন্দের পরিচালনায় শ্রীশ্রী কেষ্ট ক্ষ্যাপা গনেশ পাগলের কুম্ভ মেলা শুরু হল। সারা রাজ্য থেকে কুড়ি পঁচিশ হাজার মানুষের সমাগম হয়। মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় রাত নয়টায় এবং পরের দিন সকাল পর্যন্ত চলে। পঞ্চমঞ্চে হরিসভা, বাউল, হোমযজ্ঞ, শ্মশান কালী মায়ের পুজো, আদিবাসী নৃত্য, বস্ত্র বিতরণ, মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সম্বর্ধনা, প্রসাদ বিতরণ ইত্যাদি কর্মসূচীতে সারারাতব্যাপি অনুষ্ঠান চলে।  মতুয়া সংঘের গনেশ পাগলের এই আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীমৎ সুশীল পাগল ঠাকুর বাবা। যিনি নিজে সাধুবাবাদের নিয়ে হোমযজ্ঞ ও মা কালীর পূজা করেন। সভাপতি স্বপন মন্ডল, সম্পাদক বিশ্বজিৎ ভক্ত, শ্যামল মন্ডল, ভোলা হাওলাদারেরা জানান প্রতি বছর ১৩ই জ্যৈষ্ঠ এই কুম্ভমেলা হয়, এবারে ১৬তম অনুষ্ঠান হচ্ছে। এখানে এতো মানুষের সমাগমে অনুষ্ঠান চলে পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতি ছাড়ায়। এখানে শান্তিরঞ্জন বিশ্বাস রচিত পিপিল অধিকারীর নির্দেশনায় শান্তি স্যতবীণা যাত্রা পালা পরিবেশিত হবে। সমস্ত অনুষ্ঠান পৃথক মঞ্চে একই সঙ্গে চলে।

মেখলিগঞ্জে পথদুর্ঘটনায় জখম ৬

ম্যাজিক এবং একটি ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষে জখম হলেন দুই মহিলা সহ মোট ৬ জন।সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে মেখলিগঞ্জ ব্লকের কামাত চ্যাংরাবান্ধা ধরলা সেতু সংলগ্ন কার্তিক কলোনি এলাকায়।জানাগেছে এই ঘটনায় আহত তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে চিকিৎসার জন্য জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়েছে।বাকিদের চ্যাংরাবান্ধা হাসপাতালে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।গুরুতর জখমরা হলেন মোস্তাফুল হক মায়া বর্মন এবং সূর্যা রায় ।এলাকার কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী  জানিয়েছেন এদিন একটি ম্যাজিক মাথাভাঙ্গার দিক থেকে চ্যাংরাবান্ধার দিকে আসছিল।এইসময় উল্টো দিকথেকে আসা একটি ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।এনিয়ে চ্যাংরাবান্ধা মাথাভাঙ্গা সড়কে  উত্তেজনা তৈরি হয়।স্থানীয়রা রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ বিক্ষোভ আন্দোলন করেন।এতে যানজটের সৃষ্টি হয়।খবর পেয়ে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।ম্যাজিক গাড়িটিকে থানায় নিয়ে আসা হয়।গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ।এখনো অবধি কোনো গ্রেপ্তারের খবর নেই।

বালির গাড়ী দেখতে ভূমি দপ্তরের চেকিং পোষ্ট

সুকান্ত ঘোষ

মঙ্গলকোটের বাইপাস মোড় এলাকায় ভূমি সংস্কার দপ্তরের চেকিং পোষ্ট তৈরির কাজ চলছে।নিকটবর্তী অজয় নদ থেকে বালির গাড়ীগুলি চালান দেখার জন্য এই চেকিং পোস্ট।বাদশাহি সড়কে প্রত্যেকদিন শয়ে শয়ে বালির গাড়ী যাতায়াত করে থাকে।অভিযোগ বেশিরভাগই বেআইনিভাবে বালি চুরি করে নিয়ে যায় গাড়ীগুলি।

নিপা ভাইরাস আতঙ্কে কাঁপছে মঙ্গলকোট

 মোল্লা জসিমউদ্দিন


পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট ব্লক এলাকায় হাজারের বেশি ব্যক্তি কর্মসুত্রে ভিনরাজ্যে বছরের বেশিরভাগ সময় থাকে।অধিকাংশই আবার থাকে কেরালা রাজ্যে।মূলত তারা রাজমিস্ত্রি, লেবার হিসাবে বেশি মজুরি পাওয়ার জন্য কাজ করতে যায়।সম্প্রতি নিপা ভাইরাস নিয়ে সারাদেশব্যপী চাপা আতঙ্ক এনেছে আপামরসাধারণদের মধ্যে।বাংলাতেও এই মারণ রোগ সন্দেহে কলকাতায় বেশ কয়েকজন ভর্তি রয়েছেন বলে প্রকাশ।ঠিক এইরকম মুহুত্যে মঙ্গলকোটের হাজারের বেশি বাসিন্দা যারা ভিনরাজ্যে তদাপি কেরালায় থাকেন কাজেকর্মে,  তাদের অনেকেই রমজান উপলক্ষে বাড়ী ফিরছেন। কেউ কেউ আবার কাঁপুনি জ্বরে আক্রান্ত,  তাই নিপা ভাইরাসের আতংক ধীরে ধীরে গোটা ব্লক এলাকা কে গ্রাস করছে।যদিও কাটোয়া মহকুমাশাসক সৌমেন পাল জানিয়েছেন " স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে প্রতিটি ব্লক হাসপাতালের বিএমওএইচ দের নিপা ভাইরাস নিয়ে নির্দেশিকা এসেছে।প্রতিটি গ্রামে কারা বাইরে থাকেন, কারা এসেছেন।তাদের কেউ অসুস্থ কিনা তার তথ্য সংগ্রহ চলছে"।তবে এই মারণ ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসা কি সম্ভব ব্লকস্তরের হাসপাতালে?  মঙ্গলকোট বিএমওএইচ ড: প্রণয় ঘোষ জানান -" আক্রান্তদের দ্রুত সনাক্তকরণ করে জেলাস্তরে / রাজ্যস্তরের হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।এক্ষেত্রে  নিপা ভাইরাসতে আদৌও কেউ আক্রান্ত কিনা, সেই পর্যবেক্ষণটায় আমাদের কাছে অন্যতম বিষয়।"উল্লেখ্য গত সপ্তাহে মঙ্গলকোটের পাঁচজন জ্বর - মাথাব্যথা নিয়ে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।চারজন সুস্থ হয়ে উঠলেও, একজন এখনও সুস্থ হতে পারেনি।তাই ওই ব্যক্তি নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছেনা। দুশোর অধিক গ্রাম বিশিষ্ট মঙ্গলকোটে প্রায় গ্রামে পাঁচ থেকে দশজন দলবেঁধে কেরালায় রাজমিস্ত্রি কিংবা লেবারের কাজ করতে যায়।এখানকার দিনমজুরি থেকে কেরালায় দ্বিগুণ হওয়ায় দিনের পর দিন সংখ্যাটা বাড়ছে।হাজারের বেশি মঙ্গলকোটের ব্যক্তি এই মুহুত্যে কেরালার বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করছে।রমজান কিংবা পুজোয় প্রায়জন দেশের বাড়ী ( পশ্চিমবাংলা)  ফিরে।সম্প্রতি কেরালায় নিপা ভাইরাসে কয়েকজন মারা যাওয়ায় চরম আতঙ্কিত হয়ে অনেকেই কাজ ফেলে বাড়ী আসছে / এসেছে।এদের মধ্যে কেউ কেউ কাঁপুনি জ্বর সহ মাথাব্যথাতে আক্রান্ত।তারা ব্লক হাসপাতাল কিংবা মহকুমা হাসপাতালে আসছেন চিকিৎসা করাতে।এইরুপ তথ্য হাসপাতাল সুত্রে পাওয়া গেছে।এক সরকারী চিকিৎসক জানান - নিপা ভাইরাস টি খুবই ছোঁয়াচে। আক্রান্তর হাঁচি তেও এই রোগ অন্যদের হয়।আউটডোরতে অনেক চিকিৎসক কে মুখে মাস্ক লাগাতে নির্দেশ এসেছে সেজন্য।মঙ্গলকোটে হাজারের বেশি কেরালায় থাকা শ্রমিকদের নিয়ে চরম আতঙ্কিত গোটা এলাকা।ব্লক হাসপাতালের তরফে স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে,  কেরালা থেকে আসা কোন ব্যক্তির জ্বর হলেই যেন তারা হাসপাতালে দ্রুত আসে চিকিৎসা করাতে।সেইসাথে কেউ যেনো দোকানে নিজের মত করে ওষুধ না খান।এইবিধ নানান সচেতনতা নিয়ে প্রচারাভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন মঙ্গলকোট বিএমওএইচ ড: প্রণয় ঘোষ।

রবিবার, মে ২৭, ২০১৮

তারাপীঠে বামাখ্যাপার জন্মভিটেয় সম্প্রীতির মেলা

তথাগত চক্রবর্তী

বীরভূমের তারাপীঠের সাধক বামাখ্যাপার জন্মভিটেয় আটলাগ্রামে সম্প্রীতির মিলন মেলার উদ্বোধনে রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী আসিশ ব্যানার্জি ।এই মেলায় ভীর জমিয়েছে আশেপাশের গ্রামের মানুষ ।

নজরুলজয়ন্তীতে পরিবহণমন্ত্রী

প্রতাপ চট্টোপাধ্যায়

হলদিয়া টাউনশীপে রবীন্দ্র-নজরুল সন্ধ্যায় উপস্হিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শ্রী শুভেন্দু অধিকারী মহাশয়।

রানাঘাটে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীর আত্মহত্যা


শ্যামল রায়

নদীয়া জেলার রানাঘাট থানা এলাকায় এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা ধীরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত ওই ছাত্রীর নাম শ্বেতা সাউ।বয়স১৮।বাড়ির রানাঘাট থানার হবিবপুর বাজার পাড়ায়।পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মেয়েকে বকাবকি করার কারণেই শ্বেতা আত্মঘাতী হয়েছে।জানা গিয়েছে যে গতকাল রাতে শ্বেতা কীটনাশক খায়। প্রথমে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের তারপরে একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় স্কুলছাত্রীর।পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে যে মেয়েটি স্থানীয় ব্রজবালা বালিকা বিদ্যালয় একাদশ শ্রেনীতে পড়তো। একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে পরীক্ষার সময়  প্রার্থীদের পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকে সে। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে যে মেয়েটি স্থানীয় ব্রজবালা বালিকা বিদ্যালয় একাদশ শ্রেনীতে পড়তো। একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে পরীক্ষার সময় গুগলের প্রার্থীদের পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকে সে। প্রধান শিক্ষিকাকে বারবার বলা সত্ত্বেও 12 ক্লাসে পরীক্ষায় খারাপ করায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ওই স্কুলছাত্রী। তারপরেই আত্মঘাতী হয়েছে।
পরিবারের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে আমরা মেয়েকে নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার সাথে কথা বলেছিলাম । প্রধান শিক্ষিকাকে অনুরোধ করেছিলাম মেয়েকে উত্তীর্ণ করে দেওয়ার। প্রধান শিক্ষিকা উত্তীর্ণ করেনি।
প্রধান শিক্ষিকা জয় রায় জানিয়েছেন যে ওই স্কুলছাত্রীকে বারবার আমরা মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম এবং তার পরিবারের সদস্যরা চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু ওই ছাত্রী স্কুলে পরীক্ষা দিতে আসেনি। স্কুল ছাত্রীর মৃত্যুতে আমরাও শোকাহত। এই ঘটনাটি এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

তীব্র দহনের মাঝে ব্যান্ডেল প্লাটফর্মে অধিকাংশ জায়গায় নেই পাখা


শ্যামল রায়

অবাক হওয়ার মতো ঘটনা‌। হাওড়া ব্যান্ডেল রেল শাখায় একটি গুরুত্বপূর্ণ জংশন ব্যান্ডেল রেলস্টেশন। কিন্তু নেই মাথার উপর কোন পাখা। কচিকাঁচা শিশুরা বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা গরমে হাঁসফাঁস করছে। যাত্রীরা বলছেন হাওড়া রেল শাখায় ব্যান্ডেল জংশন থেকে বহুদূর যাতায়াতের জন্য ট্রেন ধরতে অপেক্ষা করেন যাত্রীসাধারণ । কিন্তু গরম হলেও রেলস্টেশনের শেডের নিচেই নেই কোন  পাখা।নবদ্দীপ থেকে একজন সংস্কৃতিকর্মী গৌতম ঘোষ এসেছিলেন হালিশহর যাবেন ব্যান্ডেল রেলস্টেশন নেমে নৈহাটি অপেক্ষা করছিলেন ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মের শেডের নীচে। কিন্তু নেই কোন পাখা। রাগে অভিমানে ফুঁসছিলেন ছিলেন তিনি।প্রচন্ড গরম নেই একটুও বাতাস। তার ওপর রেল স্টেশনে পাখা থাকবে না এটা ভাবতেই যেন অবাক লাগছে গৌতম বাবুর কাছে।রেলের এই ধরনের পরিষেবা জনস্বার্থে খুবই খারাপ বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। অভিযোগ যে পূর্ব রেলের উদাসীনতার কারণেই এই ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণকে।যারা খুবই ছোট শিশুর তাদের পক্ষে গরম সহ্য করে ঘন্টার পর ঘন্টা রেলস্টেশনে বসে থাকা জীবনহানির কারণ হয়ে যাচ্ছে অনেক সময়।ব্যান্ডেল রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে এর কোন সদুত্তর মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হলেও গরমের হাত থেকে পাচ্ছেন না তারা। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা থাকার কারণ রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা কেই দায়ী করেছে যাত্রী সাধারণ।

নবদ্বীপে গঙ্গায় স্নানের পোশাক বদলের ঘর হচ্ছে


শ্যামল রায়

চৈতন্য ভূমি নবদ্বীপ শহরে দেশ-বিদেশ থেকে প্রতিদিন বহু পর্যটক আসেন। আর এই সকল পর্যটকরা নবদ্বীপ শহরের বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন যেমন করেন তেমনি গঙ্গায় স্নান করার রেওয়াজ সর্বজনবিদিত।গঙ্গায় স্নান করার পরে পর্যটকরা তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ পরিবর্তন এবং শৌচাগার ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত কোন ব্যবস্থা ছিলনা নবদ্বীপ গঙ্গা তীরবর্তী ঘাটগুলোতে।
নবদ্বীপ স্বরুপগঞ্জ ঘাট থেকে শুরু করে যে সমস্ত ঘাটগুলো রয়েছে সেই সমস্ত ঘাটের সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে নদিয়া জেলা পরিষদের বিদায়ী জনস্বাস্থ্য কর্মদক্ষ হরিদাস দেবনাথ।
রবিবার স্বরুপগঞ্জ ঘাটের অটল পল্লী রথতলা ঘাট পরিদর্শন করেন।গঙ্গা তীরবর্তী এই অটল পল্লী বটতলার ঘাটতিতে পাথর দিয়ে যেমন বানানো হয়েছে তেমনি সুন্দর ঝাঁ-চকচক সিঁড়ি তৈরি করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও যারা গঙ্গায় স্নান করতে পর্যটকরা আসেন সেই সকল যাত্রী সাধারণের জন্য তৈরি কাজ চলছে একটি শৌচাগার সহ বিল্ডিং তৈরির করছে। হরিদাস দেবনাথ জানিয়েছেন যে এই বিল্ডিংটি তৈরি করতে জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য দপ্তর থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা।
তিনি নবদ্বীপ ধামের সেবা কাজের সাথে যুক্ত থেকে নিজেকে দাস হিসাবে তৈরী করতে চেষ্টা করছেন।এরকমভাবে স্বরুপগঞ্জ ঘাট এলাকায় রয়েছে প্রায় ছয় থেকে সাতটি ঘাট। ইতিমধ্যে তিনটি ঘাটের সিঁড়ি সহ পোশাক পাল্টানোর ঘর এবং শৌচাগারের কাজ শুরু হবে। রয়েছে চরমাজদিয়া বাজারে একটি ঘাট রথ তলা ঘাট নিমতলা ঘাট নিমাই বৈরাগ্যের ঘাট।
এই সকল ঘাটের সংস্কারের পাশাপাশি শৌচাগার তৈরি এবং একটি করে বিল্ডিংয়ের তৈরীর কাজ করা হবে।এই ঘরগুলোর কাজ শেষ হলে বহিরাগত পর্যটকদের কাছে গঙ্গা স্নান সেরে পোশাক পাল্টানো এবং শৌচাগারের ব্যবহার সমস্ত কিছুই তারা অনায়াসে করতে পারবেন। তিনি উল্লেখ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশে নবদ্বীপ ধাম চৈতন্য জন্মস্থান। এই জন্মস্থানে কয়েক লক্ষ  মানুষ আসেন দোলের সময় এছাড়াও বিভিন্ন উৎসবের সময় পুণ্যার্থীরা আসেন নবদ্বীপ ধামে বেড়াতে ।এছাড়াও প্রতিমাসে প্রচুর পর্যটকদের আনাগোনা হয়।তাই গঙ্গা তীরবর্তী বিভিন্ন স্নানের ঘাট ছিল না, এরকম পোশাক পাল্টানোর ঘর এবং শোচাগার' তাই চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হতো যাত্রীসাধারণকে‌। আগামী দিন নবদ্বীপ স্বরুপগঞ্জ থেকে যত ঘাট আছে সবগুলোকেই মেরামত এবং স্নানের ঘর তৈরি করা হবে। তিনি বলেন স্থানীয় বিধায়ক পুন্ডরীকাক্ষ সাহার অনুপ্রেরণায় এই সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ শুরু হয়েছে এবং চলছে।খুব শীঘ্রই এই সকল উন্নয়নমুখী কাজের উদ্বোধন হবে।

শনিবার, মে ২৬, ২০১৮

পুরুলিয়া জুড়ে তৃনমূলের প্রতিবাদ মিছিল

সঞ্জয় হাল্দার

পুরুলিয়ার বিভিন্ন ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেস এর ডাকে পেট্রোল ডিজেল, রান্নার গ্যাস সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হল।

পূর্বস্থলী ২ ব্লক হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবার মান বাড়ছে


শ্যামল রায়

আগের তুলনায় এখন স্বাস্থ্য পরিষেবার অনেকটাই উন্নতি ঘটেছে পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এমনটাই দাবি করেছেন  ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা রোগীরা।
শনিবার ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেল যে সকাল ৯টার মধ্যেই ল্যাবরটরি খুলে বসে গিয়েছেন টেকনিশিয়ান। পিপি মডেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত  বিজয় দাস ও টেকনিশিয়ান সুব্রত জানিয়েছেন যে স্বাস্থ্যপরিসেবা নিয়ে যাতে কোনো রকম অভিযোগ না ওঠে সেই দিকেই আমরা গুরুত্ব দিই এবং ভালো পরিষেবা পেতে পারেন রোগীরা তার সমস্ত রকম ব্যবস্থা রয়েছে আমাদের। বিজয় দাস জানিয়েছেন যে সরকারি ভর্তুকি মূল্যে আমরা সমস্ত রকম রক্তের গ্রুপের পরীক্ষা ন্যায্যমূল্যে করে থাকি। এরফলে ব্লকের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসা রোগীরা উপকৃত হচ্ছেন।
আগামী দিন আরো যাতে ভালো পরিষেবা দেওয়া যায় এবং হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়ন ঘটক সেই দিকেই আমরা নজর রাখছি।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা রোগীদের দাবি যে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিষেবা যেভাবে উন্নতি ঘটছে আরো কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকলে এই ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে এলাকার মানুষের কাছে আরও ভালো পরিষেবা পেতে পারতেন সেই দিকেই নজর দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।ঠিক সময়ে আউটডোর খোলা হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রতিদিন প্রায় আড়াই থেকে তিন শতাধিক রোগী আউটডোরে চিকিৎসা পরিষেবা পান।ল‍্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান সুব্রত জানিয়েছেন যে প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ জন রোগীর রক্ত পরীক্ষা করা হয়। এই রক্ত পরীক্ষায় বিভিন্ন ধরনের রোগ ধরা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।তবে হাসপাতালে বেড সংখ্যা বাড়লেও এখনও ঠিকমত চিকিৎসকের অভাবের কারণে চালু করা হয়নি  বলে জানা গেছে।স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ব্লক স্বাস্থ্য  আধিকারিক মৃণাল কান্তি হালদার জানিয়েছেন যে আগের তুলনায় এখন রোগীরা ভালো পরিষেবা পাচ্ছেন।বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হলে এই হাসপাতাল থেকে অন্য কোথাও রোগীদের রেফার করার প্রয়োজন হত না।আরেকটু পরিকাঠামো উন্নয়নের দরকার বলে তিনি মনে করছেন।
হাসপাতালে নার্স এবং চতুর্থ শ্রেণীর কোন নিয়ম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।পরিকাঠামোর উন্নয়নের পাশাপাশি শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ হলে একটি পূণাঙ্গ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের রূপ পেতো এমনটাই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীদের।এলাকার বাসিন্দাদের দাবি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পাশাপাশি দরকার পরিকাঠামোর আরও উন্নয়ন‌।পূর্বস্থলী ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এলাকার কুড়িটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে কয়েক হাজার মানুষ চিকিৎসা করতে আসেন এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ।তাই বাসিন্দাদের ভরসা এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি।

পঞ্চায়েত সমিতির রক্তদান শিবির

মোল্লা জসিমউদ্দিন

মঙ্গলকোট  ব্লক অফিসে দোতলায় শুক্রবার দুপুরে এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়।পঞ্চায়েত সমিতির  কর্মচারীরা এই শিবিরটিত অন্যতম উদ্যোক্তা। এদিন পঞ্চাশের বেশি মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির কর্মীরা সহ আধিকারিকরা রক্তদান করেন বলে জানান বিদায়ী পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মুন্সি রেজাউল হক।জানা গেছে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ব্লাডব্যাংকে সংগ্রহীত রক্ত পাঠানো হয়েছে। 

জয়ী প্রার্থীদের সংবর্ধনা ময়নাগুড়ি তৃনমূলে

সোমনাথ চক্রবর্তী

শুক্রবার  ময়নাগুড়ি রবিতীর্থ ভবনে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃনমূল কংগ্রেস থেকে বিজয়ী প্রার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।এ দিনের এই সংবর্ধনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ময়নাগুড়ি বিধায়ক অনন্ত অধিকারি,ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুভাষ বোষ প্রমুখ।
এ দিনের সভা প্রসঙ্গে ময়নাগুড়ি ব্লক সভাপতি মনোজ রায় বলেন গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃনমূল কংগ্রেসের ব্যপক সাফল্য হয়েছে।আর এই সাফল্য সাধারন মানুষের জন্যই হয়েছে।মা মাটি মানুষের সরকার চারিদিকে যে উন্নয়ন মূলক কাজ করে চলেছে তারই নিরিখে মানুষ ভোট দিয়েছে।এই জয়ে যারা  অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে তাদের সংবর্ধনা দেওয়ার জন্যই এদিনের এই অনুষ্ঠান বলে জানান মনোজ রায়।

মঙ্গলকোটে 'এমএসডিপি' খাতে উন্নয়ন চাইছে এলাকাবাসী


 মোল্লা জসিমউদ্দিন


গত বাম জমানায় খুন রাহাজানি লেগেই থাকত মঙ্গলকোটে, সেই মঙ্গলকোট আজ বিভিন্ন  উন্নয়নকাজে পরিপূর্ণ। তবে এলাকাবাসীরা আরও কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প চাইছেন এই এমএসডিপি ব্লকে।২০১০ সালে কেন্দ্রীয় সরকার অবিভক্ত বর্ধমান জেলার দুটি ব্লক কে 'এমএসডিপি' হিসাবে স্বীকৃতি দেয়।যার ফলস্বরুপ কেন্দ্রীয় সরকার উন্নয়ন খাতে অতিরিক্ত দশ কোটি টাকা বরাদ্দকৃত করে থাকে।২০১১ সালের বাম শাসন অবসানের আগে কলেজ - কৃষাণ মান্ডি - মিনি ইন্ডোর স্টেডিয়াম - এফসিআই  গোডাউন - বিদ্যুৎ এর সাব স্টেশন - জল প্রকল্প - সংখ্যালঘু ছাত্রাবাস প্রভৃতি প্রকল্প গুলি ছিলনা।অধিকাংশ রাস্তাঘাট কাচা, বাড়ী বাড়ী শৌচাগার না থাকা,  চাষাবাদে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা সরকারী অনুদান পেতনা সেসময়। ২০১১ সালে তৃনমূল সরকার আসার পর থেকেই বনকাপাসি এলাকায় প্রায় দুকোটি খরচে শোলা শিল্পীদের শোলাহাব,  খুদরুন দিঘীর পাড়ে সরকারী ডিগ্রী কলেজ, পলেটেকনিক কলেজ, মঙ্গলকোট হাই মাদ্রাসায় সংখ্যালঘু ছাত্রাবাস,  নুতনহাটে কৃষাণ মান্ডি - এফসিআই গোডাউন হয়েছে।এইরুপ নানান উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন ঘটেছে মঙ্গলকোটের বুকে।দুটি বিদ্যুতের সাব স্টেশন চালুর মুখে।প্রায় গ্রামে পিচ সহ ঢালাই রাস্তা, প্রায় বাড়ী বাড়ী শৌচাগার হয়েছে নির্মল বাংলা প্রকল্পে।২০১৬ সালে বিধায়ক হিসাবে মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী আসায় উন্নয়নের গতি সাময়িক বেড়েছিল। হাসপাতালে কুড়ি লক্ষ টাকা অনুদানে মাতৃসদন হয়েছে।তিনটি আম্বুলেন্স দিয়েছেন। রাজ্য গ্রন্থাগার দপ্তরের ত্রিশ লক্ষ অনুদানে নুতনহাট মিলন পাঠাগারের নব ভবন সহ মডেল লাইব্রেরি হয়েছে শিলাবৃষ্টিজনিত - বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা সরকারী অনুদানও পেয়েছে।ঠিক এইরকম পেক্ষাপটে এলাকাবাসীরা আরও কিছু উন্নয়ন প্রকল্প চেয়েছেন এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কাছে।মঙ্গলকোটের মত বৃহত্তম ব্লকে দমকলকেন্দ্র গড়াটা আবশ্যিক। অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে ১৫ কিমি দূরে ভাতার কিংবা ২৮ কিমি দূরে কাটোয়া থেকে আগুন নেভাতে গাড়ী আসে।যখন আসে তখন উদ্ধারকাজ করার মত পরিস্থিতি থাকেনা। প্রত্নস্থল হিসাবে খ্যাত মঙ্গলকোটে মিউজিয়াম নির্মাণ দাবিটি দীর্ঘদিনের।মুঘল সম্রাট শাহজাহান বাদশা - হামিদ বাঙ্গালী - বিক্রমাদিত্য স্মৃতি বিজড়িত মঙ্গলকোটে এখনও নদনদী কিংবা পুকুর বাড়ী খননে নানান মূর্তি উদ্ধার হয়।তাই মিউজিয়াম তৈরি হলে অন্য মঙ্গলকোট কে জানতে পারবেন অনেকেই।আঠারো অলি খ্যাত মঙ্গলকোটে মুসলিমদের থাকার মত সরকারী অতিথিনিবাস নেই এখানে।প্রতিবছর উরশে কাদেরিয়া - হামিদ বাঙ্গালির মাজারে লক্ষ লক্ষ মুসলিমদের সমাগম ঘটে এই মঙ্গলকোটে।তাই অতিথিনিবাসের পরিকাঠামো না থাকায় অনেককেই খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হয়।এইরুপ নানান উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার দাবি উঠেছে মঙ্গলকোট কে ঘিরে।জেলাপ্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, মিউজিয়াম প্রকল্পটি প্রস্তাবনায় রয়েছে।দমকলকেন্দ্র এবং মুসলিম অতিথিনিবাস প্রকল্প বিষয়ে ব্লক প্রশাসনের কাছ থেকে রিপোর্ট নেওয়া হবে।২০১০ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের 'এমএসডিপি' ব্লক হিসাবে মঙ্গলকোট অতিরিক্ত দশ কোটি টাকা বাৎসরিক অনুদান পেলেও সংখ্যালঘু উন্নয়নে সেই অর্থ যথার্থ ব্যবহার হয়নি বলে অভিযোগ।২০১১ থেকে ২০১৬ অবধি থাকা মঙ্গলকোটের সিপিএম বিধায়ক শাহজাহান চৌধুরী বাজার বনকাপাসিতে শোলা হাব প্রকল্পটি নিয়ে বিধানসভায় বারবার সরব হয়েছিলেন।সেইসাথে মুখ্যমন্ত্রী কে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও ছিলেন।শোলা শিল্পের সাথে কোন সংখ্যালঘু ব্যক্তি যুক্ত না থাকা সত্বেও কেন এমএসডিপির প্রায় ২ কোটি অনুদান এখানে অপব্যবহার হল? তা নিয়ে সবিস্তর প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।সদর মঙ্গলকোট গ্রামে হাই মাদ্রাসার ছাত্র নিবাস গড়তে ১ কোটির বেশি অর্থ এসেছিল।নিম্নমানের ইমারত সামগ্রী ব্যবহার করায় ছাত্রীনিবাসের ছাদটি বিপদজনক হয়ে উঠেছে বলে অভিভাবকদের অভিযোগ।বৃষ্টি হলেই জল ছুঁইয়ে ছুঁইয়ে পড়ে ঘরে।এইবিধ নানান অনিয়ম - দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এমএসডিপির অনুদান ঘিরে।দাবি উঠেছে বাংলার বাদশা হোসেন শাহ এর তৈরি যে সৌধ রয়েছে মঙ্গলকোটের নুতনহাট বাসস্ট্যান্ড চত্বর এলাকায়।তার দ্রুত সংস্কার হোক।মুঘল সম্রাট শাহজাহান বাদশার শিক্ষা ও ধর্মীয় গুরু হামিদ বাঙ্গালীর সমাধিস্থলটি সংস্কারে হাত দিক প্রশাসন।আঠারো অলি খ্যাত মঙ্গলকোটে সরকারী মুসলিম অতিথিনিবাস গড়ে উঠুক চাইছেন এলাকাবাসীরা।প্রতি বছর কাদেরিয়া পীরসাহেবের উরশে লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ এখানে আসেন।তারা অস্থায়ী ছাউনি করেন।সিউড়ির পাথরচাপরি দাতাবাবার মাজারে যে সরকারী উদ্যোগ দেখাগেছে, সেই অনুরুপ উদ্যোগ মঙ্গলকোটের মাজার শরিফে নেওয়া হোক।এইবিধ নানান উন্নয়ন প্রকল্প না নিলে মঙ্গলকোটের যথার্থ উন্নয়ন আসবেনা কখনই।তা মানছেন মঙ্গলকোটে একদা বিডিও পদে থাকা বেশকয়েকজন আধিকারিকও।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER