বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ০৭, ২০১৯

পুলিশ কে সন্তুষ্ট রাখতে লিগ্যাল সেলের লাগাদার ধর্ণা বাতিল তৃণমূলের

মোল্লা জসিমউদ্দিন  


আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে কলকাতা হাইকোর্টের সামনে এক মঞ্চে লাগাদার ধর্ণায় নামার কথা ছিল তৃনমূল লিগ্যাল সেলের আইনজীবীদের । এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিবেন বলে ঠিক হয়েছিল রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এর নাম । ইতিমধ্যেই গত সোমবার রাজ্যজুড়ে দিল্লির তিসহাজারি কান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে তৃনমূল লিগ্যাল সেল। সেখানেও কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে বিক্ষোভে দেখা গেছে রাজ্যের আইনমন্ত্রী কে।  বৃহস্পতিবার থেকে লাগাদার  ধর্ণা কর্মসূচিটি শুরু হত।  দলনেত্রীর সবুজ সংকেত মিললে রাজভবনে রাজ্যপালের কাছেও স্মারকলিপি দিতে দেখা যেতে পারে শাসক দলের আইনজীবীদের কে । বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের সামনে ধর্ণা মঞ্চ নির্মাণের কাজ তদারকি করেও যান আইনমন্ত্রী স্বয়ং। সাথে দলীয় আইনজীবীদের রাজ্য নেতৃত্ব ছিলেন।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে বুধবার বিকেলে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়ে দেয় দিল্লি পুলিশের  বিরুদ্ধে লাগাদার ধর্ণা কর্মসূচি নেওয়া যাবেনা। কেননা দিল্লি পুলিশের সপক্ষে সমর্থন দিয়েছে এইরাজ্যের পুলিশের বড় অংশ। তাই পুলিশের বিরুদ্ধে লাগাদার ধর্না   চালালে এই রাজ্যে পুলিশ মহলে বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে। সেজন্যই তড়িঘড়ি লিগ্যাল সেলের নেতাদের ডেকে বৃহস্পতিবার থেকে ধর্না কর্মসূচি বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।     দিল্লির তিসহাজারি আদালতের   ঘটনা যেন     হাওড়া আদালত কান্ডে পুনরাবৃত্তি। তবে রাজনৈতিক পেক্ষাপট অন্যরকম।গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ি পার্কিং ঘিরে স্থানীয় থানার পুলিশ আদালতের ভেতরে তান্ডবলীলা চালায়। সেই ঘটনায় মাস খানেক রাজ্যের সমস্ত আদালতে কর্মবিরতি চলে আইনজীবীদের। শাসক দলের আইনজীবীরা প্রায় কোনঠাসা হয়ে পড়েছিলেন হাওড়া কান্ডে রাজ্য পুলিশের ভূমিকায়। বিজেপির উথান ঘটে কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশন ভোটে। তবে জেলার প্রায় সব বার এসোসিয়েশন ভোটে নিজেদের দখলে রাখতে সফল হয় শাসক শিবিরের আইনজীবীরা।  এরেই মাঝে গত সপ্তাহে দিল্লির তিসহাজারি আদালতে সেই গাড়ি পার্কিং নিয়ে ঘটলো অশান্তি। তাতে কয়েকটি আইনজীবী গুরতর জখম সহ পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের শিকার হলেন বলে অভিযোগ। দিল্লীর এই আদালতের ঘটনায় রেশ পড়লো বঙ্গীয় রাজনীতিতে। দিল্লির রাজ্য সরকার বিজেপি বিরোধী দলের হাতে থাকলেও পুলিশ নিয়ন্ত্রিত হয় কেন্দ্রীয় সরকারের মনোনীত লেফটেন্যান্ট জেনারেলের হাত ধরে। তাই বিজেপির পুলিশের সন্ত্রাস কে হাতিয়ার করে এইরাজ্যে আইনজীবী মহলে জনমত গড়ে হারানো ভিত শক্ত করতে চেয়েছিল তৃনমূল শিবির। দিল্লির তিসহাজারি আদালতে পুলিশ কর্মীদের সাথে কুকুরের তুলনা রেখে ব্যানার পড়েছে। এমনকি এক পুলিশ কর্মী কে ঘটনার পর আদালত চত্বরে গাড়ি পার্কিং করতে এলে মারধর চলে। এইরকম অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে তপ্ত দিল্লি। দিল্লি পুলিশ সমস্ত আদালতে বিচারকদের নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। রাজপথে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে নেমেছে দিল্লী পুলিশ। তাতে দেশের রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলার প্রভাব পড়েছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে জ্বলন্ত ইস্যুতে বিজেপি পরিচালিত দিল্লী পুলিশের সন্ত্রাসে সরব হয়েছে বাংলার শাসক দল। ইতিমধ্যেই গত সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত আদালতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন তৃনমূল লিগ্যাল সেলের আইনজীবীরা। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে কলকাতা হাইকোর্টের সামনে এক মঞ্চে লাগাদার ধর্ণা কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা ছিল। চুড়ান্ত প্রস্তুতিও ছিল,   তাতে নেতৃত্ব দেবেন স্বয়ং আইনমন্ত্রীর।এইরুপ পেক্ষাপট প্রস্তুত ছিল। ঠিক এরেই মাঝে দিল্লি পুলিশের পাশে সমর্থন জানায় এই বাংলার পুলিশের বড় অংশ। বিশেষত পুলিশের উচুমহল। দিল্লিতে  আইনজীবী বনাম পুলিশের লড়াইয়ে তৃণমূল শিবির পড়ে যায় দোটানায়। লাগাদার ধর্ণা কর্মসূচি চালালে পুলিশমহলে বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে। এই আশংকায় সব প্রস্তুতি চুড়ান্ত হয়েও বাতিল হল হাইকোর্টের সামনে তৃনমূল লিগ্যাল সেলের ধর্না কর্মসূচি। যদিও লিগ্যাল সেলের চেয়ারম্যান ভাস্কর বৈশ্য জানান - " আমরা ইতিপূর্বে রাজ্যজুড়ে দিল্লি কান্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছি "।                                                                                                                                                                                                                    

বুধবার, নভেম্বর ০৬, ২০১৯

উপনির্বাচনের আগে আইনী রক্ষাকবচ মিললো মুকুল রায়ের

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

আগামী ২৫ নভেম্বর রাজ্যের ৩ টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে। এইসব আসনে ত্রিমুখী রাজনৈতিক লড়াই চললেও মুখোমুখি লড়াই মূলত তৃনমুল বনাম বিজেপির। আর বিজেপির তরফে মুকুল রায় রয়েছেন নির্বাচনে দলগত পরিচালনায়। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ফৌজদারি মামলায় বিজেপি নেতা মুকুল রায় সাময়িক স্বস্তি পেলেও বেহালার সরশুনা প্রতারণা মামলায় আইনী জটে ক্রমশ পড়ছিলেন। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী এক দল মুকুল রায় কে জেরা চালিয়েছে। আবার সম্প্রতি বেহালায় কলকাতা পুলিশের এক অফিসে ডেকে মুকুল রায় কে জেরা চালিয়েছেন তদন্তকারীরা। কলকাতা হাইকোর্টে এই আর্থিক প্রতারণা মামলায় আইনী রক্ষাকবচের মেয়াদ ছিল ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। এরেই মধ্যে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলাটি পুনরায় উঠে। সেখানে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে - 'তদন্তে পূর্ন সহযোগিতার শর্তে আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত কলকাতা পুলিশ মুকুল রায় কে গ্রেপ্তার করতে পারবে না'। আগেকার শর্তাবলি গুলি এবারেও প্রযোজ্য। অর্থাৎ পুলিশের তরফে মুকুল রায় কে জেরা করতে গেলে তিনদিন আগে মুকুল রায় কে আগাম নোটিশ করে জানাতে হবে। এই মামলায় পরবর্তী শুনানি আগামী ৩ ডিসেম্বর। অর্থাৎ বলা যায় আসন্ন বিধানসভার উপনির্বাচনে আইনী স্বস্তি পেলেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা। গত শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল - 'আগামী ৮ নভেম্বর অবধি এই মামলায় অভিযুক্ত মুকুল রায় আইনী রক্ষাকবচ পাবেন। সেইসাথে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের তদন্তে পূর্ন সহযোগিতা করতে হবে মুকুল রায় কে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের তিনদিন আগে নোটিশ করে অবগত করতে হবে পুলিশ কে'। ইতিপূর্বে ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তুলেছিল পুলিশের তদন্তপ্রক্রিয়ার উপর - জানুয়ারি তে অভিযোগগ্রহণ হওয়ার পর কেন এতদিন পর সক্রিয়তা নিয়ে ?  অভিযোগগ্রহণের প্রায় সাত মাস পর পুলিশ এই মামলায় তৎপরতা দেখায়। সেখানে তদন্তে পূর্ন সহযোগিতার শর্তে আগামী ৪ ডিসেম্বর অবধি রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে এই মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার কে অভিযুক্ত মুকুল রায় কে নির্ধারিত জিজ্ঞাসাবাদের তিনদিন আগে নোটিশ জারী করে অবগত করতে হবে। আগামী ৩ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি আছে।  এই মামলায় অভিযুক্ত   বাবান ঘোষ কে গত ২১ শে আগস্ট গ্রেপ্তারের পর কলকাতার বাবুঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়ের আরেক ঘনিষ্ঠ বলয়ে থাকা সাদ্দাম আলী কে।একসময় ধৃত বাবান ঘোষ কে জেরা করে নাম উঠে আসে সাদ্দাম আলীর নাম। তাই সাদ্দাম আলী কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে থাকে বাবুঘাট এলাকা থেকে। সরশুনা ঘুষকান্ডে দুজন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ায় ক্রমশ চাপে ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়। পুলিশি সুত্রে প্রকাশ, এই মামলায় বাবান ঘোষের পাশাপাশি নাম রয়েছে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। তাই গ্রেপ্তারির আশংকা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন মুকুল রায়। জানা গেছে, আর্থিক প্রতারণা (৪২০ ধারা) , এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (১২০ বি)  এর জামিন অযোগ্য ধারা গুলি রয়েছে এফআইআর কপিতে।বেহালার সরশুনার বাসিন্দা সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের তার অভিযোগপত্রে লিখেছেন - গড়িয়াহাটের বাসিন্দা তথা বিজেপির মজদুর ইউনিয়নের নেতা বাবান ঘোষ ২০১৫ সালে রেলের স্থায়ী কমিটির পদ পাইয়ে দেওয়ার নামে ৪৬ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। সেসময় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী ছিলেন সুরেশ প্রভু। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে যোগাযোগ ভালো আছে বোঝানোর জন্য সংসদ ভবনে এই বাবান ঘোষ বেহালার সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় কে নিয়ে গিয়েছিল বলে দাবি। রেলমন্ত্রকের নানা কাগজপত্র নাকি দিয়েছিল অভিযুক্ত বাবান ঘোষ। এই কাগজপত্রের সততা জানতে পূর্ব রেলের সদর দপ্তর কলকাতার ফেয়ারলি প্লেসে গিয়েছিলেন অভিযোগকারী। আর সেখানেই জানতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। যদিও বাবান ঘোষ শিবিরের দাবি - 'সম্প্রতি টালিগঞ্জের একঝাঁক শিল্পীদের তৃনমূল থেকে বিজেপিতে নাম লেখানোর কাজে মুখ্য ভূমিকা নিয়ে ছিলেন বাবান ঘোষ। এই রাজনৈতিক শত্রুতা থেকেই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু এবং গ্রেপ্তার সে'।প্রশ্ন উঠে ২০১৫ সালের বিষয়টি কেন প্রায় চার বছরের মাথায় তুললেন অভিযোগকারী এবং রেলের স্থায়ী কমিটিতে পদ পেতে কেন এত টাকা দিতেও গেলেন সেই বিষয়েও উঠেছে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন ?  এই মামলায় আজ ৪ ডিসেম্বর অবধি মুকুল রায়ের রক্ষাকবচ বাড়লো। ৩ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ। মুকুল রায় সংবাদমাধ্যম কে জানিয়েছেন - 'দলবদল করার পর মমতার সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ত্রিশটির মত ফৌজদারী মামলা রুজু করেছে। বেশিরভাগ মামলায় অভিযোগকারীরা হলফনামায় মামলা প্রতাহার করে নিয়েছে' । এইসব করে আগামী বিধানসভায় তৃনমূল তাদের ভরাডুবি রুখতে পারবেনা বলেও হুশিয়ারি দিয়েছেন মুকুল রায়।                                                                                                                                                                                                                                                                                                       

দিল্লি আদালতের পুলিশি সন্ত্রাসের প্রতিবাদে তৃণমূল লিগ্যাল সেল

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

গত সপ্তাহে দিল্লীর তিসহাজারী আদালতে গাড়ী পার্কিং কে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল আদালত চত্বর। বেশ কয়েকজন আইনজীবী গুরতর জখম হয়েছিলেন। কয়েকজন আইনজীবী কে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। দিল্লীর এই আদালতে আইনজীবী বনাম  পুলিশের ঝামেলায় এক দাগী আসামি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হাত থেকে পালিয়েও যায়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ইতিমধ্যেই 'বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া' জানিয়েছে। সোমবার দুপুরে তৃণমূল লিগ্যাল সেলের উদ্যোগে রাজ্যব্যাপী মহকুমা / জেলাস্তরের আদালতগুলির পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টেও তিসহাজারি কান্ডের প্রতিবাদ মিছিল হয়। এদিন তৃনমূল লিগ্যাল সেলের এহেন বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। তিনি নিজেও দীর্ঘদিন ধরে আসানসোল আদালতে আইনজীবী হিসাবে কাজ করে গেছেন। এদিন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন - "দিল্লীর পুলিশ কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত, তারা যে সন্ত্রাস সেদিন ঘটিয়েছে তার সুবিচার চাই "।  তৃনমূল লিগ্যাল সেলের উদ্যোগে আজ হাইকোর্ট এর গেটে ধর্নায় উপস্থিত  ছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মুখাপাধ্যায়, লিগ্যাল সেলের চ্যেয়ারম্যান ভাস্কর ভৈশ্য, বার কাউন্সিল মেম্বার আনসার মন্ডল , নীলমাধব গাঙ্গুলি ,আইনজীবি স্বপন ব্যানাজী, রাতুল বিশ্বাস , দ্বারিকানাথ মুখার্জি প্রমুখ। আজ বেলা একটা নাগাদ কলকাতা হাইকোর্টের গেটে শয়ে শয়ে আইনজীবীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এরপর সিটি সেশন কোর্টের গেট অবধি মিছিল চালান। তৃনমূল লিগ্যাল সেলের চেয়ারম্যান ভাস্কর বৈশ্য এবং বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের ভাইস চেয়ারম্যান সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় জানান - " রাজ্যজুড়ে প্রতিটি আদালতে আজ আমরা দিল্লীর আদালতে পুলিশি সন্ত্রাসের প্রতিবাদ জানিয়েছি "।                          

রবিবার, নভেম্বর ০৩, ২০১৯

টালিনালা সংস্কারের প্রয়াস

 মোল্লা জসিমউদ্দিন    

'আদি গঙ্গা না হাইড্রেন!' এই বিষয়ক সংবাদ ছবিসহ আপডেট  হয় আমাদের পোর্টালে । আর তাতেই টনক নড়ে প্রশাসনের।  দেখা যায় গীতাঞ্জলি মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন আদি গঙ্গায় নোংরা আবর্জনা স্তূপ সরাতে ব্যস্ত পুর কর্মীরা। এই আদি গঙ্গা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র নদী। সেই নদী বর্তমানে স্থানীয় প্রশাসনের অবহেলায় হাইড্রেনের রুপ নিলেও তাতে ভক্তদের ভক্তি কমেনি। প্রতিদিনই যারা জাগ্রত  কালিঘাট মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। তারা মন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি আদি গঙ্গার ঘাটে এসে পুজোর অঞ্জলি দেন। মহানগরের বিভিন্ন নিকাশি নালা নর্দমার জল এই আদি গঙ্গায় মিশে। তার উপর নোংরা আবর্জনার স্তুপ এই আদি গঙ্গার উভয় পাড় গুলিকে সংকীর্ণ করে তুলেছে।আদি গঙ্গা কিংবা টালি নালার সংস্কারে উদ্যোগ ক্ষুদ্রতর হলেও এটি এক ইতিবাচক দিক বলে মনে করেন স্থানীয়৷                                                       

মোমরেজগড় গ্রামীণ হাসপাতালে সর্বদা চিকিৎসক সুনিশ্চিত করার নির্দেশ হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জয়নগর এলাকার এক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকা বিষয়ক এক মামলা উঠে। তাতে ডিভিশন বেঞ্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার সিএমওএইচ কে নির্দেশজারী করেছে যাতে ওই হাসপাতালে সর্বদা চিকিৎসক থাকে। এখানে চার সপ্তাহ সময়সীমা দেওয়া হয়েছে এই আদেশনামা টি কার্যকর করার জন্য। আদালত সুত্রে প্রকাশ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর এলাকার মোমরেজগড় গ্রামীণ হাসপাতাল টি একদা বিধান চন্দ্র রায়ের মুখ্যমন্ত্রীত্বের আমলে গড়া হয়েছিল।  বছর দশ আগে ছোটখাটো অপারেশনও হত। ২০১৭ সালে ১৫ অক্টোবর গৌড় সর্দার নামে এক এলাকাবাসী হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা ফেরাতে শতাধিক বাসিন্দাদের সাক্ষর নিয়ে লিখিত দাবিপত্র রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর, জেলাশাসক এবং বিডিও কে দিয়েছিল। আশেপাশে দশের বেশি গ্রামের বাসিন্দারা এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। সাধারণত গ্রুপ ডি এবং নার্সরা রোগীদের চিকিৎসা করতো বলে অভিযোগ। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে ২০১৭ সালে নভেম্বর মাসে   এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা উঠে আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরীর হাত ধরে। সেসময় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে একজন চিকিৎসক নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। গত দুবছর ধরে পুনরায় এই হাসপাতালে চিকিৎসক অনিয়মিত হয়ে উঠে। আবার কলকাতা হাইকোর্টের দৃস্টি আকর্ষণ করানো হয় হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবার গতি বাড়াতে। শুক্রবার দুপুরে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলাটি পুনরায় উঠে। তখন ডিভিশন বেঞ্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার সিএমওএইচ কে এই গ্রামীণ হাসপাতালে সর্বদা চিকিৎসক থাকার বিষয়ে নির্দেশজারী করে এবং তা কার্যকর করার জন্য একমাসের সময়সীমা দেওয়া হয়। মামলাকারীর আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরী জানান - " গ্রমের দিকে স্থানীয় হাসপাতালের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সরকার যেখানে স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতিকরণে এত তৎপর, সেখানে একটি হাসপাতালে অধিকাংশ সময় চিকিৎসক না থাকাটা দুর্ভাগ্যজনক। "                                                                                                                            

শনিবার, নভেম্বর ০২, ২০১৯

বর্ধমান শহরে ডিজেলসেট এলাকায় দুর্ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য

সানি প্রসাদ 

পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বর্ধমান শহরের জিজেলসেট সংলগ্ন এলাকায়। পুলিশ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে বর্ধমান-কালনা রোডে বর্ধমানের দিক থেকে কালনার দিকে যাওয়ার সময় একটি টোটোর সঙ্গে মুখোমুখি ভাবে ধাক্কা লাগে কালনা থেকে বর্ধমান গামী একটি বাসের। বাসের ধাক্কায় গুরুতর জখম হন টোটো চালক শেখ লালন। জানা গিয়েছে, তিনি শহরের দুবরাজদিঘি এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। জানা গিয়েছে, ওই সময়ই কয়েক জন উত্তেজিত জনতা ক্ষোভ প্রকাশ করে ওই বাসটিতেও ভাঙচুর চালায়। যাতে বাসের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যদিও এদিনের ঘটনা নিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল একেবারে জেলা সরকারি আবাসনের সামনেই। ওই রাস্তায় নাকি প্রায়ই পথ দুর্ঘটনা ঘটছে। যা নিয়েই স্থানীয়দের অভিযোগ বাসগুলি বেলাগাম ভাবে দ্রুত গতিতে চলাচল করে। স্টেশনে তাড়াতাড়ি পৌঁছানোর জন্য তাড়ায় থাকে বাস চালকরা। যার জেরেই এই দুর্ঘটনা বলে দাবি স্থানীয়দের। ওই রাস্তায় স্পিড ব্রেকার বসানোরও দাবি করেন স্থানীয়রা।

শুক্রবার, নভেম্বর ০১, ২০১৯

শিয়ালদহ হাসপাতালে কুকুর হত্যা মামলায় চার্জশিট দাখিল এন্টালি থানার

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  
শিয়ালদহ আদালতে এসিজেম এজলাসে এনআরএস  হাসপাতালে কুকুর হত্যা মামলায় চার্জশিট দাখিল করলো এন্টালি থানার পুলিশ। প্রায় ৯ মাস পর ২০৪ পাতা বিশিষ্ট চার্জশিটে দুজন কে পুলিশি রিপোর্টে দোষী হিসাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যদিও এই মামলায় ৫ জন সন্দেহভাজন ছিলেন। কুকুর হত্যা মামলায় এনআরএস হাসপাতালে নার্সিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী বাঁকুড়ার মৌটুসী মন্ডল এবং নাসিং বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী কাকদ্বীপের সোমা মন্ডলের নাম রয়েছে। ঘটনার প্রথমভাগে এরা দুজন গ্রেপ্তার হলেও বর্তমানে ব্যক্তিগত জামিনে মুক্ত রয়েছেন। চার্জশিটে পশু হত্যা, খুনের নৃশংসতা এবং তথ্য প্রমাণ লোপাটের ধারা গুলি আছে। ১৬ টি কুকুর শাবক হত্যায় তোলপাড় হয়েছিল বাংলা। বিশেষত কুকুর শাবক  খুনের ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছিল সোশাল মিডিয়ায়। কলকাতার বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠন এই ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতাল চত্বর সহ কলকাতার রাজপথে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল। যদিও এই হাসপাতালের ডেপুটি সুপারের নেতৃত্বে এক তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছিল। আদালত সুত্রে প্রকাশ, গত ১৩ জানুয়ারী কলকাতার শিয়ালদহ সংলগ্ন এনআরএস হাসপাতালের মেটারনিটি ওয়ার্ডে বস্তাবন্দি কুকুর শাবকদের মারতে দেখা যায় কয়েকজন কে। যা পরে ভাইরাল ভিডিও হিসাবে ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। ঘটনাস্থলের পাশেই রয়েছে নার্সিং বিভাগের হোস্টেল। তাই সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী সহ নার্সিং বিভাগের ছাত্রীদের পুলিশি তদন্তে সন্দেহভাজন হিসাবে রাখা ছিল। এন্টালি থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর পাশাপাশি হাসপাতালের বিভিন্ন প্রান্তের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে থাকে। ১৬ টি কুকুর শাবক হত্যায় প্রায় ৯ মাস পর ২০৪ পাতার চার্জশিট দাখিল পেশ করা হয় এদিন শিয়ালদহ আদালতে। যেখানে নার্সিং বিভাগের দুই ছাত্রী মৌটুসী মন্ডল এবং সোমা বর্মনের বিরুদ্ধে পশু হত্যা, খুনের নির্মমতা এবং তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগগুলি আনা হয়েছে। এই গুরত্বপূর্ণ মামলায় এন্টালি থানার পুলিশ  চার্জশিট দাখিল করতে এত সময়সীমা কেন নিল, তা নিয়েও আইনজীবীদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন।                                                                                                        

আইনজীবী খুনে জেলা পুলিশের তদন্তে সন্তুষ্ট বার কাউন্সিল



মোল্লা জসিমউদ্দিন  

পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর থানার আঝাপুরে মহিলা আইনজীবী মিতালি ঘোষ খুনে পুলিশি তদন্তে আস্থা জানালো বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টে নাগাদ বর্ধমান সদরে পুলিশসুপার অফিসে পুলিশসুপারের সাথে ঘন্টা খানেক বৈঠক হয় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রতিনিধিদের। বৈঠক শেষে বার কাউন্সিলের   সদস্যরা জানিয়েছেন - 'যেভাবে খুনের পাঁচদিনের মাথায় ফরেন্সিক রিপোর্ট, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সহ দশের বেশি নিহত আইনজীবীর প্রতিবেশী সহ যাতায়াতকারীদের উপর জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে। তাতে তদন্তে আস্থা রাখা যায়"। পুলিশ সুত্রে প্রকাশ, ওই মৃতা আইনজীবীর মোবাইল ফোনের কললিস্ট সহ টাওয়ার লোকেশন খুজবার জন্য সাইবার শাখা আলাদাভাবে খতিয়ে দেখছে। এদিন বর্ধমান সদর আদালতে বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং পুলিশসুপার অফিসে স্মারকলিপি কর্মসূচিতে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের পক্ষে ছিলেন আনসার মন্ডল, সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায়, শ্যামল ঘটক, প্রসূন দত্ত, কৈলাশ তামুলি, মিহির বন্দ্যোপাধ্যায়, রবীন ভট্টাচার্য, নীলমাধব গাঙ্গুলি, উত্তম মজুমদার প্রমুখ। ৯ সদস্য বিশিষ্ট বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের এই প্রতিনিধিদল এদিন দুপুরের মধ্যেই বর্ধমান সদর আদালতে পৌছায়। জেলা বার এসোসিয়েশনের সাথে আলোচনা সেরে আদালতের মূল গেটে কালো ব্যাচ পড়ে প্রতীকি প্রতিবাদ জানায় বার কাউন্সিল। এরপরে বর্ধমান জেলা বার এসোসিয়েশনের পদাধিকারীদের নিয়ে পুলিশসুপার অফিসে যান তাঁরা। কেন খুন হল?  পুলিশ তদন্তে কি কি করছে?  কোন তথ্য প্রমাণ মিলেছে কিনা?  ব্যক্তিগত খুন না পেশাগত শত্রুতায় খুন?  এই বিধ নানান প্রশ্ন তাঁরা পুলিশসুপারের কাছে রাখেন। পুলিশসুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রতিনিধিদের জানান - এই খুনের সংবাদ পাওয়া মাত্রই তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। সিআইডির ফরেন্সিক শাখা কে জরুরি তলবে আনা হয় জামালপুরের আঝাপুরে। তারাও প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়েছে। এই মামলায় গুরুত্ব অনুভব করে বর্ধমান সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তাড়াতাড়ি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই রিপোর্ট দিয়েছে তাদের কে "। পুলিশ সুপারের এহেন ভুমিকায় খুশি বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রতিনিধিরা। বার কাউন্সিল এর পক্ষে আনসার মন্ডল - সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় জানান - " আমরা পুলিশি তদন্তে আস্থা রাখি, যেভাবে তদন্ত চলছে তার গতি যেন কমে না যায়। সেই বিষয়েও আমরা নজর রাখব "। উল্লেখ্য, গত ২৬ অক্টোবর জামালপুরের আঝাপুরে নিজ বাড়ীতে খুন হন বর্ধমান সদর আদালতের সিভিল ও ক্রিমিনাল বিভাগের আইনজীবী মিতালি ঘোষ। হাত পা বাঁধা অবস্থায় বিবস্ত্রভাবে দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। এই খুনের প্রতিবাদে বর্ধমান সদর আদালতে গত বুধবার কর্মবিরতি পালিত হয়। জেলা বার এসোসিয়েশন বিষয়টি দ্রুত বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল কে জানায়। বুধবার বিকেল বার কাউন্সিলের পক্ষে রাজ্যব্যাপী আদালতগুলিতে আইনজীবীদের কর্মবিরতি ডাকা হয়। তা আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাজ্যের সর্বত্র আদালতে কালো ব্যাচ পড়ে প্রতীকি প্রতিবাদ জানিয়ে কর্মবিরতি চলে। এরপর আজ বিকেল ৩ টায় পূর্ব বর্ধমানের পুলিশসুপারের সাথে ৯ জন বার কাউন্সিল মেম্বার স্মারকলিপি কর্মসূচি সহ খুনের মামলায় তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা চালায়। তাতে পুলিশি তদন্তে আস্থা জানালো বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল। তৃনমূল লিগ্যাল সেলের চেয়ারম্যান ভাস্কর বৈশ্য জানান - " জামালপুরে মহিলা আইনজীবী খুনে পুলিশ অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করুক, এটা আমরা দলের লিগ্যাল সেলের পক্ষে দাবি জানাই "।                                                                                                                                                                                                                  
     

বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৩১, ২০১৯

বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে সহবাস, বিয়ে না করায় গ্রেপ্তার যুবক

ওয়াসিম বারি  

বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গে গ্রেপ্তার ১,উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাদুড়িয়া থানার অন্তর্গত ফতুল্লপুর গ্রামে আশরাফুল মিস্ত্রি (২৪) নামে এক যুবক বহুদিন ধরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্থানীয় এক মেয়ের সাথে সহবাস করে। সূত্রের খবর তাদের মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘদিনের, এমতাবস্থায় আশরাফুল মিস্ত্রি তার সমস্ত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মেয়ের বাড়ির লোকজন বাদুড়িয়া থানায় পুলিশের দ্বারস্থ হন এবং লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ আশরাফুল মিস্ত্রিকে গ্রেপ্তার করে আজ তাকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।

বর্ধমানে মহিলা আইনজীবী খুনের প্রতিবাদে আজ আইনজীবদের আদালতে কর্মবিরতি

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার আঝাপুরে মহিলা আইনজীবী মিতালি ঘোষ খুনের প্রতিবাদে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার  কলকাতা হাইকোর্ট সহ  সারা রাজ্যের সমস্ত দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালতে কর্মবিরতি চলবে। সেইসাথে কালো ব্যাচ পড়ে আইনজীবীরা এই নির্মম খুনের ঘটনায় প্রতিবাদ জানাবেন আদালত চত্বরে। বুধবার দুপুরে সিটি সিভিল  কোর্টের ষষ্ঠতলায় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের জরুরি বৈঠক হয়, সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে এই কর্মবিরতি বিষয়ে সির্দ্ধান্ত গ্রহণ হয় বলে জানিয়েছেন  বার কাউন্সিল এর পক্ষে সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায়, আনসার মন্ডল প্রমুখ। তাঁরা বলেন - " বৃহস্পতিবার দুপুরে এই মহিলা খুনে প্রকৃত দোষীদের খুঁজতে পুলিশসুপারের অফিসে ৭ সদস্যর দল যাবেন "। পূর্ব বর্ধমানের সদর আদালতের বার এসোসিয়েশনের সহ সম্পাদক সঞ্জয় ঘোষ জানিয়েছেন - " আমরা জেলা বার এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বার কাউন্সিল কে প্রতিবাদ জানাবার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি করেছিলাম "। মহিলা আইনজীবী খুনের তদন্তে ইতিমধ্যেই জামালপুর থানার পুলিশ কোমর বেঁধে তদন্তে নেমেছে। খুনের তিন দিনের মধ্যেই খুনের ঘটনাস্থলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ থেকে প্রতিবেশী সহ যারা বাড়ীতে আসতেন ( কাজের মেয়ে, পেপারওয়ালা, দুধওয়ালা) তাদের একপ্রস্ত জিজ্ঞাসাবাদ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন জামালপুর থানার ওসি পুস্পেন্দু জানা। যদিও এই মামলায় সুনির্দিষ্টভাবে কারও নামে অভিযোগ হয়নি। এলাকা সুত্রে জানা গেছে, পূর্ব বর্ধমান জেলার আদালতে সিভিল ও ক্রিমিনাল বিভাগের আইনজীবী মিতালি ঘোষ একাই বাড়ীতে থাকতেন। গত ২৭ অক্টোবর সকালে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বিবস্ত্রভাবে মাঝবয়সী মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। ওই বাড়ীতে গৃহপরিচারিকার কাজ করা মেয়েই প্রথমে ডাকাডাকি করে দেখতে না পেয়ে আশেপাশের প্রতিবেশীদের এনে ক্ষতবিক্ষত দেহের সন্ধান পায়। ঘটনার পরেই পূর্ব বর্ধমান জেলা আদালতে বার এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে আসে এক প্রতিনিধিদল। এরপর গত মঙ্গলবার জরুরি বৈঠক সেরে বুধবার জেলা আদালতে কর্মবিরতির সির্দ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং বিষয়টি রেজুলেশন করে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল কে  পাঠানো হয় বলে জানান জেলা আদালতের বার এসোসিয়েশনের সহ সম্পাদক সঞ্জয় ঘোষ মহাশয়   । তাতে বুধবার দুপুরে কলকাতার সিটি সিভিল আদালতে ষষ্ঠতলায় অবস্থিত বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের অফিসে জরুরিসভা চলে। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে  মহিলা আইনজীবী খুনের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে আইনজীবীদের কর্মবিরতি এবং কালো ব্যাচ পড়ে প্রতীকি প্রতিবাদ জানানোর জন্য সির্দ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের ভাইস চেয়ারম্যান সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে বার কাউন্সিল এর ৭ জন মেম্বার জেলা বার এসোসিয়েশনের পদাধিকারীদের নিয়ে পূর্ব বর্ধমান এসপি অফিসে স্মারকলিপি কর্মসূচি সহ তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে আলোচনা চালাবেন। এই প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দেবেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা কলকাতা হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী আনসার মন্ডল মহাশয়। জামালপুরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মহিলা আইনজীবী খুনের ঘটনায় জানিয়েছেন - "নিহত ওই মহিলা আইনজীবী জেলা সদর আদালতে যেসব মামলায় যুক্ত ছিলেন, সেইসব মামলায় পক্ষে বিপক্ষে যারা রয়েছেন, তাদের কে জিজ্ঞাসাবাদ চালালে খুনের আসল কারণ উঠে আসতে পারে"। কেননা নিছকই চুরি - ডাকাতির জন্য এই খুন নয়, তা মনে করেন তারা।মামলার কাগজপত্র হাতাতে কিংবা কোন গুরত্বপূর্ণ মামলায় ওই আইনজীবীর না থাকাটা খুনিদের কাছে লাভবান হতে পারে।                                                                                                                                                                                        

নারদা মামলায় ব্যাংকশাল আদালতে জামিন মিললো না আইপিএস মির্জার

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

যিনি অন্যের অভাব অভিযোগ শুনতেন, সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণও করতেন। আজ তিনি নিজেই অন্যায় অবিচারের শিকার! ঠিক এইরুপ অভিযোগ  আইনজীবীর মাধ্যমে তুলে জেল বদলের দাবি  তুললেন অবিভক্ত বর্ধমান জেলার পুলিশসুপার সৈয়দ হোসেন আলী মির্জা।  বুধবার দুপুরে কলকাতার ব্যাংকশাল আদালতে পেশ করা হয় নারদা আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ধৃত আইপিএস সৈয়দ হোসেন আলী মির্জা কে।মির্জার আইনজীবী জামিনের পক্ষে সওয়াল চালালেও সিবিআইয়ের আইনজীবী জামিনের কড়া বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে ব্যাংকশাল আদালতে সিবিআই এজলাসের বিচারক ধৃত আইপিএস কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন। অর্থাৎ আগামী ১৩ নভেম্বর পুনরায় পেশ করা হবে এই এজলাসে ধৃত আইপিএস কে। গত ২৬ শে সেপ্টেম্বর সিবিআই অফিসে জেরা চলাকালীন গ্রেপ্তার দেখানো হয় নারদা আর্থিক দুর্নীতির মামলার অভিযুক্ত পুলিশ কর্তা কে। এই নিয়ে চারবার তাঁকে সিবিআই আদালতে এই এজলাসে পেশ করা হল। যদিও জেলে থাকাকালীন কোন জিজ্ঞাসাবাদ চালায়নি তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। বুধবার আইনজীবির মাধ্যমে প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন এই পুলিশ কর্তা।যা নিয়ে রাজ্যরাজনীতেতে রীতিমতো হইচই শুরু হয়ে গেছে। যদিও সিবিআই এজলাসের  বিচারক এইসব অভিযোগ শুনবার এক্তিয়ার নেই বলে জানিয়েছেন৷ তিনি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ জেল কর্তৃপক্ষ কে লিখিতভাবে জানাবার পরামর্শ দিয়েছেন। শুধু একটি - দুটি অভিযোগ নেই জেল হেফাজতে থাকা বরখাস্ত আইপিএস সৈয়দ হোসেন আলী মির্জার। অনেকগুলিই অভিযোগ তাঁর। প্রথমত, তাঁর মুখের মাক্স খুলে নেওয়া হচ্ছে, দ্বিতীয়ত প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র মিলছেনা ( তিনি বেশকিছু রোগে  অসুস্থ) , তৃতীয়ত নিম্নমানের খাবার দেওয়া হচ্ছে। চতুর্থত তাঁর সাথে খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি মেন্ট্রাল ট্রমার মধ্যে আছেন তাই পরিবারের সাথে বেশিবার দেখা করার অনুমতি মিলছেনা। সাধারণত জেলবন্দিদের সপ্তাহে একবার দেখা করতে দেওয়া হয়। মির্জা সাহেবের    আইনজীবী সপ্তাহে তিনবার পারিবারিক সদস্যদের সাথে জেলে দেখা করার অনুমতি চেয়েছেন। এই বিধ জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ গুলি এজলাসে তোলা হলেও বিচারক বিষয়টি জেল কর্তৃপক্ষ কে জানাবার পরামর্শ দিয়েছেন।গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে নারদা স্টিং অপারেশন প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলায় তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এর কাছে। তারা প্রায় অভিযুক্তের কলকাতা অফিসে জেরাপর্ব চালান। সাথে তাদের ভয়েস রেকর্ড সংগ্রহ করে ফরেন্সিকের জন্য। এই মামলায় এই রাজ্যের হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রী সাংসদ পুলিশ কর্তারা অভিযুক্ত। গত ২৬ সেপ্টেম্বর সিবিআই জেরা চলাকালীন পূর্ব বর্ধমানের প্রাক্তন পুলিশসুপার সৈয়দ হোসেন আলী মির্জা কে গ্রেপ্তার করে। প্রথমে ৫ দিনের সিবিআই হেফাজত এরপর তিনধাপে ১৪ দিন করে  জেল হেফাজতে রয়েছেন এই পুলিশ কর্তা।এই মামলায় মূল অভিযুক্ত  মুকুল রায়ের সাথে মুখোমুখি জেরা চলে। সেইসাথে টাকা লেনদেনের ভিডিওগ্রাফি হয়। এক মাসের বেশি জেলবন্দি রয়েছেন  প্রাক্তন পুলিশসুপার। নারদা মামলায় তদন্তে কোন অগ্রগতি হয়নি, তবুও কেন জেলে আইপিএস মির্জা?  এই প্রশ্নও এদিন এজলাসে তুলেন মির্জার আইনজীবী।                                                                                                                                                                                            

      

টোটো চালকের সততায় মুগ্ধ ভাতার

মোল্লা জসিমউদ্দিন ও আমিরুল ইসলাম     

 ফের সততার নজির  দেখা গেল এক  টোটো চালকের। ফেরালেন নব্বই হাজার টাকার সোনার অলঙ্কার।ভাতারের ঘটনা এটি।  গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে   ভাতারের বড়বেলুনের বড়কালির বিসর্জন ছিল ।সেই বিসর্জনে  হাজার হাজার  মানুষ সামিল হয়েছিলেন। ভাতারের রবীন্দ্রপল্লীর এক পরিবারের মা ও ছেলে গিয়েছিলেন এই বিসর্জন দেখতে । অভিজিৎ মন্ডল, ও পুষ্প মন্ডল নাম তাদের।পুষ্প দেবী যখন তার পোশাক পরিবর্তন করছিলেন তখন লক্ষ্য করেন তার গলার মধ্যে থাকা দুই ভরি ওজনের সোনার হারটি  নেই।
এরপরই বাড়ির সকল সদস্যের মন খারাপ হয়ে যায়। এত ভিড়ের মধ্যে মনে হয় যেন কেউ ছিনিয়ে নিয়েছে এ রকমই চিন্তা-ভাবনা করেন পরিবারের লোকজন।অপরদিকে যে টোটোতে পুষ্প দেবী এসেছিলেন তার বাড়ি ভাতারের খুন্না গ্রামে।টোটো চালকের নাম সঞ্জীব সামন্ত। প্রায় দুই বছর ধরে তিনি টোটো চালাচ্ছেন ভাতারের বিভিন্ন সড়কপথে ।গতকাল রাত্রে তিনি যখন টোটো তে ব্যাটারির চার্জ দিতে যান, তখন তিনি দেখতে পান তার টোটোর মধ্যে একটি সোনার হার পড়ে রয়েছে। তিনি অনুমান করেন ভাতার বাজারের রবীন্দ্রপল্লী যে কাকিমাকে নিয়ে এসেছিলেন তারই হতে পারে হারটি। বুধবার  সকালে তিনি  রবীন্দ্রপল্লীতে এসে অভিজিৎ মন্ডলের বাড়িতে জিজ্ঞাসা করেন তাদের কোন সোনার  জিনিস গতকাল কে খোয়া গেছে কিনা ।তখন তারা জানায় তাদের গলার হার  হারিয়ে  গেছে।সঙ্গে সঙ্গে সেই হার টি ফিরিরে দেয় টোটো চালক সঞ্জীব সামন্ত।তার এই সততা দেখে খুশি ভাতার এলাকার মানুষজন। অপরদিকে টোটো চালক জানান - " আমাকে খুবই ভালো লাগছে, আমি এই হারটা ওনাকে ফিরিয়ে দিয়েছি"।

একই বাড়ীতে বারবার চুরি, কাঁকসা পুলিশের নিস্ক্রিয়তায় প্রশ্ন

কৌশিক বড়ুয়া  

   ফের চুরির ঘটনা ঘটলো কাঁকসার বিরুডিহা গ্রামে। চলতি মাসের এক তারিখে  চুরির ঘটনা ঘটেছিল। কাঁকসা থানায় অভিযোগ জানানোর পরেও চুরির কিনারা হয় নি বলে অভিযোগ। ফের মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই একই বাড়িতে চুরির ঘটনায় রীতিমত আতংক ছড়িয়েছে ওই পরিবারের মধ্যে। বারবার একই বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটায়  বুধবার সকাল থেকেই  পরিবারের সদস্যরা ও এলাকার বাসিন্দারা কাঁকসা থানার সামনে ধর্ণায় বসে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা।যদিও পুলিশের তরফে তদন্ত চলছে বলে দাবি করা হয়েছে।   

পথশিশুদের ভাইফোঁটা জানালো প্রসেনজিৎ ফ্যানরা

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

 বিভিন্ন সুপারস্টারদের ফ্যানরা সংগঠন গড়ে বিভিন্ন জনহিতকর উদ্যোগ নেয়। দক্ষিণভারতের মেগাস্টার কমল হাসানের ফ্যানরা যেমন নানান সমাজসেবামূলক কাজ করে।ঠিক তেমনি দুই বাংলার সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টপাধ্যায় এর ফ্যানরাও এহেন উদ্যোগ নেয়। কলকাতার উল্টোডাঙ্গা সংলগ্ন তেলেঙ্গাবাগান ( মুচিপাড়া)  এলাকায় 'প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি সোশাল অরগানাইজেশান' নামে এইরুপ এক সংগঠন রয়েছে। যারা দীর্ঘদিন ধরে অভিনেতা প্রসেনজিৎ কে উদেশ্য করে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়। মাস কয়েক পূর্বে এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পান্ডে কে এনে শতাধিক অনাথ শিশুদের জন্মদিন পালন করে থাকে। গত মঙ্গলবার সন্ধেবেলায় প্রায় জনা পঞ্চাশ পথশিশুদের এনে ভাইফোঁটা পালন করলো তারা। এই  সংগঠনের কর্ণধার বিপ্লব দে জানান -  "বুম্বাদার ( প্রসেনজিৎ চট্টপাধ্যায়)    নির্দেশে আমরা বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিদের নিয়ে    সামাজিক অনুষ্ঠান করে থাকি। কাজ করতে গিয়ে অনেক বাধাও এসেছে তবে বুম্বাদার আর্শীবাদ মাথায় আছে তাই মানুষের পাশে আমরা থাকবই "। 

নির্মল বাংলায় আদি গঙ্গা হয়েছে হাইড্রেন

মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু  

আদি গঙ্গা না হাইড্রেন?  দেখলে মনে হতেই পারে এটা সবচেয়ে বড় নিকাশিনালা। তবে কলকাতার কালিঘাট মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে আদি গঙ্গা। এখনো মন্দিরের দর্শনার্থীরা এলে এই আদি গঙ্গার ঘাটে আসেন। পুজোও দেন ঘাটে। আদি গঙ্গা টি খিদিরপুর থেকে বয়ে এসেছে। এলাকাবাসীরা জানান - "আদি গঙ্গা কে অনেকেই আবার 'টালি নালা' বলে থাকেন, বৃটিশ আমলে টালি নামে এক ইংরেজ সাহেব এই মজে যাওয়া আদি গঙ্গাটি সংস্কার করেছিলেন।  তাই আদি গঙ্গা কে টালি নালাও বলে অনেকে"। বর্তমানে কালিঘাট সহ বিভিন্ন এলাকার ড্রেনের অভিমুখ এই আদি গঙ্গাতে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তাই আদি গঙ্গা কে দেখলে ভাবতেই পারেন এটি কোনো হাইড্রেন।কেন্দ্রীয় সরকারের স্বচ্ছ ভারত অভিযান কিংবা রাজ্য সরকারের  নির্মল বাংলা কর্মসূচি কতটা ফিকে তা কালিঘাটের আদি গঙ্গা দর্শন করলেই বোঝা যায়!                          

সোমবার, অক্টোবর ২৮, ২০১৯

সারেঙ্গাতে বস্ত্রবিলি হল

সাধন মন্ডল  

কালী পুজো উপলক্ষে জঙ্গলমহলের সারেঙ্গা নামো বাজারের বন্দোপাধ্যায় পরিবারের কালীপুজো তিনশো দুই বছরে পদার্পণ করল। বন্দোপাধ্যায় পরিবারের বর্তমান জ্যোতিষ স্বর্ণপদক প্রাপ্ত ডক্টর উজ্জ্বল কান্তি সিদ্ধান্ত শাস্ত্রী ও তার সহধর্মিণী মিলে আজ এক বস্ত্রদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন সারেঙ্গায় তাদের বসতবাড়িতে। উজ্জ্বল বাবু দীর্ঘদিন জ্যোতিষ চর্চা নিয়ে অধ্যয়ন করেছেন বর্তমানে জ্যোতিষ চর্চা করেন। আজ বস্ত্রদান উৎসবে দুশোর বেশি দুস্থ মানুষের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দিলেন বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার। তাদের হাতে বস্ত্র তুলে দিতে পেরে খুশি বন্দোপাধ্যায় দম্পতি। উজ্জ্বল বাবুর স্ত্রী মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন আমাদের দীর্ঘদিনের ইচ্ছা আমরা গরিব মানুষের সেবা করব তাই অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছরও আমরা দুস্থ মানুষদের নতুন বস্ত্র ও আজকে দুপুরের অন্ন তাদের হাতে তুলে দিতে পেরে আনন্দিত। আজ দুপুরের মধ্যাহ্ন প্রসাদ গ্রহণ করলেন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। মানুষের সেবা কাজে নিজেদের নিয়োজিত করতে পেরে আমরা আজ খুশি মা কালীর কাছে কামনা করি যেন আমরা এভাবেই চলতে পারি। এই অনুষ্ঠানে এলাকার বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

রবিবার, অক্টোবর ২৭, ২০১৯

গরুপাচারে তৃণমূল কে সিবিআই দিয়ে জব্দ করতে চায় বিজেপি!

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

আন্তর্জাতিক গরু পাচার কান্ডে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে এই বিষয়ে এফআইআর করেছে এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বিএসএফের রিপোর্ট অনুযায়ী এই তদন্ত বলে সংবাদমাধ্যম সুত্রে প্রকাশ। বাংলাদেশ থেকে গরুপাচারে বিস্ফোরক আইডি ব্যবহারের জন্যই এই তদন্ত নাকি? তবে বিশেষজ্ঞমহল বলছে অন্য কথা, যদি আন্তর্জাতিক বিষয় থাকত গরুপাচারে। তাহলে 'র' গোয়েন্দা সংস্থা নামত এই তদন্তে। কেননা বাংলাদেশ থেকে আসছে এই বিস্ফোরক ভর্তি আইডি। আবার যদি এই কারবারে জঙ্গি সংগঠনের হাত থাকত। তাহলে এনআইএ সংস্থাটি গরুপাচারের তদন্ত শুরু করত। তাহলে সিবিআই কেন এই তদন্তে? বিএসএফ নিজস্ব পরিকাঠামোয় এই তদন্তে ষড়যন্ত্রকারীদের খুজতো। এক্ষেত্রে তা হয়নি। সিবিআই কে ডাকা হয়েছে। আসলে পশ্চিমবাংলায় সারদা - নারদা - রোজভ্যালি মামলায় সিবিআই ক্রমশ রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে বঙ্গ শাসকদলের। নিন্দুকদের দাবি - এতটাই রাতের ঘুম হারাম হয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রী কে ছুটতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী - স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দরবারে। তর্কবিতর্ক যাই থাকুক গরুপাচারে সিবিআই তদন্ত শুরু হওয়ায় ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলির শাসকদলের নেতারা সিটিয়ে আছেন । বীরভূমের এক নেতারও দুশ্চিন্তা বেড়েছে। কেননা বীরভূমের পুরন্দপুর মোড় গরুপাচারের সেভ করিডর হিসাবে পরিচিত। শাসক দলের এক আইপিএস গত পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীশুন্য করবার কৃতিত্ব নিয়ে প্রাইজ পোস্টিং পেয়েছিলেন বীরভূমে।কিন্তু মৌচাকে ঢিল মারতেই মাত্র কয়েকমাসে বদলী হয়েছিলেন কম গুরুত্বপূর্ণ পদে। যদিও তিনি বর্তমানে অপেক্ষাকৃত ভালো পদে কর্মরত। তাঁর অপরাধ ছিল - পুরন্দপুরে বেশ কয়েকবার গরু পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিলেন। বহরমপুর সাংসদ আগে প্রায়ই অভিযোগ তুলে তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে এইরাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর আত্মীয়স্বজনরা গরু পাচারে যুক্ত বলে অভিযোগ তুলতেন। দ্বিতীয় পয্যায়ে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় এসেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বদল ঘটিয়েছেন। তাঁর বিশ্বস্ত সেনাপতি অমিত শাহ কে এনেছেন এই পদে। আর তাতেই গতি পেল আন্তজার্তিক গরুপাচারে সিবিআই তদন্ত শুরু হওয়াতে। কেউ কেউ বলছেন - আসন্ন বিধানসভার নির্বাচনে তৃণমূল কে বেকায়দায় ফেলতে এই তদন্ত। একাধারে ধরপাকর অপরদিকে আর্থিক যোগানে আঘাত করা। যদিও শাসকদল প্রথম থেকেই বলে আসছে - রাজনৈতিক লড়াইয়ে মুখোমুখি বিজেপি লড়তে না পেরে কেন্দ্রীয় এজেন্সি গুলি কে ব্যবহার করছে।                                                                                                       

উরশেও এনআরসি ইস্যু তুললেন রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী

মোল্লা জসিমউদ্দিন  


শনিবার সারাদিনব্যাপি পূর্ব বর্ধমানের সদর মঙ্গলকোট গ্রামে আস্তানা শরীফে হল পীর হজরত মাওলানা সৈয়দ শাহ রাশাদ আলি আল কাদেরীর ১৪ তম বাৎসরিক উরস মোবারক ।এই উরস মোবারকে  এসেছিলেন রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বোলপুর সাংসদ অসিত মাল, রাজ্যসভার সাংসদ আহমদ হাসান ইমরান,  বাংলাদেশের ঢাকার সাংসদ নাগিদ সোহাগ, বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের মেম্বার তথা কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী আনসার মন্ডল, সেহেরাবাজার আল আমিন মিশন এর পদাধিকারী সফিকুল ইসলাম   প্রমুখ। কয়েকশো বছর আগে   পীর হজরত মাওলানা সৈয়দ শাহ রাশাদ আলি আল কাদেরী ধর্মীয় প্রচারে সূদুর ইরাকের বাগদাদ থেকে ভারত বর্ষে এসেছিলেন। সুফিবাদের প্রচারে মঙ্গলকোট কেই বেছে নিয়েছিলেন এই ধর্মীয় প্রচারক। শনিবার এই উরশ উৎসব মঞ্চে সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ শাহ ফাদিল এরশাদ রাশুদ আলি আল কাদেরী। এরপর অধ্যাপক সৈয়দ শাহ মারহুনুল এরশাদ  আলি আল কাদেরী কোরান ও হাদিসের পেক্ষাপটে কিভাবে সৌভ্রাত্ব বাড়ানো যায় সেই বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। সৈয়দ শাহ ওয়ামিকুল এরশাদ আলি আল কাদেরী হুজুর কেবলার জীবন আদর্শের উপর আলোকপাত করেন এদিন মঞ্চে। শনিবার সদর মঙ্গলকোট গ্রামে সকালেই উরশের সূচনা ঘটে মিলাদ মেহফিলের মাধ্যমে। দুপুর একটা নাগাদ দ্বিতীয় পয্যায়ের সভা শুরু হয়। রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা এই পবিত্রস্থানে এসে মনে তৃপ্ত হয়েছেন, তা ব্যক্ত করেন৷ সেইসাথে এনআরসি  নিয়ে বাংলা কে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে তার বিরুদ্ধে একতা এবং সৌভাতৃত্বের পক্ষে সওয়াল চালান। কাজি নজরুল ইসলামের 'মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম' কবিতার বাস্তবতা খুবই জরুরি তা সভায় আগত শত শত ভক্তদের বলেন মন্ত্রী। এরপর বোলপুর সাংসদ অসিত মাল 'ধর্ম কাউকে ছোট করাতে শেখায়নি'  তা নিয়ে সপক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন। রাজ্যসভার সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরান বক্তব্য পেশে মুঘল সম্রাট শাহজাহান বাদশার শিক্ষাগুরু ও দীক্ষাগুরু আব্দুল হামিদ দানেশখন্দ ( হামিদ বাঙ্গালী)  এর সুফিবাদের প্রচারে মঙ্গলকোট তথা বাংলার অবস্থান তুলে ধরেন৷ কয়েশ বছর ধরে মুসলিমরা দিল্লীতে রাজত্ব চালালেও উত্তর - দক্ষিণ - পশ্চিম ভারতে মুসলিমদের সংখ্যা  বাড়েনি। তবে পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মুসলিম সংখ্যা বেড়েছে কেননা সুফিবাদের প্রচারের সার্বিক বিকাশ ঘটেছিল এইখানে।এই সুফিবাদের প্রচার সমসাময়িক ক্ষেত্রে আরও দরকার, তা নিয়ে কোরান শরীফের বিভিন্ন অংশ তুলে ধরেন ইমরান সাহেব।    এই উরশে শুধু এই বাংলা নয় ভারতবর্ষে বিভিন্ন প্রান্তের শত শত ধর্মপ্রাণরা এসেছিলেন। বাংলাদেশ থেকেও এসেছিলেন অনেকেই     । ঢাকার সাংসদ নাগিদ সোহাগ, বাংলাদেশের শিল্পপতি মহম্মদ জাকারিয়া  এই বাংলায় এসে অভিভূত তা বারবার ব্যক্ত 
করেন।উরশ কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা কলকাতা হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী আনসার মন্ডল জানান - এখানে এসে আধ্যাত্মিক শান্তি পায়, অনেক মুরিদ আসেন তাদের বিভিন্ন দোওয়া নিয়ে            
                                                                      

শুক্রবার, অক্টোবর ২৫, ২০১৯

সাইকেল - মোটরসাইকেল রাখার ভূগর্ভস্থ পার্কিং জোন বর্ধমান শহরে

সুজিত দত্ত  
 
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে শুক্রবার  চালু হলো বর্ধমান শহরের কার্জন গেট চত্ত্বর এলাকা সংলগ্ন ম্যান্ডেলা পার্কের পার্কিং জোন। এই পার্কিং জোনটি শুধুমাত্র দ্বিচক্রযান অর্থাৎ টু হুইলারের জন্য। বর্ধমানের ব্যস্ততম জনবহুল এলাকা বিসি রোডের যানজট কমাতে প্রায় বছর পাঁচেক আগেই ম্যান্ডেলা পার্কে ওই পার্কিং জোন তৈরী করার সিদ্ধান্ত নেয় বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদ । এর পর ভূগর্ভস্থ ওই পার্কিং জোন তৈরীর কাজ শুরু হয় ধীর কদমে। 
উল্লেখ্য, বর্ধমান শহরের বিশেষত, বি,সি,রোডে রাস্তার দুদিকেই গাড়ি পার্কিং করে রাখায় যানজট নিয়ে জেরবার সাধারণ মানুষ। বি,সি,রোডে কোনো পার্কিং জোন না থাকায় সমস্যা বেড়েই চলছিল। আর তাই কার্জন গেটের উল্টোদিকে ম্যাণ্ডেলা পার্কের জায়গায় ভূগর্ভস্থ এই পার্কিংজোন তৈরীর প্রকল্প হাতে নেয় বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদ। ইতিমধ্যে বারকতক এই ম্যাণ্ডেলা পার্কের পার্কিংজোনের উদ্বোধনও করা হয়। 

সম্প্রতি বর্ধমানে প্রশাসনিক সভা করতে এসে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে ফের উদ্বোধন হয় এই পার্কিং জোনের। কিন্তু বাস্তবে তা চালু হয়নি। অবশেষে ২৫শে অক্টোবর শুক্রবার এই ভূগর্ভস্থ পার্কিং জোন চালু হয়। উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক বিজয় ভারতী, পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখার্জী, বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের   চেয়ারম্যান তথা বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক ডঃ রবীরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, জেলা শাসক বিজয় ভারতী, জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখার্জী, সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু, বিশেষ সমাজসেবী ও বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার খোকন দাস সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। এদিন রবিরঞ্জনবাবু জানিয়েছেন, এই পার্কিং এলাকা তৈরী করতে প্রায় ৬ কোটি ২২ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। এছাড়াও তিনি এই পার্কিং এলাকার সৌন্দর্য্যায়নের জন্য বিধায়ক তহবিল থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা অর্থ বরাদ্দ করেছেন। এটা শুধুমাত্র পার্কিং জোন হিসাবেই তৈরী করা হয় নি, ত্রিতল এই পার্কিং জোনের ছাদে তৈরী করা হয়েছে ক্যাফেটিরিয়া, সুদৃশ্য ফোয়ারা, দুটি স্বর্ণ বর্নের বৃহৎ মঙ্গলঘট। ভূগর্ভস্থ পার্কিং জোনে থাকতে পারবে ১০১ টি দ্বিচক্রযান। সময়ানুযায়ী পার্কিং চার্জের লিস্টও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে সামনের দিকে। অন্যদিকে জেলা শাসক ও পুলিশ সুপার বর্ধমান শহরের যানজট মুক্ত করার জন্য এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ২৪, ২০১৯

এসএসকেএম হাসপাতালের অভিযোগগ্রহণের নাম্বার অকেজো

মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু     


চব্বিশ ঘণ্টা অভিযোগ জানানো যাবে এই নাম্বারে, তবে ফোন করলে রিং বাঁজবে না। বলবে - ' ইনকামিং ফোন পরিষেবা এই নাম্বারে বন্ধ'। হ্যা রাজ্যের সবথেকে ব্যস্ত সরকারি হাসপাতাল হিসাবে পরিচিত এসএসকেএম ( পিজি) হাসপাতালে অভিযোগ গ্রহণের নাম্বার টি অচল। সর্ববৃহৎ এই সরকারি হাসপাতালে   বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় করে বিজ্ঞাপন দেওয়া থাকলে আসলে তা কার্যকর নয় বলে রাজ্যের বিভিন্নপ্রান্তে আসা রোগীদের অভিযোগ। বিষয়টি রুগী সহায়তা কেন্দ্রে জানানো হলে কোন সদুত্তর মেলেনি।  প্রশ্ন উঠে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার রোগী এখানে আসেন চিকিৎসা করাতে, তাদের পরিবার গুলি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর কোন পরিষেবা ঠিকমতো না পেলে, কিংবা স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে দুঃব্যবহারের শিকার হলে, বা দালালচক্রের খপ্পরে পড়লে অভিযোগ জানাতে গেলে কোন নাম্বারে জানাবেন?  তা 
নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেননা সুপারিন্টেন্ডেন্ট বা অন্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের অফিসে অভিযোগ জানাতে পারাটা সবার পক্ষে পরিস্থিতি অনুযায়ী সম্ভব নয়।                 

বুধবার, অক্টোবর ২৩, ২০১৯

বিজয়া সম্মিলনী আয়োজন করলো মেমারি ১ নং পঞ্চায়েত সমিতি

সেখ সামসুদ্দিন
 
আজ মেমারি ১ পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে পুজো পরিক্রমার পুরস্কার বিতরণী ও বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হয় ব্লকের মুক্ত মঞ্চে।  উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান সদর দক্ষিণ মহকুমা শাসক সুদীপ ঘোষ, বিডিও বিপুল কুমার মন্ডল, জয়েন্ট বিডিও উজ্জ্বল সর্দার, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বসন্ত রুইদাস, সহ সভাপতি সেখ মোয়াজ্জেম, বিশিষ্ট সমাজসেবী, শিক্ষাবিদ ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মধুসূদন ভট্টাচার্য সহ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ও সদস্যগণ, জেলা পরিষদের দুই সদস্যা মনিকা রায় ও চাঁদমণি মুরমু, সকল বিচারক মন্ডলী, পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধানগণ এবং ব্লকের ১১২টি পুজো কমিটির সদস্যগণ। এদিন ব্লকের সেরার সেরা প্রথম পুরস্কার গ্রহণ করেন পাল্লা রোড পল্লীমঙ্গল সমিতির সম্পাদক সন্দীপন সরকার। দ্বিতীয় সেরার সেরা নিমো বটতলা পুজো কমিটি, তৃতীয় সেরার সেরা সরমস্তপুর যুব সংঘ বারোয়ারী পুজো। ব্লকের মহিলা পরিচালিত সেরা পুজো এল এন্ড টি অফিসপাড়া মাতৃমঙ্গল সার্ব্বজনীন পুজো। ব্লকের সেরা প্যান্ডেল সরমস্তপুর যুব সংঘ, সেরা সচেতনতা মল্লিকাপুর বারোয়ারী, সেরা প্রতিমা রসুলপুর বেলতলা, সেরা পরিবেশ নিশিড়াগড় বারোয়ারী, আলোকসজ্জায় গন্তার খেয়ালী সংঘ এবং সেরা ব্যবহারে শুঁড়ো দুর্গাপুর। এবার পঞ্চায়েতের সেরা গন্তার ১ এর চন্ডীতলা, গন্তার ২ এর অন্নপূর্ণা পাঠাগার, নিমো ১ এর সুকান্তপল্লী ছানাপুকুর, নিমো ২ মহেশডাঙ্গা উদয় সংঘ, দলুইবাজার ১ এর দলুইবাজার উত্তরপাড়া, দলুইবাজার ২ পাল্লারোড ক্যাম্প, আমাদপুরের আমাদপুর সার্ব্বজনীন পুজো, দেবীপুরের ইছাবাছা সার্ব্বজনীন, দুর্গাপুরের এম এম বসু বারোয়ারী, বাগিলার নুদীপুর বারোয়ারী পুজো। এছাড়াও পাঁচটি উৎসাহ পুরস্কার দেওয়া হয় যথাক্রমে কালসি মা জগৎগৌরী সংঘ, দেবীপুরের সীতারামবাটী বারোয়ারী, নিমো ২ এর মহেশডাঙ্গা গ্রাম বারোয়ারী, দুর্গাপুরের বিরশিমুল আদি বারোয়ারী, এবং গ্রাম দেবীপুরের মধ্যমপাড়া পুজো কমিটি।

মঙ্গলবার, অক্টোবর ২২, ২০১৯

ধর্ষক - খুনি বাইরে, কদম্বগাছিতে জনপ্রতিবাদ

ওয়াসিম বারি  

দত্তপুকুর থানার কদম্বগাছি কড়েয়া শিবতলা এলাকায়  ১৯ সে সেপ্টেম্বর বছর পাঁচেকের নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ দায়ের করে থানায়  এলাকার সাধারণ মানুষ এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো কোন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ ।দোষী্দের গ্রেফতারের দাবিতে ফাঁড়ির সামনে টাকি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে

দত্তপুকুর থানার কদম্বগাছি কড়েয়া শিবতলা এলাকায় গত ১৯ সে সেপ্টেম্বর পাঁচ বছর বয়সের এক নাবালিকাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তিনদিন ধরে। নিখোঁজ  ডাইরি করে পরিবার। তিন দিন পর বাড়ি থেকে প্রায় চারশো মিটার দুরে ঝোপের পাশে একটি ডোবা থেকে উলঙ্গ অবস্থায় ভাসতে দেখে এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের দাবি ছোট মেয়েটিকে  ধর্ষণ করে খুন করে ডোবায় ফেলে দিয়েছিল ধর্ষকরা । এলাকার সাধারণ মানুষ দত্তপুকুর থানার কদম্বগাছি ফাঁড়িতে বেশ পাঁচ থেকে ছ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করে । এক মাস কেটে গেলেও কোন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি তার প্রতিবাদে কদম্বগাছি এলাকা থেকে পাঁচ ছশো পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে টাকি রোড মিছিল করে ও অবরোধ শুরু করে কদম্বগাছি পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে । সাধারণ মানুষের দাবি দোষীদের কে গ্রেফতার করে কঠিন তম সাজা দিতে হবে । ঘন্টা ডেরেক অবরোধ বিক্ষোভ চলার পর দোষীদের গ্রেফতার করা হবে পুলিশের কাছে এই আশ্বাস পাওয়ার পর অবরোধ ওঠে

সোমবার, অক্টোবর ২১, ২০১৯

বসিরহাটে সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন সভা সারলো

সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব   

বসিরহাটে আশার আলো অনুষ্ঠান গৃহে সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় আজ ২০শে অক্টোবর। সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের ব্লক নেতৃত্ব অংশগ্রহণ করেন৷ তৃণমূল স্তরে সংগঠনকে মজবুত করতে সংগঠনের জেলা এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা কর্মীদের মনোবল বাড়িয়ে এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা দেন এবং ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরে সংগঠনকে মজবুত করতে ব্লক নেতৃত্ব দের আরো বেশি সক্রিয় হওয়ার উপর জোর দেন ৷বর্তমান প্রেক্ষাপটে এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে আগামী ২২শে অক্টোবর বারাসাতে দলিত মুসলিম মতুয়া আদিবাসীদের যৌথ উদ্যোগে গঠিত নাগরিক সুরক্ষা মঞ্চের মিছিল ও ডেপুটেশনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কামরুজ্জামান । সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে আহলে হাদিসের পশ্চিমবাংলার রাজ্য সম্পাদক আলমগীর সরদার, উপস্থিত ছিলেন সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন এর সহ-সম্পাদক হাফেজ নাজমুল আরেফিন, কোষাধক্ষ্য বাবরহোসেন, বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আইনজীবী আবদুল হান্নান ,সম্পাদক আহসানুল ইসলাম গবেষক কেন্দ্রীয় ও জেলা স্তরের বিভিন্ন নেতৃত্ব৷

রবিবার, অক্টোবর ২০, ২০১৯

শোভাবাজারের পথশিশু দের বিজয়া সম্মিলনী আয়োজন করলো 'সু সম্পর্ক '

গোপাল দেবনাথ  



রবিবার দুপুরে শোভাবাজার রেড লাইট এলাকায় 'সু সম্পর্ক' নামে এক সমাজসেবী সংগঠনের উদ্যোগ   প্রায় দুশোর মত পথশিশুর  হাতে মিষ্টির প্যাকেট এবং খাবার তুলে দিয়ে পালন করা হলো বিজয়া  সম্মিলনী উৎসব। এই  কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বিবেকানন্দ মিশ্রা, কলকাতা হাইকোর্টের দুই আইনজীবী  ভিষক ভট্টাচার্য্য ও রুচিরা চ্যাটার্জি, ঊষা মৃধা,শুভঙ্কর গাঙ্গুলী, রমেশ নাথ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুসম্পর্কের এর সম্পাদক  অরবিন্দ সিংহ ,অঞ্জনা কুমির, শোভন ভট্টাচার্য ও ইন্দ্রনীল রায়।পথশিশুরা এই বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে  খুশি বলে জানিয়েছে তাদের অভিভাবকরা ।এই মহতি প্রয়াসের মিডিয়া পার্টনার বাংলার খবরাখবর নিউজ পোর্টাল       

ঢোলাহাটে যুবকের পুকুরে দেহ উদ্ধার

পুকুরে স্নান করতে নেবে  ১৮ বছরের যুবকের সলিল সমাধি। 

সৃজনশীল  দক্ষিণ ২৪ পরগনা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ঢোলাহাট থানার রাম গোপাল পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হরেন্দ্র নগর বাড়ি হরেন মন্ডলের একমাত্র ছেলে  উত্তম মন্ডল (১৮) আজ দুপুরে স্থানিয় পুকুরে স্নান করতে যায়। কিন্তু পুকুর থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে য়ায়। দীর্ঘক্ষণ বাড়িতে যাচ্ছে না দেখে বাবা এবং বাড়ির লোক এলাকায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে। কোথাও খুঁজে না পেয়ে পুকুর ঘাটে গিয়ে দেখে, মৃত যুবকের নিয়ে যাওয়া গামছা পুকুরে ফেলা বাঁশের উপরে আটকে আছে তখনই তারা পুকুরে তল্লাশি চালাতে থাকে। এমনকি পুকুরে জাল টানা শুরু হয়। বৈকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ মৃতদেহ জালে উঠে আসে। মৃত যুবকের বাবার কাছ থেকে জানা যায় সাঁতার জানত না উত্তম। প্রতিদিনের ন্যায় পুকুরে বসেই স্নান করছিল কিন্তু কিভাবে পুকুরে তলিয়ে গেলেও পোস্টমর্টেম রিপোর্ট ছাড়া বলা সম্ভব নয়। খবর যায় ঢোলাহাট থানায় পুলিশ এসে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাকদ্বীপ পাঠিয়েছে এই নিয়ে এলাকায় শোকের ছায়া।

ডেঙ্গু পীড়িত কে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করলো কাঁকুড়গাছির চারিং ক্রস নার্সিংহোম

ডেঙ্গু আক্রান্ত সন্দীপকুমার খাণ্ডেলওয়াল (৪৯)এর প্রাণ বাঁচালো কাঁকুরগাছি র " চারিং ক্রস নার্সিংহোম":--

রাজকুমার দাস
  

 কাঁকুরগাছি র "চ্যারিং ক্রস নার্সিংহোম প্রাইভেট লিমিটেড'-এর সুচিকিৎসায় প্রায়  মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেলেন ডেঙ্গু পীড়িত বছর উনপঞ্চাশের সন্দীপকুমার খাণ্ডেলওয়াল ।বাড়ি গিরিশ পার্ক অঞ্চলে।

রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ যখন কোলকাতা তথা রাজ্যে ডেঙ্গু রোগ আছে বা হচ্ছে বলে স্বীকার না করে এই রোগকে অজানা জ্বরের তকমা লাগিয়ে দিয়েছে, ঠিক তখন ডেঙ্গুর উপসর্গ বেড়ে যাওয়ায় সন্দীপকুমার খাণ্ডেলওয়ালকে কোলকাতার 'মারোয়াড়ি রিলিফ হসপিটাল' ছেড়ে দেয় বলে এক সাংঘাতিক অভিযোগ  করেন আক্রান্ত ব্যক্তির ছেলে।

খাণ্ডেলওয়াল পরিবারের বক্তব্য অনুযায়ী, "সন্দীপকুমার-কে যখন মারোয়াড়ি রিলিফ হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় তখন ওঁনার অবস্থা গুরুতর। কী করব কিছুই বুঝে পাচ্ছিলাম না, এই অবস্থায় আমরা সন্দীপকে নিয়ে আসি এই হাসপাতালে।"

সন্দীপকুমার খাণ্ডেলওয়ালের পরিবারের বক্তব্যকে সমর্থন করে 'চ্যারিং ক্রস নার্সিংহোম প্রাইভেট লিমিটেড'-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, "গত ১৬ অক্টোবর ডাঃ অনির্বান চৌধুরী-র তত্ত্বাবধানে খাণ্ডেলওয়াল-কে যখন ভর্তি করা হয় তখন তাঁর প্লেটলেট কাউন্ট নেমে এসেছে ১৫ হাজারে, টি সি ৩,১০০, বিল ২.৭, সি আর ১.২, ইউ আর ৪৭, এস জি ও টি ৬১, এস জি পি টি ৪২ এবং এলকালাইন ফসফেট ১১৫। অর্থাৎ আমরা বেশ সঙ্গীন অবস্থাতেই সন্দীপকুমার খাণ্ডেলওয়াল-কে চিকিৎসার জন্য পেয়েছিলাম।

আমাদের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ১২ ইউনিট প্লেটলেট প্যাক পাওয়ার পর এই মুহুর্তে সন্দীপকুমার খাণ্ডেলওয়াল-এর প্লেটলেট পৌঁছে গেছে ২ লাখ ১০ হাজারে, একইভাবে টি সি বেড়ে হয়েছে ৬,৫০০।
সব কিছু ঠিক থাকলে খুব তাড়াতাড়িই আমরা সন্দীপকুমার খাণ্ডেলওয়াল-কে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেবো।"

প্রসঙ্গতঃ বলে রাখা ভালো, সন্দীপকুমার অত্যধিক জ্বর, নাক দিয়ে রক্তপাত ও ডেঙ্গু সংক্রান্ত অন্যান্য বৈশিষ্ট্য নিয়েই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন,তার ইউরিন দিয়ে রক্তপাত ও হয়।

আজ সাংবাদিকদের সামনে  চিকিৎসাকালীন তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে খাণ্ডেলওয়াল পরিবার জানান, "ওই রকম বিপজ্জনক অবস্থায় ই এম বাইপাস লাগোয়া এক নামকরা স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের রোগীকে ভর্তি নেয়নি।"

খাণ্ডেলওয়াল পরিবারের এই দাবী মানতে গেলে বলতেই হবে, মুখ্যমন্ত্রীর কোনো আদেশেই ভ্রুক্ষেপ করছে না ই এম বাইপাস সংলগ্ন ওই স্বাস্থ্য সংস্থা। মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলেছিলেন, "কোনো অবস্থাতেই চিকিৎসা না দিয়ে ফেরানো যাবেনা মুমূর্ষু রোগীকে।"

এই মুহুর্তে কোলকাতার সেরা চিকিৎসকদের বক্তব্য অনুযায়ী, "রোগীর প্লেটলেট কাউন্ট ৩০ হাজারের নীচে নেমে এলে তাঁকে অবিলম্বে কোনো হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। আর প্লেটলেট ১০ হাজারের নীচে নেমে গেলে তখন কালবিলম্ব না করে অবিলম্বে প্লেটলেট দিতে হবে।"

তবে এই মুহুর্তে কোলকাতা তথা রাজ্যের বেশিরভাগ চিকিৎসকেরাই হুট করে আর রোগীদের প্লেটলেট দিতে চাইছেননা।
কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, "প্লেটলেট প্যাক হাতে পাওয়ার আধঘণ্টার ভেতরেই শরীরে প্রবেশ করানো প্রয়োজন নইলে প্লেটলেট শরীরে দেওয়ার কোনো মানেই হয়না, এবং দ্বিতীয়তঃ, প্লেটলেট হাতে পাওয়ার পর রোগীর কাছে আনতে গিয়ে যত ঝাঁকুনি খাবে প্লেটলেট সেলগুলো ততই নষ্ট হবে। বেশকিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে প্লেটলেট রিসিভিং কাউন্টার থেকে প্লেটলেট নিয়ে রোগীর কাছে আসতে গিয়ে একদিকে  যেমন আধঘণ্টা পেরিয়ে যাচ্ছে তেমনই গাড়ীর ঝাঁকুনিতে প্লেটলেট সেলও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।"
স্বাভাবিকভাবেই এখন রোগীকে দুমদাম প্লেটলেট প্রেসক্রাইব করা বন্ধ করেছেন চিকিৎসকেরা। তাঁর পরিবর্তে রোগীকে অন্যভাবে তাড়াতাড়ি সুস্থ করার চেষ্টা করছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের বক্তব্য, "রোগী যদি নিজের মুখে খাওয়া শুরু করে সেক্ষেত্রে শারীরবৃত্তীয় কারণেই প্লেটলেট ধীরে ধীরে বাড়বে।"
যাক আপাতত ডেঙ্গুর হাত থেকে যেন সকলে রেহাই পায়,এবং সবাই যেন একটু সচেতন হয়ে চলে সেই আবেদন রাখেন উক্ত নার্সিংহোমের ডাক্তারবাবুরা।

শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০১৯

দিদি কে বলো কর্মসূচি তে ব্যাপক সাড়া শালবনী ব্লকে

কথা ছিলো পাঁচজন, গেলেন প্রত্যেক বাড়ি, মানুষের মাঝে নেপাল সিংহের নেতৃত্বে টীম শালবনী সাথে নিয়ে "দিদিকে বলো।"

১৭ ই অক্টোবর, শালবনী ঃ কলকাতায় তৃনমুল ভবনে মিটিং এর পরে "দিদিকে বলো" কর্মসূচীর তৃতীয় পর্যায়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় শালবনী ব্লক তৃনমুল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকে সভাপতি ও মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর আর্শীবাদ ধন্য নেপাল সিংহ কে। আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রেস কনফারেন্স করেই তিনি মাঠে নেমে পড়েন টীম শালবনীকে নিয়ে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ নেপাল সিংহ কে, শালবনীর বাজারের পাঁচজনের কাছে যেতে বলার কথা থাকলেও, তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিনু কোয়াড়ী, প্রবীন কর্মাধ্যক্ষ কাসেম খাঁ ও মহিলা কর্মাধ্যক্ষ বুল্টি সিং,নিবেদিতা ব্যানার্জী, অঞ্চল সভাপতি অসিত ঘোষ, বিশিষ্ট নেতৃত্ব শক্তি রানী পাল, কাজল মন্ডল ও বাকী সকলকে কে নিয়ে পৌঁছে যান বাড়ী বাড়ী। এলাকাবাসীরা তাদের মান অভিমান উগরে দেন নেপাল বাবুর সামনে। নেপাল বাবু সকলকেই দিদিকে বলোর ফোন নং ও নিজের নং দেন এবং ক্ষমা চেয়ে নেন পুরোনো কিছু ভুল হয়ে থাকলে। তিনি নিয়মিত পাশে থাকার কথা বলেন ও এলাকাবাসীকে মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়নে সামিল হবার আহ্বান জানান

'সু সম্পর্ক' এর বিজয়া সম্মিলনী শোভাবাজারে

আগামী কুড়ি তারিখ রবিবার 'সুসম্পর্ক'শোভাবাজার রেড লাইট এরিয়ার বেশ কিছু অসহায় পথশিশুদের নিয়ে পালন করবে শুভ বিজয়া তাদের মুখে তুলে দেবে মিষ্টি ও খাবার, আপনারাও আসুন এই মহৎ কাজে পাশে থেকে সমাজের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন l আপনাদের উপস্থিতি একান্ত কাম্য l

বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১৭, ২০১৯

খোসবাগানের যানজট দেখতে হাজির এসপি

সানি প্রসাদ
বর্ধমান শহরের খোসবাগানের চিরাচরিত যানজট মেটাতে বিশেষ উদ্যোগ নিল পূর্ব
বর্ধমান জেলা পুলিশ। এদিন দুপুরে খোসবাগানের বিভিন্ন রাস্তা পরিদর্শন করেন জেলা
পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। কিভাবে রাস্তাতে
যানজট মুক্ত রাখা যায় সেই বিষয়ে সরোজমিনে ঘুরে দেখেন পুলিশ কর্তারা।
বৃহঃস্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় এবং এস ডি পি ও
সৌভনিক মুখোপাধ্যায় রানীগঞ্জ চৌমাথা এলাকায় পৌঁছন। সেখানে হাজির ছিলেন
বর্ধমান থানার আই সি পিন্টু সাহা, ট্র্যাফিক ওসি চিন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় সহ
অন্যান্য পুলিশকর্মীরা।

হুগলিতে চলছে ত্রিশ ফুটের কালি ঠাকুর করার কাজ


প্রবীর বসু
  
দুর্গা পূজা ও লক্ষী পুজো শেষ হতে না হতেই জেলায় শুরু হয়ে গেছে কালি পুজোর প্রস্তুতি।হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা কালি পুজো তথা আলোর উৎসবের।আর এই পুজো প্রস্তুতি তে পিছিয়ে নেই হুগলি জেলাও।কালি পুজোয় হুগলি জেলার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে তাই পুজো উদ্যোক্তা দের পুজোর প্রস্তুতিও তুঙ্গে।এবার হুগলি মহানাদ দক্ষিণপাড়া ইয়ুথ ক্লাব এর পুজোর মূল আকর্ষণ তাদের ৩০ ফুটের কালি মূর্তি।পুজো উদ্যোক্তা দের মতে এবার জেলায় এটাই সবথেকে বড় কালি মূর্তি হচ্ছে,আর তাই তাদের পুজোর প্রস্তুতিতেও কোনো খামতি রাখতে চাইছেনা উদ্যোক্তারা।আর এই ৩০ ফুটের কালি প্রতিমা দেখতে যে জনপ্লাবন হবে তা ধরে নেয়া যায়।।

বুধবার, অক্টোবর ১৬, ২০১৯

রাজ্যের নামি সরকারি হাসপাতালে দুঃব্যবহারের শিকার


পিজি হাসপাতালে নিউরোলজি বিভাগে দুঃব্যবহারের অভিযোগ


মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে রীতিমতো বক্স বাজিয়ে প্রচার চলছে - 'স্বাস্থ্য কর্মীদের সাথে আপনারা সহযোগিতা করুন, আপনাদের পাশে রাজ্য সরকার' ইত্যাদি ইত্যাদি। চারিদিকে ফলাও করে রয়েছে এইসবে বিজ্ঞাপনও। একটায় উদ্দেশ্য - ভালোভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। তবুও সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাতে কর্তব্যরত চিকিৎসকের অবহেলায় রুগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠে। গত সাতদিনে কালনা এবং মন্তেশ্বর হাসপাতালে এইরুপ ঘটনাও ঘটেছে। এইবিধ অহরহ কমবেশি ঘটে। তবে বেশিরভাগ চিকিৎসক রুগীদের সুস্থ করতে তৎপর, এটাও ঘটনা। রুগীদের প্রতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর  দুঃব্যবহারের অভিযোগ নুতন নয়। আবার মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভরা সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারবাবুদের কাছে দাপটের সাথে পৌঁছে যায় এটাও সত্যি। রাজ্য সরকার যেখানে কম খরচে এবং বিনামূল্যে ঔষধ সহ বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষা করার ব্যবস্থা রেখেছে। সেখানে মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভদের দৌরাত্ম কেন সরকারী হাসপাতালে?  এই প্রশ্ন থেকেই যায়। গত মঙ্গলবার সকাল ৯ টা নাগাদ এই প্রতিবেদক তার ৯ বছরের পুত্র সন্তান কে নিয়ে পিজি হাসপাতালে নিউরোলজি বিভাগে গিয়েছিল চিকিৎসার( ঘাড়ে শিরার ব্যথা)  জন্য।প্রায় চারঘন্টা নুতন টিকিট কাটার লাইনে দাঁড়িয়ে নিউরোলজি বিভাগের ১ নং ঘরে গেলে এক চিকিৎসকের দুঃঃববহারের শিকার হন এই প্রতিবেদক। কেমন দুঃব্যবহার?  প্রতি ঘরে দুজন ডাক্তারবাবু দুজন রুগী দেখছেন। দুজন রুগী বেরিয়ে যাওয়ার পর ঢুকতেই একজন মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ বাবুর আবির্ভাব ঘটলো। উনি ঔষধ কোম্পানির নানার  কালার হ্যান্ডবিল ডাক্তারবাবু কে দিলেন। 'স্যার' সম্ভোধনে ফিসফাস করে কিসব বলছেন। ডাক্তারবাবু শুধু মুচকি হেসে ঘাড় নাড়ছেন। আমি তখন অন্য ডাক্তারবাবু কে নুতন টিকিট টি দিলাম পুত্র কে দেখবার জন্য। ডাক্তারবাবু রেগে বললেন - "তু এখানে দাঁড়িয়ে কেন, ওইখানে( মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভের সাথে ব্যস্ত ডাক্তারবাবু)  যা "। আমি বললাম - "আমি কি আপনার পূর্ব পরিচিত? যে তুই সম্ভোধন করছেন"। ডাক্তারবাবু বললেন   - "কেন কি হয়েছে, তোরা না....."  উপলব্ধি হল - রোগীদের কেমন দুঃব্যবহারের শিকার হতে হয়।  হয়তো   
মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ টি অন্য ডাক্তারবাবুর সাথে বাণিজ্যিক চুক্তিতে ব্যস্ত, তাই হয়তো এই ডাক্তারবাবুর মাথাটা গরম হয়ে গিয়েছিল!  বিষয়টি সাথেসাথেই রাজ্যের শাসকদলের বিধায়ক তথা মেডিকেল কাউন্সিলের  পদাধিকারী   ডঃ নির্মল মাঝী কে ফোনে জানায়,  উনি বললেন - " আমি কি করব? পারলে বড় খবর করুন  তাহলে কৈফিয়ত চাইবো "। প্রশ্ন উঠে যেখানে রাজ্য সরকার ফলাও করে বিজ্ঞাপন চালায় রুগীদের পাশে থাকবার জন্য। সেখানে রাজ্যের সবথেকে ব্যস্ত হাসপাতাল পিজির নিউরোলজি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকের এহেন দুঃব্যবহার রাজ্য সরকারের মূল উদ্দেশ্য কে ব্যাঘাত ঘটায়।                                                                                                  

সঙ্গীত শিল্পী ব্রজেন চক্রবর্তী র স্মরণসভা

দীপঙ্কর চক্রবর্তী  


 মাটির ঘড়,নিকোনো উঠোন।মাটির দেয়াল জুড়ে তাঁর হাতে গড়া বিভিন্ন মনীষির মূর্তি।উঠোনে সাদা আল্পনা,গাছে গাছে কাঠ দিয়ে বানান কাটুম কুটুম।সপ্তাহের প্রায় দিনই এখানে বেদের স্তোত্র পাঠের মধ্য দিয়ে দিন শুরু হয়।সারা দিন ধরে চলে রবীন্দ্র,লোকসংগীত,চারুকলা অনুশীলন।কাছ থেকে দূর থেকে বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীরা আসে এখানে সাংস্কৃতিক মন গড়ে সফল মানুষ হতে।১৯৪৬ বাংলাদেশে দাঙ্গায় সব ছেড়ে পূর্বস্থলীর পরমেশ প্রিয় ভট্টাচার্যর বাড়িতে এসে ওঠেন। পরে পারুলিয়ায় বন কেটে বাঘ তাড়িয়ে ছিন্নমূলদের নিয়ে বসতি স্থাপন করলেন সেসময়কার ১৮ বছরের  ব্রজেন্দ্র কুমার চক্রবর্ত্তী। বৃহত্তর পূর্বস্থলীতে মানুষের সেবা করা,সাথে বয়স্ক শিক্ষা প্রচলন,ক্লাব গঠন করে যাত্রা,নাটক,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা,স্কুল গঠন করেন।তিনি মনে করতেন জীবন ধারনের সাথে এবং প্রচলিত শিক্ষার সাথে সত্য সুন্দরের পথের সন্ধান দিতে পারে সংগীত ও চারুবিদ্যা। তাই তিনি পারুলিয়ায় নিজ বাড়িতে ১৯৫৭ সালে স্থাপন করেন আনন্দলোক সংগীত মহাবিদ্যালয়।সারা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তাঁর অগনিত ছাত্রছাত্রী, তার এই ভাবধারাকে ছড়িয়ে দিচ্ছে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মধ্যে।তার পুত্র শিক্ষক কবি দীপঙ্কর চক্রবর্ত্তী জানান- "২০১৬ সালের ১৫ অক্টোবর ব্রজেন বাবু ৯৪ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন।মঙ্গলবার এই আনন্দলোকে তাঁর গুনমুগ্ধ,আত্মীয়,অসংখ্য ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসি তাঁকে স্মরণ করল কথায়,তাঁর জীবনের বিভিন্ন স্মৃতিকথায়,সংগীতে"।

এপিজে কালামের ৮৮ তম জন্মবার্ষিকী আসানসোলে

মোহন সিং  


  প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের ৮৮ তম জন্মদিন পালন করলো আসানসোল জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।   হাসপাতাল সুপার নিখিল চন্দ্র দাস হাসপাতাল মঙ্গলবার সকালে। এপিজি আব্দুল কালাম এর ছবিতে ফুলের মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান, সঙ্গে হাসপাতালে ডাক্তার নার্স ও স্টাফরা ছিলেন। আসানসোল হাসপাতাল সুপার নিখিল চন্দ্র দাস জানান - "এই প্রথম জেলা হাসপাতালে আমাদের  প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আবদুল কালামের জন্মদিন পালন করা হয়েছে, এতে আমরা খুব খুশি"। 

মঙ্গলবার, অক্টোবর ১৫, ২০১৯

শ্বাশুড়ি খুনে গ্রেপ্তার গুনধর জামাই

কৌশিক বড়ুয়া
  
 গত  ৭ অক্টোবর দুর্গাপুরে মহিলার নগ্ন মৃতদেহ উদ্ধারের পর প্রথম পুলিশ তদন্তে নেমে প্রশান্ত ব্যানার্জি  নামক মিতার ভাইপোকে গ্রেপ্তার করে।  সে জেরায় স্বীকার করে  খুনের পর ধর্ষণ করে  এবং তার সাথে যুক্ত ছিল তার মেজ  জামাই কাঞ্চন অধিকারী। পুলিশ খোঁজ চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে সোমবার দুপুরে  দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পাঠায়। পুলিশ কাঞ্চন অধিকারী কে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে খুনের কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। কি কারনে এই খুন, সম্পত্তি হাতানো কি ছিল?  গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ

হাতির হানায় জখম ৫ কৃষক

সঞ্জয় হালদার
 জমির ফসল রক্ষা করতে গিয়ে হাতির হানায় আহত পাঁচ কৃষক।
 বাঘমুন্ডীর বুকাডি এলাকায় একদল হাতি। সারাদিনব্যাপী গভীর জঙ্গলে তাদের আত্মগোপন ও সন্ধ্যের অন্ধকার নামলেই শুরু হয় ঐ হাতির দলের আক্রমন, দলমার দলছুট তিনটি হাতি যেন এই এলাকার মানুষের  ত্রাস হয়ে উঠেছে। ধান বাদেও অন্যান্য ফসলের ক্ষয়ক্ষতি করছে, 
  বাধ্য হয়ে এলাকায় গ্রামের কৃষকেরা জোটবদ্ধ হয়ে রাত পহরার ব্যবস্থা নিয়েছেন। তাতেও কোনো লাভ হচ্ছে না তাদের উল্টে ঐ হাতিদের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন কৃষকেরা। সোমবার ভোর রাতে হাতির হানায় আহত পাঁচ জন কৃষক । ঘটনা পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডী থানার বুকাডি গ্রামের। জানা যায় ঐদিন গভীররাতে নিজেদের চাষের জমির ফসল রক্ষার দায়িত্ব ছিল কয়েকজন কৃষকের হাতে হটাৎ ঐ তিনটি হাতি মাঠের ফসল খেতে শুরু করে, তখনই রাত পাহারায় থাকা চাষীরা হাতি তাড়াতে গেলে ঘটে অঘটন একের পর এক চাষীকে হাতি তুলে আছড় মারে। ঘটনায় মোট পাঁচজন  আহত হয়েছেন। পরে তাঁদের প্রত্যেকে  হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তিনজনের  আহত ব্যক্তিকে চিকিত্সকেরা প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়েদেন ও দুইজন গুরুতর আহত ব্যক্তিদের অবস্থার অবনতি থাকায় পুরুলিয়া দেবেন মাহাত সদর হাসপাতলে চিকিৎসার জন্য পাঠান।  তবে দপ্তরের পক্ষে আহতদের চিকিত্সা ও ক্ষতি পূরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা যায়। এবং বনকর্তাদের বক্তব্য যে ঐ তিনটি হাতির দলকে পুনরায় পাশের রাজ্য ঝাড়খন্ডের দলমার জঙ্গলে ফেরৎ পাঠানোর সবরকমের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান । বর্তমানে হাতির ভয়ে আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা।

শুক্রবার, অক্টোবর ১১, ২০১৯

'ও বন্ধু আমার' ছবির সিডি রিলিজ

রাজকুমার  দাস ,

'ও বন্ধু আমার' সিনেমার ট্রেলার ও সঙ্গীত প্রকাশ অনুষ্ঠান হল। এই ছবিতে যে সকল অভিনেতা ও অভিনেত্রী অভিনয় করেছেন তারা হলেন-মিত, রিতিকা, অরুণ ব্যানার্জী, অনুরাধা রায়, মৌসুমি সাহা, খরাজ মুখার্জি, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, সুপ্রিয় দত্ত প্রমুখ। সিনেমার গল্প টা এই রকম- আদি হল মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা এমন একজন মেধাবী ছেলে যার জন্য কলেজের প্রত্যেকটা মেয়ে পাগল। তার হাঁটাচলা, কথাবার্তা এমনকি তার মুচকি হাসি দেখার জন্য মেয়েরা তার আশেপাশে সারাদিন ঘোরাফেরা করে। প্রতিদিন মেয়েদের কাছ থেকে প্রপোশ পেতে পেতে সেটা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে তার। কিন্তু সে কখনও কোনও মেয়ের প্রপোশাল একসেপ্ট করেনি। কিন্তু একদিন সেই অঘটন'টাই ঘটে গেল তার জীবনে। রুহী'কে প্রথমবার দেখেই তার প্রেমে পড়ে গেল আদি। অনেক চেষ্টার পর মজার একটা ঘটনার মাধ্যমে তাদের প্রেম'টা হয়ে গেল ঠিকই কিন্তু তারপরেই শুরু হল আসল বিপত্তি। রুহীর বাবার সাথে শত্রুতা মেটাতে কালিশঙ্কর রুহীর ওপর আক্রমণ করে বসলো এবং মাথায় আঘাত পেয়ে রুহী তার জীবনের ফেলে আসা দিনের সমস্ত কিছু ভুলে গেল, ভুলে গেল আদিকেও। এরপর শুরু হল আদির জীবনের আসল লড়াই। একদিকে তার ভালোবাসা ফিরে পাওয়ার লড়াই। অন্যদিকে রুহীকে আঘাত করার বদলা। শেষপর্যন্ত কি পারবে আদি তার ভালোবাসার মানুষ'কে সুস্থ করে তার স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে? নাকি সারাজীবন দূর থেকে ভালোবেসে যাবে তাকে? জানতে হলে দেখতে হবে 'ও বন্ধু আমার'।এই সিনেমার প্রযোজক গোপাল চৌধুরী, পরিচালক সঞ্জয় দাস, সংগীত পরিচালক জয়-অঞ্জন। গায়ক কুমার শানু, জুবিন গর্গ, পালক মুছল, রাজ বর্মন, শান ও বিরিনা পাঠক।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER