সোমবার, এপ্রিল ২৭, ২০২০

১৪ রকম সবজি সহ চাল বিলিতে বড়শুল কিশোর সংঘ

সেখ সামসুদ্দিন
 

 সরকারি উদ্যোগে চাল পাচ্ছে সকলেই প্রায়, কিন্তু তার সাথে সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় ডাল তেল সব্জী ইত্যাদি জিনিষের ক্রয় ক্ষমতা হারিয়েছে সাধারণ মানুষ, কাজ হারিয়ে ঘরে বসে তাই সাধকে বেধে রেখে সাধ্য মতন খেয়েই পেট ভরাচ্ছে অনেক নিম্নবিত্তই ! অনেক সংগঠন চাল ডাল তেলের পসরা নিয়ে সাহায্যের হাত বাড়ালেও ১৪রকম সব্জী সহকারে চাল বিতরণ করে অনন্য নজির গড়ল বড়শুল কিশোর সংঘ ; স্থানীয় বিধায়ক নিশীথ মালিকের উপস্থিতিতে আনুমানিক প্রায় ৫০ জন মানুষের হাতে এদিন ত্রাণ তুলে দেওয়া হয় বলে জানান সংঘের সম্পাদক পার্থ ঘোষ, পল্লিমঙ্গল সমিতির সভাপতি নিমাই মুখার্জী এদিন বলেন "পল্লিমঙ্গলের পক্ষে এদিন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। বড়শুল কিশোর সংঘের উদ্দেশ্য ১৪ রকম সব্জী ও চালের সাথে আমাদের তরফে পরিচ্ছন্নতার বার্তা নিয়ে প্রত্যেকের জন্য ১টি করে ঘড়ি ডিটারজেন্ট পাউডারের প্যাকেট তুলে দেওয়া হয় প্রত্যেকের হাতে। অসময়ে মানুষের পাশে থাকার তাদের এই প্রচেষ্ঠায় পল্লিমঙ্গল সমিতি সাধুবাদ জানায়" বড়শুল কিশোর সংঘের এই উদ্যোগ হাসি ফুটিয়েছে অনেকের মুখেই, এখন অবধি মোট আনুমানিক ২০০ পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

মুখ্যমন্ত্রীর করোনা অনুদানে আইসিডিএস কর্মীদের আর্থিক সহযোগিতা

শ্যামল রায়
  

মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে আইসিডিএস কর্মীদের তরফ থেকে ৫০ হাজার টাকার চেক।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দিলেন আইসিডিএস কর্মীদের তরফ থেকে রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ মহকুমাশাসক এর হাতে। সিডিপিও অরিন্দম রায় জানিয়েছেন যে সোমবার কালনা মহকুমা শাসকের হাতে পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লক আইসিডিএস কর্মী ও সহকারীদের তরফ থেকে এই আর্থিক মূল্যের চেক তুলে দেওয়া হয়। চেকটি তুলে দেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ।উপস্থিত সিডিপিও অরিন্দম রায় ও পূর্বস্থলী ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তপন চ্যাটার্জি। সিডিপিও অরিন্দম রায় জানিয়েছেন যে কোন ভাইরাসের মরণব্যাধি থাবা থেকে বাঁচতে চলছে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন। লকডাউন চলাকালীন খেটে খাওয়া মানুষের চরম অভাব যেমন ঘটেছে তেমনি করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন‍্য এগিয়ে আসা উচিত। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে আমরা এই চেক প্রদান করলাম। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন যে নিয়মিতভাবেই মহকুমাশাসক সুমন সৌরভ মহান্তি -র হাতে আমরা এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিয়েছি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আমরাই চেকটি তুলে দিয়েছি।

মাথা ন্যাড়া করে রাজ্যের মন্ত্রী মাঠে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখালেন

সুভাষ মজুমদার
  

রাজ্য কিষাণ ক্ষেত মজদুর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা হরিপাল বিধায়ক বেচারাম মান্না 

 আজ মাথা নেড়া হয়ে কৃষি সরঞ্জাম নিয়ে মাঠে বসে প্রতিবাদ জানান ৷ পাশাপাশি বেচারাম বাবু আরো বলেন যে কেন্দ্রীয় সরকারের করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের কৃষককে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে মুখে বড় বড় কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওলটে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠাছেন রাজ্যকে না জানিয়ে। দেশে পরিযায়ী শ্রমিক দের দুরবস্থার মধ্যে আছে তাদের কোনো সাহায্য করছেন না।

ভাতারের খেড়ুর দুরন্ত ক্লাব খাদ্য সামগ্রী বিলিতে

আমিরুল ইসলাম  

 ভাতারের খেরুর দুরন্ত  ক্লাব উদ্যোগে আড়াইশো টি পরিবারকে দেয়া হল চাল ও মাস্ক ।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি করোনা মোকাবেলার জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে বলেছেন।ভাতারের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক ও ক্লাব গুলি এগিয়ে এসেছেন সাহায্যে ।সেরকমই আজ খেরুর দুরন্ত  ক্লাব প্রায় 250 জন পরিবারের হাতে তুলে দিলেন তিন কিলো করে চাল ও একটি করে মাস্ক ।

ক্লাব সদস্য বিধান ঘোষ জানান, আজ আমরা ক্লাবের পক্ষ থেকে আড়াইশো জন মানুষকে কিছু খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলাম। আগামীতেও বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকবে আমাদের ক্লাব। পাশাপাশি লকডাউন বাড়লে আবার আমরা গরিব মানুষদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবো।


 

নারী - তৃণা মুখার্জি

নারী
    তৃণা মুখার্জি
 

হঠাৎ মন বলে উঠলো-
হারিয়ে গেছি আমি।
 জানি না কোন সূদূরের পাড়ে।
আমি কি সেই  চণ্ডালিকা, যাকে থাকতে হয় নগর প্রান্তে?
নাকি সেই চিত্রাঙ্গদা, 
যার স্থান সে নিজেই ঠিক করে?
নাকি সেই সারাদিন খেলা দেখানো ভানুমতী?
 নাকি ঐ নীরব পশুদের সাথে কথা বলা নীরব সুভা?
 ‌তারপর উত্তর এলো,
 আমি সেই নারী
যাকে যুগ যুগ ধরে পুরুষেরা করেছে বন্দনা ,
যার শক্তিতে সকলে হয় আলোকিত।
হ্যাঁ আমি সেই নারী।।

শালবনী ব্লক তৃণমূল সভাপতির উদ্যোগে দুশো পরিবার কে খাদ্য সামগ্রী

লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে  শালবনী  ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নেপাল সিংহ মহাশয়ের  উদ্যোগে শালবনির মাঝিপাড়া গ্রামে 200 বেশি পরিবারকে ত্রাণসামগ্রী এবং খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হল , ত্রাণ সমগ্রি তুলে দিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অজিত মাইতি মহাশয় , উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিনু কোয়ারী, সন্দীপ সিংহ , অসিত ঘোষ ,শক্তি রানী পাল , লক্ষীকান্ত ঘোষ সহ অন্যান্য কর্মী এবং নেতৃত্ব গন

লকডাউনে মোবাইলে তৈরি হলো শর্টফিল্ম 'গৃহবন্দি'

মোবাইলে তৈরি হলো শর্ট ফিল্ম "গৃহবন্দী"

রাজকুমার দাস
  

 করোনায় আজ গোটা বিশ্ব আক্রান্ত,লকডাউন এর মধ্যেই গৃহবন্দি থাকা অবস্থায় তরুণ পরিচালক রাহুল দত্ত  চলমান যন্ত্রে বানিয়ে ফেললো খুব সুন্দর ছোট্ট একটি শর্ট ফিল্ম যার নাম "গৃহবন্দি"। এই শর্ট ফিল্মে যে যার বাড়িতে থেকে অভিনয় করেছে সপ্তর্ষি সোম চৌধুরী, তমাল চক্রবর্তী, শুভম পাল, প্রশান্ত নালুই, সায়ন মুখার্জি,সহ পরিচালক স্বয়ং।সংগীত পরিচালনায় অমিত মিত্র।শর্ট ফিল্মটির সম্পাদনা করেছেন বিজয় ঘোষ।এই শর্ট ফিল্মের কাহিনী চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন পরিচালক নিজেই।তাছাড়া ও সহযোগিতা সম্পূর্ণ টিম।এই শর্টফিল্মটির নেপথ্যে কণ্ঠ দিয়েছেন সায়ন মুখার্জি।এই "গৃহবন্দী "শর্ট ফিল্মটি রাহুলের প্রথম কাজ নয় এর আগেও বেশ কিছু শর্ট ফিল্ম ও মিউজিক ভিডিও বানিয়েছে।আগামীদিনে বড় পর্দার জন্য ছবিও করতে চলেছে রাহুল।ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে তার সদ্য বানানো শর্ট ফিল্মটি দর্শকদের ভালো লেগেছে।আমরা তার আগামী দিনে এগিয়ে চলার শুভেচ্ছা ,শুভ কামনা জানাই।সকলকে লকডাউনে বাড়িতে থাকতে অনুরোধের পাশাপাশি আগামী দিনে আমরা যেন এক নতুন রোগমুক্ত জীবাণু মুক্ত সকাল দেখতে পাই সেই আশায় রইলাম।

জয় বাংলা প্রকল্পে সাড়া পড়ছে গুসকারায়

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি , 
       রাজ্যের বিধবা, কৃষক, মৎস্যজীবী, তাঁতি, কারিগর সহ বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত বয়স্কদের সাহায্য করার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী 'জয় বাংলা' নামে একটি পেনশন প্রকল্প চালু করেন। ফেব্রুয়ারি (২০২০ ) মাসে বাজেট (২০২০-২০২১) পেশ করার সময় রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র 'জয় জহার' ও 'বন্ধু' নামে আরও দুটি প্রকল্প 'জয় বাংলা ' পেনশন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করেন। মূলত ৬০ বছর বা তার উর্দ্ধের তপশিলি জাতির মানুষের জন্য 'বন্ধু' ও তপশিলি উপজাতি মানুষের জন্য 'জয় জহার'  প্রকল্প চালু করা হয়। অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী প্রতি মাসে যোগ্য ব্যক্তিরা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১০০০ টাকা করে পাবে এবং এরফলে দুই সম্প্রদায়ের প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ  উপকৃত হবে।
        এই প্রকল্প সম্বন্ধে এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের অবহিত করার জন্য গত ২৬ শে এপ্রিল পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি দেবব্রত শ্যামকে সঙ্গে নিয়ে শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কুশল মুখার্জ্জী গুসকরা পৌরসভার  বিভিন্ন ওয়ার্ডের আদিবাসী মানুষদের কাছে যান। কারা এই প্রকল্পে সুযোগ পাবে এবং কিভাবে নাম নথিভুক্ত করতে হবে সেই বিষয়ে তারা তাদের অবহিত করেন।
      পরে কুশল বাবু বলেন - রাজ্যের মানুষের সুবিধার্থে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী যেসমস্ত প্রকল্প চালু করেছেন সেগুলি যাতে যোগ্য ব্যক্তিরা পায় তার জন্য আমরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে যাচ্ছি। আমাদের নেতা অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশ এলাকার একজন যোগ্য ব্যক্তি যাতে এই দুটি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্য সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়াও করোনা মোকাবেলার জন্য এলাকার মানুষকে সরকারের নির্দেশ মেনে চলার জন্য অনুরোধ করি।

রবিবার, এপ্রিল ২৬, ২০২০

আইনজীবীদের আর্থিক সাহায্য করলো হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশন

মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)    

কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ৪০০ জন আইনজীবীদের ২ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হল। এখনও ৬০০ এর বেশি আইনজীবীদের আবেদন রয়েছে। আইনজীবীদের একাংশের কাছে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার অনুরোধ রেখেছেন বার এসোসিয়েশন এর সভাপতি অশোক কুমার ঢনঢনিয়া।               করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় বিধিনিষেধ বজায় রেখে গত ১৬ মার্চ থেকে রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার অচল হয়েছে। যা মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ  অবধি ধাপেধাপে সময়সীমা বাড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুধুমাত্র কলকাতা হাইকোর্টে ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি চলছে তাও মাসে ৭ থেকে ৮ দিন মত। গত ১৬ মার্চ থেকে রাজ্যের আইনজীবীরা একপ্রকার বেকারত্বের শিকার বলা যায়। গোটা রাজ্যে ৪২ হাজার মত নিয়মিত / অনিয়মিত আইনজীবী রয়েছেন। এর মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে আইনী পেশার সাথে যুক্ত প্রায় ১০ হাজার আইনজীবী। টানা ৪০ দিন আদালতমুখী হয়নি এই রাজ্যের আইনজীবীমহল। আর্থিক সমস্যায় আইনজীবীদের বড় অংশ। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চে বারাসাতের এক আইনজীবী আইনজীবীদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া সহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে মামলাও করেছেন। ১৬ এপ্রিল এই মামলার শুনানির  জন্য নির্ধারিত হলেও  আগামী ৩০ এপ্রিল এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে। গত ৩০ মার্চ ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং রাজ্য আইনমন্ত্রী কে ইমেল মারফত চিঠি লিখে আইনজীবীদের পাশে দাঁড়াবার জন্য আবেদন রেখেছেন। গত ৮ এপ্রিল বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের বর্ষীয়ান সদস্য আনসার মন্ডল কেন্দ্রীয়  বার কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান কে   চিঠি লিখে আইনজীবীদের পাশে দাঁড়াবার অনুরোধ জানিয়েছেন। এই চিঠিও প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য আইনমন্ত্রী কে। সেইসাথে রাজ্যের বার কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান অশোক দেব মহাশয়কে ও    অবগত করানো হয়েছে। আনসার বাবু রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ৩৭ টি বেসরকারি আইন কলেজ কর্তৃপক্ষ কে আইনজীবীদের এহেন দুসময়ে পাশে দাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন। অপরদিকে কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক কুমার ঢনঢনিয়ে অত্যন্ত তৎপরতায় এক রিলিফ ফান্ড গড়েছেন। ইতিমধ্যেই ৮০০ এর বেশি আইনজীবী বার এসোসিয়েশনের পদাধিকারীদের কাছে ইমেল মারফত আর্থিক অনুদান দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।হাইকোর্টের  বার এসোসিয়েশন সুত্রে প্রকাশ, এহেন আইনজীবীদের ২ হাজার টাকা করে মাসিক আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে  । ইতিমধ্যেই ৮ লক্ষ টাকা উঠে এসেছে আইনজীবীদের আর্থিক অনুদান দেওয়ার জন্য। এর মধ্যে বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক কুমার ঢনঢনিয়া দিয়েছেন ২ লাখ, ক্যালকাটা হাইকোর্ট কালচারাল সোসাইটির তরফে ২ লাখ, মিলন মুখোপাধ্যায় দিয়েছেন ১ লাখ অনুদান অন্যতম । বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক কুমার ঢনঢনিয়া জানিয়েছেন    - "আরও ১০ লাখ টাকার অনুদান দরকার। হাওড়ার এক বেসরকারি ব্যাংকে একটি জরুরি কালিন রিলিফ ফান্ড একাউন্ট খোলা হয়েছে"। অপরদিকে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ইমেল মারফত অভাবী আইনজীবীদের আর্থিক অনুদান দেওয়ার প্রয়াস নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বার কাউন্সিল এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান সদস্য আনসার মন্ডল মহাশয়।                                                                                                                                                                                                              


অভুক্তদের খাদ্য সামগ্রী বিলিতে দীঘার 'সূচনা'


জুলফিকার আলি
   আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘায় "সূচনা" স্চ্ছোসেবী সংগঠনের সমস্ত সদস্যের উদ্যোগে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ (D.S.D.A) এর কর্মরত সাফাই কর্মীদের হাতে কিছু খাদ্যসামগ্রী যেমন চাল,ডাল,আলু,মুড়ি,সোয়াবিন,তেল, পিয়াজ ইত্যাদি বিতরণ করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন বিপ্রদাস চক্রবর্তী,অজিত শাহু,লুৎফা খাতুন,কৌশিক শুঁই,চন্দন পয়ড়্যা, সুশান্ত ঘন্টা,বিদুৎপোর্না মিত্র,সেখ বারজাহান মহম্মদ ও অন্যান্য সদস্য বৃন্দ।
সমস্ত কিছুই তারা প্রশাসনিক নিয়ম মেনে করে চলেছেন। এবং আগামী দিনগুলোতেও তারা একই নিয়ম মেনে অনেক কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন।

হলদিয়ায় পঞ্চায়েত প্রধানের মাস্ক বিলি নিয়ে উত্তেজনা

জুলফিকার আলি
  

রেড জোনে পঞ্চায়েত প্রধান মাস্ক বিলি করতে যাওয়ায় বাধা, ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসী। 

হলদিয়া ::::  নুতন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পূর্ব মেদিনীপুরে বাড়ার ফলে রেড জোনে রয়েছে।সংক্রমন বাড়ার ফলে সতর্ক করছেন প্রশাসন। হলদিয়ার জয়নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে করোনা পজিটিভ পাওয়ার পর নড়ে চড়ে প্রধান।লকডাউন বিষয়ে বরাবরই তৎপর রয়েছে প্রশাসন তবে আরও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা গেল বিশেষ করে "মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক" নির্দেশ জারির পর। নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আবারও পথে নেমেছে পুলিশ। প্রথমত লকডাউন, দ্বিতীয়ত করোনা সংক্রমণ এড়াতে রাস্তায় একে অপরের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক ব্যবহার বিষয়ের উপরেই বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে প্রশাসন। মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক হওয়ার পর রাস্তায় মাস্ক ছাড়া ব্যক্তিদের আটক করা ও দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ করে মোটরবাইকে একাধিক জন দেখা গেলে বাইক সহ বাইক চালককেও আটক করছে স্থানীয় দূর্গাচক থানা।
হলদিয়া দূর্গাচক থানা এলাকায় পাথরবেড়িয়া  রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করণ হয়েছে। জয়নগর পঞ্চায়েত এলাকার আশা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিদর্শন করছেন। তার সঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান তিনিও মাস্ক বিলি করতে এলাকায়  যান। পাথরবেড়িয়া এলাকাবাসী পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় এবং মাস্ক বিলি করতে বাধা দেয়।এলাকাবাসীর অভিযোগ যে তারা ঠিকমতো রেশন পায় না ,খাদ্যদ্রব্য পায়না  তাদের খাবার ব্যবস্থা করুন। তারা লকডাউন  অমান্য করে। ঘটনাস্থলে দুর্গাচক থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে  তাদেরকে বারবার জানানো হয় যে, আপনারা বাড়ির মধ্যে থাকুন। আপনাদের যা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তা বাড়ির মধ্যেই পৌঁছে যাবে। জয়নগর পঞ্চায়েত প্রধান রবীন্দ্রনাথ পাই স্বীকার করেন যে , সরকারি রেশন পত্র সমস্ত ডিষ্ট্রিবিউশন হয়েছে , অযথা বাধার মুখে পড়তে হয়েছে।

অব্যক্ত - প্রণব সমাদ্দার

অব্যক্ত 
        প্রণব সমাদ্দার
হাসিকেই সত্যি ভেবে নিলে?
তুমি দেখলে না চক্ষের বুকে চিক্ চিক্ করা জল,
সূর্যস্নাত দীঘির মতো ;
অস্থি-গারদে আবদ্ধ ব্যথা-আসামীকে 
খুঁজলে না,
শুধু নিরবয়ব সম্ -এর বন্ধনে ,
আমার মুমূর্ষু সঙ্গীতকে
সীমায়িত করো তুমি,
অকরুণ!

অনেক  খেয়ালী বর্ষণের পর,
আকাশ যখন নিজেকে প্রকাশ করার 
নির্লজ্জ আশায় ব্যাকুল --
ঠিক তখনই,
সারা পৃথিবীর কৃষ্ণকায় মেঘে,
তাকে ঢেকে দাও  :
এ কেমন খেলা তব, দুঃশাসন?

যখনই স্বল্প সম্ভারে অর্ঘ্য সাজিয়ে ,
মৌন হস্তে সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বালি  আনত নম্রে 
তখনই লক্ষ  দীর্ঘশ্বাস,
একসাথে পড়ে কোথা হ'তে,
নিভে যায় সে প্রদীপ,
দেবতা অন্ধকারে  থাকে!

দুর্নিবার লিপ্সাহত প্রকৃতিকে,
যখনই ত্যাগের কুঠারে খণ্ডিত করতে উদ্যত হই  :
ঠিক তখনই,
অধরা অমৃতভান্ড সামনে ধরো,
কেন?

তুমি নিজেও জানলে না কী চাও,
আমাকেও জানালে না ।।

অসহায়দের ঔষধ ও খাদ্য সামগ্রী দিচ্ছে বর্ধমান প্রেসক্লাব

সুরজ প্রসাদ
 

কথা রাখল বর্ধমান প্রেস ক্লাব | ওষুধের চাহিদা ফোন করেছিল স্থানীয় যুবক | গত পরশু বর্ধমান প্রেস ক্লাব ওষুধ পৌঁছে দিয়েছে আজ পুনরায় সমাজসেবী শেখ হালিম এর সহযোগিতায় বর্ধমান প্রেসক্লাব পৌঁছায় সেই হৃদরোগীর বাড়িতে | দেওয়া হয় খাদ্য সামগ্রী ও কিছু টাকা  |আবার খবর আসে হীরামনি টুডু 95 বছর বয়স্কা বৃদ্ধা খেতে পারছেন না | বর্ধমান প্রেসক্লাব পৌঁছায় সোনা পলাশীর তার বাড়িতেও | দেওয়া হয় খাদ্য সামগ্রী ও অর্থসাহায্য | 

লকডাউনে করোনার প্রকৃত তথ্য চেয়ে বর্ধমানে বিজেপির অবস্থান বিক্ষোভ

সুরজ প্রসাদ
 

কোরোনার হানাহানির  তথ্য চুরি, রেশনের চাল দুর্নীতি ও বিজেপি সাংসদদের ত্রাণ দিতে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে বর্ধমান জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। লকডাউনের মধ্যেই বর্ধমান শহরের বিভিন্ন জায়গায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।  বিজেপির জেলা সহসভাপতি প্রবাল রায় বলেন, কেন্দ্র সরকার পশ্চিমবঙ্গ বাসিদের জন্য প্রযাপ্ত রেশনের চাল,গম পাঠিয়েছে, কিন্তু দেখা যাচ্ছে বেশির ভাগ মানুষ তা পাচ্ছে না। তৃনমূল নেতারা সেই চাল,গম রেশন দোকান থেকে নিয়ে নিজেদের পার্টি কর্মীদের মধ্যে বিলিয়ে দিচ্ছে। এছাড়া কোরানা সংক্রমণের এখম পর্যন্ত কতজনের মৃত্যু হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান দিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সংক্রামণ রুখতে যে পরিমান  র‍্যাপিড টেস্ট করা দরকার  তার ১শতাংশও হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন প্রবাল বাবু।  অন্যদিকে তৃনমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত বলেন, রাজ্যে সরকার যে ভাবে  সকলের মধ্যে রেশন সামগ্রী বন্টন করছে তা দেশের বিজেপি শাসিত রাজ্যে গুলো করছে কি না সন্দেহ আছে। তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রের উচিত ছিলো আরো আগে থেকে লকডাউন করা, সেই সাথে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ করা। তা না করায় বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের থেকে দেশে মধ্যে বিশাল আকারে করোনা সংক্রমণ  ঘটেছে। বিজেপি মানুষের এই দুসময়ে পাশে না দাঁড়িয়ে অযথা রাজনীতি করছে। 

দেড় হাজার মানুষদের আহারের আয়োজন গুসকারা তৃণমূলের



সেখ নিজাম আলম
  গুসকরা পৌরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডে ১৫০০ জন বিপর্যস্ত মানুষের হাতে অন্ন তুলে দিলেন আউশগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক অভেদানন্দ মহাশয় । উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড সভাপতি, মুন্না সাউ এবং শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি  কুশল মুখোপাধ্যায় মহাশয় ।।

ভাতারের দুরন্ত ক্লাব তিনশো মানুষদের চাল ও মাস্ক দিলো

প্রতাপ চট্টোপাধ্যায়
 

আজ ২৭/০৪/২০২০ ভাতার থানার আমারুন 2 নং পঞ্চায়েতের খেরুর দুরন্ত ক্লাবের পক্ষ থেকে 300 জন পরিবারকে চাল এবং মাক্স দেওয়া হল । সংগঠনের সদস্যরা বাড়ী বাড়ী গিয়ে দুঃস্থ মানুষদের এই সামগ্রী বিতরণ করেন ।

লকডাউনে জাঙ্গিপাড়ার আজাদ হিন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ

সুভাষ মজুমদার
  

জাঙ্গিপাড়া ব্লকে তারাজল গ্রামে ,আজাদ হিন্দ ফাউন্ডেশন পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত ১০৭ টা পরিবারের হাতে , ত্রান সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় ।

দুস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন সাব ইনস্পেকটর রতন দাস

সেখ রতন
 
আবার মানবিক উদ্যোগ পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের | আজ সকালে স্টেশন এলাকায় ডিউটি করার সময় বর্ধমান সদর থানার এসআই রতন দাস খবর পান লকডাউন এর জন্য বাড়ি ফিরতে পারছেন না মশাগ্রাম এর এক দুস্থ পরিবার | বর্ধমান সদর থানার আইসি পিন্টু সাহার 
নির্দেশে তিনি ওই এলাকায় খবরের সঙ্গে যুক্ত থাকা বর্ধমান প্রেস ক্লাবের সদস্য সাংবাদিক শেখ রতন ও পাপাই সরকারের সাহায্যে গাড়ি ভাড়া করে তাদের পাঠানোর ব্যবস্থা করেন, সঙ্গে প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং হাতে কিছু টাকা এবং খাবার জিনিসপত্র | 

পটাসপুরে ফেসবুক লাইভ ক্লাস

জুলফিকার আলি, 
  

লকডাউনের দিন গুলিতে সমস্ত স্কুল কলেজ বন্ধ তাই ছাত্র ছাত্রীদের কথা ভেবে একটি লাইভ ক্লাস রুমের ব্যবস্থা করলো পটাশপুর ২ নং ব্লকের পঁচেট জুয়েল স্টার ক্লাব ও পঁচেটগড় সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি ব্যবস্থাপনায়  শুক্রবার থেকে এই লাইভ ক্লাসের শুরু হয় প্রত্যহ সন্ধ্যা ৭ টায় দশম শ্রেনীর ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন বিষয়ের ক্লাস  থাকছে ক্লাবের ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি  বাড়িতে বসে দেখতে পাবে ছাত্র ছাত্রীরা. এছাড়া ছাত্র ছাত্রীদের জন্য থাকছে  লাইভ চলাকালিন সরাসরি প্রশ্ন করার সুবিধা সঙ্গে সঙ্গে লাইভে উত্তর দিবেন শিক্ষক মন্ডলি

শনিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২০

চোখের ইশারায় ভালোবাসা

চোখের ইশারায় ভালবাসা 


ফারুক আহমেদ 


উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হচ্ছে শুক্রবার। তারপর থেকে অফুরন্ত সময় নাফিকের হাতে। রেজাল্ট বের হলে কলেজ জীবন ও ভালবাসার আকাশে জ্বলজ্বল করবে নাফিক। সে এসব ভাবতে থাকে। সে চায় প্রকৃত মানুষ হতে। সমাজের জন্য কিছু করতে। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই সমাজের কল্যাণে ছোট্ট ছোট্ট কাজ করে সে। রাস্তায় পড়ে-থাকা বিপদ সরিয়ে রাখে নিরাপদ জায়গায়। ইটের টুকরো, কলার খোসা বা ভাঙা কাচের টুকরো, ডাবের খোলা দেখলে সে সরিয়ে রাখে নিরাপদ আশ্রয়ে। আর সময় পেলেই নজরুল-সুকান্ত পাঠাগারে গিয়ে রফিকুল ইসলাম কাকুর সঙ্গে নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। ঘটকপুকুর হাই স্কুলে পড়তে পড়তেই পাঠাগারের লাইব্রেরিয়ান কাকুকে আপন করে নেয়। কত বইয়ের সম্ভারে সাজানো আছে পাঠাগারটি। লাইব্রেরিয়ান কাকুকে সে জ্ঞানের সমুদ্র মনে করে।

মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে নাফিক আহমেদ। সে ভালো রেজাল্ট করা ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্কলারশিপের ফর্ম সংগ্রহ করে এবং সেই ফর্ম পূরণ করে জমা দিয়ে আসে বিভিন্ন দফতরে। অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাঁর সাহায্যে স্কলারশিপ পেয়েও যায়। গরিব ছাত্র স্বপন ও নিজামের জন্য বইও কিনে দেয়, টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে। নাফিকের বন্ধু মহম্মদ গোরাচাঁদ আলি পরবর্তীতে ডাক্তার হয়ে বড়ালী গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করেছে।  

একবার নাফিক স্কুল জীবনে বাড়ির বিনা অনুমতিতেই স্কুলের বন্ধু কুতুবউদ্দিন গাজীর সঙ্গে চৈতালি প্রেক্ষাগৃহে শাহরুখ খানের  "ডর" সিনেমা দেখতে যায়। সেই থেকে সে শাহরুখ খানের অভিনয়ের ভক্ত। জাদু তেরি নজর... গানটি বেশ মনে দাগ কাটে। 

মনে পড়ে আম বাগানের ফাঁক-দিয়ে-দেখা দুটো চোখ আজও তাকে বাঁচার আকাশ দেখায়।  

বেশ চলছিল স্কুল ও খেলাধুলা। সে শাহরুখ খানের জবরদস্ত ফ্যান হয়ে ওঠে। ঘটকপুকুর ও ভাঙড় হাই স্কুলের অনেকেই জানে নাফিক শাহরুখ খানের ভক্ত। টিউশানি থেকে খেলার মাঠের সমস্ত বন্ধুরাই জানে নাফিক শাহরুখ খান-এর সব থেকে বড় ফ্যান।

সানির সঙ্গে শাহরুখ খান নিয়ে আলোচনা চলে। সানি কলকাতার নামি স্কুলে পড়ে,কলকাতাতেই থাকে। বড় ছুটি পেলেই সে মা-বোনের সঙ্গে ঘটকপুকুরের বাড়িতে চলে আসে। আর তখন নাফিকের সঙ্গে সানির দেখা হয়। খেলার মাঠে। তখন কত গল্প করে দুজনে। শাহরুখ খানের নতুন চলচ্চিত্র নিয়ে তুমুল আলোচনা চলে। ভালো অভিনয় করার জন্য কী কী পুরস্কার পেয়েছে, কোন ছবি সব থেকে বেশি হিট হয়েছে– এইসব নিয়ে। 

একাবার সানিদের বাড়ির ছাদে চড়ুই ভাতির আয়োজন আজও ভুলতে পারেনি নাফিক। "দিল তো পাগল হে" সিনেমার গান শুনতে শুনতে চড়ুই ভাতের আয়োজন আজও মনে পড়ে। আর সেই গান, চাঁদনী কুছ কাহাঁ রাতনে কুছ শুনা....। সেদিন মাংসের কি দারুণ টেস্ট হয়েছিল। সানির মায়ের হাতের মাংস রান্নার তারিফ করেছিল নাফিক। 

অন্য দিকে শাহরুখ খান নিয়ে খেলার মাঠে, স্কুলে, কলেজে অন্য অনেকেই বেশ মজা করে নাফিককের সঙ্গে। 

একবার "সংবাদ প্রতিদিন" পত্রিকার শারদীয় সংখ্যায় শাহরুখ খানের জীবনী প্রকাশিত হয়। জীবনী পড়ে অনুপ্রেরণা পায় নাফিক। শাহরুখ খান স্কুল জীবন থেকেই খেলাধুলা ও পড়াশোনায় খুব ভালো। নাফিক ভালো পড়াশোনা করে না। সে ভালো খেলাধুলাও করে না।

সেবার নাফিক তখন ক্লাস সেভেনে পড়ে। স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় নাম দিয়ে সব খেলায় শেষের দিক থেকে প্রথম হয়। ঘটকপুকুর হাই স্কুল ও গার্লস স্কুল পাশাপাশি হওয়ায় খেলার একটাই মাঠ। নাফিক দৌড়ে সবার পিছনে পড়ে যায়, এতে অনেকেই হাসাহাসি করে। দৌড়ে সবার পিছনে পড়ে যাওয়ার জন্য সে লজ্জাও পায়।

সে শাহরুখ খানের এতো বড় ফ্যান। আর সে সবার সামনে হেরে যাবে তা হতে পারে না। 

বাড়ি ফিরে সে মাকে সব বললো। তার মায়ের পরামর্শ মতো নিয়মিত সারা বছর সে দৌড় অনুশীলন করলো। কবিতা আবৃত্তি, বক্তৃতা ও কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে নিজেকে তৈরি করলো।  পরের বছর নাফিক দৌড়ে প্রথম হলো। আবৃত্তি, বক্তৃতা ও কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রাইজও পেল। মনে মনে ঠিক করল সে চেষ্টা করলে পড়াশোনাতেও ভালো করতে পারবে। একটা জেদ চেপেছিল তার ভালো রেজাল্ট করতেই হবে। 

ক্লাস নাইনে উঠে সে শপথ নিল নিজের মনে, প্রথম বিভাগে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে। তাদের স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়ে বোদরা হাইস্কুলে। সেবার তার দাদা মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। নাফিক তা দেখতে একদিন বোদরা হাইস্কুলে উপস্থিত হলো।

আম বাগানের ফাঁক দিয়ে দেখা সেই মায়াবী চোখের ভালবাসার চাউনি আবারও দেখতে পেল। 

সে যেন স্বপ্ন দেখছে...
তোমার বিনুনী করা চুলের প্রতিটি খাঁজে খাঁজে অফুরন্ত প্রেম যা ডাকে আমায়। আমার ভালবাসার মেঘ জমে ওঠে... খুঁজে ফিরি প্রতিনিয়ত তোমার ভালবাসা চোখের ইশারা। তোমার শরীর ও মনের মধ্যে কত জমেছে শিশিরের টুপটাপ ফোঁটা। এক ফোঁটা বৃষ্টিও পড়েনি কত বছর কত মাস কত দিন তা জানি না। জানি মুখোমুখি হতে পারলে এ জীবন ধন্য। তোমার হৃদয় আকাশ প্রেমিক।

নাফিক তখন ক্লাস নাইনে পড়ে। একটা ভাঙা-চোরা সাইকেল। গায়ে ঘটকপুকুর চৌমাথার ফুটপাত থেকে কেনা সবুজ রঙের গোলগলা গেঞ্জি। স্কুল যাওয়ার জন্য একটিমাত্র প্যান্ট। তাতে ধুলো লেগে থাকে সবসময়। সেই প্যান্ট আর গেঞ্জি পরেই ছুটে এসেছে বোদরা হাইস্কুল। 

আম বাগানের ফাঁক দিয়ে দেখা সেই চোখ। স্বপ্নের পরীর মতো অপূর্ব সুন্দরী রাজকন্যা মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে আসছে। গেটের মুখে দাঁড়িয়ে-থাকা নাফিক তা দেখে চমকে ওঠে। নাফিকের চোখ পড়লো যখন তার চোখে, তখন সে দেখল তার হাতে মোমবাতি পিজবোর্ড কলম রাখার জন্য পেন্সিল বাক্স। বাবরি কাট চুল আর ভুবন জয়ের হাসিতে সে যে কি জাদু, তা শুধু নাফিকই জানে। 
 
এদিকে নাফিকের ভাঙা টালির ছাউনি দিয়ে বৃষ্টি পড়ে টাপুরটুপুর। ভিজে যায় বিছানার চাদর। মা-আব্বার আশা জাগায় নাফিক। সে নতুন আকাশ দেখার সাহস জোগায়। 

অন্য দিকে ভালবাসার জন্য কিছু করে দেখানোর জেদ। বই কলম খাতা নিয়ে সেই যে পড়তে বসা, আজও সে লিখছে, পড়ছে। প্রকৃত মানুষ হতে। 

একদিন সে তার ভালবাসার সামনা সামনি হয়ে সব মনের কথা খুলে বলবে। 

ভালবাসার যোগ্য হতে সে স্কুল জীবনে দু'টো পরীক্ষাতেই প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়।

কলেজ জীবন শেষ করে ভালবাসাকে পাওয়ার জন্য ‌সে একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অফিস সেক্রেটারি পদে কাজ জোগাড় করেছে। সে মানুষের মতো মানুষ হওয়ার দৌড়ে ছুটে চলেছে। শিক্ষামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে নাফিক রাত দিন সোসাইটির কাজে আত্মনিয়োগ করে। 

জীবনে চলার পথে জুটেছে কত তাচ্ছিল্যের শেল, কত যন্ত্রণা, তা কেউ বোঝে না। অবজ্ঞার পাহাড় মাথায় নিয়ে পবিত্র ভালবাসার অপেক্ষায় প্রহর গুনে গুনে রাত কাটে নাফিকের। 

অবচেতন মনে বলে চলে নাফিক ফিরে এসো প্রেসিডেন্সি। মনে পড়ে কলেজ জীবনের ফেলে আসা সেই সব দিন। আর তোমার অফুরন্ত দোয়ায় প্রথম চাকরি পাওয়া। তবুও তোমাকে না পাওয়ার সকাল আসে। সূর্য উঠে। খাদহীন প্রেম টলমল করে এ বুকে।

সে স্বপ্নের মধ্যে বিড় বিড় করে কত কথা বলে--- এই নাও তোমার জন্য উদার বিস্তীর্ণ খোলা আকাশ। ভাবনার আসমান জুড়ে ভেসে ওঠে এ কার ছবি? কোন ছবি? বেলা অবেলায় এ কোন আত্মশুদ্ধি?  

নাফিকের লেখা না পাঠানো খামে ভালবাসার চিঠি। কত সুপ্ত প্রতিভার স্ফূরণ দেখি তোমার অণুপ্রেরণায়। মনে পড়ে ফেলে আসা দিন। মুষ্টিবদ্ধ হাত জেগে ওঠার আহ্বান। ভালবাসা প্রেমের গান। আইএসএসএন নম্বরের জন্য উৎসাহ দিলে। আবেদন মঞ্জুর ২৩২০-৩৪৯৮।.....

বসন্তপুরে চাকরি করতে করতে দূর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাহিত্য ও ইতিহাস বিভাগে এমএ পাশ করে নাফিক। নিষ্ঠার সঙ্গে বসন্তপুর এডুকেশন সোসাইটির সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সমৃদ্ধ করার কাজে মন দেয়। নাফিকের উদ্যোগেই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ফুলে ফেঁপে উঠে। তার অক্লান্ত পরিশ্রমে মডেল স্কুল ও এডুকেশন কলেজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল। সে সব অতীত ইতিহাস।

কচি কলাপাতার মতো নরম হাতে হাত, চোখে চোখ রেখে আবারও নাফিকের অগ্নিশপথ। নতুন করে বাঁচার লড়াই। এবার নাফিক তাঁর প্রিয় নায়ক শাহরুখ খানের উপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করতে ভর্তি হয়েছে স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে। 

ভুলতে না পারা পাপ-কথন। আকাশ কাড়ার মিছিলে ওরা কারা? ওরা ছুটছে... ওদের বিরামহীন ছুটে-চলা দেখে গর্জে ওঠে নাফিকের বিবেক। রুখে দেওয়ার মিছিলে পথ হাঁটে। বিভেদকামী শক্তিকে প্রতিহত করতে লিখে ফেলে মহান সহিষ্ণু উদার ভারতকথা।

খোলা জানালায় কত মুখ আর মুখের মিছিল।

মার্বেল শীতল টেবিল আর প্রকৃতির মধ্যে আজও সে খুঁজে ফিরছে আম বাগানের ফাঁক দিয়ে দেখা সেই অপরূপা চোখের ইশারায় ভালবাসা। সে চোখে মুখে আনন্দের অনুভূতি ভালবাসা সাত রঙের আবির। বাঁচার আকাশ। এ দেখা কখনও শেষ হয় না নাফিকের। সে স্বপ্ন দেখে। ছবি আঁকে। হঠাৎ করে তার মনের ক্যানভাস জুড়ে ভেসে ওঠে এ কোন ছবি? কার ছবি? বেলা অবেলায় এ কোন আত্মশুদ্ধি? 

শেষ চিঠি আজও পোস্ট করতে পারেনি নাফিক। হে আকাশ-চারিণী, মূল্যবান তারা জানো কি? তোমার জন্য এ বুকে আজও আকাশ রাখা। ভালবাসা চোখবৃষ্টি।

ভোরের নিস্তব্ধতায়, পিউকাঁহা পাখির ডাকে আজও ঘুম ভাঙে।

তখন তুমি দখিনা হাওয়ায় বিছানা ছেড়ে, শীতের চাদর জড়িয়ে আসো, লাল রঙের সোয়েটার আর কালো শালে শরীর মুড়ে। পরির মতো রাজকন্যা হয়ে। তখনও আধো ঘুমে, ভাঙা স্বপ্নে লীন হতে হতে হাতড়াতে থাকে মাটি। আলতোভাবে হাত রাখো কপালে।

লিচু ফুলে মৌমাছি তখনও খুঁজে ফিরছে মধু। অস্থির চোখে দেখা ঘড়ির চঞ্চল কাঁটা ঘুরে ঘুরে কখন হয়েছে সময়ের নদী। রাজকন্যা তুমি যেন নদীর গুঞ্জরণে প্রতীক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে আপন মনে গাইছো প্রেমের গান, কল্যাণপুর ষ্টেশনে। 

একবার একগুচ্ছ লাল গোলাপ ছাড়াই জানিয়ে ছিলাম 'একুশের বাংলা ভাষায়', ভালবাসি তোমায়।

পরীর মতো রাজকন্যা তখন তুমি ঠায় দাঁড়িয়ে, নির্বাক! আকাশের দিকে তাকিয়ে খুঁজছো শিমুল পলাশের মাঝে ভালবাসার রঙ। 

নতুন হাতে ড্রাইভিং, কাঁপা কাঁপা হাতে স্টিয়ারিং.....

ভালবাসার আসমান জুড়ে এ কোন ছবি? কার ছবি? বেলা অবেলায় এ কোন আত্মশুদ্ধি?

নাফিক আবারও সে স্বপ্নের মধ্যে বিড়বিড় করে--তোমার জন্য বিস্তীর্ণ আকাশ।
দিগন্তব্যাপী খোলা মাঠ। হাতে হাত রেখে প্রাণের বাংলা ভাষাতেই জানাই... ভালবাসি তোমায়। 

প্রিয়া, মনে পড়ে ২৯ জুলাই! তোমার জন্য, বাঁচার জন্য, এ বুকে আজও ভালবাসার আকাশ রাখা। ভালবাসার জন্য বাঁচো, বাঁচার মতো বাঁচো। অনন্ত ভালবাসা নিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছি। আম বাগানের ফাঁক দিয়ে দেখা সেই ভালবাসা চোখের ইশারায় ডাকছো আমায়।
আমাদের ভালবাসার একটা চুম্বন অপেক্ষায় অপেক্ষায় প্রহর গুনতে গুনতে কখন অপেক্ষালয় হয়েছে জানা হয়নি। এই চোখের দিকে তাকাও। অফুরন্ত সৃষ্টি খেলা করে চোখে। মেরো না, বাঁচতে দাও।
চেয়ে নাও...মিত্রতা-ভালোবাসা-মনুষ্যত্ব-মানুষ। অবাঞ্ছিত ভেবে ঘৃণা করো না। জেনো অবাঞ্ছিত শুঁয়োপোকা আজও প্রজাপতি হয়।

জানো প্রিয়া, অনেক বছর পেরিয়ে গেল, মানুষ স্বাধীন হয়েছে। আজও আমরা সাম্প্রদায়িকতামুক্ত ভুবন গড়ে তুলতে পারিনি। বিশ্ব জুড়ে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে, সম্প্রীতির বন্ধন অগ্রাহ্য করে বেড়ে চলেছে হানাহানি। মানুষ কবে আর মানুষ হবে? প্রকৃতি বুমেরাং মোকাবিলার বিজ্ঞান কই?

স্বপ্নের রেশ না কাটতেই ফোনের রিংটোন শুনে বিছানায় থেকে উঠে পড়ে নাফিক।

আউশগ্রামের বেলেমাঠ এলাকার যুবকদের মহতি উদ্যোগ

সেখ নিজাম আলম
  

25.04.2020 তারিখে আউশগ্রাম ২ নং ব্লকের অমরপুর অঞ্চলে,
বেলেমাঠ গ্রামের কয়েক জন যুবক ছেলেদের উদ্যগে বিভিন্ন গ্রামে করোনা ভাইরাসের জন্য, 300 জন অসহায় গরীব পরিবারকে চাল,আলু, পিঁয়াজ,ডাল ও লবন বিতরন করল। এই খাদ্যদ্রব্য পেয়ে অসহায় মানুষরা খুব খুশী।

ক্যানিং এলাকায় অভুক্তদের খাদ্য সামগ্রী বিলিতে এক সমাজসেবী সংগঠন

চন্দনা বন্দ্যোপাধ্যায়
 
 ক্যানিং : বাড়িতে বাড়িতে শুকনো খাবার পৌঁছে দিলেন ক্যানিং এর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। করোনা ভাইরাস যেভাবে সারা পৃথিবীতে থাবা বসিয়েছে ও লকডাউনের জেরে  দুঃস্থ মানুষজন পড়ে গেছে অতিসংকটে। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ জনের খাদ্যের ভাঁড়ারে পড়েছে টান। আর এমন মহামারী বিপর্যয় থেকে সাধারণ দরিদ্র মানুষজন যাতে করে অনাহারে না থাকেন তাঁর জন্য মঠেরদিঘী পল্লী সেবা সদনের সম্পাদক খোকন মন্ডল, অর্পন দাস ও তাপস দাস শুকনো খাদ্য সামগ্রী কিনে  বেরিয়ে পড়েছে ক্যানিং ব্লকের বিভিন্ন আদিবাসী অধুষ্যিত ও দরিদ্র এলাকায়। ক্যানিং ১ ব্লকের দুমকি,জয়রামখালি,নলিয়াখালি,হেড়োভাঙ্গা,ডাবু সহ অন্যান্য প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে প্রায় ১৫০ টি পরিবারের হাতে এই শুকনো খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন তাঁরা।ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিল  মুড়ি, দুই ধরনের বিস্কুট, ডাল, সোয়াবিন, সাবান।এছাড়া ৩০ জন বাচ্চাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বেবিফুড। বেবিফুড টা এই সময় বাচ্চা দের বিশেষ প্রয়োজন আছে।বাসন্তী ব্লকের কুলতলি আদিবাসী পাড়া ও ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ও দেওয়া হয়েছে এই সব সামগ্রী।এই সংস্থা শুধু এ সময় নয় সারা বছরই বিভিন্ন ধরনের সমাজ সেবা মূলক কাজ করে থাকেন।

জয়নগরে পথকুকুরদের খাওয়াচ্ছে বেশ কয়েকজন যুবক

চন্দনা বন্দ্যোপাধ্যায়
 
কুলতলি : লকডাউনে অসহায় মানুষদের সেবায় নিরলস কাজ করে চলেছে বহু সংস্থা থেকে শুরু করে বহু মানুষ। শুক্রবার কুলতলির দেউলবাড়ি ও চুপড়িঝাড়া এবং মৈপীঠ এলাকার ২৫০ জন গরীব মানুষ দের হাতে  চাল, ডাল, আলু,পিঁয়াজ, সরিষার তেল, সোয়াবিন, বিস্কুট, সাবান ও মাক্স তুলে দিলেন নিমপীঠ লোকমাতা রাণী রাসমনি মিশনের সদস্যরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। অন্যদিকে, জয়নগরের দক্ষিন বারাশতের সৌমেন দাস নামে জনৈক এক যুবক তাঁর কয়েক জন বন্ধুকে নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে অসহায় মানুষদের খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়ার পাশাপাশি এলাকার পথ কুকুরদের মুখে তুলে দিচ্ছেন ভাত ও তরকারি।                
                      

আশাতীত প্রত্যাশা - স্বপ্না ব্যানার্জি

আশাতীত প্রত্যাশা
           স্বপ্না ব্যানার্জি 
 
নীল আকাশকে সাক্ষী রেখে,
সূর্যের সাথে নিবিড় করে ভালবেসে ছিলাম,
আটোসাটো বাঁধন আমার নেই 
যা দিয়ে তোমাকে কাছে বেঁধে রাখবো,
বয়সটা এখন বাড়ছে,সকালের সূর্যকে দেখার ইচ্ছা
চাদরে মুড়ে ফেলি নিজের পুরনো চাওয়া পাওয়া,
আমার পুরানো সত্তাগুলো ছিল শুধু তোমার,
তোমার হাতের ব্যস্ততা জানান দিয়েছিল কয়েক দিন আগেই
নিস্পৃহ চাহনিতে চেয়েছিলাম তোমার দিকে,
আর ক্ষত-বিক্ষত করেছিলাম নিজের প্রত্যাশার নিরাপত্তা,
মনে পড়ে শোলে সিনেমার বিরু আর অমিতকে,
আর ওই হেড-টেল এর কয়েনটাকে,
যতবারই টস করেছি হেড পড়েছে, ভাবিনি
আমিও সেই হেড, আমার জীবনে টেল নেই,
যখন আমি হিমশীতল শরীরে ঘুমিয়ে যাব তখন দেখো আমারও দুপিঠেই হেড আছে !
তাইতো আমি আজ বাজিগর,
তোমাকে জেতাতে চেয়েছি আর তোমার 
জেতার আনন্দ উপভোগ করেছি,
অনেক তো আমি জিতলাম আর ফল পেলাম শুধু শূন্য,
তাই হেরে জেতার মজাটাও অনেক সুন্দর,
হিমালয়ের মত আশাতীত প্রত্যাশা যখন
পুরোনো পথে আবার হয়তো দেখা হবে,
হৃদপিন্ডের কাছাকাছি স্পষ্ট শুষ্ক শ্যাওলা জমা স্মৃতি,
অহেতুক অচেতন মনে নেই কোন বিস্ময়ের স্মৃতি,
এক আকাশ দুঃখের সিঁড়ি বেয়ে
শিশির সিক্ত ভোর হয়তো আর কোনদিনও আসবে না!

লকডাউনে দোকান মালিকরা এখন সবজি বিক্রেতা

শ্যামল রায়
 
কালনা কাটোয়া রাস্তার ধারের খাবারের দোকান বন্ধ, পেটে খিদে থাকলেও নেই রোজগার চিন্তিত ব্যবসায়ীরা।

পেটে খিদে থাকলেও বন্ধ কালনা কাটোয়া রাস্তার ধারের খাবারের দোকান। নেই রোজগার চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কালনা থেকে কাটোয়া পর্যন্ত কয়েকশো দোকানদার।শনিবার ওই রাস্তার দোকানদাররা জানিয়েছেন যে এতদিন রাস্তার ধারে খাবার বেঁচে বাড়ির সকলের সংসার চলত। লকডাউন এর কারণে দোকানপাট সব বন্ধ রোজগার নেই। কোন উপার্জন না থাকায় কি করব ভেবে উঠতে পারছি না জানালেন ওই রাস্তার ধারের দোকানদাররা। ওই রাস্তার ধারের কেউ হোটেল ব্যবসায়ী ছিলেন, কেউ রেস্টুডেন্ট খুলে বসে ছিলেন কেউ চায়ের দোকান খুলে বসে ছিলেন এছাড়াও নানান ধরনের ব্যবসা করে সংসার চালাতেন বর্তমানে তাদের ব্যবসা লাটে উঠেছে।অনেকেই জানালেন যে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই সমস্ত ব্যবসা করে আমরা সংসারের খরচ যোগাড় করতাম কিন্তু বর্তমানে লকডাউন এর কারণে চরম আর্থিক সংকটে পড়েছি।
আরো জানা গিয়েছে যে লকডাউন এর আগে কালনা কাটোয়া রাস্তা সম্প্রসারণ হবার কারণে বহু দোকান ভাঙা পড়েছে সেক্ষেত্রেও ব্যবসায়ীরা চরম সংকটের মধ্যে পড়েছিলেন। তারপর শুরু হয়েছে লকডাউন। ফাস্টফুড দোকান থেকে শুরু করে চপ ভাজা বুঝি রুটি সমস্ত দোকান বন্ধ থাকায় চরম বিপদের মধ্যে পড়তে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। নিজেদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দুবেলা পেট ভরা তেই হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের জানালেন ব্যবসায়ীরা। জমানো টাকা থেকে খরচ করে বর্তমান সংসার চালাতে হচ্ছে। সরকার থেকে জন্য যা চালা টা পাচ্ছি তা কিঞ্চিৎ অতএব এই পরিস্থিতিতে আগামী দিন আরো কি সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে ভাবতে হচ্ছে আমাদের। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যা করোনাভাইরাস নিয়ে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কবে নাগাদ লকডাউন উঠবে আর কবেই বা দোকান খুলে ব্যবসা করে সংসার চালাবো? পেটে  খিদে থাকলেও রোজগার নেই মাঝেমধ্যে সবজি বিক্রি করে সংসার চালাতে হচ্ছে জানিয়ে দিলেন বিমল দেবনাথ গৌড় বিশ্বাস সঞ্জয় রাজবংশী সহ একাধিক রাস্তার ধারের ব্যবসায়ীরা।

৫২ টি পরিবার কে নিয়মিত খাদ্য সামগ্রী দিয়ে যাচ্ছে সুসম্পর্ক

সামাজিক সংগঠন সুসম্পর্ক এর তরফে    14 এপ্রিল থেকে যে 52 টি অসহায় শিশু ও তাদের পরিবারকে দৈনন্দিন -  3কেজি চাল, 2কেজি আলু, 500 গ্রাম ডাল, 500 গ্রাম মুড়ি, সাবান ছাড়াও বেবি ফুড (হরলিক্স) এবং আজ মহিলাদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে বিশেষ প্রয়োজনীয় দ্রব্য (স্যানিটারি ন্যাপকিন) দেওয়া হোলো l 

বিদ্রঃ ছবি গুলি অন্যদের উৎসাহিত করার জন্য কাউকে মনে আঘাত বা ছোট করার জন্য না l

শুক্রবার, এপ্রিল ২৪, ২০২০

বিদ্যালয়ের আলু - চাল বিলি নিয়ে উত্তেজনা ভাতারে

আমিরুল ইসলাম
  
 প্রাথমিক বিদ্যালয় চাল ও আলু ঠিক সময়ে না দেওয়ায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ভাতার বিধানসভার তেঁতরাল গ্রামে।


পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার বিধানসভার অন্তর্গত খেতিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে তেঁতরাল প্রাথমিক বিদ্যালয় সঠিক সময়ে চাল ও আলু না দেওয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়।
অভিযোগের তির  স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিমলকুমার মালিকের দিকে।কারণ তিনি গত বেশ কয়েকদিন ধরে বিদ্যালয় আসেননি।

 অবশেষে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের সহযোগিতায় ওই প্রাথমিক বিদ্যালয় চাল দেয়া হলো আজ, খুশি এলাকার মানুষ।

জানা যায় রাজ্য সরকার দ্বিতীয় দফায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিকে চাল দেওয়ার নির্দেশ দেন এ মাসের ২০ তারিখ থেকে 23 তারিখ পর্যন্ত।
কিন্তু ভাতার বিধানসভার সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে চাল বিতরণ শেষ হয়ে যায় গতকাল অর্থাৎ 23 তারিখে। কেবলমাত্র তেঁতরাল গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে  চাল দেওয়া হয়নি।
অভিযোগ ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমল কুমার মালিক গত এক সপ্তাহ ধরে বিদ্যালয় আসেননি এবং ওনার ফোনেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না ।অবশেষে এলাকার মানুষজন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শুকতারা বেগমকে বিষয়টি জানান ।
গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শুকতারা বেগমের সহযোগিতায় ওই বিদ্যালয়ে আজ চাল বিতরণ হল।
পাশাপাশি ওই চাল বিতরনে সহযোগিতা করেন তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা।

আজকের এই চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শুকতারা বেগম, তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে সৌমেন হাটি, প্রহ্লাদ দাস ,আব্দুল নঈম, অসিত কুমার পাঠক।

গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শুকতারা বেগম জানান আমার কাছে বারবার অভিযোগ করছিল গ্রামের অভিবাবকরা। আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখি স্কুলে সঠিক সময়ে চাল আসেনি।স্কুলে চালাসে 22 তারিখে। এরপর আমি প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি উনি ফোন ধরেননি ।তাই আমি আমার এলাকার মানুষজনদের নিয়ে আজ চাল বিতরণ করলাম এলাকার মানুষ খুশি।

অপরদিকে স্কুল পরিদর্শক  সৌমেন মন্ডল জানান আমার কাছে অভিযোগ আসে তেঁতরাল স্কুলে চাল দেয়া হয়নি ।আমি খোঁজ নিয়ে দেখি প্রধান শিক্ষক স্কুলেই আসেননি। ওনার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তার উত্তর পাইনি। তাই অবশেষে আজকে চাল বিতরণ হয়েছে প্রধানের  সহযোগিতায় সরকারি নিয়ম মেনেই।
অপরদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমলকুমার মালিক এর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি কারণ ফোনের সুইচ অফ ছিল।
সব মিলিয়ে দেরিতে চাল পেলেও প্রধানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকরা। 

সর্বভারতীয় মিডিয়ার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগদায়ের কাঁকসায়

সেখ নিজাম আলম
  

জাতীয় কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে অসংবিধানিক ভাষায় অপমানিত করার জন্য , রিপাব্লিক টিভি এবং সাংবাদিক অর্নব গোস্বামীর বিরুদ্ধে, আজ কাঁকসা ব্লক কংগ্রেস ও মানকর ব্লক কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কাঁকসা থানা ও বুদবুদ থানায়  একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। কংগ্রেস  নেতা এআইসিসি সদস্য ও পশ্চিম বর্ধমানের প্রাক্তন জেলা সভাপতি মাননীয় দেবেশ চক্রবর্তীর নির্দেশে এবং মানকরের কংগ্রেস নেতা জয় গোপাল দে তার অঞ্চলকে নিয়ে কাকসা ব্লক কংগ্রেসে ও মানকর  কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই লক ডাউনে দূরত্ব বজায় রেখে এই অভিযোগ পত্র দায়ের করা হয়। দাবী থাকে সোনীয়া গান্ধীকে অপমান করার জন্য যেন এই সাংবাদিকের উপযুক্ত শাস্তির ব্যাবস্থা করা হয়।

নিউ ব্যারাকপুর স্টেশনে গতিহীন লকডাউন

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি

  
       বিশ্ব জুড়ে হু হু করে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।নাজেহাল অবস্থা ইউরোপ ও আমেরিকার মত উন্নত মহাদেশগুলোর।নির্দিষ্ট ভ্যাকসিনের অভাব থাকলেও প্রচলিত চিকিৎসায় সুস্থ হচ্ছে বহু মানুষ। বিশেষজ্ঞদের মতে এই মারণ রোগ প্রতিহত করার একমাত্র উপায় কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্বের অনুশাসন পালন করা।
      কয়েকটি নির্দিষ্ট এলাকায় আবদ্ধ থাকলেও  গত কয়েকদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। একাধিক জেলাকে 'রেড জোন' হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হাত জোড় করে এমনকি রাস্তায় নেমে লকডাউন পালন করতে, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে এবং অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার জন্য  অনুরোধ করছেন।
       কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ উপেক্ষা করে স্টেশন সংলগ্ন নিউ-ব্যারারপুরের এক শ্রেণির বাসিন্দা প্রতিদিন বিকেলে স্টেশনের সাত নম্বর রেল গেটের কাছে রেল লাইনের উপর আড্ডা মারছে। নুন্যতম দূরত্বও তারা বজায় রাখছেনা। তাদের এই অবাঞ্ছিত  আড্ডা দেখে স্হানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত। 
      এলাকাবাসীদের বক্তব্য - এই কয়েকজনের জন্য বাকিরা যাতে বিপদে না পড়ে তার জন্য পুলিশ প্রশাসন দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নিক। স্হানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারার জন্য তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।

করোনা মোকাবিলায় চন্ডীমন্ডপ ক্লাবের অনুদান

প্রতাপ চট্টোপাধ্যায়
 

চণ্ডীমণ্ডপ ক্লাব এর  পক্ষ থেকে  ২৩ শে এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে দশ হাজার টাকা (১০০০০/- ) প্রদান  করা হলো।  ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার (আউশগ্রাম -১)এর হাতে এই চেক তুলে দিলেন  ক্লাবের সদস্যরা।

ক্যান্সার ও ডাইলোসিস রোগীদের আর্থিক সাহায্য হরিপাল বিধায়কের

সুভাষ মজুমদার
  

আজ হরিপালের বিধায়ক  বেচারাম  মান্না নালীকুল এলাকায় ২টি পঞ্চায়েতর  সাধারণ দুঃস্থ ২০০০ পরিবারের হাতে চাল ও ডাল তুলে দেওয়ার পাশাপাশি ৩টি দুঃস্থ ক্যান্সার ও ডাইলোসিস আক্রান্ত পরিবারের হাতে নগদ ৫ হাজার টাকা তুলে দিলেন।

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৩, ২০২০

কলকাতা হাইকোর্ট স্যানিটাইজ করা হলো

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

গত সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের বিভিন্ন ভবন স্যানিটাইজ করা হয়। উল্লেখ্য,  কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কে তথ্য সমৃদ্ধ চিঠি লিখে রাজ্যের সমস্ত আদালত গুলি স্যানিটাইজার করার আবেদন রেখেছিলেন 'বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলে'র প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান সদস্য আনসার মন্ডল। প্রধান বিচারপতি কে উদ্দেশ্য করে এই চিঠির প্রতিলিপি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের চেয়ারম্যান অশোক দেব মহাশয় কে। আনসার বাবু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হু এর নির্দেশিকা সহ গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাস এর মারণ থাবার ভয়াবহতা উল্লেখ করে রাজ্যের সমস্ত আদালত গুলি স্যানিটাইজার করার আবেদন টি রেখে ছিলেন। গত ৮ এপ্রিল এই চিঠি ইমেল মারফত পাঠানো হয়।    মারণব্যাধি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে তটস্থ গোটা বিশ্ব। এদেশে গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় বিধিনিষেধ শুরু হয়। তা পুরোপুরি  কার্যকর হয় মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। ১৬ মার্চ থেকে ধাপে ধাপে রাজ্যের আদালত গুলি একপ্রকার বন্ধ হতে শুরু করে। কলকাতা হাইকোর্টের ভিডিও কনভারেন্সে  জরুরি মামলার শুনানি চালু রয়েছে। আর প্রতিটি কোর্টে এসিজেম এজলাস গুলি ঘন্টা খানেকের জন্য জামিন  সংক্রান্ত   মামলা গুলি শুধুমাত্র উঠছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জেলখানায় সুপারের সাথে সংশ্লিষ্ট এজলাসের বিচারকের ভিডিও কনভারেন্সে বিচারধীন বন্দির হাজিরা সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। এরেই মধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট এক উচ্চপর্যায়ের কমিটির সুপারিশক্রমে   বিচারধীন বন্দিদের সাময়িক জামিন দিয়েছে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে । ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে রাজ্যের ২২ টি জেলার সদর আদালত / মহকুমা আদালত / চৌকি আদালত গুলি সর্বপরি কলকাতা হাইকোর্ট, সার্কিট বেঞ্চ, ল্যান্ড ট্রাইবুনাল, স্যাট, কোম্পানি বিষয়ক আদালত গুলি কে জীবাণু মুক্ত করা হোক, তার দাবি উঠেছে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের মধ্যে। ২২০ টি বার এসোসিয়েশন ঘর, আদালতে জার্জেস চেম্বার - এজলাস - নাজিরখানা,পুলিশ লকআপ,জিআরও রুম সেইসাথে বিচারকদের থাকবার কোয়ার্টার সহ বাংলোগুলিতে অতি স্বত্বর জীবাণু মুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হোক বলে রাজ্য সরকারের কাছে দাবি তুলেছেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের সদস্য  আনসার মন্ডল মহাশয়। তিনি বলেন - " এখন আদালত গুলি একপ্রকার বন্ধ, তাই জেলা / মহকুমা স্তরের বার এসোসিয়েশনের সাথে আলোচনা করে আদালত সহ বিচারক নিবাস গুলি জীবাণু মুক্ত করা হোক "। জানা গেছে, গোটা বাংলায় ৮২ হাজার আইনজীবী, ১ লক্ষের বেশি ল ক্লাক / মুহুরি, ৩০ হাজারের বেশি আদালত কর্মী, ৩০ হাজার পুলিশ কর্মী সহ ৩ হাজারের বেশি বিচারক / বিচারপতি রয়েছেন। গত ১৬ মার্চ থেকে ধাপে ধাপে লকডাউনে মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৩০ এপ্রিল অবধি আদালত গুলি একপ্রকার বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারী হয়েছে। সমস্তটাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধিনিষেধ বজায় রেখে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের লকডাউন চলবে ১৪ এপ্রিল অবধি। ওয়াকিবহালমহল মনে করছে - এই লকডাউনের সময়সীমা আরও  বাড়বে। তাই আইনজীবীমহলের দাবি - আদালতের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ৩ লক্ষের বেশি ব্যক্তিবর্গ সর্বপরি  কোটির কাছাকাছি বিচারপ্রার্থী। তাই লকডাউনের মধ্যেই আদালত গুলি জীবাণুমুক্ত করার দাবি সর্বসম্মতিক্রমে উঠছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে কলকাতা মহানগরের রাস্তাঘাট সহ জেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট গুলি জীবাণু মুক্ত করার কাজ চলছে।  যেভাবে সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের মারণ থাবায় ১ লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন, তাতে এই রাজ্যের আইনজীবীমহলও  শঙ্কিত। তাই লকডাউনে বিধিনিষেধ আগামী দিনে উঠে গেলেও রাজ্যের সমস্ত আদালতভবন সহ কোর্ট চত্বর গুলি জীবাণু মুক্ত করার কাজ দ্রুত শুরু হোক তা চাইছেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রতিনিধিরা সহ সমগ্র আইনজীবীমহল।  এরেই মধ্যে গত ৮ এপ্রিল বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্ষীয়ান সদস্য আনসার মন্ডল প্রধান বিচারপতি কে ১৩ পাতার তথ্যসমৃদ্ধ চিঠি লিখে রাজ্যের সমস্ত আদালতগুলি স্যানিটাইজার করার আবেদন রেখেছিলেন। এই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছিল  রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক সহ বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের চেয়ারম্যান অশোক দেব মহাশয় কে। এর পরেই কলকাতা হাইকোর্টের বিভিন্ন ভবন স্যানিটাইজ করা হল।                                                                                                                                                                                                                                               

কারখানায় শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির

সেখ নিজাম আলম
  
গলসির কারখানায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা।গলসি থানার ভাষাপুলে রাধাশ্যাম ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেডে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হলো বহু শ্রমিকের। গলসি ১ নং পঞ্চায়েত সমিতি ও পুরসা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে এই কারখানার শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। করোনা ভাইরাসে অনেকে গুজব ছাড়ানোয় যাতে মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত না হয়,তারজন্য এই শিবিরের আয়োজন করা হয়। গলসি ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাদক্ষ প্রশান্ত লাহা জানান, এই কারখানার শ্রমিকদের সাহস জোগানোর জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বহিরাগত  ঝাড়খন্ড,বিহার,ঊড়িষ্যা,ইউ-পি, কলকাতা,কেরল থেকে আসা গাড়ীগুলিকে এখানে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা করে কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আপাতত এই এলাকার গ্রামগুলি থেকে আসা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। গুজব হয় এই কারখানা থেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কোন এক শ্রমিক। তার ভয় কাটানোর জন্য আজ পরীক্ষা করে প্রমাণ করে দেওয়া হয় যে,এখান থেকে কেউ করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত নয়। উপস্থিত ছিলেন গলসি থানার পুলিশসহ এলাকার সাধারণ মানুষ। এই কর্মসূচিতে খুশী কারখানার মালিক ও কর্মচারীরা। সবকিছু ঠিকঠাক করে পূণরায় কারখানাটি চালু করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা যায়।

গুসকারার ইটাচাঁদায় খাদ্য সামগ্রী বিলি

সেখ নিজাম আলম 
 পূর্ব বর্ধমান জেলার, আউশগ্রাম বিধানসভার গুসকরা পৌরসভার ১নং ,২নং, ৩নং, ৭নং,১৩নং এবং ১৫নং ওয়ার্ডের মোট ৬০০টি বিপর্যস্ত পরিবারের হয়ে খাদ্য সামগ্রী  বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার এর কাছ থেকে সংগ্রহ করেন গুসকরা শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কুশল মুখোপাধ্যায় এবং বিপর্যস্ত পরিবারের কাছে যাতে অতি দ্রুততার সাথে এই এান সামগ্রী পৌঁছায় তার নির্দেশ দিলেন বিধায়ক । আজ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গুসকরা ৫নং ওয়ার্ডে ইটাচাঁদা সাথী সংঘ এর উদ্যোগে ১৫০ টি বিপর্যস্ত পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন আউশগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক, অভেদানন্দ থান্দার জানালেন ক্লাবের সভাপতি মহব্বত মল্লিক ও সম্পাদক মুজিবর সেখ এবং আউশগ্রাম ২নং ব্লকের রামনগর অঞ্চলে প্রায় ৫০০ জন মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিলেন বিধায়ক ।বিধায়ক ঘোষণা করলেন আগামী ৩ দিন পরে গুসকরা পৌরসভার সমস্ত ওয়ার্ডে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো বৃহত আকারে এান বিতরন করবেন ।প্রত্যেকের উদ্দেশ্যে বিধায়ক নভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ কঠোর ভাবে পালন করার পরামর্শ দিলেন এবং এই কঠিন পরিস্থিতিতে রাজ্য প্রশাসন, ডাক্তার বাবু থেকে স্বাস্থ্য কর্মী, পৌরসভার সাফাই কর্মীদের কে সহযোগিতা করার জন্য আবেদন জানান ।।

সিউড়িতে আগুনে পুড়লো চারটি দোকান

গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ড, ভষ্মিভূত চারটি দোকান
কৌশিক গাঙ্গুলি   বীরভূম:- গভীর রাতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে বীরভূমের সিউড়িতে সিউড়ি ইনডোর স্টেডিয়ামের পাশে থাকা চারটি দোকানে আগুন ধরে যায় হঠাৎ। স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতা ও দমকল বাহিনীর তৎপরতায় আগুন আয়ত্তে আসে।

প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকেই এই অগ্নিসংযোগ। যদিও অগ্নিসংযোগের সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও অবধি জানা যায়নি।

আমি কিয়ান - স্বপ্না ব্যানার্জি

আমি কিয়ান (আর্য)
           স্বপ্না ব্যানার্জি
 


আর চিন্তা করো না তোমরা
আর ভেবো না, আমি তোমাদের
কাছে চলে এসেছি, ভাল আমি
আমি 'কিয়ান ব্যানার্জি' (আর্য)
আমাকে ঘিরেই তোমাদের এত আনন্দ,
তোমরা সারাদিনের কাজের ফাঁকে শুধু -
আদর দিও আমাকে, একটু 
সেদিন চাঁদের আলোয় ঘরের কোণে
দুটি প্রজাপতি বসেছিল চুপচাপ,
বাগানের সব ফুল ফুটেছিল সেদিন,
মা-বাবার বুকে শুনেছি সমুদ্র গর্জন,
আর অতি দূর-দূরান্তের ভালোবাসার সুর,
দুচোখ বন্ধ করে মা-বাবার কম্পিত
দুহাত চেয়েছিল আমাকে ভগবানের কাছে,
সেদিন দিনের শুরুতেই ঝলমল করেছিল,
প্রাণময় সোনালী রোদ আর চাঁদের আনাগোনা,
চঞ্চল পায়ে বাড়ির সকলের মন জয় করতে
এলাম আমি (কিয়ান) মায়ের কোল আলো করে,
সবাই আমাকে করেছে বরণ, তোমরাও
আশীর্বাদ করো আমি (কিয়ান) যেন
অনেক বড় হই, আমার মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করতে পারি,
আমি যেদিন বাড়ি যাব, তোমরা সবাই
এসো কিন্তু আমাদের বাড়ি, সবাই কে আমি (কিয়ান)
দেখবো, আর আশীর্বাদ নেব,
আর আমি (কিয়ান) দেবো অনেক হামি!

সফলভাবে প্রথম সামরিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করলো ইরান

সফলভাবে প্রথম সামরিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করল ইরান 
 ইরান এই প্রথম সফলভাবে সামরিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করতে সমর্থ হয়েছে। আজ বুধবার ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি সাফল্যের সাথে দেশটির প্রথম সামরিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে। নূর (আলো)-১ নামের সামরিক কৃত্রিম উপগ্রহকে সফলভাবে কক্ষপথে স্থাপন করাও হয়েছে। 
ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় মরুভূমি দাস্ত-ই কাভির থেকে ‘নূর’কে নিক্ষেপ করা হয়। কৃত্রিম  উপগ্রহ কক্ষপথ পর্যন্ত বহন করেছে ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি বাহক রকেট কাসেদ (বাহক)। আইআরজিসি'র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ২২ এপ্রিল সামরিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হলো।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবের নেতা এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা  হজরত আয়াতুল্লাহ খোমেনি(র) নির্দেশে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী প্রতিষ্ঠা  করা হয়েছিল। আজ ৪২৫ কিলোমিটার ঊর্ধ্বাকাশের কক্ষপথে 'নূর'কে স্থাপন করা হয়। এই সামরিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে মহাকাশ অভিযানের জগতে ইসলামি ইরানের একটি দুর্দান্ত অর্জন ঘটল। এবং এর মধ্যদিয়ে দেশটির মহাকাশ উন্নয়নের নতুন গাথা রচিত হলো বলে মনে করা হচ্ছে।
ইরান ২০০৯ সালে প্রথম উমিদ বা আশা নামের কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠায়। ইরানি বিজ্ঞানীরা নিজস্ব প্রযুক্তিতে নিজেরাই এটি তৈরি করেন। এরপর ২০১০ সালে ইরান মানুষ বহনোপযোগী মহাকাশযানও পাঠায়। কাভেশগার বা অভিযাত্রী-৩ নামের রকেট ওই মহাকাশযানকে বহন করেছিল। এ ছাড়া, ২০১৫ সালে ফজর বা উষা নামে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়েছে ইরান। উঁচুমানের ছবি তুলে তা পৃথিবীতে পাঠাচ্ছে ‘ফজর’।

বুধবার, এপ্রিল ২২, ২০২০

লকডাউনে খাদ্য বিলিতে মহিষাদল ভারত সেবাশ্রম সংঘ

প্রতাপ চট্টোপাধ্যায়
 

মহিষাদল ভারত সেবাশ্রম আশ্রম থেকে বিভিন্ন জায়গায় খাওয়ার সরবরাহ। মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর মহাশয়ের উদ্যোগে কন্টাই কো অপারেটিভ ব্যাংকের সহযোগিতায় এই খাওয়ার বিতরণ চলছে। চলবে দশদিন ধরে।

অন্ন - সন্তু বন্দ্যোপাধ্যায়

অন্ন
    সন্তু বন্দ্যোপাধ্যায়
 
 
রক্ত ঝরা ঘাম দিয়ে 
লোকে তোমায় তৈরি করে, 
শত পরিশ্রমের পরে তুমি 
আসো লোকের ঘরে,
তোমার জ্বালা তারাই বোঝে 
পায়না যারা খেতে,
বল আর কতদিন থাকবে তারা 
আধপেটা খেয়ে বেঁচে, 
কেউবা তোমায় নষ্ট করে 
কেউ বা তোমার খোঁজে,
কেউ বা তোমার আশায় থাকে 
শত লোকের মাঝে, 
অন্ন তোমার যায় না বোঝা 
তুমি যার দাও ভরে দাও,
থাকে যারা স্টেশন ধারে 
তাদের খাবার কেড়ে নাও,
তারাও মানুষ আমরাও মানুষ 
তাহলে কেন ভেদ বিচার,
কেন তুমি তাদের কোন 
দাও না সুবিচার, 
যে তোমারে ভক্তি করে 
থাকো নাকি তুমি তারই ঘরে,
জানিনা কেন মানুষ তোমায় 
না জেনে বুঝে অবহেলা করে,
 চাই তোমাকে সবাই জানি 
কেউ কেউ না পায়, 
অন্ন তুমি অনেক মহান 
তোমার সবাই যেন পায়!

লকডাউনে অসহায় দের খাদ্য সামগ্রী বিলিতে ক্ষুদিরাম কিশলয় সংঘ

দীপঙ্কর সমাদ্দার  

 দক্ষিণ 24 পরগনার সোনারপুর অন্তর্গত গঙ্গা জোয়ারা মৌজা খুদিরাম পল্লী কিশলয় সংঘ পক্ষ থেকে পল্লীবাসী কে নিয়ে নিদিষ্টদুরত্ব  মেনে লকডাউন সম্পর্কে সচেতন সভা আয়োজন করা হয় ।সারা বিশ্ব এক বড়ো সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে আছে, এই পরিস্থিতির শিকার সকলে, সারাদেশ জুড়ে চলছে লকডাউন,  দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী দের ঘরে আজ অন্নর অভাব। পল্লীবাসীর এই দুঃসময়ে তাদের পাশে দাড়িয়েছে কিশলয় সংঘের  সদস্যরা। ১৫০ জন এর হাতে চাল,ডাল,আলু,তেল,তুলে  দেওয়া হলো। যে সমস্থ দুস্থ-দরিদ‍্র আজ অন্নর অভাবে কী খাবেন তা নিয়ে ভাবনায় আছেন তাদের হাতে এই অল্প কিছু খাদ‍্য সামগ্রী তুলে দিয়ে কিশলয় সংঘ দুস্থ এবং পল্লী বাসীর দুঃস্থ পরিবারের হাতে তাদের খাদ‍্যসংকট থেকে কিছুটুকু চিন্তা মুক্ত করার চেষ্টা করল। উপস্থিত ছিলেন অঞ্চলের বিশেষ ব্যক্তিগণ ও কামরাবাদ পঞ্চায়েত দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি গণ কিশলয় সঙ্গে সদস্যরা জানালেন আমরা বিগত দিনে মানুষের পাশে ছিলাম বর্তমানে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো

২৭ জন রিক্সা চালকদের ৬০০ টাকা করে দিল তারকেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষ

সুভাষ মজুমদার
  

লকডাউনে এলাকার রিক্সা চালক দের ৬০০ টাকা করে অনুদান তারকেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষের।এদিন বিকালে তারকেশ্বর এলাকার প্রায় ২৭ জন রিক্সা চালককে তারকেশ্বর রাজবাড়ী থেকে ৬০০ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়।মন্দিরের মহন্ত মহারাজ নিজের হাতে এই অনুদান তুলে রিক্সা চালকদের হাতে।এছাড়াও মন্দিরের যাত্রী সেবায়  যুক্ত ১২০ জনকে ৭০০টাকা এবং এলাকার চা বিক্রেতা থেকে ফেরিওয়ালদের প্রায় ৩৫ জনকে ৬০০ টাকা করে অনুদান দেয় তারকেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষ।

মন্তেশ্বরের শুভশ্রী ছবি আঁকছে লকডাউনে

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি, 
   
        করোনা ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্য দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষিত হয়েছে।  সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন করা হচ্ছে।সব কিছু থমকে গেছে।মানুষ আজ গৃহবন্দী। কোলাহল মুখর পৃথিবীতে বিরাজ করছে শ্মশানের নিস্তব্ধতা।সেলেবল থেকে সাধারণ মানুষ -প্রত্যেকেই পরিচিত জগত ত্যাগ করে অন্য জগতের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছে বাচ্চারা। কিছুতেই ঘরে তাদের মন বসছেনা।
        পূর্ব বর্ধমানের মন্তেস্বর থানার পুটশুড়ী গ্রামের শুভশ্রী চৌধুরী। মা-বাবার একমাত্র মেয়ে। বাবা শুভেন্দু একজন ব্যবসায়ী।বর্তমানে তিনিও গৃহবন্দী।মা তনুশ্রী একজন আটপৌরে গৃহবধূ। লকডাউনের জন্য  অনভ্যস্ত জীবন কাটাতে হচ্ছে চতুর্থ শ্রেণির এই মেয়েটিকে। স্কুল বন্ধ।ফলে বন্ধুদের সঙ্গে মজা করা যাচ্ছেনা। ঘুরে ঘুরে কচি আম কুড়াবে এবং বিকেলে নুন-লঙ্কা মাখিয়ে খাবে তারও উপায় নাই। ঘরের মধ্যে সবসময় থাকতেও বিরক্ত লাগছে।মেনে নেওয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় নাই ।কিন্তু শুভশ্রী একটু অন্যভাবে জীবনটা উপভোগ করতে শুরু করল।
        চার বছর বয়স থেকে ছবি আঁকা শিখতে শুরু করলেও কেবলমাত্র আঁকার স্যারের কাছেই ছবি আঁকত শুভশ্রী। এখন একঘেয়েমি কাটানোর জন্য মনের আনন্দে নিজেই ছবি এঁকে চলেছে। শুধু তাই নয় নিজের কাঁচের চুড়ি ও সুতো দিয়ে দৃষ্টিনন্দন একটি 'গৃহশোভা' বৃদ্ধির জিনিস  তৈরি করে ফেলেছে। এই সময় সে বেশ কিছু কবিতাও লিখেছে যা ইতিমধ্যেই মঙ্গলকোট.কম এ প্রকাশিত।মাঝে মাঝে মায়ের শাড়ি পড়ে সাজতেও বসে পড়ছে।
কর্মব্যস্ততার জন্য ব্যবসায়ী বাবাকে খুব একটা কাছে পেতনা শুভশ্রী। ব্যবসা বন্ধ থাকায় বাবা-মাকে একসাথে পেয়ে তাদের সঙ্গে খুনসুটি করে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে ফেলছে। সব মিলিয়ে নিজের জীবনটাকে আনন্দে ভরিয়ে ফেলেছে সে।
     ছোট্ট শুভশ্রী বলল- প্রথম প্রথম খুব বিরক্ত লাগছিল।তারপর যেই ছবি আঁকা, কবিতা লেখা  বা হাতের কাজ করতে শুরু করলাম সব বিরক্ত দূর হয়ে গেল। বাবাকেও কাছে পাচ্ছি। প্রতিমাসে একদিন করে লকডাউন হলে কি মজাটাই নাহবে!
       তনুশ্রী দেবী বললেন- বাবাকে কাছে পেলেও মেয়েটা মনমরা হয়ে যাচ্ছিল। কি করব ভেবে পাচ্ছিলাম না। নিজেই মনের আনন্দে কাজ করছে দেখে খুব ভাল লাগছে। তবে আমরাও ওর কাছে বসছি। সব মা-বাবার উচিত এখন ছেলেমেয়েদের সময় দেওয়া।
      ক্লিনিক্যাল মনোবিদ্যার চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রী এবং কলকাতার একটি প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শক তানেয়া মুখার্জ্জী বললেন - হঠাৎ পরিবর্তিত পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া খুব কষ্টের। বিশেষ করে বাচ্চাদের। এই সময় তাদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। ঘরের চারদেওয়ালের মধ্যে তাদের যেটা ভাল লাগে সেটাই তারা করবে।এই সময় পড়াশোনায় চাপ না দিয়ে তাদের সৃজনশীল কাজে উৎসাহিত করা সবচেয়ে ভাল।

চাণক এলাকায় নিজেরাই ত্রাণ তহবিল গড়লেন গ্রামবাসীরা

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি
  
        সম্পূর্ণ নিজেদের উদ্যোগে 'ত্রাণ তহবিল' গঠণ করল গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মঙ্গলকোটের চাণক গ্রামে। স্হানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে লকডাউন জনিত কারণে গ্রামের 'দিন আনি দিন খাই' শ্রেণির মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এদের অনেকেই একমুঠো খাবার যোগাড় করতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে।এই পরিস্থিতিতে গ্রামের দুই প্রবীণ ব্যক্তি প্রভাত বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুন্দরগোপাল মজুমদার 'ত্রাণ তহবিল' গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসে গ্রামের যুব সম্প্রদায়।গ্রামের মানুষের সঙ্গে সঙ্গে কর্মসূত্রে গ্রামের বাইরে থাকা ব্যক্তিরাও আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।এমনকি গ্রামের এক বাচ্চাও তার টিফিনের জন্য জমা করা কুড়ি টাকা ঐ ত্রাণ তহবিলে দান করে। সংগৃহিত অর্থে গত ১৮ ই এপ্রিল গ্রামের ৫০০ জন দুঃস্হ ব্যক্তির হাতে ৫ কেজি চাল,একটি সাবান ও একটি মাস্ক তুলে দেওয়া হয়। 
    বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সবুজকলি মিত্র সহ অন্যত্র কর্মরত চাণক গ্রামের বাসিন্দারা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং প্রয়োজনে আবারও আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন।    
        অন্যতম উদ্যোক্তা সুন্দর বাবু বললেন - এটা ব্যক্তিগত নয় সমষ্টিগত উদ্যোগ। পরিস্থিতির শিকার মানুষগুলোর অসহায় অবস্থা দেখে আমরা এই তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নিই।প্রবীণদের উপস্থিতিতে যুবসম্প্রদায় প্রয়োজনীয় সামগ্রী বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসে। প্রয়োজন পড়লে আগামীদিনেও পরিস্থিতির উপর নজর রেখে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।সহযোগিতার জন্য উদ্যোক্তারা স্বাস্থ্য বিভাগ,আশাকর্মী ও  মঙ্গলকোট থানার আধিকারিককে ধন্যবাদ জানান।

মঙ্গলবার, এপ্রিল ২১, ২০২০

বন্ধন ব্যাংক সীমিত জায়গায় ক্ষুদ্র ঋণ দিচ্ছে

বন্ধন ব্যাঙ্ক নির্বাচিত এলাকায় পুনরায় ক্ষুদ্র ঋণ পরিষেবা শুরু করলো

 রাজকুমার দাস
  
    
 বন্ধন ব্যাঙ্ক আজ ঘোষণা করেছে যে তারা ছোট ব্যবসায় ঋণ দেওয়ার পরিষেবা পুনরায় শুরু করেছে। ছোট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত গ্রাহকদের অনুরোধ ও চাহিদার কথা বিবেচনা করে এই পরিষেবা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে গ্রাহকদের এই ধরনের ঋণের প্রয়োজন তাঁদের জন্য কম সংখ্যক কর্মীকে নিয়ে সীমিত এলাকায় এই পরিষেবা শুরু করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তার পরিধি ক্রমশ বাড়ানো হবে।

লকডাউন সত্ত্বেও ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশিকা মেনে বন্ধন ব্যাঙ্কের শাখাগুলি সীমিত সংখ্যক কর্মীদের নিয়ে পরিষেবা চালু রেখেছিল। কিন্তু ছোট ব্যবসায় ঋণ দেওয়ার পরিষেবা চালু ছিল না। সরকার গ্রিন জোন বলে যে এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করেছে কেবল সেই এলাকাগুলিতেই ২০ এপ্রিল থেকে এই পরিষেবা শুরু করা হয়েছে। ছোট ব্যবসায়ী, কৃষি ও তার সহায়ক কাজের ক্ষেত্রে অর্থের চাহিদার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, এঁরা দৈনন্দিন ব্যবসার জন্য ক্ষুদ্র ঋণের উপর ভীষণ ভাবে নির্ভরশীল। তা ছাড়া ফসল কাটার সময়ও এগিয়ে আসছে। এই সময়ে ফসল কাটা ও পরবর্তী চাষের প্রস্তুতির জন্য চাষীদের অর্থের প্রয়োজন হয়। প্রয়োজনের সময়ে বন্ধন ব্যাঙ্ক তাঁদের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মুদিখানা, খাবার ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর দোকানদার বন্ধন ব্যাঙ্কের নিয়মিত ঋণ গ্রাহক। তাঁদের চাহিদা ও প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেও ঋণ পরিষেবা পুনরায় শুরু করা হয়েছে। আর্থিক সাহায্য পেয়ে গেলে, তাঁরা আবার তাঁদের দৈনন্দিন জীবিকা নির্বাহ করা শুরু করতে পারবে। তার পর ক্রমশ তা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারবে।

বন্ধন ব্যাঙ্কের ৪৫০০ ব্যাঙ্কিং আউটলেটের মধ্যে অনেকগুলি এমন জায়গায় রয়েছে যে মোটামুটি তিন কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যেই বেশিরভাগ গ্রাহকরা থাকেন। ব্যাঙ্কের প্রত্যাশা যে গ্রাহকরা হেঁটেই অধিকাংশ স্থানে ব্যাঙ্কিং আউটলেটে পৌঁছে যাবেন। কিছু এলাকায়, যেখানে গ্রাহকরা ব্যাঙ্ক অবধি পৌঁছতে পারবেন না, সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক কর্মীরা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যাবেন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান যে ধরনের কর্মসূচী পালন করছে তাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে সাধারণ মানুষ অনেকটাই সচেতন হয়েছেন। গ্রাহকরা ব্যাঙ্কিং আউটলেটে গেলে ব্যাঙ্ক কর্মীরা তাঁদের কিছু সতকর্তা মেনে চলতে বলবেন। যেমন, তাঁরা যেন মাস্ক বা কাপড় দিয়ে মুখ ও নাক ঢেকে রাখেন, সোশাল ডিস্টেন্সিং মেনে চলেন ইত্যাদি। ব্যাঙ্কের কর্মীদেরও সব রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে চলতে বলা হয়েছে। প্রতিটি ব্যাঙ্কিং আউটলেটে ব্যাঙ্ক কর্মী ও গ্রাহকদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। 

উপরিউল্লিখিত পরিষেবা কেবলমাত্র সরকার চিহ্নিত গ্রিন জোনের এলাকাগুলিতেই পুনরায় শুরু করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ, অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, রাজস্থান এবং হরিয়ানায় ২০ এপ্রিল থেকে এই পরিষেবা ফের শুরু হয়ে গিয়েছে। বাকি রাজ্যগুলিতেও স্থানীয় প্রশাসনের নিয়ম ও নির্দেশিকা মেনে অচিরেই এই পরিষেবা শুরু করে দেওয়া হবে। 

বন্ধন ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও চন্দ্র শেখর ঘোষ বলেন, “লকডাউনের যে প্রভাব ব্যবসায় পড়েছে তা কাটিয়ে ওঠার জন্য আমাদের ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতাদের আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন। মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য লকডাউন যেমন জরুরি ছিল, তেমনই পুনরায় আগের অবস্থায় সবকিছু ফেরাতে আর্থিক সহায়তাও দরকার। বিভিন্ন জায়গা থেকে ছোট ব্যবসায়ীদের যে অনুরোধ আসছে ও চাহিদা তৈরি হয়েছে তা বিবেচনা করে আমরা এই পরিষেবা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রয়োজনের সময় তাঁরা আমাদের সাহায্য পেয়েছে বলেই অসংখ্যা গ্রাহকের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের এক মজবুত বন্ধন তৈরি হয়েছে। আমরা এই পরিষেবা সীমিত ভাবে শুরু করছি ঠিকই, কিন্তু ক্রমাগত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে যাব, বাস্তবে কী অবস্থা রয়েছে তাও বিবেচনা করে দেখব, তার পর সেই অনুযায়ী ক্রমশ আগের মতোই পুরদমে এই পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে। ”

মেমারিতে পঞ্চায়েত সমিতির পদাধিকারীর মহতি উদ্যোগ

সেখ সামসুদ্দিন

 
 মেমারি থানার পাল্লা বেলতলা এলাকা নিবাসী মেমারি ১ পঞ্চায়েত সমিতির মৎস‍্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ‍্যক্ষ রেনুকা মহন্ত, পিডব্লুডি কর্মী পুত্র অমিত মহন্ত ও পুত্রবধূ অনুশ্রী মহন্ত সম্পূর্ণ পারিবারিক উদ‍্যোগে পাড়ার ৩১টি পরিবারের মধ‍্যে খাদ‍্যসামগ্রী তুলে দেন। অভিনব উদ‍্যোগে খাদ‍্যসামগ্রীর মধ্যে চার কেজি চাল, দুই কেজি আলু, ডাল, সরিষা তেল, সোয়াবিন, চিনি, চা, দুধ, লবন, মুড়ি, বিস্কুট, কাঁচা লঙ্কা, পরিবারের মাথাপিছু একটা করে ডিম ও সাবান দেওয়া হয়। সংসারে প্রয়োজনীয় দৈনন্দিন চাহিদার সবকিছু দিয়ে পাড়ার মানুষের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল মহন্ত পরিবার। অমিত মহন্ত বলেন প্রয়োজনে আবারও উদ‍্যোগ নেব।

পিটিয়ে কুকুর হত্যা, দায়ের লিখিত অভিযোগ

সুরজ প্রসাদ,
 

রাস্তার এক কুকুরকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ করেন এক পশুপ্রেমী। জানা গেছে,  শুক্রবার বিকাল পাঁচটা নাগাদ তারা খবর পান বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর তেলিপাড়ায় একটি কুকুরকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। খবর পেয়েই সংগঠনের সদস্যরা ওই এলাকায় গিয়ে আহত কুকুরটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু তা সত্বেও কুকুরটি ওইদিন রাতে মারা যায়। স্থানীয় সুত্রে সংগঠনের সদস্যরা জানতে পারেন, স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষীকান্ত মাঝি ওই কুকুরটিকে পিটিয়ে আহত করেছিলেন। এরপর সংগঠনের তরফে রবিবার বর্ধমান থানায় লক্ষীকান্তবাবুর নামে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। সোমবার কুকুরটির ময়নাতদন্ত হয়।

শুক্রবার, এপ্রিল ১৭, ২০২০

কাঁথির নেতাজি মার্কেটে দোকানে বেশি মূল্য নেওয়ার অভিযোগ

জুলফিকার আলি
  

লকডাউনের সুযোগ নিয়ে কাঁথি পৌরসভার নেতাজী মার্কেট বাজারে বি জি স্টেশের্নাস দোকানে দিনের পরদিন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষের দাম বাড়িয়ে চলেছে বলে অভিযোগ । এই দোকানটি লকডাউনের আগে প্রসাধনী দোকান ছিল রাতারাতি দোকান খুলে রাখার জন্যে কিছু মুড়ি, জল, বিস্কুট সিগারেট এবং পান মশলার দোকান খুলে বসে এবং মাত্রাছাড়া দাম নিতে শুরু করে বলে দাবি। এলাকার মানুষ প্রতিবাদ করে মার্কেট কমিটি কে জানান।  মার্কেট কমিটি ওই ব্যাবসায়ী কে সাবধান করে কিন্তু এই দোকানদার কোন কথার কর্নপাত না করে আগের মত বাড়তি দাম নিতে থাকে। দ্রব্য মুল্য মুড়ি ১ কেজি ৬০ টাকা বিস্কুট ব্রিটানিয়া ক্রীমকেকার  ৪৫ টাকা জল ১ লিটার ২৫ এবং ২ লিটার ৫০ টাকা। এলাকা বাসিদের দাবি এই ব্যাপারে কাঁথি পৌরসভা আ ব্যাবস্থা নিক।

সারেঙ্গায় ব্যাংকের লাইন লকডাউনের হিসাব দিল পাল্টে

সাধন মন্ডল, 
  

তোড়ায় কেয়ার লকডাউন। চারিদিকে যখন কোরোনা আতঙ্কে লকডাউন চলছে ঠিক সেই সময় জঙ্গলমহল এলাকার বিভিন্ন ব্যাংকের শাখায় হাজার হাজার মানুষের টাকা তোলার জন্য দীর্ঘ লাইন সেখানেই ঠাসাঠাসি করে লাইনে দাঁড়িয়েছে সবাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোন চিন্তা ভাবনাই নেই নেই মানুষ গুলোর মধ্যে।। তাছাড়া তাদেরকে বারবার সিভিক পুলিশ রা বোঝাতে গেলে বিরক্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ গুলো। রাইপুর, সারেঙ্গা, সিমলাপাল,তালডাংরা,খাতড়া,রাণীবাঁধ প্রভৃতি ব্লকের ব্যাঙ্ক গুলিতে।আজ সারেঙ্গা ব্লকের বঙ্গীয় গ্রামীন বিকাশ ব্যাঙ্ক এর পি মোড় শাখায় গিয়ে দেখা গেল প্রায় 400 মানুষ লাইনে দাঁড়িয়েছেন তাদের টাকা তোলার জন্য বিশেষ করে জন ধন প্রকল্পের টাকা তোলার জন্য। মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করছে বলে বোঝা গেল তারা শুনেছেন এই টাকা না তুলে নিলে ফেরত চলে যাবে এই আতঙ্কে সবাই একসাথে ভিড় করেছে টাকা তোলার জন্য। করোনার কথা তাদের বললে তারা বলেন ওসব ছাড়োতো মশায়, আমাদের এখানে তো কিছু হয়নি যেখানে হচ্ছে সেখানে হচ্ছে তাতে আমাদের কি? টাকা তুলতে হবে না হলে ফেরত চলে যাবে তাই টাকা তুলতে এসেছি। গুজবের কারণে ব্যাংকে ভিড় বাড়ছে অবিলম্বে সতর্কতা প্রয়োজন।

আন্তরিকতার জিজ্ঞাসা - সন্তু বন্দ্যোপাধ্যায়

আন্তরিকতার জিজ্ঞাসা 
           সন্তু বন্দ্যোপাধ্যায়
  
 
একদিন মন আমাকে হঠাৎ প্রশ্ন করল ?
তুমি স্বপ্ন দেখো কাউকে নিয়ে ঘর বাঁধার,

আমি বললাম :- ঘর, হ্যাঁ সে তো সবারই আশা থাকে মনে,সে আশা কখনো কারো পূর্ণ হয়,আর কারো হয় না!

মন বললো :- তুমি কি কারোর আশা রাখো না ?

আমি বললাম :- আশা করে কি করবো বলো, আমার জীবনের সব আশায় তো নিরাশা হয়ে যায়,

মন বললো :- তাহলে সে কে ? যে আসলে আমি আর স্থির থাকতে পারিনা, আমি চঞ্চল হয়ে উঠি, অস্থিরতা ভর করে আমার উপর,

আমি বললাম :- সে হলো আমার স্বপ্নের পরী, অনামিকা, নীহারিকা, আলেয়া, আমার প্রিয় মনের মানুষ যাকে আমি তোমার সাথে সব সময়ের জন্য বেঁধে রাখি,

মন বললো :- তাকে বুঝি তুমি খুব ভালোবাসো,

আমি বললাম :- জানিনা, তবে আমি যেদিকেই তাকাই শুধু ওই সারাক্ষণ আমার চোখে ভাসে,সব সময় ওর মুখটা আমার মনে পড়ে, সব সময় আমার এটা মনে হয় যে ও কি করছে, কেমন আছে,

মন বললো :- কোনদিন বলেছো তাকে, যে তুমি ওকে এতটা ভালোবাসো,

আমি বললাম :- না

মন বললো :- কেনো ?

আমি বললাম :- ভালোবাসার যে এত সুন্দর অনুভূতি থাকে,এত মিষ্টি আবেগ থাকে, সত্যি কারের ভালোবাসা একটা মানুষের জীবনে আসলে যে রকম হয়,যে কাউকেই তা বলে বোঝানো যায় না,তা আমি জানতাম না আর আমি যখন বুঝলাম, তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে,

মন বলল :- দেরি হয়ে গেছে মানে ?

আমি বললাম :- ও যখন আমার জীবনে এসেছে, তার আগে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে,যা নতুন করে শুরু করা খুবই মুশকিল, আমি না ওকে কখনো আমার মনের কথা বলতে পারব, আর না কখনো ওকে কোনদিনও  ভুলতে পারবো,

মন বললো :- কেমন সে ? একটু আমায় বলো না গো ?

আমি বললাম :- সে মানে আমি আর আমি মানেই সে !

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER