রবিবার, মার্চ ১৮, ২০১৮

মন্ত্রী দেখানোর প্রতিযোগিতায় 'ফুলমার্কস' পেলেন না কেষ্ট

মোল্লা জসিমউদ্দিন

গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে মঙ্গলকোটের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব এর লড়াই নিয়ে যে লড়াই সিদ্দিকুল্লাহ বনাম অনুব্রত মন্ডলের মধ্যে শুরু হয়েছে।তা এখনও থামেনি, উল্টে লড়াই বেড়েছে বহুগুণ। একজন স্থানীয় বিধায়কের পাশাপাশি রাজ্যের তিনটি দপ্তরের মন্ত্রী,  অন্যজন রাজ্য তৃনমূলের সাধারণ সম্পাদকের সাথে মঙ্গলকোট বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় পর্যবেক্ষকও বটে।সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী তৃনমূলে যোগদানের পূর্বে পিডিসিআই নামে এক রাজনৈতিক দলের কর্মকর্তা ছিলেন।সেখানে আবার বীরভূমে বহু চর্চিত 'মাখড়া' সহ বিভিন্ন এলাকায় চষে বেড়াতেন।তাই একদা তৃনমূল বিরোধী আন্দ্রোলনের সংগঠক সিদ্দিকুল্লার সাথে অনুব্রতের সম্পক বরাবরই সামন্তরাল রেখার মত।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে গত ৮ মার্চ মঙ্গলকোটের নূতনহাট মিলন পাঠাগারের নব ভবন উদ্বোধনি অনুষ্ঠান ঘিরে রাজ্যের চারজন মন্ত্রী ( রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বপন দেবনাথ, মলয় ঘটক, উজ্বল বিশ্বাস) দেখানোর প্রতিযোগিতা নিয়েছিলেন এলাকার বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ।সেইমত ৭ নং রাজ্য সড়কে নূতনহাট বাইপাসে বিশাল তোরণ ( মন্ত্রী দের ছবি সহ),  হাজার হাজার রঙ্গিন  আমন্ত্রণপত্র বিলি করা হয়েছিল।অনুষ্ঠানের দিন দেখা গেল একমাত্র সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আবু আয়েষ মন্ডল ছাড়া কেউ এলেন না।মান বাঁচলেও অনুব্রত শিবির মন্ত্রী দেখানোর ফ্লপ শো ঘিরে উজ্জীবিত হল।সাথে সাথে মহিলা তৃনমূল সম্মেলন কে সামনে রেখে তারাও মন্ত্রী দেখিয়ে কার কতটা প্রভাব রয়েছে মন্ত্রীসভায়, তাতে নেমে পড়লো।বীরভূম জেলা নিবাসী দুই মন্ত্রী আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় (কৃষি),  চন্দ্রনাথ সিংহ ( মৎস) এর ছবি নাম অজশ্র ফ্লেক্সে রাখলেও প্রচার চললো যে, আসবেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী তথা মহিলা তৃনমূলের রাজ্য নেত্রী চন্দ্রীমা ভট্টাচার্য। শনিবার বিকেলে মঙ্গলকোটের মাথরূণ ফুটবল মাঠে মহিলা তৃণমূল সম্মেলনে চন্দ্রীমা ভট্টাচার্য কে যেমন পাওয়া গেলনা।তেমনি বীরভূমের রামপুরহাট কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় কেও দেখা গেলনা মঞ্চে।তবে কিছুক্ষণের জন্য এসেছিলেন মৎস মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ।মূল বক্তা হিসাবে আগাগোড়া ছিলেন অনুব্রত মন্ডল ওরফে কেষ্ট মোড়ল।সিদ্দিকুল্লাহ শিবিরের দাবি - চন্দ্রনাথ সিংহ এবং আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন বীরভূম জেলার বিধায়ক, সেখানে আবার দলীয় জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল।তাই ওই দুই মন্ত্রী আসবেন, তা সবাই জানে।কিন্তু আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় ( কৃষিমন্ত্রী)  কেন এলেন না? আর চন্দ্রীমা ভট্টাচার্যই বা এলেন না কেন? তার উত্তর পাওয়া মুস্কিল। অপরদিকে অনুব্রত শিবিরের দাবি - কৃষিমন্ত্রী সরকারী বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন, তাই আসতে পারেন নি।তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বারবার তাঁরা মঙ্গলকোটে প্রচারে আসবেন।শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ মঙ্গলকোটের মাথরুণ ফুটবলমাঠে শুরু হয় মহিলা তৃনমূলের সম্মেলন। সেখানে মুখ্য বক্তা ছিলেন এই কেন্দ্রের দলীয় পর্যবেক্ষক অনুব্রত মন্ডল।সাথে গোটা বীরভূমের শাসকদলের জনপ্রতিনিধি সহ নেতারা ছিলেন।বীরভূম জেলাপরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী থেকে নানুরের প্রাত্তন বিধায়ক গদাধর হাঁজরা।তবে রামপুরহাট বিধায়ক তথা কৃষিমন্ত্রী আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্যান্য বিধায়কদের দেখা যায়নি।রাজনীতিমহল মনে করছে, বীরভূম জেলার দলীয় সভাপতি হওয়ার দরুন ওই জেলার জনপ্রতিনিধি, নেতাদের আনতে পেরেছেন মঙ্গলকোটে।নামে মহিলা সম্মেলন হলেও আক্ষরিক অর্থে ছিল ক্ষমতা প্রদর্শনের লড়াই।গত ৮ মার্চ মঙ্গলকোটে নুতনহাট মিলন পাঠাগারে মন্ত্রী দেখানোর লড়াইতে সিদ্দিকুল্লাহ ফেল করলেও।আজকের মহিলা সম্মেলনে অনুব্রত 'ফুলমার্কস' পেলেন না,এটা বলায় যায়।তবে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোন পক্ষই মঙ্গলকোটের মাটি ছাড়তে রাজি নয়, তা ক্রমবর্ধমান ঘটনা পরম্পরা দেখে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

শনিবার, মার্চ ১৭, ২০১৮

কাকদ্বীপে কৃষি সরঞ্জাম বিলি

উজ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়

কাকদ্বীপের গনেশনগরে একটি সভার মাধ্যমে সুন্দরবনের প্রান্তিক চাষীদের হাতে কৃষি সরঞ্জাম তুলে দিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মনটুরাম পাখিরা।সুন্দররবন উন্নয়ন দফতরের উদ্যোগে এই বিলি করা হয়। মন্ত্রী জানান,সুন্দরবনের সব কটি ব্লকে এই বিলি করা হবে।৬হাজার ধান ঝাড়াই মেশিন,৭হাজার হ্যানড স্পে মেশিন,৮হাজার শেড নেট মোট ২১হাজার সরঞ্জাম দেওয়া হবে।

মামার বাড়ী বেড়াতে এসে স্নান করতে গিয়ে মৃত ভাইবোন

ভাস্কর ঘোষ

মামার বাড়িতে ঘুরতে এসে জলে ডুবে মৃত্যু হল ভাই ও বোনের। মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদ থানার খামারপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ওই ঘটনায় এলাকায় শোঁকের ছায়া নেমে আসে। মৃতদের নাম পূজা যাদব (১৩) ও আশীষ যাদব (৮)। শুক্রবার দুপুরে মামার বাড়ির পাশে দুই ভাই - বোনে স্ন্যান করতে গিয়ে জলে ডুবে যায়। স্থানীয়রা তাদের দুজনকেই জল থেকে উদ্ধার করেন। কিন্তু ঘটনাস্থলেই আশীষের মৃত্যু হয়। ঘটনায় পূজা গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিন রাতে ওই হাসপাতালেই মারা যায় পূজা। শনিবার সকালে মৃতদেহ দুটি ময়য়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে দৌলতাবাদ থানার পুলিশ।
        জানা গিয়েছে, গত জানুয়ারি মাসে উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা ধর্মেন্দ্র যাদব তাঁর স্ত্রী ও চার ছেলে মেয়েকে নিয়ে ২২ বছর পর বেড়াতে আসে‌ দৌলতাবাদ থানার খামারপাড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে। শুক্রবার দুপুরে মামার বাড়ির সামনে একটি পুকুরে স্নান করতে গিয়ে জলে ডুবে যায় পূজা ও আশীষ । ঘটনার কিছু পরে স্থানানীয়দের তৎপরতায় দুই জনকেই জল থেকে তোলা হলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আশীষ। গুরুতর আহত অবস্থায় পূজাকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শুক্রবার রাতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

নবগ্রামে আগুনে পুড়লো বাড়ী, সেইসাথে টাকাও

ভাস্কর ঘোষ

ভয়াবহ আগুনে পুড়ে একেবারে ছায় হয়ে গেল দুটি মস্ত বাড়ি। শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার বুডারডাঙ্গা গ্রামের ঘটনা। আগুনে পুড়ে ৩ টি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। পুড়ে একেবারে ছায় হয়ে গিয়েছে বাড়ির সমস্ত জিনিশপত্র। এমনকি ঘর করার জন্য জমানো টাকাও পুড়ে গিয়েছে।সর্বহারা পবন মাঝি বলেন, আমার গোয়াল ঘরে ২ টি গরু মারা গিয়েছে। বাড়ির সব জিনিস পড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। ঘর করার জন্য জমানো নগদ টাকাও পুড়ে গিয়েছে। আমি কি করব বুঝতে পারছিনা। আমার মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও নষ্ট হয়ে গেছে। পরিবার নিয়ে কোথা দাঁড়াব কি খাব কিছু বুঝতে পারছি না।
       জানা গিয়েছে, এদিন রাতে পবন মাঝি তাঁর গোয়াল ঘরে মোসা তাড়ানোর জন্য ধোঁয়া দেন। সেই ধোঁয়া থেকে আগুন ধরে যায় গোয়াল ঘরে। সেই আগুন ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে গোয়ালের পাশে থাকা তাঁর দুটি বাড়িতেও। তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা সেখানে ছুটে এসে বালতি করে জল দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। ততক্ষনে অবশ্য বাড়ির সমস্ত জিনিসপত্র পুড়ে গেছে।

ময়নাগুড়ির জয়দেব আজ বড় অসহায়

সোমনাথ চক্রবর্তী

এক সময় কাজে কর্মে ব্যস্ত ছিলেন।সংসারে ছিলো খুশির হাওয়া। বয়স্ক বাবা,স্ত্রী,বাচ্চা কে নিয়ে ভালোই চলছিলো ময়নাগুরি বিবেকানন্দ পল্লী নিবাসী জয়দেব গোস্বামীর সংসার।কিন্তু হঠাৎ যেন শুখের এই সংসার আয়নার কাচের মত ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেলো।ঘটনাটি ঘটে গত বছরের ৩০শে এপ্রিল সকালে।প্রতিদিনের মত জয়দেব (৩০)বাড়ি বাড়ি পেপার দেওয়ার কাজ করছিলো। হঠাৎ একটি বাস গাড়ির সাথে ময়নাগুরি বাজারে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।বাসটি জয়দেব কে চাকার সাথে ছেচরিয়ে আনেক টা পথ নিয়ে আসে। তার পর আর কিছু মনে নেই তার। চোখ যখন খুলেন দেখেন শিলিগুড়ি একটি বেসরকারি হাসপাতালে।দীর্ঘদিন চলে চিকিৎসা, কিন্তু ভালো হন নি। এর পর স্থানীও পাড়া প্রতিবেশি জানায় জয়দেব কে বাইরের রাজ্যে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে বাড়ি, জমি, জমানো টাকা যা ছিলো সব কিছু বেচে বাইরে চলে যান চিকিৎসা করতে।বাইরে চিকিৎসা করে শুধু নিজ পায়ে এই মূহূর্তে দাড়াতে পেরেছেন।পায়ে প্রায়ই ইনফেকশন হয়ে যাচ্ছে। বাইরে আবারো যেতে হবে বলে ডাক্তার বলেছে।কিন্তু এখন তিনি আর্থিক ও মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন।পাশে দাড়ানোর মত বা সাহায্য করার মত কেউ নেই।সংসার চালানোর মত লোক ও নেই। বাড়িতে বয়স্ক বাবা,ছোট মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বহু কষ্টেসৃষ্টে দিনযাপন করছেন।জয়দেব বাবু সমাজের সকলস্তরের মানুষের কাছে বিনিত নিবেদন করছেন কেউ যদি একটু সাহায্য এর হাত বাড়িয়ে দেন বা তার বউ এর কাজের সন্ধান করে দেন তাহলে তিনি খুব উপকৃত হবেন।
জয়দেব বাবু বলেন সেদিন কার কথা আজও মনে পড়লে তার গা সিউরে উঠে।যেন সেদিন খুব কাজ থেকে তিনি মৃত্যুকে দেখেছেন।

শুক্রবার, মার্চ ১৬, ২০১৮

কাটোয়ার রেকর্ড জালিয়াতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কোন প্রশাসনিক উত্তর মিলেনি


মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে তাঁর অফিসিয়াল ইমেলে গত ৩১ ডিসেম্বর এবং ২ জানুয়ারি স্পিড পোস্টে নবান্ন অফিসে নিম্নলিখিত অভিযোগ পাঠানো হয়েছিল।প্রায় আড়াই মাস কেটে গেলেও কোন প্রশাসনিক উত্তর কিংবা তদন্ত হয়নি।এখনও সুবিচারের আশায় অভিযোগকারী। 



প্রাপক

মুখ্যমন্ত্রী 

মাননীয়া

জেলাস্তরের প্রতিটি দপ্তর কে বারবার জানিয়েও কার্যক্ষেত্রে কোন সুরাহা মেলেনি।যেহুতু অভিযুক্ত দপ্তর (ভুমি সংস্কার)  আপনার নিয়ন্ত্রণাধীন,  তাই সুবিচার পেতে আপনার দারস্থ হয়েছি।পৈতৃক সম্পত্তির রেকর্ড জালিয়াতির বিরুদ্ধে আমার প্রয়াত বাবা মোল্লা নুরুল হোদা (বিচারক) গত ০২/০৬/১৫ তারিখে কাটোয়া বিএলআরও, এসডিএলআরও, মহকুমাশাসক পরবর্তী ০৫/০৬/১৫ তারিখে জেলাশাসক,  ডিএলআরও প্রমুখ আধিকারিকদের লিখিতভাবে জানিয়েছেন।অভিযোগের বিষয় ছিল - কাটোয়া ১ নং ভূমি দপ্তরের অধিন শ্রীখণ্ড মৌজার (জে এল নাম্বার ৭, খতিয়ান নাম্বার ২০২৩, দাগ নাম্বার - ৬৬৭, পরিমান ৬০ শতক) পৈতৃক সম্পত্তি কিভাবে বিনা নোটিসে - বিনা শুনানিতে - বিনা দলিলে একতরফা ভাবে রেকর্ডভুক্ত হয় ( মিউটেশন কেস নাম্বার ১৭৭২/১৪) তা নিয়ে? লিখিত অভিযোগ পেয়ে তৎকালীন ডিএলআরও তদন্তের নির্দেশ{মেমো নাম্বার ৯৯১(৩)} দেন। গত ২৭/০৭/১৫ তারিখে কাটোয়া এসডিএলআরও অফিসে উভয়পক্ষদের নিয়ে শুনানি হয়।তদন্ত রিপোর্ট পেয়ে অভিযোগকারী মোল্লা নুরুল হোদা কে ডিএলআরও গত ০৯/০৩/১৬ তারিখে অফিসিয়াল চিঠি ( মেমো নাম্বার ৩৮৭/৪১৬/সি/২০১৫) করে ওই মিউটেশনের বিরুদ্ধে (ইউ/এস ৫৪ অফ, ডাবলু. বি.এল.আর ১৯৫৫) আপিল করতে নির্দেশ দেন।আপিল আবেদন করবার অর্ডার শিট পেতে বারবার হয়রানি করে কাটোয়া ১ নং ভূমি দপ্তর।২৯/০৬/১৬ তারিখে উক্ত অফিসে মোল্লা নুরুল হোদা এবং পরবর্তী ২৮/০৭/১৬ তারিখে তথ্য জানার আইনে আমি অর্থাৎ মোল্লা জসিমউদ্দিন আবেদন করি।বহুকস্টে অর্ডার শিট ( এমএন/২০১৪/০২২৪/৪৭৯৯) তুলে দেখি মিউটেশন করার ক্ষেত্রে কোন দলিল নাম্বার বা তারিখ নেই।সাধারণত রেকর্ড সংশোধন দলিল /ওয়ারিশ /আদালতের রায়ের ভিক্তিতে হয়।কিন্তু এক্ষেত্রে কোন নিয়ম মানা হয়নি।তদাপি বর্ধমান (পূর্ব) ডিএলআরও অফিসে গত ২২/১২/১৬ তারিখে আপিল ( কেস নাম্বার ১৭২/১৬) জমা পড়ে।অদ্ভুতভাবে শুনানির জন্য প্রথম নোটিশ আমরা ডাকযোগে পাইনি।দীর্ঘসময় কেটে যাওয়ায় ডিএলআরও অফিসে দ্বিতীয় নোটিশ পায় ০৩/০৫/১৭ তারিখ হাজির হওয়ার জন্য।অভিযুক্ত খায়রুল মোল্লা শুনানির দুবার হাজিরা এড়িয়ে তৃতীয় শুনানি (৩০/০৮/১৭ তারিখ) তে ভাইপো আজগর মোল্লা কে প্রতিনিধি হিসাবে হাজিরা দেন।চতুর্থ শুনানিতে অর্থাৎ ১৮/১০/১৭ তারিখে ডিএলআরও অর্ডার দেন। তবে অত্যন্ত চতুরভাবে তিনি আদেশনামায় পুনরায় কাটোয়া ১ নং বিএলআরও কে আমাদের অভিযোগের মান্যতা দিয়েও 'ফ্রেস হিয়ারিং' নির্দেশ দেন।এই আপিল কেসে ১০ মাসে ৪ বার শুনানিতে আসেনি অভিযুক্ত।যদিও তৃতীয় শুনানিতে নিজ প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন।০১/১১/১৭  তারিখে কাটোয়া ১ নং বিএলআরও অফিসে পৈতৃক সম্পত্তির রেকর্ড পুর্বের নামে (দাদু) করবার জন্য অর্ডার শিট দিয়ে ওয়ারিশ হিসাবে আবেদন জানাই।এই আবেদনের (কেস নাম্বার ১০১৫, কাটোয়া) ২৭/১২/১৭ তারিখে প্রথম শুনানি হয়।সেখানে কাটোয়া বিএলআরও সাহেব কে অবগত করি যে - উক্ত মিউটেশন এর বিরুদ্ধে ডিএলআরও অর্ডার শিট কে মান্যতা দেওয়া হোক।কিন্তু ওই আধিকারিক অত্যন্ত রুঢ হয়ে আমাকে বলেন - ডিএলআরও সাহেবের অর্ডার শিটের শেষে 'ফ্রেস হিয়ারিং' এর কথা।এই কেসের লিখিত বয়ান নিতেও অস্বীকার করেন ওই আধিকারিক। পরে বিষয়টি এসডিএলআরও সাহেব কে জানালে রিসিভ সেকশন থেকে প্রাপ্তিস্বীকার করা হয়।

মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী,  প্রথম শ্রেণীর দৈনিক সংবাদপত্রে দীর্ঘ পনেরো বছর গ্রামীন বর্ধমানে সাংবাদিকতা করার সুত্রে জানতে পেরেছি, শুধু আমাদের ক্ষেত্রে নয় ২০১৩ থেকে ২০১৫ এই দুবছরে কুড়ির বেশি মিউটেশন হয়েছে জালিয়াতির ভিক্তিতে।এরমধ্যে সিংহভাগ জালিয়াতি প্রমাণ হয়ে আবেদনকারীদের রেকর্ড পুনরায় পুর্বে ফিরে গেছে।এক্ষেত্রে কাটোয়া ১ নং বিএলআরও অফিস কে কেন্দ্র করে রেকর্ড জালিয়াতির 'সিন্ডিকেট' রয়েছে।যাদের নেটওয়ার্ক সাব রেজেস্ট্রি অফিস, ডাকঘর, থানা, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অফিসের একাংশের পাশাপাশি খাজুরডিহি (কাটোয়া শহর সংলগ্ন) তে সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে। অতীতে সিপিএমের চ্যাটার্জী বাবু এইসব নিয়ন্ত্রণ করতেন।বর্তমানে আরেক চ্যাটার্জী বাবু চালাচ্ছেন বলে শোনা যায়।আমাদের এই সম্পত্তি টি শ্রীখণ্ড এনটিপিসির সামনেই।তাই জমি সিন্ডিকেটের কুনজর রয়েছে।ইতিমধ্যে আমাদের ভাগচাষীদের বাড়ীতে বেশ কয়েকবার হানা দিয়েছে ওই চক্রের দলবল। পুলিশ কে জানাতেও প্রাণহানির আশংকা করছেন ভাগচাষীরা।গত ২৭/১২/১৭ তারিখে কাটোয়া বিএলআরও অফিসে এইরুপ মস্তানদের দেখি।বিএলআরও সাহেব এই মিউটেশন কেসের নথিভুক্ত দলিলের নাম্বার আমায় জানাননি।তাই আশংকা 'ব্যাক ডেট' দিয়ে কোন দলিল নথিভুক্ত করতে পারেন।সেক্ষেত্রে সাইবার সেল দ্বারা দলিল নথিভুক্তের সময় জানতে ফরেন্সিক তদন্তর দাবি রাখি।সর্বোপরি পূর্ব বর্ধমান ডিএলআরও ১০ মাসে ৪ বার শুনানি করেও কেন কাটোয়া ১ নং বিএলআরও কে অর্ডার শিটে 'ফ্রেস হিয়ারিং' করতে বললেন, তাও খতিয়ে দেখা উচিত।কাটোয়ার রেকর্ড জালিয়াতি করা সিন্ডিকেটটির ডিএলআরও অফিসে 'হট লাইন' আছে বলে জনশ্রুতি। ঠিক এইরকম পেক্ষাপটে পৈতৃক সম্পত্তি পুনরুদ্ধার (যদিও এই জমির ৩৫+ বছর আমাদের দখলস্বত্ব রয়েছে)  করতে নানান সমস্যা, হয়রানী, প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছি।আপনির প্রতি আস্থা রেখে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দাবি রাখছি।

ধন্যবাদান্তে

মোল্লা জসিমউদ্দিন

গ্রাম পদিমপুর

ডাক নূতনহাট

থানা মঙ্গলকোট

জেলা পূর্ব বর্ধমান






ময়নাগুড়িতে মাছ ধরতে গিয়ে জালে উঠল কচ্ছপ


সোমনাথ চক্রবর্তী ময়নাগুড়ি

শুক্রবার সকালে মাছ ধরতে জাল নিয়ে আনন্দ নগর পাড়ার বাসিন্দা সুকুমার হালদার  রওনা দেন ময়নাগুরির আনন্দনগর পাড়ারই কলা খাওয়া নদীতে।মাছ ধরার জন্য নদীতে জাল ফেলেন কিন্তু জালে মাছ লেগেছে ভেবে উঠিয়ে চক্ষুচড়কগাছ হয় উঠে সুকুমার বাবুর,এ কি এ তো মাছ নয় এ তো কচ্ছপ।এরপর সুকুমার হালদার বনকর্মী দের খবর দেন এবং বনকর্মীদের হাতে কচ্ছপ টিকে তুলে দেন।কচ্ছপ টিকে দেখতে প্রচুর লোকজন সুকুমার বাবুর বাড়ি ভীড় জমান।

মুক্তচিন্তা ভবনে কবিতা বিষয়ক কর্মশালা

মেখলিগঞ্জ

কবিতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হল মেখলিগঞ্জ ব্লকের ভোটবাড়িতে।স্থানীয় মুক্তচিন্তা ভবনে এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট লোকসংস্কৃতি গবেষক তথা মুক্তচিন্তার কর্নধার শচিমোহন বর্মন।জানা গেছে এদিনের কর্মশালায় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন  সাহিত্যপ্রেমী মানুষ অংশ নেয়।কবিতা বিষয়ক আলোচনার পাশাপাশি এনিয়ে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থাও ছিল।

আসানসোলে কর্মরত শ্রমিকের মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা

মোহন সিং

সিএলডবলু এর সান্টিং ডিপার্টমেন্টে বৃহস্পতিবার কর্মরত ছিলেন ধানবাদ নিবাসী প্রবাল কান্তি ঘোষ(৩৬)৷রাত্রি ১১:৩০নাগাদ হঠাৎই কারখানায় লোডশেংডি হয়ে গেলে কর্মরত অবস্থায় দুটি বাফারের মাঝে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন প্রবাল বাবু৷সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি এম্বুলেন্সে খবর দিলেও,এম্বুলেন্স আসতে দেরি করে৷পরে প্রবাল বাবুকে চীত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে গেলে,তাকে মৃত বলে ঘোষনা করা হয়৷শেষে ময়না তদন্তের জন্যে দেহ আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়৷প্রবাল বাবু ধানবাদের বাড়িতে মা-বাবা ও পরিবারের সাথে থাকতেন,তার দুই মেয়ে আছে বলে জানা গেছে৷

ছুরিকাহত যুবক, চাঞ্চল্য কোচবিহারে

শিখা ধর

শুক্রবার সকালে কোচবিহার সদর এলাকায় তপন কর্মকার নামে এক যুবক কে ছুড়ি মারে তারই বন্ধু পরিতোষ বর্মণ। এমজেএন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।

শীতলা মা পুজো দিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ

মোল্লা জসিমউদ্দিন

পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীতে 'শীতলা মা' পূজো চলছে।এদিন পুজো দিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।  পুজো ঘিরে পূর্ব বর্ধমান, নদীয়া জেলার অনেক ভক্তদল আসেন এখানে।

বৃহস্পতিবার, মার্চ ১৫, ২০১৮

কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর দাবি ওয়েবকুপার

মানস দাস, মালদা

খুব শিগগিরই রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির  শিক্ষকদের বর্ধিত বেতন নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করতে পারে কেন্দ্রের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন । ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত খসড়া তৈরির কাজে কমিশন হাত দিয়েছে বলে খবর। রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির শিক্ষকদের বর্ধিত বেতনের পুরোটাই আগামীতে বহন করতে হবে রাজ্যকে। এমনকি শিক্ষকদের বেতন মেটাতে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নিজে থেকেই 30 শতাংশ ফান্ড তৈরি রাখতে হবে। এমনই বেশকিছু সম্ভাব্য নির্দেশিকা পুনর্বিবেচনার দাবি নিয়ে বুধবার দিল্লিতে ইউ জি সি চেয়ারম্যান বি ডি সিং-এর সঙ্গে দেখা করলেন দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল। ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন  রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপার সভাপতি কৃষ্ণকলি বসু ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুজয় ঘোষ। বুধবার দুপুরে প্রায় আধঘন্টা ধরে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন কমিশনের চেয়ারম্যান । উপস্থিত ছিলেন কমিশনের জয়েন্ট সেক্রেটারি অর্চনা ঠাকুরও। বৈঠকের পর কৃষ্ণকলি বসু জানান, "কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বর্ধিত বেতন নিয়ে যে নয়া নির্দেশিকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আনতে চলেছে তাতে শিক্ষাব্যবস্থাকে বেসরকারিকরণ ও বানিজ্যিকিকরণে রূপান্তরিত করার প্রয়াস লক্ষ্যণীয় । এতদিন পে রিভিশনের পর শিক্ষকদের  বর্ধিত বেতনের আশি শতাংশ কেন্দ্র ও কুড়ি শতাংশ রাজ্য প্রথম চার বছরের জন্য বহন করত। বাকি প্রায় ছ'বছর বর্ধিত বেতনের পুরোটাই রাজ্য সরকারকে বহন করতে হত। কিন্তু নতুন নির্দেশিকা জারি হলে পে রিভিশনের পর বর্ধিত বেতনের মাত্র 50 শতাংশ প্রথম চার বছর বহন করবে কেন্দ্র। অর্থাৎ এক্ষেত্রে রাজ্যের ওপর বাড়তি বোঝা চাপতে পারে । আমরা এমনই নানা বিষয়ে কথা বলেছি। ওরা গুরুত্ব দিয়ে আমাদের কথা শুনেছেন ।" একইসঙ্গে তিনি জানান, নতুন নির্দেশিকা য় রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে শিক্ষকদের বেতন বাবদ তিরিশ শতাংশ ফান্ড তৈরি রাখার কথা বলা হয়েছে । অর্থাৎ এক্ষেত্রে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পড়ুয়াদের উন্নয়ন ও পরিকাঠামো উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হবে বলে অভিযোগ করেন কৃষ্ণকলি বসু। এমনকি যে সব কলেজে পড়ুয়া কম তাদের পক্ষে এই অর্থ যোগার করা কঠিন হয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি । ওয়েবকুপার সভাপতি জানান, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের শিক্ষা সেলের চেয়ারম্যান তথা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে । তার অনুমতি সাপেক্ষেই দিল্লিতে আসা বলে জানান তিনি। এদিকে কলেজ  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পদোন্নতি নিয়ে ইউ জি সি-এর নতুন নিয়মের সমালোচনা করে কৃষ্ণকলি বসু বলেন," প্রমোশনের নামে প্রহসন চালাচ্ছে ইউ জি সি। পদোন্নতির আবেদন করা এখন রীতিমতো ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষকদের কাছে।" ইউ জি সি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই দিল্লি ও  অন্যান্য রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষক সংগঠন কমিশনের কাছে একই দাবি রেখেছে। এখন দেখার কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেয়।

আসানসোল খনি শ্রমিক ইউনিয়ন মাইক বাজিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বিপাকে ফেললো

মোহন সিং

রেলের অনুষ্ঠানের পাশপাশি খনি শ্রমিক ইউনিয়র গুলির সমন্বয় কমিটি বা জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির সভাতেও মাইক বাজিয়ে সভা করা হল। আগামী ১৬ মার্চ কয়লা খনি বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। তারই প্রচার সভা ছিল ইসিএলের শ্রীপুর এরিয়া অফিসের সামনে। অভিযোগ প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ আর সি সিংয়ের উপস্থিতিতে মাইক বাজিয়েই সভা করা হয়।

আসানসোললের ৪৩ নং ওয়ার্ডে বিজেপির মিছিল

মোহন সিং

রাজ্যজুড়ে মহিলাদের প্রতি অত্যাচার ও ধর্ষণের প্রতিবাদে আসানসোল পুরসভার ৪৩নং ওয়ার্ডে বিজেপির মহিলা মোর্চা ও স্থানিয় নেতৃত্ব মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন মিছিলে সামিল হয়৷বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘড়ুই জানিয়েছেন—যেহেতু মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে,তাই তাদের এই মৌন মিছিলের আয়োজন৷মূলত কুশমণ্ডি ও গতকাল জামুড়িয়াতে যে ভাবে আদিবাসী রমনীরা গণ ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন,এমনকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেখানে একজন মহিলা তা সত্ত্বেও মহিলাদের নিরাপত্ত্বা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে সরকার তারই প্রতিবাদে তাদের এই মৌন মিছিল৷এদিনের মিছিলে অংশগ্রহন করেন এস এন লাম্বা,বিজেপির ওবিসি মোর্চার পক্ষ থেকে শঙ্কর চৌধুরী, জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘড়ুই,আশা শর্মা সহ আরো অনেকে৷তাদের দাবি অবিলম্বে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আটক করে কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে৷

পেটের যন্ত্রণা নিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিল সে

উজ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়

বুধবার  ছিলো মাধ্যমিকের ভুগোলের পরীক্ষা ।পরীক্ষা দিতে এসে পেটের যন্ত্রণা তে পরীক্ষা দিতে না পারায় তাকে মথুরাপুর হাসপাতালে ভরতি করা হয়।সে কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের ছাত্রী।তার সিট পড়েছিল মিরজাপুর স্কুলে।পরে অবশ্য ঐ ছাত্রী পাপিয়া হালদার হাসপাতালে শুয়েই পরীক্ষা দেয়।পরীক্ষা ভালো হয়েছে বলে সে জানায়।পাপিয়ার এই খবর শুনে হাসপাতালে চলে আসেন প্রধান শিক্ষক চন্দন মাইতি।

শিয়ালদহ দ: শাখায় ট্রেনের বলি মহিলা

উজ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়

বুধবার  সকালে শিয়ালদহ দঃ শাখার দঃ বারাসত স্টেশনের আপ লাইনের পাশে এক মহিলার ছিন্নভিন্ন দেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকায় উওেজনা ছড়ায়।মৃত মহিলার নাম আরতী হালদার(৫৩)।বাড়ি জয়নগর থানার রায়নগর গ্রামে।সে সকালে বাড়ি থেকে বার হয়েছিল।পরে তার মারা যাবার খবর পায় বাড়ির লোক।বারুইপুর জি আর পি থেকে মৃতদেহটি তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।কি কারনে এই মৃত্যু তার তদন্তে পুলিশ। এলাকায় চাপা উওেজনা রয়েছে।

বুধবার, মার্চ ১৪, ২০১৮

মালদায় অনশনকারী চাকরি প্রার্থীদের আন্দ্রোলন থামলো মুকুল রায়ের আশ্বাসে

মানস দাস,মালদা

মুখ্যমন্ত্রীর অনড় মনোভাব,শিক্ষামন্ত্রী কে ? তিনি একজন ইনস্ট্রুমেন্ট মাত্র।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি এখনই বলে তাহলেই এদের চাকুরী হয়ে যাবে"। মালদার প্রাইমারি শিক্ষক চাকুরী প্রার্থীদের অনশন মঞ্চ থেকে রাজ্য বিজেপি নেতা মুকুল রায় নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে।অনশনের ২৫ দিনে মুকুল রায়ের আশ্বাসে চাকুরী প্রার্থীরা অনশন প্রত্যাহার করেন।

বুধবার সকাল নাগাদ মালদা জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে ২০০৯-১০ সালে TET উত্তীর্ণ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের অনশন মঞ্চে উপস্থিত হন রাজ্য বিজেপি নেতা মুকুল রায়। অনশনকারীদের মুকুল রায় বলেন, “দু’ভাবে আন্দোলন করতে হবে। একটি আইনিভাবে ও দ্বিতীয়টি রাজনৈতিকভাবে। দু’ধরনের আন্দোলনেই BJP চাকরিপ্রার্থীদের পাশে থাকবে।” চাকরিপ্রার্থীরা এই আন্দোলনকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত নিয়ে যেতে চাইলে পাশে থাকবেন বলে জানান তিনি।

এদিন মুকুল রায় অনশন মঞ্চ থেকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে।তিনি বলেন,"অনসনকারী ছেলেমেয়েরা আমাদের অনুরোধকে যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়ে আজ তারা অনশন প্রত্যাহার করেছে।আমি মুকুল রায় কথা দিচ্ছি এদের শেষ পৰ্যন্ত ভারতীয় জনতা পার্টি বা আমি মুকুল রায় এদের ছেড়ে যাবো না।লড়াই যেখানে নিয়ে যেতে হয় যাবো।শিক্ষামন্ত্রী কি করে মালদা ও হাওড়া জেলার ভেকেনসি বিক্রি করে দিচ্ছে তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত।আমি শুধু এই সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই,এই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে আজ জেল খাটছে।অতএব চিরদিন ক্ষমতায় কেউ থাকবে না।এই চাকুরী প্রার্থীরা নিশ্চিত আইনত দিক থেকে সফলতা পাবে।এই অনসনকারী চাকুরী প্রার্থীদের চিকিৎসা থেকে শুরু করে সমস্ত রকমের সুবিধা আমরা করবো।

মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পাশে মানিকচক তৃনমূল

মানস দাস,মালদা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিল মানিকচক ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।ব্লক TMCP কর্মীদের সাথে ব্লক সভাপতি রেজাউল আলী বুধবার মানিকচকের ইনায়েতপুর ইএ উচ্চ বিদ্যালয়ে আগত মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে চকলেট ও কলম তুলে দেওয়ার পাশাপাশি শুভেচ্ছা বার্তাও দেন তিনি।এই প্রসঙ্গে মানিকচক ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি সৈয়দ রেজাউল আলী জানান,"আমাদের জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো প্রত্যেক বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য শিবির করছে জেলা তৃণমুল ছাত্র পরিষদ।সাবিত্রী মিত্রের নেতৃত্বে এদিন এই স্কুলে পেন ও চকলেট দেওয়া হয় পরীক্ষার্থীদের মধ্যে।আমরা চাই সকল ছাত্রছাত্রী ভালো পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফলাফল করুক।আমাদের প্রত্যেকদিন একটি করে বিদ্যালয়ে আমাদের শিবির চলছে তারই অঙ্গ হিসেবে আজ ইনায়েতপুর ইএ উচ্চ বিদ্যালয়ে আমাদের এই শিবির।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER