সঞ্জয় হাল্দার
পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের তহবিলের ১৫ লাখ টাকার ঢালাই রাস্তা রঘুনাথপুর ব্লকের শাকাগ্রাম পঞ্চায়েত বাঘাডাবর গ্রামে শিলান্যাস করলেন রঘুনাথপুর ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৃষ্ণ মাহাত,উপস্থিত ছিলেন প্রধান কালিপদ বাউরি, মুকুল ব্যানর্জী।
সঞ্জয় হাল্দার
পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের তহবিলের ১৫ লাখ টাকার ঢালাই রাস্তা রঘুনাথপুর ব্লকের শাকাগ্রাম পঞ্চায়েত বাঘাডাবর গ্রামে শিলান্যাস করলেন রঘুনাথপুর ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৃষ্ণ মাহাত,উপস্থিত ছিলেন প্রধান কালিপদ বাউরি, মুকুল ব্যানর্জী।
মোল্লা জসিমউদ্দিন
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে গত মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামে প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী যে বার্তা দিয়েছেন, তাতে উজ্জীবিত বিভিন্ন ব্লকের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর বড় অংশ।দুজন বিধায়ক কে এবং একজন ওসি কে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে সবাই কে নিয়ে চলতে হবে রাজনৈতিক বার্তা দিয়েছেন, তাতে আপাতত দলীয়ক্ষোভ অনেকেরই কমেছে।মনে করা হচ্ছে দলের গোষ্ঠীকোন্দল কমাতে মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রীর এহেন অবস্থান।সেদিন ভাতারের বিধায়ক সুভাষ মন্ডল কে বলেছিলেন " বনমালী দা কে মাথায় রেখে সব কাজ করো"।বনমালী হাঁজরা ২০১১ সালে ভাতারে তৃনমূল প্রতীকে জিতেন এবং বিধানসভার কৃষির স্ট্যান্ডিং কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন।তবে জেতা বিধায়ক ২০১৬ এর নির্বাচনে টিকিট পাননি, আর এতেই ভাতারের বড় অংশ এই বর্ষীয়ান নেতার এহেন বঞ্চনার প্রতিবাদে সরব হয়।আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় বঞ্চনার হিসাব নিত দলের একাংশ।এই আশংকা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী আউশগ্রামে ভাতারের বিধায়ক সুভাষ মন্ডল কে বনমালী দা কে মাথায় রেখে সব কাজ করার নির্দেশ দেন।অপরদিকে মেমারির বিধায়িকা নার্গিস বেগম কে মুখ্যমন্ত্রী বলেন - আবদুল্লাহ সাহেব উন্নয়নের সব কাজে রাখতে হবে।ভাতারের প্রাত্তন বিধায়ক বনমালী হাঁজরার মত মেমারির প্রাত্তন বিধায়ক হচ্ছেন আবদুল্লাহ। একই দলীয় বঞ্চনা তার শিবিরেও।মেমারির বিধায়িকার ওদ্ধত্য, মেমারি পুর চেয়ারম্যানের একনায়কতন্ত্র এই প্রাত্তন বিধায়ক কোণঠাসা করে রেখেছে গত বিধানসভার পর থেকেই।অনুরুপভাবে মুখ্যমন্ত্রী মেমারির এই আদি নেতা কে গুরত্ব দিয়ে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় অন্তর্ঘাত আটকাতে চেষ্টা করলেন।বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান স্বরুপ দত্ত কে মুখ্যমন্ত্রী পথবাতি এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ভৎসনা করলেন।খাতাকলমে স্বরুপ দত্ত বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান হলেও এক কাউন্সিলার পুরসভা থেকে দামোদরের বালি কারবার সবই চালান।যিনি মুকুল ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। তাই মুখ্যমন্ত্রীর এই ভৎসনার অন্তরালে একপ্রকার হুশিয়ারী রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।কেতুগ্রাম আইসি কে ঘনঘন এলাকায় ভিজিট করতে বলার পাশাপাশি আর কোন ঘটনা না ঘটে বলে সর্তক করেন মুখ্যমন্ত্রী। কেতুগ্রাম বিধায়ক সেখ শাহনওয়াজের সাথে দলীয় পর্যবেক্ষক অনুব্রত মন্ডলের সম্পক তিক্ত ছিল।২০১১ সালের পর ২০১৬ তেও কেতুগ্রামে প্রার্থীপদ পান শাহনওয়াজ।কেতুগ্রাম ঘেঁষা বীরভূমের নানুরে কাজল সেখের সৌজন্যে মৃতপ্রায় সিপিএম এখানে জয়লাভ পায়।তাতেও আরও সম্পক খারাপ হয় কাজল সেখের ভাই তথা কেতুগ্রাম বিধায়ক সেখ শাহনওয়াজের সাথে অনুব্রত মন্ডলের।উল্লেখ্য সারারাজ্যে দাপুটে নেতা হলেও তাঁর হোম বিধানসভা নানুরের বিধায়ক হচ্ছেন সিপিএমের।সম্প্রতি কেতুগ্রাম বিধায়কের ডানহাত ও সেইসাথে কেতুগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহির সেখ খুন হয় অনুব্রত অনুগামীদের হাতে।তাই এই খুনের বদলা নিতে আর যাতে কোন খুন না হয়, সেজন্য মুখ্যমন্ত্রী কেতুগ্রাম আইসি কে সর্তক করলেন বলে মনে করা হচ্ছে।এতে তৃনমূলের একাংশ খুশি।রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র মঙ্গলকোটে বরাবরই উপেক্ষিত। দপ্তরের পরিচালনায় জেলা গ্রন্থাগার মেলা করতে পারেন নি মঙ্গলকোটে।বিধায়ক তহবিলে উন্নয়নকাজে মঙ্গলকোট ব্লক, পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েত গুলিতে 'বয়কট' বলা যায়।সর্বোপরি মঙ্গলকোট পুলিশের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ বিধায়ক শিবিরের পক্ষে।গাঁজা - অস্ত্র সহ নানান মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া, থানায় যখনতখন ডেকে পুলিশি সন্ত্রাস করা এমনকি বিপক্ষ গোষ্ঠীর সাথে সুপরিকল্পিতভাবে মার খাওয়ানো অভিযোগ আছে।বিধায়কের পদিমপুর অফিসে তিন থেকে চারবার সশস্ত্র হামলা পর্যন্ত হয়েছে।সেখানে কাটোয়া মহকুমাশাসক এর নামে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে।সেইসাথে মঙ্গলকোটের আটঘড়ার মহিলাদের জুতো ঝাঁটা কান্ডে মঙ্গলকোট ওসি প্রসেনজিত দত্ত কে দায়ী করে পুলিশসুপার কে স্মারকলিপি দিয়েছে সিদ্দিকুল্লাহের জমিয়ত উলেমা হিন্দের জেলা কমিটি।তাই মুখ্যমন্ত্রীর মঙ্গলকোট ওসি কে 'সবাই কে নিয়ে চলতে হবে' নির্দেশ টি পক্ষান্তরে সিদ্দিকুল্লাহর জয় বলে মনে করা হচ্ছে।তবে যে ওসি গত দেড়বছরে বিধায়কের রুগী কল্যান সমিতির সরকারী বৈঠকে কোন বার আসেননি। তিনি কতটা 'পাত্তা' দিবেন মঙ্গলকোট বিধায়ক কে।তা নিয়েও উঠছে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন। সামগ্রিকভাবে গত মঙ্গলবার আউশগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক সভায় দলীয় বিধায়ক,পুরপিতা, ওসিদের কড়া বার্তা দিলেন দলের গোষ্ঠী বিবাদ নিরসনে,তাতে খুশি পূর্ব বর্ধমান জেলার বিক্ষুব্ধদের বড় অংশ।তবে সেটা সাময়িক, চুড়ান্ত দেখতে অপেক্ষা করতে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বণ্টন অবধি।
সুজিত ঘোষ
আজ রাজ্য বিধানসভায় রাজ্যসভার ভোট গ্রহন পর্ব শুরু হোলো। নিজের ভোট দিতে উপস্তিত উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী রবীন্দ্র নাথ ঘোষ।
মঙ্গলকোটের চক গ্রামে মতিউল রহমান, ইজাজুল হক ও মজিবুর রহমানের বাড়িতে মাঝ রাতে কিছু দুঃস্কৃতি এসে চুরি করে বলে অভিযোগ। জানা যায় মতিউল বাবুর বাড়ি থেকে 10 ভরি রূপর গহনা, 2 ভরি সোনার গহনা, নগদ 5 হাজার টাকা ও একটি সাইকেল চুরি হয়। ইজাজুল বাবুর বাড়ি থেকে নগদ 10 হাজার টাকা ও মজিবুর বাবুর বাড়ি থেকে নগদ 32 হাজার টাকা চুরি হয়েছে।
উজ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়
বৃহস্পতিবার বিশ্ব জল দিবস পালন করা হলো সাগর থানার চৌরঙগী অবৈতনিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনুস্তানের মধ্য দিয়ে।দৈনন্দিন জীবনে জল,গরম কালে দুষিত জল,বৃষ্টি জলে দূষণ,জলবাহিত রোগ,নিরাপদ পানীয়জল কিভাবে পাবো,জল শোষণ করার পদ্ধতি,জীবাণু মুক্ত জল কেন খাওয়া দরকার ।এই বিষয়গুলি সহ ভূপৃষ্ঠে পানীয় জল কতটা ,জলের অপচয় বন্ধে আমাদের ও শিশুদের ভূমিকা কি তা নিয়ে আলোচনা ও জলের কবিতা আবৃত্তি হয়।
মানস দাস,মালদা
বিচারাধীন বন্দীর মৃত্যু হল আলিপুর সংশোধনাগারে। ধর্ষণে অভিযুক্ত বন্দির অভাব অনটন থাকায় পরিবার দেহ বাড়ি আনতে অসক্ষম।তবে বাড়ির গৃহকর্তার দেহ একবার কাছে পেতে চাই পরিবার।দেহ নিয়ে আসতে কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিক,এখন এই অপেক্ষায় মৃত বন্দির পরিবার। এমন মৃত্যুতে প্রশ্ন তুলেছে মৃতের পরিবারবর্গ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত বন্দির নাম বুদ্ধু সাহা(৬২)।মালদা থানার মাধাইপুর ভাটারা পড়ার গ্রামের বাসিন্দা।শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রায় ১ বছর ১ মাস আগে বিচারাধীন গ্রেফতার করা হয় তাকে।বর্তমানে আলিপুর সেন্ট্রাল সংশোধনাগারে ছিলেন।স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে,প্রায় ১৪ মাস আগে গ্রামের ইট ভাটায় নিয়ে গিয়ে বছর নয়ের এক নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ ছিলো ষাটোর্ধ্ব এই বুদ্ধু সাহার বিরুদ্ধে।ধর্ষনের অভিযোগের ভিত্তিতে তারপরই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।মৃতার স্ত্রী ঊষা সাহা জানান,ধর্ষণের অভিযোগে স্বামীকে ১৩ মাস আগে গ্রেফতার করেছিলো।আমার কোনো পুত্র সন্তান নেই।বৃদ্ধ অবস্থায় ভিক্ষা করে দিন কাটছি।এক মেয়ে আছে,তার বিয়ে হয়ে গেছে।যতটা সম্ভব মেয়ে সাহায্য করে।রাতে বাড়িতে পুলিশ এসে জানায় স্বামী মারা গেছে।গত ১৬ তারিখ মালদা আদালতে তোলার সময় কথা বলেছিলাম স্বামীর সাথে।সুস্থ ছিলো বলে জানিয়েছিলো সে।কিন্তু কি করে মারা গেলো জানানেই।আলিপুর সংশোধনাগারে কবে নিয়ে গেছে তাও আমাদের জানানেই।কেউ আমাদের জানাই নি।এখন কোনো রকম দেহ কাছে পেতে চাই আমি"।
এদিকে মেয়ে কাঞ্চন সাহা জানান,"বাবা ধর্ষণের মামলায় জেলে ছিলো।পয়সার অভাবে বাবাকে ছাড়াতে আইন পদক্ষেপ কিছুই করতে পারিনি।বুধবার রাতে পুলিশ বাড়ি এসে বলে বাবা মারা গেছেন,দেহ আনার ব্যবস্থা করতে।অভাবের তাড়নায় অতো দূর থেকে আমাদের পক্ষে দেহ আনা সক্ষম নয়।সুস্থ দেখার পর কি করে মারা গেলো কিছুই জানানো হয়নি আমাদের।আমাদের দেহ ফিরে পেতে চাই।কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে বাবার দেহ বাড়িতে ফিরিয়ে দিক"।
সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব
২২শে মার্চ শুভ পঞ্চমির পূন লগ্নে স্বরুপনগর হঠাৎগঞ্জ বাজারর শক্তিসংঘের পরিচালনার এবং গ্রামবাসীবৃন্দের সাহযোগীতায় সার্বজনীন বাসন্তী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন ফিতে কেটে এলাকার নারায়নগোস্বামী, সাথে ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ঝুমা সাহা, দুলাল চন্দ্র ভট্টাচার্য, ষষ্টিপদ সরকার.আবেদ আলি গাজী, রমেন সরদার, স্বরূপনগর থানার আধিকারিক সত্যমকুমার ঘোষ, সহ এলাকাবাসী। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক মুলক অনুষ্ঠান চলবে ৫ দিন ধরে।শক্তিসংঘের এই বাসন্তিপূজা অনুষ্ঠান বিগত ২৫ বছর ধরে চলে আসছে।
মোল্লা জসিমউদ্দিন
বাংলার রাজনীতিতে মনিষীদের ব্যবহার (জন্মদিন /মৃত্যুদিন পালনে), খুন হওয়া দলীয় কর্মীদের মৃতদেহ নিয়ে মিছিলের পর এবার বিজেপি নেতা মুকুল রায় হেলিকপ্টারে বাংলার একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত ঘুরে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রচারে নামতে চলেছেন। তাতে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে তৃনমূল নেতৃত্ব। দুই থেকে তিনটি জেলায় দিনে কমপক্ষে চার থেকে ছয়টি জনসভা করার পরিকল্পনা রয়েছে একদা তৃনমূলের চাণক্য মুকুল রায়ের।ইতিমধ্যে টিকিট না পাওয়া তৃনমূল কর্মীদের বিজেপির তরফে দলীয় প্রতিক দেওয়ার পলিসিতে জেলায় জেলায় তৃনমূলের একাংশ তাদের মুকুল দার কাছে 'আডভান্স বুকিং ' করে ফেলেছেন বলে বিশস্ত সুত্রে জানা গেছে।
ছবি : ইন্টারনেট থেকে।
সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব
৪ জন বাংলাদেশিকে আটক করল স্বরুপনগর থানার পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা যায় ধৃত দের বাড়ী বাংলাদেশের মাদারীপুর জেলার রাজর থানা এলাকায়৷অবৈধভাবে দালাল মারফত তারা এদেশে এসে ছিলো।ভিনরাজ্য যাওয়ার পথে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বালতী বলফিল্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে পুলিশ তাদের আটক করে।জিজ্ঞাসাবাদে তারা বাংলাদেশী বলে স্বীকার করে বলে দাবি। ২২শে মার্চ সকালে স্বরুপনগর থানা ধৃত ৪ জনকে বসিরহাট আদালতে পাঠায়।পুলিশ দালালের খোজ শুরু করেছে।
সুরজ প্রসাদ
মাত্র দু দিনের মাথায় মেমারীতে যুবক খুনে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করল পুলিশ।পূর্ব বর্ধমানের বেহুলা নদী থেকে রবিবার রাজা মালিকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।ধৃত রামকৃষ্ণ মালিক মৃত যুবকের দাদা।তার স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের সন্দেহে ভাই রাজাকে খুন করে বেহুলানদীর জলে ফেলে দেয়।ধৃত অন্যজন মৃতের আত্মীয়। রাজা মালিকের বাড়ি মেমারীর পাতরা গ্রামে।ধৃতদের বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।
শিখা ধর
আজ কোচবিহারের দিনহাটায় বোমা নিষ্ক্রিয় করতে জখম হলেন সিআইডির এক আধিকারিক। আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়।
সঞ্জয় হালদার
জেলায় জেলায় ২৩টি অত্যাধুনিক গুদাম তৈরীর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সমবায় দপ্তর। রাজ্যে খাদ্যশস্য ঘাটতি মেটানোর যে প্রচেষ্টা শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই উদ্দেশ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি গুদামের ধারন ক্ষমতা হবে ১০০০০ মেট্রিক টন। সুতরাং ২৩টি গুদামঘর নির্মাণ সম্পন্ন হলে, রাজ্যে গুদামের ক্ষমতা আরও ২.৩ লক্ষ মেট্রিক টন বাড়বে।
মোল্লা জসিমউদ্দিন
একদিকে যখন পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে মঞ্চে প্রথম সারিতে বসে রয়েছেন মঙ্গলকোটের বিধায়ক ও সেইসাথে রাজ্যের মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। ঠিক সেইসময় কাটোয়া মহকুমা আদালতের এজলাসে পেশ করা হয় মন্ত্রীর গত বিধানসভা ভোটের নির্বাচনী এজেন্ট তথা পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদ সদস্য বিকাশ চৌধুরী। এদিন আদালতে বিকাশ বাবুর ৩ দিনের সিআইডি হেফাজত হয় ডালিম সেখ খুনের মামলায়।একাধারে আউশগ্রামে প্রশাসনিক সভায় যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বক্তব্য পেশ করতে উঠা সিদ্দিকুল্লাহ কে বসে দাবিদাওয়া জানাবার সম্মান দিচ্ছেন।ঠিক অপরদিকে রাজ্যের সিআইডি কাটোয়া আদালতে মন্ত্রীর 'ডানহাত' বিকাশ চৌধুরী কে নিজেদের হেফাজতে নিচ্ছে।এই খুনের মামলায় বিকাশ বাবুর পাশাপাশি মন্ত্রীর ভাই রহমতুল্লাহ চৌধুরী মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে 'ফেরার' রয়েছেন। তাই বিকাশ বাবু গ্রেপ্তারে সবথেকে চাপে রয়েছে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। দলনেত্রীর এহেন দ্বিমুখী কৌশলে বেকায়দায় রয়েছেন মঙ্গলকোট বিধায়ক।প্রশাসনিক সভায় মঙ্গলকোট ওসি কে সবাই কে নিয়ে চলবার নির্দেশ যেমন মঙ্গলকোট বিধায়ক কে 'অক্সিজেন ' দিচ্ছে।আবার বিকাশ চৌধুরী সিআইডি হেফাজতে স্বীকোরক্তি কি দেয়? তা নিয়েও ভাবাচ্ছে চৌধুরী সাহেব কে।বিধায়ক শিবিরের দাবি - ধৃত নেতা কে দিয়ে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে দলেরই একাংশ।যদিও সিআইডির তদন্তকারীরা সংবাদমাধ্যম কে জানিয়েছেন, এই মামলায় প্রকৃত খুনিদের ধরতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে।তাই বিকাশ বাবু কে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে খুনে আর কারা কারা যুক্ত তা জানা হবে।
মোল্লা জসিমউদ্দিন
হুগলীর গুড়াপে প্রশাসনিক বৈঠক সেরে পৌনে তিনটেয় পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের শিবদায় পৌছান মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে একাধারে যেমন বিভিন্ন উন্নয়নকাজের পর্যালোচনা চলে, ঠিক তেমনি জেলাপুলিশ কে নরমে - গরমে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসাথে শাসকদলের গোষ্ঠীবিবাদ অধ্যুষিত বিধায়কদের বিপক্ষ গ্রুপের নেতাদের মাথায় রেখে একসাথে উন্নয়নের বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর আজকের বৈঠকে প্রশাসনিক বিষয় হিসাবে উঠে আসে একগুচ্ছ উন্নয়ন কর্মসূচী। ৩০০০ হাজার কোটি অনুদানে দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ যাবার শর্টকাট সড়ক রুট হচ্ছে।এটি।দাসপুর - মেছেদা থেকে আরামবাগ হয়ে মঙ্গলকোটের নুতনহাটের উপর দিয়ে মোরগ্রাম যাবে।যারফলে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের ৯০ কিমি রাস্তা কমে যাচ্ছে।এছাড়াও হলদিয়া বন্দর ঘিরে বাণিজ্যপথ তৈরি হবে এই রুটে।ইতিমধ্যেই টালিগঞ্জের এক বেসরকারি সংস্থা এই রুটের সমীক্ষা শুরু করে ফেলেছে গত সপ্তাহে।কালনা থেকে ভাগীরথী নদীর উপর নদীয়া জেলার শান্তিপুর যাওয়ার ব্রিজ গড়ার প্রকল্প নিয়েছে রাজ্য সরকার।এতে দুই জেলার ঘুরপথে সড়কপথ অনেকটাই কমে যাবে।ব্রিজ গড়তে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে তাড়াতাড়ি। ২৭০০ কোটি অনুদানে দক্ষিনবঙ্গের চারটি জেলায় নদনদীর বন্যা ও ভাঙ্গন প্রতিরোধে কর্মসূচী গ্রহন হয়েছে।এইবিধ প্রশাসনিক উন্নয়নকাজ পর্যালোচনার মাঝেই পূর্ব বর্ধমানের সদর বর্ধমান, মেমারি, কালনা,কাটোয়া, দাঁইহাট,গুশকরা পুর চেয়ারম্যানদের একে একে খবরাখবর নেওয়া শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাস্তায় পথবাতি খারাপ থাকা, নোংরা আবর্জনা ঠিকমত পরিষ্কার করা নিয়ে সদর বর্ধমান পুর চেয়ারম্যান স্বরুপ দত্ত একপ্রকার ভৎসনার মুখে পড়েন।মুখ্যমন্ত্রী বলেন " গাড়ীতে যখন যান,তখন কি খেয়াল রাখেন না? ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে গাড়ীতে যান।" এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী জানান তিনি নিজে গাড়ীতে থাকার সময় রাস্তার দুধারে সব খেয়াল করেন।কলকাতায় কোন লাইট খারাপ চোখে পড়লে মেয়র কে মেরামতি করতেও বলেন।প্রশাসনিক পর্ব শেষ হবার পুলিশ পর্বে মুখ্যমন্ত্রী কে যথেষ্ট কড়া ভূমিকায় দেখা যায়।পুলিশসুপার এর পাশাপাশি কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট,কাটোয়া,কালনা,মেমারি,জামালপুর প্রভৃতি থানার আইসি / ওসিদের সাথে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি কথা বলেন।কেতুগ্রাম আইসি তাঁর এলাকায় ঘনঘন ভিজিট করতে বলেন। সেইসাথে আর কোন ঘটনা ( জাহির সেখ খুন) না ঘটে সেই ব্যাপারে সদাসর্তক থাকতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মেমারি ওসি কে মাঝে মাঝে প্রবলেম হচ্ছে তা মিটিয়ে দিন বলে জানান তিনি।জামালপুর ওসি কে বেআইনি বালি খাদান নিয়ে খবরাখবর নেন। সেইসাথে আমরাও নজর রাখছি মন্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলকোট ওসি কে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন - সবাই কে নিয়ে চলতে হবে।ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার, গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর বিপরীত মেরুকরণে থাকা ওসি কে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন - শাসকদলের দুপক্ষকেই যেন সমান চোখে দেখেন মঙ্গলকোট ওসি।অপরদিকে জেলা পুলিশসুপার কে পথদুর্ঘটনা সম্পকে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য - প্রতিটি মানুষের জীবন খুবই দামি, পানাগড় সহ এনএইচ ২ রাস্তায় ওয়াচ টাওয়ারে নজরদারি বাড়াতে হবে।সেইসাথে ছোটখাটো গর্তগুলি দ্রুত মেরামতি করতে হবে।যদিও মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের উত্তরে পুলিশসুপার জানান - ২৫% দুর্ঘটনা কমেছে, প্রাণহানিও কমছে।এছাড়া এই রাস্তায় পুলিশি টহলদানকারী ভ্যান সর্বদা ঘোরে।জেলার দুই মন্ত্রীর মধ্যে স্বপন দেবনাথ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁতশ্রী প্রকল্পের অভাবনীয় সাফল্য তুলে ধরেন।পূর্বস্থলীর খালবিল সংস্কারে রাজ্যসরকারের প্রধান মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানান স্বপন বাবু।এরপরে মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী মুখ্যমন্ত্রী কে জানান "মঙ্গলকোট কে আপনি নজরে রেখেছেন এবং কাজের যে সূযোগ দিয়েছেন তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ "।মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকের মধ্যেই দলীয় গোষ্ঠী বিবাদ নিরসনে যেভাবে বিধায়কদের নির্দেশ দেন, তাতে শাসকদলের বিপক্ষ গ্রুপের নেতারা খুবই খুশি।এদিন ভাতারের বিধায়ক সুভাষ মন্ডল কে মুখ্যমন্ত্রী বলেন - বনমালী দা ( প্রাত্তন বিধায়ক) কে মাথায় রেখে কাজ করো।অনুরুপভাবে মেমারি বিধায়িকা নার্গিস বেগম কে ওই এলাকার প্রাত্তন বিধায়ক আবদুল্লাহ সাহেব কে সাথে নিয়ে উন্নয়নের প্রসঙ্গ টানেন মুখ্যমন্ত্রী। অর্থাৎ ব্লকে ব্লকে শাসকদলের মধ্যে যে দুটি গ্রুপ তৈরি হয়েছে, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন দুপক্ষই এলাকার উন্নয়নে হাত লাগাক।আউশগ্রামে ডোকরা শিল্প, শক্তিগড়ের মিষ্টিহাব প্রভৃতি প্রকল্পের খুঁটিনাটি তথ্য নেন।সেইসাথে বর্ধমান জেলার সাংবাদিকদের জন্য দ্রুত প্রেসকর্নার গড়ার নির্দেশ জেলাপ্রশাসন কে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রশাসনিক বৈঠকে আউশগ্রাম বিধানসভার সংশ্লিষ্ট সাংসদ অনুপম হাঁজরা কে দেখা যায়নি।তাই প্রশ্ন উঠছে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক সভা করলেন, সেখানে স্থানীয় সাংসদ (তাও দলীয়) কে বাদ দিয়ে প্রকৃত উন্নয়ন কতটা সম্ভব? উঠছে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন, কেননা সাংসদ তহবিলের বরাদ্দকৃত অনুদান বারবার ফিরে গেছে মুখ্যমন্ত্রীর সদ্য প্রশাসনিক সভা করা আউশগ্রাম থেকেই।
শিখা ধর
কোচবিহারের তুফানগঞ্জে ৩ জন দুষ্কৃতি কে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। ৪ টি আগ্নেয়াস্ত্র সহ বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।পুলিশসুপার তা সাংবাদিক সম্মেলনে জানান।
মোহন সিং
আসানসোলের কাঁজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের নিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চললো।পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ছিলেন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি সহ অনেকেই।
মোহন সিং
আসানসোল পুরনিগমের সামনে হকারি করা হকাররা মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারির সাথে সাক্ষাত করে গেলেন। তাদের বক্তব্য দিন প্রতিদিন ওই স্থানে হকার বেড়ে চলেছে। মেয়র জানিয়েছিলেন যে সমস্ত হকাররা আগে থেকে আছে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু এত হকার ওই এলাকায় চলে এসেছে, যে পুরোনো হকারদের ব্যবসা করতে অসুবিধা হচ্ছে। সেই কারনে তারা মেয়রের দ্বারস্থ হলেন।
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...