সুরজ আলি খান
একই পরিবারে দুই পুত্র সন্তান ও মা অগ্নিদগ্ধ হলেন। তাঁদের মধ্যে বড় ছেলের মৃত্যু হয়।আগুনে আহত মা বেলা ক্ষেত্রপাল ও তার ছোট ছেলে শুভ ক্ষেত্রপাল কে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়।মৃত সন্তানের নাম শান্তনু ক্ষেত্রপাল(১২)।সে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র।ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনা আরামবাগের ২ নং ওয়ার্ডের বাঁধ পাড়ায় ঘটে মঙ্গলবার রাত 9 টা থেকে সাড়ে নটা নাগাদ।
জানা গিয়েছে, আরামবাগের ২ নং ওয়ার্ডের বাঁধ পাড়ায় একটি ঝুপড়ি বাড়িতে বেলা তার দুই সন্তান কে নিয়ে থাকেন। তাঁর স্বামী প্রদীপ কাজের সূত্রে বর্ধমানের সেহারা বাজারে ছিলেন।মঙ্গল বার রাতে ঘরের মধ্যে মোম বাতি জ্বালিয়ে শুয়ে পড়েন তাঁরা। মোমবাতি নেভাতে ভুলে যান তাঁরা। এদিন আবহাওয়া ঠাণ্ডা থাকায় বেলা দেবী তার দুই ছেলেকে নিয়ে সকাল করেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। রাত সাড়ে নটা নাগাদ দাউ দাউ করে পুরো বাড়ি জ্বলে যায়।কিন্তু তারা বুঝতে পারেননি। জানতে পেরে পাড়া প্রতিবেশি ছুটে আসেন। মা ও ছোট ছেলেকে উদ্ধার করা গেলেও বড় ছেলে শান্তনু কে উদ্ধার করা যায় নি। কারণ তাঁরা বাঁশের মাচার মধ্যে শুয়ে ছিলেন এবং তাঁর বড় ছেলে শান্তনুর একটি পা মাচার মধ্যে গলে যায়। এর ফলে সে বেশি অগ্নিদগ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও চিকিৎসা চলা কালীন বুধবার সকালে মারা যায়।ছেলের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মা বেলা। এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমেছে। হাসপাতালের বেডে বসে বেলা দেবী আফসোস করে বলেন, আমি মোমবাতি জ্বালিয়ে শুয়েছিলাম, ভাবলাম একটু পরে নিভিয়ে দেব কিন্তু ঘুমিয়ে পড়েছি। কখন যে মোমবাতি উল্টে ঘরে আগুন লেগে গেল বুঝতে পারিনি। যখন বুঝতে পারলাম তখন ছোট ছেলেটাকে নিয়ে বের হলাম ।আর বড় ছেলেটার পা মাচায় আটকে যাওয়ায় তাকে বের করতে পারিনি।আমি আমার বড় ছেলেকে বাঁচাতে পারলাম না।